লইয়া রহীমুদ্দিনের নাম
তার বাণী শুরু করিলাম।
আল্লাহর আয়াতে ঈমান আন তাড়াতাড়ি
তিনি পরাক্রান্ত, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
ফেরাউন আমার আয়াত দিয়েছিল
তাচ্ছিল্য ভ’রে উড়ায়ে।
তাই তাকে মেরেছি পানিতে ডুবায়ে।
আমি যাকে ইচ্ছা দেই
যার কাছ থেকে ইচ্ছা ছিনিয়ে নেই।
যাকে ইচ্ছা হিসেব ছাড়া রিজিক দান করি।
যাকে ইচ্ছা অনাহারে মারি।
আমি কারো খাই না পরি?
না কারো ধার ধারি?
আমি সারা জাহানের বাদশা।
সাবধান! করোনা আমার কুৎসা।
সবকিছুই আমার ইচ্ছা-নির্ভর।
আমিই সবকিছুর আধার।
আমি মৃতকে করি জীবিত।
জীবিতকে করি মৃত।
কাউকে পান করাই গরল,
কাউকে অমৃত।
জন্ম-মৃত্যু এবং জগতের সমুদয় ঘটনা
আমার ইচ্ছাতেই হয়।
তাই খুন অথবা অন্য কোন অপরাধের জন্য
খুনী বা অপরাধী দায়ী নয়।
কাফেরদের কখনো বন্ধু নির্বাচন করোনা।
যারা করবে তাদের সাথে
আমার কোন সম্পর্ক থাকবেনা।
ওরা বদকার।
ওরা মরলেও ওদের করোনা সৎকার।
মরিয়ম ও আমার মাঝে
হয় নাই কোন পরিণয় সূত্র।
ঈসা আমার জারজ-পুত্র।
কিন্তু ইহা নিয়া যে করিবে “টু” শব্দটি
ছিঁড়িয়া লইবোই তাহার টুঁটি।
বিশ্বময় আমার রাজত্ব।
স্বীকার করিতেই হইবে
আমার আনুগত্য ও দাসত্ব।
ইহুদীরা আমার একমাত্র পুত্রকে
করিতে চাহিয়াছিল হত্যা।
তাই অনন্যোপায় হইয়া
তাকে আসমানে উঠাইয়া লইয়াছি অগত্যা।
কেয়ামতের আগে আবার তাকে
দুনিয়ায় দিব পাঠাইয়া।
কাফেরদিগের অবিশ্বাস দিবে সে ছুটাইয়া।
শেষ করিবে তাহাদের মারিয়া কাটিয়া।
ইব্রাহীম ছিল মুসলমান।
যদিও তার সময়ে হয়নি
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন
হে মুমিনগণ,
বদরের যুদ্ধে ছিলে তোমরা হীনবল।
কুদরতী উপায়ে বাড়াইয়াছি তোমাদের জনবল।
কাফেরদিগে করিতে শায়েস্তা
পাঠাইয়াছি ২০০০, ৩০০০, ৫০০০
অদৃশ্য ফেরেশতা।
কাফেরদের কাজে আসবেনা তাদের ধন-দৌলত,
কাজে আসবেনা তাদের নিজের আওলাদ।
তাদের দিয়ে দেবো জাহান্নামের জ্বাল
জ্বলবে সেথা চিরকাল।
সব জীবের মৃত্যু সময়
আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত।
কেহই পারেনা মরিতে নির্ধারিত সময় ব্যতীত।
অপুষ্টি-জনিত মৃত্যু, শিশুমৃত্যু, প্রসবকালীন মৃত্যু,
দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুর্যোগে মৃত্যু; যতসব অপমৃত্যু
তৃতীয়বিশ্বের জন্য আছে বরাদ্দকৃত।
ভয়াবহ আল্লাহকে ভয় কর, সাবধান!
তোমরা মরিওনা ; না হইয়া মুসলমান
মরিবার আগে আনিয়া লও ঈমান।
পুনসচঃ
সবাই কবি নহে কেহ কেহ কবি
তামান্না ঝুমু কবি
আমরা মন্তব্বকারি
আমাদের গুনাহ নাহি
আমরা উস্কানির শিকার হইয়াছি।
খালেদা হাসিনার মত তামান্নাই
সকল কিছুর জন্য দায়ি।
আমরা তাহারি গুন গাহি
যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন এই দুনিয়াদারী।
@সপ্তক,
আমি আল্লাপাকের দূত বৈ আর কিছু নই। আমার দোষ দেবেননা।
আপনাদের মত ভাই
আমিও তাহারই গুণ গাই।
আমি জিব্রাইল মারফত যে বার্তা পাই
তাহাই আপনাদের কাছে পৌঁছাই।
আমার কোন দোষ নাই।
@তামান্না ঝুমু,
‘আমি জিব্রাইল মারফত যে বার্তা পাই”
জিবরাইল অবসরে গিয়াছিল
বার বৎসরের বেশী বার্তা বহন করিলে
মস্তিস্ক বিকৃতি হয় তাই
জিব্রাইলের মস্তিস্ক ঠিক নাই।
মাঝপথে জিবরাইল
তথ্য ভুলিয়া যায়
নিজের মত
তোমাদের উপর চাপাইয়া দেয়।
সাধু সাবধান
ধোঁকায় পরিয়া
হারাইয়ো নাক প্রান!!
@সপ্তক,
কোন আয়াত ভুলে গেলে তার স্থলে আল্লা আরো উত্তম আয়াত নাজিল করবেন।
@তামান্না ঝুমু,
ছন্দ মিলিবে না
ফেরেশতারা কবিতা বুঝে না।
কেহ কেহ কবি সবাই না।
আলহামদুলিল্লাহ। অবশেষে অনেক আকাঙ্ক্ষিত ওহি নাজিল হল 🙂
@অচেনা, আলহামদ লিল্লাহ্।
ওহে নবী নিসা;
আপনার এই সুরাটি সবচাইতে উত্তম।
আপনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বেশি কিছু নবীর আবির্ভাব দেখা যাচ্ছে বাঙলায়।
হে নবী নিসা, মনে রাখবেন–এর সবাই মেকী। আপনিই আমার প্রেরিত প্রথম রাসুলিমান কারিমা অর্থাৎ প্রথম নারী নবী। আপনি ঘাবড়াবেন না। বিশ্বাস রাখুন এবং প্রচার চালিয়ে যান। আমি অচিরেই এই সব মেকী নবীদের সাবাড় করে দিব।
@আবুল কাশেম,
কতিপয় ভন্ড নবীর আবির্ভাব ঘটেছে। এদেরকে কঠিন হস্তে প্রতিহত করতেই হবে।
@তামান্না ঝুমু,
হে ডিজিটাল যুগের নবী, আমরা খুব বিপদ্গ্রস্থ অবস্থায় আছি, চারিদিকে এতো নবীর আবির্ভাব ঘটিতেছে যে কাহাকে ছাড়িয়া কাহাকে ধরিব কোন কুল কিনারা পাইতেছিনা। আবার এখন দেখি ভন্ড নবীরও অস্তিত্ব আছে। :-Y তবে আমি আপনার মাধ্যমে আল্লাহ্র প্রেরিত বানীগুলোর শানে-নযুল মর্মে মর্মে অনুধাবন করিতে পারিয়া এঁদের মধ্যে আপনাকেই শ্রেষ্ঠ হিসাবে মানিয়া লইব বলিয়া আশা রাখি। আমিন।
তবে আপনাকে শেষ নবী হিসাবে মানিয়া লইতে পারিব কিনা সেটা এই মুহুর্তে সিন্ধান্ত লইতে পারিতেছিনা। কিছুটা নির্ভর করিবে এইসমস্ত বানীতে পরকাল তথা বেহেশ্তের অপার সুখের আকর্ষনীয় ও বিস্তারিত বিবরনের উপর। আপনার পরে যদি অন্য কোন নবীর বিবরন আপনার থেকেও বেশী মনোগ্রাহী হয়, সেইক্ষেত্রে কি হইবে আমি নিশ্চিত করিয়া বলিতে পারিতেছিনা। কারন ইহকালে কি ঘটিয়াছে বা ঘটিবে তাহা জানিয়া কি হইবে, ইহজগত ক্ষনস্থায়ী, পরকালে অনন্তকাল বাস করিতে হইবে। 🙁
@ব্রাইট স্মাইল্,
আলহামদুলিল্লহ। এখন থেকে নামাজে বাংলায় সুরা পাঠ করতে পারেন। আল্লাহ আপনাদের জন্য তার দীন পালন সহজতর করে দিয়েছেন বাংলা কোরানের মাধ্যমে। নিশ্চই তিনি মহানতর। নবী মুহাম্মদের সময়কালেও কতিপয় ভন্ড নবীর অবর্ভাব ঘটেছিল। আল্লা ও রাসুল তাদের প্রতিহত করেছিলেন। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।
আমি শেষ নবী কিনা এখনো জানিনা। এ ব্যাপারে এখনো কোন আয়াত নাজিল হয়নি।
আপনার কবিতা বরাবরই আমার ভাল লাগে। এবার সবচেয়ে মজা লাগল এই অংশটা
ইউটিউবে আমার সবচেয়ে পছন্দের চ্যানেল ডার্ক ম্যাটার ২৫২৫-এ এ বিষয়ক একটি ফানি ভিডিও আছে। দেখতে পারেন
httpv://www.youtube.com/watch?v=0Wyt8gCIZHA&feature=results_video&playnext=1&list=PL04C647648459D1C8
@অভীক,
সত্যি খুব হাসির।:-D
”দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুর্যোগে মৃত্যু; যতসব অপমৃত্যু”
– আমার মনে হয় বাংলাদেশের যোগাযোগ মন্ত্রী, নৌ মন্ত্রী এবং ড্রাইভার ও সারেংরা মিলিয়া বাংলাদেশে আজ্রাইল ফেরেস্তার কাজ বাড়াইয়া দিয়াছে।
@মোহিত,
মিশুক মনির সরক দুঘর্টনায় মারা যাবার পর কোন এক মন্ত্রী বলেছিলেন,
”অপুষ্টি-জনিত মৃত্যু, শিশুমৃত্যু, প্রসবকালীন মৃত্যু,
দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুর্যোগে মৃত্যু; যতসব অপমৃত্যু
তৃতীয়বিশ্বের জন্য আছে বরাদ্দকৃত।”
– ইহা চিন্তার কথা। কারণ, সময়মত চিকিৎসা বিজ্ঞানের সহায়তা লইবার কারণে ( অ্যান্টিবায়োটিক, স্যালাইন, অ্যান্টিসেপটিক ইত্যাদির) কারণে তৃতীয় বিশ্বে শিশু এবং মায়ের মৃত্যু হার কমিয়া গিয়াছে। ঘটনা কী ?
