লিখেছেনঃ অবর্ণন রাইমস
[এই লেখাটি ‘দ্যা টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায় প্রকাশিত স্টিভ জোন্সের একটি প্রবন্ধের ভাবানুবাদ। লেখাটির লিংক এখানে।]
কয়েক বছর আগে, আমার হার্নিয়া অপারেশন করা হয়। এমন একটা অভিজ্ঞতা, যেটা প্রতি চারজনের একজন ব্রিটিশ পুরুষের হয়। তার মানে প্রতি একশ জনে পঁচিশ জন, বেশ ভাবানোর মত একটা সংখ্যা। হার্নিয়া এমন একটা রোগ, যেখানে ইনটেস্টাইনের একটা অংশ ঝিল্লি ফুঁড়ে নিচে নেমে আসে, আর নিম্নাঙ্গে বিচ্ছিরি এবং বিপজ্জনক একটা স্ফীতি তৈরি হয়। অপারেশনের কাজটা একজন সার্জনের, নিঃসন্দেহে উনি আগেও আরো কয়েকশ বার একই জিনিস করেছেন।
কিন্তু, এতো বেশি মানুষের এই সমস্যাটা হয় কেন? কাহিনীর শুরু আসলে অনেক আগে, যখন আমাদের পূর্বপুরুষেরা সাগরে সাঁতরে বেড়ানো মাছের পর্যায়ে ছিল। সেই ‘গেছে যে দিন সুখে’র সময়ে, জননকোষ বা অন্ডকোষ শরীরের অনেক গভীরে, লিভারের কাছাকাছি জায়গায় ছিল(আমাদের জলজীবি আত্মীয়দের মধ্যে এখনো ঠিক তেমনি আছে)। দুটো সোজা নালিকার মধ্য দিয়ে এই জননকোষগুলো বাইরের সাথে যুক্ত ছিল। তারপর ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটল। জলজীবন থেকে প্রাণ উঠে এল ডাঙায়, শীতল রক্ত থেকে উত্তরণ ঘটল উষ্ণ রক্তে। এই পরিবর্তনের অনেক সুফল ছিল। তবে পুরুষ সদস্যদের জন্য একটা সমস্যাও একই সাথে দেখা দিলো। সমস্যার কারণ অন্ডকোষ- শুক্রাণু উৎপাদনের এই জটিল যন্ত্রপাতি- কম তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে(সম্ভবত ডিএনএ কপি করার কাজে ভুল কম রাখার জন্য এই ব্যবস্থা)। রক্ত উষ্ণ হওয়ায় এই কাজে কিছুটা ভজঘট হয়ে গেল।
কিছুটা জগাখিচুড়িভাবে সমাধান হল এই সমস্যার। বিবর্তনের ধাপে ধাপে অন্ডকোষ নিচের দিকে নেমে এলো, শরীর থেকে বেরিয়ে এসে তৈরি করল এলিগ্যান্ট অন্ডথলি (এই জায়গাটায় এসে ছাত্রদের পড়াতে আমি ভুলি না- কাজের দিক থেকে হোক আর দেখার দিক থেকে হোক, পুরুষের শরীরে এটাই সবচেয়ে ‘কুল’ অংশ… আহেম!)। এই নেমে আসার পথে, সেই যে টিউবগুলো ছিল, সেই টিউবগুলো শ্রোণিদেশের(কোমরের ঠিক নিচে) হাড়ের চারধারে অনেকবার পাক ঘোরে, শরীরের ভেতরে একটা পর্দার মতো অংশ তৈরি করে তোলে। বেশ দুর্বল একটা জায়গা এই পর্দাটা, ইনটেস্টাইন যে জায়গাটা প্রায়ই ছিঁড়েখুঁড়ে বেরিয়ে পড়ে।
কাজেই, হার্নিয়া হচ্ছে এভোলুশন বা বিবর্তনের একটা অসমাপ্ত প্রক্রিয়ার ফলাফল, যেখানে সমন্বিত হয়েছে ধাপে ধাপে ঘটা অসংখ্য ‘সফল কিন্তু ভুল সিদ্ধান্ত’ এবং বৈরি পরিবেশে মানিয়ে চলার ক্রমাগত চাপ। তবে সার্জনের এত কিছু জানার দরকার হয় না। সমস্যার গোড়ার কথাটা না জেনেই, ‘ওরিজিন ওব স্পিশিজ’ প্রকাশিত হবার অনেক আগেই, প্রথম হার্নিয়া অপারেশন করা হয়ে গিয়েছে। আর আমার মনে হয়, যে ডাক্তার আমার অপারেশনটা করেছিলেন, তাঁরও এসব জানা ছিলো কিনা সন্দেহ!
এখন, আমাদের হাতে এসেছে এভোলুশন, জীববিজ্ঞানের গ্রামার, ব্যাকরণ। কিন্তু দিনকেদিন, অনেক ছাত্র এটা আর পছন্দ করে উঠছে না। আমি এখন আর মেডিকেল বিষয় পড়াই না, তবু অনেক জীববিজ্ঞান ছাত্রের সাথে যোগাযোগ আছে, বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে এবং স্টুডেন্ট কনফারেন্সে নিয়মিত যাওয়াও হয়। গত দশক জুড়ে আমি দেখেছি- অনেক মানুষ আধুনিক বিজ্ঞানের এই সত্যগুলোকে মেনে নিতে পারছে না।
লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজে আমাদের বেশ কিছু মুসলিম শিক্ষার্থী আছে। তাদের প্রায় সবাই নিবেদিতপ্রাণ, কর্মঠ মানুষ। এদের মধ্যেই কিছু মানুষ, দুর্ভাগ্যক্রমে, ধর্মবিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক বলে ডারইউনের সূত্রকে ত্যাগ করতে চায়। কিছু খ্রিস্টান ছাত্রও এই কাজ করে থাকে। এমনকি কয়েক বছর আগে এক তুর্কি এভোলুশনবিরোধী বক্তাকে(যতদূর মনে পড়ে, কোনো এক ড. বাবুনা) ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ করা হয়, ‘দ্যা ওরিজিন’ কেন ভুল সেটা বলার জন্য। উনি নিজের দেশের এভোলুশনবিরোধী একটা বিত্তশালী সংগঠনের অনুগামী। এই সংগঠন সুন্দর ছবিওয়ালা হাজার হাজার সৃষ্টিতত্ত্ববাদী(creationist – যারা দাবি করে প্রাণ বিবর্তিত হয়নি, সৃষ্ট হয়েছে) বই ছড়িয়ে বেড়ায় এবং ডারউইনিজমকে নাৎসিইজম বা আরো খারাপ কিছুর সাথে তুলনা করতে পছন্দ করে।
তাদের এসব প্রোপাগান্ডা খ্রিষ্টান মৌলবাদ থেকে তুলে আনা হয়েছে, আর কারা সেটা ব্যবহার করছে, সেবিষয়ের আইরনিটা চোখ এড়াবার নয়। আমি দুপক্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট ছাত্রদের দিক থেকেই ‘ধর্ম বিনাশের’ মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। আরো কিছু ছাত্র আছে যারা আমার সাবজেক্টের লেকচারগুলো থেকে অব্যাহতি নিতে চায়, অথবা সরাসরি অগ্রাহ্য করতে চায়।
স্কুল কলেজের অবস্থা আরো খারাপ: লেকচারে অংশ নেবার চেয়ে চলে যেতে তাদের উৎসাহ বেশি। শিক্ষকদের মধ্যেও অনেকে এই কাজের কাজী। আমি সবচেয়ে বিষাক্ত আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিলাম উত্তর লন্ডনের একটা নামী স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষক- অন্য শিক্ষকদের বিব্রত করে তোলা একজন- তার কাছে। তিনি আমাকে আটকাতে চেষ্টা করেছেন বারংবার একই কথা বলে- ডারউইনিজম নাকি থার্মোডিনামিক্সের সূত্রের সাথে সাংঘর্ষিক। স্বভাববিরুদ্ধভাবে, আমি রূঢ় হতে বাধ্য হয়েছিলাম।
যে কেউ, অবশ্যই যা ইচ্ছে তা বিশ্বাস করতে পারে। কিন্তু তাহলে জীববিজ্ঞানী বা ডাক্তার হবার মানে কী, যেখানে তুমি তোমার সাবজেক্টের মূল স্বীকার্যকেই অস্বীকার করতে চাও? একজন ইংরেজির ছাত্রের ইংরেজি গ্রামার অবিশ্বাস করাটা যে রকম, বা একজন ফিজিক্স ছাত্রের অভিকর্ষ বল অস্বীকার করাটা যেরকম, জীববিজ্ঞানের একজন ছাত্রের এভোলুশন মেনে নিতে অস্বীকার করাটাও ঠিক তেমনি। এই অস্বীকারের কোনো মানেই দাঁড়ায় না। একই কথা ডাক্তারদের ক্ষেত্রেও খাটে। তুমি একটা শরীরকে ঠিক করবে কীভাবে, যখন শরীরের এই বিগড়ে যাবার গোড়ার কথাটাই তুমি জানো না?
