কয়েক বছর আগে আমরা একটা ই-বই করার জন্য লেখা আহবান করেছিলাম। বিজ্ঞান ও ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক খোঁজার ঐকান্তিক প্রয়াস ছিলো সেই আহ্বানে। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই লেখা পাঠিয়েছিলেন। সে লেখাগুলো থেকে বাছাই করা লেখা নিয়ে করা হয়েছিলো ই-বইটি – ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?’ শিরোনামে । ই-বইটি মুক্তমনায় প্রকাশের পরই পাঠকদের মধ্যে বিশাল সাড়া পড়ে যায়। খুব কমসময়ের মধ্যেই বইটি ইন্টারনেটে হয়ে উঠে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু। পাঠকদের আগ্রহের পরিসীমা সেখানেই থেমে থাকেননি। অনেকেই কেবল ই-বই নয়, ছাপানো বই হিসেবে একে দেখতে চেয়েছিলেন। আমরাও উদ্যোগ নিলাম। অঙ্কুর প্রকাশনী (চারদিক) সে সময় আগ্রহ প্রকাশ করে বইটি ছাপানোর জন্য।
তারপর পদ্মা মেঘনায় জল গড়িয়ে গেছে অনেক। বছরের পর বছর কেটে গেছে, প্রতিবারের বইমেলাতেই আমরা ভেবেছি এবারেই বোধ হয় কাঙ্ক্ষিত বইটি বেরুচ্ছে। কিন্তু বেরোয়নি। অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন, আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন অনেকে। আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে যাচাই-বাছাই, ফন্ট কনভার্শন, টাইপ সেটিং, প্রুফ-রিডিং প্রভৃতি স্তর পার হয়ে বইটি অবশেষে আলোর মুখ দেখেছে। হ্যাঁ, বইটির প্রথম খণ্ড বাজারে বেরিয়েছে। এই খণ্ডের নাম রাখা হয়েছে ‘বিশ্বাস ও বিজ্ঞান’।
এই বইয়ের সম্পাদনায় ছিলাম আমরা – অভিজিৎ রায় এবং ফরিদ আহমেদ। সাথে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং মুক্তমনা লেখক শহিদুল ইসলাম। আর পুরো বইয়ের সার্বিক তত্ত্ববধানে ছিলেন অধ্যাপক অজয় রায়। বার্ধক্য আর অসুস্থ শরীরকে তোয়াক্কা না করে পুরো কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি বরাবরের মতোই নিপুণ ছন্দে। বইটির চমৎকার প্রচ্ছদটি এঁকে দিয়েছেন বিপ্লব মণ্ডল।
যাদের প্রবন্ধ গ্রন্থটিতে সংকলিত হয়েছে তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যাদেরটি হয়নি তাঁদের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে আর কিছু করণীয় নেই। পুরো পাণ্ডুলিপি প্রকাশকের কাছে পাঠানো হলেও তারা পুরোটুকু একসাথে নয় – একে দুই/তিন খণ্ডে ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অবশ্য এ না করে উপায়ও ছিলো না। প্রথম খণ্ড বাজারে আসার পর দেখছি এর কলেবরই হয়ে দাঁড়িয়েছে জলহস্তীর মত বিশালকায় – ৫২৩ পৃষ্ঠা। কাজেই দুই তিন খণ্ড একত্রে ছাপা হলে কী যে হত বুঝতেই পারছেন! কাজেই যাদের লেখা এখানে আসেনি, তারা আগামীর জন্য অপেক্ষা করুন, জলহস্তী দর্শনে বঞ্চিত হবেন না কথা দিতে পারি। এই ভরসাটুকু রেখে আমাদের তিন সম্পাদককে এবারের জন্য ক্ষমা-ঘেন্না করে ছেড়ে দেবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
তবে শুধু তাদের কাছেই নয়, সম্পাদক হিশেবে আমাদের ক্ষমা চাইতে হবে অনেক নতুন লেখকদের প্রতিও। এই বইটির প্রেক্ষাপট যখন সূচিত হয়েছিলো, তখনো মুক্তমনা ব্লগ সাইট হয়ে উঠেনি। লেখকেরা সেসময় পিডিএফ আকারে মুক্তমনায় লেখা পাঠাতেন। সেই পুরনো লেখকদের অনেকেই এখন ব্লগে নিয়মিত নন। আমরা পুরনো কিছু লেখকদের যেমন হারিয়েছি, সেই সাথে আবার অনেক নতুন এবং শক্তিশালী ব্লগারদের আমরা পেয়েছি, যাদের ক্ষুরধার লেখনীতে মুক্তমনা আলোকিত হয়ে উঠছে প্রতিদিনই। আজকে যদি বইটির উদ্যোগ নেয়া হত, তাহলে আজকের নিয়মিত ব্লগারদের অনেকেই এই সংকলনে থাকতেন। সঙ্কলনটিতে তারা নিজেদের নাম না দেখলেও প্রত্যাশা করি পরবর্তী খণ্ডগুলোতে তারা চলে আসবেন অবলীলায়।
সবশেষে বইটির প্রকাশক মেসবাহউদ্দিনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেরীতে হলেও বইটির প্রথম খণ্ডকে বাজারে নিয়ে আসার জন্য, এবং সেই সাথে আমাদের অগণিত পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের জানাচ্ছি শুভেচ্ছা।
নতুন বছরে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উদ্বেলিত হয়ে উঠুক দেহ -মন!
বিশ্বাস ও বিজ্ঞান
সম্পাদক মণ্ডলী
অভিজিৎ রায়
শহিদুল ইসলাম
ফরিদ আহমেদ।সভাপতি
অজয় রায়।প্রচ্ছদ – বিপ্লব মণ্ডল।
প্রকাশক – চারদিক।
বইটির সূচীপত্র এবং ভূমিকা সহ প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়া যাবে এখান থেকে। :pdf:
বইটি মেলায় পাওয়া যাচ্ছে অঙ্কুর প্রকাশনীর স্টলে।
আমরা যারা দেশের বাইরে আবস্থান করছি তাঁদের কাছে বই গুলো কিভাবে পৌঁছাবে? অনলাইনে থেকে কি PDF ভার্শন এ বই গুলা কেনা যাবে?
বই টা অনলাইন এ কোথায় পাবো ?
ভাই সেইরকম একটা বই পড়ে খুব ভালো লাগল।
আমরা যারা দেশের বাইরে আবস্থান করছি তাঁদের কাছে বই গুলো কিভাবে পৌঁছাবে? অনলাইনে থেকে কি PDF ভার্শন এ বই গুলা কেনা যাবে?