@মোহিত,
–
আল্লাহর সহিত পাল্লা দেওয়া! ইহা সাক্ষাত কেয়ামতের লক্ষণ ছাড়া আর কী হইতে পারে?
”ইব্রাহীম ছিল মুসলমান।
যদিও তার সময়ে হয়নি
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন”
– জানেন না বুঝি, বাবা আদমই তো ছিলেন মুসলমান। আর ঈব্রাহীম তো অনেক পরের কথা…।
@মোহিত,
–
শুধু আদম নয়, আল্লার সৃষ্টি যত পশুপাখি, কীটপতঙ্গ এমন কি জড় পদার্থ আছে সবাই মুসলিম। তারা সবাই এবং সবার ছায়াও আল্লার এবাদত করে। আল কোরান।
@মোহিত,
কোরানে আছে, মিল্লাতা আবিকুম ইব্রাহিম, হুয়া সাম্মাকুমুল মুসলিমিন। মানে হইল, তোমাদের পিতৃপুরুষ ইব্রাহিমের ধর্মমত, তিনি তোমাদের নামকরণ করেছেন ‘মুসলিম’।
কোরান কইছে হেইডা!
@সৈকত চৌধুরী,
তার মানে মুসলিমদের নামকরণ ইব্রাহীম করেছেন; আল্লাহ করেননি! তাহলে আদমের ধর্মের নাম কি ছিল?
কোরান যেইডা কয় হেইডাই হাচা।
”ইহুদীরা আমার একমাত্র পুত্রকে
করিতে চাহিয়াছিল হত্যা।
তাই অনন্যোপায় হইয়া
তাকে আসমানে উঠাইয়া লইয়াছি অগত্যা।
কেয়ামতের আগে আবার তাকে
দুনিয়ায় দিব পাঠাইয়া।”
– আহমদীয়া (কাদিয়ানী) সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে ঈসা নবী ক্রুশবিদ্ধ হইয়া মারা যান নাই বা তাহাকে উঠাইয়া লওয়া হয় নাই। তিনি তিন দিন পর গুহা হইতে বাহির হইয়া ইন্ডিয়া চলিয়া গিয়াছিলেন। সেখানে ঈসা নবীর সমাধিও না কী রহিয়াছে।
@মোহিত,
–
কোরানে বলা হয়েছে ঈসাকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। ইন্ডিয়া যাওয়ার পর ঈসার কি হয়েছিল?
”জন্ম-মৃত্যু এবং জগতের সমুদয় ঘটনা
আমার ইচ্ছাতেই হয়।
তাই খুন অথবা অন্য কোন অপরাধের জন্য
খুনী বা অপরাধী দায়ী নয়।”
– হুম, এই বিষয় লইয়া তর্ক হইয়া মুসলিমদের নতুন একটি সেক্ট( sect) তৈরি হইয়াছিল। জাকির নায়েক ইহার ব্যাখ্যা দিয়াছিলেন- গোঁজামিল ব্যাখ্যা মনে হইয়াছে।
”যাকে ইচ্ছা অনাহারে মারি”-
আ-হা। সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষে মৃতপ্রায় শিশুদের মুখ মনে পড়ছে ? প্রকৃতি এতো নিষ্ঠুর কেন ? না কী মানুষের ব্যর্থতাও এর জন্যে দায়ী ?
@মোহিত,
সবই আল্লাহর ইচ্ছা। তিনিই কোরানে বলেছেন, তিনি যাকে ইচ্ছা বেহিসাবে রিজিক দেন; যাকে ইচ্ছা অনাহারে রাখেন। দুনিয়াতে যার সম্পদ কম আখেরাতে তার হিসাব সহজ হবে। সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষকবলিত শিশুরা বেহেস্তে যাবে।
@তামান্না ঝুমু,
এসব শিশুরা কি বেহেস্তে দুধ মাতা পাবে ? আমাদের মহানবীর শিশুপূত্র ইব্রাহীম মারা গেলে তো তার জন্যে বেহেস্তে একজন ধাত্রী মোতায়েন ছিল বলে হাদিসে পড়েছি।
@ভবঘুরে,
বেহেস্তে দুধের নদী আছেনা! মুহাম্মদপুত্র ইব্রাহিম বহেস্তে বসে বসে দুধমায়ের দুধ পান করছে! কিন্তু কেয়ামতের আগে ত কারো বেহেস্ত-দোযখে যাবার কথা নয়!
এইখানে দেখি বাঙ্গাল নবী হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হইয়া গিয়াছে। ভাবিয়াছিলাম তামান্না ঝুমুই একমাত্র বাঙ্গাল নবী ( প্রথম নারী নবী ) হিসাবে আবির্ভূত হইয়াছেন । এখন দেখি সপ্তক, ফরিদ আহমেদ, ভবঘুরে ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হইয়াছেন। মজাদার সকল সূরা মুহুর্মুহু নাজিল হইতেছে ।নতুন ধর্ম গ্রন্থ আসিতে মনে হয় আর অধিক বিলম্ব নাহি।
@মোহিত,
মরুভূমির বালিতে লক্ষ লক্ষ নবী জন্মাতে পারলে বাংলার মাটিতে কেন পারবেনা?
@মোহিত,
“এখন দেখি সপ্তক, ফরিদ আহমেদ, ভবঘুরে ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হইয়াছেন। ”
তোমাদের মধ্য হইতে অনেক ভণ্ড নবী দাবিকারি থাকিবে। নারী কোটায় বর্তমানে শুধুমাত্র নারিই নিজেকে নবী দাবী করিতে পারে।
***পুনশ্চঃ সপ্তক এইখানে নবীদাবীকারি নহে, বর্তমানে ঈশ্বরের দাপ্তরিক কর্মে নিয়োজিত। কারন জিবরাইল কে অবসর দেওয়া হইয়াছে।
@সপ্তক,
প্রকৃত নবী কে, তা নির্ধারণ করবে কে??
@তামান্না ঝুমু,
নিজে দাবী করিলেই হয়, আমি নবী। ইহার ইহার পর তরবারি…।
@সপ্তক,
মুক্তমনায় নবীদাবিকারী কারো কাছেই যে তরবারি নেই! এখানে কে আসল কে নকল?
@তামান্না ঝুমু,
“মুক্তমনায় নবীদাবিকারী কারো কাছেই যে তরবারি নেই! এখানে কে আসল কে নকল?”
সুযোগ পাওয়াই বড় কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কমুনিস্ট চান্স পাইলে সবচেয়ে বড় পুজিপতি হয়, সবচেয়ে বড় নাস্তিক ও টেকা পাইলে সবচেয়ে বড় নবী হইব, অবশ্য কিছু ক্ষমতা সহ !!, বর্তমান দুনিয়ায় টেকা-পয়াসাই সব… কি ধর্ম আর কি সমাজতন্ত্র।
@সপ্তক,
নাস্তিককে টাকা দিয়ে কেউ নবী বানাতে চায় নাকি? কত টাকা দেবে?ভাল পরিমান হলে রাজি হওয়া যায়। টাকাও পাওয়া গেল, নবীও হওয়া গেল। মন্দ কী?
@তামান্না ঝুমু,
যখন ৫০% এর উপরে নাস্তিক হবে তখন ঘুশ দিয়া সবচেয়ে বর নাস্তিক কে নবী বানানো হইবে। আমি সব পারি , সব জানি।
@সপ্তক,
জিবরাইলের চাকরীর বয়স কি শেষ ?
@ভবঘুরে,
মেহদী কে পাঠানোর পর জিবরাইল কর্মে ফিরিতে পারে। তাহার চাকুরীর মেয়াদ বাড়ানোর কাজ পক্রিয়াধিন।
@ভবঘুরে,
তিনি রিটায়ার্ড করলেন কত বয়সে? অবসর কাটাচ্ছেন কীকরে? তিনি কি মারা গিয়েছেন নাকি এখনো বেঁচে আছেন?
@তামান্না ঝুমু,
বেক্তিগত তথ্য অনুমতি ব্যাতিত ফাঁস করা জায়েয নহে।
@সপ্তক,
অনুমতি পাওয়া যাবেনা? এ বিষয়ে জানা যে জরুরী!
@তামান্না ঝুমু,
প্রস্তাব বিবেচনাধীন।
দিন দিন বঙ্গনবীর কেরামতি-মোজেজা বাড়িতেই আছে। আমরা আপনাকে পাইয়া গর্বিত, আহ্লাদিত। আপনার পরশে বাংলার মাটি পবিত্র হইতে আরো পবিত্রতম হইলো।
জন্ম-মৃত্যু এবং জগতের সমুদয় ঘটনা
আমার ইচ্ছাতেই হয়।
তাই খুন অথবা অন্য কোন অপরাধের জন্য
খুনী বা অপরাধী দায়ী নয়।
সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ!
