১.
গান শোনা আমার প্রিয় কাজ।
ছেলেবেলায় আমার ঠাকুরদা গান করতেন উঠোনের পেয়ারাগাছের নিচে মাদুর বিছিয়ে। পাড়ার ছেলেমেয়েরা আমার বোনদের সঙ্গে ঠাকুরদার গান গাইত। আর শুনতাম আমাদের পাথুরে কালীবাড়িতে পদাবলী কীর্তন। অষ্টপ্রহর জুড়ে নানা সম্প্রদায় গান করত। সারা বছর জুড়েই বোষ্টমরা আমার মাকে গান শুনিয়ে যেত। তার বিনিয়ে চালকলা। বারুনীতে শোনা যেত নমোশুদ্রদের মতুয়াগান। আর নাম-কীর্তন। এর সঙ্গে আলাই গান। আগমনী গান। জারি গান। সারি গান। কাইজা গানও শুনছি।
বাড়িতে একটা রেডিও ছিল। থাপ্পড় দিলে চলত। আবার থাপ্পড় দিলে বন্ধ হয়ে যেত। তখন শুনতাম বিবিধভারতী। দুপুরে চাষীভাইদের অনুষ্ঠান। ওটা দুপুর একটায়। এরপরই পঞ্চকবির গান। সাড়ে চারটায় শুনতাম গ্রামোফোন রেকর্ডের গান। এর মধ্য পুরাতনী গান আর রম্য গীতি। রেডিও বাংলাদেশ শুনতাম সৈনিক ভাইদের জন্য দুর্বার। বাড়িতে একটা গ্রামোফোন রেকর্ডার ছিল। সেটা ভাঙা। কখনো বাজিয়ে শোনা হয়নি। তবে অসংখ্য রেকর্ড ছিল হিজ মাস্টার্স ভয়েসের। তার গায়ে, প্যাকেটে গান লেখা থাকত। সেগুলো পড়ে আরাম পেতাম।
আর ছিল পূজার সময় মান্নাদের ললিতা। ললিতা আমাদের দেখিয়ে ও ঘাটে জল আনতে যেত। কারো মানা শুনত না। আর জগন্ময় মিত্র চিঠি শুনতে হত হাহকারের মত।
যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়েছি–তখনতো জুতো কেনারই পয়সা ছিল না। তবে ফ্রি গান শোনা যেত হলের টিভিতে। সংগঠনের অনুষ্ঠানে। একতা পত্রিকা ফেরী করে একটা ছোটো ক্যাসেট প্লেয়ার কিনেছিলাম। এই-ই আমার একমাত্র নিজের যন্ত্র। এই সময়ই আমার শিক্ষক আ বা ম নূরুল আনোয়ার জ্যোৎস্না রাতে শোনাতেন ব্রহ্মপুত্রে ডেকে নিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত। ফাহমিদা খাতুনের কাছে শোনা হত–কাদের কুলের বউ গো তুমি। পুরাতনী। আর রাগ সঙ্গীত চেনাতেন নাইবচাচা। এই গান কখনো থেমে নেই।
২. অমর পাল আমার খুব প্রিয় শিল্পী। তার লোক সঙ্গীত আমার সব সময় কানে লেগে থাকে। তাঁর একটা প্রভাত কীর্তন শুনতে শুনতে আমার ভোর হত। অমর পালের আরেকটি প্রিয় গান–আমার সোনার গৌর কেনে কেঁদে এলো কোন অনুরাগে। লিংক। আমাদের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গাওয়া গান আমার ভাল লাগে। তার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা শুনে দেখি–অনেকটা অমর পালের আমার সোনার গৌর কেনে কেঁদে এলো গানটির জড়ুয়া ভাই। লিংক।
অমর পালের আরেকটি গানটি শুনেছি। গানটি লিখেছেন শেখ ভানু। শেখ ভানুর আর কোনো গান আমি শুনিনি। সুরকারের নামও জানিনা। সে সময় লোক সঙ্গীতের গীতিকাররাই অনেকাংশে সুর দিতেন। তবে পদাবলী কীর্তনের ক্ষেত্রে সুরকার অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় কখনো কখনো। কাজী নজরুল ইসলামই সম্ভবতই শেষ সঙ্গীতকার যিনি গীতিকার এবং সুরকার একই সঙ্গে। এরপরে পেশাদার সুরকাররাই গীতিকারদের বানীতে সুর বসান। এই ধারাই এখন চলছে। অমর পালের গাওয়া গানটির কথাগুলো নিম্নরূপ–
ভানু শেখের গানটি–
শিল্পী : অমর পাল
গীতিকার : শেখ ভানু
————————–
নিশিতে যাইও ফুল বনে
জ্বালাইয়া দিলের বাতি
কত রঙ্গে ধরবে ফুলের কলি রে ভোমরা
নিশিতে যাইও ফুলবনে।।
নয় দরোজা করিয়া বন্ধ
লইও ফুলের গন্ধ,
জপিও ফুলের নাম রে ভোমরা
নিশিতে যাইও ফুলবনে।।
দল পাতা বৃক্ষ নাই
এমন ফুল ফুটাইছে সাঁই,
ভাবুক ছাড়া না বুঝে পণ্ডিতে রে ভোমরা
নিশিতে যাইও ফুলবনে।।
অধিন শেখ ভানু বলে
ঢেউ খেলাইও আপন দিলে রে,
পদ্ম যেমন ভাসবে গঙ্গার জলে রে ভোমরা
নিশিতে যাইও ফুলবনে।।
গানটির শুনতে ক্লিক করুন।
শচীন কর্তার গান শুনে আমাদের পাড়ার হান্নান ভাই দিওয়ানা হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি পরীক্ষার পাশ করতে পারতেন না। পড়ালেখা তার মনে থাকত না। তবে শচীন কর্তার সব গান তিনি গাইতে পারতেন। এমন কি শোনো গো দখিন হাওয়া প্রেম করেছি আমি–এই গানটির শোনোগো দখিন হাওয়ার পরে গিটারের ক্রং করে একটা ছোট্ট তানও তিনি হুবহু মনে রাখকে পারতেন। শচীন কর্তার আরেকটি গান তুমি যে গিয়াছ বকুল বিছানো পথে সত্তর দশকে বিটিভিতে নজরুল সঙ্গীত নামে গীত হত। আমি গ্রামোফোন রেকর্ড থেকে জেনেছি –গানটির গীতিকার কাজী নজরুল ইসলাম নয়। এটা আজয় ভট্টাচার্যের রচনা।
এরশাদের আমলে শিল্প সাহিত্যের বেশ একটা জোয়ার এসেছিল। মশামাছিও তখন কবিতা লিখত। গান গাইত। নাটক করত। সে সময় একটা প্যারোডি গানের অনুষ্ঠান হয়েছিল ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্বিবিদ্যালয়ে। অধম লিখেছিল নিশিতে যাইও ক্যান্টনমেন্টে নামে একটা প্যারোডি গান। নূরুল আনোয়ার স্যার শুনে ডেকে ধমকে দিয়েছিলেন। আর কখনো এই অপকর্ম করতে যাইনি। একটি গীতিকার অকাল মৃত্যু হয়েছিল। শচীন কর্তার গানটি নিম্নরূপ-
জসীমউদ্দিনের রচনা
শিল্পী : এসডি বর্মন
———————
নিশিতে যাইও ফুলবনে
জ্বালাইয়া চান্দেরও বাতি রে
জেগে রব সারা রাতি গো
আমি কব কথা শিশিরের সনে রে ভোমরা
নিশিতে যাইও ফুলবনে।।
যদিবা ঘুমাইয়ে পড়ি
স্বপনেরও পথ ধরি গো
তুমি তুমি নীরবে চরণে যাইও গো রে
নিশিতে যাইও ফুলবনে।।
আমার ডাল যেন ভাঙে না
আমার ফুল যেন ভাঙে না
ফুলের ঘুম যেন ভাঙে না
তুমি তুমি নীরবে চরণে যাইও গো রে
নিশিতে যাইও ফুলবনে।।
ভানু শেখের গানটি সান্ধ্যভাষায় রচিত একটি দেহতত্বের গান। আর শচীন কর্তার গাওযা গানটি লিখেছেন কবি জসীমউদ্দিন। সহজ সরল প্রেমের গান। লিংক । অমর পালের গাওয়া শেখ ভানুর গানটি এবং শচীন কর্তার গাওয়া কবি জসীমউদ্দিনের গানটির ভাষার নিয়ে এক ধরনের ধন্ধ তৈরি হতে পারে। দুটোর সুরই প্রায় এক।
৩.
বড়ো গোলাম আলী খাঁ সাহেবের ক্যা করু সজনী আয়ে না বালাম ঠুমরিটি মাঝে মাঝে শুনি। এটি স্বামী নামে একটি হিন্দি সিনেমায় গীত হয়েছে। গেয়েছেন যেশু দাস। লিংক। পদ্মা তলোয়ারকরও অসাধারণ গেয়েছেন এই ঠুমরিটি। লিংক ।
বড়ে গোলাম আলী খাঁ সাহেবের আরেকটি ঠুমরী আমাকে আকর্ষণ করে। সাইয়া গেয়ে পরদেশ। লিংক। বেগম আখতারের গোটা দশেক বাংলা রাগ প্রধান গান আছে। রচনা ও সুর জ্ঞানপ্রকাশের। মাঝে মাঝে অনেক রাতে আমি ময়মনসিংহে বেগম আখতার চালিয়ে দিতাম। তিনি সেই গুরু গম্ভীর গলায় গেয়ে উঠতেন–পিয়া ভোলো অভিমান, নিশি রাত বয়ে যায়। আমার ফ্লোরের সবারই ঘুম ভেঙে যেত। সবাই গুটি শুটি এসে জুটত আমার রুমে। এটা দেখে শুনে আমাদের পিয়া আর কখনো অভিমান করে থাকতে পারে নি। সব ক্রেডিট গোস টু বেগম বাখতার। বেগম আখতারের ঠুমরিটির লিংক। এই একই গান শুনেছিলাম পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কণ্ঠে। লিংক।
বড়ো গোলাম আলী খাঁ সাহেব করছেন হিন্দিতে ঠুমরিটি। তাঁর বানী আলাদা। কিন্তু বেগম আখতার আর পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী করছেন বাংলায়। বড়ো গোলাম আলীর ঠুমরীর সুর। তবে তার বানী গেছে পাল্টে। অদ্ভুত কাণ্ড।
নূরুল আনোয়ার স্যার এই কাণ্ডটির একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন–বড়ে গোলাম আলী খায়ের পাতিয়ালা ঘরানার এই ঠুমরীটি জ্ঞানপ্রকাশ যখন বাংলায় করলেন তার নাম দেওয়া হল রাগাশ্রয়ী বাংলা গান। সুরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলা কথা। আবার বাংলায় যখন আসছে তখন কিন্তু ধীরে ধীরে পাতিয়ালা ঘরানা অনেকটা পাল্টে যাচ্ছে। বেগম আখতার যখন করছেন, তিনি মূলত হিন্দুস্থানী ঠুমরী গায়িকা, তিনি যখন জ্ঞানপ্রকাশের সুরে বাংলায় গাইছেন–তখন তার গায়কীতে পাতিয়ালার মূল ফ্লেবারটা থাকছে। কথার চেয়ে সুরের প্রতাপ কাজ করছে। কিন্তু অজয় চক্রবর্তী যখন গাইছেন–তখন তা বাংলার বাণীর হাত ধরে মাধুর্য এবং লাবণ্য এসে যাচ্ছে। সেখানে সুর প্রধান নয়–বানী এসে সুরকে মুক্তি দিচ্ছে।
সুরের মুক্তি? খুব কঠিন কঠিন কথাবার্তা। মাথার এদিক দিয়ে ঢুকে বেরিয়ে যেতে চায়। তার মানে সুরও জেলে যায়। তার মুক্তি হয়। বটে।
৪.
বছর দুএক আগে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে অধম একটি গল্প লিখেছিল। গল্পটির নাম শুয়াচান পাখি। তার এক বছর পরে ডঃ ইউনুস ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে বড়ো গাড্ডায় পড়ে গেলেন। শুয়া চান পাখি শব্দটির অর্জিনাল অর্থ জানার বাসনায় অধম নেত্রকোণার কবি সৌনক দত্ত তনুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তনু মোহনগঞ্জে গায়ক বারী সিদ্দিকির কাছে গেল। তখন সিদ্দিকী সাহেবের তুরীয় অবস্থা। গিলে নিজেই শুয়া চান পাখি হয়ে আকাশে উড়ছেন। তনু বলল, দাদা–এখন জানা সম্ভব নয় জানা। ওস্তাদের ঘোর কাটলে জানা যাবে। বললাম, ভ্রাত:, তাইলে তুমি এখন কি করবা? তুমি মোহনগঞ্জ থিকা নেত্রকোণায় ফিরা যাইবা? তনু বলল, নাগো দাদা। ফিরা যামু না। ফিরা গেলেই ওস্তাদ আবার তুরীয় হবেন। তার চাইয়া আমি ওনার দরোজায় খাড়ায়া আছি– পায়রা দিতাছি। তাইনে যেন আর জিনিসপত্রের নাগাল না পান।
তারপর পরদিন কবি সৌনক অধমকে একটি ইউটিউব ক্লিপ পাঠিয়েছিল। শুনে দেখি–বারী সিদ্দিকী এনটিভি চ্যানেলের গাওয়া গান আছে। সেখানে শুয়া চান পাখির মানে বারী সিদ্দাকী বলছেন–শুয়ে থাকা পাখিকে শুয়া চান পাখি। সেখানে আরেকটা গান মনে টানল। আমার গায়ে যত দুঃখ। লিংক। গাওয়ার গোড়ায় বলছেন বারী সাহেব–এই গানটি তিনি মীরার একটি ভজনের সুর নিয়ে করেছেন। ভজনটির কিছু অংশ তিনি গেয়েওছেন। এইবার কিছুমিছু বোঝা গেল সঙ্গীতের মুক্তির বিষয়টি কি? এগুলো চুরি টুরি জাতীয় নয় তো?
৫.
সনদ পিয়ার লেখা একটি বিখ্যাত ঠুমরী গান ভেঙে রবীন্দ্রনাথ বাংলা ঠুমরী গান লিখেছেন। মুল ঠুমরীটি গিরিজা দেবী গেয়েছেন। আর রবীন্দ্রনাথের গানটি নীলিমা সেনের গলায় শুনলেও এর মাধুর্য টের পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ এভাবেই বাংলায় ঠুমরীর রসটি সফলভাবে বাঙালির করে রবীন্দ্রনাথ সনদ পিয়ার ঠুমরীটি ভেঙে যখন খেলার সাথী গানটি করলেন, তখন কিন্তু বাঙালি ঠুমরীর আস্বাদটি নিজের করে পেল। ঠুমরী তো এক সময় দরবারী সঙ্গীত ছিল। সেখানে বাঙালির পরিচয় খুব বেশি ছিল না। রবীন্দ্রনাথ যখন এই ঠুমরীর সুরে বাণী বসালেন–দেখেন কী বিষাদ আর হাহাকার আমাদের মনে পৌঁছে দিলেন। ঠুমরীর দরবার মনের প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়ল। লিংক।
খেলার সাথি, বিদায়দ্বার খোলো–
এবার বিদায় দাও।
গেল যে খেলার বেলা।।
ডাকিল পথিকে দিকে বিদিকে,
ভাঙিল রে সুখমেলা।।
৬.
