‘’কুকুরের বাচ্চারা দেশটা শেষ কইরা ফালাইলো!’’ ক্রুদ্ধ কণ্ঠ শোনা যায় সোলায়মান সাহেবের। বাইরে বেরুনোর আগে খবর দেখার জন্য রিমোট ঘোরাচ্ছিলেন। ডিবি টিভির (ডিজিটাল বাংলাদেশ টিভি) খবর চলছে। রিপোর্টার এইমাত্র জানালেন শেয়ারের সূচক আরো এক ধাপ নেমেছে। ‘’এক একজন আবাল বসায় রাখছে সব জায়গায়; হারামির বাচ্চাদের তো কোন সমস্যা নাই; লন্ডন-আমেরিকায় হাজার কোটি টাকার সম্পদ কইরা রাখছে!’’ আবারো ক্রুদ্ধ কণ্ঠ সোলায়মান সাহেবের। ডিবি টিভিতে ততক্ষণে সংশ্লিষ্ট গণ্য-মান্য বিশেষজ্ঞদের মুখশ্রী ও বয়ান দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সোলায়মান সাহেব টিভির সুইচ বন্ধ করে হন হন করে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন।
পথে নেমেই দিনের কাজগুলো মনে মনে ঝালিয়ে নিলেন! সচিবালয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে । আর নিউ ভিশন বাংলা স্কুলেও যেতে হবে একবার। প্রথমে সচিবালয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন ড্রাইভারকে। সোলায়মান সাহেব গাড়ি কিনেছেন গত বছর। প্রায় ১৬ লাখ দিয়ে যখন টয়োটা এক্স করোলা কিনে নিলেন, তখন অনেকেই ভুরু কুঁচকে তাকিয়েছিল। সোলায়মান সাহেব সামান্য কেরানির চাকরি করতেন একটি সরকারি ডিপার্টমেন্টে। সেই লোক কিনা গাড়ি কিনে বসল, তাও আবার চাকরী-ছাড়া অবস্থায়! তবে সোলায়মান সাহেব কিন্তু অবাক হন না। তিনি জানেন তার এই উত্থানের পেছনে কত শ্রম ঢালতে হয়েছে। রাত-দিন মানুষের পেছনে চরকির মত ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। চাকরিতে ঢোকার পর থেকেই ইউনিয়ন অফিসে রেগুলার যাতায়াত করতেন। বড় নেতাদের কাছে ধর্না দিতে দিতে একসময় নিজেই নেতা বনে গেলেন। হাতে প্রচুর কাঁচা পয়সা এলো। কিন্তু গোল বাধল, যখন বরিশাল থেকে দেলোয়ার সাহেব ট্রান্সফার হয়ে এলেন। কথায় কথায় যিনি বলেন পার্টির অমুক নেতা তার বেয়াই, তমুক নেতার সাথে তার প্রতিদিন কথা হয় ইত্যাদি। তো সেই দেলোয়ার সাহেবের গ্রুপের সাথে একদিন অফিস কম্পাউন্ডেই ব্যাপক মারামারি হয় সোলায়মান সাহেবদের! দেলোয়ার সাহেবের ক্ষমতার পরিধি টের পাওয়া যায় অচিরেই। সরকারী কর্মস্থলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে চাকরী ছাড়তে হয় সোলায়মানকে।
তবে চাকরী হারিয়ে মোটেই হতোদ্যম হননি সোলায়মান সাহেব। যা সঞ্চয় ছিল তাই নিয়েই নতুন উদ্যোগে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। শেয়ার মার্কেটে টাকা খাটানো শুরু করেন। স্পষ্ট মনে আছে, প্রথম বিনিয়োগেই বাম্পার লাভ করেছিলেন তিনি। মাত্র দু’লাখ টাকা খাটিয়ে তিনদিনের মাথায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভ তুলে এনেছিলেন। এরপর তার উৎসাহ বেড়ে যায় দ্বিগুন। প্রায় দশ লাখ টাকা মার্কেটে থাকার পরও সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। মোখলেস মিঞার কাছ থেকে বছর দুয়েক আগে কেনা সাড়ে তিন বিঘা জমিও বিক্রি