অপুষ্টি-জনিত মৃত্যু, শিশুমৃত্যু, প্রসবকালীন মৃত্যু,
দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুর্যোগে মৃত্যু; যতসব অপমৃত্যু
তৃতীয়বিশ্বের জন্য আছে বরাদ্দকৃত।
ভয়াবহ আল্লাহকে ভয় কর, সাবধান!
তোমরা মরিওনা ; না হইয়া মুসলমান।
ইহা তো নিশ্চয়ই আল্লাহর বাণী, যাহা আপনার কাছে অবনতীর্ণ হয় দিনে অথবা রাতে।
@আকাশ মালিক,
আল্লাহর বাণীতে
আনিয়াছেন কি ঈমান?
না আনিলে তাড়াতাড়ি আনিয়া লন।
@আকাশ মালিক,
বলি নাই বিচার সহজ হবে গরিবের তরে !
তাহলে এসব কথা আসে কি করে ?
কিসে মৃত্যু কোথা মৃত্যু- এসব বিধান আমার,
দ্বিধা করলেই সবাইকে করে দেব সাবাড়।
অনেকদিন পর আল্লার খাটি বাণী পড়ে বড়ই প্রীত হইলাম। মোহাম্মদেরটার চেয়ে আপনারটা অনেক বেশী ভাল হইছে। তবে কবরে গেলে মনে হইতেছে আপনার খবর আছে।
@বাদল চৌধুরী,
আমি ত আল্লাপাকের বাণী মানুষের মাঝে প্রচার করছি। পরকালে ত আমার বেহেস্তে যাবার কথা; আল্লার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী।
আমারে লইয়া তোমরা কর বাদরামী,
খাড়াও আমি ছুটাব তোমাদের ইতরামী।
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ যা কিছু করে নাও আর দুদিন,
টের পাবে এর মজা কবরেতে যাবে যেদিন।
@ভবঘুরে,
আপনারে নিয়া আদিতে ছিলাম প্রীত
ভাবতাম আপনি করেন মানবের হিত
আজকাল দেখি আপনি কাণ্ডজ্ঞান রহিত
হিংসার বাণীতে করেন নরমুণ্ডু কর্তিত
বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগে আপনি এখন মৃত
জ্ঞানের আলো জ্বেলে করছি শেষকৃত্য
হুমকি তাই মনে হয় প্রবাদের মত
গর্জে যত গুড়ুগুড়ু বর্ষে নাতো তত
@ফরিদ আহমেদ,
আল্লাহর বাণী বিশ্বাস করিতে যদি করেন ভুল
পরকালে দিতে হইবেক
অগ্নিদন্ডে মাশুল।
@তামান্না ঝুমু,
আছেন আমার দয়ার সাগর
প্রাণ প্রিয় রাসুল
থাকতে তিনি গায়ে আমার
কে ফোটাবে হুল
@ফরিদ আহমেদ,
গায়ে হুল ফুটানো!
সে তো আঘাতের নামে বিদ্রূপ।
আঘাতের নামে বিদ্রূপ করা
আল্লাহপাকের কর্ম নয়।
তিনি তাদের তরে
আগুন জ্বেলে ব’সে আছেন
যারা তাঁকে করেনা ভয়।
রাসুল শুধু মোমিনদিগের কাণ্ডারী।
কাফের মুশরিকের দল
পুলসিরাত দিতে পারবেনা পাড়ি।
দ্বিখণ্ডিত হয়ে অগ্নিকুন্ডে পড়বে
তারা সারি সারি।
@তামান্না ঝুমু,
নবী আপনি বড্ড বেশি কড়া
বলেন শুধু শাস্তির কথা চড়া
আগুনের কথা শুনলে লাগে ডর
সেই আগুনে পুড়বো জীবনভর?
কেন হবে কঠিন এমন সাজা?
খাইনি কভু মদ কিংবা গাঁজা
দোহাই লাগে শান্তির কথা কন
শাস্তি মন্ত্র জপেন কেন সারাক্ষণ
ইসলামের মত এখানেও কি ইয়ে
শান্তি শাস্তি বানান গেছে গুলিয়ে?
@ফরিদ আহমেদ,
আগুনেরে সবাই করে ভয়
তাই আগুন দিয়েই
ভয় দেখানো হয়।
মদ গাঁজা খেলেও ক্ষমা আছে
আল্লাপাকের কাছে।
কুফরীর কোন ক্ষমা নাই।
বেহেস্তে যেতে চাইলে
মদের অভ্যাস গ’ড়ে তোলার
আছে অতীব দরকার।
সেথায় মদের নদী আছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়
গাঁজার কোন নদী নাই তথায়।
গাঁজার গন্ধ আল্লাহর পছন্দ নয়। তাই।
শান্তির পথে আসার
এখনো আছে সময়।
খাস দিলে
আল্লার দরবারে কুফরীর তওবা করিলে
পরকালে শান্তির বেহেস্তে পাবেন আশ্রয়।
@ফরিদ আহমেদ,
“বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগে আপনি এখন মৃত”
কে কহিল এ কথা বৎস?
বিজ্ঞানের মাঝেই আমি ঘুরি অবিরত।
বিজ্ঞান তোমাদের কি দিয়াছে?
তোমাদের গুরু আইন্সটাইন কি বলে নাই—
“একটি মূর্ত বস্তুর মাঝে বিমূর্ত শক্তি আছেই”।
তাহা হইলে আমাদের মাঝে বিমূর্ত চেতনা থাকিবে না কেন?।
তিনিই আবার বলিয়াছেন, পদার্থ শক্তিতে
আবার শক্তি রুপান্তর হয় পদার্থে।
আমিই সেই শক্তি
আমা হইতেই তোমরা মানব পদার্থ হইলে সৃষ্টি।
তোমরা কি জানিতে পারিয়াছ? কাহাকে বলে ডার্ক এনার্জি?
হয়ত জানিবে,তাহাতেই কি সংশয় দুরীবে?
পারিবে কি জিজ্ঞাসিতে এই প্রশ্ন “কি ছিল সময় সৃষ্টির আগে?”।
কম্পিউটারের অভিজ্ঞতা নাই তাই তাহার চেতন ও নাই
তোমাদের অভিজ্ঞতা আছে তাই তোমাদের চেতন আছে।
অভিজ্ঞতাই বিবর্তন
বিবর্তন ই অভিজ্ঞতা।
তোমাদের শেষ ভরসা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের চাতুরতা
এই আছে এই নাই শুধুই অনিশ্চয়তা।
এই ফানুস মহাবিশ্ব যতই প্রসারিত হইল
পদার্থ তৈরি হইল, আর তাহা হইল শক্তি হইতে
সেই শক্তিই ত আমি।
তোমরা খুজিয়া ফিরিছ এই শক্তিকেই
সকল শিক্তির যোগফল শুন্য
আমি ছিলাম শুন্য, আমিই হইলাম মহাবিশ্ব।
মিলাইবে আমার সবই আমাতে
শুন্য হইতেআমার সৃষ্টি,শুন্যেই সব মিলাইয়া যাইবে,
যাইব আমি সেই বিন্দুতে যাহা ছিল এই মহাবিশ্ব আদিতে।
**** ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক
মুক্তমনাই এ কথার উৎস।
@ফরিদ আহমেদ,
মুক্তমনার জাহেলিয়া যুগে এজন্যেই মুক্তমনাতে এত নবীর আবির্ভাব।
@ফরিদ আহমেদ,
“মুক্তমনাই এ কথার উৎস।”
নাস্তিকের আড্ডাখানা, নাকি মুক্তমনা?।
@ফরিদ আহমেদ,
যখন বর্ষিবে করিয়া প্রলয়ংকরী গর্জন,
তখন শত কাঁদিলেও গলিবে নাকো মোর মন।
ভীষণ আগুনে আমি পোড়াব আপনাদের দেহ ,
রক্ষা পাবে না কাফির মুরতাদ কেহ।
ক্ষমা চাহি , মাফ করো, বলে কাদিবেন যখন,
আমার কঠিন হৃদয় গলিবে না তখন।
এখনও সময় আছে তওবা করিবার,
বাঁচিতে চাহিলে সবুর না করিবেন আর।
তাহলে পাবেন বেহেস্তে মদ, গেলমান, হুর
থাকিবেন তথায় চিরকাল আমোদে মশহুর।
@ভবঘুরে,
আপনার সব প্রলয়ংকারী গর্জন
কাফির হানিবার হম্বিতম্বি তর্জন
মুহাম্মদ নামের মহাউন্মাদের তরে
শুনিতেছি কর্ণকুহরে সহস্রকাল ধরে
তথাপি দেখি দুনিয়ার কাফেরকুল
সুখে আছে খেয়েদেয়ে দধিফলমুল
আমরা যারা আপনার ভক্ত অনুসারী
তারাই থাকি দিনরাত সদা অনাহারী
এ কেমন বিচার দয়াময় আপনার
দুঃখসাগর কেন শুধু মুমিন বান্দার
গজব আসে সব আমাদেরই ঘাড়ে
আমরাই মরি আগাড়ে ও বাগাড়ে
মুর্খ আপনি রাখেন না তার খবর
মরে গিয়ে হয়েছেন কবেই ভুতেশ্বর
খুলে ধরুন সামনে একখানা দর্পণ
থেমে যাবে আপনার সকল গর্জন
@ফরিদ আহমেদ,
পরকালে পাইবে
বলিয়াছি বহুবার
ইহকালে কেন কর হাহাকার?
