“…বিজ্ঞানীরা যখন পদার্থের পরমাণু ভেঙ্গে তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছেন, মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন এবং প্রস্তুতি নিচ্ছেন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাবার জন্য, তখনো তপস্বীরা গবেষণা চালাচ্ছেন, ‘মার্গ দিয়ে বদবায়ু বেরুলে তাতে ভগবানের আরাধনা চলে কি-না’…।” স্যার আরজ আলী মাতুব্বর। অতএব আমাদের ধর্ম অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানিক ধর্ম নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা না করাই উচিত। এর চেয়ে বরং বিজ্ঞান, রাজনীতি, সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, মানবাধিকার… ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা অত্যান্ত শ্রেয়কর এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো অন্যান্য ধর্মগুলোর আলোচনা-সমালোচনা না করলেও একটি বিশেষ ধর্মের সমালোচনার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। এই বিশেষ ধর্মটি বাদে অন্যান্য প্রায় সব ধর্মই এখন মানবতার জন্য যতোটুকু হুমকিস্বরূপ তাতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয় না। অথচ এই বিশেষ ধর্মটি, যার মধ্যে পৃথিবীর যাবতীয় নোংরামীর সমাহার এটির আরো বেশি বেশি সমালোচনা এবং প্রতিরোধের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। তবে এটি প্রকাশ্যে করতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু তা যে সম্ভব না তা সকলেরই জানা। এ ধর্মটি ধ্বংস হয়ে যাক কিংবা এর অনুসারীরা অন্য ধর্মাবলম্বি হোক তা বলছি না, শুধুমাত্র এ ধর্মটির অমানবিক দিকগুলো আড়ালে রাখলেই পৃথিবীতে শান্তি আসা সম্ভব, নতুবা নয়। এ ধর্মটির এমনই গুণ যে, আপনি কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাবেন, ধর্মীয় বাক্য শুনতে পাবেন না, পাবেন অন্য ধর্মের তীব্র সমালোচনা আর গালাগালি। এসব বন্ধ হলেও সাধারণ মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি কিছুটা সহনীয় থাকতো কিন্তু তারা এসব শুনে অন্য ধর্মের প্রতি এমন একটা ভাব নিয়ে থাকে যেন অন্য ধর্মাবলম্বিরা মানুষের পয়দা নয়, শয়তানের পয়দা এবং ওরা এই তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের একনম্বর শত্র“। আর এ শত্র“দের ধ্বংস করে পুরষ্কারের লোভ সামলানো অশিক্ষতি শ্রেণীর জনসাধারণ দূরের কথা উচ্চশিক্ষতিদের কাছেও মহা গৌরবের বিষয়। কারণ এ তো আল্লারই আদেশ!
অন্যান্য ধর্মগুলোর (বিশেষ করে খৃস্টান, হিন্দু) গেড়ামি যেখানে প্রায় শূন্যের কোঠায়, সেখানে এ বিশেষ ধর্মটির গোড়ামি যেন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এদের হুমকি-ধামকি শুধু এরা যে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সে দেশেই, তাও নয়। যেসব দেশে এরা সংখ্যালঘু সেসব দেশেও এরা যেসব কথা প্রচার করে, ঠিক এর উল্টোটা যদি অন্য ধর্মাবলম্বীরা করতো তাহলে তাদের কেল্লা কেটে ফেলা হতো। সৌদির বর্বররা বিশ্বের সব কাফের দেশগুলোতে মসজিদ নির্মাণ করে দিচ্ছে, অথচ তাদের দেশে একটিও মন্দির বা গির্জা তৈরি করতে দেয় না। এ বিশেষ ধর্মটির আরেকটি মারাত্মক দোষ হলো এ ধর্মের মধ্যে যতো অন্যায়, অসত্য, বানোয়াট, মিথ্যাচার, হিংস্রতা আছে তা অস্বীকার করতে গিয়ে আরো হাজারো মিথ্যা এবং হিংস্রতার আশ্রয় নেয়া। অন্য ধর্মাবলম্বিরা এসব থেকে সরে এসেছে বহু পূর্বেই, অতএব যারা এক সময় পৃথিবীর অশান্তির কারণ ছিলো সেই পাদ্রি-পুরোহিতরা এখন আর পৃথিবীর জন্য হুমকি নয়। অপর দিকে এই বিশেষ ধর্মটির হুজুর থেকে শুরু করে শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবি, ধর্মরক্ষক শাসকশ্রেণী, এমনকি বুদ্ধিজীবিসহ অতি সাধারণ লোকেরা যেভাবে পৃথিবী জুড়ে সমস্ত মানুষদের নিকট নিজেদের ধর্মকে প্রচার করছে, কাফেরদের দেশে গিয়ে বলছে আপনারা এ ধর্ম গ্রহণ করেন ইত্যাদি… (গাদ্দার গাদ্দফিও গত বছর ইটালিতে গিয়ে প্রকাশ্যে বলেছিলো)। এছাড়া অজস্র ধর্মীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে এর গুণাগুণের নহর বইয়ে দিচ্ছে এবং সারা বিশ্বকে ওই ধর্মের ছায়াতলে আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, তাতে এ ধর্মের কঠোর সমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। ওরা (জাকের নায়েকের মতো তথাকথিত ডক্টররা) সুন্দর অঙ্গভঙ্গি করে যেভাবে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, অবৈজ্ঞানিক… কথাগুলো বলছে, তাতে মানুষ উম্মাদ না হয়ে পারে না। আসলে ওইসব তথাকথিত বিজ্ঞরা ধর্মীয় মিথ্যাচার দিয়ে ককটেল বানিয়ে কোটি কোটি মানুষকে যেভাবে নেশাগ্রস্ত করে রেখেছে এর হাত থেকে মুক্ত পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। এর জন্য প্রয়োজন একে কঠিনভাবে আঘাত করা অর্থাৎ এ বিশেষ ধর্মটি যে অন্য ধর্মের চাইতে উৎকৃষ্ট নয় বরং তুলনামূলকভাবে নিকৃষ্ট তার প্রমাণ জনসমেক্ষ তুলে ধরা, শুধুমাত্র মুক্তমনায় লেখালেখি করে নয়, প্রকাশ্যে জাতীয় দৈনিকে এর যাবতীয় হিস্রাংত্মক বাণীগুলো তুলে ধরা উচিত। জানি এ কাজটি কেউ করবে না, কারণ প্রাণটা আগে। আমার কাছে মনে হয়, পৃথিবীর সমস্ত ধর্মগ্রন্থের চেয়ে একমাত্র সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থটিতেই হিস্রাংত্মক বাণী বেশি। অন্যান্য ধর্ম পুস্তকে যুদ্ধের মহিমা, অন্য ধর্মাবলম্বিদের হত্যায় উৎসাহিত করা, গণিমাতের মাল হিসেবে ধর্ষণ ইত্যাদি তেমন একটা আছে বলে আমার জানা নেই, (থাকলেও সামান্য কিছু থাকতে পারে)। কিন্তু তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মপুস্তকের প্রতিটি পাতায় পাতায় তা দেখতে পাওয়া যায়। অতএব এর সমালোচনা ততোদিন পর্যন্ত বন্ধ হওয়া উচিত নয়, যতোদিন পর্যন্ত অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের ন্যায় ওরাও হিংস্রতা পরিহার না করে।
এ সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মটি যে সত্য বিমুখ এবং অন্যের কাঁধে দোষ চাপাতে ওস্তাদ এর প্রমাণ আবুল কাশেম সাহেবের “ইসলামে বর্বরতা”। তিনি লিখেছেন, “ভারতীয় মুসলিমরা যখন এ উপমহাদেশে প্রচলিত দাসপ্রথা সম্পর্কে আলোচনা করে, তারা কেবলই কীভাবে পর্তুগিজরা গোয়া, কেরালা ও বাংলার সমুদ্রোপকূলীয় অঞ্চল থেকে ভয়াবহ অবস্থায় দাস পরিবহন করতো সেসব লোমহর্ষক কাহিনীর কথা বলে। …পাকিস্তানের ইতিহাস বইয়ে শেখানো হয়: ইসলামের আগে ছিল দাসপ্রথা ও শোষণ, যা ইসলাম আসার সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষ হয়ে যায়। তারা ভারতে মুসলিম হানাদার ও শাসক কর্তৃক ব্যাপকভাবে দাসপ্রথাচর্চার কথা কখনোই বলবে না।” আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মুখস্ত বুলি, আগের সরকার করেছে তখন দোষ হয়নি, আমরা করলে দোষ অর্থাৎ আগে কেউ করছে বলে আমিও অন্যায় করি, তাতে দোষের কি? অন্যের দোষ দেখিয়ে নিজের দোষ ঢাকাতে আমাদের জুড়ি নেই, কি ধর্মবিষয়ে, কি রাজনৈতিক বিষয়ে।
যাহেক, তথাকথিত কুরবানী প্রথা কোথা থেকে এলো এবং ইসমাইল না ইসহাক, কাকে কুরবানী করতে নেয়া হয়েছিলো সে বিষয়ে আলোচনায় যাবার পূর্বে মুক্তমনায় লেখা “শুধু ইসলামের সমালোচনা হয় কেন?” সৈয়দ কামরান মির্জার লেখা থেকে দু’একটি উদাহরণ। {…বিশেষ একটি খবর বারবার দেখতে বা শুনতে পাই …ইসলামিক টেররিস্ট, ইসলামিক মিলিটেন্ট, মুসলিম টেররিস্ট, মুসলিম ফেনাটিক্স এবং আল-কায়দা টেররিস্ট ইত্যাদি। প্রশ্ন, এসব শ্রতিমধুর বিশেষণ আর অন্য কোন ধর্মের নামে কখনো শুনতে পাই না কেন? (কাফের বিশ্বে) …শতশত মুসলিম উম্মা নামক অনেক সমিতি আছে। এসব সমিতির প্রধান কাজ হলে, স্থানীয় মুসলিম অভিবাসীদেরকে ইসলাম ধর্মের অনেক গুণাগুণ শুনানো এবং বলা হয় যে, ইসলাম ধর্ম হলো সকল ধর্মের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তারা শেখায় যে ইসলাম হলো গিয়ে একমাত্র সত্যিকারের ধর্ম এবং মুসলিমদের কর্তব্য হলো তাদের জীবন-যাপন ইসলামের আওতায় সীমাবদ্ধ রাখা। …ছেলেমেয়েদের শিখাতে হবে যাতে তারা এদেশের জীবন পদ্ধতির সঙ্গে মিশে একেবারে বিনাশ না হয়ে যায়। প্রশ্ন, আমরা কি এধরণের কোন অবস্থা অন্য কোন ধর্মে (খৃস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ইত্যাদি) দেখতে পাই? অন্য কোন ধর্মের অভিবাসীদের মধ্যে কি এধরণের উম্মাটিক সঙ্গ দেখা যায়? কোন শুধু মুসলিম অভিবাসীকেই এধরণের ইসলামি সঙ্গ/সমিতি দরকার হয়?
