আমার দুর্ভাগ্য যে গত দুদিন ধরে আমার লেখা নিবন্ধ মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-৩ এ করা আমার মন্তব্যের বিপক্ষে বেশ কিছু উত্তপ্ত প্রতি মন্তব্য প্রকাশিত হলেও তার উত্তর দিতে পারিনি। এর জন্য দায়ী আমি নই, দায়ী আমার ল্যাপটপ। কোন এক অজানা কারনে নিবন্ধটি পুরো একসাথে ডাউনলোড হয় না, যার ফলে উত্তর দিতে পারিনি। যাহোক, বিশেষ করে মুক্তমনা সাইটের বিজ্ঞ মডারেটরদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার এ লেখা পোষ্ট আকারে প্রকাশ করার প্রয়াস।কারন তারা অতিশয় দয়াপরবশ হয়ে আমাকে সতর্ক করে দিয়েছেন আর তারই প্রেক্ষিতে অনেকটা আত্মপক্ষ সমর্থনের উদ্দেশ্যে আমাকে এ লেখাটি লিখতে হচ্ছে।যেহেতু আমার নিবন্ধে প্রকাশিত মন্তব্যের কোন উত্তর দিতে পারছিও না তাই পোষ্ট আকারে প্রকাশ না করে আমার কোন উপায়ও নেই।যাহোক, আসলে আমি কাউকে কোন গালিগালাজ করিনি বা তা করতেও পারি না। একটা মন্তব্যে বলেছিলাম কোরানে আল্লাহ তথা মোহাম্মদ অমুসলিমদের উদ্দেশ্যে গালাগালি করেছে, যেমন বলেছে- কাফের মুশরিক, ইহুদি এরা হলো – কুকুরের মত, নীচ প্রানী , বানর ইত্যাদি।এ প্রসঙ্গে কোরান থেকে কয়েকটা আয়াতও উল্লেখ করেছিলাম। তখন Aminul Haque নামের একজন সম্মানিত মুমিন বান্দা বলেছিলেন কোরানের সেই কথা গুলো হলো রূপক। আর এ ধরনের রূপক বোঝার বুদ্ধি নাকি আমার নেই।অর্থাৎ আল্লাহ প্রকৃতপক্ষে কাউকে কুকুর, নীচ প্রানী বা বানর বলে নি। আর তাই তা গালাগালির পর্যায়ে পড়ে না। তিনি পরে আরও অনেক মন্তব্যে প্রকাশ করেন আমি নাকি কোরান হাদিস পড়ে কিছুই বুঝি নি ও নিজের মনগড়া বর্ননা দিয়ে মোহাম্মদের চরিত্র হনন করেছি। অর্থাৎ আমার সত্য ভাষণ তার কাছে ভাল লাগেনি, ও অন্যান্য মুমিন বান্দার মত তিনিও আমাকে নানা প্রকারে বুঝাতে চেষ্টা করেন আমি বাস্তবে একটা নির্বোধ ছাড়া আর কিছুই নই। যাহোক এতে আমি মা্ইন্ড করিনি।
এর পরেই আমার মাথায় একটু দুষ্ট বুদ্ধি এল এবং ভাবলাম ঠিক এ শব্দগুলিই Aminul Haque এর উদ্দেশ্যে লিখব এবং দেখব উনি কি প্রতিক্রিয়া করেন। এরই ফলশ্রুতিতে আমি লিখি- Aminul Haque সাহেব অনেকটা কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করেন, বা বাদরের মত আচরন করেন। অনেকটা আমি ফাদ পাতার একটা কাজ করলাম।ছোটবেলা গ্রামে থাকতে ইঁদুর ধরার ফাঁদ পাততাম। সেটা ছিল একটা ছোট বাক্সের মত, ভিতরে একটি হুকে খাবার ঝুলিয়ে রাখা হতো, ইঁদুর ভিতরে ঢুকে খাবার খেতে গেলেই বাক্সে আটকা পড়ত। Aminul Haque সাহেবকে হাতে নাতে ধরার জন্য অনেকটা একায়দাতেই ফাঁদ পাতার পরিকল্পনা থেকেই আগের সেই উক্তি গুলি ইচ্ছাকৃত ভাবে করা। কিন্তু বেরসিক মডারেটর মহোদয় ব্যপারটা , আমার ধারনা, বুঝেও অনেকটা না বোঝার ভান করে তা মুছে দেন, হয়তবা মুক্তমনা সাইটের পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে। কারন পরিবেশ দুষণের হাত থেকে সাইটটিকে বাচানোর দায় দায়িত্ব তো পরিশেষে তাদেরই ওপর বর্তায়। তাই এতে আমি মনে কিছু না করে বরং দারুন পুলক বোধ করেছি। যাহোক, এরই মধ্যে আমার যে উদ্দেশ্য ছিল তা ঠিকই পূরন হয়ে গেছে। Aminul Haque সাহেব তার সম্পর্কে উক্ত মন্তব্য দেখে যে সব বক্তব্য তিনি দিয়েছেন তা সকল পাঠকই এতক্ষনে দেখে ফেলেছেন।আর সবাই এটাও এতক্ষনে টের পেয়ে গেছেন যে তিনি আমার করা মন্তব্যে প্রচন্ড রকম ভাবে অপমানিত বোধ করেছেন ও উত্তেজিত হয়ে আছেন।অর্থাৎ তিনি ইঁদুরের মত ফাদেঁ আটকা পড়ে গেছেন। দু:খিত, আবারও ইঁদুরের মত একটা ইতর প্রানীর নাম উল্লেথ করতে হলো। উল্লেখ্য- আমি Aminul Haque সাহেবকে সরাসরি কুকুর বা বাদর বলিনি, বলেছি- কুকুর বা বানরের মত।যা কোরানের ভাষার অনুকরনে ও Aminul Haque সাহেবের ভাষ্যমতে রূপক। এখন আমার প্রশ্ন হলো- যে বক্তব্য কোরানে থাকলে তা হয় রূপক , হুবহু একই রকম ভাবে সেই একই কথা Aminul Haque সাহেবকে আমি বললে তা গালাগালি হয় কেমনে ? আমি বিষয়টি বিচারের ভার সাধারন পাঠকদের ওপরই ছেড়ে দিলাম।
পরিশেষে, বিজ্ঞ মডারেটর বৃন্দ, আমি ভীষণভাবে দু:খিত ওরকম একটা মন্তব্য করার জন্য কিন্তু Aminul Haque সাহেবকে হাতে নাতে ধরার লোভ সামলাতে না পেরেই আমি অমনটি করেছি। আশা করি আমার এ অপরাধ আপনারা নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন।
