(১)
তিন বছর আগের ঘটনা। আমার একজন ড্যানিশ সহকর্মীর সাথে লাঞ্চ খাচ্ছি- বোধ হয় সেদিন কোন একটা কিছু ইসলামিক চরমপন্থী ঘটনা ঘটেছে। ফলত ইসলামিক চরমপন্থী এবং ইউরোপে মুসলিম অভিবাসন সমস্যার প্রসঙ্গ এসেই গেল। আমি খুব অবাক হলাম। ওর মতন একজন উচ্চশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ, ডেনমার্কে মুসলিম অভিবাসন নিয়ে এত ক্রদ্ধ-যে ও দরকার হলে বন্দুক নিয়ে গৃহযুদ্ধে যেতেও প্রস্তুত। ক্রোধের কারন এন্ডলেস লিস্ট। এবং যার মূলে আছে মুসলিমদের ড্যানিশ সংস্কৃতিকে সম্পূর্ন অস্বীকার করে, ডেনমার্ককে ইসলামিকরনের চেষ্টা। ওর বক্তব্য ওরা কিছুতেই ড্যানিশ হবে না, ড্যানিশ সংস্কৃতিও মানবে না-দেশটাকে পাকিস্তান বানাবে।
মুসলিমদের বিরুদ্ধে এমন মানসিকতা আমি ভারতে হিন্দুত্ববাদিদের মধ্যে দেখতে অভ্যস্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইসলামিকরনে প্রশয় দিচ্ছে সেই দেশের লিব্যারাল এবং বামপন্থী গোষ্ঠি। ফলে ইসলাম এবং কমিনিউজমের বিরুদ্ধে যুব সমাজের ক্রমবর্ধমান রাগ পৃথিবীর প্রায় সব অমুসলিম দেশেই ( যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা ৫-১০% বা তারও বেশী ) ক্রমঃবর্ধমান। দিল্লীতে একটা তরুণ ছেলের কথা শুনে প্রায় অজ্ঞান হবার জোগার। বিহারের এক দাঙ্গায় কিভাবে নিজের হাতে মুসলমানদের পুড়িয়ে মারাতে অংশ নিয়েছিল-সেই কথা গর্ব করে সে বলে বেড়ায়! শুধু তাই না। আমেরিকা এবং ইউরোপের অনেক উচ্চশিক্ষিত (যারা আমার সহকর্মীও বটে) আমার কাছে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে গেছে। কারন তাদের নেতারা ইউরোপে যা পারে নি, বা আমেরিকাতও যা পারে না- মুসলমানদের গণনিধন- তা নরেন মোদি করে দেখিয়েছে বটে!
ইউরোপের প্রবল মুসলিম বিদ্বেশ-যা এতদিন শুধু কথাতে বুঝেছি, আজ গোটা বিশ্ব বুঝল এন্ড্রেস ভেরিং ব্রাভিকের গণহত্যার মাধ্যমে। কমিনিউস্ট তথা কালচারাল মার্ক্সিস্টদের প্রতি তার ঘৃণা এত গভীরে, বামপন্থী তরুণ তরুণীদের একটি পলিটিক্যাল ক্যাম্পের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালো।
আমি অবাক হইনি। আমার সেই ড্যানিশ বন্ধুটির কথা মনে পড়ছিল-ইসলামের বিরুদ্ধে তার এত রাগ, সে মনে করে বন্দুকের নলই একমাত্র সমাধান-কারন লেবার পার্টি ইউরোপে মুসলিমদের আরো বেশী প্রশয় দিচ্ছে এবং তারা ড্যানিশ সংস্কৃতি ধ্বংশ করছে। ব্রেভিকের ম্যানিফেস্টোও তাই- তার ধারনা মুসলিমরা আর দুদিন বাদে নরওয়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে এবং নরওয়ে বলে কিছু থাকবে না। ওটা ইউরোপের পাকিস্তান হবে। সুতরাং সে কুর্কীতি করে জনগণ ও মিডিয়া দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাইছে। আজকেও সে বলছে-কোর্টরুমকে তার আদর্শবাদি যুদ্ধের প্রচারের জন্যেই ব্যবহার করবে!
(২)
ব্রেভিকের দক্ষিন পন্থী আদর্শ নিয়ে কিছু লেখা দরকার। সে ইসলামের বিরুদ্ধে কোয়ালিশন গড়তে চেয়েছিল-এবং দেখা যাচ্ছে ভারতের হিন্দুত্ববাদি, ইস্ত্রায়েল, আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী মুসলিম বিদ্বেশীদের সাথে ইমেলে তার যোগাযোগ ছিল। সে মোটেও অন্ধ ধার্মিক না- যদিও নিজেকে সে ক্রীষ্ঠান ইউরোপের রক্ষকর্ত্তা বলেই ঘোষনা দিয়েছে। এবং তার কাছে খ্রীষ্ঠান ইউরোপ একটা রাজনৈতিক ধারনা যেখানে খ্রীষ্ঠান ধর্মের ভিত্তিতে ইউরোপে ঐক্য আসবে। যা ক্রুসেডের সময় থেকে একটি প্রচলিত সাংস্কৃতিক রাজনীতি। এমন কি ধর্মীয় রাষ্ট্রও সে তার ম্যানিফেস্টোতে চাইছে না-খুব পরিস্কার ভাবেই “ইসলাম মুক্ত” ধর্মনিরেপেক্ষ লিব্যারাল স্টেটই চেয়েছে। তার রাজনৈতিক মতবাদ বিজেপির অন্যপিঠ- ধর্ম সেখানে জাতীয়তাবাদের প্রতীক। এবং অনেক ব্লগেই, ব্রেভিক বিজেপির কিছু বিশিষ্ঠ লেখকদের আকুন্ঠ প্রশংসা করেছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থানের জন্যে– যে ইসলাম বিরোধি অবস্থান তার দেশের রাজনীতিবিদরা নিতে ব্যার্থ হচ্ছে বলে সে মনে করে। অর্থাৎ খুব স্পষ্ট ভাবেই ব্রেভিক এক রাজনৈতিক যোদ্ধা। একজন জেহাদি বা নক্সাল ( কমিনিউস্ট উগ্রপন্থী) যে কারনে হত্যাকান্ড চালিয়েও “সমাজ এবং দেশের জন্যে” বিরাট কিছু করছে বলে গর্ব বোধ করে-তার থেকে ব্রেভিকের হত্যাকান্ড আলাদা কিছু না। এটি খুবই পরিস্কার একটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড এবং দক্ষিনপন্থী উগ্রপন্থাই এর জন্যে দায়ী।
(৩)
কিন্ত এই উগ্রপন্থা কেন? এই ক্ষেত্রে কমিনিউস্ট, হিন্দুইস্ট বা ইসলামিস্ট মৌলবাদি থেকে খ্রীষ্ঠান উগ্রপন্থী ব্রেভিক আলাদা কেও না। নক্সাল, জিহাদি, হিন্দুত্ববাদি বা খ্রীষ্ঠান উগ্রপন্থীদের মধ্যে কিছু প্যাটার্ন আমরা অবশ্যই দেখি
# পৃথিবীতে জাস্টিস নেই-বিচার নেই!
স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতে কমিনিউস্ট, হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট এবং ক্রীষ্ঠান মৌলবাদিদের আদর্শ এবং মৌলবাদি হিসাবে তাদের বিশ্বাসকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য (!) থেকে মনে হয়েছে-এদের মনের গভীরে “ইনজাস্টিস” ব্যাপারটা ভীষন ভাবে উত্তেজিত করে।
জাস্টিসের প্রথম ধাপ আইডেন্টিটি বা নিজেকে একটি গ্রুপের বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করা। যেমন কমিনিউস্টদের ক্ষেত্রে এটি হয় শ্রেণীগত পরিচয়-তাদের ধারনা পৃথিবীতে শোষন আছে-এবং এই শোষন এবং অসাম্যটা একটা বিরাট বড় ইনজাস্টিস-এবং সেই ইনজাস্টিস টিকিয়ে রাখছে কিছু বড়লোক। সুতরাং এই জাস্টিসের দাবীতে সব কিছুই জায়েজ! মাই খুন পর্যন্ত।
ব্রেভিকের ব্যাপারটাও টাই। তার কাছে তার নরওয়েন পরিচিতিই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেই পরিচিতি যারা ধ্বংশ করতে চাইছে-তারাই শত্রু। নরওয়েকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে শত্রকে খুন করতে হবে! সে এক অলীক যুদ্ধক্ষেত্রের যোদ্ধা। যুদ্ধে খুন করে সে শহীদ হতে চাইছে! একদম জিহাদিদের মতন।
একজন মুসলিম জিহাদির কাছে তার মুসলিম পরিচয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন-এবং গোটা পৃথিবী বিশেষত আমেরিকা তাদের ওপর অত্যাচার করছে ইরাক আর আফগানিস্তানে-এটাই তাদের মনকে উত্তেজিত করে। যদিও বাস্তবে আমেরিকা বসনিয়া এবং আফগানিস্তানে মুসলমানদের মুক্তই করেছে!
# সে এক মহান কার্যে নিয়োজিত মহান যোদ্ধা
সে ইনজাস্টিসের বিরুদ্ধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছে! সুতরাং সে মহান! মানবিকতার মাপকাঠি সেখানে চলবে না! প্রতিটি হিন্দু, কমিনিউস্ট, ইসলামিস্ট, খ্রীষ্ঠান ভাবে, সে মহান পথের পথিক-কারন এই আদর্শগুলিই পৃথিবীকে “জাস্টিস” এনে দেবে! যদিও তারা একবার ও ভাবে না বা শিক্ষার অভাবে জানে না ( বা জানালেও বিশ্বাস করে না), তাদের এই সব মহান আদর্শগুলিই পৃথিবীতে সব থেকে বড় বড় ইনজাস্টিস এবং নরহত্যা ঘটিয়েছে।
# একদিন গোটা পৃথিবী তার আদর্শের পদতলে আসবে
আদর্শে বিশ্বাসীদের জন্যে এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তার আদর্শই একদিন জিতবে, পৃথিবীতে রাজত্ব করবে-এমন ভ্রান্ত বিশ্বাসের বলি না হলে কিছুতেই একজন তরুণ তার আদর্শের জন্যে প্রাণত্যাগ করতে পারে না। এই চরম আত্মবলিদানের পজিশনে সে তখনই পৌঁছায়, যখন এই ফাইনাল জাস্টিস বা সবকিছুর পরে জাস্টিস আসবেই-এবং আসবে তার আদর্শের মাধ্যমে-এই ধারণা, তার মাথার মধ্যে ভীষন ভাবে পোক্ত হয়। ব্রেভিকের ম্যানিফেস্টো থেকে কমিনিউস্ট ম্যানিফেস্টো বা কোরান বা বাইবেল-সবকিছুই মানুষের মাথা ন্যাড়া করে এই ফাইনাল জাস্টিসের গল্প দিয়ে। আমি দেখেছি কমিনিস্ট, হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট সবাই এই ব্যাপারে ভীষন রকমের এক। কার্বন কপি।
# একটা পিঁপড়ে মরলেও, সে সেটাকে তার আদর্শের সাদা কালো ফিল্টার দিয়ে দেখবে!
এদের সামাজিক বাস্তবতাতে পোস্ট মডার্নিজমের স্থান নেই সেখানে-সবই রাজনৈতিক বাস্তবতা। যেমন মুসলিম অভিবাসদের ক্ষেত্রে অসলোতে মোটে ৬০% লোক নিজেদের মুসলিম বলে রেজিস্টার করে-বাকি রা নিজেদের মুসলিম বলে না। অর্থাৎ মুসলিম সমাজেই এমন প্রচুর লোক অসলোতেই আছে, যারা তাদের ইসলামিক পরিচিতির চেয়ে নরওয়ের পরিচিতিই বেশী তুলে ধরতে ইচ্ছুক-এটা কিন্ত ব্রেভিকের ম্যানিফেস্টোতে নেই। দুনিয়া তার কাছে সাদা কালো। কোন মুসলিম অভিবাসী
নরওয়ের সংস্কৃতি গ্রহণ করে না তার মতে!
আমেরিকায় থাকা কোন বাঙালী কমিনিস্টদের বিরুদ্ধে লিখলেই বাঙালী কমিনিউস্টদের কাছে সে শিয়ার চর। মহম্মদের সমালোচনা করলেই সে ইসলামের শত্রু!
জাস্টিসের জন্যে খুন করা পবিত্রকাজ
১৯৭০ সালে বর্ধমানে সিপিএমের লোকেরা সাঁই ভাতৃদ্বয় বলে দুই কংগ্রেস সমর্থকে হত্যা করে তাদের মুন্ডু নিয়ে তাদের মায়ের সামনে নেচে ছিল। নেতৃত্বে ছিল, সিপিএমের কিছু প্রাত্তন মন্ত্রী। এই হত্যাকান্ড নিয়ে আমি যতবার সিপিএমের সমর্থকদের সাথে বিতর্কে গেছি-দেখেছি, তাদের কারুর কোন অনুতাপ নেই। বুক ভরে গর্ব করে। এমন কি ষষ্টি দলুই বলে এক প্রান্তিক কৃষকের চোখ খুবলে মেরেছিল বেশ কিছু সিপিএম হার্মাদ। আমি কোন সিপিএম সমর্থকের মধ্যে কোন অনুতাপ দেখি নি। নিন্দা করতেও দেখিনি। সাইরা বা দলুইরা কংগ্রেসের সমর্থক মানে তারা শ্রেণীশত্রু-সেটাই তাদের একমাত্র পরিচয়! ঠিক একই কারনে মুসলিম দুনিয়া ভারতে ঘটে যাওয়া ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোটেও অনুতপ্ত না-তাদের অধিকাংশ গোপনে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ সমর্থনই করে। ঠিক একই কারনে মোদির আমলে ঘটা মুসলিম নিধন নিয়ে কোন হিন্দুত্ববাদি অনুতপ্ত না-বরং গর্বিত।
ব্রেভিকের অনুতাপহীন খুনী মানসিকতা বুঝতে-এগুলো বুঝতে হবে। সেন্স অব ইনজাস্টিস এবং শত্রুর ধারনা কি করে মানুষকে পশু বানাতে পারে। আজকে খুব পরিস্কার ভাবে বলার দিন এসেছে কমিনিউজম, ইসলামিজম, হিন্দুত্ববাদ, খ্রীষ্ঠান মৌলবাদ মানুষকে পশু বানায়-মানুষ করে না। মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা আদর্শের পথে আসে না।
# তাদের শত্রুরা সব সময় শত্রুতা করছে-সবকিছুই তাদের বিরুদ্ধে চক্তান্ত
ব্রেভিকের মনে দৃঢ় বিশ্বাস মুসলিমরা নরওয়ে দখল করার চক্রান্ত করছে! কারন তারা ইঁদুর বিড়ালের হারে অসলোতে বংশ বৃদ্ধি করে! এবং তার কাছে এটা মুসলিম দুনিয়ার চক্রান্ত। যদিও বাস্তব এই যে ইউরোপের মুসলমান অভিবাসীদের মধ্যে বংশবৃদ্ধির হার বেশী কারন সোশ্যাল সিকিউরিটি। আমেরিকান মুসলিমদের বংশ বৃদ্ধির হার আমেরিকানদের সমানই। কারন এদেশে সবাইকে খেটে খেতে হয়। অর্থাৎ এই ধরনের কোন চক্রান্ত কোথাও নেই- মুসলিম অভিবাসীদের ফ্যামিলি সংস্কৃতির কারনে, তারা বেশী বংশ বৃদ্ধি করে-এটাকেই সে “পরিকল্পিত” চক্রান্ত বলে ভাবছে!
ঠিক একই জিনিস কমিনিউস্টদের মধ্যে দেখা যাবে। আমেরিকা যাই করুক তাই সাম্রাজ্যবাদি চক্রান্ত! মুক্ত বাণিজ্যের কারনে সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ এবং চাকরী হারিয়েছে আমেরিকানরাই বেশী-সব থেকে বেশী লাভ করেছে ভারত। তবুও তা ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ! এই হচ্ছে চক্রান্ত তত্ত্বের মহিমা। আসলে এদের চিন্তার প্যাটার্নে শত্রু, ইনজাস্টিস এবং চক্রান্তের অস্তিত্ব জরুরী। নইলে এরা এদের “আত্মবলিদান” বা “ত্যাগের” পেছনে কোন কারন খুঁজে পাবে না।
# তারা কিছু সংস্কৃতির ব্যাপারে কিছু “বিশুদ্ধতার” ধারনাতে বিশ্বাসী-এবং সংস্কৃতির ধারাবাহিক বিবর্তন তারা মানতে পারে না।
সমস্যা হচ্ছে এদের কে বোঝাবে জীবনের পরম লক্ষ্য বলে কিছু থাকতে পারে না। তাই একটি সংস্কৃতি, অন্যটির চেয়ে বাজে বা অনুন্নত এই ধারনার বলি হওয়াটা বোকামো। প্রতিটা সংস্কৃতির ভালো খারাপ দিক আছে এবং সাংস্কৃতি বিবর্তনের উদ্দেশ্য দুটি সংস্কৃতির সংশ্লেষ -বিরোধ না।
আমেরিকাতে যেমন চৈনিক এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সংশ্লেষণ হয়েছে-বিরোধ ঘটেনি। ভারতীয়, চিনা খাবার, মার্শাল আর্ট, যোগ ব্যায়াম অনেক কিছুই আমেরিকার মূল সংস্কৃতি প্রবাহে ঢুকেছে। ইসলাম এবং কমিনিউস্টদের ক্ষেত্রে সংশ্লেষণ বলে কোন বস্তু হতে পারে না-কারন তাদের মধ্যে “বিশুদ্ধ” ধারনাটির বিশাল প্রভাব। চোখের সামনে একজন লোক যতই দেখুক ১২০০ মিলিয়ান মুসলিমের ১২০০ মিলিয়ান ধর্ম-এবং বিশ্বের প্রতিটা লোকের ধর্ম কার্যত আলাদা হতে বাধ্য- সে নামেই যত মুসলমান বা হিন্দু হোক-তবুও ইসলামিক বিশুদ্ধতা, হিন্দু বিশুদ্ধতা নিয়ে এরা চিন্তা করে যাবেই। দুটো কমিনিউস্ট পাবেন না, যারা কমিনিউজম বলতে একই জিনিস মানে বা বোঝে-তবুও এদের মধ্যে ১০ বার স্নান করে বিশুদ্ধ থাকার প্রবণতা প্রবল। সবটাই মানসিক রোগ।
ব্রেভিকের ও ধারনা বিশুদ্ধ ইউরোপের উত্তরধিকার বিশুদ্ধ খ্রীষ্ঠান সংস্কৃতি! এটা মিথ। জিহাদিদের ধারনা বিশুদ্ধ ইসলামিক সমাজ, মহম্মদের রাজত্বে আরব! হিন্দুত্ববাদিদের বৈদিক সমাজ। কমিনিউস্টদের কাছে স্টালিনের রাশিয়া। এসবই মিথ। কিন্ত মিথের ওপর ভিত্তি করে, আত্মবলিদান ও হত্যাকান্ড ঘটানো, পৃথিবীর ইতিহাসের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন দিক। হিটলার থেকে আজকের ব্রেভিক-সবাই সেই “মিথ” ভিত্তিক যোদ্ধা। যার পরিণতি ভয়ংকর।
আমি কমিনিউস্ট, হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট এবং ব্রেভিকের মতন সাংস্কৃতিক মৌলবাদিদের আলাদা করে দেখি না-কারন এদের সবাই মানুষ এবং মানুষ হিসাবে কেওই আলাদা হতে পারে না। শুধু ইনজাস্টিসের ধারনাটা এদের মধ্যে আলাদা। কিন্ত এদের মনের গঠন সম্পূর্ন এক-এটা আমার বহুদিনের নিজস্ব অভিজ্ঞতা।
বিশ্বাসের ভিত্তিতে এরা হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে এবং ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং বিশ্বাস এবং মিথমুক্ত পৃথিবী চাই!
আপনার লেখা এবং আলোচনা থেকে অনেক কিছু জানা গেল;ধন্যবাদ।
@ গোলাপ
আমিও তাই মনে করি।
একমত।
তবে সেটাও বুঝেছেন কি না-সন্দেহ আছে।
মার্কসবাদ এবং কমিনিউজম নিয়ে মিথ এবং ভুল চর্চার একটি তালিকা আমি তৈরী করেছিলাম।
কমিনিউজম নিয়ে ভুল তথ্যের তালিকা
মিলিয়ে দেখবেন, এই ব্যক্তিটি, যিনি সেতারা হাশেম নামে লিখতেন, উপোরক্ত তালিকার প্রতিটি ভুলই অনুসরণ করেন।
@সফিক
জানতাম জায়গাটার কথা। কিন্তু এই কনটেক্সটে আপনি যেভাবে গোয়েবেকলি টেপেকে নিয়ে এলেন, এটা মাথায় খেলেনি।
লেখা ছাড়ুন এটা নিয়ে একটা।
বিপ্লব দা অসাধারণ ও সমসাময়িক লেখাটার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে সকল মৌলবাদীদের আসল পরিচয় সে মৌলবাদী। মৌলবাদীদের কাছে সবচেয়ে বড় ব্যপার হল তাদের আদর্শ – যে যে আদর্শের অনুসারী, সেই আদর্শ ছাড়া তাদের জীবনের অন্য কোন লক্ষ্য নাই এবং তারা এর বাইরে চিন্তাও করতে পারে না বলেই আমার মনে হয়। একজন কট্টরপন্থী খ্রীস্টান যদি ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হয়, সে ক্ষেত্রেও সে কট্টরপন্থী মুসলমানই হয়। এখানে ধর্মের চেয়ে মৌলবাদী আদর্শটাই তার কাছে বড়।
@মানব বৃক্ষ,
ধন্যবাদ। প্রতিটা আদর্শের পেছনেই থাকে মিথ এবং ইনজাস্টিস থেকে ফাইনাল জাস্টিস পাওয়ার একটা কুহেলী ইচ্ছা- মুক্তমনার মাধ্যমে আমরা সেই মিথ গুলিকে অনেকটাই ভোঁতা করতে সক্ষম হয়েছি। মিথের সব থেকে বড় রান্নাঘর হল ইতিহাস, দর্শন এবং ধর্ম। মুক্তমনার প্রতিটি লেখকই এই ধরনের মিথ ব্লাস্টিং করে লেখেন এবং তা আমার মতে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মনন জগতে নতুন ধারার জন্ম দেবে। আমি মূলত কমিনিউস্ট মিথের ওপরই সব থেকে বেশী লিখেছি যেহেতু ওটি পশ্চিম বঙ্গের সর্বাধিক ক্ষতি করেছে। তাছারা কমিনিউজমের সাহিত্য এবং মিথ ইসলামের থেকে অনেক বেশী উন্নত এবং সেটাকে ভাঙতে দর্শনের আরেকটু বেশী গভীরে যেতে হয়, যা ধর্মের ক্ষেত্রে দরকার হয় না।
@ফরিদ অাহমেদ,
এখানে বুদ্ধের দোষ কোথায় ? দোষ সব মানুষগুলোর, তারা তো বুদ্ধকে ইশ্বর বানিয়ে ছেড়েছে, অথচ বুদ্ধ গৌতম ছিলেন স্বয়ং নাস্তিক ! নিরীহ ! মেনে নিচ্ছি বাস্তবে বৌদ্ধ ধর্ম পুরোপুরি অনুসরন করা যায়না। তবে এটি বিষে ভরা জাত গোক্ষুরো কক্ষনোই নয়। অাপনি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে একথা বলছেন। বৌদ্ধ ধর্মে অন্তত লিখিত হিংসা নেই, যেটা ইসলাম বা হিন্দু ধর্মে অাছে। বাইবেলে ও অতটা হিংসা নেই, যদিও ইউরোপীয়রা প্রচন্ড রকমের যুদ্ধবাজ জাতি! অার মহম্মদের কোরাণ তো ঘৃনাার সুতিকাগার !
এই প্রশ্নের উত্তর অাপনিই দিন, কেন সবাই গোফঁহীন, দাড়িওলা, জোব্বাপরা লোকেদের ভয় পাচ্ছে অার সন্দেহের চোখে দেখছে ?
@fcktheist,
নাস্তিকের নাস্তিক্য দর্শন যখন ধর্মে রূপ নেয় এবং সেই নাস্তিক ঈশ্বরে পরিণত হয়, তখন সেই ধর্ম আরো বেশি ভয়ংকরই হবার কথা। বুদ্ধকে দোষ দেই নি আমি, তার দর্শনের বিকৃত অনুসারীরাই এর জন্য দায়ী।
প্রতিহিংসা কোথা থেকে পেলেন? অহিংস একটা ধর্ম কী এমন হিংসা আমার সাথে করেছে যে আমাকে প্রতিহিংসা দেখাতে হবে একে বিষে ভরা গোক্ষুর বলে। 🙂 আমি একগাদা দেশের কথা উল্লেখ করেছি, যেখানে বৌদ্ধরা, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা চরম সহিংস আচরণ করছে। অস্ত্রসস্ত্র হাতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ছবি দিতে বললে, সেটাও তুলে দিতে পারবো এখানে। এখন আপনি এগুলোকে অস্বীকার করে প্রমাণ করুন যে বৌদ্ধ ধর্ম বিষাক্ত গোক্ষুর নয়, বরং নির্বিষ ঢোঁড়া সাপ। তবে, তার আগে এই লেখাটা পড়ে নিতে পারেন আপাতত। বৌদ্ধধর্ম কীভাবে আসল চরিত্র লুকিয়ে পশ্চিমে নিজেকে অহিংসরূপে উপস্থাপন করেছে তার একটু ধারণা পাবেন এখানে।
হিংসার কথা ধর্মগ্রন্থে লেখা না থাকলেই বুঝি অনুসারীরা অহিংস হয়ে যায়? আমেরিকার সংবিধানে কোথাও কি হিংসা বা মারামারির কথা লেখা আছে? অথচ তারাইতো হিরোশিমা, নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেললো, ভিয়েতনামকে বোমা মেরে তামা বানিয়ে ফেললো, ইরাক, আফগানিস্তানকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেললো। যে ধর্মের অনুসারীরা তাদের প্রদর্শকের নাস্তিক্য দর্শনকেই বিকৃত করে ধর্ম বানিয়ে ফেলতে পারে, তারা যে ধর্মগ্রন্থের অহিংস বাণীকে হুবহু অনুসরণ করবে এমন নিশ্চয়তা কে দেবে? আপনি?
