ইসলাম দাবী করে তার আবির্ভাব হলো ইহুদি, খৃষ্টান এদের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সংস্করন। যুক্তির খাতিরে আমরা সেটাকে যদি সত্য বলে গ্রহণ করি তাহলে কি দেখা যায়? পূর্ববর্তী নবীসমূহ যেমন- ইব্রাহিম, মূসা, ইসা তাঁদের সাথে যখন কোন ফিরিস্তা দেখা করত তখনও কি তারা দৈহিক কষ্ট অনুভব করত বা ভয় পেতেন? তোরাহ ও গসপেলে কোথাও তেমন কোন নজীর পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, তাদের কিতাব সমূহে লেখা আছে উক্ত তিনজন নবীর সাথেই আল্লাহ সরাসরি দেখা করত এ দুনিয়াতে এসেই , কথা বলত, আদেশ, নির্দেশ উপদেশ দিত। অথচ সর্বশেষ ও সর্ব শ্রেষ্ট নবী, যাকে সৃষ্টি না করলে দুনিয়া সৃষ্টি করত না আল্লাহ তাঁর সাথে কখনই আল্লাহ দুনিয়াতে দেখা করে নি। শুধু তাই নয়, যখন প্রথম জিব্রাইল ফিরিস্তা তাঁর সাথে হেরা গুহায় দেখা করে, তখন মোহাম্মদ ভীষণ ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন, তার চাইতে বিস্ময়কর ব্যপার হলো- প্রথম সাক্ষাতে জিব্রাইল পরিচয়ই দেয় নি সে কে , কোথা থেকে এসেছে, কে তাকে পাঠিয়েছে। প্রথম সাক্ষাতের বিবরণ পাওয়া যায় নিম্নের হাদিসটি থেকে-
আয়শা বর্ণিত- হুজুরে পাক এর নিকট প্রথমে যে ওহী আসত তা ছিল নিদ্রার মাঝে তার সত্য স্বপ্ন হিসাবে আসত, অত:পর তা দিবালোকের মত প্রকাশ পেত। এভাবে কিছুদিন চলবার পর তাঁর নিকট নির্জন যায়গা প্রিয় হয়ে উঠল, তাই তিনি হেরা গুহায় নির্জনে বসবাস করতে লাগলেন। তিনি তাঁর সাথে কিছু খাবার নিয়ে যেতেন , তা ফুরিয়ে গেলে আবার খাদিজার নিকট ফিরে আসতেন আবার খাবার নিতে, এবং এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন তাঁর নিকট সত্য প্রকাশিত হলো যখন তিনি হেরা গুহায় ছিলেন। ফিরিস্তা তার নিকট আসল, তাকে পড়তে বলল। নবী উত্তর দিলেন- আমি পড়তে পারি না। নবী আরও বললেন- ফেরেস্তা আমাকে সজোরে আলিঙ্গন করলেন তাতে আমার ভীষণ কষ্ট বোধ হচ্ছিল। সে তখন আমাকে ছেড়ে দিল এবং আবার আমাকে পড়তে বলল, আমি আবার উত্তর দিলাম- আমি তো পড়তে পারি না। আবার সে আমাকে দ্বিতীয়বারের মত চেপে ধরল যা ভীষণ কষ্টদায়ক ছিল, তারপর ছেড়ে দিল এবং বলল- পড়, তোমার প্রভুর নামে যিনি মহিমাময় ( তখন সূরা-৯৬: আলাক, ০১-০৩ নাজিল হলো)। হুজুরে পাক উক্ত আয়াতসমূহ হৃদয়ঙ্গম করত: বাড়ী ফিরে আসলেন ও তাঁর প্রচন্ড হৃদ কম্পন হচ্ছিল। তারপর তিনি খাদিজার নিকট গমন করলেন ও বললেন- আমাকে আবৃত কর, আবৃত কর। তাঁরা তাঁকে ততক্ষন পর্যন্ত আবৃত করে রাখলেন যতক্ষন পর্যন্ত না তাঁর ভয় দুর হলো এবং এর পর তিনি সমস্ত বিষয় বিবৃত করলেন যা ঘটেছিল এবং বললেন- আমার আশংকা আমার উপর কিছু ভর করেছে। খাদিজা উত্তর দিলেন- কখনো নয়, আল্লাহর কসম, আল্লাহ কখনো আপনাকে অমর্যাদা করবেন না। আপনি বরং দুস্থ লোকজন ও গরীব আত্মীয় স্বজনদের সেবা যত্ন করুন। অত:পর খাদিজা মোহাম্মদকে সাথে নিয়ে তার পিতৃব্য পূত্র অরাকা ইবনে নওফেলের নিকট নিয়ে গেলেন। তিনি অন্ধকার যুগের সময় খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইব্রানী ভাষায় ইঞ্জিল লিখতেন। তিনি এত বৃদ্ধ ছিলেন যে তিনি ঠিকমতো দেখতে পেতেন না। খাদিজা তাকে বললেন- হে পিতৃব্যপূত্র ! তোমার ভ্রাতুষ্পূত্রের কথা শোনো। অরাকা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন- হে ভ্রাতুষ্পূত্র কি দেখেছ? হুজুর সমস্ত ঘটনা তার নিকট বর্ণনা করলেন। তিনি সব শুনে তাঁকে বললেন, ইনি সেই রহস্যময় জিব্রাইল ফিরিস্তা যাকে আল্লাহ হযরত মূসার নিকট পাঠিয়েছিলেন।…..কিছুদিন পর অরাকা মারা গেলেন ও ওহী আসাও কিছুদিন বন্দ রইল।
ইবনে শেহাব যহরী বলেন, আবু সালমাহ ইবনে আবদুর রহমান বলেছেন যে , জাবের ইবনে আবদুল্লাহ ওহী বন্দ থাককালীন অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, হুযুরে পাক এশাদ করেছেন, একদা আমি পথ চলবার কালে উর্ধ্ব দিকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। তখন আমি উর্ধ্ব দিকে তাকিয়ে দেখলাম , হেরা গুহায় যিনি আমার নিকট এসছিলেন , সেই ফিরিস্তা আসমান ও যমিনের মাঝখানে এক কুরসীতে বসে আছেন। এতে আমি ভীত হয়ে বাড়ী ফিরে গেলাম এবং বললাম আমাকে চাদর দিয়ে ঢাক, আমাকে চাদর দিয়ে ঢাক। তখন আল্লাহ তায়ালা নাযিল করলেন- হে চাদরাবৃত ব্যাক্তি! ওঠ আর তুমি সতর্ক কর, আর তোমা প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর, তোমার কাপড় পবিত্র কর, অপবিত্রতা পরিহার কর। (৭৪:০১-০৫ আয়াত নাজিল হয়)। বুখারী, বই-১, হাদিস-৩
উপরোক্ত ঘটনা যদি মোহাম্মদ সম্পর্কিত না হয়ে সাধারণ কোন মানুষ সম্পর্কে হতো, তাহলে নির্ঘাত ডাক্তাররা বর্তমান যুগে তাকে মানসিক রোগী হিসাবে আখ্যায়িত করত। যাহোক, উপরের হাদিস থেকে কতকগুলি জিনিস খুব পরিস্কার। মাঝে মাঝেই মোহাম্মদ হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত হতেন ও নানারকম ছবি তার কাছে উদ্ভাসিত হয়ে উঠত যাকে বলা হচ্ছে সত্য স্বপ্ন।জিব্রাইল ফিরিস্তাকে তিনি চিনতে পারেন নি। ফিরিস্তাও তাকে বলেনি সে কে, কেন এসেছে। ফিরিস্তার আলিঙ্গনে তাঁর প্রচন্ড কষ্ট হয়। তিনি ভীষণ ভয় পেয়েছিলেন, মনে হয়েছিল কোন অশুভ আত্মা তার ওপর ভর করেছে। এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে শরীরে প্রচন্ড জ্বর এসে গেছিল, হার্ট বিট বেড়ে গেছিল, শরীর থর থর করে কাপছিল যার জন্য তার গায় কম্বল জড়াতে হয়েছিল। এটা হিস্টিরিয়া রোগের প্রকট লক্ষন। জিব্রাইল কিন্তু বলে নি যে তাকে আল্লাহ পাঠিয়েছে। তবুও খাদিজা কিন্তু বলছে- আল্লাহর কসম , আল্লাহ আপনাকে কখনো অমর্যাদা করবেন না। প্রশ্ন হলো- তাহলে কোন্ আল্লাহর কসম দিচ্ছিল খাদিজা? কারন তখনও মোহাম্মদ জানেন না যে জিব্রাইলের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর নিকট ওহী পাঠিয়েছে এবং তিনি তখনও ইসলাম প্রচার শুরু করেন নি। সে যে একজন ফেরেস্তা, তাও সে বলেনি মোহাম্মদের কাছে,এমন কি মোহাম্মদও তা বুঝতে পারে নি। কখন মোহাম্মদ বুঝতে পারলেন? যখন অরাকার কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হলো। অরাকাই তাকে জানাল হেরা গুহায় দেখা দেয়া সেই অদ্ভুত প্রানী ছিল জিব্রাইল। ইতোপূর্বেকার কোন নবী কোন ফিরিস্তার সাথে সাক্ষাত হওয়ার সময়ে কোন রকম ভীতিকর অনুভূতির সম্মুখীন হয়েছেন বা তাঁরা আশুভ আত্মার দ্বারা আক্রান্ত বলে কখনো মনে করেছেন এমন কোন বর্ণনা বাইবেলে পাওয়া যায় না। অথচ সর্বশ্রেষ্ট নবী, নবীদের নবী, আল্লাহর দোস্ত সামান্য এক জিব্রাইল ফিরিস্তার সাথে দেখা হওয়ার সময়ে ভীষণ ভীত হয়ে পড়লেন ও মনে করলেন যে তিনি কোন অশুভ আত্মার দ্বারা আক্রান্ত। বিষয়টি নবীদের নবী মোহাম্মদের জন্য ভীষণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
এখন নিচের হাদিস টি পড়া যাক-
আয়শা থেকে বর্ণিত, আল হারিথ বিন হিসাম আল্লাহর নবীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে নবী ! কিভাবে আল্লাহর ওহী আপনার নিকট আসত? তিনি উত্তর দিলেন- মাঝে মাঝে ঘণ্টা ধ্বনির মত শব্দ শুনতে পেতাম, এরপর ওহী নাজিল হতো এবং এটা ছিল সবচেয়ে কঠিন কষ্টদায়ক, এরকম অবস্থা পার হলে যা আমার কাছে নাজিল হতো আমি তা আত্মস্থ করে নিতাম। মাঝে মাঝে ফিরিস্তা আমার কাছে মানুষ রূপে আসত , আমার সাথে কথা বলত, এবং আমি আত্মস্ত করে নিতাম যা আমার নিকট বলা হতো।
আয়শা বলেন, আমি নবীকে দারুণ শীতের দিনেও দেখতাম ওহী আসার পর তাঁর কপাল দিয়ে ঘাম নির্গত হতো। বুখারী, বই-১, হাদিস-২
উপরের হাদিসে দুটি ঘটনা দেখা যাচ্ছে- এক. ঘন্টাধ্বনির মত আওয়াজ শোনা ও ফিরিস্তাকে মানুষ রূপে দেখতে পাওয়া এবং দুই. দারুন শীতের মধ্যেও কপালে ঘাম ঝরা ও কষ্ট অনুভব করা। যদি উপরোক্ত হাদিস থেকে ওহী নাজিলের বিষয়টি বাদ দেয়া যায় তাহলে বিষয়টা দাড়াচ্ছে- মোহাম্মদ বাস্তব নয় এমন শব্দ শুনতে ও ব্যাক্তিকে দেখতে পেতেন এবং এর জন্যে শারিরীক কষ্ট অনুভব করতেন। দুটি বিষয়ই বর্তমানে আধুনিক মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টি দিয়ে ব্যখ্যা করা যায়। তাঁর মাঝে মাঝে হ্যলুসিনেশন বা দৃষ্টি বিভ্রম হতো ও তার ফলে তাঁর শারিরিক কষ্ট হতো, যা এক রকম হিস্টিরিয়া রোগের লক্ষন। এ ধরণের কোন লক্ষন বর্তমান কালে কারো ঘটলে আমরা তাকে সরাসরি মনোবিজ্ঞানীদের কাছে নিয়ে যাই। এসব লক্ষনে আক্রান্ত অনেক ব্যক্তিকেই আমরা অনেক সময় আমাদের আশে পাশেই দেখতে পাই আর দেখতে পাই তারা নানা রকম প্রলাপ বকছে, শারিরীক কষ্ট পাচ্ছে, তার চোখ মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে, কপাল থেকে ঘাম নির্গত হচ্ছে। এসময় তারা এমন ভাবেও কথা বলে যেন ভিন্ন কোন এক ব্যক্তি তার মধ্য থেকে কথা বলছে। এটাকে তাদের অলৌকিক দর্শন হিসাবেও আখ্যা দেয়া যায়। তারা কিন্তু তাদের দর্শন সম্পর্কে একশত ভাগ নিশ্চিত থাকে কিন্তু পাশের কাউকে তা দেখাতে পারে না । এমন অবস্থায় অনেকেই হয়ত বেশ আজে বাজে কথা বলে এসময় কিন্তু অনেকেই আবার বেশ দার্শনিক ভঙ্গিতে জ্ঞানীর মত কথাও বলে। মোহাম্মদ যে কাজটি করেছেন তা হলো- তাঁর এ হ্যালুসিনেশন এর মাধ্যমে যে দর্শন পেয়েছিলেন তার সাথে ধর্মকে জুড়ে দিয়েছেন। যে কারনে তিনি কখনই তাঁর