…আমরা কি অন্য কোন ধর্মের লোকদের মাঝে …জেহাদি অরগনাইজেশন দেখতে পাই? ইসলামি টেররিস্টরা প্রায় সবেক্ষত্রই তাদের পরিচয় দিয়েছে কোন না কোন ইসলামি অরগানাইজেশনের। যেমন, হরকাতুল জিহাদ, লস্করে তাইবা, য্যায়সে মোহাম্মদ, জিহাদে রসুন, ইসলামিক জিহাদ, হামাশ, জিজবুল্লাহ, সিপা-ই-সাহাবা, তারিক-ই-জাফরিয়ায়ে পাকিস্তান, তাহরীক-ই-নিফাজ-এ-শারিয়াতে মুহাম্মদ, আল হিক্মা, জামাতুল-মুজাহিদিন, হিজব-ই-ইসলামী, জাগো মুজাহিদ, হরকাতুল মোজাহিদিন, আল-বদর মেজাহিদিন, জামাহ ইসলামিয়া, আরও কতো কি? কিন্তু আমরা কি কখনো শুনেছি অন্য ধর্মের কোন টেররিস্ট তাদের ধর্মকে নিয়ে এরূপ কোন নাম ব্যবহার করতে? এ বিশ্বে আছে কি, অন্য আর কোন ধর্মের নামের এতগুলো টেররিস্ট অরগানাইজেশন? সোজা উত্তর হল, আমরা অন্য কোন ধর্ম সম্বন্ধেই এরূপ কথা শুনিনি। অন্য কোন ধর্মে জিহাদ শব্দটির অস্তিত্বই নেই। প্রশ্ন হলো, আছে কি অন্য কোন ধর্মে এরূপ কোন টেররিস্ট অরগানাইজেশন? যদি না থাকে তবে বলতে পারেন কি, কেন নেই? (অতএব ইসলামের সমালোচনা না করে উপায় কি)?
আজকের এই আধুনিক বিশ্বে আমরা প্রায় এক ডজন দেশ খুঁজে পাবো যেখানে ইসলামী শরিয়া (হুদুদ) আইনের দ্বারা দেশ শাসন করা হচ্ছে এবং প্রায় সকল মুসলিম মেজরিটি দেশেই পারিবারিক আইন হচ্ছে ইসলামি শরিয়া মতে। আমার প্রশ্ন, আছে কি একটিও দেশ সারা পৃথিবীতে যেখানে দেশের আইন হচ্ছে বাইবেল অথবা গীতার আইনে? যদি না থাকে তবে তার কারণ কি?
আজ সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত এবং ভীত মুসলমানদের ব্যাপারে। … টেররিস্ট ধরা পড়েছে…। …আশ্চর্যের ব্যাপার যে ওরা সবাই হল মুসলমান। প্রশ্ন, এই টেররিস্টরা অন্য কোন ধর্মের লোক হল না কেন? অথবা, এদের মধ্যে কোন ধর্মহীন বা কোন গুন্ডাবদমাশ থাকল না কেন? এসব মুসলিম টেররিস্টদের প্রায় সকলেই কিন্তু পাক্কা মুসলিম এবং নিয়মিত মসজিদগামী নামাজী। এসবের মানে কি?} বিস্তারিত দেখুন: http://www.faithfreedom.org/Author/SKM.htm (Syed Kamran Mirza). জানি নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের এতোটুকু ছাড় না দেওয়ার জন্য বহু ইসলামিস্টরা সৈয়দ কামরান মির্জার উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর যুক্তিপূর্ণ উত্তর না দিতে পেরে, তাকে কাফের বলবেন, পশ্চিমা কাফেরদের মগজ ধোলাই বলবেন, মৃত্যুপরোয়ানা জারি করবেন, এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। যেমনটি করা হয়েছে সালমন রুশদির বেলায়। সত্য বড়ো কঠিন ও নির্মম, ধর্ম কখনো সত্য স্বীকার করতে চায় না, পারে না, কারণ এটি আমাদের জন্মগত বিশ্বাস, এর বাইরে যাওয়া অসম্ভব প্রায়। কিন্তু সত্যিকারে যদি আপনি নিরপেক্ষভাবে বাইবেল, গীতা, ত্রিপিঠক, কোরান ইত্যাদি নিয়ে সামান্য একটু পড়াশোনা এবং প্রতিটি ধর্মপুস্তকের প্রতিটি বাক্যের উপর প্রশ্ন রাখা হয়, তাহলে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, কোন ধর্মগ্রন্থে কতো বেশি হিংস্রাত্মক (তথাকথিত ঐশ্বরিক) বাণী রয়েছে।
সম্প্রতি ৮ বাংলাদেশীকে আল্লার নামে সূরা-কালাম পড়ে হত্যা করলো সৌদীর বর্বর বেদুইনরা। নিশ্চয়ই এরা আল্লার কাছেই (বেহেশতে) গেছে বা যাবে! কারণ এদের পাপের শাস্তি তো আল্লা দিয়েই দিলো! অতএব এতে ওই দরিদ্র ৮ ভাইয়ের উপকারই তো হয়েছে, নাকি? এরা যদি এভাবে না মরতো তাহলে হয়তো বেহেশতে যেতে পারতো না। চুরি করে বা খুন করে যারা ধরা পড়ে না তাদের তো বেহেশতে যাবার প্রশ্নই ওঠে না, আর এরা ধরা পড়লো, আল্লার বিচারে কেল্লা গেলো অর্থাৎ শাস্তি পেলো, অতএব এরা অবশ্যই বেহেশবাসী! যদি এরপরেও এদের শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে তো আল্লা ন্যায় বিচারক থাকতে পারে না! যাহোক, এই ৮ বাংলাদেশীদের কবে থেকে বিচার চলছিলো তা কেউ টের পেয়েছিলো কিনা জানা নেই। আমি অন্যান্য খবর রাখতে না পারলেও বিবিসির খবর নিয়মিত দু’বার (সকাল-সন্ধ্যা) শুনি, একদিনও বাদ যায় না। আল্লার দেশের, আল্লার প্রকৃত বান্দাদের দ্বারা এমন একটি বিচারের খবর বিবিসির নজর এড়িয়ে যাবে তা আমার বিশ্বাস হয় না। এ খবরটি শিরোচ্ছেদ হওয়ার পরেই জানতে পারি। যদিও আমাদের ন্যায় সাধারণের জানা-অজানায় কারো কিছু যায় আসে না। তথাপিও জানতে পারলাম না কেন বলছি, বিচারটি বোধহয় খুবই গোপনীয়ভাবে সমাপ্ত করেছে ইসলামের আদর্শ সৈনিক ওই বর্বর বেদুইনরা। তবে হ্যাঁ, অল্লার বিচার তো এভাবেই গোপনেই হতে হয়। আল্লার বিচার তো আর যে-সে বিচার নয়, এটি তার ইচ্ছামত সময়েই হবে লোকে জানবে কেন? লোকে জানলে আল্লাকে যে ছিঃ ছিঃ করবে! আল্লা তো আর ছিঃ ছিঃ-র পাত্র হতে পারে না! তিনি তো মানুষের জন্মদাতা, মৃত্যুদাতা, ভরণপোষণদাতা…! (যদিও জন্ম দিয়ে বিশ্বের প্রায় ২শ বিলিয়ন লোককে সে না খাইয়ে রাখছে)। যাহোক, সেদিন সৌদি দূত সংবাদ সম্মেলনে বললো, মানবাধিকারকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু তা তো ইসলামিক আইনের উর্ধে নয়! কথাটি ষোলআনা সত্যি। আল্লার আবার মানবাধিকারের প্রয়োজনটা কি? মানুষের অধিকার নিয়ে যারা লাফালফি করে তাদের জীবনটাও তো আল্লার হাতে, তাই তো বেশি লাফালাফি কইরেন না, আল্লা নাখোশ হইলে সব শেষ। এটি আল্লার বিধান, যাবে না খন্ডন! সেইহেতু তথাকথিত মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদ করার প্রশ্নই ওঠে না। তবে কাফের কোন দেশের সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানরা এর জোরালো প্রতিবাদ করেছে বলে আমার জানা নেই, যেসব প্রতিবাদ হয়েছে তা অতি সামান্য কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও সাধারণ মুক্তচিন্তার মানুষেরা করেছে। তবে আল্লা ন্যায়বিচারক হলে এমন অন্যায়টি করতে পারতো না, হয়তো আল্লা আরবীয়দের বেশি ভালোবাসে, নয়তো ঘুষ খেয়েছে নতুবা প্রকাশ্যে বিচার করতো এবং ১ কেল্লার বদলে ৮ কেল্লা নিতো না! তথাকথিত আল্লা যেমনি অতুলনীয় নয়, তেমনি ন্যায় বিচারকও নয়, একথা স্যার আরজ আলী মাতুব্বরের লেখায় প্রমাণিত। তবে সত্য যে, ভূতপ্রেতদের যেমনি রক্ত পছন্দ, আল্লারও তেমনি পছন্দ।
আল্লার আরেকটি মহান আদেশ কুরবানী! এ বিধানটি মানুষ হত্যার ন্যায় একই সূত্রে গাঁথা। অর্থাৎ তথাকথিত আল্লা বা ঈশ্বর মা-কালির ন্যায় রক্তপিপাসু বিধায় তিনি বা তারা আদিতেই এমন বিধান করে দিয়েছে। কালির উদ্দেশে নরবলি, পাঠা বলি এবং হত্যার দায়ে হত্যা এবং কুরবানী এ সকলই তথাকথিত আল্লা/ঈশ্বরের বিধান। পার্থক্য এই যে, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এসব হত্যা করা থেকে অন্য ধর্মালম্বীরা সরে এসেছে, কিন্তু তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মেই তা বহাল রয়েছে।
ইহুদি, খৃস্টান ও মুসলমান ধর্মের উৎপত্তিস্থল, তথাকথিত নবী-রাসূলগণ এবং এদের জীবনী, কার্যক্রম ইত্যাদির হুবহু মিল পাওয়া যায় তথাকথিত ঐশ্বরিক গ্রন্থগুলোতে। পার্থক্য শুধু কেউ ভাত খায় চামচ দিয়ে, কেউ খায় হাত দিয়ে। অথচ একথা ইসলামিস্টরা স্বীকার করবে না, কারণ এতে তাদের মান-সম্মান যাবে, শ্রেষ্ঠত্বহানী হবে, এতো বড় ধর্ম ইসলাম ছোট হয়ে যাবে, এটি কি করে মেনে নেবে, তাই আরো আরো মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে এরা। যাহোক, বাইবেলের ওল্ডস্টেটামেন্ট হলো ইহুদিদের প্রধান ধর্মপুস্তক। যে পুস্তকে ইস্রায়েল জাতিকে মিশরের ফরৌনের দাসত্ব হতে মোশি অর্থাৎ মুসা কিভাবে মুক্ত করেছিলো, কিভাবে ঈশ্বর স্বর্গ হতে মুসাকে নির্দেশ দিতো। ঠিক একইভাবে উক্ত পুস্তকে রয়েছে কিভাবে ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলো, আদম ও হাওয়াসহ যাবতীয় প্রাণী, বৃক্ষ, চন্দ্র-সূর্য ইত্যাদি সৃষ্টি করেছিলো। ঈশ্বর এসব সৃষ্টি করেছিলো ৬ দিনে এবং ৭ম দিন বিশ্রাম করেছিলো, তাই ইহুদিরা ৭ম দিনকে বিশ্রামবার হিসেবে মান্য করে এবং এদিন ওরা কোন কাজ না করে শুধু ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা করে কাটায়। ঠিক একইভাবে ঈসা এসে বাইবেলে (ওল্ডটেস্টামেন্টের সব ঠিকঠাক রেখে) নিউস্টেটামেন্ট নামে নিজের জীবনী ও কার্যক্রম জুড়ে দিলো। অনুরূপভাবে মোহাম্মদও ওল্ডটেস্টামেন্টের অর্থাৎ তার চরম শত্র“ ইহুদিদের পুস্তক থেকে পৃথিবীর যাবতীয় সৃষ্টির কাহিনী একই রেখে সামান্য ভাষাগত পরিবর্তন করে নিজের কিছু কথা, যুদ্ধের মহিমা, রক্তের হোলি খেলা, পরনারী ভোগ এবং অন্য ধর্মকে ধ্বংসের জন্য নানাপ্রকার মশলা দিয়ে তৈরি করেছে তথাকথিত কোরান। অর্থাৎ খৃস্টান ও মুসলমান ধর্মের প্রায় সবটাই নকল করা হয়েছে ইহুদিদের ধর্মপুস্তুক থেকে (শুধু ঈসা ও মোহাম্মদের কর্মকান্ড ছাড়া বাকিটা সব)।