এই প্রশ্নের উত্তরতো আমি দিতে পারবো না। আপনি বা আপনারা যারা ভীত এবং সন্দেহগ্রস্ত, তাঁদেরকেই দিতে হবে। কারণ, আপনার ওই সবাই-র মধ্যে আমি অন্তত নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ অপরাধ করেছে বা অপরাধ করার সুস্পষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কাউকে ভয় পাই না, সন্দেহের চোখেও দেখি না।
@fcktheist, আপনার ৫০% কথা অন্তত সত্য(বৌদ্ধ ধর্ম সম্পরকে, বাকীটা!)। ত্রিপিঠকে খুব সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পরস্পর বিপরীত-ধর্মী সুস্পট-বক্তব্য বিদ্যমান।
সব গোষ্ঠি/ধর্মের মানুষের মধ্যেই আদিম হিংস্র প্রবৃত্তি আছে এটা সত্যি বটে, তবে এই আদিম হিংস্রতাকে জাগিয়ে দেয়া বা জিইয়ে রাখার উপাদান সব ধর্মের মধ্যে সমান নয়। অমুসলিম সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসের কারণ মূলত প্রতিক্রিয়ামূলক। পরিস্থিতি তাদেরকে উষ্কে দেয়। যেমন ব্রেভিকের বেলায় এই উষ্কানীটা ছিল নরওয়ের উদারপন্থী সরকারের নরওয়ের ইসলামীকরণ (যা স্বভাবতই অমুসলীম বা কাফের বিদেষী) কে প্রশ্রয় দেয়া। খ্রীষ্টান/হিন্দু সন্ত্রাসীরাও মুসলীম সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডের পরেই সক্রিয় হয় বা উদ্ভূত হয়। ক্রুসেডও ইউরোপে ইসলামী আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে উদ্ভূত হয়। কিন্তু মুসলিম সন্ত্রাসীদের অস্তিত্বের কারণই হল, ইসলামী আদর্শ, যা অন্য ধর্মের বিনাশের ধারণার উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট। ইসলামী সন্ত্রাস পরিস্থিতির দ্বারা সৃষ্ট নয়। একমাত্র ইসলামই সেই ধর্ম যা সৃষ্টি হয়েছে অন্য ধর্মকে হেয় করে, অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়ে এবং বলপূর্বক অন্য ধর্মকে নির্মূল করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে (আকাবার শপথ স্মর্তব্য)। একমাত্র ইসলামই সেই ধর্ম যার পিতা নিজে সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছিল। কাজেই উস্কানীমূলক পরিস্থিতি না থাকলেও ইসলামী সন্ত্রাস থাকবে। আর উস্কানী পেলে তো মুসলীম সন্ত্রাসীদের পোয়া বার। বাড়তি সুযোগ সন্ত্রাসী প্রবৃত্তিকে জায়েজ করার। হ্যাঁ,বিশ্বাসের ভিত্তিতে এরা হত্যাকান্ড ঘটালেও, অমুসলীমদের বেলায় এই জিঘাংসার বিশ্বাস পরিস্থিতির দ্বারা সৃষ্ট বা অণুপ্রাণিত, আর মুসলীমদের বেলায় এই বিশ্বাস জন্মসূত্রে প্রাপ্ত, পিতা সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
আমি যা বল্লম তাতে এটাও বোঝায় না যে সব মুসলীমই সন্ত্রাসী। সব মুসলীম সন্ত্রাসী নয়।
এর উত্তর আমি দুবার দিয়েছি এই ব্লগে।
আরেকবার দিচ্ছিঃ
মার্কসবাদ কি শোষনমুক্ত সমাজের একমাত্র উপায়?
শুধু স্যার কার্ল পপারের একটা উক্তি মনে রাখবেন। স্ব্রর্গ, সাম্য, জাস্টিস ইত্যাদির নাম করে, যত নারকীয় কান্ড ঘটননো হয়েছে, অন্য কিছুর নামে অত অপরাধ হয় নি।
আর এটাও দেখুন-পৃথিবীতে সব থেকে বড় দুর্ভিক্ষ এবং ক্ষুদার রাজত্ব নেমেছে কমিনিউস্ট রিজিমেই।১৯২৮-১৯৩৭ সালের মধ্যে প্রায় দুকোটি রাশিয়ান না খেতে পেয়ে মারা গেছে। চীনে এই সংখ্যা ছিল ৬ কোটির কাছে। সেখানে আমেরিকা, জাপান বা যেসব দেশগুলিতে দুর্ভিক্ষ হয় নি, বা যারা ক্ষুদার ইন্ডেক্স বা ফুড সিকিউরিটিতে ওপরের দিকে আছে-সেসব দেশগুলি বাজার অর্থনীতির পথেই সমাধান এনেছে ক্ষুধার বিরুদ্ধে। চীন ও তাই করেছে।
আগেই বলে নেই আমার প্রতিটা প্রশ্নই শুধু জানার জন্য। মোটেই আপনার লেখার কাউন্টার নয়।
আমি কমিউনিজম কী জানি না। আমি বুঝি সবার পেটে ভাত থাকবে। কমিউনিষ্ট(সমাজতন্ত্রী, বামপন্থি যাই বলেন) ছাড়া আমি কারো মুখে এই কথাটা শুনি নি। এটা আমার অভিজ্ঞতার অভাব হতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে আপনি বামদের ছাড়া আর কারো মুখে এই কথা দেখেছেন নাকি সেটা জানালে ভালো হয়। বামরা চায় সকলের সমান অধিকার, সকলের পেটে খাদ্য, ইসলামিষ্টরা, হিন্দুরা বা অন্য ধর্মগ্রন্থের অনুসারীরা কী চায় সেটা মনে হয় এখানে কাউকেই বলে দিতে হবে না। এখন প্রশ্ন হল, এই প্রেক্ষাপটে বামদেরকে অন্যান্য সকল গ্রুপের মৌলবাদীদের( আপনার কথা অনুযায়ী) সাথে একই কাতারে ফেলাটা কতটা যৌক্তিক?
প্রথম প্রশ্নটা মনে হয় করা উচিত মানুষ বলতে আপনি কী বোঝেন? আর আপনার সংজ্ঞায়িত মানুষ হতে কী করতে হয়?
দারিদ্রতা সৃষ্টির জন্য যারা দায়ী তাদেরকে যদি প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় তাহলে সেটা আপনার চোখে কেন অনৈতিক হবে?
@সাইফুল ইসলাম, প্রথম প্রশ্নটার উত্তর সোজা। তাই একটু চেষ্টাকরি। বারাক ওবামার স্লোগান ছিল, yes we can. তারমানে অন্যরা কি মনে করে না যে তারা পারে না বা পারতে উৎসাহিত করার চেষ্টা তাদের নেই? কিন্তু অন্য কেউই তো তা বলেনা। এটা আসলে স্লোগানের মৌলিকত্বের প্রশ্ন। কমিউনিস্টদের স্লোগান অন্যরা নকল করেনি বা তাদের আগে কেউ এটাকে স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করেনি। এটাই মনে হয় ব্যপার। ভাত-কাপড়ের কথা সবাই বলে, সবাই এতে গুরুত্ব দেয়। মৌলিক চাহিদা জিনিসটা তো এখন একটা কমন মেনিফেস্টো। শুধু স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করে কমিউনিস্টরা। অন্যরা করলেও কম।
অসাধারন পোস্ট! পোস্টে পাঁচ তারা।
মন্তব্য ভাল লেগেছে রৌরব এর। দারুন।
অসাধারণ একটা লেখা। মুক্তমনার আদর্শের সাথে পুরোপুরি মিল রয়েছে এই প্রবন্ধটার।
লেখাটা এবং মন্তব্যগুলো পড়ে এই উপলব্ধি হলো যে, একচোখা হয়ে মনের সুখে অন্তরের সমস্ত বিষ ঢেলে শুধুমাত্র একটা ধর্মকে পেটানোর ঠিক উপযুক্ত ময়দান মুক্তমনা নয়। 🙂
বিপ্লব,
লেখা এবং সংশ্লিষ্ট বিতর্ক, দুটোই ভাল লেগেছে।
এক পেশে দৃষ্টিভগি নিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কঠিন কাজ।
অভিনন্দন।
(Y) (Y) (Y)
পৃথিবীতে সর্বত্র অসাম্য বিরাজমান কমুনিস্টদের এই ধারনাকে আমি অমুলক মনে করি না।
কমিউনিস্ট আর হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট এদের কাজ সম্পুর্ন বিপরীত। তুলনাটা তাই ভালো লাগে নি।
শ্রেনী তৈরি করা ধর্মের কাজ আর তাকে নির্মুল করা সমাজতন্ত্রের কাজ।
এরা একে অন্যের পরিপূরক হয় কিভাবে???
@রাহনুমা রাখী,
ভাল প্রশ্ন করেছেন। তার উত্তরটা আমি মুক্তমনাতেই দিয়েছিলাম-এই লেখার মন্তব্যতেই দিয়েছি-আবার দিলাম
মার্কসবাদ কি শোষনমুক্ত সমাজের একমাত্র উপায়? :-s
(Y)
লেখাটা পড়ে খুবই ভাল লাগল ধন্য বাদ
@বিপ্লব পাল,
আপনার এ লিখাটি খুব ভাল লাগলো। সঠিক সময়ে এমন একটি গুরুত্ব-পূর্ন বিষয়ের উপর লিখার জন্য ধন্যবাদ। শুধু চরমপন্থীরাই নয়, অধিকাংশ সাধারন বিশ্বাসীরাও “বাস্তব (facts- সব ধর্ম ও ধর্ম-গ্রন্থ মনুষ্য রচিত) ও বিশ্বাস (faith -ও গুলো ইশ্ব্রর প্রদত্ত )” এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। ফলে চরম-পন্থী ও তথাকথিত মডরেট “ধর্ম-বিশ্বাসীর” ধর্মীয়-অনুভূতির পার্থক্য শুধু জানা ও মানার তারতম্যে।
মৌলবাদীরা কোন যুক্তি পছন্দ করেনা, যদি তা নিজ ধর্মের বিপক্ষে যায়। সাধারন মানুষকে সচেতন করতে চাইলে রাষ্ট্রকে সরাসরি ধর্মের বাইরে আসতে হবে।
বিপ্লব পালের ভঙ্গি এমন যে তিনি যা বলছেন, তা যেন কতই সঠিক, তিনি যেন কত বড় ব্যাখ্যাকার। হাসি পায় এসব পড়ে।
@শামীম আরা,
কেন হাঁসি পাচ্ছে সেটাই লিখুন। এখানে অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষন করেছে। এবং তা লেখাটাকে উন্নতই করছে-কারন যুক্তি এবং প্রতিযুক্তির মাধ্যমে আমরা আরো গভীরে যেতে পারছি।
আর যদি শরীর ভাল রাখার জন্যে হাঁসেন-তাহলে অবশ্য কিছু করার নেই। 😉
@বিপ্লব পাল,
মুসলমান ও কোরান নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন টের পাচ্ছি।
এর সাথে কি তাদের ধর্মগ্রন্থের কোনই সম্পর্ক নাই?
আমরাও চাই, তাই আঘাত হানতে হবে বিশ্বাসের মূলে অর্থাৎ ধর্মগ্রন্থে। ধর্মগ্রন্থ থেকে দূরে সরে আসা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মতো মুসলমানদের তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে দূরে সরে আসতে প্রচুর সময় লাগবে।
বিপ্লব দা, শিরোনামের বিদ্বেষী বানান ঠিক করেছেন, ভিতরে বহু জায়গায় বিদ্বেশই রয়ে গেছে, এডিট করে দিন।
আমার মনে হয়েছে, এই লেখাটি আপনার সকল লেখার শ্রেষ্ট লেখা। (Y)
@আকাশ মালিক,
রাতে বানান ঠিক করতে বসব। তবে বিশ্বাসের মূল ধর্মগ্রন্থ না আকাশ ভাই। দু পয়সা লাভের গন্ধ থাকলে, কে ধর্মের বানী লঙ্ঘন করে মিথ্যা বলে না বলুন ত? ক্যালিফোর্বিয়াতে এক মুসলিম মহিলার কথা মনে পড়ল-আপনাদের বাংলাদেশেরই- একাই চালাতেন ছোট একটা ইন্ডিয়ান গ্রিল রেস্টুরান্ট। ভদ্রমহিলা হিন্দু মহিলাদের মতন বিন্দি পড়তেন, রেস্টুরেন্টের দেওয়ালে সব হিন্দু দেবদেবী-আর শিখেদের ছবি।
ভদ্রমহিলা কি মুসলিম ধর্মভীরু না-নিশ্চয় ধর্ম ভীরু মুসলিম। কিন্ত পেটের টান বড় টান। ওর পাশেই একটা ভাল পাকিস্তান রেস্টুরেন্ট ভাল চলত না-কারন মুসলিম রেস্টুরেন্ট দেখলেই অধিকাংশ হিন্দু এড়িয়ে যাবে। একজন মহিলা যখন রেস্টুরেন্ট চালান বিদেশে, কি করলে রেস্টুরেন্ট চলবে, ওই টুকু বুদ্ধি মাথায় ছিল।
ধর্মকে মানার একটা বড় কারন ইসলামে রাজনীতি এবং সমাজ, তাদের ধর্মকে ঘার ধরে মানাতে বাধ্য করায়। একটু স্বাধীনতা পেলেই একজন মুসলিম ও অন্য পাঁচটা ধর্মের মানুষের মতনই বাঁচতে চাইবে। আমার জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাতে অসংখ্য লোকের সাথে মিশেছি-সব ধর্মের , সব মতের, সব দেশের। ওপরে খোসা ছারালে, সেই মানুষটাই বেড়িয়ে পরে।
ইটালিতে আরেকটা বাংলাদেশী ছেলের কথা মনে পড়ে গেল। এদের অধিকাংশই খুব কষ্ট করে তুরিন শহরে থাকত। কেওই তেমন ধার্মিক না। খুব খেটে বাংলাদেশে টাকা পাঠায়। এদের মধ্যে একজনই ছিল উগ্র মুসলমান।
ওদের চারজন মিলে একটা ছোট্ট বাড়িতে থাকত। ১৯৯৯ সাল সেটা। তখনও মোবাইল আসে নি।আমি হঠাৎ হঠাৎ ই ওদের ওখানে যেতাম। একদিন দেখি ওরা চারজন একজন মরোক্কান বেশ্যাকে তুলে এনেছে। আমাকে দেখে ওরা অপ্রস্তুত। আমি পরে আসব বলে চলে আসলাম। পরের দিন সেই উগ্র মুসলিম ছেলেটা আমার হোস্টেলে হাজির। ধরা পড়ে গেছে ত। বলে যে দাদা, আপনি নিশ্চয় ভুল বুঝেছেন আমাদের
আমি বল্লাম -না না-প্রশ্নই নেই। তোমরা সব জোয়ান ছেলে-সেক্সের দরকার হবে সেটাই স্বাভাবিক।
এবার সে একটু আস্তত্ব হল। বলল জানেন, কাল সারা রাত আল্লাতালার কাছে কেঁদেছি।
আমি বল্লাম -কেন? কোন পাপ ত কর নি! এখানে বৌ পাবে কোথায়!
এবার আরো আস্বস্ত হল। আসলে জানেন, আমি জানি এসব গুনাহ-কিন্ত আসলে বুঝতেই পারছেন।
আমি বল্লাম- তোমার বেশ্যা গমনের ব্যপারটা বুঝি-তবে ধর্মের ব্যাপারটা ফালতু বলেই মনে হয়।
সে বলল -আমার ও তাই মনে হয়। আসলে বুঝলেন পেটের আর সেক্সের খিদে জেগে উঠলে ওসব আর মাথায় থাকে না :rotfl:
@বিপ্লব পাল,
কুরান হলো মুহাম্মাদের নিজস্ব জীবনী প্রেক্ষিত ঘটনা-প্রবাহ, সমসামিয়ক ইতিহাস ও ‘মুহাম্মাদের জানা’ অন্যান্য ধর্ম-গ্রন্থে বর্নিত ‘মীথ’ এর সমাহার।
পারিবারিক এবং মসজিদ ভিত্তিক ‘ইসলামী’ মগজ ধোলাইয়ের শুরু ৪/৫ বছর বয়স থেকে। সিলেবাস –কুরান ও হাদিস, আমেরিকাও তার ব্যতিক্রম নয়। শিশু মনে সে শিক্ষা্র প্রভাব সুদুর-প্রসারী। কুরানের পাতায় পাতায় অমুস্লিম /অবিশ্বাসিদের প্রতি ‘বিষদগার, ঘৃনা-বর্ষন এবং প্রয়োজনে তাদের খুন করার নির্দেশ। কিছু নমুনা দেখুন এখানে।আরো কিছু নমুনাঃ
Allah’s threat of punishment and fear to non-believers (non-Muslims):
ইসলামী শিক্ষায় এ সব অমুস্লীম বিদ্দেষী আল্লাহর (মুহাম্মাদ) “ওহীর” কোনই প্রভাব “বিশ্বাসী মুসলীম মানসে’ না থাকলে তা হবে ‘মিরাকল’। আর মিরাকল বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই। আমি এখানেই এ আলোচনার ইতি টানছি। ভাল থাকুন।
কথাটার সাথে একমত নই!
এ বিষয়ে আপনার কাছে যদি কোন রিসার্চ থাকে তাহলে দেবেন।
আর ঢালাও ভাবে ইউরোপের মুসলিমরা মেইন ষ্ট্রিমে যাচ্ছেনা, গাদা গাদা
সন্তান উৎপাদন করছে, ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেনা মানতে রাজী নই!
আমার মতে ভালো অনেকেই করছে!
এরজন্য এদির ইতিহাস, সংস্কৃতি, আচারআচরন জানতে হবে উত্তর পশ্চিম ইউরোপে খৃষ্টধর্ম আসার আগে এরা প্রকৃতি পূজা করত। ভারত ও চীনের মত এদের সংস্কৃতি পর ধর্ম, আচার আচরণকে আত্মস্থ করে নেয়নি।যা ঘটেছে ওখানে হাজার হাজার বছর ধরে।
সেখানে ইউরোপে কাজের জন্য তুর্কী, মরোক্কানরা এসেছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে।সংখ্যাগরিষ্টরা এদের এখনও প্রতিবেশী ভাবতে পারছেনা।
প্রতিটা সরকার কড়া আইন করে ইমিগ্রান্টদের রক্ষা করছে।
কারণ এদের তা দরকার, গোটা ইউরোপে এখন তরুনদের চেয়ে পেনশনভোগীরা বেশী হতে যাচ্ছে।তাই তারা বাচ্চাদের ভাতা দেয়।
লেখাটায় ইউরোপের কতগুলো অবাস্তব চিত্র উঠে এসেছে!
@লাইজু নাহার,
[1] ওসামার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কটা মিছিল বার হয়েছে পাকিস্তানে, ইন্দোনেশিয়াতে আর বাংলাদেশে? একটাও দেখাতে পারবেন???? আর কটা মসজিদে ওসামার স্বরণ সভা হয়েছে? সেই তথ্যটা আগে দিন। দুধ আর জল পরিস্কার হবে। উদার মুসলিম, মুসলিম সমাজে এখনো ব্যতিক্রম, নিয়ম না।
[২] আর ইউরোপে ভারতীয় হিন্দু বা চৈনিক অভিবাসীদের সমস্যা হচ্ছে না কেন? আপনার তত্ত্ব অনুযায়ী যদি এটাই ঠিক হত-ইউরোপিয়রা বাইরের সংস্কৃতি মানতে পারে না- তাহলে হিন্দু বা চীনাদের সাথে সংঘাত নেই কেন? বৃটেনে হিন্দুদের সংখ্যা মুসলিমদের প্রায় অর্ধেক।
[৩] বাচ্চাদের জন্যে ভাতা দেওয়াটা একটা ওভার অল ওয়েল ফেয়ার স্টেটের অংশ। ফার্টালিটি বাড়াতে ওভাবে কেও ভাতা দেয় না-রাশিয়াতে যা আছে। একজন মা তিন জন সন্তান দিলে, তার ট্যাক্স ফ্রি+ একটা এস ইউ ভি ফ্রি। চারজন হলে, সরকার ফ্লাট দেয়। ইউরোপে অরিজিনাল জন সংখ্যার ফার্টিলিটি অনেক কম-তবে সেই জন্যে বাচ্চাভাতা দেয় না-ওটা ওভার অল ওয়েল ফেয়ার স্টেটের অংশ। নরওয়েতে মুসলিমরা এত বাচ্চা পয়দা করছে, গোটা দেশটাতে পজিটিভ ফার্টিলিটি! তাহলে ত সরকারের শিশুভাতা বন্ধ করা উচিত! 😕
@বিপ্লব পাল,
আপনি পদার্থবিদ্যায় যতখানি মেধাবি, রাজনীতিতে ততখানি কাঁচা । তাই তিনখানি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন । আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমারও তিনখানি প্রশ্নঃ
(১) ওসামার সৃষ্টিকর্তা কে? ধর্মের ভিত্তিতে হিন্দুজাতি ও মুসলমান জাতি বর্ণনা করে ভারতকে কে বিভাজন করেছে? পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করে কারা দেশটিকে ব্যবহার করেছে? সুকর্নো ও লাখ লাখ কমিউনিষ্টকে হত্যা করে সুহার্তোকে কারা ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল? বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কারা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানিয়েছে?
(২) তেল সম্মৃদ্ধ আরব দেশের শাসকগোষ্ঠিকে কারা ক্ষমতায় রাখে এবং প্যালেষ্টাইনীদেরকে নিজ দেশে পরবাসী করে অত্যাচারের ষ্টিমরোলার চালায়? ভারতের হিন্দু ও জাপান ও চীনের বৌদ্ধরা নিজ দেশে সাম্রাজ্যবাদি অগ্রাসনের শিকার নয় ।
(৩) আট ঘন্টা কাজের দাবী, নর ও নারীর সমপারিশ্রমিক, বাচ্চাদের ভাতা, নারী স্বাধীনতা, সোসাল সিকিউরিট্ ব্যবস্থা, মানবতা প্রভৃতি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিকের ঘোষণা পত্রে বর্ণিত দাবী । এই ঘোষণা পত্রকে বলা হয় কমিউনিষ্ট ম্যানুফ্যাষ্ট । কমিউনিষ্টদের আন্দোলনের ফলে এই দাবীগুলি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং বহু দেশ তা বাস্তবায়ন করে চলছে । আর এই কমিউনিষ্টদেরকে আপনি ধর্মবাদি ও বর্ণবাদিদের সাথে একীভুত করে ফেলেছেন, অর্থ্যাৎ আপনি রাজনীতি বুঝেন না ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
এর উত্তর আমেরিকা! কিন্ত তাতে আমার কি? আমি ত আমেরিকার বিদেশ নীতির বিরোধিতাই করি! আমি কোন আদর্শবাদি লোক না। ঠিক কে ঠিক, ভুল কে ভুল বলবো।
ভারত ইসলামিক এবং বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের শিকার এক কালে হয়েছে। তাতে কি?
আট ঘন্টা কাজের দাবী যারা আদায় করেছিলেন-তারা মূলতা বামপন্থী এনার্কিস্ট এবং লেনিনিস্টদের বিরোধি গোষ্ঠি। তারা কমিনিউস্ট নন, বাম এনার্কিস্ট। পার্থক্য টা না জানলে জেনে নিলে ভাল হয়। লেনিনের রাশিয়াতে শ্রমিকদের কোন অধিকারই ছিল না। আর লেনিনের অনেক বক্তব্যের ভিত্তি হচ্ছে মানবতার সাথে বিপ্লব খাপ খায় না- বাংলায় বললে রক্ত না ঝরিলে বিপ্লব কি হইল!
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে আপনিও সেই কমিনিউনিস্ট মিথের শিকার।
আট ঘন্টার কাজঃ ইতিহাস পড়ুন। দেখবেন, কমিনিউস্ট ম্যানিফেস্ট ছাপানোর অনেক আগে থেকেই এই আন্দোলন চলেছে এবং তা কোন কোন দেশে ১৮৫০ সালের আগে পাশও হয়ে গেছে।
http://en.wikipedia.org/wiki/Eight-hour_day
Robert Owen had raised the demand for a ten-hour day in 1810, and instituted it in his socialist enterprise at New Lanark. By 1817 he had formulated the goal of the eight-hour day and coined the slogan Eight hours labour, Eight hours recreation, Eight hours rest. Women and children in England were granted the ten-hour day in 1847. French workers won the 12-hour day after the February revolution of 1848. A shorter working day and improved working conditions were part of the general protests and agitation for Chartist reforms and the early organization of trade unions.
The International Workingmen’s Association took up the demand for an eight-hour day at its convention in Geneva in August 1866, declaring The legal limitation of the working day is a preliminary condition without which all further attempts at improvements and emancipation of the working class must prove abortive, and The Congress proposes eight hours as the legal limit of the working day.
