প্রেম কাহারে বলে
ব্যভিচার কারে কয়?
নর-নারী পরস্পরকে ভালোবেসে কাছে আসলে
সেটা যদি ব্যভিচার হয়,
প্রেম তবে কীকরে হয়
ভালোবাসা তবে কাহারে কয়?
পরিচয়হীন, মনের সম্পর্কহীন ব্যক্তির সাথে
দেনমোহরের বেচাকেনায় শয্যায় গেলে
সেটা বড় পুত-পবিত্র সম্পর্ক হয়।
এ-তো কেবল দেহ আর
দৈহিকমূল্য আদান-প্রদান সর্বস্ব সম্পর্ক।
এখানে প্রেম কোথায়?
বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ককে
ধর্মে বলা হয়েছে ব্যভিচার।
জনসমক্ষে ১০০ বেত্রাঘাত বা
আজীবন বন্দিত্বই হচ্ছে ব্যভিচারের বিচার।
আবার বিবাহ ছাড়াই অসংখ্য
দাসী ও যুদ্ধবন্দিনীর সাথে ব্যভিচার
হচ্ছে ঈমানদারদের ইহলৌকিক পুরষ্কার!
সর্বশক্তিমানের এ কেমন স্ববিরোধী অবিচার?
জীবিত মানুষকে ইহলোকে যারপর নাই
সংযম করতে বলা হয়।
পরলোকে মৃত মানুষকে
বিপুল ভোগ-বিলাসের বেশুমার চিত্র
কেন দেখানো হয়?
কল্পিত মায়াবী, অমানবী
সংখ্যাবিহীন, হুরী, কিন্নরী, অপ্সরীদের সাথে কি
কোন মানবের বিবাহ হয়?
পবিত্র স্বর্গরাজ্যে বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচার
তবে কি ব্যভিচার নয়?
বহুগামীতা কীভাবে ধর্মের পবিত্রতায়
ইহলোক ও পরলোকে সম্মানিত স্থান পায়?
ব্যভিচার তবে কাহারে কয়?
জনাব/জনাবা,
উপরোক্ত মন্তব্য/পোষ্টগুলো পড়লাম মনযোগ সহকারে। বুঝলাম আপনারা সবাই নাস্তিকতাবাদী। যদি ধর্ম না-ই মানেন তবে ধর্মের কথা বলে লাভ কি ? আপনার যা ইচ্ছা তা-ই করেন। আর যদি ধর্ম বিশ্বাস করেন তবে কোরআনের প্রতিটি অক্ষরকে স্বীকার করতেই হবে। স্পষ্টই নিষেধ করা হয়েছে বহুনারীতে গমন শর্তের ভিত্তিতে। যেভাবে বলা হয়েছে ঠিক সেভাই আপনাকে মানতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই। বিকল্প চিন্তা করলেই আপনি মালিকের বিরুদ্ধাচরণ করলেন। আপনার যুক্তিতে ধরুক বা না ধরুক মানতেই হবে। স্পষ্টতই বলা হয়েছে আল্লাহ মালিক আর আপনি গোলাম। স্পষ্টতই বলা হয়েছে জীবন চলার নিয়মের কথা। স্পষ্টতই বলা হয়েছে শাস্তির কথা। স্পষ্টতই বলা হয়েছে সুসংবাদের কথা। স্পষ্টতই বলা হয়েছে গযবের কথা। আবার স্পষ্টতই বলা হয়েছে আপনার বুদ্ধিমত্তা এবং তার সীমানার কথা। আপনার বুদ্ধি দিয়ে মানতে পারেন বা না মানতে পারেন। তাতে সৃষ্টিকর্তার কিছু যায় আসেনা।
@এডমিন,
মহানবী মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র পর্ব-২, একটি পর্যালোচনা প্রবন্ধে মন্তব্য করতে পারছিনা। মন্তব্যটির জবাব দিন এ ক্লিক করলে সেটি নড়াচড়া করছেনা। কি সমস্যা বুঝতে পারছিনা।
দুজন নরনারী পরস্পরকে জৈবিক কারণেই আকর্ষণ করবে , সেটাই স্বাভাবিক | বিভিন্ন কারণে এই আকর্ষণটাই ভালবাসায় পরিণত হয় | এই আকর্ষণ ও ভালবাসার মাঝে যে বিরাট পার্থক্য সেটা মানুষ মাত্রই অনুভব করে , সেটা কুকুর বোঝে না |
ভালবাসা মানেই যৌনতা নয় | ওয়ানটাইম যৌনতাকে সবাই ভালবাসার সাথে তুলনা করছেন দেখে আমি সত্যিই অনেক কষ্ট পেলাম | ভালবাসাকে এইভাবে অপমান করা আপনাদের উচিৎ হয়নি …