আমি আলাদাভাবে ছাত্রদের কাছে জানতে চেয়েছি, আমার লেকচারের কোন অংশটাতে তাদের আপত্তি: উত্তরাধিকারের সূত্রে, বা মিউটেশনে, ম্যালেরিয়া বা ক্যান্সারের প্রতিরক্ষক জীনগুলোর বিষয়ে, বৈশ্বিকভাবে মানুষের ত্বকের রঙ বিভিন্ন হওয়ার ব্যাখ্যায়, নিয়ান্ডারথাল মানবের ডিএনএতে, অথবা বানর গোত্রীয় প্রাণীদের সাথে মানুষের বিবর্তনগত পার্থক্যে? তাদের ভাষ্যে, আলাদাভাবে, প্রতিটা বিষয়ই খুব ইন্টারেস্টিং। তারপর আমি যখন বলি, তাহলে তো তারা ডারউইনের তত্ত্বের পুরো বিষয়টাই মেনে নিচ্ছে, ঠিক তখনই তারা ভীতিকর চিন্তাটা প্রত্যাখ্যান করতে চেষ্টা করে। কেউ কেউ সেইক্ষণেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ভাগ্যিস, বাকিরা চিন্তান্বিত মুখ নিয়ে ফিরে যায়।
সমস্যাটা আসলে কোনো নির্দিষ্ট ‘বিশ্বাস ব্যবস্থা’-র নয়, বরং ‘বিশ্বাস’ বিষয়টার মাঝেই নিহিত। স্যার ফ্রান্সিস বেকন বলেছিলেন, “একজন মানুষ যদি সিদ্ধান্ত নেবার পরে (জানতে) শুরু করে, সে শেষটায় গিয়ে দ্বিধার মাঝে পড়বে। আর দ্বিধা নিয়ে যদি জানার পথে এগিয়ে যায়, তবেই শেষে সিদ্ধান্তটায় গিয়ে পৌঁছুবে।” অন্য কথায় বলতে গেলে, তুমি যদি নিশ্চিত হয়ে বসে থাকো যে, যতই প্রমাণ-উপাত্তের বিরোধী হোক না কেন, তোমার কথাই ঠিক, তাহলে তুমিই শেষে সমস্যায় পড়বে। কিন্তু তুমি যদি বৈজ্ঞানিক সত্যের পরিবর্তনের সাথে নিজের মনকে মানিয়ে চলতে পারো, এই ভুবন কীভাবে কাজ করে সেটা নিয়ে তখন তোমার স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠবে।
আমার মাঝে মাঝে ভাবতে অবাক লাগে, এত মানুষ যে তাদের আদরের সৃষ্টিতত্ত্ব মতবাদ নতুন প্রজন্মের কানে ঢালছে, এদের মাঝে কতজন ভেবে দেখে যে তারা কতখানি ক্ষতি করছে? না, আমার বিজ্ঞানটুকুর নয়, তাদের ধর্মেরই ক্ষতি। সোজাসাপ্টা কিছু সত্যি, যেগুলো ব্যাখ্যা দেয় জীবনের উৎপত্তির মৌলিক কিছু প্রশ্নের, যেগুলো জীবনের উৎপত্তি নিয়ে রূপকথা শোনায় না, সেই সত্যিগুলোর বদলে একজন শিক্ষার্থীর অন্য কোনোকিছু বিশ্বাস করতে হবে কেন? কেন তার প্যাস্টর, রাবাই, বা ইমামের কথায় তাকে সত্যিটার বদলে অন্যকিছু মেনে নিতে হবে? কেন একটা অসত্যে পূর্ণ ধ্যানধারণা লালন করতে হবে, যেখানে এখন আমাদের হাতে অগণিত সত্য, এবং আরো বহু সত্য আবিষ্কৃত হবার অপেক্ষায় রয়েছে?
সত্য-অস্বীকারের এই প্রাবল্য আসলে একটা ব্যর্থতার কাহিনী। শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতা নয়, ব্যর্থতা তাদের শিক্ষকদের, সব শ্রেণীর শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত। আমার মনে হয়, আমরা নিজেদের যথাসাধ্য সেরা চেষ্টা করে চলেছি। তবে বিশ্বাসীদের দঙ্গলের শূন্যসার অজ্ঞতা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, হেরে যাওয়া একটা লড়াই লড়বার চেষ্টা করছি কেবল। কয়েক হপ্তা আগেই একটা উত্তেজক বক্তৃতা দিলাম, “কেন এভোলুশন ঠিক এবং সৃষ্টিতত্ত্ববাদ ভুল” শিরোনামে। তারই শেষে একটা কাঠিন্যপূর্ণ আলোচনা চলে। সেই আলোচনায় এক ছেলে আমাকে একটা কথা বলে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়- বিজ্ঞান সার্বজনীনভাবে অনিশ্চয়তা এবং পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল, এবং বিজ্ঞানী হিসাবে আমার “কেন এভোলুশন ঠিক” এজাতীয় নিশ্চিত সুরে কথা বলা ঠিক হয়নি- এই ছিল তার বক্তব্য। আমি কম্প্রোমাইজ করলাম, বললাম এখন থেকে এই বক্তৃতাটার নাম হবে “কেন এভোলুশন ‘সম্ভবত’ সত্যি, এবং সৃষ্টিতত্ত্ব নিশ্চিতভাবে ভুল”। কেন যেন আমার মনে হচ্ছে, এভাবে আসলে সমস্যাটার সমাধান হবে না।
# অনুবাদে অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহদানে আমি কৃতজ্ঞ- আসিফ মহিউদ্দীন এবং নির্ঝর মজুমদার এর কাছে। ধন্যবাদ তাঁদের।
লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলো। বিবর্তন-বিরোধী মধ্যযুগপন্থী মানুষের শূন্যগর্ভ কথাগুলোও বেশ উপভোগ্য।। 😀
যদি আমি আমার শিক্ষকের কাছে এই বিষয় এ প্রশ্ন করি, তার ফলাফল হবে :guli: । আর আমাদের ১১-১২ শ্রেণির প্রাণীবিদ্যা বই এ এই বিষয় এ ভুল লেখা । আর এই বিষয় এ ভাল ভাবে বোঝার মত কোন বই(বাংলায়) আমি আজ পর্যন্ত পাই নি ।
অনেক উপকারি একটা অনুবাদ । অনেক কিছু জানলাম । এবং আমার নাস্তিকতা সম্ভবত আরও জোরদার হল। ধন্যবাদ । আর অন্ধ বিশ্বাসী হয়ে থাকা নয়। সত্য জানা দরকার সবার । সবার উচিত পোস্ট গুলো শেয়ার করে সকল কে জানিয়ে দেওয়া। নাকে ধন্যবাদ লেখক ।
বিজ্ঞান এগিয়ে যায় আর ধর্ম দিন দিন পেছনে যেতে থাকে, অসাধারন একটা আর্টিকেলের অনুবাদ পড়লাম। ভালো অনুবাদ হয়েছে! আমি দেশের বাহিরের শিক্ষিত বাঙ্গালী মুসলমানেদের আচরনে অনেকটাই বিক্ষুব্ধ। দেশের বাহিরে এরা অনেক বেশি মৌলবাদী!
আমি যে বিশ্যবিদ্যালয়ে গবেষনা করছি(ক্যাম্ব্রিজ) এখানেও দেখি এই বিষয়টার ওপর বিতর্ক লেগেই থাকে।বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটা বিদ্যাপিঠে এমন একটা মুর্খতা carry করা ন্যাক্কারজনক।post টা supppper হয়েছে।
@ সাইফুল ইসলাম,
বুঝলাম না হালার, কয়দিন পরপরই গিয়ানীর আগ্রাসন দেখতাছি মুক্তমনায়
:lotpot: :hahahee:
কারো বুদ্ধিমত্তার লেভেল যদি আপনার সমপর্যায়ের নাহয় তাহলে তার সাথে তর্ক চলেনা। বেয়াদব পোলার কমেন্টগুলা পড়ে আমার ধারনা হইছে উনার সাথে তর্ক করা বৃথা।
লেখাটি ফেইসবুকে আগেই পড়েছিলাম। চমৎকার অনুবাদ হয়েছে। মুক্তমনায় স্বাগতম (F)
ধর্মীয় কিতাবে সত্যি এ যদি বিগ ব্যাং , সুপারনোভা , ভ্রূণবিজ্ঞান, আবহাওয়া বিজ্ঞান পাওয়া যায়, পাওয়া যায় ভুতত্ব, তাহলে কিন্তু আসলেই ভেবে দেখার বিষয়, এত আগের যুগ এর কিতাবে এগুলা আইল কিভাবে, খুব এ অবাক কাণ্ড তো, কিন্তু এগুলা সম্পর্কে যা লেখা আসে তা কি মিলে যায় প্রতিশ্তিত বিজ্ঞানের সাথে, এখন সেটাই দেখার বিষয়, আর বিবর্তনবাদ ক্যান পাওয়া যায়না এই প্রশ্ন করার আগে তো আপনাকে তো আগে প্রমান করতে হবে এটা সত্য ।
কুরআন বিজ্ঞানের গ্রন্থ না, হয়ত কুরআন এ বেশ কিছু আয়াত আছে, যেগুলা বিজ্ঞান সম্পর্কিত। যারা বলে কুরআন বিজ্ঞানের গ্রন্থ, আমি তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করি।
বুঝাই যাচ্ছে আপনি অনেক যুক্তিবাদী, আমি ও যুক্তিবাদী, কিন্তু কোন না কোন পর্যায়ে যেয়ে থেমে যেয়ে কোথাও না কোথাও, কাওকে না কাওকে বিশ্বাস করতে হয় । যেমন : -বিজ্ঞান মহলে পৃথিবীর ঘূর্ণন আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি সত্য। কিন্তু সাত বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ক’জন পৃথিবীর ঘূর্ণনকে স্বচক্ষে দেখেছেন? মাত্র কয়েকজন বিজ্ঞানী ছাড়া বাদবাকী সবাই কিন্তু পৃথিবীর ঘূর্ণনে বিশ্বাস করে। অধিকন্তু, অন্ধরা কীভাবে পৃথিবীর ঘূর্ণনকে স্বচক্ষে দেখবে? পৃথিবীর আকারের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। পৃথিবীতে বসে পৃথিবীর আকারকে গোলকের মতো দেখা যায় না নিশ্চয়। এখানেও কিন্তু বিশ্বাসের প্রশ্ন চলে আসছে। তাই নয় কি? :lotpot:
@বেয়াদপ পোলা,
মজার ব্যাপার হল এইসব বিজ্ঞান শুধু কোরআন নয়, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক, জিন্দাবেস্তা সব গ্রন্থেই অকাতরে পাওয়া যাচ্ছে। সব ধর্মেরই শত শত জাকির নায়েক আছে। তারা সেই সব গ্রন্থের আধুনিক ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদেরকে জ্ঞানের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।