@বিপ্লব পাল,
বস্তুরুপি মানুষ যা ঘটায় তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যার নাম বস্তুবাদ এবং সভ্যতার আদি কাল থেকে যা ঘটিয়েছে তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যার নাম ঐতিহাসিক বস্তুবাদ । আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি পদার্থবিদ্যায় আপনার যতক্ষানি মেধা আছে ততক্ষানি অজ্ঞতা আছে দর্শনশাস্ত্র, ইতিহাস ও রাজনীতিতে ।
আপনিও আট ঘটার নিম্ন ইতিহাস পড়ুন ।
http://www.marxists.org/subject/mayday/articles/tracht.html
@আ হা মহিউদ্দীন,
কমিনিউস্ট, ইসলামিস্ট, হিন্দুইস্ট, ইভ্যাঞ্জেলিক্যাল এদের মধ্যের আরেকটি সাদৃশ্যের কথা আমি লিখিনি,।
সেটা এখন লিখছি।
এই সব ইস্ট হতে গেলে, এই সব আদর্শবাদগুলির ইতিহাসে অজ্ঞ হতে হয় বা ইতিহাসের বদলে মিথে বিশ্বাস করতে হয়।
আপনি আপনার পোষ্টে লিখেছিলেন ১) কমিনিউস্টরা মানবতাবাদের বিশ্বাস করে ২) আট ঘন্টা কাজের অধিকার কমিনিউস্ট ম্যানিফেস্টো থেকে এসেছে।
আপনার এই দুই বিশ্বাসই মিথ, সেটা আমি তথ্য দিয়ে প্রমান করেছি।
আমি কে বা আপনি কে ভুলে যান। আমি কোন বিজ্ঞানী টিজ্ঞানী নই, পাতি অপটিক্যাল কমিনিকেশন রিসার্চে প্রযুক্তিবিদ। পেট চালাতে। আমার পেশাতে আমার খুব বেশী উৎসাহ নেই-যতটা লেখা লেখি নিয়ে আছে। লেখা নিয়ে কথা বলুন। আপনি যতবার ইতিহাস নিয়ে মুখ খুলেছেন, আপনার ইতিহাস যে ইতিহাস না, গল্প এবং মিথ -তা কিন্ত আমি প্রমান করে দিয়েছি। আর আপনি ভুলে যাবেন না-আমাদের দিকে কমিনিউস্ট অনেক অনেক বেশী-এবং কমিনিউজম নিয়ে তাদের জ্ঞান আপনার থেকে অনেক বেশী-এবং তাদের সাথে দীর্ঘ বিতর্কের পরে আমি নিশ্চিত, তারাও ও সেই মিথেই বিশ্বাসী।
প্রিয় আ হা মহিউদ্দীন,
ব্যক্তি আক্রমণ, অবজ্ঞামূলক শব্দসমূহ ব্যবহার এবং অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের কারণে বিপ্লব পালের উদ্দেশ্যে করা আপনার দুটো মন্তব্যকে অনুমোদন না দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা বিরোধী এ ধরনের ব্যক্তি আক্রমণাত্মক এবং মুক্তমনার সদস্যদের প্রতি অপমানসূচক মন্তব্য করা থেকে বিরত না থাকলে, ভবিষ্যতে মুক্তমনায় আপনার মন্তব্য করার সকল সুযোগ রহিত করা হতে পারে। আশা করছি যে, মডারেটরের এই সতর্কবার্তাটি আপনি ইতিবাচকভাবে নেবেন এবং মুক্তমনার নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে মন্তব্য করবেন।
মুক্তমনায় আপনার কোন একাউন্ট না থাকায় ই-বার্তার মাধ্যমে আপনাকে গোপনীয়ভাবে এই বার্তাটি পৌঁছানো সম্ভবপর হলো না বলে প্রকাশ্যেই বলতে হল। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
@আ হা মহিউদ্দীন,
ওসামার সৃষ্টিকর্তা কে, এই প্রশ্নের উত্তরটা মুসলমান এপোলজিস্টদেরই দেওয়া উচিত। আমেরিকা শত শত ওসামাকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু তাদের মধ্যে অনৈসলামিক সবকিছুর প্রতি বিদ্বেষ জাগিয়ে তুলতে পারে না। আমি আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর গুন্ডা লেলিয়ে দিলে এটা প্রমাণিত হয় না যে আমি সেসব গুন্ডা সৃষ্টি করেছি, বরং আমি তাদেরকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেছি। ওসামার মধ্যে তীব্র জিহাদী মনোভাব ছিল বলেই আমেরিকা তাকে সমাজতন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পেরেছে, ওসামা একজন নাস্তিক আইকন হলে তাকে এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেত না। সন্ত্রাসবাদ প্রণোদনায় ধর্মের ভূমিকাটা মূলত এখানেই- ধর্ম মানুষের আদিম ইন্সটিংক্টগুলোকে এমপ্লিফাই করে মানুষের মধ্যে একটা সুপ্ত দানবের জন্ম দেয়। উপযুক্ত পরিবেশ ও বিত্তবান পৃষ্ঠপোষক পেলে এই দানবটা ঠিকই জেগে ওঠে, যার প্রমাণ বর্তমান বিশ্বের অগনিত জিহাদী।
ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা ঠিক একারণেই সম্ভব। ধর্ম অনেক আগে থেকেই মুসলমান ও হিন্দুদের বিভাজিত করে রেখেছিল, বৃটিশরা কেবল তেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল মাত্র। দু’জন মুসলমানকে ইসলামের উপর ভিত্তি করে ভাগ করে ফেলা যায় না কারণ ইসলামে একজন মুসলমানকে আরেকজন মুসলমান হতে পৃথক করার মত কিছু নেই, কিন্তু দু’জন ধার্মিককে খুব সহজেই ধর্মের উপর ভিত্তি করে ভাগ করে ফেলা যায় কারণ দুনিয়াতে বর্তমানে একাধিক ধর্ম আছে এবং সবগুলো ধর্মই একে অপরের সাথে সংগতিহীন।
@পৃথিবী,
অসাধারণ (Y)
আফগানিস্তানে আমেরিকার ভূমিকা সম্বন্ধে আপনার সাথে পুরো একমত না হলেও আপনার underlying বক্তব্য ভাল লেগেছে।
@পৃথিবী,
আপনার এই মন্তব্যকেও অনেকেই একচোখা মুসলিম বিদ্বেষ, ইসলাম ও কোরান বিদ্বেষী বলে বিবেচনা করবেন। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ, মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ, মারামারি-কাটাকাটি বা সাম্প্রদায়ীকতার বীজটা যে, প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে প্রোথিত রয়েছে, অনেক নাস্তিক-অবিশ্বাসীরাও তা স্বীকার করতে নারাজ। আজকাল তো অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, সকল ধর্মগ্রন্থের সমালোচনা করা যাবে কিন্তু কোরানের মোটেই না। এতে মুসলমানের কী লাভ হয় আমি জানিনা। অন্য একটি ব্লগে একজন লেখক বৈদিক যুগের স্বর্ণালী দিনগুলোর কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন- বেদে বা সনাতন হিন্দু ধর্মে বর্ণবাদ, জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়ীকতা ও নারীবৈষম্য বলতে কিছু নেই।
তার বক্তব্যের কাউন্টারে হিন্দু -মুসলিম উভয়দিক থেকেই প্রচুর মন্তব্য এসেছিল। বেদের কান ধরে রামায়ণ, মহাভারত টেনে বের করা হলো, হিন্দু ধর্মের নানান কলঙ্খিত দিক তুলে ধরা হলো, কিন্তু লেখক বা লেখকের সমর্থনে কেউ তেড়ে আসলোনা, অশ্লীল ভাষায় গালি দিলনা, দিলনা কোন জিহাদী হুংকার।
মুসলমান তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে, যদিও অনেক দেরীতে এবং মন্থর গতিতে। ইসলাম নতুন ধর্ম বলেই হয়তো মুসলমানদের সময় লাগবে তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে সরে আসতে। প্রাসঙ্গীকভাবে এখানে ইউ টিউব থেকে দুটো ছবি দিলাম-
httpv://www.youtube.com/watch?v=mL0gFIXnhiE&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=r7OYRknGgEc&feature=related
@পৃথিবী,
জীবিকার জন্য অর্থের প্রয়োজন, আবার এই অর্থই অশান্তি সৃষ্টি করে । অর্থের জন্য সন্তান বাপ-মাকে, ভাই ভাই-বোনকে হত্যা করে । আবার সমাজ ও রাজনীতির ক্ষেত্রে ক্ষমতা ও অর্থ পরস্পরের বন্ধু এবং সমান্তরালে চলে ।
বিভিন্ন উপাদান নিয়ে সমাজ গঠিত । এই উপাদানগুলি নিজ স্বার্থের কারনে শ্রেনী বিন্যাস্ত হয়ে কেউ শাসক-শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ শোষিতের পর্যায় চলে যায় । বাংলা দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, স্বাধীনতা উত্তর এক শ্রেনী বাঙ্গালি কোটিপতি হয়েছে এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের পান্তাভাত আনতে নুন ফুরিয়ে যাচ্ছে । শোষণের ক্ষেত্রে ধর্ম গৌণ ভূমিকা পালন করে ।
শাসক গোষ্ঠি নিজ ক্ষমতা ও শোষণ অটুট রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল গ্রহন করে । ধর্ম এরকম একটি কৌশল । সমাজ ও সভ্যতার প্রয়োজনে ধর্মের আগমন ঘটে, যাকে ইতিহাসের প্রয়োজন বলা হয় এবং এই কথিত এপোলজিষ্টরাই শোষকদের কন্ঠস্বর ।
ভারতে ইসলামের আগমন ত্রয়োদশ শতাব্দিতে । বিগত ১৮৫৭ সালে ভারতের হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ও মুসলমান মিলিত ভাবে স্বাধীনতার জন্য বৃটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে । প্রায় ছয়শত বছরের অধিক কাল হিন্দু০মুসলমান ভাই-ভাই হিসাবে এক সাথে বসবাস করেছে । তা হলে শাসক গোষ্ঠির মধ্যে কি কারন ঘটলো যার জন্য তাদেরকে বিভাজিত হোতে হলো ।
বেশ কয়েক জন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে । বিদেশী কোন শক্তি ঐ সকল প্রেসিডেন্টদেরকে হত্যা করে নাই । স্বার্থের কারনে শাসক গোষ্ঠির একটি অংশ অর্থের বিনিময় লোক নিয়োগ করে ঐ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে । তাই অর্থ দিলে গুন্ডা, সন্ত্রাসী ও জেহাদী পাওয়া কষ্টকর নয় ।
আপনার সাথে আমার সমাজ অবলোকন করার দৃষ্টি ভঙ্গির পার্থক্য । রাষ্ট্র পরিচালিত হয় রাষ্ট্রঈয় আইন দ্বারা, ধর্ম দ্বারা নয় । রাষ্ট্রএর ক্ষমতায় যে শাসক গোষ্ঠি যায়, তারা নির্ধারণ করেন ধর্ম কোথায় এবং কতটুকু ব্যবহার করতে হবে ।
@আ হা মহিউদ্দীন, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ওই একই কথা বললেন- “শাসকগোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করছে”। এই কথা সবাই জানে। আমার পয়েন্ট ছিল যে ধর্মের মধ্যে প্রচুর ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে যার উপস্থিতির জন্য শাসকগোষ্ঠী দায়ী না, বরং শাসকগোষ্ঠী এই নেতিবাচক উপাদানগুলিকেই নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেছে। ইসলাম-খ্রীষ্ট ধর্ম হল সম্প্রসারণবাদী, সামরিক ধর্ম। এই ধর্মগুলোর অনুসারীরা এমনিতেই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে, শাসকগোষ্ঠী তার মধ্যে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য এই ধর্মগুলোর অনুসারীদের কোন বিশেষ গোত্রের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। এই ধার্মিকদের মনঃজগতে যেহেতু একজন other এর অস্তিত্ব থাকা বাঞ্চনীয়, তাই তারা শাসকগোষ্ঠী নির্দেশিত গোত্রকেই other বানিয়ে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে লিপ্ত হয়।
শাসকগোষ্ঠীর এরুপ আচরণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে(যেমনটি আপনি আপনার মন্তব্যে করেছেন), এডওয়ার্ড সাইদ-নোয়াম চমস্কিরা এই সাম্রাজ্যবাদী আচরণকে ছিড়েখুড়ে ফালাফালা করে ফেলেছেন, কিন্তু তারা আসল জায়গাতেই আঘাত হানতে পারেননি(চমস্কি অবশ্য খুব জোড় গলায়ই বলেছেন যে একটা প্রকৃত সেকুলার রাষ্ট্রব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতিই অনেক সাম্প্রদায়িক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে, তবে সাইদের কাছ থেকে এমন কোন ডিক্লারেশন সম্পর্কে আমি অবগত নই)। যতদিন পারমানবিক বোমা থাকবে, ততদিন একটা পারমানবিক যুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তেমনই যতদিন ধর্ম থাকবে, ততদিন ধর্মকে ব্যবহার করার মত শক্তিও থাকবে। এই সহজ বিষয়টা কোন এক অদ্ভুত কারণে মানুষ বুঝতে পারে না। মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটালে হয়ত ধর্মীয় মৌলবাদ মোটাদাগে কমানো যাবে, কিন্তু পুরোপুরি নির্মূল করা যাবে না(উদাহরণ হিসেবে নরডিক দেশগুলোর কথা বলা যেতে পারে, ওসব দেশে মানুষের ইনকাম ডিসপ্যারিটি গোটা পৃথিবীতে সবচেয়ে কম হলেও মৌলবাদ পুরোপুরি অনুপস্থিত না); আর ধর্মীয় মৌলবাদ এমন এক বিষয় যে ১০০ জনের জনপুঞ্জকে কেবল ১০জন মৌলবাদীই বিষাক্ত করে ফেলতে পারে।
পরিশেষে একটা কথাই বলব- মানুষের হাতে মাদক তুলে দিলে তারা সেটার অপব্যবহার করবেই। মাদক রাখবেন, আবার মাদকের অপব্যবহারও বন্ধ করতে চাবেন- তা হবে না। You can’t eat the cake and have it too.
@পৃথিবী,
আপনার পয়েন্ট ছিল যে “ধর্মের মধ্যে প্রচুর ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে যার উপস্থিতির জন্য শাসকগোষ্ঠী দায়ী না, বরং শাসকগোষ্ঠী এই নেতিবাচক উপাদানগুলিকেই নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেছে”।আপনার এই বক্তব্য থেকে সিন্ধান্ত নেয়া যায় যে “নরের যৌন ক্ষুধা মিটাবার সকল উপাদান একজন নারীর মধ্যে বিদ্যমান । তাই নর নারীকে ধর্ষণ করবে এবং তার জন্য নর দায়ী না, দায়ী নারী ।
আমার বক্তব্য ছিল সমাজ ও তার ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল । আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা আবার সময়ের উপর নির্ভরশীল । বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের উপর নেতিবাচক মন্তব্য ধর্মীয় মৌলবাদকে সাহায্য করে । তাই প্রগতিশীলেরা রাষ্ট্র থেকে ধর্ম পৃথককীরণ এবং ধর্মকে ব্যক্তি পর্যায় নেয়ার এবং আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করেন ।এই পরিবর্তন ঘটানো গেলে ধর্মীয় চিন্তা-চেতনারও পরিবর্তন ঘটবে ।
গুটি কয়েক ধর্মীয় জঙ্গির ভয় আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা অপরিবর্তনীয় রেখে যারা ধর্মকে আঘাত করতে চান, তারা বাস্তব জগতে বাস করেন না । জঙ্গিরা আমাদের মতো মানুষের কাছে গৌণ সমস্যা, মূল সমস্যা হলো আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা । তাই মূল সমস্যার উপর আঘাত হানতে হবে ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
“ভারতে ইসলামের আগমন ত্রয়োদশ শতাব্দিতে । বিগত ১৮৫৭ সালে ভারতের হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ও মুসলমান মিলিত ভাবে স্বাধীনতার জন্য বৃটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে । প্রায় ছয়শত বছরের অধিক কাল হিন্দু০মুসলমান ভাই-ভাই হিসাবে এক সাথে বসবাস করেছে ।”
এই ইতিহাসের স্রষ্টা কে? এটা সু-মনকল্প রুপকথা, তবে অসত্য।
@শান্তনু সাহা,
এই ইতিহাসের সৃষ্টা পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক পদ্ম ভুষণ ইরফান হাবিব । যারা ইতিহাসকে সু-মনকল্প রূপকথা বলে তাদের জ্ঞান সম্পর্কে আমার সন্দেহ আছে । ইতিহাসের ব্যাখ্যা ভুল হতে পাড়ে, কিন্তু ইতিহাস অসত্য হয় না । তাই “ভুল” ও “অসত্য” এর পার্থক্য যারা করতে পাড়ে না, তাদের সাথে কোন বিষয় আলোচনা করা বৃথা ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
—Irfan Habib
হিন্দু-মুসলিম বিভেদ পুরোপুরি ইংরেজের দোষ, অথবা পুরোপুরি ধর্মের দোষ, এসব সরলরৈখিক চাপাচাপি কেন করেন?
@রৌরব,
ইরফান হাবিবের ভারতবর্ষের ইতিহাস প্রসঙ্গের উদ্ধৃত খন্ডিত অংশ তার পূর্ণ বক্তব্যকে প্রতিনিধিত্ব করে না ।
ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ধর্মের আগমন । এই ঐতিহাসিক প্রয়োজন যখন ফুরাবে তখন ধর্মের অদসান হবে । এর পূর্বে ধর্মের বিরুদ্ধে যতই নেতিবাচক প্রচার বা গালাগালি করা হউক না কেন, ধর্মের অবসান হবে না ।
বৃটিশ পূর্ব ভারতের সামন্তবাদি শাসনে হিন্দু-মুসলমান সামন্তবাদের স্বার্থের আঘাত ঘটেনি বিধায় তারা ধর্ম ব্যবহার করেনি । কিন্তু বিগত ১৮৫৭ সালে ভারতের হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় বৃটিশের টনক নড়ে । ফলে তারা হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের জন্য দ্বৈত নীতি গ্রহন করে । ফলশ্রুতিতে ১৯০০ সালের পরই হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা আরম্ভ হয় ।
আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মুসলমান বুর্জোয়া মধ্যবিত্তের আগমনের পূর্বেই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হিন্দু বুর্জোয়া মধ্যবিত্তের উন্মেষ ঘটে । ফলে হিন্দু-মুসলিম বুর্জোয়া মধ্যবিত্তের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে এক বিরাট পার্থক্য রচিত হয় । এই পার্থক্যকে ব্যবহার করে বৃটিশ শাসকেরা ফয়দা লুটতে থাকে এবং যার ফলশ্রুতিতে ভারত বিভাজিত হয় । একই কারনে পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয় ।
অতএব সকল সমস্যার মূল হলো আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা । তাই আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া আর্থিক বৈষম্য ও ধর্মের অবসান সম্ভব নয় ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনি নিশ্চিত তো, যে “আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার” মধ্যে ধর্মটাও পড়েনা? ধর্মকে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে মোকাবেলা করাটাও “আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা” পরিবর্তনের অংশ, নাকি? আপনি “কোন কিছু বিচ্ছিন্ন না” এই ঢোলক প্রায়ই বাজান দেখি, কিন্তু সময় মত ধর্মকে সম্পূর্ণ derivative একটি ব্যাপার ঘোষণা করতে যথেষ্টই পারঙ্গম।
আর আপনি কোন কিছুই উদ্ধৃত না করে তার বক্তব্য সম্বন্ধে যে মত প্রকাশ করলেন, তা তার “পূর্ণ” বক্তব্যকে প্রতিনিধিত্ব করে, কি বলেন :lotpot:? দু লাইনের কোট যে “পূর্ণ” বক্তব্য প্রতিনিধিত্ব করেনা, এটা তো একটা শিশুও জানে। কিন্তু তার ওই উদ্ধৃতি যে সরলরৈখিক ডেরাইভেশনের বিরোধী, এটাও একটা শিশুও বুঝবে।
ঐতিহাসিক প্রয়োজনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ/পুরুষতন্ত্র/নিও নাৎসীজম/জাতিভেদ প্রথার আগমন । এই ঐতিহাসিক প্রয়োজন যখন ফুরাবে তখন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ/পুরুষতন্ত্র/নিও নাৎসীজম/জাতিভেদ প্রথার অদসান হবে । এর পূর্বে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ/পুরুষতন্ত্র/নিও নাৎসীজম/জাতিভেদ প্রথা বিরুদ্ধে যতই নেতিবাচক প্রচার বা গালাগালি করা হউক না কেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ/পুরুষতন্ত্র/নিও নাৎসীজম/জাতিভেদ প্রথার অবসান হবে না ।
@রৌরব,জনাব আ হা মহিউদ্দীন এর সাথে কখনো তর্কে পেরে উঠবেন না। উনি মানবজাতিসভ্যতাসমাজের Grand Unified Theory, মার্ক্সিজম আয়ত্ব করে ফেলেছেন। সুতরাং সবকিছু তার কাছে কৃষ্টাল ক্লিয়ার। {আমার অবশ্য ধারনা উনি Cliff-notes on Marxism অথবা Marxism for Dummies ছাড়া আর কিছু পড়েননি}
“ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ধর্মের আগমন”— ধর্ম কিন্তু এখন আবার আ্যান্থ্রপলজির একেবারে কেন্দ্রে এসে পড়েছে। আপনি নিশ্চই ‘গোয়েবেকলি টেপে’ এর কথা জানেন। গত কয়েক দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্কিওলজিকাল আবিষ্কার, তুরষ্কের ‘গোয়েবেকলি টেপে (Göbekli Tepe)’ সভ্যতার সূচনার প্রচলিত সব তত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। নৃতত্ববিদেরা বলছেন হয়তো সমষ্টিগতভাবে ধর্মচর্চার প্রণোদনা থেকেই সভ্যতার সূচনা হয়েছে।
http://ngm.nationalgeographic.com/2011/06/gobekli-tepe/mann-text
আমি গত একবছর ধরেই গোয়েবেকলি টেপে সন্ক্রান্ত সংবাদ এবং তার বিশ্লেষন ফলো করে আসছি।
@রৌরব,
“খন্ডিত অংশ যে পূর্ণকে প্রতিনিধিত্ব করে না এটা শিশুও বুঝে” এই মন্তব্য করার পরও আপনি ঐ কাজটা এখনও করে চলছেন, যার অর্থ দাড়ায়, হয় আপনি আমাকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছেন, নয়তো আপনি নির্বোধ ।
ইতিপূর্বে আমার মন্তব্যের সমর্থনে কোন বইয়ের উল্লেখ করলে, আপনি আমাকে to quoque fallacy
পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং পরবর্তিকালে কোন বইয়ের উল্লেখ করলে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন । কিন্তু আপনার মন্তব্য থেকে প্রমান হয় না যে আপনি ঐ বইগুলি পড়েছেন । তাই নির্বোধের মত আমাকে অপদস্থ করে চলছেন ।
ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা সামাজিক আর্থিক কাঠামোর, যাকে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা বলে, উপর নির্ভরশীল । বিষয়টি অর্থনীতির সাথে সম্পর্কিত । তাই যারা সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর আঘাত না করে ধর্মের উপর আঘাত করেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন ।
সামাজিক উৎপাদন ও উৎপাদকের সম্পর্কের উপর সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং সামাজিক ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা নির্ভরশীল । সামাজিক উৎপাদনের নিয়ন্ত্রনকারীর লিঙ্গের উপর নির্ভর করে সমাজ পুরুষতান্ত্রিক না নারীতান্ত্রিক হবে । তাই ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা বা পুরুষতন্ত্রের অবসান ঘটানো আমার-আপনার পক্ষে সম্ভব নয় । বিষয়টি সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর নির্ভরশীল ।
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে প্রযুক্তির অগ্রগতি হয় এবং সামাজিক উৎপাদন নিয়ন্ত্রনকারী শক্তির সাথে উৎপাদকের দ্বন্দ্ব মিলিত হয়ে পুরাতন অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙ্গে নুতন কাঠামোর সৃষ্টি করে, যাকে আখ্যায়িত করা হয় ঐতিহাসিক প্রয়োজন হিসাবে ।
উর্ধ চলমানতা হলো সমাজের এর বৈশিষ্ট । সামান্তবাদের অবসান ঘটিয়ে পুজিবাদের আগমন ঘটেছে । অনুরূপ ভাবে পুজিবাদের অবসান অনিবার্য ।
এই সকল বিষয় জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও আপনি আমাকে বার বার অপদস্থ করে চলছেন । দেখুন আমারও ধর্যের সীমা আছে । তাই বিষয়গুলির উপর পড়া-শুনা এবং অপদস্থ করার মানসিকতা ত্যাগ করে যদি কখনও আসতে পারেন, তখন আলোচনা করা যেতে পারে । দয়া করে আর একটা বিষয় মনে রাখবেন, আমি আপনার বন্ধু পর্যায়ের লোক নই যে ঠাট্টা-মশকারা করবেন । তাছাড়া আমি কোন শিক্ষক নই যে আপনাকে শিখাব । তাই নিজে শিক্ষা গ্রহন করে এবং অপদস্থ করার মানসিকতা ত্যাগ করে না আসা পর্যন্ত এই খানেই আলোচনার ইতি টানলাম।
@বিপ্লব পাল,
বাংলাদেশে ওসামার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিছিল না হওয়ার মানে এই নয় যে
বাংলাদেশের লোকরা সন্ত্রাসী ওবামাকে সাপোর্ট করে!
যতদূর জানি ইন্দোনেশিয়ার লোকরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।
যদিও মাঝে মাঝে হরকাতুল জিহাদীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডদেখা যায়।
চীনারা ইউরোপে এক ব্যতিক্রম! ইউরোপের প্রতিটি শহরে আর গ্রামে এদের রেষ্টুরেন্টআর দোকান!এরা চাকরী করেনা! আধভাঙ্গা ইউরোপীয়ান ভাষায় কথা বলে।
আমার যত পরিচিত ডাচ বন্ধুরা আছে তাদের কাছে কখনও শুনিনি ওরা ওদের বাসায় কাউকে ইনভাইট করেছে বা কফি খাইয়েছে!
চীনা আর হিন্দুরা ইউরোপীয়ান পোশাক পরে।ইউরোপের প্রত্যেকটা শহরে
মধ্যপ্রাচ্যের টাকায়আকাশ ছোঁয়া মসজিদ আর মিনারেট উঠছে রক্ষনশীলরা
এটা তাদের ধর্মের জন্য হুমকি মনে করছে !
ইউরোপে আজ অভিবাসন নানা সমস্যায় আক্রান্ত।
এর পেছনে অনেক কারণ! তাই লেখাটাকে আমাকে এক পেশে মনে হয়েছে।
@লাইজু নাহার,
মুসলিম দুনিয়া ভারতে ঘটে যাওয়া ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোটেও অনুতপ্ত না-তাদের অধিকাংশ গোপনে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ সমর্থনই করে। ঠিক একই কারনে মোদির আমলে ঘটা মুসলিম নিধন নিয়ে কোন হিন্দুত্ববাদি অনুতপ্ত না-বরং গর্বিত।
ওসামা নিহত হবার ঘটনা প্রকাশিত হবার পর আমার দেখা আশেপাশে যে কোন মুসলিম এই ঘটনাকে আমেরিকার কারসাজি বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করার পর তারা আমেরিকার প্রশংসা করেনি বরং ওসামা যে এতদিন ফাকি দিয়ে ছিল এবং তাকে একা {!!} পেয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এজন্য তার সাহসের প্রশংসা করেছে । আমি এমন মহিলাকেও চিনি যিনি খুবি ‘লিবারেল’, তথাপি ওসামার মৃত্যু সংবাদে হুহু করে কেদেঁছেন !!! 🙁 :-Y
যে কোন উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে মুক্তমনার এই আন্দোলন জারি থাকুক (Y)
খুনিটির নাম হচ্ছে আনড্যেরস বেইরিং ভ্রেইবিক।
আর তার মেনুপেস্টু অনুযায়ী ঘৃনা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যারা সোস্যাল ডেমোক্রেট, বাম,মধ্য লিবারেল পার্টি,ফেমিনিস্ট ও সমকামী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
যে সব তরুন-তরুনীদের খুনিটি হত্যা করেছে সেটা ছিল নরওয়ের সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির যুব সংগঠনের বাৎসরিক পলিটিক্যাল ক্যাম্প যা উতওইয়া নামে চারিদিকে পানিবেষ্টিত ছোট্ট দ্বীপটিতে হওয়ার কথা ছিল।
মুসলমানদের দেখাদেখি এইবার অন্যান্যরাও বোমা ফুটানো শুরু করেছে, ব্যাপারটা দুঃখজনক। আহত এবং নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা। 🙁
আমার কিন্তু মনে হয় মানুষ ধর্ম কে বর্ম হিসেবে ব্যাবহার করে স্বার্থ কে হাসিল, সত্যকে বাতিল, দুর্বল কে কাহিল, সরল কে জটিল, সৎ কে কুটিল এবং মিথ্যা কে করছে মানবতার শামিল। :-[
যদিও ধর্ম গুলোর মধ্যে রয়েছে অনেক বেশি অমিল, তবুও বলতেই হয় ধর্ম গুরুরা দিচ্ছেন ভালই তামিল! যতই তাদের বোঝান হোক করতে তাদের সুশীল, যেমন ছিল তেমনি তারা হয়েই রবে যাহিল। :-Y
কম্যনিস্টদের প্রতি একধরণের মোহ ছিল সেই বাল্যকাল থেকেই। আজকাল সেটাও কেটে যেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের তেল গ্যস বন্দর রক্ষা কমিটির কথা বার্তা বড় বেশী সরলীকৃত।
বিপ্লব পাল ঈ সম্ভবতঃ ঠিক- মৌলবাদ সর্বাবস্থায় বিপদজনক।
@মাসুদ মুরশেদ, আমিও সম্ভবত আপনার সাথে একমত। বাংলাদেশের তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির বক্তব্য আমাদের দেশের জন্য ভাল বলে মনে হয়না। বিপ্লব পালের লেখাটি সুন্দর।
যারা কমিউনিষ্টদেরকে হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিষ্ট ও বর্ণবাদিদেরকে এক কাতারে নিয়ে আসেন, তারা ঘোড়া ও গাধার পার্থক্য বুঝেন বলে মনে হয় না । বিপ্লব পাল পদার্থবিদ্যার মেধাবি ছাত্র, তিনি নিশ্চয়ই বাস্পীয়, তরল ও কঠিন পদার্থ মাপের জন্য একই পরিমাপন ব্যবহার করবেন না । কিন্তু কমিউনিষ্টদেরকে হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিষ্ট ও বর্ণবাদিদের সাথে তুলনা করে এবং মাপের জন্য একই পরিমাপন ব্যবহার করে নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ।
সমাজ পরিবর্তনশীল । এই পরিবর্তন নির্ভর করে সমাজের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উপর । সামন্তবাদি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে হটিয়ে পুজিবাদি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্মেষ ঘটেছে । বিদ্যমান পুজিবাদি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে অপসারিত করে সমাজকে নুতন এক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা যারা করেন, তারা কমিউনিষ্ট নামে পরিচিত । বিপরীতে যারা ধর্ম ও বর্ণবাদকে আশ্রয় করে সমাজের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা পরিবর্তনে বাধাগ্রস্থ করেন তারা হলেন হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিষ্ট ও বর্ণবাদি । অতএব কমিউনিষ্ট এবং ধর্ম ও বর্ণবাদিরা পরস্পর বিপরীত শক্তি । এই বিপরীত শক্তিকে যে সকল শিক্ষিত দাবিদার ব্যক্তিরা এক নিত্তিতে মাপেন তাদের অজ্ঞতা দেখে লজ্জা পাচ্ছি ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনি লজ্জা পাচ্ছেন মানে লেখাটা ঠিকই আছে।
প্রতিটা ধর্মই জাস্টিসের জন্যে প্রতিবাদি ঐতিহাসিক আন্দোলন। আর হিন্দুত্ববাদিরা কিন্ত বর্ণবাদকে সমর্থন করে না। তারাও সেই জাস্টিস নিয়েই কথা বলে। মোরকটা এক।
কেন এরা সব এক গোয়ালের গরু-তাই নিয়ে আগে আরেক পংতি লিখেছিলাম্
মার্কসবাদ কি শোষনমুক্ত সমাজের একমাত্র উপায়?