করে দেন। অবশ্য জমিটা হাতছাড়া হওয়াতে খুব মন খারাপ হয়েছিল। অথচ জমিটা বাগাতে কতই না বেগ পেতে হয়েছিল তাকে! মোখলেস মিঞা সোলায়মান সাহেবেরই গ্রাম সম্পর্কের আত্মীয়। দরিদ্র কৃষক। হঠাৎ করেই কঠিন অসুখ বাঁধিয়ে বসেন। বউ-বাচ্চা নিয়ে পথে বসার যোগাড়। মোখলেস মিঞা টাকার জন্য অবস্থাপন্নদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সোলায়মান সাহেবের কাছেও এলেন। পার্টি করার কারণে তার হাতে তখন অনেক কাঁচা পয়সা। সোলায়মান সাহেব দেখলেন এইতো সুযোগ। মোখলেস মিঞার চিকিৎসার জন্য অঢেল খরচ করলেন। তার পুরো সংসারকে দেখে-শুনে রাখলেন। অভয় দিলেন, ‘’আমি থাকতে তোমাদের কিছু হবে না।‘’ আস্তে আস্তে মোখলেস মিঞা সুস্থ হয়ে উঠলেন। আবার ফিরে পেলেন আগের দেহ। সোলায়মান সাহেবের প্রতি তার কৃতজ্ঞতার সীমা নেই। সামনে গেলেই শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসতে চায়! বারবার সোলায়মান সাহেবের কানের কাছে গিয়ে বলতে থাকেন, ‘’ভাইজান, আপনার জন্য কি করা লাগব, কন? আপনি আমার জান বাচাঁইছেন’’। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে কখনো ভুল হয়না সোলায়মান সাহেবের, ‘’ না না, আমার জন্য কিছু করা লাগব না। তুমি বরং কাজে-কর্মে মন দাও। এই শরীর নিয়া আর চাষ-বাস করতে পারবা না। তুমি বরং তোমার বিলের ধারের জমিডা বিক্রি কইরা ব্যবসা শুরু কর। আর জমির দাম নিয়া চিন্তা কইরো না, তুমি আমার কাছে থেকে বাজারের দামের চাইতেও বেশি পাইবা। তুমি তো আমার ভাই, নাকি?’’ ভক্তিতে গদগদ মোখলেস মিঞা দেবতার প্রতি আবার কৃতজ্ঞ হন! তাকে মৃত্যুর হাত থেকেই শুধু বাঁচায় নাই, নতুন জীবনেরও পথ বাতলে দিচ্ছে!
ক্রমাগত লাভের মুখ দেখতে থাকা সোলায়মান সাহেব এক সময় ধার-কর্জ করে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। এক সময় যা অর্ধ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়! ঐ সময়ই লোন করে গাড়িটা কিনে ফেলেন। সঙ্গে একটা ফ্লাটেরও বুকিং দেন। এদিকে শেয়ার মার্কেটের অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যা বিনিয়োগ করেন, তাতেই লাভ! অবশ্য খবরে প্রায়ই ভাড়া করা বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণি শোনা যায়। বাজারের উপর নিয়ন্ত্রন আরোপের কথা বলে তারা। ওগুলো শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায় সোলায়মান সাহেবের ! ‘’এক একটা গাধা! আরে, এত চেষ্টা কইরাওতো মার্কেট নামাইতে পারলি না!’’ এমনকি প্রথম বড় ধাক্কাটা যখন মারল, তখনও নিশ্চিন্ত ছিলেন সোলায়মান সাহেব। ঘনিষ্ঠজনদের বলতেন, ‘’এমন একটা ধাক্কা দরকার ছিল! ঘোড়া যে হারে দৌড়াইতে ছিল, একটু রেষ্টতো দিতে হইব! দেইখো, এর পর আবার কি বেগে দৌড়ায়!’’ তার কথামত ঘোড়া দৌড়িয়েছে বটে, কিন্তু শুধুই পেছনের দিকে! এর পরের ইতিহাস আর মনে করতে চান না সোলায়মান সাহেব। শুধু এইটুকুই মাথায় আছে, তার কেনা শেয়ারের বাজার দাম এখন ২০ লাখে এসে দাঁড়িয়েছে!