@মুরশেদ, জাঁকির নায়েক আমি এই মুক্ত মনা তে ও কম দেখি না, তারাও মনের মাধুরি মিশাইয়া বয়ান দেই।
@বেয়াদপ পোলা,
এখানে কোনোভাবেই বিশ্বাসের প্রশ্ন আসছে না। আপনার পৃথিবীর ঘূর্ণন বিশ্বাস করার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি অবিশ্বাস করতে এবং পরীক্ষণ করতে স্বাগত। আপনি পরীক্ষণের ব্যবস্থা করুন এবং তথ্য নির্ণয়ের চেষ্টা করুন- বিজ্ঞান একে অবশ্যই প্রতিক্ষণে স্বাগত জানায়। আপনি টাকা জমিয়ে মহাকাশে যান, না পারলে আকাশে গ্রহণ লক্ষ্য করুন, চাঁদের গায়ে পৃথিবীর ছায়া দেখুন, দূরত্ব পরিমাপ করুন আলোর বেগ থেকে, তারপর বলুন পৃথিবী গোলকের মতো গোল নাকি অস্ট্রিচের ডিম পাড়ার জায়গাটার মতো চ্যাপ্টা। এখন বলুন, আপনার ভগবানেশ্বরাল্লা কি আমাকে বিশ্বাস করতে হবে? পরীক্ষণের ব্যবস্থা কী? প্রমাণের উপায় কী? যদি এগুলোর কোনোটাই না থাকে, তাহলে বিজ্ঞানকে “বিশ্বাস” বলে আপনার ধর্মবিশ্বাসটিকে জাতে তোলার চেষ্টা করে লাভ নেই।
আপনার প্রাণপণ হাসিটিতে বিরতি দিয়ে নিজের দিকে আরেকবার ফিরে তাকান, আপনি বিজ্ঞান “বিশ্বাস” করেন হয়ত, পৃথিবীর সবাই কিন্তু আপনার মত নয়। বিজ্ঞান জানতে হয়, বিশ্বাস করার কোনো প্রয়োজন নেই।
@বেয়াদপ পোলা, “একজন মানুষ যদি সিদ্ধান্ত নেবার পরে (জানতে) শুরু করে, সে শেষটায় গিয়ে দ্বিধার মাঝে পড়বে। আর দ্বিধা নিয়ে যদি জানার পথে এগিয়ে যায়, তবেই শেষে সিদ্ধান্তটায় গিয়ে পৌঁছুবে।” অন্য কথায় বলতে গেলে, তুমি যদি নিশ্চিত হয়ে বসে থাকো যে, যতই প্রমাণ-উপাত্তের বিরোধী হোক না কেন, তোমার কথাই ঠিক, তাহলে তুমিই শেষে সমস্যায় পড়বে।
এই কথাগুলো আপনার জন্য ১০০ ভাগ প্রযোজ্য।
ধর্মীয় কিতাবের কোথাও বিবর্তনবাদ এর কথা লেখা নাই, কেও ধর্মীয় কিতাবের মধ্যে বিবর্তনবাদ আবিষ্কার করা শুরু করলে সে ভণ্ড । (*)
@বেয়াদপ পোলা,
ধর্মীয় কিতাবে বিগ ব্যাং পাওয়া যায়, সুপারনোভা বিস্ফোরন পাওয়া যায়, ভ্রূণবিজ্ঞান, আবহাওয়া বিজ্ঞান পাওয়া যায়, পাওয়া যায় ভুতত্ব, আর পাওয়া যায়না বিবর্তনবাদ (নিদেনপক্ষে বিবর্তন)? আপনি ভাই একজন খুবই নিঃসংগ মুসলমান। আপনার সব সতীর্থ মুসলমানেরা বিশ্বাস করে কুরাণে সবই আছে। টিভি দেখুন, দেখবেন ডাঁকসাইটে সব মুসলমান পন্ডিতেরা (কিছু বিজ্ঞানীও, নীচু মানের অবশ্য) বিজ্ঞানময় কুরাণের জয়জযকার গাইছেন। সবাই আবেগে মাথাও নাড়েন। আপনি কি পারবেন মাঠে হাঁড়ি ভাংগতে যে তারা সবাই ভন্ড?। সে সৎসাহস আছে আপনার? আবার কুরাণ নিজেই বলে যে কুরাণে সব আছে। ইহা এক সর্বাং এবং নিখুঁত বই। তাহলে বিবর্তন বাদ যাবে কেন? আসলে ধর্মে বিশ্বাস করতে হলে ভন্ড হতেই হবে কোন কোন এক পর্যায়ে এসে। কারণ যুক্তির পরপন্থী কোন কিছুকে সত্য বলে চালানই টা ভন্ডামী।
@যাযাবর, (Y)
@বেয়াদপ পোলা,
ভাইজান, কুরান যাবতীয় জ্ঞানের আধার। জগতে এমন কোন জ্ঞান নাই যা ‘এই গ্রন্থে নাই’ – একমাত্র ‘All in one” গ্রন্থ। যে কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের আগে তা এখানে পাওয়া যায় না সত্যি, কিন্তু সে আবিষ্কার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তা এখানে অবশ্য অবশ্যই দিবালোকের মত স্পষ্ঠভাবে দেখা যায়। প্রয়োজন শুধুঃ
১) “কঠিন বিশ্বাস এবং কুরানে পূর্নজ্ঞান”।কারন, কুরানের “বাণীকে” প্রয়োজনমত ‘যখন যেমন তখন তেমন সাজে’ নিপুনভাবে জায়গামত বসানোর দক্ষতা থাকা জরুরী।
২) যৎসামান্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞান – থাকলে ভাল, না থাকলেও কোন অসুবিধা নাই। কারন ইন্টারনেট যুগে
কোন্ কোন্ বিজ্ঞানী ‘সেই’ আবিষ্কারের সাথে একমত বা দ্বিমত করে তা বের করতে মোটেও বেগ পেতে হবে না।ব্যাস, পক্ষের নামগুলো জায়গামত বসায়ে দিলেই কেল্লা ফতে!
এই দুটি প্রতিভার অধিকারী হলে “সুপারনোভা বিস্ফোরন, ভ্রূণবিজ্ঞান, আবহাওয়া বিজ্ঞান, ভুতত্বজ্ঞান” ইত্যাদি জ্ঞান যেমন করে কুরানে পাওয়া গিয়েছে তেমন করেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই “বিবর্তন-জ্ঞান” ও কুরানে পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ। কারন, মহাজ্ঞানী আল্লাহ কুরানে এরশাদ করেছেনঃ
‘ইসলামী পন্ডিতদের” প্রতিভা বিশাল। সেদিন আর বেশী দূরে নয় যেদিন ‘এই আয়াতটিকে’ মনের মাধুরী দিয়ে ব্যাখা করে “পুরা বিবর্তন তত্ব এবং তথ্য” আল্লাহ পাক কিভাবে “অত্যন্ত স্পষ্ঠভাবে” সেই ১৪০০ বছর আগেই এত নিখুতআবে বর্ননা করেছেন তা প্রমান করে ‘কুরান যে সত্যিই আল্লাহর বানী’ তা
প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বাসীদের নতুন চমক দিতে কোনই অসুবিধা হবে না।
জানা না থাকলে দেখুন এখানে।
আপনার মন্তব্যগুলো আমি বেশ উপভোগ করছি। তবে আমার মনে হয় কুরান এবং বিজ্ঞান বিষয়ে আর একটু পড়াশুনা করলে আরো ভাল লাগতো।
@বেয়াদপ পোলা,
আগে বলেন মুক্তমনার বিবর্তন আর্কাইভ পড়ছেন?
যদি না পইড়া থাকেন, তাইলে পইড়া আসেন। আর যদি পইড়াই থাকেন তাইলে এখানে ফাউল সময় নষ্ট কইরেন না। আপনে যেই ইস্কুলের পোলা এহেনে হেই স্কুলের মাস্টাররা আড্ডা দেয়। বড়দের আড্ডায় ঝামেলা কইরেন না। আফনের প্রশ্নডি তো নতুন কিছু না। নতুন কিছু থাকলে কন নাইলে অফ যান।
বুঝলাম না হালার, কয়দিন পরপরই গিয়ানীর আগ্রাসন দেখতাছি মুক্তমনায়। :-s
ভবঘুরে
কেও আনেক কিছু জানলে সে কি এইভাবে এই ভাবে বলে নাকি আমি অনেক কিছু জানি তাই আমি নাস্তিক আর তোমরা আস্তিক, তো নিজেরে তো বিরাট কিছু মনে করা শুরু করছেন, তো আপনের মত বিজ্ঞের কাছে প্রশ্ন, আপনার নাস্তিকতার ভিত্তিতে বীজ বপন আর ফসল উৎপাদনের মাঝে আর কোন শক্তির অবদান আছে কি না? থাকলে সেই শক্তির পরিচয় কি? নিজেকেই মহা শক্তিশালী ভাবা আর “আমি রিমোট টিপি বলেই টিভি চলে এখানে টিভি স্টেশনের প্রয়োজন কি?” এ’রকম ঘোষনা দেয়াটাই স্বল্প জ্ঞানের ভয়ঙ্কর ফল।
কি দরকার অইখানে জায়া আবার কাঁঠাল পাতা চিবানো , এইখানে চিবাইয়া মজা পাইতেছি কারন এইখানে একশাতে কাঁঠাল পাতা চিবানো অনেক সঙ্গী পাইছি, এক লগে চিবাইতে মজা, কিন্তু কুলাইতে পারতেছি না কারন উনারা দীর্ঘদিন ধরে চিবাইয়া অভ্যস্ত । :lotpot:
@অবর্ণন রাইমস,
লিখাটি খুব ভাল লাগলো। প্রাঞ্জল, সাবলীল ও সুখপাঠ্য অনুবাদ। (F)
@বেয়াদপ পোলা
অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে… :clap তবে এও দেখতে হবে যে সে বিশ্বাস কতটা যুক্তি নির্ভর এবং প্রমাণ সাপেক্ষ্য।
সত্যি অবাক লাগেছে এবং বেশ উপভোগ্যও বটে আপনার যুক্তিগুলো..চলতে থাকুক এই তর্ক…থামাবেন না দয়া করে..কারণ আপনার মন্তব্য এবং এর জবাব গুলো আমাদের মত সাধারণ পাঠকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দেবে।
আপনাকে অভিনন্দন জানাই আপনার মন্তব্যগুলোর জন্য… শেষ অবদি ছেরে দেবেন না যেন।
@ লেখক,
আপনাদের এই সব শ্রমসাধ্য কর্মগুলো শুধু প্রশংসা নয়..জাতির কৃতজ্ঞতারও দাবি রাখে।
ধন্যবাদ জানাই অন্তর থেকে।। (F) (F) (Y)
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পিডিএফ এখানে ।
চমৎকার অনুবাদ। ধন্যবাদ এরকম একটা লেখার অনুবাদ করার জন্য। যদিও বাংলা লেখাই ভাল। তবু মূল লেখাটা সংগ্রহে রাখতে চেয়েছিলাম। ওটার pdf কি পাওয়া যাবে?
