সাম্প্রতিক দুনিয়াতে ইসলাম সবচাইতে আলোচিত ও সমালোচিত বিষয়। একদল ইসলাম ধর্মের গুণগান গাইছে, ইসলাম কতটা সত্য ও আদর্শ ধর্ম, এর মধ্যে কি পরিমান বিজ্ঞান বিরাজমান আছে তা বের করার প্রানান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছে তো অন্য দল নিন্দাবাদ জ্ঞাপন করছে, বের করার চেষ্টা করছে এটা কতটা বর্বর আর এর মধ্যে কি পরিমান মিথ্যা গাল গল্প ও অপবিজ্ঞান নিহিত। এখন এর মধ্যে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা সেটা জানাই দুরুহ হয়ে পড়ে মাঝে মাঝে। কিন্তু কেউ যদি প্রকৃত সত্য জানতে চায় তা কিন্তু মোটেও দুরুহ না। কিন্ত তার আগে জানা দরকার কেন ইসলাম নিয়ে সারা দুনিয়াতে এত তোলপাড় ? তার একটাই কারন সারা দুনিয়ার দেশে দেশে ইসলামী জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। গাড়ীবোমা, মানববোমা, বিমান বোমা এসবের আকারে এসব জঙ্গীবাদীরা আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ মারছে। কেন তারা মানুষ মারছে? তারা দুনিয়া ব্যপী ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যারা অমুসলিম তাদেরকে ইসলামের ছায়া তলে আনতে চায়। যদি এ ব্যপারে কোন বাধা আসে তখন যুদ্ধ করে তাদেরকে ইসলামে দীক্ষিত করতে বাধ্য করতে হবে। একে বলে জিহাদ যা কোরান ও হাদিসে বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে- জিহাদ একটা চলমান যুদ্ধ যা প্রত্যেকটি সক্ষম মুসলমানের আবশ্যক কর্তব্য, যা কেয়ামতের আগ পর্যন্ত চলবে। ঠিক একারনেই ইসলাম নিয়ে সারা দুনিয়ায় টাল মাটাল কান্ড কারখানা চলছে। এখন আমাদের বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে- ইসলাম সত্যি সত্যি সভ্য জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে কি না। আরও দেখতে হবে – ইসলাম মানব জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে কি না।
ইসলামের প্রথম ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো- ইমান অর্থাৎ বিশ্বাস। কিসে বিশ্বাস ? আল্লাহ ও তার রসূল মোহাম্মদের ওপর বিশ্বাস। শুধু আল্লায় বিশ্বাস করলে হবে না, আল্লা ও তার রসূল মোহাম্মদকে একই সাথে বিশ্বাস করতে হবে। আর এ বিশ্বাসটা করতে হবে বিনা প্রশ্নে। আল্লা বা সৃষ্টি কর্তা নিয়ে আমাদের দ্বিধা দ্বন্দ্ব সন্দেহ থাকতে পারে। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের বিপক্ষে দশটা যুক্তি হাজির করলে বিপক্ষেও দশটা যুক্তি দেয়া সম্ভব। তাই কেউ নি:সন্দেহভাবে প্রমান করতে পারবে না সৃষ্টিকর্তা আছে অথবা নেই। অর্থাৎ যুক্তির খাতিরে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব benefit of doubt তত্ত্ব মোতাবেক টিকে যেতে পারে। সুতরাং আলোচ্য নিবন্ধ থেকে সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দেয়া যেতে পারে। বাকী থাকে মোহাম্মদ। এখন প্রশ্ন হলো মোহাম্মদ সত্যি কোন আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত রসূল কি না।
যেখানে খোদ সৃষ্টিকর্তার সম্পর্কেই সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায় নি, সেখানে অবশ্যই মোহাম্মদের নবুয়ত্ব সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। অর্থাৎ কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না যে মোহাম্মদ হলো আল্লাহর রসূল। বিষয়টা এভাবে ব্যখ্যা করা যেতে পারে। এক লোকের যক্ষ্মা রোগ হলো ও ডাক্তারের কাছে যাওয়ার মত টাকা না থাকায় অথবা ডাক্তারের ফি না দেয়ার ধান্ধায় সোজা একটা ওষুধের দোকানে গেল ওষুধ কিনতে। দোকানে নতুন কম্পাউন্ডার যে কোন ওষুধের নাম ও তার কাজ কি তা জানে না। সে শুধু ব্যবস্থাপত্র পড়ে সে অনুযায়ী তাক থেকে খুঁজে খুঁজে ওষুধ দিতে পারে। যক্ষ্মা রোগীটি সেই কম্পাউন্ডারের কাছে গিয়ে বলল ওষুধ দিতে। কম্পাউন্ডার নতুন হলেও বেশ চালিয়াৎ। সে ভাব দেখালো সে অনেক কিছু জানে। রোগীটিকে বোকা পেয়ে তাই সে তাক হাতড়ে যা সামনে পাওয়া গেল তেমন একটা ওষুধ দিয়ে দিল। এক্ষেত্রে রোগীর রোগ সারার সম্ভাবনা কতটুকু ? কম্পাউন্ডার জানে দোকানের হাজারো ওষুধের মধ্যে কোন একটা যক্ষ্মার ওষুধ। তার পরেও রোগীর রোগ সারার সম্ভাবনা অতিশয় সামান্য। এক্ষেত্রে সঠিক ওষুধ বাই চান্সে পাওয়াকে আল্লাহ আর মোহাম্মদ কে যক্ষ্মার আরোগ্য ধরলে, যুক্তি অনুযায়ী মোহাম্মদের নবুয়ত্বের সঠিকতা অতিশয় সামান্য। সঠিক ওষুধ বাই চান্সে পাওয়া- কে আল্লাহ ধরার কারন, আল্লাহ নিশ্চিতভাবে প্রমানিত না, বহু যুক্তি দেয়া যায় আল্লাহ নেই, তবে সামান্য সম্ভাবনা আছে অর্থাৎ যে ওষুধটা কম্পাউন্ডার দিচ্ছে তার সামান্য সম্ভাবনা আছে সেটা সঠিক ওষুধ হওয়ার আর সেটা যদি সত্যি সঠিক হয় তাহলে রোগীর রোগ সারবে অর্থাৎ মোহাম্মদ নবী হবে। বিষয়টা স্বয়ং মোহাম্মদ বুঝতে পেরেছিল বলেই সে সবচাইতে বেশী জোর দিয়েছিল ঈমান অর্থাৎ বিশ্বাসের ওপর। তার মানে মোহাম্মদ যা বলছে তার কোন পরীক্ষা করা যাবে না, বিনা প্রশ্নে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে। মোহাম্মদ আরও জানত একবার কিছু লোককে তার কথা বিশ্বাস করাতে পারলে, আস্তে আস্তে বাকীগুলোকেও বিশ্বাস করানো যাবে। কিভাবে মোহাম্মদ সেটা টের পেল? তার তীক্ষ্ণ মেধা, বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার দ্বারা। খেয়াল রাখতে হবে মোহাম্মদ তার ৪০ বছর বয়েসে সর্বপ্রথম দাবী করে সে আল্লাহর নবী। যথেষ্ট জ্ঞান, বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এটা বেশ দীর্ঘ সময়। সেই শৈশব থেকে মধ্য বয়স পর্যন্ত সে তার আশ পাশের মানুষগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছে, তাদের মানসিক স্তর ভালমতো পর্যবেক্ষন করেছে। এর মধ্যে সে ভালমতো জেনেছে ইহুদী ও খৃষ্টানদের ধর্মমত ও ধর্মীয় কিচ্ছা কাহিনীগুলো।
কথিত আছে মোহাম্মদ মক্কার অদুরে হেরা গুহার মধ্যে বসে নির্জনে চিন্তা ভাবনা করত। এ ভাবে চিন্তা ভাবনা করার সময় হঠাৎ করে এক ফিরিস্তা জিব্রাইল তার নিকট এসে আল্লাহর ওহী বলা শুরু করে। দেখা যাক্ কিভাবে ফিরিস্তা ওহী প্রদান করত। এ সম্পর্কে হাদিস দেখা যাক-
আয়শা হতে বর্নিত, হারেছ ইবনে হেশাম হুযুরকে জিজ্ঞেস করিয়াছিলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার নিকট ওহী আসে কিভাবে ? তিনি বলিলেন, প্রতিটি ওহীর সময় ফিরিস্তাই আগমন করে। কখনও কখনও ঘন্টার মত শব্দ করিয়া আসে। যখন ওহী সমাপ্ত হয় তখন ফিরিস্তা যা বলিল, আমি তাহা মুখস্ত করিয়া লই। এই ঘন্টার শব্দের মত ওহীটিই আমার কাছে অত্যন্ত কঠিন অনুভুত হয়। আর কখনও কখনও ফিরিস্তা মানবরূপে আগমন করে, আমার সাথে কথা বলে। সে যাহা বলে, আমি তাহা মুখস্ত করিয়া লই। সহী বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪৩৮
আচ্ছা বোঝা গেল জিব্রাইল মোহাম্মদের কাছে আল্লাহর কাছ থেকে ওহী নিয়ে আসে। কেউ কখনও দেখেছে জিব্রাইলকে মোহাম্মদের কাছে আসতে? কোন সাক্ষী আছে ? না, কোন সাক্ষী নেই। তার মানে মোহাম্মদ যা কিছু বলবে তা যত উদ্ভট ও অদ্ভুত হোক বিশ্বাস করতে হবে। বিষয়টা তার প্রিয়তমা বুদ্ধিমতী কিশোরী বধু আয়শার মনে মনে হয় কিঞ্চিত সন্দেহের উদ্রেক করে। একারনে হয়ত সে বায়না ধরে ও বলে – হে আল্লাহর রসূল, আপনার কাছে হর হামেশা জিব্রাইল আসা যাওয়া করে, আপনি দেখতে পান, কথাবার্তা বলেন, কিন্তু আমরা দেখতে পাই না কেন? বুদ্ধিমান মোহাম্মদ বুঝল এটা একটা চ্যলেঞ্জের মত। আর এ ধরনের কৌতুহল বেশীদিন চলতে দেওয়াও বুদ্ধিমানের মত কাজ নয়। তাই মোহাম্মদ একদিন বলল-
আয়শা হ’তে বর্নিত, হুজুর একদিন তাঁহাকে বলিয়াছেন, আয়শা! ঐ দেখ জিব্রাইল তোমাকে সালাম দিতেছেন। আয়শা সালামের জবাব দিলেন- ওয়া আলাইহি সালামু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকতুহু। এবং বলিলেন আপনি তো এমন কিছুও দেখেন যাহা আমরা দেখিতে পাই না। আয়শা হুযুর কে লক্ষ্য করিয়াই কথাগুলি বলিয়াছিলেন। সহি বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪৪০
দেখা যাচ্ছে- মোহাম্মদ আয়শার চ্যলেঞ্জ এর কোন উত্তর দিতে পারেনি। আয়শা খুব পরিস্কারভাবেই বলছে যে সে জিব্রাইলকে দেখে নি। কিন্তু না দেখলেও এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করারও কোন সুযোগ তার নেই, কারন তার পিতা আবু বকর অনেক আগেই মোহাম্মদকে বিশ্বাস করেছে আর মোহাম্মদ যতই উদ্ভট কথা বার্তা বলুক না কেন তা সে বিনা প্রশ্নেই বিশ্বাস করে।
বিষয়টাকে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা যাক। বর্তমান কালের বিখ্যাত অনলাইন লেখক আলী সিনা তার এক প্রবন্ধে যেমন বলেছেন- ইসলাম একটা প্রকান্ড মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত ( তার লেখা পাওয়া যাবে www.faithfreedom.org এখানে)। সাধারন মানুষ ছোট খাট মিথ্যা বলতেই ভয় পায় , যদি বলে ফেলেও খুব তাড়াতাড়ি তা ধরা খেয়ে যায়। কিন্তু কোন লোক যদি প্রকান্ড মিথ্যা কথা বলে তাহলে সাধারন মানুষ তা বিশ্বাস করার আগে প্রচন্ড রকম চমকে যায়। আর তাদের সামনে দুটো পথ মাত্র খোলা থাকে – এক. হয় লোকটাকে পাগল বা উন্মাদ সাব্যাস্ত করা, অথবা দুই. তার কথা বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করা। আর একবার যদি কিছু লোক তাকে বিশ্বাস করে বসে তাহলে তাদের পক্ষে লোকটার যাবতীয় সবকিছুই বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করতে হবে অন্ধের মত।মোহাম্মদ সেই যৌবনের প্রারম্ভ থেকে তার আশ পাশের লোকজনকে ভাল মতো পর্যবেক্ষন করেছে, জেনেছে তাদের মন মানসিকতার স্তর। তাই দীর্ঘদিন সময় নিয়ে তারপরই সে তার প্রকান্ড মিথ্যা কথাটা বলেছে, অবশ্যই একটা বড় রকমের রিস্ক নিয়ে। কিন্তু কেন মোহাম্মদ এ ধরনের প্রকান্ড মিথ্যা কথা বলল প্রচন্ড রিস্ক নিয়ে ? তার কি প্রয়োজন ছিল ? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে সেই মোহাম্মদের সময়কার মক্কার সমাজ ব্যবস্থা জানা অত্যন্ত জরুরী। সে সময় মক্কার সমাজ কতকগুলো গোষ্ঠিতে বিভক্ত ছিল। এসব গোত্রের মধ্যে প্রায়ই সময় বিবাদ লেগে থাকত। অতি তুচ্ছ কারনে তারা অনেক সময় বিবাদ বাধাত, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হতো। যেমন- কাবা ঘরের মধ্যে সেই কাল পাথর বসানো নিয়ে তারা প্রায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হ’তে গেছিল যা পরে মোহাম্মদের হস্তক্ষেপে প্রশমিত হয়। মোহাম্মদ সেই বাল্য কাল থেকেই চিন্তাশীল ছিল, তেমনি ছিল বুদ্ধিমান। যা তার ব্যবসায়িক কাজে সাফল্য ও আসওয়াদ পাথরকে কাবায় বসানোর ঘটনা থেকে নি:সন্দেহে বোঝা যায়। তার মূল চিন্তা ছিল মক্কার বিভক্ত গোষ্ঠীগুলিকে একত্র করে একটা জাতি হিসাবে গড়ে তোলা যাতে মক্কা তথা আরব দেশে প্রাথমিক ভাবে একটা শক্তিশালী রাজ্য গড়ে তোলা যায়। অর্থাৎ তার চিন্তা ছিল রাজনৈতিক। স্বজাতীর প্রতি ভালবাসা বা দেশপ্রেম থেকেই এটা উৎসারিত। বস্তুত:সেই তখনকার আমলের আরবগুলোর মধ্যে উৎকট দেশপ্রেমিকতা প্রবল ছিল। মোহাম্মদ তাদের সেই দেশপ্রেমের শক্তিকে কাজে লাগাতে চাইল।এ চিন্তা তার মাথায় আসে রোম বা পারস্য সাম্রাজ্যের শান শওকতের কাহিনী শুনে, এমনকি পার্শ্ববর্তী সিরিয়ার চাকচিক্যও তাকে এ চিন্তায় অনুপ্রাণিত করেছিল। মক্কার গোষ্ঠীগুলি ছিল পৌত্তলিক আর কাবার মধ্যে ছিল তিনশ ষাটটি পুতুল যাদেরকে তারা দেব দেবী মনে করত। বিভিন্ন কেন্দ্রিক দেব দেবতার আধিপত্য নিয়েও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত বেধে যেত, তারা প্রমান করার চেষ্টা করত কোন দেবতা বা দেবীর শক্তি বেশী। বুদ্ধিমান মোহাম্মদ বুঝল- এদেরকে যদি একেশ্বরবাদী ধর্মে রূপান্তরিত করা যায়, তাহলে তার অধীনে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব। তার এহেন চিন্তা ভাবনার পরিচয় আমরা পাই তার পরবর্তী জীবনের কাজকর্ম দেখে। ধর্মপ্রচারক নবীর চাইতে রাজনৈতিক নবীর সাফল্য তাই অনেক বেশী। মক্কায় তার ১০ বছরের বেশী সময় গেছে ইসলাম প্রচারে কিন্তু তেমন সাফল্য আসে নি। কিন্তু মদিনায় গিয়ে মদিনাবাসীদেরকে একত্রিত করে যখনই মোহাম্মদ রাজনৈতিক ক্ষমতার অধীকারী হয়েছে তখনই তার সাফল্য আকাশচুম্বি। নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে দেখলে দেখা যাবে- নবী হিসাবে মোহাম্মদের চাইতে শাসক মোহাম্মদের সাফল্য অনেক অনেক বেশী, যদিও সে সাফল্যকেই ইসলামী পন্ডিতরা নবী মোহাম্মদের সাফল্য হিসাবে দেখাতে চায়।
