(লেখাটি দৈনিক ইত্তেফাকে ১০.১০.২০১১ সোমবারে প্রকাশিত হয়েছে। মূলটা ঠিক রেখে একটু এডিট করে দিলাম।আশা করছি নীতিমালার পরিপন্থী হয়নি কাজটা)
বিশ্বজুড়ে নারীদের হাতে মৃত্যু পরোয়ানা তুলে দিচ্ছে যে রোগগুলো তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে স্তন ক্যান্সার। বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ১৭% ই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিশ্বজুড়ে অক্টোবর মাসকে “স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস” হিসেবে পালন করা হয়, এ মাসে আমেরিকায় সর্বত্র চোখে পড়ে ‘গোলাপি ফিতা’ যা স্তন ক্যান্সার সচেতনতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, অথচ বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নারী প্রতি বছর স্তন ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুবরণ করার পরও আমাদের দেশে স্তন ক্যান্সার নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপকতায় সচেতনতা কর্মসূচী দেখা যায়না। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত সকল নারীরাই স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত না হবার কারণে, স্তন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে অনীহার কারণে এবং নিজেদের ও পরিবারের মানুষের অবহেলার কারণে তাদের রোগকে প্রতিরোধযোগ্য পর্যায় থেকে মরণঘাতী পর্যায়ে নিয়ে যান। অনেক সময়েই সময়মত চিকিৎসা না নেয়ার কারণে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে শরীরের অন্যান্য অংশে এবং রোগীকে অপেক্ষা করতে হয় তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করার জন্য। বিশ্বে প্রতি বছর ৫ লাখ নারী স্তন ক্যান্সারে মারা যায়। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হয় ২২ হাজার নারী এবং মারা যাচ্ছে ১৭ হাজার নারী। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ৯০% ক্ষেত্রেই সচেতনতা ও সময়মত চিকিৎসা বাঁচিয়ে তুলতে পারে রোগীকে এবং দিতে পারে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন।
সাধারণত ৫০ বছরের বেশী বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ২৫ বছর বয়সের আগে সাধারণত স্তন ক্যান্সার হয় না৷ ৪০ ভাগ স্তন ক্যান্সার সাধারণত ৫০ বছর বা এর পরে হয়ে থাকে৷ পরিবারের নারী সদস্যদের মধ্যে (বিশেষত যেমন মা, বোন) স্তন ক্যান্সার বা অন্যান্য ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে, ইস্ট্রোজেন হরমোন (স্ত্রী হরমোন) বৃদ্ধি পেলে, ১২ বছরের আগে মাসিক শুরু হলে, মাসিক দেরীতে অর্থাৎ ৫০ বছর বয়সের পর বন্ধ হলে, ২০ বছরের আগে বিয়ে হলে, ৩০ বছরের পর প্রথম সন্তান জন্ম হলে, সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ালে, নিঃসন্তান থাকলে, বিড়ি-সিগারেট, তামাক সেবন, কম শারীরিক পরিশ্রম, দীর্ঘদিন উচ্চরক্তচাপ ও বহুমূত্র রোগ থাকলে, বেশি মোটা হলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো হল:
• স্তনের কোন অংশ চাকা চাকা হয়ে যাওয়া অথবা কোন লাম্প দেখা যাওয়া
• স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন- যেমন বড় হয়ে যাওয়া বা ঝুলে যাওয়া
• স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন, স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া
• স্তনবৃন্তের আশেপাশে রাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
• বগলে ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেয়া
• স্তনের ভেতরে গোটা ওঠা বা শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
