::রক্তাক্ত প্রদেশ, খণ্ডিত উপমহাদেশ::
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত বৃটিশদের জন্য হাজার মাইল দূর থেকে এত বড় ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করা কঠিন হয়ে পড়ে। বৃটিশরা বেণিয়ার জাত। যোগ-বিয়োগের পরে শেষ লাইনে যদি একটা নেগেটিভ চিহ্ন আসে, তাহলে আর সেখানে সময় ব্যয় করার কারণ দেখে না। মাথা মোটা অ্যামেরিকানরাই কেবল নিজেদের ভাণ্ডার খালি করে, দেশকে মন্দার ভেতর নিপাতিত করে, ইরাক-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের বন-জঙ্গলে পাহাড়ে-পর্বতে যুদ্ধ করে বেড়ায়।
বৃটিশরা ঠিকই বুঝে গেছে, যতই কংগ্রেস আর মুসলিম লীগ করুক না কেন, যতই আন্দোলন করুক না কেন, এই ভারতীয়রা নিজেদের স্বাধীনতা নিজেরা যদি অর্জন করতে চায়, তাহলে কমপক্ষে আরো একশো বছর লাগবে। অতএব, স্বাধীনতা জোর করে উপহার দেয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। সমস্যা সেখানে না, সমস্যা হলো তাদেরকে স্বাধীনতা যে উপহার দেয়া হবে, সে উপহার নিতে গিয়েই তারা লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে বসবে। এই অদ্ভুত জাতির অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের মাথামুণ্ডু বুঝতে গিয়ে বৃটিশ প্রশাসকরা অন্দর মহলে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়েছে। নিজদের মধ্যে যখন এদেরকে যুদ্ধ করতে বলা হয়, পাশের বাড়ীর প্রতিবেশিদের সাথে যখন ঝগড়া করতে বলা হয়, তখন এরা সবাই এক-এক জন বীরপুরুষ। কিন্তু, বৃটিশ অফিসের সাদা চামড়ার কেরানীকে দেখলেও শ্রদ্ধায়, বিনয়ে এরা গলে গলে পড়ে। এরকম প্রভূভক্ত প্রজা সাত জনমের ভাগ্যে। সাদা চামড়ার যে এত-এত গুণ, বৃটিশরা উপমহাদেশে এসে সেটা পদে পদে টের পেয়েছে, আর তার সব কার্যকারিতা কড়ায়-গন্ডায় আদায় করে নিয়ে গেছে।
এই সেই অনেক নাটকীয়তার পরে অবশেষে, স্বাধীনতা উপহার তথা ক্ষমতা হস্তান্তরের গুরু দায়িত্বটি এসে পড়লো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের সুপ্রিম কমান্ডার, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের আস্থাভাজন লর্ড মাউন্টব্যাটেন এর উপর। মাউন্টব্যাটেন দায়িত্ব বুঝে নিয়ে, উপমহাদেশে পদার্পণ করে, এদিক-সেদিকে দেখে শুনে বুঝতে পারেন প্রগতিশীল কংগ্রেস নেতা নেহেরুর উপর দায়িত্ব প্রদান করে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে দ্রুতগতিতে ফিরে যাওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু যে জিনিসটা মাউন্টব্যাটেন বুঝতে পারেন নি- এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে মতৈক্য বলে কোনো শব্দের প্রচলন নেই। ভারতীয় কংগ্রেসে হিন্দু আধিপত্যের সাথে পাল্লা দিতে তৈরী হওয়া মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর এ প্রস্তাবে সায় দিবেন সেটা স্বপ্নের মধ্যে আনাটাও বোকামি। জিন্নাহ ঠিকই বুঝে গিয়েছিলো, অভিন্ন ভারত মেনে নেয়া হলে, আর যাই হোক নেহেরুকে পিছন ফেলে তার রাষ্ট্রনায়ক হবার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে। অন্যদিকের নেহেরুর হারানোর কিছু নেই। ভারত বিভাজিত হলেও তিনি রাষ্ট্রপ্রধান, না হলেও