@ বেয়াদপ পোলা,
আমার ধারণা মানুষ বিবর্তনকে বিরোধিতা করে শুধু ধর্মের কারণে নয়, সম্ভবত না জানার কারণেও। আপনি এর বড় প্রমাণ। আপনার মন্তব্যটি পড়ে টাস্কি খাওয়ার অবস্থা।
আর এই বিবর্তন নিয়া কথা আমি অনর্থক মনে করি, কাল্পনিক সাবজেক্ট নিয়া কথা বলতে ভালো লাগে না ।
বিবর্তনের উদাহরণ কিন্তু ভুরি ভুরি, আর কোন উদাহরণ কিভাবে কাল্পনিক হবে। বিবর্তন মানে হল জীবের যে কোন ধরনের পরিবর্তন যা পরবর্তী প্রজন্মে ঐ পরিবর্তন বহন করে। বাংলাদেশে উন্নত জাতের বেশী দুধ পাওয়া যায় যে সমস্ত গরুতে, সেগুলো কিন্তু আল্লাপাক দুনিয়াতে পাঠায়নি। মানুষ ইচ্ছামাফিক পরিবর্তন করেছে। বাংলাদেশে ধানের জাত পরিবর্তন করে বেশী উৎপাদনশীল জাত তৈরি করতে না পারলে বাঙ্গালীরা মরে ভুত হয়ে যেত। কৃত্রিম জীন পরিবর্তনের মাধ্যমে আজকাল অহরহ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর পরিবর্তন হচ্ছে। ল্যাবরেটরিতে যে পরিবর্তনটা হয় অল্প সময়ে, প্রাকৃতিকভাবে সে পরিবর্তনটা হয় দীর্ঘ সময়ে। তাছাড়া ল্যাবে পরিবর্তনটা করা হয় শুধু ভাল গুণাবলীর জন্য আর প্রকৃতিতে তা পরিবর্তন ঘটে রেন্ডমলি এবং পরিবেশের সাথে যে পরিবর্তনগুলো খাপ খাওয়াতে পারে তারা টিকে যায়, অন্যরা মারা যায়।
আর প্রাকৃতিক ভাবেও জীবের যে পরিবর্তন হয় তারও অজস্র উদাহরণ আছে প্রকৃতিতে।
আপনি কিসের ভিত্তিতে বিবর্তনকে কাল্পনিক বলছেন আমি জানিনা। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় একটি প্রমাণও পাবেন না, যেখানে বিবর্তন ভুল প্রমাণ হয়েছে। মৌখিকভাবে সারা দুনিয়ার মানুষ বিবর্তনকে ভুল বললেও বিবর্তন ভুল হবেনা যতক্ষণ না কেউ পরীক্ষার মাধ্যমে তা ভুল প্রমাণ করে।
অথচ এর সপক্ষে মিলিয়ন মিলিয়ন প্রমাণ পাবেন। আর আপনি নিশ্চয় জানেন, কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ভুল প্রমাণের জন্য একটি উদাহরণই যথেষ্ট।
আমার অনুরুধ আপনি এর বিপক্ষে পরবর্তী মন্তব্য করার আগে মুক্তমনার বিবর্তন আর্কাইভটি পড়ে নিন। কোন তত্ত্ব না বুঝলে অথবা আপনার যুক্তিতে কোন তত্ত্ব ভুল মনে হলে প্রশ্ন করুন। অথবা নিজেই কোন একটি পরীক্ষা করে বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করে নোবেল প্রাইজটি নিয়ে নিন। অথবা বিবর্তন বিষয়টি আপনার ভাল না লাগলে এ বিষয়ে উল্টা-পাল্টা না বলে এর বিরোধিতা করে হতে বিরত থাকুন।
@হেলাল, অতিসাধারণ অর্থে ‘বিবর্তন’ বলতে বুঝায় সময়ের সাথে সাথে কোন কিছুর পরিবর্তন। এ অর্থে এন্টিবায়োটিক সহনশীলতা (Antibiotic resistance) অথবা ভাইরাসের (যেমন ফ্লু বা এইচআইভি) মিউটেশনকে বিবর্তন (evolution) বলা যায়। কিন্তু এ-ধরণের বিবর্তন দিয়ে ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদকে ফ্যাক্ট বা ধ্রুব-সত্য হিসেবে প্রমাণ করা যায় না। কিন্তু বিবর্তনবাদীরা এ-ধরণের উদাহরণ দিয়েই জনসাধারণকে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব সম্পর্কে সম্যক ধরণা দিয়ে থাকে! মজার বিষয় হচ্ছে ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদকে ‘সূর্য উঠা বা অস্ত যাওয়ার মতো সত্য’ প্রমাণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করা হচ্ছে। বিবর্তনবাদকে স্রেফ বিজ্ঞান হিসেবে ধরলে সেখানে প্রশ্ন করার অবকাশ আছে। প্রসঙ্গত, “জড় পদার্থ থেকেই প্রাণের উৎপত্তি” – এ বিশ্বাস প্রায় ২০০০ বছর পর্যন্ত বিজ্ঞানী-মহলে প্রতিষ্ঠিত ছিল। উনবিংশ শতকের শেষের দিকে ডারউইনের “প্রজাতির উৎপত্তি” প্রকাশের পাঁচ বছর পরে বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর একটি অতি সাধারণ পরীক্ষার (যা বকনল পরীক্ষা নামে পরিচিত) মাধ্যমে হাজার বছরের বিশ্বাসকে চূর্ণ করে দেন। কিন্ত বিবর্তনবাদ নিয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন করলে আপনার মতো বিবর্তন মৌলবাদীরা তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন। রাগ প্রশমনে সাধারণত তারা প্রশ্নকারীর অজ্ঞতাকে ফুটিয়ে তোলার অপচেষ্টা করেন। তাদের কিছু কমন শব্দগুচ্ছ হচ্ছে- You are such an ignorant, You don’t know anything about biology, Are all those thousands of famous scientists wrong? বিবর্তনবাদ যদি বিজ্ঞান-ই হয়ে থাকে তবে তো এত আবেগ-প্রবণ হওয়ার কারণ নেই। তার মানে বিবর্তনবাদ কি আপনের নাস্তিকতা নামক ধর্মের ভিত্তি? :-O হায় হায় :-s
@বেয়াদপ পোলা,
আভিধানিক অর্থ দিয়ে বিবর্তন ব্যাখ্যা করার চেষ্টা, বলি অপব্যাখ্যার চেষ্টা, বিজ্ঞানের সাথে আপনার অসংশ্লিষ্টতা প্রকাশ করে। আপনাকে মূলত দুটো কথা বলা হয়েছে।
এক. বিবর্তন নিয়ে যথেষ্ট না জেনে থাকলে মুক্তমনার বিবর্তন আর্কাইভটা পড়ে নিতে পারেন।
দুই. বিবর্তন ভুল প্রমাণ করে এরকম একটা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার উল্লেখ করতে পারেন।
আপনি এই দুই পথের কোনোদিকে না গিয়ে ‘বিবর্তন মৌলবাদী’, ‘আবেগ’ ইত্যাকার শব্দসহযোগে কথা ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। একটা বিষয় একজন মানুষের না জানা থাকতে পারে, সেটাতে দ্বিধার কিছু নেই। জেনে নেবার রাস্তাটা সবসময়ই খোলা থাকছে। এবং, যদি ধরে নিই আপনি জানেন, তাহলে আপনার কথা ঘোরানোর প্রয়োজন পড়বে কেন? আপনি তাহলে দ্বিতীয় রাস্তায় গিয়ে বিবর্তন ভুল প্রমাণ করে এরকম একটা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা মৌলবাদীদেরকে দেখিয়ে দিন না!
@অবর্ণন রাইমস, বেয়াদপ পোলা;
আমার ধারনা আপনার হতাশাটা অন্য জায়গায়।
এই হতাশার কারনে আপনি বিবর্তন মৌলবাদীদের ভুত দেখছেন।
বিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে গবেষনা উনবিংশ শতাব্দীতে থেমে থাকেনি, প্রতিনিয়ত এটি নিয়ে কাজ হচ্ছে, হবেও। এর কোন প্রমানের আর দরকার নেই। জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় এতো বিশাল গবেষনার ভান্ডার সম্বন্ধে সামান্য কিছু ধারনার উপর একটি একপেশে মন্তব্য করাটাই আবেগের উদ্রেক করে। আমি বা আপনি তো একজন সাধারন ব্যক্তি মাত্র; বর্তমানে বায়োমেডিকেল সায়েন্সের সুফল ভোগকারী প্রভাবশালী পলিসি মেকাররা ধর্মীয় মৌলবাদীদের অবৈজ্ঞানিক যে আবদারগুলোর তাবেদারী করছে তা বিজ্ঞানের জন্য ভালো না, পৃথিবীর ভবিষ্যতের জন্য ভালো না। এখানেই আবেগের ব্যপারটা চলে আছে। আবেগের ব্যপারটায় তো কারো নিজস্ব সম্পত্তি না, সুতরাং বিজ্ঞানের স্বার্থে এই আবেগটারও দরকার আছে। আর যতই আমরা আবেগ দেখাই বা না কেন বিবর্তনের ফ্রেমওয়ার্কে গবেষনা চলবেই, আর এর সুফলটা ভোগ করবে আমি আপনি সবাই।
নাস্তিকতার ভিত্তি হিসাবে বিবর্তন তত্ত্বকে ব্যবহার করা হয় এটা স্পষ্টতই আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতার ফসল। কারন নাস্তিকতার ভিত্তি বিবর্তন তত্ত্ব না। এর ভিত্তি দর্শনে, মনোবিজ্ঞানে, মনোচিকিৎসাবিজ্ঞানে।
@অবর্ণন রাইমস
দুঃখিত উপরের মন্তব্যটা বেয়াদপ পোলার জন্য;
দুটো নাম এসে গেছে। 🙂
@কাজী মাহবুব হাসান, আপনার মন্তব্য টা ভালো লেগেসে, আপনি বললেন , নাস্তিকতার ভিত্তি বিবর্তন তত্ত্ব না। এক্ষেত্রে একজন আস্তিক কে যদি প্রশ্ন করা যাই দুনিয়া তে কিভাবে এলে, সে বলবে স্রষ্টার কথা, কিন্তু এই একি প্রশ্ন যদি নাস্তিক কে করা যাই তাহলে তার উত্তর সে কি দিবে?