@বিপ্লব পাল,
নিউটনের পূর্বেও আপেল মাটিতে পড়তো । আপেল মাটিতে কেন পড়ে তার তত্ত্ব নিউটন দিয়েছেন । অনুরূপ ভাবে সমাজ পরিবর্তনের কথা ইতিহাস থেকে জানা যায় । মার্কস সমাজ পরিবর্তনের কারণ উদ্ঘটন করতঃ হেগেলের বস্তুবাদি দার্শনিক তত্ত্ব সংশোধন করেছেন । হেগেলের মতে সৃষ্টিকর্তা সমাজ পরিবর্তন করে থাকেন । আর মার্কস বললেন বস্তু রূপি মানুষই সমাজ পরিবর্তনের নিয়মক, সৃষ্টিকর্তা নয় । ফলে ধর্ম যাজক ও বস্তুবাদি মার্কস তত্ত্বের বিরোধ । ইতিহাস থেকে দেখা যায় যে আদি শিকারী ও সংগ্রহকারী সমাজে একক ভাবে কোন নর ও নারীর পক্ষে জীবিত থাকা সম্ভব নয় । তাই তাদের জীবিত থাকার প্রয়োজনে তারা একাত্রিত হয়েছে । তাছাড়া নর ও নারীর পরস্পরের যৌন ক্ষুধা মিটাতে তারা একাত্রিত হতে বাধ্য হয়েছে । গর্ভাবস্থা ও সন্তান লালন-পালন কালীন সময় শিকার কাজে অংশ গ্রহন করা নারীর পক্ষে সম্ভব ছিল না । তাই তাকে নিজ ও সন্তানের খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে ফল-মূল সংগ্রহে নামতে হয় । ফলে নারী ও পুরুষের কাজের শ্রেনী বিন্যাস ঘটে । শিকারী ও খাদ্য সংগ্রহকারী সমাজের প্রথম দ্বন্দ্ব হলো নর ও নারীর পারস্পারিক দ্বন্দ্ব । এই দ্বন্দ্ব থেকে পরিবারের সৃষ্টি । তাই পড়ুন এঙেলসের পরিবার, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও রাষ্ট্র এর উৎস http://www.marxists.org/archive/marx/works/1884/origin-family/index.htm । ঐতিহাসিক বস্তুবাদের উপর মন্তব্য থেকে প্রতিয়মান হয় যে অভিজিতের মতো আপনিও সব ঘটনা ও বিষয়কে বিশ্লেষণ করেন বিচ্ছিন্ন ভাবে ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আবার এঙ্গেলেসের সেই আষাঢ়ে গল্পের লিংক দিচ্ছেন?
যা মর্গানের সাথেই কবরে শুয়ে আছে!
এঙ্গেলেসের পরিবার এবং সম্পত্তির উদ্ভবের গল্পের ওপর আমার একটা লেখা ছিল-এঙ্গেলেসের ওই কাজটা কত ফালতু জিনিস মনে করে বর্তমানের সমাজবিজ্ঞানীরা তাই নিয়ে এই লেখাটা লিখেছিলাম
পুরুষের ভবিষ্যত
@বিপ্লব পাল,
অষ্ট দশ শতাব্দির নিউটন যেমন কব্রে শুয়ে আছেন, তেমনি উনবিংশ শিতাব্দির এঙ্গেলস ও মর্গানেরও কবরে শুয়ে থাকা স্বাভাবিক । কিন্তু তাদের কর্ম ভাষ্কর । দাদা-দাদী ও পিতা-মাতা ছাড়া যেমন মহিউদ্দীন বা বিপ্লব পালের কোন অস্তিত্ব থাকে না, তেমনি নিউটন ছাড়া পদার্থবিদ্যা বা আদি সমাজের উপর এঙ্গেলস ও মর্গানের গবেষনা কর্ম ছাড়া সমাজ বিবর্তন বিশ্লেষণ সম্ভব নয় । বর্তমান কালের সমাজবিজ্ঞানীকে উক্ত ভিতের উপর দাড়িয়েই তাদের তত্ত্ব উপস্থাপন করতে হচ্ছে ।
সমাজবিজ্ঞানে অজ্ঞতা হেতু বিপ্লব পাল হীনমনতায় ভুগেন এবং বার বার নিজের মূল্যহীন লেখার রেফারেন্স দিতে থাকেন । আপনার মুল্যহীন লেখার রেফারেন্স দিয়ে মনে যদি তৃপ্তি পান তাতে আমার কিছু বলার নাই । তবে অনুরোধ থাকলো বার বার রেফারেন্স দিয়া বিরক্ত সৃষ্টি করবেন না ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আগে উত্তরটাত দিন। উত্তর না দিয়ে জুরাসিক যুগের কমিনিউস্ট সাহিত্য ড্রপ করে দিলে, আমিও লিংকই দেব। কারন ওই সব জুরাসিক যুগের ডাইনোসর কমিনিউস্ট তত্ত্ব কত ফালতু সে নিয়ে আগেই অনেক লেখালেখি করেছি-দুই বাংলার অনেক কমিনিউস্ট হনুদের একজন ও আমার যুক্তি খন্ডন করতে পারে নি। এই লিংক গুলো পড়লেই বুঝবেন কমিনিউস্ট হনুদের অবস্থাঃ
[১]
http://www.orkut.com/Main#CommMsgs?cmm=62384129&tid=5241544896637427177&kw=hypocrisy+of+communism
[২]
নভেম্বর বিপ্লব না প্রতিবিপ্লব
[৩]
লেনিন-কৃষক, শ্রমিকদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস
[৪] কমিনিউস্ট শাসনে শ্রমিক কৃষকদের নারকীয় অবস্থার ইতিহাস
যদ্দিন না বাঙালী কমিনিউস্ট হনুদের একজন ও আমার যুক্তিকে খন্ডন করতে না পারে, তদ্দিন আমার লেখার লিংকই দেব ( যাতে অনেক রেফারেন্সই আছে)- কমিনিউজমের মতন এমন বালখিল্য তত্ত্বের জন্যে একই জিনিস দুবার লেখার ইচ্ছা নেই।
ওপরে লিংকগুলো [ একটু অর্কুটে লগ ইন করে নিতে হবে] দে দেখবেন, আপনার মত “মিথিক্যাল ইতিহাস এবং তত্ত্ব নিয়ে” কমিনিউস্টরা বিতর্ক করতে গেছে-তারপর তাদের বক্তব্যকে বালখিল্য প্রমান করার পর-গালাগাল দিয়ে থ্রেড ছেড়েছে।
মিথ দিয়ে বিতর্ক হয় না। এটা শিখুন আগে।
লেখাটি দুর্দান্ত হয়েছে। সবধরণের টোটালিটারিয়ান অন্ধত্বের বেশ কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য লেখাটিতে উঠে এসেছে। যদিও “তাই একটি সংস্কৃতি, অন্যটির চেয়ে বাজে বা অনুন্নত এই ধারনার বলি হওয়াটা বোকামো” একথাটার সাথে একমত হতে পারলাম না, তবুও লেখাটার প্রায় বাকি সব কিছু ভাল লাগল (Y)
আমি ভবঘুরের কথার সাথে একমত, মুসলিমরা নিজেদেরকে ইশ্বরের পেয়ারের বান্দা বলে মনে করে! বাকি সবাই কাফের, নরকগামী হবে। তারা ক্রমাগত ঘ্যানর ঘ্যানর করে নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে যাবে! অামাদের মত নাস্তিকরা হয়তো মনে মনে হেসেই ক্ষান্ত দিলাম, কিন্ত সাধারন ধর্মপ্রান মানুষেরা এটা মেনে নিতে পারেনা। তারা এটাকে অাপদ হিসেবে দেখে।
অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির নাম মিথ্যাই বদনাম করা হয়। যেখানে কেউ মনেই রাখেনা যে গুজরাতের দাঙ্গায় প্রথম অাঘাত টা মুসলিমদের পক্ষ থেকেই এসেছিল, প্রায় ১০০ জন করসেবক জ্যান্ত পুড়েছিল, এজন্য অাদালত ১২ জন মুসলিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে !
@fcktheist,
সংখ্যাটি ৫৫ হবে মনে হয়। মনে রাখা নয় শুধু। উগ্র ‘বামপন্থী লিবারেল গুষ্টি’ (আদর্শবান (?) “ভাল মানুষেরা”) প্রথম অংশটি চেপে রেখে শুধু দ্বিতীয় অংশটিই ব্যবহার করেন। কারণ এতে তাদের আদর্শ-আদর্শ এবং ভাল মানুষ ভাবখানা ফুটিয়ে তুলতে বেশী সুবিধা হয়। মনে করে দেখুন, অপর্না সেন তাঁর “মিষ্টার এন্ড মিসেস” ছবিটি কোন জায়গা থেকে শুরু করেছেন।
আমার এক শিক্ষক পরে সহকর্মী এবং বিভাগীয় প্রধান প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান পাওয়া ক্ষীরোদ চন্দ্র রায়কে শিক্ষক হিসেবে না নিয়ে ৯ম স্থান অধিকারী তবলীগের একজনকে নিয়ে দেখিয়ে দিলেন, “দেখো আমি কত নিরপেক্ষ, কত ভাল মানুষ। আমার মধ্যে কোন হিন্দুভাব নেই।”
লেখাটি সময়োপযোগী। কিন্তু এতে তথাকথিত “ভাল মানুষী” ছোয়া প্রচুর আছে। ব্রেভিককে তাবৎ সন্ত্রাসীদের সাথে এক কাতারে ফেলা হয়েছে। ঠিক আছে। সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। কিন্তু তফাত কোথায় তা একবারও আলোচনায় আসেনি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কোন তফাৎ নেই। দুজন মানুষ আলাদা হয় সমাজের কারনে-জৈবিক দিয়ে দুজন মানুষ আলাদা হতে পারে না।
(Y)
স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গীর একটা বিজ্ঞাপন হতে পারে এই লেখা। চমৎকার!
বিদ্বেশী (বিদ্বেষী) বানানটা কি ঠিক আছে? 🙂
@মইনুল রাজু,
আপনি মাত্র মাত্র একটি বানান অঠিক পেলেন? লেখাটি ভাল। কিন্তু ভুল বানানের জন্য লেখাটি পড়াই কষ্টকর।
হাঃ, হাঃ হাঃ। স্বাভাবিক ভাবে বিপ্লব পালের মতন ‘সেকুলারেরা’ (পড়ুন ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের কভার্ট সমর্থক) এইরকম একটা ঘটনার অপেক্ষায় ছিলেন, যাতে ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষে সহানুভূতির জোয়ার আনা যেতে পারে। আমেরিকান সেকুলাররাও নাইন ইলেভন কে কাউন্টার করতে ওকলাহোমা বম্বিং এর তুলনা করেন, ঘুর্ণাক্ষরেও বলেন না যে টিমথি ম্যাকভে একজন খৃস্টান নামধারী বিকৃত মস্তিস্ক মানুষ, যার কোন সামাজিক, দার্শনিক বা সাংগঠনিক সমর্থন আমেরিকার কোথাও নেই। টিমথি ম্যাকভের মৃদু সমর্থনেও একটি লেখা আজ পর্যন্ত নজরে আসেনি, কোন খৃস্টান সংগঠন টিমথি ম্যাকভে কে ‘শহিদ’ বানায় নি। এখন পর্যন্ত যা খবর এসেছে, টিমথি ম্যাকভের মতন ব্রেভিকও একজন খৃস্টান নামধারী ইসলাম ঘৃণায় সম্পৃক্ত বিকৃত মস্তিস্ক মানুষ মাত্র, যার সম্বল ওয়েবসাইট (যে কেউ এক মিনিটে খুলতে পারেন), একটি বন্দুক আর কিছু নয়। এক একাকী পাগলের কান্ড কারখানা, যা আমেরিকায় অহরহ হয়ে থাকে (সেখানে বন্দুক কেনা অতি সহজ, ইওরোপে নয়)। নাইন-ইলেভেনের ‘শহিদ’দের জন্য আজও অনেক মসজিদে ‘দুয়া’ করা হয়, ব্রিটেনে ‘ম্যাগ্নিফিসেন্ট নাইন্টিন’ পোস্টার লাগানো হয়,
কলকাতার নাখোদা মসজিদে ওসামা বিন লাদেনের হত্যার নিন্দা করা হয় …
টিমথি ম্যাকভের মতন ব্রেভিকের সমর্থনে কোন চার্চে কোন পাদ্রী বয়ান দেবেন না এটা এখনই জোর দিয়ে বলা যায়।
এই বিপ্লব পালের মতন ‘সেকুলারেরা’ এখন দাবী তুলবেন (অনেকে ইতিমধ্যে তুলেছেন) ‘হেট স্পিচ’ বন্ধ করার। যার আমেরিকান নমুনা হল ‘সাউথ পার্ক শো’র কমেডিতে যীশু, বুদ্ধ, কৃষ্ণ কে নিয়ে যা কিছু বলতে পারবেন কিন্তু মহম্মদকে নিয়ে নয়।
তবে এটা নতুন কিছু নয়, ইসলামী অতাচারীদের সাত খুন মাফ। সার্বিয়ার খৃস্টান যোদ্ধারা গ্রেপ্তার হয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে সাজা ভোগ করেন অথচ একই অপরাধে অপরাধী সুদানের প্রেসিদেন্ট ওমর আল বসির দুনিয়া ঘুরে বেড়ান। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যাকারী পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অফিসাররা মোটা পেন্সন নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করেন।
বিপ্লব পালের মতন ‘সেকুলারেরা’ এবং ইসলামপন্থী মানুষেরা এখন নিশ্চয় মনে মনে ধন্যবাদ দিচ্ছেন ব্রেভিক কে, বেশ কিছুদিন সাধারণ মানুষের মন ইসলামী অতাচারীদের থেকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার একটা সুযোগ পাওয়ার জন্য।
@মিয়া সাহেব,
আপনিত মশাই আমার লেখা না বুঝেই সমর্থন করে ফেললেন!
আমার বর্ণিত সাদা কালোর একটা দুর্দান্ত উদাহরণ এই লেখা!
আপনি জানেন আমেরিকান চার্চের কত পাদ্রী ইসলাম বিরোধি উগ্র ডায়ালোগের জন্যে অভিযুক্ত?
আপনাকে কে বললো ব্রেভিকের পক্ষে সমর্থন নেই ইউরোপের দক্ষিণ পন্থীদের? সে ইংল্যান্ড, ইস্রায়েল এবং ভারতের দক্ষিণ পন্থী সংগঠনগুলির সাথে যোগাযোগে ছিল। স্যোশাল মিডিয়াতে তাকান-ওবামাকে যে ভাবে সমর্থন করে মুসলিমরা, ঠিক একই ভাবে, “তবুও ব্রেভিক” স্টাইলে তার প্রতি সমর্থন আসছে।
মানুষ আলাদা হতে পারে না। মানুষ ভুল করে কারন তার পারাডাইমটা সামাজিক , রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারনে আলাদা হয়ে যায়। আমার হাতে টাকা এলে আমি অনেক উদারতা দেখাতে পারি-আর গরীব বলে? অভাবে স্বভাব নষ্ট হবে। সেই একই মানুষ। সেই একই মানুষ প্রথম জীবনে নক্সাল থেকে পরের জীবনে হিন্দুত্ববাদের কট্টর সমর্থক হয়-অসংখ্য উদাহরণ হাজির করতে পারি।
@বিপ্লব পাল,
সরি ওসামা হবে!
@মিয়া সাহেব,
বিপ্লব পালের লেখাটির সাথে একমত। তবে আপনার মন্তব্যটিও এক্ষেত্রে খাঁটে। যেমন,
(Y)
আমি ভবঘুরের কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত। মুসলমানরা অন্য দেশে যেয়ে আরো কট্টর মুসলমান হয়ে যায়। মনে হয় জাত যাওয়ার ভয়ে নিজেদেরকে আলাদা করে রাখে। যেখানে ইউরোপ, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ম হারিয়ে যাবার পথে সেখানে মোল্লাদের অভিবাসনের ফলে নতুন করে ধর্মীয় বাতাস শুরু হচ্ছে। আমি অবশ্যই অভিবাসনের পক্ষে তবে এই সমস্যার সমাধান সত্যিই জানি না। সামনে আবার কোন ধর্মীয় সংঘাত অপেক্ষা করছে কিনা।আমি ভবঘুরের কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত। মুসলমানরা অন্য দেশে যেয়ে আরো কট্টর মুসলমান হয়ে যায়। মনে হয় জাত যাওয়ার ভয়ে নিজেদেরকে আলাদা করে রাখে। যেখানে ইউরোপ, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ম হারিয়ে যাবার পথে সেখানে মোল্লাদের অভিবাসনের ফলে নতুন করে ধর্মীয় বাতাস শুরু হচ্ছে। আমি অবশ্যই অভিবাসনের পক্ষে তবে এই সমস্যার সমাধান সত্যিই জানি না। সামনে আবার কোন ধর্মীয় সংঘাত অপেক্ষা করছে কিনা।
@হেলাল,
ভবঘুরের কে আমি উত্তর দিয়েছি।
সময়পযোগী লেখা। এ ধরনের বর্বর হত্যাকান্ডের নিন্দা জানানোর কোন ভাষাও নেই। কিন্তু সমাধানের রাস্তা টা কি ?
মুসলমানরা অন্য দেশের সংস্কৃতিকে আত্মস্থ করে না, আপনি সেটার পরিবর্তন কিভাবে ঘটাবেন, সমস্যা তো সেখানেই। ভারতীয় , চীন , হিন্দু, খৃষ্টান, বুদ্ধিস্ট এদের তো অন্য দেশে তাদের সংস্কৃতির সাথে আত্মীকরনে অসুবিধা হয় না, তাহলে ? মুসলমানরা অন্য দেশে অনাহুত যাবে, বাস করবে অথচ তাদের সংস্কৃতিকে গ্রহন করবে না , এটা কিভাবে চলতে পারে ? তাদের মধ্যে যে কোন কারনেই হোক জন্মহার বেশী। তাহলে ব্রেভিকের আশংকাই তো সত্য যে একদিন নরওয়ে পাকিস্তান হয়ে যাবে।এ বিষয়ে আপনার মতামত কি ?
@ভবঘুরে,
এটা মুসলিমদের দোষ না। এটা ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক কাঠামোর দোষ।
ধনতান্ত্রিক সমাজে তারা খুবই ভাল বাধ্য হয় বেঁচে থাকার কারনে সমাজের সাথে মিশে যেতে। আমেরিকাতে মুসলিমরা খুবই ভাল ভাবেই আমেরিকান সমাজের সাথে মিশে যায়-কিছু ব্যতিক্রম বাদে। এখানে তাদের ইনকাম, বাকি আমেরিকানদের ইনকামের সমান। হিন্দুদের ইনকাম তার ডবল বা শিক্ষাও বেশী-কারন ভারত থেকে শুধু উচ্চমেধার ইমিগ্রান্ট আসে আমেরিকাতে-সেটা মুসলিমদের জন্যে সত্য না-কিন্ত তাদের ফামিলি ইনকাম, আমেরিকার গড় ইনকামের থেকে সামান্য বেশী।
আমার বাড়ীর পাশের ওয়াল মার্টে অনেক মুসলিম মেয়ে হিজাব পড়ে কাজ করে। এদের বরেরা সাধারনত ব্লু কালার ওয়ার্কার। এরা প্রচুর টাকা খরচ করে, এই নেবারহুডে থাকছে ছেলে মেয়েদের ভাল স্কুলে পড়ানোর জন্যে-এরা সস্তার নেবারহুডে থেকে, আরো ছেলে মেয়ে বৃদ্ধি করতে পারত। কিন্ত সেখানে গেলে ছেলে মেয়ে মানুষ হবে না বলে-তারা ভাল যায়গায় আসছে এবং যেহেতু এসব স্থলে থাকার খরচ বেশী-স্বামী স্ত্রঈ দুজনেই চাকরি করছে। এবং ওরা দিনে ১৪ ঘন্টা খাটে। আমার নেবারহুডে যেসব বাংলাদেশী বা পাকিস্তানি আছে গত ২০ বছর ধরে, তাদের ছেলে মেয়েরা সবাই ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে- মিয়া বিবি দুজনেই অসম্ভব পরিশ্রম করেছে তাদের মানুষ করতে।
অর্থাৎ আমেরিকাতে মুসলিম অভিবাসন মোটেও সমস্যার না-কারন এখানে ধনতন্ত্র-সবাইকেই বাজারের আইনে চলতে হয়। বাজার যেখানে সমাজ জীবন নিয়ন্ত্রিত করে, ধর্ম সেখানে ঢুকতে পারে না। ইউরোপের এই সমস্যার মূল কারন অত্যাধিক বেশী স্যোশাল বেনিফিট। প্রতিটা সন্তানের জন্যে আলাদা আলাদা টাকা। ফলে বৌকে ঘরে বসিয়ে বাচ্চা পয়দা ত করবেই। এবং রাষ্ট্রই ভার নিচ্ছে সেই সব শিশু দের। ফলে পোয়া বারো। আমেরিকাতে এসব নেই। তোমার ইনকাম থেকেই সব সামলাতে হবে। ফলে এখানে মুসলিম অভিবাসন সমস্যা না। সবাই ভালোই আছে।
@বিপ্লব পাল,
মুসলিন ও অন্যান্য অভিবাসীদের মধ্যে পার্থক্যটা কেন হচ্ছে?
@রৌরব,
খুব পার্থক্য নেই আমেরিকাতে। এখানে মুসলিমদের ছেলে মেয়েরা খুব ভাল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
কিন্ত পার্থক্য হচ্ছে ইউরোপে-কারন সমাজতান্ত্রিক কাঠামো। মুসলিমরা বাস করে ঘেটোতে-ফলে সন্তানেরা শিক্ষা পাচ্ছে না ঠিক ঠাক-কারন শুধু মুসলিমদের সাথেই বড় হচ্ছে-এটা ওরা পারে-কারন সরকার ওদের টাকা দেয় সন্তান মানুষ করার জন্যে। আমেরিকাতে সেটা পারে না। হিজাব পড়ে বোরখা পড়েও মুসলিম বৌরা ওয়াল মার্টে কাজ করে এখানে -শুধু করেই না। ওয়ালমার্টে গেলে হিজাব পরিহিত এক পাকিস্থানি ভদ্রমহিলা আমাদের খুব সাহায্য করে জিনিস খুঁজে পেতে-একদিন দেখি সে আমার বৌকে বলছে-” সব সময় চাকরি করবে-মেয়েদের জন্য চাকরির থেকে বড় নিরাপত্তা আর কিছু নেই” :clap
এগুলো বাজার অর্থনীতির ভাল দিক।
@বিপ্লব পাল,
ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক কাঠামোতে অন্য ধর্মের লোকেরও বসবাস, তাহলে শুধু মুসলমানদেরই এই সমস্যা হচ্ছে কেন? তাদেরই কেন অন্য দেশের সংস্কৃতিকে আত্মস্থ করতে অসুবিধা হচ্ছে বা কি কারনেই একটি বিশেষ শ্রেনীর লোকদের জন্মহার এতো বেশী সেটাও একটা প্রশ্ন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
মুসলিমদের সাথে সমস্যা হচ্ছে কারন তারা সামাজিক বিবর্তনে পিছিয়ে আছে। আর জন্মহার নিয়ে মেক্সিকান অভিবাসনের সমস্যা আমেরিকাতেও আছে-তারা ত আবার খৃষ্ঠান!
মানুষকে মানুষ হিসাবে ভাবতে শিখতে হবে। একজন মুসলমান বা হিন্দু হয় সামাজিক কারনে। কেও হিন্দু বা মুসলিম হয়ে জন্মায় না। সমাজ তাকে হিন্দু বা মুসলমান বানায়। আর সমাজ সর্বদা বিবর্তিত হচ্ছে উৎপাদন ব্যাবস্থার ওপর নির্ভর করে। সুতরাং সমাজকে আগে বুঝতে হবে বিজ্ঞানের পথে ধর্মকে বুঝতে হলে।
ধর্মগ্রন্থকে দিয়ে ধর্মকে বোঝা ধার্মিকদের মতন নিরক্ষরতা।
@বিপ্লব পাল,
অর্থাৎ ধার্মিকেরা ধর্মগ্রন্থ দিয়ে ধর্মগ্রন্থকে বোঝে, এটা আপনি স্বীকার করছেন। আমরা কি বুঝলাম না বুঝলাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, কিন্তু আপনি কি বলতে চান, তাদের এই বোঝার কোন implication-ই নেই? তাদের বিশ্বাসের সাথে অর্থনৈতিক বাস্তবতার মিথষ্ক্রিয়া জটিল এবং তা আমারদের অভিনিবেশ দাবি করে, এটা মেনে নিতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আইডিয়ার কোন মূল্যই নেই, এহেন অর্থনৈতিক ডিটারমিনিজমের ভিত্তি কোথায়?
@রৌরব, ডিটেইলসের প্রতি আপনার সতর্ক নজর সবসময়ই আমাকে চমতকৃত করে। যখনই আপনি বলছেন ‘ধর্মকে বিচার করা’, তখনই একটা প্রশ্ন স্বক্রিয়ভাবে উত্থাপিত হয়ে যায়- ধর্মের কি বিচার করা; যে কোন একটা ক্রিটিকাল প্রপার্টিইতো আপনি বিচার করবেন নাকি? নাস্তিকরা হয়তো ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় বিচার করতে বসলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিচার করতে বসে সেই ধর্মের পারফর্মেন্স। আর পারফর্মেন্স আপনি কি দিয়ে বিচার করবেন এইটা সংজ্ঞাগতভাবেই সেলফ এক্সপ্লানেটোরি; একটি ধর্মের পারফর্মেন্স আপনি অবশ্যই ধর্মগ্রন্থ দিয়ে বিচার করবেন না, করবেন বরং ঐ ধর্মটির অনুসারীদের কর্মকান্ড এবং কার্যকলাপের ট্রাকরেকর্ড দিয়ে।
ফলে মুসলমানরা যখন বলে যে- ইছলামকে বুঝতি হইবে কোরানের আলোকে, একটা আশ্লীল ফ্যালাসি ছাড়া সেটা আর কিছু হয় না। তারা বলে- মুসলমানরা বোমা ফুটালেও, কোরান এক্সপ্লিসিটলি বোমা ফুটাতে বলে না, ফলে বোমারু মুছল্মানেরা ছহি মুছল্মান নয় :-O !!! অপরপক্ষে বোমারু মুছল্মানেরা কিন্তু নিজেদেরকে ঠিকই ছহি মুছল্মান মনে করে, এবং মনে করে তার স্পেসিফিক ব্যান্ডের ইছলামটাই সে বোমা-বন্দুক কিংবা অন্য যে কৌশল প্রয়োগ করে মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে পারে, সেটা যায়েজ!