দশ বছর পর বইমেলায় যাবার সুযোগ পেলাম – তাও মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য। প্রথম যে বইটি কিনলাম তার নাম ‘বিশ্বাস ও বিজ্ঞান’। এ জাতীয় বইগুলোর চাহিদা যে অনেক তা মেলাতেই বুঝতে পেরেছি। মুক্তমনার আগের বই “স্বতন্ত্র ভাবনা” আজিজ সুপার মার্কেটের অনেক দোকানে তো বটেই প্রথমা’র চট্টগ্রাম শাখাতেও পাওয়া যাচ্ছে।
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা পূরণ হলো। তবে ‘ই-বুক’ এ যে নামটি ছিল সেটাই ভালো ছিল। নতুন নামকরণ ‘বিশ্বাস ও বিজ্ঞান’ পছন্দ হলো না। তবুও বই আকারে বের হচ্ছে সেটাই আনন্দের ব্যাপার। বইটির বহুল প্রচার কামনা করি। নিজেও কিনবো, অন্যকেও কিনতে উৎসাহিত করবো।
অপেক্ষায় থাকলাম হজম করার জন্যে। 😉
আপনাদের বইগুলি খুবই উচ্চমানের। এই বইগুলি কি পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যাবে? না গেলে পশ্চিমবঙ্গের বহু পাঠক বঞ্ছিত হবেন।মুক্তমনাকে অনুরোধ পশ্চিমবঙ্গেও এই ধরণের বইগুলি প্রকাশ করুন।
@ লেখক ও অন্যদের উদ্দেশ্যে
টাকাও সমস্যা না। বইও ছাপানো হল। যৌথ প্রকাশনী ও মার্কেটিংও হল। কিন্তু, পাঠক সৃষ্টি করা এবং মোল্লা-মৌল-আবর্জনা গুলোর লম্পজম্প সামলানোর কি কোনো ব্যবস্থা আছে?
আমার জানা নাই, থাকলে ভাল, না থাকলে- তার জন্য একটা সংগঠন লাগবে এবং তা গ্রাম পর্যন্ত। যেমন- মুক্তমনা ফোরাম, মুক্তমনা সমাজ ইত্যাদি নামের সংগঠন। যাতে মোল্লা-মৌল-আবর্জনা গুলোর লম্পজম্প ঠেকানো এবং উচ্চ-নিম্ন শিক্ষিত-আন্ধাদের বিশ্বাসের ছানী গুলো পরিস্কার করা যায়, মুক্তমানুষ বানানো যায়।
প্রকাশনা ও যাবতীয় উদ্দোগ্যর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
অভিজিৎ এবং ফরিদ ভাই,
সত্যি দারুন খবর ! খুবই ভালো লাগছে শুনে। অন্য বই গুলোর মতো একেও তো সংগ্রহে রাখা চাই। আজই ঢাকায় খবর পাঠাচ্ছি।
ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
দারুণ কাজ হয়েছে। এরকম করে প্রতিবছর নতুন নতুন চিন্তাখোরাকী বই বের করা দরকার। তরুণ সমাজ বই পড়েনা বলে একটা অভিযোগ আছে, কিন্তু কথাটা সবসময় সঠিক বলে মনে হয়না। তবে মুক্তমনার বইগুলোর আকার আরও ছোট করা যেত। এই বইটার এতগুলো প্রবন্ধ একসাথে না ছেপে ১০০ টাকা দামের মধ্যে করে রাখলেও বিক্রির পরিমাণ বাড়ত। ৫০০ টাকা দামের বই কয়জন কিনবেন, তা বলা কঠিন। খন্ড খন্ড করে বের করা গেলে ব্যাপক পাঠক সমাজের হাতে বইটি পৌছিয়ে দেয়া যেত।
তারপরও ধন্যবাদ যে এই লেখাগুলো ছাপা মুখ দেখছে।
সবুরে মেওয়া ফলে …
দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার পর অবশেষে কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে কাগজের পাতায় মুদ্রিত হল… নিঃসন্দেহে শুভ সংবাদ! এই গ্রন্থ প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিবাদন!
প্রাণঢালা অভিনন্দন। (F)
আলোচনা ভালো লাগছে। নিজেদের ‘মুক্তমনা প্রকাশনী’ ভাবনাটা বেশ ভালো লাগছে। আপাতত ৩/৪জন কে বিশেষ করে দায়িত্ব দিলে কেমন হয়? ওরা কষ্ট করে আরো একটু যোগাযোগ তথ্য উপাত্ত আর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ী ফিরে আসুক। আবার আলোচনা হোক। কি বলেন?
আমি কলকাতা, ভারত থেকে মুক্ত মনার পাঠক। আমি মাঝে মাঝেই মুক্ত মনা পাঠ করে থাকি, মুক্ত মনা থেকে প্রকাশিত বইগুলি সংগ্রহ করতে চাই। কলকাতায় কোথায় বইগুলি পাওয়া যাবে জানালে উপকৃত হই। অগ্রিম ধন্যবাদ।
যাক্, দারুণ কাজ হয়েছে ! শেষপর্যন্ত হলো বলে ভালো লাগছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন !!