মোহাম্মদ ও ইসলাম নিয়ে গবেষণা করতে গেলে সবচাইতে বড় যে সমস্যায় পড়তে হয় তা হলো-আরবে মোহাম্মদ তার ইসলাম প্রচার ও প্রসারের পর আরবের অতীত ইতিহাস ও নিদর্শন সব ধ্বংস করে ফেলেছে। শুধু আরব দেশই নয়, এর পরে যে সব দেশে ইসলাম প্রসারিত হয়েছে সেখানেও একই অবস্থা পরিলক্ষিত। তবে আরব দেশের জন্য এটা খুব বেশী প্রযোজ্য। ইসলামের আগেকার আরব দেশের ইতিহাস পাওয়া তাই খুবই দুরুহ। কোন সঠিক প্রামান্য ইতিহাস নেই। আইয়ামে জাহিলিয়াত বা বর্বর যুগের নামে তা সব ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, সংরক্ষন করা হয় নি।ইসলামের চরিত্র হলো সর্বাত্মক।সে যেখানেই যাবে সেখানকার ইতিহাস, এতিহ্য, সংস্কৃতি সব ধ্বংস করে দিয়ে আরব সংস্কৃতির প্রসার ঘটাবে। এটা এতটাই সর্বাত্মক যে – একজন বাংলাদেশী মুসলমান এক সময় মনে করবে-সে একজন বাঙালী নয় বরং আরব, আর তা ভেবে সে গর্ব অনুভব করবে। একারনে মোহাম্মদ ও তার ইসলাম নিয়ে গবেষণা করতে গেলে মূলত; মুসলমানদেরই লেখা কিতাবের ওপর নির্ভর করতে হবে। কিন্তু বিজয়ীরা সব সময় তাদের স্বপক্ষেই ইতিহাস রচনা করে যেখানে বিজিত লোকরা হয় সব শয়তান আর বিজয়ীরা হয় সাধু। যেমন-একজন নিবেদিত প্রান মুসলমান কখনই এমন কিছু লিখবে না যাতে মোহাম্মদের চরিত্রের সামান্য নেতি বাচক দিক ফুটে ওঠে। বরং মোহাম্মদের নেতিবাচক কিছু থাকলেও সে তা এড়িয়ে যাবে ও যে সব গুন মোহাম্মদের ছিল না বা যেসব ঘটনা মোহাম্মদ ঘটায় নি সেধরনের অনেক মনগড়া বিষয় সুন্দর শব্দ ও বাক্য চয়ণ করে লিখে যাবে। নিবেদিত প্রান মুসলমানের দ্বারা লেখা সব গুলি কিতাবেই এটা অত্যন্ত উৎকটভাবে প্রকাশ্য। কিন্তু তার পরেও তাদের রচনায় কিছু কিছু বিষয় থাকবে যা থেকে আসল ঘটনা বা বিষয় টের পাওয়া যেতে পারে। কেউ যদি গোলাম মোস্তফা বা ড. এনামুল হকের মহানবীর জীবনী পড়েন তিনি তা ভালমতোই টের পাবেন।
সর্বপ্রথমেই দেখা যেতে পারে তার আল্লাহর ধারনা সম্পর্কিত বিষয়টিকে। দেখা যায়- আল্লাহ শব্দটি নতুন কিছু না, এটা সম্পূর্নই আরব পৌত্তলিকদের একজন দেবতা, প্রধান দেবতা। ইবনে ইসহাকের সিরাত রাসূলুল্লাহ বা রসূলুল্লাহর জীবনীতে এসব দেখা যায়। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে- ইসহাক কিন্তু আল্লাহ কে প্যগানদের প্রধান দেবতা হিসাবে উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন। কারনটাও বোধগম্য। প্যাগানদের দেবতার নাম বহাল থাকলে তা ইসলামের ভাবমূর্তি তথা মোহাম্মদের ভাব মূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
যখন মোহাম্মদ জন্মাল তখন রেওয়াজ ছিল, ধাত্রী দিয়ে তাদেরকে দুধ পান করানো ও লালন পালন করা। মোহাম্মদ জন্মানোর পর সে এতীম বলে কোন ধাত্রী তাকে নিতে রাজী হলো না। হালিমা নামের এক ধাত্রী তাকে নেয়ার জন্য তার স্বামীর কাছে অনুরোধ করলে তার স্বামী তাকে বলল- “তাকে নাও , সম্ভত এর মধ্যে আল্লাহ আমাদের জন্য কোন আশীর্বাদ দেবেন।” এর পরে এক সময় সে হালিমাকে বলল- “হালিমা , আল্লাহর কসম, তুমি আমাদের জন্য একটা আশীর্বাদযুক্ত আত্মা এনেছ।” এর পরেও বহুবার সে আর হালিমা “আল্লাহ” শব্দটি উচ্চারন করেছে (সিরাত রাসূলুল্লাহ, ইবনে ইসহাক, পৃ-৮-৯)
তখন তো ইসলাম ধর্ম ছিল না, আরবরা ছিল পৌত্তলিক ইসলাম অনুসারে, তাহলে হালিমা আর তার স্বামী আল্লাহ শব্দটি কোথা থেকে পেল? কাকেই বা আল্লাহ বলে সম্বোধন করল? যদি ইসলাম ধর্ম সম্মত আল্লাহ হয়ে থাকে তাহলে আরবরা যে বহু ঈশ্বরবাদী ছিল তা প্রমানিত হয় না, আর ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আরবরা যদি বহু ঈশ্বরবাদী হয় তাহলে আল্লাহ এখানে একজন অন্যতম ঈশ্বর বা দেবতা বা দেবী। সিরাত রাসুলাল্লাহ গ্রন্থে এভাবে বহুবার তথাকথিত পৌত্তলিকদেরকে আল্লাহ শব্দটি উচ্চারন করতে দেখা যায়।
Allah was not considered the sole divinity; however, Allah was considered the creator of the world and the giver of rain. The notion of the term may have been vague in the Meccan religion.[8] Allah was associated with companions, whom pre-Islamic Arabs considered as subordinate deities. Meccans held that a kind of kinship existed between Allah and the jinn.[21] Allah was thought to have had sons[22] and that the local deities of al-ʿUzzā, Manāt and al-Lāt were His daughters.[23] The Meccans possibly associated angels with Allah.[24][25] Allah was invoked in times of distress.[25][26] Muhammad’s father’s name was ʿAbd-Allāh meaning “the slave of Allāh”[25]( http://en.wikipedia.org/wiki/Allah)
এখন আরব প্যাগানরা আল্লাহ শব্দটি কোথা থেকে পেল?সোজা কথা , আল্লাহ শব্দটি মোহাম্মদের কোন নতুন আবিস্কৃত শব্দ না। ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবের অনেক আগ থেকেই মধ্যপ্রাচ্যীয় খৃস্টানরা তাদের ঈশ্বরকে আল্লাহ বলেই সম্বোধন করত এবং এখনও অনেকেই তা করে থাকে(http://www.christiananswers.net/q-eden/allah.html)। এখন জানা দরকার এ আল্লাহ শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে? উৎপত্তি যেখান থেকেই হোক না কেন খৃষ্টিয় ও ইহুদীদের আল্লাহ বা God এবং মুসলমানদের আল্লাহ কি এক ?
প্রথমেই আমাদের জানা দরকার , আল্লাহ শব্দটি কোথা থেকে এসেছে আর আরব প্যগানরা কাকেই বা আল্লাহ বলত। নিরপেক্ষ সূত্র মতে আল্লাহ শব্দটি এসেছে আরবী al –‘the’ and ‘ilah’- deity or god থেকে। পরে উচ্চারন সহজ করার জন্য ilah শব্দটির i কে বাদ দিয়ে al+lah= allah এভাবে আল্লাহ শব্দটি উদ্ভুত হয়েছে। অথচ মুসলিম পন্ডিত দের মতে এটা এসেছে আরবী elah শব্দ থেকে । উপরোক্ত শব্দ থেকে বোঝাই যাচ্ছে elah শব্দটা এসেছে ilah শব্দ থেকেই আর তা এসেছে উচ্চারনে সহজতা আনার জন্য। বাংলা ভাষায় ভুরি ভুরি এর নজীর দেয়া যায় যেমন-ইসহাক→ এসহাক, বিড়াল্→বেড়াল, পিতল→ পেতল ইত্যাদি। এখানে বোঝা দরকার , ইসলামী পন্ডিতরা এরকম কেন ব্যাখ্যা দিচ্ছে? তার কারন তারা প্যাগানদের উচ্চারিত আল্লাহ শব্দটির সাথে একটা ভিন্নতা সৃষ্টি করতে চাইছে। কেন তারা তা চাইছে ? কারন তারা বুঝাতে চায় প্যাগানদের কথিত আল্লাহ কিন্তু মোহাম্মদ কথিত আল্লাহ নয়। এরা প্রমান করতে চায় মোহাম্মদ কথিত আল্লাহই হলো তৌরাত, বাইবেলের কথিত আল্লাহ, তথা এ আল্লাহ মোহাম্মদকে শেষ নবী হিসাবে দুনিয়ায় প্রেরন করেছে, বাইবেলের ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী, তাই সকল ইহুদি ও খৃষ্টানদের উচিত মোহাম্মদের ধর্ম অনুসরণ করা। প্রাক-ইসলামী যুগে কথিত পৌত্তলিকদের ৩৬০ টি মূর্তি ছিল কাবা ঘরে। এর মধ্যে প্রধান ছিল- আল্লাহ ও তার তিন কন্যা যারা দেবী- আল-লাত, উজ্জা ও মানাত। এ তিন দেবীর কথা কোরানেও উল্লেখ আছে।
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে। এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে? সূরা- আন-নাজম ৫৩: ১৯, মক্কায় অবতীর্ন।
উপরোক্ত আয়াতে মোহাম্মদ পৌত্তলিক কোরাইশদের দেবতাদের স্বীকার করে নিচ্ছেন। এ আয়াতটিই বিখ্যাত শয়তানের আয়াত বলে ইসলামি জগতে পরিচিত যা আবার বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত। এর ফলে কুরাইশদের মধ্যে উৎফুল্লতা সৃষ্টি হলো। তারা দেখল অবশেষে মোহাম্মদ তাদের দেবীদেরকে স্বীকার করে নিল, এরপর তারা সবাই কাবায় একসাথে প্রার্থনা করল। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই তার হঠাৎ মনে হলো যে কাজটা ঠিক হয় নি। এসব দেব দেবীদেরকে স্বীকার করে নিলে ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছে তার নবুয়ত্বের যৌক্তিকতা থাকবে না। তাহলে তার নবূয়ত্ব ও ইসলাম দুটোই ব্যর্থ হয়ে যাবে।তিনি তো ইব্রাহীম, মূসা আর ইশার পরে সর্বশেষ নবী দাবীকারী। শুধু পৌত্তলিকদের নবী বা ধর্মগুরু হলে তার স্বপ্ন সফল হবে না। তাই সাথে সাথে তিনি সূরা নাজিল করলেন-
পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য? এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন। এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।কোরান, সূরা- আন-নাজম ৫৩: ২০-২২, মক্কায় অবতীর্ন।
অর্থাৎ তিনি আগের আয়াতে দেবীদেরকে যে স্বীকার করে নিয়েছিলেন তা অস্বীকার করে ফেললেন। সেই সময়ে আরবদের কাছে পূত্র সন্তান ছিল কাম্য আর কন্যা সন্তান ছিল অপাংক্তেয়। আয়াতে তাই বলা হচ্ছে- পূত্র সন্তান হবে তোমাদের আর আল্লাহর হবে কন্যা সন্তান? এটা যৌক্তিক নয় ও গ্রহনও করা যায় না।তখন বলা হলো – আগের আয়াত ওটা শয়তান জিব্রাইলের বেশ ধরে মোহাম্মদকে বলে গেছিল। কি আশ্চর্য কথা! আল্লাহর সবচাইতে পেয়ারা নবী, শ্রেষ্ট নবী, যার একজন সামান্য উম্মত হওয়ার জন্য আগের নবীরা হা পিত্যেশ করেছে, অথচ শয়তান এসে তার কাছে আয়াত বলে গেল আর তিনি টেরটি পেলেন না , তার আল্লাহ তাকে সাথে সাথে বলেও দিলেন না। অথচ তিনি কখন কার সাথে সহবাস করবেন, কাকে বাদ দিয়ে কার ঘরে রাত কাটাবেন, কাকে বিয়ে করবেন এসব আল্লাহ তাকে ক্ষিপ্র গতিতে জানিয়ে দেয়। কখন জিব্রাইল তাকে ভুলটি শুধরিয়ে দিল ?
যখন মোহাম্মদ দেখল কুরাইশরা তার ইসলাম গ্রহন করছে না , তার বয়সও বেড়ে যাচ্ছে, অথচ কোন সাফল্য আসছে না তখন অনেকটা মরিয়া হয়ে তিনি এমন পথ ধরার চিন্তা করলেন যা কুরাইশদেরকে আকৃষ্ট করে তার দলে আসতে সাহায্য করবে। তখনই তিনি উক্ত সূরা নাজিল করেন। কুরাইশরা এটা শুনে আনন্দিত হলো। এ খবর একটা সময়ে মদিনা ও আবিনিসিয়ায় প্রবাসী হয়ে থাকা মুসলমানদের কাছে গেল ও তারা মক্কায় নিজ ঘরে ফিরে আসার তোড়জোড় শুরু করল। আর তখনই জিব্রাইল এসে বলল- হে মোহাম্মদ আপনি কি করেছেন? আল্লাহ যা আপনাকে বলেন নি আপনি সেটাই প্রচার করেছেন। আর তখনই ৫৩ নং সূরার ২০-২২ নং আয়াত নাজিল হয়। এছাড়াও মোহাম্মদকে আশ্বস্থ করার জন্য নিচের এ আয়াত সমূহ নাজিল হয়-
আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়। এ কারণে যে, শয়তান যা মিশ্রণ করে, তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন, তাদের জন্যে, যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যারা পাষাণহৃদয়। গোনাহগাররা দূরবর্তী বিরোধিতায় লিপ্ত আছে। এবং এ কারণেও যে, যাদেরকে জ্ঞানদান করা হয়েছে; তারা যেন জানে যে এটা আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্য; অতঃপর তারা যেন এতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর যেন এর প্রতি বিজয়ী হয়। আল্লাহই বিশ্বাস স্থাপনকারীকে সরল পথ প্রদর্শন করেন। সূরা হাজ্জ-২২: ৫২-৫৪, মদীনায় অবতীর্ণ।
এখানে পরিস্কার করে বলা হচ্ছে মোহাম্মদের কাছে প্রেরিত ওহীতে মাঝে মাঝে শয়তান তার কল্পনা মিশ্রণ করে দেয়। সেটা আবার কেমন ? এমন আজগুবি ও উদ্ভট ঘটনা কিভাবে সম্ভব ? আল্লাহ ওহী প্রেরণ করে জিব্রাইল ফেরেস্তার মাধ্যমে, তার মাঝখানে আবার শয়তান তার কল্পনা মিশ্রন করে কিভাবে? সর্ব শক্তিমান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত জিব্রাইলকে কে পথে আটকিয়ে তার মধ্যে অন্য বার্তা ঢুকায়ে দিতে পারে ? তা যদি পারে তাহলে আল্লাহ সর্ব শক্তিমান হয় কিভাবে? শয়তান যদি সেটা করতে পারে তাহলে তো বলতে হবে শয়তান আল্লাহর চাইতেও শক্তিশালী। কিছুটা বুদ্ধি যার ঘটে আছে সে খুব ভালমতো ধরে ফেলবে যে এটা একটা চালাকি আর সেটা ঢাকতেই সাথে সাথে বলা হচ্ছে- শয়তান যা মিশ্রণ করে, তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন, তাদের জন্যে, যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যারা পাষাণহৃদয়। এখানে ঢাক দিতে গিয়ে কেঁচে গন্ডুস করে ফেলেছে আল্লাহ। কারন যাদের অন্তরে রোগ আছে আর যারা পাষাণ হৃদয় তাদের জন্য আবার পরীক্ষা কিসের? তাদেরকে তো আল্লাহ করুণা করে অত্যন্ত সহজ ভাবে নিজের পথে আনবে। পরীক্ষা করতে পারে একমাত্র বিশ্বাসী লোকদেরকে এটা দেখতে যে তাদের বিশ্বাস কতটা অটুট, যেমন সেটা আল্লাহ করেছিল ইব্রাহীমের উপর, মূসার উপর। ফিরাউনের উপর তো আল্লাহ পরীক্ষা করতে পারে না কারন তার হৃদয় তো এমনিতেই পাষাণ। তাকে আল্লাহ শিখানো পড়ানোর পর বিশ্বাসী হলেই পর একমাত্র পরীক্ষা করতে পারে। আল্লাহর কি অদ্ভুত যুক্তি! কুরাইশরা খুব ভাল মতো মোহাম্মদের এ চালাকি ধরতে পেরেছিল বলেই এর পর তার ওপর বেশী ক্ষাপ্পা হয়ে যায়। এর কারণটাও যৌক্তিক। তাদের দেবীদেরকে স্বীকার করে পরে তা প্রত্যাখ্যান করেছে, এর পর আবার উদ্ভট কথামালা দিয়ে তা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করছে।
এখানে আরও একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য করতে হবে। সেটা হলো- কোরান কতটা এলোমেলো ভাবে বর্নিত অথবা সংকলিত করা হয়েছে অর্থাৎ কোন সামঞ্স্য এতে নেই। শয়তানের আয়াত যা ৫৩ নং সূরা যা মক্কাতে অবতীর্ণ অথচ সে সম্পর্কিত সান্তনা সূচক আয়াত হলো ২২ নম্বর সূরায় যা নাকি আবার মদীনায় অবতীর্ণ। কোরানের মধ্যে এত গোলমাল আছে তা অতি ধৈর্য ও মনযোগ সহকারে না পড়লে বোঝাই যায় না। বলাবাহুল্য, মক্কায় অবতীর্ণ সূরা আগে অবতীর্ণ, আর মদিনায় অবতীর্ণ সূরা পরে অবতীর্ণ। সে হিসাবে ৫৩ নং সূরা ২২ নং সূরার আগে থাকা উচিত আর তাহলেই কোরান পড়ে বুঝতে সুবিধা। কিন্তু এখানে উক্ত সকল আয়াত একই সূরাতে থাকা উচিত , তাহলে পরিস্কার ভাবে সব কিছু বোঝা যায়, কোন অস্পষ্টতা থাকে না। এখানে যে ভাবে ভিন্ন ভিন্ন সূরা সাজানো হয়েছে একই ঘটনার প্রেক্ষিতে কার বাপের সাধ্য তা বুঝবে ?