কাছে বহুবার আসা যাওয়া জিব্রাইল ফেরেস্তাকে দ্বিতীয় কাউকে দেখাতে পারেন নি। একবার আয়শা তাঁকে অনেকটা চ্যলেঞ্জের সাথেই দাবী জানায় ও বলে যে – সে তো কোন ফেরেস্তাকে দেখতে পায় না। জিব্রাইলকে দেখা তো দুরের কথা, সে যখন বানী নিয়ে এসে মোহাম্মদের কাছে বলত- তখনও কেউ তার কোন আওয়াজ শুনতে পেত না। এমনও ঘটেছে, মোহাম্মদ তাঁর সঙ্গী সাথী নিয়ে কোথাও চলেছেন, পথে হঠাৎ করে তাঁর ওহী নাজিল শুরু হলো, তার চোখ মুখ লাল হয়ে গেল, তাড়াতাড়ি সাহাবীরা তাঁর পাশে কাপড় দিয়ে ঘেরা দিয়ে দিল, জিব্রাইল এসে কথা বলে যাচ্ছে অথচ না দেখতে পাচ্ছে কেউ জিব্রাইলকে না তার আওয়াজ। এ বিষয়ে কোরাণ বা হাদিস লেখকরা বেশ বোকামীর পরিচয় দিয়েছে। কারণ, বাস্তবে মোহাম্মদ কোন রকম অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে না পারলেও দেখা যায় হাদিসে নানা রকম অলৌকিক ঘটনার সমাহার কিন্ত তারা কখনই জিব্রাইলকে কেউ দেখেছে বা তার কথা শুনেছে এমন কথা লিখে রেখে যায় নি। বাইবেল লেখকরা এদের চাইতে অনেক বেশী চালাক ছিল বলে মনে হয়। কারন তারা তাদের কিতাবে মূসা বা ঈসার বহুবিধ অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা ছাড়াও ফিরিস্তারা যে অহরহ সেসব নবীর কাছে আসত সেসব বর্ণনাও লিখে রেখেছে। এ ঘটনা দৃষ্টে মনে করা যেতে পারে যে, আরবের লোকজনরা সেসময় প্যলেষ্টাইনের লোকদের চেয়ে অনেক বেশী সহজ সরল ছিল। তারা যে বাস্তবে আসলেই সহজ সরল ছিল তা কোরাণ ও হাদিস পাঠ করলে সহজেই বোঝা যায়। অনাড়ম্বর ও সরল ভাষায় লেখা ওসব কিতাব। অনাবশ্যক জটিলতা নেই তাতে কোন। কোরাণ সম্পর্কে যে সব অতিরঞ্জিত কথা শুনা যায়, যেমন- কোরান সুন্দর ছন্দ, প্রাঞ্জল ভাষা, চমৎকার ধারাবাহিকতা এসব আছে কোরাণে। কিন্তু আসলে কি তাই?এখানে ভাষা একটা বড় সমস্যা। অনারবীদের কাছে কোরাণের সৌন্দর্য আসলে কিছুই ধরা পড়ে না, তাই পূর্ব বিশ্বাস থেকে তাদের কাছে কোরাণ কে অতুলনীয় মনে হয় ।কিন্তু আরবী ভাষাটা জানলে তেমন মনে হবে না কিছুতেই। এছাড়া সুর করে কোরান তেলাওয়াত অনেকের কাছে শ্রুতি মধুর মনে হয়, কিন্তু সেটা কোরাণের জন্য নয়, এটার কারন আরবী ভাষায় সুরেলা একটা ভাব আছে। কোরাণের বানী ছাড়াও আরবী ভাষার কোন গালাগালিও যদি সুর করে তেলাওয়াত করা হয় তা অনারবীদের কাছে হুবহু কোরাণ তেলাওয়াতের মতই সুমধুর মনে হবে ও মনে হবে সেগুলো কোরাণের বানী। কোরাণ যে আসলেই খুব সহজ সরল ভাষায় রচণা করা হয়েছে তার ঘোষণা খোদ কোরাণেই আছে বহুবার, যেমন-
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?সূরা-কামার-৫৪: ১৭
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা-কামার-৫৪:২২
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা-কামার-৫৪:৩২
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা-কামার-৫৪:৪০
তবে এক আরবী জানা মৌলভীকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল মূল আয়াতে যিকির শব্দটা থাকাতে এর অর্থ হবে- আমি কোরাণকে মনে রাখার জন্য সহজ করে দিয়েছি। তখন তাকে দেখানো হলো নীচের আয়াত-
আল্লাহ তোমাদের জন্যে কাজের কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।কুরাণ, ২৪: ১৮
এবার আর কোন সঠিক উত্তর পাওয়া গেল না। তখন মৌলভী বলল যে উক্ত আয়াতের অর্থ সব সূরা বা আয়াতের জন্য প্রজোয্য নয়। তাকে প্রশ্ন করা হলো-সব সূরা বা আয়াতের জন্য প্রজোয্য না হলে আল্লাহ একথা বলতে গেল কেন? এরকম হলে তো আল্লাহ বলতে পারত- আল্লাহ তোমাদের জন্য কিছু রহস্যময় বিষয় ছাড়া বাকি সব কাজের কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করেন। তা ছাড়া তাকে প্রশ্ন করা হলো- কোন কোন সূরা বা আয়াতের জন্য প্রজোয্য হবে? সে কিছু আর বলতে পারল না তবে বলল- সেটা একমাত্র আল্লাহ জানেন। পরিশেষে বলল- আগে ইমান না আনলে কোরাণ পড়ে কিছুই বোঝা যাবে না। তার মানে আগে অন্ধবিশ্বাসী হলেই কোরাণের অর্থ সব দিবালোকের মত ফকফকা।
কিন্তু বাস্তবতা হলো- কোরাণ খুব সহজ সরল ভাষায় লেখা যে কোন মানুষই একটু মনযোগ দিয়ে পড়লেই পরিষ্কার বুঝতে পারবে এতে কি বলা হয়েছে। ইসলামী পন্ডিত হওয়ার কোনই দরকার নেই। তবে তা পড়তে হবে অবশ্যই নিজ মাতৃভাষায়। আর এখানেই অনেকে বলে থাকে- কোরাণকে বুঝতে হলে আরবী ভাষাতে পড়তে হবে, না হলে কিছু বোঝা যাবে না।তার অর্থ আরবীবিশারদ লোকজন যারা কোরাণ অনুবাদ করেছে তারা ঠিকমতো সেটা করতে পারে নি। দুনিয়ার অন্য কোন ধর্মের কিতাব অনুবাদ করে পড়লে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না, একমাত্র কোরাণের ক্ষেত্রে এ অদ্ভুত নিয়ম কেন? আর সেটা যদি সত্য হয়, আল্লাহ কেন প্রতিটি ভাষার একটা করে কোরাণ পাঠায় নি? আর এর কোন প্রশ্নই সঠিক না হলে বলতেই হবে – একমাত্র আরবী ভাষী আরবদের জন্যই কোরাণ তথা ইসলাম, ভিন্নভাষী মানুষদের জন্য এটা নয়।
এ ছাড়াও কোরাণের কিছু আয়াত পড়লে বোঝা যায় যে- কোরাণ আসলে আরবদেশের কতিপয় জনগোষ্ঠী ছাড়া মানবজাতির জন্য নাযিল হয় নি। যে কারনে আল্লাহ বার বার বলছে-
এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। কোরাণ, ০৬:৯২
আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার। কোরাণ, ১২:০২
আমি একে করেছি কোরআন, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝ। কোরাণ, ৪৩:০৩-০৪
আমি আপনার ভাষায় কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা স্মরণ রাখে। কোরাণ, ৪৪:৫৮
উক্ত আয়াত সমূহ পরিস্কারভাবে প্রকাশ করে যে, আল্লাহর তথা মোহাম্মদের মূল লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র আরব তথা মক্কাবাসীদেরকে হেদায়েত করা ও তাদেরকে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতিরূপে সংগঠিত করা। বলা হচ্ছে- আরবী ভাষায় কোরাণকে সহজ করে দিয়েছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। তো আরবী ভাষার কোরাণ তো একমাত্র আরবী ভাষী আরবরাই বুঝতে পারবে। তাই না ? আমরা যারা পাতি বাঙালী তাদের পক্ষে আরবী কোরাণ বোঝা তো দুরের কথা, বহু কসরত করে আরবী শেখার পরও শুধুমাত্র পড়াটাই একটা বিশাল কষ্টসাধ্য ব্যপার। তার অর্থ আমরা প্রকৃতপক্ষে কখনোই আরবী কোরাণ সম্যক বুঝতে পারব না আর তাই তা আমাদের জন্য নয়। শুধু এ পর্যন্ত হলেও হতো। কোরাণ মূলত মোহাম্মদের কাছে কুরাইশ উচ্চারণে নজিল হয়েছে, কারণ মোহাম্মদ কোরাইশ বংশজাত ছিলেন। তিনি কুরাইশ আঞ্চলিক আরবী ভাষা ছাড়া কিছু জানতেনও না। তাই কুরাইশ আঞ্চলিক ভাষায় কোরাণ নাজিল না হয়ে কোন উপায়ও ছিল না। বলা হয় – কোরাণ নাকি লাওহে মাহফুজে লেখা আছে। সে কোরাণ কি তাহলে কুরাইশদের আঞ্চলিক আরবী ভাষায় লেখা ?সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কোন কিতাব যে লিখে রাখার দরকার পড়ে না, এটা বোঝার মত প্রজ্ঞা মোহাম্মদের ছিল বলে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
কোরাণ কিভাবে সংকলিত হয়েছিল সেটা দেখা যায় নীচের হাদিসে-
আনাস বিন মালিক বর্ণিত- হুদায়ফিয়া বিন আল ইয়ামান ওসমানের কাছে আসল যখন কিছু শাম ও ইরাকি দেশীয় লোক তাঁর কাছে উপস্থিত ছিল। হুদায়ফিয়া শাম ও ইরাক দেশীয় লোকদের ভিন্ন উচ্চারণে কোরাণ পাঠ নিয়ে ভীত ছিলেন, তাই তিনি বললেন- হে বিশ্বাসীদের প্রধাণ, ইহুদী ও খৃষ্টানরা যেমন তাদের কিতাব বিকৃত করেছিল তেমনটি থেকে কোরাণকে রক্ষা করার জন্য আপনি কিছু করুন। সুতরাং ওসমান হাফসা ( নবীর স্ত্রী ও ওমরের কন্যা) এর নিকট এক বার্তা পাঠালেন- দয়া করে আপনার নিকট রক্ষিত কোরাণের কপিটা আমাদের কাছে পাঠান যাতে করে আমরা তার একটা বিশুদ্ধ কপি করতে পারি ও তারপর সেটা আপনার নিকট ফিরিয়ে দেয়া হবে। হাফসা সেটা ওসমানের নিকট পাঠালেন। ওসমান তখন যায়েদ বিন তাবিত, আব্দুল্লাহ বিন আয যোবায়ের, সাদ বিন আল আস ও আব্দুর রহমান বিন হারিথ বিন হিসাম এদেরকে কোরাণের পান্ডুলিপি পূন: লিখতে আদেশ করলেন। ওসমান তিনজন কুরাইশ ব্যাক্তিকে বললেন- যদি তোমরা কোন বিষয়ে যায়েদ বিন তাবিত এর সাথে কোরাণের কোন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ কর, তাহলে তা কুরাইশ উচ্চারণে লিখবে, কারণ কোরাণ সে উচ্চারণেই নাজিল হয়েছিল। তারা সেরকমই করলেন আর যখন অনেকগুলো কপি লেখা হলো তখন ওসমান আসল কপিটা হাফসার নিকট ফেরত দিলেন। অত:পর ওসমান একটি করে কপি প্রতিটি প্রদেশে পাঠিয়ে দিলেন এবং একই সাথে বাকী সব পান্ডুলিপি যা সম্পূর্ণ বা আংশিক ছিল সেসব পুড়িয়ে ফেলার হুকুম করলেন। যায়েদ বিন তাবিথ আরও বলেন- আল আহযাব সূরার একটি আয়াত আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম যখন আমরা কোরাণ সংকলন করছিলাম ও আমি তা আল্লাহর নবীকে তেলাওয়াত করতে শুনেছি। তাই এটা আমরা খুজতে শুরু করলাম ও খুজাইমা বিন তাবিথ আল আনসারি এর নিকট তা পেলাম। আয়াতটা ছিল ৩৩: ২৩ । সহী বুখারী, বই-৬১, হাদিস-৫১০