আমাদের কুষ্টিয়ার গগন হরকরার আমি কোথায় পাব তারে গানটি অমর পাল করেছেন। গানটি সঙ্গীত শিল্পী গবেষক ডঃ স্বপন বসুও করেছেন। শুনে দেখি–আমি কোথায় পাব’র পরে তিনি রবীন্দ্রনাথের আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি গানটি করছেন। দুটো গানেরই অনেক মিল আছে। শুধু কথা আলাদা। লিংক। তবে দুটো গানের স্বরলিপি নিয়ে সূক্ষভাবে দেখলে কিন্তু অনেক পার্থক্য মেলে। তাহলে রবীন্দ্রনাথ কি এই গানটির সুর কি চুরি করেছেন গগন হরকরার কাছ থেকে? জসীমউদ্দিন চুরি করেছেন শেখ ভানুর কাছ থেকে? বেগম আখতার চুরি করেছেন বড়ো গোলাম আলী খাঁর সাহেবের গান থেকে? বারী সিদ্দিকী চুরি করেছেন মীরাজীর কাছ থেকে? এইসব প্রশ্নে বড়ো ধন্ধ পড়ে যাইহে প্রভু।
আমার বন্ধু শিল্পী সুজন চৌধুরী কানাডা থেকে জানালেন–না, এটা চুরি নয়।
অন্যের সুরকে আশ্রয় করে নতুন বাণী বা বন্দিশ বসিয়ে অসংখ্য বাংলা গান আমরা তখন পাই বিশেষ করে রাগ-রাগিনী এবং “প্রচলিত” পল্লীগীতির সুর ভেঙ্গে তৈরী করা, এরই ধারাবাহিকতায় ১টা গান রবীন্দ্রনাথের “আমার সোনার বাংলা” যেটার সুর গগন হরকরার গানের সুরকে আশ্রয় করে তৈরী করা ( ঐ সুরের স্রষ্ঠা গগন হরকরা এমন কোন প্রমাণও বস্তুত নাই) এবং “আমার সোনার বংলা” গানটির স্বরলিপি যদি আপনি দেখেন বুঝতে পারবেন গগন হরকরার সুর থেকে রবীন্দ্রনাথের সুরটা কতটা আলাদা… রাগকে আশ্রয় করে যখন কোন গান তৈরী হয় সেটাকে আমরা রাগাশ্রয়ী গান বলি, রাগাশ্রয়ে সুরটি যিনি তৈরী করেন সুরটি তার… একইভাবে প্রচলিত পল্লীগীতির সুরের কোন মালিকানা হয় না …. লালনের কয়টা গান তার গুরুর সুরে করা সেটার কোন হিসাব নাই, তাতে লালনগীতির মালিকানা তার গুরুর হয়না লালনেরই থাকে।
ঐ সময়টাতে বাংলায় প্রচলিত রামপ্রসাদি গান, কীর্তনের সবকটা ধারার সুর, কাওয়ালি, জারি সারি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালিসহ আরো ভারতের বিভিন্ন এলাকার সুর ভেঙ্গে নতুন বাংলা গান তৈরী হয়, সুরগুলো এখনও আমরা বিভিন্নভাবে শুনতে পাই এবং ঐ নতুন সুরের মালিক যিনি সুরটিকে ভাঙলেন তিনি, পূর্ব-প্রচলিত সুরের সুরকার নন।
এই কারণেই “আমার সোনার বাংলা” গানটির সুরকার রবীন্দ্রনাথ, গগন হরকরা নন। স্বরলিপিটি দেখুন গান ২টি পাশাপাশি শুনুন পরিষ্কার বুঝতে পারবেন এটি গগন মণ্ডলের সুরাশ্রয়ী নতুন সুরের গান যেটার মালিকানা যৌক্তিকভাবেই রবীন্দ্রনাথের।
গান রচনার ইতিহাসটি না জেনে চুরি বলাটা যুক্তুবাদি কম্ম নহে। তাহলে গীতগোবিন্দর কবি জয়দেব, নিধুবাবু, দাশরথী, রামপ্রসাদ সেন, কমলাকান্ত সেন, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুল প্রসাদ, গিরীশ চন্দ্র ঘোষ, রজনীকান্ত, কাজী নজরুল, সত্যজিৎ রায়, জসীমউদ্দিন, সলিল চৌধুরী, –মায় সবাইকেই চোর ঠাওরাতে হয়। তার মানে পুরো বাংলা গানকেই চুরির মাল ঘোষণা করতে হয়। হালের এরআর রহমানকেও কাঠগড়ায় তোলা ছাড়া উপায় থাকে না।
৭.
শেষবেলায় বাউল গান নিয়ে কিছু ধার করা বিদ্যে কহে যাই দয়াল বন্ধুগণ।
বাউল সঙ্গীত হল মধ্যবঙ্গের একটি বিশেষ ধরনের লোকগীতি, যাকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভাষায় বলা হয়েছে ‘ ভাটিয়ালি’ সুর। ভাটিয়ালি রাগিণীর কথা চর্যাপদে আছে। উত্তর ভারতীয় ভাটিয়ালির সে-সুরই বাউল সুরের ভিত্তি। কিন্তু এর উপর কীর্ত্তনের প্রভাবও পড়েছে।
বিলেত থেকে ফেরার দশ বছর পরে রবীন্দ্রনাথ কমবেশী স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন পূর্ব বাংলার গ্রামে। সেখানে তিনি বৃহত্তর বাঙালি সমাজের সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি কুষ্টিয়ার বাউলদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। বাউলদের সহজ প্রেমের ধর্ম এবং মনের মানুষ তাঁকে যেমন আকৃষ্ট করেছিল, তেমনি আকৃষ্ট করেছিল বাউলদের সরল এবং আবেগপ্রধান সুর। কুষ্টিয়ার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তিনি বাউল গান লিখতে শুরু করেননি। তিনি তখন অনুভব করেছিলেন রাগরাগিণীর কঠোর কাঠামোর বাইরেও সহজ সুর দিয়ে মনকে আকৃষ্ট করা যায়। এই বিষয়টাকেই তিনি বলেছিলেন সঙ্গীতের মুক্ত বা বন্ধন মুক্তি। বাউল সুর তাকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং ইউরোপীয় সঙ্গীতের নিয়মের বাইরে সৃজনের মুক্তির পথ দেখিয়েছিল। তিনি বুঝেছিলেন, বাউল সুর হল সঙ্গীতশাস্ত্রের জ্ঞানবর্জিত সাধারণ মানুষের অন্তরের সুর।
শিলাইদহে যাওয়ার প্রায় ১৫ বছর পরে রবীন্দ্রনাথ বাউল সুরে গান লিখতে শুরু করেন। প্রথম বাউল সুরে লেখেন সেই গানগুলো যে গুলো সাধারণ মানুষ খুব সহজেই বুঝতে পারেন–গাইতে পারেন, গাইলে সংগঠিত হতে পারেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় এই বাউল সুরের গানগুলি লোকের মুখে মুখে ফিরেছে। প্রাণের গান করে নিয়েছে। এর আগে তিনি যে দেশাত্মবোধক গান লিখেছিলেন–সেগুলো শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কাঠামো মেনেই লিখেছিলেন। এ গানগুলো আম জনতাকে তেমন আকর্ষণ করেনি, করলেও সময় লেগেছে; যতটা করেছে সঙ্গে সঙ্গে বাউল সুরে তাঁর রচিত গানগুলো।
এই যে দীর্ঘদিন পরে তিনি বাউল সুরে লিখলেন, সেটা কিন্তু তার শ্রুত বাউল সুরের চেয়ে অনেকটাই বদলে গেছে। কি রকম বদলে গেছে–সেটা বলেছেন সুজন চৌধুরী স্বরলিপির পার্থক্য দেখিয়ে। মনে রাখা দরকার যে কোন মহৎ শিল্পেরই একটা সৃজনশীলতা থাকে। এর ভোক্তাকে উদ্বুদ্ধ করে আরেকটি মহৎ শিল্প রচনায়।
বেয়াদবী হইলে ক্ষমা করিবেন।
আমিন।
সূত্র : সচলায়তনের একটি পোস্ট। লিংক।
মুক্তমনার একাধিক পাঠক এবং লেখকদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে লেখাটিকে মডারেশনের আওতায় আনা হল এবং মন্তব্যের অপশন সামায়িকভাবে বন্ধ রাখা হল। সবাইকে অন্য পোস্টে মন্তব্য এবং আলোচনা চালিয়ে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
@ সপ্তক,
বিষয়টা এতোটুকু গড়াবে কেউ হয়তো ভাবতেই পারেন নি। আমার সন্দেহ হয়েছিল কিন্তু পুরোপুরি বিশ্বাস হচ্ছিলনা। এখন কিন্তু ব্যাপারটা সীমাতিক্রম করে চলেছে। এডমিন যদি হস্থক্ষেপ না করেন, আখেরে যতোটুকু ক্ষতি হবে অভিজিৎ দা ও ফরিদ ভাইয়ের তার চেয়ে বেশী ক্ষতি হবে মুক্তমনার। অন্যান্য ব্লগে অভিজিৎ দা ও ফরিদ ভাইয়ের বিরোদ্ধে কুৎসা রটনা করে মুক্তমনার ক্ষতি কেউ করতে পারবেনা, কিন্তু এখানে পারবে। অন্যান্য ব্লগে মুক্তমনার বিরোদ্ধে কেউ অপবাদ রটালে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্যে মুক্তমনার যথেষ্ট লেখক পাঠক সেখানেও আছেন। আমরা মুক্তমনার সদস্যরা মুক্তমনাকে অন্যান্য ব্লগের মতো কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির প্লে-ফিল্ড হিসেবে দেখতে চাইনা।
@আকাশ মালিক, (Y)
গান নিয়ে আলোচনায় এসব অযৌক্তিক, বদ্ধ-মনা আলোচনা না চালালেই কি হত না!
এখানের মন্তব্যগুলো পড়লে তো যে কারও অস্বস্থিতে ভোগার কথা। সবার কাছে সর্নিবন্ধ অনুরোধ (কুলদা রায় ও মন্তব্যকারীরাও), মুক্ত-মনার পরিবেশ কলুষিত করা থেকে বিরত থাকুন। মন্তব্যের শব্দ চয়নে সুস্থতার পরিচয় দিন। ব্যক্তিগতভাবে এতে জড়াতে চাই না বলেই শব্দের উদাহরণ দিলাম না।মডারেটররা এ বিষয়ে ভাববেন আশা করছি।
@গীতা দাস,
সহমত জানাচ্ছি!
ইনি নিজে যখন মূল আলোচনা হতে সরে যান, সেটা কিছুনা। তার এই আচরনে এত জনের এত প্রশ্ন, এত মন্তব্য তার কুকাজ নিয়ে যেটা তার গানেরই আলোচনার মধ্যে পড়ে, সেদিকে না গিয়ে তিনি লিখেন
খারাপ লাগে যখন দেখি একজন আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ মানুষের মাঝে অপরকে নিচু করার অসুস্থ প্রবনতা।
@ছিন্ন পাতা, কুলদা রায় কখনো মূল আলোচনা হতে সরে যায়নি। প্রমাণ করতে পারবেন না। অন্যের মুখে ঝাল খাবেন না। পারলে প্রমাণ করেন। যুক্তিবাতিতা মানে মেরুদণ্ড ধার দেওয়া নয়। এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
এখানে তাহলে বেশ একটা গান নিয়ে আলাপ হচ্ছে। একে বলে খেউড় কেত্তন। বিপ্লব রহমান আপনাকেও ধন্যবাদ।
আশা করা যায় এই গান শুনে আগামীতে এই সব পীর সাহেবদের কেউ না কেউ প্রশ্ন করবে। সেদিন বিপ্লবরাও লজ্জা পাবেন।
আমার ধারণা ছিল, এইসব খেউড় কেত্তনের পাশাপাশি দুএকজন মেরুদণ্ডঅলা লোক নোটের বিষয়টা নিয়ে কথা বলবেন। নোটটা যে অভিজিৎ এবং ফরিদের জামাতি পোপাগাণ্ডার বিপরীতে প্রামাণ্য তথ্য দিয়েছে, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে ওরা মিথ্যে বলেছে, অপপ্রচার করছে, –সেটা আড়াল হয়ে গেল। হয়তো কেউ না কেউ কখনো বলবেন। কারণ সত্যি সত্যি তো পীরদ্বয়ের ভণ্ডামি ধরা পড়ে গেছে। লোকে বিশ্বাস করছে–অভিজিৎ এবং ফরিদ দুজনেই সত্যি সত্যি জামাতের হয়ে কাজ করছেন। বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়। সুবৃক্ষে কুফল ফলেছে।
তবে এই পীরদের জামাতি প্রকল্পের প্রতিটি অধ্যায়কে নতুন করে প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
@কুলদা রায়, হ্যাঁ গান নিয়েই তো আলাপ হচ্ছে, আপনি যে গান (প্যান প্যান) করে এসেছেন অন্য ব্লগে, তার-ই সুর মূর্ছনা ভেসে বেড়াচ্ছে এখানে !!! এখন আপনি যদি বলেন তার নাম ‘খেউড় কেত্তন’ ,তবে তাই !
@কুলদা রায়,
কুলদা কিসের নোট?।।কারাই বা পীর?…কারা কিভাবে জামাতির পক্ষ হয়ে কাজ করছেন?…।। দাদা রে আপনার সবধরনের মন্তব্যই ত এখানে ছাপা হচ্ছে। পরিস্কার করে লিখুন না কেন?। আমাদের মত সাধারন পাঠকদের যদি বিভ্রান্ত করতে চান বা সুমতি দিতে চান, যা ই চান না কেন একটু ঝেড়ে কাশতে ত হবেই এবং তথ্য প্রমান ও হাজির করতে হবে। কারন এখানে সাধারন পাঠক রাও আমার মত ছটখাট আতেল।হা হাহা… আরও একজন এমন এখানে পেয়েছিলাম জনাব মাসুদ রানা… কথা নেই বার্তা নেই আলোচ্য বিষয় এর বাইরে গিয়ে বেক্তিগত আক্রমণ করা শুরু করেছিলেন…।বিপ্লব পাল আবার ঐ ভদ্রলোক এর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। অপরাধ না করেই ক্ষমা চাওয়া!। যেকোনো স্বাধীনতাই আইন্সম্মত স্বাধীনতা। এবং সে আইন হচ্ছে গস্টি,রাস্ট্র এবং সংগঠনের নিতিমালা,সংবিধান ইত্যাদি। মুক্তমনার নীতিমালায় কি কুলদা,মাসুদ রানা র মত বেক্তি আক্রমণ কারীদের পস্রয় দেয়ার নীতি আছে নাকি!!!!, এসব লেখক দের বর্জন করা আখেরে(!!!!) মঙ্গল বলেই মনে হয়।
অনেকদিন আগে কুলদা রায়ের সাথে কোন একচ প্রকারের কলহতে জড়িয়ে পরার পর তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক নৃপেন সরকার আমাকে বলেছিলেন (নৃপেন সরকারের জন্য আমার কাছেও একটা স্পেশাল পজিশন আছে তার আর্নেস্ট জেন্টলম্যানশিপের জন্য) “কুলদা একটু সাহিত্যঘেঁষা মানুষ”। এইটা বলেছিলেন উনি কলহটা রিসল্ভ করার জন্য, রিসল্ভ সেটা হয়েও গিয়েছিলো। অতপর আমি অপেক্ষা করছিলাম এই সাহিত্যঘেঁষা মানুষটির সোনার কলম খুলে গড়িয়ে পড়ে কি অমিত্তির সাহিত্যরসধারা সেইটা দেখার আশায়। কিন্তু হায় আমাকে হৃদয়ভাঙ্গন দেওয়ার জন্যই কিনা কে জানে, সেই মহান রসভান্ডটিকে যে কুলদা রায় কোন পাতালপুরে লুকিয়ে রাখলেন, সেটা সম্ভবত তার নিজেরও মনে নেই এখন আর! তারপরও কুলদা রায়কে এতোদিন পর ফেরত আসতে দেখে ভেবেছিলাম হয়তো তার কাছ থেকে পাবো তৈল-চর্বি-মেদমেদুর মিস্টি একটি লেখা, মনে বয়ে গিয়েছিলো প্রশান্তির একরাশ ফুরফুরে হাওয়া। কিন্তু কপাল, এইবারও দেখছি সেই হাওয়ার গতিপথ কুলদা রায়ের আঙ্গুলি হেলনে বদলে গিয়ে হয়েছে গোরানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ডিজাইনেটেড ডমেস্টিক ওয়েইস্ট ডাম্পিং সাইটের উপর দিয়ে, পুতিদুর্গন্ধে ভরে গেল মন-মজ্জা! বিশেষ কিছু বলার নেই, সবাই সবকিছু বলেই ফেলেছে, তারপরও আমিও দুই-একটা কিছু বলি-
প্রথমে বলি লেখা সম্পর্কে; দাদাঠাকুর-দিদিঠাকুর-ঘুঙ্গুর-সিঁদুর-মুড়িঘন্ট আর তুলসীগাছের যেই অমর মহাকাব্য ফেঁদেছেন সেই মহাকাব্য শুনে আলোচনা-সমালোচনায় বসার পরিবর্তে মন চায় বিনাকৈফিয়তে প্রথমে কষে দুই ডোস ডলা দিয়ে নিতে, বিশেষকরে এইসব লেখা যদি কিনা দেখি মুক্তমনার পাতায়!! এইটা না হয়েছে আধুনিকতা না হয়েছে রোমান্টিকতা; তিনটি বাক্যে যা বলা যায় তা বলতে তিনশত প্যারা ফেঁদে বসে আছেন। এইটা কি ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের সময় নষ্ট করা নয়? আর লেখার দৃশ্যকল্পে দৃশ্যকল্পে প্রকাশ পাচ্ছে এই আন্ডারটোন যে- আমি সবগুলো বাঙ্গালী থেকে একটু ভিন্ন, একটু পৃথক, এবং এইটা নিয়ে আমি গর্বিত- এবং এই কাজটা করছেন সম্পুর্ণভাবেই কোনরকমের জাস্টিফিকেশনের অনুপস্থিতিতে; বস্তুত ডলাটা কিন্তু দিতে মন চায় এইজন্যই! আর আফটপিকে একজনের কুশলও জিজ্ঞেস করি এই প্রসঙ্গে- আপনার সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতীর জান্তব অবতার ইছলামিস্ট খালাতো ভাইটা কেমন আছে, কাছে পিঠে পেলে তাকেও একটু ডলা-টলা দিতাম, আসিফ মহিউদ্দিন যেমন দিয়েছিলো সপ্তাহ দুয়েক আগে!! যাই হোক আপনার লেখা সম্পর্কে এর বেশী কিছু বলার নেই, রবীন্দ্রনাথ কোথা থেকে সুর চুরি করেছে, আসলে করেছে কি করেনি, আমার দুর্ভাগ্য সেটা এই মুহুর্তে আমার কোন ইন্টারেস্ট নয়। তবে আপনার লেখার পেরিফেরাল আরও কিছু কর্মকান্ড সম্পর্কে কিন্তু it turns out অ-নে-ক অনেক কিছু বলার রয়েছে আমার-
কিন্তু সেইসব বলার পুর্বে প্রথমে আপনার নিজেকে অনুধাবন করতে হবে কেনো অভিজিত রায়কে জামাতি-সাম্প্রদায়ীক ইত্যাদি হাবিজাবি বলে বেড়ানোটা একটি আনন্দদায়ক কাজ। বিশেষকরে এইসব যদি কিনা আপনি বলে থাকেন অন্য কোন ফোরামে যেইখানে অভিজিত রায় এবং ফরিদ আহমেদ কিনা লেখেন না। আপনাকে এইখানে পেয়ে তারা জবাবদিহিতা চাচ্ছে, আপনি পিছলে যাচ্ছেন, বলছেন যে- না, আমার লেখার বিষয়ে মন্তব্য করতে হবে! প্রব্লেমটা কি আপনার??? আপনি আরও বলছেন- আমি কোন ব্যক্তিগত কাঁদা ছোড়াছুড়ি করিনি এইখানে, শুধু খালি যেইখানে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করেছিলাম সেইখানকার লিঙ্কটা এইখানে দিয়েছি 😀 😀 , এবং কে বলে আপনার রসবোধের অভাব রয়েছে?? তারা রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করেছে, আর সমালোচনার জবাবটা আপনি কি দিয়েছেন? ওয়েল- এরা জামাতের টাকা খেয়ে এইসব লিখেছে, দুদিন পরেই এটা ইনকিলাবে প্রকাশিত হবে। আপনি কি একটা শব্দের সাথে পরিচিত, “এভিডেন্স”? এই নোশনটির সাথে পরিচিত কি আপনি যে- বিনা এভিডেন্সে কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দাড়া করালে, সামনাসামনি পেলে আপনাকে সেইরকম একটা ধোলাই-ই তারা দিবে? সেইরকম ধোলাই এখন দেওয়া হচ্ছে, নিজেকে ডিফেন্ড করার বদলে ধোলাই খেয়েও এখন আপনি আবার করছেন সেই চিরায়ত ম্যাও-ম্যাও-ম্যাও-ম্যাও! আবারও জিজ্ঞেস করি, প্রব্লেমটা কি আপনার? রবীন্দ্রনাথের সমালচনা করে অভিজিত রায় ফরিদ আহমেদ লিখেছে একটা লেখা, আমার কাছে কেনো যেনো মনে হয় সেই লেখাটার আসল উদ্দেশ্য ছিলো রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করা নয়, বরং আপনাদের মতো রবীন্দ্রবিলাসী দুই একটা ইউসলেস ‘ইস্ট্রোজেন-প্রজেস্টিন আর এস্ট্রাডায়োলের পুটুলী’কে জনপ্রকাশ্যে বের করে আনা! এবং লো এন্ড বিহোল্ড- কতোটা সাবলীলভাবে সুড়সুড় করে বেরিয়ে এসেছেন আপনি, তাই না? তাদের লেখাটা এই রেস্পেক্টে কতোই না সফল! হুমায়ুন আজাদ রবীন্দ্রনাথের এর চেয়েও অনেক অনেক বেশী ইনফ্লামেটোরি সমালোচনা করেছে; হুমায়ুন আজাদের রবীন্দ্র বিষয়ক একটা রিফিউটাল আশা করি আপনার কাছ থেকে!
