আগামী বৃহস্পতিবার, অক্টোবর 20 বিকেল 4:00 – 6:00 স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তার দাবীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
এবং
আগামী শনিবার, 22 অক্টোবর 3:00 – 6:00 অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলনের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্য প্রাঙ্গণ, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
দুটি কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।
স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তার দাবীতে কর্মসূচীটি আয়োজন করেছে ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবি জনতা। এর নেতৃত্বে আছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন ছাত্র, যুব, নারী, শ্রমিক, কৃষক, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পরামর্শে জনতার দাবিগুলো আরও সুনির্দিষ্ট আকারে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এসব দাবীর ওপর ভিত্তি করে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়েছে।
দাবীগুলো হচ্ছে :
1. যোগাযোগ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রীসহ সকল দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের চিহ্নিত ও পদচ্যুত করতে হবে।
2. রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা, ক্রস ফায়ার, গুপ্তহত্যা, সীমান্ত হত্যা, গণপিটুনি, ভুল চিকিৎসা, অবহেলা জনিত মৃত্যু রোধকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
3. মন্ত্রীর সুপারিশে ২৪ হাজার লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।
4. ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন করতে হবে। অবৈধ উপায়ে যারা লাইসেন্স পেয়েছেন তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে নুন্যতম মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতে হবে।
5. সড়ক, নৌ ও রেল যোগাযোগ ক্ষেত্রে দুর্নীতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও গণপরিবহন ব্যবস্থায় দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। রেল ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জনবান্ধব করতে হবে।
6. সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ধারাগুলি সংশোধন করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
7. জনগণের কাছে সকল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
8. সৌদি আরবে ৮বাঙ্গালীর শিরচ্ছেদ এর প্রতিবাদ
9. সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা।
ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলনের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করে কর্মসূচীটি আহবান করেছে ”আমরা শতকরা নিরানব্বই ভাগ” নামের একটি সংগঠন। এদের নেতৃত্বে কে আছে জানানো হয়নি। তবে এর সঙ্গেও সৈয়দ আবুল মকসুদ থাকতে পারেন বলে ধারণা করছি।
”আমরা শতকরা নিরানব্বই ভাগ” এর পক্ষ থেকে ওয়ালস্ট্রিট দখল আন্দোলনের সংহতি বক্তব্য
শীর্ষক একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
এক মাস পেরিয়ে গেল অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলনের। ভোগবাদী পশ্চিমা জীবন ব্যবস্থায় কর্পোরেট আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভুলে যাওয়া আমেরিকার জনসাধারণ হঠাৎ করেই আবার নেমে এসেছে রাজপথে, প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে শতকরা ৯৯ শতাংশ গণমানুষের উপর শতকরা ১ শতাংশ বেনিয়া-রাজনীতিবীদ-সুশীল সিন্ডিকেশনের শাসন শোষনের বৈধতার প্রতি। কর্পোরেট লোভের বিরুদ্ধে সামাজিক সমতার দাবিতে তারা দখল করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বেনিয়া ক্ষমতার উৎস বলে পরিচিত ওয়ালস্ট্রিটের রাজপথ। তারা স্লোগান দিচ্ছে, মিছিল করছে, পুজিবাদের বেহেশত বলে পরিচিত খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই তারা পুজিবাদ বিরোধী আওয়াজ তুলছে।… খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোগবাদ, পূজিবাদ বিরোধী এহেন গণজাগরণ তাই রূপকথার চেয়ে কোন অংশে কম মনে হয়না, একিসাথে কেউ কেউ এতে নতুন পৃথিবীর সম্ভাবনার আশাবাদও খুঁজে পেতে পারেন।…
আমরা তাদের সামাজিক ঐক্যের দাবিতে এই ন্যাজ্য আন্দোলনে সংহতি জানাই। আমরা বলতে চাই যে আমাদের উপনিবেশ বিরোধী যেই সংগ্রাম, কর্পোরেট সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের যেই লড়াই সেই লড়াই এবং তাদের লড়াই একই শত্রুর বিরুদ্ধে।…
আমাদের আহবান থাকবে আপনাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের সংগ্রামের পক্ষে আওয়াজ তুলুন, ঠিক যেমনি আমরা আওয়াজ তুলছি আপনাদের সংগ্রামের পক্ষে। শুধুমাত্র এই ঐক্যের আওয়াজের মধ্য দিয়াই আমরা “দুনিয়ার ৯৯ শতাংশ এক হও” স্লোগান তুলতে পারি, স্বপ্ন দেখতে পারি নতুন দুনিয়ার।
উভয় কর্মসূচী সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করতে পারেন বাবু আহমেদ এর সাথে। তার মুঠোফোন : 01717577327
সফল হোক, সফল হোক, সফল হোক।
সাহসী আর মানবিক মানুষের ভীড় আশা করছি।
দেশে নই, দেশে যদি থাকতাম হয়ত আমার মতন ক্ষুদ্র মানুষের ভেতর হতে যতটুকু সম্ভব জোরালো আওয়াজ বের হয়, সমস্ত শক্তি দিয়ে সে আওয়াজে প্রতিবাদ করতাম।
শুভ কামনা।
আপনাদের কর্মসূচি সফল হোক।
এইটা মিস হবার কোন কারন নাই।
(Y)
ঢাকায় দুটি প্রতিবাদ সমাবেশের আশু সাফল্য কামনা করছি।
(Y)