উপরের হাদিসে পরিষ্কার যে -কোরাণ কোন বিশুদ্ধ ও আদর্শ লেখ্য আরবী ভাষাতে নাযিল হয় নি। কেন ? কারণ লেখাপড়া না জানা মোহাম্মদ সেটা জানতেন না। যে কারণেই তাঁকে আঞ্চলিক কথ্য ভাষাকেই বেছে নিতে হয়েছে কোরাণ নাযিল করতে। যেমন বাংলা ভাষী একজন মানুষ নিরক্ষর বা অশিক্ষিত হলেও চমৎকার ভাবে সে আঞ্চলিক ভাষায় নানা রকম গল্প করতে পারঙ্গম হতে পারে, এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। গ্রাম বাংলায় এখনও এরকম বহু মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাকে একটা দাপ্তরিক দলিল লেখার ভাষা বলতে গেলে সে তা পারবে না। শুধু এটা হলেও মেনে নেয়া যেত। বিষয়টি আরও গভীর। কারণ উক্ত হাদিস থেকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন কথ্য রীতিতে কোরাণ তেলাওয়াত করত। এর ফলে একই আয়াতের নানা রকম অর্থ হয়ে যাচ্ছিল। কখনও সম্পূর্ন ভিন্ন অর্থ হয়ে যাওয়াটাও বিচিত্র ছিল না। আর তা থেকেই কোরাণকে রক্ষা করার জন্য ওসমান এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে, এতে আপাত: দৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে বিষয়টিতে মোটেও দোষের কিছু ছিল না। আসলেই কি দোষের কিছু নেই ? দেখা যাক নীচের হাদিসটি-
আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস বর্ণিত- আল্লাহর নবী বলেছিলেন, জিব্রাইল আমার কাছে কোরাণকে এক রীতিতে উচ্চারণ করত। অত:পর আমি তাকে বলতাম তা অন্য রীতিতে উচ্চারণ করতে এবং সে বিভিন্ন রীতিতে তা উচ্চারণ করত এবং এভাবে সে সাতটি রীতিতে উচ্চারণ করে আমাকে শিখাত। সহী বুখারী, বই-৬১, হাদিস-৫১৩
বোঝাই যাচ্ছে জিব্রাইল সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় কোরাণকে বর্ণনা করেছে। কেন ? কারণ বাংলাদেশেই যেমন বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা প্রচলিত, সেই আরবেও বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা ছিল। সেহেতু জিব্রাইল বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতে কোরাণ উচ্চারণ করে দিয়ে মোহাম্মদের পরিশ্রম লাঘব করে দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টা কি অত সোজা ? মোটেই না। ইসলামের দাবী মোতাবেক কোরাণ একটা সুস্পষ্ট দলিল। সুস্পষ্ট দলিল সব সময় দাপ্তরিক, বিশুদ্ধ, লেখ্য একক ভাষাতেই লেখা হয়। কোন আঞ্চলিক কথ্য ভাষাতে তা কখনো লেখা হয় না। যেমন- আমরা যখন কোন দাপ্তরিক চিঠি পত্র বা দলিল লিখি তা কথ্য বা কোন আঞ্চলিক ভাষায় লিখি না। বাংলাভাষী সকল অঞ্চলের মানুষ বুঝতে পারে এমন একটা আদর্শ দাপ্তরিক ভাষাতেই তা লিখে থাকি। যেমন বর্তমান এ নিবন্ধটা আমি লিখছি তা একটা দাপ্তরিক চলতি ভাষা, কোন আঞ্চলিক ভাষা নয়। কিন্তু এ দাপ্তরিক ভাষায় লিখিত কোন পত্র কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষকে বোঝাতে গেলে আমি হয়ত তার আঞ্চলিক কথ্য ভাষার সাহায্য নিয়ে তাকে বুঝাতে পারি যদি সে দাপ্তরিক ভাষা না বোঝে।কোরাণ নাজিল বা লেখার ক্ষেত্রে এ রীতি অনুসরণ করা হয় নি তা বোঝা যাচ্ছে উপরোক্ত দুটি হাদিসে। দেখা যাচ্ছে কোরাণের বাণী বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন আঞ্চলিক কথ্য ভাষাতেই নাযিল হয়েছিল আর তা সেভাবেই লেখা হয়েছিল। কারণ মোহাম্মদ মক্কা ও মদীনা দু যায়গাতেই দীর্ঘ দিন থেকেছেন আর তাদের ভাষা আরবী হলেও আঞ্চলিক ভাষায় বহু পার্থক্য বিদ্যমান ছিল। আল্লাহই যদি কোরাণ নাযিল করে থাকবেন তাহলে তার সেটা করার কথা আদর্শ দাপ্তরিক আরবী ভাষাতেই। তারপর মোহাম্মদ সেটা বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে তাদের আঞ্চলিক ভাষায় বুঝিয়ে দিতেন তাতে কোন দোষ দেখা যায় না। কিন্তু ওসমান কর্তৃক একটা পূর্ণ কোরাণ সংকলনের আগে দেখা যাচ্ছে- কোরাণের বহুরকম কথ্য রীতি প্রচলিত ছিল আর বলাবাহুল্য মোহাম্মদ সেটা সেভাবেই বলেছিলেন। সম্ভবত বিষয়টি কিছু লেখাপড়া জানা মানুষকে সন্দিহান করে তোলে যে আল্লাহ যদি লাওহে মাহফুজে একটা কোরাণ সৃষ্টির পর পরই লিখে রেখে থাকে তাহলে তা কোন্ আদর্শ বা দাপ্তরিক ভাষায় লেখা আছে অথবা আল্লাহ কেনই বা আরবীর একটা সুনির্দিষ্ট লেখ্য দালিলিক রূপ ব্যবহার না করে ভিন্ন ভিন্ন কথ্য রূপ ব্যবহার করবে তার দলিল নাযিলের জন্য। কারণ তারা দলিল লেখার জন্য যে একটা আদর্শ লেখ্য ভাষার দরকার সেটা ভালমতোই জানত। তাই তারা মোহাম্মদকে প্রশ্ন করে- এত বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় কোরাণ নাযিল হলো কেন? তখন তিনি উক্ত হাদিস বর্ণনা করেন আর সব দায়িত্ব জিব্রাইলের ওপর বর্তান। অত:পর ওসমান এসে হুকুম জারি করে – কোরাণকে কুরাইশ উচ্চারণে লিখতে। বর্তমানে আমরা যে কোরাণ পাই তা সেই ওসমান নির্দেশিত কুরাইশ ভাষার কোরাণ। দাবী করা হয়- কোরাণ বিশুদ্ধ আরবী ভাষাতে লিখিত।কিন্তু উপরোক্ত হাদিস মোতাবেক দেখা যায়- কোরাণ হলো কুরাইশদের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত। পরবর্তীতে খলিফাদের নির্দেশে দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে কোরাণে বর্ণিত ভাষা ও ব্যকরণ অনুসরণ করার নির্দেশ জারী করা হয়। এভাবেই চলে গেছে শত শত বছর। এভাবেই কোরণের আঞ্চলিক ভাষা হয়ে উঠেছে আদর্শ আরবী। ঘটনা দৃষ্টে মনে হয়, মোহাম্মদ আমাদের বাংলাদেশের নোয়াখালী অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করলে কোরাণ রচিত হতো নোয়াখালী ভাষায় আর পরবর্তীতে এ নোয়াখাইল্যা ভাষাটাই হতো বাংলাদেশের সরকারী বা বিশুদ্ধ দাপ্তরিক বাংলা ভাষা। ৫১০ নং হাদিস থেকে দেখা যাচ্ছে- ওসমান তার মনমতো রচিত কোরাণ তৈরী করে বাকী সব লিখিত দলিল পুড়িয়ে ফেলে। কি ভয়ংকর কথা ! কোরাণ পোড়ান? তাও আবার কে সেটা করছে? খোলাফায়ে রাশেদিনের মহান খলিফা হযরত ওসমান। এখন যে কেউ কোরাণ পোড়ালে বা মোহাম্মদের একটা কার্টুন আঁকলে মুমিন বান্দারা নাঙা তলোয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে কল্লা কাটতে , খুন করে ফেলে শত শত মানুষ, তাদের তো প্রথমেই সোচ্চার হওয়া উচিত ওসমানের বিরুদ্ধে। সে বহু আগে মরে গিয়ে বেঁচে গেছে যদিও, তবে মুসলিম বিশ্ব থেকে তার বিরুদ্ধে একটা ফতোয়া জারি থাকা উচিত তার এ মহা গুনাহ-এর কাজের জন্য।উক্ত হাদিসে দেখা যায়- হাফসার কাছে একটা সম্পূর্ন কোরাণের কপি ছিল। আমরা যুক্তির খাতিরে যদি ধরে নেই বিভিন্ন সাহাবীদের কাছে থাকা ভ্রান্তিপূর্ণ কোরাণের বানী সংগ্রহ করে তা ধ্বংস করে একটা বিশুদ্ধ কোরাণ সংকলন ছিল ওসমানের উদ্দেশ্য। দেখা যায় হাফসা ছাড়াও আয়শার কাছেও একটা সম্পূর্ণ কোরাণ ছিল , যেমন-
ইউসূফ বিন মাহক বর্ণিত- যখন আমি আয়শা, সমস্ত বিশ্বাসীদের জননী এর নিকট বসে ছিলাম , ইরাক থেকে এক লোক এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করল, “ কোন ধরনের আচ্ছাদন সর্বোত্তম?” আয়শা বললেন- তোমার ওপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন। কিন্তু বিষয় কি? সে বলল- হে জননী, আমাকে আপনার কোরান থেকে দেখান। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- কেন ? সে বলল-কোরাণকে সেটার অনুযায়ী অনুলিপি করতে চাই কারণ লোকজন এর সূরা সমূহ সঠিকভাবে উচ্চারণ করছে না।……অত:পর আয়শা তার কোরাণটা বের করলেন আর লোকটাকে কোরাণের সূরা কিভাবে সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে হবে তা শিখিয়ে দিলেন। সহী বুখারী, বই-৬১, হাদিস-৫১৫
তার মানে শুধু হাফসা নয়, আয়শার কাছেও একটা সম্পূর্ন কোরাণ ছিল। সেকারণেই অনেক ইসলামী পন্ডিত বলে থাকে যে, কোরাণ মোহাম্মদের আমলেই লেখা হয়েছিল। যার সত্যতা এসব হাদিস থেকে পাওয়া যায়। খুব ভাল কথা। কিন্তু প্রশ্ন হলো- সম্পূর্ন কোরাণ যদি মোহাম্মদের আমলে একটা কিতাব আকারে লেখা হয়ে থাকে আর তার কপি যদি হাফসা ও আয়শার কাছে সংরক্ষিত থাকে তাহলে ওসমান তো সোজাসুজি তার যে কোন একটা নিয়ে কপি করে বিভিন্ন প্রদেশে পাঠিয়ে দিলেই লেঠা চুকে যেত। তার দরকার পড়ত না একটা কমিটি গঠণ করে তারপর তাদেরকে নির্দেশ দেয়া- যদি তোমরা কোন বিষয়ে যায়েদ বিন তাবিত এর সাথে কোরাণের কোন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ কর, তাহলে তা কুরাইশ উচ্চারণে লিখবে, কারণ কোরাণ সে উচ্চারণেই নাজিল হয়েছিল। এর পরও যদি ধরে নেই যে এটা শুধুমাত্র উচ্চারণগত সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ছিল, তাহলে কোথায় সেই হাফসা ও আয়শার কোরাণ এখন? কেন সেটা খলিফারা সংরক্ষন করে নি ? তখন তো ইসলামী রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, একটা প্রশাসন আছে, খলিফা আছে, যে কোন কিতাব সংরক্ষনের যাবতীয় ব্যবস্থাও তারা করতে পারত- তাহলে তারা কেন হাফসা ও আয়শার কাছে গচ্ছিত আদি ও অকৃত্রিম কোরাণকে সংরক্ষন করার ব্যবস্থা করল না? সংরক্ষন করার যাবতীয় উপায় ও ব্যবস্থা তাদের ছিল কারণ ওসমান যখন নিজের কোরাণের সংকলন সংরক্ষন করতে পেরেছিল তখন সেগুলোও তারা সংরক্ষন করতে পারত। কিন্তু তা কোন খলিফাই করে নি। করার প্রয়োজন বোধ করে নি। কি কারণে দরকার মনে করেনি তারা ? তাদের কি কোন সংশয় বা ভয় ছিল? কেন সেগুলো সংরক্ষনের দরকার ছিল? কারণ মোহাম্মদ নিজে বার বার অভিযোগ করেছেন যে ইহুদি ও খৃষ্টাণরা তাদের কিতাব বিকৃত করেছে, তাদের আদি কিতাবগুলো ধ্বংস করে নতুন করে নিজেদের মত করে কিতাব লিখে নিয়েছে। হযরত আবু বকর, হযরত ওমর ও হযরত ওসমান সবাই এসব বিষয় জানত। তাদের কি বোঝা উচিত ছিল না যে ভবিষ্যতে ঠিক একই অভিযোগ তাদের কোরাণের ব্যপারে উঠতে পারে ? নাকি প্রায় দীন হীন আরব্য জীবন থেকে একটা বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়ে ক্ষমতার মদমত্তে তারা সবাই ভুলে গেছিল এসবের আর কোন দরকার নেই ? সে কাজটা যদি তারা করে যেত আজকে ইসলামী পন্ডিতরা প্রমান করতে পারত যে- তাদের হাতে আজকে যে কোরাণ আছে সেটা হুবহু মোহাম্মদ বর্ণিত কোরাণই।