রাষ্ট্রপ্রধান। অতএব, অখণ্ডিত ভারতের দাবী নিয়ে কিছু দিন দেন-দরবার করা, মাঠ গরম রাখাটা মন্দ হয় না। অন্যদিকে, একটা অখণ্ড ভারতের জন্য গান্ধী ও তাঁর অনুসারীরা মনে-প্রাণে চেষ্টা করতে লাগলেন। শুধু ধর্মের উপর ভিত্তি করে একটা জাতি, একটা দেশ দুইভাগ হয়ে যাবে; বছরের পর বছর যারা একসাথে মিলেমিশে বাস করেছে, তাদেরকে ভৌগোলিক সীমানা দিয়ে জোর করে, আইন করে দূরে ঠেলে দেয়া হবে, বিবেকবান যে-কোনো মানুষের জন্য সেটা মেনে নেয়া কষ্টদায়ক।
বলে রাখা ভালো, মাউন্টব্যাটেন এর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবার আগেই, ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, রাজনৈতিক ইন্ধনে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিলো। ১৯৪৬ সালের ১৬ই অগাস্ট কলকাতার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় নিহত হয় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ, আহত হয় অগণিতজন। এরই ধারাবাহিকতায় অক্টোবরে বঙ্গে (বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত) অবস্থিত নোয়াখালীর দাঙ্গায় খুন হয় প্রায় আরো পাঁচ হাজার হিন্দু। ধর্ষিত হয় শত শত হিন্দু নারী। অন্যদিকে, মুসলিমদের উপর একই ধরণের অত্যাচার শুরু করা হয় বিহার, পাটনা, ভাগলপুরে। হত্যা করা হয় হাজার হাজার মুসলিম, ধর্ষিত হয় শত শত মুসলিম নারী। অভিযোগ আছে, নোয়াখালীর দাঙ্গায় হাজার হাজার হিন্দু নারী-পুরুষকে জোর করে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। ধর্মান্তরিতদের কাছ থেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে লিখিত নেয়া হয়- তারা স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। (তথ্যসূত্র)
দাঙ্গার খবর পেয়ে এক পর্যায়ে, ১৯৪৬ সালের নভেম্বরে মহাত্মা গান্ধী দলবল নিয়ে উপস্থিত বঙ্গে অবস্থিত নোয়াখালী অঞ্চলে। একবার তিনি মুসলমানের বাড়ীতে যাত্রাবিরতি দেন তো অন্যবার দেন হিন্দুদের বাড়ীতে। নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেন, নিজেদের মধ্যে কলহ বন্ধ করে অখণ্ড ভারতের দাবীর সাথে একাত্ম হতে। বুঝাতে চাইলেন ধর্মের উপর ভিত্তি করে দেশভাগ, ধর্মে ধর্মে জীবন বিনষ্টকারী কলহ-দাঙ্গা নিতান্তই দুখঃজনক। কিছু দিনের মধ্যে স্থানীয় মুসলিমরা গান্ধীর কাছ থেকে সহযোগিতার হাত গুটিয়ে নিলো। তাঁর সভায় আহবানে উপস্থিত হলো না একজন মুসলিমও; নগ্ন পায়ে হাঁটতে অভ্যস্ত গান্ধীর চলার পথে ছড়িয়ে রাখলো হাঁড়ের টুকরা আর কাঁটা। (তথ্যসূত্র)
- ছবিঃ নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধী (ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহকৃত)
এরই মাঝে কংগ্রেসে হঠাৎ ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে যায়। মনোবল হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন গান্ধী ও তাঁর সহকর্মীরা। সমস্ত শান্তি প্রচেষ্টা সেখানেই থমকে যায়। শুরু হয় মাইগ্রেশান, দেশ ত্যাগ। বছরের পর বছর যে মাটির বুকে মিলে মিশে বেড়ে উঠেছে পিতা-মাতা-সন্তান, সে মাটির মায়া ছেড়ে, হাজার হাজার হিন্দু নর-নারী বাংলার মাটিকে বিদায় জানিয়ে আশ্রয় নেয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরায়।