যাহোক, কুরবানীতে আসি। ওল্ডটেস্টামেন্টে (ইহুদিদের ধর্মপুস্তক) আদমের বংশধরকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো যে, বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে তারা যেন খোদার কাছে নৈবেদ্য উৎসর্গ করে, যাকে ওল্ডটেস্টামেন্টে বলা হয়েছে হোমবলি (কালি ও দূর্গার উদ্দেশে যেভাবে নরবলি বা পাঠা বলি চলতো ঠিক একই অনুকরণে)। ওল্ডটেস্টামেন্টে অনুসারে, (আদিপুস্তক ১৬:৩): “…অব্রামের স্ত্রী সারী আপন দাসী মিস্রীয়া হাগারকে লইয়া আপন স্বামী অব্রামের সহিত বিবাহ দিলেন।” কারণ সারী বন্ধ্যা ছিলো এবং তখন অব্রাহামের বয়স তখন সম্ভবত ৯০ বছর। এই মিস্রীয়া দাসীর গর্ভে যে পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছিলো তার নাম ইশ্মায়েল বা ইসমাইল।
ইসমাইলের জন্মের সম্ভবত ৯ বছর পর অব্রামের যখন নিরানব্বই বছর বয়স তখন সারা গর্ভধারণ করে এবং ইসহাকের জন্ম হয়। ইসহাকের জন্মের পর সারা বলেছিলো, (আদিপুস্তক ২১:১০) “তাহাতে তিনি অব্রাহামকে কহিলেন, তুমি ঐ দাসীকে (হাগারকে) ও উহার পুত্রকে (ইসমাইলকে) দূর করিয়া দেও; কেননা আমার পুত্র ইসহাকের সহিত ঐ দাসীপুত্র উত্তরাধিকারী হইবে না।” ২১:১২-১৩ “আর ঈশ্বর অব্রাহামকে কহিলেন, ঐ বালকের বিষয়ে ও তোমার ঐ দাসীর বিষয়ে অসন্তুষ্ট হইও না; সারা তোমাকে যাহা বলিতেছে, তাহার সেই কথা শুন; কেননা ইসহাকেই তোমার বংশ আখ্যাত হইবে। আর ও দাসীপুত্র হইতেও আমি এক জাতি উৎপন্ন করিব, কারণ সে তোমার বংশীয়।” যে কারণে খৃস্টানগণ মনে করে যে মুসলমানেরা দাসীর পুত্র ইমাইলের বংশ, আর তারা অব্রামের বা ইব্রাহিমের আসল বংশধর। যাহোক, সারা এবং ঈশ্বরের কথামত ইসমাইল ও তার মাতাকে অব্রাহাম প্রান্তরে রেখে এসেছিলো। এখানে ঈশ্বর অমানবিক ও বিতর্কিত কাজ করেছে, ঈশ্বর নিজে ইসমাইলকে দাসীপুত্র বলেছে এবং ইসহাককেই তার বংশীয় বলছে।
যাহোক, (আদিপুস্তক ২২:১-২) : “…ঈশ্বর অব্রাহামের পরীক্ষা করিলেন। …তিনি কহিলেন, তুমি আপন পুত্রকে, তোমার অদ্বিতীয় পুত্রকে, যাহাকে তুমি ভালবাস, সেই ইসহাককে লইয়া মোরিয়া দেশে যাও, …তাহাকে হোমার্থে বলিদান কর।” (কোরানে নাকি, ইসমালইকে কুরবানীর কথা আছে)। (আদিপুস্তক ২২:৬-১৮): তখন অব্রাহাম হোমের কাষ্ঠ লইয়া আপন পুত্র ইসহাকের স্কন্ধে দিলেন, এবং নিজ হস্তে অগ্নি ও খড়গ লইলেন; পরে উভয়ে একত্র চলিয়া গেলেন। আর ইসহাক আপন পিতা অব্রাহামকে কহিলেন, হে আমার পিঃত। …অগ্নি ও কাষ্ঠ, কিন্তু হোমের নিমিত্তে মেষশাকব কোথায়? …অব্রাহাম সেখানে যজ্ঞবেধি নির্মাণ করিয়া কাষ্ঠ সাজাইলেন, পরে আপন পুত্র ইসহাককে বাঁধিয়া বেদিতে কাষ্ঠের উপরে রাখিলেন। পরে অব্রাহাম হস্ত বিস্তার করিয়া আপন পুত্রকে বধ করণার্থে খড়গ গ্রহণ করিলেন। এ সময়ে আকাশ হইতে সদাপ্রভুর এক দূত তাঁহাকে ডাকিয়া কহিলেন, অব্রাহাম। …যুবকের প্রতি তোমার হস্ত বিস্তার করিও না, উহার প্রতি কিছুই করিও না, কেননা এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাকে আপনার অদ্বিতীয় পুত্র দিতেও অসম্মত নও। তখন অব্রাহাম চুক্ষ তুলিয়া চাহিলেন, আর দেখ, তাঁহার পশ্চাৎ দিকে একটি মেষ, তাহার শৃঙ্গ ঝোপে বদ্ধ; পরে অব্রাহাম গিয়া সেই মেষটি লইয়া আপন পুত্রের পরিবর্তে হোমার্থ বলিদান করিলেন। …পরে সদাপ্রভুর দূত দ্বিতীয় বার আকাশ হইতে অব্রাহামকে ডাকিয়া কহিলেন, …তুমি এই কার্য্য করিলে, আমাকে আপনার অদ্বিতীয় পুত্র দিতে অসম্মত হইলে না, এই হেতু আমি আমারই দিব্য করিয়া কহিতেছে, আমি অবশ্য তোমাকে আশীর্বাদ করিব এবং আকাশের তারাগণের ও সমুদ্রতীরস্থ বালুকার ন্যায় তোমার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব; তোমার বংশ শত্র“গণের পুরদ্বার অধিকার করিবে; আর তোমার বংশে পৃথিবীর সকল জাতি আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে।” (উপরে উল্লেখিত বাক্যগুলোতে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রয়েছে, দূত অব্রাহামকে ডাক দিলো কিন্তু কথা বললো ঈশ্বর, তা কি করে হলো? আর অদ্বিতীয় পুত্র বলা হলো, তাতে বোঝা যায় যে, দাসীপুত্র ইসমাইলকে ঈশ্বরও অস্বীকার করেছে)। একারণেই ইহুদিরা নিজেদের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এবং অব্রাহামের বংশধর বিশেষ করে ঈশ্বরের প্রতিশ্র“ত মহাআর্শিবাদ প্রাপ্ত জাতি হিসেবে দাবি করে।
বাইবেল অনুসারে ইসহাককে কুরবানী দিতে নিয়ে গিয়েছিলো ইব্রাহিম বা অব্রাহাম, কিন্তু কোরানে নাকি বলা হয়েছে ইসমাইলকে কুরবানী দিতে নিয়েছিলো। এ বক্তব্যটি আমার সঠিক জানা নেই তবে এক পাদ্রির মুখে শুনেছি যে, মুসলমানরা বিশ্বাস করে ইসহাক নয় ইসমাইলকেই কুরবানী দিতে নেয়া হয়েছিলো। এছাড়া তারা যুক্তি দেখান যে, কুরবানী দিতে বলা হয়েছে প্রিয় জিনিষ, কিন্তু এরা কেউই প্রিয় জিনিষ কুরবানী দেয় না, দেয় বাজার থেকে কিনে এনে যা কখনো প্রিয় জিনিষ হতে পারে না, কারণ যদি কেউ কোন প্রাণী পোষে তবে তা তার প্রিয় হতে পারে, কিন্তু ক্রয়কৃত প্রাণী প্রিয় হয় কি করে?
যাহোক, আমরা কেউ জানি না যে, পৃথিবীতে কোন মানুষ সর্বপ্রথম খুন হয়েছিলো এবং সেটা কে করেছিলো! কিন্তু বাইবেল অনুসারে আদমের প্রথম সন্তান (কয়িন) তার ছোট ভাই হেবলকে খুন করেছিলো এবং এটাই নাকি পৃথিবীতে মানুষ খুনের সর্বপ্রথম ঘটনা। এ খুনের জন্য কিন্তু ঈশ্বরের রক্তপিপাসাকেই দায়ী করা চলে। আশ্চর্য! খোদা বা ঈশ্বর কেন রক্তাক্ত পশু ছাড়া আমার প্রিয় বস্তুটি গ্রহণ করবে না? ইহুদি ধর্মগ্রন্থ অনুসারে এটি এলোও খৃস্টানগণ কুরবানী দেয় না তার কারণ ঈসা বা যীশুখ্রীস্ট এসে তা রহিত করেছে; তিনি বলেছে, ওইসব রক্তপাতের আর প্রয়োজন নাই আমিই তোমাদের পাপের জন্য ক্রুশে রক্ত দিয়ে গেলাম, তোমরা আমার রক্তের স্মরণ লইও ইত্যাদি। সম্ভবত ইহুদিরাও কোরবানী বা হোমবলি দেয় না। কুরবাণী প্রথা অব্রাহামের পূর্বে আদমের সন্তানদের সময় থেকে বিদ্যমান ছিলো যেমন, আদমের প্রথম সন্তান কয়িন ও দ্বিতীয় সন্তান হেবলের দৃষ্টান্ত। (আদিপুস্তক ৪:২-৮) “…হেবল মেষপালক ছিল, ও কয়িন ভূমিকর্ষক ছিল। পরে কালানুক্রমে কয়িন উপহাররূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ভূমির ফল উৎসর্গ করিল। আর হেবলও আপন পালের প্রথমজাতক একটি পশু ও তাহাদের মেদ উৎসর্গ করিল। তখন সদাপ্রভু হেবলকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন; কিন্তু কয়িনকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন না; এই নিমিত্ত কয়িন অতিশয় ক্রুদ্ধ হইল…। …কয়িন আপন ভ্রাতা হেবলের বিরুদ্ধে উঠিয়া তাহাকে বধ করিল।” আরো বলা হয়েছে, হেবলকে যখন কয়িন হত্যা করে বালুর মধ্যে পুতে রেখেছে তারপর ঈশ্বর তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলো তোমার ভ্রাতা কোথায়? কয়িন উত্তর দিয়েছিলো আমি কি জানি? আমি কি আমার ভ্রাতার রক্ষক? ঈশ্বর বলেছিলো, তোমার ভ্রাতার রক্ত আমার নিকটে ক্রন্দন করছে, তুমি তোমার ভ্রতাকে বধ করেছো…। প্রশ্ন হলো, হেবলকে বধ করার সময় ঈশ্বর কোথায় ছিলো? হেবলের রক্ত ক্রন্দন করে তার কাছে নালিশ করছে, কিন্তু বধ করার সময় সে দেখিনি! এটি কি বিশ্বাসযোগ্য?