যেহেতু হাফসা বা আয়শার কোরাণের কোন হদিস নেই তার অর্থ উদ্দেশ্যমূলভাবে সেগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। উক্ত ৫১০ নং হাদিস থেকে আরও বোঝা যায় যে, হাফসার কাছে যে কোরাণ ছিল তা সম্পূর্ন ছিল না। কারন বলা হচ্ছে একটা আয়াত নাকি হারিয়ে ফেলেছিল। সম্পূর্ণ কোরাণ হাফসার কাছে থাকলে কোন একটা আয়াত হারিয়ে যাওয়ার প্রশ্নটা এখানে উঠত না, প্রশ্ন উঠলেও সেটা খোজাখুজির দরকার পড়ত না। এখানে শুধু একটা হাদিসের হারানোর কথা বলা আছে। সঙ্গত কারণেই বহু হাদিস হারানোর কথা এখানে থাকবে না কারণ সেটা হবে তাদের দুর্বলতা, যারা একটা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার মত শক্তি অর্জন করতে পারে তাদেরকে অত বোকা মনে করাটা ঠিক নয়। সুতরাং আমরা কিভাবে নিশ্চিত হবো যে অনেক আয়াত হারিয়ে যায় নি ? বলা হয় তখন শত শত কোরাণে হাফেজ ছিল।কিন্তু হাদিস থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সেসব হাফেজরা যার যার মত করে তাদের নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষায় কোরাণ মূখস্ত করেছিল। ওসমান যাদেরকে কোরাণ সংকলনের দায়িত্ব দিয়েছিল তারাও নিশ্চয়ই কোরাণে হাফেজ ছিল। তো তাদের যদি সম্পূর্ন কোরাণ মূখস্তই থাকে, তাহলে আর খামোখা কষ্ট করে সারা আরব দেশ থেকে খেজুর পাতা , হাড় গোড় এসবে লেখা আয়াত খুজতে গেল কেন? তার অর্থ বোঝা যাচ্ছে তারা নিজেরা হাফেজ হওয়া সত্ত্বেও তাদের জানা কোরাণের ব্যপারে তার সম্পূর্ন আস্থাবান ছিল না। তাই তারা সমস্ত রকম পান্ডুলিপি জোগাড় করে বুঝতে চাচ্ছিল তাদেরটা ঠিক কি না। বলাবাহুল্য সেগুলোর মধ্যে যে যথেষ্ট অসঙ্গতি ছিল তা কিন্তু হাদিসেই পরিস্কার। সুতরাং এ সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক যে, হাফসার কোরাণ সম্পূর্ণ না হলে, বিভিন্ন যায়গা থেকে সংগ্রহ করা চামড়া, খেজুর পাতা বা হাড়ে লেখা আয়াতসমূহ এবং হাফসার কাছে রক্ষিত কোরাণ থেকে ওসমান আর তার ভাড়া করা কর্মচারীরা তাদের সুবিধামত আয়াত সংকলন করে, সংশোধন, সংজোযন, পরিবর্তন করে, এমন কি নিজেরা নতুন আয়াত বানিয়ে একটা সম্পূর্ণ নতুন কোরাণ তৈরী করে তা বিভিন্ন প্রদেশে পাঠিয়েছে ওসমান এবং ফরমান জারি করেছে- অত:পর এ কোরাণই অনুসরণ করতে হবে।তখন আরবের অবস্থা আর মোহাম্মদের আমলের মত ছিল না। পাকাপোক্ত খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। খলিফার আইন বিনা প্রশ্নে মেনে চলার বিধাণ জারি হয়েছে। কোন কোন কোরাণে হাফেজ যদি নতুন কোরাণে কোন অসংগতি দেখতেও পেত তা শোনার কেউ তখন ছিল না, কারণ এরই মধ্যে প্রচারিত হয়ে গেছিল যে বিভিন্ন যায়গাতে বিভিন্নভাবে কোরাণ পড়া হয়, আর তাই নতুন করে কোরাণ সংকলন করা হয়েছে বিশুদ্ধতা রক্ষা করে ও অত:পর এটাই সকলকে পড়তে হবে। সুতরাং এর পর আর কে কথা বলতে যাবে এটা নিয়ে? সুতরাং সারমর্ম হলো- হাদিসের বক্তব্য অনুযায়ী, আজকে যে কোরাণ আমরা দেখতে পাই তাতে মোহাম্মদ বর্ণিত সার কথা থাকলেও তা মোটেও হুবহু মোহাম্মদ বর্ণিত সম্পূর্ন কোরাণ নয়। যেহেতু হাফসার বা আয়শার কোরাণের কোন খোজ পাওয়া যায় না তাই এটা নিশ্চিত যে হয় ওসমান অথবা ওসমানের নিয়োজিত কোন লোক পরবর্তীতে উক্ত কোরাণের কপি সংগ্রহ করে তা ধ্বংস করে ফেলে। তারা ধ্বংস করে ফেলে একারণে যে সেগুলো সংরক্ষিত হলে তাদের সংকলিত কোরাণের বিশ্বাসযোগ্যতা ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়বে। সাধারণ মুমিন মুসলমানরা এতসব খবর বা ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামায় না। অন্যদিকে ইসলামি পন্ডিতরা প্রচার মাধ্যমে সাড়ম্বরে প্রচার করে বেড়ায় বিগত ১৪০০ বছর ধরে কোরাণ হুবহু এক আছে, তাই তারা চোখ বুজে বিশ্বাস করে। এখন গত ১৪০০ বছর ধরে কার কোরাণ হুবহু অবিকৃত অবস্থায় আছে তা তো আমরা হাদিস থেকেই দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে সৌদি পেট্রো ডলারের বলে বলীয়ান হয়ে যতই বহুরকম মিডিয়াতে উচ্চৈস্বরে চিৎকার করে বলা হোক যে- বর্তমান কোরাণে কোন বিকৃতি নেই, এটা আল্লাহ কথিত মোহাম্মদের অবিকল কোরাণ তাতে কিছু অন্ধ ও বধির লোকজনরা আস্বস্থ হলেও কৌতুহলী ও বুদ্ধিমান মানুষদেরকে আস্বস্থ করা যাবে না। হাদিস যেহেতু বলছে- হাফসা ও আয়শার কাছে মোহাম্মদের কোরাণ ছিল, তাই এখন এসব ইসলামী পন্ডিতদেরকে সেসব কোরাণ যোগাড় করেই তাদের দাবী প্রমান করতে হবে। কোরাণ অবিকৃত দাবী যেহেতু তারা করছে তাই প্রমানের দায়িত্বও তাদের। কিছু কিছু ইসলামী পন্ডিত ইদানিং ঠিক একারণেই হাদিসকে গ্রহণ করতে চায় না। উপরোক্ত ঘটনা সমূহ থেকে বোঝা যাচ্ছে হাদিস গ্রহণ বিশ্বাস করলে কোরাণের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। কিন্তু তাদের বুঝতে হবে- হাদিস ছাড়া মোহাম্মদের অস্তিত্ব নেই, মোহাম্মদ ছাড়া তেমনি কোরাণও অস্তিত্বহীন। এছাড়া দেখা যায়, মোহাম্মদ জীবদ্দশায় কখনো সম্পূর্নরূপে কোরাণকে লিখে রাখার তাগিদ বোধ করেন নি। মাঝে মাঝে দু একটি বিচ্ছিন্ন আয়াত হয়ত লিখতে বলেছেন।তিনি জানতেন তাঁর পূর্ববর্তী নবীগণ সে কাজটা কখনো করেননি। কিন্তু তার পরেও তাঁদের বাণীসমূহ কিতাবাকারে পাওয়া যেত তখন, কারন তাঁদের সাথীরা সেসব লিখে রাখত। তিনিও জানতেন যে তাঁর প্রচার করা তথাকথিত আল্লাহর বাণীসমূহ সেভাবেই তাঁর সাহাবীরা লিখে রাখছে ও একই সাথে মুখস্ত করে রাখছে। এটা ছিল মূলত ইহুদী খৃষ্টানদেরকে বোঝানো যে তিনি নিজে পূর্ববর্তী নবীদের পদাংক অনুসরণ করছেন একারণে তাঁকে বিশ্বাস করা উচিত তাদের। কোরাণে তিনি খুব জোরের সাথে বলেছেন-
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।সূরা-আল-হিজর,১৫:০৯
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ তার উপদেশ গ্রন্থ কোরাণ সংরক্ষণ করে নি। দেখা যাচ্ছে নানা রকম গোজামিল দিয়ে ওসমানের মাধ্যমে কিছু ভাড়াটে কর্মচারী দিয়ে কোরাণকে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। মোহাম্মদের লক্ষ্য ছিল একটা ঐক্যবদ্ধ আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। যখন সেটা সম্পন্ন হয়ে গেছিল তখন আর তাঁর কোরাণ সংরক্ষনের চিন্তা মাথায় আসেনি। তার ধারণা ছিল রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে তা ধর্ম ছাড়া এমনিতেই চলতে থাকবে। যেমন চলেছে- রোমান, বাইজান্টাইন,পারস্য সাম্রাজ্য এসব। যদি যুক্তি দেয়া হয় যে – আল্লাহ তো মানুষকে দিয়েই তার কাজ করায়। তাই যদি হতো- তাহলে মোহাম্মদ বললেই সাথে সাথে তাঁর সাহাবীরা বহু কপি কোরাণ লেখা হয়ে যেত তাঁর জীবদ্দশায়। পরে আর ওসমানকে টাকা খরচ করে কিছু ভাড়াটে লেখক নিয়োগ করতে হতো না আর আজকে এত সমালোচণার সামনে পড়তে হতো না। তাঁর স্বপ্ন যে আসলেই আরব সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা ছিল তার প্রমানও কিন্তু কোরাণে মেলে, যেমন-
এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। কোরান, ০৬: ৯২
তার মানে তিনি শুধুমাত্র মক্কাবাসী ও তার পার্শ্ববর্তী লোকজনদেরকে ভয় প্রদর্শন করার জন্য কোরাণ অবতীর্ণ করেছেন। কেন ? কারণ তার স্বপ্ন মক্কাবাসীরা বীরের জাতি, তাদের দিয়ে তিনি একটা ঐক্যবদ্ধ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চান। যে রাজ্যের সবাই হবে আরব। এটা একটা আরব জাতিয়তাবাদী রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। একারণেই আমরা দেখেছি বার বার তিনি বলছেন- আমি কোরাণকে অবতীর্ণ করেছি সহজ আরবী ভাষায় যাতে তোমরা বুঝতে পার। আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠার তাগিদ থেকেই যে তাঁর ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা, তা আরও বোঝা যায় তার কুরাইশদের সাথে ১০ বছর মেয়াদী সন্ধি চুক্তি করার মাত্র আড়াই বছর পরেই একটা ঠুনকো অজুহাতে মক্কা আক্রমন ও দখল করার মধ্য দিয়ে। এত তাড়াতাড়ি চুক্তি ভঙ্গ করে আক্রমন করার কারণ হলো তিনি তখন প্রায় বৃদ্ধ হয়ে গেছেন , বয়স ৬০ পেরিয়ে যাচ্ছে, স্বপ্ন সফল হচ্ছে না।তাঁর হাতে তেমন সময় ছিল না আর।
মোহাম্মদ শুধু বুদ্ধিমানই ছিলেন না , ছিলেন অতিশয় প্রত্যুৎপন্নমতিও । তাৎক্ষনিক যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে তাঁর জুড়ি ছিল না। তাঁর এ ক্ষমতা ছিল বলেই সে না তিনি নবী হতে পেরেছিলেন আর উদ্ধত আরবদেরকে বশ করতে পেরেছিলেন। তাঁর প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের একটা উদাহরণ দেয়া যাক-