বেশ প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। বইয়ের পেছনে যারা শ্রম দিয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। :clap
বেশ সমৃদ্ধ একটা বই। কিনতেই হবে…
আমরা যারা ঢাকার বাইরে থাকি তারা বইটি কিভাবে পাব জানালে খুশী হব
@মাসুদ রানা,
আপনি কোথায় থাকেন তা না জানলে অবশ্য পরামর্শ দিতে পারছি না। তবে, আপনি যদি চট্টগ্রাম কিংবা এ ধরনের বড় শহরে থেকে থাকেন তাহলে সেখানকার অনেক স্টলেই শুনেছি আমাদের বইগুলো পাওয়া যায়। নয়া থাকলে অনেক স্টলে বলে রাখলে তারা আবার আনিয়ে দেয়। বই তো তাদের ঢাকা থেকে আনতেই হয় এনিওয়ে। আপনি বললে আপনারটাও এনে দেবে। বইয়ের নাম এবং প্রকাশক বলে দিলেই হয় সাধারণতঃ।
অথবা বইমেলার সময় ঢাকা ঘুরে যেতে পারেন ফেব্রুয়ারির কখনো। অঙ্কুরের স্টলে বইটি পাবেন।
আর একেবারেই নিরূপায় হলে প্রকাশকের সাথেও যোগাযোগ করে নিতে পারেন।
(Y)
অভিনন্দন অভিজিৎ, ফরিদ আর ডঃ অজয় রায় কে। ইন্টার্নেট জগতের বাইরের পাঠকের উপকারে আসবে এই প্রকাশনা। তবে একটা কথা বলতে হয় যা আমি অনেক আগে মুক্তমনা ফোরামে বলেছিলাম। ধর্মের প্রচারণামূলক বইগুলি সস্তা দামে হাটে বাজারে ফুটপাথে পাওয়া যায় আর অসংখ্য লোক তা কেনেও সহজে পাওয়া যায় বলে। অথচ কৃষক আরজ আলী মাতুব্বরের বই শোভন আকারে চড়া দামে বিশেষ দোকানে পাওয়া যায় যা কিনা গ্রামে গঞ্জের বা শহরের সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। শুধু দামী শেলফে সাজানর জন্যই তা প্রকাশিত বলে মনে হয়। আর যারা এটা কিনবে তারা শিক্ষিত সংস্কৃত পাঠক এমনিতেই। Carrying Coal to Newcastle এর মত ব্যাপার। তাই আমার অনুরোধ আমাদের বইগুলিরও সস্তা বা সুলভ সংস্করণ করে (নিউজপৃন্ট) গ্রামে গঞ্জে রাস্তায় ফুটপাতে সুলভে যেন পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা। তাহলেই যাদের এটা পড়া দরকার তারা এটা পাবে সহজে। আর তাতেই এই বইএর প্রকৃত সার্থকতা হবে। হত বিষয়ের কারিগরী জটিলতা না বুঝে সহজীকরণ করলাম। মনের কথাই বল্লাম।
@অপার্থিব, আপনার সাথে একমত।
@অপার্থিব,
এ বিষয়ে আমার একটা ভাবনা আছে। কিছুটা চিন্তা-ভাবনা শেয়ার করেছি মামুন ভাইয়ের সাথে। মূল বিষয়টা বলে যাই। বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি কী হবে সে বিষয়ে পরে না হয় মুক্তমনায় উন্মুক্ত আলোচনা করা যাবে।
প্রকাশকের উপর নির্ভর না করে আমরা নিজেরাই একটা প্রকাশনী গড়ে তুলতে পারি। মুক্তমনা প্রকাশনী নামে। এর একটা সম্পাদনা পরিষদ থাকবে। তাঁদের দ্বারা বাছাইকৃত এবং সম্পাদিত হয়ে এখান থেকেই প্রতি বছর মুক্তমনার এক একাধিক পাণ্ডুলিপি বই আকারে বের হবে। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হবে মুক্তমনার তরুণ লেখকদের। তাঁদের লেখা অন্তত একটা বই বের করা হবেই প্রতিবছর (একক লেখা বা একাধিক লেখকের লেখার সংকলন)। ঢাকায় আমাদের একটা টিম থাকবে যারা প্রকাশনার সরাসরি দিকগুলো দেখবেন (কম্পোজ, প্রিন্ট, বাঁধাই, প্রচারণা এবং বিপননের মত বিষয়গুলো)। কোনো প্রকাশনী্র সঙ্গেও চুক্তিতে যেতে পারি আমরা। টাকা আমরা দেবো, তাঁরা বই ছেপে দেবে, কিন্তু বইয়ের মালিকানা সত্ত্ব আমাদের। ওই বইগুলোকে তখন আমরা প্রতিটা জেলা বা উপজেলার সরকারী পাঠাগারে, বিভিন্ন বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ফ্রি কপি বা নামমাত্র মূল্যে দিতে পারি। এতে করে বইগুলো খুব সহজেই অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
এই চিন্তাভাবনা এখনো আমার মস্তিষ্কেই ভ্রুণ আকারে সীমাবদ্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র মামুন ভাই কিছুটা জানেন, তাঁর সাথে টেলিফোনে আলোচনা করার কারণে। ফিজিক্যাল কিছু কাজ এবং ফিজিবিলিটির বিষয়টা তিনি ঢাকায় গিয়ে করার কথা ছিলো। কিন্তু, দূর্ভাগ্যবশত অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাড়াহুড়ো করে অসময়ে দেশ ছাড়ায় তিনি সেগুলো করতে পারেন নি। কাজেই, দয়া করে কেউ মাইন্ড খাইয়েন না এই ভেবে যে, আমিতো আগে জানতাম না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার চিন্তাটা খুবই উত্তম ও প্রতিশ্রুতিপূর্ণ। এটা সম্ভব এবং হবে একদিন আশা করি। কিন্তু একটা ব্যাপারে সন্দেহ আছে আমার মনে। এখনকার যে হালচাল তাতে সরকারী পাঠাগার, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতটা আগ্রহী হবে মুক্তমনার বই অন্তর্ভুক্ত করতে সেটাও ভেবে দেখা দরকার (মুক্তমনার বিরুদ্ধে তো কম অপপ্রচার হয়নি)। আমি ফুটপাতে মুক্তমনার বই দেখতে চাই। ফুটপাতে বই কেনা আমার এক নেশা। বিজ্ঞানের আলোকে কোরাণ, বা আশ্চর্য্ময় কিতাব ইত্যাদি বই ফুটপাতে যায় কেমন করে? আজকাল অনেক তরুণকে বাড়ী বাড়ী গিয়ে বই বিক্রী করতে দেখা যাচ্ছে। যাইহোক যে কোন প্রয়াসই প্রশংসাযোগ্য।
@অপার্থিব,
ঠিক কথা, বিজ্ঞানের আলোকে কোরাণ এসব বই যদি ফুটপাতে পাওয়া যায়, মুক্তমানার বইগুলোকেও ফুটপাতে নিয়ে আসার উপায় বের করতে হবে। কারন বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ লোকজন ফুটপাত থেকে বই কিনে পড়ে, আর এভাবেই মুক্ত চিন্তার কিছুটা হলেও বেশীরভাগ লোকজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার এটা একটা মোক্ষম পদ্ধতি বলে আমার মনে হচ্ছে।
@ফরিদ আহমেদ,
আমরা যেভাবে এগুচ্ছি, আর আমাদের বইগুলোর চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, হয়তো শেষ পর্যন্ত এটা করতেই হবে। কিন্তু আবেগের বশে নয়, যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে।
প্রথমত- প্রকাশনী করার ব্যাপারটা কিন্তু আর্থিক গন্তব্য মাথায় রেখে করতে হবে, হয়। মনোবৃত্তিটাই ব্যবসায়িক। লেখক হিসেবে যে আদর্শ, সময়, প্যাশন আমরা ধরে রাখি, ব্যবসায়ী হলে তার অনেক কিছুই বিকিয়ে দিতে হবে। অন্ততঃ দেশে তাই হয়।
২য়ত- সাংগঠনিক কাঠামো। ব্যবসা করার জন্য শক্ত খুঁটি থাকা চাই। এমনকি আমাদের স্পর্শকাতর বইগুলো যেন ব্যান না হয়, সেজন্য উপর মহলেও যোগাযোগ থাকতে হবে সম্ভবত। এই আপোষ আমরা করব কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
