আব্বু প্রায় চার বছর ধরে আমার বিয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত (আমার সৌভাগ্যও) আব্বুর ইচ্ছেটা পূর্ণ হচ্ছে না। একসময় আমি পড়াশুনা করতে চেয়ে বলেছিলাম বিয়ে করব না। আব্বুর বিরোধিতা সত্ত্বেও আম্মি তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করিয়ে নিয়েছিল। আজ স্নাতকোত্তর পরার পরও যোগ্য পাত্র জুটছে না। অনেকেই জানে, আমি ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করেছি । এখনো গবেষণা করছি । তাদেরই কারো মুখে সেই কথা শুনে যে দু একজন আগ্রহ দেখাচ্ছে তারাও কেন জানি না হাত গুটিয়ে নিচ্ছে (আসলে জানি !)। আজ আমি কয়েকদিন আগের একটা মজার ঘটনা শোনাবো তোমাদের।
তার আগে বলে নিই ,আমার আব্বু ও আম্মি দুজনেই ধর্মপ্রাণ মানুষ। অবশ্য দুজনের কাছে ধর্মের সংজ্ঞাটা আলাদা। আব্বু খুব অর্থোডক্স মুসলিম। আমার উচ্চশিক্ষা উনার খুব একটা ভালো লাগেনি। আম্মির কাছে ধর্ম ধর্মের জায়গা তে, আর বাস্তবকেও তিনি কখনো অস্বীকার করেন নি । তাই কখনো দেখিনি আমার অবিশ্বাস কে তিরস্কার করতে বা হুমায়ুন আজাদ এর বই কে ঘৃণা করতে । কিম্বা কোন হিন্দু কে অসম্মান করতে । আমাকে তিনি সর্বদায় মানুষ কে সম্মান করতে শিখিয়েছেন। বলেছেন ওইটাই যথেষ্ট ।
সেদিন এক পাত্রের বাপ এলো আমাকে দেখতে। ভদ্রলোক কে দেখেই মনে হল গোঁড়া মুসলিম । আমি ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা ও গবেষণা করছি জেনে তিনি খুব আগ্রহ নিয়েই এসেছিলেন। সোফা তে একদিকে আব্বু আর একদিকে তিনি বসে কথা বলছিলেন । কিছুক্ষণ পরে আমার পরীক্ষার ক্ষণ এলো । আমি যথা রীতি আম্মির কথা মতো ধীর পদক্ষেপে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালাম তার সামনে । তিনি আমায় বসতে বললেন । কিন্তু আব্বুর সাথে গল্প থামালেন না । আমাকে শুনিয়ে শুনিয়েই বললেন ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার । ব্যাঙ্গালরে থাকে। ৭৫০০০ স্যালারি । ওখানেই ফ্ল্যাট ,গাড়ি বছরে তিন চার বার আসে । এবং ছেলের আরও অনেক গুনের কথা । আমি চুপচাপ শুনছিলাম মাথা নিচু করে । পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক সেই সময়েই আম্মির ডাক—–
“ও রিয়াযের আব্বু । একটু শুনে যাও।”
আব্বু উনাকে একটু আসি বলে উঠে চলে গেলেন পাসের ঘরে । আমি বসে রইলাম । উনি আমার সাথে কথা সুরু করলেন । আমি কোথায় পড়াশুনা করেছি , কোন ইয়ার,এই জানো সেই জানো …ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করার পর তিনি ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করলেন…
___আচ্ছা বেটি তুমি রোজ ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ো তো?
আমি বললাম, “ না”।
উনি একটু অবাক হলেন । বুঝলাম, এই উত্তরের ন্যুনতম সম্ভাবনাও তিনি আসা করেন নি ।
____ তুমি ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা কর নি?
___ হ্যাঁ।
____তুমি আল্লাহ মানো না? আল্লাহ কে ভয় কর না?
____ না।
উনি থমথমে মুখ করে চুপ রইলেন । নিজেকে একটু গুছিয়ে নিচ্ছিলেন বোধ হয় । এবার নিজেকে খানিকটা সংযত করে আমার সাহস টা অসহ্য হলেও সহ্য করে নিয়ে বললেন—-
“তুমি কি ধরম নিয়েই গবেষণা করছ এখন ?”
—হ্যাঁ।
___ তা তমার বিষয় টা কি? থিওলজি না ইসলাম স্টাডিজ ?
________তুলনামূলক ধর্ম (কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন)।
______তুমি কি সেইটা নিয়েই গবেষণা করছ ?
——–না । খানিক তা অপ্রস্তুত হয়ে বললাম । বিষয় টা ফিলসফি বা কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন দুটোর ই অন্তর্ভুক্ত ।
—–তা ভাল । তা কোন ধর্ম তোমার সবচেয়ে পছন্দের ?
——-কোন ধর্মই নয় ।
—-কেন, কোরআন পড়ো নি ? রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসলাম ই একমাত্র ধর্ম । কোরআনে আল্লাহ তালাহ ও জানিয়েছেন সেকথা । এটাই পৃথিবীর সমস্ত রকম জীবন চর্যার মধ্যে একমাত্র পূর্নাঙ্গ জীবন চর্যার পদ্ধতি । আমরা গর্বিত যে আমরা by birth মুসলিম তুমি এটাকেও মানো না ?!!
_______ দুঃখিত । আপনার ধারনা একটু ভুল । আসলে পৃথিবীর সমস্ত ধরমের লোকেরাই দাবি করে যে একমাত্র তাদের জীবন চর্যার পদ্ধতি ই পূর্নাঙ্গ । স্বাভাবিক ভাবে আপনিও করছেন। দাবি সকলেই করে কিন্তু কোন ধর্মই আজ পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেনি কিম্বা কখনই পারবে না যে তাদের জীবন চর্যার পদ্ধতিই পূর্নাঙ্গ ।
উনার মুখ কেমন যেন আর একটু লাল হয়ে গেল । এটা বলা টা যেন আমার অপরাধ হয়ে গেছে । উনি সেই থমথমে ভাব যথাসম্ভব চেপে বললেন… “ তা বেটি , তুমি ত প্রচুর পড়াশুনা করেছ ।আমি আর কি বুঝব ! (আসলে খোঁচা দিলেন ) তা তোমার কি মনে হয় , তুলনামূলক ভাবে কোন ধর্ম টা তোমার সবচেয়ে ভাল বলে মনে হয়েছে ?
—– বৌদ্ধ ধর্ম , আমি বললাম ।
উনি হয়ত এবার আর চুপচাপ থাকতে পারলেন না । বললেন—–
ও তো কাফেরের ধর্ম । ওরা তো কোনও কিছুকেই মানে না ।
——–কিন্তু ওদের চেয়ে আধ্যাত্মিক ধর্ম পৃথিবী তে আর দুটো নেই ।
উনি বিস্মিত সুধু না । মনে হল খুব আশাহতও হলেন। উনি আমাকে আর একটা কথাও জিজ্ঞাসা করলেন না। বললেন ঠিক আছে এস । আর তোমার আব্বা কে পাথিয়ে দাও । আমি অন্য ঘরে চলে এলাম। উনি আব্বুর সাথে কি কথা বললেন জানি না। তারপর খাওয়া দাওয়া করলেন কিন্তু আমার সাথে একটাও কথা বললেন না। তারপর চলে গেলেন। উনাকে ছেড়ে দিয়ে আসার পর আব্বু আমাকে নিয়ে উঠে পরে লাগলেন।
“—আমি যতই চেষ্টা করি তোর জন্য একটা ভালো ছেলেও জুটবে না। তোর মতো কাফির কে কোন ইমানদার মুসলিম ঘরে নেবে? আল্লাহ মানে না! বলি, জাহান্নামে যাবি যে! বলি শুনছো!”
আমি চুপচাপ। রাগে ফেতে যাচ্ছি মনে মনে।
——“ও রিয়াজের আম্মী! এবার তো একটু শেখাও ওকে । নিজে তো সারা জীবন কুফরি করলে। আর এখন মেয়েকেও শেখাচ্ছো! এবার আমার উপর একটু রহম করো! মেয়ের বিয়ে না দিয়ে আল্লার কাছে কি মুখ দেখাবো? এই ঘরে থেকে আমি দোযখের রাস্তা পরিষ্কার করব না।”
বলে জুতো পায়ে দিয়ে গটগট করে বেরিয়ে গেলো। আমি চুপচাপ বসে রইলাম।
আমি বুঝলাম আজ আমার বারোটা বাজলো। আব্বু তো বলে টলে বেড়িয়ে গেল। রাতে খাবার সময় ফিরলো। বুঝলাম, এই জামা-আত থেকে ফিরছেন, মহাশয় ! ফিরেই আম্মির উপর হুকুম হল খাবার নিয়ে আসার । আম্মি এতদিন ঘর করছে । গলা শুনেই বুঝে গেছে আজ ঘরে আবার অশান্তি । আমার আর আব্বুর নিত্যদিনের কলহে আম্মিই ভোগে সবচেয়ে বেশি ।
বাড়ি ফিরেই আব্বু সুরু করলো ,“রিয়াজের আম্মি ! বলি শুনছো—-”
আম্মি তাড়াতাড়ি রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলো । আব্বু শান্ত অথচ গম্ভীর গলায় বললেন , “এক কাপ চা পাওয়া যাবে ?”
আম্মি প্রতিদিনের মতই চা করে রেখেছিলেন । চা নিয়ে আব্বুর সামনের টেবিলে চায়ের কাপ টা রাখলেন । আমি পরদিন ফিল্ডে যেতে হবে বলে সেখানকার কাজ নিয়ে একটু তৈরি হচ্ছিলাম । আব্বু প্লেট টা নিয়ে এক চুমুক দিয়ে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন , “ তোমার মেয়ের জন্য ভাল পাত্র তো জুটবেই না—” একটু থেমে বললেন , “ এই মেয়ে শেরেক করতে কখন পিছপা হয় না । এই কাফের মেয়ে কে কোন ইমানদার বিয়ে করে দোজখের পথ পরিষ্কার করবে ? কোন ইমানদার মা বাপ তার ছেলের জন্য এমন কাফের, মুনাফেক মেয়ের বিয়ে দিতে চাইবে ?”
আম্মি কখনো আব্বুর কথার উপর কথা বলে না । আম্মি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল চা শেষ হওয়ার আশায়। আব্বু আম্মি কে চুপ থাকতে দেখে বলল , “সব তোমার জন্য ! তোমাকে আমি বারবার বলেছিলাম মুসলিমের ঘরের মেয়ে মাধ্যমিক পাস করেছে ,এবার বিয়ে দিয়ে দাও । তুমি বললে , ‘ও যখন পড়তে চাইছে পড়াও না কিছুদিন ।’ উচ্চ মাধ্যমিকের পর ও বললাম । তুমি বললে, ‘স্কুলে প্রথম হয়েছে । অতনু মাস্টার বললে আপনার মেয়ে অনেক দূর এগুবে , দেখ না পরিয়ে । দেখো ও ঠিক তোমার মুখ একদিন উজ্জ্বল করবে ।’ এরপর বি এ , এম এ , সব পরিয়ে ফেললাম ধর্ম কে আল্লাহ-র বানি কে জলাঞ্জলি দিয়ে । কোন সয়তান আমার উপর ভর করেছিল কে জানে !”
আম্মি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন , “অত চিন্তা কর না । দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে । এত বড় পৃথিবী তে কেউ না কেউ ঠিক জুটে যাবে ।”
আব্বুর গলার স্বর সপ্তমে চড়ে গেলো —– “ এই ‘চিন্তা কর না’ বলে বলেই তুমি আমার মাথা টা খেলে । নিজে তো দোজখের পথ পরিষ্কার করে নিয়েছ এবার মেয়ে কেও শেখাচ্ছ । মা মেয়ে মিলে ঘর তাকে জাহান্নাম বানিয়ে দাও ! এই জাহান্নামে কি নামাজ রোজা কায়েম হবে ? আমি আর এই ঘরে থাকব না । শুধরাও শুধরাও । এখনো সময় আছে ,একটু শুধরাও নিজেদের —”
আমি বাধ্য হয়ে উঠে এলাম কাজ ফেলে রেখে । আব্বু তখনো আম্মি কে বকতে বকতে বলে চলেছে, “— এত দিন তো মা মেয়ের কুফরি কালামেই গেলো । এবার একটু দ্বীন এর দিকে মুখ ফেরাও। চেষ্টা কর যাতে মরণের পড়ে জান্নাত নসিব হয় ।” আমি অনেকক্ষণ সহ্য করছিলাম । আম্মির মত আদ্যন্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ কে কাফের বলে গালাগালি করছিল বলে মাথা গরম হয়েই ছিল । আমার পড়াশুনা নিয়েও গালাগালি করছিল। যেই জান্নাত জান্নাত বলতে লাগল আমার মেজাজ আর ঠিক থাকল না । চিৎকার করতে করতে সামনে এসে বললাম , “পকেটে রাখো তোমার বেহেস্ত আর জান্নতের গল্প । কি আছে তোমার জান্নাতে যে কোরআন হাদিস মেনে চলতে হবে আমাকে ? সেখানে কি সুযোগ সুবিধা আছে যা এখানে নেই ,বলতে পার ?”
—“কেন পরিস নি কোরআন বুখারি তিরমিযী মুসলিম ? জানিস না কি আছে সেখানে ? আল্লার রহমতে যা চাইবি তাই পাবি সেখানে।”
যা চাই টা যদি পাওয়া যেতো তাহলে আমি কোরআন হাদিস মেনেই চলতাম । আল্লাহ যা দিয়েছে সবই তো ছেলেদের । মেয়েদের জন্য তো আল্লাহ কিছুই রাখেনি জান্নাতে । ছেলে দের জন্য সুরা ,হুরী আর গেলমান । আনন্দ ফুর্তি সেই সব জান্নাতি অদ্ভুত জীব দের সাথে । মেয়েদের জন্য কি আছে ? বলেছে কোরআন হাদিস ? (এর চেয়ে ডিটেল আব্বু কে বলতে পারলাম না ,কিন্তু আমার বক্তব্য তিনি ঠিকই বুঝে যাবে জানতাম , কিন্তু আমার কথা না শুনে উলটে আমাকেই প্রশ্ন করলো)
“—কি চায় কি তোর জান্নাতে ? অনন্তকাল সুখ এর চেয়ে বেশি চাওয়ার কি থাকতে পারে ?”
“______কোথায় বলা আছে সেখানে অনন্ত কাল মেয়েরা সুখ পাবে ? অত জন হুর পরি আর গেলমান দের সাথে নিজের আপন জন কে ভাগ করে নেওয়ার সুখ কি মেয়েরা কখনো চাইতে পারে ? কোরআন হাদিস তুমি একা পড়নি আব্বু ,আমিও পড়েছি । তোমার চেয়ে বেশি ই পড়েছি ।”
“_______হ্যাঁ হ্যাঁ তোর পড়া আমার জানা আছে ।” তাচ্ছিল্যের সাথে বলে উঠলো আব্বু ।
আমি বল্লাম , ঠিক আছে ।আমি না হয় জানি না । তুমি বল দেখি । জান্নাতে কি সকল জান্নাতি মানুষের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয় ?