অথচ আল্লাহ এর চাইতে কত সামান্য ব্যপারে অতি দ্রুত ওহী পাঠিয়ে দেয় তার সামান্য একটু নমূনা-
মুহাম্মদ ইবনে হাতেম ইবনে মায়মুন এবং মুহাম্মদ ইবনে রাফে বর্ণনা করেছেন– আনাস বলেন যে, যয়নব এর ইদ্দত পূর্ণ হইলে রাসূলুল্লাহ যায়েদকে বললেন, তুমি যয়নবের নিকট আমার বিয়য় বল। আনস বললেন, যায়েদ তার নিকট চলে গেলেন। তখন তিনি আটার খামির করিতেছিলেন।যায়েদ বলেন, আমি যখন তাকে দেখিলাম, তখন আমার অন্তরে তার মর্যাদা এমনভাবে জাগ্রত হলে যে আমি তার প্রতি আর তাকাইতে পারলাম না। কেনান রাসূলে পাক তাকে গ্রহণ করেছেন; সুতরাং আমি তার দিক হইতে মূখ ফিরাইয়া পিছনে সরিয়া আসিলাম। তারপর বললাম, হে যয়নব! রাসূলুল্লাহ আপনাকে স্মরণ করে আমাকে প্রেরণ করেছেন। আমার কথা শুনে তিনি বললেন আমি এই সম্পর্কে কিছুই বলিব না ও করিব না যে পর্যন্ত না আল্লাহর তরফ হতে আমার নিকট কোন নির্দেশ আসে। এর পর তিনি নামাজের স্থানে গিয়ে দন্ডায়মান হলেন। এদিকে কুরআনে পাকের আয়াত নাযিল হলো এবং রাসূলুল্লাহ এসে যয়নবের অনুমতি ছাড়া তার ঘরে প্রবেশ করলেন। আনাস বলেন, আমরা দেখিলাম , রাসূলুল্লাহ যয়নবের সেই বিবাহের সময় দ্বিপ্রহরে আমাদেরকে রুটি ও গোশত আহার করালেন। সহি মুসলিম, হাদিস নং-৩৩৩০
অর্থাৎ যয়নব একটু নিমরাজি হওয়ার সাথে সাথেই আল্লাহ সেকেন্ডের মধ্যে ওহি পাঠিয়ে দিলেন ও যে কাজ ইসলামে প্রচন্ডভাবে নিষেধ সেই কাজ নিজেই করলেন, তা হলো- কোন নারী একা গৃহে থাকলে তার ঘরে প্রবেশ করা যাবে না। গৃহে প্রবেশ করলেন তাও বিনা অনুমতিতে। অথচ তখনও মোহাম্মদের সাথে যয়নবের বিয়ে হয় নি।
আরও একটা নমুনা দেখা যাক্ –
আবু কুরাইব মুহাম্মদ ইবনে আলা বর্ণনা করেছেন—- আয়শা বলেন যে মহিলারা রাসূলুল্লাহ এর স্ত্রী হওয়ার জন?যে গায় পড়িয়া আত্মনিবেদন করত তাদের নির্জলজ্জতার কারণে আমি বিস্মিত হতাম এবং বলতাম যে কোন নারী কি এভাবে আত্ম নিবেদন করে ? এর পর আল্লাহ নাজিল করলেন এ ওহী- আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। সূরা আল আহযাব, ৩৩:৫১, মদীনায় অবতীর্ণ। আয়শা বলেন এই আয়াত নাজিল হলে আমি বললাম , আল্লাহর কসম, আমি তো দেখতেছি আপনার প্রতিপালক আপনার ইচ্ছা পূরণ করতে সাথে সাথে সাড়া দিয়ে থাকেন। সহি মুসলিম, হাদিস-৩৪৫৩
এখানেও দেখা যাচ্ছে , আল্লাহ অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য মোহাম্মদের কাছে ওহী পাঠিয়ে দেয়। বিন্দু মাত্র দেরী করে না। বিষয়টি আয়শার কাছে সন্দেহের সৃষ্টি করে। আর করবেই বা না কেন। যে নারী এসে মোহাম্মদকে বিয়ে করতে চায়, মোহাম্মদ অকাতরে তাকে বিয়ে করে ফেলে। কোন আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নারী তার স্বামীর এহেন কর্মকান্ড মেনে নিতে পারে না। যতদুর জানা যায় আয়শা ছিল খুবই বুদ্ধিমতী। তার নিজের বাপের ছিল একটি মাত্র বৌ, অথচ আল্লাহর নবী একের পর এক বিয়ে করে চলেছেন। বিষয়টা তার খুবই দৃষ্টি কটু লাগে।আর সেই সন্দেহের কারনেই সে উক্ত কথাগুলো বলে। সন্দেহ না হলে সে এ ব্যপারে চুপ থাকত, কোন মন্তব্য করত না। আরও খেয়াল করতে হবে-প্রায় সাথে সাথেই ওহী চলে এসেছে যখন মোহাম্মদ নারী ঘটিত কোন ঝামেলায় জড়িয়ে গেছেন তখন। অথচ খোদ ইসলামের ভিত্তি মূলে আঘাত করার যে শয়তানের আয়াত যা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে ইসলামেরই অস্তিত্ব বিপন্ন হতো, ইসলাম হয়ে যেত আরবেদের সেই পৌত্তলিক ধর্ম, সে ক্ষেত্রে আল্লাহ নিলেন বেশ লম্বা সময়। সেই সময় মক্কা থেকে মদিনা বা আবিনিসিয়া যাওয়া ছিল বেশ কয়দিনের ব্যাপার। শয়তানের আয়াতের খবর মক্কা থেকে মদিনা ও আবিনিসিয়া চলে গেছে, তারপর মোহাম্মদের কিছু অনুসারী মক্কায় ফিরেও এসেছে। তার মানে কম পক্ষে ১৫/২০ দিন কেটে গেছে বা আরও বেশীদিন। আর এর পরেই আল্লাহ বুঝতে বা জানতে পারল যে মোহাম্মদের কাছে শয়তান গিয়ে শয়তানের বানী জিব্রাইলের রূপ ধরে পৌছে দিয়ে গেছে, আর তখনই সে তার পরিবর্তে অন্য আয়াত প্রেরণ করল মোহাম্মদকে উদ্ধার করতে। অথচ যয়নব বায়না ধরা মাত্রই অতি দ্রুত আল্লাহ সেটা টের পেল আর মোহাম্মদকে উদ্ধার করতে ওহী পাঠিয়ে দিল বা আয়শা নারীদের ব্যপারে জিজ্ঞেস করা মাত্রই সাথে সাথে আল্লাহ ওহী পাঠিয়ে দিয়ে মোহাম্মদকে রক্ষা করল। মোহাম্মদের প্রতি আল্লাহর এ অপার করুণা আমাদেরকে বিস্মিত করে বৈ কি! তবে যুক্তিতে মেলে না।
তাহলে এখন প্রশ্ন আসে , মোহাম্মদ কোন আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মেনে নিচ্ছেন? মোহাম্মদ স্পষ্টতই পৌত্তলিকদের আল্লাহকে স্বীকার করে নিচ্ছেন। তবে পৌত্তলিকরা যেমন বিশ্বাস করত আল্লাহর তিনটি কন্যা লাত , উজ্জা ও মানাত আছে, মোহাম্মদ সেটাকে বর্জন করে সেই পৌত্তলিক ধর্মকেই একটা একেশ্বরবাদী রূপ দিয়েছেন। কেন মোহাম্মদের আল্লাহ ইহুদি ও খৃষ্টান দের বর্ণিত আল্লাহ নয় ? কারন বাইবেলে বর্নিত আল্লাহর সাথে কোরানে বর্নিত আল্লাহর আকাশ পাতাল তফাৎ পরন্তু দেখা যায় পৌত্তলিকদের কিছু প্রথা যেমন – কাল পাথরকে চুম্বন করা, কাবা প্রদক্ষিন করা, পশু কোরবানী ইত্যাদি ইসলামে প্রবেশ করেছে। এ ব্যপারে বিস্তারিত পরের পর্বে তুলে ধরা হবে।
এখানে পরিস্কার করে বলা হচ্ছে মোহাম্মদের কাছে প্রেরিত ওহীতে মাঝে মাঝে শয়তান তার কল্পনা মিশ্রণ করে দেয়। সেটা আবার কেমন ? এমন আজগুবি ও উদ্ভট ঘটনা কিভাবে সম্ভব ? আল্লাহ ওহী প্রেরণ করে জিব্রাইল ফেরেস্তার মাধ্যমে, তার মাঝখানে আবার শয়তান তার কল্পনা মিশ্রন করে কিভাবে? সর্ব শক্তিমান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত জিব্রাইলকে কে পথে আটকিয়ে তার মধ্যে অন্য বার্তা ঢুকায়ে দিতে পারে ?_____এরপরেও যেটা মেইন সমস্যা সেটা হল আল্লাহর লাওহে মাহফুজে যে কুরআন টা সংরক্ষিত করে রাখা আছে সেটাতে ও কি শয়তান একইভাবে আয়াত ঢুকিয়ে দিয়েছে ? যদি লাওহে মাহফুজে থাকা কুরআন আর পৃথিবীতে থাকা কোরআন একই হয় তাহলে সেখানেও শয়তানের আয়াত থাকবে। তারমানে শয়তান শুধু মোহাম্মদকে নয় আল্লাহকে ও ধোকা দিয়ে কোরআনে আয়াত লিখে দিয়েছে। চিল্লাইয়া বলেন ঠিক কিনা 🤔
আপনাদের এই ব্লগের ইংরেজি ভার্সন পাওয়া যাবে কি ?
কা’বা ঘরে যে আল্লাহ নামক একজন দেবতা ছিল তার সুস্পষ্ট প্রমান হচ্ছে।
আব্রাহা যখন কা’বা ধ্বংশ করতে গিয়েছিল তখন, নবী মোহাম্মাদ (সঃ) এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব, বলেছিল আল্লাহর ঘর আল্লাই রক্ষা করবে। কিন্তু এখানে কোন আল্লার কথা বলেছিল আব্দুল মুত্তালিব, তিনিছিল একজন পৌত্তলিক, মুর্তির উপাসক, আবার নিজের ছেলের নাম ছিল আব্দুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দা, ইসলাম আসার আগেই আরবে আব্দুল্লাহ নামটি প্রচলিত ছিল,
কোরান ছাড়া কোনো আসমানি কিতাবে সৃষ্টিকর্তাকে আল্লাহ বলে সম্বোধন করেনি, কিন্তু প্যগান দেবতার নাম ছিল আল্লাহ, তার মানে কি প্যাগান ধর্মের আল্লাহ আর কোরানের আল্লাহ একই ব্যক্তি, তাছাড়া ইসলামের অনেক রীতিনীতি প্যাগানদের সাথে মিল রয়েছে।
ভাই আপনি খুব বুদ্ধিমান
চলুক যুদ্ধ যুক্তির আলোয়
অন্ধবিশ্বাসীদের সাথে তর্কে যাওয়াও সময় নষ্ট!!!
খুব ভাল লাগলো ভাই ।
উপরের মন্তব্য গুলো ও অনেক মজার ।
মনে একটা প্রশ্ন আসে , কোরান বানাতে ক্রিমিনাল টার (মুহম্মদ) কতদিন সময় লাগলো ?
আর কতদিন পরে বাজারে ছারলো ?
হিটলার , লাদেন , এরশাদ সিকদার আর ও অনেকের নাম শুনেছি, ওরা নাকি খুব খারাপ লোক ছিলো ।
কিন্তু এখন তো দেখছি মুহম্মদ এর মত প্রতারক আর হয় না । মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যারা অন্যায় করে , তাদের কে তো কাপুরুষ শ্রেণিতে স্থান দেওয়ার কথা । আর অন্ধ বিশ্বাসী রা তো তার উল্টা টা করছে ।
একটা কাপুরুষ যে কিনা ( কথায় কথায় আয়াত তৈরি করে আর আল্লার নামে বিক্রি করে ) আদর্শ মানুষের স্থানে রেখেছে ।
সাম্প্রতিক দুনিয়াতে ইসলাম সবচাইতে আলোচিত ও সমালোচিত বিষয়।
জিহাদ একটা চলমান যুদ্ধ যা প্রত্যেকটি সক্ষম মুসলমানের আবশ্যক কর্তব্য, যা কেয়ামতের আগ পর্যন্ত চলবে।
ইসলামের প্রথম ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো- ইমান অর্থাৎ বিশ্বাস।আর এ বিশ্বাসটা করতে হবে বিনা প্রশ্নে।
অর্থাৎ যুক্তির খাতিরে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব benefit of doubt তত্ত্ব মোতাবেক টিকে যেতে পারে। সুতরাং আলোচ্য নিবন্ধ থেকে সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দেয়া যেতে পারে। বাকী থাকে মোহাম্মদ। এখন প্রশ্ন হলো মোহাম্মদ সত্যি কোন আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত রসূল কি না।
যেখানে খোদ সৃষ্টিকর্তার সম্পর্কেই সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায় নি, সেখানে অবশ্যই মোহাম্মদের নবুয়ত্ব সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।অর্থাৎ কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না যে মোহাম্মদ হলো আল্লাহর রসূল।
আয়শা হতে বর্নিত, হারেছ ইবনে হেশাম হুযুরকে জিজ্ঞেস করিয়াছিলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার নিকট ওহী আসে কিভাবে ? তিনি বলিলেন, প্রতিটি ওহীর সময় ফিরিস্তাই আগমন করে। কখনও কখনও ঘন্টার মত শব্দ করিয়া আসে। যখন ওহী সমাপ্ত হয় তখন ফিরিস্তা যা বলিল, আমি তাহা মুখস্ত করিয়া লই। এই ঘন্টার শব্দের মত ওহীটিই আমার কাছে অত্যন্ত কঠিন অনুভুত হয়। আর কখনও কখনও ফিরিস্তা মানবরূপে আগমন করে, আমার সাথে কথা বলে। সে যাহা বলে, আমি তাহা মুখস্ত করিয়া লই। সহী বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪৩৮
বুদ্ধিমান মোহাম্মদ বুঝল এটা একটা চ্যলেঞ্জের মত। আর এ ধরনের কৌতুহল বেশীদিন চলতে দেওয়াও বুদ্ধিমানের মত কাজ নয়। তাই মোহাম্মদ একদিন বলল-আয়শা হ’তে বর্নিত, হুজুর একদিন তাঁহাকে বলিয়াছেন, আয়শা! ঐ দেখ জিব্রাইল তোমাকে সালাম দিতেছেন। আয়শা সালামের জবাব দিলেন- ওয়া আলাইহি সালামু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকতুহু। এবং বলিলেন আপনি তো এমন কিছুও দেখেন যাহা আমরা দেখিতে পাই না। আয়শা হুযুর কে লক্ষ্য করিয়াই কথাগুলি বলিয়াছিলেন। সহি বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪৪০
ধর্মপ্রচারক নবীর চাইতে রাজনৈতিক নবীর সাফল্য তাই অনেক বেশী।
আল্লাহ শব্দটি নতুন কিছু না, এটা সম্পূর্নই আরব পৌত্তলিকদের একজন দেবতা, প্রধান দেবতা।
হালিমা , আল্লাহর কসম, তুমি আমাদের জন্য একটা আশীর্বাদযুক্ত আত্মা এনেছ।” এর পরেও বহুবার সে আর হালিমা “আল্লাহ” শব্দটি উচ্চারন করেছে (সিরাত রাসূলুল্লাহ, ইবনে ইসহাক, পৃ-৮-৯)
তখন তো ইসলাম ধর্ম ছিল না, আরবরা ছিল পৌত্তলিক ইসলাম অনুসারে, তাহলে হালিমা আর তার স্বামী আল্লাহ শব্দটি কোথা থেকে পেল? কাকেই বা আল্লাহ বলে সম্বোধন করল?
ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবের অনেক আগ থেকেই মধ্যপ্রাচ্যীয় খৃস্টানরা তাদের ঈশ্বরকে আল্লাহ বলেই সম্বোধন করত
আল্লাহ ও তার তিন কন্যা যারা দেবী- আল-লাত, উজ্জা ও মানাত। এ তিন দেবীর কথা কোরানেও উল্লেখ আছে।
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে। এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে? সূরা- আন-নাজম ৫৩: ১৯, মক্কায় অবতীর্ন।
পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য? এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন। এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।কোরান, সূরা- আন-নাজম ৫৩: ২০-২২, মক্কায় অবতীর্ন।
এ খবর একটা সময়ে মদিনা ও আবিনিসিয়ায় প্রবাসী হয়ে থাকা মুসলমানদের কাছে গেল ও তারা মক্কায় নিজ ঘরে ফিরে আসার তোড়জোড় শুরু করল। আর তখনই জিব্রাইল এসে বলল- হে মোহাম্মদ আপনি কি করেছেন? আল্লাহ যা আপনাকে বলেন নি আপনি সেটাই প্রচার করেছেন। আর তখনই ৫৩ নং সূরার ২০-২২ নং আয়াত নাজিল হয়।
আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়। এ কারণে যে, শয়তান যা মিশ্রণ করে, তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন, তাদের জন্যে, যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যারা পাষাণহৃদয়। গোনাহগাররা দূরবর্তী বিরোধিতায় লিপ্ত আছে। এবং এ কারণেও যে, যাদেরকে জ্ঞানদান করা হয়েছে; তারা যেন জানে যে এটা আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্য; অতঃপর তারা যেন এতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর যেন এর প্রতি বিজয়ী হয়। আল্লাহই বিশ্বাস স্থাপনকারীকে সরল পথ প্রদর্শন করেন। সূরা হাজ্জ-২২: ৫২-৫৪, মদীনায় অবতীর্ণ।
শয়তান যদি সেটা করতে পারে তাহলে তো বলতে হবে শয়তান আল্লাহর চাইতেও শক্তিশালী।
খানে আরও একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য করতে হবে। সেটা হলো- কোরান কতটা এলোমেলো ভাবে বর্নিত অথবা সংকলিত করা হয়েছে অর্থাৎ কোন সামঞ্স্য এতে নেই। শয়তানের আয়াত যা ৫৩ নং সূরা যা মক্কাতে অবতীর্ণ অথচ সে সম্পর্কিত সান্তনা সূচক আয়াত হলো ২২ নম্বর সূরায় যা নাকি আবার মদীনায় অবতীর্ণ।
কোরানের মধ্যে এত গোলমাল আছে তা অতি ধৈর্য ও মনযোগ সহকারে না পড়লে বোঝাই যায় না। বলাবাহুল্য, মক্কায় অবতীর্ণ সূরা আগে অবতীর্ণ, আর মদিনায় অবতীর্ণ সূরা পরে অবতীর্ণ। সে হিসাবে ৫৩ নং সূরা ২২ নং সূরার আগে থাকা উচিত আর তাহলেই কোরান পড়ে বুঝতে সুবিধা। কিন্তু এখানে উক্ত সকল আয়াত একই সূরাতে থাকা উচিত , তাহলে পরিস্কার ভাবে সব কিছু বোঝা যায়, কোন অস্পষ্টতা থাকে না। এখানে যে ভাবে ভিন্ন ভিন্ন সূরা সাজানো হয়েছে একই ঘটনার প্রেক্ষিতে কার বাপের সাধ্য তা বুঝবে ?
অর্থাৎ যয়নব একটু নিমরাজি হওয়ার সাথে সাথেই আল্লাহ সেকেন্ডের মধ্যে ওহি পাঠিয়ে দিলেন ও যে কাজ ইসলামে প্রচন্ডভাবে নিষেধ সেই কাজ নিজেই করলেন, তা হলো- কোন নারী একা গৃহে থাকলে তার ঘরে প্রবেশ করা যাবে না। গৃহে প্রবেশ করলেন তাও বিনা অনুমতিতে। অথচ তখনও মোহাম্মদের সাথে যয়নবের বিয়ে হয় নি।
আবু কুরাইব মুহাম্মদ ইবনে আলা বর্ণনা করেছেন—- আয়শা বলেন যে মহিলারা রাসূলুল্লাহ এর স্ত্রী হওয়ার জন?যে গায় পড়িয়া আত্মনিবেদন করত তাদের নির্জলজ্জতার কারণে আমি বিস্মিত হতাম এবং বলতাম যে কোন নারী কি এভাবে আত্ম নিবেদন করে ? এর পর আল্লাহ নাজিল করলেন এ ওহী- আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। সূরা আল আহযাব, ৩৩:৫১, মদীনায় অবতীর্ণ। আয়শা বলেন এই আয়াত নাজিল হলে আমি বললাম , আল্লাহর কসম, আমি তো দেখতেছি আপনার প্রতিপালক আপনার ইচ্ছা পূরণ করতে সাথে সাথে সাড়া দিয়ে থাকেন। সহি মুসলিম, হাদিস-৩৪৫৩
তাহলে এখন প্রশ্ন আসে , মোহাম্মদ কোন আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মেনে নিচ্ছেন? মোহাম্মদ স্পষ্টতই পৌত্তলিকদের আল্লাহকে স্বীকার করে নিচ্ছেন। তবে পৌত্তলিকরা যেমন বিশ্বাস করত আল্লাহর তিনটি কন্যা লাত , উজ্জা ও মানাত আছে, মোহাম্মদ সেটাকে বর্জন করে সেই পৌত্তলিক ধর্মকেই একটা একেশ্বরবাদী রূপ দিয়েছেন।
আমি আপনার প্রতিটি কথার জবাব দিবো ও কোরানের দৃষ্টিতে সত্য প্রমান করে দিবো।তার আগে আপনি বলবেন।আপনার কি শুধু মহাম্মদকে নবি ও কোরানকে আল্লাহ হতে নাযিলকৃত কিতাব মানতে সন্দেহ?নাকি ইসা ও ইঞ্জিল মুসা ও তাওরাত, যব্বুর দাউদ কে ও আল্লাহ হতে নাযিল ও নবি মানতে সন্দেহ হয়?
হাজি সাহেব।।
ইসলাম বরাবরই খোলস সর্বস্ব একটা ধর্ম,শুধু ইসলাম না,সব ধর্মই,কিন্তু ধর্ম নিয়ে মুসলমানদের লাফালাফিটা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেশি। অথচ তাদের ধর্মগ্রন্থ হাজার রকমের ত্রুটিতে ভরপুর যা সাদা চোখেই চোখে পড়ে
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
স্বচ্ছ দিগকে অ-স্বচ্ছের দৃষ্টিতে মাত্রাতিরিক্ত লাফালাফি মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ কোরানের কি কি ত্রুটি আপনার চোখে ধরা পড়েছে।দু -একটি তুলে ধরুন।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
উক্ত উপমা বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মূলত: বিশ্বাসীদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারনেই অবিশ্বাসীদের মাঠে আগমন।
আমার নিবন্ধগুলো পড়লেই দেখবেন কোরানের মধ্যে কত ত্রুটি। এছাড়াই আবুল কাশেম, আকাশ মালিক, সৈকত চৌধুরী এদের লেখাও পড়তে পারেন। তারপর আসেন ।
@ভবঘুরে,
সঠিক নয়।স্বচ্ছতা দিয়ে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া এবং বাহবা পাওয়া দেখে। অ-স্বচ্ছ হিংসুকেরা তা সহ্য করতে না পেরে বেশি লাফা লাফির কুৎসা রটনা করে ।
অল্প যে টুকু পড়েছি,তার সবই মনগড়া ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে মনে হয়েছে। আগামিতে সবই ধিরে ধিরে তুরে ধরার চেষ্টা করবো।
হাজি সাহেব।
ভাই কয়েকটা ভুল একটু বর্ণনা করেন আমরা উপকৃত হই।
মুহাম্মদকে নিয়ে বেশ কদিন পড়াশোনা করার পর অবশেষে আপনার বিখ্যাত সিরিজ পড়া আরম্ভ করছি(এখন চরিত্রগুলো বুঝতে খুব সহজ হচ্ছে)। প্রথম পর্ব চরম লাগলো। শেষ পর্বে আরেকটা কমেন্ট করবো। :))
মন্তব্য সেকশনের মাঝামাঝি জনাব হ্যাচ্চু’র বক্তব্য পড়ে একটা ব্যাপার মাথায় এল। ঊনি বলতে চাচ্ছেন আমরা মুক্তমনায় ধর্মের তাত্ত্বিক দিকের সমালোচনায় পড়ে থেকে ভুল করছি। দেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করতে হলে গ্রাম পর্যায়ে ধর্মের উপর আর্থ-সামাজিক নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই তা করা সম্ভব। লেখকের বক্তব্য আপাত দৃষ্টিতে উড়িয়ে দেওয়ার মত নয় (যদিও এই আর্টিকেলের আওতা সেটা নয়, এবং আমার ধারনা মুক্তমনায় ওইরূপ ব্যবহারিক বিষয়েও প্রচুর আর্টিকেল আছে) কিন্ত আমার পয়েন্ট হল, সাধারন মানুষকে নাহয় বিজ্ঞান বা যুক্তিবিদ্যার কচকচানি দিয়ে প্রভাবিত করা যাবেনা, কিন্তু এটা তো ঠিক যে কোরানের বিশ্বাসযোগ্যতার একটা বিশাল ভিত্তি হল এর আলৌকিকত্ব, এবং নির্ভুলতা। এই আর্টিকেল এ কিন্তু আমরা দেখলাম লেখক কোরানের আয়াত দিয়েই শুধু সাধারন জ্ঞান ব্যবহার করে সেগুলোর অসারতা প্রমান করলেন। এর একটি মাত্র প্রমানই কি পুরো কাল্ট টার ভিত্তি নাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ঠ নয়?
এটা ঠিক নেট এ শুধু মধ্যবত্ত শিক্ষিত শ্রেনীই পদচারনা করে, গ্রামের জনগোষ্ঠি নয়, কিন্তু আমাদের দেশে গ্রামের অশিক্ষিত সরলমনা ধার্মিকের থেকে শহুরে ‘ইসলামিক’ সায়েন্টিস্ট বা হিজাবি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাঙ্কাররা যে অনেক বেশি ক্ষতিকারক সেটা অনস্বীকার্য। এদের বোধদয় হলে সেটাও একটা কম পাওয়া হবেনা! আমার মত হল দুটো কাজই পাশাপাশি করা দরকার, একটা আরেকটির পরিপূরক তাই উভয়েরই দরকার আছে।
এখানে জনাব হ্যাচ্চুর বক্তব্যে একটা সুক্ষ ষড়যন্ত্রের গন্ধ ও আছে। এটা অতি পুরাতন ছাগু টেকনিক — বেগতিক দেখলে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া। ওনারা ভাল করেই যানেন কোরানের দুর্বলতা গুলো কোথায়, তাই যখন এই বিষয়ে বেশি বিশ্লেষণ চলছে, তখন ওনারা বলবেন হাটে মাঠে ঘাটে ধর্ম ব্যবসার দিকে নজর দিতে। আবার তা করা হলে তখন আবার এসে বলবেন মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন কেন? পারলে কোরানের ভুল দেখান! আমরা পিং পং বলের মত এদিক ওদিক করি আর ওনারা আরো কিছুদিন তাসের ঘরে বসে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়ার সুযোগ পান আর কি!
@আশরাফ হালিম,
এই তো থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে।মোট কথা ইসলাম ভালো বা মন্দ এটা বিবেচ্য নয়।বিবেচ্য হলো,ইসলামকে নির্মূল করা।যুগে যুগে মিথ্যা সত্যকে সহ্য করতে পারেনি।কারণ ,মিথ্যার যতই ক্ষমতা থাকুক না কেন সত্যের কাছে তার মাথা নিচু হয়ে থাকে।তাই মিথ্যা সত্যকে ধংশের জন্য যুগে যুগে চেষ্টা করেছে।কিন্তু মিথ্যা সত্যকে নির্মূল করতে পারে নি ,বরং মিথ্যা ক্ষমতাধর হয়েছে কিন্তু সত্যের কাছে তার মাথা নতই থেকেছে আদিকাল থেকে এপর্যন্ত।তবে চেষ্টা করতে বাধা কি?ইসলাম বা শান্তি নির্মূলে চেষ্টা চালিয়ে যান।তবে সৃষ্টি শান্তি বা ইসলামের পক্ষে চিরকাল ছিলো আছে এবং থাকবে।সৃষ্টির মুষ্টিমেয় কিছু অশান্তি প্রিয়,তারাই বিশ্ব অ-শান্তি সৃষ্টি করে ক্ষণিকে ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে।
এরা করবেই ।তাতে ইসলামে বিন্দু মাত্র ক্ষতি করতে পারবে না।
হাজি সাহেব।
@হাজি সাহেব,
আপনার সাথে একমত মিথ্যা কখনো সত্যকে নির্মূল করতে পারে নি। ইসলাম যদি সত্য হয় একে নির্মূল করতে পারবে না কেউ। তবে ইসলামকে প্রকৃতপক্ষে অতীতে তেমন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় নি কোন দিন বর্তমানে যেটা হচ্ছে। অন্যান্য ধর্মগুলি সে পরীক্ষা অনেক আগেই দিয়ে ফেল করে এখন মেরুদন্ডহীন হয়ে গেছে। ইসলাম প্রকৃত কোন পরীক্ষায় না পড়াতে এটা এখনো শক্তিশালী রয়ে গেছে। একটা ব্যপার নিয়ে ইসলামিস্টরা খুব গর্ব করে। সেটা হলো- পশ্চিমাদের অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করেছে। আসলে এটাই হয়েছে ইসলামের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর। যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে তারা আবেগ বা ঝোকের মাথায় তা করে যখন ইসলামের আসল রূপ জানতে পেরেছে অধিকাংশই ইসলাম ত্যাগ করেছে, এর পর মূলত : এরাই সর্বপ্রথম ইসলামের আসল চেহারা সাধারণ মানুষের গোচরে এনেছে। তারপর ইসলামিষ্টদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি, ইসলামি জঙ্গীত্বের আবির্ভাব- গোটা দুনিয়ার নজর কাড়ে, অত:পর সত্যি সত্যি মানুষ ইসলাম জানার ব্যপারে আগ্রহী হয়, অনেক পন্ডিত ও জ্ঞানী গুণী কোরান হাদিস ও ইসলাম জানতে আগ্রহী হয় এবং এর ফলেই আস্তে আস্তে থলের বেড়াল বের হতে থাকে। আর তারই একটি ক্ষুদ্র অংশ এসব নিবন্ধ। সুতরাং ভাইজান, ইসলাম সত্য ধর্ম হলে আপনার তো চিন্তার কারন নেই। তাই না ? এটা টিকে যাবে।
কবে চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হল ভাইজান? মনে করতে পারছিনা। একটু মনে করিয়ে দিলে উপকৃত হতাম :-s
এই লিংক দিয়েই প্রমান করলেন যে আপনার নিজের মাথার গোবর আপনার পরিষ্কার করা দরকার। ইউটিউবে কত ভাবে ভিডিও এডিট করে পোষ্ট করা যায় এই সোজা কথাটা বুঝার মতো সামান্য বুদ্ধিও কি আপনার আল্লাহ আপনাকে দেননি? বিশ্বাস করেন, অনেক গর্ধভ এখানে আসে, কিন্তু আপনার মত এত বড় মাপের গর্ধভ যে আছে, এটা এই প্রথম জানলাম। যাক ধন্যবাদ একটা নতুন অভিজ্ঞতা হল :hahahee:
@অচেনা, কবে চন্দ্র ২ ভাগ হইছে এইটা যদি না জানেন আপনি যে নাস্তিক এখন আমার অবিশ্বাস হইতাছে ।। আপনাদের মত কিছু নাস্তিক বলছে যারা চাঁদে নিজের ছখে দেখছে ।। আর ভিডিও এডিট করা যায় বুঝলাম কিন্তু আমি যেই লিঙ্ক টা দিছি ঐটা যে এডিট করা একটু প্রমান দেন দেখি ?
@ইসলাম,
ওটা যে এডিট করা সেটা প্রমানের দায়িত্ব আমার না, বরং ভিডিওটা যে এডিট করা না সেটা প্রমাণের দায়িত্ব আপনার। কারণ লিঙ্কটা আপনি পোষ্ট করেছেন, আমি না।
আরেক টা জিনিষ দেখে বরই অবাক হইলাম মুক্ত মন নাম দিয়ে কাজ করেন তার ঠিক উল্টো টা ।।
পোস্ট করার পর দেখবেন সেই পোস্ট আপনাদের অসৎ উদ্দেশ্য নষ্ট কারি কিনা…জদি আপনাদের তেল মারা পোস্ট হয় তবে পোস্ট ওপেন করবেন নইলে ডিলেট ।। বাহ বাহ বাহ বাহ বাহ…
আপনারা যেই পথে হাটতেছেন ঐ পথে মাস্টার আমি ।।
@ইসলাম,
পোস্ট করার পর দেখবেন সেই পোস্ট আপনাদের অসৎ উদ্দেশ্য নষ্ট কারি কিনা
অনেকেরি অনেক মন্তব্য দেখলাম… আর লেখক ভালো মাধুর্য বেবহার করলেন লেখার মদ্ধে…ভাল চেষ্টা … করতে থাকেন হয়তো আল্লাহ্ চাইলে ভালো ফলন পাবেন ।।
আমার ১ টা প্রশ্ন ঃ- আমাদের রাসুল(সঃ) যদি মিথ্যা ভণ্ড হয়ে থাকেন তবে চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হইছে এইটাও কি মিথ্যা বলবেন ।।
অথচ এইটা আপনাদের পূর্ব পুরুষ অর্থাৎ আপনাদের মত কোন নাস্তিক ধারা প্রমান করা ।।
কার বাবার সাধ্য আছে আঙ্গুলের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত করবে পারলে উত্তর দেবেন ?