৩য়- বই ছাপানোই কেবল নয়, মার্কেটিং একটা ফ্যাক্টর। অনেক প্রকাশনীর বই গ্রামে গঞ্জে ত পৌছায়ই না, এমনকি ঢাকার স্টলেও রাখে না, দুর্বল ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অভাবে। কিংবা দোকানে বই দেয়া হলেও বিক্রির পর সেসব দোকান থেকে টাকা তোলা হয়ে দাঁড়ায় আরেক সমস্যা। আমরা মুক্তান্বেষা ম্যাগাজিন বের করতে গিয়েই এ ধরনের সমস্যায় পড়েছি। নতুন প্রকাশনার জন্য ব্যাপারটা হবে আরো ভয়ানক। সবাই মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে চাইবে।
৪র্থ – আমাদের নামতে হবে অন্য ব্যবসায়ীদের সাথে এক অসম প্রতিযোগিতায়। আমাদের আছে কেবল আদর্শ। অর্থ, মাস্তান, উপর মহলে যোগাযোগ কিছুই আমাদের নেই। কেবল প্রকাশনা থাকলেই হবে না, বাংলা বাজার-ভিত্তিক মুদ্রণ এবং স্টল থাকতে হবে। পাইকারি বই ওখান থেকেই কেনা হওয়। যাদের বাংলাবাজারে দোকান নেই, তাদের বই পাঠকদের হাতে পৌঁছুতে নানা সমস্যা হয়।
৫মত – লেখকদের শক্তি লেখা, ব্যবসা নয়। আপনি লেখার জন্য এখন যে সময় দিতে পারেন, বইয়ের ব্যবসা শুরু করলে সিকিভাগের একভাগও নিজের লেখার জন্য দিতে পারবেন না। বিভিন্ন ধরনের তদ্বির, গ্যাঞ্জাম, ঠ্যালাঠেলি, লাঠালাঠি মোকাবেলা করতেই সময় চলে যাবে।
আরো সমস্যা আছে, নতুন প্রকাশক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল আমাদের অনভিজ্ঞতা।
আরো কিছু বলা যেত, সেগুলো হয়তো বলব আপনার উত্তরের পরে।
@অভিজিৎ,
আবেগের বশে নয়, সুদূরপ্রসারী চিন্তা হিসাবেই এটাকে নিতে চাই আমি। যার জন্য কোনো তাড়াহুড়োতেই যেতে রাজি না আমি। এটা বাস্তবায়ন করতে যদি দীর্ঘ সময় লাগে, লাগুক ক্ষতি নেই। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করতে হবে আমাদের। সেই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে কীভাবে অতিক্রম করতে হয় সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। সেই সাথে আমাদের শক্তি এবং সম্ভাবনার দিকটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সবার সাথে আলোচনা করে, তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। এরকম একটা কিছুতে গেলে, সেটা মুক্তমনা হিসাবেই যাবো আমরা, তোমার বা আমার বলে কিছু থাকবে না, পুরোটাই মুক্তমনার সকল সদস্যের হবে। সবার অধিকার থাকবে সেখানে।
না, আমরা ব্যবসায় নামছি না। আমার প্রথম বক্তব্যে কিছুটা অস্পষ্টতা আছে। সেটিকে স্পষ্ট করছি। আমি মুক্তমনা প্রকাশনী বলতে ফিজিক্যাল প্রকাশনীর কথা ভাবছি না। আমরা এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনীর সাথে যৌথ উদ্যোগে যেতে পারি। আমাদের বইগুলোর প্রকাশের খরচ আমরা দেবো। এর পরের অংশটুকু হবে কাবুলিওয়ালাদের মত। তারা যেমন বলতো আসল মাংতা নেহি, সুদ মাংতা হায়, আমরাও সেরকম বলবো যে, লাভ চাই না, বিক্রিত বই থেকে আমরা শুধু আমাদের খরচের অংশটুকু ফেরত চাই। এতে করে প্রকাশের বিরাট লাভ। কোনো পয়সা খরচ না করেই সে বই প্রকাশ করে ফেলছে। শুধু তাই নয় বই বিক্রি থেকে প্রাপ্ত লাভের সবটুকু অংশই সে পাচ্ছে। কোনো রয়ালটি দিতে হচ্ছে না। আমাদের লাভ হচ্ছে কোনো ধরনের ফিজিক্যাল এনটিটি তৈরি না করেও আমাদের পছন্দমত বই বের করতে পারছি। এর বিপনন নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হচ্ছে না। উপরন্ত বই বক্রি থেকে আমাদের খরচের টাকাটা উঠে আসছে। যেটা পরবর্তী বই প্রকাশের সময় আবার মূলধন হিসাবে আমাদের তহবিলে যুক্ত হচ্ছে।
ব্যবসা করছি না, কাজেই খুঁটির প্রয়োজন নেই। আমাদের বই স্পর্শকাতর ঠিক আছে, তবে ব্যান হবে এরকম কিছু আমি ভাবছি না। গত দুই দশকে দেখো কয়টা বই বাংলাদেশে ব্যান হয়েছে। আপোষ করার কোনো প্রশ্নই নেই, তবে সরকারের টালারেন্স লেভেলটাকে মাথার মধ্যে রাখাটা স্ট্রাটেজিক্যালি প্রয়োজন রয়েছে। মার মার কাটকাট করে ব্যান হবার চেয়ে ওই সীমার মধ্যে থেকে কাজ করে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আমরা ফিজিক্যাল প্রকাশনী করছি না, তাই সম্পূর্ণ কাঁঠাল মাথায় ভেঙে কেউ খেতে পারবে না। তবে, ফিজিক্যাল হই বা না হই, নতুন পেয়ে কেউ কেউ যে মাথায় দুই চারটা কাঠালের রোয়া রেখে যে খেতে চাইবে না, একথা বলছি না। আমাদের ঠাণ্ডা মাথায় বিবেচনা করে যৌথ উদ্যোগে যেতে হবে। আর যেহেতু আমরা ফিজিক্যাল প্রকাশনী নই, মার্কেটিং আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়বে না। এর পরেও যদি আমাদের কোনো মার্কেটিং স্ট্রাটেজি থাকে, তবে আমরা আমাদের সহযোগী প্রকাশনা কোম্পানিকে তা জানাতেই পারি।
সেই একই কথা। আমরা কারো সাথে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় নামছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি। আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানই এই প্রতিযোগিতা সামলাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হবে শুধু মুক্তমনার বই প্রকাশ করা। নিয়মিত বই প্রকাশ করতে পারলে মুক্তমনার তরুণ লেখকেরা কী পরিমাণে উৎসাহী হবে ভাবতে পারো? আকৃষ্ট হবে, ভাবতে পারো বিষয়টা।
যেহেতু ব্যবসা করছি না, সেহেতু অতো বেশি সময় যাবে না। অল্প কিছু যাবে। ওইটুকু ক্ষতি আমাদের মেনেই নিতে হবে। তদ্বিব, গ্যাঞ্জাম, ঠ্যালাঠেলি ঠেকানোর জন্য আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটিতে ইরতিশাদ ভাই, অজয় স্যার বা অপার্থিবদের মত প্রখর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিদের রাখা এবং তাঁদেরকে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। মডারেশন কমিটি থেকে সামান্যতমও কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা শুরুতেই বন্ধ করে দিতে হবে। আর হ্যাঁ, ওই কমিটির কোনো সদস্যের নিজেরই পাণ্ডুলিপি যদি বিবেচনার জন্য থাকে, তবে তিনি সেই বছরের জন্য কমিটির কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়াবেন নিরপেক্ষতার খাতিরে।
অনভিজ্ঞতা একটা বড় সমস্যা জানি। এর জন্য ঠকতে হবে তাও জানি। কিন্তু এটাকে মেনে নিয়েই এগোতে হবে আমাদের। জলে না নেমে কি আর সাঁতার শেখা যায়? 🙂