এ ধরণের যেকোন লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সাধারণত নারী মেনোপজের আগে স্তনের দুধ দানকারী টিস্যুসমূহ ঋতু শুরুর আগে আগে কার্যক্ষম হয়ে ওঠে। কোনো কোনো মহিলার ক্ষেত্রে স্তন হয় নরম অথবা বগলের কাছাকাছি জায়গায় স্তনে গোটার মতো হতে পারে। সাধারণত মহিলাদের ঋতু বন্ধের বছরখানেক আগে স্তনের এ ধরনের পরির্তন স্বাভাবিক। আবার মৃগীরোগ বা হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত মহিলাদের স্তনে এ সকল পরিবর্তন মাসে মাসে দেখা দিতে পারে এবং ঋতুচক্র শেষ হলেই স্তন আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কাজেই স্তন পর্যবেক্ষণের সবচেয়ে ভালো এবং উপযুক্ত সময় হচ্ছে প্রতি মাসে ঋতুচক্র শেষ হওয়ার ঠিক পরপর। এমনকি মহিলাদের মেনোপজের পরও প্রতি মাসের ওই একই তারিখে স্তন পর্যবেক্ষণ করা উচিত। তবে মনে রাখা জরুরি এ পর্যবেক্ষণ মাসে একবারের বেশি করা ঠিক নয়। এতে করে স্তনের ছোটখাট পরিবর্তন পরিষ্কার ও সঠিকভাবে লক্ষ্য করা যায় না।
নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করার পাঁচটি ধাপ হলঃ
• প্রথমত শরীরের ওপরের অংশ অনাবৃত করে আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে। যে কোনো একটি স্তন একটি থেকে অপরটি আকারে বড় বা ছোট হতে পারে। এটি একেবারে স্বাভাবিক।
• এরপর সামনের দিকে ঝুঁকে লক্ষ করতে হবে স্তন দুটির একটি অপরটির চেয়ে ভিন্নভাবে দোলে বা নড়ে কি না। পরবর্তীতে দুটো স্তনই ধরে উপরের দিকে তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে হবে স্তনের শীর্ষের চামড়ায় কোনো গর্ত বা খাঁজ সৃষ্টি হয় কি না।
• এরপর স্তন ধরে চাপ দিয়ে ছেড়ে দিয়ে কয়েক সেকেন্ড পরই পুনরায় চাপ দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে হবে স্তনের পুরো এলাকাজুড়ে কোথাও কোনো গর্ত, খাঁজ বা সমতল কিছু সৃষ্টি হয় কি না।
• পাশাপাশি অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে স্তনবৃন্ত দুটি ভিন্ন দুমুখী কিনা অথবা একটি আরেকটির চেয়ে ভেতরে ঢুকানো কি না।
• দু হাত মাথা বরাবর সোজা উঁচু করে ধরে লক্ষ করতে হবে। এ অবস্থায় স্তন দুটির যে কোনো একটির আকারে পরিবর্তন ঘটায় কি না।
পর্যবেক্ষণের যদি সব ক্ষেত্রেই উত্তর হ্যাঁ হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
নিজেদের স্তনের স্বাভাবিক পরিবর্তনগুলো মহিলাদের সবারই জানা প্রয়োজন। তাহলে অস্বাভাবিক কিছু হলে সহজে বোঝা যাবে। মাসিকের পূর্বে সাধারণত স্তনে ব্যথা এবং গুটি মনে হতে পারে। এ রকম অবস্থায় দুশ্চিন্তা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই শ্রেয়। ডাক্তার আপনাকে পরীক্ষা করে দেখে প্রয়োজন হলে আরো কিছু টেস্টের ব্যবস্থা করতে পারেন। সাধারণত যেসব টেস্ট করা হয় সেগুলো হলো- মেমোগ্রাম, ফাইন নিডেল অ্যাসপিরেশন সাইটোলজি, আলট্রাসাউন্ড ইত্যাদি।
নারীদের নিজেদের স্তন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের দেশের নারীরা নানা কারণে নিজেদের এ ধরণের রোগ সম্পর্কে এমনকি স্বামীকেও বলতে চাননা, অন্য কাউকে তো নয়ই। যেহেতু মেয়ে ও মায়ের মাঝে এধরণের ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনা বেশি হয়ে থাকে তাই তাদেরকেই পরস্পরের খেয়াল রাখতে হবে, পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে স্বামীদেরকে স্ত্রীদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং সহজ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে দুজনার মাঝে যাতে জীবন সঙ্গিনীর কষ্টগুলো সহজে ও দ্রুত জানা, বোঝা ও সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া যায়। ক্যান্সার ধরা পড়লে ঘাবড়ে না গিয়ে সুচিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসককে সবকিছু খুলে বলা উচিত। কারণ তিনিই স্তনের পর্যবেক্ষণ সর্বোৎকৃষ্ট উপায়ে করতে সক্ষম। মনে রাখতে হবে চিকিৎসকের কাছে সময় নিয়ে সবকিছু খুলে বলার মানে কারো সময় নষ্ট করা নয়। সতর্ক ও আন্তরিক হলে এ রোগের প্রতিরোধ ও আরোগ্য সম্ভব। পরিবারের সকলকে রোগীর পাশে থাকতে হবে, তাকে বোঝাতে হবে এ রোগ আরোগ্য হওয়া সম্ভব, তাই মৃত্যুর আগেই শতবার মৃত্যুবরণ করা কোন কাজের কথা নয়। অদম্য জীবনস্পৃহার কাছে যমদূতও হেরে যেতে পারে যদি মনে থাকে আশা, থাকে আপন মানুষের সাহচর্য।
