কুত কুত কুত কুতকুত কুত
বাবা মায়ের বাধ্য পূত;
মানুষ হ’রে নয়রে ভূত,
কুত কুত কুত কুতকুত কুত।
কুত কুত কুত কুতকুত কুত
মরলে আত্মা হয় ফুড়ুৎ;
এই কথাটার নাইরে রুট,
কুত কুত কুত কুতকুত কুত।
কুত কুত কুত কুতকুত কুত
শুনিস অনেক কথাই ঝুট;
শুনে শেখায় রয় যে খুঁত;
কুত কুত কুত কুতকুত কুত।
কুত কুত কুত কুতকুত কুত
না বুঝে খাস উটের মূত;
দিসনে হতে নিজকে লুট,
কুত কুত কুত কুতকুত কুত।
কুত কুত কুত কুতকুত কুত
বাপমা দ্যাখো পাকায় ঘুট;
রইলু বেঁচে ধম্মে যুৎ,
কুত কুত কুত কুতকুত কুত।
কুত কুত কুত কুতকুত কুত
কথা কোন নয়রে কূট;
কুত কুতা কুত কুতকুত কুত,
করিস না আর পুতুরপুত।
ছোট বেলায় দু’টো খেলা আমার প্রিয় ছিল, কুতকুত আর দাড়িয়াবান্ধা। তো সেই কুতকুত নিয়ে আপনার ছড়া, ছড়ার মধ্যে
এমন করে বলা,তখন আর তাকে যেনতেন ছড়া মনে হয় না, “কাঁচের শিশি ভাঙ্গা আর দেশ ভাঙ্গার” মত সেই বিস্ময়কর ছড়া হয়ে ওঠে।
আরো আরো লেখার অপেক্ষায়।
@স্বপন মাঝি,
চমৎকার মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো থাকুন (D)
কুত কুত খেলা পাগলের মতন খেলতাম। অন্যান্য খেলার মতন এটাও একটা নেশা ছিল। কবিতা পড়তে গিয়ে সেই আগের মতন নিশ্বাস বন্ধ করে এক নাগাড়ে কুত কুত কুত কুত বলে যাচ্ছিলাম। (হাসি)
কথাতা বড়ই সত্য, তাই বড়ই সুন্দর। 🙂
@ছিন্ন পাতা,
মা বাবা ভাই বোন আর পরিবারের খুব কাছের মানুষরাই কিন্তু এই ধর্ম ভয় আর বিশ্বাস কোমলমতি শিশুদের মনে ঢুকিয়ে দেয় কর্তব্য ভেবে। ভালোমন্দ চিন্তা করবার ভাবনাও ভাবেনা। কি দুঃখজনক। কি অদ্ভূত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো (F) থাকুন
হা হা হা বাল্য বয়সে দেখিছি বাচ্চা ছেলে মেয়েরা মাটিতে ঘর করে কুত কুত খেলতে এখন দেখি কুত কুত নিয়ে মজার কবিতাও হয়। 😉
@রাজেশ তালুকদার,
আপনি খেলেন নাই নাকি? আয় হায়, কি যে মিস করছেন ভাই, এখন টো আর কুটকুট ফাইবেন না (O)
কুত কুত অর্থ কি?
@তামান্না ঝুমু,
পুত পুত এর উল্টোটা কুত কুত হতে পারে। কুতঘর জয় না করে এগুনো যাবে না, আর কুত কুতের ঘর মেয়েদের দখলে। মেয়েরা বাবা মায়ের ভ্যান্দা মার্কা বাধ্য ছেলেদের কাছ থেকে টোল বা ফি আদায় করেই মেয়েরা ওদের সেতু পারের অনুমতি দেবে :))
এইটা কি????? :-Y :-Y
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এইটা ছড়া। মেয়েরা ভ্যান্দা গুলারে ব্যাঙ্গ করছে।
আমার মনে হয় মা বাবারাই (বেশীর ভাগই) একটি শিশুর মুক্তমনে বেড়ে ওঠার পথে সবচে বড় বাধা। ওরা লাল নীল হলদে জামা কিংবা জুতা, শিশু কোনটা নেবে জিজ্ঞেস করে, কিন্তু ধর্ম ঠিকই চাপিয়ে দেয়। ভয় ঢুকিয়ে দেয় শিশুমনের গভীরতম জায়গায়। এটা থেকে শিশুর বের হওয়া খুব কঠিন।
এখন মাথা ঠোকা বন্ধ করে একটু দাঁত দেখান প্লিজ। ছড়াটা আরো দু চার জনকে দিলে খুব খুশী হব। ভালো থাকুন। (C)
এ কী দেখি কারবার কবি হল ছড়াকার
মার মার কাট কাট পণ্ড হল ধম্মহাট ।।
@অরণ্য,
করবেন না ভাই হাহাকার
এই হাটে ধম্ম একাকার
নজর আছে যার দেখার
দেখবে সে যে বারেবার :))
ছোটবেলা মাটিতে ঘর এঁকে মাটির চাড়া দিয়ে কুতকুত কুত খেলতাম। কবিতায় সেই কুতকুতের ব্যবহার অপূর্ব।
@গীতা দাস,
ছড়াটা ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো।
একটু ছোট হলে হয়ত ভালো হত। যাকগে, মজা করতে করতে হঠাৎ লিখে ফেলা আরকি।