আল্লাহ শব্দটি কোথা থেকে এল এ বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। আগেই দেখা গেছে যে, ইসলাম পূর্ব যুগেও প্যাগান আরবরা আল্লাহকে ডাকত। কিন্ত সে আল্লাহ কোন আল্লাহ? কোরান হাদিসের বক্তব্য- এ আল্লাহ সেই আল্লাহ যাকে ইব্রাহিম, ইসহাক, মূসা নবীরা যাকে তাদের প্রভু বলেছে। কিন্তু আসলেই কি তাই?সেই আরব দেশে বিশেষ করে মক্কা মদিনায় যেখানে মোহাম্মদের জন্ম ও ইসলাম প্রচার, সেখানকার প্যগানরা তারাও আল্লাহ কে ডাকত। উদারহরন স্বরূপ- মোহাম্মদের পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ, আবদ+আল্লাহ= আব্দুল্লাহ। আরবী আবদ অর্থ- দাস, অর্থাৎ আল্লাহর দাস। কিন্তু কোন্ আল্লাহর দাস?তখন তো মক্কায় ইসলাম প্রচার হয় নি। অর্থাৎ মক্কার কুরাইশরা ছিল সবাই প্যাগান। যেমন- মোহাম্মদের নিজ চাচা আবু তালিব যার কাছে মোহাম্মদ লালিত পালিত হন, তিনি সর্বাত্মকভাবে মোহাম্মদকে রক্ষা করলেও নিজে ইসলাম গ্রহন করেন নি, প্রকাশ্যেও না, গোপনেও না। আবু তালিব যখন মৃত্যু শয্যায় শায়িত, মোহাম্মদ তার কাছে এসে সর্বশেষ আর্জি জানান ইসলাম গ্রহণ করতে, কিন্তু তা সত্ত্বেও আবু তালিব ইসলাম কবুল করেন নি।তার মানে আবু তালিব ছিলেন প্যাগান আর তিনিও আল্লাহকে ডাকতেন কিন্তু সেই আল্লাহ অবশ্যই ইসলাম কথিত আল্লাহ নয়, নয় ইহুদী খৃষ্টান কথিত ঈশ্বর। ইসলাম কথিত আল্লাহ হলে মোহাম্মদের আব্দার রক্ষা করা তার পক্ষে অতীব সহজ হতো। অন্যদিকে প্যাগানদের কথিত আল্লাহ ইহুদী বা খৃষ্টানদের আল্লাহও নয়, তা যদি হতো তাহলে তারা প্যাগান বা পৌত্তলিক হতো না।
কিন্তু বাস্তবে ইসলাম কথিত আল্লাহই ছিল প্যগানদের আল্লাহ কিন্তু মোহাম্মদ দাবী করতেন তা হলো ইহুদী ও খৃষ্টানদের ডাকা আল্লাহ। আবু তালিব ইসলাম গ্রহণ করেনি কারন মোহাম্মদ আল্লাহকে স্বীকার করলেও বাকী দেব দেবীকে অস্বীকার করেছিলেন। অন্যদিকে ইহুদি ও খৃষ্টানরা মোহাম্মদ কথিত আল্লাহকে গ্রহন করেনি কারন এ আল্লাহর নাম তাদের তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে উল্লেখ নেই, উল্লেখ ছিল না কাবা ঘরের নাম তাদের কিতাবে। এটাও উল্লেখ ছিল না যে ইসরায়েলিটিস এর বাইরে কোন নবী আগমন করবে।মোহাম্মদ ছিলেন ইসরায়েলিটিস এর বাইরের।মোহাম্মদ কাবা ঘর পৌত্তলিকদের মত প্রদক্ষিন করতেন, কাবার ভিতরের কাল পাথরকে চুমু খেতেন যা ছিল ইহুদী খৃষ্টানদের ঐতিহ্য বিরোধী। একারনে তারা বুঝতে পারত মোহাম্মদ যে আল্লাহকে ডাকেন তা তাদের কিতাব বর্ণিত ঈশ্বর বা আল্লাহ নয়। অর্থাৎ মূলত: মোহাম্মদ কোরাইশদের আল্লাহকে গ্রহণ করলেও কুরাইশরা তা বুঝতে পারেনি, কিন্তু ইহুদী খৃষ্টানরা তাদের কিতাব অনুযায়ী বুঝতে পারে মোহাম্মদ আসলে প্যগানদের আল্লাহকেই ডাকছে। এভাবে মোহম্মদ পৌত্তলিক কুরাইশ ও ইহুদী-খৃষ্টান দু পক্ষের কাছেই অগ্রহণীয় হয়ে যান।কিন্তু এ ধরনের রিস্ক নেয়া ছাড়া মোহাম্মদের উপায়ও ছিল না। কারন শুধুমাত্র কুরাইশদের দলে টানলে তার আজন্ম লালিত স্বপ্ন আরব সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, কারন তাদের সংখ্যা খুব বেশী না যাদেরকে দিয়ে একটা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাকে ইহুদী-খৃষ্টানদেরকেও দলে টানতে হবে, ছলে বলে কলে কৌশলে।
অতীব দু:খজনক বিষয় হলো- ইসলাম সম্পর্কিত কোন উৎস বা কিতাবে কুরাইশ প্যাগানরা কোন আল্লাহর উপাসণা করত এ ব্যপারে কোন ধারনা দেয়া হয়নি।আর ইসলাম পূর্ব কোন ইতিহাসও মুসলমানরা সংরক্ষন করেনি যার মাধ্যমে জানা যেতে পারে প্যাগানদের আল্লাহ আসলে কে। ইসলাম পূর্ব যুগকে মুসলমানরা অন্ধকার যুগ বা বর্বরতার যুগ হিসাবে আখ্যায়িত করে আর সেকারনে তারা সে যুগের কোন ইতিহাস সংরক্ষন করেনি। তাদেরকে শুধুমাত্র পৌত্তলিক বা প্যগান হিসাবেই আখ্যায়িত করা হয়েছে ও তাদেরকে ভীষণভাবে ঘৃণা ও অভিসম্পাত করা হয়েছে। সুতরাং প্যগানদের আল্লাহ আসলে কে ছিল তা জানতে আমাদেরকে অন্য উৎসের সাহায্য নিতে হবে। তবে এখানেও একটা সমস্যা আছে তা হলো-যা ইসলামের পক্ষে যায় এরকম কোন ঘটনা যদি ইসলাম নিরপেক্ষ সূত্রে উল্লেখ থাকে তা মুসলমানদের গ্রহণ করতে অতিশয় আতিশয্য লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু যা বিপক্ষে যায় তাকে বিকৃত বলে আখ্যায়িত করতে তাদের সামান্যতম দেরী হয় না। এখন তারা নিজেরাও ইতিহাস সংরকক্ষণ করেনি, আবার অন্যের নিরপেক্ষ ইতিহাসও তারা গ্রহণ করবে না এটা একটা মারাত্মক গোয়ার্তুমী। যারা শালিস মানবে অথচ তালগাছটা তাদের দাবি করে বসে থাকবে তাদের সাথে কোন যুক্তি তর্ক করা যায় না। বিষয়টাও আদতে তাই। মুমিন বান্দারা কোন যুক্তি তর্কের ধার ধারে না।যুক্তির ধার তারা না ধারলেও তাদেরকে ব্যখ্যা দিতে হবে প্যগানরা কাকে আল্লাহ ডাকত। দু:খের বিষয় এব্যাপারে তারা কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই মনগড়া কথা বলে। Allah শব্দটি আরবী বা আরামাইক বা হিব্রু যে ভাষা থেকেই উদ্ভুত হোক না কেন তার অর্থ একজন দেবতা বা বড়জোর প্রধান দেবতা এরকম অর্থ মেনে নেয়ার কারন প্রাগ ঐতিহাসিক যে নিদর্শণাদি দেখা যায় সেসব।।এর আরও একটা জোরালো কারন হলো-তৌরাত ও নুতন নিয়মের কোথাও আল্লাহ শব্দটি লেখা নেই। আল্লাহ শব্দটি তৌরাত ও নুতন নিয়মে লেখা হয় যখন ইসলামী সাম্রাজ্যে সেগুলোকে আরবীতে অনুবাদ করা হয় তখন।আর ইসলামী পন্ডিতরা এটাকেই মহা উৎসাহে প্রচার করে যে- ইহুদী ও খৃষ্টানদের কিতাবে আল্লাহ শব্দটি লেখা আছে। এটা অনেকটা সম্রাট আকবরের আমলে কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে রচিত ভবিষ্যপূরাণ নামক একটা ভুয়া তথাকথিত হিন্দু কিতাবে মোহাম্মদের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী করার ঘটনার মত। কথা হচ্ছে প্যগানরা এ শব্দটি দিয়ে কি বুঝাত বা তারা কোন্ আল্লাহর উপাসণা করত। এখানে http://en.wikipedia.org/wiki/Allah উৎস বলছে, প্রাক ইসলামি যুগে আরবরা আল্লাহ বলতে একজন প্রধান দেবতা বুঝাত যার আবার তিনজন কন্যা ছিল যাদের নাম- আল-লাত, উজ্জা ও মানাত। শয়তানের আয়াত বলে যে আয়াত কোরানে আছে তার উৎপত্তির কিচ্ছাও কিন্ত এটাই। কুরাইশরা চাইত মোহাম্মদ তার ইসলাম প্রচার করুক সমস্যা নাই, কারন তিনি তো তাদেরই আল্লাহকে ডাকে , কিন্তু তারা চাইত মোহাম্মদ যেন তাদের ওই তিন দেবীকেও স্বীকার করে নেয়। দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ ইসলাম প্রচার করছেন কিন্তু কোন ক্রমেই কুরাইশদেরকে দলে ভিড়ানো যাচ্ছে না, একারনে তার মনে দারুন হতাশা। একারনেই মোহাম্মদ শয়তানের আয়াত নামক আয়াত নাজিল করেন যাতে করে কুরাইশরা দলে ভেড়ে। মোহাম্মদের এ আয়াত নাজিলের মাধ্যমেই বোঝা যায় তিনি আসলেই কুরাইশদের আল্লাহকে ডাকতেন।ইহুদী বা খৃষ্টানদের আল্লাহ নয়।
শয়তানের আয়াতটা ছিল মূলত এরকম:
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে। এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে? সূরা- আন-নাজম ৫৩: ১৯, মক্কায় অবতীর্ন।
এর পরের আয়াত ছিল – যারা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে।অর্থাৎ এ তিন দেবী কুরাইশ ও আল্লাহর মাঝে মধ্যস্থতা করে।
পরবর্তীতে মোহাম্মদ উক্ত শেষ আয়াতটি পরিবর্তন করে তার পরিবর্তে নিচের আয়াত সংযুক্ত করেন এই অজুহাত দিয়ে যে জিব্রাইল এসে তাকে জানিয়েছে শয়তান নাকি তার রূপ ধরে এসে মোহাম্মদের কাছে শয়তানের আয়াত বলে গেছে ,কিন্তু আল্লার সর্বশ্রেষ্ট নবী যিনি আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেন না(তার ৯ টা স্ত্রীর কোন জনের সাথে কবে রাত কাটাবেন তাও আল্লাহ বলে দেন), কাউকে বিয়ে করেন না, এমনকি পায়খানা প্রস্রাব পর্যন্ত করেন না , তার কাছে শয়তান এসে তার আয়াত বলে গেল, মনে হয় আল্লাহ তখন ঘুমাচ্ছিল আর জিব্রাইল বসে গাঁজা টানছিল আর তাই তারা টের পায়নি।
পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য? এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন। এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।কোরান, সূরা- আন-নাজম ৫৩: ২০-২২, মক্কায় অবতীর্ন।
সুতরাং এ থেকে পরিষ্কার যে, প্যগানদের আল্লাহ খৃষ্টান বা ইহুদীদের ঈশ্বর বা আল্লাহ নয়। মোহাম্মদের পিতা আব্দুল্লাহ ছিল প্যগানদের আল্লাহ বা প্রধান দেবতা আল্লাহর দাস অন্তত নামকরনের দিক থেকে।http://www.muslimhope.com/OriginsOfIslam.htm উৎস বলছে প্রায় একই কথা।এটা বলছে আরবী ভাষায় ইহুদী ও খৃষ্টানরা স্রষ্টার নামকে আল্লাহ হিসাবে ব্যবহার করলেও আরব প্যগানদের কাছে ছিল তা প্রধান দেবতা যার ছিল তিন কন্যা ও তাছাড়া যে ছিল কাবা ঘরে রক্ষিত ৩৬০ টি দেব দেবীর প্রধান। এ ছাড়াও আল্লাহ ছিল কুরাইশদের প্রধান দেবতা যাকে তারা মানত।মূলত: কুরাইশরা অন্য দেব দেবীর চাইতে এই প্রধান দেবতা আল্লাহ সহ তার তিন কন্যাকেই বেশী মান্য গন্য করত ও তাদের উপাসণা করত। এমনকি বছরের একটা নির্দিষ্ট দিনে বা দিনসমূহে কুরাইশরা উপবাস করত(রোজা), দান করত(যাকাত/ফিতরা), মক্কার কাবা শরিফে পূজা দিত বা উপাসনা করত, তা ছাড়া আরবের বিভিন্ন স্থান হতে মক্কায় আসত(হজ্জ)। আর বলাই বাহুল্য, প্রাক ইসলামী যুগের এসব বিধানই পরবর্তীতে ইসলামে যুক্ত হয়েছে সামান্য ভিন্ন আকারে। ইসলামের বহু আগে গোটা আরব ভূমিতে লোকজন চন্দ্র দেবতার উপসনা করত যার বহু প্রত্নতত্ত্বিক নজীর পৃথিবীর বিভিন্ন যাদুঘরে বিদ্যমান, এমনকি চন্দ্র দেবতার অনেক মন্দিরও আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে আবিষ্কৃত হয়েছে। এ ব্যপারে প্রত্নতাত্ত্বিক ছবি সহ তথ্য প্রমান দেখতে হলে যেতে হবে এখানে-http://www.journeytojesus.com/ArchaelogicalGallery.pdf, http://www.creationstudies.org/Education/moon-god.html, http://www.yoel.info/moonotheism.htm, http://www.investigateislam.com/moonGod.htm, । আরব অঞ্চলে প্রচলিত চন্দ্র দেবতার জন্যই একটা মন্দির পরবর্তীতে মক্কাতে গড়ে ওঠে যেখানে এক সময় কুরাইশরা প্রাধান্য বিস্তার করে। এ চন্দ্র দেবতারই ছিল তিনটি কন্যা যাদের নাম ওপরে দেয়া আছে। মূলত: এ চন্দ্র দেবতাকেই কুরাইশরা উপাসণা করত যাকে তারা Al-Ilah বা সংক্ষেপে Allah বলে ডাকত। এ চন্দ্র দেবতার প্রতীক ছিল বাঁকা চাঁদ। কুরাইশদের আল্লাহ যে মুলত সেই চন্দ্র দেবতা তা বোঝা যায় প্রাক ইসলামী যুগে যেসব উপসণালয় আকিষ্কৃত হয়েছে তাতে চন্দ্র দেবতা ও বাঁকা চাঁদের ব্যপক উপস্থিতি দেখে। আমরা লক্ষ্য করি ইসলামেও চাঁদের সাথে একটা গভীর সম্পর্ক।যদিও কোরানে বলা হয়েছে- চাঁদ সময় নির্নয়ের জন্য আল্লাহ তৈরী করা হয়েছে, কিন্তু তার পরও ইসলামের সব ক্ষেত্রে যেভাবে বাঁকা চাদেঁর ব্যবহার সেই ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে চলে আসছে তাতে বোঝা যায় আল্লাহর সাথে চাদেঁর একটা অলিখিত গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। চাদেঁর চেয়ে সূর্যই বরং আমাদের দৈনন্দিন সময় নির্নয়ের জন্য বেশী সহায়ক, অথচ ইসলামের কোথাও সূর্যের প্রতীক ব্যবহার করা হয়না। তার অর্থ চাঁদ ইসলামে শুধু সময় নির্নয়ের উপাদানের চাইতে অনেক বেশী কিছু। যা পরিস্কারভাবে নির্দেশ করে যে মোহাম্মদের আল্লাহ এ চাঁদ সম্পর্কিত আল্লাহ তথা পৌত্তলিকদের কথিত আল্লাহ , কোন ক্রমেই ইহুদী ও খৃষ্টানদের কথিত ঈশ্বর বা আল্লাহ নয়। এ চন্দ্র দেবতাকে আরবরা হাবুল বলেও সম্বোধন করত। অর্থাৎ এ হাবুলই হলো চন্দ্রদেবতা আর এ চন্দ্র দেবতাই হলো কোরানের আল্লাহ।যেমন ইসলাম অনুযায়ী- আল্লাহর নাম হলো ৯৯ টা। এছাড়াও প্রাক ইসলামি যুগে আরবের প্যগানরা কোন কোন সময় বিশেষ পাথর খন্ডকে দারুন শ্রদ্ধার চোখে দেখত যেমন বর্তমানে হিন্দুরা তা করে থাকে শিবলিঙ্গ নামক পাথর খন্ডকে।মক্কার কাবার মধ্যে যে কাল পাথর খন্ড আছে সেটাকেই তেমনি প্যগানরা ভক্তি শ্রদ্ধার সাথে দেখত, যা মোহাম্মদ তার ইসলামেও চালু করেছেন, কারন একে ভক্তি করলে একে চুমু দিলে নাকি সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়।অর্থাৎ, মোহাম্মদ মূলত কোরাইশদের পৌত্তলিক প্রথাকে একটু পরিবর্তিত ফর্মে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ এই পাথরকে পূজা করতে মোহাম্মদের একজন বড় সাহাবী ওমর ইবনে খাত্তাব অনেকটাই অস্বীকার করেছিল যা দেখা যায় নিচের হাদিসে-
আবিস বিন রাবিয়া বর্নিত- ওমর কাল পাথরের নিকট আসলেন এবং একে চুমু দিলেন, তারপর বললেন-আমি জানি তুমি একটা পাথর বৈ আর কিছু নও, তুমি কারও উপকারও করতে পার না , অপকারও করতে পার না। আমি যদি রাসুলুল্লাহকে না দেখতাম তোমাকে চুমু খেতে আমি তোমাকে চুমু খেতাম না। বুখারী, বই-২৬, হাদিস-৬৬৭