আমি মনে করি যেকোন আইডিওলজিরই সার্বিক এসেসমেন্ট হওয়া উচিত তার পারফর্মেন্সের উপর। কি কি সেক্সি কথা সে বলে থাকে বা মনে করে থাকে সেটার উপর নয়। যেমন- কমিউনিজম/মার্ক্সিজম/সাম্যবাদ/সমাজতন্ত্র/লেনিনিজম/স্টালিনিজম/মাওইজম whatever name you give it, এই শ্রেণীর মতাদর্শগুলোর জায়গা আমি মনে করি ডাস্টবিন কেননা এগুলি মানবসমাজের প্রচুর প্রচুর ক্ষতি করেছে; যদিও আর্গুয়েবলি প্রমিস তারা ঠিকই করেছিলো যে- ‘আমাকে গ্রহন করো, আমাকে গ্রহন করলে তোমাদের অনেক অনেক উপকার হতে যাচ্ছে!’
বেশ কিছু মতাদর্শ মিলিটারিজমের দিকে ধাবিত হবার পটেনশিয়াল ধারণ করে তুলনামুলকভাবে অনেক অনেক বেশী; যেমন- ন্যাশনালিজম, ডানপন্থা, বামপন্থা, ইসলাম, আন্ডারডিভেলপড দেশগুলো সংক্রমিত করা যে কোন ধর্মই, এনিমল রাইটস এক্টিভিজম ইত্যাদি; এদের ইতিমধ্যেই খুবই খুবই খারাপ মিলিটারি ট্রাকরেকর্ড রয়েছে। আবার কিছু কিছু মতাদর্শ মিলিটারিজমের দিকে ধাবিত না হলেও বুদ্ধিবৃত্তিক ভ্যান্ডালিজম চালিয়ে সমাজের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পারে, যেমন- অধ্যাত্নবাদ, পোস্টমডার্নিজম, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি সকল প্রকারের সুডোস্কলারি-ই। সেই সাথে বাস্তবতার প্রতি আগ্রহনযোগ্যরকম নির্লিপ্ততা, হাইপারদর্শনময়তা, বাস্তবতার সাথে সেগুলো কতোটুকু কন্সিস্টেন্ট হচ্ছে সেই বিষয়ে বিন্দুমাত্র ড্যাম না দিয়ে নিজে নিজে বুদ্ধি খাটিয়ে এনালিসিসের পর এনালিসিস সিন্থেসিসের পর সিন্থেসিস ফেঁদে চলা, যেইরকমটি কিনা করে থাকে আহা মহিউদ্দিন এবং বিপ্লব পাল ছাড়াও জগতের সমস্ত দার্শনিক এবং সমাজবিজ্ঞানীরা-ই! এই উঠতি ট্রেন্ডগুলোকে আমি মনে করি কঠোর হস্তে দমন করা প্রয়োজন as long as তারা কোন ইউসফুল ইয়েল্ড নিয়ে আসতে পারেনি।
সরি আমার মন্তব্যটা খুব একটা ফোকাসড হলো না, কোথা থেকে শুরু করে কোথায় গিয়ে যে পৌছুলাম সেটা খানিকটা দুর্বোধ্যই মনে হলো। মন্তব্য দুর্বোধ্য হলেও মন্তব্যের আন্ডারটোনটি সুবোধ্য হয়েছে আশা করি?
@আল্লাচালাইনা,
আপনার empiricsm কে (লাল?) সালাম! আর ফোকাসড-টোকাসড এর দরকার নেই, আপনার মন্তব্য পেলেই খুশি (F) ।
আমিও আপনার মত কট্টর empiricist এবং আপনার মতের সাথে প্রায় পুরো একমত হলেই টেক্সট (সে কোরান, কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো, ডিক্লারেশন অভ ইন্ডিপেন্ডেন্স, যাই হোক না কেন) কে পুরো বাতিল করতে পারিনা কেন বলি। উদাহরণ, আপনার লিস্ট থেকে: লেনিনিজম। ধরেন কেউ এসে বলল, লেনিনিজম যে একটা ডিক্টেটরিয়াল রূপ ধারণ করল, এর কারণ আসলে কমিউনিজমের মৌলিক প্রকৃতির ব্যাপার না, যে ভয়ংকর repressive জারিস্ট শাসনের প্রেক্ষিতে লেনিনিজমের উদ্ভব তার কারণেই ইহা ঘটেছে। A priori থিসিসটা ফেলে দেবার মত না। এখন এই থিসিসের ইম্প্লিকেশন হল, ওই পরিস্থিতিতে বৌদ্ধ ধর্ম ভিত্তিক বিপ্লব হলেও রাশিয়ার শেষে একই অবস্থা হত। কিভাবে পরীক্ষা করবেন এটা? আপনার পক্ষে তো এক্সপেরিমেন্টটা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি বলছি না এখানে কোন empirical handle নেই, কিন্তু প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মত repeated independent experiment এর সুযোগ (সৌভাগ্যক্রমে!) আমাদের নেই। কাজেই কিছু empirical data, কিছু textual analysis (আলোচ্য ক্ষেত্রে মার্কস, এঙ্গেসল বা লেনিনের লেখা), কিছু হাত সাফাই ছাড়া গতি নেই।
আমার মন্তব্যটাও ঠিক ফোকাস্ড হল না 🙂
@রৌরব,
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এইটা আপনাকে ইফেক্টিভলি নিতে যাচ্ছে একটা ডেডএন্ডে, পৌছুতে যাচ্ছেন না আপনি কোথাও। হাত সাফাই মেরে যেই উপসঙ্ঘারে পৌছুবেন আপনি সেটা যতোটাই প্লজিবল হোক না কেনো সেটা কোন ‘সত্য’ হতে যাচ্ছে না; অন্য আরেকজনের সুযোগ রয়েছে এককথায় এসে আপনার এনালিসিস ১০০% ভুল বলে দেওয়ার। এমতাবস্থায় কি ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে আপনি নির্ধারণ করতে যাচ্ছেন যে- কোনটা ছহি কমিউনিজম বা কোনটা নয়? অপর পক্ষে স্টালিন যে বেশ কয়েক মিলিয়ন মানুষ মেরে ফেলেছে এইটা ‘সত্য’; মার্কস যেই গরুবান্ধা দর্শন পয়দা করেছে সেই দর্শন ইফেক্টিভলি জন্ম দিয়েছে একটি বিশাল ভুখন্ড জুড়ে প্রায় ১০০ বছর ব্যাপী একটি টোটালেটারিয়ান রেজিম যেটি কিনা অগণিত মানুষের জীবন করেছে দুর্বিষহ, এইটাও সত্য। এবং এই সত্যগুলা are probably not going to change very much! আপনি যদি কোন উপসঙ্ঘারে পৌছেনই বাস্তবতার বিপরীতে সেইটা ভেরিফাই করার কোন উপায় আপনার থাকতেই হবে। বাস্তবতার বিপরীতে ভেরিফাই করা যায়না এইরকম উপসঙ্ঘার আপনি হাজারটা হাজারটা পয়দা করতে পারেন ভার্চুয়ালি। তখন যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়- এই একটি স্পেসিফিক উপসঙ্ঘারেই বা তুমি পৌছুলে কেনো, অন্য কোন উপসঙ্ঘারে কেনো নয়’ এই প্রশ্নের কি উত্তর দিবেন আপনি?
এই ব্যাপারে গ্রেইট রিচার্ড ফাইনম্যানের একটা বক্তব্য রয়েছে, ভিডিওটি দেখুন http://www.youtube.com/watch?v=E383eEA54DE। যারা বাস্তবতাকে বুঝতে চায় তারা হাড়ভাঙ্গা খাঁটুনী করে এই ‘ফ্যাক্ট’ উদঘাটন করেছে যে আভোগাড্রোস কন্সটেন্টের মান ৬.০২২ x ১০^২৩, আর দার্শনিকেরা নাক সুচলো করে বলছে “কে-নো-ও-ও”। প্রত্যেকটা চমতকার উদ্বোধন উদঘাটনের পরই তারা নাক উঁচিয়ে প্রশ্ন করে “কে-নো-ও-ও”, যেই প্রশ্নটার কোন ভেরিফাইএবল আন্সার হয়না, যেই প্রশ্নটার আন্সার করতে বসা মানে হচ্ছে অনুতপাদনশীলভাবে সময় নষ্ট করা। তারপর নিজেদের করা ভুতখেদানো প্রশ্নের উত্তর তারা নিজেরাই দেয়; তারা বলে- ওয়েল, খেয়াল করলে দেখা যায় এই ৬.০২২ সংখ্যাটা শেষ হচ্ছে দুটো ২ দিয়ে। now, ২ কিন্তু খুবই একটা লাকি নাম্বার……ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার আরেক দার্শনিক এসে বলছে- না না তোমার ব্যাখ্যা ঠিক নয়, খেয়াল করে দেখো এই ৬.০২২ সংখ্যা থেকে যদি তুমি ০.০২২ বিয়োগ করো তাহলে তুমি পেতে যাচ্ছো একটা নাইস রাউন্ড নাম্বার যেটা কিনা………ইত্যাদি ইত্যাদি; তারা প্রসব করে চলে রকমারি থিওরি। এখন যদি তাদের বলা হয় যে তোমাদের যে কারো থিওরিই সত্য হোক না কেনো, যেই ফ্যাক্ট আমাদের হাতে রয়েছে যে আভোগাড্রোস কন্সটেন্টের মান ৬.০২২ x ১০^২৩, এই ফ্যাক্টটাকে তো সেটা কোনভাবেই পরিবর্তন করতে যাচ্ছে না। কিংবা এই ফ্যাক্টটার ট্রান্সলেশনাল প্রয়োগেও কোন ডিভেলপমেন্ট আনতে যাচ্ছে না। তাহলে কি ছাতার লাভটা হচ্ছে তোমার এই থিওরি দিয়ে? কিংবা আদৌ কি কোন স্কিল লাগে কোন যোগ্যতা লাগে রিলেন্টলেসলি নিজের এইসকল মনগড়া এনালিসিস আর সিন্থেসিস ফেঁদে চলতে?
এই গেল আরও একটি ফোকাসবিহীন মন্তব্য।।
@আল্লাচালাইনা, সরি এইযে ভিডিওটা
httpv://www.youtube.com/watch?v=E383eEA54DE
@আল্লাচালাইনা,
ছহি একটা লেবেল, ওটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি একটা specific থিসিস আপনাকে দিলাম তো: সাদেক আলি বলল, লেলিনিস্ট টোটালিয়ানিজম রাশান বাস্তবতার ফল, এর সাথে ছহি অছহি কোন ধরণের কমিউনিজমের সম্পর্ক নেই। আপনি কইলেন, না এটা মার্কসের গরু-বান্ধা দর্শনের ফল। আপনি বলেন, কিভাবে “বাস্তবতার বিপরীতে সেইটা ভেরিফাই” আপনি করবেন? আপনার সেম্পল সেটের সাইজ হল এক।
বক্তব্য এটা নয় যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ নয়। বক্তব্য এটা যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির rigor আপনি দাবি করলে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনি কোন সিদ্ধান্তেই পৌঁছাতে পারবেন না, কারণ বিজ্ঞান সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
কাইজারের আর্মি বেলজিয়াম আক্রমণ করেছে, আপনার এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফ্রান্সে expeditionary force পাঠানো উচিত হবে কিনা। এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে কাইজার ও জার্মান মিলিটারিজমের প্রকৃতি সম্বন্ধে আপনার মত কি সেটার উপর। সেই প্রকৃতি কি, সেটা “বৈজ্ঞানিক ভাবে” নিশ্চিত হলে আপনার ৩০ বছর বসে অপেক্ষা করতে হবে তারা যুদ্ধে জিতে কি করে সেটা দেখার জন্য, তারপর টাইম মেশিনে চেপে পেছনে গিয়ে “বৈজ্ঞানিক ভাবে সার্টিফায়েড” কাজটি আপনার করতে হবে অ্যাভোগ্যাড্রো কনস্টান্ট সুলভ সুনিশ্চিয়তা নিয়ে।
@রৌরব,
১। একটু মিস কমিউনিকেশন আছে। আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম, ধর্মগ্রন্থ দিয়ে ধর্ম বোঝা নির্বুদ্ধিতা। ধার্মিকরা ধর্মগ্রন্থ পড়ে না-বা পড়লেও বোঝে না-আর যে বোঝে এবং বিশ্বাস করে সে মৌলবাদি হয়। ধার্মিকরা ধর্ম বোঝে পরিবার এবং সমাজের শিক্ষার মাধ্যমে।
২। সমাজ বিজ্ঞানে আইডিয়া এবং মানসস্পটের প্রভাব বুঝতে স্যোশাল ফিল্ড থিওরী বলে একটি তত্ত্ব সমাজ বিজ্ঞানের একটি নতুন ক্ষেত্রে খুব ব্যাবহৃত হয়। এই ফিল্ডের কিছু পেপার পড়ে নিতে পার।
http://en.wikipedia.org/wiki/Force_field_analysis
@বিপ্লব পাল,
“ধর্ম বোঝা”, যা কি না ধর্মগ্রন্থ দিয়ে করাটা নির্বুদ্ধিতা, সেটা কি তা পুরো পরিষ্কার হচ্ছে না। একটি ধর্ম বা ধর্মীয় সমাজকে বোঝার জন্য ধর্মগ্রন্থ পড়াটা যথেষ্ট নয়, এটাই যদি আপনার বক্তব্য হয়ে থাকে তাহলে তার সাথে আমার তো বটেই, এমনকি মুক্তমনায় যারা ইসলামের purely textual analysis করেন, তাদেরও দ্বিমত হবে না বলে আমার ধারণা। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় আপনি যেন বলতে চান, ইসলামকে বুঝতে হলে নিও-কলোনিয়ালিজম, তেলের দাম, ঘেটোয়াইজেশন ইত্যাদি ইত্যাদি সবই প্রাসঙ্গিক (একমত!), কেবল একটা জিনিসই প্রাসঙ্গিক না, সেটা হল কোরান আর হাদিস (দ্বিমত!)।
সেটাই তো পয়েন্ট। একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লোক মৌলবাদি হয় বিশ্বাসের কারণে (অন্য কারণেও, কিন্তু বিশ্বাসের ভূমিকাটা অবান্তর নয়)। সে কারণেই বিশ্বাসটা কি, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার (অন্য সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের এর সাথে সাথে)।
ঠিক আছে, কিন্তু যা শেখে তা কি ধর্মগ্রন্থের সাথে সম্পর্কশূণ্য? অর্থনৈতিক/সামাজিক কারণে যা শেখে তা কিয়ৎপরিমাণে filtered, কিছুটা self-selected, কিছুটা মিছে কথা-যুক্ত, priority কিছুটা ভিন্ন — সব ঠিক আছে — কিন্তু মূল টেক্সটের সাথে সম্পর্কশূণ্য, এটা মানা যাচ্ছে না।
@রৌরব,
ধার্মিকদের সাথে ধর্মগ্রন্থের এই জন্যেই সম্পর্ক নেই যে ঐ মধ্যযুগীয় বই গুলো খুব উইক টেক্সট- অসংখ্যা ব্যখ্যা হতে পারে। ইসলামের ১০০০+ টা রূপ ওখান থেকে বার করা যায়। মানুষ এর কোনটাই মানে না-সে সেটুকুই মানে, যেটুকু তাকে “সামাজিক ইউটিলিটি” নিয়ে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।
@বিপ্লব পাল,
সেই “সামাজিক ইউটিলিটি” টাতো ধর্মগ্রন্থেরই ১০০০+ টা বিভিন্ন রূপের আইন কানুন দিয়ে মোড়ানো। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ ধর্মগ্রন্থের যেটুকু মানে সেটুকুতো ধর্মগ্রন্থের প্রতি তার অন্ধ বিশ্বাস থেকেই মানে। আর যেখানে অন্ধ বিশ্বাস কাজ করে সেখানে সমাজ অন্ধ বিশ্বাসের নিয়ম অনুযায়ী গঠিত হয়। ধর্মীয় সমাজের কাঠামোটা মুলতঃ তৈরী হয় ধর্মগ্রন্থকে অনুসরন করেই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
(Y)
@ব্রাইট স্মাইল্,
খুব ভুল ধারনা এটা। কোন ধর্ম বিশ্বাসী ধর্ম গ্রন্থ পড়ে বিশ্বাসী হয় না। বিশ্বাসটা একটা মিথের ভাইরাস, যা পরিবার থেকে সন্তানে সংক্রামিত হয় কিশোর বয়সে বা ফর্মেটিভ এজে। এই নিয়ে বহুগবেষণা আছে।
এই জন্যেই আমি একটা কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান পত্রিকা চালাতে চাইছি বহুদিন থেকে। বন্যা বললো ও এটা করবে-তারপরে ওর পাত্তা নেই! ;-( এদিকে আমিও সময় পাচ্ছি না-কিন্ত এটা করতেই হবে। :-Y
একবার কেও হিন্দু, ইসলাম, খ্রীষ্ঠানে বিশ্বাস করা শুরু করলে [ যে বিশ্বাস্টা মোটামুটি ১৪-১৫ বছর থেকে দৃঢ় হয় ] , তাকে মুক্ত করা আর কুকুরের লেক সোজা করা মুশকিল। অবশ্য এর মানে এই নয়, সে এই ধর্ম গুলির দর্শন চর্চা করবে না বা এর থেকে ভাল কিছুর সন্ধান করবে না। অনেক ক্ষেত্রেই তা সাংস্কৃতিক পারিবারিক উত্তরাধিকার এবং কেও ইসলাম বা হিন্দু ধর্মের চর্চা করলে সেটা অন্যায় কিছু না। কিন্ত তা মুক্ত মনে করতে হবে। আমি চাই বা না চাই কিছুটা হিন্দুয়ানি, আমাকেও রাখতে হয় সমাজে মেশার জন্যে। অথচ, আমি ধার্মিক নই-বিশ্বাসীও নই। তবে হিন্দু ধর্মে একটু সুবিধা এই যে এখানে নাস্তিক দর্শনের ও স্থান আছে। তাই নাস্তিকতা হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্যের মধ্যেই পড়ে এবং অতটা আউট অব প্লেস হতে হয় না।
@বিপ্লব পাল,
তা এই মিথের ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল কোথায়? এই মিথগুলো তৈরী করলো কে? এদের উৎস কোথায়? আসলে এই ভাইরাসের জন্ম হয় ধর্মের বিশ্বাস থেকে আর ধর্মের বিশ্বাস তৈরী হয় ধর্মগ্রন্থ থেকেই। আমরা যদি এই ভাইরাসের উৎসই জানতে না পারি তা হলে এই ভাইরাসের সংক্রামন থেকে রক্ষা পাব কি করে?
যাঁরা মুক্ত মনে ধর্মের চর্চা করেন তাঁদের বিরুদ্ধে মুক্তমনার লেখকগন যে কলম ধরেন না এটা সবাই জানেন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
মৌলিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন এটি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি প্রবাদ: “Treat the cause of the disease for cure, not it’s symptom.”
@ ব্রাইট স্মাইল ও গোলাপ
মিথের ভাইরাসের জন্ম সামাজিক বিবর্তন থেকে এবং সেই মিথের ভাইরাসগুলিই টিকে গেছে যা ঐতিহাসিক ভাবে উন্নততর উৎপাদনশীল এবং প্রজননক্ষম বা সারভাইভেবল সমাজের/ জাতিগোষ্ঠির জন্ম দিয়েছে।
একটা সময় যখন রেডিও টিভি ছিল না-সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে আরো উৎপাদনশীল সমাজের জন্মের জন্যে দরকারছিল সামাজিক ডিসিপ্লিন, মেয়েদের আরো সন্তান নিতে চাপ দেওয়া ইত্যাদি। এই প্রজনন চাপ বজায় রাখতেই নানান ধর্মীয় মিথের সৃষ্টি। এবং তা বিশ্বাসের ভাইরাসের আকার নিতে বাধ্য হয়েছে কারন তা না হলে সেই যুগে সামাজিক ঐক্য আসত না। ব্যাপারটা এমন -ধরুন ফ্লু ভাইরাসে সবাই আক্রান্ত হলে, তবে সবাই প্যারাসিটামল কেনে। তেমনই সেই আরবের মধ্য যুগে ইসলামিক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেই, কিন্ত আরবের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হল। আরব বিজ্ঞানে স্বর্ণযুগের সূচনা হল।
মহম্মদের মতন আরো লাখটা স্বঘোষিত প্রফেট এসেছে-কিন্ত মহম্মদের তৈরী মিথের ভাইরাস টিকে গেল কেন? বা “ইসলাম” নির্বাচিত হল কেন? কারন ইসলামিক মিথের ভাইরাস সেই যুগের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকে শক্তিশালি করার সেরা ভাইরাস।
সামাজিক বিবর্তন থেকে না দেখলে মিথের এই ভাইরাস বুঝতে ভুল হবে। কোরান বা অন্য গ্রন্থগুলি আর কিছুই না-তারা এই মিথের ভাইরাসের হোষ্ট-যার জন্ম উন্নত উৎপাদনশীল প্রজনন চাপ থেকে। কোন ধর্মই এই সামাজিক বিবর্তনের নির্বাচন পদ্ধতির বাইরে না।
কোরানকে আরব সমাজ এবং তৎকালীন আরব ইতিহাস থেকে বিচার না করলে ভুল করবে সবাই। আমি সুরা ৯ এবং মহম্মদের সমসাময়িক মদিনা ও মক্কার প্যাগানদের সাথে মহম্মদের যুদ্ধের ইতিহাস থেকে দেখেছি সুরা ৯ তে একটিও আয়াত নেই, যার সাথে তৎকালীন ইতিহাসের যোগ নেই। অর্থাৎ কোরান ছিল মহম্মদের তৈরী বিশ্বাসের ভাইরাস, যা মহম্মদের কল্পিত একেশ্বরবাদি উন্নত সমাজের জন্যে দরকার ছিল [ অবশ্যই সেই সময়ের রেফারেন্সে]/
@বিপ্লব পাল,
কি কারনে পিছিয়ে আছে ?
আমেরিকাতে মুসলিম মাইগ্রান্ট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে না – এটা কি আপনার ব্যাক্তিগত মত ? তাহলে সেখানে বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্র ধ্বংস হলো কি ভাবে ? কারা সেটা করেছিল? ওরা তো আমেরিকায় মাইগ্রান্ট ছিল। গ্রাউন্ড জিরোতেই বা মসজিদ বানানোর জন্য জেদ ধরছে কেন? যেখানে সেখানে মসজিদই বা গড়ে তুলছে কেন ?
@ভবঘুরে,
১) মসজিদ বানাতে কি আমেরিকান আইনে বাধা আছে? আমেরিকাতে ৬০০০ মসজিদ আছে, যার ৯০% ই বেসমেন্ট। ৬০০ মতন পাকা ইমারতের মসজিদ আছে। হিন্দু মন্দির আছে অনেক বেশী-এবং হিন্দুদের টাকা বেশী থাকার কারনে তা অনেক বড় ও। মন্দির মসজিদের সাথে ইন্ট্রইগেশনের কি সম্পর্ক?
২) ৯/১১ যার ধ্বংশ করেছিল তাদের কেওই আমেরিকার রেসিডেন্ট ও না-সবাই ধ্বংশ করার জন্যে ইউরোপ থেকে এসেছিল ছাত্র ভিসাতে। ৯/১১ ইউরোপিয়ান মুসলিমদের সমস্যা
৩) গ্রাউন্ড জিরোতে-তার থেকে দু ব্লক দূরে মসজিদ বানাতে চাইছে। কেও বাড়ি কিনে উপাসনা বা কমিউনিটি সেন্টার বানানোতে কি সমস্যা ভাই?
আমি আরেকটা উদাহরন দিই। আমার ইউটিউব ভিডিও দেখে বছরে প্রায় ১০০০+ গালি গালাজ আমার ইমেলে আসে। এর মধ্যে ৮০% ইউ কের মুসলিম। আমেরিকান মুসলিম প্রায় নেই। কারন তাদের এই সব আটভাটের জন্যে সময় নেই-আমেরিকাতে একজনকে ১৪ ঘন্টা দিনে খাটতে হয়। ইউকে আছে-কারন ওখানে মুসলমান যুবকরা বেকার ভাতা টানছে, আর সন্ত্রাসবাদি মৌলবাদি কাজ করে বেড়াচ্ছে।
@বিপ্লব পাল,
মুসলমানদের মত হিন্দু উগ্রবাদীর অস্তিত্বের কথা তো শোনা যায় না আমেরিকাতে।
কোন সমস্যা নেই , তবে প্রশ্ন ওখানে হবে টা কি ? ওটা বানানোর উদ্দেশ্যটাই বা কি ? বর্তমানে অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে তারা তো সেই টাকা দিয়ে জনকল্যানমূলক অন্য কাজও তো করতে পারত, তা না করে মসজিদ করার জন্য গো ধরেছে কেন ? মসজিদে হয় টা কি ?>
@ভবঘুরে,
কোন আমেরিকাতে থাক??? এখানে অনেক উগ্র হিন্দুত্ববাদি গ্রুপের অস্তিত্ব আছে এবং তাদের ওনেকেই ওয়াচ লিস্টে আছে-তবে হিন্দুরা আমেরিকাপন্থী। তাই আমেরিকার ক্ষতি করবে না। তাদের উগ্রপন্থা আমেরিকার বিরুদ্ধে না- মুসলিমদের বিরুদ্ধে।
আর মসজিদ করে হবে টা কি?
গীর্জা আর মন্দির করেই কি হয়?? এগুলো বন্ধ করলেও ত হয়!
যদি গীর্জা আর মন্দির চলে, মসজিদ ত চালাতে দিতেই হবে!
@বিপ্লব পাল,
কিন্তু কারন কি ?
উক্ত প্রশ্নটাই ছিল আমার আসল প্রশ্ন । পরে খেয়াল করে দেখি সেটারই কোন উ্ত্তর আপনি দেন নি। আশা করি এবার দেবেন।
@ভবঘুরে,
এর কারন আমি বহুদিন আগে একটা লেখাতে ব্যখ্যা করেছিঃ
http://blog.mukto-mona.com/?p=2313
@বিপ্লব পাল,
আমেরিকাতে আঘাত হানার পরও বলছেন এটা “ইউরোপিয়ান মুসলিমদের সমস্যা’, আমেরিকানদের সমস্যা নয় – কারন তারা “ইউরোপ থেকে এসেছিল ছাত্র ভিসাতে”। ! বড় অদ্ভুত যুক্তি। একটু ব্যাখা করবেন কি?
২০০৯ সালের ৫ই নভেম্বর ফোর্ট হুড শুটিংয়ের নায়ক মেজর নিদাল হাসান ছিল আমেরিকান সিটিজেন। ২০১০ সালের ১লা মে ‘টাইম স্কয়ার car বোমবিং” এর নায়ক ফায়সাল শাহজাদ ও ছিল আমেরিকান নাগরিক। শাহজাদ এর একটু ভুলের কারনে ভাগ্যক্রমে বহু নিউ-ইয়র্ক বাসী সেদিন প্রানে বেঁচেছিল! এ ঘটনা গুলো কার সমস্যা ?