@বেয়াদপ পোলা, আপনার এই প্রশ্নটার মধ্যে চাতুরী আছে একটা।
কিন্তু আপনাকে যেটা বুঝতে হবে সেটা হলো একজন নাস্তিকের কাছে এই প্রশ্নটাই অর্থহীন। প্রশ্নটার গুরুত্ব আছে যারা আস্তিক, তাদের কাছে। অবশ্যই তর্কের খাতিরে করা যেতেই পারে, এবং এ নিয়ে কোন নাস্তিক আপনার সাথে দীর্ঘ সময় বিতর্কও করতে পারে। প্রয়োজনে সে বিবর্তনের ব্যাখ্যাও ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু সেটাই যে তার অবিশ্বাসের ভিত্তি এটা বলা যাবে না। আমি সেই অর্থেই ভিত্তি শব্দটা ব্যবহার করেছি।
কোন অতিপ্রাকৃত সত্ত্বার উপস্থিতির উপর বিশ্বাস সম্ভবত প্রায় লক্ষ বছরের পুরোনো। সেই ৯৫০০০ বছর আগের কাফজেহ গুহা থেকে ৬০ এর দশকে আবিষ্কৃত প্রায় ১১০০০ বছরের প্রাচীন গোবেকলী টেপে, প্রত্নতত্ত্বই আমাদের এই বিশ্বাসের উৎপত্তি খুজছে। এছাড়া আছে নিউরোসায়েন্স। কোন অদৃশ্য এজেন্টের প্রতি বিশ্বাস করাটাই স্বাভাবিক, এবং কেন স্বাভাবিক তার ব্যাখ্যাও আছে, আমাদের মনেই আছে সেই হাইপারসেনসিটিভ এজেন্সি ডিটেকশন ডিভাইস। এর সাথে যুক্ত থিওরী অব মাইন্ড; ৩০০০০ বছর আগেই মানুষ যখন অর্ধ মানব আর অর্ধ জন্তুর ছবি একেছে, মুর্তি গড়েছে ফ্রান্স আর জার্মানী গুহায় তখনই সে তার থিওরী অব মাইন্ড প্রয়োগ করেছে। এই অতিপ্রাকৃত সত্ত্বা আমাদের মনেরই সৃষ্টি। হাইআরকিয়াল সমাজে যা রুপান্তরিত হয়েছে ধর্মে, কেন? সেটাও জানা আমাদের।
যখন কেউ অবিশ্বাসী হয়, তাকে অনেকটুকু পথ পাড়ি দিতে হয়;তার পুরো কগনিটিভ ক্যাশে টাকে খালি করতে হয়।যে কোন ধরনের ধর্ম বিশ্বাসটাই খুব সহজ, সেটাই আমাদের কগনিটিভ সিস্টেমের জন্য কম প্রতিরোধের বিষয়; এর বীপরিতটা না।তাই শুধু বিবর্তনে ভরসা করে কেউ নাস্তিক ( আমি এর অর্থ বলছি অতিপ্রাকৃত কোন সত্ত্বা, যা সবকিছু নিয়ন্ত্রন করছে বা সব জানে,যে সত্ত্বা যেমন এই মুহুর্তে আমি বা আপনি কি করছি তা জানে, এই মুহুর্তে যে আপনার উপকারে আসছে, আর হয়তো অন্য কারো উপকারে আসছে না ইত্যাদি ইত্যাদি …সেই সত্ত্বাকে অস্বীকার করার কথা বলছি….) হবে সেটা পুরোপুরি সত্য না।
@কাজী মাহবুব হাসান,
খুব সুন্দর বলেছেন।
@গোলাপ, আমার নিজের অভিজ্ঞতা তাই বলে। অনেক ধন্যবাদ।
@কাজী মাহবুব হাসান,
ভাই এত জটিল করে কথা বললে কিছু পাবলিক বোঝে, কিছু বোঝে না। এত প্যাচ গোছ করে না বলে সোজা বললেই হয় যে- আস্তিক বা বিশ্বাসী হওয়া খুব সোজা, একজন বোকা, পাগল, ছাগল যে কেউ কোন কিছু না জেনেই বিশ্বাসী হতে পারে। কিন্তু নাস্কিক হতে গেলে তাকে বিরাট পথ পাড়ি দিতে হয়, অনেক কিছু জানতে হয়, বুঝতে হয়, পড়তে হয়।
@কাজী মাহবুব হাসান,
এই কথাটা আরেকটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করবেন কি দয়া করে? একটা ধারণা আমি নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারি, তবে আপনার বক্তব্যটা জানলে ভালো হতো।
@রূপম (ধ্রুব), আমি উপরে একটু ব্যাখ্যা দিয়েছি, আমার মত করে,
আমি আসলে এ বিষয়ে খু্ব ভালো জানিনা।
@কাজী মাহবুব হাসান,
উপরেরটা পড়লাম। মনে হয় বলতে চেয়েছেন যে মনোবিজ্ঞান মানুষের বিশ্বাসকে ব্যাখ্যা করতে পারে। ঠিকই। কিন্তু মানুষের নাস্তিকতার শুরুটা তো সবসময় মনোবিজ্ঞান দিয়ে শুরু হয় না। আমার মনে হয় একেকজনের একেকভাবে হয়। কারো তো কমিউনিজম করেও সেটা হয়। 🙂
আপনি কি মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন? আমার খুব আগ্রহের বিষয় এটা।
@রূপম (ধ্রুব), সেটাই…প্রক্রিয়াটা ভিন্ন বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে।
আমার বিষয় আসলে চিকিৎসা অনুজীব বিজ্ঞান আর সংক্রামক ব্যাধির রোগতত্ত্ব 🙂 ; আমার মনোবিজ্ঞানে ইন্টারেষ্ট আছে তবে নিউরোসায়েন্সের কাঠামোতে যেখানে দর্শন আর মনোবিজ্ঞানের একটা এমপিরিক্যাল ভিত্তি আছে ( আর আমি বুঝতে পারি 🙂 ) ;
@বেয়াদপ পোলা,
আসলে ভাই আপনাদের মতো কিছু পাবলিকের এই রকম সমস্যার উদ্ভবও বিবর্তনবাদ দিয়ে ভাল করে ব্যাখা করা যায়। প্রাচীনকালের বৈরী পরিবেশে যেসকল বাচ্চারা মা-বাবা এবং আশেপাশের বড় মানুষদের কথা বিশ্বাস করেছে সে সকল বাচ্চারাই বেশি টিকে থাকতে পেরেছে। ধরুন বাচ্চাকে মা বলল নদীতে একা না যেতে। যেসকল বাচ্চা মার কথা শুনবে তাদের নদীতে ডুবে মারা যাবার ভয় থাকবে না। কিন্তু যেসকল বাচ্চা মার কথা বিশ্বাস না করে নদীতে যাবে তাদের মারা যাবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
শিশুদের এই বিশ্বাস করার স্বভাব বিবর্তনের ফলেই উদ্ভূত হয়েছে।
ঠিক সেরকম ভাবে আপনি ইসলামের শীতল ছায়াবিশিষ্ট পরিবারে জন্ম হওয়ায় ইসলামকে স্বাভাবিকভাবেই অন্ধের মতো বিশ্বাস করবেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এখন একটু মুক্তভাবে চিন্তা করুনতো ইসলাম নামক ভাইরাসমুক্ত পরিবেশে আপনি বড় হলে, এখন এই মুক্তমনায় এইভাবে মন্তব্য করতেন? না বিবর্তন জিনিসটা আসলে কি তা একটু ভালভাবে জানার চেষ্টা করতেন?
@রনবীর সরকার,
ডারউইনবাদী বা আপনার মত নাস্তিকদের দাবি অনুযায়ী ব্যাকটেরিয়া-সদৃশ একটি জীব থেকে অন্ধ-অচেতন ও উদ্দেশ্যহীন প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে পুরো প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত নাকি বিবর্তিত হয়েছে। এই বিবর্তন কি তারা বা আপনি স্বচক্ষে দেখেছেন? এমনকি তাদের বা আপনার দাবি অনুযায়ী মানুষ যে অন্য কোন প্রজাতি থেকে ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে – সেটাই বা কি তারা স্বচক্ষে দেখেছেন? দেখেননি! তারা বা আপনি অন্ধভাবে বিশ্বাস করেন। তাহলে কি বুজলেন কোথাও না কোথাও বিশ্বাস করতেই হচ্ছে, 😛
@বেয়াদপ পোলা,
হ্যা হ্যা। আপনি এখনো অন্তত বিবর্তন কি সেটা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করলেন না। বিবর্তন আমি অন্ধভাবে বিশ্বাস করি না। বিবর্তনের স্বপক্ষের প্রমাণগুলোর জন্যই বিবর্তনবাদকে সঠিক বলে মনে করি।
আপনি দয়া করে মুক্তমনায় বিবর্তনের আর্কাইডগুলো একটু মুক্তমনে পড়ুন। আশা করি বুঝতে পারবেন কেন নাস্তিকরা বিবর্তনবাদকে সঠিক বলে মনে করে।
আগে বিবর্তনের প্রমাণের জন্য ফসিলের উপর নির্ভর করতে হত। জেনেটিক্সের উন্নতের ফলে এখন কিন্তু শুধু ফসিলগুলোই বিবর্তনের প্রমাণ নয়। অর্থাৎ যদি ফসিলগুলো আবিষ্কৃত না হত তাহলে হয়ত এখন আমরা বিবর্তন সম্পর্কে জানতাম।
আবারো বলছি ধর্মান্ধতার বেড়াজাল থেকে বের হয়ে খোলা মনে একটু মুক্তমনার বিবর্তনের আর্কাইডগুলো পড়ুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন আসলে কেন নাস্তিকরা বিবর্তনবাদকে মেনে নিয়েছে। একজন সাধারন মানুষের জন্য “পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে” এই সত্যটা বুঝার চেয়েও বিবর্তনবাদ বুঝা আরো বেশি সহজ বলেই আমার কাছে মনে হয়।
@বেয়াদপ পোলা,