কোনটা উত্তম অনন্তকাল হুর এর মর্দন
নাকি ইহকালে দুইদিনের নাচন কুর্দন?।
পরকালের নিশ্চয়তা নাই
হুরপরী তাই এখনই চাই
হবে না দিতে গুণে বাহাত্তর
ডজন খানেক ছাড়ুন সত্বর
@ফরিদ আহমেদ,
আন্না ভাবী যদি থাকেন রাজী
ডজন খানেক হুর আনিয়া
এখনই ডাকিতে পারি কাজী।
ভাবী যদি আপনাকে করেন ঘর ছাড়া
হুরীদের নিয়া কোথায় হইবেন খাড়া?
পারিবারিক আইনে আগে নিয়া নেন পারমিশান।
তার পরে হইবে হুরী সাপ্লাইয়ের আয়োজন।
@তামান্না ঝুমু,
হুরের জন্য লাগে নাক অনুমোদন
যদি তাহা মাঙ্গে
পটল তোলার পর
এই ফরিদ আইন ভাঙ্গিতে চায়
নগদ এর কারবারি
তাহার জন্য শান দিতেছি তরবারি।
@তামান্না ঝুমু,
এমন করে ভয় দেখালে
লেজ গুটিয়ে কেউ পালালে
একলা একা খেলতে হবে
দেখেছেন কি সেটা ভেবে
@ফরিদ আহমেদ,
অনেক মানুষ ভয় পেতে ভালবাসে।
ভয়ানক জীবনবিধানের কাছে
জীবন-মরণ সপে দেয় হেসে হেসে।
ইসলাম ধর্মের ২য় স্থানে অবস্থান
তার সবচেয়ে বড় প্র্মাণ।
@ভবঘুরে,
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছিনা, আপনার বাণী প্রচার করছি।
আমার নামে শুরু করিয়া
আমাকেই গঞ্জনা করিলা।
“আমি সৃষ্টিকর্তা’- আমি বলি নাই
বলিয়াছে আমার চামচারা
আমি সর্বব্যাপী
মানুষ কিভাবে হয় আমার প্রতিনিধি!
আমি কাহাকেও আমার প্রতিনিধি করিয়া পাঠাই নাই
কেহ কেহ দায়িত্ত নিয়াছে, সংস্কার করিয়াছে
আমার অস্তিত্বকে বিকাইয়াছে।
আমি কিছু মনে করি নাই
কারন আমি তোমাদের মাঝেই রহিয়াছি।
যুদ্ধ বিগ্রহ মানুষ করে
মানুষ ই মানুষকে জারজ করে
আমার বিধানে এইসবের কিছুই নাহি।
আমি ছিলাম,আমি আছি, আমি থাকিব
আমার নামে মুণ্ডু কর্তন কর,আমি বলি নাইকো
কোরান লিপিবদ্ধ করিয়াছে উসমান
এইসব তাহারি দান।
মানব জাতি প্রকৃতির ই অংশ
আর আমিই হইলাম প্রকৃতি
আমাকে লইয়া কেন তোমরা কলহে মাত?
বিজ্ঞানের কথা বল?
বিজ্ঞান ত আটকাইয়া গিয়াছিল
শ্রদিঙ্গারের বিড়ালে।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স ত ভাববাদেরই অংশ
শুন্য হইতে পৃথিবীর সৃষ্টি তোমরাই বল
শুন্যের আগের কথা জিজ্ঞাসিলে নীরব থাক।
আমি তোমাদের মাঝেই কর্মরত
বিগ ব্যাং ত আমার হাত দিয়াই তোমরা পাইয়াছ
নইলে স্টিফেন হকিং এর কি সাধ্য
বিকলাঙ্গ হইয়া আবিস্কার করা এই তত্ত?।
ইহুদি,নাসারা,মুসল্মান,হিন্দু সবার কথা ভুলিয়া
আধ্যাতিকতাকে নাও কাছে ডাকিয়া
মত আর পথে বিভক্তি তোমাদের ই অনাসৃষ্টি
জা না কোয়ান্টাম ধ্যানই একমাত্র মুক্তি?
ধ্যান কর,মুক্তি আন
ঈশ্বরের গীবত হইতে বিরত থাক।
***ঈশ্বরের পক্ষে সপ্তক
@সপ্তক,
বাংলাভাষীদের মধ্যে আজকাল নাস্তিকতা বড়ই প্রসার লাভ করিতেছিল। তাই বাংলা ভাষায় আপনার শান্তির বাণী প্রচার করিতেছি। গঞ্জনা করিলাম কোথায়? আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিতেছেন কেন?
@তামান্না ঝুমু,
@সপ্তক,
বাংলাভাষীদের মধ্যে আজকাল নাস্তিকতা বড়ই প্রসার লাভ করিতেছিল। তাই বাংলা ভাষায় আপনার শান্তির বাণী প্রচার করিতেছি। গঞ্জনা করিলাম কোথায়?
“ঈসা আমার জারজ-পুত্র।”<<< এই তাহার নমুনা??? :guli:
@সপ্তক,
উল্কার তীর বা বজ্রপাত নিক্ষেপ করে আর কারো মুখ বন্ধ করা যাবেনা।
@তামান্না ঝুমু,
“উল্কার তীর বা বজ্রপাত নিক্ষেপ করে আর কারো মুখ বন্ধ করা যাবেনা।”
আমি কোন দোষ করি নাই
আমকে বিকাইয়াছে কিছু মানব
তোমাদের ই মত
আমি কাহাকেও এন্ড্রস করি নাহিকো…
আমি যাহা ছিলাম তাহাই আছি
জান না সকল শক্তির উৎস একই
আমিই সেই শক্তি
আমিই ব্রাহ্ম
আমিই ভগবান আমিই আল্লাহ,
যে কনিকা হইতে হয়াছিল মহাবিস্ফোরণ
দেখে নাহি তাহা কেহ
আমিই সেই কনিকা
যাহা ফানুস হইয়া তোমাদের
ঘিরিয়া রাখিয়াছে অবিরত।
সব শক্তির মূল একই
তাহা এখন প্রমানিত সত্য।
আমিই সেই শক্তি
তুমিও তাহাই
নিজের মাঝে ডুব দিয়া দেখ।
শক্তি হইতে শক্তি হয়
শৈবাল হইতে সরীসৃপ হয়
বানর হইতে মানুষ
আমি কিছু করি নাই
আমি শুধুই একটা ফানুস।
শক্তির ভারসাম্যই ফানুসের উদ্দেশ্য
মহাবিস্ফরনে যে তাপ উদ্গীরন হইয়াছিল
আমি ছিলাম সেথায়,আছি এখনো
তোমরা ছিলে না, বিবর্তন তোমাদের আনিয়াছিল।
আমাকে ভুল বুঝিও নাকো
আমি বেহেশত বানাই নাই
বানাই নাই দোযখও
তোমরাই বানাইয়াছ দোযখ আর বেহেশত।
আমি ফেয়ারি টেল
আমিই তোমাদের শক্তি
যাহা আছে অভিকর্ষে,চুম্বকে কনিকার মাঝে দুর্বলভাবে
তোমরা খুজিতেছ সেই শক্তিকে
তোমরা খুজিতেছ সেই উৎসকে
যেখানে সব শক্তি হইয়াছে বিলীন।
যখন ফাটিবে ফানুস
বিলীন হইবে শক্তি
আমিও মিলাইব আমিতে
তোমরা ত আমার সাথেই যাইবে।
তবে কেন এত আহাযারি
“নিজেকে জান”… পরম বলিয়া মান।
@সপ্তক,
নবী তামান্না ঝুমু প্রচার করছেন অতিশয় দয়ালু একনায়ক আল্লাহর বানী – ‘সন্ত্রাসবাদ’। আপানি হলেন অবিশ্বাসী, প্রচার করছেন ‘ইশ্ব্ররাবাদ’। আমি খুব চিন্তায় আছি আপনার প্রান নাশের সমুহ সম্ভাবনা নিয়ে। নবী তামান্না ও তার সাগরেদরা আল্লাহ-আকবর ধ্বনি দিয়ে যে কোন সময় আপনাকে করবে ‘শিক কাবাব’। তারপর বলবে কাজটা তারা করে নাই, করেছে দয়ালু ‘আল্লাহ’। সাবধানে থাকবেন!
আমি আপনার ‘ভক্ত’ হতে চাই, কিন্তু সাহসে কুলাচ্ছে না। একটাই মাথা কিনা!
@গোলাপ,
“আমি খুব চিন্তায় আছি আপনার প্রান নাশের সমুহ সম্ভাবনা নিয়ে। ”
অহেতুক এই সংশয়
আমি ছিলাম সক্রেটিসের হেমলকে
ছিলাম গ্যালিলিওর সাথে বিচারালয়ে
আমি আছি নিউটনের অভিকর্ষে
ছিলাম আমি ফ্যারাডের চৌম্বকে
আছি আমি আইন্সটাইনের আপেক্ষিকবাদে।
এমনকি স্টিফেন হকিংয়ের ফেয়ারি টেল এ
কোথায় নাহি আমি?