‘আমেরিকান অভিবাসী মুসলীম’ সম্মন্ধে আপনার বর্নিত অভিজ্ঞতা আপনার সম্পূর্ন ব্যক্তিগত। কারন আমার অভিজ্ঞতা তার সম্পূর্ন বিপরীতঃ বিশ্বের অন্যান্য মুসলীমদের মতই এখানেও আধিকাংশ ‘ধর্মভীরু মুসলীম”, বুঝে কিংবা না বুঝে, আল্লাহর আইন (শরিয়া) প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। এটা ইসলামের ‘মৌলিক শিক্ষা”। তাদের চিন্তা ভাবনা আলাদা হবে কি ভাবে? তবে এ স্বপ্নের প্রকাশ সংগতকারনেই তারা তা কোন অমুস্লীমদের সাথে শেযার করে না। জন্ম সুত্রে মুসলমান বিধায় পারিবারিক ও সামাজিক নানা কর্মকান্ডে এদেশে আমার বহু বছরের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকেই আমার এ মন্তব্য।
ধর্ম শিক্ষা। ৪-৫ বছর বয়স থেকে “সান ডে” স্কুল নামে মসজিদে ‘মগজ ধোলাই’ শুরু; শেখানো হয় ‘ইসলামী শিক্ষা”।ইসলামের মৌলিক শিক্ষার উৎস “কোরান-হাদিস”। কি লিখা আছে কোরানে? তিন বাক্যে কোরানের সারমর্মঃ
১) আমিই একমাত্র অবশ্য উপাস্য আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ আমারই প্রেরিত রসুল।
২) সুপথে তারাই যারা আমাদের নির্দেশে চলবে (মুসলমান), পাবে অনন্ত বেহেশত ; অমান্যকারীরা হলো অভিশপ্ত-লাঞ্ছিত-ঘৃনিত, পাবে অনন্ত জাহান্নাম।
৩) আমার বিধান চিরস্থায়ী (কিয়ামত পর্যন্ত), একে প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা (জীহাদ) প্রতিটি মুসল্মানের অবশ্য কর্তব্য।
ইসলামের এই মৌলিক শিক্ষার (‘আমি উচ্চ, তুমি অভিশপ্ত”) বলি (Victim) হলো “মুসলমান সম্প্রদায়”। মূলতঃ এ কারনেই মুসলমানেরা কোন সমাজের সাথেই মিশে যেতে পারে না, আমেরিকান মুসল্মানেরাও এর ব্যতিক্রম নয়। যারা মিশতে পারে তারা ব্যতিক্রমী।
একটি পরিসংখনঃ
httpv://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=uPtIYM8JRwI
ভিডিও লিঙ্কটি কেন জানি কাজ করছে না। URL address:
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=uPtIYM8JRwI
@গোলাপ,
একেবারে আমার মনের কথা বলেছেন। আমিও ঠিক এ বিষয়গুলো বলতে যাচ্ছিলাম, আপনি বলে দিলেন , আপনাকে ধন্যবাদ।
বিপ্লব পাল মুসলিম মানসিকতা বুঝতে অক্ষম মনে হয়। মসজিদে কি হয় তা উনি মাঝে মাঝে মসজিদে গেলেই বুঝতে পারতেন। মুসলমান পরিবার তা সে মঙ্গল গ্রহেই থাকুক না কেন , তাদের বাচ্চা কাচ্চারা মুখে কথা ফো্টার আগেই ইসলামের মর্মকথা মুখস্ত করে- ইসলাম হলো একমাত্র সত্য ধর্ম, মোহাম্মদ আল্লাহর নবী, মোহাম্মদ সর্বশ্রেষ্ট মানুষ যাকে কেয়ামত পর্যন্ত সবাইকে অনুসরন করতে হবে। কচি মস্তিষ্কে বিষয়গুলো গেথে যায় চিরতরে। এরপরে পারিপার্শ্বিক কারনে কিছু মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গী পাল্টে গেলেও সিংহ ভাগ মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি রয়ে যায় একই রকম। ঠিক সেকারনেই আবু নিদালরা আমেরিকায় দীর্ঘকাল বসবাস করার পরও আমেরিকান কাফেরদের খুন করে বেহেস্তে গিয়ে হুর পরীর সাথে ফুর্তি করার স্বপ্ন দেখে। তত্ত্ব কপচানো সহজ , কিন্তু বাস্তবতা সব সময় তত্ত্ব মোতাবেক চলে না। আর ইসলাম এমনই এক সবাত্মক ধর্ম যা কোন তত্ত্বকে মেনে চলে না। তবে মুসলমানদের কেন সামাজিক বিবর্তন হয় নি সে ব্যপারে আপনার ব্যখ্যা ঠিক আছে , সে কারনেই দীর্ঘকাল তারা ইউরোপ আমেরিকাতে বসবাস করেও তাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন নেই। প্রশ্ন হলো- আপনি তাদের সামাজিক বিবর্তনের জন্য কতদিন অপেক্ষা করবেন ? গরীব মুসলিম দেশগুলো যেখানে অর্থনীতি ও বাজার অর্থনীতি দুটোই ভীষণ দুর্বল, সেখানে আপনার মতে কবে তাদের সামাজিক বিবর্তন হবে ? যেখানে ইউরোপ আমেরিকার মুসলমানদেরই সামাজিক বিবর্তন ঘটছে না বা ঘটলেও গতি অতি ধীর, সেখানে বাংলাদেশ পাকিস্তান ইন্দোনেশিয়ার মত দেশের কপালে কি আছে ?
@গোলাপ,
আমেরিকাতে মুসলিম থাকে প্রায় ২-৩ মিলিয়ান। আর নাদাল হাসান এবং ফয়জাল শাহাজাদের কেসটার সাথে ধর্মান্ধতা আছে ঠীকঈ কিন্ত আরো অনেক কিছু আছে। এই রকম সাদা কালো ভাবে দেখলে মুশকিল আছে,
নাদাল হাসান মৌলবাদি হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে, ফয়জাল ২০০৬ থেকে। এরা দুজনের সাথে ইউরোপিয় অভিভাসনের সমস্যা মেলালে মুশকিল আছে। নাদাল এবং ফয়জাল দুজনেই আমেরিকাতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নাদালের সমস্যা শুরু হয়-কাজের জায়গাতে -এই সমস্যা সৃষ্টির জন্যে তার মুসলমান মানসের অবশ্যই ভূমিকা ছিল। কিন্ত তার এই কীর্তির জন্যে বিশেষজ্ঞরা মৌলবাদি বিশ্বাসের থেকে ডিপ্রেশনকেই দায়ী করেছেন-ধর্ম এখানে অনুঘটকের কাজ করেছে। মনে রাখতে হবে, এই ধরনের মাস শুটিং আমেরিকাতে খুবই কমন ঘটনা এবং কার্যক্ষেত্রে ডিপ্রেশন থেকে আসেঃ শুধু ধর্মই দোষি আর অন্যরা এমন কাজ করে না-এমন ত না- কেন এমন হল, এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতভেদ আছেঃ
Michael Welner, M.D., a leading forensic psychiatrist with experience examining mass shooters, said that the shooting had elements common to both ideological and workplace mass shootings.[80] Welner, who believed the motivation was to create a “spectacle”, said that a trauma care worker, even one afflicted with stress, would not be expected to be homicidal toward his patients unless his ideology trumped his Hippocratic oath–and this was borne out in his shouting “Allahu Akhbar” as he killed the unarmed.[80] An analyst of terror investigations, Carl Tobias, opined that the attack did not fit the profile of terrorism, and was more reminiscent of the Virginia Tech massacre.[81]
However, Michael Scheuer, the retired former head of the Bin Laden Issue Station, and former U.S. Attorney General Michael Mukasey[82] have called the event a terrorist attack,[81] as has terrorism expert Walid Phares.[83] Retired General Barry McCaffrey said on Anderson Cooper 360° that “it’s starting to appear as if this was a domestic terrorist attack on fellow soldiers by a major in the Army who we educated for six years while he was giving off these vibes of disloyalty to his own force.”[84]
http://en.wikipedia.org/wiki/Fort_Hood_shooting
ফয়জালের কেসটা এর থেকে সহজ। সে বাড়ির মর্টগেজ পেমেন্ট করতে পারছিল না, চাকরি হারিয়ে। বৌ এর সাথে ঝামেলা চলছিল। ২০০৬ সাল পর্যন্ত সে আমেরিকার বিরোধি ছিল না। ২০০৬ সালে চাকরি হারিয়ে, অর্থনৈতিক দুর্দশাতে পরে, সে পাকিস্তানে ফিরতে চেয়েছিল-তার স্ত্রঈ তার বাবা মার কাছে সৌদি আরবে ফিরে যায়। অর্থনৈতিক দুর্শশার জন্যে সে প্রচন্ড মানসিক চাপে ছিল। এমন অবস্থায় আমেরিকান সিস্টেমের ওপর রাগ স্বাভাবিক। রাজারাম বলে এক ভারতীয় ক্যালিফোর্নিয়াতে একই কারনে ( বেকার থাকার কারনে) তার স্ত্রঈ এবং সব সন্তানকে গুলি করে হত্যা করে। আপনি কি তার জন্যে হিন্দু ধর্মকে দোষ দেবেন?
ফয়জাল বা নাদালের ক্ষেত্রে ইসলাম ক্যাটালিস্টের কাজ করেছে। বলতে পারেন ঘি রেডি থাকলে-ইসলাম আগুন- হোমাগ্নি জ্বালিয়েই ছাড়বে।
কিন্ত এরা আমেরিকান সমাজে ব্যতিক্রমই। ২০০৫ সালের আগে এরা আর পাঁচ জন আমেরিকানদের মতনই বেঁচেছে-কিন্ত ব্যক্তিগত জীবনের ডিপ্রেশন সামলাতে না পেরে ধর্মীয় মৌলবাদের শিকার হয়েছে। এতে প্রমান হয় না, আমেরিকান মুসলিমদের ইন্ট্রইগ্রেশন ইস্যু আছে-কোন সমাজ বিজ্ঞানী এমন কোন দাবী করেন নি বা পরিসংখ্যান দিয়ে তা প্রমান করা যাবে।
@বিপ্লব পাল,
বিশেষজ্ঞদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি ‘আসামী মস্তিষ্ক বিকৃত’ (Not guilty by reason of Inanity) এমন প্রমান করা গেলে ভয়ঙ্কর দাগী আসামীর ও “দন্ড-মৌকুফ’ মেলে। আর ‘Incompetent to stand trial‘ প্রমান করা গেলে ‘দন্ড-স্থগিত’ করা যায়ঃ আমেরিকার বিভিন্ন সাইকিয়াট্রিক সেন্টারের ফরেনরসিক সাইক্রিয়াট্রিক বিভাগে বহু দাগী আসামী বছরের পর এই আইনে ‘দন্ড-স্থগিতের আওতায়’ আছে। অন্যান্য সব সমাজের মত এ সমস্ত আইনের ‘ফাঁকের অপব্যাবহার আমেরিকান সমাজেও অপ্রতুল নয়। শুটিং এর আগে সন্ত্রাসী আনোয়ার আল-আলাকীর সাথে কমপক্ষে ১৮ টি ই-মেইল বার্তা হাসান নিডালের হয়েছে বলে জানা গেছে।
‘ডিপ্রেশানে’ (যদি ধরেও নিই তারা মানসিক অসুস্থ) ভুক্ত-ভুগী কোন ব্যক্তি ব্যক্তিগত দুর্দশায় আক্রান্ত হয়ে “ধর্মীয় উন্মাদনায়” সাধারন মানুষকে খুন বা খুনের পরিকল্পনা করে এমন উদাহরন আমেরিকাতে “ইস্লামীষ্ট” ভিন্ন অন্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দেখা যায় না কেন? অমুসলীম দের প্রতি সীমাহীন “তাচ্ছিল্য-ঘৃনা বর্ষন ও সহিংস” ইসলামী শিক্ষার (কুরান-হাদিস) কি কোনই যোগ-সুত্র এক্ষেত্রে নাই? তা না থাকলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে ‘ইসলামীষ্টদের” এমন জাজ্ব্ল্যমান বৈপিরীত্যের মৌলিক কারন (root cause) আর কি হতে পারে? আপনি নিজেই তো স্বীকার করছেন অপরাধী হয়ে কেউ জন্মায় না, পরিবেশই মানুষকে অপরাধী বানায়। বিশেষভাবে শিশুকালে এবং পরবর্তীতে “ধর্ম-মর্ম বানী শিক্ষা” মগজ ধোলায়ের কোনই ভুমিকা নাই এমনটি ভাবা সম্পূর্ন অযৌক্তিক। মনে হচ্ছে মনুষ্য-আচরনে (Human behavior) অন্যান্য পরিবেশগত প্রভাবের মতই “ধর্ম শিক্ষা ও ধর্মীয় পরবেশ জানিত শিক্ষার’ সুদুর প্রসারি প্রভাবকে
তেমন আমলেই না এনে “পলিটিকালী কারেক্ট” মার্কা অবস্থান নিচ্ছেন।
রাজারিম কি বলেছে সে বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে ‘ধর্মীয় উন্মাদনায়’ তার সন্তানদের খুন করেছে? তা না বলে থাকলে তার এবং আমেরিকায় অন্যান্য শুটিং-এর উদাহারন এ আলোচনায় অপ্রাসংগিক।
@গোলাপ,
এটা অর্ধসত্য। এফ বি আই এই সব কিছুই জানত এবং তার পরেও তারা একশন নিচ্ছিল না। কারন নাদাল হাসান এই কমিনিউকেশন কতৃপক্ষকে জানিয়েই করেছে পেশাদারি কারনে। এতে কি প্রমান হয়? কিছুই প্রমান হয় না।
নাদাল হাসানের উকিল বা কোন মুসলিম স্কলার এই সার্টিফিকেট দেয় নি। যারা এই ঘটনার অনুসন্ধান করেছেন পেশাদারি ভাবে, এটা তাদের বক্তব্য। সুতরাং আপনার যুক্তি গ্রহণযোগ্য না।
অমুসলীমদের সাথে মুসলমানদের জাজ্বল্যমান বৈপরীত্যের সাথে কোরান হাদিসের কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। তুরস্ক বা উজবেক মুসলিম গড়ে একজন ভারতীয় হিন্দুর থেকে বেশী প্রগতিশীল বা কম রক্ষনশীল। আবার গড়ে একজন বাংলাদেশী বা পাকি মুসলিম একজন ভারতীয় হিন্দুর থেকে বেশী রক্ষণশীল।
মুসলমানদের সাথে অমুসলমানদের বিরোধ পৃথিবীর সর্বত্র বস্তুবাদি। যার মূলে আছে মুসলমানদের উচ্চ হারে প্রজনন। তারা থাকে ঘেটোতে, একেক জনের ৫-৭ টা করে ছেলে মেয়ে-এবার যাবেটা কোথায়? বাইরে বেড়লেই অমুসলিমদের সাথে সংঘাত লাগবেই।
সব ধর্মের প্রভাবই মানুষের ওপর ক্ষতিকর-ইসলামের প্রভাব আরো বেশীগুনে ক্ষতিকর কারন, তাতে বেশী কিছু সংস্কার হয় নি।
কিন্ত এটাও সত্য ইসলামের প্রভাবে বেশ কিছু মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করে উন্নত জীবন জাপন করেন। শুধু খারাপ দিকটা দেখলে হবে না।
সামাজিক বাস্তবতাতে কারেক্ট অবস্থান বলে কিছু হয় না-তাই এই কারেক্টনেসের হিরের ক্যারেট গুলো ছড়ানো কমালে বাধিত হই। আমি বারবার লিখছি, সামাজিক বাস্তবতাকে সমালোচনা বা ক্রিটিক্যাল রিয়ালিজমের মাধ্যমে বুঝতে।
@বিপ্লব পাল,
একমত। প্রশ্ন হলো কেন হ্য় নাই? ইসলামের জন্ম লগ্ন থেকে বহু ‘মুক্তমনা’ সংস্কারের চেষ্টা করেছে। তাদের সবাইকেই ‘ইসলামী’ বিধানে প্রচন্ড নিষ্ঠুরতায় দমন করা হয়েছে। আজকে ইন্টারনেট প্রযুক্তির কারনে ‘মৃত্যু ঝুঁকির’ পরিমান অনেকাংশে কমেছে, প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে, কিন্তু প্রকাশ্যে প্রকাশ কারীর ‘লাশ’ হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা এখনো প্রায় সুনিশ্চিত।
এখানে “টিকে যাওয়াকেই (সফলতা)” আপনি প্রয়োজোনীয়তার “সেরা স্টান্ডার্ড’ হিসাবে ধরে নিয়েছেন, বিবর্তমানের তত্ব মোতাবেক।
“বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত আরব জাতিকে ‘ইসলামের পতাকা তলে’ মুহাম্মাদ একত্রিভূত করেছিল। তাই সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অমুসলীমদের প্রতি মুহাম্মাদের যাবতীয় ‘নৃশংসতা’, আগ্রাসন, লুন্ঠন- সম্মত্তি দখল, রাহাজানি-হত্যা সবই হালাল। পরবর্তীতে ‘ইসলাম প্রচারে ও প্রসারে’ আরব এবং তার অনুসারীদের (মুস্লীম) দ্বারা সংগঠিত, তার অনুমদিত ‘অবশ্য কর্তব্য’ ‘ইসলামী জিহাদের’ বলী ২৭০ মিলিয়ন মানুষ খুন (ভারতে ৮০ মিলিয়ন) সবই হালাল। ‘সেই যুগের পরিপ্রেক্ষিতে’ তা সঠিক হলে, সভাবতঃই প্রশ্ন আসে, “কবে থেকে তা ‘বেঠিক’ হওয়া শুরু হলো? মুহাম্মাদ তার বিধান ‘জাতি-ধর্ম-কাল’ নির্বিশেষে কিয়ামত পর্যন্ত ‘প্রচার ও প্রসারের’ দাযিত্ব দিয়েছেন তার অনুসারীদের (ফরজ)। নিবেদিত প্রান ‘ইস্লামীষ্টরা” জীবন বাজি রেখে প্রচন্ড নৃশংসতায় (মরছে এবং মারছে), অন্যরা অর্থ-সম্পদের জোগান (প্রচ্ছন্ন সহযোগী) দিয়ে ‘পৃথিবীর সমস্ত কাফেরদের” ‘ইসলামের পদতলে’ এনে আল্লহর ধর্ম প্রতিষ্ঠার গুরুমন্ত্রে ব্রতী।প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল (founding principal) মুহম্মাদ এবং তার সহকর্মী সাহাবারা (Professor), আগ্রাসী আরাব ও অনুসারী মুস্লীম (Non-Arab) আগ্রাসীরা (Fellow/demonstrator /lecturer of that school) ঠিক কাজ’ করেছেন –কারন তার সফলকাম। সঠিক নয় লাদেন-আইনাল জাহেরি-আলা আলাকি-নিদাল-ফাইসাল, জামাতে ইস্লামী (student of this school of thought) গংগরা হলো বিপথগামী। কারন তারা এখনো সফলকাম নয়। দুঃখিত আমি এ যুক্তি মানতে পারছি না।
আমি জানি ‘নৈতিকতা’ একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। বিভিন্ন সময়, দেশ, পরিবেশে তা বিভিন্ন। মন্তব্য, অভিমত বা বিবেচনার জন্য একটা “স্ট্যান্ডার্ড” ধরে নিতেই হবে।তা নাহলে ‘বিভ্রমে’ পরা প্রায় নিশ্চিত।
“বিশ্বাসের ভিত্তিতে এরা হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে এবং ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং বিশ্বাস এবং মিথমুক্ত পৃথিবী চাই!” – এখানে স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে fact and Observation। ইস্লামীষ্টদের আক্রমন /প্রচারনা = স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে ‘আল্লহর আইন প্রতিষ্ঠা।মুহাম্মাদের স্ট্যান্ডার্ড, হিটলারের স্ট্যান্ডার্ড, ব্রেভিকের স্ট্যান্ডার্ড, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের স্ট্যান্ডার্ড – ইত্যাদি ইত্যদি। কিভাবে একটাকে ভাল এবং আরেকটিকে খারাপ বলা যাবে? নিজ নিজ সাপোর্টারদের কাছে তাদের “স্ট্যান্ডার্ড” ই শ্রেষ্ঠঃ – সফলকাম হলে তো তা প্রমান হয়েই গেল (আপনার যুক্তি মতে), বিফলকাম /প্রশ্ন-বিদ্ধ হলে বলবে ‘সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তা সঠিক ছিল’।বড়ই অদ্ভুত!
সভ্য সমাজের ‘স্ট্যান্ডার্ড” হলো ‘Golden rule”. এই স্ট্যান্ডার্ড মতাবেক মুহাম্মাদ ও তার অনুসারীদের ‘আগ্রাসী’ কর্ম-কান্ড ছিল ‘কুৎসিত’। একই স্ট্যান্ডার্ডে “হিটলার, মুসোলিনি, আমেরিকার আগ্রাসন, প্যালেস্টাইনে ইসরাইলের নিপীরন, ধর্মান্ধদের আগ্রাসী কর্ম-কান্ড, ইজম-প্রতিষ্ঠায় আগ্রাসন, লাদেন-ব্রেভিক-নিদাল-ফায়জালদের আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।
একমত নই।মুহাম্মাদের আগ্রাসন ও নৃশংসতার ন্যায্যতা দিতে অনেকেই এ ধরনের Situational Ethics এবং Moral relativism যুক্তির অবতারনা করে।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
একমত।
@বিপ্লব পাল, “মুসলিমদের সাথে সমস্যা হচ্ছে কারন তারা সামাজিক বিবর্তনে পিছিয়ে আছে।”
আদিবাসীরাও বোধহয় এত পিছনে নেই তাই না! দলিতরাও নয়! আর সারা ওয়ার্ল্ডেই প্রচুর মুসলিম সামাজিক বির্বতনে পিছিয়ে আছে- এ কথা অগ্রহণযোগ্য।
@শান্তনু সাহা,
কথাটা ঠিক। বিভিন্নদেশে নানান ধর্মীয় জরিপে দেখা যাচ্ছে, মুসলমান সম্প্রদায় পৃথিবীর সব দেশেই, শিক্ষা এবং অর্থে অন্য ধর্মের থেকে পিছিয়ে। একমাত্র আমেরিকাতে তারা খ্রীষ্ঠানদের সমান কিন্ত হিন্দু বা ইহুদিদের থেকে অনেক নীচে।
ইংল্যান্ড সহ গোটা ইউরোপেই পিছিয়ে।
ভারতে, মুসলমানদের অবস্থা আদিবাসিদের থেকে খারাপ এবং এর মূল কারন মুসলিমরা নিজে। তাদের একটা বড় অংশই আগে মুসলমান পরে ভারতীয়-আর হিন্দু রাজনীতিবিদরা তাতেই ইন্ধন জোগায়।
তবে ব্যতিক্রম মুসলিমত আছেই। আমেরিকাতে বাংলাদেশী মুসলিমদের মধ্যে জাতিভেদ তীব্র। কিছু বুদ্ধিমান এবং পরিশ্রমী বাংলাদেশী এদেশে এসে রিয়াল এস্টেটে করে প্রচুর ধনী। আরেক শ্রেনীর বাংলাদেশী পেশাদার ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার। আরেকটা বড় অংশ গ্যাস স্টেশনে, মুদির দোকানে কাজ করে। এদের মধ্যে শ্রেণীভেদ একদম ব্রাহ্মন, বেনিয়া এবং শুদ্রের মতন তীব্র। মূলত এই দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেনীতেই ধার্মিক দেখেছি বেশী। যারা আমেরিকান ধনতন্ত্রের সাথে মিশে গেছে, সেই প্রথম শ্রেনীর মধ্যে ধর্মীয় জিগির সব থেকে কম-কারন ব্যবসার কারতে তারদের ভারতীয়দের সাথে ওঠা বসা করতে হয় ও তাদের অধিকাংশ ক্লায়েন্টই ভারতীয় বা চাইনিজ। ফলে বাজারের বাস্তবতা তাদের মুসলমান থেকে মানুষ করেছে। ভারতে হিন্দুদের আধুনিক হওয়ার কারন ও সেই বাজার। বাজারই বাধ্য করছে আমেরিকান সংস্কৃতি নিতে। তবে ভেতরটা সেই পচাই থাকছে-যাবতীয় ধর্মীয় কুসংস্কার কেওই ছাড়তে পারছে না।
@বিপ্লব পাল,
ধনতন্ত্রের ভাল দিকটা তুলে ধরেছেন এবারে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
শুধু বাজার না-বাজারি যৌনতার চাপে কিভাবে সংস্কৃতি মিশে যায়, তাই নিয়ে আমার একটা ছোট গল্প আছে
কাষ্টমার
সামাজিহক বাস্তবতাকে আসলে সাদা/কালো ( দক্ষিন পন্থা) বা সূত্রের মাধ্যমে ( মার্কসবাদ) বোঝা অসম্ভব। একমাত্র ক্রিটিক্যাল রিয়ালিজম বা সমালোচনামূক বাস্তববাদ দিয়ে আমরা সামাজিক পর্যবেক্ষণ গুলোকে আরেকটু বেশী গভীরে গিয়ে বুঝতে পারব-এবং ক্রিটিক্যাল রিয়ালিজমের প্রথম সাবধানবানী মাথায় থাকা দরকার। সেটা হচ্ছে সামাজিক বাস্তবতাকে কখনোই সম্পূর্ন ভাবে বোঝা সম্ভব না এবং সামাজিক ঘটনার সমালোচনা করার সময় এটা যেন মাথায় থাকে। মুশকিল হচ্ছে যেটা রে ভাস্কর বা পপার তাদের সারা জীবনের দর্শন সাধনার মাধ্যমে বুঝেছিলেন–সেটা কি ব্রেইন ওয়াশড আদর্শবাদিরা বুঝতে পারবে??
আমাদের পশ্চিম বঙ্গের দিকে বাসু বলে একটা তাত্বিক নকসাল ছেলে আছে। সে যাবতীয় মার্কসবাদি সাহিত্য পড়ে। আমি তাকে রে ভাস্করের ক্রিটিক্যাল রিয়ালিজমের দৃষ্টিতে মার্কসবাদের সমস্যাগুলো বোঝাতে গেলাম। সে আগেই বলে বসল, রে ভাস্কর ভাববাদি। এদের অধিকাংশদের দেখে আমার মনে হয়েছে মানসিক রুগী–বাস্তবতাকে বোঝানো ব্রেভিককে যেমন অসম্ভব-ঠিক তেমন বাঙালী ডান বা বাম মৌলবাদিদের কাছেও পৃথিবীটা সাদা কালোত ভেঙে গেছে :-s
@বিপ্লব পাল,
কথাটা পুরোপুরি সত্য না। হার্ভাডের মত একটি আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও, যেখানে এলিট, বিত্তশালী, এবং সর্বোচ্চ মেধার শিক্ষার্থীরা পড়তে যায়, যখন ধর্মের হাত থেকে রেহাই পায় না তখন কথাটা জোর দিয়ে বলা মনে একটু কষ্টসাধ্যই।
In response to a request by female Muslim students, Harvard University has created women-only workout hours at one of its campus gyms. The decision has angered some students at the Ivy League university.
@হোরাস,
শিক্ষাক্ষেত্র বলেই হয়েছে-বাজার হলে হত না।
হার্ভার্ড মধ্যপ্রাচ্যের রাজা বাদশা রাজপুত্রদের থেকে অনেক টাকা পায়-তারা সেখানে পড়তে আসে। মুসলমানদের কথা একটু না শুনলে পেট্রোডলারে টান পড়তে পারে। তার সাথে খেটে খাওয়া আমেরিকান মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নেই।
@বিপ্লব পাল,
শিক্ষাক্ষেত্র কি বাজারের বাইরে বিশেষ করে প্রাইভেট শিক্ষাক্ষেত্র গুলি?