এখানে দেখা যায়, আল্লা বা ঈশ্বর রক্তহীন হোমবলি বা কুরবানী গ্রহণ করে না। তার পছন্দ রক্তযুক্ত পশু বা মানুষ! কয়িনের কাছে মেষশাবক বা কোন পশু ছিলো না, তাছাড়া ধর্মপুস্তকের ব্যাখ্যানুসারে বলা হয়েছে, তোমার প্রিয় বস্তুটি কোরবানী দেও। কারো প্রিয় বস্তু যদি শষ্য হয় তবে তা কেন ঈশ্বর গ্রহণ করবে না? প্রতিটি ধর্ম অনুসারে শয়তান রক্তপিপাসু কিন্তু আল্লা/হরি/ঈশ্বর এরা পবিত্র! আর এই পবিত্রতার জন্য যদি সত্যিই রক্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে এরা কিসের সৃষ্টিকর্তা? রক্ত এবং হত্যায় ভগবান/ঈশ্বর/আল্লা খুশি! এ কেমন বিধান? তাহলে শয়তান এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
(Y)
এখানে যারা ইসলামের একটি মূল্যবান আদেশকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন, তাদের কে কোন পশুর সাথে তুলনা দিয়ে আল্লাহর সৃষ্টিকে অপমানিত করতে চাই না। তামান্না ঝুমু নামক মেয়েটিকে দুটি কথা জানিয়ে দিতে চাই । (যদি জানার ইচ্ছা থাকে) আল্লাহ কিন্তু কোন জংলী বা দীর্ঘকাল ধরে পালা হয় এমন পশু ব্যতিত কোরবানী করতে বলে নাই। কারণ হল মানুষের এগুলোর সাথে মহব্বতের সম্পর্ক রয়েছে। আর মানুষ ও পশুর সৃষ্টিকারী একমাত্র আল্লাহ। তিনি চান মানুষ মহব্বত করুক সবচেয়ে বেশী আল্লাহকে। তাই মানুষের আল্লাহর প্রতি মহব্বতের প্রকাশ করার নিমিত্বে এই হুকুম। যেমন সুরায়ে হজ্জে আছে- আল্লাহ এগুলোর (পশুর) গোস্ত, রক্ত কিছুই গ্রহণ করেন না। বরং তোমাদের আল্লাহ-ভীতিকে গ্রহণ করেন।
এ জবাব শুধু মাত্র যারা আস্তিক তাদের জন্য। আর যারা নাস্তিক তাদের এ পৃথিবীতে বেচে থাকার কোন অধিকার নাই। কারণ তারা যার মাধ্যমে অস্তিত্যপ্রাপ্ত তাকে চিনে না। যার তৈরী খাবার, যার তৈরী পৃথিবী, যার আলো-আধারে বেচে আছে তাকে চিনে না।
আমি পৃথিবীর সকল আস্তিক সরকারদের বলব- তাদেরকে হত্যা করে আল্লাহর পৃথিবী কে পাক করে ফেলুক।
@আবু মাছরুর,
@আবু মাছরুর,
ভাইজান কি জে এম বি বা বাংলা ভাই এর চেলা নাকি ?
@ভবঘুরে,
না ভাই! আপনার হ্রদপিন্ডটা যে এখনো কার্যকর রেখেছে (যা এক সময় ছিল না।) তার চেলা। যদিও বা আপনারা তাকে না চিনে খোদা হিসেবে চিনেছেন “ঢার্ট ইন”, লেলিন, মার্কস, ও আব্রাহাম ”লিংগ কর্ণ” গংদের দেখি কাদের অবস্থা
আপনার লিখা ভালো লেগেছে . কিন্তু একটা বেপার পরিস্কার নই কেন এই কোরবানী দেবার বেপার টা বহাল থাকলো. এটা জানার জন্য যদি কোনো লিঙ্ক থাকে দওয়া করে জানাবেন.
মুক্তমনা এ এক নিষিদ্ধ নেশা, এখান থেকেই আমাদের মুক্তির পথ খুঁজে নিতে হবে. আর এ নেশা থেকে ফেরার পথ নেই. ধন্যবাদ. শাওন
@শাওন,
অনেকদিন বাদে মুক্তমনায় যোগ দিলাম। শাওন, মানুষ সত্যি সত্যিই ধর্মান্ধ তাই ধর্মের বিশেষ একটি প্রথা অনুযায়ী এবং আল্লাকে খুশি করার জন্যই এটি পালন করছে বলে আমার ধারনা। তবে যে ইহুদিদের নিকট থেকে এ প্রথা এসেছে তারা বোধকরি এটি পালন করে না (আমার জানা নেই), খ্রীস্টানরাও পালন করে না। তারা বিশ্বাস করে যীশু তাদের জন্য রক্তদান করে গেছে, সেই রক্তের চিহ্নস্বরূপ তার রক্তের ন্যায় একপ্রকার ফলের রস যাকে দ্রাক্ষারস বলা হয় তা পান করে তাকে স্মরণ করে। কারণ যীশু বলেছেন, ঈশ্বরের আর রক্তের প্রয়োজন নেই, আমার রক্তেই তোমরা পবিত্র হবে। যাহোক, রক্ত সব দেবতা/ঈশ্বর/আল্লা/হরি এমনকি শয়তানের কাছেও প্রিয় তাই বোধকরি এতো রক্তপাত। এব্যাপারে কোন লিঙ্ক আমার জানা নেই।
লেখাটা খুবই ভালো লাগলো|লেখকের সাথে আমি একমত|মুক্ত-মনার আরো প্রচারের জন্য আমি অংশ গ্রহণ করতে চাই|
@পলাশ,
আপনাকে ধন্যবাদ।
মুক্তমনায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আমি কোন কিছু লিখলে টা সরাসরি পোস্ট হয় না, বিবেচনাধীন থাকে ক্যান? লগিন করতে গেলে ইউজার নামে আ কি নাম দিব, রেজিস্টার অপশন ত পাই না, কেও কন আমারে, :-s
এভাবে চললে আর সদালাপের সাথে মুক্তমনার পার্থক্য থাকবে না। সদালাপের ইয়াহুদী নাসারার জায়গায় মুক্তমনায় কেটে ইসলাম বসিয়ে দিলেই চলবে।
স্রেফ একটা গার্বেজ পোস্ট।
অনেক মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে সবাই নিজেকে অবিশ্বাসী প্রমান এর প্রতিযগিতায় লিপ্ত। কিন্তু কেন?।একথা ঠিক যে খ্রিস্টান ধর্মে এখন গির্জার লোকজন সামাজিক কাজে মনোযোগী বা সোশ্যাল ওয়ার্ক। এক প্রতিবেদনে পড়লাম যেসব দেশে ধর্মের মৃত্যু ঘন্টা প্রায় বেজে গেছে তার মধ্যে নর্থ আমেরিকা এবং স্কান্নেভিয়ান দেশ গুলো অগ্রগামি। তবে হিন্দু ধর্মে উগ্রতা নেই বা এখন নেই বললেই চলে এটা ও মানা যায় না, মাঝে মাঝে সহিংসতা র কথা থাক, হিন্দু গন এখনো বিধবা বিয়ে,ছোয়া ছুয়ি ,জাত-পাত, বংশ মিলিয়ে বিয়ে এগুলো থেকে মোটেও বেরুতে পারেনি। তার ওপরে পন প্রথা ত আছেই। শুধু টেরিরিজম দিয়ে ধর্ম কে বাঞ্চাল করার চেষ্টা ঠিক না,যেখানে এমন মতও আছে যে পুজিবাদের শোষণ এর বিরুদ্ধে এধরনের ধাক্কা (যেমন ৯/১১) দরকার আছে,যদিও কোন বিবেকবান মানুষ এর পক্ষে নয়,নিরীহ মানুষ খুন করা কারো কাম্য নয়। শুতরাং আলোচনা করলে করতে হবে ধর্ম বনাম অন্নকিছু,এক ধর্ম বনাম অন্য ধর্ম নয়। আর কেন সবকিছুতে ধরমকে টানতে হবে সেটা আবার অন্য বিতর্ক। সুতরাং কে বিশাসি আর কে নয় এটা অপ্রাসঙ্গিক,মুক্তমনার নীতিমালায় আছে এখানে আলচনার জন্য এটা অপ্রয়জনিয়। বরং সব ধরনের মানুষের সমাবেশ বিতর্ককে প্রানবন্ত করে এবং নতুন মাত্রাও যোগ করে। আমি ত মনে করি মুক্তমনার পক্ষ থেকে জাকির নায়েক কে আমন্ত্রন করা যেতে পারে লাইভ ফ্ল্যাশ চ্যাট রুমের মাধ্যমে যেখানে আমরা সবাই প্রশ্ন করতে পারব। জাকির নায়েক সরাসরি প্রশ্নের উত্তরে সবসময় মুখমুখি হন হিজাব পরিহিত বালিকাদের অথবা মৌলবাদী লোকজনের। একথাও ঠিক কোন প্রকার বিজ্ঞান সমিতি নায়েক এর সাথে বিতর্কে যাবে না যেমন নাকি কোন এলোপ্যাথিক ডাক্তার হোমিও ডাক্তার এর সাথে তর্ক করে না,রুচির ব্যাপার আছে মনে হয়…আমরা কম বুঝা মানুষ আমরা নায়েক কে ধরতে পারি না?
@সপ্তক,
আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ, কেউ কাউকে আঘাত দিয়ে না লিখলেই ভালো। আমি দুঃখিত যে, হয়তো আমার লেখাটি কারো কারো জন্য খুব কঠিন হয়ে গেছে। মূলত, আমি বলতে চেয়েছি, বর্তমানে একটি বাদে অন্য ধর্ম পৃথিবীর জন্য তেমন কোন সমস্যা নয়। ইহুদি, খৃস্টান, হিন্দু এসব ধর্মের বহু বহু ঘটনা আমাদের কমবেশি জানা এবং আমার দৃষ্টিতে তা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে (সম্পূর্ণ নয়)। শুধু একটি ধর্মের সমস্যা বর্তমান এবং তা অত্যন্ত জটিলও বটে। কারণ এরা প্রকাশ্যেই যেভাবে অন্য ধর্মের সমালাচেনা করে (যা অন্যেরা করে না) সেটা আমার খারাপ লাগে। তাই আমি অন্য ধর্মের সমালোচনা বেশি একটা করিনি। আমি হয়তো বোঝাতে পারিনি অথবা একপেশে হয়ে গেছে। তবে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, পৃথিবীর কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই সত্য নয় এবং প্রতিটি ধর্মেই কমবেশি মৌলবাদী এবং ঘৃণার সমাহার। তবে অতীত না ঘেটে চিন্তা করে দেখুন (শুধু বর্তমানের আলোকে) ইসলামে তা সবচাইতে বেশি বলে আমি মনে করি। ইহুদিরা শুধু একটি জায়গায় তাদের মৌলবাদিত্ব নিয়ে সীমাবদ্ধ কিন্তু ইসলামী সন্ত্রাস পৃথিবীর সর্বত্রই কম আর বেশি আছেই। যেহেতু আমি এসব মনে করি, তাই বলে ফেলেছি, কোন ধর্মকে বড় বা ছোট করা বা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। সেজন্য এও মনে করি এককালের অত্যাচারি খৃস্টানগণ যেভাবে খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে, ঠিক সেইভাবেই ইসলামও পরিবর্তন করা প্রয়োজন, কিন্তু এর পরিবর্তন যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এখানেই হতাশা যে এরা পৃথিবীকে আর কতোদিন রক্তপাতে ডুবিয়ে রাখবে? ধন্যবাদ সকলকে। ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন এই কামনায়, কফিল।
@কফিল কাঙ্গাল,
“কিন্তু এর পরিবর্তন যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এখানেই হতাশা”
সহ মত দাদা। তবে কিনা ২ খান কথাও আছে। মৌলবাদীরাও আটকে গেলে বদলায়।যেমন আগে ছবি তলা যেত না কিন্তু হজ্জ এর জন্য পাসপোর্ট লাগার অজুহাতে জাএজ(কিন্তু আমেরিকা কানাডা যাওন আসল ধান্দা),রক্ত,চক্ষু দান জায়েজ ছিল না ,এখন আছে,কারন?,কারন মৌলবাদীদেরও লাগে যে!!। এই যে আরব এ ৮ জনের মুন্ডু কর্তন করল,ওরা ভাবছিল বাংলাদেশিরা শুধু ওদের দেশে গিয়েই ফুট ফরমায়েশ খাতে,কিন্তু আরো যে ৭০/৮০ লক্ষ বাংলাদেশি ইউরোপ আমেরিকাতে আছে বেটারা কিন্তু এবার টের পেয়েছে। জাতিসঙ্ঘের সদর দফতর এর সামনে সহ অনেক জায়গাতে বিক্ষোভ করেছি আমরা। বাঙ্গালীরা অনেক দেশের পার্লামেন্ট এর সদস্য। আমাদের জন্যই ধর্ম বদলাতে বাধ্য।মানুশ ধর্ম বানিয়েছে মানুষ ই বদলাবে দাদা…ইনশাল্লাহ!!