যায়েদ বিন আসলাম বর্নিত- ওমর বিন খাত্তাব কাল পাথরকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আল্লাহর কসম, আমি জানি তুমি একটা পাথর ছাড়া আর কিছু নও, তুমি না পার কারো উপকার করতে, না অপকার। নবীকে যদি আমি না দেখতাম তোমাকে চুমু খেতে আমি তোমাকে কখনও স্পর্শ করতাম না। বুখারী, বই-২৬, হাদিস-৬৭৫
অর্থাৎ সেই মোহাম্মদের আমলেও নব্য মুসলমানদের কাছে এ কাল পাথরকে এত সম্মান করার বিষয়টি বিসদৃশ লেগেছিল আর তারই বহি:প্রকাশ দেখা যায় উক্ত হাদিস দুটিতে। কিন্তু ইহুদি বা খৃষ্টানরা কখনই এ কাল পাথরকে চুমু খেত না বা কখনই কাবা ঘরে এসে উপসণা করত না,কাবা ঘরকে প্রদক্ষিন করত না।কারন তারা একে পৌত্তলিক আরবদের একটা কুসংস্কার হিসাবে মনে করত।ইহুদী খৃষ্টান ধর্মে তাদের উপাসনালয়কে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিন করার কোন প্রথা চালু ছিল না কখনও। এ ধরনের রীতি ভারতেও দেখা যায় যে পূণ্যার্থীরা কোন কোন মন্দিরের চারপাশে পূণ্য লাভের আশায় প্রদক্ষিন করছে। ইসলাম যদি ইহুদী ও খৃষ্টান ধর্মের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সংস্করন হয়ে থাকে- তাহলে তাদেরও এ পাথরকে সম্মান করার কথা , তাদের উপাসনালয়গুলিকে প্রদক্ষিন করার রীতি চালু থাকার কথা, কিন্তু তা তারা করত না বা ছিল না। বস্তুত এ কাল পাথর ছিল নিতান্তই পৌত্তলিক কুরাইশ বা আরবদের একান্ত নিজস্ব ধর্মীয় ঐতিহ্য। মোহাম্মদ এ পৌত্তলিক ঐতিহ্য যেমন- কাবা ঘরের চারপাশে প্রদক্ষিন, কাল পাথরকে পূজা বা চুম্বন করা এসব তার ইসলামে বহাল করেছেন। ইসলামের দাবী অনুযায়ী যারা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারও ইবাদত করে না, অথচ তারা পূন্যের আশায় কাবা ঘরে রক্ষিত কাল পাথরকে চুমু খাচ্ছে, এটা বড়ই বেমানান।একটা সামান্য পাথরকে শ্রদ্ধা সহকারে চুমু খাচ্ছে পূণ্য লাভের আশায় এটা যদি পাথর পূজা না হয় তো কিসে পাথর পূজা হয় তা ঠিক বোধগম্য নয়। বিষয়টি বর্তমানে অনেক আধুনিক মনা মুসলমানকে বিব্রত করে বলে লক্ষ্য করা যায় ও এর কোন যুক্তি গ্রাহ্য ব্যখ্যাও দিতে পারে না। একটাই ব্যখ্যা যা আবার সেই বিশ্বাস সম্পর্কিত। তা হলো- এ পাথর নাকি এসেছে বেহেস্ত থেকে, যখন মক্কায় পতিত হয় তখন তার বর্ন ধবধবে সাদা ছিল। শত শত বছর ধরে মানুষের পাপ গ্রহন করার ফলে নাকি তা কাল হয়ে গেছে। একটা স্বেত পাথর মানুষের পাপ গ্রহন করে কাল হয়ে গেছে এ ধরনের উদ্ভট কথা একমাত্র কুসংস্কারাচ্ছন্ন অজ্ঞ ও মূর্খ মানুষরা ছাড়া কারাই বা বিশ্বাস করবে। এ ধরনের একটা বিশ্বাস হিন্দুদের মধ্যেও দেখা যায়। তাদের অন্যতম দেবতা শিব দেবতাদের সমূদ্র মন্থনকালে যে বিষ উৎপন্ন হয়েছিল তা সে নিজেই গ্রহন করে দুনিয়াকে রক্ষা করে, এর ফলে তার কন্ঠ বা গলা নীল বর্ণ ধারন করে। হিন্দুদের আচরিত ধর্মকে যদি পৌত্তলিক ধর্ম বলে ধরা হয়, তাহলে পৌত্তলিকতার দোষে ইসলামও দুষ্ট। যাহোক, একটা পাথর শত শত বছর ধরে মানুষের স্পর্শের কারনে তা কিভাবে সাদা রং থেকে কাল রং এ পরিবর্তিত হয় তা সম্ভবত ইসলামী বিজ্ঞানীরা এর একটা ভাল ব্যখ্যা দাড় করাতে পারবে।
মক্কার পত্তন কখন হয় সে সম্পর্কে একটা তথ্য এরকম-
The early Arabian population consisted primarily of warring nomadic tribes. When they did converge peacefully, it was usually under the protection of religious practices.[24] Writing in the Encyclopedia of Islam, Wensinck identifies Mecca with a place called Macoraba mentioned by Ptolemy. His text is believed to date from the second century AD, about 500 years before the coming of Muhammad,[25] and described it as a foundation in southern Arabia, built around a sanctuary. It probably did not become an area of religious pilgrimage until around 500 A.D. It was then that the Quraysh tribe (into which Muhammad was later born) took control of Macoraba, and made an agreement with the local Kinana Bedouins for possession.[26] The sanctuary itself, located in a barren valley surrounded by mountains, was probably built at the location of the water source today known as the Zamzam Well, an area of considerable religious significance.( http://en.wikipedia.org/wiki/Kaaba )
According to Sarwar,[31] about 400 years before the birth of Muhammad, a man named “Amr bin Lahyo bin Harath bin Amr ul-Qais bin Thalaba bin Azd bin Khalan bin Babalyun bin Saba”, who was descended from Qahtan and king of Hijaz (the northwestern section of Saudi Arabia, which encompassed the cities of Mecca and Medina), had placed a Hubal idol onto the roof of the Kaaba, and this idol was one of the chief deities of the ruling Quraysh. The idol was made of red agate, and shaped like a human, but with the right hand broken off and replaced with a golden hand. When the idol was moved inside the Kaaba, it had seven arrows in front of it, which were used for divination (http://en.wikipedia.org/wiki/Kaaba)
এখানে দেখা যাচ্ছে মোহাম্মদের জন্মের ৫০০ বছর আগে মক্কার পত্তন ঘটে ও একটা উপাসণালয় তৈরী করা হয়, তবে ৫০০ খৃষ্টাব্দের আগে এটা ধর্মীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে আসে না। আর কুরাইশরা এখানে প্রাধান্য বিস্তার করে মোহাম্মদের আবির্ভাবের আনুমানিক ৪০০ বছর আগে। তবে আমি নিশ্চিত ভাবে জানি মুমিন বান্দারা এ ধরনের তথ্য গ্রহণ করবে না। পক্ষান্তরে, তারা এর বিপরীতে কোরান হাদিসে বর্নিত মোহাম্মদের কল্প কথা ছাড়া আর কোন তথ্যই হাজির করতে পারে না, পারবেও না।
ইসলামে এটা দাবী করা হয়-ইসলামের আল্লাহ সেই আল্লাহ যাকে ইব্রাহিম, মূসা , ইসা উপাসণা করেছেন। তাহলে তৌরাত ও বাইবেলের নূতন নিয়মে তারা সৃষ্টিকর্তাকে যে নামে ডাকবে বার বার না হলেও দু একবার তার উল্লেখ কোরানে থাকার কথা। তৌরাতের হিব্রু ও আরামাইক ভাষায় স্রষ্টাকে অসংখ্যবার বলা হয়েছে- Yehweh ও Elohim । কোরানে স্রষ্টার নাম বলতে গিয়ে একবারও এ শব্দ দুটি উচ্চারন করা হয় নি। অথচ হিব্রু ভাষা ও আরবী ভাষার উৎস এক ও এদের মধ্যে অনেক শব্দেরই মিল আছে।অনেকটা আমাদের বাংলা ও অসমীয়া ভাষার মত। তৌরাত কিতাবে যে সব নবীর কথা বলা হয়েছে যেমন- আদম, নুহ, ইব্রাহীম, ইসহাক, মুসা ইত্যাদির নাম অনেকবার নেয়া হয়েছে আসল হিব্রু উচ্চারনে। কিন্তু তৌরাত বা ইঞ্জিল শরিফে যেমন একবারও আল্লাহ শব্দটি নেই, তেমনি কোরানে নেই একবারও স্রষ্টার নাম হিসাবে Yehweh ও Elohim শব্দ দুটি। এ দিয়ে এটা পরিষ্কার বোঝা যায়- বাইবেলের ঈশ্বরের সাথে কোরানের ঈশ্বরের কোন সম্পর্ক নেই। কিছু ইসলামী পন্ডিত দাবী করে-খৃষ্টানরা যে alleluyah শব্দটি উচ্চারন করে তার প্রথম অংশ alle এটা নাকি আল্লাহ। কিন্তু alleluyah শব্দটা হলো এরকম- alle- praise, lu-to, yah-Yaweh অর্থাৎ এখানে স্রষ্টা যাকে তারা হিব্রুতে Yaweh বলে ডাকে তার প্রশংসা করছে অথচ আরবীতে Allah শব্দের অর্থ praise বা প্রশংসা নয় , বরং তার অর্থ Al-The, Ilah/lah- Deity অর্থাৎ প্রধান দেবতা। এছাড়া তারা আরও দাবী করে যে যীশু খৃষ্টকে যখন ক্রুশে বিদ্ধ করে ঝুলিয়ে রাখা হয় তখন তিনি বলেছিলেন- Eli, Eli Sabbathani এটা আরামাইক শব্দ যার অর্থ হে ঈশ্বর হে ঈশ্বর, কেন তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ? এখানে বিষয় হলো আরামাইকে Eli অর্থ ঈশ্বর, কোন দেবতা বা দেবী নয় আর Eli থেকে Allah শব্দও উদ্ভুত হয় নি, হয়েছে Al ও Ilah দুটি আরবী শব্দ থেকে। তার চেয়ে বড় আজব খবর হলো- ইসলাম কিন্তু বিশ্বাসই করে না যে যীশু খৃষ্টকে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।অথচ তারা আবার Eli এর সাথে Allah এর কিছুটা উচ্চারনগত মিল থাকাতে যীশু যখন ক্রুশে বিদ্ধ হয়ে Eli Eli উচ্চারণ করেছেন তখন তিনি যে কুরানের Allah কে ডাকা ডাকি করছেন তা অতি শীঘ্রই আবিষ্কার করে ফেলেছে। এখন বিষয়টা যে ভীষণ রকম আজগুবি শুনায় এজন্যে ইসলাম কিচ্ছা তৈরী করতে দেরী করেনি। আর তা হলো- যীশুকে যখন ক্রুশে বিদ্ধ করা হয় তখন আল্লাহ তাড়াতাড়ি তাকে জীবিত বেহেস্তে তুলে নিয়ে যায় আর যীশুর পরিবর্তে যিহুদা নামের এক লোককে সেখানে ঝুলিয়ে রাখে আল্লাহ (এটা অবশ্য আমার শোনা কথা, কোন রেফারেন্স দিতে পারব না)।এ কিচ্ছা শুনতে যতই আজগুবি হোক, বাইবেলের নতুন নিয়মে যে আল্লাহ শব্দটি আছে তা প্রমান যে করতেই হবে তা সে যত গোজামিল লাগুক তা দিতে হবে কোন সমস্যা নেই। বাইবেলের পুরাতণ নিয়ম বা নুতন নিয়মের কোথাও আল্লাহ শব্দটি নেই। কিন্তু আরবী বাইবেলে আল্লাহ শব্দটি আছে। কেন আছে? অত্যন্ত সহজ এর উত্তর। খৃষ্টিয় নবম শতাব্দিতে মূলত: বাইবেলের আরবী অনুবাদ করা হতে থাকে আর ততদিনে গোটা আরব সহ আশপাশের অনেক যায়গাতে ইসলাম তার সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। তাই তাদের শাসনামলে আরব মুসলিম বা আরব খৃষ্টানদের অনুবাদকৃত বাইবেলে যদি আল্লাহ শব্দটির উল্লেখ থাকে তাতে আশ্চর্য হওয়ার তো কিছু নেই। কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো বাইবেলের এ আল্লাহ ইসলামের আল্লাহ নয়। এটা অনেকটা সম্রাট আকবরের আমলে রচিত ভবিষ্য পূরাণে উল্লেখিত মোহাম্মদ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বানীর মত। অনেক মুসলিম পন্ডিতই এসব ভবিষ্যদ্বানী দেখিয়ে অমুসলিমদেরকে বিশেষ করে হিন্দুদেরকে ধোকা দেয়, আর যারা এসব কিতাবের উৎস সম্পর্কে জানে না, তারা ধোকা খায়ও। যেকারনে দেখা যায়- এদের ধোকায় পড়ে মাঝে মাঝে দু একজন ইসলাম ধর্মেই দীক্ষাও গ্রহন করে। যা আবার তারা ইসলামের মহিমা হিসাবে প্রচার করে থাকে(উৎস:http://www.letusreason.org/islam6.htm)। যেমন গিরীশ চন্দ্র সেন তার বাংলায় অনুবাদিত কোরানে আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করেন নি, ব্যবহার করেছেন ঈশ্বর। তাহলে তো হিন্দু বা খৃষ্টানরা বলতে পারে- কোরানে তাদের স্রষ্টার নাম লেখা আছে। কিন্তু হিন্দু বা খৃষ্টানরা এখনও অতটা উজবুক হয় নি যে সেটা করতে যাবে। কারন তারা ভালমতই জানে যে কোরান মোহাম্মদ কথিত ও তার সাহবীদের রচিত একটা জগাখিচুড়ি কিতাব ছাড়া আর কিছুই নয়।এরকম জগাখিচুড়ি কিতাবে তাদের ধর্ম সম্পর্কে উল্লেখ আছে প্রমান করতে যেয়ে তারা নিজেদের ধর্মকে জগাখিচুড়ি বানানোর মত অত বোকা নয় যদিও তাদের ধর্ম ইসলামের চাইতেও আরও বেশী জগাখিচুড়ী মার্কা।