আল বারা বর্ণিত- এ আয়াত টি নাযিল হলো, “ যে সব বিশ্বাসী ঘরে বসে থাকে তাদের মর্যাদা যারা জান মাল দিয়ে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে তাদের সমান নয়”(কোরাণ,০৪:৯৫)। নবী বললেন, যায়েদকে আমার কাছে ডাক আর তাকে একটা বোর্ড বা হাড়ের টুকরা ও কালি আনতে বল। তারপর তিনি বললেন- “লেখ, সে সব বিশ্বাসী ঘরে বসে থাকে…” এবং এমন সময় আমর বিন উম মাখতুম যে ছিল একজন অন্ধ মানুষ সে সেখানে নবীর পিছনে বসেছিল, নবীকে বলল, “ হে আল্লাহর নবী! আমি তো একজন অন্ধ মানুষ, আমার জন্য তোমার কি হুকুম ?” সুতরাং সাথে সাথেই আগের আয়াতের পরিবর্তে এ আয়াত নাযিল হলো- “যারা অক্ষম তারা ছাড়া যে সব বিশ্বাসী ঘরে বসে থাকে তাদের মর্যাদা যারা জান মাল দিয়ে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে তাদের সমান নয়”(০৪:৯৫)। সহি বুখারী, বই-৬১, হাদিস-৫১২
এর পরে কি বুঝতে বাকী থাকে কোরাণের আয়াত আল্লাহর প্রেরিত নাকি মোহাম্মদের নিজের রচিত ? একই সাথে এটা তাঁর দুর্দান্ত প্রত্যুৎপন্নমতিত্বেরও উদাহরণ। কথায় বলে বেশী চালাকের গলায় দড়ি। বিষয়টা এ ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। কোরাণ যেহেতু লাওহে মাহফুজে আল্লাহ অনেক আগেই লিখে রেখেছে, তার মানে কিছুক্ষণ আগে যা নাযিল হয়েছিল সেটা নিশ্চয়ই কোরাণে লেখা ছিল। কিন্তু এক অন্ধ লোকের আচমকা বেমক্কা প্রশ্নে মোহাম্মদকে বাধ্য হতে হয় নতুন করে সংশোধিত আয়াত বলতে। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে- আল্লাহ কি সাথে সাথেই তার লিখিত কোরাণ থেকে আগের নাযিলকৃত ব্ক্তব্য মুছে ফেলে নতুন করে লিখেছে? অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে- মোহাম্মদের বেঁচে থাকা কালীন সময়ে বেচারা আল্লাহ বড়ই বিপদের মধ্যে ছিল। তার অন্য সব কাম কাজ ফেলে তাকে অহর্নিশ বসে থাকতে হতো তার লিখিত কোরানের সামনে। কারণ কখন তার পেয়ারা নবী জানি দোস্ত তার কোরাণের বাণী পাল্টে ফেলে তার ঠিক নেই। আর সাথে সাথেই তাকে তা সংশোধণ করতে হতো। আল্লাহর কাছে কোন কম্পিউটার আছে কিনা তা মোহাম্মদ জানাননি। যদি না থেকে থাকে তাহলে বেচারা আল্লাহর এ ধরণের সংশোধনীর জন্য যে কিরূপ পরিশ্রম করতে হয়েছে তা সহজেই বোধগম্য। এ থেকে আরও বোঝা যায়- মোহাম্মদ প্রচন্ড দু:সাহসীও ছিলেন।কারণ যে কোন সু্স্থ ও কান্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষই মোহাম্মদের উক্ত বক্তব্য শুনে বুঝে ফেলতে পারত যে মোহাম্মদ যাকে আল্লাহর বাণী বলে চালাচ্ছে তা আসলে আল্লাহর বাণী নয়। কিন্তু তাঁর দু:সাহস তাঁকে এ বিষয়ে অনেক সাহায্য করত। তবে বিশেষভাবে খেয়াল করতে হবে এ ধরণের তাৎক্ষনিক পরিবর্তনীয় আয়াতগুলি তিনি মদিনার জীবনেই সব বলেছেন যেখানে তিনি ছিলেন একচ্ছত্র অধিপতি, যার কথার বিরুদ্ধাচরণ কেউ করত না বা করতে সাহস করত না। যেমন উপরের ০৪:৯৫ টি হলো সূরা নিসা থেকে নেয়া যা মদিনায় নাযিল হয়েছিল।
প্রথমে বলা হয়েছিল মোহাম্মদের হিস্টিরিয়া রোগ আছে কি না। তাঁর সামগ্রিক জীবনের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- জীবনের সবসময়ই তার এ রোগটা ছিল তবে প্রথম দিকে এর প্রকোপ বেশী ছিল, পরে কিছু কমে যায়। পরবর্তীতে তিনি আয়াত নাজিলের জন্য আর হিস্টিরিয়ার অপেক্ষায় বসে থাকতেন না। কৃত্রিমভাবে একটা ভাব গম্ভীর আবহ সৃষ্টি করে আয়াত নাজিল করতেন। ঠিক সেকারণেই খুব দ্রুত তিনি পাল্টা আয়াত নাজিল করতেন যেটা ওপরোক্ত হাদিস থেকে পরিস্কার বোঝা যায়। আর একাজটা তিনি করেছেন তার মদিনার জীবনে কারণ সেখানে তাঁর কোন কাজের ব্যপারে টু শব্দ করার কোন সাহস কেউ করত না। মক্কায় অবতীর্ণ সূরাতে এসব খুব বেশী দেখতে পাওয়া যায় না। কেননা দুর্বল মোহাম্মদ মক্কাতে এসব করলে তিনি যে একজন প্রতারক তা সবাই ধরে ফেলে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করত সাথে সাথেই। তাই প্রাথমিক মক্কার জীবনে তিনি ভুলক্রমেও কখনও একাজ টি করেন নি-এটা আমার অনুমান- যে কেউ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। একাজটি তিনি একবারই মাত্র করেছিলেন মক্কাতে সেই বিখ্যাত শয়তানের আয়াতের ব্যপারে আর তার পরিণাম কি হয়েছিল তা সবাই অবগত। তাঁকে এর পর পরই মদিণাতে জান নিয়ে পালাতে হয়েছিল।একজন ভাল ইসলামী পন্ডিত যিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়েছে তাকে উক্ত হাদিসটি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম- এটা কিভাবে সম্ভব যে এত দ্রুত একই বিষয়ে সংশোধিত আয়াত নাজিল হতে পারে ? আল্লাহ কি তাহলে প্রথমবার অসম্পূর্ন আয়াত নাজিল করেছিল ? লোকটি চালাক, বুঝতে পেরেছিল আমি কি বোঝাতে চাচ্ছি। তাই অত ঘুর প্যাচে না গিয়ে সোজা বলল- কিভাবে কখন কোন পরিস্থিতিতে আয়াত নাজিল হয়েছিল এটা ভেবে সময় নষ্ট না করে কোরাণে যা বলা আছে সেটা অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বলাই বাহুল্য ,সে লোক এ ব্যপারে আমার সাথে আর কথা বাড়ায় নি।
মোহাম্মদ ও ইসলাম- ৪র্থ পর্ব
মোহাম্মদ ও ইসলাম-৩য় পর্ব
মোহাম্মদ ও ইসলাম- ২য় পর্ব
মোহাম্মদ ও ইসলাম- ১ম পর্ব
যুক্তিনিষ্ঠ বিষয় খুব ভাল লাগছে
“প্রথমে বলা হয়েছিল মোহাম্মদের হিস্টিরিয়া রোগ আছে কি না। তাঁর সামগ্রিক জীবনের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- জীবনের সবসময়ই তার এ রোগটা ছিল তবে প্রথম দিকে এর প্রকোপ বেশী ছিল, পরে কিছু কমে যায়। পরবর্তীতে তিনি আয়াত নাজিলের জন্য আর হিস্টিরিয়ার অপেক্ষায় বসে থাকতেন না।”
হুম। কিন্তু প্রশ্ন হোল হিস্টিরিয়া রুগী এত যুদ্ধ করলো কিভাবে?। কানে আওয়াজ শোনা সিজফ্রেনিক রোগের লক্ষণ জানি। মনে হয় না মোহাম্মাদ মানসিক রুগী ছিলেন। মানসিক রুগিদের এত মনের জোর এবং কব্জির জোর থাকার কথা না।ইতিহাসে এমন কোন উদাহরন কি আছে যে এমন মানসিক রুগী এতটা মন আর কব্জির জোর দেখাতে পেরেছিলেন। ধর্ম গোঁজামিল মার্কা একটা জিনিস,সেটা ঠিক আছে,কিন্তু তা প্রমান করার জন্য আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।
?
আল্লাহ পাক কখনো মিথ্যা কে স্বীকার করে নিতে বলতে পারেন না। আর আমাকে মুনাফেক বলে অনন্তকাল দোজখে পাঠিয়ে দিলেই অমনি হয়ে গেল ? বরং মুনাফেক তো তারাই কারন তারা শুধু একের পর এক মিথ্যা প্রপান্ডা চালিয়েই ছাড়ছেনা বরং অবুঝ মানুষ দেরকে ভূল পথে চালিয়েও দিচ্ছে। এটাই মোনাফেক হওয়ার সব চেয়ে বড় লক্ষন।
দেখবেন কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাক আমাদের সত্য পথে থাকার কারনে আমাদেরকেই বেহেশত প্রদান করেছেন। আর ওরা মিথ্যা পথে থাকার কারনে ওদের অন্নতকাল দোজখে দিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহ পাককে কেহ কিনে নিতে পারেনা। তার কাছে সবাই সমান ভাবে বিবেচিত। সবাইকে তিনি ছাড়া অন্য কেহ আসিয়া সৃষ্টি করিয়া রেখে যায় নাই।শুধু নাস্তিকদেরই ধরি কেন, ওরা তো এটাও বলে যে, যে ব্যক্তি ইহুদি নাছারাদের সংগে উঠা বসা বা সু সম্পর্ক গড়ে তোলে তাকেও ওদের সংগে দোজখে যাইতে হইবে। আর এখন আমদের চোখের সামনে দেখতে হচ্ছে সেই ইহুদি নাছারাদের পরিশ্রম লব্ধ আবিস্কৃত Technology ব্যবহার ছাড়া তাদের জীবন ও চলছেনা। এমনকি এগুলি ছাড়া ধর্মিয় কাজ ও হচ্ছেনা। মাইক, প্লেন ছাড়া নামাজ ও হজ হচ্ছেনা। কম্পিউটার,ইন্টারনেট ছাড়া জীবন ই অচল। এগুলী ইহুদী নাছাদের আবিস্কৃত বস্তু গুলী ব্যবহারের হালালত্ব দান করার অর্থ হইল তারা মুখে এক রকম বলতেছেন আর কার্যে তার বিপরীত। এইটাই বড় মুনাফেকীর লক্ষন।
এই মুনামেকীর জন্য আল্লাহ পাক তাদেরকে কেয়ামতের দিন অন্নত কাল নরক শাশ্তি ভোগ করাইবেন।
জাকির নায়েক সাহেবের মতন বর্তমানের সর্ব শ্রেষ্ঠ বুজুর্গ ব্যক্তিত্বের প্রকাশ্য জন সম্মুখে একটি মিথ্যাবাজীর সুন্দর কৌশল দেখুন তাহলে।মোনাফকী কাকে বলে তাহলে ভালকরে বুঝতে পারবেন।
ভিডিও টি আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।
আল্লাহ পাক কোরানে কোথাও বলেছেন “ তিনি কাফেরদের “কলবে” সীল মহর মেরে দিয়েছেন, এজন্য তাদের সঠিক বুঝ আসতেছেনা”
“কলব” আরী শব্দটির অর্থ হল হৃদপিন্ড। চিকিৎসা বিজ্ঞন আবিস্কৃত হওয়ার পর বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছে যে এই হৃদপন্ডের একমাত্র কাজ ই হল শরীরের সর্বত্র সর্বক্ষন রক্ত সন্চালন প্রকৃয়ার মাধ্যমে জীবন কে সর্বদা সুস্থ ও জীবিত রাখা। এটা কখনই মন মানসিকতা, চন্তা ভাবনা,বা বিবেচনার কাজ করেনা। এই কাজগুলী করে একমাত্র মস্তিস্কে। তা হলে হৃদপিন্ডকে মহর মেরে দিলে কাফেরদের বুদ্ধি কেন লোপ পাইবে। বরং সে কাফেরটি হৃদপিন্ডের কৃয়াকলাপ বন্দ হয়ে হঠাৎ মারা যেতে পারে। তাতে কি লাভ হইল ?
ঠিক এই প্রশ্নটিই করেছিলেন একজন মহিলা জাকির নয়েক কে তার একটি ভিডিও অনুষ্ঠানে।
চতুর বুজুর্গ নায়েক নায়েক সাহেব কি করিলেন ? মুহুর্তের মধ্যে আরবী ভাসার “কলব” শব্দটির আভিধানিক অর্থটি পর্যন্ত নিজের মন গড়া পদ্ধতিতে পাল্টাতে পল্টাতে “মস্তিস্ক” পর্যন্ত পৌছাইয়া ছাড়িয়া দিলেন।
আর অসংখ্য শ্রোতারা ভক্তিতে গদগদ হইয়া প্রসংসা মুখর হইয়া উঠিলেন।
এুগুলিই প্রকৃত মোনাফেকীর লক্ষন। দোজখে যাইতে হলে এদের ই যাইতে হইবে। কারন এরা অবুঝ মানুষদেরকে ভূল বাখ্যা দিতেছেন।
আমি কখনই দোজখে যাইবনা। কারন আমি কোন অন্যায় করিতেছিনা।
এরপর থেকে এই বুজুর্গ সাহেবের কোন ভিডিও ই আমার দেখতে ভক্তিতে লয়না।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এটা কি ইসলামী বেহেস্ত নাকি অন্য কোন বেহেস্ত?