কিন্তু ঘাবড়ানোর বান্দা তো নন সোলায়মান সাহেব! মানুষকে কাজ পাইয়ে দেয়ার বিজনেস শুরু করেন। পার্টির অনেক নেতার সাথে তো আগে থেকেই ভাল সম্পর্ক ছিল। এখন আবার তাদের কাছে দৌড়াদৌড়ি শুরু করলেন। আজকে সেই সুবাদেই সচিবালয়ে আগমন। গ্রামের বেকার যুবক শহীদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। বিএপাস করা শহীদ চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে গত দুই বছর ধরে! তবু একটা ছোট-খাট চাকরীও জোটাতে পারেনি। এখন চাকরীর বয়সসীমা পার হবার উপক্রম। অবশেষে সে সোলায়মান সাহেবের দ্বারস্থ হয়েছে। একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণীর লোক নিয়োগ করা হবে। অনন্যোপায় শহীদ এই চাকরির জন্যই জমি-জমা বিক্রি করে সোলায়মান সাহেবের হাতে টাকা তুলে দিয়েছে! সেখান থেকে আবার তিন লাখ টাকা নেতার হাতে তুলে দিয়েছেন সোলায়মান সাহেব। আজকে যার একটা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। নেতাকে দেখেই লম্বা সালাম দেন সোলায়মান সাহেব। কিন্তু নেতার মুখভঙ্গি ঠিক সুবিধের ঠেকে না তার। ‘’ইলিয়াস ভাই, শহীদের নিয়োগ-পত্র আজ হাতে হাতে দিবেন বলছিলেন।‘’ ইলিয়াস সাহেব সোলায়মানের ঘাড়ে হাত রেখে তাকে রুমের বাইরে এক কোনায় নিয়ে যান, ‘’দেখ সোলায়মান, একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। তুমি তো জান, এইসব কেসে কত তদবির চলে। আমারে তো সেক্রেটারি স্যার নিশ্চিত করছিল। কিন্তু অন্য এক নেতা কৌশলে শহীদের চাকরিডা হাতায় নিছে। তবে তুমি চিন্তা কইরো না। আমি চেষ্টায় আছি। দুই মাস পর আমার লগে একবার যোগাযোগ কইরো।‘’ সোলায়মান সাহেবের পা থেকে যেন মাটি সরে না! সে অভিজ্ঞতার আলোকে ভাল করেই জানে, শহীদের চাকরিটা চিরদিনের মত কেঁচে গেছে। এখন শহীদের টাকা ফেরত দিবেন কিভাবে, সেই চিন্তা করতে থাকেন। চাকরী দূরে থাক, অন্তত টাকাটা ফেরত দিতে না পারলে, দুর্নামের অন্ত থাকবে না! নেতার কাছে সরাসরি বিষয়টা তুলতে ভয় হয়; তবু সাহস করে বলে ফেললেন, ‘’ইলিয়াস ভাই, টাকাটার কি….””। কথা শেষ করতে দেন না নেতা, ‘’তুমি এত অস্থির হইছ কেন? আমি কইলাম না আমি দেখতাছি। আর তুমি কি মনে করছ? টাকা কি আমার কাছে নাকি? টাকা তো জায়গামত পৌঁছাই দেয়া হইছে।‘’ দর দর করে ঘামতে থাকেন সোলায়মান সাহেব। বেশ ভাল করেই বুঝতে পারছে্ন, টাকা ফেরত পাওয়ার কোন আশা নেই। ইচ্ছে করছে, এক ঘুষিতে ইলিয়াস সাহেবের নাকটা ফাটিয়ে দিতে। ‘’শালা, এই খানকির বাচ্চারাই দেশটা পুরা খাইয়া ফালাইবো; আঠি-চুকলা কিছুই বাদ রাখব না, কিচ্ছু না।‘’