তামান্না ঝুমু বরাবরের মত আবার লক্ষ্য স্থির রেখে খুব চোখা তীর মেরেছেন। (Y)
@কাজী রহমান,
তীরটি সীলমোহর ভেদ করতে পারলেই হয়।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার অবিশ্বাসের জবানবন্দীর সঙ্গে দ্বিমতের কিছু দেখি না। সাহসী উচ্চারণের জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই।
তবে বিনয় করে বলি, কবিতার একজন সামান্য পাঠক হিসেবে মনে হয়েছে, আপনার রচনাটি ঠিক কবিতা হয়ে ওঠে নি।
আশাকরি, আমার স্পষ্ট ভাষণে আহত হবেন না।
অনেক ধন্যবাদ। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
আপনার স্পষ্টভাষণে আহত হয়নি। ঠিক কী কারণে আপনার কাছে কবিতটি কবিতা মনে হয়নি স্পষ্ট করে বললে আরো ভাল লাগত। ধন্যবাদ আপনাকেও।
@তামান্না ঝুমু,
যাক, অধমের বক্তব্যটিকে সহজভাবে নিয়েছেন, জেনে ভাল লাগলো। দেখুন, আমি ঠিক সাহিত্যের লোক নই। তাই নিখাঁদ সাহিত্য সমালোচনা করা একদম অসম্ভব। কবিরাই হয়তো কবিতার সঠিক বোদ্ধা হবেন, কে জানে!
তবু কবিতার একজন সামান্য পাঠক হিসেবে জানি, কবিতায় ছন্দ, রহস্য, চিত্রকল্প, নান্দনিক উপমা এবং অতি অবশ্যই কাব্যময়তা থাকতে হয়। গদ্যের কঠিন কঠোর হাতুড়ি এখানে অচল, বক্তব্যটি হবে মনোহরী কাব্যিক, যা মনের ভেতরে কোথাও একটি ছন্দের দোলা দেয়।…আবার সরাসরি বক্তব্য উপস্থাপন করেও চিরায়ত কবিতা হয়, তবে এতে কবিতার পূর্বোক্ত উপাদান থাকা চাই, নইলে তা ঠিক ‘কবিতা’ হয়ে ওঠে না। নীচের কবিতা থেকে হয়তো বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। অনেকদিন আগে পড়া কবিতাটি স্মৃতি থেকে লিখছি, ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সর্বাত্নক সাফল্য কামনা। (Y)
* টাইপো: দংশনি > দংশেনি।
কাম বয়ঃসন্ধি কালে তার ভয়ানক নখ নিয়ে নারীপুরুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।কিন্তু হায় সমাজ বলে এ জগত নিষিদ্ধ ,বিয়ে ছাড়া তুমি দৈহিক মিলন করতে পার না,বিজ্ঞান বলে কাম ব্যতীত সুস্থ থাকা সমভব না। যখন সহজে কাম চরিতার্থ করা যায় না তখন ই যা করা হয় তা ব্যভিচার।”য” দিয়ে যত শব্দ আছে সব ই নিষিদ্ধ, যেমন যৌনতা,যৌনাংগ,যোনি। এতে করে ফল হয় মাদ্রাসার ছেলেরাও কোরানের নিচে লুকিয়ে পর্ণ পত্রিকা পড়ে!। অর্থনৈতিক মুক্তি মানুষকে সমাজের ওপর থেকে দায়বদ্ধতা কমায় ,তাই ধনী দেশে যৌনতা মুক্ত।আরব রা ধনী কিন্তু আরব নারিরা দরিদ্র।যৌনতার ওপর সত্যিকার এর একটি গবেষণা ধর্মী লেখা অভিজিৎ লিখতে পারেন আমাদের জন্য। ভালকথা মাসুদ রানা সাহেব ত মনবিজ্ঞানের মানুষ ,লিখুন না রানা ভাই এক খানা লেখা ।
@সপ্তক,
ধনী দেশ না বলে উন্নত দেশ বললে ঠিক হয়। আরবরা তেলের পয়সায় যতটা ধনী তার চেয়ে অনেক বেশি বর্বর। আরবের নারীরা হচ্ছে পুরুষের খেলনা।
” এতে করে ফল হয় মাদ্রাসার ছেলেরাও কোরানের নিচে লুকিয়ে পর্ণ পত্রিকা পড়ে ! ”
@সপ্তক , কোথায় দেখলেন ?? আপনি ও কি কখনো মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন নাকি ???