যে বাহাস নিয়ে এ নতুন নিবন্ধের অবতারনা তা দেখতে চাইলে ক্লিক করুন-
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পরিত্র,পর্ব-৩
আপনার ‘ইভিল স্কিম’ এ উত্তম জাঝা। ওনার ওই কমেন্টে কি প্রতিমন্তব্য ছিল তা আমি দেখিনি, যদি স্ক্রিনশট নিয়ে থাকেন তবে দেখান। আর মডারেটরদের এই স্কিম সম্বন্ধে অবগত রাখা উচিত ছিল মনে হয়।
@খালিদ,
ভাই এক্টা কথা বলি । আমার মনে হয় আপনার জীবনে অনেক কষ্ট
সামনে আপেক্ষা করছে্্্্্্এখন ও সময় আছে মাফ চান আল্লাহ র কাছে।
এক দিন ঠিক প্রমান পাবেন যে খোদা আছে কিন্ত কোন লাভ হবে না সেদিন।
ভাই খালিদ, এ লেখায় ভবঘুরে কিন্তু আপনাদের জীবনে কষ্ট অপেক্ষা করছে বা বিপদ আছে এমন কোন অভিশাপ দেন নি বা আমিও দেইনি। শুধু ধর্মের ভুলগুলো ধরা হয়েছে। আপনি যদি সত্যিকারের ধার্মিক হন, তবে আপনার উচিত না দ্রুত সেই ভুলগুলোর যুক্তিসহ প্রতি উত্তর দেয়া? আপনি যেভাবে আমার সামনে কষ্ট ডেকে আনতে পারেন, ঠিক সেভাবে মুসলিম গরিবদের কষ্টগুলো দুর করে দিন না প্লিজ। রাগের মাধ্যমে প্রতি উত্তর না দিয়ে সময় নিয়ে মুক্তমনার আর্কাইভ থেকে পড়াশুনা করে লেখকরা কি কি ভুল করেছেন সেটা বের করে মুক্তমনায় পোষ্ট করুন। এতে আপনার স্বর্গ যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কারই হওয়ার কথা।
আপনার লেখায় একটা জিনিস পরিষ্কার যে আমাকে সতর্ক করার মাধ্যমে আপনি আমার মঙ্গল চান। এটাই মানুষের ধর্ম যে আমরা সবাই একই মানুষ। মানব সভ্যতার জন্য ক্ষতিকর না এমন মানুষদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট নেমে আসুক এটা আমরা কেউই চাইনা। হোক মতের সাথে অমিল, তবুও মানব ধর্ম হল তার বিপদে এগিয়ে যাওয়া। পৃথিবীর এমন কোন সংগঠন পাবেন না যারা এর ব্যতিক্রম শুধু ধর্ম ছাড়া। শুধু ধর্মই বলে ভিন্ন মতালম্বিদের মেরে ফেল, তাদের দেশ থেকে বের করে দাও। যুদ্ধে বিপক্ষদল হারলে তাদের স্ত্রী-কন্যাদের ধর্ষণ কর, বিয়া কর বা মেরে ফেল। শুধু ধর্মের মাধ্যমেই তাদের দয়ালু খোদা মানুষের জীবনে লানত, দুঃখ-দুর্দশার জন্য অভিশাপ দেয়।(রেফারেন্সের জন্য মুক্তমনা আর্কাইভ দেখুন। অসংখ্য রেফা: পাবেন।) সোমালিয়ার মানুষগুলো আমার মত নাস্তিক না তারা আপনারই মতাদর্শি তবু দেখেন আপনার খোদা তাদের সাহার্য্যাতে কোন খাবার পাঠাচ্ছেন না।
@সফ্টডক,
সবসময়ই দেখছি প্রগতিশীলতার ছদ্মাবরণে এ ভদ্রলোকটি বর্বর ধর্মটি ও তার ততোধিক বর্বর প্রচারকটিকে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছেন। ভদ্রলোকটি আসলে কী বলতে চান?
আমিও জানিনা তিনি কি চান। তিনি এবং তার প্রিয় নবী ছাড়া কেউই হয়তো জানেন না তিনি কি ইসলাম প্রচারক নাকি ইসলামের পতাকায় নিরব।
”প্রাচীন সভ্যতায় সংশ্লিষ্ট স্থান ও কালের মানুষ নিজ আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তদীয় চিন্তা-চেতনা যে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছে তার নাম ধর্ম গ্রন্থ । কোরন এই রকম একটি ধর্মগ্রন্থ” – আহা মহিউদ্দীন, আপনি তো ভাই ধরা খাইলেন “মানুষের” লিপিবদ্ধ চিন্তা-চেতনা, মানে আপনি স্বীকার করছেন কোরান কোন মানুষের লেখা গ্রন্থ! নাউযুবিল্লাহ …..
আল্লা বা মোহাম্মদের বাণী অনুকরণ হোক বা তার বান্দাদের জন্য ফাঁদ পাতা হোক, তবু ভবঘুরের গালির মন্তব্যটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং মডারেটর মন্তব্যটি তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত তিনি মেনেও নিয়েছেন। এতে ভবঘুরে এবং মডারেটরের বিবেচনার মান উন্নত হিসেবেই প্রতীয়মান হয়েছে। পাশাপাশি ফাদের ফলাফল হতে বৈজ্ঞানিক স্বতঃসিদ্ধের মত প্রমাণিত হল যে- এই রমজানে প্রতিদিন কোটি কোটি মোসলমান সমস্বরে আমাদেরকে যে গালিগুলি দিচ্ছেন তা তাদেরকে দিলে তারা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেন।
আরেকটি কথা। আমি সবার মন্তব্যই ধরতে পারি কিন্তু আ হা মহিউদ্দীনের কথা প্রায়ই বুঝতে পারিনা। তিনি বলেছেন- মুহাম্মদ ও কোরানকে হেয় প্রতিপন্ন করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আঘাত করে লেখা ভবঘুরের প্রিয় বিষয়। তিনি কি ইসলামের ভুলগুলো ধরাকে মুসলমানদের আঘাত করা বুঝচ্ছেন?