এই লোকটা তো পুরো কোরান নতুনভাবেই ব্যখ্যা করছে। কিন্তু সে বুঝতে পারছে না যে এটা কোরানে আল্লাহর বক্তব্যকেই নাকচ করে। আল্লাহ বার বার বলেছে- আমি কোরানকে সুস্পষ্ট নিদর্শন রূপে অবতীর্ণ করেছি। জাকিরের ব্যখ্যা অনুযায়ী- বিগত ১৪০০ বছর ধরে কোরান কেউ বোঝেনি।
@ভবঘুরে,
১৪০০ বছর ধরে কোরান খুব ভালোরকমভাবে বুঝার ফলে ইসলামের আসল মুখোস উন্মোচিত হয়েছে, তাই নিজেদের মাথা বাঁচাতে জাকির মিঞাদের এখন কোরানের নিজস্ব ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে বৈকি! তা না হলে লেজে গোবরে অবস্থা হবার যোগার হচ্ছে যে!
হ্যাঁ, আগে এই বিশাল কোরানের কিছু কিছু বঝার চেস্টা তো করেছিলাম বটেই কিন্ত কোরানের কিছু কিছু আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সংগে একেবারেই খাপ খাওয়াতে না পেরে ওটা বুঝার চেষ্টা করা এক রকম ছেড়েই দিয়েছিলাম। যেমন ধরুনL
১। কোরানে মানব জাতির আভির্ভাব সম্পর্কে আদম হাওয়ার চমকপ্রদ আকর্ষনীয় গল্প এক সময় অত্যন্ত প্রিয় ছিল। তারা নাকি অন্ততঃ ১০ হাজার বৎসর আগে এই পৃথিবীতে আভির্ভূত হয়েছিলেন।
কিন্তু বিজ্ঞানে আজ সতঃ সিদ্ধ ভাবে প্রমানিত যে এই আধুনিক মানবের ৩ লক্ষ
বৎসরের পূর্বের ফসিল ও যা বিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে তা পাওয়া গিয়েছে।
তা হলে এখানেই কোরানের গল্পের সংগের এতবড় গরমিল কি ভাবে মিলাবো এটা বুঝে আসেনা।
২। কোরান এত বড় বিজ্ঞান ময় কিতাব তা সত্বেও আমাদের এই পৃথিবীর গোলাকার হওয়ার কথা বা ঘুর্ননের কথা কোথাও বলেনাই বরং বলেছে পৃথিবীকে পাহাড়ের দ্বারা পেরেক মেরে আটকিয়ে রাখা হয়েছে এবং জুলকারনাইন বাদশাহ সূর্যের পূর্ব দিকে উদিত হওয়ার স্থানে ও পশ্চিমে একটা জল কর্দমাক্ত জায়গায় সূর্য ডুবে যাওয়ার স্থান পর্যন্তও গিয়েছেন। এটা এই গোলাকার পৃথিবীতে কি করে সম্ভব ?
এই ধরনের আরো কিছু কিছু।
এর পর কোরান হাদিছ চরচা একরকম ছেড়েই দিয়েছিলাম। এখন মুক্ত মনায় কিছু বাংলা লিংক পাওয়াতে চরচা করতে সুবিধা হয়েছে।
আনজেম ছৌধুরী সম্পর্কে কিছু জানিনা।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
বিজ্ঞানময় কিতাব সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করছেন , আপনার দোজখের ভয় হয় না ?
আর তাছাড়া এখন এই মুক্তমনাতে এসে যে কাফির নাস্তিকদের সাথে ওঠা বসা করছেন, জানেন এ শাস্তি কি ? অনন্তকাল দোজখে আগুনে পুড়ে মরা। ওহ হ্যা , একটা ইসলামি সাইটে দেখেছিলাম ওরা আপনাকে মুনাফিক আখ্যায়িত করেছে। আল্লাহ সবাইকে মাফ করলেও মুশরিক আর মুনাফেকদেরকে মাফ করবে না, এটা জানেন ?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আনজেম চেৌধুরী একটা টিপিক্যাল উগ্রবাদী ইসলামী নেতা। তাঁকে জানতে হলে এখানে দেখুন।
ধন্যবাদ।
আনজেম চেৌধুরীকে আমার পছন্দ এই কারনে যে সে কোন মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে ‘সত্যিকারের ইসলামের‘ কথা বলে। কোন ভনিতা করে না।
ANJEM BLOWS HIS COVER ON NEWSNIGHT
httpv://www.youtube.com/watch?v=B9PUDoYc8s8&feature=related
http://www.youtube.com/watch?v=B9PUDoYc8s8&feature=related
এই মাত্র আমি বাংলা মারেফুল কোরান হতে পড়িয়া শিহরিয়া উঠিলাম। এখানে কোনই জটিলতা নাই। অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও স্বচ্ছ ভাষায় বর্নণা করা হয়েছে। আমার মনে হয় নামধারী মুসলমানেরা কখনো নিজে কোরান খানি খুলিয়া একটু অর্থ বুঝে পড়েননা। কেন আজ মুসলমানেরা বিশ্ব অঙ্গনে দাগী আসামী হইবেনা ? অত্যন্নত পরিতাপের ও চিন্তার বিষয়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি কি আগে কখনো মাতৃভাষা বা নিদেনপক্ষে ইংরেজীতে কোরান পড়েন নি ?
আজকে একটা বিতর্কে দেখলাম , আনজেম চৌধুরী বলে এক লোক একজন খৃষ্টান পন্ডিতের সাথে বিতর্কে খুব স্পষ্ট ভাষায় বলছে তার লক্ষ্য আমেরিকাতে শারিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করা ও তাকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানান। এ ব্যাক্তিটি সম্পর্কে কিছু অবগত আছেন ?
ভবঘুরের মূল বক্তব্য ছিল আগের নবীদের ফেরেশতারা দেখা করলে মোহম্মদের মত ভীত হতেন না কিনা। Prophetic Visions এর সময় মূর্ছা হওয়া এক কথা নয়। আগের নবীরা তো Prophetic Visions কে ফেরেশতার আবির্ভাবের সাথে জুড়ে দেন নি মোহাম্মদের মত। ভবঘুরে বলতে চাইছেন যে মোহাম্মদ মূর্ছা রোগীই ছিলেন কিন্তু মোহাম্মদ ও তার অনুসারীরা সুচতুরভাবে সেটাকে ফেরেশতার সাথে সাক্ষাতের কারণে বলে চালিয়ে দিল। বাইবেলের নবীদের মূর্চ্ছা রোগকে সেরকম রঙ দেয়া হয়নি বলেই জানি। যদি ভুল বলে থাকি তাহলে রেফেরন্স দিয়ে ভুল শুধরালে বাধিত হব। Prophetic Visions খুব ঘোলা কথা।
@যাযাবর,
বাইবেলের নবীদেরও একই মূর্ছা রোগ ছিল তবে তারা শারিরীক কষ্ট পেতেন এমন বর্ণনা নেই। এক্ষেত্রে মোহাম্মদ ব্যতিক্রম। তিনি ভীষণ কষ্ট পেতেন।
উক্ত বিষয়টিই ছিল মূল কথা। আপনি সঠিক। এ নিবন্ধে বাইবেলের নবীদের যথার্থতা প্রমান করা হচ্ছে না। বরং তাদের সাথে মোহাম্মদের একটা গুণগত পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল।
@ভবঘুরে,
আপনি (শারীরিক) কষ্ট পাওয়াটাকে তর্কের বিষয় করে ফেলছেন । মূর্ছা রোগে কারো শারীরিক কষ্ট হতেও পারে। এটা নিয়ে কোন তর্কে করে লাভ নেই। এজন্যই উপরে সফিক কষ্টের পরিমাণ নিয়ে আপনাকে টিটকারী মারার সুযোগ পেলেন। আসল ব্যাপার হল আগের নবীরা বা খ্রীষ্টানেরা মূর্ছা রোগের কারন হিসেবে স্বয়ং ফেরেশতার সাক্ষাত বা ওহী নাজিল বলে চালিয়েছে কিনা মোহম্মদের মত। সেটাকেই ফোকস করা উচিত।
@যাযাবর,ওল্ড টেস্টামেন্ট এর প্রফেটদের ঐশী বানী শোনাকে সম্ভাব্য মৃগীরোগ, স্কিৎজোফ্রেনিয়া হিসেবে ব্যাখা করা নিয়ে অনেক লেখা রয়েছে। সময় করে বসে গুগল করলে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
@সফিক,
কথা হচ্ছিল উল্টোটা নিয়ে। ঐশী বানী শোনাকে সম্ভাব্য মৃগীরোগ হিসেবে ব্যাখা করা এক জিনিষ আর মৃগীরোগকে ঐশী বানী শোনা বলে চালিয়ে দেয়া আরেক কথা। খ্রীষ্টান নবীদের বেলায় প্রথমটি করা হচ্ছে, এবং আমরা একমত এই ব্যাপারে কিন্তু মুসলীম নবীর বেলায় (মোহাম্মদ) উল্টোটা বলা হচ্ছে (মানে মুসলমানেরা বলে)। আমি এই পার্থক্যটা যতেষ্ট পরিস্কার করেই বলেছিলাম তারপর ও কেন এই বিভ্রান্তি বুঝলাম না।
@যাযাবর,আমি আপনার কথার মাথামুন্ডু বুঝলাম না। ঐশী বানী কে মৃগীরোগ বলা আর মৃগীরোগকে ঐশী বানী বলার মধ্যে পার্থক্য কি? মোদ্দা কথা হাইপোথিসিস হলো তারা মৃগীরোগী ছিলেন এবং মৃগীরোগের এপিসোডের সময়েই ঐশী বানী পেতেন। এখানে পার্থক্যটা কি?
“পূর্ববর্তী নবীসমূহ যেমন- ইব্রাহিম, মূসা, ইসা তাঁদের সাথে যখন কোন ফিরিস্তা দেখা করত তখনও কি তারা দৈহিক কষ্ট অনুভব করত বা ভয় পেতেন? তোরাহ ও গসপেলে কোথাও তেমন কোন নজীর পাওয়া যায় না”
জনাব ভবঘুরে, আপনার কাছে কি ইন্টারনেট আছে? কোনো কিছু লেখার আগে একটু ইন্টারনেট ঘেটে রিসার্চ করে দেখতে পারেন না?
Epilepsy ‘found in biblical prophet
http://news.bbc.co.uk/2/hi/health/1656229.stm
Old Testament prophet showed epileptic symptoms
http://www.newscientist.com/article/dn1565-old-testament-prophet-showed-epileptic-symptoms.html
http://newsgroups.derkeiler.com/Archive/Uk/uk.religion.islam/2005-08/msg00384.html
Muhammad’s 11 symptoms
>
>
> 1. He experienced ringing in his ears, like bells
In their epileptic or psychotic fits which they interpreted as “prophetic”
visions, Ezekiel heard “loud thundering noises” (Ezekiel 3:12f); Jeremiah
heard “sound of the trumpet” (Jeremiah 4:19); Isaiah heard loud and shrill
voices like “someone crying in the wilderness” (Isaiah 40:3).
> 2. Sweat was on his forehead
During what he believed to be his “prophetic” experience, all the “bones” of
Jeremiah “shook” (Jeremiah 23:9) and he appeared to others like a “drunken
man.”
> 3. His heart would beat rapidly
Isaiah’s heart “panted” (i.e., beat heavily) in his “prophetic” experience
according to Isaiah 21:4.
> 4. His face was red
Compare this with those whom the Old Testament regards as Prophets: The Old
Testament Prophets bruised and bled themselves (see: I Kings 20:35-43) under
the influence of what they regarded as their “prophetic” experience.
> 5. He would breath heavily
Isaiah’s heart would falter and he would breathe heavily in what he believed
to be his “prophetic” visions (Isaiah 21:4).
> 6. He would suddenly fall down or lie down
In Abraham’s psychotic vision, he “fell face down” on the ground (Genesis
17:3). In his visions, which he claimed to be “prophetic,” Ezekiel would
fall on his face (Ezekiel 1:28; 43:1-5; 44:4). When Peter and the disciples
of Jesus underwent a psychotic vision, they “fell flat on the ground.”
(Matthew 17:6)
> 7. He wanted to be covered by a blanket
Old Testament Prophets covered themselves with rough and thick “garments of
hair” and leather-girdles (Zechariah 13:4; II Kings 1:8).
> 8. He would fall down unconscious
Daniel fell unconscious on observing a vision, which he claimed to be a
“prophetic” experience (Daniel 10:8, 9f).
> 9. His lips would move rapidly
Max Weber writes:
They [The Old Testament Prophets] screamed (karah) their prophecies aloud
to the world, partly in indistinguishable words, partly in imprecations,
threats, and benedictions with saliva running from their mouths (hittif
“geifern” mean to prophecy), now murmuring or stammering. (Ancient Judaism,
(NY, 1952), p. 287)
I had already indicated that Ezekiel suffered from paralysis of the limbs
and of the tongue (Ezekiel 3:25f) — from which infirmities he is relieved
only upon the pronouncement (which he believed to be “prophetic”) of the
downfall of Jerusalem (Ezekiel 24:27; 33 22).
> 10. He would snore like a camel
The comment of the bigoted author of the original post itself stated that
this was not (i.e., in his opinion) a symptom of epilepsy. Thus there isn’t
any need to further investigate it because he/she did not raise any
objection here.
> 11. He would sweat
See response to point 2. The dumb Christian repeated this point twice.