আমি স্পিলবারগ এর পারদ মানব
আমার ধংস নাই
হেথা হইতে হোথা
বিন্দু হইতে সিন্ধু গড়া
এই আমার কর্ম।
তোমরা তুচ্ছ ভগবান লইয়াই থাক।
আমি ছিলাম,আমি আছি
আমি কোথাও হইতে আসি নাই
কোথাও আমি যাইব নাকো।
@গোলাপ,
শুধু আমি আর আমার উম্মতই নয়। আমাদের সাথে সত্যের পথে আল্লার পাঠানো কয়েক হাজার অদৃশ্য ফেরেশতাও থাকবেন। বিরোধীদের চোখে বালি নিক্ষেপ করা হবে, তাদেরকে তীর নিক্ষেপ করা হবে। কিন্তু আমাদের দোষ আল্লাহ নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেবেন। তিনি এতই মহান! তিনি বলবেন, ” সে তীর ও বালি আমিই নিক্ষেপ করিয়াছি”
এইটা হইছে আল্লাহর সঠিক বাণী। হুমকি ধামকি, তর্জন-গর্জন আর চোখ রাঙানি না থাকলে কিসের আল্লাহ? এক গালে চড় খেয়ে আরেক গাল পেতে দেবার বুদ্ধীয় দর্শনে আল্লাহর কোনো আস্থা নাই।
@ফরিদ আহমেদ,
সর্বশক্তিমান আল্লাহ বুদ্ধের মত কাপুরুষ নাকি ? যার একটা পিঁপড়ে মারারও সৎসাহস ছিলনা!
@তামান্না ঝুমু,
বুদ্ধও যে কাপুরুষ ছিলেন আপনাকে কে বলল? আপনি কতটুকুই বা জানেন বা পড়েছেন বুদ্ধ সম্পর্কে? আগে পড়েন। তাঁর পর বলেন… একটা উদাহরণ দিই আপনাকেঃ তিনি জন্মের সাত কদম/পদক্ষেপ পরই উচ্চারণ করেছেন, “আমি জেষ্ঠ্য, আমি-ই শ্রেষ্ঠ, আমি বুদ্ধ হব। এটা আমার শেষ জন্ম।” এখানে দেখুন। ওনি ওটা করে দেখিয়েছেন। তাও গভীর জঙ্গলে ধ্যান ৬ বছর কঠোর সমাধি করে। আমি পারবেন?? বা আমাদের মতো বর্তমান মানুষ পারবে? এমনকি মুসলিম দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানব বলে খ্যাত মুহাম্মদও কি পেরেছিলেন? শুধু তাই নয়, আরো অনেক উদাহরণ আছে, পড়ে নিয়েন… এতো বলার আমার সময় নাই। বুদ্ধ যে সকল সময় শ্রেষ্ট ছিলেন তা জাতক পড়লে জানতে পারবেন, আর সার সংগ্রহ ১, ২ খন্ড পড়েন, পঞা পুদ্গল পড়েন… মহা সতিপঠঠান সূত্র পড়েন, থের ও থেরী গাথা পড়েন, মিলিন্দ প্রশ্ন পড়েন, তাহলে কিছুটা হয় তো জানতে পারবেন। অস্ত্র চালালেই যে যোদ্ধা হওয়া যায়, তা নয়, তাঁকে নিয়ন্ত্রণ যে করতে পারে সঠিক সময়ে প্রয়োগ করতে পারে সে-ই প্রকৃত যোদ্ধা। করুণা, মহানুভবতা, উদারতা ভাবলে কারো মজবুরী ভাবলে আপনার ভুল হবে। আর দ্বিমত থাকলে আল্লাহর বাণী মানতে আপনার আপত্তি কোথায়। কোরান, হাদিস অনুসারে পাক্কা মুসলিম হইয়া যান। বাধা কোথায়? ধন্যবাদ।
@সবুজ বড়ুয়া,
বুদ্ধের মহানুভব অহিংসাকে আল্লার সহিংসতার সাথে তুলনা করে,আমি ফরিদ ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে রসিকতা করে কাপুরুষতা বলেছি। আপনার বোঝার ভুল হয়েছে। জন্মের সাত কদম পরে বুদ্ধ নিজেকে নিজে শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করেছেন এগুলো আজগুবি কথা। অন্যান্য ধর্মের ধর্মগুরুরা যেমন আজগুবি কথা বলেছেন, নিজেকে শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করেছেন,নিজেকে প্রেরিত পুরুষ বা অবতার দাবী করেছেন; তেমন আজগুবী রূপকথার গল্প বুদ্ধ বলেননি। তাঁর অনুসারীরা অন্য ধর্মের আজগুবিতার সাথে পাল্লা দিয়ে এসব রূপকথা বুদ্ধের নামে রটিয়েছেন। এ সম্মব্ধে জানতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম আলোর প্রথম খন্ডের ৬৪ পৃষ্ঠা দেখতে পারেন।
আপনার এ কথাগুলোর মানে মতলব আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। আপনার ইচ্ছা করলে আপনি পাক্কা মুসলিম হয়ে যান। আমি হবোনা। আমাকে মুসলিম হওয়ার উপদেশ বা পরামর্শ আপনি দিচ্ছেন কেন?
@তামান্না ঝুমু,
রসিকতার জন্য বুদ্ধকেই খুঁজে পেলেন? তিনি কি কখনো আল্লাহ/মুহাম্মদের মত একনায়কত্ত বা সৈরচারী মনোভাব দেখিয়েছিলেন? আমি যতটুকু জানি, গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন – “সবাই বুদ্ধ হওয়ার ক্ষমতা রাখে”। তাঁর বিচার যে সমান ছিলো তা এ কথা থেকেই পরিষ্কার। বুদ্ধ তো বলেই দিয়েছেন যেসকল উক্তি ভবিষ্যতে বলা হবে তা যদি তাঁর বিনয় সম্মত হয় তাহলে গ্রহণ করো, না হয় বর্জন করো। তবে আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন, দয়া করে জানালে খুশি হবো — আপনার কাছে পুরুষ ও কাপুরুষের সংজ্ঞা কি? কি কি লক্ষণ থাকলে কাপুরুষ/সুপুরুষ?
মুহাম্মদের মত হত্যাজজ্ঞ, নিপীড়ন, লুট-পাট, ব্যভীচারী না হওয়াই যদি কাপুরুষের লক্ষণ হয়ে থাকে তাহলে বুদ্ধ কাপুরুষ। আর যদি তা না হয় তাঁকে সুপুরুষ মানতে নিশ্চয় নারাজ হবেন না। অপরদিকে, বুদ্ধের জন্মের পরই জ্যোতিষীরা ভবিষ্যতবানী করেছিলেন যে, হয় তিনি পুরো পৃথিবী একচ্ছত্র অধিপতি হবেন, নয় তো সংসার বিচ্যুত হলে তিনি বুদ্ধ হবেন।
স্বয়ং ত্রিপিটকের উক্তির চেয়ে আপনার কাছে “সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম আলোর প্রথম খন্ডের ৬৪ পৃষ্ঠা” বড় হয়ে গেলো। চোখ বুঝে ঢিল ছুরলেই যে লক্ষ্য বস্তুতে লাগবে তাঁর গেরান্টি কিভাবে দিচ্ছেন? ওনার এটা conceit বা perception মাত্র, এখনকার দুনিয়ায় কেউ এটা প্রমাণ করতে পারবেনও না সম্ভবও নয়। কারণ সেই সময় অতিক্রান্ত। আর যদি কোরান হাদিসের মতোন হাজার হাজার আজগুবির মতো আমার মনে হচ্ছে না, বলাও হয় নি, কারণ একজন মানুষের ২৪টা ঘন্টা কিভাবে অতিক্রান্ত হয় তা সবাই ভালোভাবেই জানেন। আর একজন মানুষের পক্ষে প্রতিদিন শুধু ভালো কাজ করাও সম্ভব নয়।এর জন্য সময়, পরিস্থিতি ও ব্যক্তির/ব্যক্তি সহায়তার প্রয়োজন পড়ে। আর মুহাম্মদের জীবনীর মতোন – জন্মেরপর জিব্রাইল সাতবার পৃথিবী পদক্ষিণ করিয়েছেন, অথচ মক্কা-মদিনা আরববাসীর অনুরোধে জীবনে একবারও উড়ে দেখাতে পারলেন না, এমনকি কোরানের সূরা বা আয়াতের সঠিক সংখ্যাও বলে জেতে পারেন নাই ! তাহলে তাহলে তাঁর নবীত্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠাই সাভাবিক কিংবা চার বারের মতন বক্ষচ্ছেদ ((— মনে করা হত হৃৎপিণ্ডে পাপ জমে থাকে! কি চিন্তা ধারা! )) কিংবা গঙ্গায় স্নান করলে পবিত্র হওয়া যায় এ ধরনের আজগুবি কথা বললে শোভা পায়। ধরুন, আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে কেউ একজন বলে দিলেন যে, আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পর “রোবট” নামক যন্ত্র আসবে যা মানুষের কাজ করবে। তখন তাঁর অবস্থা কি হত একবার চিন্তা করেন? “পাগল” শব্দটি ছাড়া আর কিছুই জুট তো না ভাগ্যে। কত বিজ্ঞানীদের জীবন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে এই ভবিষ্যত বাণীর জন্য যা আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত তা আপনিও ভালোভাবে জানেন। তাঁর মানে এইটা ওই সময়ের জন্য অসম্ভব ছিলো, আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে আপনার কাছে এসব বিষয় আজগুবি মনে হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ধরি আল্লাহ আছেন, তিনি জল, আকাশ, বাতাস, মাটি, মানুষ সৃষ্টি করেছেন… কোত্থেকে? উপাদান কি? বেসিক মলিকুলার ইউনিট কি? কোরানের আয়াত আপনারা সকলেই জানেন, মানুষকে নাকি সৃষ্টি করা হয়েছে জমাটবদ্ধ এক বিন্দু রক্তকণা থেকে। তা সেই রক্তকণা আসলো কোত্থেকে? আল্লা বিশ্বাসীরা বলবেন, আল্লাহ হুকুম দিলেন -হয়ে যাও, হয়ে গেলো… তাহলে আল্লার টোন যেহেতু আছে তাঁর গলা বা সেরকম কিছু আছে। যেখানে ভোমর থাকে সেখানে মধুও থাকে। তাই আল্লা আছেন, তাঁর অঙ্গও আছে। সেহেতু, তাঁর অঙ্গ থেকেই আমাদের উতপত্তি, তাহলে ভালো যেমন সবকিছুর ডিমান্ড তাঁর (ইসলাম), খারাপ কিছুর প্রয়চনাও তাঁর থেকে উৎপত্তি। তাহলে এই দাঁড়ায়, ভালো-খারাপ তিনিই সৃষ্টি করেছেন। ভালো যেমন তিনি অনুমোদন করেন, খারাপও অনুমোদন তাঁকে দিতে/মেনে নিতে হবে। খারাপ মানুষ /কাফের/নাস্তিকদেরও তাঁকে অনুমোদন দিতে হবে, তাদের কোরান মতে জাহান্নামবাসী করা যাবে না। কারণ সে/তারা আল্লাহর কোনো বন্ড পেপারে সাইন করে আসে নি, আমরা কেউ-ই আসিনি, বা কোনো ওয়াদাও করে আসিনি। যদি তিনি কাফিরদের জাহান্নামে পাঠান কোরান হাদিস মতে তাহলে তিনি সুবিচারক ও দয়ালু নন। আমার মতে তিনি পক্ষপাতদুষ্ট, অদয়ালু। কারণ তিনি যদি ভবিষ্যত দেখতেন, তাহলে কেন তিনি সন্ত্রাসী, রাজাকার, আলবদর, মাফিয়াদের সৃষ্টি করলেন, তিনি কি তা আগে থেকেই অবগত ছিলেন না? বস্তুত, পাপ – পুণ্য মানুষ সৃষ্টি করেছে, বিভক্ত করেছে পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য। পাপ মনের অনুশুচণা ব্যতীত আর কিছুই নয়। আর পূন্য মনের এক প্রকার মানসিক প্রশান্তি। ধন্যবাদ।
@সবুজ বড়ুয়া,
রসিকতা আমি বুদ্ধকে নিয়ে করিনি। করেছি আল্লাহকে নিয়ে। এ সহজ ব্যাপারটিও যদি আপনি বুঝতে না পারেন বা আমি আপনাকে বুঝাতে অক্ষম হয়ে থাকি তাহলে আমার কিছু করার নাই। আপনি হাদিস কোরান সম্পর্কে বিস্তর কথা বলেছেন। কিন্তু আমি কি হাদিস কোরানের পক্ষে কোন কথা বলেছি? আপনি দু’বারই রুক্ষ ভাষায় আমার দিকে তেড়ে এসেছেন। আল্লা ও মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কোন সত্য কথা বললে ইসলামী মৌলবাদীরা যেমন ক’রে থাকে ঠিক তেমনভাবে। ত্রিপিটক কি বুদ্ধ নিজের হাতে লিখেছেন? আর আপনি যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চেয়ে বেশি জ্ঞানী তা আমি জানতামনা। সুনীল তাঁর কোন লেখায় বুদ্ধের বিরুদ্ধে ত কিছু লিখেননি! তিনি লিখেছেন , বুদ্ধের অনুসারীরা তাঁকেও অন্যান্য ধর্মগুরুদের মত আজগুবী বানাতে সচেষ্ট। এত বড় মহাজ্ঞানীর সাথে বিতর্ক বা আলোচনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই।
@তামান্না ঝুমু,
“আপনি হাদিস কোরান সম্পর্কে বিস্তর কথা বলেছেন। কিন্তু আমি কি হাদিস কোরানের পক্ষে কোন কথা বলেছি? আপনি দু’বারই রুক্ষ ভাষায় আমার দিকে তেড়ে এসেছেন। ”
সব ধর্মের ব্যাপারেই এ কথা খাটে। তবে বুদ্ধ ধর্ম নাকি একটি পুরনাংগ জীবন বিধান এটা নিয়ে আবার তর্ক আছে!!। এসব ভুয়া চিন্তা ভাবনা।পুরনাঙ্গ জীবন বিধান বলে কিছু নেই। হতে পারে বুদ্ধ একজন ভাল মানুষ ছিলেন আর মোহাম্মাদ একজন খারাপ মানুষ ছিলেন(যদিও তর্ক সাপেক্ষ)। বনবাসে গিয়ে গাছের নীচে বসে ধ্যান করলেই সিধ্যারথ হওয়া যায় কিনা প্রমানিত কিছু না , যদিও মেডিটেশন এর অনেক উপকারিতা আছে আমরা জানি , সে হিসেবে দৌড়ানোর ও অনেক উপকারিতা আছে। । মেডিটেশন এ যেমন সব কিছুর সমাধান হয় না আবার চিকিৎসা বিজ্ঞানের ও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আজ যদি মহাম্মদ এবং বুদ্ধ বেঁচে থাকতেন এবং তাদের হার্ট এ ৪/৫ টি ব্লক ধরা পড়ত তাহলে আমেরিকা/কানাডা তেই আসতেন চিকিৎসার জন্য, অইসব বুজরুগি ধ্যান এ কাজ হত না ত্রিপিটক বা কোরানেও হত না।
@সপ্তক,
😀
@সপ্তক,
ইসলাম ধর্মকেও মুসলিমরা পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে থাকে। যে যেই ধর্ম বিশ্বাস করে তার কাছে সে ধর্মই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান তা যত খারাপই হোক না কেন।
মানবিক গুণাবলীর বিচারে বুদ্ধ অবশ্যই মুহাম্মদের বিপরীত। কিন্তু নিরপরাধ স্ত্রঈ পুত্র ও পরিবার পরিত্যাগ কোন যুক্তিযুক্ত বা মানবিক ব্যাপার হতে পারে কি? ভিক্ষাবৃত্তিকে জীবিকা হিসেবে গ্রহন করে শুধু ধ্যান করলে সমাজের উন্নতি হবে কিকরে?
@সপ্তক,
বুদ্ধ জীবিত অবস্থায় কোনো কালেও দাবি করেন নাই যে ওনার নির্দেশিত বাণী পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আপনি ভুয়া কথায় কান দিলে এটা আপনার প্রবলেম। কোনো মানুষের পক্ষে প্রতিটা মানুষের জন্য একটা/আলাদা জীবন বিধান দেয়া অসম্ভব ব্যাপার। আর যারা পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান দাবী করেন, তাদের বিধানে ওসামা বিন লাদেন, গাদ্দাফির নাম তো না-ই তাঁর পরিবর্তে আছে এক চোখা ‘দাজ্জালের’ নাম। বলি দাজ্জালের চেয়ে ভয়াবহ দাজ্জালরা পৃথিবী কাপাচ্ছে। দাজ্জাল এসেই বা আর কি করবে। নির্মতার চরম পর্যায় পড়ুন এখানে, দেখুন httpv://www.youtube.com/watch?v=t3kZOQuAokA, আরও লিঙ্ক দেখে নিন।
এটার উত্তর আমি ঠিক আগের পোষ্টাতে দিয়ে দিয়েছি, দয়া করে দেখে নেন, প্রুভ আছে কি না!!!
হা হা হাসালেন। সত্যি, তবে দুঃখের বিষয় আমি আপনার আশ্বাস দিতে পারলাম না। মুহাম্মদের কথা জানি না, হয় তো তাঁর শুধু ৪,৫টা কেন আরো বেশিও হতে পারত। ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন, মুহাম্মদের আগেই আল্লাগ চার বার Heart Surgery করে ফেলেছেন, যা প্রুভড। কিন্তু, বুদ্ধের ক্ষেত্রে তা হওয়ার চান্স নেই, আমি যতটুকু জানি তিনি নন-ভেজ ছিলেন। আর কানাডা আমেরিকার কথা বলছেন, হে হে হে তাই কোরানের শক্তিতে মুহাম্মদ বেচেছিলেন ৬৫ বছর আর বুদ্ধ বেঁচেছিলেন ৮৫ বছর (তাও শয়তানের পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে)। তাহলে বুঝেন কে কানাডা-আমেরিকায় যেতো!!??
ফাঁক রাইখা দিছেন বোধ হয়। বলতে ডরান নাকি? যে মানুষ বউ রাইখা পরকীয়া করে তিনি ভালো মানুষ হয় কেম্থে!