আপনি প্রথম যখন এসেছিলেন মুক্তমনায়, তখন আমার স্পষ্ট মনে আছে আপনার জন্য সকলের মনেই ছিলো একটা সহানুভুতির স্থান। আমি নিজের চোখে দেখেছি অবান্তর চুলপাকনা কথাবার্তা বলে আর হাস্যকর নর্তন-কুর্দন-নাঁকীকান্না কেঁদে কিভাবে নিজের সেই উচ্চতর পজিশনটা আপনি খুঁইয়েছেন। আপনি নিজে কি কখনও ভেবেছেন এই কথা? না যদি ভেবে থাকেন then perhaps it is the time…
@আল্লাচালাইনা,
:clap
এমন কড়া,ইস্পাত কঠিন ডলা দেওয়ার পরেও কি এবার একটু হুশ হবে !!!
@আল্লাচালাইনা,
😀 :guru:
@আল্লাচালাইনা,
তিন চার বার পড়লাম আপনার কমেন্টটা 😛
:kiss:
@আল্লাচালাইনা,
লেখাটার শিরোনাম দেখে আমারও কেন যেন বারবার মনে হয়েছিল, কুলদা রাযের জন্যে এটা একটা বড়শীর টোপ। তিনি আসবেন, টোপ গিলবেন আর তার স্বভাবসুলভ বিষদাঁত থেকে আকাশের পানে ছুঁড়ে দিবেন কিছু পদার্থ যা মধ্যাকর্ষণ শক্তির বলে তারই উপরে হবে নিক্ষেপিত।
অভিজিত রায় আর ফরিদ আহমেদ লিখেছেন বলেই সব কিছু মেনে নিতে পারিনা, যদি নিজেকে যুক্তিবাদী, মুক্তমনা দাবী করি। অনেকেরই অনেক কথা পছন্দ হয়নি, অনেকেই বহু ধারণার সাথে একমত হোন নি, তারা তাদের মতের পক্ষে যুক্তি, তথ্য প্রমাণ হাজির করে আলোচনা করেছেন, আমরা অনেক কিছু জেনেছি শিখেছি। এটাই স্বাভাবিক, এটাই কাম্য। কুলদা রায় যদি অনুমান করতে পারেন না, এতো ব্যঙ্গাত্বক মন্তব্য, কটাক্ষ করে তীর্ষক কথা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, অন্যান্য ব্লগে কুৎসা রটনা করার পরেও কেন তাকে এখানে বিনা বাঁধায়, ইচ্ছেমত স্বাধীন ভাবে লেখা ও মন্তব্যের সুযোগ দেয়া হয়, যদি তিনি এই সুযোগ দেয়াটাকে শ্রদ্ধার চোখে না দেখতে পারেন, তাহলে পাঠকেরাই একদিন তাকে সত্যের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিবে।
এ মন্তব্যের প্রক্ষিতে আপনার মন্তব্যঃ
আপনি নিজেই আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন,
মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আপনার মন্তব্যঃ
লেখাটা পাঠ করে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মুক্তমনা এবং আপনাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম মন থেকেই।
অন্য ব্লগে যাওয়া হয় না, নাম-টামও জানা নেই। মুক্তমনার দু’এক জন লেখক বা মন্তব্যকারীর দে’য়া সূত্র ধরে চোখ বুলিয়েছিলাম, ওখানে মন্তব্যকারীদের ‘উত্তরাধুনিক’ ভাষা শৈলী (সাধারণ প্রবণতা) দেখে ফেলে আসা বস্তিবাসীদের খিস্তিখেউর সব ক্ষমা করে এবং মনে মনে ক্ষমা চেয়ে আর চোখ রাখিনি।
‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’ আর বাঙালী বৌদ্ধিক জগতে এসেও ‘পরচর্চ্চার’ চির চেনা অভ্যাসটা ত্যাগ করতে পারেন না।
আমার কেন জানি মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে আপনাকে আপনার বিবিধ মন্তব্যের কারণে বলতেন, “তুমি লিখেছ ভাল, তবুও আর লেখোনা”।
@স্বপন মাঝি,
(Y)
:clap
আসলে মহাজ্ঞানী এরিষ্টটল যেমন ছিলেন ইউরোপে বৌদ্ধিক জ্ঞানের জগতে এক বিষফোঁড়া যার অনলে পড়ে ইউরোপকে ১৬ শতক পর্যন্ত পুঁড়তে হয়েছিল তেমনি বাঙালী বৌদ্ধিক জ্ঞানের জগতে এমনই আরেকজন হলো রবীন্দ্রনাথ।এদের উত্তরসূরীদের ক্ষমতার নাচনে আর স্তবকায়তায় আমাদের সাধারন মানুষের জীবন আর যেন নিজের জীবন রলো না,হয়ে গেছে ওদের চিন্তা ও ক্ষমতার দাসত্বে বলিদান।সেখান থেকে যেন আমাদের মুক্তি নাই অথবা যারা মুক্তি চায় সে-ই মুক্তিকামী মানুষের গলা টিপে কেন জানি ওরা হত্যা করতে চায়,এই আর কি ।
:-X
বেশ মজাই লাগল। এক টোকাতেই বোঝা গেল–
যুক্তিবাদের মুখোশটা খসে পড়েছে। হা হা হা।
ভক্তিবাদ এসে পড়েছে। হো হো হো।
প্রতিষ্ঠানবাদ ঠসে পড়েছে।
ব্যক্তিবাদ ভেসে উঠেছে।
@ অভিজিৎ,
বন্ধু মহলে ফ্রেন্ড চিনতে ভুল করার লিষ্টে আমিই একমাত্র ব্যক্তি ছিলাম, এখন দেখছি আরেকজন আছেন। তবে আমি কুলদা রায়কে শুধু মিথ্যেবাদী, প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং রটনাকারী হিসেবেই দেখিনি, তাকে দেখেছি একজন আগাগোড়া চরম আত্ম্বম্ভরী, অহংকারী, এ্যারোগান্ট হিসেবে। সেই যে একদিন সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে ফরিদ ভাইয়ের নামে কুৎসা রটনা করে তার প্রথম লেখার ভুমিকা দিয়েছিলেন, সেদিনই আমি তাকে চিনতে পেরেছিলাম। আমার ধারণা তিনি মুক্তমনাকে ঘৃণা করেন এখানে নাস্তিক্যবাদী লেখা প্রকাশ করার কারণে। অন্যতায় ভিন্ন ব্লগে গিয়ে কারো নামে কুৎসা রটনা আর ব্যক্তিগত আক্রমণ করার কোন যৌক্তিক কারণ দেখিনা।
@আকাশ মালিক,
আপনার ধারণাটা ভুল হবার সম্ভাবনা কম দেখি। আপনার মনে আছে নিশ্চয় মহাভারতের কাহিনি নিয়ে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম সৌভাগ্যরহিত এক সূর্যপুত্রের সকরুণ সমাপ্তিগাথা নামে। সেখানে কুলদা রায় নাস্তিকদের সম্পর্কে এই কথাগুলো বলেছিলেনঃ
কোরানের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার মত মহাভারতের মহা-বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি এখানে। তাই নিয়ে সেকি হাসাহাসি সবার। বেশ কয়েকজন আবার আচ্ছামত ধরে পিটুনিও দিয়েছিল। সেই পিটুনি খেয়ে তাড়স্বরে নৃপেন সরকার, বিপ্লব রহমান আর অভিকে (হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি) ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছিল। আল্লাচালাইনার কমেন্টের একটা অংশ তুলে দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না।
হ্যাঁ, ওখানে দুজন আশা করছে অভিজিৎ গিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করবে। খুবই হাস্যকর।
ঠিকই বলেছেন। ‘Speech is silver; silence is golden’.
****যা ভুল, তা সব সময়ই ভুল। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ যখন ভুল করেন, ক্ষীন আশা থাকে তা উনি নিজেই ধরতে পারবেন, কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু জিনিস আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। অনেকেই যদি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তার ভুল, তখন আশা থাকে ওই ব্যক্তি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইবেন, বা ভুলটিকে শোধরাবেন। এটা ক্ষীন আশা নয়, এটা স্বাভাবিক, এটাই ভদ্রতার লক্ষন। কারন নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে কেউ কারো কাছে ছোট হয়ে যায়না। দেখা যাক, জনৈক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কোন পথে পা বাড়ান।****
@ছিন্ন পাতা,
বাংলা প্রবাদবাক্যগুলিতো আর এমনি এমনি হয় নি—–
” যার হয় না ৯ বছরে, হাজার চেষ্ঠা করলেও সে শোধরায় না ৯০ বছরে ” —–
এই ভদ্রলোকটি তো এক বছর আগে মুক্তমনা থেকে ওয়াদা করে চলে গিয়েছিল,আর এখানে পা বাড়াবেন না,অথচ বার বার এখানে এসে এখানকার আলো-বাতাস এমন দূষিত ও কদাচার করেছে এবং করে যে যারপরনাই এখানে সুস্থ্যভাবে বাঁচার জন্য যে অক্সিজেন দরকার সে-টা আর একবিন্দুও নাই বা থাকে না।ওইদিকে মনে হয় অন্যপাড়ায়ও ওনার ভাতের হাঁড়ি ভেংগে গেছে,ওখানে ভাত পায় না বলে এখানে এসে ভিক্ষা মাংগে আর কি !!
আর যখনই কেউ ওনাকে চোখে আঙল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তখনই ওনি ব্যাইং মাছের মত শুধু মাটি খুঁড়ে গর্তে পালান, এবং সমস্যার প্রকৃত সমাধান না করে শুধু সমস্যা জিইয়ে রাখতে মজা পান।
:-X
@ মইনুল রাজু,
অত্যন্ত লজ্জার সাথেই জানাচ্ছি যে, সত্যিই ওই লিংকটি আমার চোখ এড়িয়ে গেছে! খুবই দুঃখিত। 🙁
আপনাকে ধন্যবাদ দেখিয়ে দেবার জন্য। এখন উপরের সব মন্তব্য মোটামুটি পরিস্কার হলো।
হ্যাঁ, আমি একমত। ওনার দেয়া লিঙ্কের লিখা এবং ওখানকার সকল মন্তব্য এখন এই লিখাটির একটি অংশ।
কিছুই বুঝলাম না ওখানে কুলদা রায় শুধু শুধু অপ্রাসংগিক ভাবে অভিজিৎ দা তাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড হতে ব্লক করেছেন এই তথ্য দিয়ে কি প্রমান করতে চেয়েছেন? ফেসবুক মুক্তমনা নয়, পাবলিক ফোরাম নয়, ওটা একান্তই ব্যক্তিগত জায়গা (বা যে চায়, সে ব্যাক্তিগত করে রাখতে পারে) ওখানে কে কাকে কার লিস্টে রাখবে, সেটা একজন মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার!
আগের মন্তব্যে লিখেছিলাম সব কিছু যেন maturely মীমাংসা হয়।
“ক” আর “খ” এর মাঝে খেলতে খেলতে ঝগড়া বেঁধে গেল। “ক” তার বক্তব্য রাখল, “খ” রাখল তারটা। তারপর “খ” সিদ্ধান্ত নিল অন্য জায়গায় অন্য মানুষদের কাছে গিয়ে “ক” কে ইচ্ছেমতন প্যাঁদানি দেবে, সবাইকে জানিয়ে দেবে “ক” এটা করেছে, ওটা করেছে… ফেসবুক হতে ব্লক করেছে…
গভীর জলের মাছ নই, জানিনে কি ঘটছে, তবে আবারো বলব, একজন সদস্য হিসেবে আমি কখোনই চাইবোনা এই প্রতিষ্ঠান অথবা প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্যের ইমেজ নষ্ট হোক। কারো লিখার ভক্ত আমি নাও হতে পারি, কোন লিখা সমাজ অথবা জাতির জন্য বিপদজনক মনে হলে তার প্রেক্ষিতে আমি লিখেই প্রতিবাদ করব। কিন্তু তাই বলে অন্য জায়গায় গিয়ে একজনকে পঁচানো?
