আমি জালিয়ে মারবো তোদের
তন্দ্রাবিধুর আলসে বেড়াল;
বৈশাখী ঝড় হয়ে,
আমি জালিয়ে মারবো তোদের।
মোল্লা হলিরে বাংলার ছেলে;
মেয়েগুলো হায় তোরাও?
স্বর্গ দূতীয় ছদ্মনিনাদে
আসমানী হলি বোশখেরে ছেড়ে?
ওরে আলপনা আঁকা উৎসবে
সবুজ পাখী হয়ে;
উড়ে চলে আয়,
মুড়ি মুড়কীর এই উৎসবে।
শাসকেরা কত এলো গেল
চাকু মেরে বাংলায়,
তারপরও মেলা বসে
এইখানে, এই সুন্দর শ্যামলিমায়।
যদ্দিনে তোরা দেশী না’হবি
বেহিজাবী এলোকেশে উল্লাসে,
তাড়াবি আকাশী ওদের,
আমি জালিয়ে মারবো তোদের।
দারুণ বলেছেন কিন্তু।
মোল্লারা ধর্ম দিয়ে যে ভাবে দেশটা খেয়ে ফেলছে তা ঠেকানোর একমাত্র উপায় সম্ভবত সাংস্কৃতিক আন্দোলন।
দেখা যাক কার ঘুম কখন ভাঙে।
আজ়ীবন নিষ্ঠুর চিন্তা ধারা আর ধর্মের মতন হাস্যকর বর্বর বেড়াজালের আক্রমনের জবাব আমাদের মতন অধিকাংশ মানুষ দিয়ে এসেছে বিনয়ের সাথে, শান্ত ভাবে। আজীবন কুকুরের কাজ কুকুর করে গেছে এবং যাচ্ছে…আর আমরা ক্ষত পায়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে কুকুর কেন কামড়ালো তার যৌক্তিকতা খোঁজার চেষ্টা করি। কারণ বিনয় আর মহত্বকে বরাবরই দুর্বলতা ভাবা হয়।
আপনার এ কবিতাটি পড়ে হ্রদয়ে আনন্দ ভরা সাহস সঞ্চার হলো। কারণ প্রথম বারের মতন মনে হচ্ছে তলোয়ারের জবাবে আমরাও তলোয়ার হাতে নিতে জানি। আমরাও বিষে বিষ ক্ষয় করতে জানি। আমাদের মাঝেও অন্যায় আর অসুন্দরকে জালিয়ে মারার আছে আগুন। আমরাও আগ্রাসী ভাষায় ভৎর্সনা করে বলতে পারি –
****প্রথমবার পাঠ শেষে ওই ছিলো প্রতিক্রিয়া।****
কোন একটি বৃত্তে নয়, অবিরাম চলতে চলতে বাঁক নে’য়া নদীর মতো, দেখতে পাচ্ছি ভাব-ভাবনার বিচিত্র প্রকাশ।
চমৎকার!
@স্বপন মাঝি,
আপনার দেখার চোখটা যদি আরো অনেকের থাকতো। যদ্দুর সম্ভব চেনা বাঁক গুলোর সাথে আর সবার জানাশোনা করাবার চেষ্টা করছি। অভিজ্ঞতার যখন বিচিত্র, কিছুটা হলেও তা ভাগাভাগি করতে দোষ কি? কি বলেন?
যথারীতি চমৎকার মন্তব্য, এবং ধন্যবাদ। (D)
আমি বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত-
(কাজি নজরুল ইসলাম)
এই কবিতাটা মনে এল আপনার লেখা পড়ে।
@আফরোজা আলম,
মনে এলে এলো, কি আর করা। অত ভেবে লিখিনি কিন্তু। খুব একটা ভেবে লিখিও না কক্ষনো। তবে, বাঙালী হয়েছি আর অত বড় কবির প্রভাব কোথাও পড়বে না, তা কি করে হয়।
চমৎকার বলেছেন।
বছরের শুরুতে দ্রোহী কবিতা দিয়ে যাত্রা%
@রাজেশ তালুকদার,
বছরের শুরুতে দ্রোহী কবিতা দিয়ে যাত্রা করলেন। সারা বছর তো বিল্পবী বেশেই থাকতে হবে।
@রাজেশ তালুকদার,
হা হা হা, একা একা কি আর হয়। আমার কাজ আমি করছি। দেখা যাক। আরো অনেকের ভাবনা যখন আরো অনেকের কাছে পৌঁছাবে, হয়ত কিছু হবে। খুব দেরী না হলেই হোল।
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত
তুমি এখনই দিওনা ক্ষান্ত
আবদার থাকলো কবিতাটিকে বর্ধিত করার। কেন যেন মনে হচ্ছে মহৎ কোন কবিতার খণ্ড এটি। অথবা ছোট কোন অ্যাটম কবিতা।
@অরণ্য,
ধন্যবাদ অরণ্য। ক্ষ্যান্ত দেবনা।