@তামান্না ঝুমু
ধর্মপ্রবতক ও ধর্মচারীদের যৌন নৈতিকতা র্সবকালে সবঅন্ঞ্বলে সমান ভারে কখনো কি প্রযোজ্য ছিল অথবা আছে।আপনি কি তাই মনে করেন?ঋক বেদের বহু সূত্রের স্রষ্টা,গৌতম তিনি বহু লোকের সামনে স্ত্রী সমাগম করতেন।
(মহাভারত/আদিপর্ব )
প্রাচীনযুগে ঋতু কালে নারীর যে কোনো পুরুষের কাছে রতি ভিক্ষা চাইতে পারত,বিবাহবন্ধন শিথিল ছিল তার উদাহরণ।
কুমারী কন্যাদের র্গভজাত সন্তানদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা।
মহাভারতযুগে পিতা- পুএ- মাতা,শাশুড়ী- শ্বশুর,মামা,জামাই অতিথি দাসদাসী প্রভূতির যৌন মিলন কোনো বাধা নিষেধ ছিল না।
প্রাচীন জার্মানীতে অতিথির সৌজন্যে নিজের স্ত্রী কন্যাকে তাদের সঙ্গে রাত্রীবাস করতে দিত।
আবার নিজের স্বার্থের জন্যে আব্রাহাম/ইব্রাহীম তার স্ত্রী সারাকে ফারাওর রাজার কাছে দিয়ে ছিলেন।এটা আপ্যায়ন প্রথা ব্যবিলিয়নের।
সূএ:আগষ্ট বেবেল,নারী,অতীত বর্তমান ভবিষ্যত্,অনুবাদ কনক মুখোপাধ্যায়,এন বি এ,কলকাতা ২০০৩.