মক্কার কাবা ঘর আসলে ছিল পৌত্তলিক আরবদের একটা মন্দির যেখানে বহু দেব দেবীর মূর্তি ছিল। সেকারনে কাবা ঘর আরব পৌত্তলিকদের জন্য একটা পবিত্র ঘর ছিল আর তাই তারা প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট সময়ে এখানে জড় হতো, দেব দেবীদের পূজা করত, দেবতাদের উদ্দেশ্যে পশু বলি দিত। কাবা ঘরকে প্রদক্ষিন করত, কাল পাথরকে পবিত্র জ্ঞান করে তার সামনে মাথা নোয়াত ও চুমু খেত। ইহুদী ও খৃষ্টানরা কখনই এসব ধর্মীয় আচার আচরন কাবা ঘরে পালন করত না, আর কাবা ঘর তাদের কাছে কোন পবিত্র ধর্মীয় উপাসনালয়ও ছিল না। ইসলাম দাবী করে ইব্রাহীম, ইসহাক, মূসা, ইসা এদের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নবী মোহাম্মদের আগমন।তাই যদি হবে, তাহলে মোহাম্মদের আবির্ভাবেরও বহু আগে থেকে মক্কার কাবা ঘর ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছেও পবিত্র উপাসনালয় হওয়ার কথা। কারন তা মোহাম্মদের মতে পৃথিবীর সর্বপ্রথম আল্লাহর ঘর যার নাকি পত্তন হয়েছিল প্রথম মানব আদমের হাতে। এর পর হযরত ইব্রাহীম ও তার পূত্র ইসমাইলের হাতে নতুন করে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয় কারন তা ইতোপূর্বে নূহ নবীর আমলকার কথিত মহাপ্লাবনে ধ্বংস হয়ে গেছিল। এটাই যদি সত্যি হয়, ইসলামের আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত তো ইসলামের সাথে খৃষ্টান ও ইহুদী ধর্মের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব ছিল না, আর এরা উভয়ই আদম, নূহ, ইব্রাহীম, ইসহাক, যীশূকে নবী হিসাবে সম্মান করে (সম্পূর্ন বা আংশিক), তাহলে তাদেরই ধারাবাহিকতায়, মক্বার কাবা ঘর ইহুদি ও খৃষ্টানদের জন্যও পরিত্র উপাসনালয় হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তা কোন কালেই ছিল না বা হয় নি। তবে মক্কা বা মদিনায় বসবাস কারী ইহুদি ও খৃষ্টানরা পৌত্তলিকদের কাবা ঘরকে অসম্মানও করত না। কারন কাবা ঘরের সামনে বৎসরে একটা নির্দিষ্ট সময় আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পৌত্তলিকরা এসে জড় হতো, এর ফলে সেখানে ব্যবসা বানিজ্য করার সুযোগ ছিল আর ইহুদী খৃষ্টানরা সে সুযোগ গ্রহণ করত। মক্কা বা মদিনায় বসবাসকারী সকল খৃষ্টান ও ইহুদীদের মহা পবিত্র উপাসনালয় ছিল যেরুজালেমের সলোমনের মন্দির যাকে পরে মুসলমানরা নাম দেয় মসজিদুল আকসা। এর কারন কি ? খুব সহজেই বোঝা যায়, কাবা আদৌ আদম বা ইব্রাহীম দ্বারা তৈরী হয় নি, এ ধরনের কোন তথ্য তৌরাত ও ইঞ্জিল শরিফে উল্লেখ নেই। অথচ কবে সলোমনের মন্দির বা বায়তুল মুকাদ্দাস জেরুজালেমে তৈরী হয়েছিল তার বিস্তারিত উল্লেখ আছে।আর তখনই ইসলামী পন্ডিতরা বলে বাইবেলকে বিকৃত করা হয়েছে। কি আজব ব্যপার, ইসলাম আবির্ভাবের বহু পূর্বেই তৌরাত সংকলিত হয়েছে, আর সেটার শত শত কপি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা খৃষ্টান বিশ্বে।এটা কি করে সম্ভব যে মোহাম্মদের জন্মের বহু পূর্বেই ইহুদী ও খৃষ্টানরা শলাপরামর্শ করে তাদের কিতাব থেকে মক্কার কাবা ঘর সম্পর্কিত বিষয়াবলী বাদ দিয়ে দেবে ? ইসলামি মতে কাবা ঘর যদি দুনিয়াতে আল্লাহর প্রথম ঘর হয়ে থাকে আর তার সাথে যদি ইব্রাহীমের স্মৃতি জড়িত থাকে তাহলে তার উল্লেখ অবশ্যই তৌরাত ও ইঞ্জিল গ্রন্থে থাকার কথা, কারন ধারাবাহিকতার সূত্র ধরে তৌরাতের পর ইঞ্জিল এর পর কোরান অবতীর্ণ হয়েছে বলেই দাবী মোহাম্মদ তথা মুসলমানদের। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনকভাবে মক্কার কাবা ঘর তো দুরে কথা , খোদ মক্কার কথাও কোথাও লেখা নেই তৌরাত ও ইঞ্জিল শরিফে। এ থেকে এটাও বোঝা যায়- প্যলেষ্টাইনের থেকে প্রায় হাজার মাইলেরও বেশী দুরের অত্যন্ত রুক্ষ্ম ও কঠিন মরুভূমিতে অবস্থিত এ মক্কার তখনও পত্তন ঘটেনি, আর ঘটে থাকলেও তার নাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ার মত তেমন অবস্থা ছিল না। আর তাই তা কখনই ইহুদি ও খৃষ্টানদের পবিত্র স্থান ছিল না। ইহুদী ও খৃষ্টান উভয়েই বিশ্বাস করে তাদের পূর্ব পুরুষ হলো ইব্রাহিম যার বংশধর তারা, তাহলে তার তৈরী মসজিদ বা উপাসণালয় তাদের কাছেও পবিত্র হওয়ার কথা। অথচ তা কখনই ছিল না। কারন কি ? তার কারন, এটা ছিল আরবের অন্যান্য পৌত্তলিক পুজারী গোষ্ঠির মত একটা গোষ্ঠী কুরাইশদের নিজস্ব চন্দ্রদেবতার মন্দির, এর সাথে ইব্রাহিমের কোন সম্পর্ক কোনকালেই ছিল না। মোহাম্মদই মূলত: এর সাথে ইব্রাহীমের সম্পর্ক তৈরীর প্রচেষ্টা চালায়, ইব্রাহীমের সাথে নিজেকে সম্পর্কিত করার জন্য যাতে ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে তার অনুসারীতে পরিনত করা যায়। ইতোপূর্বেকার কোন ইতিহাস বা এমনকি বাইবেল সাক্ষ্য দেয় না, কাবা ঘর আসলে ইব্রাহীম ও তার পূত্র ইসমাইল কর্তৃক তৈরী হয়েছিল। এটা সম্পূর্নত:ই, কোরান তথা মোহাম্মদের নিজস্ব দাবী। আর যেহেতু বাইবেল সাক্ষ্য দেয় না যে কাবা ঘর ইব্রাহীমের দ্বারা তৈরী, তাই মোহাম্মদ ও তার অনুসারীরা জোর গলায় আওয়াজ তোলে- বাইবেলকে বিকৃত করা হয়েছে। যেমন কোরানে উল্লেখ আছে-
স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল কা’বাগৃহের ভিত্তি স্থাপন করছিল। তারা দোয়া করেছিলঃ পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। কোরান, ২:১২৭
অথচ এটা কোরানে উল্লেখ পর্যন্তই সার। কোরানের পূর্ববর্তী কিতাব তৌরাত ও ইঞ্জিলে এ বিষয়ের কোন উল্লেখ নেই। এমন কোন ঐতিহাসিক প্রমান নেই যে এটা ইব্রাহীম ও ইসমাইল তৈরী করেছিল যেখানে জেরুজালেমের আল আকসা উপাসনাগৃহ কবে তৈরী হয়েছিল তার কিছুটা ঐতিহাসিক প্রমান আছে। তা ছাড়া তৌরাতে তো এর পূরা মাপ জোকের বর্ননাও দেয়া আছে আর বলা আছে কে তৈরী করেছিল, খোদ কোরানও তার সাক্ষ্য দেয়। কোরান কেন তার সাক্ষ্য দেয়? কারন এটা ছিল মোহাম্মদের একটা কৌশল যাতে ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে দেখানো যায় যে ইসলাম ইহুদী ও খৃষ্টান ধর্মেরই শেষ সংস্করন। ইসলাম তো আরও অগ্রসর হয়ে বলে- কাবা হলো পৃথিবীর সর্বপ্রথম তৈরী ঘর যা আদম কর্তৃক তৈরী হয়েছিল। যেমন-
আবু দার বর্নিত- আমি বললাম, ও আল্লাহর রসুল, কোন্ মসজিদ সর্বপ্রথম তৈরী হয়েছিল? তিনি বললেন- মসজিদুল হারাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম- এর পর কোন্ টা ? তিনি উত্তর দিলেন- মসজিদুল আকসা। আমি জিজ্ঞেস করলাম- এদের মধ্যে কত সময় ব্যবধান ছিল ? তিনি উত্তর দিলেন- চল্লিশ বছর।বুখারী, বই-৫৫, হাদিস-৬৩৬
উল্লেখ্য, এটা কিন্তু সম্পূর্নতই মোহাম্মদের নিজের কথা, এর পিছনে কোন রকম ঐতিহাসিক তথ্য প্রমান নেই। মসজিদুল আকসা বা সলোমনের মন্দির কবে কখন তৈরী হয়েছিল তার কিছু কিছু ঐতিহাসিক তথ্য প্রমান আছে কিন্তু কবে কাবা ঘর তৈরী হয়েছিল তার তেমন কোন ঐতিহাসিক তথ্য নেই, যা কিছু তথ্য তা মোহাম্মদ বর্নিত।তবে একেবারেই নেই তা বলা যাবে না।আরবের সর্বত্র ইসলামী রাজত্ব কায়েম হলে সকল ইতিহাসই ধ্বংস করা হয়েছে কিন্তু নানা ভাবে কিছু কিছু ইতিহাস তো পাওয়া যাবেই চেষ্টা করলে। যাহোক, কাবা সৃষ্টির ইসলামিক তত্ত্বটা কি? সেটা হলো- আল্লাহই সর্বপ্রথম কাবা মসজিদ তৈরী করে, তারপর নুহের আমলে মহাপ্লাবনে তা ধ্বংস হয়ে গেলে পূনরায় ইব্রাহীম কর্তৃক নির্মিত হয়, যার কোন ঐতিহাসিক প্রমান নেই, আছে কেবল পৌরাণিক কাহিনী আকারে।যদি কোন ইসলামিক সোর্স থেকে কাবা ঘর তৈরীর ইতিহাস জানতে চাওয়া হয়- সেখানে একটাই বক্তব্য থাকে তা হলো-কোরানে আল্লাহ ইব্রাহীমকে কাবা ঘর নির্মান করতে বলেছে, তাই ইব্রাহীম ও তার পূত্র ইসলাম দুজনে মিলে তা তৈরী করেছে। আর যে টুকু প্রামান্য ইতিহাস পাওয়া যায় তা সবই মোহাম্মদের মক্কা দখলের পর। একজন মুমিন বান্দা মাত্রেই এটুকুতে সন্তুষ্ট ও আর কিছু জানার দরকার বোধ সে করে না। এখন যেহেতু কোরান কোন ইতিহাসের কিতাব নয়, তাই নিরপেক্ষ পাঠক মাত্রই জানতে চাইবে নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক সূত্র থেকে কাবা ঘর নির্মানের উৎসটা কি। আর তখন যা জানা যায় , তার সাথে দু:খজনক ভাবে কোরান বর্নিত কোন কাহিনীর মিল নেই। যে সব কাহিনী জানা যায় তা ইতোপূর্বে ব্যখ্যা করা হয়েছে আর তা হলো – আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তৃত যে পৌত্তলিক ধর্ম যার প্রধান দেবতা ছিল চন্দ্র, তারই মন্দির ছিল কাবা আর এটা তৈরী হয়েছিল আনুমানিক খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে।বিভিন্ন উৎস হতে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে দেখা যায়, আনুমানিক ২০০০ খৃষ্টপূর্বে তথাকথিত নবী ইব্রাহিম দুনিয়াতে ছিল, আর খৃষ্টপূর্ব ১০০০ এর দিকে ছিল রাজা সলোমন। রাজা সলোমনই প্রথম তৈরী করে সলোমনের মন্দির তথা মসজিদুল আকসা (এ নাম মুসলমানদের দেয়া)। তার মানে ইব্রাহীম যদি কাবা ঘর নির্মান করেও থাকে তাহলে কাবা ঘর ও মসজিদুল আকসা এ দুইয়ের নির্মান কালের তফাৎ কমবেশী ১০০০ বছর, কোন ক্রমেই ৪০ বছর নয়। অথচ কি আজব কথা, একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করা মাত্রই কি নির্বিকারভাবে মোহাম্মদ তার মনগড়া তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন।আর গোটা মুসলমান সমাজ কোন রকম বাছ বিচার ছাড়াই,পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই সেটাই বিশ্বাস করছে।কারন সেটা মোহাম্মদ বলেছেন।আর যদি আদমকে কাবা ঘরের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে ধরা হয় যা মোহাম্মদ বিশ্বাস করতেন ও বর্তমানকার মুমীন বান্দারা বিশ্বাস করে, তাহলে তো মসজিদুল আকসার সাথে বয়সের তফাৎ হয় হাজার হাজার বছর। ভৌগলিক অবস্থাকে বিচার করলেও স্পষ্ট বোঝা যায় ইব্রাহীম কখনই মক্কায় যায় নি বা তার কথিত স্ত্রী হাজেরা ও তার সন্তান ইসমাইলকে মক্কায় নির্বাসন দেয় নি। ইব্রাহীমের বিচরন স্থল ছিল জেরুজালেম, জর্ডন, সিরিয়া, গাজা, মিশর এসব অঞ্চলে। এর যে কোন স্থান থেকে সোজা মক্কা পর্যন্ত বিমান উড্ডয়ন দুরত্ব কমপক্ষে ১০০০ কিলোমিটার। মরুপথে এ দুরত্ব আরো বেশী।ইব্রাহীম হাজেরা ও তার শিশু পূত্র ইসমাইলকে এতদুরের মরুভূমির কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে মক্কায় রেখে যাবে যা বিশ্বাস করা একমাত্র নির্বোধ মানুষের পক্ষেই সম্ভব। নির্বাসন যদি দিতেই হয়, বড়জোর ২০০/৩০০ কিলোমিটার দুরেই সেটা সেই তৎকালে দেয়াটাই সঙ্গত। কারন সে যুগে সেই ২০০/৩০০ কিলোমিটারই ছিল অনেক বড় দুরত্ব।হাজেরা কখনো এ দুরত্ব বিপদ সংকুল পথ পাড়ি দিয়ে পুনরায় ইব্রাহীমের কাছে যেতে পারত না। বিষয়টি ভালভাবে উপলব্ধি করার জন্য নিচের মানচিত্র দেয়া হলো। আরব দেশের মানচিত্র দেখলেই বোঝা যাবে, হাজেরা ও ইসমাইলকে নির্বাসন দেয়ার কিচ্ছা কতটা অসার ও ভিত্তিহীন।
আগেই বলা হয়েছে- মুসলমানরা প্রাক ইসলামী যুগের কোন ইতিহাস সংরক্ষন করে নি। তাই কাবা ঘর কখন প্রতিষ্ঠিত হয় বা তার প্রতিষ্ঠাতা কে তা জানতে আমাদেরকে অবশ্যই অমুসলিম উৎসের দ্বারস্থ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্বে দেখা যায় Alfred Guillaume এর একটা ব্যপক গ্রহনযোগ্যতা আছে।কারন ইনি মাঝে মাঝে এমন সব বক্তব্য দিয়েছেন যা ইসলামের পক্ষে যায়।আসলে উনি নিরপেক্ষভাবে কথা বলেছেন, কারও পক্ষ বা বিপক্ষ চিন্তা করে কিছু বলেন নি। তো তিনি কি বলেছেন একটু দেখা যাক-‘”… there is no historical evidence for the assertion that Abraham or Ishmael was ever in Mecca, and if there had been such a tradition it would have to be explained how all memory of the Old Semitic name Ishmael (which was not in its true Arabian form in Arabian inscriptions and written correctly with an initial consonant Y) came to be lost. The form in the Quran is taken either from Greek or Syriac sources.” (Alfred Guillaume, Islam [Penguin Books Inc., Baltimore, 1956], pp. 61-62). তো স্পষ্ট তিনি নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলছেন যে এমন কোন নজীর নেই যে ইব্রাহীম বা ইসমাইল কখনো মক্কাতে গমন করেছিল। তার অর্থ ইব্রাহীম ও ইসমাইল কাবা ঘর তৈরীও করেনি। আমি নিশ্চিত মুসলিম পন্ডিত ও মুমিন বান্দারা Guillaume এর অন্যান্য অনেক রেফারেন্সকে অকাট্য হিসাবে গ্রহন করলেও এ রেফারেন্স একেবারেই গ্রহন করবে না , বলবে এটা বিকৃত বক্তব্য বা তিনি কি সবজান্তা নাকি , এ প্রশ্নও কেউ কেউ করতে পারে। আর এটাই সমস্যা। যা ইসলামের পক্ষে যায় না , তার পক্ষে অকাট্য যুক্তি প্রমান থাকলেও তা তাদের কাছে বিকৃত। মুমিন বান্দা মাত্রই মোহাম্মদকে সবজান্তা সর্বজ্ঞানী মনে করে যদিও তিনি জানতেন না সূর্য অস্ত গেলে কোথায় যায়, দিন ও রাত কেন ঘটে, জানতেন না পৃথিবী গোলাকার নাকি সমতল, কে শয়তান আর কে জিব্রাইল চিনতে পারতেন না, জানতেন না রাতের আকাশে তারগুলো আসলে কি বা উল্কাখন্ডের প্রকৃতি কি এবং আরও অনেক কিছুই জানতেন না।তবুও সবাই তাকে সবজান্তা মনে করে, মোহাম্মদ তার অনুসারীদের মাথাটা এমন ভাবেই নষ্ট করে দিয়ে গেছেন সেই চৌদ্দশ বছর আগে।ভাবতে আশ্চর্য লাগে, সেই সব মানুষগুলো পড়েও দেখার চেষ্টা করে না তাদের কিতাবে মহা জ্ঞানের কথা নাকি বোগাস কথা বার্তা লেখা আছে।