এবার বলো। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
উক্কে, শুরু করি তাইলে।
আমার মনে হয়, আমাদের মতদ্বৈততা হবে একদম বেসিক জায়গাতে –
আমি আসলে টাকা দিয়ে বই প্রকাশের কথা একদমই ভাবছি না, সেটা যে রকমই শোনাক না কেন। আমাদের কোন বইই এখন পর্যন্ত টাকা দিয়ে বের করতে হয়নি। উলটো অনেক প্রকাশক বিক্রিতে খুশি হয়ে রয়ালিটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কোন কোন প্রকাশক তো রয়ালিটির একেবারে পাই পয়সা বুঝিয়ে দিয়েছেন (আর সেই টেকার ছিটেফোঁটা আপনের ট্যাকেও গ্যাছে কইলাম 🙂 ) সব প্রকাশক হয়তো একইরকম ভাবে এতটা ‘প্রফেশনালিজম’ দেখাতে পারেননি, হয়তো ভবিষ্যতে তারা সেটা করবেন; কিন্তু সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, মূল কথা হল – বই ছাপানোর জন্য প্রকাশকদের অর্থযোগান দেয়ার ধারা শুরু করার কোন কারণ আমি দেখি না। একবার এটা করলেই নিজেদের ডাউনগ্রেড করে ফেলা হবে, তখন লোকে বলবে – আরে মুক্তমনার লেখকেরা টাকা দিয়ে বই ছাপায়। বহু হেদু পেদু কিছু লিখতে পারে না, টাকার বস্তা প্রকাশকদের হাতে তুলে দেয়, আর বই বাজারে চলে আসে। আমরা সেরকম লেখা ছাপানর জন্য পানিতে পড়ি নাই, প্রকাশকরাই আমাদের লেখা ছাপানর জন্য আগ্রহ দেখায়। এই ট্রেণ্ডটা আমি বজায় রাখতে চাই।
কাজেই ব্যাপারটা অন্যভাবে ভাবতে হবে। এমন করা যায়, যে, প্রকাশকরা যখন যোগাযোগ করবে, তখন তাদের বলতে হবে আমরা কোন ধরণের বই এ বছর ছাপাতে চাই। এ নিয়ে আগে থেকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হলে ব্যাপারটা কঠিন হবে না। আরেকটু ভাবেন কী করা যায়।
আপনার অন্য পয়েন্টগুলো যেহেতু এই বেসিক পয়েন্টটার উপর ভিত্তি করেই বলা, সেগুলো নিয়ে আর এই মুহূর্তে কোন আর্গুমেন্টে গেলাম না। বেসিকটা নিয়েই কথা হোক আগে।
@অভিজিৎ,
আমি আপনার এই বক্তব্যের সাথে এক মত নই। যারা দূর্নাম রটানোর ফন্দি করে তারা যেকোন ভাবেই তা করবে। তাদের ভয়ে পিছিয়ে থাকলে চলবে কেন। আমাদের উদ্দেশ্যতো খারাপ না। সজ্জন ব্যক্তিরা ভাল কাজকে সব সময় সাধুবাদ জানাবে।
@রাজেশ তালুকদার,
না দুর্নামের ভয়ে ভীত না, কিন্তু নীতিগতভাবে প্রকাশকদের টাকা দিয়ে বই ছাপানোর ব্যাপারে লেখক হিসেবে আমার আপত্তি আছে। আর সেদিকে যাওয়াই বা কেন? অলরেডি আমাদের অনেকগুলো বই তো বাজারে আছে, প্রকাশকেরা আগ্রহ নিয়েই সেগুলো প্রকাশ করেছেন। বইগুলোও ভাল চলছে, প্রকাশকেরাও খুশি। আরো অনেক প্রকাশকেরাই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাই উল্টোযাত্রার কোন দরকার বোধ হয় নেই এই মুহূর্তে।
@রাজেশ তালুকদার এবং ফরিদ ভাই,
আমার কাছে এই স্ট্যান্ডটার ব্যাখ্যা একটু অন্যরকম। আমরা এখানে একটা দার্শনিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করি তার গ্রাহক পৃথিবীব্যাপীই খুব বেশী নয়, তাই বিনামূল্যে বা কম মূল্যে ছড়িয়ে দিলেই আমাদের দেশের (বা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের) মেজরিটি মানুষ এই বইগুলো পড়বে এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। বরং বিনামূল্যে বা খুব কম দামে বইগুলো বের করলে তাকে প্রপাগান্ডা হিসেবে দেখার সম্ভাবনাই বেশী বলে মনে হয় আমার কাছে। কিন্তু সেই বিতর্কে যদি নাও যাই তাও বলবো যে এখন দেশে আমাদের বইগুলোর যে চাহিদা (পাঠক এবং প্রকাশক উভয়ের কাছেই) তাতে করে নিজেদের পয়সায় বই ছাপানোর যেমন প্রশ্ন আসে না তেমনি আবার বিনামূল্যে বা কমদামে বিতরণের ব্যাপারটাও অপ্রাসঙ্গিক। তার চেয়ে বরং আমরা আরেকটু ভিন্নভাবে ব্যাপারগুলো চিন্তা করতে পারি, যেমন ধরুন, আমরা আগ্রহী প্রকাশকদের সাথে এমনভাবে কাজ করতে পারি যাতে করে আরও কমদামী কাগজে আরও ছোট সাইজের বই বের করা যায় যার দাম এমনিতেই কম রাখা যাবে, এমন প্রকাশকদের কাছে বইগুলো দিতে পারি যাদের মার্কেটিং এবং ডিস্ট্রিবিউশান অনেক বেশী ব্যাপক, দেশের আনাচে কানাচে বইগুলো পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা যাবে, ছোটদের বইয়ের সিরিজ বের করতে পারি যেগুলো নিয়মিতভাবে সুলভ মূল্যে বের হবে (এখন পর্যন্ত কয়েকজন প্রকাশক ছোটদের বইয়ের সিরিজ নিয়ে অনেক আগ্রহ দেখিয়েছেন, সময়ের অভাবে কাজটায় হাত দেওয়া হয়) ……… যা হোক, এগুলো সবই শুধুমাত্র উদাহরণ দেওয়ার জন্য বললাম, এরকম আরও অনেক কিছুই চিন্তা করে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
এই বইয়ের লেখক এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য অভিনন্দন রইলো, যদিও বইটার নামটা একেবারেই পছন্দ হল না। অঙ্কুর এরকম একটা আপোষমূলক নাম রাখলো দেখে একটু অবাকই হলাম।
@বন্যা আহমেদ,
মুক্তমনা প্রকাশনী থেকে বের হলে এরকমটি হতো না।
আমার মনে হয়, ফরিদ আহমেদ আন্দোলনটুকু তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দে’য়ার অবস্থান থেকে তার সাধারণ ধারণা প্রকাশ করেছেন।
প্রশ্ন হলো আমরা কতটুকু এগুবো? আমরা যে বিশাল বিশাল প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে দাঁড়িয়ে, আমাদের বাস্তবতা কি সরাসরি তার মুখোমুখি হ’তে প্রাণিত করবে? আমি জানি না, ভুল বুঝেছি কি-না, ফরিদ আহমেদের মন্তব্য পড়ে মনে হলো, আমাদের একটুখানি মাটি দরকার, লড়াইটা করতে হলে কোথাও না কোথাও তো দাঁড়াতে হবে।
একটা প্রকাশনী গড়ে তুলতে পারলে, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার পাঠাগার, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সাথেও সম্পর্কের একটা জাল তৈরির বাস্তবতা সামনে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু একাজগুলো যে লেখকদেরই করতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। করার ইচ্ছেটাই বড়, পথ তখন সামনে এসে দাঁড়ায়, পথিকও মেলে।
@বন্যা আহমেদ,
তোমার সাথে বিতর্ক করার বিপুলতর লোভের জোয়ারকে বালুর বাধ দিয়ে আটকালাম। মাতৃ জঠরেই মৃত জাতক ডাক্তার হবে না এঞ্জিনিয়ার হবে, এই নিয়ে বিতর্ক করার কোনো মানে হয় না। 🙂
শইড্যা বালানি?
