লিখেছেনঃ কফিল কাঙ্গাল
রোজা আসার আগে বাজার দর নিয়ে চিরাচরিতভাবে যে হুলুস্থূল ঘটে তার ব্যতিক্রম এবারও হয়নি, কোনদিন হবেও না গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, কারণ এটা ধার্মিকদের দেশ! আমরা ধর্ম পালন করি, লালন করি না, বিধর্মী, কাফের, নাছাড়া, পশ্চিমারা ধর্ম পালন করে না কিন্তু লালন করে। অর্থাৎ ওরা আমাদের ন্যায় ধার্মিক নয়, কিন্তু অধর্ম করে না। রমজানের একমাস পূর্ব থেকেই আমাদের ন্যায় স্বল্প আয়ের লোকদের মধ্যে এক মহাতঙ্ক সৃষ্টি হয়। হায়-হায় রব উঠে। অতএব এটিকে ধর্মজীবিরা যতোই পবিত্র বলে মনে করুক না কেন, এটি কখনোই পবিত্র তো নয়ই বরং সবচেয়ে নিকৃষ্ট একটি ধর্মানুষ্ঠান মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। রমজান নিয়ে রাজা যতোটুকু বলে, সভাসদ বলে তার চেয়ে বেশি, এটাই এখন বাস্তবতা। আমাদের আঞ্চলে একটা প্রবাদ আছে, “দারোগার চে’ দারোগার বাইছার চোট বেশি।” অর্থাৎ থানার দারোগার চাইতে তার নৌকার মাঝির দাপট বেশি। রোজার পূর্বে বাজার দর বাড়বেই এটা চিরসত্য, তাই এ নিয়ে হৈ-চৈ করে রোজার অনেক পূর্বেই কেন যে মিডিয়াগুলো আরো বেশি জানান দেয়, তা বোধগম্য নয়। রোজার পূর্বে তারা একটিবার অন্তত চুপ থেকে দেখতে পারে বাজার এমনি এমনি কতটুকু বাড়ে। যাহোক, ইচ্ছা করেই এবছর ও নিয়ে ভাবি নাই। গত বছর এ নিয়ে একটি লেখা লিখিছিলাম, কিন্তু সময় অভাবে তা আর প্রকাশ করা হয়নি।
গত বছর রোজার পূর্বেকার কয়েকটি পত্রিকায় এরূপ হেডলাইন ছিলো, *সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার আহ্বান। *শুল্কছাড়ের লাভ যায় ব্যবসায়ীদের পকেটে। চিনি, ছোলা, রসুনে ১০০ কোটি টাকার শুল্ক সুবিধা, তবু বাজার অস্থির। *নিত্যপণ্যের এলসি খোলাতেও আছে সুবিধা। *চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি তবু দাম বাড়ে। *বাজার ভর্তি পণ্য তবু দাম নিয়ে শঙ্কা। *চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে চিনি ও ভোজ্য তেলসহ বেশকিছু পণ্যের দাম। *রমজান মাস ব্যবসায়ীদের স্বর্গবাস।
গতবছর ৭ আগষ্ট ২০১০ কালের কণ্ঠ পত্রিকায় “শরীরের নাম মহাশয়…” শিরোনামে একটি উপসম্পাদকীয় পড়েছিলাম। লিখেছেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক আতাউস সামাদ। তিনি নাকি, “শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়” এ শ্লোকটি রমজানের মাস দু’য়েক আগে থেকেই জপছেন। কেন জপছেন? এর প্রধান কারণ হিসেবে আমাদের অর্থনৈতিক সংকটকেই দায়ী করা যায়। বাজারে গিয়ে সামাদ সাহেব যেমন মাথা নিচু করে থাকেন। তিনি হয়তো ভাবছেন, তিনি একাই বুঝি, কিন্তু আমরাও ঠিক তদ্রƒপভাবে থাকি। দোকানিরা আমাদের অপমান করলেও আমরা হই না। ওরা হয়তো আমাদের বেহায়া ভাবে। অপমানিত হওয়ার উপায় নেই, কারণ পকেট ফাঁকা। বাজারে গিয়ে আমরা এখন আর অপমানিত হই না, হয় যাদের পকেট ভারি তরাই। এদেশে আমরা যারা অর্থনৈতিক সংকটকে সঙ্গী করে বাস করছি, তারা এখন আর ওদের কাছে মানুষের পর্যায়ে রয়েছি কি-না, তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে! আমরা এখন যে খুব দ্রুত মানবেতর জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ঠিক সামাদ সাহেবের ন্যায় আমরাও যখন বাজারে যাই, দরকষাকষি করি, তখন বিক্রেতাগণের মুখের চেহারা দেখলে নিজেদের খুবই ছোট মনে হয়। অপমানিত বোধ করি তথাপিও কিছু বলা যায় না; কিছু বললে হয়তো বলবে, কিনবেন না অথবা টেহা নাই তো দাম জিগান ক্যান? যারা দরকষাকষি করে বিক্রেতাগণ তাদের সাথে আজকাল তাচ্ছিল্যের সুরে কথা বলে, অন্যদিকে ফিরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও একআধটু উত্তর দেয় আর কি! অথচ যারা দরদাম না করে জিনিষ কিনে নিয়ে যায়, তাদের দেখলে ওরা স্যার, স্যার… শুরু করে দেয়। একটু বেশি দরদাম করলে আঙুল উঁচিয়ে বলে ওই দিকে দেহেন, বেশি প্যাঁচাল পাড়বেন না তো! আর যদি হাতে ধরে বেছে নিতে চাই তাহলে স্পষ্ট করেই বলবে, আরে মিঞা রাখেন তো, আমি বেছে জিনিষ বেচি না! আমরা যারা প্যাঁচাল পাড়ি তাদের সামনে থেকে বিক্রিতার চাহিদামত দামে ব্যাগ ভরে যারা বাজার করে নিচ্ছেন, আমরা তাদের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং বিক্রেতা তখন আরো তাচ্ছিল্যের সুরে বলে, দেখলেন আপনের কাছে চাইলাম সত্তর টাকা, আপনে প্যাঁচাল পারতেছেন, আর উনার কাছে এক’শ চাইলাম এবং আপনের সামনেই তো দেখলেন উনি কোন দামদর না কইরা ব্যাগ ভইরা নিয়া গেলো! আসলেই তাই, এরূপ ঘটনা আমাদের সামনে প্রচুর ঘটছে।
এরূপ ঘটনায় আমার এক আত্মীয় শুধু অবাকই হয়নি হতবাক হয়ে কিছুণ কথাও বলতে পারেনি। গল্প নয়, সত্য। কারণ আমার ওই আত্মীয় দীর্ঘ ১৪ বছর পর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছিলো ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। ফুটপাথের দোকান থেকে তিনি আম কিনতেছিলেন দরদাম করে ৭০/- টাকা কেজি হিসেবে। এর মধ্যে একটি দামি গাড়ি এসে সেখানে থামলো, এক মহিলা গাড়ির জানাল নামিয়ে উঁকি দিয়ে বললো, “আম কতো করে?” দোকানদার বললো, ১২০/- টাকা! মহিলা বললো, “দশ কেজি আম দাও তো।” দোকানদার তাড়াতাড়ি আমার সেই আত্মীয়কে দাঁড় করিয়ে রেখে দশ কেজি আম মেপে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে গুণে গুণে ১,২০০/- টাকা নিয়ে নিলো। গাড়ি ছেড়ে গেলে আমার আত্ময়টি জিজ্ঞেস করলো, আরে ভাই ঘটনাটা কি? দোকানদার বললো, কালো টাকা বুঝেন নাই! কালো টাকা! এখন এই সরকার সব শালাকে ধরে ধরে চৌদ্দ শিকের মধ্যে ঢোকাচ্ছে আর বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে কার-কার কালো টাকা আছে সেজন্য, তাই টাকা খরচ করার জায়গা পায় না এরা, টাকা তাড়াতাড়ি খরচ করে ঘর খালি করতে চায়। ওই যে শোনেন নাই মন্ত্রী-এমপিদের তোষকের নিচে, বাথরুমে বস্তা ভরা টাকা পায় আর ধরে! আমার আত্মীয়টি বললো, তা তুমি ভাই বুঝলে কি করে, এর কালো টাকা না সাদা টাকা এবং তুমি যে দাম চাইবে সেই দামই তোমাকে দিয়ে দেবে? দোকনদার বিজ্ঞের ন্যায় হাসতে হাসতে বললো, “আমরা এদের দেখলেই বুঝি যে, এদের টাকার অভাব নেই, তাই যা চাই তাই-ই দেবে?” টাকার অভাব আমার সেই আত্মীয়েরও নেই। আমেরিকায় তার বিশাল ব্যবাস, বাড়ি-গাড়ি… তথাপিও তিনি যে হিসেব করে দরদাম করে জিনিষ কিনছেন তার অর্থ কি? তিনিও তো সেই কালো টাকার মালিকের ন্যায় দরদাম না করে দোকনদার ৮০/- টাকা কেজি চেয়েছিলো সেই দামেই নিতে পারতো, কিন্তু তিনি দরদাম করে ১০/- কেজিতে কমিয়ে নিলেন কেন? কারণ তার যতোই টাকা থাকুক তা সম্পূর্ণ হালাল টাকা! অর্থাৎ আমেরিকাতে তিনি ব্যবসা করে লাখপতি বা কোটিপতি যাই হোন না কেন, সৎভাবে অনেক কষ্ট করে সেই অর্থ আয় করতে হয়েছে। আর এদেশের বড় বড় ব্যবসায়ী এবং ঘুষখোরেরা আয় করে এক রাতে কোটি কোটি, তাই এদের বাজারে গিয়ে থলে ভরে মালামাল এবং বস্তা ভরে টাকা দিয়ে আসাতে গায়ে লাগে না। অতএব, সামাদ সাহেবের ন্যায় আমরাও এখন আর বাজারে গিয়ে বেশি কথা বলি না, চুপ করে পকেটে পয়সা থাকলে কিছু কিনি না হয় কিনি না, অনেক সময় দাম জিজ্ঞেস করার ইচ্ছা জাগলেও জিজ্ঞেস পর্যন্ত করি না। আবার কোন কোন জিনিষের দাম ভয়ে জিজ্ঞেস করি না, পাশের কেউ জিজ্ঞেস করলে দোকানদারের উত্তরটি কান পেতে শুনি।
আতউস সামাদ সাহেবের এই কথাটি আমি প্রথম শুনি যখন আমাদের অজপাড়াগাঁয়ের ভাঙ্গাচোরা হাইস্কুলে পড়তে যাই, আমার প্রিয় শান্তশিষ্ঠ, সহজ-সরল সর্বেশ্বর স্যারের মুখে। আমার জীবনে হাইস্কুলে পড়ার তেমন একটা সুযোগ হয়নি। প্রাইমারী শেষে যা পড়াশোনা শিখেছি তা নিজ গৃহে এবং নিজ চেষ্টাতেই। আমার তেমন কোনো শিক্ষাগুরুও নেই যার কথা স্মরণ করবো। অজপাড়াগাঁয়ের প্রাইমারী স্কুলের শিকেরা নিজেরাও তেমন একটা শিক্ষিত ছিলেন না, তথাপিও তারা যতটুকু শিখিয়েছেন তাতেই আমরা সন্তুষ্ট। ভূমিহীন কৃষকের সন্তান তাই প্রাইমারী শেষে প্রচণ্ড অভাবের তাড়নায় স্কুল পড়া সমাপ্ত হয়ে গেলে, হাইস্কুলের পরিচিত হেডমাস্টারের হাতেপায়ে ধরে বিনা-বেতনে ভর্তি হয়ে থাকি বটে কিন্তু ক্লাস করার সুযোগ পাই না। তবে মাঝে-মধ্যে কদাচ স্কুলে যাবার সুযোগ হতো। অনেক শিক্ষকই তখন আমাকে বলতেন, ডুমুরের ফুল। স্কুলে পড়া মুখস্ত করে না গেলে বেত খেতে হতো, তাই সে ভয়েও আমি প্রায়ই সুযোগ পেলেও স্কুলে যেতাম না, তবে কষ্ট হলেও, না খেয়ে থাকলেও পরীক্ষার সময় ঠিকই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতাম। স্কুলের একমাত্র সর্বেশ্বর স্যারই বেত মারতেন না, অন্য সব স্যারদের হাতে বেত থাকতো। পড়া না পারলে হাত এবং পিঠ লাল করে ছাড়তেন। তবে পড়া না পারলে সর্বেশ্বর স্যার প্রথমে কৈফিয়ত চাইতেন, পরে বলতেন, “শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সওয়ায় তাই সয়।” অর্থাৎ কিনা তোমার যতো কষ্টই হোক না কেন চেষ্টা করলে তুমি পড়া মুখস্ত করে আসতে পারতে। এ বাক্যটি যে সত্য তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। আজকাল আমরা সংযম, ভদ্রতা, শালীনতা… ভুলে গেছি। রমজানের সময় আমরা যেরূপ প্রচুর পরিমাণে আহার করি তাতে একে সংযম বলা যায় না। আমরা এখন পরশ্রীকাতর, ঈর্ষা-হিংসা, অতিলোভ-লালসা, অতিলাভ, অতি-আসক্তি… রোগে ভুগছি। অর্থাৎ শরীর মহাশয়কে মাত্রাতিরিক্ত আরাম-আয়েশের দিকে ধাবিত করছি। আমরা এখন আর দুঃখ-কষ্ট এসব সহনীয় করার জন্য শরীরকে বলি না, বলি শরীর তুমি যতো পারো সুখ কর, শান্তি কর আর সুখ-শান্তির জন্য যে অর্থ তা যেভাবেই হোক আয় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছি। শরীর মহাশয়কে দুর্নীতি হজম করার, মনকে তা হালাল করার ক্ষমতায় ক্ষমতাবান করে ফেলেছি। ঘুষ খাই প্রকাশ্যে অর্থাৎ মানসম্মানের মাথা খেয়ে শরীর-মনকে ঘুষ খাওয়ার মতো করে গড়েছি। মিথ্যা কথা অবলীলায় বলতে আমাদের শরীর ও মন উচাটন হয়ে থাকে।
যাহোক সামাদ সাহেব তাঁর লেখায় তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আমার নিকট কারণ একটি এবং তাহলো আমাদের অর্থনৈতিক সংকট। আমরা যারা অতি সাধারণ, বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে সাধারণ তাদের নিকট রোজার সময়কার বাজারদর শুধু আতঙ্কই নয়, মহাতঙ্কও বটে। আমি ওনার তিনটি কারণের মধ্যে তৃতীয় কারণ সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করছি। তৃতীয় কারণে তিনি লিখেছেন, “রোজা এসে গেছে দুয়ারে। বাংলাদেশে রোজার মাস আসা মানেই ব্যবসায়ীদের জন্য যদৃচ্ছ দাম বাড়ানোর মহোৎসব। সত্যি কথা বলতে কি, গত বছর (২০০৯) রমজানে যেভাবে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে, একেবারে দাপাদাপি করে বৃদ্ধি পেল, তাতে সেটাকে যাঁরা মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ার লাগাম ছিঁড়ে যাওয়া বলে বর্ণনা করেছিলেন, তাঁরা একবিন্দু অসত্য কথা বলেননি। তাঁরা সম্পূর্ণ খাঁটি কথা বলেছিলেন। …রোজার এক বিকালে আনারস কেনার ইচ্ছা হয়েছিল। পথের ধারের এক ফলের দোকানে গিয়ে একটা আনারস দেখলাম। দোকানদার অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে রেখে বললেন, ‘ওটা পঞ্চাশ টাকা।’ প্রথমে আমার একটু সময় লাগল ওটা বুঝতে যে তিনি কি আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন, না অন্য কারো। দোকানে আর কোনো ক্রেতা না দেখে বুঝলাম যে তিনি আমাকেই ধন্য করেছেন। তখন মিনমিন করে বললাম, ‘ভাই, গত পরশু আপনার দোকান থেকে এ রকম একটা আনারস ত্রিশ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম, আজ এত দাম?’ দোকানদার তখন খুব রুক্ষ্মভাবে বললেন, ‘গত পরশু কেন? আজ সকালে এ রকম আনারস বেচেছি বিশ টাকা করে, এখন ৫০ টাকা, নিলে নেন নাহলে যান।’ মনে হচ্ছিল তিনি যেন বলছেন, ‘কেনার মুরোদ থাকলে কিনুন, না থাকলে বিদায় হোন।’ শূন্যহাতে মাথা নিচু করে বিদায়ই নিলাম। আর যাইনি কোনোদিন ওই তল্লাটে। …তিনি যে অহেতুক আমাকে অপমান করতে পেরেছিলেন সেটা তাঁকে দেখলে আমার খুব স্পষ্ট করেই মনে পড়বে। …ইফতারের ঘণ্টাখানে আগে সবজির একটা ভ্যানকে ঘিরে ভিড় দেখে থামলাম! দেখলাম, সবাই যার যার পছন্দমতো সবজি বাছাই করে বিক্রেতাকে দিচ্ছেন আর তিনি সেগুলো পাল্লায় তুলেই একটা দাম বলে দিচ্ছেন। বিস্ময়ের ব্যাপার এই, ক্রেতারা খুশি হয়ে সেই দাম চুকিয়ে চলে যাচ্ছেন। সবজিওয়ালা একসময় আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললেন, ‘আপনি নিবেন না কিছু?’ ততক্ষণে তাঁর ভ্যান প্রায় খালি হয়ে গেছে। তো আমি গুটিকয়েক কচি শসা, গাজর, কিছু ধনেপাতা আর কয়েক গুচ্ছ পুদিনা পাতা বেছে তুলে দিলাম তাঁর হাতে। তিনি কোনো ওজন বা হিসাবের মধ্যে না গিয়ে বললেন, ‘ত্রিশ টাকা দ্যান স্যার।’ আমি ভাবছিলাম, একটু দরকষাকষি করি। বিক্রেতা বললেন, ‘আজ সকালেই এইটুকু সবজি বিক্রি করেছি পঞ্চাশ টাকায়, দুপুর আরেকটু বেশি দামে বেচেছি, এখন বাড়ি চলে যাব তাই কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছি।’ তাঁর এ কথার পরও প্রশ্ন করলাম, ‘এক দিনে দর এত ওঠানামা করে?’ তিনি বললেন, ‘স্যার, আমরাও আগে এমন দেখি নাই। এখন বাজার পাগলা হয়ে গেছে। আপনি যা আদায় করতে পারবেন সেটাই ঠিক দাম। কোনো রেট-ফেট নাই। আর এ তো রোজার বাজার।’ জানি না, গতবার চিনি আর তেল নিয়ে যে কেলেংকারি হয়েছে সেটা বাজার পাগল হয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছিল কি-না…।”
রমজান এদেশের মুসলমানদের কাছে অতি পবিত্র হলে এদেশের সংখ্যালঘুদের কাছে মহাতঙ্ক। যদিও মুসলমানদের ভয়ে তারা মুখ খুলে সত্য বলতে পারে না। আমার এক সংখ্যালঘু বন্ধু কিছুতেই একে পবিত্র বলে স্বীকার করে না। পরে আমি ইসলাম সম্পর্কে সংখ্যালঘুদের ধারণা নিয়ে বিস্তারিত লিখব বলে আশা রাখছি। যাহোক, আমার এ বন্ধুটি রমজানকে মহাতঙ্ক মনে করে, তার মতে এতে মুসলমানদের পূণ্যির পরিবর্তে পাপই হয়। কারণ এ সময় ব্যবসায়ীরাই নিজেরা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও বহুগুণ বেশি ব্যবসা করার সুযোগ হাতছাড়া করে না। অথচ উন্নত বিশ্বের ঘটে এর উল্টোটাই। সেখানে ধর্মীয় উৎসবে কেন্দ্র করে তারা দাম কমিয়ে, গিফট দিয়ে ক্রেতাদের খুশি করার চেষ্টা করে। তাছাড়া যে পর্যন্ত একটি জিনিষ তাদের দোকানে থাকে সে পর্যন্ত একই দামে বিক্রি করে। না থাকলে বলে নাই, কিন্তু এদেশে প্রচুর মালামাল স্টকে থাকতেও বলে, নাই অথচ দাম বেশি দিলেই তা মিলে। যাহোক, এসময় বাজারদর নিয়ে যতো হৈ-চৈ হয়, অন্য সময় ততো হয় না, তবুও কাজের কাজ কিছুই হয় না। বরং এ সময় বাজারদর নিয়ে মিডিয়া এবং সরকারের উচিত হৈ-চৈ না করা। হৈ-চৈ করলে যখন কাজ হয় না, তখন মনে করিয়ে দিয়ে লাভ কি? এসময় কোমর বেধে নামে সরকার, নামে ব্যবসায়ীরাও, সকলেই রমজানের পবিত্রতা রায় বদ্ধপরিকর, এর জন্য মুখে তুবড়ি ছুটায়, অথচ বাজারদর বৃদ্ধির মহোৎসব কেউই ঠেকাতে পারে না। ধর্ম নিয়ে এরূপ ব্যবসা কি কাফেরদের দুনিয়াতে কেউ দেখেছেন?
এ প্রসঙ্গে অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই আছে। সামাদ সাহেব আনারস বিক্রেতার সাথে মিনমিন করে কথা বলছেন। এখন আর আমাদের মতো কোনো ক্রেতাই জোর গলায় কথা বলতে পারে না। যারা পারেন তারা হলেন, গিয়েই সেই ব্যাগ ভরে বিক্রেতার চাহিদা মোতাকে যারা দাম দিতে পারেন। যেমন ওই সবজিওয়ালা এবং আমার আত্মীয়ের দেখা সেই ফল বিক্রেতা, তারা যা চাইছেন ক্রেতারা তাই দিয়েই নিয়ে যাচ্ছেন। এক দিনে তিন রকম দর। ক্রেতা কিন্তু পাইকারি বাজার থেকে একদিনে তিনবার সবজি কিনে আনেনি। এনেছেন সেই ভোরবেলা একবার, এক দামেই। অথচ তিনি সুযোগ বুঝে সবজির দাম বাড়িয়ে নিয়েছেন যতো খুশি।
একজন ক্রেতা যখন দরদাম করে জিনিষ কেনেন তখন হয়তো তার পাশে অন্য একজন এসে ব্যাগ পেতে বিক্রেতার চাহিদা মতো দরে মালামাল নিয়ে যায়। তখন দরদাম করতে থাকা ক্রেতার প্রতি বিক্রেতার অঙ্গভঙ্গিসহ কথাবার্তা তো ব্যাঙ্গাত্মক হবেই এবং নিজেদের প্রচণ্ডরকম অপমানিত বোধ হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও মাথা নিচু করে সেখান থেকে অতি সত্ত্বর সরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। তাই আমি নিজে এব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকি, যে দোকানে লোকজন কম সেখানে যাই। ফটকাবাজ ব্যবাসী এবং অবৈধভাবে রোজগার করা লোকের সংখ্যা আমাদের দেশ এখন প্রচুর, তাদের এড়িয়ে থাকাও দায়। বাজারে গিয়ে এদের যে প্রচুর টাকা আছে তা দেখাতেও তারা গর্ববোধ করে। আমার ধারনা ঢাকাতে এখন এই অবৈধ আয়ের লোকজনই বেশি। মনে হচ্ছে ঢাকার অর্ধেক সংখ্যক লোকই অবৈধ টাকার তোরে ভাসছে। এরূপ লোকের জন্য আজকাল অনেক অর্থহীন শিতি লোককে মাথা নিচু করে চলা ছাড়া উপায় নাই। বিক্রেতাদের হাবভাব দেখে বোঝা যায়, ওরা এসব অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অথচ শিতি লোকদেরকে ছোটলোক বলেই ভাবে।
কেউ বলেন ঢাকা মসজিদের শহর, কেউ বলেন, কাকের শহর। তবে মসজিদ না আছে এমন কোন অলি-গলি নেই। ভোর রাতে একসাথে হাজারো মাইকে যখন আযান দেয় তখন ঘুমের ঘোরে চমকে উঠতে হয়, মনে হয় পৃথিবীটা বুঝি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রমজানের পুরো মাসটাতে আমার বাসার পাশের মসজিদের ভোরের ডাকাডাকিতে প্রচণ্ড বিরক্ত হই কিন্তু কিছুই বলা যাবে না। মসজিদের ধর্মজীবিরা জোরে জোরে মাইকে ডাকে সেহেরী খাবার সময় হয়েছে উঠুন, উঠুন…, আবার কিছুণ পরে বলে আর মাত্র এতো মিনিট বাকি, কিছুণ পরে বলে, আর মাত্র এতো মিনিট… এরপর বলে আর সময় নাই, একটু পরে আযান দেওয়া হবে…। প্রায় আধঘন্টা ঘুমের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে। হঠাৎ ঘুমের ঘোরে ধর্মজীবিদের আচমকা কাঠখোট্টা গলার চিৎকার শুনে হৃদপিন্ড কেঁপে ওঠে। তথাপিও কি খোদা এদেশের প্রতি কৃপাবান হচ্ছে?
এখন আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি, গত বছর রোজার ৪/৫ দিন পূর্বেই কিছু কিছু জিনিষের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তারপর রোজা শুরু হয়ে গেলে তা বেড়েই চলেছে, রোজার ৪/৫ দিন পূর্বে যে বেগুণ ছিলো ২৫-৩০ টাকা তা হয়েছে ৬০ টাকা হয়তো আরো বাড়বে। যে মরিচ ছিলো ৮০ টাকা তা হয়েছে ১৫০ টাকা, এরূপভাবে শশা, লেবু, ধনে পাতা, পেয়াজ, রসুন… ইত্যাদি অর্থাৎ যেসব সবজি ইফতারির জন্য প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই বেড়েছে সুনামির বেগে। এসব খুচরা বাজারের দর। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ১৩ আগস্ট ২০১০ তারিখ সকালে কাওরান বাজার গিয়ে দেখলাম, অনেক বেগুন পঁচিয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। কুমড়াও পচছে। ৩/৪ কেজি ওজনের দুটো কুমড়া আমি মাত্র ২০ টাকায় নিলাম। কুমড়াওয়ালা ডাকছে ১০ টাকা পিছ। দেখলাম অজস্র কুমড়া পচে গেছে তা যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে। বেগুনের আড়তেও দেখলাম প্রচুর বেগুন আছে এবং পচে যাওয়া অনেক বেগুন ফেলে দিয়েছে। সেখানে বেগুনের দাম দেখলাম ৪০ টাকা। এখন প্রশ্ন হলো, ৪০ টাকার বেগুন খুচরা বাজারে ৮০ টাকা হয় কিভাবে? ১০ টাকার একটি কুমড়া খুচরা বাজারে ৪০ টাকা, এটাও কি সম্ভব? স্ত্রীকে বললাম, এখন কুমড়ার ব্যবসা করলে বোধ করি আমার বেশি লাভ হতো! এসব কথা বললাম এই জন্য যে, আমাদের নৈতিকতার অবয় যে কতো বেশি হয়েছে এবং সেখান থেকে জাতি যে আর কোনো দিন ফিরবে এমন আশা নেই। এখানে ধর্ম কোনোই কাজ করেনি, করেছে টাকা বা অর্থ! বেগুন পচে যাচ্ছে তারপরও পাইকারগণ দাম কমাবে না। হয়তো এক কেজি বেগুনের দাম কৃষক পেয়েছেন, ১০ টাকা আর পাইকার বিক্রি করতেছেন ৪০ টাকা এবং খুচরা বাজারে গিয়ে তা হয়ে যাচ্ছে ৮০ টাকা। এইরূপ লাভ কি সরকার এবং মিডিয়ার চিৎকার, অনুরোধ, অনুনয়-বিনয়, বিশেষ করে ধর্মের দোহাই দিয়ে কোনোকালেও থামিয়ে, দমিয়ে অথবা কমিয়ে রাখা গেছে? কোনো দিনও না। তাহলে চিৎকার আর ধর্মের দোহাই দিয়ে লাভ কি? ধর্মের বাণী, ধর্মের অহংকার, ধর্মের সারমর্ম আমরা কেউ কারো চাইতে কম জানি না! ধর্ম যথাতথা অর্থ চাই আগে। অর্থ দ্বারা যে দেশে আইন ক্রয় করা যায়, যে দেশে আইনের শাসন মুখে আছে কার্যেেত্র নাই, যে দেশে সর্বোচ্চ মহল থেকে দুর্নীতির সুনামি বইছে, সেই দেশে ধার্মিক থাকলেও ধর্ম থাকতে পারে না। শুধু এদেশে নয় পৃথিবীর কোথাও মানুষের নৈতিক উন্নতির জন্য ধর্ম কখনোই কাজ করেনি কোনদিন করবেও না। অতএব ধর্ম নিয়ে সাংবাদিকদের হৈ-চৈ বন্ধ করা উচিত। ধর্মের কথা না লিখে পত্রিকাতে নৈতিকতা নিয়ে লিখুন, নিজেরাও দলবাজি ছেড়ে নৈতিক হোন, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, পেশাজীবিদের প্রতিও একই আবেদন স্বার্থপরতা, দলবাজি ছেড়ে দিন। যা সত্য তা সত্য করে বলুন। খালেদা সত্য না হাসিনা সত্য এতে দেশের কোন মঙ্গল হবে না। স্বার্থপরের ন্যায় কেউ হাসিনা, কেউ খালেদা জিন্দাবাদ না দিয়ে যা সত্য তা ধারন না করলে জাতি আরো অধপতনে যাবে। ধর্মীয় ভন্ডামো থেকে এসব লোকদের বেরিয়ে আসতে হবে। ধর্ম ব্যাখ্যা করে বুঝতে হবে যে ধর্ম মানুষের জীবন বদলাতে পারে না, যদি তাই সত্য হতো তাহলে এদেশের মানুষ কেন উল্টোদিকে বদলাচ্ছে আর পশ্চিমারা কেন সঠিক পথে বদলাচ্ছে?
২৫ আগষ্ট ২০১১, বিবিসির খবরে প্রকাশ অক্সফামের রিপোর্ট অনুয়ায়ী কয়েকটি মুসলিম দেশে রোজার সময় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য অতিরিক্ত বৃদ্ধির মূল কারণ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের মধ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা শীর্ষে। বাংলাদেশ সরকার তার ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি বা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তারপরও খাদ্যমন্ত্রী তা স্বীকার করছে না, কারণ আমাদের দেশে ব্যর্থতা স্বীকার করার কোন কালচার নেই।
যাহোক, গত বছর মুক্তমনায় প্রকাশিত আমার প্রথম লেখাটির শিরোনাম ছিল, “সংবিধানে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা বজায় রাখাই জরুরি, তাতে কি জাতি দুর্নীতিমুক্ত এবং সৎ হবে?” সংবিধানে আল্লাহার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা বজায় না রাখলে কি এই ধার্মিক জাতির ধর্ম নষ্ট হয়ে যাবে? হয়তো বা তাই, নতুবা কেন একজন উচ্চশিক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ বিষয়টিকে জরুরি বলে তা সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সরকার এবং দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের আকুতি জানিয়েছিল? তার আকুতিতে কাজ হয়েছে, কিন্তু এতে দেশের ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা, আইনজীবি, বুদ্ধিজীবিসহ সাধারণ জনগণের কতোখানি নৈতিক উন্নতি হয়েছে? মোটেও না। হতে পারে না, কারণ ধর্ম মানুষকে মানুষ করতে পারে না। ধর্ম পারে মানুষকে ধার্মিক করতে। ধার্মিক হওয়া আর মানুষ হওয়া এক কথা নয়। খাঁটি মানুষদের ধর্মের প্রয়োজন হয় না, কিন্তু অমানুষদেরই ধর্মের প্রয়োজন হয়। একজন স্বশিক্ষিত অতি সাধারণ মানুষ হয়ে আমি মনে করি, এ জাতির ধর্ম নষ্ট করে হলেও যাতে নৈতিকতা ফিরে আসে তার জন্য যা যা করণীয় রাষ্ট্রের তাই করা শুধু জরুরিই নয়, অত্যন্ত জরুরি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি এটিকে জরুরি মনে করে তবে একজন সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে ধর্মজীবিদের নিকট তা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইমামরা জুম্মার দিন কেন মুস লিম শরিফের ৫২১১ -৫২১৮ প যন্ত হাদিস বযান ক রেন না
যাতে ব লা আচে পেটপুরে আহার করে কাফির তাতে জাহান্নম তেকে বাচি
ভোর রাতে একসাথে হাজারো মাইকে যখন আযান দেয় তখন ঘুমের ঘোরে চমকে উঠতে হয়, মনে হয় পৃথিবীটা বুঝি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
লেখাটি খুব খুবই ভালো লেগেছে ।এই রকম বাস্তবধর্মী লেখা পড়তে আমার বেশ ভালো লাগে।এভাবে লিখবেন প্লীজ ।আসলে মুক্তমনায় দেখেছি অনেকেই ধর্ম নিয়ে প্রচুর তর্ক বিতর্ক করে থাকেন ,এগুলো করে কুনো লাভ হয় বলে আম মনে করি না।বাস্তবতা এবং যুক্তিকতা নিয়ে লিখুন যে লেখা মানুষের কাজে আসে।যতকিছুই বলেন আপনারা সবার উপরে টাকা সত্য তাহার উপরে নাই।believe it or not.যাই হউক আমাদেরকে ধর্মীয় গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ।এর জন্য যা দরকার তাই নিয়ে ছিন্তা ভাবনা করেন। কর্ম সংস্তানের বেবস্তা করেন ।এ নিয়ে আমি একটা কিছু লিখব ভাবছিলাম কিন্তু সেই দুঃসাহস আমার নাই তাই এই মন্তব্যতে আমার মনের মাজে লুকিয়ে থাকা অভিব্যক্তি ব্যক্ত করলাম। যদি মুক্তমনার কুনো সদস্যবৃন্দ আমার সাথে একমত থাকেন তাহলে জুগাজুগ করবেন। প্রিথিবেতে যেখানে মসজিদ মন্দির গিরজা বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে আসুন আমরা সবাই মিলে একটা কর্ম সংস্তানের ব্যবস্তা করি । ধন্যবাদ কপিল ভাইকে সুন্দর লেখার জন্য। প্রিথিবেতে আমরা কেউই চিরস্তায়ি নই তাই আসুন মানুষের জন্য কিছু করা যাক।সবাই ভালো থাকুন ,নিরাপদ জীবন যাপন করেন ।
এই প্রবন্ধটিতে শুধু বাবসায়ীদের সমালোচনা করেছেন কিন্তু ধার্মিকদের জোরালো সমালোচনা খুজে পাইনা। বাবসায়ীদের অনৈতিকতার জন্য যে ধার্মিকরা দায়ী একথা স্পষ্টভাবে উঠে আসেনি
@মাসুদ রানা,
আমার মহাতঙ্কের রমজান লেখাটি নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন, কিন্তু সমস্যা হলো আমি ঠিক জানি না কিভাবে তাদের মন্তব্যের জবাব দিতে হয়, ক’দিন পূর্বে কিছুটা শিখেছি, আমি নিজেই নিজের শিক তাই সবকিছুতেই সময় লাগে। অনেকদিন হলো Coplain ভাইয়ের অসভ্যতার একটি জবাব লিখে মুক্তমনায় পাঠিয়েছি, কিন্তু সম্ভবত তারা তা পোস্ট করবেন না। তার মন্তব্য নিচে দেয়া হলো, এ মন্তব্য নিয়ে অনেকে প্রতিবাদ করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। তিনি যা বলেছেন:
(Coplain: আগস্ট ২৮, ২০১১ at ২:০৪ অপরাহ্ণ | লিঙ্ক ) Ò…আপনি শুধু একটি ধর্মকে ছোট করাচর জন্য রোজার সাথে দ্রব্য মূল্যের সংযোগ স্থাপন করেছেন। আপনাদের মত কিছু ফালতু লেখক আছে যারা নিজে পেঁচা হয়ে সূর্যের সাথে শত্রুতা করে নিজেকে যাহির করতে চায়। রমজান ছাড়া কী দ্রব্য মূল্য মানুষের নাগালে থাকে? তাহলে রমজানের সাথে দ্রব্য মূল্যর লিংক কোথায় পেলেন? …আপনার মাথায় ঘিলু আছে বলেত আমার মনে হয় না। কারন একদল চোর-বাটপার ব্যবসায়ীকে দেশের মন্ত্রী বানাবেন, আর বলবেন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের কারনে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। আপনি আপনার নিজেকে দিয়ে বিচার করুন। আপনার কর্মক্ষেত্রে আপনি কতটুকু সৎ? আপনি আপনার বুকে হাত রেখে বলুন আপনি কতটুকু সৎ? ৫০০০ টাকা না ৫ কোটি টাকার সৎ? নিজে সুযোগ পেলেই চুরি লুটপাট করে সাধারন মানুষের বারটা বাজাবেন আর দোষ দিবেন ধর্মের। লিখতে পারেন বলে লিখলেই হলনা। লিখার আগে চিন্তা করুন কি লিখছেন, আপনার উদ্দেশ্য কী সৎ না কাউকে হেয় করার জন্য লিখা। জ্ঞানীর জন্য এই টুই যতেষ্ঠ…।Ó
আমি তার ভাষাগুলোর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং মুক্তমনার সকল ভাইদের প্রতি আবেদন রাখছি, তিনি যদি আপনাদের সদস্য হন এবং আপনারা যদি নিরপে হন, তাহলে তাকে মা চাইতে বাধ্য করুন, নতুবা বহিস্কার করুন। ধন্যবাদান্তে, কফিল কাঙ্গাল।
সুন্দর বলেছেন! সময়োপযোগী লেখা।
দরদাম করার সময় অন্য কোন ব্যক্তি যদি টাকার গরম দেখিয়ে কপালে ‘জুটলেও জুটতে পারত’ পণ্যটি কিনে নিয়ে যায়, তাতে কি পরিমান যে অপমান! আমার নিজেরও সেই অভিজ্ঞতা আছে। এখানে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এই তত্ত্বটিই খাটে। কখনও তা গায়ের জোর, কখনও টাকার, কখনও ক্ষমতার নয়ত সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার।
@রাহনুমা রাখী,
আমার মহাতঙ্কের রমজান লেখাটি নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন, কিন্তু সমস্যা হলো আমি ঠিক জানি না কিভাবে তাদের মন্তব্যের জবাব দিতে হয়, ক’দিন পূর্বে কিছুটা শিখেছি, আমি নিজেই নিজের শিক তাই সবকিছুতেই সময় লাগে। অনেকদিন হলো Coplain ভাইয়ের অসভ্যতার একটি জবাব লিখে মুক্তমনায় পাঠিয়েছি, কিন্তু সম্ভবত তারা তা পোস্ট করবেন না। তার মন্তব্য নিচে দেয়া হলো, এ মন্তব্য নিয়ে অনেকে প্রতিবাদ করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। তিনি যা বলেছেন:
(Coplain: আগস্ট ২৮, ২০১১ at ২:০৪ অপরাহ্ণ | লিঙ্ক ) Ò…আপনি শুধু একটি ধর্মকে ছোট করাচর জন্য রোজার সাথে দ্রব্য মূল্যের সংযোগ স্থাপন করেছেন। আপনাদের মত কিছু ফালতু লেখক আছে যারা নিজে পেঁচা হয়ে সূর্যের সাথে শত্রুতা করে নিজেকে যাহির করতে চায়। রমজান ছাড়া কী দ্রব্য মূল্য মানুষের নাগালে থাকে? তাহলে রমজানের সাথে দ্রব্য মূল্যর লিংক কোথায় পেলেন? …আপনার মাথায় ঘিলু আছে বলেত আমার মনে হয় না। কারন একদল চোর-বাটপার ব্যবসায়ীকে দেশের মন্ত্রী বানাবেন, আর বলবেন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের কারনে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। আপনি আপনার নিজেকে দিয়ে বিচার করুন। আপনার কর্মক্ষেত্রে আপনি কতটুকু সৎ? আপনি আপনার বুকে হাত রেখে বলুন আপনি কতটুকু সৎ? ৫০০০ টাকা না ৫ কোটি টাকার সৎ? নিজে সুযোগ পেলেই চুরি লুটপাট করে সাধারন মানুষের বারটা বাজাবেন আর দোষ দিবেন ধর্মের। লিখতে পারেন বলে লিখলেই হলনা। লিখার আগে চিন্তা করুন কি লিখছেন, আপনার উদ্দেশ্য কী সৎ না কাউকে হেয় করার জন্য লিখা। জ্ঞানীর জন্য এই টুই যতেষ্ঠ…।Ó
আমি তার ভাষাগুলোর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং মুক্তমনার সকল ভাইদের প্রতি আবেদন রাখছি, তিনি যদি আপনাদের সদস্য হন এবং আপনারা যদি নিরপে হন, তাহলে তাকে মা চাইতে বাধ্য করুন, নতুবা বহিস্কার করুন। ধন্যবাদান্তে, কফিল কাঙ্গাল।
@ coplain,
মাথা গরম করে গালা-গালি কিংবা অশ্লীল কথা না বলে যুক্তি দিন। এমনও হতে পারে আপনার যুক্তিই সঠিক, তখন কাউকে সরাসরি প্যাচাঁ, গাঁজাখুর ( আমি কিন্তু কোন ব্যাক্তিকে গাঁজাখুর বলিনি, লক্ষ্য করুন বলেছি-গাঁজাখুরি কাজ কারবারে বিশ্বাস করিনা), ঘিলু নাই, চুর, বাটপার ইত্যাদির বলার প্রয়োজন পরবেনা। আর বকাবকি করে মু্ক্তমনার নিয়ম ভাঙ্গারও দরকার হবেনা।
আরো কিছু দিন মুক্তমনায় থাকুন, পড়ুন, বুঝুন, যুক্তিদিন এবং চিন্তা করুন।
ধন্যবাদ।
আমি আপনার সাথে মোটেও একমত না। আপনি শুধু একটি ধর্মকে ছোট করাচর জন্য রোজার সাথে দ্রব্য মূল্যের সংযোগ স্থাপন করেছেন। আপনাদের মত কিছু ফালতু লেখক আছে যারা নিজে পেঁচা হয়ে সূর্যের সাথে শত্রুতা করে নিজেকে যাহির করতে চায়। রমজান ছাড়া কী দ্রব্য মূল্য মানুষের নাগালে থাকে? তাহলে রমজানের সাথে দ্রব্য মূল্যর লিংক কোথায় পেলেন? মধ্যপ্রাচ্যের দেশের লোকেরা কী রোজা পালন করে না? তাদের ওখানেত রমজান আসলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়না। আমাদের দেশে কেন পায়? আপনার মাথায় ঘিলু আছে বলেত আমার মনে হয় না। কারন একদল চোর-বাটপার ব্যবসায়ীকে দেশের মন্ত্রী বানাবেন, আর বলবেন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের কারনে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। আপনি আপনার নিজেকে দিয়ে বিচার করুন। আপনার কর্মক্ষেত্রে আপনি কতটুকু সৎ? আপনি আপনার বুকে হাত রেখে বলুন আপনি কতটুকু সৎ? ৫০০০ টাকা না ৫ কোটি টাকার সৎ? নিজে সুযোগ পেলেই চুরি লুটপাট করে সাধারন মানুষের বারটা বাজাবেন আর দোষ দিবেন ধর্মের। লিখতে পারেন বলে লিখলেই হলনা। লিখার আগে চিন্তা করুন কি লিখছেন, আপনার উদ্দেশ্য কী সৎ না কাউকে হেয় করার জন্য লিখা। জ্ঞানীর জন্য এই টুই যতেষ্ঠ। ভাল থাকবেন।
@Coplain,
হা হা – আপনি তো বেশ মজার মানুষ :lotpot: না বুঝে কী সব আবোলতাবোল বকে যাচ্ছেন ভাই- মুক্তমনায় আরো কটা দিন ঘুরাফিরা করুন বুঝবেন তবে :guli:
@Coplain,
আমার মহাতঙ্কের রমজান লেখাটি নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন, কিন্তু সমস্যা হলো আমি ঠিক জানি না কিভাবে তাদের মন্তব্যের জবাব দিতে হয়, ক’দিন পূর্বে কিছুটা শিখেছি, আমি নিজেই নিজের শিক তাই সবকিছুতেই সময় লাগে। অনেকদিন হলো Coplain ভাইয়ের অসভ্যতার একটি জবাব লিখে মুক্তমনায় পাঠিয়েছি, কিন্তু সম্ভবত তারা তা পোস্ট করবেন না। তার মন্তব্য নিচে দেয়া হলো, এ মন্তব্য নিয়ে অনেকে প্রতিবাদ করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। তিনি যা বলেছেন:
(Coplain: আগস্ট ২৮, ২০১১ at ২:০৪ অপরাহ্ণ | লিঙ্ক ) Ò…আপনি শুধু একটি ধর্মকে ছোট করাচর জন্য রোজার সাথে দ্রব্য মূল্যের সংযোগ স্থাপন করেছেন। আপনাদের মত কিছু ফালতু লেখক আছে যারা নিজে পেঁচা হয়ে সূর্যের সাথে শত্রুতা করে নিজেকে যাহির করতে চায়। রমজান ছাড়া কী দ্রব্য মূল্য মানুষের নাগালে থাকে? তাহলে রমজানের সাথে দ্রব্য মূল্যর লিংক কোথায় পেলেন? …আপনার মাথায় ঘিলু আছে বলেত আমার মনে হয় না। কারন একদল চোর-বাটপার ব্যবসায়ীকে দেশের মন্ত্রী বানাবেন, আর বলবেন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের কারনে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। আপনি আপনার নিজেকে দিয়ে বিচার করুন। আপনার কর্মক্ষেত্রে আপনি কতটুকু সৎ? আপনি আপনার বুকে হাত রেখে বলুন আপনি কতটুকু সৎ? ৫০০০ টাকা না ৫ কোটি টাকার সৎ? নিজে সুযোগ পেলেই চুরি লুটপাট করে সাধারন মানুষের বারটা বাজাবেন আর দোষ দিবেন ধর্মের। লিখতে পারেন বলে লিখলেই হলনা। লিখার আগে চিন্তা করুন কি লিখছেন, আপনার উদ্দেশ্য কী সৎ না কাউকে হেয় করার জন্য লিখা। জ্ঞানীর জন্য এই টুই যতেষ্ঠ…।Ó
তবে যিনি উপরোক্ত ভাষা ব্যবহার করেছেন, তিনি প্রকৃত ধার্মিকদের ন্যায় কাজটি করেছেন। কারণ ধার্মিকরা কখনোই ধর্মের অত্যন্ত ক্ষুদ্রতম সমালোচনাটিও সহ্য করতে চায় না, যুক্তি মানতে চায় না। তিনি যদি যুক্তি দিয়ে কঠিন ভাষায় লেখাটির সমালোচনা করতেন, আমি খুশি হোতাম। ভাই, ধর্মের গন্ডির বাইরে অসীম একটা জগত আছে, সে জগতের সন্ধান আপনি পাননি, দোষ আপনার না ধার্মিকদের, যারা ধর্মের বাইরে যেতে আমাদের নিষেধ করে। অথচ ধর্মের গন্ডি খুবই সীমিত। ধর্মের শিক্ষাও বিভ্রান্তিকর। আপনি বোধহয় ধনীর দুলাল (আন্দাজ) বাজার করান চাকর দিয়ে, হিসেব নেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না, তাই না। যদি বাজার নাও করেন, রমজান আসার পূর্বেই পত্রিকা পড়লেই তো বোঝা যায় আতঙ্ক কাকে বলে? তিনি বলেছেন, একটি ধর্মকে ছোট করার জন্য লিখেছি। ভাই, আপনি এখনো ধর্মের ঘোরে আছেন; ঘোরেন, চেষ্টা করে দেখেন, ঘুরতে ঘুরতে ধর্মানুসারে পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ করে সূর্যটাকেই ঘুরাতে পারেন কিনা? অন্য ধর্মে তো আর রমজান নেই, তাই কি করবো। তবে বর্তমানে অন্য ধর্মের আক্রমণ কেন হয় না, কেন শুধু ইসলামের আক্রমণ হয় সেজন্য দেখুন: Jahed Ahmed’s Article page at: http://www.mukto-mona.com/Articles/jahed Of course you should read more: http://www.faithfreedom.org/Author/SKM.htm (Syed Kamran Mirza).
ধর্মের কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে হলে অনাসক্তির অনুশীলন করতে হবে, অনাসক্তিতে আসক্ত হতে পারলে, চাইলেও অতি সহজে অসৎ হওয়া যাবে না, ভেতর থেকে বিবেক তখন গলা টিপে ধরবে। ভাইজান, আমি না হয়, ঘিলুহীন পেঁচা, কিন্তু আমার উক্ত লেখায় যে বিশিষ্ট এক সাংবাদিকের উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম, তিনিও কি পেঁচা এবং ঘিলুহীন? তিনি কি তার লেখায় আতঙ্কতার ছাপ রাখেনি? আমাদের চারপাশের সকলকেই তো রোজা আসার পূর্বেই বাজার নিয়ে মহাতঙ্কের আলাপ করতে শুনি, সেগুলো কি মিথ্যা?
আমাকে পেঁচা বলেছেন, ফালতু লেখক বলেছেন (শুধু আমাকে নয়, বহুবচনে বলেছেন)। একথা সত্যি যে, আমি ফালতু লেখক, আমার লেখা প্রকাশিত হয়ে তৃতীয় দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি জানবে সে চিন্তা আমার ছিলো না। কিন্তু আল্লাই বোধকরি চেয়েছিলো প্রকাশিত হোক, কারণ ধার্মিকরা বলেন, আল্লার ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতাটিসহ কেউ যেমন নড়তে পারে না, কাফেদের নড়ন-চরণের তো প্রশ্নই ওঠে না। ফালতু লেখার আরেকটি কারণ, আমি লেখাপড়া জানি না, দারিদ্রতার কারণে বাবা-মা আমাকে লেখাপড়া শিখাতে পারেননি, এর সম্পূর্ণ দোষ আল্লা/হরির যারা আমাদের মতো ভুরি ভুরি হতদরিদ্রদের জন্ম দিচ্ছে। দারিদ্রতা একটি পাপ বলে বিবেচিত হলেও খোদা কিন্তু নিজেই এটির জন্য দায়ী। মুখ দিয়েছে যিনি, আহার দিবে তিনি, প্রকৃত অর্থে আমরা কি তা দেখতে পাচ্ছি? (যদিও মুখ এখন আর আল্লা দিতে পারে না, দম্পত্তিরাই ইচ্ছামত নেয়, একই গর্ভে ১৫/২০ সন্তান আর জন্মে না)।
আপনার কাছে ফালতু লেখকের সবিনয়ে প্রশ্ন, উত্তর দেওয়া প্রয়োজন নেই, কারণ ধার্মিকদের মাথা গরম থাকে। প্রশ্নগুলো হলো, আল্লা/হরি/ঈশ্বর… এরা কি এক, না ভিন্ন ভিন্ন সত্ত্বা? এরা কি ভিন্ন ভিন্ন সিংহাসনে বসে আছে, নাকি একই সিংহাসনে পালাক্রমে বসে পৃথিবী শাসন করছে? এরা নাকি নিরকার তাহলে সিংহাসনের প্রয়োজনটা কি? নিজেরেদ ইচ্ছায় সব ঘটলে, মানুষদের শাসনের জন্য কেন মন্ত্রীর (স্বর্গদূত/ফেরেস্তা) প্রয়োজন? এদের খাদ্যমন্ত্রী কেন অজস্র শিশুদের অভুক্ত রাখে? (বয়স্করা পাপী হতে পারে, কিন্তু শিশুরা তো পাপী নয়)। এক ধর্মের লোক যেমন অন্য ধর্মের লোকদের ঘৃণা করে এরাও কি এরূপ করে? মৃতের আত্মাকে নিতে যমদূত/আজ্রাইল ইত্যাদি পাঠায় এবং তারাও কি বিবাদ করে? এদের স্বর্গ/বেহেস্ত এবং নরক/দোযখ কি আলাদা আলাদা? মিডিয়া (নবী-রাসূল) ছাড়া এদের কাছে কেন ধার্মিকদের ডাক পৌঁছে না? কেন এরা ধর্মযুদ্ধের ফতোয়া দিয়ে রেখেছে? যুদ্ধ ছাড়া এরা কি মুখের কথায় সব করতে পারতো না? অধিক মানুষ জন্ম দিয়ে খাদ্যাভাব সৃষ্টির প্রয়োজনটা কি? ধর্মপুস্তক অনুসারে সূর্যকে ঘোরাতে ব্যর্থ কেন? নিজেই শত্র“ (শয়তান) সৃষ্টি করেছিলো কেন? প্রায় সব বিজ্ঞানী এবং কতোগুলো কাফের তাকে বিশ্বাস করে না, এদের জন্ম দেওয়া তাদের কি লাভ হয়েছে? কাফের বিজ্ঞানীদের জন্ম না হলে কি পৃথিবী আজ যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকতো? বিশ্বের সমস্ত সম্পদের ৯০-৯৫ ভাগই মাত্র ১০-২০ ভাগ মানুষের হাতে তুলে দিয়ে আর বাকিদের অভুক্ত রাখায় তাদের তৃপ্তি কেন? জানি এসেবের উত্তর হুজুরদের ন্যায় একটাই দিতে পারবেন, সবই তার ইচ্ছা!
সূর্যের সাথে পেঁচা কেন, কোন জীবই শত্র“তা করতে পারে না, কারণ সূর্যই তো প্রকৃত দেবতা। সূর্য না থাকলে আমরা থাকতাম না। তাই সূর্যকে যখন মানুষ পুঁজা করতো তা একেবারেই অমূলক নয়, আল্লা/হরির পূঁজা না করে ধার্মিকদের সুর্যকেই পূঁজা করা উচিত। আমি পেঁচা হয়ে সূর্যের সাথে নয়, আপনি ভুল বলছেন, আমার দুঃসাহস আরো অনেক বেশি, যা আপনার কল্পনায় নেই। আমি সূর্যের তথাকথিত জন্মদাতার সাথেই যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছি, ভাই। মিথ্যা বলবো না, আমি সৎ নই বন্ধু, ১৯৭৪-এর দুর্ভিরে সময় প্রায়ই অভুক্ত থাকতাম, সেই সময় নঙ্গরখানার রুটি এবং ফলমূল চুরি করে কয়েক বন্ধু খেয়েছি। ুধা কখনোই নীতি বা ধর্ম কোনটাই মানে না। এরপর আর কখনো আর চুরি করিনি, অসৎ হইনি, একথা যদি প্রমাণ করতে চান তাহলে আমার কাছের লোকদের নিকট থেকে জানতে হবে। আমি ৫ হাজার বা ৫ কোটি টাকার সৎ কিনা জানি না। নিজের ঢাক নিজেই পিটানো উচিত নয়। যাদের মতা নেই তারা নাকি অসৎ হতে পারে না, যদিও আমি একমত নই, কারণ মতাহীনরাও অসৎ হতে পারে, বিশেষ করে ুধা এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি তাদের বাধ্য করে। তবে সৎ থাকতে হলে প্রয়োজন নিজের সদ্ইচ্ছা। আশা করি আপনার প্রশ্নের কিছুটা উত্তর এর পূর্বের লেখা ধার্মিক নয়, পাপীও নয়, তারা কোথায় যাবে?-তে পেয়েছেন। আমাদের মাথায় ঘিলু নেই তা কেবলমাত্র ধার্মিকরাই বলতে পারেন, কিন্তু যার সামান্য বিজ্ঞান পড়েছেন তারা বলতে পারেন না, কারণ সব মানুষের মাথায় ঘিলু একইরকম থাকে, কিন্তু ঘিলু খাটাতে জানে না প্রায় সকলেই। খাটালেও সমস্যা এই যেমন আপনি যা-তা বলে নিজেকে জাহির করেছেন, যুক্তি একটিও দেননি। সাংবাদিক আতাউস সামাদ সাহেব আমার মতো হয়তো বলেনি এটি মহাতঙ্ক কিন্তু তার লেখাটি পুরো পড়ে দেখবেন, তাতে আতঙ্কের ছাড়ছড়ি। বাজারে যান, দেখবেন রমজানের একমাস পূর্ব থেকে রমজানের এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত বাজারের আগুন আর অন্য সময়ের আগুনের তাপ একই কিনা? বিশ্বাস করবেন না, কারণ যারা জেগে ঘুমায় তাদের ঘুম অন্তত ডাকাডাকি করে কেউ ভাঙ্গাতে পারে না। অন্য সময় বাজারদর বাড়ে তবে তা ধীরগতিতে, ব্যবসায়ীরা তা কায়দা করে সহনীয় করে বাড়ায়, আর রমজান আসছে শুনলে তা সুনামির বেগে বাড়ে। রমজানের সময়কার ২৫০ টাকার কাচা মরিচ রমজান শেষ হওয়ার মাত্র ৪/৫দিনের মধ্যে আমি নিজে ৮০ টাকা দরে কিনেছি, তবে এক সপ্তাহ পরে আবার কিছুটা বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। ২৪০ টাকার ভারতীয়/বার্মিজ রুই কিনেছে ১৬০ টাকা দরে (দেশিটার দাম ভয়ে জিজ্ঞেস করি না), ফার্মের মুরগি ১৭০/৮০ টাকা থেকে নেমে ১৪০ টাকা হয়েছে কি করে? একটি ধর্মের বেশি সমালোচনা হওয়ার কারণ, এই ধর্মটিই সর্বশ্রেষ্ঠ, নবী সর্বশ্রেষ্ঠ, খোদাও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য এর অনুসারীরা মরিয়া। এই ধর্মের সিম্বল তরবারি, অর্থাৎ শক্তি। শক্তি বা জোর খাটিয়ে, ভয় দেখিয়ে, হত্যা করে এতোদিন টিকে আছে।
আপনি মধ্যপ্রাচ্যের উদাহরণ দিয়েছেন, ওখানেও রমজানে দ্রব্যমুল্য বেড়েছে তবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সবার উপরে। গত ২৫ আগষ্ট বিবিসি’র খবরে শুনলাম, অক্সফাম মুসলিম বিশ্বের প্রায় ৭-৮টি দেশে জরিপ চালিয়ে বলেছে, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সিন্ডিকেট করে রমজানের সময় মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশগুলোর নাম সব মনে রাখতে পারিনি তবে আরব ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশও এর মধ্যে রয়েছে। তারা এজন্য দায়ী করেছে সরকারকে, বলেছে এব্যাপারে সরকার ব্যর্থ।
কোরান পড়েন, বুঝতে শিখুন, এটা ঐশ্বী গ্রন্থ কিনা? যেমন, সূরা ৫:৫১, হে বিশ্বাসীগণ! ইহুদী ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না…। সূরা ৯: ২৯, …তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ স্বোচ্ছায় জিযিয়া* দেয়। সূরা ২:১৯১, আর যেখানে পাও, তাদের হত্যা কর… তোমারা তাদের হত্যা করবে, এটাই তো অবিশ্বাসীদের পরিণাম। সূরা ৯:১২৩, হে বিশ্বাসগণ! অবিশ্বাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখুক…। সূরা ৯:৫, …অংশীবাদীদের যেখানে পাবে বধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে…। ৪৭:৪, অতএব যখন তোমরা অবিশ্বাসকারীদের সাথে যুদ্ধে মোকাবিলা কর তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা তাদের সম্পূর্ণভাবে পরাভূত করবে তখন তাদের মজবুত করে বাঁধবে; অতঃপর তোমরা ইচ্ছা করলে তাদের মুক্ত করে দিতে পার অথবা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিতে পার। …এটিই বিধান। ২:২১৬, তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল…। সূরা ২:১৯৩, আর তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাক, যতণ না (তাদের) ধর্মদ্রোহিতা দূর হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন (ধর্ম) প্রতিষ্ঠিত না হয়। সূরা ৯:২৩; ১৪: ১৬; ২২: ১৯-২২; ২২:৯; ২৫:৬; ৪৮:১৩; ৬৯:৩০-৩৭; ৮:১২; ৮:৬০; ৯:৩৯; ৯:৭৩; ৯:১১১; ৫৬:১৯; ৫৬:২০-২৪; ৭৬:১৯; ৫৬:৬৭-৭৫; ৪:৩৪; ৩৮:৪৪; ৬৬:১০; ২:২২২-২২৩; ২:২৮২; ৪:৩ আরো অনেক। ভয় হয় আপনাদের নিয়ে যারা ভরদুপুরে হাতড়ে বেড়ান।
আমি তার ভাষাগুলোর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং মুক্তমনার সকল ভাইদের প্রতি আবেদন রাখছি, তিনি যদি আপনাদের সদস্য হন এবং আপনারা যদি নিরপে হন, তাহলে তাকে মা চাইতে বাধ্য করুন, নতুবা বহিস্কার করুন। ধন্যবাদান্তে, কফিল কাঙ্গাল।
@ আঃ হাকিম চাকলাদার,
সরি ফর অফটপিক:
ঠিক এ মুহূর্তে তো যতদুর জানি আইরিন আপনাদের উপর নির্যাতন করতেছে। প্রথম আলোর আফডেট নিউজ বলছে নিউ ইয়র্ক এ মুহুর্তে অচল। সম্ভব হলে জানাবেন।
@হেলাল,
ধন্যবাদ মিঃ হেলাল। এই বিবদ্জনক HURRICANE IRENE এর প্রচন্ড আঘাতের মুহুর্তে একমাত্র আপনিই একটু আমার খোজ খবর লইলেন।
হাঁ আমাদের বাসস্থানটি একটু নিরাপদ জায়গায় হওয়ার কারনে আমাদের কিছু আত্মীয় পরিবার তাদের বিপদ্জনক বাসস্থান অঞ্চল হতে চলে এসে আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এখনো আমরা পুর্ন মাত্রায় বিপদের মধ্যে অবস্থান করছি। এই মুহুর্তে irene সাঊথ ক্যারোলিনায় অত্যন্ত দক্ষ হস্তে প্রচন্ড ধংস যজ্ঞ্যের কারবার সম্পুর্ন করে প্রচন্ড শক্তি লয়ে আমাদেরকে গ্রাস করবার জন্য ধাবিত হয়ে আসছে।
জানিনা আমাদের ভাগ্যে কি আছে। শুধু মহান স্রষ্টার কাছে একটু প্রার্থনা করুন যাতে irene এর প্রচন্ড তীব্রতা কমিয়ে দুর্বল করে দেয়।
আমি একটা encarta encyclopedia তে দেখেছি ৭০ হাজার বৎসর পূর্বে মানব জাতির সংখ্যা পৃথিবিতে কমতে কমতে মাত্র তিন হাজারে নেমে এসেছিল। কমার কারন ছিল বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ,রোগ ব্যাধি প্রতিকারের ব্যবস্থা না থাকা,এবং গোত্রে গোত্রে মারামারি ও হানি করা।
আর আপনি কোথা থেকে বলছেন?
ধন্যবাদান্তে
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
রোজা না রাখার অপরাধের শাস্তি বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দুরে থেকেও পাচ্ছি। রমজানে বাঙ্গালীদের সাথে সহজে মিশি না বা দেখা করিনা, ইফতারের দাওয়াতে নানা অজুহাতে যাই না, কিন্তু কোন ভাবে দেখা হলে বা কেউ ফোন করলে তাদের প্রথম প্রশ্নই হবে তারাবি নামাজ কি বাসায় পড়ি নাকি মসজিদে পড়ি অথবা কোন মসজিদে পড়ি। দেশ থেকে আত্মীয়-স্বজন ফোন করে নিশ্চিত হতে চায় রোজা যাতে মিস না করি। সত্য উত্তর যে দিতে চায় না তানা কিন্তু কোন সময়ই ব্যাপারটা সুখকর হয়না।
এটাও কি রমজানের জন্য একপ্রকার নির্যাতন না? আমরা যারা এই সব গাঁজাখুরি কাজ কারবারে বিশ্বাস করিনা , তারা কি আমাদের দ্বারা কখনও এমন বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হয়, তাহলে আমরা এই নির্যাতন হতে কখন রেহায় পাব?
@হেলাল, আপনার রোজা রাখার যোগ্যতা নেই রাখবেন না। তাই বলে রোজাকে হেয় করতে পারেন না। একজন রোজাদার গাঁজা খায় না, খায় আপনাদের মত কিছু অরোজদার।
@Coplain,
আপনি যে প্রকৃত রোজাদার তা’তে সন্দেহ নেই ।
মস্তিষ্কে শর্করা সরবরাহে ঘাটতি হওয়াতে রোজাদারদের মেজাজ হয় খিটখিটে, চিন্তাধারা হয়ে যায় এলোমেলো।
আপনার একলাইনের মন্তব্যেই তা’ পরিষ্কার।
চলুন দু’টি হাদিস পড়ে অশেষ নেকী হাসিল করিঃ
“রমজান মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় শয়তানদের।” (বোখারী)।
কেউ কোন পরিসংখ্যান দিয়ে দেখাতে পারবেন, এ মাসে অন্য যে কোন মাসের থেকে অপরাধ কম হয়, বরং উল্টোটাই তো সত্য। এটা গাঁজাখোরী গল্প নয় তো কী ?
“তাঁর নামে বলছি যাঁর হাতে মুহাম্মদের জীবন, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের গন্ধের চেয়েও পবিত্র।” (বোখারী)
গাঁজাখোর এর মুখের গন্ধ মনে হয় এতো খারাপ হয় না, কি বলেন?
@ছফটক, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ নুপুরকান্তি কে আমার মনের ভাবটি বুঝাতে পারার জন্য।
@নুপুরকান্তি, আপনাকেও ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আমার মনের ভাবটি বুঝতে পারার জন্য।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
ভালো এবং সময়পযোগী লেখা। (Y)
ভাইরে, সকলই গরল ভেল!
একদম সঠিক এবং সময়োপযোগী লেখা। আমিও রোজা থাকিনা। আমাকে নানান কটু বাক্য শুনতে হয়। না খেয়ে থাকতে পারিনা – ধর্ম করি কী করে?
এ মহা জ্বালা :-Y
খাবারের কষ্টের কারনে বাইরেই কম যাই এই মাসে। আর জাকাত এর হেদায়েত শুনতে শুনতে কানে তালা ধরে যায়।
জিনিস্পত্রের দামের কথা কি আর বলি :-X
কী করে এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচি খুঁজে পাইনা উপায়। বিশেষ করে
মডারেট মুসলমান্দের হাত থেকে। আমি বলছিনা যে আমি “নাস্তিক”
কিন্তু না খেয়ে থাকতে পারিনা যে- ;-(
@ কফিল কাঙ্গাল:
আপনার সুলিখিত প্রবন্ধটির জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
জোর করে খাবার দোকানগুলো বন্ধ রেখে কিসের ধর্ম নিশ্চিত করা হয় কে জানে।অমুসলমান হিসেবে আমাকেও কেন না খেয়ে কাটাতে হবে এটা আমি কিছুতেই বুঝে পাইনা।
হ্যাঁ ভাই,ধন্যবাদ আপনাকে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত প্রবন্ধ লেখার জন্য।
আমাদের ইসলাম ধর্মটি সর্বশেষ,সর্বশ্রেষ্ঠ,সর্বকালের,সারাবিশ্বের একমাত্র শান্তিপ্রিয় জীবন বিধান।অন্য সমস্ত ধর্ম ইসলাম আসিবার পর মানব জাতির জন্য বাতিল বলিয়া ঘোষনা করা হয়েছে।
আজ ইহুদি নাছারা বৈজ্ঞানিক গন সাধ্য সাধনা করিয়া যে সব আবিস্কার করিয়া মানব জাতির কল্যান সাধন করিতেছেন এ সব ই ১৪০০ বছর আগে নবী কোরানে উল্লেখ করে গেছেন।
প্রমান চান ?
এইতো কিছুক্ষন আগেই একজন মাওলানা সাহেব কোরানের দুইটি বাক্য পড়িয়া অর্থ করিয়া শ্রোতাদের বুঝাইলেন এই বাক্যে BLACK HOLE এর কথা ১৪০০ বছর আগে নবি বলিয়া গিয়েছেন।
আর শ্রোতারা ? তারা সব ছোবহানাল্লাহ ছোবহানাল্লাহ বলিতে ছিল ।আমি সম্পুর্ন বাক্যটি বলিতে পারিবনা। তবে এতটুকু মনে আছে বাক্যটির আরম্ভ ছিল “ফালা উকছিমু” শব্দ দ্বারা। আমার মনে হলনা এই বাক্যের অর্থে কোথাও BLACK HOLE এর বর্ননা আছে।
আর ইহুদি নাছারারা তো এখানে দেখা যায় তাদের ধর্মিয় উৎসব আসবার আগে থেকেই প্রতিযোগিতায় নামে কে কত কম মুল্যে ভোক্তাদের সমস্ত দ্রব্য সরবরাহ করতে পারে।
আর আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মালম্বি হয়ে কি করতেছি? ধর্মিয় অনুষ্ঠানের পালনের সুযোগে জনগনের আর্থিক মেরুদন্ড ভেঙে দিচ্ছি।
এটা কি কোন দিন ও ভাল হবে?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
প্রবন্ধটির মূলবক্তব্য না বুঝেই “শ্রেষ্ঠধর্ম”-এর দাবীদার হয়ে কতগুলো অসংলগ্ন কথা বলে গেলেন।
পারেনও বটে!
@নূপুরকান্তি,
আমার ধারণা, আঃ হাকিম চাকলাদার ঠিকই বলেছেন। মনে হয়, আপনিই বরং উনার শ্লোষাত্মক তীর্যক মন্তব্যটির মূল সুর বুঝতে পারেন নি। সবার প্রকাশভঙ্গি তো আর একরকম হয় না।
আপনি মনোযোগ দিয়ে আরেকবার পড়ুন, মোটেই অসংলগ্ন মনে হবে না।
তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামের দৈন্য দৈনন্দিন ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। চাকলাদার সাহেবের মন্তব্যের মূল বক্তব্যটি এমনই।
@সফ্টডক,
ঠিকই।বোঝার ভুল।ফিরে পড়ে মনে হচ্ছেনা একটুও অসংলগ্নতা রয়েছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জনাব চাকলাদারের প্রতিও আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করছি।
@নূপুরকান্তি,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছাসহ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আইরিন এর খপ্পরে পড়েও আপনারা ভাল আছেন জেনে ভাল লাগছে।
কোরানে ‘বিজ্ঞান’ আবিষ্কারের ব্যাপারে মাওলানারা যে সূত্র থেকে কথা বলেন তা পাবেন এখানে।
আর এসবের উৎস যে প্রতারক আদনান ওক্তার ওরফে হারুন ইয়াহিয়া তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন এখানে।
মুক্তমনায়ও এ ব্যক্তিটি সম্পর্কে পোষ্ট আছে। দেখুন, এখানে।
@সফ্টডক,
সর্বনাসা IRENE এর খপ্পরে পড়ার পর ও আমরা ভাল আছি জেনে আপনানার ভাল লেগেছে জেনে আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি যে LINK গুলি দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। এগুলি আমার কাছে অত্যন্ত মুল্যবান। আমি এগুলি SAVE করে রাখছি। আমার এগুলি প্রয়োজন আছে।
হ্যাঁ,ঠিকই তো এই বাক্যের প্রথম শব্দটি “ফালা উকছিমু” রহিয়াছে যা আমি পথমেই বলেছিলাম,দেখুন।
নীচে আমি Islamic Finder এর অনুবাদ এখানে paste করিলাম।
লক্ষ করুন এখানে BLACK HOLE এর কথা একেবারই উল্লে্খ করা হয় নাই বা ইঙ্গিত ও করা হয় নাই। আরবী অংশ টুকু COPY করা সম্ভব হইলনা। সুত্র ধরে মুল কোরানে আরবী বাক্য দুইটিদেখে নেওয়া যেতে পারে।
কোন ইসলামিক চিন্তাবিদ বা কোরান হাদিছে বিশেষজ্ঞ,এই বাক্যের মধ্যে সরসরি অথবা ইংগিতে BLACK HOLE এর কথা আছে আমাকে দেখাতে পারলে আমার কাছে তার মর্যাদা আছে।
আর যদি না পারেন তাহলে আমার সেই সমস্ত মওলানাদের কাছে একান্ত অনুরোধ আমরা আরবী ভাষায় ও কোরান হাদিছে নিতান্ত অজ্ঞ মুছল্লি ও শ্রোতাদের কে কোরানের ভুল ব্যাখ্যা করিবেন না।
আমরাতো আপনারা যাই কিছু আল্লাহ রসুলের উদ্ধৃতি দিয়া বলতে থাকেন আমাদের অনেক মুল্যবান সময় নষট করে হলেও উদ্গিরন করে থাকি।
আপনাদের এহেন ভুল বা মিথ্যা ব্যাখ্যার কারনে ফলাফল কি দাড়াতে পারে একটু চিন্তা করেছেন কি ?
১।এই মহান ইসলাম ধর্মটি হাস্যস্কর বা অবহেলার বিষয় বস্তুতে পরিনত হতে পারে।
২।আর কেয়ামতের দিনে আল্লাহ পাক আপনাদেরকে জিজ্ঞাসা করিবেন, অজ্ঞ শ্রোতাদেরকে তোমরা কোরান হাদিছে অভিজ্ঞ হইয়া কেন আমার বানীর ভুল ব্যাখ্যা দিয়াছিলে।তখন আপনারা কি উত্তর দিবেন, বলুনতো ?
সুরা আল ওয়াকেয়া ৫৬নং সুরা, বাক্য নং ৭৫ ও ৭৬
56:75
Sahih International
Then I swear by the setting of the stars,
56:76
Sahih International
And indeed, it is an oath – if you could know – [most] great.
এখানে কোথাও BLACK HOLE এর নাম গন্ধ টুকু পর্যন্ত নাই। একটু মনোযোগ দিয়ে পবিত্র কোরানের বাক্য দইটির অনুবাদ পড়ে দেখুনতো।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ধন্যবাদ আপনাকেও।
আসলে হয়তো কথাটা হবে, আল্লাহ্ রসুলের কথা বলে আপনারা যা উদ্গিরণ করেন আমরা তা গলাধঃকরণ করে থাকি। তাই না?
মহাগ্রন্থটি নিষ্ঠার সাথে পড়ছেন দেখে ভাল লাগছে। আশা করি আপনি উপলদ্ধি করবেন আমাদের আজন্ম লালিত বিশ্বাসের সাথে এর কথাগুলোর কত ফারাক!
@সফ্টডক,
?
হ্যা,দুখিত, আমার বোধ হয় ভাষায় একটু কম জ্ঞান থাকার কারনে “গলাধঃকরন” এর স্থলে “উদ্গিরন” বলে ফেলেছি।
ধন্যবাদ,ভুলটি শুধরিয়ে না দিলে এটা তো থেকেই যেত।
আর প্রতারক ইয়াহিয়া হারুনের পোষ্ট টি আমাকে না দিলে তার স্বরুপ টা তো আমি এবং আমার কিছু পরিচিত লোকজন যারা তার অত্যন্ত ভক্ত ছিলাম কখনই জানতে পারতামনা।
আমি তাদেরকেও LINK টি পাঠিয়ে দিয়েছি। এজন্য ও আপনাকে ধন্যবাদ।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
খুব ভাল লাগলো জেনে যে, আদনান ওক্তার ওরফে হারূণ ইয়াহিয়া সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারণা পেয়েছেন। এ বিশ্বকুখ্যাত প্রতারকটির ব্যাপারে আরো জানতে আপনি তাঁর নামে ইউটিউবে তল্লাসী দিন অথবা গুগল করুন। প্রতারণা আর অপরাধের সর্বক্ষেত্রে সাবলীল সফল বিচরণ তাঁর। এখনকার মমিন-মুসলমান যাঁরা কোরান হাদিসের ছত্রে ছত্রে বিজ্ঞান খুঁজে পান তাঁদের গুরু হচ্ছে এ তুর্কীটি।
প্রসঙ্গতঃ কোরানে ১৯ সংখ্যাটি নিয়ে অলৌকিকত্ব আবিষ্কারের জনকও কিন্তু রাশাদ খলিফা নামের একজন বিশ্বকুখ্যাত প্রতারক।
নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত এ মিসরীয়-আমেরিকানটি ১৯৯০ সালে খুন হন।
বিস্তারিত জানতে কোরানে ১৯ এর অলৌকিকত্ব নিয়ে মুক্তমনার অসাধারণ লেখাটিতে ঢুঁ মারতে পারেন।
রাশাদ খলিফার যোগ্য উত্তরসূরী হচ্ছে আজকের দিনের আদনান ওক্তার ওরফে হারূণ ইয়াহিয়া।
@কফিল কাঙ্গাল,
সুখপাঠ্য সুন্দর সময়োপযোগী একটা পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।