মাউন্টব্যাটেনের ধর্মভিত্তিক দেশভাগের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়লো যে সমস্ত অঞ্চলগুলোতে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর (বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত)। উপমহাদেশের ঐতিহ্যময়, শিক্ষা-সংস্কৃতি-স্থাপত্যে অনন্য শহর লাহোর। পশ্চিমের লাহোর আর পূর্বের বঙ্গ, মূলত এই দুই ভূখণ্ডে হিন্দু-মুসলিমদের সহবস্থান। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে যদি দেশ ভাগ হয়, তাহলে কাদের দখলে যাবে কোন শহর? কে কোথায় কত বেশি শক্তিশালী? সেই ধর্মীয় শক্তিই যদি দেশভাগের মানদণ্ড হয়, তাহলে ঈমান দেখানোর কিংবা ভক্তি দেখানোর এটাই সময়, এত বড় সুযোগ আর কখনো পাওয়া যাবে না। স্বল্পশিক্ষিত, ধর্মান্ধ, যুক্তিহীন, নির্বোধ কিছু মানুষ ভক্তি আর উপাসনার ছলে নিজেরাই নিজেদের সাথে মেতে উঠে মরণ খেলায়। আর তারই ফলস্বরূপ উপমাহাদেশের মাটিতে রচিত হয় ভয়ঙ্কর এক ইতিহাস, ভীতিহাস।
http://youtu.be/GX37eETbwsk
ভিডিওঃ দেশভাগের উপর নির্মিত BBC এর ডকুমেন্টারি (সৌজন্যেঃ ইউটিউব)
দাঙ্গায় মুসলিমরা বাড়িঘর জ্বালিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলো হিন্দুদের, শিখদের। হিন্দু, শিখরা মুসলিমদের বাড়িঘরের একই হাল করলো। লুটেরা, হায়েনাদের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলো উপমহাদেশ। রাতের আঁধারে মুসলিমদের একদল নিজেদের এলাকা পাহারা দেয় তো অন্যদল হিন্দু-শিখদের পাড়ায় আক্রমণ করতে যায়। তরবারির আঘাতে মাথা কেটে ফেলতে যায়। একই অবস্থা হিন্দু-শিখদেরও। তারাও ঘুরে বেড়ায় লাঠি-বল্লম-ছোরা নিয়ে। মুসলিম দেখলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে । শিশু-নারী ধর্ষিত হয়েছে নির্বিচারে। গ্রামের সমস্ত নারীদেরকে এক জায়গায় লুকিয়ে রেখেও রক্ষা হয়নি। ধর্মের দোহাই দিয়ে ইশ্বর-ভগবান-আল্লাহ-খোদার নাম নিয়ে শিরশ্ছেদ করেছে, ধর্ষণ করেছে। এত ক্ষোভ, এত ঘৃণা শুধু অন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি, অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে। অথচ, এই কিছুদিন আগেও, তারা ছিলো প্রতিবেশি; একসাথে হাঁট-বাজারে গেছে, খেলার মাঠে গেছে, এক সাথে নৌকায় নদীর এপার হতে ওপারে গিয়েছে। আগুনের স্ফুলিঙ্গে হলুদ হয়ে আর মানুষের রক্তে লাল হয়ে, দিনের পর দিন কেঁদেছে লাহোর। জিন্নাহ-নেহেরুরা তখন একে অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে, কাদা ছোঁড়াছুড়িতে ব্যস্ত। আর মাউন্টব্যাটেন বুঝে গেছে, যত দ্রুত সম্ভব এদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে পালাতে পারলেই হয়, কোনো ধরণের কালক্ষেপণ নয়, কোনোভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখ পিছানো হবে না, পূর্ব নির্ধারিত তারিখের ভিতর যে করেই হোক ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর নিজেরা নিজেদের সাথে মারামারি করে মাস-বছর-যুগ পার করে দিক, তাতে বৃটিশ সরকারের কিছুই আসবে যাবে না। অতএব, তাড়াহুড়ো করে ধর্মের স্কেল দিয়ে দেশ ভাগ করার জন্য লন্ডন থেকে নিয়ে আসা হলো এক ব্যারিস্টার, যার নাম সিরিল র্যাডক্লিফ।