আব্বু খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বলে উঠলো, “ হ্যাঁ” ।
আমি বললাম , “আচ্ছা ধরো আব্বু , আমি যদি আজ থেকে সব ধর্মীয় নির্দেশ মেনে চলি তাহলে আমি জান্নাতে যেতে পারব ? সামনা সামনি আল্লাহ কে দেখতে পাবো?”
আব্বু আবার বলে উঠলো , “ হ্যাঁ ।”
আমি বললাম , “ আমার একটাই ইচ্ছা । আল্লাহ কে সামনা সামনি পেলে দুই গালে ঠাস ঠাস করে দুটো চড় মারতে চাই । ব্যাটা মেয়েদের জন্য শুধু বঞ্চনা রেখে দিয়েছে সারাজীবন। হবে? আমার আসা পূরণ হবে? নাকি হবে না?”
(আব্বু একটু অপ্রস্তুতে পড়ে চুপ করে রইল । কেন না , যদি জান্নাতে আল্লাকে চড় মারার ইচ্ছা পূরণ হয় , তাহলে তো আল্লাহ কে আর পরম উপাস্য অর্থাৎ “আল ইলাহ” বলা যাবে না, যেহেতু তাকে যে কেউ এসে চড় থাপ্পড় মেরে যেতে পারে । কিম্বা আল্লাহ কে সর্বশক্তিমান ও বলা যাবে না যেহেতু তাকে চড় মারার ইচ্ছা করলেও তিনি তা আটকাতে পারবেন না । অন্য দিকে যদি বলা হয় যে আমার এই ইচ্ছা কখনো পূরণ হবে না ।তাহলে আমার কথাই মেনে নিতে হবে , অর্থাৎ মেনে নিতে হবে যে , ষে জান্নাতে সব ইচ্ছা পূরণ হয় না । অবশেষে কয়েক সেকেন্ড ভাবার পর আব্বু তৃতীয় পন্থা বের করলেন ।) যুক্তির দুর্বলতা ঢাকতে একটু গম্ভীর গলায় বললেন , “ জান্নাতে আল্লাহ-র রহমতে এই ইচ্ছাই তোর থাকবে না !”
আমি বললাম , “ তার মানে জান্নাতে আমার স্বাধীন ইচ্ছাও থাকবে না । আমি যা করতে চাই ,যা পেতে চাই তা তো পাবই না ,উলটে নিজের বিচার বুদ্ধি টুকু হারিয়ে আল্লাহ-র পুতুলে পরিণত হব । আমাদের স্বাধীন ইচ্ছার উপর তিনি সর্বদা হস্তক্ষেপ করবেন ? সেখানে যদি স্বাধীন ইচ্ছা টুকুই না থাকে ,তাহলে তার সুখই বা কি আর তার দুখই বা কি? আমি মানুষ , স্বাধীন ইচ্ছাই আমার স্বাতন্ত্র্য, আমার সত্তা । এটা হারাতে আমি পারব না । জান্নাতেও না , জাহান্নামেও না। তোমার জান্নাতের গল্প যদি সত্যিও হয় তবুও সেখানে যেতে আমার এক বিন্দু আগ্রহ নেই । ”
( আমি একটু থেমে আব্বু কে বলার সুযোগ দিলাম । আব্বু বাইরে ইসলাম নিয়ে বক্তৃতা দিতে পারে কিন্তু আমার সাথে যুক্তি তে কখনই পেরে ওঠে নি । ভুল তত্ত্ব তথ্য আর যুক্তি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য মানুষ কে প্রভাবিত করা যায় । কিন্তু স্থায়ী ভাবে নয় । আমাকে কখনই ভুল বোঝানোর ক্ষমতা তার নেই, এটা আব্বু খুব ভাল ভাবেই জানে । আব্বু চুপ করেই রইল ,যদিও মুখ চোখ রাগে লাল হয়ে উঠেছিল ।)
——-“ তার চেয়ে আমি রক্ত মাংসের মানুষ । মরার সময় আমি প্রদীপের মত দপ করে নিভে যাবো । তখন আমি আর নেই । এটা ভাবতে আমার ভয় লাগলেও আমি মেনে নিতে প্রস্তুত । তবু গোর আযাব কিম্বা জান্নাত আর জাহান্নাম মেনে নিতে পারব না । যত্ত সব ঈশ্বরবাদীদের দেওয়া গোঁজামিল তত্ত্ব! বোগাস !”
বলতে বলতে কখন আমার গলা চড়ে গিয়েছিল নিজেই বুঝি নি । আমার এই তাচ্ছিল্য ভরা উত্তরে যা হওয়ার ছিল তাই হল । একমাত্র পন্থা যেটা ধার্মিকরা বরাবর করে এসেছে । বলপ্রয়োগ । আব্বু আমার বাঁ গালে এক চড় কষিয়ে বললেন ,
“——–সব তোর ওই কুফরি কালাম চর্চার ফল ! জেনে রাখ বিচারের দিনে এসব কোন কাজে লাগবে না ! ”
গালে আচমকা প্রচণ্ড লাগায় আমার বাঁ হাত টা বাঁ গালে চলে গিয়েছিল । কস্ত পেলেও আনন্দই হচ্ছিল । আব্বুর আবার হারার আনন্দ। ওই অবস্থাতেও হাসি পেয়ে গেলো ।একটু মুচকি হেসে গালে হাত বোলাতে বোলাতে নিজের রুমে চলে গেলাম । বাইরে আব্বু তখনো চিৎকার করেই যাচ্ছিল ।
মহসিনা খাতুন
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ এইজন্য যে, একজন মেয়ে , সে নিজে যা উপলব্ধি করেছে, পারিবারিক বা সামাজিক কোনো চাপের কাছে মাথা নত না করেই, কোনো রকম মুখোশ না পরেই , ক্ষতির আশংকা জেনেশুনেই, অ-কপট ভাবে সরল করে তার চেতনায় উৎসারিত কন্সেপ্ট অবলীলায় বলেছে। এটা আমরা পারিনা। বহু লোকেই পারিনা। আপনার মতো খুব খুব কম লোকেই এটা পারেন। একজন আস্তিক তার বিশ্বাস প্রসুত বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে গঠিত যুক্তি ( তার নিজের ধারণা মতে খারাপ সংস্কারমুক্ত যুক্তি) প্রসুত ধারণা সদম্ভে প্রকাশ করতে পারে , কারণ তাতে তার স্বার্থে লাভ আছে , কিছু ক্ষেত্রে লাভ না থাকলেও ক্ষতি নেই। চেতনাহীন সমাজ এই উপরিগত পরিকাঠামো তাকে সমর্থিত করেছে, কিন্তু আমার মতো নাস্তিকরা যখন দেখি আমার মনের উপলব্ধি যদি অকপটে বলি তাহলে সম্যক ক্ষতি আছে ;পারিবারিক, সামাজিক, ব্যাবসায়িক, বৈষয়িক সকল ক্ষেত্রেই ক্ষতি আছে ,যেটা সামলানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তাহলে জাস্ট নীরব থাকি। না বিশ্বাস থাকলেও ঈদ ও বকরিদে ঈদ্গাহে ভড়ং করতে নামাজ পড়তে যাই। দেখি মা আনন্দময়ীর, শ্যামাময়ী, মৃত্তিকা নির্মিত দেহ বা শালগ্রাম শিলা জাস্ট একটা জড় পদার্থ , তবুও পুজোয় মাতি। পাড়ার ধর্মীয় উৎসবে চাঁদা দিই। মসজিদ সংস্কারের জন্য চাঁদা দিই। আমার যুক্তিশীল মননে যা আশু বর্জনীয় বলে মনে হয়, মন না চাইলেও তা করতে হয়। আজো আমরা একটা Rational Society গড়ে তুলতে পারিনি। আপনি একজন মেয়ে হয়ে স্পষ্ট করে যা বলেছেন কোনো ক্ষতির তোয়াক্কা না করে, আমি ছেলে হয়েও আস্তিক সমাজে বসবাস করে, সর্বক্ষেত্রে আমার নাস্তিক মনের প্রকাশ করতে পারিনি আমার পরিবারের ক্ষতির কথা ভেবে, এই মানসিক যন্ত্রণা আমার বিবেককে কুরে কুরে খায়। বড়জোর আমি বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে আমার যুক্তি উপস্থাপন করে তাদের নিরস্ত করতে পারি, তারাই আবার তাদের সমাজে আমার কিভাবে ক্ষতি করা যায় সেই চেষ্টা করে। তাই মাঝে মাঝে নিজের মনকে সান্ত্বনা দিই এই বলে যে কি হবে উলু বনে মুক্তো ছড়িয়ে? আর যখন দেখি আপনাদের মতো কিছু লোক আছেন যারা পারবেন সমাজটাকে শোধরাতে, তাদের কুর্ণিশ জানাই।
[img]https://lh5.googleusercontent.com/-wPuFoTMCKWQ/TfjrZBmAJnI/AAAAAAAAAWI/S8dWOl5ApII/s128/Thanks%20from%20mdmohosin.jpg[/img]
@মহম্মদ মহসীন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মনে আরও সাহস জোগানোর জন্য ।
আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো. আমার নিজের বাবার সাথে এই বিশোয়ে এখোনো মুখোমুখি হোবার সাহস হোয় নাই. ভওবিসসোট এ ডেখা জাক।
আপনার মতো আরো একজন সত্যিকারের মুক্তমনার আত্মপ্রকাশ দেখে ভালো লাগলো। আপনাকে অভিনন্দন।
আপনার মায়ের দর্শনের সঙ্গে একমত।আমার পক্ষ থেকে একটা স্যালুট।আমার মা ও একই কথা বলেন।শিক্ষিত জাতি গড়তে মুক্তমনা মায়ের বিকল্প নেই।
@তাওসীফ হামিম,
২০০ % ঠিক বলেছেন আপনি !!
সাব্বাস মহসিনা। আপনাকে স্যালুট জানাই। একবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সাথে কথা হয়েছিল। সে কোরানে পড়ে। আমার কাছে কয়েকটি যুক্তি শোনার পর সে স্বীকার করেছে যে, আসলে সেও আল্লাহকে বিশ্বাস করেনা। আমি ভেবেছিলাম যে আমি তাকে শেখাবো। কিন্তু পরে সেই আমাকে কোরানের বিভিন্ন মিথ্যাচারগুলো দেখিয়ে দিয়েছে। শুনেছি এখন সে ইসলামী ব্যাংকের বড়সড় পোস্টে চাকরি করছে। :lotpot:
@মুক্তা, চিমটি কাটলেন? :guli:
এই সব ঘটনা আমাদের দেশে সব সময় শুনে বা দেখে অবস্থ না আমাদের পিতা মাতা ।
তারা সব সময় মনে করে ছেলে মেয়ে কিছুদিনের জন্য বিগডে গেছে ,
কিছু দিন পর ঠিক হয়ে যাবে । তারা তাদের মন এবং ধ্যানেও নিজকে বুঝাতে বা মানাতে পারেনা যে তার সন্তান তার ধর্মের বাহিরে কিছু করতে পারে । তারা তাদের সন্তান পালিয়ে গেলে বা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলে কিছু দিন রাগ করে তবে তার পর বেশির ভাগ বাবা/মা টা মেনে নেয় ।
তবে এই ধর্মের ব্যাপারে নির্মম সত্য তারা মেনে নিতে পারে না ।
বাবা/মা এর সাথে ধর্মের ব্যাপারে তর্ক বা কথা বললে জোর প্রয়োগ , ব্ল্যাক মেইল করা , পরিবারের মান মর্যাদার দোহাই , বংশ গোরবের কথা বলে ঠেকাতে চায় , তারা সত্যিকারের অর্থে কোন যুক্তি বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারে না ।
শুধু মহা বাক্য মনে রাখে ধর্ম অন্ধ বিশ্বাস ।
তোমার মত জীবন আমি ও অতিবাহিত করতেছি এবং করতে হবে সামনে ।
তাই মহা অনন্দে মনে হয় তারা অধম বলে আমি উত্তম হইবনা কেন ???
আল্লার গাল থাকলে দাঁড়িও থাকার কথা ! :-s
@নিটোল, জান্নাতে মানুষেরই দাড়ি আল্লাহ খসিয়ে দেন । উনার তো থাকবেই না । 🙂
@মহসিনা খাতুন
সত্যানুসন্ধান ও যুক্তি হচ্ছে সকল মৌলবাদের চুরান্ত প্রতিপক্ষ। লেখাটি ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ।
@আহমেদ সায়েম, আপনাকেও ধন্যবাদ ।
আপনি সোজা-সাপ্টাভাবে যা বলেছেন, তা অনেকেই বলার মত সাহস রাখে না। অভিবাদন রইলো। আর মুক্তমনা পরিবারে স্বাগতম!
আপনার কাছ থেকে এরকম আরো সাহসী লেখা আশা করছি।
@মহসিনা খাতুন
অনেক সাহসী মেয়ে আপনি। আপনি পাত্রের বাবার সাথে যেভাবে কথা বলেছেন এরকম ক’জন বলতে পারে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে কথা বলি। নিজের মনোভাব চেপে রাখি, ভিন্নমতের কারো কাছে সহজে প্রকাশ করিনা সমালোচিত হবার ভয়ে। আপনি দেখি দুঃসাহসী মেয়ে। স্যালিউট আপনার সাহসকে। স্বাগতম মুক্তমনায়।
@তামান্না ঝুমু,
ধন্যবাদ । কিন্তু জানেন তো , আমি খুব নরম ভাবেই বলেছি মাথা নিচু করে । কিন্তু আমার পড়াশুনার বিষয়ে চলে এসেছিল তো ব্যাপার টা ,তাই উনারে একটু ক্লিয়ার করে দিচ্ছিলাম । তখন তো আমি আর পাত্রী না… তাই কথা গুল একটু কড়া হয়ে গিয়েছিল । উনাকে অপমানিত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না । কিন্তু উনি নিজেই গায়ে মেখে নিলেন ।
সত্যি বলতে কি, প্রত্যেক হবু শ্বশুর আশা করে, এমনকি মিথ্যে করে হলেও যেন কনে বলে, ”হ্যাঁ, রেগুলার নামায-রোজা করি”!
বাপ-বেটির লড়াই বেশ উপভোগ্য ছিল; কিন্তু শেষের চড়খানা সত্যি কষ্ট দিয়েছে!
@কাজি মামুন, চড় খানা যা দিয়েছে তো আমাকে ,আপনি কি বুঝবেন ! না কি ব্যাঙ্গ করলেন ?
জানেন ,আমাদের ঘরে এসব রোজ কার ব্যাপার । আব্বুর কথা পরে লিখব কখনো। আব্বুর চড় খানা তে সাফল্যের স্বাদ টাও তো পেয়েছি… সেটা অই ব্যাথা লাগার থেকে অনেক বেশি আনন্দের ।
@মহসিনা খাতুন,
আমিতো গল্পের নায়িকার ব্যথায় ব্যথিত হয়েছি মাত্র! ব্যাঙ্গ করার প্রশ্নই উঠে না!
