আবুল কাশেম
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১
[রচনাটি এম, এ, খানের ইংরেজি বই থেকে অনুবাদিত “জিহাদঃ জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও ক্রীতদাসত্বের উত্তরাধিকার” গ্রন্থের ‘ইসলামি ক্রীতদাসত্ব’ অধ্যায়ের অংশ এবং লেখক ও ব-দ্বীপ প্রকাশনের অনুমতিক্রমে প্রকাশিত হলো। এ পর্বে আলোচিত হয়েছে:]
ইসলামি ক্রীতদাসত্ব, খণ্ড ২
লেখক: এম, এ, খান
প্রাচীন বিশ্বে দাসপ্রথা
ইসলাম দাসপ্রথার প্রবর্তক নয়; তাতে শুধু ইসলামের একচেটিয়া কর্তৃত্বও ছিল না। খুব সম্ভবত সেই আদিম বর্বরতার যুগে দাসপ্রথার উৎপত্তি হয়েছিল এবং তা লিখিত ইতিহাসের পুরোটা ব্যাপী বিশ্বের প্রধান প্রধান সভ্যতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল। দাসপ্রথা ব্যাবিলোনিয়া এবং মেসোপটেমিয়াতেও প্রচলিত ছিল। খ্রিষ্টান ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে প্রাচীন মিশর, গ্রিস ও রোমেও দাসপ্রথা বিশেষ লক্ষ্যণীয় ছিল। খ্রিষ্টান ধর্মগ্রন্থে দাসপ্রথা অনুমোদিত ও মধ্যযুগের খ্রিষ্টানজগতে দাসপ্রথা চালু ছিল।
প্রাচীন মিশরে:
প্রাচীন মিশরে পিরামিড নির্মাণে ক্রীতদাসরা শ্রমিকের কাজ করেছে। বিখ্যাত গ্রিক পরিব্রাজক হেরোডটাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৪-৪২৫ সাল) জানান: গিজার বিখ্যাত পিরামিডটি নির্মাণে প্রায় ১০০,০০০ শ্রমিক ২০ বছর ধরে কাজ করেছিল; মিশরের প্রাচীন সাম্রাজ্যের চিওপ্স নামক ফারাও (শাসনকাল খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৮৯-২৫৬৬ সাল) এটি নির্মাণ করেছিলেন, যা ছিল বিশ্বের প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি।[৭] কিংবদন্তির কাহিনী থেকে শোনা এ সংখ্যা স্পষ্টতঃই ছিল অতিরঞ্জিত; তথাপি এ তথ্যটি প্রমাণ করে যে, তৎকালে এরূপ কাজে ব্যাপক সংখ্যায় ক্রীতদাস ব্যবহৃত হতো। মিশরের ফারাওরা যুদ্ধের মাধ্যমে ক্রীতদাস সংগ্রহ করতেন অথবা বিদেশ থেকে তাদেরকে ক্রয় করতেন। সেসব ক্রীতদাস ছিল রাষ্ট্রের সম্পদ, ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে তাদেরকে উপহার হিসেবে সেনানায়ক বা যাজকদেরকে দেওয়া হতো।
প্রাচীন গ্রিসে:
গ্রিসের প্রাচীন নগররাষ্ট্রে, যেমন এথেন্স ও স্পার্টায়, দাসপ্রথা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল। স্বাধীন নাগরিক এবং বিদেশীদের পাশাপাশি ‘হিলোট’ নামক একটি শ্রেণীও বাস করতো গ্রিসে। হিলোটরা ছিল দাসশ্রেণীর, যারা দাসের মতই দায়বদ্ধভাবে কৃষিকাজসহ চাকর-বাকরের মতো কাজ করতো। অনেক পণ্ডিত ধারণা করেন যে, এর ফলে সমাজের উঁচু স্তরের লোকজন ও স্বাধীন নাগরিকরা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় রত হওয়ার সুযোগ পায় এবং সে কারণেই প্রাচীন গ্রিস বুদ্ধিবৃত্তিক, রাজনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। গ্রিক কৃষকদের বড় একটা অংশ ভূমির মালিক ছিল না। ফলে উৎপাদিত ফসলের বড় একটা অংশ জমির মালিকদেরকে দিতে হতো। এর ফলে তারা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়তো এবং শেষ পর্যন্ত নিজেদেরকে দাস হিসেবে সমর্পণ করে ‘হিলোট’ শ্রেণীতে যুক্ত হতো। জানা যায়, এক সময় এথেন্সে মাত্র ২,১০০ স্বাধীন নাগরিকের বিপরীতে ৪৬০,০০০ ক্রীতদাস ছিল। স্পার্টার চেয়ে এথেন্সে ক্রীতদাসরা তুলনামূলক ভাল আচরণ পেতো। পরবর্তীকালে ড্রাকো’র সংবিধান (খ্রি: পূ: ৬২১) ও সলোন (জীবনকাল খ্রি: পূ: ৬৩৮-৫৫৮)-এর আইনে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বানানো হয়; ফলে তাদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটে। সলোনের ফরমান ঋণের কারণে দাসকরণ নিষিদ্ধ করে। এ সময় ক্রীতদাসরা কিছু মৌলিক অধিকার ভোগের সুযোগ পায় এবং রাষ্ট্র ব্যতীত অন্য কারো দ্বারা ক্রীতদাসকে মৃত্যুদণ্ডদান নিষিদ্ধ করা হয়।
রোমান সাম্রাজ্য:
প্রাচীন রোম প্রজাতন্ত্র ও রোম সাম্রাজ্যের প্রাথমিক যুগে জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিল ক্রীতদাস।[৮] অগাস্টাস সিজারের শাসনামলে (শাসনকাল খ্রি: পূ: ৬৩-১৪) এক দাসমালিক নাকি ৪,০০০ ক্রীতদাস রেখে মারা যান।[৯] খ্রি: পূ: দ্বিতীয় শতাব্দি পর্যন্ত দাসমালিকরা বৈধভাবে ক্রীতদাসকে হত্যা করতে পারতো, যদিও তা ঘটতো খুবই কম। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২ অব্দে কর্নেলিয়ান আইনের মাধ্যমে ক্রীতদাস হত্যা নিষিদ্ধ হয়; ৮২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের পেট্রোনিয়ান আইন ক্রীতদাসদেরকে যুদ্ধে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। সম্রাট ক্লডিয়াসের শাসনকালে (৪১-৫৪ খ্রি:) মালিকের অবহেলার কারণে ক্রীতদাসের মৃত্যু ঘটলে, মালিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হতো। বিখ্যাত বক্তা, লেখক, দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ ডিয়ো ক্রিসোস্টোম সম্রাট ট্রজানের শাসনামলে (৯৮-১১৭ খ্রি:) দাসপ্রথার নিন্দা করে ‘ফোরামে’ প্রদত্ত তার দুটি বক্তৃতা (১৪ ও ১৫) উৎসর্গ করেছিলেন। ঐতিহাসিক, দার্শনিক ও উচ্চপদস্থ রাষ্ট্রীয় কর্মকতা সেনিকা দ্য এল্ডার (৫৪−৩৯ খ্রি: পূ:) কর্তৃক লিখিত ‘দা ক্লিমেন্সিয়া’ (১:১৮)-তে লিখিত হয়েছে যে, ক্রীতদাসদের উপর নিষ্ঠুর আচরণকারী মালিকদেরকে প্রকাশ্যে ভড়ৎসনা করা হতো। পরবর্তীকালে সম্রাট হাড্রিয়ান (শাসনকাল ১১৭-১৩৮ খ্রিষ্টাব্দ) কর্নেলিয়ান আইন পুনঃপ্রবর্তন করেন। সম্রাট কারাকালার (শাসনকাল ২১১-২১৭ খ্রিষ্টাব্দ) অধীনে স্টয়িক (ভোগবিরোধী) আইনজীবী আলপিয়ান পিতা-মাতা কর্তৃক সন্তানদেরকে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি করা অবৈধ করেন। রোমের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য পৌত্তলিক সম্রাট ডিয়োক্লিশিয়ান (শাসনকাল ২৮৪-৩০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ঋণদাতা কর্তৃক ঋণগ্রস্তকে ক্রীতদাসকরণ এবং ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের জন্য নিজেকে ক্রীতদাস হিসেবে সমর্পণ করা নিষিদ্ধ করেন। কনস্টানটাইন দ্য গ্রেট (শাসনকাল ৩০৬-৩৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) ক্রীতদাস বিতরণকালে পরিবারের সদস্যদেরকে বিচ্ছিন্ন করা নিষিদ্ধ করেন। স্পষ্টতঃ খ্রিষ্টানপূর্ব রোমান সাম্রাজ্যে ক্রীতদাসদের অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছিল।
প্রাচীন চীনে:
প্রাচীন চীনে ধনী পরিবারগুলো ক্ষেত-খামারের ও বাড়ির চাকর-বাকরের কাজের জন্য ক্রীতদাস রাখতো। সম্রাটরা সাধারণত শত শত, এমনকি হাজার হাজার ক্রীতদাস রাখতেন। অধিকাংশ ক্রীতদাস ছিল ক্রীতদাস মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণকারী। কিছু সংখ্যক ক্রীতদাস হতো ঋণশোধে ব্যর্থ হয়ে; অন্যেরা ছিল যুদ্ধে আটককৃত বন্দি।
প্রাচীন ভারতে:
অপর একটি বড় প্রাচীন সভ্যতা ভারতে দাসপ্রথার উল্লেখ খুবই সামান্য। বিখ্যাত গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস (খ্রি: পূ: ৩৫০-২৯০) − যিনি গ্রিসসহ তার সফর করা অন্যান্য বহু দেশে দাসপ্রথা সম্পর্কে বিশেষ পরিচিত ছিলেন − তিনি লিখেছেন: ‘ভারতীয়রা সবাই স্বাধীন; তাদের কেউ-ই দাস নয়; এমনকি তারা বিদেশীদেরকেও দাস বানায় না; সুতরাং তাদের নিজস্ব দেশীয় লোকদেরকে ক্রীতদাস বানানোর প্রশ্নই উঠে না।’[১০] একইভাবে মুসলিম ইতিহাসবিদরা, যারা ভারতে ইসলামি ক্রীতদাসকরণের ভুরি-ভুরি বিবরণ লিখে গেছেন, তারাও ইসলামপূর্ব হিন্দু সমাজে দাসপ্রথার কথা উল্লেখ করেননি। তবে প্রাচীন ভারতেও দাসপ্রথা যে কিছু মাত্রায় বিদ্যমান ছিল, তা অনুমান করা যায়, কেননা ঋগবেদে (প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ) দাসপ্রথার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও বুদ্ধের শিক্ষাসহ অন্যান্য দার্শনিক ও ধর্মীয় সাহিত্যে দাসপ্রথার উল্লেখ পাওয়া যায়।
বুদ্ধ (জীবনকাল অনুমান খ্রি: পূ: ৫৬৩-৪৮৩ সাল) তাঁর অনুসারীদেরকে নির্দেশ দেন ক্রীতদাসদেরকে এমন পরিমাণ কাজ দিতে, যা তারা সহজেই করতে পারে। ক্রীতদাসরা অসুস্থ হলে তাদের সেবাযত্ন করতে তিনি দাসমালিককে উপদেশ দেন। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কৌটিল্য (বা চানক্য), যার শিষ্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য বিখ্যাত মৌর্য সাম্রাজ্য (আনুমানিক ৩২০-১০০ খ্রিঃ পূর্বাব্দ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনি দাসমালিক কর্তৃক বিনা কারণে ক্রীতদাসদেরকে শাস্তি দান নিষিদ্ধ করেন; এ নির্দেশ ভঙ্গ করলে রাষ্ট্র মালিকদেরকে শাস্তি দিতো। মৌর্য বংশের সম্রাট অশোক (শাসনকাল ২৭৩-২৩২ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ) তার পাথরে খোদাইকৃত ৯ নং অনুশাসনে দাসমালিককে ক্রীতদাসের প্রতি সহানুভূতিশীল ও বিবেচনাপ্রসূত আচরণ করার উপদেশ দেন।
প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ঋগবেদে ক্রীতদাস উপহার দেওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে এবং শাসকরা উপহারস্বরূপ নারী ক্রীতদাসদেরকে প্রদান করতেন। ভারতে ক্রীতদাসরা শাসকদের প্রাসাদে, অভিজাতদের প্রতিষ্ঠানসমূহে ও ব্রাহ্মণদের ঘরে গৃহ-পরিচারক বা চাকর-বাকরের কাজ করতো। সম্ভবত ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ লোকেরা ভারতে ক্রীতদাস হতো।[১১]
তবে এটা বোঝা যায় যে, প্রচীন ভারতে দাসপ্রথার চর্চা ছিল খুবই সামান্য এবং তৎকালীন মিশর, গ্রিস, চীন ও রোমের তুলনায় ভারতে ক্রীতদাসরা অধিকতর মানবিক আচরণ পেত। ক্রীতদাসরা কখনোই বাণিজ্যিক পণ্য বিবেচিত হয়নি ভারতে, সেখানে কখনোই দাস বেচাকেনার বাজার ছিল না। মুসলিমরা দাস-বাণিজ্য আনয়নের আগে দাস-বাণিজ্য ভারতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কোনো অংশ বা বৈশিষ্ট্য ছিল না।
খ্রিষ্টান ধর্মে দাসপ্রথা:
নিউ টেস্টামেন্টে দাসপ্রথা সুস্পষ্টরূপে স্বীকৃত, এমনকি অনুমোদিত (ম্যাথিউ ১৮:২৫, মার্ক ১৪:৬৬)। উদাহরণস্বরূপ যিশু ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের জন্য পরিবারসহ নিজেদেরকে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি হওয়ার পরামর্শ দেন (ম্যাথিউ ১৮:২৫)। একইভাবে সেন্ট পলের কয়েকটি শ্লোকে, যেমন ইফ. ৬:৫-৯, কর. ১২:১৩, গল. ৩:২৪ ও কোল. ৩:১১ প্রভৃতি দাসপ্রথা এবং দাস (বাঁধা) ও মুক্ত মানুষের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ।
নিউ টেস্টামেন্টের এসব অনুমোদনমূলক বা সম্মতিসূচক উক্তিই সম্ভবত অবিশ্বাসীদেরকে (অখ্রিষ্টানদেরকে) ক্রীতদাসকরণে খ্রিষ্টানদেরকে উৎসাহিত করেছিল। স্পষ্টতঃ খ্রিষ্টানপূর্ব রোম সাম্রাজ্যে দাসপ্রথা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছিল এবং দাসদের অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছিল। চতুর্থ শতাব্দীতে সম্রাট কনস্টানটাইনের খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণের পর যখন খ্রিষ্টানরা রাজনৈতিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, তখন পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ খ্রিষ্টানপন্থি সম্রাট ফ্লাভিয়াস গ্রাটিয়ানাস (শাসনকাল ৩৭৫-৩৮৩ খ্রিষ্টাব্দ) এ অনুশাসন জারি করেন যে, কোন ক্রীতদাস মালিকের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ করলে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। ৬৯৪ সালে স্পেনীয় সম্রাট চার্চের চাপে ইহুদিদেরকে খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহণ অথবা ক্রীতদাসত্ব বরণ করার নির্দেশ দেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে চার্চের ফাদার ও পোপরা মধ্যযুগে খ্রিষ্টান জগতে দাসপ্রথার বৈধতা দিতো। আধুনিক যুগের শুরুতে ইউরোপে এ ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখেও তারা দাস-বাণিজ্যের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে। বার্ট্রান্ড রাসেল লিখেছেন: ‘প্রত্যেকেই জানে যে, চার্চগুলো যতদিন পেরেছে সাধ্যমতো দাসপ্রথা বিলুপ্তিকরণের বিরোধিতা করেছে।’[১২]
[আগামী পর্বে আলোচিত হবেঃ ভারতে মুসলিমদের দ্বারা ক্রীতদাসকরণ]
সূত্রঃ
7. Lal (1994), p. 2
8. Slavery, Wikipedia, http://en.wikipedia.org/wikis/Slavery
9. Lal (1994), p. 3
10. Ibid, p. 5
11. Ibid, p. 4
12. Russell B (1957) Why I Am Not a Christian, Simon & Schuster, New York, p. 26
@Abul Kashem,
শেষ একটি কথা। যে উদ্দেশ্যে আপনাকে লিখা তার উত্তর আপনি দেননি। চারটি পয়েন্ট দিয়ে বাস্তবে কার্যে পরিনত করে, প্রথমিক রাস্তা দেখিয়েছি- সৃষ্টিকর্তা-কে জানার ও উপলদ্ধি করার। আপনার কি সাহস নেই কার্যে পরিনত করার বা কথাগুলো অর্থহীন মনে করেন বা ভিন্ন কোনো মতামত আছে? জানাবেন please.
@Masud,
এই লেখাটা হচ্ছে ইসলামে দাসত্ব প্রথা নিয়ে। কিন্তু আপনার বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ অন্য ব্যপারে, একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক এবং অবান্তর। যাই হোক, আপনি ত আমাকে কোন প্রশ্নই করেন নাই—শুধু চারটি হেদায়েত দিয়েছেন। দেখুন আপনি কী লিখেছিলেন–
আপনিই বলুন–এই সব কী প্রশ্ন? আপনার এইসব উপদেশের সাথে এই রচনার কী সম্পর্ক তা আমাকে দেখান।
যাই হোক, আপনি যদি নিতান্তই আমার মতামত চান–তবে সেগুলো হবে
১। জীবিতদের কেমন করে ত্যাগ করব? না তা করব না।
২। কোন অসুবিধা নাই।
৩। এতেও কোন অসুবিধা দেখি না।
৪। দিন মজুর হয়ে জীবিকা নির্বাহে কোন সমস্যা নাই। সব পরিশ্রমেরই মূল্য আছে।
@Abul Kashem,
আপনা-কে ধন্যবাদ, আপনার সংযমের জন্য।
That is not Muhammad Siddique, ভুল বশত নাম লিখা হয়েছে।
না, আমি আপনা-র সম্পর্কে কোন মন্তব্য করিনি। এই সাইটে কিছু অহংকারী-সবজান্তা লেখক আছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলা, যারা সর্বদা নীজেদের কু-প্রবৃত্তি-র উপর নীজেদের অস্তিত্ব ভাসিয়ে রাখতেছে।
নীজের অস্তিত্বের সাথে সৃষ্টিকর্তা-র অস্তিত্বের সরাসরি সম্পর্ক। (এইজন্যই আপনা-কে সাহসী হতে বলেছিলাম।) বিশ্বাস দিয়ে এটা কখনই মাপা যাবে না। আর যুক্তি-র প্রশ্নই আসে না। (আপনার অন্তর-জ্বালা কষ্ট কোন যুক্তি দিয়ে আপনার ছেলে বা মেয়ে-কে বুঝাবেন? )
আপনার প্রতি শুভ কামনা । No more.
@Masud,
আমিও আপনার শুভ কামনা করি। নো মোর–নো প্রব্লেম।
ভাইজান,
The Spirit of Islam by Aamir Ali আমি পড়েছি। এতে অসাধারণ কিছুই দেখি নাই। সেই চর্বিত চরণ অন্যান্য আরবি অথবা পারসিয়ানরা যা লিখেছেন—তারই পুনরাবৃত্তি। আর আমির আলী ত একজন শিয়া মুসলিম ছিলেন–বিবাহও করেছিলেন এক বৃটিশ নাগরিককে (স্মৃতি থেকে বললাম–ভুল হলে মার্জনা চাইছি)। তাহলে সুন্নীরা কেমন করে আমির আলীর কথাবার্তা মানবে?
ভাইজান, কে এই সিদ্দিকি সাহেব জানাবেন কী? আরা তাছড়া আমি কেনই বে এই অজানা সিদ্দিকি সাহেবের বই পড়ব—যখন আমার কাছে রয়েছে ইবনে ইশহাক, তাবারি, ইবনে সা’দ, বোখারী শরীফ, মোসলেম শরীফ এবং সর্ব্বপরি কোরান শরীফ। আপনি কী মনে করেন সিদ্দিকি সাহবের লেখা বই এই সব বিশাল ইসলামি পণ্ডিতদের চাইতে বেশী কিছু?
ভাই, আমি আপনাকে বার বার বলছি–আমি কী বুঝি নাই তা জানান—কী ভুল বুঝেছি তাও জানান।
আমি কাউকে পাগল বলেছি কী? বললে আমি নিজেকেই পাগল বলেছি।
এই দেখুন আমি কী লিখেছিলাম—
আর আপনি বলছেন আমি নাকি আপনাকে সহ অন্যান্যদের পাগল বলেছি। আমি কী নবিজীকে কখনও পাগল বলেছি? বরং আমি সর্বদায় বলেছি এবং এখনও বলি—নবিজী যা করেছেন তা সজ্ঞানে করেছেন—
আমার লেখায় কী কুপ্রবৃত্তি দেখেছেন, ভাইজান? আমি কী কাউকে ঠকিয়েছি, কাউকে খুন করেছি? লুটতরাজ করেছি? বিধর্মিদের উপর জিহাদ চালিয়েছি? যৌন-দাসী রেখেছি? অথবা বিধর্মি যুদ্ধ বন্দীদেরকে বলাৎকার করেছি এবং তাদেরকে আমার সাঙ্গপাঙ্গদের মাঝে বিতরণ করে দিয়েছি যৌন উপভোগের জন্য? এইসব কর্মকাণ্ড কে করে গেছেন বলবেন কী?
@Abul Kashem,
আপনার সব উত্তর এখানে দেয়া সম্ভব নয়। এক লাইন বাংলা টাইপ করতে, আমার পাচঁ মিনিটের বেশী সময় লাগে।
The Spirit of Islam by Aamir Ali, মানবতার বন্ধু মোহাম্মদ (স.) by Mohammad Siddique পড়লে আপনার অনেক উত্তর পাবেন। Reference দেয়া আছে।
আসল কথায় আসি-
আপনা-কে আপনার নীজের সত্বার মুখামুখি হতে বলেছি। চারটি পয়েন্ট দিয়ে রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছি। নীজেকে সাহসী করে কার্যে পরিনত করুন।
“অন্তরে মোহর মারা” কোরানের যে আয়াত নিয়ে হাসাহাসি করেন, কার্যে পরিনত করার পর আর হাসবেন না। শুধু আপনি না, দুনিয়ার কেউ হাসবে না।
ইহা তামাসা নয়।
কতগুলা অহংকারী-চামছা না বুঝেই, অন্যদের পাগল বলে, অথচ নীজেদের সম্পর্কে জ্ঞানহীন, সর্বক্কন নীজেদের কুপ্রবৃত্তির উপর নীজের অস্তিত্ব ভাসমান।
যে নীজের সত্বা-কে নিজে অনুভব করতে জানে না, তাকে কি বুঝানো যাবে?
খুব ধন্যবাদ, ভাইজান। আপনার প্রশংসা আমাকে অনুপ্রাণিত করছে ইসলাম নিয়ে আরও নাড়াচাড়ার জন্য।
এই সব কি আবোল তাবোল বললেন? আপনার যুক্তির বলিহারি। আমরা এখানে ইসলামের দাসত্ব প্রথার উন্মোচন করছি—আর আপনি আমাকে বলছেন ‘নিজেকে জানতে’। এটা কী ধরণের কথা? আসুন আপনিও একটা প্রবন্ধ লিখুন এম এ খানের রচনাকে খণ্ডন করে। আপনার যুক্তি, তত্ত্ব ও তথ্য সত্যি হলে আমি তা মেনে নিব এবং এম এ খানকে অনুরোধ করব তাঁর বই বাজার থেকে উঠিয়ে নিতে, এবং পাঠকদের নিকট মার্জনা চাওয়ার জন্য—এবং তওবা করে আবার মুসলমান হয়ে যেতে।
কেন আমি তা করব? ভাইজান, আপনার মনে কী আছে আমি কী জানি? Face to face হতে হবে কেন? আমরা ত এখানে কাউকে ফেস টু ফেস পড়তে দেখি না। কেন আপনার সাথে ফেস টু ফেস হবে? তবে আপনি কী আমাকে হত্যা করার অভিপ্রায় জানাচ্ছেন এর মাধ্যমে? কেননা নবীজি যে তাই-ই করে গেছেন উনার জীবদ্দশায়। আর আজকাল তাঁর প্রগাঢ় শিষ্যরা তাঁরই পদক্ষেপ মেনে চলছে—বিশ্বব্যাপী চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড, লুট তরাজ…নারকীয় অবস্থা। যান দেখে আসুন পাকিস্তান, আফগানিস্তান….আমাদের নবীজি রূহ এখনও জীবিত রয়েছেন এসব ইসলামি স্বর্গগুলিতে। ঘুরে আসুন ইরান, উত্তর সুদান, উত্তর নাইজেরিয়া, সোমালিয়া। কী ইসলামি শান্তিই না সেখানে বিরাজমান। আপনিও কী আমাকে ঐ ইসলামি শান্তির জন্য আহবান জানাচ্ছেন? না, ভাইজান আমি কি পাগল যে আপনার এই ইসলামি ফাঁদে পা দিব?
যাই হোক, আপনি আসুন আমরা এই মুক্তমনাতেই মুক্ত ভাবে আলাপ আলোচনা করি—একে অপরের কাছ থেকে কিছু শিক্ষার বা জানার থাকলে তা জেনে নেই। কী বলেন ভাই?
ভাইজান, আমরা এখানে আলোচনা করছি ইসলামি দাসত্ব প্রথা নিয়ে আর আপনি সূত্রপাত করলেন স্পেস-টাইম-আপেক্ষিক তথ্য নিয়ে। কী অপূর্ব! এই কী ইসলামি যুক্তি?
তাই নাকি? তা হলে নবিজীও কী এই পর্যায়ে পড়েন? আবু বকর, ওমর, ওসমান, আলী এঁদের কী হবে? আরা আজকাল যেসব মোমেনেরা বুকে বোমা বেঁধে নবীজির সম্মানে নিজের জীবন উৎসর্গ করে যাচ্ছে—তারাও কী ১০০% মুসলিম নয়? কি বলেন ভাই? ওসামা, জাওহিরী, আনোয়ার আউলাকী, মেজর নিদাল হাসান, মোহাম্মদ আতা….এরা?
ভাইজান, আপনি আমাকে হতাশ করলেন। আপনি দেখুন নবীজি কী বলেছেন, দাড়ি, মোচ, আলখাল্লা, জায়নামাজ, হাঁড়ি পাতিল। বালিশ, বিছানা…এই সব কিছু নিয়ে। বলুন কেন সমস্ত ইসলামি নেতাদের গালে এবং থুতনিতে ঝুলছে দাড়ি? এঁরা কী নবীজিকে মান্য করেন?
ভাল কথা। তাহলে আপনি পাঠকদের জানান ইসলামের কোমল দিক গুলি, জানান প্রকৃত ইসলাম কী।
জানিয়ে দিন সেই সব ঘটনা। দেখান কোথায় আমি ব্যক্তিগত আক্রোশ প্রকাশ করছি। শুধু মুখের কথায় হবে না। আপনি আমার রচনা থেকে প্রমাণ করুন আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছি কাউকে।
উত্তম কথা। আমিও আপনার সাথে তামাশা করছি না। আমিও আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি—আমার প্রবন্ধের বিরুদ্ধে আপনার কোন মতামত থাকলে লিখুন—আমি তার জবাব দিব। এই ভাবেই আমরা ব্যক্তিগত আক্রমণ, কাদা ছুড়াছুড়ি ছাড়াই ফলপ্রসূ আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি। তাতে আমি এবং আপনি ছাড়াও মুক্তমনারা অনেক পাঠক উপকৃত হবেন। আমি যদি কোন কিছু ভুল লিখে থাকি অথবা আপনি যদি জোরালো যুক্তি দিয়ে আমার রচনাকে খণ্ডন করতে পারেন—তবে আমি তা মেনে নিব এবং পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিব—বিভ্রান্তির জন্য।
কী বলেন ভাই?
@আবুল কাশেম,
ভাই মাসুদ ভাইয়ের সাথে তর্ক করে লাভ নেই। সকাল দেখলেই দিন বোঝা যায়। মুক্তমনায় এনাদের মত আরও অনেককে দেখেছি। আপনি কোরান হাদিস থেকে কোন খারাপ জিনিষ তুলে ধরলেই তারা নানা আলতুফালতু কথা বলবেন কিন্তু কখনই যুক্তিযুক্ত কোন উত্তর দিতে পারবেন না। এরা আসলে মোডারেট ধার্মিকদের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ধর্ম নিয়ে এরা একধরণের eutopian মানসিকতায় ভোগেন। ধর্মকে এরা জাগতিক সমস্ত কিছু থেকে আলাদা একটা জিনিষ ভাবেন আর সেটা নিয়ে ভাববাদী তন্দ্রালুতায় মজে থাকেন। মার্ক্স তো আর শুধুশুধু বলেন নি “ধর্ম জনগণের আফিম”।
@আলোকের অভিযাত্রী,
হাঁ, আপনার সাথে একমত।
ভাইজান মাসুদ যে আমার সাথে কোন বিতর্ক কিম্বা ফলপ্রসু আলোচনায় আসবেন না তা আমি জানি।
তবুও আমি চাইছি পাঠকেরা জানুন কি রকম অসার্থ বক্তব্য ভাইজান পোস্ট করেছেন।
মাসুদ ভাইকে বলে যেমন লাভ নেই তদ্রুপ আপনাকে বলেও মনে হয় তেমন লাভ নেই৷ কারণ, যুক্তির উর্ধ্বেও একটা বিষয় আছে: বিশ্বাস৷ বাকি অন্ধভক্ত নয়৷ ভাষা আর যুক্তি অকাট্য কোন মানদণ্ড নয় যে, চোখ বন্ধ করেই মেনে নিতে হবে৷ যুক্তির ভিন্নতা ভ্রষ্টতা ও কুটিলতাও স্বর্বজন স্বীকৃত৷
যাক কথা বাড়াবো না৷ শুধু এতটুকুই বলবো- আমরা স্বাধীন জাতি, তাই বলে কি সব ন্যায় অন্যায় কাজই বৈধ? মুক্তচিন্তা বা মুক্তবুদ্ধি থাকতে পারে আপনার, তাই বলে অন্যকে বিঁধিয়ে আঘাতমূলক কিছু বলা বা লিখা কি বৈধ? অাপনার যদি বাস্তবিক অর্থেই সত্য এবং প্রকৃত বিষয় জানা বোঝা আর পরাঙ্গম করার একান্তই একনিষ্ঠ মনোভাব ইচ্ছা থাকে, তাহলে আসুন না উপযুক্ত স্থানে! আপনার ওষুধ প্রয়োজন আর আপনি ফার্মেসিতে না গিয়ে ছুটছেন সন্যাসির কাছে৷ আপনার মোবাইলে সমস্যা আর আপনি সার্ভিসের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন হাতুড়ি ডাক্তারের কাছে৷ এ কেমন বিচার?
@Rajesh Talukdar,
আপনাদের প্রশংসা করি, পুথি-বিদ্যার জন্যে। এই দেশের মুল্লাদের আপনাদের মতো পুথি-বিদ্যার জ্ঞান থাকলে ভালো হত।
আবুল কাশেম-কে যে পয়েন্টগুলো বাস্তবে কার্যে পরিনত করার জন্যে বলেছি, তার জন্য যে শক্তি বা সাহস দরকার, কোনটাই তার নেই। শুধু সে নয়, এই সাইটে যারা লিখে, কারোরি নেই। যে উদ্দশ্যে লিখা, সেটা আপনাদের কারো বুঝে আসেনি। আপনাদের জ্ঞান নেই, কুপ্রবৃত্তি-র কোন স্তরে আপনাদের অস্তিত্ব ভাসমান।
যারা সৃষ্টিকর্তা-কে চায়, তারা যে সাহসের কাজ করে, তা বুঝার ও অনুভূতির সামর্থ্য আপনাদের নেই। ‘বিবর্তন’ সেই শক্তি আপনাদের দেইনি।
আপনাদের চিন্তায় আপনারা সঠিক। সুতরাং, আপনারা আপনার কাজ করুন।
@Abul Kashem
Thanks for your patience.
আপনার পুথি-গত বিদ্যার প্রশংসা করি। আপনা-কে আহত করার উদ্দেশ্য আমার নয়।
আপনার ভিতরের ‘আমি’-কে জানা থাকলে, ধার্মিক হবেন কি হবেন না – সে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে আপনি মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে মন্তব্য করতেন না। আমি আপনা-কে চ্যালেন্জ করে বলতেছি, আপনি নীজের সম্পর্কে কিছুই জানেন না। যদি চ্যালেন্জ গ্রহন করুন, তবে এখানে নয়, face to face দেখা হবে।[[email protected]] যারা সৃষ্টিকর্তা-র কাছে নীজেকে সমর্পন করে, তারা অনেক সাহসী হয়। আপনা-কে যে চারটি পয়েন্ট দিয়ে সাহসের পরিচয় দিতে বলেছি, এটা সাহসের প্রাথমিক স্তর। ভিতরের ‘আমি’-তে ঢুকার দড়জা। স্পেস ও টাইম ডাইমেনশন-বিহীন আরেকটি জগৎ, যেখানে এই মহাবিশ্বের কল-কব্জা ওই-খানে কাজে আসে না।
এখন প্রকৃত মুসলিম খুজে পাওয়া কঠিন। কাও-কে পেলেও 100% খাটি নয়। ইহা সত্য যে, যারা প্রকৃত মুসলিম, তাদের চিহ্নিত করা যায় না, তারা সূষ্টিকর্তার পক্ক থেকে হেদায়েত প্রাপ্ত। পৃথিবীতে বসবাস করলেও, পৃথিবীর সাথে কোনো সম্পর্ক থাকে না। দাড়িওয়ালা মওলানা, ক্বারী, আলহাজ্ব, সুন্নী, শীয়া, হানাফী, মালেকী……..পারিবারিক সূএে মুসলমান….. এই সবের সাথে মুহাম্মদ (স.) ইসলামের কোনো সম্পর্ক তৈরী করেননি।
আপনি যে সমস্ত কথা তুলে ধরেছেন, পড়ার পর – তা থেকে ইসলামের কঠিনত্ব প্রকাশ পায়। প্রকৃতপক্কে ইসলাম তা নয়। আপনার তুলে ধরার লিখার ভিতরে আনেক ঘটনা বিদ্যমান। অনেক ঘটনা আপনার জানা নেই। আর লিখার মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রোশ স্পষ্ট। শুধু আপনার লিখা নয়, এই সাইটে যারা লিখে, সবারই অন্তরর অবস্তা একই।
আবুল কাশেম, আপনার সাথে তামাশা করার উদ্দেশ্যে, সাহসী হতে বলিনি।
@Masud,
ভাই কিছু মনে করবেন না আপনার দেয়া পরামের্শগুলো আপনি পালন করেছেন তো যথাযত ভাবে?
ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতদূর জানি স্বয়ং নবীজিতো তা ত্যাগ করেন নি বরং গ্রহণ করেছিলেন সার্বিক ভাবে। গনিমতের ভাগ নিয়েছিলেন নিয়মিত। তবে ধর্ম প্রচারকদের মাঝে এক জন এমনটা করেছেন বলে শুনেছি যিনি বুদ্ধ নামেই পরিচিত। তিনি তো নিজেই করেছিলেন পরে নাকি তাঁর একমাত্র পুত্র রাহুল কে তা করিয়ে ছেড়েছিলেন।
কাশেম ভাইয়ের সাথে face to face আলাপ না করে এখানে আপাল করুন না ভাই। এতে অনেক অবিশ্বাসী তাদের হারানো সেই বিশ্বাস আবার ফিরে পাবে। মোহ ভঙ্গ ঘটবে নাস্তিকতার। প্রসস্থ হবে স্বর্গ পথ।
নীচের হাদিসটির কি একটু ব্যাখ্যা দিবেন দয়া করে। বড্ড মঞ্চায় জানতে।
সহীহ বুখারিঃ ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৭:
আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ “মালে গনীমত (War Booty) হিসেবে আমাদের হাতে বন্দিনী আসলে আমরা তাদের সাথে সঙ্গমের সময় যোনিদেশের বাইরে বীর্যপাত ঘটাতাম। অতঃপর এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “তোমরা কি সত্যিই এরূপ কর”? এই প্রশ্নটি তিনি তিনবার করেন। (তারপর তিনি বলেন) – “যে সব আত্মা জন্ম নেয়ার জন্যে নির্ধারিত, সেগুলি আসবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”।”
@Masud,প্রতিটি মানুষই প্রচন্ডভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাষি হতে চায়,অধিকাংশ মানুষ ঈশ্বর পরম সত্য যেনে বিশ্বাষি হয়ে যায় তারা যুক্তিতর্কের ধারধারে না ,আর কিছু মানুষ ঈশ্বর ,ধর্মগ্রন্থ এবং বিজ্ঞান এই তিনটি একসাথে নিয়ে পরমসত্যকে জান্তে চায় আর তখনই শুরু হয় দ্বন্দ ,উদাহরণ ১/ধর্মে পৃথিবী বিছানার চাদরের মত মানে সমতল অথচ বিজ্ঞানে গোলাকার ,২/ধর্মে চন্দ্র সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে , বিজ্ঞানে পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে ,তাছারা চন্দ্র সূর্য কেউই কারো প্রতি ধাবিত হয় না বা চন্দ্র আলো দিয়েও তৈরি নয় ,যাই হোক কাশেম ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ তথ্য বহুল এই লেখাটির জন্য নতুন অনেক কিছুই জানলাম ।
@Masud,
হেমায়েতপুর হাটিয়া যাইবেন, না বাসের টিকেট আছে?