- ছবিঃ দেশভাগের পর দেশান্তরি সাধারণ মানুষ (ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহকৃত)
র্যাডক্লিফ ভালো করেই জানতেন, যেভাবেই যেমন করেই দেশভাগ করা হোক না কেন, সবপক্ষকে খুশি রাখা সম্ভব হবে না। তবু যতটুকু সম্ভব মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলি পাকিস্তানের আওতায় রেখে, নদীপথ, রেলপথগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে, ছিঁড়ে টুকরো করা হলো ভারতীয় উপমহাদেশ। টেনে দেওয়া হলো সীমানা রেখা। তারপর যা হবার কথা ছিলো তাই হলো। শুরু হলো কান্না। মাটির কান্না। এপারের লাখ লাখ মানুষকে বলা হলো ওপারে চলে যেতে, ওপারের লাখ লাখ মানুষকে বলা হলো এপারে চলে আসতে। ভিটেমাটি ছাড়ার কষ্ট অসহ্য, যে ছেড়েছে সেই জানে। নিজের গ্রাম, নিজের শৈশব, অতীত, পূর্বপুরুষ সবকিছু পেছনে ফেলে রেখে, পরিবার-পরিজন-সন্তান-সন্ততি নিয়ে অজানা অচেনা এক অপরিচিত জায়গায় চলে যেতে বলা হলো নিতান্তই সাধারণ হত-দরিদ্র সব মানুষদের। এ-কষ্ট কখনো দূর হবার নয়, এ-কষ্ট ভুলে যাবার নয়। মানুষের হৃদয়কে বিদীর্ণ করে, টুকরো টুকরো করে, নিজেও টুকরো টুকরো হলো উপমহাদেশ। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীন হলো পাকিস্তান, পূরণ হলো জিন্নাহদের স্বপ্ন। ১৬ই আগস্ট স্বাধীন হলো ভারত, পূরণ হলো নেহরুদের স্বপ্ন। শুধু ভেঙ্গে গেলো চিরকালের ভুক্তভোগী সাধারণ জনতার ঘর, স্বপ্ন, সাজানো সংসার। সেই ভাঙ্গনের ক্ষত আজও শুকায়নি, জোড়া লাগেনি সেই বিদীর্ণ হৃদয়।
মইনুল রাজু (ওয়েবসাইট)
[email protected]
প্রিয় মইনুল রাজু,
আপনার ভীতিহাস পড়লাম ।ঝরঝরে বাংলায় লেখা এমন সুখপাঠ্য ইতিহাস কতদিন পড়িনি ! আপনি যদি ১৯৪৭ এর ১৫ই অগাস্টের পর থেকে ১৯৭১ অবধি টানা তেইশ বছরের বাংলাদেশের চলমান জীবনের এরকম ইতিহাস (টুকরো টুকরো গল্প সহ ) আপনার ভাষায় বর্ণনা করেন তবে খুব ভালো হয়। বিশেষত ,আমি একজন চেস্ট ফিজিসিয়ান এবং ঐ সময়কার যক্ষ্মার ইতিহাস নিয়ে একটা পিরিয়ড পিস লিখছি । বাংলাদেশ রাজনৈতিক ভাবে আলাদা হয়ে গেলেও রোগভোগের ইতিহাসে ডাক্তারের কাছে তো আর আলাদা হতে পারবে না; সেজন্য ঐ সময়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটাও জরুরী । ইন্টারনেটে এতও সজীব ভাষা নেই। আপনার লেখা দিয়ে আমায় সহায়তা করলে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো । ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা নেবেন । আপনাদের দোলনচাঁপা দাশগুপ্ত ।
আমি কি আর বল্ব…সব ত আগেই সবাই বলে রেখেছেন…
অসাধারণ…আপনার আর সব লেখার মতই এটাও অসাধারন।
চালাতে থাকুন।(F)
মনজু ভাই,আপনার লেখাটি পড়ে বুকের ভেতর একটা দীর্ঘশ্বাস অনুভব করছি।প্লিজ চালিয়ে যান।
@ovro banarjee,
আমি আমার বিশাল নামকে ছোট করে ‘মইনুল রাজু’ করলাম। আপনি সেটাকে আরো ছোট করে ‘মনজু’ করে ফেললেন…ইন্টারেস্টিং, বেশ মজা পেলাম দেখে। ভালো থাকবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। 🙂