@অভিজিৎ,
মুক্তমনা প্রকাশনী নিয়ে আলোচনাই বলো আর বিতর্কই বলো, তা আসলে কানাগলির শেষ মাথায় এসে দাঁড়িয়েছে। এরপর আলোচনা করলে পথভ্রমণ শুধু দীর্ঘই হবে, নতুন কোনো রাস্তার সন্ধান মিলবে বলে মনে হয় না। কাজেই আলোচনার মুখে লাগাম টেনে ধরছি আপাতত। শুধু তার আগে কয়েকটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়ে যাই।
তোমার মত আমিও নীতিগতভাবে টাকা দিয়ে বই প্রকাশের ঘোরতর বিরোধী। এটা যে শুধু কথার কথা নয়, সেটা তোমার অন্তত জানা থাকার কথা। আমরা যখন বই প্রকাশের জন্য যাবো, তখন লেখক কোনো টাকা দেবেন না, টাকা দেবে মুক্তমনা প্রকাশনী। আর মুক্তমনা প্রকাশনীও কোনো প্রকাশনীকে এমনি এমনি টাকা দিয়ে দিচ্ছে না। নিজেরাই নিজেদের বই প্রকাশ করছে। তুমি হয়তো খেয়াল করো নি যে, আমি বলেছি আমরা যৌথ অংশীদারিত্বে যাবো। বইটা প্রকাশ হবে মুক্তমনা প্রকাশনী এবং দেশের ওই প্রকাশনীর যৌথ নামে। আমাদের প্রকাশনীর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, দেশের প্রকাশনীরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সে কারণেই প্রকাশনার দায়িত্বটা ভাগ করে নিচ্ছি আমরা। আমরা পাণ্ডুলিপি এবং অর্থায়নের দিকটা দেখবো, আমাদের অংশীদার প্রকাশনী প্রকাশনার অন্য দিকগুলো দেখবে। বাইরের লোকের জানারই কথা না, কে টাকা দিচ্ছে আর কে দিচ্ছে না। মুক্তান্বেষাওতো আমরা টাকা দিয়েই প্রকাশ করছি, তাই না? কোনো প্রকাশনীতো ফ্রি করে দিচ্ছে না।
প্রকাশকরা কী মুক্তমনার বই হিসাবে আগ্রহ দেখায় নাকি লেখকের প্রতি আগ্রহ দেখায়, এই বিষয়টাতে কিছুটা দ্বিধান্বিত আমি। লেখক হিসাবে দেশে বিদেশে তোমার একটা বিরাট ইমেজ গড়ে উঠেছে, বিপুলসংখ্যক পাঠক তৈরি হয়ে গিয়েছে, ফলে তোমার পিছনে প্রকাশকেরা তাঁদের তুমুল আগ্রহ দেখাচ্ছে। তোমার নাম ফ্লাপে থাকলেই সে বই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে হুহু করে। তুমি বাদে বন্যা, রায়হান আবীর, প্রদীপ দেব বা গীতা দাসদের মত লব্ধপ্রতিষ্ঠিত লেখকদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের মত হেঁদুপেঁদুদের দিকে প্রকাশকরা কী মুখ তুলে তাকাবে কখনো? শুধু মুক্তমনায় লেখি বলে? না, তাকাবে না। তারমানে হচ্ছে মুক্তমনা ব্রান্ড হিসাবে প্রকাশকদের কাছে এখনো ততটা আকর্ষণীয় নয়। মুক্তমনার কিছু লেখক তাঁদের আগ্রহের অন্দরে ঘোরাঘুরি করছেন, কিন্তু সেই আগ্রহটা আমাদের লেখকরা তৈরি করেছেন নিজেদের যোগ্যতা বলেই। মুক্তমনার পরিচয়ে নয়। আমার আগ্রহ ঠিক এই জায়গাটাতে। অপ্রতিষ্ঠিত কিন্তু মুক্তমনার সম্ভাবনাময় লেখকদের হাতে ধরে ধরে পাঠকের সাথে পরিচয়ের কাজটা করে দিতে পারে মুক্তমনা প্রকাশনী। এ ছাড়া স্বাধীনতার বিষয়টাতো আছে। কোন বই প্রকাশ হবে কী হবে না, তার সিদ্ধান্ত মুক্তমনাই নিতে পারবে।
@ফরিদ আহমেদ,
এইটা একটু বেশি বেশি হইয়া গেল না? 🙂
আপনের ছোট গল্প প্রবন্ধের বহু প্রশংসা তো মুক্তমনার বহু পাঠকেরাই করছে। আমাদের যেটা সমস্যা সেটা হল – প্রকাশকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের অভাব। এটার একটা কারণ আমাদের প্রবাসে থাকা (আমি আপনে একসময় বাংলাদেশে যাইতে পারলে অনেক কিছু সমাধান করে ফেলা যেত মনে হয়)। বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রকাশকই এখনো ইমেইল, ফেসবুক প্রভৃতির মাধ্যমে লেখকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না, ব্লগের লেখালিখির সাথেও সেভাবে পরিচিত নন। তাই সেই রদ্দিমার্কা ‘বিখ্যাত’ লেখকদের তেলামাথায় তেল ঢালেন, নয়ত, আলু-পত্রিকা থেকে নতুন লেখক বাছাই করেন। কিন্তু সময় পাল্টাবে। সেই ট্রেন্ড আমি স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি কিন্তু।
অপার্থিব, ফরিদ, অভিজিৎ, রাজেশ, বন্যার আলোচনায় আমিও দু’পয়সা যোগ করি।
প্রথমেই বলি, ফরিদের ‘মুক্তমনা প্রকাশনী’ র ধারনাটা আমার খুব মনে ধরেছে। এর বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব সে আলোচনায় এখনই না গিয়ে বলতে চাই, এতে করে দুটো প্রধান সমস্যার সমাধান হবে।
