জলবতী মেঘের মত ভার হয়ে থাকে মন,
উষ্ণতার অভাবে ঝরতে পারিনা।
প্রবাহহীন শৈত্য জমাট বেঁধে থাকে শুধু শুধু,
বাতাসের অভাবে বইতেও পারিনা।
টিপ টিপ টিপ বৃষ্টিও ভুলে গেছে আমাকে,
জবাবদিহি দেবে না বিদ্রোহের।
নির্লিপ্ত দেয়া নেয়া ভাব আড়ি কাটাকুটি,
বন্ধুহীনতা অস্বীকার করি একাকী।
বাষ্পকণারা বদলেছে স্বভাব মিশবেনা আর ছোট হয়ে,
দৃষ্টিসীমায় অর্থহীন ভেসে থাকা।
এতটা অপ্রয়োজনীয় দূরাগত রঙধনুও অবজ্ঞা করে আমাকে
স্থবির, ভাসমান, জলবতী মেঘ।
গোস্তাকি মাফ করবেন কবি হুজুর জাঁহাপনা আপনার অনুমতির তোয়াক্কা না করে (হাতের কাছে পাবেন না জেনে) আমি আরো দু’একটা কথা যোগ করে ছাড়লাম :))
এতটা অপ্রয়োজনীয় দূরাগত রঙধনুও অবজ্ঞা করে আমাকে
স্থবির, ভাসমান, জলবতী মেঘ।
উপচে ওঠে লুকিয়ে থাকা প্রাজ্ঞতার পূর্ণ হিসেব
লক্ষ মিলিয়ন বছর গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব ধরিত্রীর সাথে
দুহাতে উজার করে মাটি, বৃক্ষ, ফুল, হাওয়া শুধু দিয়েই চলে
সময়ের মেঘে ভেসে, চায়না কিছুই।
উজানে বয়ে চলা অসীম সময়ের খরস্রোতা নদীতে
কয়েক বিন্দু ভবিষ্যত চিন্তায় শুধুই দিশেহারা
ভীষম ভয় পাই মিশে যেতে মাটিতে না হয় হাওয়াতে
কিছু দিন আগে না হয় পড়ে শুধু একা।
@রাজেশ তালুকদার,
রিস্ক খানা ভালই নিয়েছেন
হাতের কাছে পেয়ে নিই,
উত্তরটা দিয়ে দেব তখনই
দেখবেন ওটা কেমন যুৎসই :-X
কবিতার কি বুঝি, কতটুকু বুঝি, আদৌ বুঝি কিনা অজানা।
তবে এটা বুঝলাম কিছু কিছু জলবতী মেঘ আরেকজনের মনকেও ভারী করে দেয়।
(জলবতী মেঘের জন্য মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। আহারে…)
যেহেতু মেঘটি জলবতী, তাই কতটুকু প্রাসঙ্গিক না জেনেই সমরেশের ভাষায় শ্রীকান্তের গলার এ বাক্যগুলো তুলে ধরতে ইচ্ছে হলো –
“কেউ কেউ বড় একা,
আকাশের মত একা,
এক বুক মেঘ নিয়েও
জলের পায়না দেখা…”
@ছিন্ন পাতা,
একা হওয়া সহজ নয় মোটেও। আমার তো মনে হয় নিজেকে নতুন করে ফিরে পেতে কখনো কখনো একা হওয়া দরকার। নিজের জন্য পালানো, মনের স্নানের প্রয়োজনে, হয়ত।
জলবতী মেঝের শীতল ছায়া যেন পড়ল মনে। আসলে নবীরাও মানুষ তাঁদেরও মন আছে।
বাষ্পাকনারা শব্দটি মনে হয় এভাবে হবে বাষ্পকণারা। ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
টাইপো ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ, ঠিক করে দিয়েছি হে একদা দূর দ্বীপবাসিনী :))
যুগ-যন্ত্রণায় ভার হয়ে থাকা মনটি ছুঁয়ে গেছে কবিতাটি।
@গীতা দাস,
মন্তব্যের খাতায় আপনাকে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো আবার (C)
জানিনা কবি কি বোঝাতে চেয়েছেন।নিজের অন্তরে মুক্তি খুজে পাওয়াই বুঝি এই কবিতার উদ্দেশ্য।
@ovro banarjee,
একটু উষ্ণতার খোঁজে আপনার আন্তরিক মন্তব্যটির কাছে ফিরে আসব।
মানুষের ভার সইতে না পেরে, পৃথিবী ভগবানের কাছে নালিশ করলো। ভগবান বললেন, তথাস্তু। তারপরের কাহিনী সবার জানা – কুরুক্ষেত্র।
আজকে ভগবানও নেই, পৃথিবীর নালিশ করার জায়গাও নেই। মানুষের ভার কে লাগব করবে?
এ কি মৃত-পথযাত্রী পৃথিবীর নিঃসঙ্গ আর্তনাদ, ঠিক ‘জনারণ্যে একা’ কবি-র ,মত?
এ কি পৃথিবী-র না কবি-র, কার আকুতি?
লেখাটা পাঠ করতে করতে আমার চোখের সামনে বারবার পৃথিবী ভেসে গেলে, ‘জলবতী মেঘ’ নয়, কবি-র কথায় –
যান্ত্রিক শব্দের উৎসব থেকে একটুখানি মুক্তি দেবার জন্য কবি-কে অনেক ধন্যবাদ।
@স্বপন মাঝি,
আপনার মনের চোখটা কিন্তু ঈর্ষণীয়। বিশ্বউষ্ণায়ন নিয়ে আপনার উৎকণ্ঠার ভাবনাচিত্রটি দেখে আবার আশান্বিত হলাম।
পৃথিবী নামের প্রিয় গ্রহটিকে আমরা যেন সবাই একসাথে ভালবাসতে শিখি।
আপনার অন্যরকম মন্তব্যের জন্য, বিশেষ ধন্যবাদ।
আমার এজের কেউ লিখতো তো ভাবতাম এই সেরেছে কোন মেয়ের কাছে না জানি……… (U)
ভাবছি :-s
@টেকি সাফি,
এটা কি প্রেমের কবিতা? তা’হলে মন্তব্য করে বিপদে পড়লাম। আমি পড়তে পড়তে ভাবলাম, কি জানি, কবি আর পৃথিবী হয়তো এখানে একাকার হয়ে গেছে।
@স্বপন মাঝি,
কবিতার শ্রেনীবিভাগ নিয়ে তো চিন্তা করিনি, :-Y আমি এমনি কাজি ভাইয়ের সাথে ঠাট্টা করছিলাম ::/
@টেকি সাফি,
হা হা হা তোমাদের মন্তব্য দেখে কিন্তু দারুণ মজা পাচ্ছি।
😀