এসব দেখার পর বুঝলাম ক্লাশ ফাইভের বাচ্চাদের কাছ হতে বোধ হয় এর চাইতে বেশি maturity আশা করা যায়।
@ছিন্ন পাতা,
একজাক্টটি। তার চেয়েও বড় কথা হল কুলদাকে আমি ব্লক করিনি। যাস্ট ফ্রেন্টলিস্ট থেকে উনার নাম উঠিয়ে দিয়েছি। যাকে বলে ‘আনফ্রেণ্ড’ করা। ব্লক করা আর আনফ্রেন্ড করার মধ্যে যে পার্থক্য আছে তা কুলদা না বুঝলেও ফেসবুক যারা ব্যবহার করে তারা বোঝে। আমার ফেসবুক লিস্ট তো আমার ফ্রেন্ড লিস্ট। সেখানে আমি কাকে রাখব না রাখব সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেন আমাকে ব্লগে এসে তার জবাবদিহি করতে হবে? বস্তুতঃ উনাকে আমি ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে অব্যহতি দিয়েছি উনার শিরঃপীড়া থেকে মুক্তি দিতে। উনি আমাকে জামাতি, ছাগু, ফরহাদ মজহার এগুলো বলে তিন সপ্তাহে অন্ততঃ ছয় বার স্ট্যাটাস দিয়েছেন, অন্য ব্লগে গিয়ে নাকি কান্না কেঁদে আমার ‘নাফরমানির’ বিচার চেয়েছেন, যে ব্লগে আমি লিখিও না। আমি কিন্তু উনাকে নিয়ে কোন স্ট্যাটাসও দেইনি, কোন লেখাও লিখিনি। যে লোকের আমার লেখা আর স্ট্যাটাস দেখলে এত শিরঃপীড়া হয়, তাকে কি আমার পীড়া থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করা উচিৎ নয়? আর উনাকে আমি আনফ্রেন্ড করেছি অন্ততঃ সপ্তাহ দুই/তিন আগে, অথচ উনি সচলায়তনে গিয়ে বলে বেড়াচ্ছেন আমি নাকি উনার সচলায়তনে লেখা দেখে ব্লক করে দিয়েছি! মিথ্যা বলারও তো একটা সীমা থাকে। উনার তাও নাই।
অবশ্য উনার এই সমস্ত মিথ্যে কথার সাথে আমি খুবই পরিচিত। এগুলো নতুন কিছু নয়। এর আগে গাল ফুলিয়ে মুক্তমনা থেকে ভেগে অভিযোগ করেছিলেন উনার লেখা, মন্তব্য এগুলোতে নাকি বাধা দেয়া হয়েছে, উনি নাকি মন্তব্য করতে পারছেন না। উনাকে নাকি অভিমন্যু বানানো হয়েছে, কত কি! অথচ, উনাকে কোন প্রকার মডারেশন ছারাই যে লেখা প্রকাশ এবং মন্তব্য করতে দেয়া হয় – তা এই লেখা কিংবা তার প্রকাশিত মন্তব্যই তো প্রমাণ। একজন আগাগোড়া মিথ্যেবাদী, প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং রটনাকারীর সাথে আলোচনায় যাওয়া আমার জন্য বাতুলতামাত্র। এমন একজন ব্যক্তি আমার ফ্রেন্ডলিস্টের জন্য জিকির তুলেছেন দেখে হাসিই পাচ্ছে – উনি আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আসছিলেন ক্যামনে সেটাতেই আমি বরং অবাক এখন।
@অভিজিৎ,
আমার মনে হয় সচলায়তনের সংশ্লিষ্ট পোস্টে আপনার একটি প্রসাঙ্গিক ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। এতে পাঠক বিভ্রান্তি কিছুটা হলেও কমবে। প্রয়োজনে সেখানে মন্তব্যের ঘরে এই পোস্টটির লিংকও জুড়ে দিন, তাহলে এই পোস্টটির মন্তব্য/পাঠক মতামতও বিভ্রান্তি দূর করতে সহায়তা করবে।
অবশ্য এরই মধ্যে যদি আপনি তা করে থাকেন, তাহলে তা ভিন্ন কথা। আমি নিজেও অনেকদিন সচলায়তনে যাই না। সেখানের পুরনো অ্যাকাউন্টটি সচল আছে কী না, তা-ও জানা নেই। তবু দেখি একবার চেষ্টা করে।….
অনেক ধন্যবাদ। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
আমি যেখানে লিখি না, সেখানে গিয়ে গিয়ে কুলদা আমার নামে গীবৎ করেন, যাতে আমি নিজেকে ডিফেণ্ড করতে না পারি। ভাল স্ট্র্যাটিজি বটে। উনি এখন লেখক থেকে পরিণত হয়েছেন রটনাকারীতে। যা হোক, আমার এত জায়গায় গিয়ে নিজেকে ডিফেণ্ড করার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। যারা আমাকে চেনেন, বা আমার লেখালিখি আর কর্মকাণ্ডের সাথে পরিচিত তারা সবাই জানেন আমি জামাতী কিনা! কুলদার মুখের কথাতেই সব পালটে যাবে না, তা তিনি যতই কুপ্রচারণা চালিয়ে যাক না কেন। আপনারা যারা সচলায়তন এবং অন্যান্য জায়গায় এরকম বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেখতে পান, সানন্দে প্রতিবাদ করতে পারেন। অগ্রিম ধন্যবাদ রইলো।
@ফরিদ আহমেদ,
ব্যাপারটা যদি এতই প্রকট হয়ে থাকে তো কিছু একটা করা দরকার বলে আমি মনে করি। আমাদের সুচিন্তিত মতামত চেয়েছেন। দেখুন কুলদা রায়ের সাথে মুক্ত মনায় কারো সাথে বাক বিতন্ডা জানা সম্ভব, কিন্তু আমরা অনেকেই মুক্ত মনা নিয়ে এতই ব্যস্ত (!) অথবা সন্তুষ্ট যে অন্যান্য ব্লগে খুব একটা যাওয়া হয়না। ফলে ওখানে কি ঘটছে আমাদের অনেকের অজানা। আর ফেসবুক একান্তই ব্যক্তিগত বলে মনে করি। এখন ধাম করে বলে বসতে পারিনা যে আপনাদের/আমাদের ধৈর্যচুতি ঘটলেও সমস্যা নেই, কিন্তু ঘটনা অর্ধেক জেনে, বা একতরফা জেনে কোন মতামত দেয়াটা অমুক্তমনিয় কাজ হয়ে যায়।
মুক্তমনার কোন সদস্যদের নিয়ে ব্যক্তিগত কোন মন্তব্য, অথবা তাদের লিখা নিয়ে ব্যক্তিগত মন্তব্য আমি মুক্তমনায় বলতে পারি (সেন্সর করে) আর সেন্সর ছাড়াটা ব্যক্তিগত ভাবে অন্যের সাথে আলোচনা করতে পারি, যে আলোচনার অথবা গালি গালাজের ফলে কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি কোনভাবেই হবেনা। কিন্তু নির্দিষ্ট কেও যখন এই কাজ উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে করে যায়, তখন তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় অবশ্যই। একজন সদস্য হিসেবে আমি কখোনই চাইবোনা এই প্রতিষ্ঠান অথবা প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্যের ইমেজ নষ্ট হোক। পুরোপুরি ত্রুটিহীন যেমন মানুষ নয়, তেমনি মানুষ সৃষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানও নয়। কিন্তু মুক্তমনা সকল প্রকার আলোচনা, সমালোচনা, মন্তব্য (ঋণাত্তক) সব কিছুই প্রকাশ করার সমান সুযোগ সবাইকে সমান ভাবেই দিয়ে থাকেন বলেই আমাদের অনেকেরই পছন্দের ব্লগ এই জায়গা।
“তুমি আমাকে গালি গালাজ করে বেড়াও কিন্তু দেখো আমি কত মহান, এত কিছুর পরও আমার ঘরে তোমার অবাধ আসা যাওয়া ঠেকাইনি ঠিকই, তবে খবরদার একটা টু শব্দও করতে পারবেনা, কিছু বললেই কিন্তু আক্রমন।” ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম হয়ে যাচ্ছে। আপনি সকলের মতামত জানতে চেয়ে আমার মতে বড়ত্ব দেখিয়েছেন। তবে, কুলদা রায়ের লিখার প্রেক্ষিতে মন্তব্যে এসব না করে, লিখা সংক্রান্ত কোন আলোচনা এখানে করে, তিনি/ব্যক্তি সংক্রান্ত আলোচনা, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার আচরন নিয়ে সমান আর বিশদ ভাবে দু পক্ষের আলাপ অন্য কোথাও হলে ভাল হয়।
আমরা অনেকেই ভাসা ভাসা তথ্য পাচ্ছি। পুরো ব্যাপারটির mature মীমাংসাই কাম্য।
****ছোট মুখে বড় কথা, গোস্তাখি মাফ।****
@ছিন্ন পাতা,
টু শব্দ করতে পারেন বলেই দাবী করা সম্ভব হয় অবাধ আসা যাওয়া ঠেকানো হয়নি। টু শব্দও করতে না দিলে, সে আসা যাওয়াটা অবাধ দাবী করা যায় কি?
উনার লেখা সংক্রান্ত আলোচনাইতো হচ্ছে। আপনি খেয়াল করেছেন কি-না জানিনা, এই লেখার নীচে উনি একটি লিঙ্ক দিয়েছেন। যেহেতু লিঙ্কটা এ-লেখার অংশ, লিঙ্কের পুরো লেখা এবং সেখানে করা মন্তব্যগুলি এ লেখার-ই অংশ। সেটার পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচনা হচ্ছে। এখন আপনি যদি বলেন, উনার দেয়া লিঙ্ক-এ গিয়ে লেখাটা পড়া যাবে এবং মন্তব্য পড়া যাবে না। কিংবা মন্তব্য পড়া গেলেও সেটা নিয়ে আলাদা পোস্ট দিতে হবে তাহলে আমার আর কিছুই বলার নেই।
প্রথমে বলে নিই প্রবন্ধটি খুব ভাল হয়েছে। অনেক কিছু জানা গেল। লেখায় বরাবরি আপনার হাত শক্ত সেটা ব্লগ জগতে বহু আগেই প্রমাণিত। এই রকম চমৎকার প্রবন্ধের জন্য (F)
কিন্তু আপনার কৃত কর্মই লেখক হিসাবে আনার ইমেজ বহুলাংশে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। আমরা ব্লগে যারা লেখা লেখির সামান্য চেষ্টা করি, মন্তব্য করি তা নিতান্তই করি শখের বশে, নিজে জানার উদ্দেশ্যে অন্যকে জানানোর মানসে। ব্লগে লেখা লেখি করা কারো পেশা হতে পারে না এটা শখের নেশা। এতে পক্ষের যেমন মত থাকবে বিপক্ষের থাকবে তেমনি অভিমত। উভয় পক্ষই যুক্তির সাহায্যে আপন আপন মত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাবে আর মাঝখানে পাঠক তার আপন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সেটাই স্বাভাবিক।
অভিজিৎ দা আর ফরিদ ভাইয়ের রবীন্দ্র সমালোচনা যেমন উপভোগ করেছি তেমনি উপভোগ করেছি আপনি সহ বিপ্লব পালের অভিযোগ খন্ডনের প্রচেষ্টা। ব্লগ জগতে বিশ্বাস নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে থাকতে পারে মতের অমিল। তাই বলে নিজের পান্ডিত্য জাহির করতে গিয়ে ব্যক্তি আক্রোশের ঝাল মেটানোর সুযোগ নেয়া কু-রুচিশীলতার পরিচায়ক বলে মনে করে থাকেন বিজ্ঞ পাঠক মহল। অথচ ব্লগে ব্লগে আপনি ঝাল মিটিয়ে গেলেন অবলীলায় যা লজ্জা জনক আরেক অধ্যায় রচিত হয়েছে মনে করি ব্লগ জগতে।
স্বীকার করতে আপত্তি নেই সন্মান বাড়ানো বা কমানোর পূর্ণ অধিকার অবশ্য আপনার আছে।
@রাজেশ তালুকদার,
এ ক ম ত। আমার কথাগুলোই আপনি অনেক সুন্দর করে বলেছেন। লেখককে বিনীত প্রশ্ন, এর শেষ কোথায় ভ্রাতা?
জগন্ময় মিত্রের (সঠিক?) ‘চিঠি’ আর মানবেন্দ্রের ‘আমি এত যে তোমায় বালবেসেছি’ এই গান দুটি মুখস্ত ছিল। এখনও মনে আছে।
আর মুখস্ত ছিল রবীন্দ্র নাথের ‘শ্যামা’ ও ‘চিত্রাঙ্গদা’।
আর শ্যামল মিত্রের গাওয়া ‘চোখের নজর কম হলে’ এখনও কানের কাছে গুন গুন করে।
কুলদা রায়ের লেখা পড়ে অতীতের অঙ্ক স্মৃতিই মনে পড়ে গেল–বিশেষ করে পুরানো দিনের গান গুলি।
আরেকটা ‘ত্যানা’ পোস্ট পড়লাম ! (N)
১. এই লেখাটিতে কি কোনো ব্যক্তিগত দুর্গন্ধ টানার কোনো চেষ্টা নেই। কারো নামও নেওয়া হয়নি। একটি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। লেখার বিষয় সম্পর্কে কারো কোনো মতামত থাকলে সেটা প্রকাশ করুণ নিঃসংকোচে।
২. এই লেখাটি এইখানে দেওয়া হল–সেটা কৈফিয়ত হল : মুক্তমনায় রবীন্দ্রনাথের গান, লেখা, জমিদারিত্ব ইত্যাদি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছিল। সে বিতর্কে অধম লেখকও মন্তব্যে অংশ নিয়েছিল। উক্ত বিতর্কে অনেক তথ্য লেখকদ্বয় পরিবেশন করেছিলেন, যা অসত্য এবং অযৌক্তিক। সেই তথ্যগুলোকে খণ্ডণ করে দেওয়া প্রতিতথ্য মন্তব্য আকারে থাকায় অনেকেরই নজর এড়িয়ে যেতে পারে। নোটটি পড়ে অনেকেই অসত্য ও অযৌক্তিক তথ্যে বিভ্রান্ত হতে পারেন। সেকারণে অধম লেখক মনে করেন–সেসব বিষয়ে এই মুক্তমনাতেই আলাদা পোস্ট থাকা দরকার। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই পোস্ট দেওয়া শুরু হল। আশা করা যায় লেখকদ্বয়ের নোটে উল্লেখিত প্রতিটি অভিযোগকেই অধম লেখকের অনুসন্ধান হিসাবে এখানে প্রকাশিত হবে। বাকস্বাধীনতাকে হরণ করা হলে অবশ্য সেটা করা সম্ভব হবে না। অন্যত্র প্রকাশ করা হবে। আশা করতে পারি–যুক্তিবাদিরা অধমের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রগুলিতে আযৌক্তিক অসত্য কোনো তথ্য পেলে ভিন্নমত প্রকাশ করবেন। তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।
৩. যুক্তিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কুযুক্তিকে তো নয়ই।
৪. ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য দুস্তর। যুক্তি ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্ব তুলে ধরে। আশা করছি–বিষয়টা মনে রেখে আশা চলতে পারে। আলোচনা না চললে–চলবে না। এতেই কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি নেই।
৫. আসেন বিষয়ে কথা বলি।
@কুলদা রায়, এই লেখাটিতে কি কোনো ব্যক্তিগত দুর্গন্ধ টানার কোনো চেষ্টা নেই।…এই লাইনটি থেকে কি শব্দটি ডিলিট হবে। ভুলবশত এসেছে। ধন্যবাদ।
@কুলদা রায়,
লেখকদ্বয় বলছেন যৌক্তিক আর আপনি বলছেন অযৌক্তিক। অতএব, আসলে যৌক্তিক কি অযৌক্তিক সে বিচারের ভার পাঠকের।
কিন্তু এরপর আপনি যে লেখকদ্বয় নিয়ে পাড়াপ্রতিবেশির কাছে গিয়ে নোংরা ভাষায় নালিশ করতে শুরু করলেন, সে নিয়ে কথা বলা এখন বিষয় বহির্ভূত হয়ে গেলো? আর আপনি যখন যত্রতত্র নোংরা শব্দ-বাক্যগুলি ব্যবহার করেন, সেটা খুব বিষয় সংশ্লিষ্ট হয়ে যায়?
আপনার খুশি হবার কারণ নেই। আপনি বসে আছেন আপনার স্বাধীনতা হরণ করা হবে আর তারপর আপনি অন্য সমস্ত ব্লগে ব্লগে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি, হই-হুল্লোড় করে লঙ্কা কাণ্ড বাঁধাবেন। সে আশা না করলেও চলবে। দু’একটা দুষ্টুক্ষত নিয়ে চলতে মুক্তমনার কোনো সমস্যাই হবে না।
আপনার লেখা এবং আপনার রটানো কুৎসার মধ্যেও পার্থক্য দুস্তর। আপনার সমস্যাগুলি সহজে কাটিয়ে উঠা সম্ভব। আশা করি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করবেন।
@মইনুল রাজু, এই লেখাটির বিষয়ে কি আপনার কোনো মন্তব্য আছে? থাকলে সেটা উল্লেখ করুন।
ব্যাখ্যাসহ বলতে পারেন–কেন লেখাটি অযৌক্তিক মনে হচ্ছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
মঈনুল রাজু কিছু ভাল পয়েন্ট পাঠকদের কাছ তুলে ধরেছেন। কুলদা রায় সচলায়তনে আমাকে আর ফরিদ আহমেদকে গালিগালাজ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সাদ কামালী, ব্রাত্য রাইসু, ফরহাদ মাজহার কোনটাই বাদ যায়নি। উনি দিব্যি মুক্তমনায় এসে সেই লিঙ্কটি নীচে দিয়ে উপর দিয়ে চিনির মিহি আবরণ দিয়ে গান নিয়ে একটি পোস্ট দিলেন, যাতে কেউ প্রশ্ন করলে বলতে পারেন – কই এখানে তো কোন ব্যক্তি আক্রমণ নেই। ভালই তামসা।
আমাকে উনি ‘জামাতি’ প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আমার জামাতি হবার কারণ? কারণ হচ্ছে – বিডি আর্টস আমাদের রবীন্দ্রনাথের লেখাটা তাদের অনলাইন পত্রিকায় ছাপিয়েছে। এই যদি হয় কুলদীয় যুক্তির নমুনা তাহলে আমি নাচার। বিডিআর্টস তো অদিতি ফাল্গুনি, কাবেরী গায়েন, আলম খোরশেদ, সবার লেখাই প্রতিনিয়ত ছাপায় দেখি (এদের অনেকে কুলদার ফেসবুকের লিস্টেও আছেন)। তো অভিজিতের লেখা ছাপানোতে কী দোষ হইল? কাবেরী গায়েন, অদিতিদের প্রতি অন্ধ সেজে বিডি আর্টসে লেখা ছাপানোর জন্য অভিজিৎ হয়ে যায় জামাতি। আর ভজন সরকারও দেখি চামে চামে ঢোলে তাল দেয়, কুলদার কদম্বতলায় বংশীবাদকের এই বাঁশি শুনে –
কৃষ্ণের বেলাতেই খালি লীলা খেলা বরাদ্দ থাকবে, তাই না কুলদা রায়? ফরহাদ মজহাররে নিয়ে যে আমিই ভোরের কাগজে লিখেছিলাম, সেটার লিঙ্কও তো আমি দিছিলাম গতবারের বিতর্কে। তাতে অবশ্য কুলদার মতি ফেরে নাই। অবশ্য মতি ফেরানোর চেয়ে উনি আমারে জামাতি বানানোর গোয়েবলসীয় প্রচেষ্টায় নামছেন। কুলদার মুখের কথাতেই যদি অভিজিৎ জামাতি হয়ে যেত, তাহলে চাঁদু – দেখবার অনেক আছে বাকি!