তবে এটা ঠিক সেই ১৪০০ বছর আগে মোহাম্মদের বর্বরতা হয়তো তত খারাপ ছিল না। তাছাড়া নবী মোহাম্মদ হয়তো নিজেও ভাবতে পারেনি সত্যি সত্যিই তার কাজ-কর্ম গুলো এত বছর পরেও মানুষ মেনে চলবে। তিনি তা অনুমান করতে পারলে আমি নিশ্চিত তিনি আরও সাবধান হতেন। মোহাম্মদ যদি মনে করতো সুদূর ভবিষ্যতের আধুনিক মানুষেরাও তার দৈনন্দিন আচার-আচরণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে ফেলবে, তবে তিনি জীবিত থাকতেই কোরআন , হাদিসগুলোকে পরিমার্জিত করে ,একত্রিত করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতেন।
রমজানে বাড়াবাড়ি রকমের খাওয়া দাওয়ার কারণে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ে এবং তা কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের কষ্টের কারণ হচ্ছে। মাঝরাতে উঠে সেহরি খাওয়ার কারণে বিদ্যুতের উপর চাপ বাড়ছে এবং তা কল-কারখানার উৎপাদনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসবই কি সেই ধর্মটির কারণে নয়?
এখন আমি যদি অন্যের কারণে কষ্ট পাই, আমার দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ কর্মে বাধা পায়, আমার প্রিয় বউকে বা প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে চুমু দিতে না পারি ( আ হা মহিউদ্দীনের ভাষায় এটা গর্হিত কাজ। ঘৃণা, খুন-খারাবি জানতাম গর্হিত, ভালবাসা বা চুমু কেমনে গর্হিত হয় তা বুঝলাম না ), আমার রাস্তায় হাটার সময় ক্ষুধা লাগলে কোন কিছু খাইতে না পারি, আমি নাস্তিক এ কথা প্রকাশ্যে বলতে না পারি, তবে আমার কি অধিকার নাই সেই কালাকানুনগুলোর ( কোরআন-হাদিসগুলো) বিরুদ্ধে লেখার?
তাহলে হরহামেশা আ হা মহিউদ্দীনে মত এমন কথা কেন শুনা যায় যে কোরআন-হাদিসের সমালোচনার মাধ্যমে মোসলমানদের আঘাত করার কারো অধিকার নাই। এই আঘাত করার কথাটি একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। যুক্তি দিতে না পেরে মুসলিমরাও এ কথাটির মাধ্যমে বিজয়ীর বেশ ধরে এবং আতেলরাও নিজেদেরকে বুদ্ধিজীবীর বেশ ধরে। আমার কথা হল ব্যক্তি আক্রমণ বাদে যে কোন প্রতিষ্ঠানকে চৌদ্দ গোষ্ঠী তুলে সমালোচনা করা যাবে, ভুল হলে পাঠকরাই সেই সমালোচনাকে বর্জন করবে। ব্যক্তি আক্রমণের কথা তুলে ( মুসলমানদের আঘাত করা প্রসঙ্গ ) বর্বর কোন প্রতিষ্ঠানকে সমালোচনা থেকে বিরত রাখা ভাল কাজ নয়।
বড় মন্তব্যের জন্য দুঃখিত।
@হেলাল,
সবসময়ই দেখছি প্রগতিশীলতার ছদ্মাবরণে এ ভদ্রলোকটি বর্বর ধর্মটি ও তার ততোধিক বর্বর প্রচারকটিকে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছেন। ভদ্রলোকটি আসলে কী বলতে চান?
আশির দশকে মার্কিনীরা যেমন লাদেন লালন করেছে এদেশে এ ভদ্রবেশীরা তেমনি আমিনীদের মদদ দিচ্ছেন।
@ভবঘুর,
চমৎতকার, দুর্দান্ত ফাঁদ!
‘মমিন মুসলমান’ একবারেই কাত!!