আমি কি উদাহরণ দেব মুসলিম (সোমালিয়ান) ট্যাক্সি ড্রাইভাররা অন্ধদের জন্য ব্যবহৃত ‘সিইং আই’ কুকর তাদের গাড়িতে তুলতে অস্বীকার করছে বা ট্যাক্সিতে বিয়ার নিয়ে যাত্রীকে উঠতে দেয়নি।
এলিমেন্টারী স্কুলে একই টেবিলে হ্যাম স্যান্ডউইচ নিয়ে বসাতে মুসলিম অভিভাবকরা কতৃপক্ষের কাছে আপত্তি জানিয়েছেন।
স্কুলে নামায পড়া এবং পা ধোয়ার জন্য আলাদা জায়গা রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে।
The Muslim Students Association (MSA), a national group, has formed a Muslim Accommodations Task Force (MATF) that now leads efforts to bring foot baths, halal food, and Muslim prayer rooms to schools everywhere. As of the summer of 2007, MSA announced that at least nine universities had set aside prayer rooms for Muslims only. At least 17 universities had installed footbaths for their Muslim students or were in the process of doing so.
আমেরিকায় তাবলীগ -জামাত করা বেশীর ভাগ মানুষই উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার।
ইত্যাদি …. ইত্যাদি … ইত্যাদি।
সৌদি টাকা যে শুধু হার্ভাডে ব্যবহৃত হয় তাও না… গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানানোর টাকা আসতেছে মিডল ইস্ট থেকে। এরকম উদাহরণের শেষ নেই।
@হোরাস,
মিনেসোটা থেকে আরো অনেক স্থলেই মুসলিম অভিভাবকরা অনেক কিছুর ইসলামিকরন চেয়েছে-এবং সেগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই ভাবব যত দিন আর্থ সামাজিক ভাবে মুসলমানরা আর পাঁচজন আমেরিকানদের মতন কাজ করবে।
একথা ভুললে চলবে না আমেরিকাতে হিন্দুরাও নানান সময়ে তাদের হিন্দুয়ানী জাহির করেছে ( ক্যালিফোর্নিয়ার সিলেবাস, লাভ গুরু সিনেমা ইস্যু থেকে আরো লম্বা লিস্ট দিতে পারি)।
তাতে কি বলা যায় আমেরিকান হিন্দুরা আমেরিকাতে ইন্ট্রইগ্রেটেড না? ভারতীয়দের আমেরিকান রাজনীতিবিদরা মডেল ইমিগ্রান্ট বলে। সর্বশেষ ধর্মীয় পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে আমেরিকাতে হিন্দুরাই সব থেকে বেশী শিক্ষিত-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইহুদিদের জাস্ট পরেই।
আমেরিকান ধনতন্ত্রের সামনে, বাজারের সামনে, এইসব ইসলাম, হিন্দুত্ব ঢোঁড়া সাপ হয়ে থাকবে। এখানে লোকের সময় নেই-হাতে এক্সট্রা ২-৩ ঘন্টা থাকলে, সেখানেও কি করে উপায় বাড়ানো যায়, তার কথা ভাবে লোকে এখানে।
@হোরাস, “আমেরিকায় তাবলীগ -জামাত করা বেশীর ভাগ মানুষই উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার।”
শুধু তাই নয় বাংলাদেশেও ছাত্রশিবির সবচেয়ে বেশি সক্রিয় মেডিকেল কলেজগুলোতে।
@হোরাস, সাথে আরেকটি যোগ করি- ধর্মের দোহাই দিয়ে অনেক ডাক্তার অনেক কিছু “চিকিৎসা” করতে চান না।
@বিপ্লব পাল,
আপনার উপরোক্ত বক্তব্য প্রমান করে মুসলমানরা আমেরিকান কালচার গ্রহন করছে না অথচ আমেরিকা যে মাইগ্রান্ট হওয়ার সুযোগ দেয় তার প্রথম শর্তই হলো আমেরিকান কালচার আত্মস্থ করতে হবে। সমস্যা তো সেখান থেকেই শুরু। আপনি এত গভীর ভাবে সামাজিক বিবর্তন দেখেন , কিন্তু এ সামান্য বিষয়টি নজরে পড়ল না।
@ভবঘুরে,
শিখরা দাড়ি কৃপান রাখে-তারাও আমেরিকান কালচার গ্রহণ করছে না আহলে??? কি বল ভাই? রাব্বাইদের ও দাঁড়ি থাকে কিন্ত!
@বিপ্লব পাল,
উপরে-নিচে আরো কয়েক জায়গায় এরকম বলতে দেখে মনে হচ্ছে এটা আপনি বিশ্বাস করে বসে আছেন। আপনি মনে হয় আমেরিকার উন্নত নেবারহুডে থাকেন তাই বলছেন যে আমেরিকাতে এসব নেই। এসব নেবারহুডের লোকজনের ইনকামটা বেশী বলে এমনিতেই চাইল্ড সাপোর্ট পাবেন না। সেখানে যতই সন্তান হোক বা না হোক। আর প্রেস্টিজ বলেও একটা কথা আছে! আবার যাদের ইনকাম কম, তাদের একটা সন্তান থাকলেও চাইল্ড সাপোর্ট ইচ্ছে করলে নিতে পারেন।
নিউইয়র্কের প্রতিটা ধার্মিক ইহুদী আর হুজুর টাইপের লোকজনদের দেখবেন ৭ সিটের ভ্যান টাইপের গাড়ি ব্যবহার করতে (অনেকটা মাইক্রোবাসের মত)। আশা করি বুঝতে পারছেন। 🙂
@শ্রাবণ আকাশ,
সেই সব হুজুর এবং রাবাই আছে। কিন্ত তারা ব্যতিক্রম। নিয়ম না।
একমাত্র মেক্সিকানদের বৃদ্ধিরা হার খুব বেশী। মুসলমানদের জন্মহার না।
আমেরিকা মোটেও চাইল্ড সাপোর্ট দেয় না-একজন সন্তান প্রতি মোটে ১০০০ ডলার ডিডাক্টেবল-সেটা কিছুই না। আমেরিকাতে ফার্টিলিটি বেশী বলে, এখানে মোটেও বেশী সন্তান উৎসাহিত করা হয় না।
(Y) (Y) (Y)
কমিনিউস্ট, হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট, খ্রীষ্ঠান সবাই মৌলবাদের এক অভিন্ন রূপ, পৃথিবী এদের হাত থেকে মুক্তি চায়, শুধু মাত্র সচেতনতাই দিতে পারে এই মুক্তি।
আমার মনে হয় একটি মাত্র আইন যদি সব দেশের সংবিধানে রাখা যায়-
“যে একটি শিশু জন্মের পর ২১ বছর না হওয়া পর্যন্ত কোন ধর্মে দিক্ষীত হতে পারবে না”।
তাহলে এই সমস্যা সমাধান হতে মাত্র ৪০ থেকে ৬০ বছর প্রয়োজন হবে।
@সীমান্ত ঈগল, এত নিয়ম লাগবে না; ধর্মের সক্রিয় আয়ু বোধহয় আর ৯০ বছর। উৎপাদন শক্তির উন্নয়নে ধর্মের-সক্রিয়-আয়ু-হ্রাস নিশ্চিত রূপেই বেগবান হবে বলেই আশা করি।
সঠিক সময়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ! (Y)
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, ধর্মীয় উন্মাদনার বীজ কেবল মুসলিমদের মধ্যেই নেই, আছে সব ধর্মের জিহাদী সৈনিকদের মধ্যেই। আজকে ফক্স নিউজ দেখলাম বিল ও রাইলি খুব করে লিবারেল মিডিয়াকে দুষছে – কেন ব্যাটাকে খ্রীস্টান টেরোরিস্ট বলা হচ্ছে। এটা নাকি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, খ্রিস্টানিটির সাথে কোন সম্পর্ক নেই। আমি হিপোক্রেসি দেখে হাসি। কোন মুসলিম এ কাজটা করলে সাথে সাথে মুহম্মদ, কোরান -কতকিছুর সাথে সম্পর্ক বেরিয়ে যেত, কিন্তু খ্রিস্টান ফ্যানাটিক করায় সেটা হতে হবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা!
আসলে কিন্তু সব রসুনের কোয়াই একই জায়গায়!
@অভিজিৎ,
হলি ইয়েস!! :))
আবার তখন মডারেট মুসলিমরা বলতো এদিয়ে ইসলাম জাজ করবেন না, এরা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করছে, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা! আমি বলি ভাই ইসলাম না থাকলেই মনে হয় ভুল ব্যাখ্যা করা যেত না কী বলেন? তখন একেকজন একেক দিকে ত্যানা প্যাচানো শুরু করে 😀
@অভিজিৎ,
অতি-সরলীকরণ করবেন না। হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মে জিহাদের কনসেপ্ট নেই। ওটা খৃস্টান-মুসলমানদের ব্যাপার। গত একশ বছরে খৃস্টানরা হিংস্র ক্রুসেডের মাধ্যমে স্বর্গ লাভের সহজ পথ পরিত্যাগ করেছে। পশ্চিম ইওরোপের (যারা কমিউনিস্ট শাসনে ছিলনা) বেশির ভাগ খৃস্টান নিজের এখন ‘ধর্মহীন’ ঘোষণা করেন। মুসলমানরা এখনো সেই সভ্যতায় নিজেদের উত্তীর্ণ করতে পারেনি। হয়ত কোনদিন পারবে। হিন্দুরা জাত পাত ও হাজারো কুসংস্কারে ভোগে, ব্যক্তিগত মুক্তি/ মোক্ষ লাভের ধান্দায় থাকে বিভিন্ন গুরু এবং ‘বাবা’দের ধরে। মুসলমানকে সে ঘৃণা করতে পারে কিন্তু তাকে হিন্দু বানানোর এজেন্ডা তার নেই। হাজার বছর ধরে বিধর্মীর শাসনে বাস করে হিন্দুরা একটি কাপুরুষ জাতিতে পরিণত হয়েছে। কলকাতায় মুসলমানরা দাংগা করে তসলিমা কে বাংলা ছাড়া করতে পারে, স্টেটসম্যান পত্রিকায় হামলা করে তার সম্পাদককে জেলে পাঠাতে পারে, কলকাতার উপকন্ঠে দেগংগায় দুর্গাপূজা বন্ধ করতে পারে, কিন্তু ঢাকায় হিন্দুরা দাঙ্গা করছে এটা ভাবতে পারেন ?
ব্রিটেনে হিন্দু(ও শিখ) এবং মুসলমানের সংখ্যায় খুব একটা ফারাক নেই তবে সব ঝামেলা মুসলমানদের নিয়ে কেন? কেন সে দেশে মুসলমানরা ইতিমধ্যেই শরিয়া কোর্ট চালু করে দিয়েছে (আমেরিকাতেও চালু হতে বেশি দেরী নেই) অথচ হিন্দু-শিখ সমাজ ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থাতেই আস্থা রেখেছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় বৌদ্ধ মংক রা নিজেদের গায়ে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে আমেরিকার নিরীহ নাগরিকদের ওপর রাস্তায় ঘাটে বোমা মেরে নয়।
মনে রাখবেন সব রোগই শরীরের জন্য খারাপ, কিন্তু সব রোগ ক্যান্সার নয়।
@মিয়া সাহেব,
ভাইজান, আমি কিছু সরলীকরণ করি নাই। আমার মন্তব্যে হিন্দু ধর্ম বা বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে একটা কথাও বলি নাই (কেবল বিলওরাইলিরা খ্রিস্টানিটি নিয়া কি হিপোক্রেসি করতেছে, সেটাই খালি বললাম), তারপরেও আপনে লম্ফ দিয়া হিন্দু ধর্মকে ডিফেন্ড করতে চলে আসলেন, আর প্রমাণ করে দিলেন সেই পুরানা প্রবাদ – ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’। না আমি কোথাও বলি নাই হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মও ইসলামের মতো সমান ভায়োলেন্ট, কিন্তু তার মানে এই না যে, সব দোষ নন্দ ঘোষ মুসলিমদের আর হিন্দুরা সব ক্ষীর ননি খেয়ে অহিংসার চর্চা করতেছে। ইসলামী জ্বিহাদী সৈনিকদের মতই ভারতে আছে বিজেপি, রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘ, বিশ্বহিন্দু পরিষদ, শিব-সেনা, বজরং দলের মত প্রতিক্রিয়াশীল দল গুলো, সেইটা আপনেও জানেন। এরা কি বোধিবৃক্ষ তলায় বসে খালি শান্তির বানী আউরায় নাকি? বাবড়ি মসজিদ এপিসোডের সময় রাম জন্মভূমি নিয়া তাদের উদ্বাহু নৃত্য, আর মানুষজনগো কচুকাটা করনের দৃশ্য সারা পৃথিবীই দেখছে। আর স্ক্রিপচারের কথা যদি বলেন – ই্সলামের জিহাদী শিক্ষার মত শ্রীকৃষ্ণও যথেষ্টই জিহাদী শিক্ষা দিছেন, কুরুক্ষেত্রে ভাতৃঘাতী যুদ্ধে উৎসাহিত করছেন, ‘অশ্বথামা হত’ বইলা মিথ্যা কথা যুধিষ্ঠিরকে দিয়া বলাইছেন, নীচু জাতের বইলা একলব্যের বুড়া আঙ্গুল কাইটা নিছে দ্রোন মুনি, বেদ পাঠ করার অপরাধে নীচু জাতের শম্বুকের কল্লা ফালায় দিছে আপনাগো মহাত্মা রাম। মনুসংহিতা হাদিসের চেয়ে কম নারীবিদ্বেষী কিছু না। আর শুদ্র সহ নিম্নবর্ণের উপর অত্যাচারের (বুকে গরম লোহার রডের ছ্যাকা দেয়া থেকে শুরু করে পশ্চাৎদেশ কর্তন করে নেবার বিধান সহ হাজারটা নিয়ম) নানা উপকরণ বেদ, পুরান মনু থেকেই পাওয়া যায়। দাসদের প্রতি অত্যাচার এবং অবিচারের ছাড়পত্র শুধু মনুসংহিতায় নয়, পাওয়া যাবে ঋকবেদ (২।২০।৭, ১০।২২।৩, ৮৬।১৯) এবং অথর্ববেদে (৫।১৩।৮)। সতীদাহের নামে হাজার হাজার নারীকে পোড়ায় মারা হয়েছে একসময়। এগুলা কেবল সংস্কৃতির কারণে হয় নাই, ঋকবেদ (Rig Veda X.18.7) সহ অনেক পুরানেই (Daksa Smrti IV.18-19, Vasishta’s Padma-Purana, DuB.345, Vis.Sm. xxv.14) সতীদাহকে মহিমান্বিত করা হইছে। হিন্দু ধর্ম ক্যান্সার না টাইফোয়েড – আপনার সাথে সেই আলোচনায় যাওয়ার আমার দরকার নাই, কিন্তু সুকুমার রায়ের কবিতার সেই বাবুরাম সাপুড়ের মত নির্বিষ সাপ যে নয়, তা হলফ করে বলা যায়। হ্যা ঢাকায় শক্তির অভাবে হিন্দুরা দাঙ্গা ফাঙ্গা করতে পারে নাই, কিন্তু সুযোগ আর সুবিধা পেলে ভিখারুন্নেসা স্কুলের ঘটনার নায়ক পরিমলের মতই যে কেউ ধর্ষকামী হয়ে উঠতে পারে, সেটা আপনেও দেখছেন, আমিও দেখছি।
হিন্দু ধর্মকে বৌদ্ধ ধর্মের সাথে না মিলানোই ভাল হবে। হ্যা বৌদ্ধ মংকরা ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় নিজের গায়ে আগুন দেয়, আর আপনেরা আগুন দিছেন এক সময় ‘সতী নারীদের’ পোড়ায় মারতে, নয়ত ভিপি সিং এর আমলে নিম্নবর্ণের মানুষদের চাকুরী দেয়ার প্রতিবাদে, মনে নাই? কী মহান, আপনেরা তাই না? আর ভারতভূমি থেকে যেভাবে বৌদ্ধধর্মকে বিতারণ করা হয়েছিল, যেভাবে শঙ্করাচার্য প্রমুখ বুদ্ধদের মুর্তি টুর্তি ভেঙ্গে ছাড়খাড় করছিল – সেই হিন্দু জিহাদ আজকের মুসলিমদের জিহাদ থেকে কম কিছু ছিল না, মিয়া সাব। সুযোগ আর সুবিধা পেলে সেই জিহাদের পুনরাবৃত্তি করতে যে আপনেরা অক্ষম নন, সেটা সবাই ভাল করেই জানে।
তাই কাঁচের ঘরে থেকে আরেকজনের দিকে ঢিল না মারাই উত্তম হইবে।
@অভিজিৎ,
হিন্দু ধর্মকে কেউ ডিফেন্ড করে নি। সব ধর্মের মতন হিন্দু ধর্মও একটি ব্যাধি, কিন্তু বিশ্বব্যাপী ইসলামী হিংস্র আগ্রাসনের সঙ্গে হিন্দুদের এক মাপকাঠিতে ধরলে ইসলামী হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় মাত্র। আপনি ঠিক সেই কাজটি করেছেন জনৈক পরিমলের মুসলমান ছাত্রীর সাথে কৃত (গত ৬০ বছরে বোধহয় একটি কেস) অপরাধের সঙ্গে পাকিস্তান/ বাংলাদেশে রাজাকার-জামাত-বিনপি সংগঠিত শত শত হিন্দু নারী বলাতকারের সংগে প্রায় সমান্তরাল করে দেখিয়ে। নয়া দিগন্ত, সংবাদ জাতীয় ইসলামী পত্রিকারাও একই সুরে লিখেছে।
যেমন মুক্তমনার এক কলামিস্ট সাফ জানিয়েছেন যে আমেরিকায় মুসলিম অভিবাসনের কোন সমস্যা নেই – প্রমাণ বাংলাদেশী মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরে ওয়ালমার্টে কাজ করছেন। হাস্যকর। যেখানে সাদা, কালো, চীনা, ফিলিপিনো, ভারতীয় মেয়েরা একই পোষাকে কাজ করছে সেখানে একটি বিশেষ ধর্মের মেয়েরা মধ্যযুগীয় পোষাক পরে কাজ করবেন কেন? অমুসলমানরা অবশ্যই নজর করছেন এবং ঘৃণা করছেন, মনে মনে বলছেন হিজাব পরে কাজ করতে হলে নিজের ইসলামিক দেশে গিয়ে কর, আমাদের লিবারেল পরিবেশকে দূষিত করছ কেন? কিন্ত প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না, কারণ ইসলামপ্রেমী সেকুলাররা হেট স্পিচ এর অভিযোগ আনবেন। এই অভিযোগের এত দাপট যে খোদ আমেরিকান সেনা বাহিনীতে প্রকাশ্যে জিহাদ সমর্থন করা সত্তেও ডাঃ হাসান সাহেবের (যিনি পরে সেনাদপ্তরে কাফের সৈন্য দের গুলি করে মারেন) পদোন্নতি কেউ ঠেকাতে পারেনি। যে এডভার্স রিপোর্ট দিবে তার ক্যারিয়ার খতম।
এতে কি ইন্টিগ্রেশন সম্ভব?
@মিয়া সাহেব,
তাইলে তো মিটে গেলোই। বেশি কথার আর দরকার নাই।
আমি তো আগেই বলেছি হিন্দু ধর্ম ইসলাম ধর্মের চেয়ে কম না বেশি ভায়োলেন্ট তা নিয়ে আমার আলোচনার ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু আপনি যেভাবে হিন্দুধর্মকে বৌদ্ধ ধর্মের পাশে বসিয়ে শান্তির পশরা খুলে বসেছিলেন, তাতে আপনার গানের সুরটা কারো অজানা থাকেনি। আমি শুধু সেই বেসুরো লয়টা কেটে দিতে চেয়েছি। আর পরিমলের উদাহরণ দেওয়ার অর্থ এই না যে, তা রাজাকারদের কাজ কর্মের সমান, সেটা আমি বলিওনি কোথাও, আমার উদাহরণের লক্ষ্য ছিলো এটা দেখানো যে, হিন্দু মুসলিম কেউই ভিন গ্রহের জীব নয়, পরিমলের জেনেটিক গঠন আপনার কিংবা আপ্নের পাশের বাড়ির রহিমুদ্দিনের মতোই। আমি যেটা বলতে চেয়েছি – সুযোগ এবং পরিবেশ পেলে বহু পরিমলই আত্মপ্রকাশ করতে পারে, অতীতে করেছেও। বাবড়ি মসজিদ ভাঙ্গার সময়, অযোধ্যায় গণহত্যায় কি আমরা কম পরিমলকে দেখেছি যারা মুসলিমদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে ধর্ষণ করেছিলো? হ্যা কোন অন্যায়ই অন্য আরেকটি অন্যায়কে বৈধতা দেয় না, সেটা গোলাম আযমই করুক, আর পরিমল /আদভানীই করুক, কিন্তু নিজ ধর্মের অন্যায়গুলোর প্রতি সব সময় উদাসীন থেকে আর চোখ বন্ধ করে রেখে কেবল অন্য ধর্মের লোকদের উপর লাগাতার বিষেদ্গারে একটি বিশেষ মনোভাব প্রকাশ পায়, সেটা আশা করি আপনি না বুঝলেও পাঠকেরা নির্বোধ নয়।
ইসলামী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোটামুটি সবাই এই ব্লগে ওয়াকিবহাল। মুক্তমনায় ইসলামী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যত লেখা হয়েছে অন্য কোন বাংলা ব্লগে লেখা হয়েছে কিনা সন্দেহ। আমি নিজেও আমার লেখা থেকে বহু উদাহরণ দিতে পারব এটুকু জানাতে যে আমি সবসময়ই এ বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ ছিলাম এবং আছি। বরং, আমি দেখাতে পারব যে, পৃথিবীতে হিন্দুত্ববাদী শক্তির দুষ্কর্মের সময় মিয়া সাহেবকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তাকে ঝড়ের কাকের মতো আবির্ভূত হতে দেখা যায় অন্য কোন ধর্মের জিহাদী সৈনিক গণহত্যা ঘটালেও ইনিয়ে বিনিয়ে সেটাকে মুসলিমদের দিকে ঠেলে দিতে। ব্রেভিক নরওয়েতে যে পৈচাশিক ঘটনা ঘটিয়েছে, এবং সে যে একজন দক্ষিণপন্থি খ্রীস্টান সেটা কারো অজানা নয়। এ ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় হিংসা বিদ্বেষে বীজ অন্য ধর্মের লোকদের মধ্যেও কম কিছু নেই। এই সহজ কথাটা না বুঝে বা বোঝার চেষ্টা না করে আমাকে নয়া দিগন্ত, সংবাদ জাতীয় ইসলামী পত্রিকার উদাহরণ দেয়াটাই আমার মতে বড় সরলীকরণ।
@অভিজিৎ,
অনেকের মধ্যেই একটা ভ্রান্ত ধারণা বা মিথ তৈরি হয়েছে যে, বৌদ্ধ ধর্ম অহিংস ধর্ম। শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, জাপান বা কম্বোডিয়ার দিকে তাকালেই এই মিথ ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য। বাস্তব সত্যি হচ্ছে যে, কোনো ধর্মই নির্বীষ ঢোঁড়া সাপ নয়, সবগুলোই বিষে ভরা জাত গোক্ষুর, কালসাপ। কোনো কোনোটা তাদের প্রাচীনত্বের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং সাম্রাজ্যবাদীদের দুধ কলার লোভে অতীতে তোলা ফণা আপাতত নামিয়ে চোখ ঢুলুঢুলু করে শুয়ে রয়েছে সময় এবং সুযোগের অপেক্ষায়। আর কোনোটা তার নবীনত্বের তেজে এবং অনভিজ্ঞতার কারণে ফোঁসফোঁস করে যত্রতত্র ছোবল মারছে। এই নবীনটার লেজে আবার ক্রমাগত খোঁচা দেবারও লোকের অভাব নেই। ফলে, এর ফণা আর নামছেই না। অন্য গোক্ষুরগুলো এই সুযোগে সুকুমার রায়ের করে নাকো ফোঁসফাঁস, মারে নাকো ঢুশঢাশ ধরনের শান্তিবাদী সাপের ভেক ধরেছে। যা কিছু লাঠির বাড়ি, তার সবটুকু হজম করুক আগে এই নির্বোধ তেজিটা। তারপর বুড়ো খোকারা তাদের আলস্যের শান্তিবাদী পোশাক খুলে নেমে আসবে মাঠে, তাদের বিষদাঁতময় সুদৃশ্য ফণার শিহরণ তুলে।
@ফরিদ আহমেদ,
😀
@ফরিদ আহমেদ, অশোক-তো ভাই পুরান পাপী; আর হর্ষবর্ধন- তার কীর্তি কি কিছু কম?
@মিয়া সাহেব,
হিজাবের উত্তর আমি কিন্ত দিয়েছিলাম। সেটা বেমালুম চেপে গেলেন!