রাম রহিম কিন্তু পাশাপাশি বাস করতে অভ্যস্ত হয়েই গিয়েছিল।খেটে খাওয়া মানুষরা কখনো দাঙ্গা হাঙ্গামার সূত্রপাত করতে অপরাগ এ ছিল বলা জায়। লুটেরারা রা পরিকল্পিত ভাবে সূত্রপাত করত।তবে বঙ্গের দুর্ভাগ্য বঙ্গভঙ্গ আবার বঙ্গভঙ্গ রোধ আবার ভঙ্গ আর ওইদিকে পাঞ্জাব। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি জিন্নাহ করতে ছেয়েছিলেন কিনা বলা মুশকিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধর্মের কাছে তিনি বলি হয়েছিলেন ভারত ত্যাগের পূর্বে তার শেষ উক্তি ছিল ” দেশ স্বাধীন হল আর আমি দেশ হারালাম”। করুন! কি জানি?…আজ ও এ নিয়ে গবেষণা হছে কে দায়ী ভারত ভাগের জন্য?। তবে জিন্নার ১৯৪৬ এর দেয়া “ডাইরেক্ট অ্যাকশন”
এর ডাক ১৪ই অগাস্ট এর দাঙ্গার সূত্রপাত। তখন বিতর্ক ছিল মুসলিম রা কি মুসলিম জাতি নাকি মানুষ জাতি?।অরথাত আগে মানুষ নাকি আগে মুস্লিম?।আম্রা ছিলাম হিন্দু (সনাতন) হলাম বুধহ আবার হলাম মুসলিম ।কোথায় গেল অস্ত্রিছ আর দ্রাবীর?।বঙ্গের ধর্মান্তরিত মুসলিমদের অবশ্য হিন্দুরা মানুষ মনে করত কিনা তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ , কুকুর বিড়াল এর চেয়েও ছিল বেশি অছুত মুসলিমরা। এমন কি রবিন্দ্রনাথ,শরত চন্দ্রের কোন নায়ক নায়িকা নেই মুসলিম। জানি না কোথায় ধরম?। আমি সুধু জানি আমরা ধরমের বলি! আমরা মানুষ না ।।আমরা ।।মুস্লিম,আম্রা হিন্দু…আম্রা অমানুষ!!!
@সপ্তক,
“ডাইরেক্ট অ্যাকশান ডে” নিয়ে পড়তে গিয়ে আমি থ’ হয়ে গেছি। ভাবছিলাম এটা কিভাবে সম্ভব? পরে মনে হলো, কিভাবে সম্ভব বলছি কেন, আমরা কি এখনো তার চেয়ে ভালো হয়েছি না-কি। না, হইনি। সেই একই নোংরামির ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছি। ধর্ম একটাই, “মানবতা”। মানবতাই ধর্ম। বাকী আর হাজারটা ধর্ম পরিবর্তন করলেও কোনো লাভ নেই, শুধু ধর্ম রক্ষার নামে কিছু মানুষের শিরিশ্ছেদ হবে, এই যা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। 🙂
ইতিহাস খুব বেশি একটা জানি না। কিন্তু স্বাধীনতা কেউ কাউকে উপহার দেয় বিশ্বাস হয় না।
@আতিকুর রহমান সুমন,
স্বাধীনতা কেউ কাউকে আসলেও দেয় না। যখন দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না, তখন অবশ্য উপহার দেবার মত ভান করে। এখানে ‘উপহার’ শব্দটা কিছুটা বিদ্রূপাত্মত অর্থে বুঝাতে চেয়েছিলাম। 🙂
ধন্যবাদ।
বাঙ্গালীদের বৈশিষ্ট্যগুলো যথোপযুক্ত ভাবে তুলে ধরেছেন।
অনেক ভালো লাগল।
@রাহনুমা রাখী,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
@ মইনুল রাজু,
মানবতার জঘন্যতম নিষ্ঠুরতার বিবরণ পড়ে শিউরে উঠলাম। পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশ এখনও অসভ্যই রয়ে গেছে। রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে লাভ নেয়, তারাও তো জনগণ থেকেই উঠে আসে। এখনও সেই হিন্দু-মুসলিম হিংসা রয়ে গেছে , যা সুযোগ পেলে মাথা চারা দিয়ে উঠে। ধর্মের চুলকানি এই উপমহাদেশে একটু বেশীই মনে হয়।
@হেলাল,
আপনার সাথে একমত। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি জনগণকে নিয়েই করে, তারা একা একা কিছুই করতে পারে না। আসলে আমরাই এখনো বন্য রয়ে গেছি। একটু অজুহাত পেলেই হলো, তখন ভিতরের চেহারাটা বেরিয়ে আসে।
লিখে যান । (*) (*) (*) (*) (*)
@সৈকত চৌধুরী,
অবশ্যই। ধন্যবাদ। 🙂
মানুষ কেন এত ভীতিকর সময়ের সৃষ্টি করে?
