অ্যাপল গুরু স্টিভ জবসের উপর আমি একটি স্লাইড শো তৈরি করেছি, অনেকটা পরীক্ষামূলক হিসেবে। আমার টার্গেট হচ্ছে বাংলা ভাষাভাষী স্কুল-কলেজ-গামী শিক্ষার্থীদের সামনে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সমসাময়িক বিশ্বের (অবাঙ্গালী) বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে সংক্ষিপ্ত, প্রাঞ্জল বাংলায় মাল্টিমিডিয়া, যেমন: স্লাইড শো, ভিডিও ক্লিপের সাহায্যে উপস্থাপন করা।
একই সাথে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেকেন্ড জেনারেশন ছেলেমেয়েদের (যারা বাংলা পড়তে জানে না) সামনে বিখ্যাত বাঙ্গালী মনীষীদের কর্ম ও জীবন অতি সংক্ষিপ্ত আকারে ইংরেজিতে তুলে ধরা।
এ যুগের অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা বাস্তব বিষয়াদি বা ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে বড় বড় পুস্তক পড়ার চাইতে কাল্পনিক ‘হিরো’ হ্যারি পর্টারের উপর বিশাল বিশাল বই পড়তে বেশি পছন্দ করে।
অতিশয় প্রীত হব, যদি আপনারা স্লাইডটি সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান সমালোচনা/পরামর্শ প্রদান করেন।
অত্যন্ত ভাল একটি উদ্যোগ।
আপনি যেহেতু এবিসি টিভি, বিবিসি, সিএনএন, টাইমস-এর কথা তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য একটা স্বীকৃতি মনে হওয়ায় আপনার স্লাইড শোতে ব্যবহার করেছেন, তার অর্থ আপনার কাছে তা যুক্তি সঙ্গত মনে হয়েছে। সেই কারণে আপনার কাছেই কি উত্তরটা আশা করতে পারি না?
@শাহাদত,
স্টিভ জবস আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে বিচারের ভার ইতিহাসের উপর ছেড়ে দিন।
আমার মূল উদ্দেশ্য স্টিভ জবসকে চুলেচেরা মূল্যায়ন নয়; স্লাইড শো শিক্ষামূলক উদ্দেশে কতটা কার্যকর হতে পারে, তার একটা টেস্ট নেয়া। স্টিভ জবসকে ব্যাবহার করেছি সমকালীন সময়ের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের একটা উদাহরণ হিসেবে।
স্টিভ জবস এ যুগের এডিসন? 😀
মিডিয়ার হাইপ গেলা কি যুক্তিসংগত হয়েছে? তিনি দারুণ কিছু আইডিয়ার জন্মদাতা, অত্যন্ত প্রতিভাবান, সন্দেহ নেই। কিন্তু যুগান্তকারী এমন কি কি মৌলিক আবিষ্কার তিনি করেছেন যে কারণে তাকে এডিসনের কাতারে ফেলা যায়? একটু চিন্তা করে দেখলে ভালো হতো।
বলা হচ্ছে, তিনি ‘আমাদের’ দৈনন্দিন জীবন যাপনের ধারা পালটে দিয়েছেন। তাহলে কি জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলার কারণে তিনি এডিসন? আর এই ‘আমাদের’ মানে কাদের? কতো শতাংশ তারা? দৈনন্দিন জীবন যাপনের ধারা পালটে দেওয়ার কথা উঠলে কিন্তু যতো বিতর্কিতই হন না কেন বিল গেটস স্টিভ জবসের চেয়ে কয়েক আলোকবর্ষ এগিয়ে থাকবেন।
@শাহাদত,
এবিসি টিভি, বিবিসি, সিএনএন, টাইমস বরাবরে লিখতে পারেন, কেন তাঁরা অমনটি ভাবল।
জাহেদ, এটা কি তুমি নাকি পারগেটরি টাইপের কিছু একটা? ছবিতে তো জীবিতই দেখায়, অবশ্য মরে যাওয়ার আগের ছবিও হতে পারে…
আপনার উদ্দেশ্য নিঃসন্দেহে মহৎ। তবে এমন একটা উদ্দেশ্য সফল করতে চাইলে, ছোট ছেলেমেয়েদের কোন বিষয়ে জানাতে চাইলে, সবার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হল, আপনার বক্তব্য আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা, যেন তারা বিষয়টাতে আগ্রহ পায়, যেন তারা এটাকে পাঠ্য বইয়ের মত নিরস মনে না করে।
বাঙালিদের সামনে শুধু অবাঙালি ব্যক্তিত্ব কেন তুলে ধরবেন, কেন সেই সাথে বাঙালি ব্যক্তিত্বও নয়, সেটা জানতে পারি কি?
@প্রতিফলন,
“যেন তারা বিষয়টাতে আগ্রহ পায়, যেন তারা এটাকে পাঠ্য বইয়ের মত নিরস মনে না করে।”
-খুবই প্রয়োজনীয় কথা ।
(Y) চমৎকার!!
আপনার উদ্যোক চমৎকার সন্দেহ নেই।
কিন্তু, স্লাইড যেভাবে তৈরি করেছেন, তাতে যেটা বুঝা যাচ্ছে, আপনি শুধু ট্রান্সলেশানটা প্রিন্ট মিডিয়ার বদলে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় করেছেন। স্লাইডে বৈচিত্রের খুব অভাব। প্রাথমিকভাবে আপনার টার্গেট যদি সেটা হয় তাহলে ঠিক আছে।
কিন্তু যেটা দিয়ে শুরু করেছেন, ‘মৃত্যু’র ব্যাপারে কথা বলা দিয়ে, সেই লাইনগুলো পড়ে যে কেউ মনে করবে স্টিভ জবস্ এক বিশাল দার্শনিক। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের আকর্ষণ করার জন্য শুরুটা ভালো মনে হচ্ছে না। আর জনপ্রিয় করার জন্যতো পুরো স্লাইডে বাড়তি কিছু নেই। যেমনঃ এনিমেশান, কার্টুন, ছবি। স্ট্যান্ফোর্ড (আপনি লিখেছেন স্ট্যান্ডফোর্ড) এর ভাষণের অংশটুকু ঠিক আছে, কিন্তু ‘ফরচুন’ ম্যাগাজিনের দেয়া উক্তি স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেশ কঠিন। আমার মনে হয় স্লাইড কন্টেন্ট নিয়ে আপনার আরো কিছুটা ভাবতে হবে, সাথে সাথে ‘স্লাইড শো’ টা আরেকটু বৈচিত্রময়, আকর্ষণীয় করার ব্যাপারেও, যদি না এ-পর্যায়ে আপনি শুধু অনুবাদ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
*** স্টিভ্ জবস্, বিল গেটস্কে নিয়ে “Pirates of Silicon Valley” ম্যুভিটিতে অনেক ইন্টারেস্টিং তথ্য আছে।
@মইনুল রাজু,
অনেক ধন্যবাদ!
@মইনুল রাজু,
স্ট্যানফোর্ড বানান কারেক্ট করেছি। অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই ভাবব।