@সপ্তক,
ভাইডিরে (ভাইটি) অনেক অনেক ধন্যবাদ, মুই হেইডাই চাই আর কিচু চাই নাই, হেইর লাইগ্যাই মুই যে ধর্ম এহন বেশি বেশি ঝামেলা হরে, হেই ধর্মের বিরুদ্ধে লেহি, কিন্তু হগলডিই কয়, কেন একটা ধর্মের বিরুদ্ধে লেহি, ওগুলা (অন্য ধর্মাবলম্বির) যে এহন আর ইসলামের মতো মারামারি হরে না, একসময় হরতো, (মুই তো অতীত চিন্তা হরি না), অরা এহন প্রায় মানুষ অইয়া গেছে। মুই অতো ভালো লেহি না জানি, লেহাপড়ার সুযোগ পাই না কুনোদিনও, তাই তথ্যও ভুল অইতে পারে, হের লাইগ্যা মাপ চাই। তয় মুই অন্যগো লেহা রেফারেন্সে দেই (যেমুন এই লেহায় সৈয়দ কামরান মির্জার প্রশ্নগুলা) দিছি ভাইডি।
যাহোক, আমার বেশি হতাশা এখানেই যে ৯/১১-এর আগে পর্যন্ত সব দেশেই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তেমন কোন খরচ ছিলো না, অর্থাৎ এ ব্যবস্থা ছিলো অত্যন্ত ঢিলেঢালা, যদি এখনকার মতো অবস্থা থাকতে তাহলে ৯/১১ ঘটতে পারতো না। আর ৯/১১-এর পরে ই-টেরোরিস্টদের দমনে, রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তা বৃদ্ধির কারণে উন্নত সব রাষ্ট্রের যে কোটি কোটি ডলার ব্যয় হচ্ছে তা হতো না, ফলে এ অর্থ ই-বিশ্বের ুধার্তদের জন্যই বেশি ব্যয় হতো বলে আমার ধারণা। ভাইডিরে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি হের সুন্দর আশাবাদের জন্য।
@কফিল কাঙ্গাল,
মেয়া ভাই কথা যা কইছেন এক্কেলে ঠিক। মুই ই হেইয়াই কই,হাজার কথার এক কথা প্যাডে ক্ষুধা রাইক্ষা মোরা যা হরি হেয়া চেন্তা কল্লে মাথা ঘুইররে যায়।তয় মেয়া ভাই কথা কি জানেন নিরাপত্তার কথা মুই কি আর কমু এইবার দ্যাশের থনের আহার কালে হিথ্র থে ত কাপর চপর খুইল্লে ফেলতে চায় দেখলাম,মুই ত তক্কিশ খাইয়ে গেছেলাম।তয় চান্দের বগলে যাওয়ার লাইজ্ঞেও কলাম মানুষ অনেক খরচ করছেল মেয়া ভাই, এই হইল মোগো সভভতা।দেশে এইবার যে গেলাম বিশ্ব কাপ ক্রিকেট এর মইধ্যে পইররে গেছেলাম,হে কালে শোনলাম ৫/৭ শ কটি টাহা ঝাইররে দেছে বাতি দিয়া ঢাহা শহর সাজাইতে।দুহ রাহি কম্বায় মেয়া ভাই।দেশ ছাইররে পালাইয়া বড়লকগ দেশে ঘড় বানলেও মেয়া ভাই এইয়া চড়ুই পাখির লাহান হইয়ে গেলো না?,বাবুই ত হইত পারলাম না,কি করবেন মেয়া ভাই গরুর গস্ত খাইয়ে ত মুরগির ঝল চাইলে চলবে না।
“অন্যান্য ধর্মগুলোর (বিশেষ করে খৃস্টান, হিন্দু) গোড়ামি যেখানে প্রায় শূন্যের কোঠায়”
বলেন কি ভাই!
@শান্তনু সাহা,
আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ, কেউ কাউকে আঘাত দিয়ে না লিখলেই ভালো। আমি দুঃখিত যে, হয়তো আমার লেখাটি কারো কারো জন্য খুব কঠিন হয়ে গেছে। মূলত, আমি বলতে চেয়েছি, বর্তমানে একটি বাদে অন্য ধর্ম পৃথিবীর জন্য তেমন কোন সমস্যা নয়। ইহুদি, খৃস্টান, হিন্দু এসব ধর্মের বহু বহু ঘটনা আমাদের কমবেশি জানা এবং আমার দৃষ্টিতে তা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে (সম্পূর্ণ নয়)। শুধু একটি ধর্মের সমস্যা বর্তমান এবং তা অত্যন্ত জটিলও বটে। কারণ এরা প্রকাশ্যেই যেভাবে অন্য ধর্মের সমালাচেনা করে (যা অন্যেরা করে না) সেটা আমার খারাপ লাগে। তাই আমি অন্য ধর্মের সমালোচনা বেশি একটা করিনি। আমি হয়তো বোঝাতে পারিনি অথবা একপেশে হয়ে গেছে। তবে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, পৃথিবীর কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই সত্য নয় এবং প্রতিটি ধর্মেই কমবেশি মৌলবাদী এবং ঘৃণার সমাহার। তবে অতীত না ঘেটে চিন্তা করে দেখুন (শুধু বর্তমানের আলোকে) ইসলামে তা সবচাইতে বেশি বলে আমি মনে করি। ইহুদিরা শুধু একটি জায়গায় তাদের মৌলবাদিত্ব নিয়ে সীমাবদ্ধ কিন্তু ইসলামী সন্ত্রাস পৃথিবীর সর্বত্রই কম আর বেশি আছেই। যেহেতু আমি এসব মনে করি, তাই বলে ফেলেছি, কোন ধর্মকে বড় বা ছোট করা বা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। সেজন্য এও মনে করি এককালের অত্যাচারি খৃস্টানগণ যেভাবে খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে, ঠিক সেইভাবেই ইসলামও পরিবর্তন করা প্রয়োজন, কিন্তু এর পরিবর্তন যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এখানেই হতাশা যে এরা পৃথিবীকে আর কতোদিন রক্তপাতে ডুবিয়ে রাখবে? ধন্যবাদ সকলকে। ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন এই কামনায়, কফিল।
@ কফিল কাঙ্গাল,
<
এই বাক্য গুলি যে, তরুনদের কে বুকে বোম্ব বেধে আত্মঘাতি বানিয়ে নিরপরাধ ইহুদি,নাছারা ও মুসলমানদের মেরে জাহান্নামের জলন্ত অগ্নি তে নিক্ষেপ করে নিজেরা শহীদ হয়ে সাথে সাথে বেহেশ্ত চলে গিয়ে,বিশ্বে চরম অশান্তির দাবানল জালিয়ে,একটি সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠার সুত্র হিসাবে কাজ করতেছে,এটা বোধ হয় কেহ অস্বীকার করতে পারবেননা।
লিংক ২টা (kamran & Zahed)দেওয়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। এটা আমি Save করিয়া রেখেছি।এটা কাজে লাগবে।
ধন্যবাদান্তে
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার মহাগ্রন্থ আল-কোরআন এর কিছু আয়াতের অংশ উল্লেখ করাটা অনেকটা এ রকম “তাহের আ: জাহিল চাকলাদারকে মেরেছে” এমন ভাবে একটি পুরো ঘটনার উপস্থাপনের নামান্তর। আ: জাহেলকে কেন মারল, এর ভূমিকা কি? ঘটনার আগে-পড়ে কোন সূত্র আছে কি না বলেই উনি কোরআনের সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন! আরে মিয়া সাহস থাকে তো আরবী পড়ে কোরাআন বুঝুন। তারপর সমালোচনা করুন। অনেক খৃষ্টান যাদের মধ্যে ” আল মুনজিদ ” নামক আরবী অভিধান এর লিখক (যদিও তিনি ইংলিশ) চেষ্টা করেছিলো কোরআনের ভূল বের করতে আরবী অভিধান লিখে ফেলেছে। কিন্তু! ভূল করাটা তার দ্বারা সম্ভব হয় নাই। আপনারা তো তাদেরই ছাত্র।
সাবাস এরকম লেখা না হইলে কি আর জুইত হয়। উচিত কথা কইছেন। আশা করি কেউ একটা টি.ভি চ্যানেল বাইর করব এবং মুসলমানের কানের ভিতর বারি দিয়া চোখের পর্দা উঠাইয়া দিব। :rotfl:
@সীমান্ত ঈগল,
আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ, কেউ কাউকে আঘাত দিয়ে না লিখলেই ভালো। আমি দুঃখিত যে, হয়তো আমার লেখাটি কারো কারো জন্য খুব কঠিন হয়ে গেছে। মূলত, আমি বলতে চেয়েছি, বর্তমানে একটি বাদে অন্য ধর্ম পৃথিবীর জন্য তেমন কোন সমস্যা নয়। ইহুদি, খৃস্টান, হিন্দু এসব ধর্মের বহু বহু ঘটনা আমাদের কমবেশি জানা এবং আমার দৃষ্টিতে তা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে (সম্পূর্ণ নয়)। শুধু একটি ধর্মের সমস্যা বর্তমান এবং তা অত্যন্ত জটিলও বটে। কারণ এরা প্রকাশ্যেই যেভাবে অন্য ধর্মের সমালাচেনা করে (যা অন্যেরা করে না) সেটা আমার খারাপ লাগে। তাই আমি অন্য ধর্মের সমালোচনা বেশি একটা করিনি। আমি হয়তো বোঝাতে পারিনি অথবা একপেশে হয়ে গেছে। তবে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, পৃথিবীর কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই সত্য নয় এবং প্রতিটি ধর্মেই কমবেশি মৌলবাদী এবং ঘৃণার সমাহার। তবে অতীত না ঘেটে চিন্তা করে দেখুন (শুধু বর্তমানের আলোকে) ইসলামে তা সবচাইতে বেশি বলে আমি মনে করি। ইহুদিরা শুধু একটি জায়গায় তাদের মৌলবাদিত্ব নিয়ে সীমাবদ্ধ কিন্তু ইসলামী সন্ত্রাস পৃথিবীর সর্বত্রই কম আর বেশি আছেই। যেহেতু আমি এসব মনে করি, তাই বলে ফেলেছি, কোন ধর্মকে বড় বা ছোট করা বা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। সেজন্য এও মনে করি এককালের অত্যাচারি খৃস্টানগণ যেভাবে খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে, ঠিক সেইভাবেই ইসলামও পরিবর্তন করা প্রয়োজন, কিন্তু এর পরিবর্তন যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এখানেই হতাশা যে এরা পৃথিবীকে আর কতোদিন রক্তপাতে ডুবিয়ে রাখবে? ধন্যবাদ সকলকে। ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন এই কামনায়, কফিল।
খুব ভাল লাগল।
আসলে সব কৃত্বিত্ত এম আ খানের প্রাপ্য। আমি শুধু ঊনার বই থেকে তুলে দিয়েছি।
@আবুল কাশেম,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যথেষ্ট যুক্তিপুর্ন লেখা। (Y)
ভয় হয় যে সত্য প্রকাশ করতে যেয়ে লেখক আবার এক পক্ষিয় নীতি অবলম্বনের দায়ে দায়ী না হয়ে যান!