@তামান্না ঝুমু,
‘কারণ মানুষের মানুষ হতে আরো অনেক দেরী’- এক কথায় বললে এটিই উত্তর। মানুষ এখনো অনেক বন্য, শুধু আইন করে, জোর করে, ভয় দেখিয়ে মানুষকে সভ্যতার মুখোশ পরিয়ে রাখা হয়েছে।
ভালো থাকবেন।
লেখাটা ভাল লেগেছে। তবে
অনেক আমেরিকানরাই যে “মাথা মোটা” সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। দূয়ার খোলা ইমিগ্রেশন দিয়ে এরা ইমিগ্র্যান্টদেরই গালমন্দ খেয়ে যাচ্ছে। সেটা অবশ্য অন্য ব্যাপার।
ভারত ভাগের জন্য যে সকল পন্ডিত(?) হিন্দুরা জিন্নাহ এবং মুসলমানদের দায়ী করে থাকে তাদের এই ডুকুমেন্টারীটা দেখা দরকার। হিন্দুর ঘরে একটা বিড়াল বা কুকুরের প্রবেশ আছে। কিন্তু মুসলমানের নেই। একই ট্যাপের জলে অধিকার নেই। রন্ধনঘরের দৃষ্টি সীমার মধ্যে মুসলমানের থাকার অধিকার নেই। মুসলমানদের জন্য আলাদা আবাস ভূমি করে জিন্নাহ ঠিক কাজটিই করেছিলেন।
অবশ্য এই ঠিক কাজটির মাসুল দিচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দুরা অধ্যাবধি। পশ্চিম বংগের মুসলমানদের মাসুলের পরিমান ততটা নয়। সেখানে বার কয়েক যেয়ে আমার তাই মনে হয়েছে।
হিন্দুরা খাচ্চড় এবং অসভ্য জাতি। আমার বাড়িতেই দেখেছি বিশেষ নিম্ন গোত্রের হিন্দুরা বারান্দায় বসত না। তারা জানত ওখানে ওদের বসতে নেই। আবার আমরাও ব্রাহ্মণদের পায়ের তলায় বসে ধন্য হতাম। জাতিভেদ প্রথাই ভারতে ইসলাম বিস্তারের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে। আর বাংলাদেশে এখন হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পূর্ব-পুরুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
:)) ভালো বলেছেন। আমিও লেখার সময় ভাবছিলাম।
পূর্বপুরুষ শত পূণ্য করলেও একই প্রায়শ্চিত্ত হতো। আর পাপ যদি বলেনই, তবে শুধু হিন্দু কেন, সবার পূর্বপুরুষই একই পাপ করেছে। “মানবতাই সবচেয়ে বড় ধর্ম”-যতদিন এ-সত্য প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন অন্য ধর্মের দোহাই দিয়ে অনাচার চলবেই।
ভালো থাকবেন।
আপনার সব লেখার মত এটাও ভাল লাগল (F)।
@রৌরব,
অশেষ ধন্যবাদ। আপনার নতুন লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। 🙂
একদম সত্যি কথা বলেছেন, ভাইয়া। ‘সাদা চামড়া’ কে ‘ভিন দেশী ক্ষমতা’র প্রতীক হিসাবে ধরে নিলে দেখা যাবে, এই ভক্তি-শ্রদ্ধা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। বেশি দূর যেতে হবে না, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের কথাই ধরুন না। বাংলাদেশের সরকার এবং বিরোধী দল দিন-রাত “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর ভারতীয় আধিপত্যবাদ” নিয়ে পরস্পরের সাথে নোংরা ও কদর্য রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে; অথচ দেখুন মনমোহনের দরবারে কিভাবে সবাই দল বেঁধে হাজিরা দিয়েছে! যে নেতারা কথায় কথায় ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের’ কথা বলেন, তাদেরতো মনমোহনকে কালো পতাকা দেখানোর কথা ছিল; অথচ আমাদের নেতারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর একজন ব্যক্তির সাক্ষাত পাওয়ার আনন্দেই যেন বিভোর ছিলেন!