বেয়াদবি করতে করতে তো মাত্রা ছাড়িয়ে ফেলছেন। আপনি উপরে যে কথাগুলো বলেছেন সেটা কি ভেবে বলেছেন? এগুলি তো যুক্তি নয় প্রলাপ। আপনি আসলে বিশ্বাস শব্দটা নিয়ে wordgame খেলছেন। বিবর্তন ধর্মের মত নয় যে এতে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। বিবর্তনের স্বপক্ষে অজস্র সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে তাই বিবর্তন ঘটেছে এটা মেনে নেই। আপনারা বিবর্তনের বিপক্ষে কোন প্রমাণ দেখাতে না পারলেও অন্ধের মত পুরনো আদম হাওয়া কিচ্ছা নিয়ে মেতে থাকেন তাই আপনারা অন্ধবিশ্বাসী।বিবর্তন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান আর ধর্মীয় সৃষ্টিতত্ত্ব প্রাচীন রুপকথা। আমরা সত্যকে মেনে নিয়েছি আর আপনারা মিথ্যাকে আঁকড়ে ধরে পড়ে আছেন।ব্যাপারটা এমন নয় যে আমরা দুজনেই কোথাও না কোথাও অন্ধবিশ্বাস স্থাপন করছি।সুতরাং এরপর এসব প্রলাপ বকে জল ঘোলা না করলেই ভাল হয়। হয় বিবর্তন তত্তের বিপক্ষে শক্ত প্রমাণ দেখান নয়ত চুপ থাকুন। আর নিতান্তই প্রলাপ বকা না থামাতে পারলে আকাশ মালিক ভাই এর দেয়া লিঙ্কে গিয়ে কাঁঠাল পাতা চিবান।
@আলোকের অভিযাত্রী, (Y) (Y)
@বেয়াদপ পোলা,
ভাই এটা ফালতু প্যাচাল পাড়ার যায়গা নয়। বিবর্তনবাদ কোন বিশ্বাসের ব্যপার নয়। কোন রকম প্রত্ন তাত্ত্বিক উপাদান ছাড়াই শুধুমাত্র জেনেটিক্স বিদ্যার দ্বারাই প্রমান করা সম্ভব যে বিবর্তনবাদ সত্য। আর ঠিক একারনেই আস্তে আস্তে ধর্মবাদীরা ক্রমশ: তাদের ধর্মীয় কিতাবের মধ্যে বিবর্তনবাদ আবিষ্কার করা শুরু করেছে। এখবরটাও আপনার জানা থাকার কথা।
@বেয়াদপ পোলা,আপনাদের সংখ্যা যত বেশী জানার আগ্রহ ততই কম । এশতকেও বিশ্বাস চালিত যুক্তিভীরু বন্ধা-বুদ্ধির মানুষ লাখে নিরানব্বই হাজার নয়শ নিরানব্বই জন ।এই বিশ্বাসি মনুষেরা সুস্হ চিন্তার অভাবে যুক্তি মানেনা,তাদের চেতনা প্রজ্ঞাশুন্য ।ইহারা কন থাকিতে শুনে না, চক্ষু থাকিতে দেখে না, মস্তিস্ক থাকিতে ভাবে না, ইহারা আস্তিক । :guli:
একটা ফাটাফাটি বই। বইটির নাম “আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না” (আগের লিঙ্ক টা কিছু কিছু সময় কাজ না করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত । এই মিডিয়া ফায়ার লিঙ্ক টা থেকে ডাউনলোড করতে পারেন ।)FULL BOOK DOWNLOAD LINK-
এই বইটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । অনেক অনেক যুক্তি পাবেন এখানে । এটা কোন স্পাম না । ধন্যবাদ ।
@অবর্ণন রাইমস,
দুর্দান্ত হয়েছে আপনার অনুবাদ। আরও অনেক অনেক লেখা চাই বিবর্তনবাদ নিয়ে মুক্তমনাতে। স্বাগতম মুক্তমনায় (F) (Y)
@আমি আমার, ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
@অবর্ণন রাইমস
স্বাগতম (C)
অনেক ধন্যবাদ, কাজী রহমান। 🙂
@ বেয়াদপ পোলা,
বিবর্তন বলে কিছু নাই, এটা একটা থিওরি ছিল, এখন এই থিওরি সম্পুরনই ভুল প্রমানিত
কে ভুল প্রমাণ করল, আপনি? কোথায়, কখন, কেমনে?
মুক্তমনার আর্কাইবে বিবর্তনের পক্ষে যে যুক্তিগুলো আছে, তার অন্তত একটি খণ্ডন করুন না প্রমাণসহ।
হয়ত আরও ১০০ অর ২০০ বছর পর এটা প্রমাণিত হবে, যে মানুষ এক জোড়া থেকে এসেছে
এটা প্রমাণিত হলে বিবর্তন ভুল হবে-এমন ধারণা করলে আপনি বিবর্তন কিভাবে কাজ করে তাই বুঝেন না।
মিউটেশন যখন কোন জীবের উপর ঘটে ( তাপমাত্রা, রেডিয়েশন, রাসায়নিক পদার্থ, আলো সহ আরও বহু কারণে মিউটেশন ঘটতে পারে) তখন বেশীর ভাগই ক্ষতিকর হয়, এমন কি সবই ক্ষতিকর হতে পারে, হয়তো হাজার হাজার ধরণের পরিবর্তনের ( মিউটেশনের মাধ্যমে ) ফলে হয়তো একটি পরিবর্তন ঐ জীবটির বেচে থাকার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা এনে দেয়। এভাবে ঐ জীবটি প্রতিকুল পরিবেশে টিকে যায় আর অন্যরা মারা যায়।
মানুষের বিবর্তনটা এমনই এক জোড়া প্রাণী হতে হলে ঐ জোড়া প্রাণীর নাম আদম-হাওয়া হতে হবে কেন?
@ অবর্ণন রাইমস,
মুক্তমনায় স্বাগতম। অনুবাদ ফাটাফাটি হয়ছে। চালিয়ে যান। (F)
@হেলাল,
@হেলাল, এইতা সত্যি এটাই বা কে প্রমান করেছে? আপনি নাকি? যেইটা সত্যি না, সুদু একটা অনুমান থিওরি, সেইটা নিয়া আলোচনা আমার কাছে অনর্থক ছাড়া কিছু না,
বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপটে বিবর্তনবাদ নিয়ে প্রশ্ন করে এমন অনেক বড় মাপের বিজ্ঞানী রয়েছেন। এই লিঙ্কে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় নয়’শ বিজ্ঞানীর লিস্ট দেখতে পাবেন যারা ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। এদের মধ্যে অনেকে খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজির প্রফেসর ও প্রফেসর এমেরিটাস আছেন।
বিবর্তন-মৌলবাদীরা এজন্য তাদেরকে চার্চের মিশনারিজ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশেষ বিনোদন লাভ করেন! এটা একটি অতিপ্রাচীন ও সহজ অস্ত্র। বিবর্তনবাদ-মৌলবাদীদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী বিবর্তনবাদে অবিশ্বাসী বা সংশয়বাদীরা হচ্ছে গডে বিশ্বাসী আস্তিক! বিজ্ঞানকে তারা নিজেরদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেন। এজন্য এরা অনেক সময় এতই আবেগী হয় যে বিবর্তনবাদে প্রশ্নকারী বিজ্ঞানীদেরকে ক্রিমিনাল হিসেবেও গণ্য করে!
কিন্তু তারা ভুলে যান যে বর্তমান সময়ের বিবর্তিত-বিবর্তনবাদ তত্ত্বের (নিও-ডারউইনিজম) ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে ক্যারোলাস লিনিয়াসের (Carolus Linnaeus) জীবজগতের শ্রেনীবিন্যাসের উপর। এই শ্রেনীবিন্যাস করা হয়েছে জীবের বাহ্যিক মিলের ভিত্তিতে। আর তিনি এই যথেষ্ট শ্রমসাধ্য কাজ করেছিলেন গডের মহিমা তুলে ধরার জন্য! (সূত্র)
সারকথা হচ্ছে- বিজ্ঞান ও ধর্ম-বিশ্বাস দুটো ভিন্ন বিষয় যার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। কিন্তু নাস্তিকেরা তাদের ভাবধারা সমাজে আরোপ করতে বিজ্ঞানের মুখোশ ব্যবহার করছেন।
আর এই বিবর্তন নিয়া কথা আমি অনর্থক মনে করি, কাল্পনিক সাবজেক্ট নিয়া কথা বলতে ভালো লাগে না ।
@বেয়াদপ পোলা,
যে এই বিংশ শতাব্দীতে বসেও বিবর্তনকে স্রেফ ‘অনুমান’ মনে করেন, তার সাথে আলোচনাও অনর্থক মনে হবে। যাকগে, থিওরি আর ফ্যাক্টের সম্পর্কইটাই মনে হচ্ছে আপনার কাছে পরিস্কার না।
থিওরিতে আপনার সমস্যা কি? ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব অবশ্যই থিওরি, ঠিক যেমন নিউটনের গ্র্যাভিটেশন থিওরি। থিওরি একপ্লেইনস ফ্যাক্ট। নিউটনের গ্র্যাভিটশন থিওরি সেজন্যই ব্যাখ্যা করে আপেল কীভাবে মাটিতে পড়ে, কেন শূন্যে ঝুলে থাকে না। আপেল পড়া একটা ফ্যাক্ট। আর সেটা ব্যাখ্যা করছে নিউটনের গ্র্যাভিটেশন থিওরি। ঠিক তেমনি জিবজগতে প্রজাতির উদ্ভব আর বিকাশকে সার্থকভাবে ব্যাখ্যা করছে ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব। আপনার আদম হাওয়া আর শয়তানের কাহিনী থেকে এই ব্যাখ্যা অনেক সলিড। সমস্যা কি?