মাকসুদকে মঞ্জিলে মকসুদ বানালে আমার অবশ্য কিছু যায় আসে না। তবে কাঁচের ঘরে থেকে ঢিল না ছোঁড়াই উত্তম হবে। ‘মঞ্জিলে মকসুদের’ মতোই এখন থেকে কুলদা রায় যদি নিজেকে শ্রী ‘বলদা রায়’ হিসেবে নামাঙ্কিত দেখেন, সেটা কি খুব একটা সুখপ্রদ কিছু হবে?
@অভিজিৎ, প্রথম কথা হল–সচলায়তনের ঐ পোস্টে কোথায় আপনাদের নাম গালি-গালাজ করে লেখা হয়েছে? প্রমাণ করেন।
মঞ্জিলে মকসুদ শব্দটির অর্থ না জেনেই আপনি এই শব্দটির অর্থ নিয়ে অভিযোগ করছেন। এর আগে আসমানদারী শব্দ নিয়েও তাই করেছিলেন। জানার কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে হে ব্রাদার। জানার কোনো শেষ নাই। আপনার মনোযোগের কিছু ঘাটতি আছে বলে মনে হচ্ছে।
আপনাদের রবীন্দ্রকে চোর আর রাহাজানকারী হিসেবে অভিহিত করা পোস্টের বক্তব্য বিষয়ে অধমের পর্যবেক্ষণ কি ভুল প্রমাণ করতে পেরেছেন? পারেননি। বরং আপনাদের নোট লেখার গুপ্ত উদ্দেশ্যটা প্রকাশিত হয়ে গেছে। ঐ লেখায় আপনাদের অভিযোগগুলো যে অসত্য ছিল, ভ্রান্ত, সেটাতো সত্যি। সেটাতো প্রমাণ করা গেছে। আপনাদের উচিৎ ছিল সেটা স্বীকার করে নেওয়া। এবং তা প্রত্যাহার করা। সেটা করেননি। না করে অন্যত্র প্রকাশ করে রবীন্দ্র বিদ্বেষ জামাতি প্রকল্পে সহযোগিতা করেছেন। আপনাদের যুক্তি যে কতটা ভুঁয়া আর ঠুনকো, সেটা তো এই নোটে আরও প্রমাণিত হয়েছে।
@কুলদা রায়,
এখন কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করিতে হইবে যে সে মরে নাই। কত হাজার বার যে কাদম্বিনী মরিল তার কোন ইয়ত্ত্বা নাই, কিন্তু আপনার তো হুঁশ ফিরিলো না। শোনেন, পর্নোগ্রাফি যেমন সেন্স করা যায়, সংজ্ঞা দিয়ে প্রমাণ করতে হয় না, তেমনি আপনার লেখার চুপা গালাগালিগুলাও সেন্স করা যায়। আমি জানি না ‘গালাগালি’র অর্থ আপনার কাছে কিরকম, কিন্তু – ‘দুই ভণ্ড’, ‘যুক্তিবাদিতার আড়ালে ভণ্ডবাদিতা’, ‘দুজনের গানের দৌড় মঞ্জিলে মকসুদ পর্যন্ত’, ‘অভিজিতের প্রপিতামহের কাছ থেকে…’, ‘জামাতি যুক্তিবাদি’, ‘ফরহাদ মজহারের সাথে সম্পর্ক’, ‘মগবাজারদের আদর্শের সঙ্গে বেশ চলে … ‘, ‘জামাতি এজেন্ট’, ‘জামাতের টাকা লিখেছে’ – একথাগুলা কথা তো আপনার পুত-পবিত্র হাত দিয়েই বেরিয়েছে। আপনার লেখালিখি, ফেসবুক স্ট্যাটাস, সঙ্গিদের সাথে মতবিনিময় – বহু জায়গাতেই এর সাক্ষ্য রয়ে গেছে। আমি আর কী প্রমাণ করব?
মঞ্জিলে মকসুদের অর্থ নিয়ে তো প্রশ্ন হচ্ছিল না। আপনি একজনের নাম বিকৃত করে লিখছেন। এখন আবার সেটা ঢাকার জন্য শাহী মসলিন কাপড়ের ত্যানা প্যাচাচ্ছেন। সেই ত্যানা পেঁচিয়ে কি আর পোড়া মুখ ঢাকা যায়, ভ্রাতঃ? আমি যদি আপনাকে এখন থেকে আপনাকে ‘বলদা রায়’ বলে নামাঙ্কিত করি, আর কইফিয়ত দিতে থাকি এই বলে – আমি আসলে এর মাধ্যমে ষণ্ড, বৃষ, এঁড়ে, দামড়া কিছুই মিন করিনি, আপনাকে সাহিত্যের ভাষায় ‘শিবের বাহন’ / গোনাথ হিসেবে সম্মানিত করেছি, … আপনার জানার আছে বাকী …কেমন হবে?
আমার জানার কিছু ঘাটতি থাকতেই পারে, কিন্তু আপনার মত নিজেকে সর্বজ্ঞ বলে জাহির করে বেড়ানো ধূর্ত নই বলাই বাহুল্য।
বেশ তো, গুপ্ত উদ্দেশ্যটা প্রকাশিত হয়ে গেলে ঝামেলা তো মিটেই গেল। তবে আল্লাচাইনা নীচে একটা ভাল কথা বলেছে উদ্দেশ্য সম্বন্ধে, সেটা আমলে নিতে পারেন। রবীন্দ্রনাথের সমালচনা করে অভিজিত রায় ফরিদ আহমেদ লিখেছে একটা লেখা, আমার কাছে কেনো যেনো মনে হয় সেই লেখাটার আসল উদ্দেশ্য ছিলো রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করা নয়, বরং আপনাদের মতো রবীন্দ্রবিলাসী দুই একটা ইউসলেস ‘ইস্ট্রোজেন-প্রজেস্টিন আর এস্ট্রাডায়োলের পুটুলী’কে জনপ্রকাশ্যে বের করে আনা! এবং লো এন্ড বিহোল্ড- কতোটা সাবলীলভাবে সুড়সুড় করে বেরিয়ে এসেছেন আপনি, তাই না? তাদের লেখাটা এই রেস্পেক্টে কতোই না সফল!
@অভিজিৎ,
সচলায়তন ডটকম-এর সুস্থ্যতা নিয়েই এখন সন্দেহ হচ্ছে। ওই কুৎসা মূলক পোস্ট সেখানে প্রকাশ হয় কী ভাবে? আজব!
আর কুলদা রায় তার বক্তব্যসমূহ তো মুক্তমনায় এসেই বলতে পারতেন। এই অহেতুক গিবতের মানে কী? ডাবল আজব!!
@বিপ্লব রহমান, কুলদা রায় তার আপত্তিটা মুক্তমনায় এসেই বলেছে।
@কুলদা রায়,
ঠিক, একারণেই এটি মুক্ত-মনা। আবার কুলদা রায় তার গিবত সচলায়তনসহ অন্যত্রও বলছে, বলেই চলছে। এই পোস্টের লিংকে আপনি সচলের যে পোস্টের লিংক দিয়েছেন, সেখানে দেখলাম, একজন এ রকম একটি মন্তব্য করেছেন: এখন যদি অগ্রগণ্য অভিজিৎ বলা শুরু করেন, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ (!!) তাহলে মোটেই তিনি অবাক হবেন না।
ধন্য আপনার সরলীকরণের গরলভেল! (W)
@অভিজিৎ,
কাবেরীর বিষয়টা খুব ইন্টারেস্টিং। আমরা যদি মাত্র একটা লেখা ছাপতে দিয়েই কুলদার ভাষ্য অনুযায়ী ব্রাত্য রাইসুর কোলে গিয়ে উঠে থাকি, তবে কাবেরী ক্ষেত্রে কী বলা যাবে? কিন্তু কুলদা রায় আজ পর্যন্ত কাবেরীকে জামাতের পেইড ব্লগার বলে গালি দিয়েছেন বলে শুনি নি। নিজের পরিবার-পরিজন হলে, সে আর জামাতি হয় না, অন্যেরা একই কাজে হয়। এই হলো কুলদা রায়ের যুক্তিবাদী বিচার-বিবেচনা।
এই লেখাটার যে আদি লেখা, যেটাকে কুলদা রায় সচলায়তনে পোস্ট দিয়েছেন, সেখানে তিনি মন্তব্যের ঘরে লিখেছেনঃ
এই শুভাশীষ দাশ অত্যন্ত শক্তিশালী একজন লেখক। আজকে কৌতুহল বশে বিডিনিউজে গিয়ে দেখলাম যে, তাঁর লেখাও সেখানে প্রকাশিত হয়েছে। আহা, শুভাশীষ দাশও দেখছি আমাদের মতই জামাতি পেইড ব্লগার। 🙂
@ কুলদা রায়, বরাবরই আপনার সুলেখার গুনমুগ্ধ পাঠক আমি। কিন্তু অহেতুক সরলীকারণের গরলেভল/ক্যাচাল আর কতো? আপনার কাছ থেকে সাবালকত্ব আশা করেছিলাম। (N)
@বিপ্লব রহমান, এই লেখাটির বিষয়ে কোনটি ‘অহেতুক সরলীকারণের গরলেভল/ক্যাচাল’ এটা অধমের কাছে ক্লিয়ার হয় নাই। ক্লিয়ার করে বলার অনুরোধ করা হল।
২. লেখার সাবালত্ব বিষয়টা এখানে কোথায় ক্ষুণ্ন হয়েছে–একটু ব্যাখ্যা করার অনুরোধ করছি, বিপ্লব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@কুলদা রায়,
আমার বক্তব্যকে আমলে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। লক্ষনীয় ওপরে আমার বক্তব্যটি দুভাগে বিভক্ত। সেদিক থেকে প্রথমত এটি একটি সুলেখা, কুলদা রায়ের আপন মহিমায় মহিমান্বিত।
দ্বিতীয়ত, সময়-সুযোগ পেলেই যত্র-তত্র অভিজিৎ-ফরিদ, তথা মুক্তমনাকে একহাত ধোলাই দেওয়ার হাস্যকর চেষ্টাটি শুধু নাবালক সুলভই নয়, এটি এখন বিকারের পর্যায়ে পৌঁছেছে– যা এরই মধ্যে অনেকে চরম বিরক্তিসহ একাধিকবার বলেওছে। কিন্তু আপনি তা বুঝতে রাজি নন। একই কারণে রাইসু এক্সপ্রেসের যোগসূত্রে অভিজিৎ-ফরিদকে “জামাতী” ট্যাগ করার অতিমাত্রার সরলীকরণটিকে নকশালী বাল্যখিলতা মাত্র।
রবীন্দ্রনাথ বা অন্য যে কোনো বিষয়ে আপনার দ্বিমত/ভিন্নমত/বিরুদ্ধমত থাকলে তা মুক্তমনার সংশ্লিষ্ট ব্লগ পোস্টে এসে যুক্তিসহ বলুন না, বরং সেটিই অনেক যুক্তিযুক্ত। এক পাতের ঝোল অন্যপাতে টানা বিরোক্তি আর ক্যাচাল তৈরি করা ছাড়া আর কী উৎপাদন করতে পারে? আর এতে ফায়দাই বা কী?
সোনার কলম আপনার; সেই কলমের এমন অপব্যবহার আমার মতো আপনার একনিষ্ঠ পাঠকদের জন্য সত্যিই খুব পীড়া দায়ক। আপনার সুমতি ও সুবিচার কামনা। অনেক শুভেচ্ছা।
@বিপ্লব রহমান, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে–এই পোস্টে কোথায় আমি অভিজিৎ এবং ফরিদকে গালিগালাজ করেছি। আপনি আমার দেওয়া লিংক থেকে ধারণা করছেন। কিন্তু অভিজিৎ যে আমাকে ফেসবুকে এবং মুক্তমনায় গালি দিয়েছেন ফরিদসহ, সে বিষয়টি আপনি এড়িয়ে গেলেন। সে বিষয়ে কিছু বললেন না কেন? ঐ লিংকেতো অভিজিতের সেই গালাগালির মন্তব্যগুলো আছে। দিন দশেক আগেও আমাকে ফেসবুকে অভিজিৎ গালি দিয়েছেন–সেটা দেখেননি? আর এখানে কি করছে, কি বলছে এই দুজন, সেটা আপনার কাছে শোভন মনে হয়েছে। ছিঃ, বিপ্লব। এই হল আপনার জাজমেন্ট! এই হল আপনার যুক্তিবাদিতা?
@কুলদা রায়,
দু:খিত। ফেসবুক বাহাস দেখা হয়নি। সচলায়তন এবং এই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে এবং সময়-সুযোগ পেলেই অন্যত্র আপনি যা বলছেন, তার সূত্রে ওপরের ওই কথাগুলো বলা। আর আমি কোনো জাজমেন্ট করিনি; অভিজিৎ-ফরিদ, তথা মুক্তমনার বিরুদ্ধে জামাতি ট্যাগসহ আপনার জেহাদটি খুবই বিরোক্তিকর ও নাবালকসূলভ ঠেকছে — এই কথা বলেছি মাত্র।
বেয়াদপী হলে মাফ করবেন।
আমি সাধারনত আপনার লেখা পড়ি না। আপনার লেখা মানেই কোন ব্লগে অথবা ফেসবুকে অথবা আপনার ছেলেবেলায় অথবা আপনার সাথে প্রবাসে অথবা আপনার সাথে ব্যক্তিগত কথাবার্তায় অথবা আপনার সাথে খোয়াবে অথবা আপনার সাথে ছাত্রাকালীন অবস্থায় অথবা কোন এক জায়গায় আপনার মতন অধমের সাথে বেয়াদবী কিংবা আপনার সাথে মতদর্শগত পার্থক্য অথবা আপনার কথা সাথে মেলেনি অথবা আপনার থেকে বেশী বোঝে অথবা আপনার কথা শোনে না এই জাতীয় কথাবার্তা।
লেখার শিরোনাম দেখেই আমি মোটামুটি নিশ্চিন্ত ছিলাম অভিজিৎ দা আর ফরিদ ভাই আপনার তথা অনেক সংখ্যক আবেগী বাঙলির গাত্রে যে দাহ সৃষ্টি করেছিল অত্যন্ত যৌক্তিক একটা প্ল্যাটফর্ম থেকে সেটার বিরুদ্ধেই আপনার লেখা হতে পারে। এবং ঠিক সেভাবেই ৫ নম্বর প্যারাটার শেষে এবং ৬ নম্বর প্যারাটার শুরুতেই আমার সন্দেহের অবসান হয়।
যাই হোক আপনার ব্যক্তিগত কথকতা ভালো লাগল। তবে একটা প্রশ্ন ছিল ঃ
আমরা সাধারনত “শুয়াচান পাখি” নামের যে গানটা শুনি সে গানটার সুর আসলে কার করা? আপনার দেয়া লিঙ্ক এবং আপনার লেখা থেকে জানা যায় ঐটা বারী সিদ্দিকীর করা। কিন্তু আমি এত দিন জানতাম আসল গানটার কথা এবং সুর উকিল মুন্সির, গেয়েছেন বারী সিদ্দিকী। ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করেন তো।
আর আমার(অধমের !!) বেয়াদবীয় ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি।
আর আরেকটা ব্যাপার মনে রাখবেন, কোন ব্লগের লেখকদের সম্পর্কে অত্যন্ত দূর্গন্ধময় কথাবার্তা বলে আবার সেই ব্লগে এসে লেদা ছড়ানো, এই যে কর্মকান্ড মানে লেদা ছড়াতে দিয়ে খোলা মনে পরিচয় দেয়া সেটা শুধু মুক্তমনাতেই সম্ভব। মানে আপনি সাধারনত যা করেন সেগুলো কিন্তু সামু বলেন আর যেই ব্লগই বলেন সেখানে করতে গেলে “গদাম” না কী যেন বলে তাই পেতেন। কিন্তু এখানে পাচ্ছেন না। আপনার নিজেকে এখানে এই ফোরামে স্বীকার করতে হবে না(কারন ওটা করতে বললে আপনি দুমাইল লম্বা ছালার তৈরী ত্যানা প্যাচাবেন)। নিজের কাছে ব্যক্তিগতভাবে স্বীকারক্তি দিন অথবা ভেবে দেখুন যে অন্য কোথাও হলে আপনার কী অবস্থা হত।
আমিন।
@সাইফুল ইসলাম, আমি শুয়াচান পাখিটা গানের বিষয়ে উল্লেখ করেছি। তার সুর নিয়ে কথা বলিনি। কারণ এনটিভির ঐ অনুষ্ঠানেই বারী সিদ্দিকী উল্লেখ করেছেন–শুয়াচান পাখির রচনার ইতিহাসটি। আমি বলেছি আমার গায়ে যত দুঃখ গানটি নিয়ে। সেখানে যা বক্তব্য সেটা বারী সিদ্দিকীইর বক্তব্য। আমি সেটা তুলে ধরেছি মাত্র।
খুব ভালো লাগলো ভিন্নতর এই লেখাটা পড়ে-
এই গান কিন্তু আজও শুনি- এখন ও এমন একই রকমের আমেজ লাগে অনেকের কাছে- আমার ও ভালো লাগে। ধন্যবাদ লেখক কে- ধন্যবাদ মুক্তমনাকে- 🙂
মুক্তমনার পরিচালকদের ধন্যবাদ। মতের ভিন্নতা মুক্তমনার চলার পথকে যে বদ্ধ জলাশয়ে আটকে দেয়নি, এ লেখাটি তার উজ্জ্বল প্রকাশ।
লেখককে অনেক ধন্যবাদ, গান নিয়ে একটুখানি আলাপ করার ছলে অনেক অজানা তথ্যের জানান দে’য়ার জন্য।
হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গাওয়া গানের কিছুটা ব্যাখ্যা এখানে পেলাম। সময়ের দাবি কখন যে কিভাবে কার মধ্যে কেমন করে ক্রিয়াশীল হয়, তার পটভূমি জানা না থাকলে সবকিছু ধোয়াশা।
অমর পালের গান শুনলে মনে হয়, মাটি আর শেকড়ের ঘ্রাণ পাচ্ছি। জানি না, কোন অলৌকিক (!) কারণে বন্যার অধিকাংশ গানে আমি রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রাণ পাই না।
একটা প্রশ্ন, আমি জানি না কার মুখে কখন, কোথায় শুনেছিলাম, বাউলদের মধ্যে গান লিখে রাখার কোন নিয়ম ছিল না। ব্যাপারটা ছিল এরকম, পরম্পরা বা প্রয়োজন একে বাঁচিয়ে রাখবে।
@স্বপন মাঝি, আপনার ধারণা ঠিক। পরম্পরা বা প্রয়োজন না থাকলে তা হারিয়ে যায়।
আপনার দেয়া সচলায়তনের এই লিঙ্কের লেখা আমি আগেই দেখেছি এবং সেখানে করা আপনার মন্তব্য এখানে তুলে দিচ্ছি।
মুক্তমনায় আপনার এ লেখার শেষ তিন লাইন।
তৃতীয় লাইনটাকে শুধু প্রথমে নিয়ে যান, তারপর লিখেন “বেয়াদবী হইলে ক্ষমা করিবেন।” দেখবেন, অনেকেই আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন।
@মইনুল রাজু,
মূরীদ ফূরীদ এই সব আবার আবার কি? আজব তো, রুচি বিকৃতি নাকি? এই গুলা আবার কি রকম মন্তব্য। কূলদা রায়কে তো স্বাভাবিক কেউ ভেবেছিলাম।
@কাজী রহমান,
এর থেকেই বোঝা যায় কবি(সদ্য পগম্বর) ব্লগে ঘোরাঘুরি কম করে, অথবা করলেও পয়নিষ্কাশনের পাইপ দিয়ে যা যায় তাকেই মিষ্টি মনে করে। 😀 :)) :)) :)) :)) :))
@সাইফুল ইসলাম,
ওহে ভ্রাতা, আমি এ মুহূর্তে কবি মোড ত্যাজিয়া নবী মোডে রহিয়াছি। ভাবিয়াছিলাম কিছু শুভ্-শুভ্ কথা কহিব পয় নিষ্কাশনের পাইপের নিকট মহান শুভ্-শুভ্ সুগন্ধি কথা কহিব, কিন্তু তাহা আর হইলো কই। লিঙ্কালিঙ্কি উদ্ধৃতি আর মুখোশ উন্মচোনের তোড়ে সকলই প্রায় ভ্যাটাশ হইয়া গেল। শব্দ করিয়া অযু ভাঙ্গিয়া গেল। আপনার তো মহাশয় কবিরা গুনাহ হইবে। ছিঃ এভাবে কেহ কাহারো বস্ত্রহরন করে? :-s
@কাজী রহমান,
:lotpot:
@কাজী রহমান,
কোরানের এক বাণী শুনেই টাশকি খেলেন নবী। হাদিসের বয়ানতো এখনও শোনেনই নাই। এই বার মন দিয়া শোনেন।
খুব সম্ভবত এটা আমার এবং অভির চুলকানিমূলক পোস্ট। কারণ, ইদানিং তিনি আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের চুলকানিমূলক পোস্ট লিখছেন। ফেসবুকে আমাদের বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। তখন আসরাফ তাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে ইহা কী একটা চুলকানিমূলক পোস্ট। এর উত্তরে তিনি আসরাফকে জানিয়েছিলেন যে,
চুলকানিমূলক পোস্ট ছাড়া আর কিছু মাথায় আসছে না এই কারণে যে, জামাতি এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আমরা যে প্রবন্ধটা লিখেছিলাম সেটা তথ্য প্রমাণ দিয়ে খণ্ডণ করেছিলেন। খণ্ডণ করা জিনিসকে আবারও কেন খণ্ডণ করতে হলো কে জানে?
চুলকানির পাশাপাশি দুই ভণ্ড অভিজিত রায় এবং ফরিদ আহমেদ বধের মহাকাব্যও হতে পারে এটি। কারণ, রবীন্দ্র অপমানের প্রতিশোধে আমাদেরকে যে তিনি বধ করবেন তা তিনি অত্যন্ত সগর্বে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মুক্তমনায় তিনি আমাদের একেবারে ধরা খাইয়ে দিয়েছিলেন। তারপর বেশ আত্মতৃপ্তিতে ছিলেন এই ভেবে যে, মতি মিয়ার মতি সহজে না ফিরলেও আমাদেরটা হয়তো ফিরবে। কিন্তু, মুখোশধারী এই দুই কালসর্পের কঠিন মতি কোমল হয় নি তাতে। রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে রক্তচোষা জোকের মত লেগেই রয়েছে তারা। যুক্তিবাদ দিয়ে পরিচিতি পেয়ে এখন তাদের ভণ্ডবাদী চেহারা বের করে ছেড়েছে।
এই লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মন্তব্য করত চাই না। কারণ, সঙ্গীত বিষয়ে আসলেই আমাদের কোনো জ্ঞান নেই। এ বিষয়টা কুলদা রায় ভালই বুঝেছেন। সে কারণেই তিনি বলেছেনঃ
তবে একটা জিনিস তিনি ভুল করেছেন। গানের সুর তাল লয়, ভাবসম্পদ এর মত জ্ঞানময় কোনো বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দেই নি। শুধু এইটুকু বলেছিলাম যে, গগন হরকরার গানের সাথে মিলিয়ে শুনলে রবীন্দনাথের গানটাকে একই রকমই মনে হয়। গান দুটোর বাণীকে পাশাপাশি রাখলেও কাঠামোর মধ্যে আশ্চর্যরকমের মিলও খুঁজে পাওয়া যাও।
অভির কথা জানি না, তবে আমার দৌড় আসলেই ওই মাকসুদ পর্যন্ত। খুব লজ্জার সাথেই স্বীকার করতে হচ্ছে যে, রবীন্দ্র সংগীতের চেয়ে ব্যাণ্ড সংগীতটা শুনতেই বেশি ভালো লাগে আমার। এর সাথে অবশ্য রবীন্দ্র বিদ্বেষের কোনো সম্পর্ক নেই। কম্পিউটার ছাড়া বাসায় গান শোনার অন্য কোনো বন্দোবস্ত নেই আমার। ফলে, গান শোনা হয় মূলত গাড়ি চালানোর সময়ে। ওই সময় রবীন্দ্র সংগীত বাজলে দুই চোখ ফেটে ঘুম আসতে থাকে। রবীন্দ্র সংগীত প্রীতির চেয়ে নিজের জানের প্রতি প্রেমটা বেশি আমার। সে কারণে হইহুল্লোড়ে পরিপূর্ণ ব্যান্ডের বেসংগীতই শুনতে হয়। একজন কৃতদার ব্যক্তি এবং কচি একটা ছেলের জনকের কাপুরুষতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে কীর্তিমান ব্যক্তিরা দেখবেন বলেই আশা করছি।
কীর্তিমানেরা আমার অমার্জনীয় অপরাধকে হয়তো তাদের কোমল রাবীন্দ্রিক হৃদয়ের কারণে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, কিন্তু মাকসুদ ভাই তার নামকে বিকৃত করে মঞ্জিলে মকসুদ করা দেখলে, এই কীর্তিমানদের ক্ষমা করবেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ অবশ্য থেকেই যাচ্ছে। ওয়াহিদুল হক থেকে শুরু করে কুলদা রায় পর্যন্ত সব রবীন্দ্র ভক্তদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে যে মাকসুদকে ব্যঙ্গ করে, তুচ্ছ করে মকসুদ বলে ডাকার প্রবনতা। বেচারা কোনকালে রবীন্দ্রনাথের একটা গানকে ফিউশন করে গেয়েছিল। সেই মহা অপরাধের ক্ষমা এখনও করে নাই তারা। মাকসুদ ভাই তার এই নাম বিকৃতি নিয়ে ওয়াহিদুল হককে অপরিষ্কার বাঁশ দেবার পরেও দেখা যাচ্ছে যে, এদের চরিত্রের কোনো পরিবর্তনই হয় নি। এর একটাই কারণ হতে পারে। এরা বোধহয় চাইনিজদের মত বাঁশ খেতে খুব পছন্দ করে।
মাকসুদের গান শুনি বলে আমাকে নিয়ে কথা বলাটাই অপব্যয় মনে করেন কুলদা রায়। যদিও এই অপব্যয়টা তিনি আমাদের প্রবন্ধ লেখার পর থেকেই করে আসছেন। আরো দীর্ঘদিন যে করবেন সেটাও জানি। পূজা বড় খারাপ জিনিস। আমাকে জামাতি যুক্তিবাদী বলেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে অনেক সৃষ্টি করেছেন, এই কথায় নিদারুণ গোস্বা হয়েছেন তিনি অভিজিতের উপরে। তবে গোস্বা হলেও ভদ্রতা হারান নি মোটেও। বাপটাপ তুলে গালি দেন নি কোনো। তার বদলে অভিজিতের প্রপিতামহকে টেনে নিয়ে এসেছেন তিনি।
পাগলেরও পাগল হলেও অন্যের লেখা হুবহু মেরে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। ভজন সরকারের মত তিনিও বিশ্বাস করেন যে আমাদের লেখাটা আমরা অন্যদের লেখা থেকে হুবহু মেরে দিয়েছি। আমাদের লেখাপড়া না করা নিয়ে বেশ মুশকিলেই পড়েছেন তিনি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি মুশকিলে পড়েছি আমরা। আমরা যদি অন্যের লেখা হুবহু মেরে দিয়ে এই লেখাটা নামিয়ে থাকি, তাহলে রবীন্দ্রনাথের ইজ্জত মারার অভিযোগ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়ে কী করে? এই অভিযোগতো তাহলে আগে থেকেই ছিলো। অন্যেরা করেছিল। আমাদের মত লেখাপড়া না করা অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী বান্দরের পিছনে মহাকাব্য বধ রচনা করাটা কী একটু অর্থহীনই হয়ে গেলো না?
ভজন সরকার মুক্তমনায় আশংকা প্রকাশ করেছিলেন যে, আমাদের এই কাট-পেস্ট করা হালকা লেখাটিকে রবীন্দ্রবিদ্বেষীরা ব্যবহার করবে। বিডি আর্ট নিউজে লেখাটা ছাপা হবার সাথে সাথে কুলদা রায়কে সেকথা জানাতে ভোলেন নি তিনি। সেই সাথে সংগ্রাম, ইনকিলাব, আমার দেশ ইত্যাদি প্রগতিবিরোধী পত্রিকায় এই লেখাটা প্রকাশ হলেও অবাক হবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুলদা রায় হাড়ির খবর ফাঁস করে দেন। ওই লেখাটার জন্য সংগ্রাম তথা জামাতের কাছ থেকে যে, আমরা পেমেন্ট পেয়েছি সেটা জানিয়ে দেন তিনি সবাইকে। তিনি হচ্ছেন জামাতের হিসাবরক্ষক। তার কথাকে অবিশ্বাস করার কী কোনো উপায় আছে?
শুধু পেমেন্টের কথা বলেই ক্ষান্ত দেন নি তিনি। এর পিছনে যে বিগ বস ফরহাদ মাজহার জড়িত সেটাও জানাতে ভোলেন না তিনি। লেখাটা যে সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে আমরা সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, আমার দেশ এবং প্রথম আলোর জন্য লিখেছি, উইকিলিকসের মত সেটা ফাঁস করে দেন তিনি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, এতসব গোপন খবর তিনি কীভাবে পেলেন কে জানে। ফরহাদ মাজহারের স্ত্রীও এগুলো জানেন না। কতখানি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ফরহাদ মাজহারের সঙ্গে তার কে জানে?
আরোহী পদ্ধতিতে যেভাবে সাদ কামালী, ব্রাত্য রাইসুর লেজ ধরে ফরহাদ মাজহার পর্যন্ত কুলদা রায় চলে গেলেন তাতে আমি সত্যি সত্যিই মুগ্ধ। এরকম গোয়েন্দা প্রতিভা হাজার বছরে একবারই জন্মায়। কিন্তু একটা বিষয় এই দুঁদে গোয়েন্দাও খেয়াল করেন নি। এতদিকে অবশ্য খেয়াল রাখাটা একটু কষ্টকরই। সেই কবে থেকেই ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে তার। রবীন্দ্রনাথের গায়ের কালিমা মোচন না হওয়া পর্যন্ত ঘুম বর্জন করেছেন তিনি। মহারণে ঘুম মহাত্যাজ্য। মুক্তমনা ব্লগটা পরিচালনা করে মূলত অভিজিত রায় এবং ফরিদ আহমেদ। এই দুজনই জামাতের পেইড লোক। সেই পেইড লোকদের ব্লগে লেখার জন্য, এখন যদি কুলদা রায়ের চেয়েও ঘাগু কোনো গোয়েন্দা তার নিজের গায়েও জামাতের পেইড ব্লগার ছাপ লাগিয়ে দেয়, তাহলে তার দশাটা কী হবে?
ফান পার্ট বাদ দিয়ে সিরিয়াস অংশে আসি। কুলদা রায় খুব ডেলিকেট একটা সমস্যা মুক্তমনার জন্য। আমরা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা, প্রগতিশীলতা এবং যুক্তিবাদ চর্চার উদ্দেশ্যে মুক্তমনাকে পরিচালনা করে আসছি। আমাদের এই প্রচেষ্টার সাথে মুক্তমনার অগণিত পাঠক জড়িত রয়েছে। কুলদা রায় এর আগেও নানান সময়ে মুক্তমনায় নানান ধরনের সমস্যা তৈরি করেছেন। আমাকে জড়িয়ে নানান মিথ্যা কথা বলেছেন, গালমন্দ করেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে যে, এগুলোকে মুক্তমনার সদস্যদের কেউ কেউ প্রশ্রয়ের দৃষ্টিতেও দেখেছেন। তাতে আমি বিন্দুমাত্রও অভিযোগ জানাই নি। কষ্ট হলেও সেগুলোকে হজম করে গিয়েছি আমি। কিন্তু এখন কুলদা রায় যা করছেন তাতে শুধুমাত্র আমি বা অভিই যুক্ত নই। পুরো মুক্তমনাই হুমকির সম্মুখে পড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ব্লগে, সোস্যাল নেটোয়ার্কে তিনি আমাদেরকে ছদ্ম যুক্তিবাদী, ভণ্ড, জামাতের পেইড পারসন বলে প্রচারণা চালানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা নিয়েছেন। সব ব্লগের সব লোক সব লেখা পড়ে না। কুলদা রায়ের মিথ্যা প্রচারণায় এখন অনেকেই বিশ্বাস করে ফেলছে যে আমরা আসলে জামাতের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছি। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি হিসাবে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি, তেমন প্রতিষ্ঠান হিসাবেও মুক্তমনার ইমেজ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যাপকভাবে। মুক্তমনার জন্য এরকম ভয়ংকর ক্ষতিকর একজন মানুষকে মুক্তমনায় ধারণ করার মত ধৈর্য্য আমাদের দেখানো উচিত কি না? আপনাদের সুচিন্তিত মতামত পেলে আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজতর হবে।
@ফরিদ আহমেদ, যদিও মইনুল রাজু ভাইয়ের কাছে মতামত চেয়েছেন, তবুও আমি মুক্তমনার শুভাকাঙ্খী হিসেবে মাঝখান দিয়ে কিছু বলে যাই।
@পৃথিবী,
যারা শুধু একজন ব্যক্তির কথার উপর ভিত্তি করেই মুক্তমনা সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবে, তাদের কাছে আমাদের ইমেজ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ দেখি না। এন্টি-এস্টাবলিশমেন্ট হতে গেলে সব মহল থেকেই গালি খেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত্য এই প্ল্যাটফর্মে সুস্থ পরিবেশে মত অথবা দ্বিমত প্রকাশ করা যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত্য আমি দুঃচিন্তার কোন কারণ দেখি না।
মুক্তমনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার নতুন না। সদালাপীরা অন্য ব্লগগুলোতে মুক্তমনার বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, সদালাপের প্রাক্তন সম্পাদকের মত বাংলা ব্লগের একজন বহুত সম্মানিত ব্লগারও নিজের ক্রেডিবিলিটিকে কাজে লাগিয়ে আমারব্লগে একের পর এক চাপাবাজি করে গিয়েছেন। কয়জনকে সামলাবেন?
@পৃথিবী,
পৃথিবী, খেয়াল করলে দেখবেন উনি “আপনাদের” শব্দটা ব্যবহার করেছেন। অর্থ্যাৎ সবার কাছে মতামত চেয়েছেন।
তবে আপনার মতের সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে একদমই একমত। মুক্তমনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার একদমই নতুন না। বরং অপপ্রচার মুক্তমনাকে আরো শক্তিশালী করে।
@পৃথিবী,
আমরাও দুঃশ্চিন্তিত ছিলাম না এ বিষয়টা নিয়ে। কিন্তু কুলদা রায় ভিন্ন একটা আঙ্গিকে আমাদেরকে পরিবেশন করে চলেছেন। আমরা সাম্প্রদায়িক বা হিন্দু বিদ্বেষী (অভি হিন্দু পরিবারে জন্মেও সাম্প্রদায়িক, আর আমিতো জন্মেছি মুসলিম পরিবারে), জামাতি এজেন্ডায় মাঠে নেমেছি। সচলায়তনে অভি সুপরিচিত, তারপরেও সেখানে দেখুন দুই একজন অত্যন্ত ক্ষিপ্তভাবে অভির কাছে জবাবদিহি চেয়েছে। সচলায়তনের এই প্রতিক্রিয়া দেখেই বুঝতে পারছেন যে, ফেইসবুকে কী ধরনের গালাগাল কুলদা রায় তাঁর নিজের গালিগালাজের মাধ্যমে উস্কে দিয়েছেন আমাদের বিরুদ্ধে।
ঘরের বাইরে কাউকেই সামলানো যাবে না। এটা ঠিক। কিন্তু কথা হচ্ছে যে, নিজেদেরকে ঘরকে আমরা পরিষ্কার রাখতে পারবো কি না? আবু সাঈদ জিয়াউদ্দীন এবং এসএম রায়হানের মুক্তমনার বিরুদ্ধের সকল কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি পূর্ণভাবে জ্ঞাত। সে কারণে এই দুজন ইচ্ছা পোষণ করলেও কখনোই মুক্তমনায় ঢোকার সুযোগ পাবেন না। এই দুজনের চেয়ে বর্তমানে কুলদা রায়ের ভূমিকা আরো ন্যাক্কারজনক। তিনি তাঁর স্বভাবসূলভ মিথ্যাচার, উগ্র আচরণসমৃদ্ধতা এবং আমার এবং অভির প্রতি চরম বিদ্বেষপ্রসুতা থেকে বিভিন্ন ব্লগ এবং ফেইসবুকে যে ধরনের গালি এবং কুৎসিত বিশেষণে আমাদেরকে ভূষিত করে চলেছেন তার তুলনা মেলা ভার। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেও আসম জিয়াউদ্দীন এবং সম রায়হান সেই পর্যায়ে যেতে পারেন নি কখনোই।
@ফরিদ আহমেদ, এই নোটের কোনো বক্তব্যের বিষয়ে কোনো ভিন্নমত বা দ্বিমত বা অভিমত থাকলে বলুন। অথবা আপনি কি এখনো আপনাদের উল্লিখিত নোটের বক্তব্য সঠিক বলে মনে করেন?
@কুলদা রায়,
আসুন, আগে আপনার গালিগুলো নিয়ে কথা বলি। সেগুলোকে কি আপনি গালি ভাবেন নাকি অমৃতবাণী বলে সঠিক মনে করেন?
@ফরিদ আহমেদ, সেগুলো নিয়ে আলাদা পোস্ট দেন। সেখানে কথা বলা যায়। এই পোস্টটার মেরিট নষ্ট করার চেষ্টা করছেন কেন?
@কুলদা রায়,
ভ্রাতঃ আপনাকে আপনার গালিগালাজ দিয়েই চিনি আমি। তাই, ওটা নিয়েই আলোচনা করতে ইচ্ছুক আগে। এই পোস্টের মেরিট-ডিমেরিট নিয়ে আলোচনার সময় অনেক পড়ে আছে।
@ফরিদ আহমেদ, আপনি আমার গালিগালাজ নিয়ে এখানে বেশ কথা বলেছেন। আমি কিন্তু তার বিপরীতে আপনার করা গালিগালাজ নিয়ে কথা বলিনি। অনেক উদাহরণ দিয়ে আপনাকে একজন রক্ষণশীল প্রতিক্রিয়াশীল গালিবাজ হিসাবে প্রমাণ করা এমন কোনো কঠিন কাজ নয়।
বোঝা গেল, আপনি কোনো যুক্তিবাদি আলোচনায় আগ্রহী নন। মুক্তভাবে কথা বলায় বিশ্বাসী নন। ভালো।
আপনার জন্য কঠিন কাজ যে নয় সেতো জানিই। আপনার ক্ষমতার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। জামাতের কাছ থেকে টাকা খেয়ে লিখি, এরকম একটা অতি গোপন খবর পর্যন্ত জানা হয়ে যায় আপনার। খুঁজে খুঁজে আমার দেওয়া গালিগুলোও তুলে আনতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
তবে আপনাকে আরো সোজা রাস্তা বলে দেই। গোয়েন্দাগিরির কষ্ট কমবে এতে করে আপনার। আপনার এই লেখাতে যাঁর নাম এসেছে, সেই প্রফেসর নুরুল আনোয়ারকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন আমার কথা। অথবা আপনার ফ্যাকাল্টিরই শিক্ষক প্রফেসর রফিকুল হক, যিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, তাঁকেও জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর এদেরকে যদি একান্তই না পান, তবে আপনি যে বাড়িতে দীর্ঘদিন ছিলেন, সেই বাড়ির সদস্যদের কাছ থেকেও জানতে পারেন। নিপুণ বা নিপুণের স্ত্রী কাজল (মেয়েটা আমার ছাত্রী ছিলো) আমার সম্পর্কে আপনাকে খুব ভালো তথ্য দিতে পারবে। আমি কতখানি রক্ষণশীল, প্রতিক্রিয়াশীল বা গালিবাজ, তাঁরা খুব ভালো করেই জানে সেটা।
এই রে আপনি-ই না বলেছেন যে আমি জামাতি যুক্তিবাদী। আমার সাথে কথা বলা মানেই অপব্যয়। অথচ সেই আপনিই আমাকে রীতিমত সাধাসাধি করছেন যুক্তিবাদী আলোচনায় আসার জন্য। আজকে আপনার হলোটা কী? উলটো গান শুনছি। অবাক কাণ্ড!! ঠাকুর দেবতা সহায় হোন।
আমি একজন যুক্তিবাদীর সাথেই যুক্তিবাদী আলোচনা করি, কোনো গালিবাজ ভক্তিবাদীর সাথে নয়। পিরিওড।
@ফরিদ আহমেদ,
কি সব্বনাশ, উহাকে লইয়া তো দেখি মহাকাইব্য লেখা যাইবে। যাহারা যে কাহাকেও জামাতি কহে, উহাদেরর নাম লইলেই আমার অযু ভাঙ্গিয়া যায়; পি লি জ, জিজ্ঞাসিবেন না সশব্দ নাকি নিঃশব্দ।
@কাজী রহমান, ফরিদকে তো দেখি নিপুনরা কেউ চেনে না। কাজলও চেনে না। উনি নিপুন আর কাজলের বিষয়ে মিথ্য বললেন কেন?
@কুলদা রায়,
স্বীকার করতেই হয়, এইটা একটা ক্লাসিক কমেন্ট হইছে। 😛
আপনি যে সত্যি সত্যি আমার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন, সেটা জেনে কৃতার্থ হলাম। তবে, বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, তথ্য বের করার ক্ষমতা লোপ পেয়েছে আপনার। অথবা মিথ্যা বলার চিরায়ত অভ্যাসটা এখনও যায় নি। শুনুন দাদা, দায়িত্বটা বরং আপনার শিক্ষক নৃপেন্দ্রনাথ সরকারকে দিন। তিনি ঠাণ্ডা মাথার একজন বুদ্ধিমান এবং ভদ্রলোক মানুষ। তাঁকে দায়িত্ব দিলে আপনার কষ্টও বাঁচবে আর সত্যিটাও বের হয়ে আসবে তরতর করে। তখন দেখবেন নিপুণও আমাকে ভালভাবে চিনবে, কাজলও আমার ছাত্রী হবে। 🙂
@ফরিদ আহমেদ, ও @কুলদা রায়
ক্ষমা করা যায়না?
নিজেদের মধ্যে রেষারেষি না করে বরং গঠনমূলক আলোচনা করলে মনে হয় বেশি ভাল হত।
কত সুন্দর একটা পোস্ট, অথচ আপনারা মুল বিষয় নিয়ে আলোচনা না করে নিজেই নিজের গুণকীর্তনে ব্যর্থ সময় নষ্ট করছেন।
আমি যতদূর জানি, মুক্তমনার নিজস্ব নিয়ম নীতি আছে। সে তার নিজের নিয়মেই চলবে। এনিয়ে মহামান্য হা… খা… দের মতো আলগা পিরিত কি না দেখালেই নয়?
লিখেন তো পাঠকদের জন্যই, মূল্যায়ন পাঠকদের ই করতে দিন না!
@অরণ্য,
কীসের ক্ষমা?
কুলদার সঙ্গে রেষারেষি করেছি, কে বললো আপনাকে? তিনি আমাকে বিভিন্ন জায়গায় গালাগাল করে বেড়াচ্ছেন। সেটা নিয়ে কথা বলাটা কী রেষারেষি? গঠনমূলক আলোচনা হয় গঠনমূলক পোস্টে। এই পোস্ট তা নয় দেখেই হচ্ছে না। এই যেমন আপনি নিজেও গঠনমূলক কোনো আলোচনা না করেই, আমাকে আর কুলদাকে একই কাতারে ফেলে নিজেকে অনন্য প্রমাণের জন্য এই অগঠনমূলক মন্তব্যটা করেছেন। এখন আপনাকে যদি আমি গালাগাল করি, তারপরে আপনি নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করবেন। গৌতমবুদ্ধ সাজবেন না। তখন সাগর নামের কেউ একজন এসে লাফ দিয়ে পড়ে আপনাকে গঠনমূলক আলোচনা না করার অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারে, তাই না?
এত সুন্দর একটা পোস্টে মূল বিষয় নিয়ে আপনি নিজেও কোনো আলোচনা করেন নি। যে কাজ নিজে করেন নি, সেই একই কাজ অন্যদের থেকে আশা করেন কীভাবে? এটা কি ভণ্ডামি নয়? ফরিদ আহমেদের একক দায়িত্ব নয় আলোচনা করার, অরণ্যদেরও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শুধু শেষ বেলায় এসে সবাইকে উপদেশ খয়রাত করলে চলে না।
আর এই লেখার আইসিংটাই আপনি দেখেছেন, আইসিং এর নীচে কূলদা রায় কেক পরিবেশন করেছেন নাকি মলমূত্র পরিবেশন করেছেন, সেটা আপনি দেখেন নি। এখানে এত এত লোক যে, আপনার পছন্দের সুন্দর লেখার লেখককে কেন ধরে গণহারে ধোলাই দিচ্ছে, সেটা একটু কষ্ট করে অনুধাবন করার সক্ষমতাও আপনার নেই।
এখানে কোথায় আমি নিজের গুণকীর্তন করেছি সেটাও আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে। কুলদা রায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে আমি একজন প্রতিক্রিয়াশীল, জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট, তাদের পয়সা খেয়ে লেখালেখি করি। তিনি একজন জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি, সুন্দর পোস্ট দেন। তিনি যখন এই অভিযোগ করেছেন, তখন নিশ্চয়ই তিনি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে দেখেছেন বা দেখছেন, তাই না? না হলে এই অভিযোগ পাবলিক ফোরামে করেন কী করে? তাঁকে সাহায্য করার জন্য আমি তাঁকে কিছু ইনফরমেশন দিয়েছি। কুলদা রায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, সেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি শিক্ষকতা করেছি। তিনি যেমন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন, তেমনই আমিও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলাম। এর কারণে, আমাদের কমন পরিচিত ব্যক্তির সংখ্যা অসংখ্য। আমি কোন ধরনের রাজনৈতিক বিশ্বাসের সংগে যুক্ত ছিলাম, সেটা কুলদা তাঁদের যে কারো সংগে আলাপ করলেই বুঝতে পারবেন। অযথা তাঁকে এদিক ওদিক থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে না। এই ধারণা থেকেই তাকে ওই তথ্যগুলো দেওয়া। গুণকীর্তনের উদ্দেশ্যে নয়।
অরণ্য, আপনার এই মহামান্য হা খা শব্দটা আমি বুঝি নি। আশা করি বুঝিয়ে দেবেন। তবে এইটুকু বুঝলাম আপনার এই মহামান্য এবং আলগা পিরিতি শব্দযুগল দিয়ে যে, আপনি একজন কপট স্বভাবের মানুষ। যে উপদেশ অন্যকে খয়রাত করে বেড়ান, সেগুলোকে নিজেই আপনি অনুসরণ করেন না। আপনার এই লাইনকে গঠনমূলক আলোচনা হিসাবে দাবী করতে গেলে আপনাকে একচোখ বন্ধ করা নীতি নিতে হবে।
মুক্তমনার নিজস্ব নীতি হাওয়া থেকে বাস্তবায়িত হয়ে যায় না। কাউকে না কাউকে আলগা পিরিতি দেখিয়ে দিনের পর দিন মনিটর করে যেতে হয়। যে গঠনমূলক আলোচনার আশা করছেন, সেটা ওই কারো না কারো আলগা পিরিতির কারণেই হয়েছে।
এই লেখার লেখক আমি নই, একজন পাঠক মাত্র। আমার মূল্যায়নই আমি করেছি। কাজেই, এই অযাচিত নসিহত আমাকে না দিলেও চলতো। আপনি কোনো মন্তব্য করলে আমি এরকম অগঠনমূলক উপদেশ আপনাকে দিতাম না বলেই বিশ্বাস।
@ফরিদ আহমেদ,
কুলদা রায় আপনার ও অভিদার বিরুদ্ধে এই হাস্যকর অভিযোগ কেন করেন আমি বুঝিনা। যে কেউ জামাতের টাকা খেয়ে লিখলে ত তাদের ইসলামের গুণগান গাওয়ার কথা! তারা তা না ক’রে কেন নাস্তিকতা ও যুক্তিবাদের প্রচার করবেন?
@তামান্না ঝুমু,
এই হিসাবটা আমার কাছে খুব সহজ। কুলদা রায় নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অবিসংবাদিত এক নেতা মনে করেন। কেউ তার দ্বিমত করলেই হয়ে যায় জামাতি। এ ব্যাপারটা বহুবারই লক্ষ্য করা গেছে। তার সাথে একবার নাইব উদ্দীন আহমেদের তোলা বীরাঙ্গনার একটা ছবি নিয়ে তর্ক হয়েছিল ফরিদ আহমেদের, ব্যাস এর পরদিনই ফরিদ আহমেদকে ‘জামাতি’ বানিয়ে একটা পোস্ট প্রসব করে দেন কুলদা। আর এবারে আমাদের রবীন্দ্রনাথের উপর লেখাটা বিডিআর্টস তাদের অনলাইন পেপারে ছাপিয়েছে, তারপর থেকেই কুলদার মহাগাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তিনি লজিক খাড়া করেছেন বিডি আর্টসের সম্পাদক হচ্ছে ব্রাত্য রাইসু, আর তার গুরু নাকি ফরহাদ মজহার। সো, অভিজিতের লেখা যখন বি ডি আর্টসে গেছে, তবে নিশ্চয় ফরহাদ মজহার আর জামাতিদের টাকা আছে পেছনে। এই হল আমাদের জামাতি বনে যাওয়ার ঘটনা। অনেকটা ছাগলেরও দাঁড়ি আছে, আর রবীন্দ্রনাথেরও দাঁড়ি আছে – তাই রবীন্দ্রনাথ একটা ছাগল – এই কুলদীয় লজিক খণ্ডন করা কার বাপের সাধ্য! উনাকে আমি এও বললাম, বিডিআর্টসে কিন্তু অদিতি ফাল্গুনী, কাবেরী গায়েন, আনিসুজ্জামান, আনু মুহাম্মদ, শুভাশীষ দাশ, আরিফ জেবতিক, আলী যাকের, হাসান আজিজুল হক সহ বহু লেখকের লেখাই ছাপায়। কিন্তু তাতে কি! অভিজিৎকেই হতে হবে জামাতি! এই না হলে কুলদা রায়। উনাকে ‘শিব ঠাকুরের বাহন’ কী আর সাধে বলে!
@ফরিদ আহমেদ, হা হা হা।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনাদের নিজেদের মধ্যেকার গালাগালি পর্বটার হাত থেকে ক্ষমা।
দুঃখিত 🙁 আমি আসলে আপনাদের কাউকেই চিনিনা। কে পানিতে বাস করেন আর কে আকাশে, তা আমার জানা নাই। আপনাদের দু একটি পোষ্ট পরেছি মাত্র।
আমার মন্তব্য টি অগঠনমূলক কিনা জানি না, তবে দুজন উচ্চশিক্ষিত লেখক (কে কম কে বেশি আমি জানি না) দের একে অপরকে গালিগালাজ করতে দেখে আমার যা অনুভূতি হয়েছে আমি তাই লিখেছি।
আর দুঃখিত, আমি অনন্য নই, অরণ্য! আমার অনন্য সাজার কোন প্রয়োজন পরে না। আমি লেখক নই পাঠক মাত্র।
আশা করি! কারণ আপনি লিখেন, আপনি জানেন, আপনি একজন শিক্ষক। মন যাকে শ্রদ্ধা করতে চায়, তাঁর কাছে কিছু আশা করাটা অন্যায় মনে করি না।
আমি ভণ্ড নই, চাইলে গণ্ড মূর্খ বলতে পারেন। জানি খুবই কম। তবে অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি মানুষ অনেক মিথ্যা তথ্যও সত্য সাজিয়ে লিখে। তাই সময় নিচ্ছিলাম জানার জন্য। মাঝখানে আপনি ভুলবুঝে বসে আছেন (U) ।
হয়ত আমার সক্ষমতা নেই। আমি সাধারণ। তবে আপনি ধোলাই টা যুক্তি ও তথ্যের মাধ্যমে না দিয়ে অযথা বাকবিতণ্ডার মাধ্যমে দিয়েছেন বলেই আমার খারাপ লেগেছে। 🙁
হা… বলতে হাসিনা আর খা… বলতে খালেদা বোঝাতে চেয়েছি। উনারা যেমন নিজদের কথা কে সঠিক ও জনগনের কথা বলে দাবি করেন, আপনাদের বাকবিতণ্ডাটাও আমার তেমন ই লেগেছে।
দুঃখ পেলাম (U) ।
এই তথ্যটা আমার জানা ছিল না। কখন কারো অনিষ্ঠ করেছি বলে মনে পরে না।
এখন কি আমার উপর বৃষ্টির মত পাথর নিক্ষেপ করবেন??
😕
@অরণ্য,
আপনার এই মন্তব্যের ঝাঁঝালো উত্তর দেওয়া সম্ভব ছিল, কিন্তু সেদিকে আর এগুচ্ছি না। কেন যাচ্ছি না বলছি সেটা।
খেয়াল করে দেখুন, আপনি আর আমিও কিন্তু এখন নিজেদের অজান্তেই বিষয়বস্তুর বাইরের বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছি। এখন আপনার মত দুই একটা পোস্ট পড়া বা দুই চারটা মন্তব্য পড়া কেউ যদি এসে বলে যে, আপনারা দুজন উচ্চশিক্ষিত লোক এত সুন্দর একটা লেখা বাদ দিয়ে মহামান্য হা খা হয়ে গালাগালি, পালটা গালাগালি করছেন কেন? তখন কিন্তু তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে না। তাই না? তার মানে দাঁড়াচ্ছে যে, আপনার প্রথম মন্তব্যে আপনি আমাকে আর কুলদাকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, নিজেই সেটা আর ধরে রাখতে পারেন নি। আমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করে। আমি যদি এখন কড়া একটা উত্তর দেই, তবে এই মন্তব্যের মতই হয়তো নিজেকে আরো খাটো ভাব দেখিয়ে বটম হ্যান্ডে শক্তিশালী চোরাগুপ্তা ঘুষি লাগিয়ে দেবেন আমাকে আবারো আরেকটা মন্তব্য করে। এরকমই হয়। আমরা যখন দুজন ব্যক্তিকে উচ্চস্বরে কলহ করতে দেখি, তখন আমাদের মধ্যে সুশীলত্ব জেগে উঠে, তাঁদেরকে হাসিনা-খালেদা বলে মনে হয়। কে আক্রমণকারী আর কে আক্রান্ত সেটাকে বিবেচনায় নেই না আমরা। কিন্তু, নিজেদের গায়ে ফুলের টোকাও সইতে পারি না আমরা। তখন ঠিকই ঝাঁপিয়ে পড়ি। বোকার মত পেশি ফুলিয়ে নিজেকে বিরাট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে কিল ঘুষি দিয়ে, অথবা অতি বুদ্ধিমানের মত প্রতিপক্ষকে বড় বানিয়ে নীচ থেকে চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে।
না, পাথর বৃষ্টি নিক্ষেপ করবো না। তার বদলে আপনাকে ভণ্ড এবং কপট বলার কারণে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইবো। আপনি ভণ্ড বা কপট নন। নিতান্তই একজন সাধারণ মানুষ আপনি, আমাদের মতই। যিনি আক্রান্ত হলে পালটা আঘাত হানেন, বিষয়বস্তুর বাইরেও চলে যান নিজের অজান্তেই। অসাধারণদের মত মুখ বুজে নীরবে সহ্য করেন না সবকিছু।
@ফরিদ আহমেদ, ১. কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট রাজাকার মাহফুজার রহমানের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব ছিল। মাহফুজার রহমান বিএনপি-জামাত আমলে পিএসসির মেম্বর ছিলেন। কোটি কোটি দুর্নীতি করে এখন ফেরার। আপনার সম্পর্কে সকল তথ্যই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলে জানে। সকল তথ্যই সংরক্ষিত আছে। যদি চান তাহলে আলাদা পোস্ট হিসাবে দেওয়া যায়।
২. বিডি আর্টসে শুভাশীষ দাশের লেখা বিষয়ে শুভাশীষই ভাল বলতে পারবেন। তবে শুভাশীষের লেখা সেখানে পড়েছি–জামাতি-পাকিপন্থী ভাড়াটে লেখক শর্মিলা বসু অসত্য তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করে। তিনি নিশ্চয়ই লেখেন নি যে শর্মিলা বসু সত্য বলেছেন।
লেখার মেরিটটা বোঝা দরকার। আপনাদেরটা শর্মিলা বসু টাইপের প্রপাগাণ্ডা ধরনের লেখা–যা জামাতের পারপাস সার্ভ করছে। আর শুভাশীষের লেখাটা জামাতকে বাঁশ দিচ্ছে। সে কারণে এই রবীন্দ্রবিদ্বেষ বিষয় অসত্য লেখাটা প্রকাশিত হয় বিডিআর্টসে তখন বোঝা যায়–শুভাশীষের সঙ্গে আপনাদের পার্থক্যটা। সে কারণে শুভাশীষ জামাতি নয়–আপনারা জামাতি। এই হল বিষয়। আর অন্য কোনো কারণ নয়। কেউ বুঝে জামাত হয়, কেউ না বুঝে জামাতি হয়। আপনারা কোন শ্রেণীর জামাতে সেটা আপনারাই খোলসা করে বলতে পারবেন।
৩. কাবেরী গায়েনের বিষয়টা তো এখনই ধরনের। কাবেরী গায়েনের লেখা সেখানে যতগুলো পড়েছি–সেগুলোর কোনোটাই জামাতপন্থী নয়। আর কাবেরী যে আমার আত্মীয় সেটা কোথা থেকে আবিষ্কার করেছেন? এখানে কি আমি সে তথ্য কোনোকালে দিয়েছি? আপনি তো দেখছি মাওলানা নিজামীর নাতি জামাই। কী বলেন? অস্বীকার করতে পারবেন ফরিদ?
৪. জামাতকে জামাতই বলতে হবে। হতে পারেন–তিনি যুক্তিবাদের ছদ্মবেশে আছেন। ফরিদ, আপনিতো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে জামাতই-ই ছিলেন। প্রমাণ চান? প্রমাণ আছে।
৫. মুক্তমনার পাঠকদের কাছে মার্জনা চাচ্ছি ফরিদ-অভিজিৎদের খেউড়ের জবাব দিতে হল বলে। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি তাদের খেউড় মার্কা একটা পোস্টের মিথ্যাবাদিতার বিষয়ে লিখেছি অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায়। কারো নামও নেইনি। আমার কাছে অভিজিতের ফেসবুকে এবং মুক্তমনায় আমার বিরুদ্ধে করা খিস্তি খেউড় গালিগালাজাদের সকল মন্তব্য সংরক্ষিত আছে। সেটা ইচ্ছে করলে এখানে প্রকাশ করতে পারতাম। সেটা এই পোস্টের মেরিট অনুসারে করিনি। করলে, যুক্তিবাদের পীরসাহেবের বেলুন ফুটো হয়ে যেত।
৬. এই পোস্টটা এখানে দেওয়ার উদ্দেশ্য হল–ফরিদ আহমদ এবং অভিজিৎ দুজনে মিলে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে নানা ধরনের মিথ্যাচার করেছেন। এগুলোর আসল সত্যিটা কি সে বিষয়ে মুক্তমনার সদস্যদের জানা দরকার। না হলে তাদের ভুয়া তথ্যই সকলেই বিশ্বাস করবে। লোকে বিভ্রান্ত হবে। এই দুজনে তাদের এই দুষ্কর্মকের আড়াল করার জন্যই এখানে লেখার বিষয় ঘুরিয়ে দিয়ে ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে গালিগালাজ করলেন। আমি প্রস্তাব করেছিলাম–ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আলাদা পোস্ট দেন। সেটা নিয়ে কথা বলি। সেটা না করে–রাজাকারী স্টাইল ধরলেন। গ্রেট।
৭. অচিরেই আপনাদের বিভ্রান্তিকর লেখার নিয়ে পোস্ট লিখব। সৎসাহস থাকলে তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আইসেন। কথা বলা যাবে।
@কুলদা রায়,
দারুণ একটা জিনিস আবিষ্কার করেছেনতো দেখছি। মুগ্ধ আমি আপনার প্রতিভায়। মাহফুজ স্যারের টাকার ভাগও নিশ্চয়ই পেয়েছি আমি, তাই না? গুড গুড গুড।
আমরা বুঝে শুনেই জামাত হয়েছি। প্রচুর মালকড়ি পাওয়া যায় জামাত করলে যে। রবি ঠাকুররে পচায়া কত পাইছি শুনলে আপনিও আমাদের সাথে সাথে জামাত হয়ে যাবেন।
আরে কী যে বলেন। আপনার কথাই সই। প্রমাণ আবার দিতে হবে নাকি? তবে ইয়ে, বলার আগে একটু কুদ্দুস স্যারের সাথে কথাবার্তাটা একটু সেরে নিলে পারেন। আমি আবার পিলসুজের সাথেও একটু আধটু জড়িত ছিলাম কি না।
আপনি যখন জেনেই গিয়েছেন, অস্বীকার করি কী করে? নিজামীর নাত জামাই হওয়াতো ভাগ্যের ব্যাপার। তাই না?
বাংলাদেশটা এমনিতেই ছোট দেশ। সবাই সবাইরে চেনে। এই যে দেখেন না নিজামীর নাত জামাই না হয়ে আপনি কেমন দিব্যি জেনে গেলেন যে, আমি মাহফুজ স্যারের বন্ধু। এই গোপন তথ্য কি আমি কোনোকালে দিয়েছি এইখানে। দেই নাই। আর আপনারটাতো আমার জন্য খুবই সোজা। এত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষের নাত জামাই আমি। পুরো জামাতের ইন্টেলিজেন্সের জোগাড় করা সব খবর আমার কাছে আসে।
মুক্তমনার সদস্যরা মনে প্রচণ্ড দুঃখ পাবে জেনে যে আপনার মত ঠাণ্ডা মাথার একজন লোকও এই অভিজিৎ আর ফরিদের মত দুই জামাতি মিথ্যাবাদীর কারণে শেষ পর্যন্ত খেউড়ে উত্তর দিলেন। তবে, তারা ঠিকই আপনাকে মার্জনা করে দেবে। আপনিতো আর স্বেচ্ছায় খেউড় দেন নি, বাধ্য হয়ে দিয়েছেন।
কী করবেন বলেন। রাজাকাররাতো রাজাকারী স্টাইলই ধরবে তাদের মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে। এ ছাড়াতো আর কোনো উপায় নেই তাদের।
আরে দাদা, কী যে বলেন। পোস্ট লিখতে হবে না। হুমকি শুনেই ভয়ের চোটে এখনই লেপের তলে চলে যাচ্ছি।
@ কুলদা রায়
শুধু গান শোনা আপনার প্রিয় কাজ তা নয়, প্রমানিত হলো গান সম্পর্কে এত এত তথ্য জানাও আপনার প্রিয় কাজের একটি।
****একটু ঈর্ষা হচ্ছিল গান নিয়ে এত জানেন দেখে। পরে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম এই বলে যে, কেউ একজনকে তো জানতেই হবে। বিভিন্ন কারনে আপনার এই লিখাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই অশেষ… অশেষ… অশেষ… ধন্যবাদ। 🙂 ****
অমর পালের গানটা আগে কখনো শুনিনি। দারুণ লাগলো। লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলা স্বরলিপি কবে শুরু হল একটু জানাবেন নাকি? বাংলাতে বাউল সূরের শুরুর সময়টা প্রায় কখন জানতে পেলেও ভালো লাগতো।
@কাজী রহমান, উনিশ শতকে বাংলা গানে স্বরলিপির প্রচলন ঘটে।
এর আগ পর্যন্ত ভারতবর্ষে গানের সুর লিখে রাখার কোনো রীতি ছিল না। গান শিষ্য পরম্পরারয় এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে চলে যেত। তার ফলে গানের সুরের বিকৃতি ঘটত। ইংরেজদের আদর্শ দেখে বাঙালিরা স্বরলিপি লেখার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এ ব্যাপারে জোড়াসাঁকো এবং পাথুরীঘাটার দুই ঠাকুর পরিবার বিশেষ অবদান রাখেন।
@কুলদা রায়,
তার মানে বাংলা স্বরলিপির বয়স তাহলে খুব বেশি নয়। সুজন চৌধুরীর স্বরলিপির পার্থক্য দিয়েও হয়ত খুব বেশী পেছনেও যাওয়া যাবেনা, কি বলেন? অন্য দিকে শিষ্য পরম্পরার কারনে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের গানের সূরে যে পার্থক্য ঘটেছে তা ও তো অনস্বীকার্য। স্বরলিপি দিয়ে যে কোন গানকে বেঁধে ফেলবার আগ পর্যন্ত তাহলে ঐ গুরু শিষ্যই ছিলো ভরসা, না কি?
বাংলা স্বরলিপিতে জোড়াসাঁকো এবং পাথুরীঘাটার দুই ঠাকুর পরিবার বিশেষ অবদান ব্যাপারটা সবার বেশ একটু জানা উচিৎ বলে মনে করি।
@কাজী রহমান, স্বরলিপি আসার আগে বাংলা গান গুরুশিষ্য পরম্পরায় রক্ষিত হত।
বাউল সঙ্গীত সতেরো শতকের আগে উদ্ভব হয়নি। বাউল সম্প্রদায় আঠারো শতকে জনপ্রিয়তা পায় । লালন ফকিরের আবির্ভাবে এর চূড়ান্ত বিকাশ ঘটে। এটা আসলে ভাটিয়ালিরই একটি ধারা।