সবচেয়ে দুঃখের হলো, ভারত ভাগের পর প্রায় ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও, এখনও চোখ খুললেই এই ধরনের অগুনতি ধর্মান্ধ লোকের দেখা মেলে। শিক্ষার প্রসার এখানে পুরোপুরি ব্যর্থ; ক্ষেত্র-বিশেষে বরং প্রকাশ্য উস্কানিদাতা। যে ধর্মিয় শক্তি দেশভাগের মানদণ্ড ছিল ১৯৪৭ সালে, আমার আশংকা সেই ধর্মিয় উন্মাদনা আবার ‘দেশজোড়া’ লাগানোর (মানে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একত্রীকরণের) মানদণ্ড না হয়ে যায় আরকি!
লেখার ভাষা বেশ ঝরঝরে! অসাধারণ আবেদন তৈরি করতে পেরেছে! ছবি দুটোর সংযুক্তিও খুব ভাল হয়েছে!
@কাজি মামুন,
ডেসট্রাক্টিভ কিছু করা খুব সহজ, ক্ষেত্র বিশেষে একটা স্যুইস চেপে দিলেই হয়। কিন্তু, কনস্ট্রাকটিভ কিছু করা অনেক কঠিন। ধর্ম দিয়ে দেশজোড়া লাগানো সম্ভব নয়, বরং আরো ভাঙ্গণ সম্ভব। আমাদের নিজের দেশেই একই ধর্মের কত মত, কত ধারা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। 🙂
জাতি হিসাবে আমাদের প্রকাশিত হয়ে পড়ে ১৯৪৭-এ আবার ১৯৭২-এ ও। আমাদের ভার্চুয়াল স্বাধীনতা মিলেছে কিন্তু সত্যিকারের মূক্তি আদৌ মিলবে কিনা তা কেউ বলতে পারে না। লেখাটা তথ্য বহুল এবং বিস্তারিত হয়েছে। ধন্যবাদ।
@শাখা নির্ভানা,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমরা আমাদের নিজেদের কাছেই পরাধীন। অন্যের থেকে স্বাধীনতা পাওয়া যায়, কিন্তু নিজের কাছে নিজে পরাধীন হলে কি করে স্বাধীন হবো।
আপনার এখানে নতুন দেখছি মনে হচ্ছে। মুক্তমনায় স্বাগতম। 🙂
উপমহাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র ও মনোভাব এক আজব লীলাখেলায় পূর্ণ।এলীলাখেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের কি জীবনহানি হলো, না জাহান্নামে গেল তাতে তাদের কি আসে যায় ? চাই শুধু ক্ষমতা,ক্ষমতা আর ক্ষমতা।ক্ষমতার জন্য দেশভাগ হলো নাকি হিন্দু-মুসলমান বা শিখরা কাটাকাটি করে মরল তাতে তাদের কি ? আসলে উপমহাদেশের ভৌগলিক অবস্থানই হউক আর মনস্তাত্তিক অবস্থানই হউক আমাদের সাংস্কৃতিক ও মানসিক গঠনটাই আমার কাছে মনে হয় প্রভু ও দাসত্ত্বভিত্তিক মনোভাব। তা না হলে কি আর বেনিয়া ইংরেজ জাতি আমাদেরকে দুইশত বছর শাসন করতে পারে ??