@সফিক,
মোহাম্মদ যেরকম ভীষণ শারিরীক কষ্ট পেতেন বলে বলেছেন আপনার প্রদত্ত লিংকে বাইবেলের নবীরা মোহাম্মদের মত ভীষণ কষ্ট পেত তার বর্ণনা কোথায় ?
@ভবঘুরে,
আপনি ঠিক বলেছেন। বাইবেলের প্রফেটরা ওহী নাজিলের সময়ে শুধু কষ্ট পেতো কিন্তু মোহাম্মদ ‘ভীষ—ন!!!’ কষ্ট পেতেন।
@সফিক,
এটা কোথায় আমি বললাম? হুম , এটা হলো একটা কায়দা যার মাধ্যমে কোন একটা মানুষ যা বলেনি জোর করে তা তার ওপর চাপিয়ে দেয়া, হা হা হা , ভালই কায়দা জানেন দেখি। ইসলামিস্টরা এ কায়দাটা খুব ব্যবহার করে ইদানিং। কিন্তু মনে হয় না মানুষ এখন এত বোকা আছে যে এটা দিয়ে এখন মানুষকে বোকা বানান যায়।
আপনার লিংক থেকে প্রমান করুন – বাইবেলের নবীরা মোহাম্মদের মত কষ্ট পেত। দাবী আপনার প্রমান করবেনও আপনি।
“হিস্টেরিয়া” এমন একটি এখনো রহস্যময় মস্তিস্কের জটিল ব্যাধি যার উপসর্গ ও লক্ষনের বৈচিত্রতা সীমাহীন। প্রতিটা রোগীর ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রুপে আভির্ভূত হয়।
আমার নিজের দেখা বেশ কিছু সংখক জীন পরীতে ভর করেছে বলে চালিয়ে দেওয়া ব্যক্তিদেরকে চিকিৎসকেরা “হিষ্টেরিয়া” রোগী বলে ঘোষনা করেছেন।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আজকের যুগে মোহাম্মদ আগমন করলে তারও একই পরিণতি হতো নির্ঘাত।
সাধারণত এধরনের সুনির্দিষ্ট পোস্টগুলোতে আমি সঙ্গত কারণেই কোন মন্তব্য করি না, কেবল পড়ে চলে যাই। সিরিজের এ পর্বটাকে একেবারে ইউনিক মনে হয়েছে ! এমন কতকগুলো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে যা একেবারে গোড়ায় টান দিয়েছে।
প্রতিপক্ষের বিষয়নিষ্ঠ জবাব বা মন্তব্য এখানে আশা করেছিলাম। কিন্তু তেমন কাউকেই দেখছি না। ফেসবুকে শেয়ার করলাম।
@রণদীপম বসু,
বিষয়নিষ্ঠ জবাব মনে হয় নেই কারও, থাকলে হয়ত দিত। যখন একটা ফাক ফোকর পায় তখন কিন্তু ঠিকই হাজির হয় তারা জবাব দিতে। বর্তমানে চেষ্টা করি যাতে ফাক ফোকর বেশী না থাকে। সেটার একটা সমস্যাও আছে, তখন দেখা যায় নিবন্ধটি বেশী মানুষ পড়ে না। আলোচনা সমালোচনা জমে না উঠলে তার দিকে তেমন কেউ নজর দিতে চায় না। তাই মাঝে মাঝে হালকা ফোকর রেখে দেই পাঠকদের জন্য। কিন্তু সব সময় সেটা সম্ভব হয় না, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে।
@ভবঘুরে,
দূর্দান্ত লেখা। চমৎকার। (F) (Y)
@গোলাপ,
হা হা হা , এবার তো সরাসরি আপনার উদ্ধৃত কোরানের রেফারেন্সগুলো সরাসরি ব্যবহার করে ব্যখ্যা করেছি। আপনি কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র বিশ্লেষণ করেছি মাত্র। আর কিছু না। এজন্য ধণ্যবাদ আপনাকে। তবে এ লেখার পর একটা দুর্দান্ত পয়েন্ট মনে পড়ল। তা হলো- ঈশা নবীর মৃত্যুর সময় বা তারও অনেক দিন পর পর্যন্ত খৃষ্টান ধর্ম কিন্তু রাজ শক্তির কোন আনুকুল্য পায়নি। বরং রোমান সাম্রাজ্য থেকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছিল। এসময় অনেক খৃষ্টান পাদ্রীদেরকে হত্যা করা হয়েছে, বাকীরা প্রানের ভয়ে দৌড়ে বেড়াত। এমতাবস্থায়ও যীশুর শিষ্যরা তার শিক্ষা ভালমতই সংরক্ষণ করেছিল। অন্যদিকে, মোহাম্মদ নিজেই রাজক্ষমতায় থেকে তার ইসলাম প্রচার করেছে। সে নিজে তার কোরান সংরক্ষণ করে যায় নি বা গেলেও তার সাগরেদরা পরে তা পাল্টে ফেলে নিজেদের মত কোরান সংকলণ করেছে যা খোদ তাদের সাগরেদদের লিখে যাওয়া উৎসগুলো বলছে। হাতের কাছে থাকা সত্ত্বেও রাজশক্তির অধিকারী খলিফারা পরিপূর্ণ কোরান সংরক্ষণ করেনি। এত কিছুর পরে- কিভাবে মুমিন বান্দারা দাবী করে যে কোরান অবিকল যেমন নাজিল হয়েছিল ঠিক সেরকমই আছে গত ১৪০০ বছর ধরে ?
খলিফা হয়েও কিন্তু ওসমান রক্ষাপান নাই তবে তাঁর কীর্তিটা অক্ষত থেকে যায়। ওসমানের মৃত্যুই তো প্রমাণ করে তারা সোচ্চার ছিল কিনা।
যে কোরান মানব জাতির সৃষ্টির বহুত পূর্ব হতেই সমগ্র মানব জাতির জীবন ব্যবস্থার একমাত্র অপরিবর্তনীয় জীবন ব্যবস্থা লিপিপদ্ধ করিয়া আল্লাহ পাক শুধু লাওহে মাহফুজে রাখিয়াই দেন নাই বরং তার নিরাপত্তার জন্য লক্ষ লক্ষ ফেরেশতাও পাহারাদার রেখে দিয়েছেন (একজন নাম করা মুহাদ্দেছের মুখে শুনা) সেই কোরানের এই দুরবস্থা, যা একজন অন্ধ লোকের একটি মাত্র প্রশ্নের সাথে সাথেই নবী পরিবর্তন করিয়া ফেলিলেন ?
আঃ ছিঃ ছিঃ ।
এখন তো মনে হচ্ছে নবী কে যদি আল্লাহ পাক আর ৩০-৪০ বৎসর জীবন দিতেন তা হলে বোধ হয় সমস্ত কোরান ই পাল্টিয়ে ফেলতেন।
তখন লাওহে মাহফুজে সুরক্ষিত কোরানটার কি অবস্থা হইতো ?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তিনি যে কয় বছর বেঁচে ছিলেন সেই কয় বছরেই কম পাল্টান নি। যদি খেয়াল করেন দেখবেন , মক্কায় রচিত সূরার বহু আয়াতের মূল নীতি গুলো মদিনায় তিনি পাল্টে ফেলেছিলেন। এটাকে বলা হয় Abrogation বা বাতিলকরন বা রহিত করন। যেমন মক্কায় থাকতে একটা আয়াত ছিল- দ্বীন নিয়ে বাড়া বাড়ি নাই এটা বলে মোল্লারা মুখে ফেনা তুলে ফেলে যে ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। আসলে তারা মুখে বলে একথা কিন্তু মনে ঠিকই অন্য কথা থাকে। পরবর্তীতে মদিনার জীবনে জিহাদের যত আয়াত মোহাম্মদ রচণা করেছেন সবই কিন্তু উক্ত আয়াতকে বাতিল করে দেয়। কিন্তু কয়জন মুমিন বান্দা কোরানের এ মাহাত্মের কথা জানে ? আর তাই তো সব মুমিন বান্দারাই সমস্বরে বলে ওঠে ইসলাম শান্তির ধর্ম। কৈ আর কোন ধর্মের লোকদেরকে বলতে শোনা যায় না যে তাদের ধর্ম শান্তির ধর্ম। আপনি কখনো শুনেছেন কেউ বলছে- খৃষ্টাণ বা হিন্দু বা বৌদ্ধ শান্তির ধর্ম? ইসলাম ধর্মের ব্যপারে কেন বার বার বলতে হয় ইসলাম শান্তির ধর্ম। কোন ধর্ম শান্তির নাকি অশান্তির তা বোঝা যায় উক্ত ধর্মের অনুসারীদের আচার আচরণে। একটা মিথ্যা কথা বার বার বললে তা কি সত্যি হয়ে যায় ?
শুধু তাইই নয়–মুহাম্মদ নিজেই বলে গিয়েছেন যে তাঁর সময়েই কোরান শরীফ সংকলিত ছিল–এবং তাঁর কিছু সাহাবীদের কাছে সম্পূর্ণ কোরান ছিল–যাঁদের মধ্যে ইবনে মাসুদের কোরান সবচাইতে উল্লেখযোগ্য।
হযরত ওসমান নিজের কোরান ছাড়া সব কোরান পুড়িয়েছেন।
কিন্তু ইবনে মাসুদ তাঁর কোরান গোপনে রক্ষিত করেছিলেন। খলীফা ওসমান ইবনে মাসুদের কোরানে হাত দিতে পারেন নাই। ইবনে মাসুদ কোনদিনই খলীফা ওসমানের কোরানকে গ্রহণ করেন নাই। নবী জীবদ্দশায় স্বীকার করে গেছেন যে তাঁর চারজন সাহাবী, যাঁর মধ্যে ইবনে মাসুদ ছিলেন অন্যতম কোরানে সব চাইতে পারদর্শী। শুধু তাইই নয় নবী আরও বলছেন যে কেউ যদি কোরান শিখতে চায় সে যেন এই চারজনের কাছে শিখে।
আশ্চর্য্যের ব্যাপার এই চারজনের মাঝে নবীর জামাতা এবং মুসলিম জগতের খলীফা ওসমানের নাম নাই।
তা ছাড়া হযরত আলীও দাবি করেছিলেন যে উনার কাছেও এক সম্পূর্ণ কোরান ছিল যা কালক্রমিক ভাবে সংকলিত ছিল।
খলীফা ওসমান যে কোরান নিজের সুবিধামত সংকলিত করেছিলেন তাতে কোন সন্দেহ নাই। এই জন্যেই ধর্মান্ধ জিহাদিরা খলীফা ওসমানকে নিতান্ত নির্দয়ভাবে খুন করে। শুধু তাই নয়, ওসমানকে খুন করার আগে খুনীরা ওসমান যে কোরান আবৃত্তি করছিলেন তা লাথি মেরে উড়িয়ে দেয়। বৃদ্ধ খলীফা ঊসমানের সুন্দরী, তরুণী খ্রীষ্টান স্ত্রীর পাছা হাতলিয়ে নেয়–এবং তার উপর যৌন হয়রানীও চালায়। এই ব্যাপারে সমস্ত ইসলামী বিশ্ব টুঁ শব্দটি করে না।
আমি যত হত্যার বর্ণনা পড়েছি তার মাঝে খলীফা ওসমানকে হত্যা সব চাইতে নিষ্ঠুর এবং ভয়াবহ মনে হয়েছে। এই মর্মে আমি একটা প্রবন্ধও লিখেছিলাম–ইংরাজিতে।
প্রচুর সূত্র আছে এই ব্যাপারে। এর জন্য একটা পৃথক রচনা দরকার।
এই পর্বটা খুব সুন্দর হয়েছে–আপনি নিঃসন্দেহে ইসলামের তাঁতে ঘা দিয়েছেন। যে কোরান আজ মুসলিমরা পবিত্র, বিশুদ্ধ এবং অপরিবর্ত্তনীয় মনে করে তা যে সম্পুর্ণ মিথ্যা তা আমরা ইসলামী তথ্য থেকেই প্রমাণ করে দিতে পারি।
সামনের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
@আবুল কাশেম,
যখন কোন মৌলভী বা মোল্লাকে জিজ্ঞেস করা হয়- কারা ওসমানকে হত্যা করেছিল। ওদের সাফ জবাব- মুনাফিকরা। অত:পর যখন বলা হয়- সেই মুনাফিকরাই তো আলী এবং হাসান হোসেনের নিহতের পর ক্ষমতায় আসে ও ইসলামী সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ করে যার ফলে ইসলাম দুনিয়ার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। তাহলে তাদেরকে মুনাফিক কিভাবে বলা যায়? আর কোন উত্তর দিতে পারে না। আসলে মোহাম্মদের সেই যে ঝুলানো মুলার (যৌনাবেদনময়ী হুর ভর্তি বেহেস্ত) লোভ এদের এতই মারাত্মক যে বহুরকম স্ববিরোধীতা দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও এরা সেসবের ব্যপারে চোখ বুজে থাকে, কোন কিছুই না দেখার ভান করে , নিজেদের বিবেক আর বুদ্ধিকে আবদ্ধ রেখে।
@আবুল কাশেম,
ওসমান হত্যার বিস্তারিত বিষয়টি আমার জানতে কৌতুহল হচ্ছে। সৃত্রটি দিতে পারেন ? এখন তো মনে হচ্ছে আমাদেরকে বাল্যকাল হতেই পরিকল্পিত ভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট অসমপূর্ন অথবা বিকৃত ইতিহাস শিখানো হয়েছে এবং এখনো সে কাজ চলছে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
রচনাটা অনেক আগের লেখা–কিছুটা কাঁচা হাতের, তাও আবার ইংরাজিতে।
দেখুন,
http://www.islam-watch.org/AbulKasem/cannibalizing_islam.htm
দুর্দান্ত হয়েছে। (Y)
হাদিসগুলো সম্ভবত আপনি নিজেই অনুবাদ করছেন। তারচেয়ে বরং আজিজুল হকেই অনুবাদটা ব্যবহার করলে কেমন হয়? রেফারেন্সে পৃষ্টা নম্বরও সংস্করণ বলে দিলেন। আর ইংরেজিটার নম্বর, খন্ডও যোগ করে দিলেন কারণ আজিজুল হক নম্বর ঠিকমত অনুসরণ করেন নি। আর তিনি আরবি থেকে অনুবাদ করেছেন। বোখারি ডাউনলোড করতে পারেন এখান থেকে। আরো বেশ কিছু জায়গা থেকে ডাউনলোড করতে পারেন, সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
আর কোরানের অনুবাদ একদম ইউনিকোডেই পেয়ে যাবেন এখান থেকে।
অন্য কথিত নবিরা তো আল্লাহ সম্পর্কেও জানত না। ইসলামিক আল্লাহ ও তার ধারণা মুহাম্মদ পৌত্তলিক, হানিফ ও অন্যান্য ধর্মের ঈশ্বর থেকে মিশেল করে তৈরী করেছেন। বলা বাহুল্য, ইসলাম পূর্ব যুগে আল্লাহকে বিশেষ দেবতা হিসাবে মানত পৌত্তলিকরা।
ইসলামে আল্লাহর ধারণা নিয়ে অত্যন্ত চমৎকার একটি বই লেখেছেন শ্রদ্ধেয় আবুল কাশেম। তাঁর বইগুলো যত পড়ি আশ্চর্য হই। এত জ্ঞানগর্ব বিশ্লেষণ ইসলামকে নিয়ে খুব কম আধুনিক লেখকই করতে পেরেছেন।
A Complete Guide to Allah
বিনোদন :hahahee: :hahahee:
মারাত্মক প্রশ্ন। (Y)
এই আয়াতটি ভাল করে খেয়াল করা প্রয়োজন। যারা কোরান সারা জাহানের মানুষের জন্য অবতীর্ণ বলে চেচিয়ে বেড়ান তাদেরকে আয়াতটি দেখানোর দরকার।
ওহি, দাবি, নবি এসব বানান ই-কার দিয়ে লেখেন। সংস্করণ বানানটা ণ-দিয়েই হয়। কোরান বানানটি ন-দিয়েই লেখবেন। বেশ কিছু বানান এদিক-সেদিক হয়ে গেছে। আর লেখাটির মাঝে মাঝে স্পেস দিয়ে প্যারা আলাদা করা দরকার ছিল আরো।
@সৈকত চৌধুরী,
এই ন আর ণ নিয়ে বড় সমস্যায় আছি ভাইজান।
ওসমান তার নিজের তৈরী কোরান খুব সযতনে সংরক্ষণ করে গেল কিন্তু হাফসার কোরান সংরক্ষণ করল না , বিষয়টা রহস্যজনক নয় কি ?