শুধু আপনাদের নয়, আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি ঘরে এমন চিত্র চোখ মেললেই দেখা যায়; আর আপনি সহজ-সরল ভাষায় সেই সমাজ-বাস্তবতাকে তুলে এনেছেন বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে!
যেভাবে যুক্তির মিসাইল ছুঁড়েছেন, তাতে আনন্দ আপনার অবশ্যই প্রাপ্য; আপনি তাই আনন্দ করুন; আর চড়ের ব্যথাটা না হয় এই নিরীহ পাঠকই ভোগ করুক!
এতো পুরোনো একটা লেখা পড়েছেন দেখে বেশ অবাকই হলাম। আমার ধারণা ছিলো আপনি মুক্তমনায় নতুন।
আমি দুঃখিত। ধর্মের সাথে আমার বাধনটা খুব একটা নিবিড় ছিলো না শুরু থেকে। কেউ কখনো জোর করে চাপাতে চেষ্টা করে নি এটা আমার উপর। ফলে, ওই অনিবিড় সম্পর্কের সাথে আমার বিচ্ছিন্নতা ঘটেছে অনায়াসে, আপোষে এবং অনাড়ম্বর নৈশব্দে। সে কারণেই ধর্ম আমার কাছে মোটামুটি একটা কৌতুকের বিষয়। একে নিয়ে সিরিয়াস কিছু লেখার চেয়ে ফাজলেমি করেই বেশি মজা পাই আমি।
বলা হয় নি। আপনার লেখাটা চমৎকার হয়েছে। মুক্তমনার সদস্যপদ পাওয়ায় অভিনন্দন রইলো।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি ততটা নতুন ও নই । কিন্তু বিশ্বাস করবেন না , আমি যতবার এই সাইট টা ভিসিট করি আমার মেইল ও ততবার চেক করি না ! তাই আমায় যে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে বুঝতেই পারিনি । কিন্তু কখনো লেখা দিই নি । কেননা নিজেকে যোগ্য মনে হয়নি । আর এই ব্লগের ভাব গাম্ভীর্য -এর জন্য আমার সাহসে কুলোয় নি , বলতে পারেন । মজার কথা আমার একটি লেখা ফেসবুক এ দেখে আমায় এক ধার্মিক সমালোচক মুক্ত মনা বলে উল্লেখ করে । ব্যঙ্গ হলেও আমার খুব ভাল লাগে নিজেকে মুক্ত মনা ভাবতে। তাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিই । তারপর এর আগের লেখা টা সাহস করে দিয়ে দিই । গ্রহণ যোগ্য হওয়ায় মনোবল বাড়ে । আগে আমি শুধু লেখাগুলো পরতাম । টুকে রাখতাম ভাল লাগলে । তথ্য আর যুক্তি গুলো বোঝার চেষ্টা করতাম । আর ফেসবুক এ শেয়ার ও দিতাম । সদস্যপদ পাওয়ায় মনোবল আরও বাড়ল। আশা রাখি এই ব্লগ কে নিরাশ করব না ।
হা হা হা, আল্লাহ-র গালে চড় মারার খায়েশ করতে গিয়ে নিজের গালেই চড় খেলেন। এর পরেও আল্লাহ-র কুদরতে অবিশ্বাস করেন? সময় থাকতে দ্বীনের রাস্তায় আসেন। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
একটি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি । আমি আপনার ডেমোক্রিটাস এর উপর লেখা টা পড়েছি । দর্শনের ছাত্রী বলেই হয়ত বেশি করে পড়েছি । খুব ভাল লেগেছে ।
আমাকে মজা করেও ধার্মিক হতে বলবেন না প্লিজ । আমার এত স্বল্প জ্ঞানের পরিসরেও আমি বুঝতে পারি ধর্ম গুলতে কি ভয়ানক রকমের অসঙ্গতি । কিন্তু এত শিক্ষিত মানুষ বোঝেন না কেন কে জানে ?
@মহসিনা খাতুন,
আপনাকে মুক্তমনায় লগইন করার তথ্য পাঠানো হয়েছিলো আপনার ইমেইল একাউন্টে। পেয়েছিলেন কিনা জানাবেন।
লগ ইন করে মন্তব্য করলে সাথে সাথেই সেটা প্রকাশিত হয়, মডারেটরের এপ্রুভালের জন্য পড়ে থাকে না। লগ ইন সংক্রান্ত কোন সমস্যা বোধ করলে আমাদের ইমেইল ( [email protected] ) করে জানাতে পারেন।
আব্বুর হাতের চড়, সে আর খারাপ কি । আমার মা, তার শেষ জীবনে আমার উপার্জিত অর্থে জীবন যাপন করবেন না । আশা করি তিনি তার সিদ্ধান্ত বদলাবেন ( মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি )।
আমার আব্বু সরল কিনা আমাকে না জানালেও চলবে । উনি জলসা করেন । ধর্ম সম্পর্কে বক্তৃতা দেন । জাকির নায়েক এর খুব ছোট্ট সংস্করণ বলতে প
@মহসিনা খাতুন,
অনুগ্রহ করে “[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]” বাটনটি চাপ দিয়ে এক থ্রেডে মন্তব্য করুন,এভাবে আলাদা থ্রেড বানালে পাঠকের আলোচনা অনুসরণ করতে সমস্যা হয়। এছাড়া বাটনে চাপ দিয়ে মন্তব্য করলে যাকে উত্তর দিচ্ছেন তার মেইলে নোটিফিকেশন পাঠানো হয়।
মুক্তমনায় স্বাগতম।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
কেমন আছেন? আশা করি ভালই আছেন। আপনার লেখাগুলি পড়ি যদিও কমেন্ট করি না। আপনার বেশ গুলি আর্টিকল বিনা প্রশ্নে ভাল বলে মেনে নিব। তার-উপর এডমিন আর প্রগ্রামার হিসাবেও আপনি যে অনেক দক্ষ, তা আমি দেখতেই পাচ্ছি। ভাল থাকুন।
@ফুয়াদ দীনহীন,
ভালোই আছি :)। ধন্যবাদ।
@রামগড়ুড়ের ছানা, আসলে আমি নতুন তো । তাই বুঝতে পারছি না । আর একটা সমস্যা হচ্ছে একটু পরিষ্কার করে দেবেন ? আমি উদ্ধৃতি দিতে পারছি না । এক জায়গা তে দিতে যাচ্ছি অন্য জায়গা তে হয়ে যাচ্ছে । কি করি বলুন তো ?
@মহসিনা খাতুন,
উদ্ধৃতি দিতে একটি লেখা কপি-পেস্ট করে সেটা সিলেক্ট করে উপরে “উদ্ধৃতি” বাটনে চাপ দিন। যেমন: blockqoute ট্যাগটা সিলেক্ট করা লেখার ২পাশে চলে আসবে। প্রিভিউ বাটনে চাপ দিয়ে দেখে নিতে পারেন ঠিক আছে কিনা। এবার আবার চেষ্টা করে দেখুন,না পারলে জানাবেন।
@মহসিনা খাতুন,
আপনার সব গুলি কমেন্ট-ই পড়লাম। প্রথমেই আমি যে বিষয়টা এড্রেস করব সেটা হল, আপনার আব্বু যে সরল, সেটা আপনার চেয়ে বেশী কোন মানুষ ভাল জানার কথা না। ভাল করে আপনার আর্টিকল পড়ুন, দেখতে পাবেন, বল সব সময় আপনি আপনার কোর্টেই রেখেছেন। মানে প্রশ্ন গুলি, আপনিই নিয়ন্ত্রন করেছেন। উপরন্তু, কেউ জ্ঞানী হলেই যে সরল হতে পারবে না, এমন কোন কথা নেই। পৃথিবীর অনেক জ্ঞানী ব্যাক্তিরা সরল। তাছাড়া, ধর্ম সম্পর্কে বক্তৃতা দেওয়ায় কিছু প্রমান করে না, কারণ আমি দেখেছি সবাইকেই বক্তৃতা উতসাহ দেওয়া হয়, কেউ একটা আয়াত জানলে তাকে সেটাই বলতে বলা হয়।
তারপর-ও যদি আপনার আব্বু যে সরল মানুষ তার প্রমাণ চান, তাহলে আমি দেখতে বলব আপনার লেখার এই অংশটিঃ
একজন সরল মনের মানুষ ছাড়া এই কথা যে আর কেউ বলবে না সেটা আমি ভাল করেই জানি। আপা, আমি বোকা পাঠক নই, আপনার যা ইচ্ছা আবুল তাবুল বুঝাইলেন, আর আমি বুইঝা নিমু।
আপাত এই পাঠ রাখি, এখন যুক্তিতে আসুন, মহাসমুদ্রের উদাহারন ভবঘুরেকে দিয়েছিলাম, কারণ উনি বেশ ইমোশনাল, উনাকে একেবারে সহজ করে বুঝিয়ে না দিলে বুঝবেন না। সামান্য একটা ভাষাগত অর্থ বুঝানোর জন্যই ঐ উদাহারনে অবতারন করেছিলাম, এ জন্য আল্লাহ পাকের কথা আলাদা রেখে চিন্তা করতে বলেছিলাম। এ ব্যাপারে আপনার জবাবে বলি, মহাসমুদ্র শুকিয়ে যাওয়া একটা বাস্তবতা সম্পন্ন ঘটনা, যা ঘটতে পারে। এজন্য, আমাদের বায়ুমন্ডলটা না থাকলেই হবে।
সেটা কোন ফ্যাক্টর নয়, আপনি বলেছেন আপনি ইসলাম ধর্ম পরেছেন, সাথে আবার কম্পারেটিভ রিলিজিয়নের উপর রিসার্চ করছেন, তাহলে ধরে নিতে পারি আপনি সৃষ্ট এবং স্রষ্টার মধ্যে পার্থক্যের সম্পর্কে সামান্য হলেও ধারনা আছে। কিন্তু আপনি চানঃ
স্রষ্টা এবং সৃষ্টের ধারনা থাকলে, আপনার এরূপ চাওয়ার কথা না। ঠিক দুইটা কারণে আপনি চাইতে পারেন।
কারণ ১ঃ আপনি আসলে স্রষ্টার সম্পর্কে আল কুরান কি বলে, তা জানেন না।
কারণ ২ঃআপনি আসলে জানেন, কিন্তু আপনার আব্বুকে পরাস্ত করার জন্য জানা বিষয় নিজের আব্বুর কাছে গোপন করে, জয় পাবার আনন্দ নিয়েছেন।
@ফুয়াদ দীনহীন,
“আপনি আসলে স্রষ্টার সম্পর্কে আল কুরান কি বলে, তা জানেন না।”
আসলে কুরান কি বলে?। একটু ডিটেইলস বইলেন ত ভাই। অনেস্টলি স্পিকিং কুরান পড়ে আমি তালাক আর উত্তরাধিকার ছাড়া আর তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাই নাই। সুদ/ঘুস এগুলার দিকে যাবেন না,কত বছর আগুনে পোরানো হবে দোজখে এগুলা সযত্নে বইলেন না।বিগ ব্যাং থেকে আধুনিক ক্যন্সার এর চিকিৎসা কুরানে কিভাবে পাওয়া যায় বলতে পারেন।
@ফুয়াদ দীনহীন,
জানা বিষয় আমি আব্বুর কাছ থেকে গোপন করবো? আব্বু ওই বই গুলো দিন রাত্তির পরেন ।উনার কাছ থেকে গোপন করার সাধ্য আমার নেই ।
দয়া করে আপনি কয়েক কথায় জানিয়ে দিন । খালি কোরআন নয় , কোরআন আর হাদিস দুটি মিলিয়ে আল্লাহ-র পরিষ্কার ছবি পাওয়া যায় ।
একটি প্রায় ৪০ ফুট সাইজের কালি পুজো হয় আমাদের পাসের পাড়ায় । অটা কে দেখলেই আল্লাহ কে খানিক টা আন্দাজ করাই যায় । আল্লাহ পুরুষ । অটার চেয়ে একটু বড় সাইজের। তবে তেমন কিছু না । এবং গাল তো তার আছেই । তাই একটা মই দরকার হলেও চড় মারাই যায় । মই টাও পাওয়া সহজসাধ্য । কেননা , সেটা তো জন্নত । সেখানে যা চাইব ,নির্ভয়ে তাই পাব । আপনি একটু আমায় জানাবেন , আপনি স্রস্টার কি ধারনা পেয়েছেন ? আমি জানি কি জানি না , সেই মন্তব্য করার আপনি কে ? যদি জানিয়ে দিয়ে মন্তব্য টি করতেন , উত্তর অবশ্যই পেতেন । আপনার ভুল ঠিক বুঝিয়ে আমার লেখার সাথে সঙ্গতি অসঙ্গতি পরিষ্কার করে দিতাম । ভবিস্যতে আপনার যেন এই ধরনের মন্তব্য পাই …… নিচে দিলাম কেমন… আপনি_____________ এইটা জানেন না বা জেনেও বলেন নি
@মহসিনা খাতুন,
অবশেষে অরিন্দম কহিলেন বিষাদে,
এই তিনিই আবার বলেছিলেনঃ
বাহ; পাঠকদের তো ভালই ধোকায় ফেলান।
আপনার জন্য জিয়া ভাইয়ের করা ফেইচ বুকের স্টেটাস শেয়ার করিঃ
বাহ ,আপনি বড় পোস্ট লিখবেন, আমি পাঠক প্রশ্ন করলেই দোষ, আপনার যৌক্তির অবস্থা ভয়াবহ। যদি আমি না জেনেই পোষ্ট দেই, মহাকর্ষ বল হইলো গিয়া মহৎ এক বল। আমি সাথে দাবি করিলাম, আমার বাবা একজন বড় পদার্থ বিজ্ঞানী, আমিও পদার্থ বিজ্ঞানে পড়াশুনা করেছি। বাবারে হারায়া দিছি, প্রমান কইরা দিছি “মহাকর্ষ বল হইলো গিয়া মহৎ এক বল, এটা দিয়া মারা মারি করা যায়”।
তাইলে মাইনসে আমারে কি কইবো, আপনি ই বলেন?
অসাধারণ লজিক আপা, তা আমি কোথায় দাবী করেছি …… আপনি একা পড়েননি আমিও পড়েছি। করেছি আপা ? দেখাইতে পারবেন?
আপা, ভুল স্বীকার করতে শিখেন, মানুষ মাত্রই ভুল হয়, তবে আপনারা নাস্তিকগন যদি মনে করেন বিবর্তনের ধাপে আপনারা মানুষ থেকে এক ধাপ উপরের স্পেসিস, তাহলে আমার আর কি বলার থাকতে পারে না। আমি ফেরাউনগো মত উপরে উঠতে চাই না। সর্ব সাধারনের সাথে নিচেই থাকতে চাই।
“ইসলামে যে আল্লাহ পাকের কথা বলা আছে, সে আল্লাহ পাক থাপ্পর দেওয়া যৌক্তিক ভাবে সম্ভব নয়” এটা মেনে নিয়ে আপনার আব্বুর কাছে ক্ষমা চান, সেটা আপনার উপর আপনার বাবার অধিকার, কারণ তার বিরুদ্ধের জয়ের দাবী নিয়ে, খুব সম্ভবত তার অজানায় আপনি আরটিকল লিখেছেন, যেখানে প্রবাবলি তিনি পড়তে আসেন না। অন্য কেউ হলে ভিন্ন ছিল, কিন্তু বাবার সাথে এরূপ আচরণ কি অন্যায় হল না?