আপনারা আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব অস্বীকার করছেন তবে ১ টা শিশু বাচ্চা কি ভাবে জন্মের ৪০ ঘণ্টার মদ্ধে আল্লাহ্ আল্লাহ্ বলে চিৎকার করতে পারে নাকি বলবেন ও আল্লাহ্ বলে নাই বলছে মা দুধ দে মা দুধ দে…বলতেও পারেন আপনাদের দিয়ে সব কিছুই সম্ভব ।।
লিঙ্ক দিলাম দেখেন আর মাথার গবর পরিষ্কার করে ভালো ভাবে চিন্তা করেন সত্যি কি আর মিথ্যা কি ?
httpv://www.youtube.com/watch?v=11VnyKaxhV4&feature=related
বুদ্ধিমানরা অল্পতে বুঝবে আর বেকুব বুঝবে অনেক দেরিতে…আশা করি এখানে সবাই অল্পতেই বুঝবেন…না হলে বুঝে নেব আপনারা কি :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@ইসলাম,
বুদ্ধিমানরা অল্পতে বুঝবে আর বেকুব বুঝবে অনেক দেরিতে…আশা করি এখানে সবাই অল্পতেই বুঝবেন…না হলে বুঝে নেব আপনারা কি :hahahee: :hahahee: :hahahee:
জিনিসটা ঠিক বুঝলাম না। :-s কিছুদিন যাবত “ইছলাম ব্যাশিং” নামে একখান রব উঠেছে ।একজন পাঠক “অনামী” তিনিও এই দাবি করছেন !! যাই হোক জার্মানীর প্রাচীরের মতো কোন কিছু যদি মানব জাতির একতার পথে বাধা থাকে তার মধ্যে ইসলাম অন্যতম ।এখন যদি ইসলাম ব্যাশিং লেখাও লেখা হয় তাতে তো দোষের কিছু দেখি না । আর ইসলাম ব্যাশিং যদি মানবজাতির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় ;-( তবে যারা এই দাবি করছেন তাদেরকে কারণ গুলো দেয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি ।
** ইয়ে বলতে ভুলে গেছি দুই জার্মানির ঐক্যের প্রয়োজনে(যদিও তারা আগে একই ছিল !! ) জার্মানির প্রাচিরখানা ভাঙ্গি ফেলা হইসে । এখনও গেলে তাহার নিদর্শন দেখা যায় । 😉
?(গম্ভীর স্বরে) লেখাটিতে যথেষ্ট ইয়ের(?) অভাব আছে । আরেকটু ইয়ে থাকলে ভালো হতো । যদিও বাংলাদেশ খারাপ খেলছে তবু লেখাটিতে কিছুটা তার ঘাটতি ছিল ।আশা করা যায় পরবর্তীতে লেখাতে আরও আপডেট থাকবে । :-X
@অগ্নি,
সত্য প্রকাশের সময় অনেকেই অনেক কথা বলবে, পাগল ছাগলের কথা মোটেই ধরতে নাই।
অসাধারণ লিখেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানেন?আজ ক্যাথলিক চার্চ ঘোষণা করে যে মুসলিম রা ক্রিস্টিয়ান দের মত একই ঈশ্বরের পূজারী। শুধু তারা গড দি হলি ফাদার এর পুজা করে,ইহুদিদের মত।আর ক্যাথলিকরা তো বোঝেনই। পোপ যদি নিজের মুত্র কে পবিত্র পানি বলে( অনেকটা মুহাম্মদের উটের মুত্র পানের মত ) দাবি করে,তবুও কাথলিক রা মনে করবে যে গড দি হলি স্পিরিট ই এটা বলেছে; যেহেতু পোপ যখন নতুন নিয়ম জারি করে, তখন নাকি সে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই এরর মুক্ত থাকে হলি স্পিরিট এর প্রভাবে।এটাই হল পাপাল ইনফ্যালিবিলিটি।আর ক্যাথলিক রাই সংখ্যা গুরু খ্রিস্টান সম্প্রদায়।আচ্ছা, এরাও কি মুসলিম হয়ে গেল নাকি?শুধু জিহাদ তত্ত্ব কে অস্বীকার করা মুসলিম?খুব মন খারাপ লাগে এদের কথা বার্তা শুনলে।আসলে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। এটাই আসল কথা। ইসলাম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে খ্রিস্ট ধর্মের ছত্রছায়ায়, আর এখনো নিরব সমর্থন পেয়ে চলেছে। 🙁
@অচেনা,
ক্যথলিক চার্চ এখন পশ্চিমাদের রাজনৈতিক মুখপাত্র। সুতরাং উপরের বক্তব্যে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। এটা হলো ইসলাম অনুসারীদেরকে সামান্য শান্তনা প্রদান। কারন গোটা ইসলামী বিশ্বে যে টালমাটাল কান্ড শুরু হয়েছে, সে প্রক্ষিতে তারা উক্ত বক্তব্য প্রদান করেছে সামান্য শান্তনা হিসাবে।
@ভবঘুরে, কি জানি হতে পারে।
@ভবঘুরে,
এইখানে যান।দেখবেন যে অনেক কাথলিক কিভাবে মরিয়া হয়ে আছে এই থিওরি প্রমান করতে। সার্চ করতে থাকেন। দেখবেন অসংখ্য থ্রেড আছে, ক্রিসটান আর মুসলিম রা একই গড এর পুজা করে কিনা।
@মাহবুব সাঈদ মামুন
অসংখ্য ধন্যবাদ (F)
@ami amar,
আপনাকেও ধন্যবাদ যে ইতিমধ্যে বাংলা টাইপে লেখা শুরু করে দিয়েছেন।
ওহে আরেকটি কথা, যদি নিজের আই,ডি নামটাও বাংলায় রূপান্তর করতেন তাহলে আরো সুন্দর দেখাত।আশা করি তা ঠিক করে নিবেন।
(F)
আরেকটা প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন আসতে পারে যে, আমরা জানি নবী মুহম্মদের পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা। মুজম্মদ পৃথিবীতে আসার আগে ত ইসলাম ছিল না, তাহলে, মুহম্মদের পিতা আল্লাহর বান্দা বলতে কার বান্দা ছিল ? আর আল্লাহ শব্দটাই বা জানল কিভাবে যিনি আব্দুল্লাহর নাম রেখেছিলেন। তারা ত তখন মূর্তি পূজাই করত। তাহলে এটা ত স্বাভাবিক ভাবেই মনে আসে যে, আল্লাহ হয় ত কোন মূর্তিরই নাম ছিল। আর যদি আল্লাহ তখন কোন মূর্তির নাম না হয়ে কোন একেশ্বরের নাম হত, তাহলে কি মুহম্মদের পরিবার সেই রকম নাম রাখত যেখানে তারা একেশ্বর বাদী ছিল না। এই খানেও আমার কাছে মনে হয় একটা খটকা রয়ে যায়।
@এমরান এইচ,
আপনি যথার্থই বুঝতে পেরেছেন। আপনি দারুন বুদ্ধিমান মনে হচ্ছে।সহজ লজিকেই বিষয়টি যে কারো অতি সহজেই বোঝার কথা। কিন্তু আমাদের মুসলমানদের ব্রেইনে কোন লজিক কাজ করে না। তারা তাদের ব্রেইন ও লজিক সৌদির মরুভূমিতে বন্দক দিয়ে কল্পিত এক তথাকথিত বেহেস্তে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। আপনি আর একটু ভাল করে খোজ খবর নিন। দেখবেন এ আল্লাহ হলো প্যগানদের প্রধান দেবতার নাম- বাকী সব দেবতারা এর অধীনস্ত, অনেকটা হিন্দুদের দেব দেবীদের মত। আর হ্যা, আপনি হয়ত এ দেবতার নামটিও পেয়ে যেতে পারেন- তার নাম চান্দ্র দেবতা বা মুন গড।
ভবঘুরে, আমি আপনার লেখার একজন ভক্ত হয়ে গেছি, আপনার লেখা দেখলেই ভাল লাগে। এই সিরিজ টি শেষ হলে, আপনার আগের যে “মোহাম্মাদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র” সিরিজ টি ছিল, দুটো এক করে একটা ই-বুক বানানোর দাবি জানাচ্ছি।
@এমরান এইচ,
ধন্যবাদ আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। আমি আসলে কিভাবে ই বুক তৈরী করতে হয় সেটাই জানি না। কম্পিউটারে আমার দৌড়, টাইপ করা ও ইন্টারনেট ব্রাউজ পর্যন্তই সীমিত। আপনি বা কেউ যদি মনে করেন, তারা করতে পারেন ,আমার কোন আপত্তি নেই। আমি কোন নামকরা কিছু হতে চাই না, অন্তরালে থেকে যেটুকু পারা যায়, দেশ ও জাতির তথা মানব সভ্যতার সেবা করতে চাই।
@ভবঘুরে,
ই-বুক নিয়ে আপনাকে মাথা ঘামাতে হবে না। আপনি আপনার মত করে লিখে যান। মুক্তমনার তরফ থেকে আমরাই ওটা তৈরি করে দেবো।
এটা আপনার সেরা লেখাগুলোর অন্যতম। আশা করছি যে, মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্রের মতই আকর্ষণীয় হবে এই সিরিজটাও। ধর্মের সমালোচনার ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক মনোভাবের চেয়ে নির্মোহ আচরণ অনেক বেশি জরুরী। সেই দিকটাতে নজর দিয়েছেন বলে বড়সড় একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার।
খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। ভাল লেগেছে অকাট্য যুক্তির কারনে। এখানে বিশ্বাস সম্পর্কিত অনেক লেখা আসে যেগুলো বেশ আবেগ তাড়িত, কিন্ত এই লেখাটা মোটেই তা নয়। তাই নিজে পড়েছি এবং অন্যকেও পড়িয়েছি। ধন্যবাদ ভবঘুরেকে।
হ্যাঁ ভাই, প্রতিটি ধর্মই তো প্রকান্ড মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। মোহাম্মদ যেমন হেরা গুহায় অর্থাৎ নির্জনে বসে চিন্তা-ভাবনা করতো তখন যেমন ওহি আসতো, ঠিক তেমনিভাবে মুসা (সামান্য মেষপালক ছিলো) যখন ভেড়ার পাল নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে নির্জন এক পর্ব্বতে কাছে গিয়েছিলো, তখন ঝোপের মধ্যে এক অগ্নিকান্ড দেখতে পেয়ে আশ্চর্য হয়েছিলো, কারণ ঝোপের মধ্যে আগুন জ্বলছে কিন্তু কিছুই পুড়ছে না! মুসা ঝোপের আরে কাছে গেলে ঈশ্বর তাকে ডাক দিয়ে বলেছিলো, মুসা তোমার পায়ের জুতা খুলো, কারণ এ স্থান পবিত্র। এরপর… ঈশ্বর তাকে ইস্রায়েল জাতিকে মুক্তি করার জন্য নিয়োগ দিলো… নবী হলো… তার কাছেও ওহি আসতো… সরাসরি ঈশ্বরের সাথে কথা বলতো… ইত্যাদি। ঈসার নবী হওয়ার ব্যাপারটা একটু অন্যরকম তার কাছে কোন ওহি আসতো না, তিনি ওদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে ছিলো, তিনি বলতেন আমাকে যে দেখেছে পিতাকেও (ঈশ্বরকে) সে দেখেছে, আমি ও আমার পিতা এক। তার শিষ্য ও অনুসারীদের তিনি শিা দিতেন, “আমিই সত্য, পথ ও জীবন। আমা দিয়া না আসিলে কেহই পিতার (ঈশ্বরের) নিকট আইসে না।” ধর্মপুস্তক অনুসারে অন্যসব নবীদের চেয়ে ঈসা ছিলো সবচেয়ে পরাক্রমশালী (যদিও বানোয়াট)। তিনি ফুঁ দিয়ে অন্ধকে চুদান করতো, মাটির পাখি বানিয়ে জীবন দিতো, ডাক্তারি না জানলেও অসুস্থ্যকে সুস্থ করতো, লাসার নামে মৃত এক ব্যক্তিকে তার কবরের কাছে গিয়ে ডাক দিয়ে জীবিত করে বের করে এনেছিলো, সবচাইতে আশ্চর্য নিজে ক্রুশে মরে তিনদিন পর পুনুরত্থিত হয়েছিলো। যাকগে, এসবই ভাওতাবাজি।
@কফিল কাঙ্গাল,
এজন্যই তো খৃষ্টানরা মনে করে যীশু স্বয়ং ঈশ্বর ।
Hi Moderator, I am new in this site and this would be my first comment for this topic. I sincerely apologies for not sending the comment in Bengali as I still dont know how to type Bengali but hoping to cope up as soon as possible.
comment: While reading this topic written by Vobogure, is just excellent. (Y) When I saw a line
“ফিরাউনের উপর তো আল্লাহ পরীক্ষা করতে পারে না কারন তার হৃদয় তো এমনিতেই পাষাণ।” thought of sending a relevant link (not quite though) but what Islam think of Ferauun. I was just laughing after watching this video and like to share with all of you.
thank you in advance and again apologies for not being able to comment in Bengali.
Regards,
Ami amar
@ami amar,
কিভাবে বাংলায় লিখতে হয় এখানে ক্লিক করে জেনে নিন। আর নীড় পাতার প্রথম পেইজের উপরের মধ্যে <em>”সহায়তা”</em> নামের শব্দটির উপর ক্লিক করলে অনেক নিয়মকানুন জানতে পারবেন।
মুক্তমনায় স্বাগতম।
(F)
@ami amar,
আপনি অতি সহজেই বাংলা টাইপ করতে পারবেন যদি ইচ্ছা করেন।
@ভবঘুরে,
খুব ভাল লিখেছেন । অনেক কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ :guru: :guru:
পেছনে টেনে ধরবার লোক সব সময়, সব সমাজে ছিল, আছে, থাকবে। কিন্তু ভবঘুরে যে ভাবে এগুতে চাচ্ছে, তাকেও কেউ কেউ থামাতে চাইবে, থেমে গেলে আমরা তো সেই দাসযুগেই পড়ে থাকতাম। অগ্রসর মানুষ থামতে চায়নি বলে, ইতিহাস পাল্টেছে, পাল্টাবে।
@স্বপন মাঝি,
আমি আসলে অত শত চিন্তা করে লিখি না। আমি আমার দেশের ও জাতীর দারিদ্র ও অনগ্রসরতার কারন খুজতে গিয়ে অবশেষে এ প্রতীতি জন্মাল যে ধর্ম অর্থাৎ ইসলামই এর মূল ও আদি কারন। অন্যান্য কারনগুলো এ ধর্ম থেকেই উৎসারিত। অত:পর মাতৃভাষায় কোরান, হাদিস এসব পড়ে দেখলাম ইসলামের ভিত্তি বড়ই দুর্বল, যা আগে বোঝা তো দুরের কথা কল্পনাই করিনি। তার চেয়ে আশ্চর্য হলাম এটা দেখে যে আমাদের দেশের ৯৯% মুসলমানই শুনে মুসলমান, কেউ মাতৃভাষায় কোরান হাদিস পড়েনি, মসজিদ আর ওয়াজ মাহফিলে ইমাম মওলানারা যা বলে তাই চোখ বুজে বিশ্বাস করে শিক্ষিত অশক্ষিত নির্বিশেষে। বিষয়টা নিজেকে ভীষণ পীড়া দেয়। আর বিষয়টাও এমন যে প্রকাশ্যে এটা নিয়ে কথা বলা মারত্মক রকমের বিপদের ব্যপার, তাই অগত্যা ইন্টারনেট জগতে ঢুকে পড়া। উদ্দেশ্য অতি পরিষ্কার। যদি এর মাধ্যমে দু একজনের ঘুমও ভাঙ্গানো যায় সেটাই আমার মহা তৃপ্তি।
আপনাদের উৎসাহ আমার জানার গতিকে আরও বেগবান করেছে। ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
এভাবে বললে কেউ যদি আপনাকে প্রশ্ন করে, ইসলাম পূর্ব বাঙলায় কি অভাব-অনটন-শোষণ-নিপীড়ন-নির্যাতন ছিল না? ছিল । তাই একে মূল কারণ না বলে, বলা যায় সহায়ক, নিয়ামক নয়। তবে কখনো কখনো এ সহায়ক শক্তি, নিয়ামক শক্তিকেও প্রভাবিত করে। আর করে বলেই নিয়ামক শক্তিগুলো সহায়ক শক্তির শেকড়ে জল ঢালে।
তো শেকড় কাটার কাজে অনেকে এগিয়ে আসছেন, আসাটা নানাভাবে, নানা পথে ও মতে। এখানে মতান্তর নয়, দরকার মতৈক্য।
@স্বপন মাঝি,
মতৈক্যটা কি সাংগঠনিক ভাবে করবার কথা বলছেন? মৌলবাদীরা কিন্তু ৩ যুগেরও বেশী সময় ধরে কূপরিকল্পিত ভাবে নিজেদেরকে সংগঠিত করে আসছে। মূলভিত্তি ও অস্ত্র; ধর্ম। একারনেই ছদ্দবেশী প্রগতিশীলরা, সময় সুযোগ বুঝে নিজেদের এগ্নস্টিক বলে পরিচয় দিয়ে পার পেতে পারে আর হাচ্চির সাথে অনায়াসে ধর্মীয় বিষ বিজানু ছড়াতে পারে। মন খুলতে চাওয়া মানুষদেরকে সহজেই বিভ্রান্ত করতে পারে।
আমাদের অনেক আশা ভরসা এখনও তৃনমূল পর্যায়েই বলে মনে করি। নতুন প্রজন্মও আশার আর একটা যায়গা। এসব যায়গায় অবিরাম কাজ করা দরকার।
@কাজী রহমান,
ভাল কথাগুলো তো কেউ কেউ বলেন। কিন্তু সে কথাগুলো যদি আড্ডার চার দেয়ালে আটকে থাকে, তো বিশ্বাসীদের বাড়-বাড়ন্ত।
যথার্থ বলেছেন।
সূরা না আয়াত?