@ভবঘুরে,
এইটা না করে সে তার পছন্দের স্কলারদের দিয়ে পরিমার্জন পরিবর্তন সংযোজন ইতাদি করিয়ে নিজেরটা বলে বাহাদুরি ফলালো, আর পরবর্তিতে অপরিবর্তনীয় ঘোষনা করলো। ক্ষমতায় থাকলে যা হয় আরকি।
@সৈকত চৌধুরী,
কথাটা বোধহয় হবে জ্ঞানগর্ভ, তাই না?
@সফ্টডক,
হ্যা, তাই। ;-(
আপনার এবারের পর্বটি অনেক বেশি যুক্তি সঙ্গত। আরও লেখা চাই। চালিয়ে যান। আরও জানতে চাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
“তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়াকে প্রবাহিত করেছেন ।উভয়ের মাঝে রয়েছে এক অন্তরাল,যা তারা অতিক্রম করে না ।অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে ?”-(সুরা আর রাহমান-আয়াত-১৯,২০,২১)
সুরাহ তারিক; ৮৭ ৫-৬; মানুষ চিন্তা করে কি হতে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাকে সৃষ্টি করা হয়েসে পানি থেকে? (সুরাহ তারিক; ৮৭ ৫-৬;)
সুরাহ আম্বিয়াহ ৩৩; আল্লাহ রাত ও দিন এবং চন্দ্র ও সূর্য ক সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্তেকে নিজ নিজ কক্কপথে আবর্তন করে (সুরাহ আম্বিয়াহ ৩৩;)
এই রকম বহু আয়াত আসে, এই কোরআন যদি মুহাম্মাদ এর লেখা হয় তাইলে উনি এই গুলা ক্যামনে জাইনা লিখলেন অই যুগে, যে কথা গুলা এখন বিজ্ঞান দারা ভুল প্রমান করা যাইনা এই যুগে, অই মরুভুমি তে মানুষ তো চিন্তাই করতে পারত না সে সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে। আর মুহাম্মাদ লেখা পড়া জানতেন না, উনার দারা কিভাবে এমন গ্রন্থও লেখা সম্ভব। মুহাম্মাদ যে আসবে তার ভবিষ্যৎ বানি কিভাবে বাইবেল সহ আনেক ধর্ম গ্রন্থে উল্লেখ থাকা সম্ভব। (^) :guli:
@বেয়াদপ পোলা,
কোন কিতাবে লেখা আছে ভাইজান? সেসব কিতাব কি মোহাম্মদ জন্মের আগের নাকি পরের ? খোজ নিয়েছেন কোনদিন ? নাকি জোকার নায়েকের জোকারি কথাবার্তায় পেয়েছেন ? আপনাদের জোকার নায়েক তো আবার একবিংশ শতাব্দির বার্তাবাহক।
এক কাজ করেন, আপনার কোরান তো হলো বিজ্ঞানের খনি, মোল্লা মৌলবিদেরকে একটু অনুরোধ করেন না , ওয়াজ নসিহত একটু বন্দ করে্এমন কিছু একটা আবিস্কার করতে যা দিয়ে আমাদের দেশের দারিদ্র একটু দুর হয়।
@বেয়াদপ পোলা,
এই আয়াতগুলোতে এমন কি আছে যা মুহাম্মদ জানতেন না বা জানা সম্ভব ছিল না বলে আপনার মনে হয়? সাগর সম্পর্কে মানুষ হাজার হাজার বছর আগ থেকে জানে, তারা জাহাজ দিয়ে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করত।
পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে? মানে কী? মানুষ কি শুধু পানি?
(এই পানি নিয়ে মজার কাহিনী আছে বলব পরে, মুমিন-মুসলমানদের তা জানা থাকার কথা না 🙂 )
২১: ৩৩ ও ৩৬:৪০ আয়াতে “প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে আবর্তন করে”- কথাটি এরকম বলা হয় নি কোরানে। ফালাক শব্দটির অর্থ যে কক্ষপথ সেটা কে বের করল? মনের মত করে অনুবাদ করলে চলে? এরপরো কথা আছে, এ আয়াতে চন্দ্র ও সূর্য এর পর একই আয়াতে “প্রত্যেকে” (কুল্লু) কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ থেকে মনে হয় প্রত্যেকে মানে চন্দ্র ও সূর্য। অনেক অনুবাদে তাই “প্রত্যেকে” না বলে “উভয়ে” বলা হয়েছে। মুহাম্মদ ভাবত সূর্য আর চন্দ্র পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে। নাহলে যেখানে সূর্য সেখানে পাশাপাশি আবার চন্দ্রের কথা বলবে কেন? একটু ভাবেন তো, যিনি জানেন সূর্য আর চন্দ্র ভিন্ন জিনিস তিনি কি এই দুটো জিনিসকে একটার পর একটা এভাবে বলে কাব্য চর্চা করবেন? এরপরেও কথা আছে। কোরানে যদি এই আয়াত দ্বারা এটা বুঝানো হয় যে আকাশে চাঁদ, সূর্যসহ যত ধরণের তারকা আছে সবই সাতার কেটে বেড়ায় তবে কেমন হয়, যেকেউ আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পাবে সব তারকা এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করছে আর পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে মনে হয় তারকাগুলো ঘুরছে আর সেটা পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই। উল্লেখ্য, আয়াতে উল্লেখিত ‘ফালাক’ শব্দটি দ্বারা বুঝায় বলয় বা গোলাকার কিছু। যেহেতু আকাশকে গোল মনে হয় আর তারকাগুলো পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে বলে মনে হয় তাই ‘ফালাক’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। অনেকে আবার ‘ফালাক’ এর অর্থ বলেছেন আকাশ। এখন ‘ইয়াসবাহুন’ মানে সহজ- সাতার কাটা। তাহলে সঠিক অর্থ কি দাড়ালো- “প্রত্যেকে গোল/আকাশ এর মধ্যে সাতারকাটে”। এখন যার যার মনের মাধুরী মিশিয়ে একে ব্যাখ্যা করেন, বিজ্ঞান বের করেন অথবা ফেলে দিন।
@বেয়াদপ পোলা,
ভাইজান, কোরান বিজ্ঞানময় কিতাব আর দুনিয়ার সব কিতাবে মোহাম্মদের কথা লেখা আছে , এ নিয়ে এ সিরিজেই ক্রমশ: লেখা হবে তখন আপনি আপনার বক্তব্য তুলে ধরবেন আশা করি। বর্তমানে এ নিবন্ধে যে বিষয় আছে সেটা নিয়ে পারলে কথা বলেন। পারলে আপনার বক্তব্য দিয়ে প্রমান করেন যে আমি যা বলেছি মিথ্যা বলেছি। আমি কোন কথাই নিজের থেকে বলিনি, যথাযথ রেফারেন্স দিয়েই তা করেছি আর তা করতে গিয়ে ইসলামেরই মূল স্তম্ভ কোরান ও সহি বুখারি ব্যবহার করেছি। কোন প্রখ্যাত ইসলামি পন্ডিতের কোন কিতাব ব্যবহার করিনি। কারণ আমি জানি সেগুলো ব্যবহার করলে কিছু মতলববাজ বলবেন সেসব পন্ডিতরা যা বলেছে সেটা প্রামান্য না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@বেয়াদপ পোলা,
এটা আমাদের দেশের মাঝি-মল্লারাও জানে।
মানুষ কি পানির তৈরী? আমাদের দেশের যে কোন ধর্মের যে কোন অজ্ঞ লোককে জিজ্ঞাসা করলে একই উত্তর পাওয়া যাবে। উত্তর না জানা লোকদের এরকম দায়সারাগোছের উত্তর দেয়া এটা একটা কৌশল।
নিজের বানীতেতো আল্লাহ দাবী করবেনই যে তিনি চন্দ্র ও সুর্য্য সৃষ্টি করেছেন, এতে অবাক হবার কি আছে। বরং রাত ও দিন কি কোন জড় বস্তু যে তাদেরকে সৃস্টি করা যায়? অবাক হওয়ার কথাতো এখানে। চন্দ্র ও সূর্যকে প্রতিদিন মাথার উপরে আকাশে দেখা যায় বলে তারা নিজ কক্ষপথে ঘোরাঘুরি করছে এটা বলতে পারাটা কোন রকেট সাইন্স না। কই পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রের আবর্তনের খবরতো কোরানে পাওয়া যায়না।
মুহাম্মাদ লেখা পড়া জানতেন না বলেই ঐ যুগে এইসব সস্তা কথা বলে অন্য লেখা পড়া না জানা লোকগুলোকে ভুলিয়েছিলেন। আর দুর্ভাগ্যবশতঃ এই একবিংশ শতাব্দিতেও কিছু লেখা পড়া জানা লোক ঐ ট্র্যাপের মধ্যে পরে বসবাস করছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
অত্যন্ত মূল্যবান পয়েনট ধরেছেনতো। এটাতো কখনো মনে আসে নাই।
ধন্যবাদ
@বেয়াদপ পোলা,
আমি কোথাও পড়েছি পৃথিবীর মাটি দিয়ে আদম সৃষ্টি করা হয়েছিল। মাটি দিয়ে যে আদম তৈরী করা হয়েছিল সে সম্পর্কে কোরানে মনে হয় কিছু আয়াত আছে। অবশ্য আমি এখন কোন রেফারেন্স দিতে পারছিনা। স্মৃতি থেকে লেখা।
প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ তৈরী- পানি না মাটি কোনটা দিয়ে হয়েছিল?
আর সূর্যকে যে পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবতে দেখা গেছে তার কি একটু ব্যখ্যা দিবেন?
এখানে “কি” এর স্থলে সম্ভবতঃ “কী” হওয়া বেশী উপযোগি।
কেবল মাত্র পড়া আরম্ভ করলাম।