আপনাকে ধন্যবাদ। আমার আচরণের বাকিটুকু ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
-যারা হাত তালী মার্কা পাঠক, কিছু বুঝে না বুঝে ফালদেন তাদের জন্যঃ
বাকিরা যারা কষ্ট করে পড়েছেন, তাদেরকেও ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ দীনহীন,
আপা, ভুল স্বীকার করতে শিখেন, মানুষ মাত্রই ভুল হয়, তবে আপনারা নাস্তিকগন যদি মনে করেন বিবর্তনের ধাপে আপনারা মানুষ থেকে এক ধাপ উপরের স্পেসিস, তাহলে আমার আর কি বলার থাকতে পারে না। আমি ফেরাউনগো মত উপরে উঠতে চাই না। সর্ব সাধারনের সাথে নিচেই থাকতে চাই।
ভুলটা কি? 🙁
“ইসলামে যে আল্লাহ পাকের কথা বলা আছে, সে আল্লাহ পাক থাপ্পর দেওয়া যৌক্তিক ভাবে সম্ভব নয়”
যৌক্তিক ভাবে আপনার গালে থাপ্পড় দেয়া সম্ভব?। উত্তর “হাঁ” এবং “না” দুটাই। আপনার সাথে যদি আমার সামনাসামনি দেখা হয় সম্ভব মানে উত্তর “হাঁ”,আর যদি অনলাইন পর্যন্তই আপনার সাথে পরিচয় সীমাবদ্ধ থাকে তাইলে উত্তর হোল “না”। এখন আপনার আল্লাহ র অবস্থা কি?। কোন লাইন এ আছেন আল্লাহ?, অন-লাইন নাকি অফলাইন সেইটা আগে পরিস্কার করেন।
@ফুয়াদ দীনহীন,
“কিছু পাঠক” হবে।
আপনার বড় প্রশ্ন করার অধিকার আছে, লেখিকার উত্তর না দেবার অধিকার আছে। এটা যুক্তি না, অধিকারের প্রশ্ন।
আপনি মনে হয় ফেরাউন, বিবর্তন ইত্যাদি শব্দগুলো নতুন শিখেছেন। কিন্তু ওগুলোর সঠিক ব্যবহার করলে ভাল হয়। অযাচিত ব্যবহার বিরুক্তির সৃষ্টি করে।
-আপনার মহামূল্যবান সময় আমাদেরকে দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
@নির্মিতব্য,
ভুল ধরিয়ে দিবার জন্য ধন্য বাদ। মেনে নিলাম কিছু পাঠক হবে।
আমার লজিকের এসেছে এখান থেকে
আমি যদি সাত খণ্ড রামায়ণ পড়ে বলি সীতা কার বাপ, এরপর কেউ আমার না জানা নিয়ে প্রশ্ন করে, আর আমি মনে করি, তুমি প্রশ্ন করার কে? এটা কিভাবে অধিকারের হল? উনি ভুল বলেছেন বা জানেন না, সেটা আমি কেন বলতে পারব না। হ্যাঁ, এটা ঠিক তিনি উত্তর নাও দিতে পারেন। এটা তার অধিকার মেনে নিব, ঠিক তেমনি তার না জানাকে পাঠকের সামনে তুলে ধরাও আমার যৌক্তিক অধিকার। তারপরও অধিকার শব্দটাই আমার বেশী পছন্দ হয়েছে। (F) (F)
ফেরাঊন আর বিবর্তন নিয়ে আমার কথা বার্তা ঠিকই আছে। অনেকে, মানুষ হয়ে মানুষকে ট্রেন্সেশনাল স্পেসিস ভেবেছে, অতএব, সেই ক্ষেত্রে কোন ব্যাক্তি নিজেকে নাস্তিক হবার জন্য সাধারণ থেকে শ্রেষ্ট ভাবে, তাহলে অবাক হব না। দুইদিন আগে আমারে একজন বলল আমার নাকি বিবর্তন হয়নি, মানে হচ্ছে সে নাস্তিক বিধায় তার হয়েছে। আগবাড়ায়ে বলতে পারি, পরবর্তিতে ন্যাচারাল সিলেকশনে মানব ভেরাইটি হোম সেপিয়ান্স নাস্তিক সিলেক্ট হলে, আমি আস্তিক বিলুপ্ত হয়ে যাব । বাকিটুকু মুসা আঃ আর ফেরাউনের কাহিনী পড়লেই বুঝে নিবেন।
-অশেষ ধন্যবাদ। (Y)
@ফুয়াদ দীনহীন,
Levels of Jahanam
1. Jaheem – the shallowest level of Hell. It is reserved for those who believed in Allah and His Messenger (S.A.W.), but who ignored His commands.
2. Jahanam – a deeper level where the idol-worshippers are to be sent on the Day of Judgement.
3. Sa’ir – is reserved for the worshippers of fire.
4. Saqar – this is where those who did not believe in Allah will be sent on the Day of Judgement.
5. Ladha – will be the home of the Jews.
6. Hawiyah – will be the abode of the Christians.
7. Hutama – the deepest level of Hellfire. This is where the religious hypocrites will spend eternity. The worst of Allah’s creation are the Munafiqeen (Hypocrites), whether they be mankind or Jinn, for they outwardly appear to accept, but inwardly reject Allah and His Messenger (S.A.W.).
আপনার ধর্ম নাস্তিকদের চার নাম্বার দোজখে পাঠাইসে, আর ফেরাউনের মতো ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় ভন্ড, যে নিজে খোদা না জেনেও নিজেকে খোদা দাবী করে, তাকে সাত নাম্বার দোজখে পাঠাইসে। আপনি পরোক্ষভাবে নাস্তিকদের ফেরাউন বলছেন। শুধু এখানে না, আপনি আপনার সদালাপ ব্লগেও ফেরাউন শব্দ-এর অতি ব্যবহার করেছেন। আপনি শুধু শুধু নাস্তিকদের দোজখের সবচেয়ে তলায় পাঠাতে চান কেন?
আপনি বিশ্বাসী তাই বিবর্তনে আপনি অন্য প্রজাতি, আর কেউ বিশ্বাস করে না বলে সে অন্য প্রজাতী এটা বিবর্তনের কোন মতবাদ! আপনাকে কেউ বলসে আপনার বিবর্তন হয় নাই তাই আপনিও হিজিবিজি বলবেন নাকি!!! আপনাকে কেউ ছাগল বললে আপনি কি তাকে উল্টা ডলফিন বলবেন!!!?? আপনি যেহেতু এখানে মুক্তমনা বা freethinker না, আমি আশা করবো আপনি যা মুখের থেকে বের করবেন তা তথ্যবহুল হয়। কারন আপনি অন্তত এখানে “সংখ্যালঘু”, আপনি বিশ্বাসীদের প্রতিনিধি।
@নির্মিতব্য,
আসলে এই লোক ফুয়াদ জ্ঞানহীন আপ্নার,আমার কোন প্রশ্নের উত্তর দেবে না। এই ভদ্রলোক আসলে পশ্চাতদেশ দ্বারা পাহাড় ঠ্যালার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তাঁর উদ্দেশ্য মুক্তমনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ , কিন্তু বেটার ঢাল তলোয়ার নাই , তাই শুধু ফরিদ এর সাথে তর্ক করে। কারন তাঁর ধারনা ফরিদ কে বাশ দিতে পারলে মুক্তমনাদের বাশ দেয়া হবে। ফরিদ ত দেখি এখনো ভদ্র ভাবেই মোকাবেলা করতেছেন। দেখা যাক … 🙂
@সপ্তক,
এটা ঠিক আমি ধর্ম ত্যাগ করার প্রচেষ্টায় এখন আর আগের মত আস্তিকের লজিক ধরতে পারি না, আগে মায়া লাগতো, এখন একটু হাসি পায়। কিন্তু উনি বা কেউ জ্ঞানহীন এটা বলবো না। আগে বরং ভাবতাম স্বর্গে গিয়ে কত বই পড়ব, এখন জানি আমার দুনিয়াটা হঠাৎ করে বদলে গেছে, ছোট দুনিয়া আরো ছোট হয়ে গেছে, আর স্বর্গ হয়ে গেছে শুণ্য!! এখন বরং নিজেকে লিমিটেড জ্ঞান এর আধার মনে হয়! যদি আগামী ৩০ বছরো পড়েই যাই, সেই কি জ্ঞানহীন-ই থেকে যাব না?
@নির্মিতব্য,
” কিন্তু উনি বা কেউ জ্ঞানহীন এটা বলবো না। ”
আমিও তা মীন করি নাই। আসলে আমি জানি না বুঝি না মানুষ কেন স্রষ্টার অস্তিত্তের ব্যপারে অপ্রত্যক্ষ প্রমান এর উপর বিশ্বাস রাখে?। প্রত্যক্ষ প্রমান নয় কেন?। কেন আমাকে বিশ্বাস করতে হবে?। আমি ত কিছু বিশ্বাস করতে বাধ্য না, কেউই না। আর যারা বায়বীয় উদাহরন বা প্রমান এর উপর কিছু প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদের জ্ঞানী বলা যায় কিনা আমি জানি না। তবে আল্লার কিন্তু উচিৎ এখন খোলস ছেড়ে বের হওয়া । আর কত?… নিজেকে লুকায়ে রেখে খেলা অনন্ত কাল চললে আল্লাহ কালের গহ্বরে হারিয়ে যাবেন বা যাচ্ছেন।
@সপ্তক,
জ্ঞান আসলে খুব আক্ষিপ লাগে মাঝে মাঝে। আমরা এখন সব বিজ্ঞানের বই পেয়ে, উইকি পেজ নিয়ে অনেক সহজে অনেক কিছু বলতে পারি। কেউ আরেক প্যারালাল ইউনিভার্সে থাকা খোদা কে নিজের জ্ঞান অনুযায়ী বিশ্বাস করলে করুক, আমি আপনি আমাদের জ্ঞান ব্যবহার করে করলাম না। কেউ বাধ্য করতে গেলেই রাগটা লাগে। কেউ জ্ঞানী নাকি এটা বিচার না করে বরং কেউ সহনশীল কিনা এটা দেখি। জ্ঞান আপেক্ষিক হলেও, সহনশীলতা কি আপেক্ষিক? আমাদের বিচারে দীনহীন জ্ঞানী না হলেও এই আড্ডাখানায় এসে সহনশীলতা তো দেখিয়েছেন। আমার কাছে আল্লা জ্ঞানীও না, সহনশীলও না। উনি আসলেও হারায় গেসেন মনে হয়। গ্যালাক্সিতে হাইপার জাম্প্ দিতে গিয়ে হয়তো!
@নির্মিতব্য,
সব ফেরাউন ২য রেমেসিস নয়, শক্তি ক্ষমতার অহংকারী মানুষ বুঝাইতে আমি ফেরাউন শব্দ ব্যবহার করেছি| প্রথম আলোর, ফারুক ওয়াসিফ কে দেখেছি ফেরাউন শব্দ ব্যবহার করতে, বাংলা সাহিত্য খুজলে আরো পাওয়া যাবে হয়ত| উপরের লিস্ট কোথায় পেলেন বা কিভাবে আসল সেটা আমি জানি না|
@সপ্তক,
আপনি ভুল ধারনা করছেন। এখানে দেখুন আমি কি বলেছিলামঃ
@ফুয়াদ দীনহীন,
Fir’awn (فرعون) is Arabic for “pharaoh”. The Qur’an tells the story of Musa and the Pharaoh also known as Fir’awn.
সাধারনত ফেরাউন বলতে একেই বুঝিয়ে থাকি। তাও ছোটবেলায় মনে হয় তিনজন ফারাও এর কথা শুনেছি, ইসলামিক গল্পে। আমি আসলে ইন্টারনেটে এখন ঠিক ওই মিথ্গুলো পাচ্ছি না। কিন্তু আমার কাচ্ছে ফেরাউন সবসময় বাজে একটা শব্দ ছিল, কারন বিশ্বাস করতাম ফেরাউনকে সর্বনিম্ন জাহান্নামে রাখা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন আমি অবশ্য আর জাহান্নাম বা কোরান এ বিশ্বাস করি না। কিন্তু এই শিক্ষাটা এখনো লজিকাল লাগে যে, ওই ব্যক্তি যে নিজেকে খোদা দাবী করে কিন্তু সে জানে সে খোদা না, সে আসলেই ভন্ড। আমি আস্তিক নই, কিন্তু আমি ভন্ড নই। আমার খোদায় আর বিশ্বাস নেই কারন খোদার আয়াত ভুলে ভরা। আমি ভুলে ভরা খোদার গুনগান গাইতে পারব না। আমি যদি আসল দুনিয়াই নাস্তিক না সাজি তা শুধুমাত্র ধর্মীয়ভাবে দুষ্ট লোকের হাতে নিজের কল্লাটা না হারাতে। এটা ভন্ডামী না, এটা বেঁচে থাকা।
আমি নাস্তিককে ফেরাউন বা আস্তিককে ছাগল বলতে চাই না, কারন আমার মাথায় এটা এভাবে অনুবাদ হয়, তারা নাস্তিককে ভন্ড বলছে, আর আস্তিককে দাড়িয়ালা, যেমন আমার বাবা তাকে ছাগল বলছে!