স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস উদযাপনের অংশ হিসেবে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বিনা মূল্যে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিনা মূল্যে যেকেউ এ সেবা গ্রহণ করতে পারবে। মাসব্যাপী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি মেমোগ্রাম, আলট্রাসনোগ্রাম, এফএনএসি, বায়োপসি এসব প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম খরচে করা যাবে। আন্তর্জাতিক স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উদযাপন উপলক্ষে মিরপুর আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে ১ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী স্তন ক্যান্সার সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিনামূল্যে সেবা কার্যক্রম প্রদান করা হবে। যে সমস্ত মহিলা স্তন সমস্যা ও ক্যান্সার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তাদের এ সেবা প্রদান করা হবে। ডা. নাহিদ সুলতানা, ডা. শারমিন হোসেন ও ডা. সেলিনা পারভিন মাসব্যাপী এ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়া উক্ত মাস উপলক্ষে ৩০% সাশ্রয়ী মূল্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম, মেমোগ্রাম, এফএনএসিসহ ব্রেস্ট স্ক্রিনিং-এর সুবিধা প্রদান করা হবে। আহছানিয়া মিশন কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হোস্টেল ও কলেজগুলোতে ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করবে। এ বিষয়ে আরো তথ্য জানতে ০১৭১৮৫৯৪৬৮২, ০১৭১৫৩৩৬৩০৪, ০১৭৪৪৬৬৬৭৭৭ নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করা যাবে।
স্তন ক্যান্সার নামক দানবকে রুখতে সচেতন হোন, সচেতন করুন, জীবনের জন্য এগিয়ে আসুন আজই।শুধুমাত্র ট্যাবুর কারণে যারা এরকম একটা মরণঘাতী রোগ সম্পর্কে কথাবার্তা বলতে চাইবেননা তারা একটু কষ্ট করে গুগল ইমেজে ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার লিখে সার্চ দিয়ে দেখেন। ছবিগুলো এতই ভয়াবহ যে এখানে দেয়ার মত সাহস করতে পারলামনা। আমাদের অর্থহীন লজ্জা কি আমাদের নিজের, মা, বোন,বান্ধবীসহ সকল আপনজনের জীবনের ঝুঁকির চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়াবে? এরকম ভয়ঙ্কর অবস্থার স্শিকার হতে হবে?
(ছবিগুলো দিতে চাইনি কিন্তু সাইফুল ভাইয়ের কথায় মনে হল আসলেই ছবিগুলো দিলে ভয়াবহতা বুঝে মানুষের সচেতন হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। তাই দেখতে ভয়াবহ হলেও দিলাম।)
তাই নিজে জানুন ও অন্যকে জানান, নিরাপদ হোন নিরাপদ করুন, সচেতনতা সৃষ্টি করুন।
কোলন ক্যানসার পরিবারে থাকলে অন্যদের হবার সম্ভাবন শতকরা কত ভাগ। ক্যানসারের সঠিক ঔষধ আবিস্কার কত দিনে হতে পারে
আরেকটি তথ্য পেলাম।
From: fishoilblog.com
“……The omega-3 fatty acids found in fish oil are “good fats” that are vital
to wellbeing. They are necessary for human health but the body can’t
make them — you have to get them through diet (you can read about the other
sources of omega-3).
Though more research in this area is urgently needed, we now know that
the omega 3s found in fish oil assist in the prevention and treatment
of prostrate, testicular, breast, and ovarian cancers. Preliminary
studies suggest that taking fish oil daily can help slow the
progression of colon cancer in people with early stages of the disease
and may even have the ability to cause apoptosis (cellular death) of
cancer cells……”
প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা আছে কি?