@কাজী রহমান,
আরে ভাই , যাহা লাউ তাহাই কদু। ওটা হালকা ভুল, কিন্ত তাতে কারো বুঝতে অসুবিধা হয়েছে বলে মনে হয় না।
@ভবঘুরে,
চল্ব চল্ব ( মাঝে মইদ্দে হাল্কার মইদ্দে ল্যাং মারা হালাল হুঞ্ছিলাম, হেল্লেগা আরকি) :))
@ভবঘুরে
ধর্মকে হাস্যকর মনে করি বলে যে ধর্ম পেটানো যে কোন লিখাই ভাল লাগবে তা কিন্তু নয়।
আপনার লিখাটি খুব বেশি ভাল লাগল। কারণ…
ওটা ধর্ম পেটানো কোন লিখা ছিলনা। খুব সাবলীল ভাবে তথ্যভিত্তিক লিখার ভঙ্গির কারনে।
লিখা মানেই তো শব্দের বিজ্ঞাপন দেখানো নয়। অনেকেই লেখেন তাদের ভাষা আর শব্দের জ্ঞান কতটা আছে তা জাহির করতে। ও কাজে লিখার মূল বক্তব্যই হারিয়ে যায়। ভালো লাগল সহজ ভাষায় লিখার আসল উদ্দেশ্য ধরে কোন কথাকে জটিল না করে ফেলার জন্য।
অযথা আক্রমনাত্মক কোন ভাব না থাকায়।
কোন রকম আক্রোশ অথবা রাগ ছাড়াই খুব সহজ শান্ত ভাবে জরুরী পর্দা উন্মোচনের কারনে। সত্য ঘটনা যখন গল্প আকারে প্রকাশ পায় তখন তা আরো বেশি আকর্ষনীয় লাগে। আপনার বলার ভঙ্গিটা ছিল একটি গল্প বলার মতন। “তারপর মুহাম্মাদ ওখানে গেলেন, এটা বললেন, ওটা করলেন…” ভেরি ক্যাজুয়াল।
“চর্বিত চর্বণ” কিনা জানিনা। তবে এটা জানি এ লিখাটি হতে আমি যেমন অনেক অজানা কিছু জেনেছি, জানা তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি, তেমনি আমিই একজন অথবা শেষজন নই।
@অনামী
“দুর্বল ও বিক্ষিপ্ত” আদৌ কি লিখাটি, নাকি লিখাটি পড়ে মানসিক অবস্থা?!
@ছিন্ন পাতা,
বুঝলাম না! একটু ব্যাখা করে দেবেন? ধরুণ আমি যদি কট্টর ও অযৌক্তিক একজন কাঠমোল্লাও হতাম, এই লেখাতে আমার কি যায় আসতো? একবার শক্ত করে নিজের মনের জানলা গুলো বন্ধ করে দিলে, বাইরে ঝড় বইছে না রোদ উঠেছে, তাতে কি যায় আসে?
একটা লেখা পড়ে পছন্দ – অপছন্দ ব্যক্ত করতে পারবোনা? ইস্লাম ব্যাশিং লেখা পছন্দ হয়েনি বলে কি আমি হয়ে গেলাম কাঠমোল্লা আর আপনি হয়ে গেলেন সুউচ্চ মুক্ত বিহঙ্গ শ্রেফ লেখককে virtually পিঠ চাপড়ে? এইটা একটু বাল্যখিল্যতা হয়ে গেল না? :))
আপনার অবগতির জন্যে জানাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে একজন নাস্তিক ও অঞ্জেয়বাদি। এবং পারিবারিক সুত্রে বর্ণহিন্দু।
কিন্তু এইগুলোর দ্বারা আমি আমার ভালোলাগা বা খারাপ লাগা নির্ণয় হতে দিই না।
@অনামী,
বাল্যখিল্যতা আমার হয়েছে নাকি আপনার তা যদি বুঝতে অসুবিধে হয়, তো বুঝিয়ে দিচ্ছি।
লিখা পড়ে পছন্দ অপছন্দ ব্যক্ত করতে পারবেন না, এমন মৌলবাদীয় কথা আমার কোন বাক্যে প্রকাশ যে পায়নি তা স্পষ্ট। আপনি পছন্দ অপছন্দ তো ব্যক্ত করেননি। আপনি লিখাটির ভুল ধরেছেন যে এটি একটি দুর্বল এবং বিক্ষিপ্ত লিখা। কোন যায়গায় দুর্বল, কোন কারনে বিক্ষিপ্ত সেরকম কিছুই উল্লেখ করেননি। অথচ, শুধুমাত্র “ইসলাম ব্যাশিং” করেছে বলেই আমি virtually লেখকের পিঠ চাপড়ে প্রসংশা করিনি। আমার ভাললাগার প্রতিটি কারন একটি একটি করে উল্লেখ করেছি। যদি আমার আগের মন্তব্য আবার পড়েন তো বুঝতে পারবেন শুধুমাত্র আমার এ কাজটির জন্য নিজেকে সুউচ্চ মুক্ত বিহঙ্গ ভাবলে ভুল করবোনা।
আপনার প্রতি আমি কোনরকম ব্যক্তিগত আক্রমনই করিনি কারন আমি ব্যক্তিগত আক্রমনে বিশ্বাসী নই। কোন কারন ছাড়াই জানান দিলেন আপনার নাস্তিকতা আর অঞ্জেয়বাদিত্ব। আপনার ভালোলাগা বা খারাপ লাগা কিসে নির্ধারন হয় সে প্রশ্নও করা হয়নি। নিজের ব্যাপারে জানিয়েছেন, সে ভালো। তবে আপনার প্রথম মন্তব্যের কোথায় কিসের অভাব বোধ করা হচ্ছিল ছিল তা যেমন তামান্না ঝুমু বলেছেন, তেমনি এখন আপনার করা পালটা মন্তব্যে আমিও জানালাম। ভালো থাকবেন।
*****আমি চাচ্ছিনা মূল লিখার প্রসঙ্গ হতে সরে গিয়ে এখানে “অনামী” আর “ছিন্ন পাতা” র নরম বাক বিতন্ডার প্রতিযোগিতা হোক। তাই আমার পক্ষ হতে সব কিছু এখানেই ক্ষান্ত দিলাম। ধন্যবাদ।*****
@ছিন্ন পাতা,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে আগে আমি বেশী আক্রমনাত্মক ছিলাম, হয়ত অনভিজ্ঞতার কারনে। এখন তো কিছুটা চালু হয়েছি তাই সব শ্রেনীর পাঠককে বিবেচনা করে আক্রমনাত্মক ভাব যতটা পারা যায় বর্জন করার চেষ্টা করছি।
এক সাধারন ধারনা এই যে ইহুদী, খৃষ্টান এবং মুসলিমরা একই ‘আল্লাহ্’ কে বিশ্বাস করে। কিন্তু ব্যাপারটা আদৌ তা নয়। ইহুদীদের ইশ্ব্রর (God) ‘ইয়াহিয়্য (YHWH)”, খৃষ্টানদের ইশ্ব্র্রর ‘ট্রিনিটি’ (Trinity- God the Father, God the Son, and Holy Spirit) আর মুসলামানের ‘আল্লাহ’-প্যাগানদের প্রধান দেবতার নাম। কুরানেও এর ‘স্পষ্ঠ উল্লেখ’ আছেঃ
“তারা দুনিয়া ব্যপী ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যারা অমুসলিম তাদেরকে ইসলামের ছায়া তলে আনতে চায়।” একটা প্রাসংগিক ভিডিও লিঙ্কঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=S7KSHy34zyY&feature=player_embedded#!
http://www.youtube.com/watch?v=S7KSHy34zyY&feature=player_embedded#!
@গোলাপ,
আপনার বক্তব্য সঠিক আর আমিও কোরান হাদিস সিরাত রাসুলুল্লাহ পড়ে বুঝতে পেরেছি। আশা করছি ২য় পর্বে বিষয়টির ফয়সালা করব। এ ব্যপারে আপনার ভাল রেফারেন্স থাকলে জানাতে পারেন, তাহলে সেটাও সেটে দেবো পরবর্তী নিবন্ধে। ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
এ দুটি সাইট দেখতে পারেনঃ
Jewish God: YhVh
http://www.revelations.org.za/NotesS-Name.htm
http://www.hebrew4christians.com/Names_of_G-d/YHVH/yhvh.html
Christian God: Trinity
http://www.newadvent.org/cathen/15047a.htm
http://bible.org/article/trinity-triunity-god
বরাবরের মতই আপনার এ লেখাটিও খুবই ভাল হয়েছে। (Y) (F)
তা হলে এই সেই সালমান রুসদীর বিশ্ব কাপানো পুস্তক “স্যাটানিক ভারসেস” এত দিন পরে জনাব ভবঘুরের নিবন্ধে বুঝতে পারলাম। তখন এটা কি বস্তু তা জানতামনা। এখনো অনেকে জাননেনা।
ধন্যবাদ ভবঘুরেকে।
কারো সালমান রুসদীর বিশ্ব কাপানো “স্যাটানিক ভারসেস” এর লিংক টা জানা থাকলে দিতে পারেন।
এখন তো অন্য প্রশ্ন ও দেখা দিলঃ
১। এই শয়তানের আয়াত দিয়াই আমরা নামাজ আদায় করতেছি। নামাজ তাহলে ঠিক হওয়ার কথা নয়।
২। এটা পড়িয়া প্রতি অক্ষরের বিনিময়ে ১০ টি নেকী দেওয়ার ওয়াদা নাকি হাদিছে নাকি দেওয়া হয়েছে। শয়তানের এই বাক্য পড়িয়া তা কি পাওয়া যাইবে?
মওলানা সাহেবদেরই এর উত্তর দিতে হইবে।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
উহুঁ, ব্যাপারটা এতো সহজে ছেড়ে দিলে চলবে না; আরো ভালোমতো পাকড়াও করতে হবে। আপনি সম্ভবত কিছু গুরুতর পয়েন্ট মিস করেছেন। ভুলে গেলে চলবে না যে কোরান মোহাম্মদের জন্মের আগেই ‘লাওহে মাহফুজে’ সংরক্ষিত ছিল। মানে, মোহাম্মদের তেইশ বছরে নাজিল হওয়া কোরান কখন,কোথায়, কীভাবে নাজিল হবে- সবই ঠিক করা ছিল। এটা একেবারেই অপরিবর্তনীয়। তাহলে যে কোরান আগে থেকেই আল্লাহ লিখে রেখেছেন সেই কোরানে শয়তান কীভাবে মিশ্রণ ঘটাতে পারে? তাহলে এটা কোরানের বক্তব্যের স্ববিরোধিতা হয়ে গেল না? আল্লাহ অনেক আগে থেকেই জানেন যে ইবলিশ এই কাজটা করতে যাচ্ছে, তাহলে তিনি তাকে রুখেন নি কেন? কেন তার ষড়যন্ত্র বানচাল করে দেননি?
দ্বিতীয় পয়েন্ট- আল্লাহ কোরানেই ঘোষণা দিয়েছেন যে কোরানের আয়াত পালটানো সম্ভব নয়। কিন্তু পরের আয়াতগুলো যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে দেখা যাচ্ছে ইবলিশ তো মোহাম্মদের যমানাতেই এবং তার উপস্থিতিতেই কোরান টেম্পারিং করেছে। ব্যাপারটা মোল্লারা কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?
তৃতীয় পয়েন্ট- যখন মোহাম্মদ আর আল্লাহ দুজনেই জেনে গেছেন যে ইবলিশ একটা আয়াত ঢুকিয়ে গেছে কোরানে, তাহলে সেটা সরানোর ব্যবস্থা কেন করেননি তারা? মোহাম্মদ তখনো জীবিত, এ কাজটা সহজেই করা যেত, কেন করা হয়নি? কেয়ামত পর্যন্ত মুসলিমরা তাহলে শয়তানের দেয়া একটি আয়াত পড়ে যাচ্ছে, আল্লাহর কি কোনো বিকার নেই??
উপরে যেসব মন্তব্যকারী এ প্রবন্ধকে ‘গ্যাজাল’ বলে উপাধী দিয়েছেন তারা দয়া করে এই ক’টা প্রশ্নের জবাব দিন।
@নিটোল,
মূল লেখার উপর আপনার মন্তব্য, খুব ভাল লেগেছে। আমার মনে হয়, আমরা বিশ্বাসটুকু হা্রাতে চাই না। ওটা হারালে যেন সব কিছু অর্থহীন হয়ে যায়। অর্থহীন জীবন কে চায়? তাই আকড়ে ধরার আকুলতা। আবার এ আকুলতাও হয়ে ওঠে পথের কাঁটা। মূলতঃ লড়াইটা চালিয়ে যেতে হলে, তথ্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি, মানবিক পরিবেশ রচনাও জরুরী হয়ে ওঠে।
ধন্যবাদ।
@নিটোল,
এর উত্তর আপনি আমার কাছ থেকে পাবেন।মহামান্য শয়তান আমার একজন অতি কাছের বন্ধু। তিনি আমাকে জানান যে তিনি যখন আদমকে ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশে বেহেস্তে প্রবেশ করেছিলেন তখনি চুপিসারে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কোরানে edit করে নিজের বাণী copy-paste করে দেন। বুড়ো আল্লাহ ও তার রোবট ফেরেস্তারা কিছুই টের পাননাই। এরপর মোহাম্মদকে তিনি যখন জিব্রাইলের ছদ্দবেশে নিজের আয়াত সরবরাহ করেন তারপর আল্লাহ হতচকিত হয়ে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কোরানে চেক করে দেখতে পান যে সেখানেও একই কথা লেখা আছে। জানাজানি হলে আল্লার নিজের সম্মান নষ্ট হবে ভেবে তিনি চুপ হয়ে যান ও ফেরেস্তাদের উপর অকারণে হম্বিতম্বি করতে থাকেন। তবে তার নিজের কোরানে এভাবে পৌত্তলিক দেবদেবীদের স্বীকার করে নেয়া তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলেন না তাই কয়েকদিন পর জিবরাইলকে দিয়ে একটি নামেমাত্র সংশোধন পাঠান। এই হল ঘটনা।
অফ টপিক- মহামান্য শয়তান আমাকে জানান যে লাওহে মাহফুজ আসলে একটি পুরানো আমলের ভাঙ্গাচোরা কম্পিউটার। এই কম্পিউটারের password ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা বাবস্থা এত দুর্বল যে ভিতরে গিয়া তথ্য পরিবর্তন করতে তার ৫ মিনিটের বেশি লাগে নাই। তিনি আরও জানান যে তিনি এই কম্পিউটারে একটি ভাইরাস ছেড়ে এসেছেন যার জন্য কোরানের আয়াতগুলিতে এমন হাস্যকর, অবৈজ্ঞানিক ও অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। তিনি দাবী করেন যে তিনিই ইতিহাসের সর্বপ্রথম computer hacker ও virus designer. কিন্তু আল্লাহ তাকে তার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
@নিটোল,
পরের আয়াত গুলিও কিন্তু বেশ চমকপ্রদ 😛
“আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছে। তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হয় না যতক্ষণ আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা ও যাকে পছন্দ করেন, অনুমতি না দেন। “৫৩: ২৬
“যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাকে নারীবাচক নাম দিয়ে থাকে। “৫৩;২৭
স্পষ্ট বলতেছেন লাত, ওযযা ও মানাত সত্য! তারা ফেরেশতা, কিন্তু নারী না। “কাম” ছাড়া সকল বিষয়ে নারিরা বড়ই অপবিত্র :))
আল্যা মহান দেবতা বটে!!
আল্লাহ যখন পৌত্তলিকদের দেবী ছিলেন তখন তার একটি লিঙ্গ ছিল, তিনটি কন্যা সন্তান ছিল। আর যখন মুসলিমদের স্রষ্টা হলেন তিনি নিজের লিঙ্গ ও সন্তানদের হারালেন। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস!
@তামান্না ঝুমু,
:hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
:lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@আকাশ মালিক,
আরেকটি জিনিস হারিয়েছেন তিনি সেটি হচ্ছে নিজের আকার আকৃতি।:lotpot: :lotpot:
@তামান্না ঝুমু,
না ওর অন্তত দুটা হাত আর সিংহাসনে বসার (আর বদগন্ধ ছাড়ার) জন্য নিতম্ব আছে।
39 আল যুমারঃ 67 তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে।
সূরা আল-হাক্কাহ 69:17 এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে। 😉
@কাজী রহমান,
যার হাত থাকে সে আবার নিরাকার হয় ক্যামনে? মহাবিশ্বের পালনকর্তার আরশ এত ছোট কেন, যা মাত্র আট জন ফেরেশতা বহন করতে সক্ষম?
@তামান্না ঝুমু,
মাসাল্লাহ , কি বলেন ? এক একজন ফেরেস্তার আকার আয়তন সম্পর্কে আপনার কোন আইডিয়া আছে? জিব্রাইল ফেরেস্তার আকার নাকি আসমান আর জমীন পর্যন্ত বিস্তৃত।
@ভবঘুরে,
ইয়ে মানে ফেরেস্তাদের নিয়ে ঠাট্টা করবেন না পি-লি-জ, আল্লা হ পাক ক্ষেপে গেলে কিন্তু আকাশের প্রান্ত ভেঙ্গে আপনার আমার চান্দির উপর ছুড়ে মারবে, চান্দি ফাটায়া ফেলবেঃ
সূরা সাবা, আয়াত ৯ (Saba 34:09)
তারা কি তাদের সামনের ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিলক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খন্ড তাদের উপর পতিত করব। আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। 😕
@ভবঘুরে,
অন্য ফেরেশতাদের আকার আয়তনও কি জিব্রাইলের মত আসমান জমিন পর্যন্ত বিস্তৃত নাকি? তাহলে ত সাতটি আসমান জুড়ে সাত জনের বেশি ফেরেশতা ফিট হওয়ার কথা না! কিন্তু তাদের সংখ্যা যে অসংখ্য শুনেছিলাম!জিব্রাইলের আকার যদি আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত হয় তাহলে ওহী নিয়ে তাকে আসা যাওয়া করতে হতো কেন? এত বড় আকার নিয়ে চলাফেরা করবেইবা কিকরে? ওহী আদান-প্রদানের সময় উপরের অংশ নিচের দিকে আর নিচের অংশ উপরের দিকে করে দিলেই ত হতো।
@তামান্না ঝুমু,
হক কতা হক কতা। হুজুর জিব্রাইলের পাঙ্খাই বা কি দরকার তাহইলে? বিকট শব্দওয়ালা আকাশযানই বা কি দরকার ছিল? আয়তগুলি ফেইক্কা ফেইক্কা ফালাইলেই তো লিলিপুট মহাম্যাডের চান্দির উপর পড়ত। আপ্পসে পাইয়া যাইত……… :))
@তামান্না ঝুমু, আপনি সম্ভবত ভুলে গেছেন আসমান ৭টি।
@তারেক,
না স্যার, আসমান সাতটি নয়। আসলে বৈজ্ঞানিকভাবে আসমান বা আকাশ বলেই কিছু নেই। আকাশ হচ্ছে আমাদের দৃষ্টির প্রান্তসীমা। পৃথিবীতে বায়ুমন্ডল থাকার কারণে এবং শর্ট ওয়েভলেন্থের তথা নীল আলো প্রতিসরিত হয়, সেই কারণে আমাদের চোখে আকাশকে নীল দেখায়। চাঁদে বায়ুমন্ডল নেই, তাই চাঁদের আকাশ কালো।
জোর করে কোরানের আয়াতের আলোকে আকাশকে সাতটা বানালে তো হবে না ভাই। আপনি যদি এটমোস্ফেয়ারিক লেয়ার মিন করে থাকেন সেটাও আসলে সাতটা নয়, প্রিন্সিপাল লেয়ার পাঁচটা (আমার কথা বিশ্বাস না হলে উইকি দেখতে পারেন) –
Exosphere
Thermosphere
Mesosphere
Stratosphere
Troposphere
অন্যান্য গৌন লেয়ারের মধ্যে আছে –
ozone layer
ionosphere,
homosphere and heterosphere
planetary boundary layer
ইত্যাদি।
মনের মাধুরি মিশিয়ে সব জায়গায় ‘সাত’ বানালে তো হবে না।
ভালো লাগলো তার সাথে সাথে মজা ও পাইলাম।
ফেইথফ্রিডমের গ্যাঁজলা(যেখানে বাংলাদেশের ইসলামাধিক্যের দমনে পুরো দেশে বন্যায় ডুবিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবনা আনা হয়েছিলো)টুকু বাদ্দিলে এই চর্বিত চর্বণে আর কি থাকে???