এটা ঠিক আসলে বিভিন্ন এংগ্যালে আপনাকে প্রশ্ন করছি, কেউ হয়তো আসলে আপনাকে আক্রমন করতে চায় না, কিন্তু একটু হয়তো আমরা তেড়ে যাই মাঝে মাঝে। দুঃখিত। কিন্তু আপনি যেহেতু আমাদের এখানে সময় দেন, আপনিই একটা মাছ তুলে দেন, আমরা ওটা নিয়ে দরদাম করি। :)) যেহেতু মহসিনা আপুর লেখা, ওখান থেকেই আপনার সবচেয়ে খারাপ লাগা বা খটকা লাগা একটা টপিক আবার তোলেন। আমরা সবাই ওটা নিয়ে
বলি। এটা আমি ভাবলাম, কাউকে শুনতে হবে না।
ও আপনাকে ফরিদ আহমেদ ভাই এই লেখার ১৮ নাম্বার মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন। লেখকও আপনাকে লেখায় উল্লেখ করেছে। বললাম আরকি। (F)
@নির্মিতব্য,
দেখেছি, পড়েছি, কিন্তু ইচ্ছা করেই যাইনি। কিন্তু এক সাথে বেশী জায়গায় লিখতে ভাল লাগে না।
(Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
@ফুয়াদ দীনহীন,
নাস্তিক্য কিতাবে ইসলামের যে আল্লাহ পাকের কথা বলা আছে তাকে শুধু থাপ্পড় নয় আচ্ছামতো প্যাদানি দিয়ে দেওয়াটাও যৌক্তিকভাবেই সম্ভব।
@ফরিদ আহমেদ,
সেই নাস্তিক্য কিতাবের আল্লাহ কে মাইরা, বায়তুল মোকারম মসজিদে ঝুলাইয়া রাখতে পারেন, সমস্যা নেই :)) :)) :)) :)) :))
সেই সব দুই নম্বর আল্লাহ থেকে আল কুরানের আসল আল্লাহ ভিন্নঃ
আমি সহ সমগ্র মুসলিমরা এক আল্লাহ পাকের ইবাদত করি, যিনি আল কুরান আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন।
কিন্তু বাকি যত দুই নম্বর আল্লাহ আছে, তা নাস্তিক্যবাদের হোক, কিংবা বৌদ্ধবাদের হোক, সমস্যা নেই, এদের কে অতি দ্রুত বায়তুল মোকারমে ঝুলিয়ে দেওয়া হোক, সাথে মুক্তমনার ফরিদ আহমেদ কে পাহাড়াদার নিয়োগ দেওয়া হোক। :)) :))
@ফুয়াদ দীনহীন,
আপনি যেই আল্লার কথা বলছেন তিনি যে আছেন তা প্রমান করুন।
@ফুয়াদ দীনহীন,
সেই কাজই করছি আমরা। চিন্তার কিছু নেই।
আল কুরানটা যে আসল জিনিস সেই প্রমাণটা আল কুরানের বক্তব্য না এনে প্রমাণ করুন আগে। আল্লাহ আসল, কারণ আল কুরান কইছে। আল কুরান আসল কারণ মুহাম্মদ কইছে, মুহাম্মদ আসল কারণ আল্লাহ তা আল কুরানে কইছে, এই সমস্ত ছেলেমানুষী চক্রাবৃত্ত লজিক থেকে আগে বের হয়ে আসুন। আপনি না বিরাট যুক্তিবাদী, সবাইরে যুক্তি দিয়ে ঘায়েল করে দিচ্ছেন। গোড়ায় গলদ রাখলে ক্যামনে কী? কাছার গিট আগে শক্ত করে বাধুন, তারপর মল্লযুদ্ধে নামুন। নইলে লুঙ্গি কখন বাতাসে উড়ে যাবে টেরই পাবেন না।
পাহারাদার হিসাবে আমি পরীক্ষিত। সেই সাথে হ্যাংগিং জাজ হিসাবেও সুনাম বা দুর্নাম কিছুটা আছে। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ ভাই, মহা সাগরে অনেক প্রাণী আছে, হাঙর নিয়ে কথা বললে, হাংগরের উপরই থাকা উচিত, নয়ত হাঙর মাইন্ড খাইবে। তাছাড়া এই অবস্থায় কেউ আইয়া কইল, তিমি মাছের রঙ নীল না লাল, তাইলে তো ওইবনা। কথা বার্তা পয়েন্টে থাকতোই-বো।
আপাত, আপনার ফাদে পা দিয়ে, অন্য দিকে না যেয়ে, লেখিকার লেখায় যে কথা গুলি বলেছি, তার উপর থাকি, দেখি তিনি ভুল স্বীকার করার মত মহত্ব দেখান, নাকি আমার কিছু দিন আগে লেখা গল্পের “বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি চৌধুরী সাবের” মত আচরণ করেন।
সব ইউনিতে সব সাব্জেক্টে সরাসরি ভর্তি নেয় না, ফাউন্ডেশন ডিগ্রী লাগে। :)) :))
@ফুয়াদ দীনহীন,
হাঙররে মাইন্ড করতে নিষেধ করেন। কথাবার্তা তার উপরেই হচ্ছে। পয়েন্টে পয়েন্টে। কান খাটো কেউ হাঙরের বদলে তিমি শুনছে।
চেষ্টা চালায় যান। কথায় আছে না একবার না পারিলে দেখো শতবার। তবে, আপনার সাফল্যের ব্যাপারে সন্দিহান আমি। যে মেয়ে আল্লাহরে ঠাসঠাস করে থাপড়াইতে চায়, তার সাথে বেশি ঝামেলায় না যাওয়াটাই উত্তম।
ফাউন্ডেশন ডিগ্রি করতে করতে আদুভাই হয়ে গেলেতো মুশকিল। শেষে ইউনির বদলে ফিউনিতে যাওয়া লাগবে।
@ফরিদ আহমেদ,
😀
@ফুয়াদ দীনহীন,
আমার মনে হয় আপনার সহিহ মুসলিম পরা নেই । সেখানে আল্লাহ-র বিবরণ ভালই দেওয়া আছে ।একটু মন দিয়ে পড়ে দেখেন , পা’ন কিনা । কোরআন পরলেই আল্লাহ-র পুরুষ হওয়ার পরিষ্কার প্রমাণ পাওয়া যায় । ইসলামে আল্লাহ কে যৌক্তিক ভাবে চড় লাথি সব কিছুই মারা সম্ভব বলে আমি মনে করি । সম্ভব যে নয় …এই কথা আপনি কোথায় পড়লেন বা কিভাবে জানলেন একটু জানিয়ে দিন , আমি আপনার শরণাগত ।
ইতি , নিজেকে সংশোধন করার প্রচেষ্টায় এক হতভাগী ।
@মহসিনা খাতুন,
কিছু লজিক দিয়ে বলেন, কেউ যদি আমাকে বলে ফুয়াদ একটি অপদার্থ, অকাজের, মানুষ। তাহলে কিন্তু কিছু প্রমাণ হয় না। হয় কি? আপনার নিজের মন মত কিছু কইলেই কিছু প্রমাণ হয় না। আমি আর ফরিদ ভাইয়ের কথা কি আপনি কিছু আন্দাজ করতে পারছিলেন?
আমি উপরেই বলছি
আমি যা বলার সবই লজিক দিয়ে বলতেছি, আপনি আল্লাহ এমন, তেমন যাই বলেন, তা কোন মতেই স্ট্রাকচারে দাঁড়াবে না। দাড়ালে এটা আপনার নিজের তৈরি আল্লাহ হবে, আসল আল্লাহ হবে না। কারণ আল কুরান বলছেঃ
দেখেন আপা, আপনার নিজের মনগড়া-আল্লাহ (তা যেখান থেকেই মনে ছবি আকুন না কেন) কে থাপ্পর কেন, কেটে কুটে বুড়ি গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিন। তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু কোন মুসলিমের সাথে নিজের আল্লাহ নিয়ে জয় পেলে তো হবে না, তারা যে আল্লাহর পুজা করে, সেই আল্লাহর উপর যুক্তি দিতে হবে। আপনি সেই আল্লাহর উপর যুক্তি দিতে পারতেছেন না। আসলে আপনি যে আল্লাহর বর্ননা দিচ্ছেন তাকে আমি আপনার সামনে হাজির করতে পারি। ধরুন আমার মনে হচ্ছে, ইনি হচ্ছেন আপনার মন গড়া আল্লাহ। কারণ ইনি কালীর থেকে উপরের এবং ভারতীয় ফিলসফীর সব থেকে বড় তিনজনের একজন।
[img]http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/5/52/Bangalore_Shiva.jpg[/img]
দেখুন চিনতে পারেন কি না। কিন্তু ইনাকে দিয়ে তো আপনার আব্বুকে যৌক্তিক ভাবে পরাজিত করা হয় না। কারন আপনার আব্বু মুসলিম, তিনি ইনার পুজো করেন না, যেমন আমি ইনার পুজো করি না।
আমি যা বলতেছি ক্লিয়ার বলতেছি। দেখাইতে পারবেন মুসলিমরা উপরের জনের পুজা করে? তারথেকে আরেকটু ভিন্ন কিছু ছবি মনের মাধুরি মিশাইলে যে আল্লাহ আসে তা, আল কুরানের আল্লাহ নন। আপনার মনগড়া-আল্লাহ নিয়ে আপনি খুশি থাকেন, তাতে আপনার আব্বুর কি? সে যে আল্লাহর পুজা করে, তারে থাপ্পর মারা যায় না। এটাই মেনে নিন এবং আপনার আব্বুর কাছে ক্ষমা চান, কারন উনার আল্লাহ আপনার মনগড়া-আল্লাহ এক নয়।
তা আপা, মনে করুন নির্বান পাবার জন্য আমার আব্বু আমাদের ছোট বেলায় রেখে ভিক্ষুক জীবন নিয়ে সন্যাসে চলে গেলেন। আমার আম্মু দিন রাত পরিশ্রম করে আমাদের বড় করলেন। সমাজের লাঞ্চনা সহ্য করলেন, পারিবারিক কষ্ট সহ্য করলেন। নিশ্চই আমার আম্মু, রাহুলের (গৌতম বৌদ্ধের ছেলে) আম্মুর মত রাজবধু নন। আমি কি ক্ষমা করতে পারবো আমার ঐ আব্বুকে? আপনি হলে কি করতেন? ধরেন, আপনার আম্মু পাড়াপ্রতিবেশীদের কাছে চেয়ে চেয়ে আপনার জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন। রাতের বেলায় চোখের জল ফেলেছেন। ধরুন আপনাদের পড়াশুনার জন্য তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। আপনি কি পারবেন আপনার সেই আব্বুকে ক্ষমা করতে? আপনি এখন যে আব্বুকে পাচ্ছেন, সে থাপ্পর দেওক আর তর্ক করুক, তাকে আপনি মদিনার মুহাম্মদ সাঃ এর আল্লাহর কারনেই পাচ্ছেন। মানেন আর না মানেন।
আমি বৌদ্ধ ধর্মের একটা নিজস্ব সংগা দাড় করেছি। আপনি দাবী করতে পারেন, এটা উপরের মন গড়া আল্লাহর মতই অযোক্তিক। আমি মেনে নিব। শুধু আমার জ্ঞান শেয়ার করতেছি। “বড় লোকের জন্য পরিচালিত, বড়লোকের দ্বারা আবিষ্কৃত, বড় লোকের ধর্মই হল বৌদ্ধ ধর্ম” বলা বাহল্য, সকল বড় লোকের ধর্ম বৌদ্ধ নয়।
রাজপুত্র গৌতম বৌদ্ধর এক প্রকার বিলাশীতা নিজের পরিবার ফেলে চলে যাওয়া। এ ধরনের বিলাশীতা আরো অনেকেই দেখান। কিন্তু খুদার রাজ্যে যাদের পৃথিবী গদ্য ময়, তাদের এ ধরনের বিলাশীতা সাজে না। আপনি যদি বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে আমার ধারনা মানতে না চান, নাই বা মানলেন।
সবশেষ, আর কষ্ট আপনাকে দিব না। শুধু আপনার জবাবটা পড়ব। আপনি কিভাবে অন্যায় করেছেন, তা পুরোই তুলে ধরেছি। নিশ্চই আপনি অহংকারী হতে চান না। প্রত্যেকের কিছু না কিছু স্ববিরোধীতা থাকে, আমার বর্ননাগুলিতেও থাকতে পারে। ক্ষমার চোখে দেখিয়েন। ভাল থাকুন। এবং আলোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ দীনহীন,
তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনার আল্লাহ নিশ্চয়ই স্ট্রাকচারে দাঁড়াবে। কিন্তু ভাই এটা বলে আপনি অত্যন্ত গুনাহর কাজ করে ফেললেন। মুসলিমদের আল্লাহরতো কোন আকার থাকতে পারেনা, নিরাকার আল্লাহকে স্ট্রাকচারে দাঁড় করাবেন কোন লজিকে বুঝতে পারছিনা। তাহলে আপনার এই ব্যাখ্যাকেও কি রুপক হিসাবে ধরে নিতে হবে? :-X
@ব্রাইট স্মাইল্,
এভাবে ছোট ছোট টিটকারী মার্কা কমেন্ট মূল আলচনা থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। তাই জবাব দিতে চাই না। আমি সহজ করে বলেছি, আপনি যা ই বলেন না কেন, আসল আল্লাহকে কোন মতেই আপনার নির্মিত কোন স্ট্রাকচারে দাড় করাতে পারবেন না। মানে আপনি নিজে, আল্লাহ পাক কে কোন আকৃতি দিতে পারবেন না। এর থেকে সহজ লেংগুয়েজ আমার জানা নেই।
@ফুয়াদ দীনহীন, ভাইজান প্রশ্ন এড়ান কেন আপনি দেখি বাজার করতেই জানেন না হা হা।আগে সঠিক কুরআন বাছুন তারপর মনগর্ভ আল্লাহ বিষয়ক জ্ঞান দিন।কোন কুরাআন লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত নাকি জিব্রাইল কতৃক মুহাম্মদকে বয়ানকৃত।নাকি সাহাবাদের শোনা কুরআন নাকি উসমানের সংকলিত দাবীকৃত অবিকৃত কুরআন।নাকি ছোট বেলার ৬৬৬৬ আয়াত সম্বলিত কুরআন যাতে আসলে আছে ৬২৩৬টি আয়াত।আপনি যা করছেন তা হল সার্কুলার আর্গুমেন্ট।দেইখেন এত কুরআন দেখে আবার দীনহীন থেকে দ্বীনহীন হয়ে যাবেন না যেন হা হা।
@ডেথনাইট,
আমি কোথাও দাবী করিনি আমি সব জান্তা। আর আপনি বোধ হয় আমার এই লিখা দেখেননি বা বুঝতে চাননিঃ
সব কিছু আমি মুখে তুলে দিতে পারবো না। আপনাকেই বুঝতে হবে। সে যাইহোক, আল কুরান নিয়ে প্রশ্ন তোলেছন তো। ভাই, আমার আম্মা- দাদী- নানি কিংবা আব্বা-দাদা-নানা যে কুরান শিক্ষা দিয়েছেন, সেই কুরান আবার আমাদের এলাকার মসজিদে পড়ানো হত। ঢাকায় এসে দেখি ওই কুরানই পড়ানো হয়। বিদেশে আসলাম সেখানেও একই, হাফিজরাও সেই একই কুরানই পড়ায়। তখন বুঝলাম, আরব দেশের মানব আরবিতে কথা বল্লেও কেন আজানটা বাংলায় দেয়। ভাল থাকুন।
@ফুয়াদ দীনহীন, ভাই আয়াত কয়টা তাতো বললেন না। নাকি ওইটা আরব দেশের মানবরা ইংরেজীতে গুনে বইলা 6666 না 9999 কইতে পারতাছেন না।আপনি বলছেন বুঝে নাও আবার বাংলায় আজান দিয়ে মুখে তুলে দিচ্ছেন সেলুকাস। 😀
@ফুয়াদ দীনহীন,
মাফ করবেন, আপনি ভুল করে আমার কমেন্টকে টিটকারী হিসাবে নিচ্ছেন আর আমার মন্তব্য মোটেও আপনার আলোচনাটি থেকে আলাদা কিছু নয়। কার আল্লাহ কেমন সেটা নিয়ে যখন কথা হচ্ছিল তখন কোরানে বর্নিত আপনার আসল আল্লাহকে আপনি কিভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চাচ্ছেন সেটার একটা ধারনা নিতে চেষ্টা করছিলাম। আমার মন্তব্যকে আপনি টিটকারী হিসাবে নিচ্ছেন জেনে আমি অপ্রস্তুত হচ্ছি।
আচ্ছা, এই যে আপনি অনর্গল একটি কথা রিপিট করে যাচ্ছেন যে আপনার বা মুসলমানদের আল্লাহই হলো আসল আর বাকীদের আল্লাহ নকল। এর সপক্ষে আপনার যুক্তি হলো, আপনি আসল আল্লাহ প্রেরিত কোরান মানেন আর সেই কোরান বলেছে যে তিনিই আসল আল্লাহ, আবার আপনার কোরান মানার কারন হলো, এই কোরান আসল আল্লাহ কতৃক প্রেরিত। আপনি বলেন যে ‘আমি যা বলার সবই লজিক দিয়ে বলতেছি’, কিন্তু এখানে কোথায় লজিক কাজ করছে আমার ঠিক বোধগম্য হচ্ছেন না। এই পৃথিবীর সব ধর্মালম্বিগনইতো আপনার মত একই কথা বলে যাচ্ছে যে তাদের আল্লাহই আসল আর বাদ বাকীদের আল্লাহ নকল। এমনকি যারা কোন ধর্ম না মেনেও একজন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে তাদের কাছে তাদের আল্লাহই হলো খাঁটি।
আপনার দাবী যে আপনি সহজ করে, সহজ লেংগুয়েজ-এ সবকিছু ব্যখ্যা করে যাচ্ছেন। কিন্তু কার্যতঃ দেখা যাচ্ছে আপনি সোজাভাবে ব্যাখ্যা না দিয়ে অকারনে আপনার কথিত লজিক প্রয়োগ করতে যেয়ে বিষয়টিকে জটিল করে তুলছেন। আমি বুঝতে অক্ষম যে আপনার সোজাভাবে বলে দিলে কি সমস্যা হয় যে ‘আমি কোরান এবং কোরানের আল্লাহকে বিশ্বাস করি’’। পৃথিবীর কোটি কোটী ধর্মালম্বিগনতো কোন না কোন ধর্মে আপনার মতো বিশ্বাস স্থাপন করে আছে এবং সেই বিশ্বাস থেকে তাদের ধর্মগ্রন্থের আল্লাহকে আসল আল্লাহ বলে মানছে। ‘বিশ্বাস’ শব্দটি যখন পৃথিবীতে বিরাজ করছে তখন এর প্রয়োগতো কোথাও না কোথাও থাকবেই, বিশ্বাস করা মানুষের একটা সাধারন ধর্ম, এতে দোষের কিছুতো দেখছিনা যতক্ষন না এর থেকে ক্ষতিকর কিছু উৎপন্ন হচ্ছে। বিশ্বাস করা আপনার একটা অধিকার। আপনার আসল আল্লাহকে পরিচয় করিয়ে দিবার জন্য এই সাধারন ‘বিশ্বাস’ শব্দটি উচ্চারন করতে লজ্জা পাচ্ছেন কেন ভাই?
আর একটি কথা, কেউ যদি তার আসল আল্লাহকে চড় মারতেই চায় তাতে আপনার কি যায় আসে? আপনার নিজের আসল আল্লাহকেতো কেউ চড় মারতে যাচ্ছেনা বা আপনার কথা অনুযায়ী সেটা সম্ভবও নয়। সুতরাং আপনার আসল আল্লাহতো অক্ষতই আছেন। নকল আল্লাহকে নিয়ে কে কি করলো তা নিয়ে আপনার এতো ভাবনা চিন্তা করার কোন কারন দেখিনা। 🙂
@ফুয়াদ দীনহীন, আপনাকে আবার বলছি সহিহ মুসলিম পরে দেখেন… আল্লাহ-র ছবি পেয়ে যাবেন । সেটা আমার বর্ণনার থেকে আলাদা হতেই পারে না । আমি নিশ্চিত আপনি বুঝতে পারবেন । কেন আমি ওই উক্তি করেছি ।
@মহসিনা খাতুন,
মুসলিম শরীফ কি আমি পড়ি নাই? আপা, আমি আন্সারিং ইস্লাম, ফেইথ ফ্রিডম, ইসলাম অয়াচ, অয়েকি ইসলাম ইত্যাদি প্রচন্ড ইসলাম বিরুধী সাইটে ঘুরা ঘুরি করি। তাই এ ব্যাপার গুলি আমার চোখের ফাক দিয়ে যাবার কথা না। সে যাইহোক, আপনাকে আমি স্পস্ট তুলে ধরেছি ইসলাম কি বলে? আপনি কি বিশ্বাস করেন সেটা কোন মুসলিমের আশে যায় না। আপনি যেটা বলতেছেন মুসলিম শরীফ থেকে সেটা একন্তই নিজস্ব মনগড়া বিশ্বাস, সে একই বিশ্বাস আরেকজন নাস্তিক কিংবা নন-মুসলিমে করতে পারে।
সে বিশ্বাস আপনার কাছে রাখেন, সে বিশ্বাস দিয়ে কোন মুসলিমের সাথে তর্কে জোর করে জয় নেয়া কোন ন্যায় আচরনের মধ্যে পরে না। আপনি আপনার আব্বুর সাথে জয় পাননি। বরং পরাজিত হয়েছেন। নৈত্তিকভাবে পরাজিত হয়েছেন, কারণ আপনার আব্বু যা বিশ্বাস করেন, তা কিছুটা জেনে হলেও বিশ্বাস করেন, আর আপনি না-জেনে না-বুঝেই অবিশ্বাস করেন, আবার দাবী করেন তার চেয়ে বেশী পড়াশুনা করেছেন, আপনার বাবার যে ন্যায় বিচার পাবার কথা ছিল, সে অধিকারও দেন না, তার আড়ালে তাকে নিয়ে মজার লেখা লেখন। সত্যিই দুঃখজনক। যদি সত্যিকার জয় পেতেন বা তিনি আপনার বাবা না হতেন, তাহলে আমার বলার কিছু থাকত না।
আমারো আপনার মত নাস্তিকদের ব্যাপারে ধরে নেওয়া একটি বিশ্বাস আছে। আমি মনে করি, নাস্তিকরা অভিলাসের আল্লাহর পুজা করে। তারা হচ্ছে স্লেইভ অব ডিসায়ার গড। আমার বিশ্বাস নাস্তিকদের উপর জোর করে চাপিয়ে দিতে পারিনা, বরং বলতে পারি এটা আমার ধরে নেওয়া। এই একই বিশ্বাস নাস্তিকরা মনে করে না, আমি তাহা জানি।
কিন্তু আপনি যাহা বিশ্বাস করেন, তাহা যে মুসলমানরা মনে করে না, সেটাই আপনি স্বীকার করেন না। আল কুরানের ল্যাংউয়েজে বলিঃ
মুসলমানরা যে আল্লাহ পাকে বিশ্বাস করে বলে মুসলিমরা নিজেরাই বলে, সেই আল্লাহ হলঃ
আপা হিন্দুদের একটি গোত্র আছে আপনার মত, যারা মনে করে মুসলমানরা শিভার পুজা করে না জেনেই। তারা মনে করে তারা আমাদের চেয়ে এক ধাপ উপরে শিভাকে চিনেই তার ইবাদত করে। কিন্তু এটা নিতান্তই তাহাদের বিশ্বাস। ঠিক যেমন আপনি মনে করেন,
আপনার বিশ্বাস নিয়ে মুসলমানরা কি বিশ্বাস করবে না করবে, তাহা মুসলমানদের শিখাতে তো হয় না।
আপা আপনি মনেহয় জানেন, লা ইলাহা ইলল্লাহ মুহামাদুর রাসূল আল্লাহ কি?
-লা ইলাহা দিয়ে বলছেন “নেই কোন আল্লাহ”, আপনার মনে যত প্রকার আল্লাহর ধারনা আছে, তাদের সবাই কে মানেন না, বাতিল করে দিলেন।
-ইল্লাল্লাহ, আল্লাহ, কিন্তু এই আল্লাহ কোন আল্লাহ? এ জন্যই এর পরের লাইনে বলতেছেন,
-মুহাম্মাদুর রাসুল আল্লাহ, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। মানে মুহাম্মদ সাঃ যে আল্লাহর কথা বলেন, সেই আল্লাহ সেই আল্লাহই আসল আল্লাহ, আল্লাহ বলে মেনে নিচ্ছেন।
-ভাল থাকুন।
@ফুয়াদ দীনহীন, একটি অপ্রাসঙ্গিক কথা । চরম ইসলাম বিরোধী রাও সব ত্রুটি এখনো খুঁজে পায়নি হয়ত । আমি জানি না । কিন্তু নিশ্চিত যে আপনি সহিহ মুসলিম পরেন নি । আমি এখনি কিছু লিখছি না । অপেক্ষা করুন ।
@মহসিনা খাতুন,
আপনি যে স্কিল দেখিয়েছেন! আমার আর দরকার নেই :)) আমি কয়েকদিন আগে একটা গল্প লিখে ছিলাম।
মুসলিম শরীফ, বুখারি শরিফ, সহী ইবনে হিব্বান থেকে আপনার নিজের পছন্দ মত বিষয় চুজ এন্ড পিক করে, নিজে যা ইচ্ছা তাই বিশ্বাস করতে থাকেন। মনে রাখবেন, আপনার ওই ব্যাক্ষা ইজ নট দ্যা এন্ড অব দা ওয়ার্ল্ড। আপনার বিশ্বাসের আকার গ্রস্থ কালীর চেয়ে সাইজে বড় পুরুষ আল্লাহ, নিতান্তই আপনার বিশ্বাসের আল্লাহ। মুসলিমগন যেই আল্লাহ বিশ্বাস করে, তিনি তা থেকে পবিত্র, এবং সেটা আপনি নিজেও জানেন, স্বীকার না করলেও।
একজন নাস্তিক কুরান পরে মুসলিমের মত ব্যাক্ষা করবে না এটাই স্বাভাবিক, না-হলে সে নাস্তিক হবার কথা না, কিন্তু এট লিস্ট সে এইটা জানে, সে যা মনে করতেছে, ঐটা কোন মুসলিমরা মনে করতেছে না।
যদি মনে করেন, আপনি যাহা কুরান-হাদিস পড়ে বিশ্বাস করেন, তাহা যদি কোন মুসলমান না করে, তাহলে সে বুঝেনা? :)) :))
সামনে এই ১৪ তারিখ আবার পরিক্ষা, তাই আর কথা না বাড়াই, আপা, নিজের বিশ্বাস নিজের কাছে রাখেন। মনে রাখবেন, একই কুরান-হাদিস পড়ে আরেক জন অন্য ব্যাক্ষা করে অন্য বিশ্বাস করবে, মুসলিমরা তাদের নিজস্ব ঐকমতের বিশ্বাস করবে।
আমার খুবই প্রিয় একটি ভাষণের অংশ তুলে ধরলাম আশা করি বুঝতে চেষ্টা করবেন প্লিজঃ
@মহসিনা খাতুন,
একটা বিষয় এড্রেস করতে ভুলে গিয়েছিলাম,
আমি যাহা বুঝিয়াছিঃ
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর আল্লাহ স্রষ্টা, সৃষ্ট নন, তাই তিনি পুরুষ কিংবা নারী নন, “তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।”-সূরা আশ-শুরা
আপনি লক্ষ কোটি ইবাদত করে দাবী করলেন আল্লাহ পাক কে ভুল করার জন্য, আল্লাহ পাক কি ভুল করতে পারেন। হ্যাঁ পারেন, যদি তিনি চান কিন্তু তিনি তা করেন না, “আমার পালনকর্তা ভ্রান্ত হন না” (২০:৫৩), তাই আপনি চাইলেও তাকে দিয়ে এ কাজ করাতে পারবেন না।
আপনি চাইলেও তাকে দিয়ে কারো হক কেড়ে নিতে পারবেন না। আল্লাহ পাক কি কারো প্রাপ্য হক কেরে নিতে পারেন, হ্যা তিনি পারেন কিন্তু তিনি তা করেন না। “নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রাপ্য হক বিন্দু-বিসর্গও রাখেন না” (4:40)
-ভাল থাকুন।
@ফুয়াদ দীনহীন, কোরআনে খুব স্পষ্ট ভাবেই তার পুরুষ সত্ত্বার কথা ঘষিত হয়েছে ।নিশ্চিত ভাবেই আপনি কোরআন পড়েছেন । হয়ত আপনি সেই বহুল প্রচলিত প্রবাদ টি জানেন না ,
@ফুয়াদ দীনহীন, কোন কুরাআন লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত নাকি জিব্রাইল কতৃক মুহাম্মদকে বয়ানকৃত।নাকি সাহাবাদের শোনা কুরআন নাকি উসমানের সংকলিত দাবীকৃত অবিকৃত কুরআন।নাকি ছোট বেলার ৬৬৬৬ আয়াত সম্বলিত কুরআন যাতে আসলে আছে ৬২৩৬টি আয়াত।আপনি যা করছেন তা হল সার্কুলার আর্গুমেন্ট।দেইখেন এত কুরআন দেখে আবার দীনহীন থেকে দ্বীনহীন হয়ে যাবেন না যেন হা হা।
@ফুয়াদ দীনহীন,
আমি মনে করতাম আল্লাপাককে ঠিক চড় মারা সম্ভব না হলেও উনার খেদমতে ‘বাঁশ’ প্রদান সম্ভব! কিন্তু এই ই-বইটি পড়ার পর চিন্তাটা এট্টু এলোমেলো হয়ে গেছে। আপনি পড়ে মন্তব্য করেন-
A Complete Guide to Allah
@ফুয়াদ দীনহীন,
সব কথা আক্ষরিক অর্থে নেবেন না । আমি শটয়ই কোঁড়েই এএলএলএএইচ-আর গালে চড় মাড়তে চেয়েছি কে বলল ! আপনাকে আপনার আম্মী যদি রেগে খুন কোঁড়ে দেবো বলে , আপনি কি থানায় যাবেন অভিযোগ করতে ? আপনার যুক্তি বোঝা উচিত ।
কোণও মহাসাগর আমায় যদি বলতো যে আমার শোব ইচ্ছা পূরণ হবে , টবে আমি বলতাম । আমার একটাই ইচ্ছা ,তুমি অনন্তকালের জন্য শুকিয়ে যাও ।
যদি আপনি বলতেন এই কথা , আমি বলতাম আমার একতাই ইচ্ছা , আপনার ইচ্ছা যেন কখনো পূর্ণ না হয় । বুঝলেন ?
অর্থাৎ এই ধরনের যে কোনও বাক্য থেকে লজিক্যাল প্যারাডক্স তৈরি করা যায় , যা থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব ।
@মহসিনা খাতুন, আপনি খামাখা চেস্টা করছেন ফুয়াদ ভাইজানের যে যুক্তি তাতে মনে হল আমি কই কি সারিন্দা বাজায় কি…।
@ফুয়াদ দীনহীন,
আমার মতে আল্লাহ হল জুজু । অন্য কেউ নিজের মত টি কোনও শিশু কে বিনা প্রশ্নে মানতে বাধ্য করার জন্য যেমন জুজুর ভয় দেখায় ঠিক তেমনি , আল্লাহ বা স্রষ্টার ধারনা ঠিক তাই । আপনার মতো বেশিরভাগ সহজ সরল মানুষ( যা তখন খুব বেশি ছিল ) কে জুজু দেখিয়ে অন্য কেউ নিজের মত টা মানতে বাধ্য করেছেন । যদিয়ও জুজুর অস্তিত্ব তখনো ছিল না , এখনো নেই । এবার পরিষ্কার হল ?