কথিত আছে আদম দুনিয়াতে অবতরণ করার পর আল্লাহ তাকে একটা মসজিদ করার জন্য আদেশ করেন আর আদম এ বিরাট দুনিয়ার আর কোথাও জায়গা না পেয়ে উষর ও কঠিন মরুভুমি মক্কাতে সেই মসজিদ বানায় যাকে বলা হয় কাবা। প্রথম প্রশ্ন জাগে- দুনিয়ায় এত ভাল ভাল সুজলা শস্য শ্যামলা জায়গা থাকতে আদম মক্কার মত একটা কঠিন যায়গাতে মসজিদ বানাতে গেল কেন? এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মত সুজলা সুফলা দেশ একটা উত্তম জায়গা হতে পারত বসবাসের জন্য। দ্বিতীয়ত: হাদিস থেকেই জানা যায়- ইব্রাহিম তার পূত্র ইসমাইল ও তার মা হাজেরাকে যখন মক্কাতে নির্বাসন দিয়ে যায় তখন সেখানে কোন পানির উৎস ছিল না। রুক্ষ শুষ্ক কঠিন উষর যায়গা ছিল সেটা।জিব্রাইলের পায়ের ধাক্কা বা ইসমাইলের পায়ের ধাক্কাতেই জমজম কুপ সৃষ্টি হয় যা ছিল তখনকার মক্কার একমাত্র পানির উৎস। তো আদম যখন সেখানে মসজিদ নির্মান করে, তখন তো সেখানে পানি ছিল না।তাই এরকম একটা যায়গায় যেখানে বাস করার মত পরিবেশও ছিল না, কারন পানি ছাড়া তো আর বাঁচা যায় না, অথচ সেখানে মসজিদ নির্মান করার অর্থই হলো সেখানে আদম তার স্ত্রী হাওয়াকে নিয়ে বসবাস করত। প্রশ্ন হলো- যেখানে বাঁচার মত পরিবেশ ছিল না , সেখানে আদম একটা মসজিদ তৈরী করে বসবাস করছে, এটা কতটা বাস্তব সম্মত? তৃতীয়ত: কাবা ঘর নাকি পৃথিবীর কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত। আবার কাবা ঘরের ঠিক সোজা উপরে নাকি ৭ম তথা শেষ বেহেস্তের বায়তুল মামুর অবস্থিত যেখানে প্রতি নিয়ত ৭০,০০০ ফিরিস্তা আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে। পৃথিবী যেহেতু গোল তাই এর পৃষ্ঠদেশের যে কোন বিন্দুকেই পৃথিবীর কেন্দ্র ধরা যায়, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। কিন্তু পৃথিবী প্রতিদিন নিজ অক্ষের ওপর একবার করে পাক খাচ্ছে, ও ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে আসছে যার ফলে দিন ও রাত হয়। তার মানে প্রতি নিয়ত পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থিত কাবা ঘরের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটছে কিন্ত তার সোজা উপরের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকছে। এর ফলে প্রতি নিয়ত ৭ম বেহেস্ত তার বাকী ৬ টি বেহেস্ত সহ পৃথিবীর অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেরাও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে কি?আরো সোজা কথায়, পৃথিবী ঘোরার সাথে সাথে বায়তুল মামুর সহ সকল বেহেস্তেই কি ঘুরতে থাকে চরকির মত? তাছাড়া ৩৬৫ দিনে পৃথিবী তো সুর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসে, তার ফলে আহ্নিক ও বার্ষিক গতি মিলিয়ে পৃথিবীর গতি, তার অবস্থান ও তার পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত কাবা ঘরের অবস্থান মহাবিশ্ব সাপেক্ষে খুব জটিল হয়ে পড়ে। এর সাথে কিভাবে ৭ম বেহেস্তের বায়তুল মামুর তাল মিলিয়ে তার অবস্থান ঠিক রাখে? এ রকম উদ্ভট ধারণার মূল কারনই হলো মোহাম্মদ পৃথিবীকে স্থির ভাবতেন, তিনি কল্পনাই করতে পারেন নি যে পৃথিবী বন বন করে ঘুরছে। বোধ হয়, পৃথিবীর এ বন বন করে ঘোরার কারনেই মুমিন বান্দাদের মাথাটাও সব সময় একটা ঘোরের মধ্যে থাকে আর সে কারনেই তাদের মাথায় অন্য কিছু প্রবেশ করতে পারে না।
মক্কার কাবা ঘর যে দুনিয়াতে আল্লাহর প্রথম ঘর ছিল না আর তার কথিত আল্লা যে বাইবেলের আল্লাহ ছিল না, তার সবচাইতে বড় প্রমান হলো ৪০ বছর বয়সে মোহাম্মদ নবুয়তি পাওয়ার পরও তিনি যেরুজালেমের বায়তুল মোকাদ্দস এর দিকে মূখ করে ইবাদত তথা নামাজ পড়তেন। কাবা ঘরই যদি আল্লাহর প্রথম ও আসল ঘর হতো তাহলে নবুয়তির দিনই জিব্রাইল তাকে সেটা বলে যেত। তখন তো বলেই নি, বরং দেখা যাচ্ছে, মোহাম্মদ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মক্কাতে ইসলাম প্রচার করার সময়ও জিব্রাইল সেটা বলতে ভুলে গেছে বা আল্লাহও তাকে বলে নি। এমন কি বোরাক নামক পাখা বিশিষ্ট গাধায় চড়ে সাত আসমান পার হয়ে আল্লাহর সাথে দেখা করার সময়ও আল্লাহ তাকে সেটা জানাতে ভুলে গেছে।অথচ আল্লাহ তাকে ৫ বার নামাজ পড়ার কথা বলেছে কিন্তু বলেনি কোন দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে। শুধু কি এখানেই শেষ? এর পর মক্কাতে মোহাম্মদ সুবিধা করতে না পেরে দলবল সহ মদিনায় গমন করলেন এবং সেখানেও দেড় বছরের বেশী কাল অতিক্রম করলেন কিন্তু আল্লাহ তারপরও তাকে জানায়নি কোন দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে।তখনও মোহাম্মদ ও তার দলবল বায়তুল মোকাদ্দসের দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে চলেছেন। অত:পর আসল সেই আয়াত যার মাধ্যমে আল্লাহ বলে পাঠাল যে কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, কাবা ঘর বাইবেলে কথিত আল্লাহর প্রথম ঘর তো নয়ই , এমনকি আল্লাহর ঘরই নয়। বিষয়টি এখানে শেষ হলে ভাল হতো কিন্তু না এখানেই শেষ নয়। মদিনায় যাওয়ার দেড় বছর পর যখন মোহাম্মদ কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া শুরু করলেন, তখন কাবা ঘরের মধ্যে সেই আল্লাহ তথা চন্দ্র দেবতা সহ ৩৬০ টি মূর্তি ছিল। তার মানে তিনি কুরাইশদের আল্লাহ ও তার সঙ্গী দেব দেবীদের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তেন, আর তাতে তার কোন অসুবিধা হতো না। এভাবেই তিনি মদিনায় যে পরে আরও সাড়ে আট বছর ছিলেন, কাবার ভিতরের মূর্তিগুলোর দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে গেছেন। এতে অসুবিধা না হওয়ার কারন কাবার মধ্যে যে আল্লাহ নামক প্রধান দেবতা ছিল সে তো মোহাম্মদেরই আল্লাহ। তার শুধু দরকার পড়েছিল ইহুদী খৃষ্টানদেরকে বোকা বানানো আর তাই তিনি প্রধান দেবতা বাদে কোন দেব দেবীকে স্বীকার করতে রাজী ছিলেন না।কারন ইহুদী ও খৃষ্টানরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন দেব দেবীতে বিশ্বাসী ছিল না। আর তাদের এ ধর্ম বিশ্বাসের সাথে মিল রাখতে গিয়েই এ কায়দাটা প্রয়োগ করেন। মুলত: ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্যই এতকাল তিনি যেরুজালেমের দিকে মুখ করে নামাজ পড়েছিলেন। কিন্তু যখন দেখা গেল ইহুদী ও খৃষ্টানরা ইসলাম কবুল করবে না , তখনই মোহাম্মদ সিদ্ধান্ত নিলেন কিবলার দিক পরিবর্তনের। আর এ সিদ্ধান্ত নেয়ার সাথে সাথেই আয়াত নাজিল হয়ে গেল। কি সেই আয়াত?
এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য। আপনি যে কেবলার উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা প্রতীয়মান হয় যে, কে রসূলের অনুসারী থাকে আর কে পিঠটান দেয়। নিশ্চিতই এটা কঠোরতর বিষয়, কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়। সূরা বাক্কারা, আয়াত-১৪৪, মদিনায় অবতীর্ণ।
আর যে স্থান থেকে তুমি বের হও, নিজের মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফেরাও-নিঃসন্দেহে এটাই হলো তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে নির্ধারিত বাস্তব সত্য। বস্তুতঃ তোমার পালনকর্তা তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবহিত নন। সূরা- বাক্কারা, আয়াত-১৫০, মদিনায় অবতীর্ণ।
কখন এ আয়াত নাজিল হয়?
আল বারা বর্নিত- নবী বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে ষোল বা সতের মাস নামাজ পড়তেন কিন্তু তিনি ইচ্ছা করতেন মক্কার কাবা ঘর হবে কিবলা। তাই আল্লাহ উক্ত ০২: ১৪৪ আয়াত নাজিল করলেন এবং তিনি কতিপয় সাহাবী সহ আসরের নামাজ পড়লেন কাবার দিকে মুখ করে। সহি বুখারি, বই – ৬০, হাদিস-১৩
কি সুন্দর সহজ সরল স্বীকারোক্তি।মোহাম্মদ চাইতেন কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে অর্থাৎ কুরাইশদের আল্লাহর ঘরকেই তিনি কিবলা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখতেন সব সময় কিন্তু শুধুমাত্র ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে দলে টানার জন্যই বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তেন। অর্থাৎ মোহাম্মদ তার কুরাইশ বংশের পছন্দনীয় আল্লাহর পথেই ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে আনতে চাইতেন কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত আসল না। অগত্যা তাকে তাদের আশা ত্যাগ করতে হলো ও নিজের বহুদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করতে উদ্যোগী হলেন। অবশ্য তাতে কিছু অসুবিধাও নেই। ততদিনে মদিনাতে তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন, মদিনার পাশ দিয়ে যাওয়া বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে ধন সম্পদ লুটপাট করা যাচ্ছে, লুটের ভাগ পাওয়ার জন্য মদিনাবাসীরাও তার পিছনে সব কাতার বন্দী হয়ে পড়ছে। তাই ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে অতটা দরকার তার আর নেই কারন ক্ষমতা হাতে পাওয়া গেছে আর তা পুঞ্জিভুত করে ঠিক মতো চালাতে পারলে পরে ইহুদী খৃষ্টানদেরকে জোর করে মুসলমান বানানো যাবে, না হলে তাদেরকে চিরতরে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়া যাবে, বা মক্কা মদিনা থেকে উচ্ছেদ করে দেয়া যাবে।আর বাস্তবেও আমরা সেটা খোদ মোহাম্মদের জীবনেই দেখেছি, যা তার সাহাবীরা পরবর্তীতে নিষ্ঠা সহকারে অনুসরণ করে এসেছে আর বর্তমানে এ একবিংশ শতাব্দীতেও বাস্তবায়ণ করার তালে আছে।
আপনার লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগল ।
হিন্দু+খ্রিস্টান= কোন সমস্যা নেই
হিন্দু+বুদ্ধ=কোন সমস্যা নেই
হিন্দু+জৈন=কোন সমস্যা নেই
হিন্দু+ইহুদী=কোন সমস্যা নেই
হিন্দু+শীক=কোন সমস্যা নেই
হিন্দু+হিন্দু=কোন সমস্যা নেই
================================================
মুসলিম+হিন্দু=সমস্যা
মুসলিম+খৃস্টান=সমস্যা
মুসলিম+বুদ্ধ=সমস্যা
মুসলিম+ইহুদী=সমস্যা
মুসলিম+সিয়া=সমস্যা
মুসলিম+জৈন=সমস্যা
মুসলিম+শীক=সমস্যা…..সব চেয়ে মজার ব্যাপার হল
মুসলিম+মুসলিম= আরো বড় সমস্যা ।।।
নবীর বংশ নাকি একদিন ধ্বংস হবে এটা এরাই বলে..
হাদিস গুলোর লিংক দেন আমি খুজে পাচ্ছি না আমার এপ্স এ। বিশেষ করে আয়েশার হাদিস গুলো। নবী কে যে বলল আপ্নার প্রয়োজন মত আল্লাহ আয়াত তারাতারি নাজিল করেন।
মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে ফেললাম। কিন্তু মুমিনগণের ঘিলুতে ঢুকবে তো? তেনাদের ব্রেনে তো উস্কানি ছাড়া কিছু ঢুকে না!
তখন মুহাম্মদ (স) কাবাকে কেন্দ্র করে নামাজ পড়তেন না কারণ কাবাতে দেব দেবির মূরতি ছিলো।
সাম্প্রদায়িকতা ও শাস্ত্রীয় অন্ধবিশ্বাসে ভরপুর।
আপনার লেখা পরে ভাল লাগ্ল…অনেক গবেশনা ধর্মী লেখা………কিন্তু একটা বিসয় দেখে মনে হল আপনি লেখা টা লিখতেইয়েযে কি এখনকার সময় কে ছিন্তা করে লেখাতি লিখেছেন কি না?
“কথিত আছে আদম দুনিয়াতে অবতরণ করার পর আল্লাহ তাকে একটা মসজিদ করার জন্য আদেশ করেন আর আদম এ বিরাট দুনিয়ার আর কোথাও জায়গা না পেয়ে উষর ও কঠিন মরুভুমি মক্কাতে সেই মসজিদ বানায় যাকে বলা হয় কাবা। প্রথম প্রশ্ন জাগে- দুনিয়ায় এত ভাল ভাল সুজলা শস্য শ্যামলা জায়গা থাকতে আদম মক্কার মত একটা কঠিন যায়গাতে মসজিদ বানাতে গেল কেন?”
যতটুকু বোঝাযায় আরব প্রাচীন কালে উষর ও কঠিন মরুভুমি ছিলনা। উষর ও কঠিন মরুভুমি হলে এত জীবাশ্ম জালানি পাওাজেতনা।
আর একটা বিষয় রেফারেনস আরো বেশি হলে ভাল হত।
@অমানুষ,
ফসিল হচ্ছে মিলিয়ন বছরের পুরোনো জিনিস, আর মোহাম্মদ হচ্ছে দেড় হাজার বছর আগেকার ব্যাপার। আপনি দুটো মিশিয়ে ফেলছেন।
আপনি যদি সেই ডাইনোসরদের যুগে চলে যান, তখন তো আরব, ভারত, মাদাগাস্কার সব ছিল আফ্রিকার সঙ্গে জোড়া। তখন দুনিয়ার ভূপ্রকৃতি ছিল একদম অন্যরকম। আবার শেষ আইস এজের সময় অনেক জল বরফ হয়ে আটকে থাকায় সমুদ্রসীমা ছিল অনেকটা নিচে, তখন লোহিত সাগর ছিল কেবল একটা হ্রদ, ওই পথেই আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে আসা হোমো স্যাপিএনসের দল প্রথম ভারত অঞ্চলে এসে পৌঁছেছিল। তা তারা প্রথম ইজরায়েল-আরব অঞ্চলে ঢুকেছিল প্রায় ১০০ হাজার (এক লাখ) বছর আগেকার কথা। তারা অস্ট্রেলিয়াতেই পৌঁছে গেছিল ৪০ হাজার বছর আগে।
তা সেই হিমযুগের শেষে বরফ গলতে আরম্ভ করে ধরুন ১৫ হাজার বছর আগে, যখন বর্তমান রেড ইন্ডিয়ানদের দল রাশিয়া থেকে আমেরিকা যেতে শুরু করে। তারপরে আরবের আবহাওয়া মোটামুটি স্থিতু হয়ে গেছে ধরা যায়।
অতএব বুঝে নিন, মহম্মদের সময়ে আরব অঞ্চল মরুভূমিই ছিল।
এটার রেফারেন্স কি?
@আরাফাত,
ইবনে ইসহাক ও আল তাবারি রচিত মোহাম্মদের জীবনী থেকে রেফারেন্স পাবেন নিম্নের সাইট থেকে-
http://www.muhammadanism.org/Quran/SatanicVerses.htm
@ভবঘুরে,
অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কটার জন্য। পড়ে ফেললাম। তথ্যগুলো বিশ্ময়কর।
লেখা চমৎকার হয়েছে।
উপরোক্ত উদ্ধৃতির রেফারেন্স পেলে উপকৃত হতাম। ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে
এ পর্বটি কি খুব তাড়াহুড়োয় লিখা হয়েছিলো? পড়তে পড়তে তাই মনে হলো। কিছু কিছু জায়গা/বাক্য রিপিটেড হয়েছে।
অনেক কষ্টসাধ্য লিখা নিঃসন্দেহে। আমি নিশ্চিত আমি সহ আরো অনেকে উপকৃত হবেন।
****এমন ঢাকনা খুলে দেয়া লিখা আশা করি আমরা আরো পাব****
গত বছর আমার ছোট ভাই হতে পাওয়া একটি লিঙ্ক শেয়ার করলাম। মোটামুটি ভাবে আপনার লিখার সারাংশ অথবা ইংরেজি ভারশান বলা যায়। তবে কিছু নুতন তথ্যও আছে।
http://www.biblebelievers.org.au/moongod.htm
Spamming এর জন্য দুঃখিত, কিন্তু নৃপেন্দ্র সরকারের ব্লগের লিংক কাজ করছেনা, 404 দেখাচ্ছে। ব্যাপার কি?