আপনার কি মনে হয় প্যাগান গরিব আরবেরা চতুর্থ শ্রেণীর গাধা ছিলো যে তারা ইসলাম দলে দলে গ্রহণ করেছে ১৪০০ বছর পরে টেররিস্ট হওয়ার আশায়? তাদের স্বার্থ কি ছিল?
ধর্ম সংস্কৃতির একটা অন্যতম উপাদান কেন(এমনকি সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন ইস্টার আইল্যাণ্ডেও যার অস্তিত্ব ছিলো) এই বিষয়ে কোনো ধারনা আছে?
ইসলাম বাদ্দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ও দক্ষিণ এশিয়ায় কোন ব্যবস্থা চালু করা যায় (অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়) সেবিষয়ে কি মগজ কখনো খাটিয়েছেন নাকি ইসলাম ব্যাশিংয়েই পুরোটা ব্যয় করছেন?
মুসলিমরা তো একবইয়েই খালাসত্ব অর্জন করেছেন। তা আপনি এম এ খান, কামরান আর আলি সীনা ছাড়া আর কয় বই পড়ে মুক্তমনত্ব অর্জন করেছেন তা একটু জানিয়ে এই অধমকেও আলোকিত করবেন কি?
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
প্রত্যকটি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর একই জিনিস পড়ানো হচ্ছে। আপনার কী মনে হয়, কারনটা কী?
আপনি তো বলছেন গাধা, আমিতো গাধাও বলি না। ওদের ঐ যোগ্যতাও ছিল না।
আর তাদের স্বার্থের ব্যাপারে বলছি, মালে গনিমত একটা বিরাট লোভ কিন্তু। কী বলেন? :))
যদিও লেখকেই প্রশ্নটা করেছেন তারপরেও আমি একটু নাক গলাই। লেখকের খবর বলতে পারব না, তবে আমি কিছু কিছু জানি। কিন্তু আপনার সাথে একটু মিলাই আসেন। ধরেন আমি জানি না। আমাকে একটু জানান, কেন?
আমাদের বাঙলাদেশে দূর্নীতি সংস্কৃতির একটি বিরাট অংশ। শুধু মাত্র সেজন্যেই আবার বলে বসেন না যেন এটাও দরকারি!!
তা দাদা, আপনি সে বিষয়ে কিছু হেঁচেছেন? আমাদেরকেও একটু দেখান না হাঁচিটা। তবে প্লিজ, একটু আস্তে আর মুখে কাপর দিয়ে নিয়েন। যে পরিমান জীবানু বের হয় জানেনই তো। 🙂
দাদা, আপনি কিভাবে এমন মুক্ত হ্যাঁচ্চুত্ব অর্জন করলেন? কোন বই পড়ে? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্সটা ভালো পড়ায়? দাদা কোচিং কি করতে হয় নাকি নিজে পড়লেই হয়? খরচ কেমন? চাকরি বাজারের চাহিদা? সঅঅঅঅঅঅঅব সময়েই কি মুখে মাস্ক পড়ে ঘুড়তে হয় নাকি মাঝে মাঝে মানে হ্যাঁচ্চু দেয়ার সময় পড়লেই হয়? একটু জানান দাদা। আপনার পিলিজ লাগে।
আপনার বেশ কয়েকটা মনতব্যেই দেখেছি আপনি লেখার বাইরে লেখক কী করেছে তার ফিরিস্তি দেখতে চাচ্ছেন। এ থেকে আমরা মনে হয় দুটো সিদ্ধান্তে আসতে পারি।
নাম্বার ১. আপনি হেঁচে কেশে আকাশ বাতাস কাপিয়েছেন।
নাম্বার ২. অন্যান্য ইসলামিস্টদের মতন আপনারও ঘটনা একই। মানে কিছু না বলতে পেরে হুদাই লাফালাফি।
আমাদের জানান। আমরাও আপনার হ্যাঁচ্চুর সাথে পরিচিত হই।
@সাইফুল ইসলাম,
ওই বেচারাকে এভাবে নাজেহাল না করলেও পারতেন। বেচারা আমাদের আসলে শেখাতে এসেছিল কিভাবে সহি ইছলামি কায়দায় হ্যাঁচ্চু দিতে হয়। এভাবে হ্যাঁচ্চু দেয়াটা সম্পূর্ণ নিরাপদ, এবং পবিত্র গ্রন্থেও এটা উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এর পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। মুক্তমনা কর্তৃপক্ষের জন্য তাই এখন একটা হ্যাঁচ্চু দেয়ার ইমো যোগ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
@অভীক,
হ্যাঁচ্চু আল্লাপাকের তরফ থেকে মানবজাতির জন্য বিশেষ রহমত স্বরূপ। এজন্যে হ্যাঁচ্চু দিলে তার দরবারে শুকরিয়া আদায় করতে হয় , আলহামদুলিল্লাহ ব’লে।
@সাইফুল ইসলাম,
ভেবেছিলাম কড়া কিছু কথা বলবো; পড়ে ভাবলাম থাক, ..ল দিয়া হালচাষ এমনিতেও হবেনা। ইসলামবিদ্বেষীরা কখনো মুক্তমনাও হবেনা।
প্রথমেই বলে রাখি, ঢালাও না বুঝে কারো মন্তব্য কোট করে আগড়ম বাগড়ম বকলেই যুক্তি রিফিউট হয়না। ধর্ম কেন মানবসমাজে আসছে, অরণ্যচারী সম্প্রদায়কে কৃষিভিত্তিক একতায় আনতে এর ভূমিকা কি? সামাজিক আর অর্থনৈতিক উপাদানে কেন এইটা কাজে লাগে এসব না জেনে স্রেফ বকবক বকবক করলে আশেপাশের আর কয়েকজন বিদ্বেষির পিঠ চুলকানি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবেনা। জিহাদী জংগী হইলেঈ তাও ৭০টা হুরপরী পাওয়া গেলেও যেতে পারে; জিহাদী নাস্তিক স্রেফ মানুষের তামাসার পাত্র।
ধর্ম কে সমাজ থেকে বাদ দেওয়ার আগে(হোক তা ইসলাম কি মায়ান) সেই ধর্মের সাথে সমাজের সম্পর্ক নিয়ে জীবনে মাথা ঘাঁটানোর সুযোগ হয়েছে কখনো। স্রেফ ধর্মসঞ্জাত ভিক্ষার টাকা(উন্নত বিশ্বের ডোনেশন) কি পরিমাণ অর্থনোইতিক উৎপাদনে কাজে লাগে জানা আছে? নাকি ধর্ম শুনলেই প্রথমেই পশ্চাতদেশে আগুন ধরে যায়? যে আগুনের আঁচে সমাজ-সংস্কৃতি বেবাক গায়েব হয়ে যায়?
ধর্ম একটা প্রতিষ্টান। ধর্ম মানে আল্লাহ বর্বর, মোহাম্মদ পেডফাইল না। এইটা না বুঝলে ধর্ম আরেকটা তোইরী হবে, ইসলাম বিদ্বেষী ধর্ম। যারা মনেপ্রাণে মানে ও প্রচার করে ইসলাম খারাপ। বাংলাদেশ থেকে একটা ধর্ম বাদ দিতে গেলে সেই ধর্ম কীভাবে এসেছে, কয়টা ধারা, শাখা উপশাখা আছে, ধর্মভিত্তিক রাজনিতি এগুলো নিয়ে জানার চেষ্টা করেছেন কি কখনো?
আর লেখকের লেখা থেকে আলী সীনা, কামরানের বাইরে কিছু পেলে তখন অবশ্যই জানাবো আরো কি কি বই আছে।
বাই দা ওয়ে, আমি এগনোস্টিক।(জাহির করার জন্য না, স্রেফ আপনার আমাকে বিশ্বাসী ভেবে গাদা গাদা কীবোর্ডিক আবর্জনা উৎপাদন কমানোর প্রয়াসে।)
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
আহা আহা থাকবে কেন, আপনার কড়া কথা একটু শুনিয়ে দিয়ে যান। আপনি দেশ উদ্ধার করেছেন ধর্মের সাথে রাজনীতির মিলন চিন্তা করে। আর আপনি কিছু কড়া কথা বলতে পারবেন না?? কী যে বলেন, আমি ওরকম না। আমার মিউ মিউ না শুনে বরঞ্চ ঘেউ ঘেউ শুনতেই ভালো লাগে। আপনি মনের দরজা খুলে হাঁচুন।
তা দাদার অভিজ্ঞতাটা কী ব্যক্তিগত পর্যায়ের?
আর ইসলামবিদ্বেষীর কথা যদি বলেন তাহলে বলব আমি ইসলামবিদ্বেষী। তবে রাজনীতির সাথে ধর্মের মিলন খোজা ঐ মস্তিষ্কে এটা ঢুকিয়ে নিয়েন না যে আমি মুসলিমবিদ্বেষী। একটা বসবাসযোগ্য সমাজের জন্য অন্যান্য ধর্মের মত ইসলামের মৃত্যু কামনা করি। আপনার কথায় বোঝা যাচ্ছে ইসলামের সমালোচনা করলে ধরে নিচ্ছেন মুসলমানদেরকে খারাপ বা মুসলমানদের ধ্বংস কামনা করা হচ্ছে। এটা হয়। বেশী গো-এষনা করলে ওগুলো হয়।
আর মুক্তমনা হবে কিভাবে?? মুক্ত হ্যাঁচ্চু দিয়ে? মুক্তমনা হতে ইসলামবিদ্বেষী হওয়া একমাত্র ক্রাইটেরিয়া নয় এটা জানি। আবার এও জানি যে ইসলামবেদ্বেষী না হলেও মুক্তমনা হওয়া যায় না। কী বলেন দাদা?
কোথায় ঢালাওভাবে কী বলেছি দেখিয়ে দিন। ভবিষ্যতে আর করব না। ল্যাটা চুকে গেল।
খুবি বুঝলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এগুলো যে একেবারেই জানি না তা নয়। কিন্তু আমার ব্যাপারটা এখানে না। এখানে আলোচনা হচ্ছে ইসলামের সমস্যা নিয়ে। সম্পূর্ণ আলোচনাটাই ধর্মের সমস্যা কেন্দ্রিক। এখানে নৃতাত্ব্বিক ব্যাখ্যা কেন দিতে হবে? কেনার পরে ডিম পঁচা পেলে মাথা গরম করে “ডিম আগে না মুরগী আগে” এই আলোচনায় বসতে হবে? লে হালুয়া। তাহলে তো ভালোই। আপনার নাম দেখে আগে আমাকে আলোচনা করতে হবে হ্যাঁচ্চু কী জিনিস? হ্যাঁচ্চু পেছনে বৈজ্ঞানিক কী ব্যাখ্যা থাকতে পারে? মানব জীবনে হ্যাঁচ্চুর উপকারিতা অপকারিতা কী? কী বলেন?
জিহাদী নাস্তিক শব্দবনন্ধটা কী দাদার নিজের দেয়া? দু ছিলিম টেনে বিছানায় গিয়ে স্বপ্নে দেখেছিলান না নামটা?
আপনি কী করে ভাবলেন আমার বা লেখকের এই ব্যাপারে মাথা ঘাঁটানোড় সুযোগ হয় নি??????? মুক্তহ্যাচ্চু দিয়ে???? দাআআআআআদাআআআআআআআআআ, আপনার হ্যাঁচ্চুর তো অনেক পাওয়ার!! সাবাস!
ধর্মসঞ্জাত ভিক্ষার টাকা অনেক আসেতো বুঝলাম কিন্তু তাতে দেশের হল টা কী? ৬৪ জেলায় একই সাথে বোমা হামলা! রমনায় বোমা হামলা!! আত্নঘাতি গ্রেনেড হামলা!!! বাহ বাহ! অর্থের কী চমৎকার ব্যাবহার!!!!
আমার পশ্চাতদেশের আগুনে কোথাকার সমাজ সংস্কৃতি গায়েব হল বুঝলাম না। একটু ঝেড়ে হ্যাঁচ্চু দিন। আপনার হ্যাঁচ্চু শ্লেষ্মাজড়িত। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না।
ধর্ম মানে আল্লাহ বর্বর, মোহাম্মদ পেডোফাইল, এগুলো কে বলল? এখানে সকল ধর্মের না, অত্যন্ত স্পেসিফিকভাবে ইসলামের সমালোচনা হচ্ছে। সুতরাং যৌক্তিকভাবেই এখানে আল্লার মোহাম্মদের কথা উঠে এসেছে। না বুঝে শুধু বাঁশ মারার প্রকল্প হাতে নিলে বুঝতে একটু সমস্যা হয়। আপনারও তাই হয়েছে দেখতে পাচ্ছি।
এই কথার মানেই হল আপনি ধরে নিচ্ছেন আমি বা লেখক এগুলো নিয়ে ভাবে নি!!!! আমি মুক্ত হ্যাচ্চু নামে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, আপনিও আমাকে না। তাহলে কীভাবে বুঝলেন আমি ওগুলো ভাবি নি?
আপনি যদি ভেবেই থাকেন তাহলে আপনি কেন এখানে লেখা দিচ্ছেন না? দিয়ে দিন। দেখবেন ওখানে মোহাম্মদকে তোয়াক্কা না করেই মুক্তমনার সবাই ঐ ব্যাপারেই আলোচনা করবে। আবারও বলছি ঝেড়ে হাঁচুন। উদ্দেশ্য ক্লিয়ার করুন।
এইসব কথা দেখলেই বোঝা যায় আপনার হ্যাঁচ্চু মে কুছ কালা হে। মুক্তমনায় দেখেছেন এখনও শুধুমাত্র বিশ্বাসী হবার জন্যে কাউকে আবর্জনা দিয়ে স্বাগতম জানানো হয়েছে? এই যে ধরেন আপনি কোন যৌক্তিক কারন ছাড়াই হেঁচে যাচ্ছেন, আবার বললেন আপনি এগনস্টিক। আপনার কী মনে হয় এখন আপনি বিশ্বাসী না এটা জেনেই আপনার হ্যাঁচ্চুকে স্বাস্থসম্মত বলব? বলব আপনার হ্যাঁচ্চুতে জীবানু নেই? দাদা, ভুল বুঝেছেন।
আগে মন থেকে মুক্তমনাকে বাঁশ দেয়ার ইচ্ছে ছেড়ে গঠনমূলক আলোচনায় আসুন। নিশ্চিত থাকেন ঠকবেন না। আর যদি শুধুশুধু হাঁচতেই থাকেন তাহলে আমি বলব প্লিজ নিজের বাসায় যান।
@সাইফুল ইসলাম,
আবার একরাশ গার্বেজ বর্ষণ করলেন। তা যাকগে, ওয়ান, টু, থ্রী শেখার সময় বা বয়স কোনোটাই আপনার নেই কাজেই বাস্তবতায় কিছু শেষকথা ঝেড়ে দিয়ে চলে যাই।
বাংলাদেশে থাকেন তো? বাপের হোটেলে খান নাকি নিজে কিছু টুপাইস কামান টামান? মানে বাস্তবতা বোঝেন তো? হালফিলের দুনিয়া? এই শেষ দুবছরের সরকারে কি কি হতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা আছে? শিবিরদের রিসেন্ট মুভমেন্ট সম্পর্কে আইডিয়া রাখেন কিছু?(লেখার গরম দেখে মনে হচ্ছে ছাত্র, রাজশাহী বা চট্টগ্রামে পড়লে হয়তো কিছুটা আঁচ পেতেন, যাকগে)
বাংলাদেশের ৪০ বছর পরে এই প্রথম একটা ট্রানজিশন পিরিয়ড আসছে যেখানে অনুর্ধ ৩৫ এর একটা বিশাল শিক্ষিতগোষ্ঠীর রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সরাসরি অংশগ্রহনের এটাই মোক্ষম সুযোগ। তথ্যপ্রযুক্তি মাস পিপলের এতটা কাছে আর কখনোই আসেনি এবনহ আসবেও না। যেখানে এইসব সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সুযোগ নিয়ে গোটা আরববিশ্বে তরুণরা পালটে দিচ্ছে সব সেখানে আপনারা পড়ে আছেন মোহাম্মদের লাম্পট্য আর বর্বরতার জাবনা নিয়ে। কি ালের লাভটা তাতে হচ্ছে? মুক্তমনা বাড়ছে/ ফুহ্!