@ফুয়াদ দীনহীন,
আমার মনে হয়েছে আপনি আমার আব্বুর থেকেও সহজ সরল । তাই বক্তব্যের অর্থ টা বোঝেন নি । ওটা একটা খুব সাধারণ লজিক ছিল । আ%
@ফুয়াদ দীনহীন,
আমার মনে হয়েছে আপনি আমার আব্বুর থেকেও সহজ সরল । তাই বক্তব্যের অর্থ টা বোঝেন নি । ওটা একটা খুব সাধারণ লজিক ছিল । আল্লাহ -র সর্বশক্তিমান ও অপরাজেয় হওয়ার ধারনা টাকে আক্রমণ করেছিলাম । আল্লাহ যে নেই , সেটা অন্য কথা ।
মহাসমুদ্র যদি আমায় একথা বলত , “তোমার সব ইচ্ছা পূর্ণ হবে” তাহলে আমি তাকে বলতাম , “আমার একমাত্র ইচ্ছা তুমি পুরোটাই শুকিয়ে জাও অনন্তকালের জন্য ।”
আপনি যদি আমায় বলতেন ওই কথা আমি বলতাম হয়ত , ” আমার একমাত্র ইচ্ছা হল আপনার ইচ্ছা জেন কখনো পূর্ণ না হয় ।”
অর্থাৎ , আমার সকল ইচ্ছা পূর্ণ হবে বা আমি যা চাইব তাই হবে … এই ধরনের সব কথাতেই কথা লজিক্যাল প্যারাডক্স ( p / therefore , not p) তৈরি করা যেতে পারে ।
@ভবঘুরে , আপনি আমার কথা একেবারে ঠিক বুঝেছেন ।
লিখাতা পড়লাম… কিছু বলার নেই। এটা হলো আমাদের ধর্মপ্রাণ পরিবারগুলোর সমস্যা! এরা একটু যক্তিশীল ও মুক্তমনা হতে চায় হয়তো, কিন্তু ধর্ম বাধা দেয় তাতে। শেষে যা হবার হবে বলে ধর্মের কোলেই নিজেকে সঁপে দেয়। আর তার পর থেকে ধর্মের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। একই সাথে ধর্মের ওপরটাই শুধু জানে, ভেতরে কোথাই কি ক্ষত লুকিয়ে আছে জানে না, জানতেও চায় না ভয়ে, আর কেউ জানাতে চাইলে আপনার মতো ভুক্তভুগী হতে হয়!
@থাবা, ঠিক বলেছেন থাবা ।
আপনি বলছেন কোন ধর্মই পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা নয়।আবার বৌদ্ধ ধর্ম তূলনামূলক ভালো।তা এই বৌদ্ধ ধর্ম কোন বৌদ্ধ ধর্ম প্রাচীন নিরীশ্বরবাদী নাকি পরবর্তী বুদ্ধপূজা ? আর বৌদ্ধ ধর্ম এতই মহান হলে ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের অমানবিক আচরণের কারণ কি ?তিব্বতী সন্নারীরা কি করে একটু জানান তো?ঐ মহান ধর্মেই বা মেয়েদের অবস্থান কি?আমি কোন ধর্মের পক্ষেই নই।এই পৃথিবীতে ধর্মধারীরা যে পরিমান অন্যায় বা যুদ্ধ করেছে তার সিকি পরিমানও কোন নাস্তিক বা ধর্মহীন বা ধর্মনিরেপক্ষ মানুষ করে নি।কোন বিশেষ ধর্মকে জুতাপেটা না করে সকল ধর্মকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলা দরকার।
@ডেথনাইট,
ভাই উত্তেজিত হচ্ছেন কেন?লেখিকা তো কোন বিশেষ ধর্মের পক্ষে কথা বলেননি। তার লেখা থেকে স্পষ্ট যে তিনি সকল ধর্মের বিপক্ষে। তিনি বলেছেন বৌদ্ধধর্ম তুলনামূলকভাবে ভাল। এটা কি সত্যি নয়?ধর্মগুলোর মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা করতে গেলে যেকোনো যুক্তিবাদীরই বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জাগবে। কারণ তিনি তার ধর্মে অলৌকিকতাকে বহুলাংশে বাদ দিয়েছেন। ঈশ্বর,আত্মা,পরকাল,স্বর্গ-নরক কিছুই এই ধর্মে নেই। তিনি নিজেকে দাবিও করেননি কোন নবি,অবতার বা অলৌকিক কেউ। নিজের যুক্তি বুদ্ধির উপর ভিত্তি করে সত্য খোঁজার উপরই তিনি জোর দিয়েছেন। নিজের মতবাদ জোর করে চাপিয়েও দেননি কারও উপর যা অন্য অনেকেই করেছেন। তার মানে এই নয় তার কোন সমালোচনা হবে না। অবশ্যই হবে। বুদ্ধ নারীদের সংঘে নিতে চাননি। পরে তার অনুসারী আনন্দের অনুরোধে নেন। নেয়ার পরে বলেছিলেন যে নারীরা সংঘে আসায় তিনি সংঘের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। জাতকের অনেক গল্পেও পাই নারীকে ছোট করে দেখার মানসিকতা। কিন্তু এসবের পরও তার প্রতি শ্রদ্ধা আমার এতটুকু কমে না কারণ তিনি ২৫০০ বছর আগের সমাজে বসে যা বলে গেছেন ও যেভাবে চিন্তা করেছেন তা বৈপ্লবিক। নাস্তিক বলে কি কোন ধর্মের কোন ভাল দিক থাকলেও তাকে অস্বীকার করতে হবে?আমি কোন ধর্মেই বিশ্বাস করি না কিন্তু তাও আমার পক্ষে সম্ভব নয় জ্ঞানী,যুক্তিবাদী,অহিংসার প্রচারক গৌতম বুদ্ধের সাথে খুনি,ধর্ষক,উগ্রবাদী,চরিত্রহীন মোহাম্মদের তুলনা করা। দুজনই ধর্মপ্রচারক বলে দুজনকেই সমান ভাল বা সমান খারাপ ভাবতে হবে এই তত্ত্বের সাথে একমত নই। প্রত্যেককেই বিচার করতে হবে তার নিজস্ব কর্মের মাধ্যমে। হয়ত আপনি ধর্মের প্রতি বিরক্ত হয়েই সাধারণভাবে মন্তব্যটি করেছেন কিন্তু যার যা প্রাপ্য মর্যাদা তাকে তো তা দিতে হবে ভাই।
@আলোকের অভিযাত্রী,প্রশ্ন করলেই উত্তেজনা প্রকাশ পায় মু হা হা।আপনি লেখিকাকে ডিফেন্ড করতে দিচ্ছেন না কেন নাকি উণার তা করার যোগ্যতা নাই।আমি ব্যক্তি বুদ্ধর দর্শনের পক্ষে সাফাই শুনতে চাই নি।উনার দর্শণ ব্যর্থ না হলে বর্তমানে বুদ্ধকে পূজা কেন করা হয় উনার বোধিসত্ত্ব রুপের মানে কি।উনার মৃত্যুর পর বৌদ্ধ সঙ্গীতির চারটি অধিবেশন কেন করা হয়েছিল জানানতো।বৌদ্ধধর্মে মহাসঙ্ঘিক এবং থেরবাদীতে বিভক্ত কেন হল।মহাযান ও হীনযান বৌদ্ধধর্ম নিয়ে একু জানানতো।পারমিতা মতবাদের মাধ্যমে বৌদ্ধকে দেবত্ব রুপ দেয়া হয়েছে।সম্রাট অশোকের বানানো বৌদ্ধধর্মের কাছে উনার দর্শন টিকতে পারেনি কেন।জরাথুষ্ট্র প্রবর্তিত ধর্ম থেকে কপিপেস্ট করে মৈত্রয় আমদানী করতে ঐ দর্শন বাধা দিতে পারল না কেন।পরিবার পরিজন স্ত্রী সন্তানকে অবহেলায় ফেলে সত্য খোজার ভন্ড কাপুরুষকে নিয়ে লাফালাফি কেন?এই ফোরামের নামে ইসলাম বিদ্বেষে
@আলোকের অভিযাত্রী, এই ফোরামের নামে ইসলাম বিদ্বেষের কথা শুনেছিলাম।এখনতো দেখি তাই।অন্য ধর্মগুলা কি ভালো পড়াশুনা করলেই জানা সম্ভব।নৈতিকতা ধর্মহীন ব্যাপার ও ব্যাক্তিগত।এটার জন্য কোন তথাকথিত ধর্ম বা গুরুর দরকার নাই। বুদ্ধর ধর্ষনপ্রবৃত্তির জন্যই উনি নারীদের নিয়ে চিন্তিত ছিলেন মনে হচ্ছে।সকল ধর্ম ও গুরুদের আস্তাকুড়ই আসল জায়গা।
@ডেথনাইট,
যে ব্যক্তি তার সুন্দরী স্ত্রীকে ছেড়ে রাতের আধারে চলে যেতে পারেন, তার ধর্ষনপ্রবৃত্তি আছে এইটা কেমনে ভাবলেন?
এই ব্লগে হিন্দুধর্ম, ইসলাম ধর্ম , খ্রীস্টানধর্ম, বৌদ্ধধর্ম সব নিয়েই সমালোচনা করা হয়। কিন্তু বিষয়টা কি এমন যে আমরা সমালোচনা করতে হবে তাই সমালোচনা করব নাকি যৌক্তিক সমালোচনা করব?
অদ্ভূত কথা ভাই। হিটলার কিন্তু আমার জানামতে নাস্তিক ছিল।
আর বুদ্ধধর্ম কিন্তু অহিংসার বানীই প্রচার করে। এমনকি বুদ্ধধর্মে মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীদের প্রতিও ভালবাসার কথা আছে।
বুদ্ধদর্শনে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু এর সাথে ‘বর্তমানে বুদ্ধকে পূজা কেন করা হয়’ তার সম্পর্ক কি সেটা ঠিক বুঝলাম না। বুদ্ধ কিন্তু তার শিষ্যদের তাকে পূজা করতে নিষেধই করেছিল।
@রনবীর সরকার,মজা পেলাম আপনার যুক্তিতে
আর বুদ্ধ রাতের আধারে স্ত্রীকে ছেড়ে গেলেই যে ধর্ষনপ্রবৃত্তি নাই তা কেমনে বুঝলেন?উনার কামতৃষা মিটাতে অপারগ স্ত্রীকে ছেড়ে যে চলে আসেন নাই কেমনে জানলেন।এই অসংযম উনি রোধ করতে পারতেন না বলেই সঙ্ঘে নারীরা নিষিদ্ধ ছিল না কেমনে জানেন।
যৌক্তিক সমালোচনা করার ও দেখার জন্যই এই ব্লগে এসেছি।
হিটলার নাস্তিক ছিলেন কিনা একটু প্রমান করুন।
অহিংসার বানী কতটুকু কাজের তা ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপানই বুঝিয়েছে।তিব্বতীরা পশু জবাই করে না কিন্তু গলা টিপে মারে সেলুকাস।গাছের জীবন আছে (!) তো এর পাতা ছিড়া কি বৌদ্ধ ধর্মে নিষেধ।
সমস্যাযুক্ত বুদ্ধদর্শনকে ভালো বলার কোন কারণ পেলাম না।এত মহান বুদ্ধর শিষ্যরা তার কথা মানছে না কেন।স্ত্রী সন্তান পরিবার পরিজনকে অবহেলাকারী কিভাবে মহান হন।
লেখিকা ডিফাইন করেননি কোন বৌদ্ধধর্ম তুলনামূলক ভালো তাই বর্তমান বুদ্ধপূজা অপ্রাসঙ্গিক নয়।
@রনবীর সরকার,একই সাথে আশা করব লেখিকাকে তার দেয়া যুক্তি ডিফেন্ড করতে দিবেন।পরের মুখে ঝাল না খাওয়াই ভালো।
@ডেথনাইট, প্রাচীন বুদ্ধ দর্শনের কথা আমি বলতে চেয়েছি । আপনি ঠিক ই বলেছেন । ওই ধর্ম ব্যর্থ । পরবর্তী বুদ্ধ ধর্ম ও তার শাখা প্রশাখা যা এখন বিস্তৃত ,এবং যা বৌদ্ধ ধর্ম কে বিশ্বজনীন করে তুলেছে তা নয় ।বুদ্ধদেব ধর্ম বা ধম্ম বলতে যা বুঝিয়েছেন , সেইটাই বৌদ্ধ ধর্ম … আমি একথাই বলতে চেয়েছিলাম ।
@মহসিনা খাতুন,লিঙ্গবৈষম্যবাদী ও জীবন থেকে পলায়নপর সত্য খোজার ভন্ড কাপুরুষ বুদ্ধকে মারে গুলি।মজার ব্যাপার উনার সমসাময়িক ভারতে উনার বলা ভুজংভাজং ভালোই সমাদৃত হয়েছিল এমনকি এশিয়ার আরো কিছু দেশেও ছড়িয়ে পরে।কিন্তু চীনে গিয়ে সেখানকার কনফুসিয়াসের ভুজংভাজংয়ের কাছে ধরা খেয়ে যায় হা হা।
আমার মনে হয় , অবিশ্বাসীদের বা নাস্তিকদের জন্য ঘটক এর প্রয়োজনিয়তা দেখা দিয়েছে এখন। “নাস্তিকদের পাখিভাই” নামে একটা ঘটকালী প্রতিষ্ঠান খোলা যায় কিনা অন্তত অনলাইন এ ভাবছি। :-s
সাহস আছে বটে আপনার 😛
খুবই ভালো লাগলো … (F)
▬▬▬◄█▐▓▒░HappY NeW YeaR░▒▓▌█►▬▬
◕▄███▄◕──◕▄██▄◕──◕▄███◕──◕▄███▄◕
◕▀──██◕─◕██──██◕───◕██◕──◕▀──██◕
◕──██◕──◕██──██◕───◕██◕────◕██◕
◕─██◕───◕██──██◕───◕██◕───◕██◕ ◕█████◕──◕▀██▀◕───◕▄██▄◕─◕█████◕
।
আপনার আম্মার দর্শন টা মনপুতঃ। আমারও মনে হয় ধর্মকে যথাযথ স্থানে সসম্মানে রেখে দিয়ে ধর্ম-সৃষ্ট অগ্রযাত্রার সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে আমাদের কে বরং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আর একটা কথা আমাদের কে মনে রাখতে হবে। ১৪০০ বৎসর ধরে ধর্ম শুধু মাত্র বেহশত- দোজখ বিশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নাই, আমাদের জীবনের সমস্ত আচার,অনুষ্ঠান,প্রথা,জন্ম-মৃত্যু বিবাহ শাদী ও রিতি নীতির মধ্যে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। আমরা শিক্ষিত অশিক্ষিত জ্ঞ্যানী গুনী সবাই এই প্রথার মধ্যে আষ্টে পৃষ্ঠে বন্দী। এর থেকে বেরিয়ে আসাটা সহজ কথা নয়। প্রচন্ড ধারাল যুক্তি ও এখানে এসে মুখ থুবড়ে পড়ে।
আপনার বাস্তব ভিত্তিক প্রবন্ধ গুলী বেশ ভালই লাগে। আমাদের এরুপ আরো উপহার দিবেন।
ধন্যবাদ
বেশ লেখেছেন। নিয়মিত লেখার জন্য অনুরোধ। ধন্যবাদ। (F)
যুক্তিপূর্ণ লেখা । বেশ ভাল লেগেছে। নারীবাদী বক্তব্যগুলো উঠে এসেছে।
@ফুয়াদ দীনহীন,
আমার তরফ থেকেও শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
@মহসিনা খাতুন,
ধন্যবাদ আপা, আপনাকে নতুন বছরের লাল (F) গোলাপের শুভেচ্ছা। কিন্তু আপা, আমার প্রশ্নের জবাবটা আশা করছিলাম, সময় করে দিয়েন, আমিও সময় করে আলোচনায় যাব; ইনশা-আল্লাহ।
@লেখিকা,
আপনার আব্বুকে সহজ সরল পেয়ে, বেশ কথা শুনিয়ে দিলেন। বাবা মেয়েকে গালে এক চড় কষিয়ে দিলে অস্বাভাবিকতা কিংবা বলপ্রয়োগ কিভাবে হয়, সেটা আমার মাথায় ঢুকেন। যদি আপনি তার মেয়ে না হয়ে অন্য কিছু হতেন, তাহলে ভিন্ন কথা ছিল। ছেলে-মেয়েরা মা-বাবার কাছে কারণে অকারণে অনেক মার খায়, কিন্তু সেটা আমার কাছে তাদের মতের পক্ষের বলপ্রয়োগ মনে হয়না। যাইহোক, প্রত্যেকের নিজস্ব ধ্যানধারণা থাকতে পারে, আপনারও আছে এবং একে আমাকে সম্মান করতে হবে।
ভাল কথা আল্লাহ পাকের গালটা কি আপনি দেখে ছিলেন ? নাকি ধরে নিব, আল্লাহ পাক কি এটাই আপনি জানেন না। আল্লাহ বলতে কি বুঝেন, পরিষ্কার করুন।
আলোচনার আশা করি। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ দীনহীন,
ফুয়াদ ভাই, সালাম। আপনি আসলে ভাল লাগে। এই যে আল্লাহকে থাপ্পড় মারার কথা শুনেও আপনার মাথায় খুন চড়েনি, মানুষের গলার প্রতি লোভ আসেনি, রক্তপানের তৃষ্ণা জাগেনি, সেটা আপনার একটা বিশেষ গুণ। আপনার প্রতি নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো-
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/cqs1325362359d.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
আপনাকেও শুভ নববর্ষ। ২০১২ সাল কেমন যাবে, কেউ কিছু বলতে পারতেছে না। বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সহিত পৃথিবী ব্যাপী অর্থনীতিক মন্দা, ইউরোপের ক্রাইসিস অনিশ্চয়তার কথাই বলে। তবুও নববর্ষের শুরুতে আপনার একটি ভুল ধরেদেই, আশাকরি, না-বুঝতে পেরে নিরাশ করবেন না।
মনে-করুন, আমি আপনার বাসার কাজের ছেলে এবং এই মুহূর্ত্বে আপনার বাসায় কিছু চুরি হয়েছে, আপনি বাংলাদেশের কারো কারো মতে, কিছু চুরি হলেই কাজের লোক চুরি করেছে এই ধারনার বশবর্তী হয়ে আমাকে চোর উপাধি দিলেন। ধরুন, আমি চুরি করি নাই, কিংবা কাজের লোক গুলিও চুরি করে নাই। এ অবস্থায় কাউকে চোর বলা কি ঠিক হল ?