খুব সম্ভবত উনি লেখাটা মুছে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি এ ধরনের কাজ করলেন।
একটা লেখা লেখকের সম্পত্তি, তিনি তা মুছে দিতেই পারেন। কিন্তু, সেই লেখায় যখন পাঠক মন্তব্য করেন, তখন সেখানে পাঠকেরও আংশিক মালিকানা তৈরি হয়ে যায়। এরকম অবস্থায় লেখকের হুট করে লেখা মুছে দেবার আগে মন্তব্যকারী এবং পাঠকদের অধিকারের বিষয়টির দিকে দৃষ্টি দেওয়াটা উচিত বলে আমি মনে করি। লিখতে যেমন ভাবনা-চিন্তা করতে হয়, মন্তব্য করতেও সেই একই কাজ করতে হয়। কাজেই, মন্তব্য বা মন্তব্যকারীদের হেলাফেলা করাটা ঠিক কাজ নয়। নৃপেন্দ্রনাথ সরকারের লেখা মুছে দেবার এই সিদ্ধান্তে আমি খুবই হতাশ। আমার নিজের একাধিক মন্তব্যসহ আরো অনেকের মন্তব্য চিরতরে হারিয়ে গেলো এর ফলে।
@ফরিদ আহমেদ,
একমত। লেখাটি উনি “ব্যক্তিগত” করেছিলেন ঠিক আছে, কিন্তু মুছে দেওয়ায় বড়ই হতাশ হলাম।
এই মাত্র খেয়াল করলাম যে, আমার সামান্য ভুল হয়েছে। তিনি লেখাটাকে ব্যক্তিগতই করেছেন, মুছে দেন নি। তবে, এর সাথে মুছে দেবার আসলে কোনো পার্থক্যই নেই। কারণ, এই পাতাটা সংরক্ষিত। অন্য কারো পক্ষেই ওখান যাওয়া সম্ভবপর হবে না। প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে ব্যক্তিগত ব্লগে নিলে এরকম হতো না। সেক্ষেত্রে অন্যেরা লেখাটাতে বিচরণ করতে সক্ষম হতেন।
@ফরিদ আহমেদ,
আমিও হতাশ
পুরো মন্তব্যের সাথেই একমত। লিখাটি পড়তে গিয়ে পেলাম না। খুব হতাশ হলাম।
ভয়াবহ লেখা। এই ধরনের লেখাই আমার পছন্দ। অনেকের লেখা পড়েছি, অনেক যায়গায় দেখেছি লেখার মদ্ধ্যে গোঁড়ামি থাকে। কোন কিছুতেই গোড়ামি ভাল না। না আস্তিকতায়, না নাস্তিকতায়।
গবেষনাধর্মী যৌক্তিক লেখায় চিরকাল সবাই সমর্থন দিয়ে গেছে, আমিও দিলাম।
( আমি এক নব্য নাস্তিক। নাস্তিকও ঠিক না, আসলে ধর্ম অবিশ্বাষি। এক ইশ্বরে বিশ্বাষ আছে কিন্তু কোন ধর্মে বিশ্বাষ করতে পারছি না।)
@ ভবঘুরে,
ইসলাম” শাসন ব্যবস্থার জন্য নয়। জিহাদিররা জোর করে এটাকে শাসন ব্যবস্থার মধ্যে লয়ে আসে। ইসলামকে মসজিদেই থাকতে দেওয়া হউক।
শাসন ব্যবস্থায় ঢুকালে পচন্ড বিশৃঙ্খলা বেধে যাবে। কোরান হাদিছে শাসন ব্যবস্থা নাই।
যদি থাকত তা হলে এক আল্লাহর দেওয়া “শারিয়া আইন” ৪ রকম হইতনা। এক এক দেশের শারিয়া আইন এক এক রকম হইতনা। একই অপরাধের জন্য শারিয়ার বিচারের রায় বিভিন্ন হইতনা।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার অভিমতের সাথে একমত না। আ্পনার ধারণা ইসলামের ইতিহাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়। নবীর জীবনী বলে- যতদিন তিনি রাজশক্তি হাতে পান নি ততদিন ইসলামের সাফল্য খুব কম। মোহাম্মদের প্রথম জীবনে নবুয়তের পর দশ বছরের জীবন পর্যালোচনা করে দেখুন ইসলামের সাফল্য সামান্য। তিনি যখন মদিনায় গিয়ে রাজশক্তির অধিকারী হলেন তখন তার সাফল্য আকাশ চুম্বী। যেকারনে ইসলামে জিহাদের প্রতি মোহাম্মদ খুব বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। আর জিহাদ যে কি জিনিস তা তো ভালমতেই বুঝতে পারেন আশা করি।মোহাম্মদ বার বার বলেছেন- তরবারীর নীচে বেহেস্ত। কোরান ও হাদিসে তাই বহু আয়াত ও বানী হলো জিহাদ ও তার মাহাত্মকে ঘিরে। ইতিহাসও সাক্ষী দেয় ইসলামের মহান বানী শুনে যত না মানুষ তা কবুল করেছে তার চাইতে জীবন বাঁচাতে বেশী মানুষ তা কবুল করেছে। আসলে ইসলাম যতটা না মসজিদের ব্যপার তার চাইতে বেশী যুদ্ধের, আগ্রাসনের, রাজনীতির। তাই ইসলামকে কোনদিন মসজিদে রাখা সম্ভব নয়। খোদ মোহাম্মদের জীবনী ও কাজকর্ম সেটাই প্রমান করে। ইসলামের সামনে দুটি অপশন খোলা- এক. গোটা দুনিয়ায় ইসলাম কায়েম হতে হবে. অথবা, দুই. ইসলামকে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হতে হবে। মাঝামাঝি কোন পন্থা খোলা নেই। অন্য ধর্মের সাথে ইসলামের এটাই মৌলিক তফাৎ। অন্য ধর্মকে তাদের উপাসনালয়ের মধ্যে ঢুকাতে পারলেও ইসলামকে তা করা সম্ভব নয়। তার কারন অন্য ধর্মে আগ্রাসনের উপাদান থাকলেও তার চাইতে আধ্যাত্মিকতার উপাদন অনেক অনেক বেশী। যে কারনে অন্য ধর্মকে সে সব আধ্যাত্মিকার মাধ্যমে হয়ত আরও কিছুদিন তাদের অনুসারীরা তাদের উপাসনালয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু ইসলামের সামনে একটাই রাস্তা- হয় মার, নয় মর। বিকল্প কোন পথ নেই।
@ভবঘুরে,
(Y)
@ভবঘুরে,
আপনার যতার্থ বক্তব্যের সংগে আমি একমত যে ইছলাম এসেছে তরবারীর মাধ্যমে ,মছজিদের মধ্য দিয়ে নয়। এবং এটা যতদিন থাকবে একে তরবারী চালিয়েই যেতে হবে, চাই তাতে কোন সুসাশন ব্যবস্থা থাকুক আর নাই থাকুক।বিশ্বের অগ্রগতি ও অর্থনীতি চাই ধংশ হয়ে যাক তাতে কিছু আসে যায়না।
আর এর প্রতিফলন ১৪০০ বছর পরেও দেখা যাচ্ছে।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@ভবঘুরে,
(Y) (F)
আপাততঃ সংবাদে ও অবস্থা দৃষ্টে এরুপ মনে হলেও আমার বিশ্বাষ হয়না একটি গনতান্ত্রিক দেশে বর্বর যুগের একটি শাসন ব্যবস্থা চালু করে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে পারবে।
তাহলে আবার সেই নৈরাজ্য চলতে থাকবে। বন্দুক লয়ে আভ্যন্তরীন কলহ চলতে থাকবে। এলড়াইএর আর শেষ হবেনা।
ইসলামের স্বর্গের রাজ্যের পরিবর্তে আবার সেই নরক রাজ্যে পরিনত হবে। দেখা যাক কী ঘটে।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ইরানের ব্যাপারে আমরা তাই মনে করতাম, ইরাকের ব্যাপারেও। জিহাদিদের শুধুমাত্র একবারই দরকার গণতন্ত্রের—ক্ষমতায় উত্তীর্ণ হতে।
এরপর তারা জানে কেমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়। দেখবেন তিউনিসিয়ায়, মিশরে, লিবিয়ায়, সিরিয়ায়—কি হতে যাচ্ছে। তখন মনে হবে পূর্বের সরকারই ভাল ছিল।
শুধু অপেক্ষা করুন।
@আবুল কাশেম,
যথার্থ মন্তব্য। গণতন্ত্রের মধ্যে দীর্ঘদিন বাস করে মানুষ অনেকসময় বুঝতে পারে না এর মূল্য কতটা আর তখনই মানুষের কাছে অনেক সময় ইসলামের মত একটা বর্বর ও স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভাল লাগতে পারে। তবে মুসলমানদের দুর্ভাগ্য তারা গণতন্ত্রের স্বাদ না পেয়েই ইসলাম নামক বর্বর ও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
@আবুল কাশেম,
খুব সত্য কথা বলেছেন ভাইয়া। যারা বেশি বেশি গনতন্ত্রের বুলি আউড়ে চলে, তাদের বোঝা উচিত যে সবার মত এটারও একটা নেগেটিভ সাইড আছে। হা আমি মানতে বাধ্য যে গন্তন্ত্রের কোন বিকল্প নেই, কিন্তু তা আসা উচিত সঠিক সময়ে,আর অবশ্যই ইসলাম পন্থীরা যেন সেটাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করতে না পারে।তাই আমার মনে হয়,পশ্চিমাদের গন্তন্ত্র নিয়ে এতো চিল্লাফাল্লা না করাটাই ভাল।
@আবুল কাশেম,
আমার মনে হয়না এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে জিহাদিদের সব আশা পুর্ন হবে, সপ্ন তাদের সপ্নই থেকে যাবে। যদিও মনে হচ্ছে ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা তিউনিসিয়ায়, মিশর এইসব দেশগুলোতে কায়েম হতে যাচ্ছে, কিন্তু একবার যখন এই দেশগুলোর জনগন সংগ্রাম করে নিজেদের দাবী আদায় করা শিখে গেছে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
রাতারাতি এই সংগ্রামী দেশগুলো হয়তো ইসলামের কঠিন নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে আসতে পারবেনা, কিন্তু দেশের ইসলামী শাসন ব্যবস্থার যাঁতাকলে কিছু সময় পার করবার পর আবার তাদের বোধদয় ঘটতে দেরী হবেনা। আসলে মানুষতো হঠাৎ করে এক নিমিষে পরিস্থিতি আপসাইড ডাউন করে ফেলতে পারেনা, গন্তব্যে পৌঁছতে হলে ষ্টার্টতো কোন জায়গার থেকে করতে হবে। আরব সাম্রাজ্যে ষ্টার্টের উদ্বোধন হয়ে গেছে, এখন ট্রেনজিশনের সময়টা তারা পার করছে। গন্তব্য হয়তো অনেক দূর……
@আবুল কাশেম,
আপনি ঠকই বলেছেন। জিহাদীরা সব কিছুই করতে পারে। কারন তাদের কাছে বড় বড় অপরাধ গুলিই তো সবচেয়ে বড় বড় পুন্যের কাজ।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এ ব্যপারে কি আপনার এখনো কোন সন্দেহ আছে ? ইসলাম কি কোনদিন কোথাও একটা ভাল, সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র উপহার দিতে পেরেছে? ইসলাম একটা মাকাল ফলের মত। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় এর চাইতে ভাল আর কিছু নেই। কিন্তু ভিতরটা ? অসভ্যতা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা, স্বৈরতন্ত্রে ভরা যেখানে মানুষ শুধু মাত্র দাস দাসী হতে পারে মুক্ত স্বাধীন নয়।
শুধু নাইজিরিয়ায় নয়—
টেলিভিশনে দেখলাম সম্প্রতি তিউনিসিয়ায় অনুষ্ঠিত অবাধ নির্বাচনে–এক ইসলামী দল শতকরা ৪০ ভাগ আসন দখল করে সংখ্যাগুরু পেয়েছে। তাদের দলের অনেক জিহাদি বলছে তারা তিউনিসিয়াকে এক ইসলামী স্বর্গে পরিণত করবে–কোরানের শাসন প্রতিষ্ঠা করে। বলাবাহুল্য তিউনিসিয়ার নুতন শাসনতন্ত্রে ইসলামী ধাঁচে রচনা হবে তাতে কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
এরপর ইসলামী স্বর্গ হবে, মিশর, লিবিয়া, ইয়ামেন। সিরিয়া, আর অন্য সব আরব রাস্ট্র। তারপর এর ধাক্কা আসবে বাঙলায়।
এই মাত্র ( স্থানীয় সময় সকাল ৬টা) বিবিসি বাংলা সকাল ৭টা ৩০ মিঃ এর বংলা সংবাদ আন্তর্জালে শুনতেছিলম। এতে বলতেছিলঃ
“নাইজেরিয়ার ইসলামিক পার্টি “বোকো হারাম” আত্মঘাতি পার্টি দ্বারা ৬৫ জন কে মেরে ফেলেছে। আক্রমনের স্বীকার সরকারী অফিস ও একটি চার্চ ও হয়েছে। একটি মছজিদ ও নাকি আক্রমনের হাত হতে কোন রকমে রক্ষা পেয়েছে।“
আমার কথা বিশ্বাষ না হলে আন্তজালে এখনি যে কেহ বিবিসি খবর টা একটু শুনে নিতে পারেন।
এদের উদ্দেশ্য “ইসলামী রাষ্ট্র” প্রতিষ্ঠা করা।
এই সেই “ইসলামী রাষ্ট্র” যা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা মুমিন মুসলমান বান্দারা জিহাদ ঘোষনা করে কোরান হাতে লয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছি।
একটু পরেই এখানে আমরা একটা মসজিদে এই ইসলাম ধর্ম পালনের উদ্দেশ্যেই ঈদের নামাজে যোগদান করতে চলেছি। এবং কোন কোন মাঠে আমি জানি ঈদের নমাজির সংখ্যা ১৮০০০-২০০০০ পর্যন্ত হয়ে থকে।
এদের “বোকো হারাম” পার্টি রা ও যদি বাইবেলের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এই সব ইদের জামাতে আত্মঘাতিদের পাঠিয়ে দেয় তাহলে ঘটনাটি কেমন হয় ?
না, তবে ভীত হওয়ার কারন নাই। তা এরা কখনো করতে যাবেনা।কারন এরা সভ্য জাতি। এই ইহুদি নাছারারা বরং উল্টো মুসলমান ধর্ম অনুষ্ঠান পালন কারিদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে থাকে।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দেখুন ভাই……আপনি যা বলেছেন যথার্থ। কিন্তু একটা বিষয় আপনাদের দেখা উচিত। খ্রিস্তিয়ান ধর্মীরা ধর্মীও ব্যবসাটা অনেক আগে থেকে করছে তো তাই তাদের পয়সার অভাব নাই। তাই এখন যারা গরীব খ্রিস্তিয়ান তাদের পয়সার অভাব জথেস্ত কম। আর যেহেতু বিশ্ব চলে খ্রিস্তিয়ানদের রাষ্ট্র বাবস্থায় তাই তাদের মানুষ মারার দরকার হয় না। মানুষ মারার অন্য অস্র আছে তাদের হাতে। তারপরও আপনি সভ্য কসভোর দিকে দেখতে পারেন কিংবা পারেন রাশিয়া অথবা চীনের দিকে দেখতে। অন্য দিকে আপনি যদি মুস্লিমদের দিকে দেখেন তাহলে দেখবেন। সব ক্ষেত্রে তাদের পূর্ব ধর্ম ত্যাগ করার কারন নিষ্পেষণ। এরা নিম্ন বরন। এ ছাড়া দেখেন এদের ধর্ম রক্ষা করার ভার অশিক্ষীতদের হাতে। তাই এদের কাছ থেকে আপনি কি আশা করেন।
ইসলাম পূর্ব আরব অধিবাসীদের ‘পাগান’ নামক ঘৃণা সূচক (আফ্রিকানদের নিগ্রো বলা যেমন))বিশেষণে ভূষিত না করে ‘স্থানীয় বা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী’ জাতীয় কিছু বলা যায় কিনা ভাবা যেতে পারে। ভবঘুরে সাহেব নিশ্চয় জানেন যে একটি লাতিন শব্দের অপভ্রংশ এই ‘পাগান’ শব্দটির ব্যবহার খৃস্টানরা শুরু করে ইওরোপের স্থানীয় ধর্মালম্বী মানুষদের বিশ্বাসকে নীচু করে দেখানর জন্য। পরে সমস্ত অ-আব্রাহামিক ধর্মবিশ্বাষের মানুষের সম্পর্কে এই শব্দটি ব্যবহার করা শুরু হয়। অবশ্যই এর দ্বারা আমি ‘স্থানীয় বা সনাতন ধর্মে বিশ্বাস’করা কোন মহত কাজ এমন কিছু বলতে চাইছি না।
@মিয়া সাহেব,
কোন একটা সাইটে দেখেছিলাম এক হিন্দুবাদী প্রমান করার চেষ্টা করছে আরব প্যগানরা আসলে ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী , আর কাবার কাল পাথরকে সে চিহ্নিত করছে শিব লিঙ্গ রূপে।সে প্রেক্ষিতে আপনার সুপারিশ একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মত না।
@ভবঘুরে,
এর মধ্যে হিন্দু আসছে কোথা থেকে ? হিন্দুরা কাবার কালো পাথরকে শিবলিংগ ভাবতেই পারেন সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু প্রশ্নটা ছিল সমস্ত অ-আব্রাহামিক ধর্মবিশ্বাসকে ‘পাগান’ নামক গালিতে অভিহিত না করে অন্য কোন শালীন শব্দ ব্যবহার করা যায় কিনা।
@মিয়া সাহেব,
প্যাগানরা নিজেরাও কিন্তু শব্দটা গ্রহণ করেছে — যেমন নিও প্যাগানিজম। খ্রীস্টানরা ঘৃণার্থে ব্যবহার করে বলে অন্যদেরও করতে হবে এমন কথা নেই। Queer শব্দটি যেভাবে সমকামীরা সদর্থে দখল করে নিয়েছে, এক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটছে বলে মনে হয়।
অসাধারন,অনেক কিছুই শিখলাম,জানলাম ,ধন্যবাদ। জমজম কুয়ার ব্যাপারটা নিয়ে লেখার বিশেষ অনুরোধ রইল ।
@আস্তরিন,
জমজম কুয়া ভাই কুদরতি কুয়া, এটা নিয়ে কি আর লিখব বলেন। পারলে জমজমের পানি সংগ্রহ করে পান করে নিবেন, তাহলে বেহেস্তে যাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না।
@ভবঘুরে,
শুনেছি গঙ্গা স্নান নাকি ও মহা পুন্যের কাজ। জলের মধ্যে ও ধর্ম ঢুকে গিয়েছে!!