@অরণ্য,
সাউথ এশিয়ায় স্তন ক্যান্সার তুলনামূলক ভাবে একটু কম কারন আমাদের খাদ্যাভ্যাস। ভালো, টাটকা, সারমুক্ত, ঔষধ মুক্ত খাবার আমাদের দেশে প্রচলিত ছিল বলে এ ধরনের রোগ আমাদের নানি দাদিদের মাঝে অত বেশি দেখা যেতনা।
আমাদের দেশে মেয়েরা অপ্রাকৃতিক ভাবে পিরিয়ড বন্ধ রাখতোনা, বা রাখেনা। উন্নত দেশে যা খুবই প্রচলিত। আমার এক বন্ধুর মা ত্রিশ বছর ধরে নিজের ইচ্ছেমতন পিল খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখেছে। তিনি মারা যান জরায়ু ক্যান্সারে। যখন বন্ধুর কাছে জানতে চাইলাম পিরিয়ড বন্ধ রাখার কারনেই ক্যান্সার হয়েছিল কিনা, সে আকাশ হতে পড়েছিল। তার ধারনা, একটির সাথে আরেকটির কোন রকম সম্পর্ক থাকতেই পারেনা! তার ধারনা কত ভুল তা প্রমান করে আমরা অনুন্নত মানুষেরা। (আমাদের দেশে উচ্চবিত্তদের মাঝে এ প্রথা থাকলেও এখন অবাধ ডেটিং আর সাথী পাল্টানোর তাগিদে অনেক কম বয়শি মেয়েরাও এ পিলের সুযোগ নিচ্ছে)।
পিরিয়ডের প্রসঙ্গে গেলাম এটা বোঝাতে যে ক্যামিকাল যুক্ত খাবার খেয়ে, অপ্রাকৃতিক ভাবে নিজের শরীর কে চালাতে চাইলে শরীর অনেক কিছু হতেই বঞ্ছিত হয়।
কিছু মাস আগে aol -এ একটি আরটিকেল পড়েছিলাম। ওখানে তিতা করলার ছবি আর কি যেন একটা বৈজ্ঞানিক নাম দিয়ে তিতা করলার গুনাগুন বর্ণনা করা হয়েছিল। এবং সবাইকে উৎসাহ দেয়া হয়েছিল এই বলে যে, যদিও খেতে টিটকুটে, তবুও সবার এই সাউথ এশিয়ান ভেজিটেবলটি খাওয়া উচিত কারন এই ভেজিটেবল স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন ক্যান্সার যে সেলের মাধ্যমে হয়, তাকে ধংস্ব করে এই ভেজিটেবল, যা পাওয়া যাবে যে কোন “indian grocery store” এ।
আমরা ছোটবেলা হতে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এসব হরেক রকম শব্জি খাইনি, আমরা খেয়েছি স্বাদের জন্য, কিন্তু পাশ্চাত্যে যারা ভেজিটেবল বলতে স্পিনাছ, ব্রকোলি, আর গ্রীন পিস বোঝে তাদের কজন ওই লিখা পড়ে ইন্ডিয়ান গ্রোসারী তে ছুটে গেছে কে জানে।
ক্যামিকাল যুক্ত খাবারের কারনে আমাদের দেশেও সব রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, এবং এর হার আরো বৃদ্ধি পাবে। দেশে বেড়াতে গিয়ে মজা করে প্রান ম্যাংগো ক্যান্ডি খেতে গিয়ে উপকরনে দেখলাম- high fructose syrup. সামনে ভালোই বিপদ।
লীনা রহমানকে ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ লিখার জন্য। আমি যতটুকু জানি বলার চেষ্টা করেছি, আমি নিশ্চিত উনি আরো বেশি জানবেন এ ব্যাপারে, এবং আরো ভালো বলতে পারবেন।
@ছিন্ন পাতা, আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর আমিও খুব বেশি জানিনা স্তন ক্যান্সারের ব্যাপারে। শুধু সাধারণ কিছু বিষয় জানি, কিন্তু আপনার কমেন্টের পর মনে হল এ ব্যাপারে আরো পড়াশোনা করে আরো একটা পোস্ট লেখা দরকার। পরীক্ষার পরেই এ কাজে হাত দেব আশা করছি। 🙂
খুব দরকারি লেখা লীনা। অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা আমাদের দেশে এখনো খুব সীমিত পরিসরে হচ্ছে। স্কুল-কলেজের বইতে জনস্বাস্থ্যসচেতনতার ওপর অনেক গুরুত্ব দেয়া উচিত। স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় এখন অনেক অগ্রগতি হয়েছে। স্তন ক্যান্সারের জন্য যে জিন দায়ী – তা সনাক্ত করার পথে অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে। আর যদি যথাসময়ে সনাক্ত করা যায় – তবে স্তন ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য।