আমি সবসময়ই মনে করি এমন কি, সুরা লাহাব এ যেভাবে অভিসম্পাৎ এর ছড়াছড়ি, তা কক্ষণো কোন সুজন সভ্য মানুষ পরম শত্রুর উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করবেন না।
@সফ্টডক,
চিন্তা করুন, সুরা লাহাবের ‘আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে’ এই কথা প্রত্যেক দিন কমে পাঁচবার উচ্চারন করা ফরজ এবং পুন্যের কাজ।
@সফ্টডক,
আমি কিন্তু একশত ভাগ নিশ্চিত হয়েই ফাদটা পেতেছিলাম। আমি জানতাম ফাদে ইদুর ধরা পড়বেই। :))
গালি ঠিক মতো দিতে পারলে তা আর্টে পরিণত হয়,
তবে সেই রকম আর্টিস্টিক গালি দিতে ও বুঝতে প্রয়োজন সেন্স অব হিউমারের!! (H)
তবে ঈমানে অত্যাধিক বাড়াবাড়ি সেন্স অব হিউমারের আপসারন করে
সেন্স অব টিউমারের আবির্ভাব ঘটায়; আর সেন্স অব টিউমারের সবচেয়ে বড় লক্ষণ
কোরাণ হাদিসে ”রুপক” অর্থ খুঁজে পাওয়া :))
@জাহিদ রাসেল,
অসাধারণ মন্তব্য।
@ ভবঘূরে
সম্মানিত ইমানদার বান্দা আমিনুল হক সাহেব কে কটুক্তি করার কারনে, আপনার নামে মূক্তমনার দায়িত্ববান মডারেটরের নোটিশ দেখিয়া মনে অত্যন্ত কৌতূহল হচ্ছিল আপনার সেই মন্তব্যটি এবং আপনার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য।
বিজ্ঞ মডারেটররা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবেই পালন করেছেন। আপনিও আপনার ল্যপটপে যান্ত্রিক ত্রূটির কারনে একটূ দেরীতে হলেও মন্তব্যটি সহ অত্যন্ত দৃষ্টি আকর্ষক ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
ভাল থাকূন
ধন্যবাদান্তে ,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
ভাই, আপনি মোহাম্মদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার অলৌকিক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।বিশেষ টেকনিক্যাল কারনে আমি এখানেই তার উত্তর দিচ্ছি।বিষয়টি কিন্তু কোরানের মূল ভাবধারার সম্পূর্ন বিপরীত ধর্মী ও এটা মোহাম্মদের মিরাজ ঘটনার মতই আর একটি গাজাখুরি গল্প।প্রথমেই নিচের সূরা দুটি খেয়াল করুন-
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?কোরান, 55:17
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?কোরান, 55:22
তার মানে কোরানের সব কিছুই খুব সহজেই বোঝা যাবে কারন স্বয়ং আল্লাহই সেটা সহজ করে প্রকাশ করেছে।এবার নিচের আয়াত দেখুন-
তারা বলে, তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রতি কিছু নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। এটাকি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের কাছে পাঠ করা হয়। এতে অবশ্যই বিশ্বাসী লোকদের জন্যে রহমত ও উপদেশ আছে। সূরা-আনকাবুত-২৯:৫০-৫১
গল্প।প্রথমেই নিচের সূরা দুটি খেয়াল করুন-খুব সরল ভাষায় এখানে বলা হচ্ছে যে অলৌকিক ঘটনা আল্লাহর ইচ্ছাধীন ও মোহাম্মদ শুধুই একজন সতর্ককারী । আর কোরানই হলো অলৌকিক ঘটনার যথেষ্ট প্রমান, এ ছাড়া আর কোন অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শনের ক্ষমতা মোহাম্মদের নেই। এটা মোহাম্মদ কখন বলেছিলেন? যখন তার অনুসারী বেশী ছিল না।যদি মোহাম্মদের কোন অলৌকিক ক্ষমতা থাকত তাহলে খৃষ্টান ও ইহুদিদের দাবীর প্রেক্ষিতে তখনই তা প্রদর্শন করতেন উক্ত আয়াতের নামে তাদেরকে ধোকা দিতেন না।আর যখন তার অন্ধ অনুসারীর সংখ্যা কিছু বৃদ্ধি পেল যারা মোহাম্মদ যা বলবে তাই বিশ্বাস করবে তখন তার মূখ যে নিচের আয়াত বের হয়-
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু।কোরান, ৫৪: ১-২
বলা হচ্ছে এটা তার বিখ্যাত চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার মোজেজা।দেখুন কত দ্রুত মোহাম্মদ ভিন্ন কথা বলছেন। আর সেটা বলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন এটা বললে তার উদ্ভট কথার তেমন কেউ প্রতিবাদ করবে না। আর পূর্বোক্ত আয়াত অনুযায়ী কিন্তু আমাদের বুঝতেও কোন অসুবিধা নেই কারন কোরান খুব সহজ ও সরল ভাবে আল্লাহ কর্তৃক প্রকাশিত।উল্টা পাল্টা বোঝার কোন সুযোগ নেই।
এবার আসুন বাস্তবতায়। চাঁদ দ্বিখন্ডিত হলে তা এ গোলার্ধের সকল দেশ হতে দেখতে পাওয়ার কথা কারন তা রাতের বেলা ঘটেছিল ও দীর্ঘক্ষন খন্ডিত অবস্থায় ছিল। তার মানে, শুধুমাত্র আরবের কতিপয় মোহাম্মদ অনুসারী ছাড়াও ইউরোপ ও এশিয়ার প্রায় সকল দেশের লোকদেরই তা দেখতে পাওয়ার কথা।তখন আরবদের চাইতে উন্নত বহু জাতি গোষ্ঠি ছিল আর ছিল তাদের বহু জ্যোতির্বিদ। এ ধরনের একটা অসাধারন ঘটনা ঘটে থাকলে হাজার হাজার নয় লক্ষ লক্ষ লোকের দেখতে পাওয়ার কথা।তাই তা সকল দেশের ইতিহাস ও জ্যোতির্বিজ্ঞান কিতাব সমূহে লিখিত থাকার কথা।কারন হাজার হাজার বছর আগেও যে সব তারকা সুপারনোভা আকারে বিস্ফোরিত হয়ে চুপসে গেছে, যার ফলে অকস্মাৎ রাতের আকাশ বেশ আলোকিত হয়ে উঠেছিল সেসব ঘটনা ও দীর্ঘ মেয়াদী সূর্য গ্রহন বা চন্দ্র গ্রহনের ঘটনাও কিন্তু ইতিহাসে লিখিত আছে আর তখন দুনিয়াতে বেশী লোকও ছিল না, সভ্য জাতির সংখ্যাও ছিল না।অথচ চাদঁ দ্বিখন্ডিত হওয়ার মত ঘটনা কেউ কোথাও দেখেনি , তাই লিপিবদ্ধ করেনি। তাছাড়া , আর যাই হোক যাদু দিয়ে
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
