আমি সর্বশক্তিমান আল্লাপাক।
আমার নিজের নামেই শুরু করা যাক।

আমি প্রত্যেক নবীর তরে
বানাইয়াছি দুষ্ট মানব ও দুষ্ট জ্বিন।
যাতে ওরা জাতিকে ধোঁকা দিতে পারে।
দুষ্টরা বড্ড হীন।
ভেবে দেখ দোষটা কাহার,
যাহারা দুষ্ট তাহাদের
নাকি যে দুষ্টকে বানাইয়াছে তাহার?

আমি যাকে ইচ্ছা ইসলাম দ্বারা
তাহার অন্তঃকরণ করি প্রসস্ত।
যাকে ইচ্ছা কুফরিতে করি সংকুচিত।

যারা আমার আয়াত করেছে বর্জন
তাদের তরে আকাশের দ্বার করিবনা উন্মোচন।
আসলে মহাবিশ্বে কোন আকাশ নাই।
এর পুরোটাই উন্মুক্ত। তাই
দ্বারোন্মোচনের কোন দরকার নাই।
আজকাল বেদনাভরা চক্ষে দেখতে পাই
কাফেরগণই আকাশে আকাশে ঘুরিয়া বেড়ায়।
ওদের জ্বালায়
আমি এখন আকাশ ছাড়িয়া কোথায় যাই?

কাফেরদিগে আমি সুঁইয়ের ছিদ্রে
উট প্রবেশ করানোর মত
উদ্ভট শাস্তি দিব।
তোমরা চিন্তা করতে পার,
যে সুঁইয়ের ছিদ্রে উট প্রবেশ করে
সেই সুঁইটা কত বড়!

ওদের জন্য পেতেছি অনলের শয্যা।
আচ্ছাদনেও জ্বালাইবো অনল।
এইভাবেই দানিব আমি অবিশ্বাসের প্রতিফল।

দোজখীরা চিৎকার করিবে
একবিন্দু পানীয় বা একবিন্দু খাদ্যের তরে।
কিন্তু সেথায় খাদ্য-পানীয় হারাম করেছি চিরতরে।
বেহেস্তবাসীরা যথেচ্ছা খাইবে
যথেচ্ছা করিবে অপচয়।
বলিবে, এত খাবার কীভাবে খাইবো?
দোজখীরা খাদ্য খাদ্য করিয়া চিৎকার করিবে।
পাইবেনা কিছুই। শুধুই মার খাইবে।
আর বলিবে, ভীষণ খিদে কী খাইবো?

আমার কুদরতে মুসা ছিল
এক বিস্ময়কর সাপুড়ে।
তার হাতের লাঠি ছুঁড়িলে
তাহা পরিণত হইত বিশাল অজগরে। হায়রে!
মুসার সেই কেরামতি লাঠি
আজ গিয়েছে হারায়ে।
উক্ত লাঠির তরে আমার প্রাণ কেমন করে।
সেই লাঠি যে খুঁজিয়া পাইবে
তাহাকে ভূষিত করিব দুর্লভ পুরষ্কারে।