এক। অপার্থিবের প্রত্যাশার বাস্তবায়ন, যা আমারও প্রত্যাশা, মুক্তমনার লেখাগুলো কিশোর-তরুণ বয়সের ছেলেমেয়েদের হাতে পৌঁছানো -পার্থিবের কথানুযায়ী ফুটপাতের হকারদের মাধ্যমে – সহজতর হবে। পাঁচশো টাকা দামের বই যে এদের কাছে সহজপাপ্য নয়, তা নিয়ে গবেষণা করার দরকার আছে মনে হয় না। অথচ, এদের হাতেই আমাদের বই/লেখা ওঠা প্রয়োজন। এদের চিন্তাভাবনার ওপরে এই লেখাগুলোর প্রভাব অনস্বীকার্য। (উদাহরণঃ রানা ফারুক।) আমার এখনো মনে পড়ে কিশোর বয়সে, “ছোটদের রাজনীতি” পড়ার পর একই লেখকের “ছোটদের অর্থনীতি” পড়ার ইচ্ছা আমাকে অবদমিত রাখতে হয়েছিল। কারন, নিউজপ্রিন্টে ছাপা দুই-আড়াই টাকার এই বইটা কেনার সামর্থ্য তখন আমার ছিল না।
দুই। প্রকাশকদের ওপরে নির্ভরশীল হতে হবে না। আর তাই আপোষ করারও দরকার হবে না। মনক্ষুন্ন হলাম দেখে যে, বইটার নাম ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?’ থেকে পরিবর্তিত হয়ে গেছে সাদামাটা ‘বিশ্বাস ও বিজ্ঞানে’। আমার প্রবন্ধটার শিরোনামও বদলে গেছে, ‘বিজ্ঞানমনস্ক ধারা ধর্মাচ্ছন্ন স্রোতে’ থেকে ‘বিজ্ঞান মনস্কতা ও ধর্মবোধ’-এ। প্রবন্ধটার এক জায়গায় আমি লিখেছিলাম,
আমাদের প্রকাশককেও দেখছি কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়েছে। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগলো, এই কয়েকশত বছরে আমরা কতটুকু এগিয়েছি? কোপার্নিকাস ও তাঁর প্রকাশকের মতো এখনো আমাদের আপোষ করে চলতে হচ্ছে!
কিন্তু, অভিজিতের সাথেও আমি সহমত ‘মুক্তমনা প্রকাশনী’র বাস্তবায়ন সহজসাধ্য নয়। আটঘাট বেঁধে নামতে হবে। সময় লাগবে, বাধা আসবে, তবুও আমার মনে হয় কাজ শুরু করা দরকার। ‘সেবা প্রকাশনী’র মডেলটা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। কমদামে নিউজপ্রিন্টে বই ছাপাতেন কাজী আনোয়ার হোসেন, আর তাঁর সাথে ছিল একদঙ্গল টগবগে তরুণ লিখিয়ের (ইচ্ছে করেই লেখক বললাম না, সেবা সম্পর্কে যারা জানেন তারা বুঝবেন, কেন) দল। যদিও ‘সেবার’ উদ্দেশ্য ছিল সফল-বানিজ্য, এবং মুক্তমনা প্রকাশনী’র উদ্দেশ্য তা হবে না। তবুও সেবা’র মডেলটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে।
@ফরিদ আহমেদ,
দারুণ ব্যাপার। আরেকটি চিন্তা আমার মাথায় কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে তা হচ্ছে, বাংলাদেশে একটি মুক্তমনা পাঠাগার গ’ড়ে তোলা যায় কি? তাহলে একটি পাঠকচক্র তৈরি হত। এমনিতেই মুক্তমনা অনেকেই পড়ছে। তবে পাঠাগার থাকলে ব্যাপারটা সংগঠিতভাবে অন্যরকম হতনা।
@তামান্না ঝুমু,
তোলা যাবে তবে বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের দেশে এখনো মুক্তবুদ্ধি চর্চার পরিবেশ গড়ে ওঠেনি।
@রাজেশ তালুকদার,
চেষ্টা ত করা যেতে পারে।
@ফরিদ আহমেদ,
সম্ভব , খুবই সম্ভব। তবে ব্যাবসার চিন্তা মাথায় থাকলে অসম্ভব । মুক্তমনায় যারা লিখেন তারা বিনা পারশিশ্রমিকেই লিখেন বলে আমার ধারনা। সুতরাং লেখকদের কোন পারিশ্রমিক দিতে হবে না এটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। সরাসরি ধর্মকে গালি দিয়ে লেখা ছাপানোর দরকার কি?… যদি উদ্দেশ্য হয় মুক্ত মনা মানুষ তৈরী করা তাহলে তথ্য, যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ , বিজ্ঞান এর সব লেখা দিয়ে বই প্রকাশ করা যায়,সেখানে প্রসঙ্গ হিসেবে ধর্ম ত আসবেই সাথে তাঁর অসাড়তা প্রমান এর চেষ্টাও স্বয়ংক্রিয় ভাবে থাকবে। আলাদা করে কোন ধর্মের দিকে আঙ্গুল তলার প্রয়জন নেই। যেসব লেখকদের লেখা নিয়ে বই প্রকাশ হবে তারা সেসব বই এর প্রকাশ্নার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ি অর্থ ডনেট করতে পারেন। কবিতা গল্পের দিকেও নজ্রর রাখা যায়, কবিতা গল্প কে একটু সঙ্খ্যালঘু হিসেবে গুরুত্ত দিলে চাই কি মানুষ মুক্ত-মনাকে মুক্তমনে গ্রহন করবে বলেই ধারনা।
খুব সুন্দর একটা কাজ হয়েছে। আমিও শুনছিলাম অনেক দিন ধরেই যে বইটা ছাপা হয়ে বেরোচ্ছে। কিন্তু এতদিন দেখা পাইনি। ধন্যবাদ সকলকে যারা এই বইটির প্রকাশনার সাথে জড়িত ছিলেন ও তাদের শ্রম দিয়ে বইটিকে আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। (F) (F)
‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?’ – এমন একটা সংগ্রহ যেখান থেকে পাঠকরা ‘মুক্ত চিন্তার’ বহু খোরাক একসঙ্গে পাবেন। ই-বুকে সংকলিত ‘প্রবন্ধ-গুচ্ছের’ সবগুলো লিখাই আমি পড়েছি। পড়ে অভিভূত হয়েছি, অনেক অজানাকে জেনেছি, শিখেছি। এসকল অমূল্য লিখাগুলোকে বই আকারে ছাপানো ও প্রকাশের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।অবশ্য অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মত একটি বই।
বিদেশে এ বইটি সংগ্রহের কি কোন ব্যবস্থা আছে?