এথেন্সের নৈতিকতা বোধ চিরদিন এক থাকে নি।সক্রেটিসের শ্রোতাবৃন্দ দাস প্রথাকে অন্যায় মনে করতেন না।তাই ইসলাম মুহাম্মদ ব্যভিচার আবার সময় সংস্কৃতির বিবর্তনের ধারাবাহিকতা আমার তাই মনে হয়।
ভালো থাকুন
@আহমেদ সায়েম,
মানুষের বন্যজীবন থেকে এ পর্যন্ত তাদের নৈতিকতা, জীবন দর্শন বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এক কালে বহুবিবাহ, দাস প্রথা, যেকারো সাথে অবাধ যৌনতা অনৈতিক বলে বিবেচিত ছিলনা। কিন্তু বর্তমানকালে এসব সবার কাছেই অনৈতিক ও ঘৃণ্য। স্বাধীনতা মানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি নয়।
ভালোবাসা একমাত্র বিষয় যা বিজ্ঞান এবং সাহিত্য-মানব সমাজের বিবর্তনের দুই সমৃদ্ধ ক্ষেত্রও বুঝতে নাকাল হয়েছে।
বিজ্ঞানের চোখে ভালোবাসা “পেরেন্টাল ইনভেস্টমেন্ট” “সারভাইভাল স্ট্রাটেজি” “ইনস্টীঙ্কট”
সাহিত্যের চোখে তা “দিবস রজনী বেদনা”
ধর্মের চোখে ব্যভিচ্যার
আধ্যাত্মবাদিদের চোখে “সাধনা”
অবিবাহিত বাঙালী পুরুষের চোখে ” পটাবার জন্যে মেয়ে নেই, আর এই লোকটা তঙ্কÄজ্ঞান দিচ্ছে .. ।
আর অবিবাহিত বাঙালী নারীর চোখে ” কবে যে ঝোলার উপযুক্ত একটা কাঁধ পাওয়া যাবে”
বিবাহিত বাঙালী পুরুষ ” ভালোবাসা পাঁক, যৌনতাটাই আসল ক্ষীর”
বিবাহিত বাঙালী নারী ” আমি হতভাগিনী-কত মেয়ের কত কিছু হয়-আমারই কিছু হল না “
@বিপ্লব পাল,
ঠিক বলেছেন। বিজ্ঞান,ধর্ম, দর্শন,সাহিত্য ও ব্যক্তি বিশেষের বিচারে ভালবাসা হচ্ছে অন্ধের হাতি দেখার মত ব্যাপার। হৃদয় ঘটিত ব্যাপার, হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়। ভালবাসার উপর রাষ্ট্রীয় আইন আরোপ করে মানুষের হৃদয় নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়।
ব্যাভিচার স্রেফ একটা ধর্মীয় কুলশিত শব্দ। ইসলাম অনুযায়ী একজন পুরুষ তার দক্ষিন হস্তের আওতায় পাওয়া সব নারীর সাথে সেক্স করতে পারবে। সেটা বিবাহ বহির্ভুত হতে পারে, কিন্তু সেগুলো কোনদিক দিয়েই ব্যাভিচারের আওতায় পড়বে না। আর একজন নারী একমাত্র স্বামী ছাড়া কারো স্পর্শ পর্যন্ত পেতে পারবে না, তাহলে সেটা ব্যাভিচার। হিন্দু ধর্মেও তাই… নারী যেন বিধবা অবস্থায় ব্যাভিচারী হতে না পারে তাই তাকে স্বামীর চিতায় তুলে দেয়া হতো। আর খৃষ্ট ধর্ম(ভ্যাটিক্যান) অনুসারে সন্তান উৎপাদনের উদ্দেশ্য ছাড়া সেক্স করাই অপরাধ, সেখানে প্যাশনেট লাভ এর কোন অস্তিত্বই স্বীকার করা হয় নি!
দুজন মানুষ ভালবেসে একসাথে বসবাস শুরু করতে পারে, বিয়ের জন্য এর থেকে বেশী আর কি লাগে? শুধু মন্ত্র পড়লেই বৈধ আর মন্ত্র না পড়লে ব্যাভিচার? আর ভালবাসার শরীরী ভাষাতেই বা অন্যায়টা কোথায়? উলটো ভালবাসার মধ্যে তার সমস্ত শরীরী উপকরন থাকলে মানুষের মধ্যে মনোগ্যামী প্রবৃত্তি প্রবল থাকে, আর উলটো ধর্মে পলিগ্যামি প্রবৃত্তিকে উৎসাহ দেয়া হয়েছে(কারন ওখানে তো ভালবাসা নামক জিনিসটা শুধু ঈশ্বরের জন্য সঙ্গরক্ষিত)… তাহলে স্বাভাবিক ভাবে আমরা যেটাকে ব্যাভিচার বোঝাই(পলিগ্যামী), সেটা কোথায় বেশী?
সেক্স মানুষের একটা প্রচন্ড আবেগ ও ভালবাসার উপকরন, আর ঠিক এইখানেই ধর্মের ভয়, তাই এটাকে ট্যাবু করে না রাখলে ধর্মের ঘোর বিপদ, আর সেখান থেকেই ব্যাভিচার ইত্যাদি শব্দের উৎপত্তি!!!