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই সত্য বড়োই কঠিন, নির্মম তা আমি হাড়ে হাড়ে জানি কিন্তু সত্য কথা বলার একবিন্দু স্থান এ বাংলায় নেই। এখানে মিথ্যার জয়জয়কার, কি রাজনীতিতে, কি ধর্মে, কি সমাজে… সর্বত্রই এমন সহজ-সরল ভাষায় আমার মিথ্যা বলে যাচ্ছি যেন এটাই প্রকৃত সত্য। ধন্যবাদ।
ইসলাম তার জন্মলগ্ন থেকেই ‘হিপক্রাইট”। মুসল্মানের জন্য এক আইন, অমুসলীমদের জন্য অন্য আইন।
যতার্থ বলেছেন।
লিখাটি খুব ভাল লাগলো। (F)
‘যদিও জন্ম দিয়ে বিশ্বের প্রায় ২শ বিলিয়ন লোককে সে না খাইয়ে রাখছে)” – মনে হয় দুই বিলিয়ন বুঝাতে চেয়েছেন।
।
@গোলাপ,
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু ভাই আমি ঠিক মনে করতে পারছি না, ২শ বিলিয়ন বা ২ বিলিয়ন কোনটা ঠিক। অনেক আগে একবার বিবিসিতে এরূপ একটা খবর শুনছিলাম, তারা বলেছিলো প্রায় ২শ বা ২ বিলিয়ন। তাই আমি এ সংখ্যাটি ধরে নিয়েছিলাম। হয়তো আমি ভুল করেছি। ধন্যবাদ।
” –আমার কাছে মনে হয়, পৃথিবীর সমস্ত ধর্মগ্রন্থের চেয়ে একমাত্র সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থটিতেই হিস্রাংত্মক বাণী বেশি। অন্যান্য ধর্ম পুস্তকে যুদ্ধের মহিমা, অন্য ধর্মাবলম্বিদের হত্যায় উৎসাহিত করা, গণিমাতের মাল হিসেবে ধর্ষণ ইত্যাদি তেমন একটা আছে বলে আমার জানা নেই, (থাকলেও সামান্য কিছু থাকতে পারে)–”
আপনার লেখায় ষ্পষ্ট যে অন্যধর্মের বইপুস্তক সম্পর্কে আপনার জানাশোনা নেই। শুনুন, ইসলামকে এককভাবে টার্গেট করে ইসলামবিদ্বেষী জিহাদী হওয়া যায়, কিন্তু মুক্তমনা হওয়া যায় না। আপনাদের মতো ইসলামবিদ্বেষীদের প্রয়োজন রয়েছে, কারন কাটা দিয়েই হয়তো কাটা সবচেয়ে ভালো তোলা যায়। কিন্তু এরকম জ্ঞানবিহীন মৌলবাদ আকড়ে ধরে মুক্তমনার ভেক ধরবেন না।
@সফিক,
লেখক এখানে বিষদভাবে বর্ননা করেছেন কেন ইসলাম নিয়ে বেশী বেশী লিখা হয়। আপনি তার কোন্ ‘পয়েন্টটিতে’ একমত নন তা specifically উল্লেখ না করে গত বাঁধা মন্তব্য করেছেন। আপনি লেখককে “জ্ঞানবিহীন মৌলবাদ” বলে তাচ্ছিল্যও করেছেন যুক্তি-যুক্ত কোন কারন বা রেফারেন্স না দেখিয়েই।
@সফিক,
একটি সত্য ঘটনা, ইন্টারমিডিয়েট পাশ নামাজি এক সহকর্মীকে কইছিলাম, অফিস সময়ে এই যে কাজ ফেলে নামাজে যান, এতে লাভ কি? আমার অধস্তন হওয়াতে উত্তর না দিয়ে সে হাসছিলো। দ্বিতিয় প্রশ্ন করলাম, বলেন তো কোরানে লেখা আছে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে অথচ বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে পৃথিবী ঘোরে আপনি কি মনে করেন? উত্তরে সে বলেছিলো, Ôযেহেতু কোরানে আছে সেহেতু আমি তাই বিশ্বাস করি।Õ কি বললো এসব মূর্খদের?
নিজের ধর্ম এমনকি গোত্রের সমালোচনা কেউ করলে তাতে আঘাত লাগে, যেমন কথায় কথায় আমরা বলি ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। ধর্মনুভূতি জিনিষটা কি? মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত ছিলো একটা, কিন্তু তা না হয়ে হয়েছে হাজারোটা। এমনকি একই ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন গোত্র যেমন, ক্যাথলিক, প্রটেস্টান্ট, এংলিকান, শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানি… ইত্যাদি, একই নবী-রাসূলের ধর্ম পালন করতে গিয়ে এসব গোত্রের লোকেরা প্রতিদিন যেরূপভাবে গুলি-বোমা ফাটাচ্ছে (শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানি…) তাতে আপনার কি মনে হয়? এতে কি ধর্মের মহিমাকীর্ত্তণ করা চলে না কি সমালোচনাই শ্রেয়। প্রতিটি ধর্মেরই সমালোচনা একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে কেন? সমালোচনাকারীকে কেন হত্যার ফতোয়া দেয়া হয়। যদি ধর্ম ঠিক থাকতো তাহালে তো এর প্রয়োজন হতো না। ভাই, অন্য ধর্মের বইপুস্তক আমি যতোটুকু পড়েছে বা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছি, তাতে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা এই যে, পৃথিবীর অন্য দেশের কথা জানি না এই দেশের কোন হিন্দু বা খ্রীস্টানগণ তাদের প্রার্থনার সময় অন্য ধর্মের সমালোচনা করে না, তাদের ধর্মপুস্তক থেকে ধর্মীয় ব্যাখ্যাই দেয় অথচ মুসলমানেরা মাইক লাগিয়ে চিৎকার করে ইহুদি, নাছেড়া, হিন্দু-খ্রীস্টান এদের প্রচণ্ড সমালোচনায় মুখর থাকে। এটি তো কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে পারে না। শুনেছেন আজ পর্যন্ত অন্য কোন ধর্মের লোকেরা এরূপ করে। আমি নিজ কানে শুনেছি, রাস্তা বন্ধ করে মঞ্চ তৈরি করে, চারিদিকে প্রায় হাফ কিলোমিটার ব্যাপী মাইক লাগায়। তখন বুশের ইরাক জয় তখন শেষ, সাদ্দাম বন্দী। একজন ধর্মজীবি মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করছে আর সামনের চেয়ারে বসা লোকদের জিজ্ঞেস করছে, কি বলেন, ঠিক না? হুজুরটি বলছেÑ “আপনারা আমেরিকা গেলে দেখতে পাবেন, সকাল বেলা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে, তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করবেন, হোয়াট ইজ ইওর নেইম অর্থাৎ এই বাবু তোমার নাম কি? বালকটি উত্তর দেবে, তার নাম বলবে পিটার বা জর্জ বা বুশ। এরপর জিজ্ঞেস করবেন, হোয়াট ইজ ইওর ফাদার নেইম অর্থাৎ তোমার বাবার নাম কি? বালকটি কি উত্তর দিবে, জানেন?” সবাই নিরব কেউ কথা বলছে না। হুজুর বললেন, “ওরা আপনাকে উল্টা প্রশ্ন করবে, হোয়াট ইজ ফাদার? অর্থাৎ বাবা, কি? কারণ ওরা বাবা কি তা জানে না, ওদের নবীও জারজ; ওরা সব জারজ! আরো হুংকার দিয়ে দিয়ে বলছিল, মুসলমান হত্যার বিচার আল্লা করবেনই, কাফেরদের আল্লা এমন শাস্তি দেবে তখন বুঝবে ইত্যাদি…। এই যে খৃস্টান নবী ঈসাকে এভাবে জারজ বললো, এর উল্টোটা কোন সংখ্যালঘু কি বলতে পারবে? জানি এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের লোকদের অত্যন্ত ঘৃণা করে তা তো খোদা বা ভগবান বা ঈশ্বরের শিা, কারণ প্রতিটি ধর্মগ্রন্থেই এরূপ শিা কম-বেশি আছে, ধর্মগ্রন্থে না থাকলেও ধর্মজীবিদের মুখে মুখে আছে। তবে আমি যা বলছি তা আপনি ভুল বুঝছেন, এটি অন্য ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মজীবিদের মুখে যতোটা না প্রচারিত তার চেয়ে অধিক প্রচারিত হচ্ছে একটি বিশেষ ধর্মজীবিদের মুখে মুখে এবং ওই ধর্মগ্রন্থেই তা বেশি। তাছাড়া আমার দেয়া উদাহরণগুলো বিশেষ করে সৈয়দ কামরানা মির্জার ওয়েবে যান দেখেন একথাগুলো শুধু আমার নয়। আরেকটি সাইট দিলাম পড়ে দেখেবে কেমন? http://www.mukto-mona.com/Articles/jahed (Jahed Ahmed’s Article) ধন্যবাদ।
@কফিল কাঙ্গাল,প্রথম কথা আমি বিশ্বাসী নই। দ্বিতীয় কথা আপনার বাংলাদেশে থাকে বাংলাদেশী মোল্লাদের ঘৃনা ওগরানো কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে ইসলামের মতো ঘৃনা পরায়ন আর কিছু নেই। কামরান মির্জা আর এম এ খানের একটা দুটো বই পরেই তুলনামূলক ধর্মতত্বে বিশারদ হওয়া যায় না। এরা কেউ স্কলার নন। এদের একটি সংকীর্ন বিদ্বেষপূর্ন লেখাগুলো বিপরীতে আপনাকে ১০টি বইএর রেফারেন্স দিতে পারবো ্যেখানে প্রতিষ্ঠিত ইতিহাসবিদরা ইসলামকে কনটেক্সট এর আওতায় তুলে ধরেছে।
আমি হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ব বাদীদের অনেক লেখা দেখেছি যেখানে ইসলামকে চরমতম ঘৃনার সাথে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা হিটলার এবং তার মাইনরিটি সমস্যা সমাধানের পদ্ধতির বিশেষ ভক্ত দ্বীতিয় মহা্যুদ্ধের সময় থেকেই। ইসরাইলের ইহুদী শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা আরব এবং ইসলামকে হেয় করা জন্য ঘৃন্যতম প্রচার এবং কাজ চালায়। গাজা আক্রমেনর সময় ইসরাইলী আর্মীর একটি জনপ্রিয় টি শার্ট ছিলো একট প্রেগন্যান্ট আরব মহিলার উপরে টার্গেট এর ছবি এবং নীচে লেখা ‘এক গুলি, দুই কিল’। ( http://www.richardsilverstein.com/tikun_olam/2009/03/20/idf-t-shirts-boast-of-killing-babies-pregnant-women-sodomizing-hamas-leaders/) কদিন আগেই ইসরাইলে একটি মসজিদ আগুন দিয়ে ছাই করে ফেলা হয়েছে। খৃষ্টান ধর্ম তার ২০০০ বছরে ইউরোপের প্যাগান শুরু করে, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার নেটিভদের খৃস্টিয় আর্শিবাদে যে গনহত্যার রেকর্ড করেছে তাতো এখনো অম্লান। কয়েকশ বছর আগেই আফ্রিকা থেকে কোটি কোটি দাস ধরে নিয়ে যাবার সময়ে ইউরোপের ক্রিশ্চিয়ান যাজকেরা মত দিতেন যে নিগ্রোদের আত্মা নেই। সুতরাং তাদেরকে পশুর মতো ব্যবহার করলেও তারা ততো যন্ত্রনা পায় না। ঠিক যেমনটি বলা হয় কুরবানীর পশুর ক্ষেত্রে। আমেরিকায় ইন্ডিয়ানদের নিশ্চিন্হ করার সময়ে স্পেনীস কনকুইসটাডর রা ছোট ইন্ডিয়ান শিশুদের মাথায় জল ছিটিয়ে বাপটিজম করে ক্রিশ্চিয়ান বানিয়ে তারপরে আছড়ে মেরে ফেলতো। বার্ট্রান্ড রাসেলের নীচের লেখাটি পড়ে দেখুন http://www.positiveatheism.org/hist/russell2.htm।
শুনুন সবকিছুই কনটেক্সট নির্ভর। আজ থেকে ৪০০-৫০০ বছর আগে, যখন ক্যাথলিক-প্রোটেস্টান্ট ধর্মীয় দ্বন্দে ইউরোপের একতৃতীয়াংশ লোক মরেছিলো, পাইকারী দরে ইহুদীদের মারা হতো (ইংল্যান্ড থেকে সকল ইহুদীদের বিতাড়ন করা হয়েছিলো), সেসময়ে কোন ইতিহাসবেত্তা যদি পুরো বিশ্বকে একনজরে দেখতেন, তবে তার মনে হতো যে খৃ্স্টান ধর্মের মতো অসহিষ্নু কোনো ধর্ম নেই। সেসময়ে ইউরোপ থেকে বিতাড়িত ইহুদীরা সব আশ্রয় নিয়েছিলো তুরষ্কে আর উত্তর আফ্রিকায়। অটোমান সাম্রাজ্যে ইহুদীদের নানারকম উচ্চপদ দেয়াহতো তাদের যোগ্যতার জন্যে। আরবরা হাজার হাজার বছর ধরে আফ্রিকা থেকে দাস ধরে নিয়ে গেছে ঠিকই। কিন্তু দেখুন আরবে আলাদা কোনো নিগ্রো পপুলেশন নেই। বরং আরবদের মধ্যেই সাদা থেকে কালো বিচিত্র বর্ন দেখা যায়। কারন ক্রীতদাস জনসংখ্যা আরবে পুরো মিশে গেছে। বহু আফ্রিকান বংশদ্ভুত লোকেরা আরবের সমাজে উচ্চপদে আসীন হয়েছে। এই শতাব্দীর আগ পর্যন্ত ইউরোপ-আমেরিকায় আফ্রিকানদের সমাজে অবস্থান কোথায় ছিলো?