এটা এপিল টু অথরিটি ফ্যালাসি। বিজ্ঞান কোন রাজনৈতিক ময়দান না যে কে সমর্থন করল আর না করল তার উপর নির্ভর করে বসে থাকে। এটা কোন ভোটাভুটির বিষয় নয়, যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এটা নির্ধারিত হবে। বিজ্ঞান কাজ করে পরীক্ষালব্ধ প্রমাণে। বিবর্তনের পেছনে সাক্ষ্য-প্রমাণ অজস্র। প্রাণ রাসায়নিক প্রমাণ, কোষবিদ্যা বিষয়ক প্রমাণ, শরীরবৃত্তীয় প্রমাণ, জীবাশ্ম বা ফসিলের প্রমাণ, সংযোগকারী জীবের প্রমাণ, ভৌগলিক বিস্তারের প্রমাণ, তুলনামূলক অঙ্গসংস্থানের প্রমাণ, শ্রেনীকরণ সংক্রান্ত প্রমাণ, নিষ্ক্রিয় বা বিলুপ্তপ্রায় অঙ্গের প্রমাণই বিবর্তন তত্ত্বের অনুকূলে, আর অন্যদিকে সৃষ্টিতত্ত্বের ভাণ্ডারে বিরাট শুন্য! ল্যাবরেটরিতে লেনস্কির পরীক্ষা সহ বহু পরীক্ষায় প্রজাতি গঠনের চাক্ষুষ প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পলিপ্লয়ড, এলোপলিপ্লয়ডের মাধ্যমে ল্যাবরেটরীতে কোয়ান্টাম প্রজাতি তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোতে এ ধরনের সফল পরীক্ষার অনেক উদাহরণ আছে। বায়োলজির কোন জার্নালেই বিবর্তনের বিরোধিতা করা হয় না, ঠিক যেমন পদার্থবিজ্ঞানের কোন জার্নালেই গ্র্যাভিটেশনের বিরোধিতা নেই। আপনি নিজেই পাবমেড সার্চ করে দেখুন না – ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বএর উপর ভিত্তি করে বছরে কয় হাজার পেপার জমা হয়।
আর সংখ্যার কথাও যদি ধরি- ‘অধিকাংশ বিজ্ঞানীরাই বিবর্তন তত্ত্বকে অস্বীকার করেন’- এরকম একটা ধারণা সৃষ্টিবাদীরা জনগণের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে সচেষ্ট হলেও ব্যাপারটা কিন্তু আসলে ডাহা মিথ্যা। ১৯৯৫ সালে আমেরিকার বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের মধ্যে চালানো জরিপে (গ্যালোপ পোল, ১৯৯৫) দেখা যায় এদের মধ্যে মাত্র ৫% সৃষ্টিবাদী, বাকি সবারই আস্থা আছে বিবর্তন তত্ত্বে। আর যারা জীববিজ্ঞান এবং প্রাণের উৎস নিয়ে গবেষণা করেন তাদের মধ্যে তো ইদানিংকালে সৃষ্টিবাদীদের খুঁজে পাওয়াই ভার। ৪,৮০,০০০ জন জীববিজ্ঞানীদের উপর চালানো জরিপে মাত্র ৭০০ জন জন সৃষ্টিতাত্ত্বিক পাওয়া গেছে, শতকরা হিসেবে যা ০.১৫ এরও কম। আপনার ৭০০-৯০০ বিজ্ঞানীর তালিকা সাড়া বিশ্বের সকল জীববিজ্ঞানীদের সংখ্যার তুলনায় কতটুকু আপনি জানেন?
শোনেন – বহু বৈজ্ঞানিক সংগঠন বিবর্তনের সপক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণকে এতই জোরালো বলে মনে করেন যে, বিবর্তনের সমর্থনে তারা নিজস্ব statement পর্যন্ত প্রকাশ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত National Academy of Science এর মত প্রথিতযশাঃ সংগঠন ১৯৯৯ সালে বিবর্তনের স্বপক্ষে লিখিত বক্তব্য দিয়ে একটি ওয়েবসাইট পর্যন্ত প্রকাশ করেছে। ১৯৮৬ সালে লুজিয়ানা ট্রায়ালে বাহাত্তর জন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী সুপ্রিম কোর্টে বিবর্তনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন প্রদান করেছিলেন। ডোভার কোর্টে বিবর্তন তত্ত্বের বিরুদ্ধে আইডিওয়ালাদের নির্লজ্জ পরাজয়ের কথাও সবাই জানে, যদি না জানেন তাহলে এটা দেখে নিন। কিন্তু তাতে কি যারা ঘোট পাকানোর পাকাবেই।
বোঝা যাচ্ছে বিবর্তনে আপনার দৌড়! নিওডারউইনিজম সম্বন্ধে আপনার ধারণাই নেই সম্ভবত! নিও ডারউইনিজম জেনেটিক ট্রান্সফারের উপর ভিত্তি করে রচিত, বাহ্যিক মিলের উপর নয়। সেজন্যই একে বলে ‘modern synthesis’ of Darwinian evolution, যাকে বাংলায় বলে ‘বিবর্তনবাদী সংশ্লেষণ’। শোনেন, বিশেষতঃ আধুনিক বংশগতিবিদ্যার উন্মেষের পর থেকে আমরা জিন সম্বন্ধে সম্যক ধারণা অর্জন করেছি, সেটাকেই কাজে লাগানো হয়েছে। চল্লিশের দশকে জনপুঞ্জ বংশগতিবিদ্যার অভ্যুদয়ের পর প্রাকৃতিক নির্বাচনের সাথে বংশগতির সম্মিলন ঘটে। জনপুঞ্জে জিন কিভাবে বংশানুসৃত হয়, তা ব্যাখ্যা করেছিলেন গনিতবিদ জি এইচ হার্ডি এবং জার্মান চিকিৎসক ভিলহেল্ম ওয়েইনবার্গ। পরে পরিসংখ্যানবিদ ইউল দেখিয়েছিলেন যে ডারউইনের অবিচ্ছিন্ন পরিবৃত্তি যে মেন্ডেলবাদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, পরিসংখ্যান দিয়ে তা প্রমাণ করা যায়। জীববিদ নিলসনের গবেষনায় ইউলের প্রকল্পের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে সর্বাধিক ইনফ্লুয়েনশিয়াল ছিলো ১৯৩৭ সালে ডবজাবনস্কির ‘জেনেটিক্স এন্ড অরিজিন অব স্পিশিজ’ নামক বইটির প্রকাশ। এই বইয়ের মাধ্যমেই আসলে আধুনিক বংশগতিবিদ্যার সাথে ডারউইনবাদের সমন্বয় ঘটে। রঙ্গমঞ্চে আসে বিবর্তনের সংশ্লেষনী তত্ত্ব তথা আধুনিক বিবর্তনের তত্ত্ব, যা এখনো বিবর্তনের স্বীকৃত তত্ত্ব হিসেবে জীববিজ্ঞানের পরিমণ্ডলে রাজত্ব করে চলেছে। আর আপনি বলেন এটা নাকি ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছে! আপনি কোন দুনিয়ায় আছেন? বাইরের যে কোন ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, দেখবেন বায়োলজি ক্লাসে ডগলাস ফুটুয়ামার কিংবা মার্ক রিডলীর ‘ইভলুশন’ বইটা পড়ানো হয়। আপনার সম্ভবতঃ ধারণা নেই বিবর্তন আজ কোথায় চলে গেছে। জীবের বাহ্যিক মিলের ভিত্তিতে কেউই এখন বিবর্তন চর্চা করেন না, মলিকিউলার বায়োলজি, জেনেটিক্স, জিনোমিক্স, এভো ডেভোর মত আধুনিক বিষয়গুলোতে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বিবর্তন তত্ত্বের পক্ষে কেবল জোরালো প্রমাণই পেয়েছেন, কোন উলটো কিছু পাননি।
@অভিজিৎ, (Y) (Y) (Y)
@অভিজিৎ, :clap
একটা প্রশ্ন ছিল, যদি ধরেনি মানুষের উৎপত্তি এক জোড়া প্রাণী(আদম হাওয়া) থেকে হয়েছিল।মাত্র এক জোড়া প্রাণী থেকে নুতন প্রজাতির উৎপত্তি ও টিকেথাকা কি সম্ভব ?
@বেয়াদপ পোলা,
হাঃ, হাঃ, হাঃ, হাঃ, 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
মাফ করেন ভাই, এই বাড়িতে কাঠাল পাতা নাই। এইখানে প্রচুর আছে, যত ইচ্ছে খেয়ে নিন।
@আকাশ মালিক,
মাফ করেন ভাই, এই বাড়িতে কাঠাল পাতা নাই। এইখানে প্রচুর আছে, যত ইচ্ছে খেয়ে নিন।
ভাই আপনার কমেন্টটির জবাব হয় না.. :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
বিবর্তন বলে কিছু নাই, এটা একটা থিওরি ছিল, এখন এই থিওরি সম্পুরনই ভুল প্রমানিত, বিবর্তন বাদ যারা মেনে নিয়েছিল তারা এখন নিজেরাও ভাবে যে তারা ক্যামনে মেনে নিয়েছিল, এ সম্পর্কে বেশ কিছু রিপোর্ট কিছু দিন আগে discovery চ্যানেল এ দেখলাম, এখন গবেষণা চলতেছে মানুষ কি এক জোড়া মানুষ থেকে এসেছে? হয়ত আরও ১০০ অর ২০০ বছর পর এটা প্রমানিত হবে, যে মানুষ এক জোড়া থেকে এসেছে । :guli:
😀
সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছে নাকি! জানতাম না। ওদেরকে বলবেন যেন কোনো জীববিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট জার্নালে ভুলের প্রমাণগুলো প্রকাশ করে দেয়। :))
@বেয়াদপ পোলা, :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@বেয়াদপ পোলা,
discovery-তে কি দেখেছেন? mitochondrial eve আর Y-chromosomal adam-এর মধ্যে যে হাজার হাজার বছরের ফারাক সেইটা দেখেছেন? আর mitochondrial eve ভদ্রমহিলা Y-chromosomal adam-এর অনেক আগে ছিল। আপনাদের বাইবেল কোরান-ও কি তাই বলছে? :lotpot:
@বেয়াদপ পোলা, অনেক দিন এমন জোকস শুনি নাই.
একটা ফাটাফাটি বই। বইটির নাম “আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না” FULL BOOK DOWNLOAD LINK-
এই বইটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । অনেক অনেক যুক্তি পাবেন এখানে । এটা কোন স্পাম না । ধন্যবাদ । (C)
এই LINK টা কাজ না করলে পরবর্তীতে আরেকটা LINK দেয়া আছে । ওটা কাজ করবে । ধন্যবাদ
@যুক্তিবাদি, বইটি আমি পরেছি. অসাধারন একটি বই. সংগ্রহে ছিলনা তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য.
চমৎকার। ফেসবুকে আগেই দেখেছি, এখানে দেখে আরো ভালো লাগল। খুবই প্রাঞ্জল অনুবাদ।
অনেক ধন্যবাদ নিটোল ভাই। আপনার লেখা ভালো পাই। 🙂
ভীষণ ভালো লাগল। চমৎকার অনুবাদ টি থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ। বিজয়ী শুভেচ্ছা।
(F)
অনেক ধন্যবাদ নিলীম। 🙂
চমৎকার অনুবাদ। মুক্তমনায় স্বাগতম (W) (W)
অনেক ধন্যবাদ তামান্না ঝুমু। 🙂
খোমাখাতায় আগেই পড়েছিলাম। চমৎকার অনুবাদ।
মুক্তমনায় স্বাগতম জানাই।
অনেক ধন্যবাদ সাইফুল ইসলাম। 🙂
চমৎকার একটা লেখা এবং এতো প্রাঞ্জল একটা অনুবাদ ! ইংরেজির নাম শুনলে সেই পাঠশালার মতো এখনো জ্বর এসে যায় ! অনুবাদ না পেলে আমার মতো ইংমুর্খের নাক ঢুকানোই অসম্ভব ! তাই অবর্ণনকে কিভাবে যে কৃতজ্ঞতার বর্ণন করবো তাই তো ভেবে পাচ্ছি না !
এরকম চমৎকার লেখা নিয়মিত চাই কিন্তু ! আর নিঝুমকেও বলে দিতে হবে আপনাকে সারাক্ষণ তাড়ার মধ্যে রাখতে ! হা হা হা !!
রণ’দা, অগ্রজবাক্য শিরোধার্য। লেখালেখির দুর্বল চেষ্টা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার অনেকখানি ইচ্ছে আছে। আপনি এবং আপনারা আমার অনুপ্রেরণা। 🙂
অসাধারণ অনুবাদ! চিন্তা জাগানিয়া ও প্রাসঙ্গিক।
জানে না? নাকি জানতে চায় না? তাছাড়, না জেনেও যে হাজার হাজার হার্নিয়া অপারেশন করে দু'হাতে কামানো যায়!
ধন্যবাদ কাজি মামুন।
জানা বা জানানোর চেয়ে কামানো অনেক বেশি মজাদার! :))
(Y)
বানর বা অন্য এপ দের কি হার্নিয়া হয়?
@ডারউইনের ভুত,
ডারউইনের ভুত বলতে কিছু আছে কি না জানিনা তবে, বানর বা অন্যএপ দের বোধ হয় হার্নিয়া হয়
@আকাশ মালিক,
আবার জিগায়! :))
লিঙ্ক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
@ডারউইনের ভুত, অবশ্যই হয়।
সত্য-অস্বীকারের এই প্রাবল্য আসলে একটা ব্যর্থতার কাহিনী। শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতা নয়, ব্যর্থতা তাদের শিক্ষকদের, সব শ্রেণীর শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত।
ভালো লাগলো অবর্ণন রাইমস।
আমরা যখন মেডিকেলে পড়েছি, সেখানেও দেখেছি এম্ব্রায়োলজীর মতো বিষয়েও কিভাবে পাশ কেটে চলে যাওয়া হয় বিবর্তনের মৌলিক কাঠামোতে কোন কিছু ব্যাখ্যা করা ছাড়াই। অ্যানাটোমী আর ফিজিওলজীতো বটেই। স্টীভ জোনস যেমন বলেছেন, জীববিজ্ঞানের ব্যাকরণ, সেটা ছাড়া তো কোন কিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। আমি আর নিজের ক্লাসরুমেও শুনেছি এর বিরুদ্ধতা; আমার কারন জীববিজ্ঞানে পড়ার সময় যখন এর সম্বন্ধে একটা ধারনা পাওয়ার কথা ছিল, তখনই তারা তা পায়নি। বিবর্তন নির্ভর জ্ঞান নিয়ে প্রতিনিয়ত একজন চিকিৎসক কাজ করে যাচ্ছেন, অথচ এর অযৌক্তিক বিরোধিতাও করছেন।
অভিজিৎ দা নীল শুবিনের দিস ওল্ড বডি লেখাটার কথা বললেন, বেশ কিছু দিন আগে আরো বাড়তি কিছু তথ্য সহযোগে লেখাটার একটা অনুবাদ করেছিলাম আমি মুক্তমনার জন্য আমাদের এই প্রাচীন শরীর নামে, লেখাটি আমার নিজের ব্লগেও আছে (খানিকটা এডিটেড) এখানে। সম্ভবত তেমন একটা ভালো হয়নি।
অভিজিৎ দার সাথে একমত Neil Shubin এর Your Inner Fish একটি অসাধারন বই।
*** ছোট সংশোধন:
আমার মনে হয় প্রধান একটা কারন (ধর্মর ব্যাপারটা তো আছেই) জীববিজ্ঞানে পড়ার সময় যখন এর সম্বন্ধে একটা ধারনা পাওয়ার কথা ছিল, তখনই তারা তা পায়নি।
@কাজী মাহবুব হাসান,
ওহ! আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আপনার এই দুর্দান্ত অনুবাদটির কথা! সুবিনের এই লেখাটির অনুবাদ সত্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনার অনুবাদও খুব ভাল হয়েছিল। এরকম আরো লেখা দিয়ে আমাদের সাইটকে সমৃদ্ধ করার অনুরোধ রইলো।
@অভিজিৎ, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অবশ্যই।
@কাজী মাহবুব হাসান, বিনয় করে কাজ নেই, আপনার এই লেখাটা অসাধারণ! ‘কিছু বাড়তি তথ্য’ লেখাটাকে অন্য একটা উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। আমি মুগ্ধ হয়ে স্লাইডের পর স্লাইড দেখে গেলাম। চমৎকার!
এই স্লাইড এবং ছবিগুলো ব্যবহার করে, এবং কথাগুলোকে মৌখিক বক্তব্যে রূপান্তর করে একটা ভিডিও তৈরি করা কি সম্ভব, যেটা ইউটিউবে থাকবে? অডিও ভিজ্যুয়াল নিশ্চয়ই আরো ভালোভাবে এমন সব মানুষের কাছে পৌঁছাবে, যারা লেখা পড়তে অনভ্যস্ত।
আপনার চমৎকার লেখাটার জন্য উত্তম জাঝা।
@অবর্ণন রাইমস, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আর আপনার প্রস্তাবটা; নিশ্চয়ই যায়।
আমার অবশ্য কারিগরী জ্ঞান কম।
আমাদের আসলে এ বিষয়ে আরো অনেক অনেক লেখার প্রয়োজন। বিশেষতঃ বিবর্তন বিরোধীরা যে যুক্তিগুলো পছন্দ করে তাদের ধারনার স্বপক্ষে, তার পাল্টা যুক্তি হিসাবে।
অনেক শুভকামনা।
মুক্তমনায় স্বাগতম। আর অনুবাদটিও হয়েছে খুবই চমৎকার।
কিছুদিন ধরে ফেসবুকে একটা নিউজ ঘুরছে – মুসলিম স্টুডেণ্টরা ইংল্যান্ডে ডারউইন এবং বিবর্তনের উপর লেকচার বয়কট করছে। এমনিতেই মুসলিমরা আধুনিক বিশ্বে জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক পিছিয়ে গেছে, এই ব্যাপারটি যদি সত্যি হয় তবে, এটা তাদের ঠেলে দিবে আরো বহুদূরে।
স্টিভ জোনস ইজ রাইট অন দ্য স্পট –
একদম ঠিক কথা!
স্টিভ জোনসের এই প্রবন্ধের শুরুটাও খুব চমৎকার লেগেছে। হার্নিয়ার ব্যাপারটা যে আসলে বিবর্তনের বিবর্তনের একটা অসমাপ্ত প্রক্রিয়ার ফলাফল, কোন সন্দেহ নেই। শুধু হার্নিয়া নয়, আমরা যে খাবার দ্রুত খেতে গিয়ে অনেক সময়ই হিক্কা তুলি সেটাও আসলে আমরা মৎস জাতীয় পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছি তার একটি উজ্জ্বল সাক্ষ্য। আমি একটা চমৎকার বই পড়েছিলাম নীল সুবিনের ‘Your Inner Fish’ নামে। সেখানে এ ধরণের অনেক সাক্ষ্যের উল্লেখ ছিলো। অধ্যাপক নীল সুবিনের সায়েন্টিফিক আমেরিকানে লেখা ‘দিস ওল্ড বডি‘ (জানুয়ারি, ২০০৯) নামের একটি প্রবন্ধটিও এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক, এবং মুক্তমনায় আমাদের বিবর্তন আর্কাইভে রাখা এই ভুক্তিটি।
সব মিলিয়ে চমৎকার একটি লেখা দিয়ে মুক্তনায় যাত্রা শুরু করার জন্য অভিনন্দন।
@অভিজিৎ,
একেবারেই সঠিক মন্তব্য। এভাবেই মুসলিমরা ১৪০০ বছর পূর্বের যুগে ফিরে চলে যেতে বেশী আগ্রহী।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ১৪০০ বছর পূবে ফিরে যাবে কি,তরাতো ঐ খানেই আছে ।
@মাসুদ, আইন এর জন্য যে ১৪০০ বছর আগের মত পরিস্থিতি পাচ্ছে না.
অভিজিৎ’দা, আপনার কথা সবসময়ই অনুপ্রেরণা যোগায়। 🙂
মুক্তমনা ঋদ্ধ করেছে আমাদের মতো অনেক মানুষকে। এই মুক্তমনার জন্য ন্যূনতমও যদি অবদান রাখতে পারি, তবে সেই আমার এবং আমাদের জন্য এক অনন্য সম্মান।
নী’ল সুবিনের চমৎকার প্রবন্ধটা পড়ে নিলাম, বইটাও পড়ার ইচ্ছে আছে।
চমৎকার মন্তব্য এবং অনুপ্রেরণার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 🙂
দারুন লেখা। অনুবাদের জন্যে ধন্যবাদ। বাংলাদেশেও সুনির্দিষ্ট ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিবর্তন কে পাঠ্যসূচীর তালিকা থেকেই বাদ দেয়ার পায়তারা চলছে।
স্বাগতম আপনাকে, আরিফুল হোসেন।
বিবর্তন সরকারী পাঠ্যসূচিতে পড়ানো হোক এটা খুবই কাম্য। তবে তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে কতটা বিস্তারিতভাবে তারা বিবর্তন পড়াবে বা ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেবে কি না এসব বিষয়ে কিছু সংশয় থেকেই যায়। আমি মনে করি, পাঠ্যক্রমের সমান্তরালে, বাহ্যিকভাবেও বিবর্তন নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাটা জরুরি। মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাবতে পারি, ‘ছোটদের জন্য বিবর্তন’ বা এরকম কোনো ছোটো সহজলভ্য বই, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য খবরের কাগজে বিজ্ঞান পাতায় নিয়মিত লেখা, এরকম কাজগুলো সমান্তরালভাবে অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
মুক্তমনায় স্বাগতম। (F)
অনেক ধন্যবাদ সৈকত চৌধুরী। 🙂
@সৈকত চৌধুরী, ইদানিং বিভিন্ন গনমাধ্যমে, বিশেষ করে যেগুলো ধর্মীও বিষয়কে প্রাধান্য দেয় সেগুলোতে বিবর্তনবাদকে ভুল প্রমান করার প্রবলচেষ্টা চলছে। এদের ব্যাপারে কি বলবেন?