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
একটা পাথরকে চুম্বন করলে যদি পাপ মোচন হয়, তার চাইতে স্নান করা তো অনেক উত্তম কাজ। আর যাই হোক , এতে তো দেহের ময়লা দুর হয়। তবে শুনেছি গঙ্গাতে যে পরিমান ময়লা আবর্জনা আছে তাতে ওখানে স্নান করলে দেহের ময়লা দুর হওয়ার পরিবর্তে চুলকানি পাচড়ায় আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
@ভবঘুরে,
আর সেই পানি মুখ দিয়ে কোন রকমে পাকস্থলিতে প্রবেশ করলে ভবলীলাও সাঙ্গ হতে পারে।
@আস্তরিন,
Sher Khan এর এই লেখাটা পড়তে পারেন-
এখানে জমজমের ব্যবসা জমজমাট-
httpv://www.youtube.com/watch?v=zFOmHFKOQ5I&feature=related
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ।
শুধু আ্স্তরিনেরই নয়,জমজমের রহস্য টা আমার ও দীর্ঘ দিন হতে জানার ইচ্ছা ছিল। লিংকটা SAVE করে রাখলাম। কাজে লাগবে।
আমি একটু যোগ করতে চাই।
নায়াগ্রার জলপ্রপাতে সারাটি বৎসর ধরে ২৪ ঘন্টা একই দিক হতে সমান ভাবে জল পড়তে থাকে।
এটা মুছলিম বিশ্বে হলে এটাকে বোধ হয় আরো অনেক বড় ধরনের অলৌকিক হিসাবে চালিয়ে দেওয়া হত।
আপনি এই গুরুত্ব পুর্ণ লিংক গুলি যে কোথা হতে সংগ্রহ করেন, অদ্ভুত ব্যপার।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আকাশ মালিক,বড়ই তৃপ্ত হলাম,(F) (F) (F)
আরেকটি অসাধারণ লেখা পড়লাম মুক্তমনায়। ভবঘুরেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার জানতে ইচ্ছে করে কুরাইশদের আল্লা মশাই কেমন ছিলেন? তিনি কি মুহাম্মদের আল্লার মত ক্রুদ্ধ, আর প্রতিশোধ পরায়ণ ছিলেন? সব সময় শঙ্কায় থাকতেন অন্য কোন ঈশ্বর কথাও পুজিত হয়ে যায় কিনা? তারও কি একজন প্রতি ঈশ্বর ছিল শয়তান নামে, যার বিরুদ্ধে তিনি অন্তহীন যুদ্ধ করে চলেছেন মানবের দখল নিয়ে।
@মুরশেদ,
ধণ্যবাদ আপনাকে। কুরাইশদের আল্লাহ মশাই যে কেমন ছিলেন তা জানা সত্যি খুব দুরুহ কারন ইসলামের পর তাদের সকল ইতিহাস ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তারপরও তা জানা যায় আশ পাশ অঞ্চলের সভ্যতার ইতিহাস থেকে আর সেসব সভ্যতারই ধারাবাহিকতা ছিল আরবে।
অনেকে বলে থাকেন ধর্ম লয়ে এত গ্যাজাগ্যাজি বা ঘাটাঘাটি করার এতটা কি প্রয়োজন আছে? তার চেয়ে বরং Technology বা অর্থনীতি বিষয়ে চর্চা হওয়াটা তো আরো বেশী প্রয়োজন।
সেক্ষেত্রে নীচের কয়েকটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারেঃ
১। যে ধর্মটি জন্ম লগ্ন হতে আমৃত্যু কাঁধের উপর দাড়িয়ে থেকে আজীবন মগজটিকে জান্তে অজান্তে পূর্ন ভাবে নিয়ন্ত্রন করে, genetics এর মতন ভবিষ্যৎ বংশ ধর দের মধ্যেও প্রসারিত হয়ে একই ভাবে নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছে,
সে ধর্মটিকে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখে নেওয়াটা এমনটি দোষের কি আছে ?
২। যে ধর্মটি প্রতিদিন তরুনদেরকে বুকে বোম্ব বেধে নিরপরাধ মানব জাতি মারতে পাঠিয়ে দিচ্ছে,
সে ধর্মটিকে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখে নেওয়াটা এমনটি দোষের কি আছে ?
৩। খুব বেশী দিনের কথা নয়, যে ধর্মটি ইংরেজী ভাষাকে ইহুদি নাছারার ভাষা বলে ওটাকে শিক্ষা করা হারাম ঘোষনা করে, ( যদিও পরে এটা আর হারাম থাকে নাই) জাতিকে শত শত বৎসরের পিছনে ফেলে দিয়েছে,
সে ধর্মটিকে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখে নেওয়াটা এমনটি দোষের কি আছে ?
৪। খুব বেশী দিনের কথা নয়, যে ধর্মটি মসজিদের আজানে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষনা করে ( যদিও পরে এটা আর নিষিদ্ধ থাকে নাই)।
সে ধর্মটিকে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখে নেওয়াটা এমনটি দোষের কি আছে ?
৫। যে ধর্মটি প্রিন্টার আবিস্কার হওয়ার সাথে সাথে সউদি আরবে প্রিন্টার ব্যবহারকে বেদয়াত ঘোষনা করিয়া ( যদিও পরে এটা আর বেদয়াত থাকে নাই) দেশটিকে বহু পিছনে ফেলে দিয়েছিল,
সে ধর্মটিকে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখে নেওয়াটা এমনটি দোষের কি আছে ?
৬। যে ধর্মটি সুন্নি মুসলিম দেরকে শিয়া মুছলিমদের মেরে ফেলে দেওয়ার জন্য তরুনদেরকে প্রায় প্রতিদিনই বুকে বোম্ব বেধে পাঠিয়ে দিচ্ছে,
সে ধর্মটিকে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখে নেওয়াটা এমনটি দোষের কি আছে ?
৭। যে ধর্মটি উন্নত জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত জাতির সংগে বিভেদ ও শত্রুতা সৃস্টি করিয়া জাতিকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে,
সে ধর্মটিকে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখে নেওয়াটা এমনটি দোষের কি আছে ?
৮। যে ধর্মটি ৯/১১ ঘটাইয়া কয়েক হাজার নিরপরাধ ইহুদি,নাছারা, বাংগালী মুসলমান মেরে, বিশ্বের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কে চিরতরে বানচাল করে দিতে পারে, সে ধর্মটিকে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখে নেওয়াটা এমনটি
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দেখুন, কি বেশী প্রয়োজন আর কি কম অথবা সমাজে কার কিসে কতটা প্রয়োজন আছে সেই হিসাবের জন্য কি কোন পরিমাপক যন্ত্র আছে? সমাজে অহর্নিশ কত কান্ড ঘটে যাচ্ছে, চাহিদা অনুযায়ি মানুষ তা থেকে উপকৃত হচ্ছে বা তা বর্জন করছে। ধর্ম নিয়ে আলোচনা করলেই কি টেকনোলোজি বা অর্থনীতি বিষয়ে চর্চা বন্ধ হয়ে যাবে? বরং বলা যায় টেকনোলোজি বা অর্থনীতি বিষয়গুলোর শুভ অশুভ বিভিন্ন দিক নিয়ে যত গবেষনা ও আলোচনা হয় তার শত ভাগের একভাগও ধর্মগুলোর চর্চা ও তার প্রভাব নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা হয়না।
অথচ যে ধর্ম আমাদের জীবন-যাত্রার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে, তাকে নিয়ে আলোচনা আমরা পাশ কাটিয়ে চলতে পছন্দ করি, আর আমাদের এই মনোভাবই বলে দেয় যে অপ্রিয় সত্য আমাদের শুনতে ভালো লাগেনা। কিন্তু আলোচনা না করলে কি এর প্রভাব সমাজ থেকে আপনা আপনি দূর হয়ে যাবে? এক সময়ে, কোন এক যুগে হয়তো ধর্মের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে এই যুগে বাস করে ধর্মের জুজু অর্থাৎ বেহেশ্তের প্রলোভন আর দোজখের ভয় দেখিয়ে লোকজনদেরকে বিনা দ্বিধায়, বিনা বাক্যে, বিনা যুক্তিতে ধর্মের বিধি-নিষেধ মেনে জীবনকে সেই অনুযায়ী চালিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে। এটা অন্যায়।
ধর্মের প্রভাব সম্পর্কে লোকজনকে অবহিত করতে হলে এই বিষয়ে আরও চর্চা হওয়া দরকার, ভালো মন্দ দিকগুলি আরও উন্মোচিত হওয়ার প্রয়োজন আছে, যত বেশী আলোচনা হবে মানব সমাজ তত বেশী উপকৃত হবে। 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্,
যার যেমন মত। এটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ , যে যেমন ইচ্ছা খুশী মত প্রকাশ করতে পারে। যারা ধর্ম নিয়ে লিখতে নিরুৎসাহিত করে , তারা তাদের মত প্রকাশ করে। আমরা আমাদের খুশী মতো চলি।
@ব্রাইট স্মাইল্,
অথবা বলা যায় যারা এ ধরনের উপদেশ দেয় তারা ধান্ধাবাজ। তারা চায় গোটা সমাজ ধর্মের আফিমে বুদ হয়ে থাক ফাকতালে তারা মজা মারুক। এটা খুবই স্বার্থপরতার চিন্তা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, হ্যা অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য দরকার নারি পুরুষকে এক যোগে কাজকরা । আর সেখানেইত ধর্ম একটি বর সমস্যা
‘মুক্তমনা’র সাথে আমার পরিচয় এক বছর হতে চলল। ভাললাগা অনেক লেখকের মধ্য সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে আবুল কাশেম, আকাশ মালিক আর অবশ্যই ভবঘুরের লেখা। আর সবার মতো আমারও দাবি ধারাবাহিক লেখাগুলো ই-বুক করে ফেলার। তাতে সব পর্বগুলো এক জায়গায় পাওয়া যাবে আর অফলাইনে শেয়ার বা সংরক্ষণ বা প্রিন্টের ব্যাপারে সুবিধাতো আছেই। তবে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ ই-বুক করার আগে লেখার বানানগুলো ঠিক করে নিবেন।
একটা পরামর্শ: ই-বুক করার সময় তথ্যবহুল মন্তব্যগুলোও সাথে রাখা যায় কিনা ভেবে দেখবেন।
[আমি আমার প্রিয় ধারাবাহিকগুলো কপি করে এক জায়গায় একটি ফাইল করে রেখেছি (বানান সংশোধনসহ) কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে সেগুলো ই-বুক করে পাঠাতে পারি। :rotfl: ]
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
আপনা প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। হ্যা ., বানান সংশোধন সহ আপনি সেটা করতে পারেন যদি কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়। আমি বানানে যে খুব খারাপ তা নয়। কিন্তু যেহেতু বাংলা টাইপে বেশ খারাপ তাই যদি কোথাও বানান ভুল হয়ে যায় পরে আলস্যের কারনে সেটা আর সংশোধন করা হয়ে ওঠে না। তবে বানান নিয়ে কথা ওঠার পর , আগের চেয়ে বানান ও বাক্য রচনার ক্ষেত্রে অধিকতর সচেতন হয়ে গেছি।
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
মো. আবুল হোসেন মিঞা ভাই, আপনি plz আমাকে আপনার file টা দেন। আমার খুবই উপকার হয়। আমি নতুন এসেছি এই লাইনে। কাজেই প্রচুর পড়াশোনার দরকার।
[email protected]
@আসিফ,
প্রথমেই আপনাকে এবং মুক্তমনার লেখক ও পাঠকদের একটা খুশির খবর দেই- এইতো ৭ নভেম্বর আমি দ্বিতীয় সন্তানের জনক হলাম। :rotfl: প্রথমটি ছিল ছেলে এবার মেয়ে। [আর চুপি চুপি বলছি, ঐ তারিখ আর মাসটিতেই আমারও জন্মদিন ছিল।]
আসিফ ভাই, আমি অনেক আগে থেকেই মুক্তচিন্তার চর্চা করে আসছি। আর এ ভুতটি আমার মাথায় কীভাবে যে চাপলো নিজেই বুঝতে পারছি না। ছাত্রাবস্থায় আরজ আলি মাতুব্বর সমগ্র আর প্রবীর ঘোষ ও হুমায়ুন আজাদ-এর অনেক বই পড়ে জীবন সম্পর্কে আমার ধারণাই পাল্টে যায়।
এরপরে যখন মুক্তমনা‘র সন্ধান পাই তখন আমায় আর পায় কে! এক এক করে নতুন আর পুরাতন পোস্টগুলো গো-গ্রাসে গিলতে থাকি। হয়তো আপনার মতো আমিও ধারাবাহিক লেখাগুলো নিয়ে সমস্যায় পড়ি। ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করলাম পর্বভিত্তিক লেখাগুলো ই-বুক আকারে বা এক পোস্টে না থাকায় অফলাইনে পড়া, শেয়ার করা কিংবা হার্ডকপি রাখতে সমস্যা হচ্ছে। শেষে প্রিয় লেখাগুলো কপি-পেস্ট করে করে এক স্থানে জড়ো করে ফেলি; উদ্দেশ্য ই-বুক করবো। প্রিয় লেখকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, লেখাগুলো খুব খুব ভাললাগলেও বানান ভুলের জন্য মন খারাপ হয়ে যেত; ই-বুক আর করা হতো না। এরপর অল্প অল্প করে কিছু লেখার বানান সংশোধন করে ফেলি আর এতে সমস্যা একটাই সময় পাচ্ছি না। বড় ব্যস্ত এ জীবন। তারপরও ই-বুক করব; সফ্টকপি আর হার্ডকপি রাখবো- আমার জন্য, আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য; মুক্তমনার এতো এতো ভালো লেখা কাছ ছাড়া করতে চাই না।
মুক্তমনা’র প্রতি ভালবাসার কথাতো বললাম; মন খারাপেরও একটি বিষয় আছে- মুক্তমনাতে যখন নতুন আসি, তখন কোন এক পোস্টের মন্তব্যে কিছু বইয়ের নাম জানতে চেয়েছিলাম- যা আমার চিন্তাকে শাণিত করতে পারে। উত্তর এসেছিল- ‘হাতের কাছে তালিকা নিয়ে তো বসে থাকি না।’ 🙁 পরবর্তীতে আবারও মন্তব্যে বইয়ের নাম জানতে চাই। একজন আমাকে কিছু বইয়ের নাম দিয়ে সাহায্য করেছেন। কোলকাতা ও ঢাকা থেকে শিবনারায়ণ রায়, রাহুল সাংকৃত্যায়ন, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, বার্ট্রান্ড রাসেল, ভবানীপ্রসাদ সাহু, শামসুজ্জোহা মানিকসহ অনেকের অনেক অনেক বই সংগ্রহ করেছি ও পড়ছি। সাথে বাংলায় অনুবাদকৃত একাধিক কুরআন, হাদিসসমূহ, ইমাম গাজ্জালির বইগুলোতো আছেই। আর সর্বক্ষণ সঙ্গী প্রিয় মুক্তমনা।
আসিফ ভাই, মুক্তমনাকে সাথে রেখে আপনিও উনাদের বইগুলো পড়তে পারেন। ভাই, মুক্তমনার কিছু পোস্টের পরীক্ষামূলক ই-বুক করেছি। পেজ সেপটাপ বা গেটআপ-মেকআপ পছন্দ হচ্ছে না। একটু গুছিয়ে আবারও করব। আপনাকে আমি মনে রাখলাম। বর্তমানে আমার একটু ব্যস্ততায় দিন কাটছে। অবসর পেলেই আপনার সাথে যোগাযোগ হবে।
ব্যস্ততার মধ্যে অনেক কথাই লিখে ফেললাম। ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
প্রথমেই জানাই শুভেচ্ছা :clap , আপনার সন্তানের ও আপনার জন্য। এবং ধন্যবাদ আমার প্রথম মন্তেব্যে এত সুন্দর একটা উত্তর দেবার জন্য।
আমি Technical মানুষ, তাই অন্যান্য site এ technical কিছু পেলেই রেখে দেই। মুক্তমনার এই লেখাগুলোও রাখার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু লেখার পরিমান এত বেশি যে ব্যাস্ততার কারনে এগুলো রাখা হয়নি। করব করব করছি, ঠিক তখনই আপনার মন্তব্যটি দেখলাম। ভাবলাম যাক, আমার কষ্ট তাহলে কমে গেল।
আমার নাস্তিকতার শুরু খুব অল্প দিন। আমার যে জিনিষটা সবথেকে বিরক্ত লাগে সেটা হচ্ছে “গোড়ামি”। যত ধার্মিক, তত গোড়া এবং যত বড় নাস্তিক তত বড় গোড়া। ভবঘুরে ভাইয়ের লেখায় আমি খুবই আনন্দিত। এরকম আরও কয়েকজন লেখক এখানে আছে।
তবে একটা জিনিষ আপনি জেনে থাকবেন, সেটা হচ্ছে, নাস্তিকরা কোরআন হাদিসের যে সকল ব্যাক্ষা দেয় তার অনেক কিছুই মনগড়া। এটা আমি জানি কারন, আমি যখন আস্তিক ছিলাম, তখন খুব ভাল ধার্মিকও ছিলাম। যে কোন -ve বিষয়ের একটা +ve দিক বের করে ফেলতাম। 😀 যেমন, আমার মাথায় একটা বাশ দিয়ে কেউ বাড়ি মারলেও তার একটা ভাল দিক বের করে ফেলতে পারতাম।
নাস্তিকরাও ঠিক সেই কাজটিই করে থাকে। সব কিছুরই একটা -ve অর্থ তৈরি করতে পারে। তো, এখানে যা দেখলাম তা আমার কাছে অনেকটাই নিরপেক্ষ বলে মনে হয়েছে, যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে, যদিও অনেকগুলো আয়াতেরই ভূল ব্যাক্ষা আমি এখনই ধরতে পেরেছি। তবে ক্রসিং করার মতন Knowledge এখনও আমার হয়নি, তাই করবো না। তাই বলে আমাকে এখনও ধার্মিক মনে করার কোন কারন নাই।
আমাকে অনেক ধার্মিকদের সাথে চলতে হয়, তাদের সাথে অনেক বিষয়েই কথা বলতে হয়। এখন যদি এমন হয় যে আমি যে -ve দিকটি তাদের সামনে তুলে ধরলাম যেটার +ve ব্যাক্ষা আমি নিজেই জানি, তাহলেতো ধরা খেয়ে যাবো, তাইনা ?