যখন নিউ ভিশন বাংলা স্কুলের দিকে যেতে থাকেন, নতুন একটা ভয় গ্রাস করতে থাকে সোলায়মান সাহেবকে। তার ছোট ছেলেটা বাড়ির কাছের একটি অখ্যাত স্কুলে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। এবার ফোরে উঠবে। সোলায়মান সাহেবের অনেকদিনের শখ অন্তত ছোট ছেলেটাকে দেশের সেরা স্কুলে পড়াবেন! গত বছর সে ‘নিউ ভিশন বাংলা স্কুলে’ টেস্ট দিয়েছিল; কিন্তু টিকেনি। সোলায়মান সাহেব চিন্তা করে দেখেছেন, তার ছেলেটার যেইরকম গোবরমাথা, এবারেও কোন আশা নাই। তবে শুধু ছেলেরই দোষ দিতে চান না তিনি। যেই কঠিন পরীক্ষা হয়, তাতে তিনিও টিকতেন কিনা সন্দেহ! ছেলেকে পজিট্রন প্রি-কোচিং সেন্টারে দিয়েছিলেন, যাতে সে ‘মোস্তফা কোচিং সেন্টারের’ আডমিশন টেস্টে সিলেক্টেড হয়। মোস্তফা কোচিং সেন্টার আবার ‘নিউ ভিশন বাংলা স্কুলে’ ভর্তির নিশ্চয়তা দেয়! তো ছেলে প্রি-কোচিংয়েরই গণ্ডি পেরুতে পারল না, মুল ভর্তি কোচিং এবং ভাল স্কুল তো অনেক দূরের ব্যাপার। যাই হোক, সোলায়মান সাহেব অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে নিউ ভিশন বাংলা স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও অত্র এলাকার সন্মানিত সংসদ সদস্যের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠ এক নেতা আগেই ফোন করে রেখেছিল চেয়ারম্যানকে। আজ স্কুলের অধ্যক্ষের ফাইনাল নিউজ জানানোর কথা। চেয়ারম্যানের রেফারেন্স দিয়ে সরাসরি অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে গেলেন। অধ্যক্ষ রওশন আরার চুল আধা-পাকা। মুখে আলাদা গাম্ভীর্য রয়েছে। সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দেন সোলায়মান সাহেব। ‘হ্যা, আমাদের কাছে চেয়ারম্যানের বেশ কয়েকটা সুপারিশ ছিল। তা থেকে কাটছাঁট করে আজই একটি লিস্ট ফাইনাল করা হয়েছে। দাঁড়ান, দেখছি আপনার ছেলের নাম লিস্টে আছে কিনা!’’ অধ্যক্ষ ফাইলের পাতা উল্টাচ্ছেন, আর সোলায়মান সাহেবের বুক দুরুদুরু করে কাঁপছে। এক সময় অধ্যক্ষ নীরবতা ভাঙলেন, ‘’আপনি অফিস থেকে একটা এডমিশন ফরম কালেক্ট করেন। ওরাই আপনাকে ভর্তির সব প্রসেস বলে দেবে।‘’
সোলায়মান সাহেব আনন্দে আটখানা হয়ে আছেন। বাচ্চাদের এমন একটা ভাল স্কুলে ভর্তি করাতে পারলে, প্রায় সারা জীবনের জন্য নিশ্চিন্ত হওয়া যায়! শেয়ার বাজার, সচিবালয় মাথা থেকে মুহূর্তেই উধাও হয়ে গেছে। ছেলের নিশ্চিন্ত ভবিষ্যতের স্বপ্ন তার মনে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে! দুনিয়াটা হঠাৎ খুব মধুর লাগছে। অফিস রুম থেকে বেরিয়ে স্কুলের প্রশস্ত মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। ছেলেরা সবাই গ্রাউন্ডে জড়ো হয়েছে। স্কুলের ডে-শিফট এসেম্বলী চলছে। শপথ, পিটির পর একসময় জাতীয় সংগীত আরম্ভ হল! বাচ্চাদের সমবেত সুর আশে-পাশের পরিবেশকে যেন আরো মধুর করে তুলল! সোলায়মান সাহেব তার ছোটবেলায় ফিরে গেলেন! নিজের অজান্তেই গলা মেলালেন, ‘’আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি!’’
কচু কাটতে কাটতে ডাকাত, লেখতে লেখতে লেখক। কিন্তু সবাই কি লেখক হয়ে উঠেন? জন-জীবনকে পাশ কাটিয়ে দক্ষতায় আকাশ ছুঁয়ে গেলেও কার কি আসে যায়? আর জন-জীবনকে ছুঁয়ে গেলে, আর কিছু না হোক, বিনাশের কিছুটা হলেও গতি রুদ্ধ হয় বা বিনাশের বিনাশ হয়। ঈশ্বরের মত অমর হয়ে থাকার চেয়ে একটু নাড়া দিয়ে মরে যাওয়াও অনেক।
@স্বপন মাঝি,
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগছে!