ভীতির ইতিহাস না হলে যে নেতারা গডের সমাসন হতে পারবে না !!:-X
“ভীতিহাস”নামকরনটি সার্থক রূপায়ন হয়েছে।
রাজু মানেই হলো ১০, দারুন।চলুক।
(Y)
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
মামুন ভাই আমার মনে হয়েছে দুইশত বছর না, ওরা যদি চাইতো আরো কিছুদিন অন্তত শাসন করতে পারতো। ওরা নিজে নিজেই চলে গেছে। আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো একত্ব নেই, তারা সেই সুযোগটাই নেয়। ওরা এখন চাইলেও মীরজাফরদের অভাব হবে না।
@মইনুল রাজু,
একদম ঠিক।
ভাল লাগল। আরেকটু বিস্তারিত জানার ইচ্ছা ছিল। যেমন প্রথম দাঙ্গা শুরু হয়েছিল কিভাবে, দাঙ্গার পেছনে ব্রিটিশদের কোন হাত ছিল কিনা ইত্যাদি। ধন্যবাদ।
@রাজীব রায়,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
এই ইতিহাসের ব্যপ্তি আসলে বিশাল। এখানে আমি সারাংশের সারাংশও কাভার করতে পারিনি। শুধু চরিত্রগুলো আর ঘটনার প্রেক্ষাপটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চেষ্টা করেছি। আপনার যদি আগ্রহ থাকে বিবিসি’র ছয় পর্বের যে ভিডিও লিঙ্কটা দেয়া আছে সেটা দেখতে পারেন, আর ইন্টারনেটেও অনেক তথ্য পাবেন।
ভালো থাকবেন। 🙂
জোড়া যাতে না লাগে সে আয়োজনে কোন পক্ষই পিছিয়ে নেই,বরং তা বাড়িয়ে তোলার তুমুল প্রতিযোগিতা লিপ্ত।
@স্বপন মাঝি,
এখনো অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকী আমাদের। আমরা নিজেরাই নিজেদের শত্রু। জানি না, কবে আমারা চেতনা ফিরে পাবো।
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
‘ভীতিহাস’ এ ইতিহাসকে আবেগ দিয়ে উপস্থাপন ভালই লেগেছে। ভীতিহাস শব্দ সৃষ্টিটিও চমৎকার। ইতিহাস থেকে ভীতিহাস আরও পাবার আশা করছি।
@গীতা দাস,
ধন্যবাদ গীতা’দি। এরপর প্রীতিহাস, রীতিহাস…এভাবে এই সিরিজটা লিখে যাবো। 🙂
@মইনুল রাজু,
১০টি হাস পাব নিশ্চয়ই।
@গীতা দাস,
কোনো সন্দেহ নেই। হা হা হা। আমি ম্যারাডোনার ভক্ত। নাম্বার সবসময় দশ। :))
ভাল লাগল আপনার এ লেখা। (Y)
বাঙালি চরিত্রের এত সুন্দর বর্ণনা , কমি পড়েছি।
একটি ঘটনার উল্লেখ করছি- বছর দুই আগে দেশে গিয়েছিলাম বেড়াতে। পরিবহনের বাসে করে ঢাকায় ফিরছিলাম। একটি বাজারের মাঝ দিয়ে যাওয়া রাস্তা যথেষ্ঠ চওড়া না হওয়ায় , মুখোমুখি দুটি বাসের সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে (কেউ কম দিয়েছে সাইড দিয়েছে) আমার বাসের ও বিপরিত দিক থেকে আসা বাসের ড্রাইভারের মাঝে লেগে গেল ঝগড়া। প্রথমে গালাগালি তার পরে হাতাহাতির উপক্রম। আস্তে আস্তে দুই পক্ষের সমর্থনে যোগ দিল বাসের যাত্রি , পথচারী ও দুই পাশেই আটকে পড়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হওয়া অসংখ্য যানবাহনের চালক ও অন্যান্যরা। আধাঘণ্টা পার হয়ে গেল বাস ছাড়ে না এবং যানজট বাড়তেই থাকে। এমনসময় কোথা থেকে এক সামরিক জিপ এসে থামল । ওটার ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে একটি লাঠি (সাধারনত আর্মি অফিসারদের হাতে থাকা সৌখিন লাঠি) দিয়ে গড়ে পেটানো শুরু করল। মুহুর্তেই বীরপুঙ্গবেরা রণে ভঙ্গ দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিল। এই হলো বাঙালি চরিত্র। এক ড্রাইভারের ভয়েই কাঁৎ।
@ফারুক,
আপনার বর্ণিত ঘটনার অনুরূপ বহু ঘটনার সাক্ষী আমি নিজেও। আমি শুধু অবাক হয়ে মানুষের সাইকোলজি বুঝার চেষ্টা করি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