আজথেকে ৩০-৪০ বছর আগেও পলিটিক্যাল ইসলাম, ইসলামিক টেরোরিজম ছিলো পৃথিবীর রাডারের বাইরে। ডান-বাম পন্থী টেরোরিজমই দাপটে চলতো বিশ্বজুড়ে। আজ এই মুহুর্তে, ইসলাম পৃথিবীতে বিশেষ সমস্যা সৃষ্টি করছে সন্দেহ নেই। কিন্তু ২০-৩০ বছর পরে এই অবস্থা থাকবে না, তখনো ইসলাম থাকবে এবং দুনিয়ায় আরও ভয়াবহ কোনো সমস্যা থাকবে।
@সফিক,
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই, আপনি একটু খেয়াল করে পড়েন, হিন্দু, ইহুদি, খ্রীস্টাদের যে ঘৃণার ইতিহাস রয়েছে এবং ধর্ম মানেই যে ঘৃণার ভান্ডার তা আমার লেখায় এলোমেলো ভাবে রয়েছে। আমি বলছি, এদের হাম্বিতাম্বি নেই বললেই চলে। আপনিও তা স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তারা আর আগের মতো নাই, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে তাতো আমরা প্রতিদিনকার খবরে পাচ্ছিই। আমি লিখেছি, {অন্যান্য ধর্মগুলোর (বিশেষ করে খৃস্টান, হিন্দু) গেড়ামি যেখানে প্রায় শূন্যের কোঠায়, সেখানে এ বিশেষ ধর্মটির গোড়ামি যেন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ….অন্য ধর্মাবলম্বিরা এসব থেকে সরে এসেছে বহু পূর্বেই, অতএব যারা এক সময় পৃথিবীর অশান্তির কারণ ছিলো সেই পাদ্রি-পুরোহিতরা এখন আর পৃথিবীর জন্য হুমকি নয়।} আমার সবাই খৃস্টান পাদ্রিদের অত্যাচারের কাহিনী জানি, গ্যালিলিওকে কিভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছিলো, বুনোকে কিভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছিলো, কারণ তারা বলেছিলো সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে না, ঘোরে পৃথিবী। এরপরও পাদ্রিরা পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ করতে পারে নাই। আরেক বিজ্ঞানী (নাম মনে নেই) বলেছিলো, মানুষের জন্ম প্রাকৃতিক নিয়মে হয় যার ফলে তাকেও পুড়িয়ে মারা হয়েছিলো। ওদের ধর্মীয় যুদ্ধ, ঘৃণা এসব এখন ইতিহাস কিন্তু ইসলামের যুদ্ধ বর্তমান। তাই তো সমালোচনা হচ্ছে।
@সফিক,
ভাই , আপনার মতে ইসলামী স্কলার কারা ? নামগুলো একটু বলবেন ?
এই একটা কথা ইদানিং আপনারা বলা শুরু করেছেন তা হলো- ইসলামকে কনটেক্সট এর আওতায় তুলে ধরেছে। কিন্তু ইসলাম কি কোন কনটেক্সটের ব্যপার? ইসলাম হলো একমাত্র সত্য ধর্ম যার বিধিবিধান কেয়ামতের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে। কোন নির্দিষ্ট কনটেক্সটে কোন বিধান মোহাম্মদ তৈরী করলেও তা কিন্তু কেয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে চুড়ান্ত আদর্শ হিসাবে। সুতরাং কনটেক্সট বলে যেটাকে যৌক্তিক বলতে চাচ্ছেন তা কতটা যুক্তিযুক্ত আর একবার বিচার করুন। যেমন- উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়- আল্লাহ বলছে- তোমাদের অধীনস্ত দাসী ব্যাতীত অন্য সকল সধবা নারীকে তোমাদের জন্য হারাম করা হলো। কোন কনটেক্সটে এটা নাজিল হয়েছিল? কারন যুদ্ধের সময় সাহাবীরা যৌনকাজ করার জন্য মোহাম্মদের কাছে আবদার জানাল।তখন উক্ত আয়াত নাজিল হয়। বলাবাহুল্য, অধীনস্ত দাসী অর্থ হলো- যুদ্ধে যেসব নারী বন্দী হবে।পরে কি আল্লাহ বা মোহাম্মদ কোনদিন বলেছে- যুদ্ধ বন্দী নারীদের সাথে যৌনকাজ করা যাবে না ? তার মানে বর্তমানেও মুসলমানরা যুদ্ধ করতে গিয়ে এরকম নারীদেরকে ধরে ধরে ধর্ষণ করতে পারবে। সুতরাং কনটেক্সট বলে কিন্তু পার পাওয়া যাবে না। এরকম আরও বহু উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। সবচাইতে ভাল হয়- বুখারী বা মুসলিম শরীফ পড়েন , কনটেক্সট সহ সবকিছু পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। মনে হয় তা পড়ার দরকার বোধ করেন না।
@কফিল কাঙ্গাল, একটু কষ্ট করে ওল্ড টেস্টামেন্ট পড়ে নিন। দেখবেন, ইসলামের ঘৃনা আর হত্যার কথা ভুলেই যাবেন।
@সফিক,
সফিক সাহেব আমি বাইবেল যতটুকু পড়েছি তাতে নিচের বাক্যগুলোর মতো একটি বাক্যও পাইনি আপনি পেলে নির্দিষ্ট ভার্সগুলো জানানোর অনুরোধ রইলো। আমি কোরানের সামান্য কয়েটি সূরা দিলাম এরূপ আরো অজস্র এবং তা কোরানের প্রায় প্রতিটি পাতাতেই আছে।
সূরা ৫:৫১ হে বিশ্বাসীগণ! ইহুদী ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদের একজন হবে। সূরা ২:১৯১ আর যেখানে পাও, তাদের হত্যা কর, এবং যেখান থেকে তোমাদের বের করে দিয়েছে, তোমরাও সেখান থেকে তাদের বের করবে। …তোমারা তাদের হত্যা করবে, এটাই তো অবিশ্বাসীদের পরিণাম। সূরা ৯:১২৩ হে বিশ্বাসগণ! অবিশ্বাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখুক…। ২:২১৬ তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল। যদিও এ তোমাদের কাছে অপছন্দ, কিন্তু তোমরা যা পছন্দ করা না সম্ভবত তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং তোমরা যা পছন্দ কর সম্ভবত তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। ৪৭:৪ ঃঅতএব যখন তোমরা অবিশ্বাসকারীদের সাথে যুদ্ধে মোকাবিলা কর তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা তাদের সম্পূর্ণভাবে পরাভূত করবে তখন তাদের মজবুত করে বাঁধবে; অতঃপর তোমরা ইচ্ছা করলে তাদের মুক্ত করে দিতে পার অথবা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিতে পার। তোমরা যুদ্ধ চালাবে যতণ না তারা অস্ত্র সংবরণ করবে। এটিই বিধান…। ৯:৫ অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে অংশীবাদীদের যেখানে পাবে বধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে, কিন্তু যদি তারা তওবা করে, যথাযথ নামায পড়ে এবং যাকাত দেয় তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে…। * (অংশীবাদী অর্থাৎ ঃ যারা প্রতিমাপূজক এবং ইসলাম ধর্মে অবিশ্বাসী)। ৫৬:৬৭-৭৫ সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে? সেখানে (স্বর্গে) রয়েছে ফলমূল, খেজুর ও আনার, …সেখানে থাকবে সুশীলা ও সুন্দরী রমণীগণ, …সুলোচনা ও তাঁবুতে অবস্থানকারিণী এ সকল রমণী, …এদের ইতিপূর্বে মানুষ অথবা জ্বিন স্পর্শ করেনি। …তারা সুন্দর গালিচা বিছানো সবুজ চাদরের উপর হেলান দিয়ে বসবে। ৪:৩৪ পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, এবং এ (শ্রেষ্ঠত্ব) এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। …স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাদের প্রহার কর*। (*স্ত্রী ব্যভিচারিণী হলে এ সব ব্যবস্থা অবলম্ব করতে হবে। এগুলো তালাকের পূর্বাবস্থায় প্রযোজ্য)। ৩৮:৪৪ পুরুষকে আদেশ দেয়া হয়েছে তার স্ত্রীদের সবুজ ডাল দিয়ে প্রহার করতে কারণ সবুজ ডাল প্রহারের জন্য বেশি উপযুক্ত এবং তা দ্বারা বেশি আঘাত করা সম্ভব। ৬৬:১০ (অর্থ) স্ত্রীগণ জাহান্নামে যাবে যদি তারা তাদের স্বামীর অবাধ্য হয়। ২:২২২-২২৩ লোকে তোমাকে রজঃস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। তুমি বল, ‘তা অশুচি’। সুতরাং রজঃস্রাবকালে স্ত্রী সঙ্গ বর্জন করবে, এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, তাদের নিকট (সহবাসের জন্য) যেও না। …তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যত্রে (স্বরূপ)। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যেেত্র যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার। ২:২৮২ এখানে ধর্ষণের সাী হিসেবে দুইজন মহিলা সমান একজন পুরুষ ধরা হয়েছে এবং মহিলাদের সাী মানলে কোর্টেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাই বলা হয়েছে। ধর্ষণের সময় অন্তত ৪ জন পুরুষ দেখেছে এমন স্যা না দিলে ধর্ষিতার পে রায় যাবে না, কেউ কি সাী রেখে ধর্ষণ করে? তাও আবার ৪ জন! ৪:৩ আর তোমরা যদি আশংকা কর যে পিতৃহীনাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না তবে বিবাহ করবে (স্বাধীনা) নারীদের মধ্যে, যাকে তোমাদের ভাল লাগে, দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশংকা কর যে সুবিচার করতে পারবে না তবে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকে (ক্রীতদাসী অথবা যুদ্ধবন্দিণীকে)। ৯: ২৯ যাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না ও পরকালেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা নিষিদ্ধ করেছেন তা করে না এবং সত্য ধর্ম অনুসরণ করে না তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ স্বোচ্ছায় জিযিয়া* দেয়। ১৪:১৬ তাদের (অবিশ্বাসীদের) প্রত্যেকের জন্য পরিণামে জাহান্নাম রয়েছে এবং প্রত্যেককে গলিত পূঁজ পান করান হবে। (এখানে ইংরেজিতে ফুটন্ত পানি লেখা হয়েছে তা ঠিক নয়, গলিত পুঁজ হবে)। ৫:৩৩ যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করে তাদের শাস্তি এই যে, তাদের হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক* থেকে তাদের দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। পৃথিবীতে এটাই তাদের লাঞ্ছনা ও পরকালে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে। (*বিপরীত দিক থেকে Ñ এর অর্থ ডান হাত বাম পা অথবা বাম হাত ডান পা)। ৮:৬০ এবং তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব প্রস্তুত রাখবে, এ দিয়ে তোমরা আল্লাহর শত্র“কে, তোমাদের শত্র“কে সন্ত্রস্ত করবে এবং এ ছাড়া অন্যদের যাদের তোমরা জান না, আল্লাহ জানেন, আর আল্লাহর পথে যা ব্যয় করবে তার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি অত্যাচার করা হবে না। ৯:৩৯ যদি তোমরা অভিযানে বের না হও তবে তিনি তোমাদের মর্মন্তুদ শাস্তি দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই তি করতে পারবে না। ৯:১১১ নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্বাসীদের নিকট থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ বেহেশতের মূল্য বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছেন, তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে, (অসৎ ব্যক্তিদের) নিহত করে অথবা (নিজেরা) নিহত হয়। এরূপ বাণী অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে আছে কিনা জানিনা, আপনাদের জানা থাকলে জানাবেন। তবে মূল কথা অন্য ধর্মগুলো তাদের কুসংস্কারের ব্যাপারে এখন প্রায় নিশ্চুপ যা লাফালাফি নিজেদের মধ্যে সীমাবব্ধ কিন্তু ইসলামের লাফালাফি সারা বিশ্বে এবং এর ফলে প্রতিটি রাষ্ট্রের (বাংলাদেশের মতো ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশেও) নিরাপত্তা ব্যায় বেড়েছে কোটি কোটি গুণ।
@সফিক,
আমরা কি এখানে ওল্ড টেষ্টামেন্ট প্রতিষ্ঠা করতে আসি নাকি ? ওল্ড টেষ্টামেন্টকে তো আপনাদের মত মুমিন বান্দারা বলেন বিকৃত। তার অর্থ তার মধ্যেকার তথ্যও বিকৃত। অথচ সেই বিকৃত তথ্য দিয়ে কোরান ডিফেন্ড করতে আসছেন। আর বিকৃত তথ্য দিয়ে যা ডিফেন্ড করবেন তাও বিকৃত হতে বাধ্য।কি বলেন? সাধারন যুক্তিবোধ আপনাদের কতটা অসাড় এটা তার একটা বড় প্রমান। সেই ওল্ড টেষ্টামেন্টই তো আবার বলে- ইসমাইল নয়, ইসহাককে কোরবানী দেয়া হয়েছিল। নবী আসবে ইসরাইলি জাতী থেকে।সেটা আবার গ্রহণ করেন না কেন ? কেমনভাবে আপনাদের চিন্তা ভাবনা অসাড় হয়ে গেছে , একবার ভেবে দেখেছেন কি ?