সাংঘাতিক সত্য কথা, যদিও আমার মৃত্যুভয় যথেষ্টই! ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’- এই আর কি!
নববর্ষের শুভেচ্ছা!
দেশ নিয়ে যারা ভাবেন , তাদের ধন্যবাদ না দিয়ে পারি না। ভালো লেগেছে আমার। ধন্যবাদ আপনাকে।
@মেহেদী,
ধন্যবাদ আপনাকেও! দেশ নিয়ে আমরা সবাই কম-বেশী ভাবি! কিন্তু একটা বিশাল গোষ্ঠী আছে, যাদের দেশ-ভাবনা পুরোপুরি স্বার্থ-ভাবনাকে ঘিরে পাঁক খায়!
নতুন বছরের নতুন সকালে চমৎকার একটি গল্পের জন্য ধন্যবাদ।আশেপাশের অজস্র মুখ কেমন যেন সোলায়মান সাহেবের চরিত্রের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে।আমারা বোধ হয় দেশপ্রেমের সংজ্ঞাটাকেও বদলে দিয়েছি।
@ছন্নছাড়া,
সোলায়মান সাহেবরা আমাদের আশে-পাশেই অবস্থান করছে! এদের দেশপ্রেম স্বার্থের খোলসে পুরোপুরি বন্দী। এবং অনেক সময় তারা নিজেরাও সেটা অনুধাবন করে না! তবে কথা হ্ল, এ বন্দীদশা থেকে তাদের মুক্তি না ঘটলে দেশেরও মুক্তি মিলবে না; কারন তারা সংখ্যায় নিতান্ত কম নয়!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ! মনে হয়েছে, কাউকে না কাউকে অন্তত বার্তাটা দিতে পেরেছি! আপনার মন্তব্য আমাকে অনেক উৎসাহ যোগাবে, এ কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি!
ভালো লেগেছে গল্পটা। এই ধরনের সহজ করে লেখাগুলো মানুষ খুব সহজে বোঝে বলে মনে হয়। খুব ভালো।
@কাজী রহমান,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথম থেকেই আপনার উৎসাহ পেয়ে আসছি! দেশপ্রেম যখন ব্যক্তি স্বার্থের পরিপুরক হয়ে উঠে, তখন সমাজ ভাঙনের পথে দ্রুত ধাবিত হতে থাকে। এমই অবস্থা চলছে এখনকার বাংলাদেশে, যার একটি চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি এই লেখায়! কিন্তু হয়ত ভাষার দখল কম থাকায়, ভাবনাটিকে অত ভালভাবে প্রকাশ করতে পারিনি!
নববর্ষের শুভেচ্ছা!
@কাজি মামুন,
কে বললো ভাবনা চিত্রখানা ভালো করে প্রকাশ হয়নি? দাঁড়িয়ে ঘুমানো ওই সব মানুষ গুলো কিভাবে স্ববিরোধী স্বার্থপর অন্যায় ভাবনাকে হালাল করে নেয় তা তো খুব স্পষ্ট করেই বোঝা গেছে।
ছোট্ট করে বুলস-আই ধরনের এই রকম লেখা খুব করে চালিয়ে যান (C)
@কাজী রহমান,
আপনার এমন মন্তব্যে পাই বল, পাই সাহস, পাই সামনে আরো ভাল লেখার অনুপ্রেরণা!
অসাধারণ সাবলীল গল্প হইসে…
বলার ভংগীটা অনেক সুন্দর…তবে শেষটা কেমন যেন সাদামাটা হল- যাহোক, তারপরও চমৎকার।
নববর্ষের শুভেচ্ছা লেখককে।
@আরিফ খান,
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য! ব্যক্তি-স্বার্থের চাদরে আপাদমস্তক মোড়ানো যে দেশপ্রেম, তারই একটা খন্ডচিত্র তুলে আনতে চেয়েছি এই লেখায়! শেষটাতে তারই ইঙ্গিত রয়েছে!
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও! ভাল থাকবেন!