ভাই, আপনি মোহাম্মদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার অলৌকিক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।বিশেষ টেকনিক্যাল কারনে আমি এখানেই তার উত্তর দিচ্ছি।বিষয়টি কিন্তু কোরানের মূল ভাবধারার সম্পূর্ন বিপরীত ধর্মী ও এটা মোহাম্মদের মিরাজ ঘটনার মতই আর একটি গাজাখুরি গল্প।প্রথমেই নিচের সূরা দুটি খেয়াল করুন-
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?কোরান, 55:17
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?কোরান, 55:22
তার মানে কোরানের সব কিছুই খুব সহজেই বোঝা যাবে কারন স্বয়ং আল্লাহই সেটা সহজ করে প্রকাশ করেছে।এবার নিচের আয়াত দেখুন-
তারা বলে, তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রতি কিছু নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। এটাকি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের কাছে পাঠ করা হয়। এতে অবশ্যই বিশ্বাসী লোকদের জন্যে রহমত ও উপদেশ আছে। সূরা-আনকাবুত-২৯:৫০-৫১
গল্প।প্রথমেই নিচের সূরা দুটি খেয়াল করুন-খুব সরল ভাষায় এখানে বলা হচ্ছে যে অলৌকিক ঘটনা আল্লাহর ইচ্ছাধীন ও মোহাম্মদ শুধুই একজন সতর্ককারী । আর কোরানই হলো অলৌকিক ঘটনার যথেষ্ট প্রমান, এ ছাড়া আর কোন অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শনের ক্ষমতা মোহাম্মদের নেই। এটা মোহাম্মদ কখন বলেছিলেন? যখন তার অনুসারী বেশী ছিল না।যদি মোহাম্মদের কোন অলৌকিক ক্ষমতা থাকত তাহলে খৃষ্টান ও ইহুদিদের দাবীর প্রেক্ষিতে তখনই তা প্রদর্শন করতেন উক্ত আয়াতের নামে তাদেরকে ধোকা দিতেন না।আর যখন তার অন্ধ অনুসারীর সংখ্যা কিছু বৃদ্ধি পেল যারা মোহাম্মদ যা বলবে তাই বিশ্বাস করবে তখন তার মূখ যে নিচের আয়াত বের হয়-
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু।কোরান, ৫৪: ১-২
বলা হচ্ছে এটা তার বিখ্যাত চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার মোজেজা।দেখুন কত দ্রুত মোহাম্মদ ভিন্ন কথা বলছেন। অর্থাৎ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার কথা পাল্টে গেছে। আর পূর্বোক্ত আয়াত অনুযায়ী কিন্তু আমাদের বুঝতেও কোন অসুবিধা নেই কারন কোরান খুব সহজ ও সরল ভাবে আল্লাহ কর্তৃক প্রকাশিত।উল্টা পাল্টা বোঝার কোন সুযোগ নেই।
এবার আসুন বাস্তবতায়। চাঁদ দ্বিখন্ডিত হলে তা এ গোলার্ধের সকল দেশ হতে দেখতে পাওয়ার কথা কারন তা রাতের বেলা ঘটেছিল ও দীর্ঘক্ষন খন্ডিত অবস্থায় ছিল। তার মানে, শুধুমাত্র আরবের কতিপয় মোহাম্মদ অনুসারী ছাড়াও ইউরোপ ও এশিয়ার প্রায় সকল দেশের লোকদেরই তা দেখতে পাওয়ার কথা।তখন আরবদের চাইতে উন্নত বহু জাতি গোষ্ঠি ছিল আর ছিল তাদের বহু জ্যোতির্বিদ। এ ধরনের একটা অসাধারন ঘটনা ঘটে থাকলে হাজার হাজার নয় লক্ষ লক্ষ লোকের দেখতে পাওয়ার কথা।তাই তা সকল দেশের ইতিহাস ও জ্যোতির্বিজ্ঞান কিতাব সমূহে লিখিত থাকার কথা।কারন হাজার হাজার বছর আগেও যে সব তারকা সুপারনোভা আকারে বিস্ফোরিত হয়ে চুপসে গেছে, যার ফলে অকস্মাৎ রাতের আকাশ বেশ আলোকিত হয়ে উঠেছিল সেসব ঘটনা ও দীর্ঘ মেয়াদী সূর্য গ্রহন বা চন্দ্র গ্রহনের ঘটনাও কিন্তু ইতিহাসে লিখিত আছে আর তখন দুনিয়াতে বেশী লোকও ছিল না, সভ্য জাতির সংখ্যাও ছিল না।অথচ চাদঁ দ্বিখন্ডিত হওয়ার মত ঘটনা কেউ কোথাও দেখেনি , তাই লিপিবদ্ধ করেনি। তাছাড়া , আর যাই হোক যাদু দিয়ে চাঁদ দ্বিখন্ডিত করা যায় না যা সেসময়ের মানুষগুলোও ভাল বুঝত।এমন কি আজকের এই বিজ্ঞানের যুগে কোন লোক এসে যদি চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে তাহলে দুনিয়ার সকল মানুষ তার পায়ে লুটিয়ে পড়বে।আর তখন খৃষ্টান , ইহুদি বা পৌত্তলিক তারা যদি সত্যিই এ ঘটনা দেখে থাকে তাদের মনে মোহাম্মদের নবূয়ত্ব নিয়ে কোনই সন্দেহ থাকার কোন কথা না কারন তারা আজকের মানুষের মত এত জ্ঞান বিজ্ঞান জানত না।তাই তাদেরকে এ ঘটনার দ্বারা বিশ্বাস করানো ছিল অতীব সহজ।অথচ এর পরেও তারা মোহাম্মদের ওপর বিশ্বাস আনেনি। তার সোজা কারন মোহাম্মদ এ ধরনের কিছু ঘটাতে পারেন নি। শুধু এ ঘটনাই নয়- গোটা কোরানে এ ধরনের স্ববিরোধী কথা বার্তা বহু আছে যা আপনি মুক্তমনার বহু লেখকের ও আমার অন্যান্য নিবন্ধে জানতে পারবেন। এ ছাড়া খোদ কোরানের ভাষাটাই লক্ষ্য করুন, ব্যকরনের কোন নিয়ম নীতিই সেখানে মানা হয় নি, যেন আল্লাহ কোন ব্যকরনই জানে না।এটা কিভাবে সম্ভব? মোহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন, কিন্তু কিচ্ছা কাহিনী বলতে গেলে তো লেখাপড়া জানতেই হবে এমন কথা নেই। গ্রাম গঞ্জে এখনও বহু নিরক্ষর মানুষ পাওয়া যাবে যারা চমৎকার করে নানা কিচ্ছা কাহিনী বলতে পারে। কিন্তু তাই বলে তো তারা বিশুদ্ধ ব্যকরন অনুসরন করে বাক্য রচনা করতে পারবে না। ঠিক এটাই ঘটেছে মোহাম্মদ বর্নিত কোরানে।যেটুকু ব্যকরনগত শুদ্ধতা দেখা যায় তা হলো তার কতিপয় শিক্ষিত সাহাবীর কৃতিত্ব কারন তারাই তো অবশেষে কোরানকে লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করেছে।
হে আল্লাহ! তুমি তোমার মুমিন বান্দাদের জন্য যে সমস্ত গালিগালাজ (রুপক) নাযিল করিয়াছ, তা শুনিয়া তোমারই প্রিয় বান্দা আমিনুল হক কেন চেইত্তা ফাল দিয়া উঠিল তা বুঝিতে পারিতেছি না। নাকি তুমি আমিনুল হকের রুপ ধরিয়া নিজেই ফাল দিয়া উঠিলা হে?
@হেলাল,
:lotpot: :lotpot:
@হেলাল, @হেলাল, ভাই এক্টা কথা বলি । আমার মনে হয় আপনার জীবনে অনেক কষ্ট
সামনে আপেক্ষা করছে্্্্্্
এখন ও সময় আছে মাফ চান আল্লাহ র কাছে।
এক দিন ঠিক প্রমান পাবেন যে খোদা আছে কিন্ত
কোন লাভ হবে না সেদিন
মুহাম্মদ ও কোরানকে হেয় প্রতিপন্ন করে ধর্মপ্রান মুসলমানদের আঘাত করে লেখা ভবঘুরের প্রিয় বিষয় ।
যুক্তরাষ্ট্রএর রাস্তায় ছেলে-মেয়ের প্রকাশ্যে চুমো খাওয়া দোষনীয় কিছু নয় । কিন্তু বাংলাদেশের রাস্তায় এই কাজটি করা গর্হিত কাজ । অর্থ্যাৎ সব কিছু স্থান, কাল ও পাত্র নির্ভর । তাই কোরানে যা রূপক, সেই একই কাজ আমিনুল হকের উপর প্রয়োগ করলে তা হবে গালাগালি । আর একটা উদাহরণ দেই, পিতা সন্তানকে থাপ্পর দিতে পাড়ে, কিন্তু সন্তান পিতাকে থাপ্পর দিতে পাড়ে না ।
৩০০ থেকে ৫০০ হাজার বছর পূর্বে ধর্মের আগমন । বিবর্তনের মাধ্যমে ধর্ম ইসলামে এসে ঢেকেছে ।ইসলামেরও বিবর্তন ঘটে চলছে । এই বিবর্তনের কারণ উদ্ঘাটন করে, তাকে ত্বরান্বিত করা হলো বুদ্ধিমানের কাজ । কিন্তু নির্বোধেরা করে ধর্মকে গালাগালি ।
http://en.wikipedia.org/wiki/Evolutionary_origin_of_religions
@আ হা মহিউদ্দীন,
সত্য কথা বললে যদি কারও আঘাত লাগে তাহলে কি আর করা ? বিষয়টি কিন্তু আমি মহানবীর কাছ থেকেই শিখেছি। তিনিও কুরাইশদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন। তখনকার প্রেক্ষাপটে মনে হতো- কুরাইশদের পৌত্তলিক ধর্মের চাইতে ইসলাম অপেক্ষাকৃত যৌক্তিক। আর সে জোশেই মহানবী তাদের ধর্ম নিয়ে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতেন। তাদের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করতেন। আর এখন এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা দেখছি ইসলামের অবস্থাও সেই পৌত্তলিক ধর্মের মত। অর্থাৎ সঙ্গতিহীন, অবাস্তব, মনগড়া ও বোগাস। আর সেটাই আমি খোদ কোরান ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশ করছি। আপনি বরং যেটা করতে পারেন যুক্তি দিয়ে প্রমান করতে পারেন যে আমি যা বলছি তা ভুল। আমি তওবা করে আপনার হাতে বায়াত নিয়ে মুমিন বান্দা হয়ে যাব। আপনি সেটা না করে অর্থহীন কথাবার্তা বললে তা কোন কাজে আসবে ? সৎ সাহস থাকলে বুকে হাত দিয়ে বলুন আমি কোন কথা নিজের থেকে বানিয়ে বলেছি? কোরান হাদিস পড়ে যা বুঝেছি সেটাই বলেছি। আমার বোঝার ভুল হলে সেটা আপনি যুক্তি দিয়ে প্রদর্শন করুন। তাহলে আমি আপনার প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব।
@ভবঘুরে,
নৃ-বিজ্ঞান অনুযায়ী বংশপরাম্পরায় মানব জাতির অর্জিত সাফল্য ও সামাজিক মূল্যবোধের স্মরণে পালিত উৎসবের নাম ধর্ম । প্রাচীন সভ্যতায় সংশ্লিষ্ট স্থান ও কালের মানুষ নিজ আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তদীয় চিন্তা-চেতনা যে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছে তার নাম ধর্ম গ্রন্থ । কোরাণ এই রকম একটি ধর্মগ্রন্থ ।
ইসলাম পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম । তবে কোরান পড়ে কেউ মুসলমান হয়নি বা হয় না । কোরাণ পড়ে মৌলবাদিরা । চুম্বকের যেমন বিপরীতমূখী দু’টি মেরু থাকে, তেমনি মৌলবাদেরও দু’টি বিপরীতমূখী পক্ষ থাকে এবং উভয় পক্ষই গোড়া ও সম্প্রদায়িক ।
মুহাম্মদ তদকালীন মক্কার শাসকগোষ্ঠি কুরাইশদেরকে বিদ্রুপ করতেন । সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবঘুরে বর্তমান কালের নিগৃহীত মুসলমানদেরকে বিদ্রুপ করছেন বলে জানালেন । শাবাশ, শাবাশ ।
আপনার মত মৌলবাদি ও সম্প্রদায়িক ব্যক্তিরা যুক্তিবিদ্যায় আস্থাবান হবেন বলে মনে হয় না । তবুও উলুবনে মুক্তা ছড়িয়ে যাচ্ছি, যদি কখনো কোন কাজে লাগে । আপনার কথিত “ভুল” ও শুদ্ধ” একই দন্ডের দুই প্রান্থ, পরস্পর সম্পর্কযুক্ত, আপেক্ষিক এবং স্থান, কাল ও পাত্র নির্ভর । তাই আপনার কাছে যা শুদ্ধ, তা অন্যের কাছে ভুল হতে পাড়ে । কারণ একজন মৌলবাদি ও সম্প্রদায়িক ব্যক্তির এবং একজন প্রগতিশীলের দৃষ্টিভঙ্গি, বিষয় বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন এক নয় । তাছাড়া কোন প্রগতিশীল ব্যক্তি ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে না ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
এরিস্টটলের এথিকস, পলিবায়াসের হিস্টরিস, চাণক্যর অর্থশাস্ত্র, যোসেফাসের ইতিহাসের বই — এইগুলি তাহলে ধর্মগ্রন্থ?
তাহলে, মৌলবাদী ও সাম্প্রয়দায়িক ব্যক্তিদের যুক্তিবিদ্যায় আস্থাবান হওয়ার “ঐতিহাসিক প্রয়োজন” এখনও না আসা সত্বেও “যদি কাজে লাগে” এই মানবিক আশাবাদ নিয়ে সবধরণের মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যুক্তি প্রয়োগ করে যাওয়া উচিত, কি বলেন? এই যেমন ধরেন, ধর্ম-টর্ম এসব শক্তির বিরুদ্ধে?
কুইজ — নিচের কারা কারা প্রগতিশীল নন?
টমাস জেফারসন
কার্ল মার্কস
টমাস পেইন
দিদেরো
ডেভিড হিউম
জন স্টুয়ার্ট মিল
রামমোহন রায়
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
জেরেমি বেন্থাম
….
….
….
ঋত্বিক কুমার ঘটক
মার্টিন এমিস
রোকেয়া হোসেন
হুমায়ুন আজাদ
….
….
….
….
@রৌরব, @সক্ট ডগ
রৌরবের মন্তব্যে যুক্তির পরিবর্তে থাকে শ্লেষ, বিদ্রুপ ও অজ্ঞতা । কিন্তু বিবেচ্য মন্তব্যে শ্লেষ ও বিদ্রুপের পরিমান কম থাকলেও অজ্ঞতার পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে । ইতিহাস ও যুক্তিবিদ্যার উপর জ্ঞানের অভাব হেতু রৌরব বুঝতে পারে না যে সভ্যতা পৃথিবীর সব স্থানে, একই কালে, সব সমাজে একই ভাবে বিকাশিত হয়নি । তার অজ্ঞতার কারণ হলো এই বিষয় সংক্রান্ত গ্রন্থগুলিকে তিনি হাস্যকর বলে মনে করেন । দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ ও বস্তুবাদি ইতিহাস সম্পর্কে তার জ্ঞানের অভাব হেতু “ঐতিহাসিক প্রয়োজন” এর সংজ্ঞা এবং বিষয়টি কি তা তার বোধগম্য নয় । তিনি শাস্ত্র ও ধর্মের মধ্যকার পার্থক্য বুঝেন না । তাছাড়া তিনি কবি কালিদাস ও পাগলা হরিদাস এর মধ্যকার গুণাগুণ ও বৈশিষ্টের পার্থক্য বুঝেন না । তাই এই দুই ব্যক্তি তার কাছে তুল্য হয়ে যায় ।
তাই অনুরোধ থাকলো উল্লেখিত বিষয় জ্ঞান অর্জন করে ভবিষয়তে আলোচনায় আসবেন ।
সক্ট ডগ
প্রাইমারী স্কুলের বিদ্যা নিয়ে আলোচনায় আসা উচিত নয় ।
@আহামক মহাউদ্দীন,
বটতলার কিছু নিউজপ্রিন্ট বই মুখস্থ করে ‘পরগাছা পরাবাস্তববাদী পলিটিসিয়ানদের পাচেটে’ যার দিনগুজরান, মেকী বামপন্থী অথচ আমিনী-নিজামীদের পুচ্ছদেশে যার ঠাঁই তার সাথে আলোচনা করার কোন আগ্রহ আমার নেই।
আলোচনা শুরু হলে “আপনার সাথে আর খেলবো না” বলে লেজতুলে পালানোতে তো এ চিজটির জুড়ি নেই।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনি তো মশাই করেই যাচ্ছেন, ব্যাপার কী?
হ্যাঁ, আমিনী-নিজামীদের অনেক কাজে লাগছে আপনার বিরক্তিকর সব অপযুক্তি!
বটে! কিন্তু মানবতা, সভ্যতা, গণতন্ত্র ও বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে এ ধর্মটি।
@সফ্টডক,
আসলে ১৪০০ বছরের ইতিহাস তা বলে না। আপনাকে অনুরধ করবো মানবতা, সভ্যতা, গণতন্ত্র ও বিজ্ঞানের বিকাশে মুসলিমদের ভুমিকা সমৃদ্ধ কোন বই-পুস্তক পড়ার জন্য। আপনি হয়তো বিভিন্ন মারামারি, কাটাকাটি, যুদ্ধ এগুলোর কথা বলবেন। সেগুলো ভিন্ন প্রসঙ্গ। সেগুলো আমরা জানি। আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলো একটু পড়েন।
@ইমরাজ,
বেশী বই পড়ার তো দরকার নেই। কোরান-হাদিস নিংড়ে যা পাওয়া যায় তা হলো ঃ
চুরির জন্য হাতকেটে ফেলা, জেনার জন্য মাটিতে পুঁতে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা এগুলো হলো ঃ ইসলামের মানবতার উদাহরণ।
ছবি সহ সব ধরণের খেলাধূলা নিষিদ্ধ ঃ ইসলামের সভ্যতার উপমা।
অমুসলিম ও মহিলাদের কোন ভোটাধিকার নেই: ইসলামের গণতন্ত্রের চাবিকাঠি।
উটমূত্র, কালো তিলের তেল, মধু – এসবের মধ্যে সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে ঃ ইসলামের চিকিৎসাশাস্ত্রের গূঢ়তত্ব।
ইমরাজ সাহেব, কোরাণ আর হাদিস পড়ুন আর বলুন এসবের কোনটা বানানো আর মিথ্যা?
আজগুবি সব তথ্য দিয়ে আর হাসাবেন না প্লিজ!
@সফ্টডক,
নামটি নুতন আমদানি বলে মনে হচ্ছে । এই নামের সাথে আমি পরিচিত নই । যাক আপনাকে স্বাগতম । প্রাইমারী বিদ্যা নয়, আগে যথাযথ বিদ্যা অর্জন করুন, তারপর আলোচনায় আসুন ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
তাই নাকি?
@গোলাপ,
উদ্ধৃত উইকিপেডিয়া তাই বলে ।
আপনার সাথে ইতিপূর্বে কোরাণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে । এই বিষয় পরস্পরের চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে আমরা আবগত । তাই এই বিষয় অতিরিক্ত আর কোন আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না ।
গালি জিনিসটাই তো রূপক অর্থে। আমি কাউকে শুওরের বাচ্চা বললে কি সে বাস্তবে শুওরের বাচ্চা হয়ে যায়? সেটা তো রূপক অর্থেই তাকে খারাপ বোঝানোর জন্য বলা। আল্লাহর গালিও এর ব্যাতিক্রম নয়।
@নাজমুল,
কেউ যদি এই রূপকে আপনাকে ভূষিত করতে চায় তখন কি আপনি চুপ করে থাকবেন নাকি প্রতিবাদ করবেন?
@রাজেশ তালুকদার, Don’t worry! নাজমুল সাহেব চুপই থাকবেন আল্লাহর বাণী মনে করে।
ভাই আর কত ফাজলামি করবেন । আল্লাহ এর কাছে মাফ চান । আল্লাহ আপনাদের মাফ করুন
আমীন।
@খালিদ,
ভাই আমি ফাজলামি করলাম কোথায় ? একটাও কোন অর্থহীন বা বাজে কথা বলেছি ? যদি বলে থাকি বের করে দেখান। কেনই বা সেটা অর্থহীন সেটাও যুক্তি দিয়ে বোঝান।
মডারেটরদেরও দোষ দিতে পারছিনা, কিন্তু আপনার আইডিয়াটি দুর্দান্ত :))
মুক্তমনার বিরুদ্ধে পরগাছার মত লেগে থাকা ইন্টারনেটে একমাত্র সাইট মনে হয় সদালাপ। সদালাপীরা খুব সম্ভবত একাকী একে অপরের পিঠ চাপড়ানোতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছে, তাই তারা এখন আমারব্লগ সহ অন্য কমিউনিটি ব্লগগুলোতে আরও কিছু ব্লগার সহ পিঠ চাপড়াচাপড়ি শুরু করেছে। বিষয়টা কিছুটা উদ্বেগজনক, কারণ সদালাপের প্রাক্তন মডারেটর আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন সহ অন্য সদালাপীরা মুক্তমনায় কামরান মির্জার যুদ্ধংদেহী মন্তব্যকে সিঙ্গেল আউট করে তার দায় পুরো মুক্তমনা কমিউনিটির উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। অধিকাংশ সাধারণ ব্লগারদের যেহেতু পুরনো আরকাইভ ঘেটে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা বিতর্ক পড়ার সময় নেই, তাই তাঁরা সেগুলোকেই সত্য মনে করে মুক্তমনাকে ধর্মবিরোধী সাইটের চেয়ে মুসলিমবিরোধী, গণহত্যা সমর্থনকারী সাইট হিসেবে দেখছেন। এই ইমেজটা আরও সুদৃঢ় হয় যখন কতিপয় ব্যক্তি দাবি করে যে মুক্তমনায় সমালোচনাগুলোর ডিটেইল্ড জবাব দেওয়ার পরও নাকি মডারেটর তা প্রকাশ করেননা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মনে করি লেখকের গালিগালাজ আটকে দিলেও(লেখকদেরও গালিগালাজ করা উচিত না, মুক্তমনার লেখকরা আশা করি গালাগালির উর্ধ্বে উঠতে পারার মত ম্যাচিউর) পাঠকদের গালিগালাজগুলো বিনা সংশয়ে প্রকাশ করে দেওয়া উচিত। এগুলো প্রকাশ করে পরিবেশ নষ্ট করতে না চাইলে নিদেনপক্ষে এগুলোকে হিডেন করে রাখা যেতে পারে যাতে কেউ চাইলেই লিংকে ক্লিক করে মন্তব্যগুলো পড়তে পারেন। এটাও করা সম্ভব না হলে রিচার্ড ডকিন্সের সাইটের মত সব কূটমন্তব্যগুলো আলাদা একটা পেইজে আরকাইভ করে রাখা যেতে পারে।
আমার পয়েন্ট হল যে মুক্তমনার ইমেজকে কোনমতেই নষ্ট হতে দেওয়া ঠিক হবে না কারণ প্রথম দর্শনের প্রভাব অতুলনীয়। মুক্তমনা যে ধর্মের দার্শনিক সমালোচনায় বিশ্বাসী ও জাতিবিদ্বেষে বিশ্বাসী না- এটা অনেকেই বুঝতে পারেননা(বস্তুত, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই দু’টোকে এক করে দেখেন) এবং সদালাপীরাও একটা সুডো-ইন্টেলেকচুয়াল মুখোশ পড়ে তাদেরকে এই সাইট সম্পর্কে নানা আপত্তিকর অপপ্রচার ছড়িয়ে তাদেরকে মুক্তমনা ভিজিট করা হতে নিবৃত্ত করে; এতে করে অপপ্রচারটাই বাস্তবতা হয়ে যায়। আমি সদালাপী ও অন্যসব ইসলামিস্টদের সেই সুযোগটা দিতে চাই না।
কোরানেতো আল্লাহ গালাগালি করছেন তাই সেটা গালাগালি না হয়ে রূপকে রূপান্তরিত হয়, তা না হলে তো বিপদ, কোরানের কথাগুলোকে জায়েয করার উপায় কি? :-Y
@ভবঘুরে, 😀 😀 😀