খুবই কাজের একটা লেখা দিয়েছ লীনা।
চমৎকার কাজ হয়েছে লীনা। এই লেখাটা খুবই প্রয়োজনীয়।
প্রিন্টেড মিডিয়াতে প্রকাশিত লেখা মুক্তমনায় প্রকাশের ক্ষেত্রে নীতিমালার কোনো বাধা নেই।
@ লীনা,
বিষয়টা নিয়ে আগে তত ভাবিনি, কিন্তু ছবিটা সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছে। ফেইস বুক তুলে দিলাম।
ধন্যবাদ এমন প্রয়োজনীয় একটি বিষয়ে লেখার জন্য।
অ ট: আপনি পত্রিকায় লেখেন জানতাম নাতো।
@হেলাল, পত্রিকায় লেখা শুরু করেছই আড়াই মাস ধরে। বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রে ইত্তেফাকের মহিলা অঙ্গনের সম্পাদকের সাথে পরিচয় আর এরপর থেকেই কাজ শুরু। 🙂
@লীনা রহমান,
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি লেখা। আপনার লেখনী দক্ষতা ও বিষয় বাছাই নারীর জীবনে স্বস্তি বয়ে আনায় অবদান রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশে নারীপক্ষ বেশ কয়েক বছর যাবৎ এ নিয়ে অক্টোবর মাসে গোলাপী ফিতা বাঁধা সহ সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে আসছে।
আপনার লেখা অব্যাহত থাকুক।
দরকারী পোস্ট। এসব তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে সবখানে।
লীনা,
“ইত্তেফাক” আমাদের দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় তোমার অসংখ লেখাসহ এই লেখা যেমন অনেক অনেক মানুষকে সচেতন করে তুলবে তেমনি অনলাইন জগতের “মুক্তমনার” অজস্র পাঠক-পাঠিকাও উপকৃত হবে এমনটাই আশা করা যায়। :clap
সচেতনাই হউক আমাদের জীবনের পাথেয় যা জীবনের বোধের আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে।আর তখনই আমরা কুসংস্কারমুক্ত হয়ে অনেক রোগ-বালাইসহ অনেক কিছু থেকে মুক্তি পেতে পারি।
তোমার লেখা ধারাবাহিকভাবে অবিরাম চলতে থাকুক এআশাই রলো।
ভালো থেক। (F)
@মাহবুব সাঈদ মামুন, ধন্যবাদ মামুন ভাই। ভাল থাকবেন। 🙂
খুবই দরকারি পোস্ট,সবাই পোস্টটি শেয়ার করুন বিভিন্ন স্থানে।
পাঠ্য বইয়ে এ বিষয়ে ভুক্তি থাকা জরুরী।
@ফাহিম হাসান, অবশ্যই জরুরি। যেহেতু এখনো নেই তাই যারা এ ব্যাপারে জানছি তারাই ভরসা। সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে সবখানে।
ভালো কাজ। খুব দরকারি কাজ। এরকম লেখা অনেক অনেক দরকার। খুব ভালো কাজ হয়েছে লীনা রহমান। (Y)
@কাজী রহমান, পরিচিতদের মাঝে ছড়িয়ে দিন সচেতনতা।
চমৎকার হইছে লীনা।
আমাদের বাঙালিদের যেখানে লজ্জা দরকার ঐখানে নাই। আছে শুধু শরীরে। জামার নিচে।
খুবই ভালো হইছে লেখা। তবে আমার মনে হয় কিছু ক্যন্সার আক্রান্ত ছবি দিলে এর ভয়াবহতাটা পাঠকদের বুঝতে সুবিধা হইত।
@সাইফুল ইসলাম,
এক্কেবারে ঠিক কথা বলছেন। আর ছবি দিয়ে দিলাম আপনার কথামত।
পুরো লেখাটাই নারীদের স্তন ক্যান্সার নিয়ে, পুরুষের কি স্তন ক্যান্সার হয়না? হলে এর চিকিৎসা কি? আন্তর্জাতিক স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উদযাপন উপলক্ষে মিরপুর আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে যে কর্মসূচী গ্রহণ করেছে সেখানে কি পুরুষের স্তন ক্যান্সার বিষয়ে কোন কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে কি?