আমি আশা করি আপনি মনে-করবেন, আমাকে ঐ অবস্থায় চোর বলা ঠিক হয়নি। এখন আপনার উপরের কমেন্টে আসুন।
ঘরে চুরি হলেই যেমন আমার মত সকল কাজের ছেলে চোর নয়, ঠিক তেমনি “মাথায় খুন চড়েনি, মানুষের গলার প্রতি লোভ আসেনি, রক্তপানের তৃষ্ণা জাগেনি” ইত্যাদি বলাও ঠিক নয়।
যদিও আপনি আমাকে আলাদা করে নিয়েছেন এই কথা বলে, “সেটা আপনার একটা বিশেষ গুণ” কিন্তু আমার প্রতি এই প্রশংসা গ্রহণ করতে পারলাম না, কারণ আমি আমার বাকি মুসলিম ভাই বোনদের ভালবাসি এবং তাদের থেকে আলাদা হতে চাই না। আশাকরি, ব্যাপার গুলি বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ দীনহীন,
নববর্ষের শুরুতে আপনি যে আমার একটা ভুল শোধরে দিলেন, তাইবা কম পাওয়া কিসে? আমি তাতেই ধন্য। তয় কথা হইল নববর্ষে মানুষের শুভ কামনা করা শরিয়তের পরিপন্থি, কথাটা কি ঠিক?
@ফুয়াদ দীনহীন,
আল্লাহ পাককে দেখা যায় না কিন্তু তার আরশ আছে, আল্লাহ পাকের আকার নাই কিন্তু আদমরে সে নিজের মতো করে বানাইছে, আল্লাহ পাকরে দেখা যায় না কিন্তু নবী তারে বোরাকে কইরা কয়েক পর্দা দূর থাইক্কা দেইখা আইছে…। এই হল আল্লাহ পাক যত দূর আমি জানি 🙁 🙁 😛
@অগ্নি,
যথাযথ বলেছেন। আরো একটু যোগ করলে,কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাকের ডান হাতে আসমান ও বাম হাতে পৃথিবী থাকিবে। কোরানের কোথাও আছে,শুনেছি।
ঠিক যেমন আমরা ডান হাতে বেশি বড় প্যাকেটটি এবং বাম হাতে ছোট পাকেটটি ধরে থাকি।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ইশশশ…… শোনা কথার উপর ‘যথাযথ’ বলা ঠিক না ভাই, এই যে নেন, নিজেই দেখে নেনঃ
সূরা নম্বর ৩৯ (আল যুমার) আয়াত নম্বর ৬৭: তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র। আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে।
চাইলে এখানে দেখতে পারেন সূত্র
@অগ্নি,
জটিল কইছেন ভাই। আল্লাহ সত্যিই মহান। হাত,পশ্চাদ্দেশ থাকলেও তার গাল নাই। এই না হইলে নিরাকার। তবে পশ্চাদ্দেশ যখন আছে তখন ওই অংশের কাজও তিনি ভালভাবেই সারেন মনে হয়। (বাম)হাত থাকার কারণে কাজ সারার পরে পবিত্রও হন নিশ্চয়ই মাটির ঢেলা ব্যাবহার করে।
@আলোকের অভিযাত্রী,
:lotpot:
অথবা তিনি হয়ত পরিষ্কারের হুকুম দিয়ে দেন, ফেরেস্থাদের। হতে পারে যে ওই আট ফেরেস্থা ওই যায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে। তবে একটা কথা, কিভাবে রাখে? ওদেরও যদি হাত পা থাকে তাহলে ওগুলোও তো ব্যাস্ত, তা হলে ফেরেস্থাগন পরিষ্কার কর্মে তাদের কোন অঙ্গ ব্যাবহার করে? :-s
রেফারেন্সঃ সূরা আল-হাক্কাহ 69:17 এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে।
:-X
@আলোকের অভিযাত্রী, দাদা জটিল বলেছেন ভাল লেগেছে…।।
@ফুয়াদ দীনহীন, তা ভাই বিবাহযোগ্যা নারীর গায়ে হাত দেয়াটা কোন ইসলামে আছে।ধর্মের মাধ্যমে মানবিকগুলাবলী সম্পন্ন বাবা-মা কেন অকারণে মারবেন। আর আল্লাহর গাল না থাকার কি হল যে নিরাকার আল্লাহর আরশ থাকা দরকার হয় তার গাল থাকতে পারবে না কেন?
@ডেথনাইট, অগ্নি, এবং মহসিনা খাতুন,
মনে-করুন আপনি মাছ বাজারে গিয়েছেন, এখন যদি দোকানী বলা শুরু করে এটা নিন, আরেকজনে ঐটা নিন, টানা টানি শুরু করে দেয়, তাহলে কোনটাই আপনার নেওয়া সম্ভব না। এখন আপনারা যদি বিভিন্ন ব্যক্তি ভিন্ন এঙ্গেলে প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া শুরু করেন, তাহলে কোনটাতেই আমার আলোচনা করা সম্ভব হবে না।
এবার আসুন, কেন লেখিকাকে করা আমার প্রশ্নের জবাব শুধু লেখিকাকেই দিতে হবে। কারণ, তিনি কিছু ধারনা নিয়ে তাহার বাবার কাছে এই প্রশ্ন তোলেছেন।
কি ধারনা নিয়ে তিনি এই প্রশ্ন তোলেছেন, শুধু তাকেই এর উত্তর দিতে হবে, আপনারা তার হয়ে উত্তর দিলে হবে না। এমনকি তিনি আমার প্রশ্ন উত্থাপনের পরে বই পড়াশুনা করেও উত্তর দিলেও সমস্যা থেকে যায়। কারণ, তিনি যখন বাবাকে বলেছেন তার আগ থেকেই এই বিষয় জানা থাকতে হবে। না জানা থাকলে, এটাই প্রমাণ হয়, তিনি না জেনে উনার সরল বাবার সহিত শব্দের খেলা খেলেছেন, বলা যায় এক প্রকার প্রতারণা মূলক জয় পেয়েছে। বলা বাহুল্য , জয়টা লেখিকার দৃষ্টি কোন থেকে।
আশা করি, লেখিকা আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
@ফুয়াদ দীনহীন,
আপনি কি এখানে কম শব্দের খেলা খেলছেন? আপনারা যারা মুমিন বান্দা তারা তো শব্দের খেলা খেলেই সাধারণ মানুষের আবেগকে নাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে অন্ধকার দিকে টেনে নিয়ে যান। যারা ওয়াজ নসিহত করে মানুষের মধ্যে আরও বেশী কুসংস্কার ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের বোধ বুদ্ধিকে স্তব্ধ করে আরও অন্ধকারের প্রানী বানিয়ে ফেলে, তাদের আপনি কি বলবেন? তারা বুদ্ধির খেলা খেলে ? আমার কাছে ওরা এক একটা শয়তান আর মানবতাবিরোধী প্রতারক ছাড়া আর কিছু নয়।
কোরান বলছে- বেহেস্তে যে যা কামনা করবে সে তা পাবে এমতাবস্থায় একজন মানুষ যদি খোদ আল্লাহর গালে চড় মারতে চায় তাহলে সেটা আল্লাহর পূরণ করার কথা, এমন কি কেউ যদি আল্লাহর গদিটাই চেয়ে বসে সেটাও তার পূরণ করা উচিত। যদি সে না পারে তাহলে বুঝতে হবে আল্লাহ ও তার বেহেস্তের ধারণা স্রেফ পৌরাণিক গাল গল্প- এটা বোঝার মত বুদ্ধি আপনার নেই,কারন আপনি তো আপনার বোধ বুদ্ধি সব মক্কার বালুর নিচে চাপা দিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু অন্যরা যখন এটা বুঝে ফেলেছে তখন আপনি এসেছেন শব্দের খেলা নিয়ে। এসব শব্দের খেলায় এখানে খুব একটা সুবিধা হবে বলে তো মনে হচ্ছে না, ভাইজান।
@ভবঘুরে,
আপনি যুক্তির চেয়ে ইমোশনাল কথা বলেন, তাই আপনার সাথে তর্কে যেতে ভাল লাগেনা। আমি পরিষ্কার যুক্তি দিয়েছি, কিন্তু সেটা যদি আপনার মাথায় না-ঢুকে তাহলে আমার কি করার আছে? আপনার উপরের একটা কথারও লজিক নাই। আপনার ভাগ্য ভাল, এখানে কিছু মানুষ আছে যারা ইসলামের বিরোধিতা দেখলেই, যুক্তি থাকুক বাকে না থাকুক হাত তালি দেয়।
ঠিকমত মানে না বুঝাই যদি বলে্ন,
তাহলে আপনাকে কি বলা যায়? আল্লাহ পাকের কথা ভুলে যান। এবার ধরুন, আপনি যদি পাবলিকরে গিয়া বলেন, “ভাইয়েরা আমার, আমি মহাসমুদ্রের গালে চর মারতাম চাই”, মানুষ আপনারে পাগল কইবে। এইবার কি লজিক মাথায় ঢুকল?
না ঢুকলে আমার কিছু করার নেই। লেখিকাকে করা আমার প্রশ্ন খুব সম্ভবত মহসিনা খাতুন আপা ঠিকই বুঝছেন, তাই উনি আমাকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা দিয়েছেন। আপাত, আপনার না বুঝলেও চলবে। ও আরেকটা কথা, আপনার কমেন্টে বল্ড করা হরফে বড় একটা ভুল করেছেন, দেখি ধরতে পারেন কি না, এটা আপনার জন্য পাজল। এই পাজলটাই আপনার উদ্দোশ্যে আমার মেইন পয়েন্ট। সল্ভ করুন দেখি। আপনি থাম্বার রচনা লিখতে গিয়ে যদি এভাবে লেখা শুরু করেন, থাম্বার নিচে গরু বেধে রাখা যায়, এর উপর গরুর রচনা লেখা শুরু করেন, তাহলে মূল পয়েন্ট আপনাকে মনে করিয়ে দিব। :)) ভাল থাকুন।
@ফুয়াদ দীনহীন,
না ভাই ঢোকে নি। কেউ যদি আল্লাহর গালে চড় মারতে চায় তখন তার উচিত নিজেকে এমন ভাবে পরিবর্তন করা যাতে তাকে চড় মারা যায়। কারন তার তো উচিত বেহেস্তে যে যা কামনা করবে সেটা পূরণ করা। এবার আমার লজিক আপনার মাথায় ঢুকল ?
@ভবঘুরে,
আল্লাহতো মোহাম্মদের জন্য নিজেকে বালকে পরিনত করেছিলেন। সুতরাং এই ব্যাপারটা তার পক্ষে অসম্ভব নয়।
তবে বেহেস্তে আল্লাহ এটা পারলেও আরো অনেক কিছুই পারবে না। যেমন আল্লাহকে যদি বলা হয় এমন দুইটা কিউবিক নাম্বার বলতে যাদের যোগফল আরেকটি কিউবিক নাম্বার তাহলে আল্লাহ সেটা কখনোই পারবে না।
@ভবঘুরে,
আপনার এত বুঝে কাজ নেই। আমার পাজলের জবাব কই, জবাব দেন। না হলে, বার বার এটাই রিমাইন্ড করিয়ে দিব।
ধন্যবাদ । এটা আসলে কয়েকদিন আগের ঘটনা । সত্যি ঘটনা । আমাদের ঘরে এসব কাহিনী রোজ দিন চলে ।
(Y) চমৎকার! নববর্ষের সুন্দর উপহার! ধন্যবাদ! (F)