ভাই পড়েন জ্ঞান বাড়বো। ধন্যবাদ
@সবুজ বড়ুয়া,
আপনি কিসের লিঙ্ক দিলেন?।।ইউটিউব এর?। আমি ত জানি নাক নাক বচাদের মাঝে বুদ্ধ মতবাদি বেশী, তাও আবার ভাষা মনে হয় চাইনিজ , আমি চাইনিজ খাওনের ভক্ত ভাষার না,সাবটাইটেল অ নাইক্কা। আপ্নে মিয়া আমাগো ন্যাড়া মুসলমান ভাবলেন নিহি?।বুদ্ধ রে ত আমি খারাপ কই নাই, কইছি বেটা যুয়ান বউ রাইখ্যা বনবাসে ভাগ্ল কেন?, বেটার কি ইরেকশান প্রব্লেম ছিল নাকি?। মানবতার বানীর লাইজ্ঞা কাথা বালিশ লইয়া বনবাস কেন?।৮৫ বছর বাঁচছে বইলা কি হের সব যন্ত্রপাতি ঠিক ছিল প্রমান করে নাকি।।মাশাল্লাহ মহাম্মাদ ত দিনে ত্রিশ বার এর ক্ষমতা রাইখ্যা মুসলামান গো সেকেন্ড পসিশন রাখছে। জীব হত্যা মহা পাপ কইলেও আফনের ভাইয়েরা চীন,কম্বডিয়া,তিব্বত দেশে কম মারে নাই। আফনের জাপানি ভাইগো ওয়ার বেবি তে কোরিয়া ভইরা গেছিল।আমি ত কোন ধর্মের সাফাই গাই নাই। শুধু কইছি ধর্ম হউক আর মতবাদ হউক এগুলা মানুষের বানান। বইজ্ঞানিক ভিত্তি নাই বা কম। আফনে চেতেন কেলা?। নিরামিষ খাই না দেইখা?। খাই তয় মাংশ ও খাই আর আফনের মত মানুশ্রা আরো বেশী খায় মনে হয়,কারন আফনের মুণ্ডু এত গরম কেলা?। নন-ভেজ হইয়া কি ডাণ্ডা নীচু রাখন জায়?,জানাইলে বাধিত হমু। আর একটা কথা দাদা আপ্নেরা নামের সেশে বড়ুয়া লেখেন কেলা,আম্রা যেমন মোঃ লেখি এমন কিছু নাকি?। জানি না তাই জিগাইলাম,মাইন্ড কইরেন না, কুন লিঙ্ক ও মাইরেন না ,পারলে বাংলায় লেইখেন।আমি জাপানি,চাইনিজ বুঝি না। বুদ্ধ মতবাদি গো প্রতি আমার একডা শ্রদ্ধা ছিল অহন দেহি যা লাউ তাই কধু। :lotpot:
@সপ্তক,
বানান ভুল ধইরেন না আবার। ইংলিশ ফন্টে বাংলা টাইপ করি। বানান ভুল ধরা আতেল গো সভাব!!!খেমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেইখেন।
*** পুনশ্চঃ ইহা বরুয়া দাদার জন্য ।
@সবুজ বড়ুয়া,
বউ রেখে, নবজাত ছেলে রেখে যে বনবাসে চলে যায় সে খুবই ভাল মানুষ।
@তামান্না ঝুমু,
আল্লাহ’র তুলনায় বুদ্ধকে ‘কাপুরুষ’ বলা কি আপমান নয়! দয়া করে আপনি আপনার উক্তিটি দেখুন আবারও। আর আপনি তো সুকৌশলে সুপুরুষ ও কাপুরুষের সংজ্ঞা এড়িয়ে গেলেন। আপনি কি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবেন আল্লাহ আছে কি নাই? প্রমাণ করতে পারলে বলুন, না হয় প্রমানব্ধি স্থবিরতাই শ্রেয়। VY Canis Majoris; এর নাম শুনেছেন? গিয়েছেন কখনো!-নিশ্চয় নয়, যাওয়া সম্ভবও নয়। তাঁর মানে কি তাঁর অস্তিত্ব নেই!! লিঙ্ক দিলাম পড়ে নেবেন।
বোন আপনিই তো আপনার পদ্যে বলেছেন (রেফারেন্স ছাড়া), তবে সংক্ষেপে। আর আপনি যদি মনে করেন আমি ভুল কিছু বলেছি তাহলে যুক্তি দিয়ে খন্ডন করে দেখান। আল্লাহ কি আসলেই সুবিচারক নাকি নয়। আর কোরান-হাদিস নিয়ে বলা যাবে না কেন? আল্লার নির্দেশিত সুরা (মুসলিমদের মতে) যে মোহাম্মদ edit করতে পারে না তা ওসমান সাহেব edit করলো কোন্ সাহসে? এটা কি আল্লাহ সুরক্ষার বিরোধি নয় কি? আর একটা প্রশ্ন, মক্কা কিভাবে পৃথিবীর সেন্টার হয় আমার বোধ গম্য নয়। পৃথিবী কী একটি বর্গক্ষেত্র বা আয়তক্ষেত্র যে এর সেন্টার পাওয়া যাবে। যদি সেন্টার ধরতেই হয় তা হয় পৃথিবী কোর/কেন্দ্রকে। আর কাবা শরীফ কেন!, পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌছা সম্ভব। কি ভুল বললাম। যদি বলে থাকি প্রমান করে দিন। লজ্জিত হব না।
আমি তো নিজেকে কোন সময় মহাজ্ঞানী হিসেবে দাবি করি নি। আমি মহাজ্ঞানীও নই মহামূর্খও নই, তবে আমি যা জানি-পড়ি বিচার বিবেচনা করে তাই বলি, নিজের অক্ষমতা স্বীকারে লজ্জা/কুন্ঠাবোধ করি না। আমার পড়ার অনেক বাকি আছে, তাই বলে চিন্তাশক্তিও আর থেমে নেই। আপনিই নিজেই ওনার রেফারেন্স দিলেন। ওনার সব কথাই যে সত্য হবে তাঁরই নিশ্চয়তা কি? আর আপনি মনে করছেন ওলৌকিক বলে কিছুই নেই। আপনার কাছে তো সব আজগুবী গল্প। তাহলে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দেন — আমাদের শরীরে ‘মন’ কোথায় থাকে? আমি তো মহাজ্ঞানী নই। মহাজ্ঞানী সুনীল ঝি দিতে পারবে তো! মনের চেয়ে অলৌকিক কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না? বিজ্ঞান কি মনের গতি-বিধি আঁচ/আবিষ্কার করতে পেরেছে আজো? এক ন্যানো সেকেন্ডেরও হাজার ভাগের চেয়ে কম সময়ে এটি চিন্তা-চেতনায় আমেরিকা, লন্ডন, প্যারিস, ইতালি ঘুরে আসতে পারে অনায়াসে, বিদ্দুত এমন কি আলোও কি তা পারে!!! মুক্তমনা বলে মুক্ত ভাবে চিন্তা করুন, না হলে কিসের মুক্ত মনা। যুক্তির খাতিরে বলছি, সুনীল ঝি ত্রিপিটক যে তাহার শিষ্যরা [যদিও অর্হৎ’গণরা; ইংরেজীতেঃ Arhan(t), যারা বস্তুত শিষ্যদের চেয়ে পদ মর্যাদায় অনেক উর্ধে] লিখেছেন, সেটা বিশ্বাস করতে পারেন আর এটা অলৌকিক বিশ্বাসে দোষ কি তাতে? আর আমি যে প্রথম পোষ্টটিতে যে সকল বইয়ের নাম দিয়েছি, তা আপনার সুনীল ঝির অনেকে অনেক জ্ঞানী। এতে আর কিছু বলবার আছে বলে আমি মনে করি না।
বুদ্ধের বিরুদ্ধে কিছু লেখার নেই তাই লেখেন নি। বুদ্ধ তো অসীম করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষারত থাকতেন, তাই সেই মহাপুরুষকে জানার ও শিখার ও গভীরে যাবার অনেক কিছুই আছে। যিনিই প্রথম “বিদর্শন ভাবনা” মুক্তির এক মাত্র মার্গপথ আবিষ্কৃত করেছিলেন, প্রমাণ চান তাঁর সময়কার ৫০০শত ভিক্ষুতো ছিলেন-ই যারা “অর্হৎ” হয়েছিলেন। এছাড়াও বর্তমানে বার্মায়, ভারতের গোয়াংগাজী, এমনকি রাঙ্গামাটিতে জীবিত মার্গলাভী সাধনানন্দ মহাস্থবির [বনভন্তে] (যিনি মার্গলাভী ১২-১৩ বছরেরও বেশি যিনি জঙ্গলে ধ্যান করে মার্গলাভী হয়েছেন) রয়েছেন। আর শুনেছি জীবন্ত অর্হৎ “উপগুপ্ত মহাস্থবির” পৃথিবীতে এখনো অধিষ্ঠিত রয়েছেন। এর চেয়ে আর বড় প্রমাণ আর কি চান। আর যে বুদ্ধ সব কিছুই ত্যাগ করেছেন, শ্রী ঈষানচন্দ্র ঘোষের ৬ খন্ডের “জাতক”-এ বর্ণিত আছে — “পারমী” লাভে তিনি একে একে চোখ, হাত, পা, মুন্ড, স্ত্রী-পুত্র বিসর্জন ও দান দিয়েছিলেন, তাকে উচু করার জন্য কোনো মুস্লিমদের মতো বৌদ্ধরা কোনো দাবি করে না। তাই আজগুবি জুড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বুদ্ধের দর্শন আজো ফিলোসফিক্যাল এডুকেশন হিসেবে নেয়া যায়।
মহাজ্ঞানীর সাথে আপনি তো ধৃষ্টতা করেই ফেলেছেন। আর মুক্তমনারা রসিকতা করলে শুধু মৌলবাদীরাই হুংকার ছাড়ে না, যুক্তিবাদীরাও ছাড়ে? যুক্তি দিয়েও রসিকতা করা যায়। যেমনটা আমি করেছি, উপরের দুইটি পোষ্ট দয়া করে আর একবার পড়ুন। আমি আপনাকে কোনো ধরনের এট্যাক করিনি এতে। আপনার মাধ্যমে মুক্তমনাদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যদি মনে করেন আমি আপনাকে এট্যাক করছি তা আপনার ভুল ধারণা। আর যদি মনে করেনও আমার কিছু করার নেই। আপনাকে শিক্ষা দেবার মানসিকতাও আমার নাই। আমি তো আপনাকে একটু পরোক্ষভাবে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলাম যে, যিনি যেমন তাঁকে তেমন বলা যায়। “মুক্তমনা” মানে এই নয় যে আপনার চেয়ে মহাজ্ঞানীকে নিয়ে রসিকতা করা যায় বা যাবে। এই ব্যাপারটা এতো সিরিয়াসলি না নিলেও পারতেন। যা হোক, ভুল ধরাতে গিয়ে যদি দুঃখ দিয়ে থাকি তাহলে আমি দুঃখিত। আমি মনে করি সত্য তর্কের মধ্য দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে বলাই মুক্তমনা’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ধন্যবাদ
@সবুজ বড়ুয়া,
“আমাদের শরীরে ‘মন’ কোথায় থাকে? আমি তো মহাজ্ঞানী নই। মহাজ্ঞানী সুনীল ঝি দিতে পারবে তো! মনের চেয়ে অলৌকিক কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না? বিজ্ঞান কি মনের গতি-বিধি আঁচ/আবিষ্কার করতে পেরেছে আজো? এক ন্যানো সেকেন্ডেরও হাজার ভাগের চেয়ে কম সময়ে এটি চিন্তা-চেতনায় আমেরিকা, লন্ডন, প্যারিস, ইতালি ঘুরে আসতে পারে অনায়াসে, বিদ্দুত এমন কি আলোও কি তা পারে!!”