@থাবা,
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক যদি ধর্মে ব্যভিচার হয়ে থাকে তাহলে তা সব ক্ষেত্রেই হওয়া উচিত। দাসী ও যুদ্ধবন্দিনীদের বেলায় তা ব্যভিচার নয় কেন? ওরা কি মোমিনদের সেক্স টয়? এই গ্রন্থের রচয়িতার কি এই সাধারণ ব্যাপারটুকুও মাথায় আসেনি? ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে।
@তামান্না ঝুমু, একই সাথে বহুগামীতাকে উৎসাহ দেয়া আর তার বিপরীতে ব্যাভিচার নামক একটা জিনিসের ভয় দেখানো, ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ রচয়িতাদের ভন্ডামীর এর চেয়ে বড় উদাহরন আর কি হতে পারে!
তাদের মাথায় এসেছিল বলেই নিজের যৌনস্বার্থটা যথাযথ রেখে মহিলাদের ওপর দায় চাপিয়ে দিল।
@থাবা,
বহুবিবাহ ও দাসী-যুদ্ধবন্দিনীদের অবাধ সম্ভোগের মাধ্যমে শুধু পুরুষের বহুগামীতাকে উৎসাহ দেয়া হয়েছে এবং সিদ্ধ করা হয়েছে। তাহলে ব্যভিচার শব্দটির মানে কি? এর জন্য এত জঘন্য শাস্তিই বা কেন?
@তামান্না ঝুমু, একান্ত ব্যাক্তিগত স্বার্থে!
@থাবা,
শুধু ব্যক্তিস্বার্থে নয়। মুমিনদের সামগ্রিক স্বার্থে।
হাদিসে বলা হয় কোরানের ব্যাভিচার সম্পর্কিত আয়াতটি, যা একখানা প্যারিরাসে লিখে বাচ্চা মেয়ে আয়শার কাছে রাখা হয়েছিল, তা হারিয়ে গিয়েছিল এক ছাগলে সেটাকে খেয়ে ফেলার কারণে। আর সে আয়াতটিতে শাস্তির বিধান ছিল আর-রাজম বা পাথ-ছুড়ে হত্যা। ১০০ দোররা বা মৃত্যু পর্যন্ত বন্দিত্ব ব্যাহিচারের শাস্তি নয়।
Bukhari 8:82:817
@অবিশ্বাসী,
পাথর ছুঁড়ে হত্যার আয়াতটি ছাগলে খেয়েছে। দোররা মারা ও যাবত জীবন বন্দী করে রাখার আয়াত ছাগলে খেতে পারেনি।
৪;১৫ নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে চার জন সাক্ষী যোগাড় কর, তারা সাক্ষী দিলে তাদের গৃহে অবরোধ করবে যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু ঘটে।
২৪;২ ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী প্রত্যেককে ১০০ দোররা মারবে। আল্লার বিধান প্রতিপালনে তাদের প্রতি যেন তোমাদের দয়া না জাগে। যদি তোমাদের আল্লার ও পরকালের উপর বিশ্বাস থাকে, মুমিনদের একটি দল যেন শাস্তি দানকালীন উপস্থিত থাকে।
@তামান্না ঝুমু, ৪:১৫ আয়াতটি নিঃসন্দেহে সমকামিতা বিষয়ক, কেননা পরের আয়াতটি (৪:১৬) দু’জন পুরুষের মাঝে যৌন-কর্মের অপরাধের কথা বলছে। যদিও ৪:১৫ আয়াতটি ভাষাগতভাবে স্পষ্ট নয়, তবে এটা স্পষ্ট যে আয়াত দু’টো নারী ও পুরুষদের মাঝে অনুরূপ অপরাধের কথা বলছে।
আর ২৪:২ আয়াতটি আমার ধারনায় অবিবাহিতদের মাঝে অবৈধ যৌনকর্মের (fornication) কথা বলছে। ইসলামে অবিবাহিতদের মাঝে যৌন-কর্মের সাজা দোররা মারা। ব্যাভিচারের জন্যও একই শাস্তি হতে পারেনা। কাজেই আমার ধারণা ব্যাভিচারের পুরো আয়াতটিই গায়েব হয়েছে। এটাও হতে পারে না যে, ব্যাভিচারের শাস্তি এক জায়গায় দোররা মারা বা আমৃত্যু বন্দি করে রাখা, আরেক জায়গায় পাথর-ছুড়ে হত্যা।
@অবিশ্বাসী,
আমারো ধারনাও তাই। কারন, আমার জানা মতে কুরানে ‘রজমের’ শাস্তি পাথর-ছুড়ে হত্যার কথা স্পষ্ঠভাবে বলা হয় নাই (৪:১৫ ৪:১৬, ২৪:২)। আপনি ঠিকই বলেছেন, কুরানের অসংখ্য আয়াতের মত এ আয়াতগুলিও ভাষাগতভাবে স্পষ্ট নয়। যদিও ৪:১৫ এ স্পষ্ঠভাবে নারীর ‘মৃত্যুদন্ড‘ (যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু ঘটে), ৪:১৬ পুরুষ ও নারীর ‘শাস্তি‘ (?মৃত্যুদন্ড /? ১০০ দোররা) এবং ২৪:২ তে প্রত্যেককে ১০০ দোররার ঘোষনা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও বিবাহিত, অবিবাহিত, দাস, দাসী এবং অমুসলীম (ধিম্মি) ভেদে শাস্তির কোন পার্থক্য আছে কিনা তারও কোন উল্লেখ নাই। কিন্তু সহি হাদিসে খুবই স্পষ্ঠ করে এর বিষদ নৃশংস বিবরন দেয়া আছে।দেখুন, এখানে (সহি বুখারী -Volume 8, Book 82, Number 802 to 826) এবং এখানে (সহি মুসলীম -Book 017, Number 4191 to 4225)। আপনার উদ্ধৃত হাদিসটি (Bukhari 8:82:816, 817) একাধিক হাদিস সঙ্কলনকারীই উল্লেখ করেছেন, যে কারনে এটিকে যথার্থ (Authentic) বলেই গন্য করতে হবে। সহি মুসলীমে এটা 017:4194 নম্বর। এ সকল হাদিস থেকে যা স্পষ্ঠভাবে জানা যায় তা হলোঃ
বিবাহিত পুরুষ কিংবা নারীর শাস্তি পাথর-ছুড়ে হত্যাঃ
আবিবাহিত মুক্ত-পুরুষ- ১০০ দোররা এবং ১ বছরের দেশান্তরঃ
দাসী হলে – ৫০ দোররা প্রত্যেকবার (৩ বার পর্যন্ত), ৪র্থ বার হলে ‘বিক্রি’
কিন্তু যে প্রশ্নটা গুরুত্ব-পূর্ন তা হলো ‘মৃতুদন্ড’ শাস্তির বিধান (আয়াতগুলি) “আয়েশা-সাফোয়ান উপাখ্যানের” পর আল্লাহ (মুহাম্মাদ) প্রচন্ড রুষ্ঠ হয়ে নাজিল করেছিলেন, না কি তার আগে? যা বলা আছেঃ
আবুল কাশেম কিংবা আকাশ মালিক ভাই হয়তো এ ব্যাপারে আরো কিছু তথ্য দিতে পারবেন।
@তামান্না ঝুমু,
(Y) (F)
@গোলাপ,
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্যে। (F) (Y)
ঝুমু কে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা কবিতা লেখার জন্য। তবে কবিতাটিতে মোহাম্মদের তেরটা বিবির সাথে বাভিচার এর উল্লেখ থাকলে আরও সুন্দর হত
@মাসুদ রানা,
আপনাকেও ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
আমার অনেক সময়ই মনে হয় যৌনাঙ এবং তার ব্যবহার নিয়ে কেন এত ঢাক ঢাক গুড় গুড়–বিশেষতঃ আমাদের সমাজে এবং ধর্মে? যৌনাঙ্গ যদি এতই মন্দ তবে প্রকৃতি কেন যৌনাঙ্গ করেছে–অথবা আল্লা পাকই বা কেন আমাদের যৌনাঙ্গ দিয়েছেন?