@গোলাপ,
মুক্তধারা নামে নিউইয়র্কভিত্তিক বাংলা বইয়ের দোকান আছে । আমি যতদূর জানি, তারা আমাদের সবগুলো বই-ই রাখেন। এ বইটিও হয়তো কিছুদিন পরে পাওয়া যাবে। আপনি যদি ফোনে (গুগলে muktadhara লিখে সার্চ দিলে ফোন নম্বর চলে আসবে) তাঁদের সাথে যোগাযোগ করেন, এবং বই অর্ডার করেন, তাহলে মেইলে আপনার কাছে বই পৌঁছিয়ে যায়। বর্তমানে সাইটটির চেহারা ছবি রদবদলের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে সম্ভবতঃ আপনি অনলাইনেই অর্ডার করতে পারবেন।
মুক্তধারা ছারাও আরো কিছু অন লাইন সাইট বিচ্ছিন্নভাবে আমাদের বইগুলো অনলাইনে বিক্রি করেন বলে শুনেছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে কাউকেই আমি চিনি না, সার্ভিস কেমন তাও জানি না। কাজেই তাঁদের উল্লেখ করা থেকে বিরত রইলাম এখানে।
@অভিজিৎ দা,
তথ্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। খোঁজ নেব। (F) (F)
দারুণ একটি ব্যাপার। এই বইয়ের সকল লেখক ও বইটি প্রকাশে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য লেখাগুলো কি বেছে বেছে বই আকারে বের করা যায়না?
@তামান্না ঝুমু,
অবশ্যই। তবে এখনো আমরা প্রকাশকদের অনুগ্রহের উপরেই নির্ভরশীল। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় যদি নীচে অপার্থিবকে মন্তব্য হিসেবে দেয়া ফরিদ ভাইয়ের উদ্যোগটি বাস্তবায়িত করা যায়। আমি সেটা করা অসম্ভব বলছি না, কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটাই দুস্কর হবে বলে আমার মনে হয় (কেন সেটা একটু পরেই আমি আলোচনা করব)। সেটা যতক্ষন না হচ্ছে, এভাবেই কাজ করতে হবে।
কবিতার বই টার্গেট করেও এগুনো যায়। আপনি, সাইফুল, কাজী রহমান সবাই দুর্দান্ত কিছু কবিতা লিখছেন, এখনো লিখছেন। আপনারা বাছাই করে একটা সংকলনের মত শুরু করতে পারেন – নিধর্ম গাথা শিরোনামে (নামটা একবার আমি সাইফুলকে বলেছিলাম)। বাছাই হয়ে গেলে আমরা উদ্যোগ নিতে পারি প্রকাশক পাওয়ার ব্যাপারে।
শুভকামনা রইলো।
@
অভিজিৎ রায় ,
কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে । দয়া করে কলকাতা বইমেলায় আপনাদের বই পাঠাবেন । নাহলে :guli:
@মহসিনা খাতুন,
ধন্যবাদ! প্রকাশককে বলে রাখব। আপনিও চাপ দিন! 🙂
অনন্য সাধারণ উদ্যোগ! সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে অভিজিৎ-দা, ফরিদ ভাইরা যে মূল্যবান কাজ করে যাচ্ছেন, তার প্রভাব এখন পুরোপুরি টের পাওয়া নে গেলেও এক সময় ঠিকই পাওয়া যাবে, যখন সমাজ-রাজনীতি-ধর্মের সব অর্গলগুলো একে একে খুলতে শুরু করবে! বইটির পেছনে যাদের অবদান রয়েছে (বিশেষ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অজয় স্যার অসুস্থ শরীর নিয়েও সময় দিয়েছেন), তাদের প্রত্যেককে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই! (F)
বইটি অচিরেই কেনার ইচ্ছা রয়েছে! এবং আশা করছি, বইটি বাজারে যথেষ্ট সাড়া ফেলবে!মুক্ত সমাজ বিনির্মাণে বইটা নিশ্চিত একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে!
অনন্য সাধারণ উদ্যোগ! সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে অভিজিৎ-দা, ফরিদ ভাইরা যে মূল্যবান কাজ করে যাচ্ছেন, তার প্রভাব এখন পুরোপুরি টের পাওয়া নে গেলেও এক সময় ঠিকই পাওয়া যাবে, যখন সমাজ-রাজনীতি-ধর্মের সব অর্গলগুলো একে একে খুলতে শুরু করবে! বইটির পেছনে যাদের অবদান রয়েছে (বিশেষ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অজয় স্যার অসুস্থ শরীর নিয়েও সময় দিয়েছেন), তা
অভিনন্দন,অভিনন্দন-
লেখক এবং অজয় স্যর’কে (F)
সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
অভিনন্দন সম্পাদক মন্ডলী, সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ও বইয়ের লেখকদেরকে।প্রকাশককে ধন্যবাদ এ রকম একটি বই ছাপানোর জন্য।
বইটির প্রাপ্তিস্থান উল্লেখ করার অনুরোধ রইল। উল্লেখ্য যে লিংকটি খুলতে পারিনি। সিরিল নম্বর চায়।
এই বইয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন (Y) (F) খুব ভালো কাজ করেছেন কারণ অনলাইনের বাইরেই বিশালগোষ্ঠী যাদেরকে ধর্মের নাগপাশ থেকে মুক্ত করা দরকার সে কাজে এধরণের বই বিশাল অবদান রাখবে।
মানে পুরা একটা বোমা ফাটল। বাঙালি, সরকার এইডা হজম করতে পারলে হয়।
ব্যাপক শান্তি লাগতেছে বুকের ভিতরে।
অভিনন্দন সংশ্লিষ্ট সকলকে। এই ই-বুকটির প্রায় সবগুলো লেখাই পড়েছি। চমৎকার একটি কাজ করেছিলেন। বই আকারে বের হওয়াতে বেশ ভালো হলো। দেশে গেলে একটি কপি রাখতে হবে। (Y)
“মোষ তাড়ানো” লেখক এবং উদ্যোগতাদের অভিনন্দন।