@ভবঘুরে, প্রথমেই বলেছি আমি বিশ্বাসী নই সুতরাং এটা নিয়ে খামোকা ঘ্যান ঘ্যান করবেন না। এই ব্লগে আমার মন্তব্যের সূচনা হয়েছিলো আপনার একটি লেখা থেকে, যেখানে আপনি চরম উৎসাহে লিখেছিলেন শয়তানের প্ররোচনায় খারাপ কাজ করার অজুহাত দেখানো ইসলামের বিশেষ বোৈশিষ্ট্য। খৃষ্টান ধর্ম সম্পর্কে সামন্যতম ধারনা থাকা লোক এতে চরম আশ্চর্য হবার কথা। আপনি অন্য ধর্ম গুলি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। বাইবেল সম্পর্কে সামান্য ধারনা থাকলে — “আমি বাইবেল যতটুকু পড়েছি তাতে নিচের বাক্যগুলোর মতো একটি বাক্যও পাইনি আপনি পেলে নির্দিষ্ট ভার্সগুলো জানানোর অনুরোধ রইলো” । এতো অল্প জ্ঞান নিয়ে বাগাড়ম্বর একজন ঘৃনান্ধ মৌলবাদীর পক্ষেই সম্ভব।
Execution for those who work on Saturdays (Friday Sunset to Saturday Sunset, until three stars can be seen in the sky). (Exodus 31:12-15)
Kill People Who Don’t Listen to Priests (Deuteronomy 17:12 NLT)
Kill Homosexuals (Leviticus 20:13 NAB)
Death for Fornication – A priest’s daughter who loses her honor by committing fornication and thereby dishonors her father also, shall be burned to death. (Leviticus 21:9 NAB)
Death to Followers of Other Religions
Whoever sacrifices to any god, except the Lord alone, shall be doomed. (Exodus 22:19 NAB)
Kill Nonbelievers
They entered into a covenant to seek the Lord, the God of their fathers, with all their heart and soul; and everyone who would not seek the Lord, the God of Israel, was to be put to death, whether small or great, whether man or woman. (2 Chronicles 15:12-13 NAB)
Kill the Entire Town if One Person Worships Another God
(Deuteronomy 13:13-19 NLT)
Kill Women Who Are Not Virgins On Their Wedding Night
(Deuteronomy 22:20-21 NAB)
Death for Blasphemy
(Leviticus 24:10-16 NLT)
Kill People for Working on the Sabbath
(Exodus 31:12-15 NLT)
God Killing Children
From there Elisha went up to Bethel. While he was on his way, some small boys came out of the city and jeered at him. “Go up baldhead,” they shouted, “go up baldhead!” The prophet turned and saw them, and he cursed them in the name of the Lord. Then two shebears came out of the woods and tore forty two of the children to pieces. (2 Kings 2:23-24 NAB)
Kill Sons of Sinners
Make ready to slaughter his sons for the guilt of their fathers; Lest they rise and posses the earth, and fill the breadth of the world with tyrants. (Isaiah 14:21 NAB)
Kill Men, Women, and Children
(Ezekiel 9:5-7 NLT)
Rape and Baby Killing
Anyone who is captured will be run through with a sword. Their little children will be dashed to death right before their eyes. Their homes will be sacked and their wives raped by the attacking hordes. For I will stir up the Medes against Babylon, and no amount of silver or gold will buy them off. The attacking armies will shoot down the young people with arrows. They will have no mercy on helpless babies and will show no compassion for the children. (Isaiah 13:15-18 NLT)
@সফিক,
আপনি বিশ্বাসী না হলে এত যুক্তির অবতারণা কেন করছেন সেটাই তো বুঝলাম না।
আগেই বলেছি আমরা ওল্ড টেষ্টামেন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য লেখালেখি করি না।
আপনি যেসব বাক্যগুলো উল্লেখ করেছেন ওল্ড টেষ্টামেন্ট থেকে- ওগুলো ভালই জানা আছে।
মোহাম্মদ মূলত: ওগুলোকেই তার কোরানে আমদানী করেছে। তার পর তা জাষ্টিফাই করার চেষ্টা করেছে।
আমরা ওল্ড টেষ্টামেন্টের ওসব হিংসাত্মক বাক্য যেমন বর্জন করি, একই ভাবে ইসলামেরও ঐরকম আয়াতগুলোকে বর্জন করতে চাই। মুসকিল হলো, ইহুদী বা খৃষ্টানরা অনেক আগেই তাদের শিক্ষা থেকে ওসব বর্জন করেছে কিন্তু মুসলমানরা তা করছে না। আর সেটারই প্রতিবাদ আমরা করি।
@ভবঘুরে,
আপনি কেন ধরে নিচ্ছেন, বিশেষ ধরণের যুক্তির অবতারণা করতে হলে কোন ব্যক্তির এই-এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে?
@ভবঘুরে,
সফিক সাহেব একজন অবিশ্বাসী মানুষ। আমরা যারা নিয়মিত মুক্তমনা অনুসরণ করি তারা সেটা জানি। উনি কোরানকে ডিফেণ্ড করতে আসেন নি। কী জন্য এসেছেন একটু মনোযোগ দিয়ে ওনার মন্তব্য পড়লেই বুঝতে পারবেন।
সফিক সাহেবকে মুমিন বান্দা বানানোর চেয়ে বরং কফিল কাঙ্গালের দিকে নজর দিন। জিজ্ঞেস করে দেখুনতো তিনি অবিশ্বাসী কি না? নাকি হিন্দু ধর্মের অনুগত একজন মানুষ? কোনো অবিশ্বাসী লোকের পক্ষে কি কখনো বলা সম্ভব যে হিন্দু বা খ্রিস্টান ধর্ম গোঁড়ামি থেকে মুক্ত হয়ে গিয়েছে?
@ভবঘুরে,
আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ, কেউ কাউকে আঘাত দিয়ে না লিখলেই ভালো। আমি দুঃখিত যে, হয়তো আমার লেখাটি কারো কারো জন্য খুব কঠিন হয়ে গেছে। মূলত, আমি বলতে চেয়েছি, বর্তমানে একটি বাদে অন্য ধর্ম পৃথিবীর জন্য তেমন কোন সমস্যা নয়। ইহুদি, খৃস্টান, হিন্দু এসব ধর্মের বহু বহু ঘটনা আমাদের কমবেশি জানা এবং আমার দৃষ্টিতে তা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে (সম্পূর্ণ নয়)। শুধু একটি ধর্মের সমস্যা বর্তমান এবং তা অত্যন্ত জটিলও বটে। কারণ এরা প্রকাশ্যেই যেভাবে অন্য ধর্মের সমালাচেনা করে (যা অন্যেরা করে না) সেটা আমার খারাপ লাগে। তাই আমি অন্য ধর্মের সমালোচনা বেশি একটা করিনি। আমি হয়তো বোঝাতে পারিনি অথবা একপেশে হয়ে গেছে। তবে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, পৃথিবীর কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই সত্য নয় এবং প্রতিটি ধর্মেই কমবেশি মৌলবাদী এবং ঘৃণার সমাহার। তবে অতীত না ঘেটে চিন্তা করে দেখুন (শুধু বর্তমানের আলোকে) ইসলামে তা সবচাইতে বেশি বলে আমি মনে করি। ইহুদিরা শুধু একটি জায়গায় তাদের মৌলবাদিত্ব নিয়ে সীমাবদ্ধ কিন্তু ইসলামী সন্ত্রাস পৃথিবীর সর্বত্রই কম আর বেশি আছেই। যেহেতু আমি এসব মনে করি, তাই বলে ফেলেছি, কোন ধর্মকে বড় বা ছোট করা বা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। সেজন্য এও মনে করি এককালের অত্যাচারি খৃস্টানগণ যেভাবে খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে, ঠিক সেইভাবেই ইসলামও পরিবর্তন করা প্রয়োজন, কিন্তু এর পরিবর্তন যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এখানেই হতাশা যে এরা পৃথিবীকে আর কতোদিন রক্তপাতে ডুবিয়ে রাখবে? ধন্যবাদ সকলকে। ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন এই কামনায়, কফিল।
@ কফিল কাঙাল
ভাই,জন গনের মনের কথাটাই প্রকাশ করে ফেলেছেন। ধন্যবাদ লিংকটা দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদান্তে
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি জাহিদের সাইটে গিয়েও দেখতে : http://www.mukto-mona.com/Articles/jahed (Jahed Ahmed’s Article)
শয়তান এবং এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। মিল আছে। তা হচ্ছে শয়তানও নেই এরাও নেই।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বোন আপনাকে ধন্যবাদ আপনার সাহস দেখে আমি মুগ্ধ। আশা করি, আপনাকে দেখে আরো বেশি বেশি বোনেরা মুক্তমনায় আসবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছান্তে… কাঙ্গাল।
এইযে ভাই নির্বোধ, সন্ত্রাসিদের খুন এবং জজের রায়ে ফাসি দিয়ে মৃত্যুদন্ড উভয়টি কি এক? তাহলে তো জজ্ কে ও খুনি বলতে হয়।
মুসলমান ,আপনার প্রশ্নের উত্তরটা কাঙ্গালের কাছ থেকে শুনার খুব ইচ্ছা ছিল।কিন্তু সে ত নির্বাক।