যৌনাঙ্গের ব্যবহার ছাড়া আমরা যে কেউই এই বিশ্বে আসতাম না। কাজেই যৌনাঙই ত দেখা যচ্ছে সবচাইতে গুরূত্বপূর্ণ অঙ্গ–যা’র জন্য এই মানব জাতি টিকে আছে।
একজন পুরুষ এবং একজন নারী তাদের যৌনাঙ্গ নিয়ে যা খুশী তা করুক তাতে সমাজ এবং ধর্ম কেন নাক গলাবে? এই দুজন নর-নারী যদি কারও অনিষ্ঠ না করে একে অপরের দেহ উপভোগ করে তবে তা নিয়ে কেন সমাজ এবং ধর্মের এত কড়াকড়ি? কেন একে ব্যভিচার বলবে?
আর দুই তিন আয়াত আউড়ে, মোল্লা মাওলানার কাছে সাক্ষী রেখে মন্ত্র-তন্ত্র পড়লেই (যাকে বিবাহ বলা হয়) যৌনাঙ্গের ব্যবহার হালাল হয়ে যাবে? এ কী ধরণের কপটতা–মনে হয় ওই মন্ত্র-তন্ত্র আউড়াবার সাথে সাথে যেন যৌনাঙ গজিয়ে উঠে। ভাব সাব এমন যেন–এর পুর্বে আমাদের কারও যৌনাঙ ছিলনা বা থাকলেও তার ব্যবহার যানতাম না–একমাত্র মলমুত্র ত্যাগ ছাড়া।
আপনার বলিষ্ঠ লেখায় এই কপটতার মুখে চপেটাঘাত করেছেন। ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম,
শুধু মন্ত্র পড়লেই হবেনা। শরীরের মূল্য প্রদান(দেন মোহর) করতে হবে অবশ্যই।
দাসীদের কাছ থেকে যৌনাঙ্গের হেফাজতের দরকার নেই। এই ব্যাপারে ইসলাম খুবই উদার।
ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
সেকারনেই তো এটা একপ্রকার স্থায়ী পতিতা বৃত্তি ছাড়া আর কিছু নয়। অথচ এটাই নাকি নারীর জন্য বিরাট মর্যাদার বিষয়। যদি নারীকে কাজের স্বাধীনতা না দিয়ে, ঘরে বসিয়ে শুধু ভোগ ও প্রজননের যন্ত্র মনে করা হয়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি ঠিক আছে। তবে মনে হয় না, যে সব নারীর সামান্য আত্মসম্মানবোধ আছে তারা এ বিধাণে খুশী হবে। নারীকে অর্থ দিয়ে কেনা হয় বলেই কিন্তু স্বামীকে তার ওপর কর্তৃত্ব দেয়ার কথা বলেছে কোরানে। একই সাথে কোরান স্বামীকে দিয়েছে অবাধে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে নিত্য নতুন নারী বিয়ে করার লাইসেন্স। তালাক দেয়ার শর্ত?- নারীকে যে দামে কেনা হয়েছিল( যা কাবিন নামায় উল্লেখ থাকে) তা পরিশোধ করে দাও। আর এটাই নাকি নারীর জন্য বিরাট সম্মান ও মর্যাদার ব্যপার। আজব এ দুনিয়া আর তার আজব ধর্ম।
@ভবঘুরে,
পতিতাদেরও একটু স্বাধীনতা আছে। খদ্দরের সাথে শয্যায় না গেলে তাদের সারা রাত ভরে অভিশাপ দেয়ার কোন ফেরেশতা নেই। কিন্তু ইসলামে দেনমোহরে ক্রীত পত্নীদের সেই স্বাধীনতাটুকুও নেই। স্বামীজীর ডাকে সাথে সাথে শয্যায় যেতে না পারলে অগণিত ফেরেশতা রয়েছে সারা রাত অভিশাপ দেয়ার জন্য। অনেক উচ্চশিক্ষিত আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নারীকে বলতে শুনেছি, দেনমোহর নারীর সর্বোচ্চ সম্মান।
এদের নিয়ে কোথায় যাব, কী করব?
@তামান্না ঝুমু , …গর্তে
@MOINJ,
ধর্মবিশ্বাস ত তাদেরকে অন্ধকার গর্তেই বন্দী করে রেখেছে।
ফাটিয়ে দিছেন। (Y)
@সৈকত চৌধুরী,
বিশ্বাসীদের সীল মারা হৃদয়ে যদি ফাটল ধরাতে পারি তবেই সার্থকতা। ধন্যবাদ পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্যে।
প্রেম তবে কাহারে কয়…??? কীকরে বুঝবে পশ্চাৎগামী আরণ্যিক নির্বোধেরা।
প্রেম বোঝে না, প্রেম বোঝেনা
কল্পঘোরে স্বাদ কী বলো
তৃষ্ণা ব্যকুল দণ্ড নামা ভালোলাগে না…
শুভকামনা@ তামান্না ঝুমু
@মাহমুদ মিটুল,
ধর্মে প্রেমের বা হৃদয় ঘটিত ব্যাপারের কোন স্থান নেই। আছে শুধু দেহ সর্বস্ব-কাম। ধন্যবাদ।
@মাহমুদ মিটুল,
বিড়িটা না টানলে হয় না মিয়া ভাই :))
(Y)
@নিটোল, (Y)
লেখিকাকে ধন্যবাদ খুব জরুরী একটা প্রশ্ন উত্থাপনের জন্য। সত্যি বলতে কি, এই প্রশ্ন আমারও। ইহলোকে দাসী-যুদ্ধ-বন্দিনীদের সাথে অথবা পরলোকে হুরদের সাথে সম্পর্ককে জায়েজ করতে যে যুক্তিগুলো দেখানো দেখানো হয়, তা আমার কাছে কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে যে স্ববিরোধীতা রয়েছে, তাকে আসলে কিছুতেই আড়াল করা সম্ভব নয়। যুক্তির খোলসে আটকে থাকা সুবিধাবাদীতাকে সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব।
তবে প্রশ্ন হল, আমরা কি বিবাহ বহির্ভূত অবাধ সম্পর্ককে মানুষের মৌলিক স্বাধীনতার সাথে এক করে দেখব? সুস্থ সমাজের জন্য এই সম্পর্ক কি ধ্বংসাত্মক নয়? সমাজের শক্ত বুনিয়াদ কি ভেঙ্গে পড়বে না? সমাজ ও সভ্যতার বিকাশের জন্য কিছু কিছু শৃঙ্খল কি আবশ্যক নয়?
@কাজি মামুন, আসলে স্বর্গ নরক বাভিচার এইগুলা তো আসলে মানুষের তৈরি মিথ্যা , বানোয়াট অপ্রলাপ মাত্র বাস্তবতা বহির্ভূত এইসব ব্যাপারগুলো নিয়ে বেশি চিন্তিত হবার কোন কারন দেখিনা?
@কাজি মামুন,
স্বাধীনতার মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়। অন্যের ক্ষতি সাধন না করে শান্তিপূর্ণভাবে নিজের স্বাধীনতা ভোগ করাই হচ্ছে স্বাধীনতা। সততাই উৎকৃষ্ট পন্থা। স্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে সেটা ভুললে চলবেনা। হুমায়ুন আযাদ বলেছেন, সৎ মানুষের জন্য বিয়ে একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস। বিবাহিত দম্পতির যেকোন একজনকে আরেক জনের প্রতি বা উভয়কে উভয়ের প্রতি অসৎ হতে দেখা যায়। আবার অবিবাহিত যুগলকে সারা জীবন পরস্পরের প্রতি সৎ থাকতে দেখা যায়। স্বাধীনতার মর্ম বুঝতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা প্রকৃত স্বাধীনতার মানে নয়।