বড়ুয়া দাদা, আপনার বুদ্ধ আমার এই নীচের কবিতায় আছে।পুনঃমুদ্রন করে দিলাম।সহমত কিনা জানাবেনঃ
ঈশ্বরকে বলিলাম
“বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগে আপনি এখন মৃত(ঈশ্বর)”
ঈশ্বর উত্তরাইলঃ
কে কহিল এ কথা বৎস?
বিজ্ঞানের মাঝেই আমি (ঈশ্বর)/বুদ্ধ)ঘুরি অবিরত।
বিজ্ঞান তোমাদের কি দিয়াছে?
তোমাদের গুরু আইন্সটাইন কি বলে নাই—
“একটি মূর্ত বস্তুর মাঝে বিমূর্ত শক্তি আছেই”।
তাহা হইলে আমাদের মাঝে বিমূর্ত চেতনা থাকিবে না কেন?।
তিনিই আবার বলিয়াছেন, পদার্থ শক্তিতে
আবার শক্তি রুপান্তর হয় পদার্থে।
আমিই সেই শক্তি
আমা হইতেই তোমরা মানব পদার্থ হইলে সৃষ্টি।
তোমরা কি জানিতে পারিয়াছ? কাহাকে বলে ডার্ক এনার্জি?
হয়ত জানিবে,তাহাতেই কি সংশয় দুরীবে?
পারিবে কি জিজ্ঞাসিতে এই প্রশ্ন “কি ছিল সময় সৃষ্টির আগে?”।
কম্পিউটারের অভিজ্ঞতা নাই তাই তাহার চেতন ও নাই
তোমাদের অভিজ্ঞতা আছে তাই তোমাদের চেতন আছে।
অভিজ্ঞতাই বিবর্তন
বিবর্তন ই অভিজ্ঞতা।
তোমাদের শেষ ভরসা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের চাতুরতা
এই আছে এই নাই শুধুই অনিশ্চয়তা।
এই ফানুস মহাবিশ্ব যতই প্রসারিত হইল
পদার্থ তৈরি হইল, আর তাহা হইল শক্তি হইতে
সেই শক্তিই ত আমি।
তোমরা খুজিয়া ফিরিছ এই শক্তিকেই
সকল শিক্তির যোগফল শুন্য
আমি ছিলাম শুন্য, আমিই হইলাম মহাবিশ্ব।
মিলাইবে আমার সবই আমাতে
শুন্য হইতেআমার সৃষ্টি,শুন্যেই সব মিলাইয়া যাইবে,
যাইব আমি সেই বিন্দুতে যাহা ছিল এই মহাবিশ্ব আদিতে।
*** পুনশ্চঃ এই শক্তি ই কি আপনাদের বুদ্ধ দাদা?। যদি তাই হয় তাইলে আপনেও ঠিক আছেন বিজ্ঞান ও ঠিক আছে। মাঝখানে নবী আর বুদ্ধ মাইর খাইল কারন আমরা সবাই নবি নবী আমরা সবাই বুদ্ধ, কেউ সময় মত বুঝে কেউ বুঝে না, পীর সাহেব রা ভাল বুঝে বিধায় রিস্ক না নিয়া মাঝামাঝি থাকে,তবে বুদ্ধ ক্ষমতার ধান্দা করে নাই,সেইটা ছাইরা আসছিল আবার চায় কেম্নে?,গান্ধি নেংটি পইরা ধরা খাইছিল,বেটা জানত ই না ভারত স্বাধীন হইতে পারে, বুদ্ধও জানত না সে সিদ্ধার্থ হইতে পারে,সব ই বিবর্তনের খেলা দাদা ,কি আর করা?। আগের মন্তব্য পোস্ট হইতে কবিতাটির কিঞ্চিৎ বিচ্চুতি আছে।
@সবুজ বড়ুয়া,
আপনার মন্তব্যের জবাবে উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে আমার মন্তব্যের ঘরে আপনার মন্তব্যের কিছু আংশ রয়ে গিয়েছে ভুল বসত। দুঃখিত।
@সবুজ বড়ুয়া,
আপনার যদি মনে হয় আমি বুদ্ধকে নিয়ে রসিকতা করেছি ত করেছি। তাতে কী হয়েছে? তাকে নিয়ে রসিকতা করা যাবেনা এই আইন কি বুদ্ধ নিজে জারি করে গিয়েছেন? নাকি আপনি তার হয়ে বৌদ্ধধর্মে ব্লাসফেমি আইন প্রনয়ণ করতে চান?
আপনার মত মারমুখী লোকের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতে কে চায়?
যে লোক নবজাত সন্তান রেখে, বৌ রেখে রাতে চুপিচুপি পালিয়ে যেতে পারে তাকে কাপুরুষ বললে অসুবিধা কোথায়? কাপুরুষ অর্থ হচ্ছে ভীতু পুরুষ। সুপুরুষ অর্থ হচ্ছে সুদর্শন পুরুষ। কাপুরুষের বিপরীত শব্দ বীরপুরুষ। বুদ্ধ দেখতে কতটুকু সুপুরুষ ছিলেন তা মোটেও আলোচনার বিষয় নয়। আপনি প্রশ্নটাই করেছেন ভুল। আবার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, আমি সুকৌশলে সংজ্ঞা এড়িয়ে গিয়েছি! আমি শতভাগ নিশ্চিত যে, স্রষ্টা নেই। আপনি যদি আছে মনে করেন তাহলে তা আপনার দায়িত্ব তার অস্তিত্ব প্র্মাণ করা। যে জিনিস নেই তা আমি প্রমাণ করবো কীভাবে?
বেশ কয়েকবার লিখেছেন, সুনীল ঝি। সুনীল ঝি মানে কী? ঝি মানে হচ্ছে কন্যা। সুনীল ত কারো কন্যা হতে পারবেননা! সুনীল কোন প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না পারবেন তা তিনিই জানেন। তাঁকেই জিজ্ঞেস করুন। মন শরীরে থাকেনা। মন বোধিবৃক্ষের তলে থাকে।
আমি গদ্য লিখিনি। লিখেছি পদ্য। আমি কোরান হাদিসের পক্ষে কখনো কথা বলিনি। কোরনের কথাগুলো কবিতার মত করে লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র। আপনি বারবার কোরন হাদিসের প্যাচাল পারছেন কেন? আল্লাকে সুবিচারক আমি কখন বলেছি? আল্লাহ কে? কোরান নিয়ে কথা বলা যাবেনা তা নয়। অপ্রাসংগিকভাবে শুধু শুধু কোরান কোরান করেন কেন? আমার লেখা কোরান নিয়ে হলেও আপনি মন্তব্য করেছিলেন বুদ্ধের মান-অপমান নিয়ে। যা বুদ্ধ নিজে বলে যাননি।কিছু মৌলবাদী বৌদ্ধ বলছে।
আল্লার নির্দেশিত সুরা (মুসলিমদের মতে) যে মোহাম্মদ edit করতে পারে না তা ওসমান সাহেব edit করলো কোন্ সাহসে? এটা কি আল্লাহ সুরক্ষার বিরোধি নয় কি? আর একটা প্রশ্ন, মক্কা কিভাবে পৃথিবীর সেন্টার হয় আমার বোধ গম্য নয়। পৃথিবী কী একটি বর্গক্ষেত্র বা আয়তক্ষেত্র যে এর সেন্টার পাওয়া যাবে। যদি সেন্টার ধরতেই হয় তা হয় পৃথিবী কোর/কেন্দ্রকে। আর কাবা শরীফ কেন!, পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রে পৌছা সম্ভব। কি ভুল বললাম। যদি বলে থাকি প্রমান করে দিন। লজ্জিত হব না।
মনের চেয়ে অলৌকিক কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না? বিজ্ঞান কি মনের গতি-বিধি আঁচ/আবিষ্কার করতে পেরেছে আজো? এক ন্যানো সেকেন্ডেরও হাজার ভাগের চেয়ে কম সময়ে এটি চিন্তা-চেতনায় আমেরিকা, লন্ডন, প্যারিস, ইতালি ঘুরে আসতে পারে অনায়াসে, বিদ্দুত এমন কি আলোও কি তা পারে!!! মুক্তমনা বলে মুক্ত ভাবে চিন্তা করুন, না হলে কিসের মুক্ত মনা। যুক্তির খাতিরে বলছি, সুনীল ঝি ত্রিপিটক যে তাহার শিষ্যরা [যদিও অর্হৎ’গণরা; ইংরেজীতেঃ Arhan(t), যারা বস্তুত শিষ্যদের চেয়ে পদ মর্যাদায় অনেক উর্ধে] লিখেছেন, সেটা বিশ্বাস করতে পারেন আর এটা অলৌকিক বিশ্বাসে দোষ কি তাতে? আর আমি যে প্রথম পোষ্টটিতে যে সকল বইয়ের নাম দিয়েছি, তা আপনার সুনীল ঝির অনেকে অনেক জ্ঞানী। এতে আর কিছু বলবার আছে বলে আমি মনে করি না।