লইয়া রহীমুদ্দিনের নাম
তার বাণী শুরু করিলাম।

আল্লাহর আয়াতে ঈমান আন তাড়াতাড়ি
তিনি পরাক্রান্ত, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
ফেরাউন আমার আয়াত দিয়েছিল
তাচ্ছিল্য ভ’রে উড়ায়ে।
তাই তাকে মেরেছি পানিতে ডুবায়ে।

আমি যাকে ইচ্ছা দেই
যার কাছ থেকে ইচ্ছা ছিনিয়ে নেই।
যাকে ইচ্ছা হিসেব ছাড়া রিজিক দান করি।
যাকে ইচ্ছা অনাহারে মারি।
আমি কারো খাই না পরি?
না কারো ধার ধারি?

আমি সারা জাহানের বাদশা।
সাবধান! করোনা আমার কুৎসা।
সবকিছুই আমার ইচ্ছা-নির্ভর।
আমিই সবকিছুর আধার।

আমি মৃতকে করি জীবিত।
জীবিতকে করি মৃত।
কাউকে পান করাই গরল,
কাউকে অমৃত।
জন্ম-মৃত্যু এবং জগতের সমুদয় ঘটনা
আমার ইচ্ছাতেই হয়।
তাই খুন অথবা অন্য কোন অপরাধের জন্য
খুনী বা অপরাধী দায়ী নয়।

কাফেরদের কখনো বন্ধু নির্বাচন করোনা।
যারা করবে তাদের সাথে
আমার কোন সম্পর্ক থাকবেনা।
ওরা বদকার।
ওরা মরলেও ওদের করোনা সৎকার।

মরিয়ম ও আমার মাঝে
হয় নাই কোন পরিণয় সূত্র।
ঈসা আমার জারজ-পুত্র।
কিন্তু ইহা নিয়া যে করিবে “টু” শব্দটি
ছিঁড়িয়া লইবোই তাহার টুঁটি।
বিশ্বময় আমার রাজত্ব।
স্বীকার করিতেই হইবে
আমার আনুগত্য ও দাসত্ব।

ইহুদীরা আমার একমাত্র পুত্রকে
করিতে চাহিয়াছিল হত্যা।
তাই অনন্যোপায় হইয়া
তাকে আসমানে উঠাইয়া লইয়াছি অগত্যা।
কেয়ামতের আগে আবার তাকে
দুনিয়ায় দিব পাঠাইয়া।
কাফেরদিগের অবিশ্বাস দিবে সে ছুটাইয়া।
শেষ করিবে তাহাদের মারিয়া কাটিয়া।

ইব্রাহীম ছিল মুসলমান।
যদিও তার সময়ে হয়নি
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন

হে মুমিনগণ,
বদরের যুদ্ধে ছিলে তোমরা হীনবল।
কুদরতী উপায়ে বাড়াইয়াছি তোমাদের জনবল।
কাফেরদিগে করিতে শায়েস্তা
পাঠাইয়াছি ২০০০, ৩০০০, ৫০০০
অদৃশ্য ফেরেশতা।
কাফেরদের কাজে আসবেনা তাদের ধন-দৌলত,
কাজে আসবেনা তাদের নিজের আওলাদ।
তাদের দিয়ে দেবো জাহান্নামের জ্বাল
জ্বলবে সেথা চিরকাল।

সব জীবের মৃত্যু সময়
আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত।
কেহই পারেনা মরিতে নির্ধারিত সময় ব্যতীত।
অপুষ্টি-জনিত মৃত্যু, শিশুমৃত্যু, প্রসবকালীন মৃত্যু,
দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুর্যোগে মৃত্যু; যতসব অপমৃত্যু
তৃতীয়বিশ্বের জন্য আছে বরাদ্দকৃত।
ভয়াবহ আল্লাহকে ভয় কর, সাবধান!
তোমরা মরিওনা ; না হইয়া মুসলমান
মরিবার আগে আনিয়া লও ঈমান।