@জুনাইদ, উইকিপিডিয়াতে শুধু এতটুকুই বলা হয়েছে পুরুষদের স্তন ক্যান্সার নিয়ে,
“কিন্তু এখন পুরুষদেরকেও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারণ, পুরুষদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। এক হিসেবে দেখা যায় যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৪১ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, সেই তুলনায় মাত্র ৩০০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।”http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
আহছানিয়ে মিশন হাসপাতার আর ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের কর্মসূচী মূলত নারীদেরকে ঘিরে। ছেলেদের স্তন ক্যান্সার নিয়ে নেটে বেশ তথ্য আছে, আমি ওগুলো এখনো দেখার সময় পাইনি বলে এই পোস্টে ওগুলোর কথা নিয়ে আসতে পারিনি।
@জুনাইদ,
নারীর স্তন ক্যান্সার এর বিপরীতে পুরুষের প্রস্টেট ক্যান্সার প্রাসঙ্গিক ।
@জুনাইদ,
হাঁ, পুরুষদেরও স্তন ক্যান্সার হয়–স্তন ক্যান্সারের শতকরা প্রায় দশ ভাগ (স্মৃতি থেকে বললাম) হচ্ছে পুরুষ। এই তথ্য আমি পেয়েছি অস্ট্রেলিয়ার সরকার প্রচারিত এক পুস্তিকায়। প্রথমে বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছিল, তাই একজন স্তন ক্যান্সার সার্জনকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি ঐ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন। এর পর আমি ঘাবড়ে গেলাম। এখন আমি নিজেই আমার স্তন পরীক্ষা করি। তবে ঝুলে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়।
আর একটা তথ্য জেনে খুব হতাশ হলাম। ৫০-এর বেশী বয়সী মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ। আর ৭০-৮০ মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা প্রায় শতকরা আশী ভাগ। অবশ্য এই বয়সে যাবার পূর্বে অনেক মহিলাই মারা যাবেন।
একটু আশার খবর হল–প্রথম স্তরের ক্যান্সার হলে নূন্যতম শতকরা ৯০ ভাগ স্তন ক্যান্সার রোগী সেরে উঠবেন এবং অনেক দিন বেঁচে থাকবেন–ক্যন্সার ফেরার সম্ভাবনা খুব কম, তবে প্রতি বছর ম্যামোগ্রাম সহ স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা চালাতে হবে।
সার্জন আরও একটি আশার খবর দিয়েছিলেন যে সমস্ত ক্যন্সারের মাঝে স্তন ক্যান্সারই সবচাইতে সহজ ভাবে ট্রিট্মমেণ্ট করা যায়–এবং এর সাফল্যের হার খুবই উপরে–এমনকি সব চাইতে উর্দ্ধ স্তর স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও তা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ভাগ।
তাই, ৪০শের উর্দ্ধ সব মহিলাদের স্তন স্ক্রীনিং করা উচিত। অস্ট্রেলিয়ার সরকার এই ধরণের প্রত্যেক মহিলাকে দুই বছর অন্তর অন্তর চিঠি পাঠায় এই স্ক্রীনিং-এর জন্য–যা বিনামূল্যে করা হয়।
আশা করি আমাদের দেশের মহিলারা এই পোস্টটি অতীব গুরূত্ব সহকারে নিবেন।
আপনার লেখাটি পড়ে অনেকেই উপকৃত হবেন আশা করি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
@আব্দুল মোমেন, লেখাটা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিলে খুশি হব। 🙂