তো আপনাদের সাহায্য পাব আশা করছি, আর খুব তাড়াতাড়ি eBook ready করে ফেলেন, একটা একটা করে করেন অবুবিধা নেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
আসিফ আল আজাদ
@আসিফ,
সত্যিকার অর্থে আমাদের উদ্দেশ্য নাস্তিক তৈরী না। নাস্তিকতা প্রচারও করি না। আমরা আসলে সত্য প্রকাশ করি। ইসলাম সম্পর্কে সেই ছোটবেলা থেকে যা জেনে এসেছি, যখন ইসলামের বই পুস্তক যেমন কোরান, হাদিস, সীরাত এসব পড়া শুরু করলাম দেখলাম এতদিন যা জেনে এসেছি তার সবগুলো সত্য তো নয়ই অনেক বিষয়ই গোপন করা হয়েছে, বা অনেক বিষয়ই অতিরঞ্জিত। আর এসব পড়া শুরু মূলত নিউইয়র্কে বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে হামলার পর। তখনই সত্যিকারে ইসলাম জানার কৌতুহল হয়। আর তাতে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসে।
পারত পক্ষে আমরা কোন ভুল ব্যখ্যা সজ্ঞানে দেই না। কোরানের আয়াত যা উল্লেখ করি , চেষ্টা করি তার প্রেক্ষিত উল্লেখ করে সঠিক তথ্য দেয়ার। তারপরও যদি মনে হয় যে ভুল ব্যখ্যা দেয়া হচ্ছে, যদি সেটা ধরিয়ে দেন তাহলে খুব ভাল হয়। আমরা তাহলে আরও সতর্ক হব। কারন সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে মিথ্যা কথা বলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
ধণ্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
@ভবঘুরে,
ধন্যবাদ আমার মন্তব্যটি পড়া ও তার জবাব দেবার জন্য।
প্রথমে একটা বিষয়ে জানতে চাইবো। সেটা হচ্ছে, আমি গতানুপতিক নাস্তিক নই। এক ইশ্বরে বিশ্বাষ করি কিন্তু কোন ধর্মই বিশ্বাষ করতে পারিনা। এটার কি আলাদা কোন নাম আছে ?
আর আমি এখানে একটা কথা বলেছিলাম যে অনেক আয়াতের ভূল ব্যক্ষ্যা আমি এখনই করতে পারি। আরও বলেছিলাম যে আমি এখন তর্কে যাবো না কারন আমার ততটুকু Knowledge এখনও হয়নি। তবুও আপনি যখন জানতে চেয়েছেন তখন একটি আয়াতের কথা বলি।
53:19 নং আয়াতে আপনি যে ব্যাক্ষ্যাটা দিয়েছেন সেটা আমি একটু ভিন্নরকম জানি। ঐ আয়াতে মুর্তিদেরকে স্বিকার করে নেওয়া হয়নি এবং পরবর্তি আয়াতে সেটার অস্বিকৃতি বলে যেটা দাবি করেছেন তাও ঠিক নয়। কথার প্রেক্ষিতে 19 নং আয়াতটা এসেছে। কোন একটা আলোচনার মদ্ধ্যে একটা বাক্য বলে ফেল্লেই সেটা স্বিকারোক্তি হয়ে যায় না। তার অন্য অর্থও থাকে।ছোটবেলায় মসজিদে বহুবার এই আয়াতটার ব্যাক্ষ্যা শুনেছি। আর আপনার লেখা পড়ার পর “মাফেুল কোরআন” থেকে পড়ে দেখলাম।
আপনার প্রতি আমার যে অনুরোধ/পরামর্ষ থাকবে সেটা হল এই যে, আপনি খেয়াল করে দেখবেন, অনেক ধর্মবিরোধী লেখকই কোরআন-হাদিস এমনভাবে ব্যাক্ষ্যা করেন যা সাধারন লোকও বুঝতে পারে যে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত ব্যাক্ষ্যা দাড় করানো হচ্ছে। এইধরনের ব্যাক্ষ্যা করা উচিৎ নয়। এমনকিছু আয়াতের ব্যাক্ষা করবেন যেগুলো ধার্মিক পন্ডিৎরাও কোন জবাব দিতে না পারে এবং আমি জানি, এই ধরনের আয়াতের সংখ্যা কম নয়।
আপনার কাছে আমার আরেকটা অনুরোধ, কোরআন হাদিসের এই ধরনের আয়াতে নিশ্চই আপনাদের কাছে List করা আছে। আমাকে একটা List দিতে হবে। মেইলে অথবা এখানেও দিতে পারেন।
ধন্যবাদ,
আসিফ আল আজাদ
@আসিফ,
দেখেন deism এর সাথে আপনার মেলে কিনা। deism সম্পর্কে একটু খোঁজ করলে জানতে পারবেন। আর ধর্মে অবিশ্বাসের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা।
সে ব্যাখ্যাটা যা জানেন তা এখানে বলেন। নাহ, এটা সরাসরি আল্লাহই বলছেন কোরানে, অন্য কারো কথা হিসাবে আসে নি। satanic verses এর ঘটনাটি খোঁজলেই জানতে পারার কথা।
আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। অবশ্যই যারা মুক্তমনা তারা কোনো কিছু ব্যাখ্যার সময় ব্যাপারটির প্রতি অধিক মনযোগ রাখা জরুরী।
mistakes in quran বা errors in quran লেখে গুগলে সার্চ দেন। ভুলগুলোকে আবার বিচিত্র উপায়ে মুমিনরা ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন- এগুলোও নিশ্চয় খেয়াল করবেন।
@আসিফ, ভাই নাস্তিক, আস্তিক কোন কথানা। কথা হল নাস্তিক আস্তিক সবাই কে মুক্তমনা হওয়া উচিত। আমাদের চিন্তা হতে হবে স্বাধীন।
গুল্লি :guli:
ইবুক করার আগে কিছু নিজস্ব মন্তব্য এডিট করে নিন।
চন্দ্র দেবতা আপনার সহায় হোন।
@হেলাল,
চন্দ্র দেবতা আমার সহায় হওয়ার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না ভাই।
ভবঘুরে অত্যন্ত শক্তিশালী লেখক। এ প্রবন্ধে তিনি আবারও তা প্রমান করলেন। অত্যন্ত সাবলীল, সুখপাঠ্য, গবেষনামুলক ও বিশ্লেষনধর্মী। এসমস্ত লিখা থেকে পাঠকরা ‘ইসলামের’ অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছেন। শত শত বছরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস /বিষয়কে (‘মিথ’) তথ্য-যুক্তির আলোকে বিচার-বিশ্লেষন করে সত্যকে উদঘাটন করে তা প্রকাশের সৎসাহস খুবই বিরল এক প্রতিভা। মুক্ত-মনা কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি ভবঘুরের এ সমস্ত লেখাগুলোকে ই-বুকে সঙ্কলনের ব্যবস্থা যেন তারা করেন। বহু পাঠক তা থেকে উপকৃত হবে।
@ভবঘুরে,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এ লিখাটি আপনার সেরা লিখাগুলির অন্যতম।
খুবই ভাল লেগেছে। (F) (Y)
@গোলাপ,
যুক্তির আলোকে বিশ্লেষণ ছাড়া তো উপায় নেই। আমরা বাস করি একবিংশ শতাব্দীতে। এটা বিশ্বাসের যুগ না , যুক্তি বিশ্লেষণের যুগ। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আরেকটি ক্লাসিক ভবঘুরে লেখা।
দাদা আপনার লেখাগুলো দারুন লাগে।
আসলে হিন্দু ধর্মও কিন্তু প্যাগানিজম থেকে একেশ্বরবাদে রূপান্তরিত হয়েছিল। বৈষ্ণবদের নিকট বিষ্ণুই এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের কারনতত্ত্ব, তেমনি শাক্তদের নিকট মহামায়া এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের মূল……
যদিও হিন্দুদের দর্শন সেখানে আটকে না থেকে পরবর্তীতে অদ্বৈতবাদ, বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ প্রভূতি দর্শনে মোড় নেয়। সূফীবাদও কিন্তু পরবর্তীতে অদ্বৈতবাদের দিকে মোড় নিতে চলেছিল (সূফীরা নিজেদের মধ্যে আল্লাহকে উপলব্ধি করা শুরু করেছিল)।
@রনবীর সরকার,
যথার্থ বলেছেন। হিন্দুদের বেদ পড়লেই সেটা বোঝা যায়।
ভবঘুরের লেখা মানেই বিষ্ফোরক লেখা।%2
আমিও একটি ইবুক দাবি করছি। তাহলে অফলাইনে অন্যদের সাথে শেয়ার করা সহজ হয়।
জমজম কুয়াটা কি আর্টিসান কুপ জাতীয় কিছু- এ প্রশ্ন আমারও।
I am new in mukto-mona and feeling very interested to go through the articles. I loved this atricle. Do you mind to write an article on “Halal food” specially about Halal meat.
Thank you,
Curious
California
@Curious,
আপনাকে শুভেচ্ছা।
বাংলা হরফে ও বাংলা ভাষায় মন্তব্য করুন। তা না হলে মন্তব্য প্রকাশিত নাও হতে পারে।
বাংলা ঠিকমত দেখতে এবং লিখতে হলে
@সৈকত চৌধুরী,
জি ভাই, কিউরিয়াস-এর প্রস্তাবের আলোকে হালাল ফুড নিয়ে একটু লিখলে খুব ভালো হয়। কেবল মুসলমানরা হালাল খায়, আর অন্যরা খায় হারাম। আমি এটা নিয়ে বুঝিনা। খাবার খাবারই, সেখানে হালাল-হারাম নিয়ে এত মাতামাতি কেন? হালাল খোরদের খপ্পরে পড়লে অনেক সময় খাবার না পাওয়ার মত উপক্রম হয়। হারাম হালাল খাবার নিয়ে লিখলে বিষয়টা বুঝতে সহায়ক হবে।
@অডঙ চাকমা,
একমত।
লেখাটা সাধারন নয়- রীতিমত গবেষনা ধর্মী লেখা। সম্ভবত এমন যুক্তিপুর্ন এসলাম বিষয়ক লেখা আগে কখনো পাইনি মুক্তমনাতে। প্রথম পর্বের মত দ্বিতীয়টাও ভাল লেগেছে। ইসলাম পূর্ব আরবী সাহিত্য সম্পর্কে কোন তথ্য কি পাওয়া সম্ভব, কোন লিংক বা সুত্র দিতে পারবেন কি? লেখাটার জন্য উপকৃত হয়েছি। ধন্যবাদ।
ইব্রাহিম যদি হাজেরা ও ইসমাইলকে মক্কায় নির্বাসন না দিয়ে থাকে তাহলে কেন বলা হয় ইসমাইলের পদাঘাতে জমজম কুয়ার সৃষ্টি হয়েছে? আসলে জমজম কুয়ার ব্যাপারটা কি? মরুভূমির বুকে এ রকম একটি অফুরন্ত পানির উৎস আমার কাছে বিস্ময়ের মনে হয়। হাজার হাজার বছরেও এর পানির কোন কমতি হচ্ছেনা।
@ভবঘুরে, অসাধারন একটা লেখা।কি মন্তব্য করব ভেবে পাচ্ছি না। তবে আল্লাহর নাম কোথায় থেকে এসেছে, এটা জানতে পারলাম।আপনি কি ইংরেজি ব্লগ এও লেখাটা লিখেছেন,অথবা লিখবেন?তাহলে আমি লিঙ্ক টা কাথলিক দের ফোরামে পোস্ট করতাম। আগেই বলেছি যে ঐ ফোরামের প্রায় সব কাথলিক বিশ্বাস করে যে আল্লাহ এসেছে Eloha অথবা Elohim থেকে।ওদের এই দাবির বিরুদ্ধে একটা কঠিন অস্ত্র হতে পারে আপনার এই লেখা। (Y)
এইজন্যেই ত আ%
এই জন্যেই আমি সন্দিহান যে পৃথিবী আদৌ এই কাল্ট এর হাত থেকে মুক্তি পাবে কিনা
বি.দ্রঃ @অ্যাডমিন, কোন লেখা পোস্ট করতে গেলেই মাঝে মাঝে আংশিক পোস্ট হচ্ছে কেন? লেমন আমার উপরের লেখাতে আমি একি quote করে জবাব দেই কিন্তু দেখুন জবাব তা পো%E
আবার এক সমস্যা :-Y
@অচেনা,আপনার নেট স্পিড কিরকম? + কোন ব্রাউজার ব্যবহার করছেন? সমস্যাটির সমাধান আপাতত দিতে পারছিনা বলে দু:খিত,আপনি কমেন্ট পোস্ট করার আগে কপি করে রাখুন,ঠিকমত পোস্ট না হলে আবার পোস্ট করুন। বড় কমেন্ট হলে ছোট ছোট ভাগ করে কমেন্ট করতে পারেন।
@রামগড়ুড়ের ছানা, ভাই আমি মজিলা ব্যবহার করি। আর হা আমি ছোট একটা শহরে( যদিও জেলা সদর) থাকি বলেই নেট স্পীড কম। আমাকে এখনও মোবাইল ইন্টারনেট EDGE ব্যবহার করতে হয়USB Modem দিয়ে। গড় স্পীড থাকে dial up এর কাছাকাছি।
বাংলালায়ন গত মাসেই আসার কথা ছিল।কিন্তু দেরি করছে। তা নেট স্পীড এর জন্য এমন প্রবলেম হয় নাকি? তাহলে তো এটা আমার জন্য বিপদ। আর আপনি আমি না হয় সেই কাজটাই করব বললেন। কিন্তু একি পোস্ট বার বার ( তাও আবার আংশিক) হলে,অথবা যে কথা এক পোষ্টেই বলা সম্ভব, তা ভেঙ্গে ভেঙ্গে করলে, ব্লগ এর সৌন্দর্য হানি হবে কিনা তাই বুঝতে চেষ্টা করছি। আপনিও কি অ্যাডমিন প্যানেল এর একজন? যদি তাই হয়ে থাকেন তবে প্লিজ আমাকে ব্যপার টা জানাবেন।আশা করি স্লো নেট এর কারনে আমি কিছুটা ছাড় পেতে পারি। অ্যাডমিন দের সহযোগিতা কামনা করছি আমি এ ব্যাপারে। ধন্যবাদ আপনাকে।
মানে আমি বলতে চেয়েছি যে আমি না হয় আপনার পরামর্শ মতই কাজ করব।
এরপর বাকি টুকু পরে নিবেন। আসলে আমি বাংলাতে ভাল লিখতে পারি না।
@অচেনা,
সমস্যাটি ঠিক কেনো হয় আমি জানিনা তবে স্লো নেটে এই ধরণের সমস্যা খুব বেশি হয়।হ্যা আমি এডমিন প্যানেলের একজন। সাধারণত অর্ধেক পোস্ট হওয়া মন্তব্য চোখে পড়লে আমি মুছে দেই,প্রথমবার ঠিকমত পোস্ট না হলে আপনি বার আবার চেষ্টা করতেই পারেন। ভেঙে মন্তব্য করলে একই থ্রেডে নিজের মন্তব্যের নিচে “[[মন্তব্যটির জবাব দিন]]” এ চাপ দিয়ে করবেন।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ধন্যবাদ ভাই আপনার সাহায্যের জন্য :)। আমি সেটাই করব এখন থেকে।আর অসম্পূর্ণ মন্তব্য আপনি মুছে দেন শুনে ভাল লাগল, কারন এতে আমাকে বিব্রত হতে হবে না। ভাল থাকবেন। 🙂
@অচেনা,
আমার ধারনাও তাই, আপনার নেট স্পীড কম থাকাতে বড় কমেন্ট হলে কমেন্টের কিছু অংশ ট্রান্সফার করার পর ব্রাউজারের সেশন টাইম আউট হয়ে যাওয়াতে ব্রাউজারটি কমেন্টের বাকী অংশটুকু ট্রান্সফার করতে অক্ষম হয়। আবার এটা নেট ওয়ার্কেরও সমস্যা হতে পারে, এই সব dial up নেট অনেক সময় রিপিটেডলি ইন্টারনেট কনেকশন হারাতে থাকে ফলে এই ধরনের সমস্যা হয়। এই ক্ষেত্রে রামগড়ুড়ের ছানা যেটা বললেন, একই থ্রেডে মন্তব্য ভেঙ্গে করাই একমাত্র ভরষা। 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্, হা ভাই সেটাই করতে হবে দেখছি যতদিন wimax না আসে। 🙂 আর cable broadband কোন দিনই আসবে না।আপনাকে ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য, ভাল থাকবেন। 🙂
অসাধারণ লাগে আপনার লেখাগুলো। to the point এ লেখা সব সময়। এসকল কিছু বিষয়ে সর্বদাই একটা কনফিউশন ছিলো , আজকে অনেকটাই কেটে গেল । ধন্যবাদ আপনাকে।
আর মানচিত্র টা আসেনি।
@পদ্মফুল,
আপনারা একটু গুগল সার্চ করলেই আরও অনেক কনফিউশান থেকে মুক্ত হতে পারেন। পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক লেখাই পাবেন আর তা থেকেই প্রকৃত তথ্য ও তত্ত্ব অবগত হতে পারবেন।
এক কথায় অসাধারণ। একটু ক্ষান্ত দেন !!!!!!! এই লন (B)
এত্ত প্যাঁচ কেন এই ধর্মে, তবে আপনার লেখাতে সবকিছু জলবৎ তরলং হয়ে গেছে। জানাই ছিলনা যে আবু তালিব ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেনি।
@আমি আমার, বলেন কি ! আবুতালিবের বারিটিই এখন হাম্মাম খানা (টয়লেট)
একদম অসাধারণ।
@সৈকত চৌধুরী,
অসাধারণ আর কই হলো? যা বুঝে আসল তাই লিখে গেলাম। মাঝখান দিয়ে চেষ্টা করলাম কিছু রেফারেন্স দিতে।
তারপরেও ধন্যবাদ আপনার তারিফের জন্য।
@ভবঘুরে,
লেখাটা আসলেই জটিল হইছে। একদম সহজ সাবলীল ভাষায় লেখা আবার একই সাথে তথ্য ও প্রমাণের ছড়াছড়ি। মূল বিষয়টা অবশ্য আমি আগেই ধারণা করতে পেরেছিলাম। বুঝেছিলাম যে ইসলাম আসলে আব্রাহামিক ও পৌত্তলিক ধর্মের একটি সংমিশ্রণ। মুহাম্মদ চেয়েছিলেন আরবদের নিয়ে একটি শক্তিশালী theocratic state গঠন করতে যার জন্য দরকার ছিল একেশ্বরবাদ, কারণ পাগানরা স্বাভাবিকভাবেই বহুত্ববাদী। তাদের একতাবদ্ধ করে শক্তিশালী সাম্রাজ্য তৈরি করা কঠিন। আর তখন একেশ্বরবাদের মূল প্রবক্তা ছিল ইহুদি- খ্রিস্টানরা তাই তাদের কিচ্ছা- কাহিনীগুলো ধার করতে হয়েছে। কিন্তু মুহাম্মদ একই সাথে পুরোপুরিভাবে ত্যাগ করতে পারেননি তার জন্মগত পৌত্তলিক আচার- অনুষ্ঠান ও বিশ্বাসকে তাই দুই কূলই বজায় রাখার জন্য তার নতুন ধর্মে ঘটালেন এই দুই মতবাদের মিশ্রণ। আপনার সাম্প্রতিক লেখাগুলো খুবই ভাল লাগছে। এই লেখাগুলিকে ই-বুক হিসেবে রাখলে খুবই ভাল হয়। (Y) (Y) (Y)
অসাধারণ! আপনার অন্যতম সেরা একটা লেখা এটি-আমার মতে। অদ্ভুত সুন্দর লিখেছেন! :guru: :guru:
আচ্ছা, আপনি তো ইসলাম নিয়ে অনেক লেখাই লিখেছেন। সবগুলো নিয়ে একটা বই কি বের করা যায় না? নিদেনপক্ষে একটা ই-বুক?? আশা করি বিষয়টা ভেবে দেখবেন। মুক্তমনা কর্তৃপক্ষও চাইলে এ কাজটা করতে পারে।
@নিটোল,
এ দায়িত্বটা মুক্তমনার ওপর ছেড়ে দিয়েছি। যদি তারা মনে করে ই বুক হওয়ার উপযুক্ত তারা করতে পারে।
আপনার তারিফের জন্য ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
ই বুক আকারে প্রকাশ করার আগে ভালভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে এডিট করে নেয়া বা অন্য কোন প্রুফ রিডার দ্বারা চেক করে নেয়া জরুরী। এই লেখায়ই প্রচুর বানান টাইপো আছে, দাড়ি কমা, শব্দচয়ণ ও বাক্য বিন্যাসের গড়মিল আছে। বইয়ে নিষ্প্রয়োজনীয় কথা ও নিজের সিদ্ধান্ত পরিত্যাগ করা ভাল। একটা বই পি ডি এফ ফাইলে প্রকাশ হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করা যে কতো কঠিন তা ভোক্তভোগীরা জানেন। যে ভুলটা আমার বেলায় হয়েছে তা আপনি করতে যাবেন না।
মুহাম্মদ পৌত্তলিক ছিলেন কি না, বা তার জীবনের ৪০ বছর তিনি কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন, দৈনন্দিন পারিবারিক জীবনে কোরায়েশদের সাথে তার আচরণ, তার নিজের ও তার দুই মেয়ে রোকেয়া ও কলসুমের বিয়ে কোন প্রথা বা নিয়মে, কে তার বিয়ের কোন ধর্মের নির্দেশনানুযায়ী আকদ পড়ায়েছিলেন, এসব বিষয়ে প্রচুর তর্ক বিতর্ক করেছি ব্লগমোল্লাদের সাথে। যৌক্তিক কোন উত্তর কোনদিন মেলেনি।
আরবের (উত্তর সিরিয়া) কবি আবু-আল-আলা আল মারি (৯৭৩-১০৫৭) তাঁর ‘লুজুমিয়াত’ কাব্যে মুসলমানদের হজের সময় কাবা শরিফকে বাঁ দিকে রেখে ডাইনে থেকে বাঁয়ে সাতবার প্রদক্ষিণ করা, কালো পাথরে চুম্বন বা মাথা নোয়ানো, সাফা-মারওয়া পর্বতের মাঝখানে দৌড়াদৌড়ি করা, মিনাতে ‘শয়তান’ লক্ষ্য করে পাথর মারা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডকে ইসলামের (মুসলমানদের) ‘পৌত্তলিক ভ্রমণ’ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।
মুহাম্মদের পূর্ববর্তি ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা আর আরব্য উপন্যাস পড়া একই কথা। পৃথিবীর বাস্তব প্রামাণিক ইতিহাসে মুহাম্মদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি নিজেকে আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ বা নবী বলে দাবী করেছেন, তার কাছে আল্লাহ বাণী পাঠান, তিনি স্বশরীরে সৌরজগত ভ্রমণ করেছেন। আদম থেকে ঈসা, মাঝখানে হাবিল কাবিল, নুহ, ইব্রাহিম, হাজেরা, সায়েরা, ইসমাইল, ইসহাক, দাউদ, মুসা, সব কাল্পনিক ঠাকুর মার ঝুলি বই কিছু নয়। ইসমাইল, ইসহাক, নামে কেউ থাকলে তো কোরবানির কথা উঠবে? ইব্রাহিমের সন্তান কোরবাণী খৃষ্টানদের কাছ থেকে ধার করে মুহাম্মদ ইসলামে ঢুকালেন আর খৃষ্টানরা তা পালন করেনা, মুহাম্মদের এই চালাকিটা ধরা কি এতোই কঠিন? বুদ্ধিমান মুহাম্মদ নিজে জেরুজালেম থেকে মক্কামূখী হওয়ার প্রস্তাব করেন নি, করেছিলেন ওমর। কোরানের সেই আয়াত হুবহু ওমরের কথা। ওমর না বলা পর্যন্ত মুহাম্মদ আরো অপেক্ষা করতেন। এটা তার সুনিপুণ দক্ষতাই মানতে হবে। ঠিক তদ্রূপ বদরের যুদ্ধ তিনি আরো হয়তো বিলম্বিত করতেন যদিনা সেদিনের বৈঠকে মদিনার যুবকেরা নিজের থেকে যুদ্ধে অংশ গ্রহণে প্রস্তাব না করতো। এভাবেই অত্যন্ত সাহসী ও ধৈর্যশালী, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন মুহাম্মদ তার সকল গোপন প্লান সফলভাবে সমাধা করতে পেরেছিলেন। এব্রাহামিক, পৌত্তলিক ও হানাফি এই তিন ধারা বা মতবাদের সমন্নয়ের নাম মুহাম্মদের নতুন ইসলাম। মুহাম্মদই একমাত্র নবী, ইসলামই প্রথম ও একমাত্র ধর্ম, কোরানই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যার কথা পৃথিবীর ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে।
@আকাশ মালিক,
আমিও চাই ভবঘুরের এই লেখাগুলো ই-বুক আকারে প্রকাশিত হউক। তাহলে কাজের সময় দরকারী উদাহরনগুলো হাতের কাছে পাওয়া অনেক সহজ সাধ্য হয়ে যায়। ভবঘুরের লেখাগুলো সবসময়ই সাবলীল, সহজবোধ্য এবং যুক্তিপুর্ন।
এই মন্তব্যে আপনার ব্যাখ্যাটাও দারুন লাগলো।
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি লিখি দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা থেকে, মানবজাতির প্রতি ভালবাসা থেকে। আমি চাই মানুষ মুক্ত পরিবেশে বাস করুক, নিজের ভাল মন্দ বুঝে সভ্যতার সংকট থেকে নিত্য নতুন চিন্তা ধারা ও প্রাযুক্তিক আবিষ্কার এর মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাক। আমার স্বপ্ন আরও সুদুর প্রসারী তা হলো- মানুষ শুধু সৌরজগত না , ছড়িয়ে পড়ুক মহাবিশ্বের আনাচে কানাচে। আর তা করতে গেলে মানুষকে প্রতি নিয়ত সামাজিক ভাঙ্গা গড়ার মধ্য দিয়ে মুক্ত পরিবেশে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এখানে ভুল করলেই খোদ এ নীল গ্রহ থেকেই মানব জাতির অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। সে তাগিদ থেকেই আমি লেখা লেখি করি। আমি গভীর ভাবে ভেবে দেখেছি এ যাত্রার একটা বড় রকম বাধা হলো – ধর্ম আর তার মধ্যে ইসলাম সবচাইতে বড় বাধা। যে কারনেই আমার আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ইসলাম। আমি চাই মানুষ ব্যক্তিগতভাবে যাই বিশ্বাস করুক না কেন তা যেন সমাজ ও সভ্যতার উপর চাপিয়ে দিতে না পারে। ইসলাম ঠিক এর বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। এমনই সর্বগ্রাসী ধর্ম এটা। তাই সভ্যতার অগ্রগতির জন্য ইসলাম আদর্শিক ভাবে এক বিশাল বাধা যা মানব জাতি ক্রমশ: উপলব্ধি করতে পারছে।
এমতাবস্থায় , কেউ যদি আমার নিবন্ধগুলিকে ই বুক বা বুক আকারে প্রকাশ করতে চায় কিছু সংস্কার করে হলেও আমার কোন আপত্তি নেই। এটা লিনাক্স সফটওয়ারের মত একটা ওপেন সোর্স সিস্টেম। যে কেউ এটাকে ব্যবহার করুক সামান্য পরিমার্জন ও পরিবর্তন করে আমার কোন আপত্তি নেই। আমার এ প্রচেষ্টা থেকে মানব জাতির সামান্য একটুও যদি কল্যাণ করতে পারি সেটাতেই আমি যার পর নাই সন্তুষ্ট ও পরিতৃপ্ত।
@ভবঘুরে, আমার মনে হয় একেবারে সব লেখা একসাথে ই-বুক না বানিয়ে প্রতিটা সিরিজ নিয়ে আলাদা আলাদা ই বুক বানানো যেতে পারে। আপনি ইতোমধ্যেই বেশ কিছু সিরিজ লেখা দিয়েছেন মুক্তমনায়। ওগুলো নতুন পাঠকেরা হয়ত খুঁজে পাবে না। একসাথে করে ই বুক বানালে সেটা তাদের জন্য খুঁজে পাওয়া সুবিধাজনক হবে আর চাইলেই আমরা সহজেই অনেকের কাছে লেখাগুলো পৌঁছে দিতে পারব। এক্ষেত্রে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষই বড়ো ভুমিকা রাখতে পারে।
আপনার লেখার যে বৈশিষ্ঠতা আমার ভাল লাগে তা হচ্ছে–আগডুম বাগডুম না বলে একেবারে সোজাসুজি, কারো পরোয়া না করে, পরিষ্কার ভাবে ইসলামের ভিতর-বাহির জাহির করে দেওয়া। আপনার লেখার এই বলিষ্ঠ এবং সহজ সরল ভাষা এতই আকর্ষণীয় যে পড়া শুরু করলে শেষ করতেই হয়, বিরিতিহীন ভাবে।
একজন বিদ্যালয়ের ছাত্রও আপনার লিখা বুঝবে–কোন অভিধান লাগবে না, বারা বার সুত্রও দেখতে হবে না..অতিশয় তথ্য দ্বারাও ভারাক্রান্ত হবে না।
আগের মতই এই পর্বটাও এক নাগড়ে পড়ে নিলাম।
@আবুল কাশেম,
আপনার তারিফের জন্য ধণ্যবাদ।
আমি খেয়াল করেছি, বেশী জটিল করে লিখতে গেলে মূল বার্তাটা অনেকেই ধরতে পারেন না। তাই যথাসাধ্য চেষ্টা করি সহজ সরল ভাষায় অনেকটা কোরানিক ভাষায়। কোরান আমার অনুপ্রেরণা।
@আবুল কাশেম, হ্যা ভাই , ঠিকই বলছেন , আমি ও এক বারে পরে ফেলেছি,
উনিই পারবেন মানুষকে অন্ধ বিশ্বাস থেকে বেরকরে যুক্তি , দর্শন ও আলোর পথে নিয়ে আসতে।
আমার মনে হয় ইসলাম একটা পাইরেট ধর্ম
মানচিত্র গেল কই?
@কাজী রহমান,
বহু কসরত করেও মানচিত্র ঢুকাতে পারিনি। ওটা করতে যেয়ে পোস্টেরই বারোটা বেজে গেছিল প্রায়, পরে অনেক কষ্টে ঠিক করেছি। তবে গুগল সার্চ করলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন জলবৎ তরলং।
@কাজী রহমান, “google mape” লিখে অনুসন্ধান করুন খুব সহজেই পেয়ে জাবেন।
হুইন্না মুসলমানরা তো এইখান থিকাই গবেষণা শুরু করতে পারে, খাস দিলে আসল আল্লারে ডাইক্ক্যা সাচ্চা মুসলমান হইতে।
বিরাট গ্যাঞ্জাম হয়া গেলো না? তাইলে আব্রাহিমিক ধর্মের আল্লার বাইরেও আল্লা হ্যায়? সাচ্চা কিংবা হুইন্না মুসলমানরা তো বিরাট ফ্যাসাদে পইড়া গেলো।
যাউজ্ঞা, আলোচনা চলুক………… (O)
আপনার লেখাটি পেয়েই এক নাগাড়ে পড়ে ফেললাম। দীর্ঘ দিনের অনেক প্রশ্নের নিরপেক্ষ উত্তর এর মধ্যে পেলাম। যেমনঃ
১।কাবা ঘর ও বায়তুল মোকাদ্দাছের তৈরীর সময় কাল।
২।সময় গণণার জন্য সূর্য অধিক উপযুক্ত হওয়া সত্বেও চন্দ্র কে ইসলামিক মাস হিসাবে কেন এত অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৩। কেন কোন ক্ষমতাহীন হওয়া সত্বেও কালো পাথর কে সারা বিশ্বের হাজীরা চুম্বন করে থাকেন।
৪।আজ কেন কাবা ঘর কে হাজীরা প্রদক্ষিন করে থাকেন।
ইত্যাদি
এক কথায় ইসলাম পূর্ব যুগে যা কিছুই আরব সমাজে চালু ছিল তাই সামান্য রদ বদল করে রেখে দেওয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে নিরপেক্ষ তথ্য তুলে ধরার জন্য।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি যে বুঝতে পেরেছেন অতি সহজেই, সেটার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু মুশকিল হলো সবাই সেটা বুঝতে চায় না।চাইলেও পারে না। বস্তুত মোহাম্মদ পৌত্তলিক ও ইহুদী-খৃষ্টিয় মিশেলে তার আল্লাহকে তৈরী করেছিলেন। আর যে কারনেই তার ধর্মে উভয়ের প্রভাব। কিন্তু মুমিন বান্দারা তা মানবে না চাক্ষুষ দেখার পরেও।
অভিমত জানানোর কিছু নাই। ঘটনা সত্ত্য।