পরবর্তী নির্বাচনে বি এন পি আর জামাত (সামরিক শাসন না আসলে সেটাই হবে) আসলে শিবির আমার/আপনাদের মতন মুক্তমনাদের কি করবে সে বিষয়ে কোনো আইডিয়া আছে? শিবিরের চ্যালা খোমেনী ইহসানের নোটগুলো ফেসবুকে পড়েছেন কখনো? ক্ষমতায় গেলে কি করে নাস্তিকদের সাইজ করতে হবে সে বিষয়ে ডিটেইলস বর্ণনা দেওয়া আছে সেখানে। লিস্টিও করা হচ্ছে। ছদ্মনাম নিয়ে আছেন/আছি বলে খুব একটা শান্তিতে থাকবেন না দয়া করে। অনলাইনে আইডেন্টিটি খুব সহজেই ব্রেক করা যায়, এমনকি শিবিরের ছাগুরাও সেটা পারে। নাকি পলিটিকাল এসাইলাম নিয়ে বিদেশ যাওয়ার খায়েশ আছে?
এবার তাহলে লাইনে আসি। আপনার আমার মতো হাজার হাজার যুবসমাজ এরকম একটা পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে। তাদের মোটিভেট করার এই মোক্ষম সময়ে আপনারা কি করছেন? মুহম্মদের কয় বউ, পেডোফাইল, উম্মে হানীকে োদন এইসব বালছাল নিয়ে টাইম ওয়েস্ট করছেন। আরে যে দেশে গ্রামাঞ্চলে মেয়েদের গড়ে বিয়ে হয় ১২/১৪ বছর বয়সে, বহুবিবাহ ডালভাত, খুনাখুনি, ধর্ষণ নিত্তনোইমেত্তিক রুটিন সেখানে এইসব আরব দেশীয় বালছাল জপে(তাও যদি এমন হতো যে আগে কেউ তা পয়েন্ট আউট করেনি) কীভাবে আপনি মোটিভেট করবেন যুবসমাজের?
কাস্টমার লয়ালিটি বলে একটা টার্ম আছে। যতই ঘুণে ধরা হোক, নেহায়েত ঠেকায় না পড়লে মানুষ কখনোই তার ব্র্যাণ্ড চেঞ্জ করে না। আপনি ইসলামকে গালিগালাজ করে চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলেই কি মানুষ তা ছেড়ে দেবে? কেন ছেড়ে দেবে? বিকল্প কি ব্যবস্থা আছে আপনার? মাস পিপলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার মতন? উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে ভেবেছেন কখনো? দেশের সামগ্রিক কাঠামোতে কার্যকরী মডেল দাঁড় করাতে পারবেন কিছুর?
আপনারা অর্থোডক্স ইসলাম নিয়ে যতই ত্যানা প্যাঁচান, লাইনে লাইনে ভুল বার করুন তাতে কিছুই আসবে যাবে না মাস পিপলের। একারনেই ধর্ম গ্রামীণ সমাজে কীভাবে ক্রিয়া করে সেটা জানা এত জরুরী। বৈষ্ণব আন্দোলন, সূফীবাদ এগুলো স্রেফ ভাবান্দোলন ছিলোনা। বাংলার আদিবাসী সমাজের অরণ্যচারী থেকে কৃষিভিত্তিক সমাজের ট্রানজিশনের বিভিন্ন ধাপ এগুলো। এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর সাথে উৎপাদন ব্যবস্থা ও সমাজ কাঠামো জড়িত। এখনো গ্রামের মূল একক ইউনিয়ন বা গ্রাম না, বরং বেশ কয়েকটি পরিবার মিলে গঠিত ‘সমাজ’ যাদের আলাদা কোনো মসজিদ বা দরগাহর মাধ্যমে যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হয়। এর ভেতরে না গেলে আপনে দেশ থেকে ইসলাম তাড়াতে পারবেন না। এবং একারণেই কওমী মাদ্রাসা এত ভয়াবহ।
এস্টাবলিস্ট কাঠামোকে গালাগাল দিয়ে সরানো যায়না। আরেকটি এস্টাবলিস্ট কাঠামো দিয়ে তাকে সরাতে হয় বা পর্যায়ক্রমিক সংস্কারের মাধ্যমে তাকে হঠাতে হয়। আপনাদের ফতেমোল্লার কাজ দেখতে পারেন এবিষয়ে। নাস্তিক বিদ্যাসাগর বা রামমোহনের কাজগুলোই টিকেছে, ইয়ং বেঙলরা বালও ছিড়তে পারেনি।
যদি ফ্যাশনের জন্য নাস্তিক হন, মুক্তমনা হন তাহলে এখানেই আডিওস আমিগো। আর না হলে, দেশের ৯৮% গরীব মানুষের জন্য উৎপাদন ব্যবস্থায় কার্যকরী কিছু করার চেষ্টা করুন। আর আমি কে, কি করি, কি বাল ফেলছি এসব চতুর্থ শ্রেনির ফ্যালাসী না মেরে সেসময়টা অন্য কিছুতে কাজে লাগান।
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা থাকলে তা গ্রহণযোগ্য ভাবে উপস্থাপন করুন।
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
প্রথমেই বলি আপনার দৌড় আমার বোঝা হয়ে গেছে। পয়েন্টে কথা না বলে ঘেউ ঘেউ শোনাচ্ছেন শুধু। এর জন্যে প্রত্যেকটা কথার উত্তর দিচ্ছি না। দেয়াটা অর্থহীন লাগছে বিধায়। একবার আপনার আমার মধ্যের আলোচনাটা গোড়া থেকে দেখেন তাহলেই বুঝবেন আপনি কী চমৎকার তেল মেখেছেন গায়ে। যে কেউ আপনার উত্তর দেখলে ভাববে আমি মনে হয় ইন্টারভিউ দিচ্ছি আপনার কাছে। এটা করেছেন, ওটা করেছেন সেটা ফেলেছেন, ওটা উঠিয়েছেন????? খালি ? ? ? ? মানে কী?
আমি কী করেছি না করেছি সেটা আপনি জানলেন কী করে? যদি বলি আপনি যে প্রশ্নগুলো করে তামাম মুক্তমনা গরম করে ফেলতে চাইছেন সেই কাজগুলো অন্য অনেকের থেকে বেশ ভালো পরিমানেই করি তাহলে কি এখন আপনার হ্যাঁচ্চুর জায়গায় হেঁচকি আসবে? বুঝলাম না। ধান বানতে শিবের গীত কেন গাইতে হবে?
বাঙলাদেশে কয় হাজার বছর পরে কী সুযোগ এসেছে সে বিষয়ে আলোচনা আমার এই পোষ্টে কেন করতে হবে? তার জন্য আপনার হাত নিশ পিশ করলে আপনি নিজেই কেন পোষ্ট দিচ্ছেন না? মানা করেছে কে?
একই কথা অন্যান্য সবগুলো কথার ক্ষেত্রেই প্রযোয্য। আর আমি ছদ্ম নামে লিখি না। দুনিয়া গরম করেও আপনাকেই ছদ্মনামে মন্তব্য পর্যন্ত করতে হচ্ছে।
আপনার চুল কেশ নিয়ে আমি মোটেও আগ্রহী নই। কখনো ছিলামও না। বরঞ্চ আমি কবে কবে সেভ করি তা নিয়ে আপনার কৌতুহলের ঠেলায় প্রান ওষ্ঠাগত প্রায়।
আর এই একই কথাটা আপনাকেই বলা যায়, আমি করছি কিনা সে কথা জিজ্ঞেস না করে নিজের নাভির নিচে নজর দিন।
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
ভয় পাইসি। খালী কাঁপতেই আছি, কাঁপতেই আছি!
ভাবতেসি গো আযমের মুরীদ হইয়া যামু। ফাকিস্তান জিন্দাবাদ!
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
বুঝা যাচ্ছে আপনি কাদের চেলা। আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছেন কেন? ইসলাম যে মোটেই শান্তির ধর্ম নয় তা আপনার এই কয়েকটি বাক্য থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে। কি বলেন, ভাই?
ব্রাদার, আপনার এই বাক্যটিই প্রমাণ করে আমরা সঠিক পথে আছি, আমরা ফোকাস্ড। তা না হলে আপনি আমাদের লেখা পড়ে এত বিচলিত কেন হবেন? হাঁ, অনেকেরই আসছে যাচ্ছে–আপনি তাদের অন্যতম।
আপনি যখন আমাদের বাহবা দিবেন তখন মনে করব আমরা ভুল পথে গেছি—আমাদের লেখা যথাস্থানে আঘাত হানছে না।
ভাইজান, আপনি আমাদেরকে নিশ্চিত করলেন যে আমাদের লক্ষ্য অব্যার্থ। আপনিও এই লক্ষ্যের সীমানায় এসে গেছেন–তাই কত চিল্লাচিল্লি করছেন।
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
“আপনারা অর্থোডক্স ইসলাম নিয়ে যতই ত্যানা প্যাঁচান, লাইনে লাইনে ভুল বার করুন তাতে কিছুই আসবে যাবে না মাস পিপলের। একারনেই ধর্ম গ্রামীণ সমাজে কীভাবে ক্রিয়া করে সেটা জানা এত জরুরী। বৈষ্ণব আন্দোলন, সূফীবাদ এগুলো স্রেফ ভাবান্দোলন ছিলোনা। বাংলার আদিবাসী সমাজের অরণ্যচারী থেকে কৃষিভিত্তিক সমাজের ট্রানজিশনের বিভিন্ন ধাপ এগুলো। এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর সাথে উৎপাদন ব্যবস্থা ও সমাজ কাঠামো জড়িত। এখনো গ্রামের মূল একক ইউনিয়ন বা গ্রাম না, বরং বেশ কয়েকটি পরিবার মিলে গঠিত ‘সমাজ’ যাদের আলাদা কোনো মসজিদ বা দরগাহর মাধ্যমে যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হয়। এর ভেতরে না গেলে আপনে দেশ থেকে ইসলাম তাড়াতে পারবেন না। এবং একারণেই কওমী মাদ্রাসা এত ভয়াবহ।”
ঠিকই আছে , পুরান উপদেশ,মসজিদে না গেলে মসজিদের ভিতরের মানুষ গুলাকে বের করবেন কিভাবে?। কিন্তু মুক্ত মনা ত সেই দায়িত্ত নেয় নাই। মুক্ত কথা বলার দায়িত্ত নিয়েছে। সমাজ পরিপরতনের দায়িত্ত পালন অন লাইন এ করা যায় না সহযগিতা করা যায়। বাল/ছাল শব্দ ব্যাবহার করেন কেলা?। আমরা করলে ত পালানর পথ পাইবেন না।
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
আরবে যেই কাজ হইতে সোসাল নেটওয়ার্ক লাগছে, সেই কাজ আমরা ৭১ সালে কম্পুটার ছাড়া সেরে ফেলছি, :)) খালি ফসলটা ঠিক মত তুলতে পারি নাই 🙁 ,সেটা তোলার জন্য মুক্তমনা(র মত ব্লগ),তথা মুক্ত মনের দরকার।।আর আমরা পাল্টাব আমাদের মত করে,আমাদের প্রয়োজনে ,অন্য কারো মত করে নয়।।
@মুক্ত হ্যাচ্চু!
কড়া কথাগুলো বলে ফেলুন। অত্যন্ত মূল্যবান নিশ্চই। ল মানে কী? লাঙল নাকি ছাগল? শুধু ইস্লাম নয়, সব ধর্মের বিরোধিতাকারীরাই হচ্ছে মুক্তমনা।
জিহাদী নাস্তিক তামাসার পাত্র নয়। জিহাদী জঙ্গী কর্তৃক হত্যার পাত্র।আর নাস্তিকেরা ত জিহাদী নয়। তারা অন্ধবিশ্বাসীদের হত্যা করার কথা বলেনা কখনো। তারা যুক্তির কথা, বিজ্ঞানের কথা , মানবতার কথা ব’লে যুক্তিহীনদের আলোর পথে আনার চেষ্টা করে;জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
আগুন নাস্তিকদের ধরেনা। আগুন ধরে আস্তিকদের। নাস্তিক শব্দটি শুনলেই আস্তকেরা নাস্তিকদের, ধর্মের হোমানলে পুড়িয়ে মারতে এগিয়ে আসে।
মুক্ত হ্যাচ্চু আর মুক্ত মনা কি যমজ ভাই অথবা বোন নাকি টিটকারি মারলেন!!!!! 🙁
@সপ্তক, কেন ভাই? আমি মুক্ত ভাবে হাঁচি দিতে পারবো না? মুক্তমনে নিঃশ্বাস(নাকি চিন্তাশ্বাস!) নিতে পারলে মুক্ত নাকে হাঁচি দিতেও পারা উচিত… 😀
আর টিটকারী আসলেই মেরেছি তথাকথিত মুক্তমনাদের, যারা স্রেফ ইসলাম ব্যাশিংকেই মূল ভেবে নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিশন পয়েন্টে সময় নষ্ট করছে এবং অন্যদের করাচ্ছে প্লাস এসব গালাগালি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মডারেট মুসলিমগুলোকেও শিবির আর হিজবুত তাহরিরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
@মুক্ত হ্যাচ্চু!,
ধন্যবাদ আপনার দিক নির্দেশনা বিহীন সমালোচনার জন্য।
ভাইজান কি, ইসলামী পন্ডিত জাতীয় কিছু ? তাহলে এ লেখাতে যেসব রেফারেন্স দেয়া হয়েছে, আপনি কি বলেন ,মিথ্যে? ভাই নিবন্ধে আমি সতর্কভাবে নিজের ধারণা লিপিবদ্ধ করা থেকে বিরত থেকেছি লেখাটিকে যথাসম্ভব সর্বজনগ্রাহ্য করার জন্য। কোন পয়েন্টে ভুল লিখলে সেটা উল্লেখ করে সমালোচনা করলে আমাদের ভুল ভাঙ্গত। আপনি কি চান না আমরা ভুল পথ থেকে সঠিক পথে ফিরে আসি ?
@ ভবঘুরে,
জনাব ভবঘূরে,
অল্পদিনের মধ্যেই আপনার এ লেখাটা পেয়ে সাথে সাথে ই সব কাজ বাদ দিয়ে এক নাগাড়ে আগেই পড়ে ফেললাম।আমি একজন পাকা ধার্মিক ও নিয়মিত মসজিদে যাতায়াত কারি । কিন্তু আপনার সাহসি লেখার মধ্যে যুক্তপুর্ণ ও একেবারে ভিন্ন ধরনের সাধারন মানুষের নিকট চেপে যাওয়া তথ্য গুলি পড়তে ও জানতে বেশ ভালই লাগে।
তবে জানিনা ধর্মের এই জঙ্গিবাদ আক্রমন হতে কবে মানব জাতি রেহাই পাইবে!
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দু:খিত জবাব দিতে একটু দেরী হওয়ার জন্য। আসলে নিবন্ধটা পোষ্ট করেই ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম, নেট এ আসতে পারিনি। ধন্যবাদ আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য।
সামান্য সংশোধন করে দেন এখনে কোন একটা শব্দ বিপক্ষে না হয়ে পক্ষে হবে।
মানব জাতির গর্বিত পিতা, হাওয়ার উপযুক্ত স্বামী, হাবিল-কাবিলের পিতা, ঈশ্বরের এক মাত্র ছাত্র, প্রথম মানব আদম বাবা থেকেই তো ইসলামের যাত্রা শুরু। তাই আল্লাহ্ শব্দটা মুহাম্মদের পূর্বে থাকাই স্বাভাবিক নয় কি? :))
বেশ দুর্বল ও বিক্ষিপ্ত লেখা! (N)
@অনামী,দুর্বল পয়েন্টগুলো ধরে দিলে ভাল হতোনা!
@তামান্না ঝুমু,
পাঠক হিসেবে প্রতিক্রিয়া জানালাম। সম্পাদকীয় দায়িত্বপালনে অপরাগ। ক্ষমা করবেন।
লেখকের অবস্থানের সাথে আমার দ্বিমত নেই।
তবে লেখাটি বড় বেশি আবেগপ্রবণ বলে মনে হয়েছে। যুক্তিবিন্যাস এলোমেলো।
মুক্তমনায় এর থেকে উন্নত লেখা দেখতে আমি অভ্যস্ত।
আন্নে ভবঘুইররা মানুষ ভেজাল লাগান কিল্লাই?।আন্নেগ কনে কইছে বিশ্বাস আননের লাই?।বিশ্বাস আনলে আইনবেন ন আইনলে নাই।বেবসা বাণিজ্য বন্দধ করি দিতে নি চান?। বেবসা করি দু হইসা রোজগার করি আরে সংসার চালাই,কস্ট কি কম করি নি কোন?। কওমি মাদ্রাসার থুন বাইর হওনের হরেও কাজ কাম হাই ন,অহইন্না তারাবী হরাই আর হলাহান রে করান মুখস্ত করাই আরে দুই হইসা রোজগার করি বাল বাচ্চা লই আরে কোনমতে বাচি আছি।আন্নেগ জালায় এই ধনদা হারাই লাইলে কি খাই বাইচমু!! :guli:
@সপ্তক, হা…হা…হা…হা…… :lotpot: