‘মারি হালা। মারি হালা। পুলিশ কইছে মারি হালাইবার লাই। তোরা মারছ্ না কা? (মেরে ফেল। মেরে ফেল। পুলিশ বলেছে মেরে ফেলার জন্য। মারিস না কেন?)’ লোকজনের জটলা থেকে কেউ একজন এভাবে বলছেন, আর কিছু লোক কিশোর মিলনকে রাস্তার ওপর ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারছে। একজন লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটাচ্ছে। একপর্যায়ে এক যুবক ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। মিলনের মৃত্যু নিশ্চিত হলে পুলিশ তার লাশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
গত ২৭ জুলাই সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঘটে এই অকল্পনীয় ঘটনা। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ১৬ বছরের কিশোরটিকে পুলিশের গাড়ি থেকে একজন নামিয়ে জনতার হাতে ছেড়ে দিচ্ছে। তারপর শুরু হয় কথিত গণপিটুনি। অবিশ্বাস্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটে পুলিশের উপস্থিতিতে।
কোম্পানীগঞ্জে ওই দিন ডাকাত সন্দেহে পৃথক স্থানে ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেছিল। এর মধ্যে টেকেরবাজার মোড়ে মারা হয় তিনজনকে। তাঁদেরই একজন এই কিশোর শামছুদ্দিন মিলন। মিলনকে মারা হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। আর বাকি দুজনকে মারা হয়েছিল ভোরবেলায়। –
প্রথম আলোর প্রথম পাতার এই খবরটি পড়ে অনেক প্রশ্নের ভীড়ে একটি সোজা-সাপ্টা প্রশ্ন এসে ধাক্কা মারে মাথার ভেতর- এরকম পৈশাচিক উল্লাসে মানুষকে পিটিয়ে মারে যেসব মানুষ তাঁরা কি মানসিক ভাবে সুস্থ আছেন?
ঘটনাটি ঘটার দশদিন পর খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই মোবাইল ফোনের ভিডিওতে হত্যা-দৃশ্যটি ধারণ করেছেন। কোম্পানিগঞ্জের অনেকের মুঠোফোনে এই দৃশ্য দেখেছেন এবং এখনো দেখছেন অনেকেই। ষোল বছরের কিশোর মিলনের অপরাধ কী তা কেউ জানেন না। সে চট্টগ্রামের একটা কোম্পানিতে কাজ করে। ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিল পারিবারিক কাজে। ঘটনার দিন চৌদ্দ হাজার টাকা নিয়ে উপজেলা সদরে যাচ্ছিল জমি নিবন্ধনের কাজে। যাবার পথে চরকাঁকড়া বেপারী উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ুয়া খালাতো বোনের সাথে কথা বলার জন্য বিদ্যালয়ের মসজিদের পুকুরঘাটে বসে অপেক্ষা করছিল সে। এটাই কি অপরাধ? ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জামাল উদ্দিন মিলনের খালাতো বোনকে স্কুল থেকে ডেকে এনে মিলনের পরিচয় নিশ্চিত করেন। এবং এরপর উপস্থিত লোকজন মিলে মিলনকে চড় থাপ্পড় দিয়ে তার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। তারপর মিলনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। আর পুলিশ ভ্যান থেকে নামিয়ে জনতার হাত দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার ব্যবস্থা করে মিলনের লাশ ভ্যানে তুলে চলে যায় বাংলাদেশের বীর পুলিশ বাহিনী।
যে মানুষগুলো মিলনকে‘মারি হালা। মারি হালা। পুলিশ কইছে মারি হালাইবার লাই। তোরা মারছ্ না কা?’ বলতে বলতে বিপুল উৎসাহে পিটিয়ে মেরে ফেললো – তাঁরা সবাই নিশ্চয় এরপর স্বাভাবিক ভাবে যার যার কাজে গেছেন, বাসায় ফিরে ভাত খেয়েছেন, ঘুমিয়েছেন, মিলনের বয়সী কোন ভাই বা ছেলে থাকলে তার সাথে আদর করে কথা বলেছেন, মোবাইল ফোনে ধারণ করা হত্যা-দৃশ্যে নিজেদের ভূমিকা উপভোগ করেছেন গর্ব-ভরে। পিটিয়ে মানুষ মেরে ফেলাটা কত সহজ এখন আমাদের দেশে। পুলিশের বড় কর্তা বলেছেন ‘মিলন অপরাধী কি না, তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আমরা সব বিষয় খতিয়ে দেখছি’। ‘সব বিষয়’ খুতিয়ে খুতিয়ে দেখে ঘোষণা দেবেন মিলন ‘সাধুবেশে চোর অতিশয়’। যেন তাতেই আমরা পেয়ে যাই মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার।
এখানে যে ভয়াবহ মানসিক ব্যাধিতে আমরা ক্রমশ আক্রান্ত হচ্ছি তা কি কেউ খেয়াল করে দেখছেন না? আমরা খুন-খারাবী সহ্য করতে করতে নিজেরাই একেকজন খুনি হয়ে উঠছি ক্রমশ। যারা ভীষণ অপরাধী – বড় বড় আইন তাদের সুরক্ষা দেয় – আর আমরা আম-জনতা নিজেদের বঞ্চনার ক্রোধ অন্ধ হয়ে ঢালি নিজেদেরই কোন ‘মিলন’-এর ওপর। কীভাবে বলি যে আমরা সুস্থ আছি?
আমি যতোবার এই দৃশ্য টেলিভিশনে দেখিয়েছে, মুখ অন্য দিকে সরিয়ে নিয়েছি।
কেমন এক ধরনের অসুস্থ্য ভাব লাগে। আসলে –
দেশটা কী মানুষ শূণ্য হয়ে গেল? পুলিশের বিচার কী কোনোদিনই হবে না?
সাধারণ মানুষরাই বা এমন পিশাচ হয়ে যাচ্ছে কেন?
দুই নেত্রী আছে কেবল চুল-টানাটানি নিয়ে- একজন এসেছেন বাবার হত্যার বিচার করবে আগে, তারপরে যুদ্ধপরাধীদের বিচার। এতো সবের মাঝে দেশ নিয়ে ভাবার সময় কই তাদের? নাহলে পররাস্ট্র মন্ত্রী কি করে বলে-
এই দেশে আদিবাসী বলে কিছু নেই? এইরাই আবার ক্ষমতায় আসার সময় হলে
ভিক্ষুকের মত হাত পাতবে সাধারণ জনগনের কাছে।
অঃট
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আমাদের সাধারণ জনগনের আপত্তি নেই, কিন্তু সেই সাথে দেশ নিয়ে ভাবার সময় তাদের হবে না? এই সব ঘটনা কী তাদের মস্তিস্কের উপর দিয়ে উবে যাই?
আমরা কোথায় বসবাস করছি ?একটি গনতান্ত্রিক দেশে পুলিশের সামনে কতগুলি মানুষ নামের আজরাইলরা একটা শিশুকে মেরে ফেলল ।আর পুলিশ তা চেয়ে চেয়ে দেখছে। আমার ভাবতে ও অবাক লাগছে এমন দেশে আমরা বসবাস করছি !!এই অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদেরকে সুশিক্ষায় শিি ক্ষত হতে হবে।আমাদের দেশের আমলারা কি এই হৃদয় বিদারক ঘটনা শুনেনা ?না তা হবে কেন তাদের সন্তান্দের তো এভাবে মরতে হচ্ছে না।আমি সকল মুক্তমনার পরিচালকবৃন্দ ,কলাকুশলী এবং সদস্যবৃন্দ দেরকে আহবান জানাব আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন সবাই মিলে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করি ।আমার বিশ্বাস আমরাই পারব এই অমানুষিক অবস্তা থেকে বেরিয়ে আসতে ।ধন্যবাদ সবাইকে
httpv://www.youtube.com/watch?v=7exynEw9P88
আরেকটি গণহত্যাঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=2eUA1dhPgBw&feature=related
তবে আমার নিজের মনে হয় না যে এই প্রবনতা আমাদের দেশে হঠাত করেই হয়েছে। মিডিয়া এখন বেশী স্বাধীন আর টেকনোলজির কারনেই মনে হয় জানতে পারছি। এমন ঘটনার বর্ননা সারা জীবনই শুনে এসেছি।
এ নিয়ে আমার ব্লগে কিছুদিন আগে একটা লেখা দিয়েছিলাম।
আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় আমিই বোধ হয় অসুস্থ। কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতি খুনির আসামীকে ছেড়ে দেন, তখন আমার মনে হয়েছিল, জেলের বাইরে থাকাটাই বোধ হয় তাহলে অন্যায়, যত দাগী আসামী খুনি চোর বাটপার সবাইকে ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বরং জেলে ভরা হোক।
এখন আবার দেখছি এক সুস্থ লোককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। আর সেই খুনের তত্ত্বাবধায়ক ছিলো পুলিশ নিজে। আর পিটিয়ে মারলো জনগন। কোন সভ্য দেশেই অপরাধী যত বড়ই হোক না কেন, বিচার না করে শাস্তি দেয়া যায় না। আর আমাদের দেশে পুলিশের প্ররোচনায় চলে নৃশংস হত্যা।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।। :-X
মানুষকে মানুষ ভাবলে মানবিক প্রাণীদের একটু কষ্ট হবে বৈকি। মানব সম্পদ ভাবলে কিন্তু তেমন খারাপ লাগে না। সন্দেহ নেই, মানুষকে এখন প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে, মানব সম্পদ। গাছ-কাটা, কচু-কাটা-র মত এ-ও এক ধরণের কাটাকাটি।
প্রথম আলোতে খবরটা পড়ার পর অনেকটা সময় চুপচাপ বসে ছিলাম। এ ঘটনাটাও সারা পৃথিবীর মাথা ঘুরিয়ে দিত পারতো, কিন্তু পারেনি। স্থান-কাল-পাত্র বলে একটা কথা আছে ।
@স্বপন মাঝি,
মিষ্টি পানিও একটা সম্পদ। কিন্তু অতি বৃষ্টিতে যখন দেশ পানির তলে চলে যায়, দীর্ঘমেয়াদী বন্যার সৃষ্টি হয়, তখন তা আর সম্পদ থাকে না। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ঠিক সেরকমই একটা দুর্যোগ এখন, সম্পদ না, কারন সেটার যোগান প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশী মাত্রা ও পরিমান ছাড়া।
না মানুষ আর মানুষ নেই।
“ইনহাস্ত ওয়াতানাম”- এই আমার জন্মভূমি।
না মানুষ আর সুস্থ নেই।
@স্বাধীন,
উন্নয়নের উত্তাল স্পর্শে মানুষ কিভাবে পণ্য হয়ে ওঠে, অমিয়ভূষণ তাঁর ‘দুখিয়ার কুঠি’-তে দেখিয়েছিলেন। এখন অব্দি বেঁচে থাকলে দেখাতে পারতেন, উন্নয়নের সাথে সাথে ফিল্মি কায়দায় খুন খারাবিও কিভাবে আলু-পটল হয় ওঠে।
আমরা যেখানে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে দেখলে আনন্দিত হওয়ার কথা, মনে সাহস পাওয়ার কথা সেখানে আমরা সর্বপ্রথম তাকে সন্দেহ করি এমনকি তাকে বুঝার আগেই। তাহলে কি মানুষ মানেই অমঙ্গলকর?
পিটিয়ে মারার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে সত্যিই আতঙ্কিত। গণপিটুনির কিছু দৃশ্য আমি দেখেছি। মানুষ যে অতি অল্প সময়ে কতটা অসুরে পরিণত হতে পারে তা এগুলো নিজ চোখে না দেখলে বুঝা সম্ভব নয়।
@সৈকত চৌধুরী,
মানবিক এ বোধ থেকে আমরা একটা পথের চিহ্ন এঁকে দিতে পারি।
যতদুর মনে পড়ে, অর্থনীতির একটা সূত্র আছে- বাজারে দ্রব্যের আমদানী বেশী হলে তার দাম কমে যায়। অতি ছোট বাংলাদেশে বর্তমানে মানুষের যোগান সকল মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আর তাই তার দাম প্রায় এখন শূন্যের কাছাকাছি। উন্নত বিশ্বে জঙ্গলের একটা কীট পতঙ্গের যেটুকু দাম আছে , বাংলাদেশে একটা মানুষের সেটুকু দামও নেই। কারন মাত্রারিতিক্ত জনসংখ্যা, মানুষের যোগান। আমরা এহেন মর্মান্তিক ও নৃসংশ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাতে পারি, হতে পারি হতবাক- কিন্তু মানুষের দাম বাড়াতে , এর সংখ্যা কমানোর বিকল্প নেই। রাজনীতিবিদ বা তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের গালভরা বুলি- জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিনত করতে হবে – এসব ফালতু কথা বলে লাভ নেই। জনসংখ্যা কিভাবে কমানো যায় বা কমপক্ষে স্থিতিশীল কিভাবে রাখা যায় সে ব্যবস্থা এখনই জরুরী। সেটা করা না গেলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এর চেয়ে ঢের বিপত্তি অপেক্ষা করছে।
@ভবঘুরে, ভাল বলেছেন। (Y)
নাগরিকদের ভেতর ব্যাপক গণজাগরণ ও সচেতন মানবাধিকার বিপ্লবই হয়ত এই ধরনের পৈশাচিক বর্বরতা থেকে তাদের রক্ষা বা আড়াল করতে পারবে। কিন্তু কি ভাবে ওই সচেতনতা সাধারণের কাছে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে আন্তরিক ভাবে ভাবার এবং অবিলম্বে তা প্রয়োগের দরকার বলে মনে করি।
@কাজী রহমান,
আমরা আক্ষেপ করে যাবো, ও দিকে সক্রিয় কুরুক্ষেত্র। কার্যকর কিছু করা যায় কি-না, আক্ষেপ করা ছাড়া আমরা কি কিছু ভেবে দেখবার চেষ্টা করেছি?
@স্বপন মাঝি,
কই, তৃণমূল পর্যায়ে তেমন কিছু হচ্ছে বলে তো মনে হয় না। অন্তত আমার চোখে পড়েনি।
এই কথাটা সেই জন্যই বলেছি। আশা করি ওখানে আপনার আক্ষেপ নেই 🙂
আমরা ক্রমশ মানুষ থেকে পাকিস্তানিতে রূপান্তর হচ্ছি। নাগরিক সমস্যা দিন দিন মানুষকে গ্রাস করে ফেলছে, সুস্থ চিন্তা শক্তি লোপ পাচ্ছে। আর এ থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষ ধর্মের দিকে ঝোকছে এবং সমাজ দ্রুত অন্ধকারে ধাবিত হচ্ছে।
অর্থনৈতিক মুক্তি, সুন্দর ভবিষ্যৎ স্বপ্ন, সুস্থ রাজনীতি খুব জরুরি দরকার আমাদের এ পৈশাচিকটা হতে মানবিকতায় ফিরে আসতে।
সেই উৎবচনটার যথার্থতা আবারও টের পাচ্ছি-
আজ সকালে পত্রিকায় এই রিপোর্টটা পড়ে নাগরিক হতাশায় এতোটাই মানসিকভাবে বিহ্বল হয়েছিলাম যে, অফিসে পৌছুতে পনের মিনিট লেট করে ফেলেছিলাম। এই বিহ্বলতার আরেকটা কারণ ছিলো, চাকরিসূত্রে ওই এলাকার পাশেই এককালে বেশ কিছুকাল ছিলাম এবং চরকাকড়া বা কোম্পানিগঞ্জে প্রচুর যাওয়া-আসা হয়েছে। কাকতালীয় ব্যাপার কিনা কে জানে, বাংলাদেশের ওই নোয়াখালী অঞ্চলেই প্রদর্শিত ধার্মিক জনগোষ্ঠির হার বেশি মনে হয়েছে তখনই। অবস্থাদৃষ্টে এখন তো আরো বেড়ে যাবার কথা !
আমরা সুস্থ আছি কিনা, এই প্রশ্নটাই মনে হয় এখন প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছে ! প্রশ্নটা হওয়ার কথা, আমরা আদৌ মানুষ আছি কিনা !!
আমার কিছু বলাতে কি আসবে যাবে? পুলিস এবং জনতা এভাবেই নিজেদের সাথে হওয়া অপ্রেশনের ঝাল অন্য কোন “মিলন”এর উপর ঝাড়বে। কতগুলো মানুষ একটা মানুষ্কে পিটিয়ে মেরেই ফেলে কি করে, আর তার পরে স্বাভাবিকই থাকে কি করে। আমার অদ্ভুত এক ধরণের %
আমরা আজ কার কাছে বিচার চাইবো ;আইনের কাছে,আদালতের কাছে, সরকারের কাছে? যেখানে সরকারের নির্লজ্জ নির্দেশে RAB প্রতিনিয়তই জলজ্যান্ত মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে ক্রসফায়ারের নামে। সেখানে আর কীসের বিচার, কীসের আইন। কোন ্মানুষ অপরাধী প্রমাণিত হলে আইনের মাধ্যমে তার বিচার হবে এটাই তো গনতান্ত্রিক দেশের সাধারণ নিয়ম। কিন্তু কী হচ্ছে দেশে! যার যাকে খুশী মেরে ফেলছে। পুলিশ মানুষকে মেরে ফেলছে। আইনের প্রয়োগ তো কোথাও দেখছি না।
বিকলাঙ্গ জাতি । জাতির জনক কে এরা এভাবে ই খুন করেছিল…সেই থেকে শুরু…
@সপ্তক,
তার আগে কোন খুন-খারাবি হয়নি?
@স্বপন মাঝি,
খুন হয়েছিল কিন্তু খুন করে মাফ পাওয়া যায়, পুরস্কার পাওয়া যায়– এটা তখন থেকে এ শুরু…
@সপ্তক,
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে কাদের সিদ্দিকীর মুক্তিবাহিনীরা হাজার হাজার লোকের সামনে পল্টন ময়দানে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে পাকিস্তানী সহযোগীদের মেরে ফেলে। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের জন্য কি সুন্দর নজীর স্থাপন। আইনের শাসনের নজীর স্থাপনের সেটাই মাহেন্দ্র সময় ছিল। ইটালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফালাচী এই ঘটনার উল্লেখ করে শেখ মুজিবকে প্রশ্ন করলে মুজিব এতে চটে যান আর মুজিব বাহিনী ফালাচিকে হুমকি দিতে থাকে, যার ফলে ফালাচিকে বাংলাদেশ থেকে তড়ি ঘড়ি পালাতে হয়। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে এই লিঙ্কেঃ
http://www.statelesspeopleinbangladesh.net/video/NBC-News-Broadcast.wmv
এরপর আরেক বড় নজীর স্থাপন করলেন মুজিব। ১৯৭১ এর সবচেয়ে বড় খুনীরা, ১৯৫ জন পাকিস্তানী সৈন্য যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ ছিল হত্যা ধর্ষণের তাদের ক্ষমা করে পাকিস্তানে প্রত্যাবাসিত করলেন, ১৯৭৪ এ। কেন? কারণ পাকিস্তানকে খুশী করতে পারলে ইসলামী সঙ্ঘ OIC সদস্য পদ পাওয়া যাবে বলে, Oh I See! কোথায় গেল ধর্মনিরপেক্ষতা। হত্যা ও ধর্ষণের স্বীকার সেই মা বোনদের জন্য কত বড় অপমান এটা। তারা কি ক্ষমা করেছিল ওদের?
আসা যাক বর্তমানে। কোম্পানীগঞ্জের এই পাবলিকেরা তো মুজিব হত্যার সময় হয়ত জন্মায় ও নি। মুজিবের হতায়কারীদের তো ফাঁসী দেয়া হল বছরের বেশি হল। তাহলে এই পাবলিকেদের তো শিক্ষা হবার কথা যে খুন করলে বিচার পেতে হয়। কারণ তারা তো এই বিচার দেখেছে গত বছর। হাস্যকর যুক্তি দেবার বেলায় ইসলামী মৌলবাদী আর আওয়ামী মৌলবাদীর মধ্য তফাৎ নেই।
:-Y @কালযাত্রী,
শুধু কাদের সিদ্দিকী গং ই নয়,আরও অনেক ঐ রকম ঘটনা ঐ সময় ঘটেছে।যাকে নিঊটন এর তৃতীয় সূত্র দারা এ শুধু ব্যখ্যা করা যায়।সহজ কথায় সব ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত পতিক্রিয়া আছে।আমার কথা না ডঃ মহাম্মাদ জাফর ইকবাল এর লিখায় পরেছিলাম কিভাবে সাধারন মানুষ একজন পলাতক পাকিস্তানি সইনিক কে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল ,তার মতে এটা ছিল নিরযাতিত,ধষি’ত…মানুষদের তাতখনিক প্রতিক্রিয়া।যার জন্য ডঃ ইকবাল খুব এক টা অবাক হন নাই।কিন্তু আপনি হয়েছেন।যে বাবার সামনে তার শিশু পুত্র র দুই পা ধরে ছিরে ফেলেছিল তাদের ক্রধ তাতখনিক ভাবে ঠেকানো যায় নাই।১৯৫ জন খুনি কে কেন পাকিস্তান সরকার এর কাছে ফেরত দেয়া হএছিল সে ইতিহাস আপনি জানেন না…কালজাত্রি?…শর্ত ছিল পাকিস্তানি সরকার তাদের war crime এর বিচার করবে।তারা সে্টা করে নাই,আরও যে কারন ছিল পাকিস্তান এ আটক বাঙালি দের মুক্তি।আপনাদের মত মানুষ রা এখন এ দাবি ও করছেন যে ১৯৭১ এ ৩০ লক্ষ না মাত্র ৩ লক্ষ
এর মত মানুস খুন হএছিল,যেনো সংখ্যা টা প্রধান।
বিচার বহিরভুত হত্যা কে সমর্থন করলে আমরা গোলাম আযম কে পিটিয়ে মারতাম।আম্রা তাই করি নাই বলে ই আজ অরা পতাকা উড়িয়ে মহান সংসদ এ জেতে পেরেছে…।্যদি বলেন এটা আমাদের ব্যথ’তা ।।তা হলে আর কি ই বা বলার আছে…।নতুন বাংলা টাইপ করছি ,তাই প্রচুর বানান ভুল আছে।না লিখেও উপায় নাই।
@সপ্তক,
ধর্ষণ, হত্যাকারী পাকিস্তানী সৈন্যকে(Combatant) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পিটিয়ে মেরে ফেলা এক জিনিষ,আর হাজার হাজার মানুষের সামনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোল্লাসে কথিত দালালকে (Civilian) তিলে তিলে মেরে ফেলা (যুদ্ধ শেষে) এক জিনিষ নয়। আরো নিষ্ঠুর ব্যাপার হল মেরে ফেলার পর নিহতেরই আপনজন (ছেলে হতেও পারে) এক বাচ্চা নিহতের উপর শুয়ে পড়লে কাদের বাহিনীর হন্তারকেরা ফিরে এসে সেই বাচ্চাকেও নির্মম ভাবে হত্যা করে (লিঙ্কে দেয়া ভিডিওতে আছে) । হিংস্র জনতা (মুক্তিবাহিনীর সদস্যই হোক বা মারমুখী পাবলিকই হোক) শুধু যে পাকিস্তানী সৈন্যই মেরেছিল তা নয়। এগুলিকে নাহয় আবেগের অপরাধ বলা যায়। কিন্তু অবাঙ্গালী শিশু ও মহিলাদের হত্যা ও ধর্ষণেরও বহু ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন সূত্রে, অনেকগুলি ২৫শে মার্চের আগেও। সেগুলিকে এত নিরীহভাবে ব্যাখ্যা দেয়া যায় না আবেগের অপরাধ বলে।
পল্টনে কাদের বাহিনীর এই পাবলিক হত্যাযজ্ঞ ছাড়া আরেকটা দুঃখজনক ব্যাপার হল মুজিবের এ ঘটনাকে অস্বীকার করে ওরিয়ানাকে মিথ্যাবাদী বলা। এটা দায়িত্বশীল নেতার মত আচরণ নয়। মুজিব বলতে পারতেন, ব্যাপারটা দুঃখজনক,তদন্ত করা হবে ইত্যাদি। তা না করে ওরিয়ানাকে মিথ্যাবাদী বলে হুমকি দিয়ে বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকেই ছোট করলেন। ওরিয়ানার লেখা বই “The Rage and the Pride” যারা পড়ে তারা যখন দেখবে খোমেনী আর হাবাসের সাথে মুজিবকে একই কাতারে ফেলে ওরিয়ানা লিখেছেনঃ
(http://italian.about.com/library/fallaci/blfallaci16.htm ) :
“…I could tell you about Mujib Rahman, who, again at Dacca, had ordered his guerillas to eliminate me as a dangerous European, and lucky for me an English colonel saved me at the risk of his life.”
তখন কেমন দেখায়?
এই ইতিহাস কোথায় পেলেন। এটা হয়ত আপনার Wishful Thinking। যাহোক দেখুন নীচে ১৯৫ যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির কিছু প্রাসঙ্গিক অংশঃ
(http://www.genocidebangladesh.org/?p=196 থেকে নেয়া)
13. The question of 195 Pakistani prisoners of war was discussed by the three Ministers in the context of the earnest desire of the Governments for reconciliation, peace and friendship in the sub-continent. The Foreign Minister of Bangladesh stated that the excesses and manifold crimes committed by those prisoners of war constituted, according to the relevant provisions of the UN General Assembly resolutions and international law, war crimes, crimes against humanity and genocide, and that there was universal consensus that persons charged with such crimes as 195 Pakistani prisons of war should be held to account and subjected to the due process of law. The Minister of State for Defense and Foreign Affairs of the Government of Pakistan said that his Government condemned and deeply regretted any crimes that may have been committed.
14. In this connection, the three Ministers noted that the matter should be viewed in the context of the determination of the three countries to continue resolutely to work for reconciliation. The Ministers further noted that following recognition, the Prime Minister of Pakistan had declared that he would visit Bangladesh in response to the invitation of the Prime Minister of Bangladesh and appealed to the people of Bangladesh to forgive and forget the mistakes of the past in order to promote reconciliation. Similarly, the Prime Minister of Bangladesh had declared with regard to the atrocities and destruction committed in Bangladesh in 1971, that he wanted the people to forget the past and to make a fresh start, stating that the people of Bangladesh knew how to forgive.
15. In the light of the foregoing and, in particular, having regard to the appeal of the Prime Minister of Pakistan to the people of Bangladesh to forgive and forget the mistakes of the past, the Foreign Minister of Bangladesh stated that the Government of Bangladesh had decided not to proceed with the trials as an act of clemency. It was agreed that the 195 prisoners of war might be repatriated to Pakistan along with the other prisoners of war now in the process of repatriation under the Delhi Agreement.
এই তিন অনুচ্ছেদেই শুধু ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীদের উল্লেখ রয়েছে। এত কোথাও বলা নেই যে ১৯৫ জনকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হবে। বরং ১৪ ও ১৫ এর দ্বারা এটাই স্পষ্ট করে বোঝান হয়েছে (যদি কেউ সামান্যতম ইংরেজী জানে) যে যদিও ১৯৫ জন সৈন্যের অপরাধ এমন যে তা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচারযোগ্য কিন্তু অতীতকে পেছনে ফেলে নতুন করে সব শুরু করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাদের ক্ষমা করে দিয়ে তাদের পাকিস্তানে প্রত্যাবাসন করছে। এই লিখিত চুক্তিই এ ব্যাপারে শেষ কথা। এখানে শর্তের উল্লেখ নেই, উল্লেখ আছে ক্ষমার। ক্ষমা শব্দটার মানে কি? নিজে বিচার না করে অন্যের হাতে বিচার তুলে দেয়াটা কি ক্ষমা?
“আমরা” টা কে? বিচার বহির্ভূত হত্যা কে সমর্থন করে বা না করে সেটা নিয়ে তো আলোচনা হচ্ছে না। এটা যে ঘটেছে আর তার জন্য যে শাস্তি হয়নি সেটাই আলোচনার বিষয়। এটা সব আমলেই হয়েছে। আপনার যুক্তি ছিল ১৯৭৫ থেকেই এটার সূত্রপাত। তার আগে যেন ন্যয় বিচারের/সুশাসনের এক স্বর্ণযুগ বিরাজ করছিল। বাস্তবে ১৯৭২-৭৫ এ গুপ্ত হত্যা, বিনা বিচারে আটকের এক কালো যুগ ছিল বলেই ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। মুজিব বাহিনী আর রক্ষী বাহিনীর হাতে অনেকেই নির্যাতিত, নিহত হয়েছিল স্রেফ আওয়ামী শাসনের সমালোচনা বা বিরোধিতা করার জন্য। আর গোলাম আযমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি এ কারণে নয় যে সেটা করলে তা বিচার বহির্ভূত হত্যা হবে এই মহান উপলব্ধির জন্য। গোলাম আযম সেই সময়ে পাকিস্তানে পালিয়ে ছিল। গোলাম আযমকে না হলেও অন্য অনেক বিচার বহির্ভূত হত্যা তো ঘটেছিল, পল্টনের ঘটনা কেবল একটি উদাহরণ। শুধু গোলাম আযমকে পিটিয়ে না মারার কারণেই কি প্রমাণ হয় যে “আপনারা” (আবারও কারা?) বিচার বহির্ভূত হত্যার সমর্থক না? আরেকটা হাস্যকর যুক্তি।
@কালযাত্রী,
The Foreign Minister of Bangladesh stated that the excesses and manifold crimes committed by those prisoners of war constituted, according to the relevant provisions of the UN General Assembly resolutions and international law, war crimes, crimes against humanity and genocide, and that there was universal consensus that persons charged with such crimes as 195 Pakistani prisons of war should be held to account and subjected to the due process of law. The Minister of State for Defense and Foreign Affairs of the Government of Pakistan said that his Government condemned and deeply regretted any crimes that may have been committed
আমি দশ বৎসরের উপর কানাডা তে বসবাস করলেও ইংলিশ ভাল জানি না ! ,কারন ইংলিশ আমার প্রথম ভাষা না।এতে আমার খুব দুঃখ ও নেই।তবে এখানে যতটুকু বুঝলাম পাকিস্তান ১৯৫ জন এর যুধাপরাধ পাকিস্তান মেনে নিএছিল এবং দুঃখ প্রকাশ করেছিল…এবং ছুক্তিকারক রা একমত যে ঐ ১৯৫ জন পরিকল্পিত যুধাপরাধ এর সাথে জরিত,এবং তাদের প্রচলিত আইন অনুজাই বিচার হয়া উচিত।
14. In this connection, the three Ministers noted that the matter should be viewed in the context of the determination of the three countries to continue resolutely to work for reconciliation. The Ministers further noted that following recognition, the Prime Minister of Pakistan had declared that he would visit Bangladesh in response to the invitation of the Prime Minister of Bangladesh and appealed to the people of Bangladesh to forgive and forget the mistakes of the past in order to promote reconciliation. Similarly, the Prime Minister of Bangladesh had declared with regard to the atrocities and destruction committed in Bangladesh in 1971, that he wanted the people to forget the past and to make a fresh start, stating that the people of Bangladesh knew how to forgive.
এখানে যা বুঝা গেল পাকিস্তান এর মন্ত্রি মহাসয় বাংলাদেশ এ এসে বাংলাদেশ এর জনগন এর কাছে মাফ ছাইবেন।।জা তারা করেন নাই…খমার মাধমে বাংলাদেশ এর প্রধান মন্ত্রি বুঝােত চান যে তারা ক্ষমা করতে জানেন।।বা কিভাবে খমার মহান উদাহরন দেয়া যায়।
চুক্তির ব্যখ্যা করা আইনবিদ দের কাজ,কিন্তু এই চুক্তি তে ১৯৫ জন এর অপরাধ শিকার করা হএছে সব পখখ থেকে এবং প্রছলিত আইন এ তাদের বিছার হয়া উছিত এবেপারে সবাই একমত।
প্রস্ন থাকে কেন এই ক্ষমা এবং কেন এ বা মহানুভবতা?।একথা আমি আগে ই
বলেছি পাকিস্তান এ আটক পরা বাংলাদেশিদের জান এর নিরাপত্তা।১৯৫ জন এর জান এর বদলে কএক লখ বাংলাদেশির প্রান রখখা।১৯৫ জন পাকিস্তানি ওপরাধি সেখ সাহেব এর আপন কেও ছিল না।।কিন্তু পাকিস্তান এ আটক পরা বাংলাদেশি রা সেখ সাহেব এর কেও হইত ছিল!
রখখী বাহিনি র কথা বলা হয়,রখখী বাহিনির কাছে জেধরনের অস্র ছিল তার ছেও ভাল অস্র ছিল গনবাহিনির কাছে।জাসদ এর নেতারা বাম ধারার ছিলেন না…তারা সব প্রাক ছাত্রলিগ এর নেতা করমি,তাদের যে বইজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নাম এ সন্ত্রাসি করম কান্দে নিওগ করা হএছিল তা এখন তারা সিকার করেন
এখন আমার মুল বক্তব্ব তা এ সুধু বলি।১৯৭৫ এর ১৫ এর অগাস্ট এর হত্যা কান্দের পর বাংলাদেশ এর মানুস এর মনে এ ধারনা বধমুল হই যে এ দেসে খুন করলে বিছার এর পরিবর্তে পুরস্কার পাওয়া ্যাই।খুন করা বাংলাদেশ এ বৈধ। মানুস এর মনজগত এর সে ধারনা পরিবরতন হই নাই।বরং জুধাপরাধি রা কনপ্রকার ক্ষমা না ছেয়েও বাংলাদেশ এর মহান সংসদ এ বসেছে।১৯৫ এর কর্মকাণ্ডের জন্য অন্তত পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রি দুখ প্রকাশ করেছিলেন।
শেখ সাহেব (বঙ্গবন্ধু লিখলাম না…কারন আপনার মত বিকালঙ্গ বাঙালি কসট পাবেন তাই)অনেক ভুল করেছিলেন তার মাঝে সবছেয়ে বর ভুল ছিল বাংলাদেশ এর সাধিনতার সপ্ন দেখা!তিনি ভুট্ট সাহেব এর সাথে ৬ দফার বেপারে আপস করে সল্পকালিন পাকিস্তান এর প্রধান মন্ত্রি হলে আপ্নারা খুসি হতেন……তাইলে আপ্নারা বাংলাদেশ এর সব খুন এর দায় শেখ সাহেব এর উপরে ছাপাতে পারতেন না…।।আর বিস্তারিত লিখার ইছাআ ছিল পারলাম না কারন বাংলা টাইপ নতুন করছি,প্রছুর বানান ভুল হই।এক পাতা লিখতে কএক ঘন্টা লাগে।
মুক্তমনার সম্পাদক সাহেব এর কাছে অনুরধ এই অগাস্ট মাস এ বঙ্গবন্ধুর অপকরম নিএ একটি আলচনামুলক লিখা আহবান করুন
আমরা জাতিও ভাবে বঙ্গবন্ধু কে বরজন করি এবং বাংলাদেশ এ সব ধরনের খুন,গুম,ধরসন্্…এর জন্য বঙ্গবন্ধুর বিছার দাবি করি…৭৪ এর দুরভিখ ত আছে এ……আমেরিকা র চাল এর জাহাজ ফেরত নেয়ার ঘটনা বাদ দিয়ে ই……
@কালযাত্রী,
ভাববার মত মন্তব্য। আপনাকে খুব বেশি দেখা যায়না মুক্তমনায়। এটা দুঃখজনক।
@রৌরব,
ধন্যবাদ আপনাকে। ভাববার মত অনেক কিছুই বলার আছে। অপ্রিয় সত্যভাষণে অনেকের বিরাগভাজন হতে হয়। তবে সাথে আছেন জেনে ভরসা পাচ্ছি, তাই হয়ত আরও লিখব।
একদম তাই।
বিভৎস অবস্থা এখন বাংলার ঘরে ঘরে,পথে পথে এবং চারিদিকে বিরাজমান।দেশটা এখন আর জনপদের নয় ,যেন হিংস্র মানুষখেকো ভাল্লুক জানোয়ারের চারনভূমি।
জ্বী না, আমরা সুস্থ নই।
দেশের লোকজন অতিশয় ধার্মিক হয়েছে! ওরা সবাই এখন বিচারক সেজে ফতোয়া দিতে চায়। ততধিক ধার্মিক আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্যাঙ্গাৎ গন, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান বানিয়েছেন! এই ধর্মনিরপেক্ষ মোল্লা সংবিধান মসজিদে গিয়ে টুপীমাথায় ৫-ওয়াক্ত নামাজ পড়ে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম (হাসিনা)’ জাহির করবে! আর যেইখানেই সংবিধান স্পর্শ করবেন ডিজিটাল গায়েবী আওয়াজ বের হবে, “বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম”। এই অতিশয় ধার্মিক দেশের ধার্মিক মন্ত্রীবর্গের অতিশয় ধার্মিক পেটোয়া বাহিনী তথা আল্লাওয়ালা পুলিশ ধর্মরক্ষায় অনুরূপ ব্যবস্থা ব্যতিরেকে আর কিইবা নিতে পারে! ধার্মিক দেশের পুলিশে ফতোয়া দিয়েছে, ‘মারি হালা। মারি হালা।’ তাই ধার্মিকেরা ওকে মেরে ফেলেছে! এর পরে ধার্মিকেরা ওর জানাজা পড়ে ওকে পুঁতে ফেলবে! আর দিকে দিকে ইসলাম (হাসিনা)-র তড়িকায় জয়োধ্বোণী বেজে উঠবে!
খতিয়ে দেখার আগেই যে দেশে মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়…সে দেশ এ জন্মানর আগেই মরে জাওয়া উচিৎ। যদিও আদম সুমারি তে ১৪/১৬ কোটি মানুষের হিশাব আমরা পাই…কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানুষ আদও কয় জন আছে তা মনে হয় স্রষ্টা নিজে ও জানেন না।
বাংলাদেশী হিশাবে আমি আবার ও লজ্জিত!