@আকাশ মালিক,
অপরাধবোধে ভুগছি, কিন্তু তারপরও :lotpot: 😀 চাপতে পারছি না।
@রৌরব,
অপরাধবোধ কেন? আচ্ছা দেখুন মানুষটার অবস্থা, একটা মন্তব্যে কতোটা স্ববিরোধী কথা বলেছেন।
অনূবাদের জন্য আপনাকে এবং মূল লখার জন্য এম এ খানকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম,
1.মা, বাবা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে…. যারা জীবিত, তাদের চিরতরে ত্যগ করুন ।
2.আত্নীয়, বন্ধু, পরিচিত সবার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করুন ।
3.নীজের সব সম্পত্তি, অর্থ নিঃস্ব-দের বিলিয়ে দিন ।
4.বাংলাদেশে দিন-মজুরের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করুন ।
উপরের কথাগুলো বাস্তবে কার্যে পরিনত করার সাহস তৈরী করুন। আপনি যদি দাবী করেন, নীজেকে জানেন, নিশ্চই ইহা জীবনের বড় মিথ্যা। আপনার ভিতরের জ্ঞানের প্রয়োজন। পূর্বের সব আর্টিকেল পড়লে বুঝা যায়, ভিতরের জ্ঞান খুব দূর্বল। আপনার পুথি-গত বিদ্যা-কে ধন্যবাদ জানাই।
@Masud,
ভাইজান, আপনি ভাল লিখেছেন।
আমি স্বীকার করছি ইসলামে আমার জ্ঞান অতিশয় দূর্বল। তা আপনি আমাকে কিছু সবক দিন। ইসলামের ভিতরের কিছু জ্ঞান, যা আমি আজ পর্য্যন্ত জানি নাই, তা বিতরণ করুন–আমি লাভবান হব, সেই সাথে পাঠকরাও।
@Masud,
সভ্য মানুষ কি “মা, বাবা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে….” ত্যাগ করে?
“আত্নীয়, বন্ধু, পরিচিত সবার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করুন” — যারা বাবা মাকে থোড়াই কেয়ার করে — তাদের দ্বারা এটা কি সম্ভব? সম্ভব হলে তার পিছনে কি অভিসন্ধি (motive) কাজ করে।
“নীজের সব সম্পত্তি, অর্থ নিঃস্ব-দের বিলিয়ে দিন” — মুহাম্মদ কখনোই সম্পদবান ছিলেন না। সে প্রথমে খেয়েছে-বেচেছে বউয়ের সম্পত্তির উপর; পরে লুটের মালামালের উপর।
“বাংলাদেশে দিন-মজুরের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করুন” — মুহাম্মদ ছিল একজন নিঃস্ব মেষ-ছাগল পালক; সেখান থেকে ইসলামের নামে লুট-পাট, ডাকাতির মাধ্যমে সে ঢনাড্য হয়ে উঠেছিল, দিন-মজুর নয়।
সাম্রাজ্যবাদী আরব আধিপত্য এবং তাদের রপ্তানীকৃত ‘ইসলামী মিথ্যাচারে’ আমাদের মগজ ধোলাই ও ‘স্মৃতিভ্রষ্টতা’। আজ আমরা আমাদের পূর্ব-পুরুষদের সেই ‘উন্নত সভ্যতার (Indian civilization)’ ইতিহাসকে ভুলে ‘ইসলামী শাসনের গৌরব-গাঁথায় পন্চমুখ’! এম এ খানের এ বইটি আমাদের অনেকেরই বিবেককে নাড়া দেবে এবং নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
খুবই সাবলীল ও স্বাচ্ছন্দ অনুবাদ। (F)
সলোনের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। হি ইজ দ্যা ম্যান।
কিন্তু ড্রাকো’র ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। তার কারণে ইংরেজী ভাষায় ‘draconian law’ কথাটার উৎপত্তি হয়েছে। সে যে কোন ছোট অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখেছিলো। এমন কি আপেল চুরির মত ছোট অপরাধেরও। তার বক্তব্য ছিলো যে কোন ছোট অপরাধেরও শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিৎ। আর বড় অপরাধের শাস্তি আরও বড় কি হওয়া উচিৎ সে ব্যাপারে তার কোন আইডিয়া নাই। আর উইকিতে এটা পেলাম যদিও লেখা আছে citation needed.
(Y)
প্রাচীন ভারতে ঠিক কি মাত্রায় দাসপ্রথা ছিল জানি না, তবে ছিল তাতে সন্দেহ নেই। সম্রাট অশোক মোটামুটি বিলুপ্ত করেছিলেন, কেউ কেউ এ জন্য তাকে ইতিহাসে দাস প্রথা বিলুপ্তকারী প্রথম সম্রাট হিসেবে বিবেচনা করেন।
অনেক ধন্যবাদ কাশেম ভাই, আমাদের সামনে তথ্যভিত্তিক একটি সুন্দর লিখা তুলে ধরার জন্য ।
খান সাহেবের ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ মূল্যবান বইটি বিনা মূল্যে আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কাশেম ভাইকে এই গরমে ঠান্ডা (B)
ইতিহাসের আনেক তথ্যে সমৃদ্ধ কৃতদাস সম্পর্কিত লেখাটি পড়ে আনেক কিছু অবগত হলাম।