হিজাব পরিহিত অনেক মুসলিম নারী আমি আমেরিকাতে দেখেছি-আমার প্রতিবেশীই ছিল। অনেকেই তাদের সন্তান এবং ফামিলিএর জন্যে যে পরিশ্রম করে এবং তারা এত কেয়ারিং ও দ্বায়িত্বশীল, যে কোন আধুনিকা মেয়েদের থেকে তাদের আমি বেশী পছন্দই করব। বোরখা পড়াটা বাড়াবারি-সেটা মানতে আপত্তি নেই। কিন্ত কেও যদি প্রথা বশত তাদের ধর্মীয় আইডেন্টিতে বিশ্বাস করে, তাতে ক্ষতি কিছু নেই।
আপনারা কেও কিন্ত শিখদের পাগড়ি নিয়ে বলছেন না। তারা কি আমেরিকান সমাজে মেশে নি? খুব ভাল ভাবেই মিশেছে এবং আপনাদের থেকেই বেশী উপায় ও করছে।
@বিপ্লব পাল,
“বোরখা পড়াটা বাড়াবারি-সেটা মানতে আপত্তি নেই। কিন্ত কেও যদি প্রথা বশত তাদের ধর্মীয় আইডেন্টিতে বিশ্বাস করে, তাতে ক্ষতি কিছু নেই।” – সতীদাহর সমর্থকরাও এধরণের যুক্তি দিত।
বোরখা হল নারীত্বের অপমান, পুরুষ নিজেকে না ঢাকলে নারীকে ঢাকতে হবে কেন? তারা খুব ‘কেয়ারিং’, হবেই কারণ সেটাও ধর্ম দাবী করে এবং পুরুষদের খুব সেটাই পছন্দ। স্বাধীনচেতা নারী বড় ঝামেলার জিনিষ।
@মিয়া সাহেব,
আমি আবার লিখছি সামাজিক বাস্তবতার ক্ষেত্রে সাদা কালো বিশ্লেষণ লাগাবেন না। সেটা হাস্যকর বস্তু হবে।
সতীদাহ কোন ধর্মীয় আইডেন্টি না-তা একটি অমানবিক কুপ্রথা। হিজাবের সাথে তুলনা চলে, হিন্দু মেয়েদের ঘোমটা দেওয়ার। শিখেদের পাগড়ির। এগুলো তাদের স্বাচ্ছন্দের ব্যপার। আমি আপনি নাক গলাব কেন? সারা গায়ে ট্যাটু করা মেয়েদের থেকে এদের পার্থক্য কোথায়? জাস্ট একটা ভ্যারিয়েশন। সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্য থাকতে পারে। আপনি ভারতীয় না বাংলাদেশী জানি না। কিন্ত ভারতে আমরা ছোট থেকে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য শিখি। আই আই টি হোস্টলে দক্ষিন ভারতীয় বা উত্তর ভারতীয়দের অনেক কিছুই ভাল লাগত না- মনে হত ওরা ইনফেরিয়র-কিন্ত আস্তে আস্তে এগুলো গ্রহণ করা শিখলাম। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র খারাপ না –ভাল জিনিস-যতক্ষন তা অমানবিক না। অন্য সংস্কৃতিকে গ্রহণ করা শিখুন।
হিজাব দেওয়ার মধ্যে আমি অমানবিক কিছু দেখছি না যতক্ষন মেয়েটি নিজের ইচ্ছায় পড়ছে, কেও চাপাচ্ছে না। স্বাধীন ভাবে এটিকে গ্রহণ বা বর্জনের প্রশ্নটি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। একজন মেয়ে বিকিনি পড়বে না বোরখা পড়বে, সেটি আমি বা আমরা ঠিক করে দেব না। এটি তার নিজস্ব স্বাধীনতা। আমি জানি ইসলাম এই স্বাধীনতা দেয় না। আপনি সেখানে গালাগাল দিন। কিন্ত কোন মেয়ে নিজের ইচ্ছায় হিজাব পড়লে, সেখানে নাক গলানো ঠিক না।
যারা হিজাব পড়ে তারা স্বাধীনচেতা নয়- এটাই বা জানলেন কি করে? অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই মেয়েদের আসল স্বাধীনতা। একজন মেয়ে যে হিজাব পড়ে ওয়ালমার্টে কাজ করছে, সে স্বাধীনচেতা কোন যুক্তিতে না??? একটি পরিবার গড়তে স্বামী স্ত্রঈ দুজনকেই কেয়ারিং, সৎ এবং দ্বায়িত্বশীল হতে হয়। সেটিই প্রথমে দরকার-সুতরাং কেও যদি সঙ্গিনী খোঁজার ব্যপারে আমার উপদেশ চেয়ে থাকে-আমি এই দুটি গুনকেই প্রথমে প্রাধান্য দিতে বলব। কেও স্বাধীনচেতা না লাজুকলতা সেগুলো পরের ব্যাপার। এইসব রঙীন চশমা পড়ে ঘুরে বেড়ালে সংসার জীবনে সাফল্যের থেকে ডুবে যাবার সম্ভাবনা বেশী।
ইসলামের ভূত ঘার থেকে নামিয়ে একজন মানুষকে মানুষ হিসাবে ভাবুন -একজন নারীকে নারী হিসাবে দেখুন। দেখবেন, আমরা সবাই সমান। আপনি বৃথা মুসলমানদের মঙ্গল গ্রহের জীব বানাচ্ছেন।
@বিপ্লব পাল, “কোন মেয়ে নিজের ইচ্ছায় হিজাব পড়লে, সেখানে নাক গলানো ঠিক না।”
ঘটনা ঠিক এমন-ই যে, কেউ নিজ-ইচ্ছায় চিতায় বা আত্মহত্যা করলে সেখানে নাক গলানোও বেঠিক!
@শান্তনু সাহা,
পোষাক আর আত্মহত্যা এক? আমি যদিও আত্মহত্যার অধিকারকে স্বীকার করি।
@বিপ্লব পাল, সত্যি বিপ্লব দা আপনার লেখা আস্তে আস্তে পড়ছি আর মুগ্ধ হচ্ছি।সময়োপযোগী লেখার পাশাপাশি খুব নির্মোহ লেখা লিখতে পারেন আর মন্তব্যগুলোও হয় তেমনি।
তবে এতে আপনি গোঁড়া ধার্মিক আর গোঁড়া ধর্ম বিদ্বেষী এই দুই দলেরই রোষানলে পড়তে পারেন এটাই একমাত্র সমস্যা। অবশ্য মানবতার জয়টাই মুখ্য, কে সন্তুষ্ট হল বা না হল সেটা মুখ্য বিষয় নয়!
@মিয়া সাহেব,
একদম ঠিক কথা। যাঁরা নারীদের ঘোমটা পরা, হেজাব, বোরখা পরার সাথে শিখদের পাগড়ী পরা, আর মুসলমানদের টুপি পরাকে এক করে দেখছেন তাঁরা ব্যাপারটাকে সরলীকরন করছেন। এখানে দেখতে হবে এসব করার পিছনে উদ্দেশ্যটা কি। মেয়েদেরকে অবগুন্ঠিত করার পিছনে সমাজের যে হীন উদ্দেশ্য কাজ করে তা বলাই বাহুল্য। যেমন আপনি বলেছেন “স্বাধীনচেতা নারী বড় ঝামেলার জিনিষ”।
@ব্রাইট স্মাইল্ ও @মিয়া সাহেব,
উভয়ের সাথে একমত। তবে একটা কথা পরিস্কার করা উচিত। কেউ কেউ হিজাব প্রথার সমালোচনাকে হিজাবধারিণীর সমালোচনা বা ঘৃণার সাথে সমীকরণ করেছেন সজ্ঞানে (আশা করি না) বা অজ্ঞানে। তাই মিয়া সাহেব ও রাজেশ তালুকদারেক রেসিস্ট ইঙ্গিত করা সম্ভব হয়েছে। মিয়া সাহেব ও রাজেশ তালুকদারের ভাষার ব্যাপারে সতর্ক হতে অনুরোধ করছি। এখানে রাজনৈতিক শুদ্ধি পুলিশ আছেন যাঁরা ভাষার দুর্বলতাকে ব্যবহার করে অন্যকে রেসিস্ট বলে রাজনৈতিক শুদ্ধিবাদের প্রবক্তা হতে চান। যেটা মিয়া সাহেব ও রাজেশ তালুকদার বোঝাতে চাইছিলেন (আমি অন্তত সে ভাবেই বুঝেছি অনায়াশে) সেটা হল হিজাব পরার প্রথার প্রতি প্রতীকি ভয়, হিজাব প্রথার বলবৎকারী শক্তির বিরুদ্ধে। একক কোন হিজাবধারিণীর প্রতি ভয় বা ঘৃণা নয়। হিজাবধারিণীরা কেউ সন্ত্রাসী শক্তি নয়। তারা সব নিরীহ,ধর্মভীরু মানুষ। তাদের প্রতি ঘৃণা বা ভয় পাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না। যেমন ইসলাম বা কুরাণের সমালোচনা মানে তাবৎ মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা নয়। মুসলিম, হিজাবধারিণী এরা সবাই এক নিপীড়ক ধর্মের শিকার। যে নিজের ইচ্ছায় হিজাব পরে বা নামাজ পড়ে (অন্যকে বাধ্য না করে) তাদের প্রতি ইসলামের সমালোচকেরা কখনো কলম ধরেন না। শিখের দাড়ি বা টুপি, নানদের স্কার্ফ ইত্যাদি কোন নিপীড়ক বলবৎকারী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই এটা দেখে কোন ভয় বা উদ্বেগ সৃষ্ট করে না। ইসলাম একটী সাম্রাজ্যবাদী ধর্ম, অন্যকে ইসলামের প্রথা মেনে চলতে বাধ্য করার এক ঘোষিত এজেন্ডা আছে ইসলামের কোর মতাদর্শে, যেটা অন্য ধর্মে নেই। এখানেই তফাৎ। হিজাবধারিণীকে নয়, হিজাব প্রথার প্রচলকের ও বলবৎকারী শক্তিকে ভয় , এটা পরিস্কার করে বললে রাজনৈতিক শুদ্ধি পুলিশদের মাইলেজ পেতে সুবিধা হবে।
@যাযাবর,
ভালই বলেছেন। এঁদের আসলে বাংলা ভাষাটা আরেকটু ভাল করে শেখা দরকার। কী বলতে গিয়ে কী বলে ফেলেন আর রাজনৈতিক শুদ্ধি পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে যান। 🙂 এক কাজ করতে পারেন অবশ্য। এনারা মন্তব্য করার আগে ভাষাটা দেখে দিতে পারেন অথবা মন্তব্য করার পরপরই আপনি এসে তাড়াতাড়ি সঠিক ব্যাখ্যাটা দিয়ে দিতে পারেন। যেভাবে কোরানের ঘৃণাময় এবং সহিংস আয়াতগুলোকে বিভিন্ন ব্যাখা দিয়ে শুদ্ধ করে একশ্রেণীর মুসলিম পণ্ডিতেরা, সেই রকম আর কি। তাহলে আর শুদ্ধি পুলিশের কিছু করার থাকবে না।
ভ্রাতঃ, মিয়া সাহেবের মন্তব্যগুলো আরেকবার পড়ে আসুন। বেচারা যতই ভাষায় দুর্বল হোক না কেন, মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোতে তাঁর দুর্বলতা খুব একটা নেই।
একটা বিষয় পরিষ্কার করে দেই আপনার সুবিধার্থে। রাজেশ তালুকদারকে রেসিস্ট ইঙ্গিত করি নাই আমি। তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, কোনো মুসলিম মেয়ে যদি হিজাব পরে ওয়ালমার্টে কাজ করে, সেক্ষেত্রে তাঁকে ঘৃণা করাটা রেসিজম কি না? তবে মিয়া সাহেবকে ইঙ্গিত নয়, সরাসরি রেসিস্ট বলতেও বিন্দুমাত্র বাধবে না আমার। তিনি পরিষ্কারভাবে একজন হিন্দুত্ববাদী, মুসলমানদের প্রবলভাবে ঘৃণা করেন। শুধু একটা মন্তব্যে ভাষা ঠিকমত না জানার কারণে কী বলতে কী বলে ফেলেছেন বলে তাকে আমি রেসিস্ট বলছি না, এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। তার আগের অনেক মন্তব্যই খেয়াল করেছি আমি। মিয়া সাহেবের মত আপনিও যেভাবে ইসলাম বাদে বাকি সব ধর্মকে ক্লিন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন, তাতে আপনার অবস্থান নিয়েও যথেষ্টই সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।
মুক্তমনা মনুষ্যসৃষ্ট ধর্মগুলোকে সমালোচনা করার জন্যই তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মের চরিত্রগত কারণে কোনোটার বেশি সমালোচনা হবে, কোনোটার কম। কিন্তু, অন্যগুলোকে ক্লিন ঘোষণা দিয়ে শুধুমাত্র একটা ধর্মের প্রতি সব ঘৃণা, বিষোদগার উগরানোকে প্রশ্রয় দিতে আপত্তি আছে মুক্তমনার।
শিখের দাড়িতে সমস্যা নেই, ইহুদির দাড়িতে সমস্যা নেই, সমস্যা শুধু মুসলমানের দাড়িতে। খ্রিস্টানদের হিজাব থেকে সুগন্ধ বের হবে, আর মুসলিমের হিজাব থেকে দুর্গন্ধ। শিখের পাগড়িতে আপত্তি নেই, ইহুদির চুটকি টুপিতেও কোনো আপত্তি নেই, যত আপত্তি সব মুসলমানের টুপিতে। খ্রিস্টান পাদ্রি জোব্বাজাব্বা পরলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যাবে, আর মুসলমান কেউ জোব্বা পরলে আতকে উঠতে হবে সাম্রাজ্যবাদী ধর্ম বলে। এগুলো যদি রেসিজম না হয়, তবে রেসিজমের সংজ্ঞাই পালটে ফেলতে হবে এখন থেকে।
আমার এবং অভিজিতের মন্তব্যের পরে এতদিন মিয়া সাহেব কোনো পাল্টা মন্তব্য করেন নাই। এখন কেন যেন মনে হচ্ছে যে, আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হয়ে তিনি হয়তো খুব শিঘ্রই মাঠে নেমে আসবেন। 🙂
মুক্তমনায় যাঁরা আসেন, আমরা ধরে নেই যে, তারা অনেক প্রজ্ঞাবান, খোলা মনের মানুষ। যত দোষ সব নন্দ ঘোষের, এই ধরনের সংকীর্ণ এক চোখা মানসিকতা থেকে তাঁরা মুক্ত হবেন, সেটাই অন্তত আমার প্রত্যাশা। এই নন্দঘোষীয় আচরণের উদাহরণ হিসাবে অন্য একটা ব্লগ থেকে এনে একটা ভিডিও এখানে তুলে দিলাম আপনার এবং মুক্তমনার অন্যদের জন্য।
@মিয়া সাহেব,
তাই নাকি? আপনি কি নিশ্চিত যে এটা শুধুমাত্র ধর্ম আর পুরুষের দাবী? এখানে মানবতার কোন দাবী নেই? তাহলে তো দেখা যাচ্ছে যে ধর্মের দাবিটা একেবারে খারাপ না। নিজের পরিবার আর সন্তানের প্রতি কেয়ারিং হওয়াটা কি খুব বেশি দোষের কিছু? আপনার মা কি আপনার প্রতি মোটেও কেয়ারিং ছিলেন না?
নাকি আপনার এই তথাকথিত মানবতার দাবি একটাই আর তা হল পরিবার প্রথাকে বিলুপ্ত করা এবং মেয়েদের বিবসনা করা?এটা হলে তো তথকথিত (ছদ্ম ) মানবতাবাদের উদ্দ্যেশ্য মোটেই সুবিধার বলে মনে হচ্ছে না!!
@বিপ্লব পাল, (Y) (F)এই সহজ সত্যগুলো কেন বারবার উচ্চারণ করে বুঝিয়ে দিতে হয় বুঝিনা।
@মিয়া সাহেব,
আপনি দেখছি অমুসলমানদের মনের খবর বেশ রাখেন। আপনার মাধ্যমে তারা যে মুসলমান মেয়েদের মধ্যযুগীয় হিজাবকে ঘৃণা করে এটা জেনে বেশ ভাল লাগলো। কিন্তু, একটা জিনিস জানার কৌতুহল রয়েই গেলো। ক্যাথলিক নানরা যে জবরজং পোশাকটা পরে, সেটার বিষয়ে অমুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গিটা কী? আমেরিকাতে নানদের সংখ্যাতো খুব একটা কম নয়, তাই না? হিজাবতো তবুও মধ্যযুগীয় একটা পোশাক, কিন্তু ওরা যেটা পরে সেটাতো একেবারেই প্রাচীনকালের পেঙ্গুইনসদৃশ পোশাক।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2011/07/nun.jpg[/img]
আপনার খুব পছন্দের লিবারেল ভারতীয় সমাজে যখন মাদার তেরেজা বোরকাসদৃশ প্রাচীন যুগের হ্যাবিট পরে চলাফেরা করতেন, তখন কি নারীত্বর অপমান হতো না? বা ওই লিবারেল সমাজ দূষিত হতো না? কই কাউকেতো তখন প্রতিবাদ করে বলতে দেখি নাই যে, মাদার তেরেজা আমাদের উদার সমাজটাকে দূষিত করে ছাড়ছেন বা ছেড়েছেন। মাদার তেরেজা করলে দোষ নেই। সব দোষ কি তবে শুধু মোসাম্মৎ তায়েবাদের?
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2011/07/mother_teresa_1.jpg[/img]
শিখদের দাঁড়ি পাগড়ির বিষয়ে বিপ্লব যে বক্তব্য দিয়েছে সে বিষয়েও আপনি দেখলাম নিশ্চুপ। শুধু শিখ নয়, এরকম হাজারো উদাহরণ এনে দেখানো যাবে যে, সব সংস্কৃতি বা ধর্মের লোকেরাই আমেরিকাতে তাদের স্বাতন্ত্র্য কোনো না কোনোভাবে বজায় রেখে চলেছে। একশতভাগ আমেরিকান কেউই হয় নি। শুধুমাত্র মুসলমান ছাড়া বাকি সবাই আমেরিকান কালচার গ্রহণ করে ফেলেছে, এটা শুধু সরলীকরণই নয়, একটা চরম একপেশে ভ্রান্ত ধারণাও বটে।
@ফরিদ আহমেদ, কিন্তু হিজাবধারীরা কি সবাই কোরানিক-নান; ওটা নানদের ইউনিফর্ম, হিজাব বোধহয় ইউনিফর্ম কোরানিক-নারীদের! কী সুমহান মর্যাদা! কোরানিক-নারী প্রত্যেই সুবিশেষ! লেখাতেই প্রাচীণ ও মধ্য-যুগ নিয়ে ভ্রান্তধারনার প্রমাণ সুস্পট; জানেন কী হিজাবের কোরানিক-কারনও পরিমল-ভাষ্য সমর্থন করে?
@শান্তনু সাহা,
আমি যদ্দুর কোরান পড়েছি, তাতে হিজাবের কোথাও উল্লেখ নেই। শুধু মেয়েদের বুক ঢাকা শালীন পোষাক পড়তে বলা হয়েছে। তার সাথে বোরখা বা হিজাবের কি সম্পর্ক আমি জানি না। মুক্তমনার কোরান বিশেষজ্ঞরা এই ব্যাপারে আলোকপাত করলে ভাল হয়। হিজাব বা বোরখা ইসলামের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার-ধর্মগ্রন্থ ভিত্তিক কিছু না।
@শান্তনু সাহা,
মনু সংহিতায় নারীদের যেন কি বলা হয়েছে? ভুলে গেছি ! :-s
@মিয়া সাহেব,
আপনার জন্য আরেকটা ছবি দিচ্ছি। এই ছবিটা ১৯৮২ সালে তোলা। একজনকে সহজেই চেনা যায়। আমেরিকার সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। অন্যজন হচ্ছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে, রানির মাথায় হিজাব বাঁধা। তবে, তারচেয়েও বেশি আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, একজন আমেরিকান হয়েও রিগ্যানের চোখে হিজাবের বিরুদ্ধে কোনো ঘৃণা দেখতে পেলাম না আমি। বরং দেখা যাচ্ছে যে, বেশ হাস্যমুখর দৃষ্টিতেই তিনি রানির দিকে তাকিয়ে আছেন। অবশ্য এটা অভিনয়ও হতে পারে। অন্তরে ঘৃণা, কিন্তু মুখে হাসি। কে না জানে হলিউডের পেশাদার অভিনেতা ছিলেন তিনি একসময়। কী বলেন?
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2011/07/President_Reagan_and_Queen_Elizabeth_II_1982.jpg[/img]
আপনি কি জানেন যে, এই ধরনের হেডস্কার্ফ পরাটা পূর্ব-ইউরোপীয় দেশগুলো এবং রাশিয়ার সংস্কৃতিরই অংশ? জানেন না বোধহয়। জানলে অমুসলিমদের হিজাবের প্রতি তীব্র ঘৃণার কথাটা এভাবে বলতে পারতেন না।
থুথু উপরের দিকে ছুড়তে গেলে আগে নিজের অবস্থানটা দেখে নিতে হয়।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি ১০০ ভাগ সহমত। তবে প্রশ্ন থাকে কেন ইসলামের দাড়ি, টুপি, বোরকা, হিজাব অন্যদের কাছে ভয়ের বা চক্ষু শূলের উপলক্ষ্য হয়। আবার অনান্য ধর্মাবলম্বিদের দাড়ি, টুপি, হিজাব ততটা ভীতি জনক রূপে প্রতিষ্ঠত নয়।
কারন-
১)অন্য ধর্মের লোকেরা সচরাচর প্রার্থনার নামে রাস্তাঘাট বন্ধ করে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে মানুষের র্দুদশা তৈরী করে না (বছরের কোন বিশেষ দিনে হয়তো করতে পারে) অথচ যা প্রায় ইসলামীরা করে থাকে প্রতিনিয়ত দেখুন
২)দেখুন ধর্ম রক্ষার নামে কি হাস্যকর বিনোদন (পথচারিদের মুখের অভিব্যক্তি দয়া করে লক্ষ্য করতে ভুলবেন না কিন্তু) নমুনা ৩)উপাসনালয়ে শিশুদের বিধর্মীদের প্রতি ঘৃনা ও হত্যার প্রশিক্ষন কারা দিচ্ছে? দেখুন
৪)অভিবাসি হয়ে কেউ এই রকম দম্ভ ভরে লাজ লজ্জা ত্যাগ করে কখনো জানান দেয় কি! দেখুন আহা! স্বাধীনতা নিয়ে কি মনো মুগ্ধকর উক্তি! কিন্তু তারাই সব চেয়ে বেশী ভোগ করছে এই স্বাধীনতার স্বাদ।
৫)অভিবাসি হয়ে কোন বিশেষ গোষ্ঠির মুখপাত্র যখন ঘোষনা দেয় “হোয়াট হাউসে এক দিন ইসলামের পতাকা উড়বে” বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে দেখুন
৬) বোরকার অন্তরালে জানতে দেখুন
এই বার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কেন শুধু ইসলামী দাড়ি, টুপি, বোরকা, হিজাবে এত ভয়, এত সমালোচনা, এত দুঃশ্চিন্তা, এত সব কথা।
সব শেষে বিপ্লব দাকে তাঁর সময় উপযোগী লেখনির জন্য ধন্যবাদ।
@রাজেশ তালুকদার,
না, বুঝতে পারি নি। আমার জন্ম বাংলাদেশে এবং জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় আমি অসংখ্য দাড়িওয়ালা, টুপি পরা, বোরকাওয়ালি (আমি দেশে থাকা অবস্থায় হিজাবওয়ালা মেয়ে খুব একটা দেখি নি। এর বিস্তার ঘটেছে গত এক দশকে) মানুষের মধ্যে কাটিয়েছি। আমার ধর্মে অবিশ্বাস নিয়ে পরিচিত কারোরই কোনো সংশয় ছিল না। তারপরেও ভীতিকর কিছুই চোখে পড়ে নি আমার। ভীতিকর যাদের মনে হতো সেই শিবিরের ছেলেপেলেরাই বরং দাড়ি-টুপির ধার ধারতো না তেমন। 🙂
আপনি যে সমস্ত কারণ উল্লেখ করেছেন ইসলামের টুপি, দাড়ি, বোরকা বা হিজাবের ভয় হিসাবে এর বিপরীতেও আমি অন্য ধর্মের অনেক কিছুই টেনে এনে সেগুলোকে ভয়ংকর বানিয়ে দিতে পারি। কিন্তু দিচ্ছি না। কারণ, আমার বক্তব্যের মূলে ইসলামকে ডিফেন্ড করার প্রচেষ্টা ছিল না। বরং অহেতুক ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষের বিপক্ষে আমি বক্তব্য রেখেছিলাম।
একজন মুসলিম মেয়ে হিজাব পরে ওয়ালমার্টে কাজ করছে, সংসার চালানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। এরকম একজন নিরীহ এবং পরিশ্রমী মানুষকে শুধুমাত্র হিজাব পরার অজুহাতে আর মুসলমান হবার কারণে ভীতিকর মনে করা বা ঘৃণা করার কারণটা কি একটু অযৌক্তিক নয়? এটা কি রেসিজমের আওতায় পড়ে না? আমি যে ওয়ালমার্টে নিয়মিত যাই, সেখানে একজন দাড়িওয়ালা অত্যন্ত হাসিখুশি মুসলিম ভদ্রলোক কাজ করেন। এখন শুধুমাত্র মুসলিম হবার কারণে আর দাড়ি রাখার অপরাধে তাকে আমার ভয় করতে হবে? তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তিত হতে হবে? অনেক সব কথা বলতে হবে?
লাদেনের দাড়ি ছিল, টুপি ছিল। সে একজন মুসলমান এবং সন্ত্রাসী। কাজেই, দাড়ি-টুপিওয়ালা সব মুসলমানকেই আমার ভয় পেতে হবে, তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তিত হতে হবে, বা তাদেরকে সমালোচনা করতে হবে, এরকম সহজ-সরল সমীকরণে আমি বিশ্বাসী নই।
@ফরিদ আহমেদ,
বিপ্লব পাল (@বিপ্লব পাল) এর লেখাটি বেস ভাল হয়েছে। মুক্তমনায় এ ধরনের লেখা আরও বেশী চাই। কিন্তু লেখার আলোচনায় এসে দেখা যাচ্ছে অনেকেই মুক্তমনার বাতাবরনে আসলে কোন না কোন মত বা ধর্মকে শুধু হেয় করার জন্যই হেয় করে যাচ্ছে। অনেকটা লোক দেখানো মুন্সি বা পুরহিতের মত তারাও মুক্তমনার ভেক ধরে আছে। আমার এই মন্তব্যের কারন ফরিদ আহমেদ কে অনুরোধ করা যে, আপনি যে পয়েন্টগুলো তুলে ধরেছেন, তা মন্তব্যের চেয়ে আরেকটি মূল লেখা হতে পারে। সেখানেও আলোচনা চলতে পারে। আরেকটি ছোট তথ্য, আমি ইউরোপের নানা জায়গায় দেখেছি কোন এক বিশেষ ধর্মের লোকেরা মাথায় ছোট টুপি, দাড়ি, লম্বা আলখাল্লা পরে কাজ করছেন। ইউরোপের অনেক বড় অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান তারা চালাচ্ছেন (যেমন: অধিকাংশ শিপিং ও ডায়মন্ড বিজনেস)। তাদের পোষাক বা হকিকৎ আমাদের তথাকথিত মুক্ত মনে কিন্তু আসেও না!
আরও অনেক বিষয় আছে যা আমাদের পাখীর চোখে দেখা পৃথিবীতে ধরা পরে না। পশ্চিমা মিডিয়াতেও আসে না, তাই আমাদের আলোচনায়ও আসে না। যেমন, ইউরোপে অনেকেই নিজের ধর্ম প্রকাশ করে না। আলোচনায় তারা অনেক মুক্তমনার পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করে। অথচ, কম বেশী সবাই প্রায় ২.৪% (দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে) ট্যাক্স ধর্মের জন্য দেয়। অবশ্য সেটা টাকা অনেক ভাল ভাল কাজেই ব্যায় হয়। যেমন, দরিদ্র দেশে স্কুল বা হাসপাতাল বানানো। ধর্ম প্রচার (এতে এদের আপত্তি নেই!!!) ইত্যাদি। ইউরোপের স্বাস্থ্য, ওষুধ ও ইন্সুরেন্স ব্যবসা বাড়ানো ইত্যাদি।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনি আবার সেই একই ভুল করছেন।
মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম এবং ধর্ম দেখানোর প্রবণতা খুব বেশী-এটা অস্বীকার কেও করবে না-কিন্ত তার পরেও মুসলমানদের মধ্যে ধার্মিক হওয়ার প্রবণতা বেশী এটা মোটেও সূত্র না-বরং বিশেষ স্থান ও কালের পরিপ্রেক্ষিতে একটি পর্যবেক্ষন।
আমি বারবার যা বলতে চাইছি-সেটা এইঃ
[১] কেও হিন্দু মুসলিম হয়ে জন্মায় না।
[২] #১ যেহেতু ঠিক , তাহলে সমাজ তাকে হিন্দু বা মুসলমান বানায়। হিন্দু বা মুসলমান কোন জেনেটিক ট্রেইট বা ফেনোটাইপ না।
[৩] #২ যেহেতু ঠিক, তাহলে এটাও ঠিক, সমাজই তাকে ঠিক করে দেয় হিন্দু বা মুসলমান হিসাবে সে কি করবে-যা সামাজিক সংস্কৃতির অংশ ছারা কিছু না। সুতরাং ধর্ম সামাজিক সংস্কৃতির আরেকটা অংশ মাত্র।
[৪] #৩ যেহেতু ঠিক, সেহেতু এটাও ঠিক সামাজিক সংস্কৃতি যেহেতু সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থা এবং আবাহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল, “উৎপাদন ব্যাবস্থা” ও আবহাওয়া হিন্দু এবং ইসলামিক সংস্কৃতির মূলে আছে। হিন্দু সংস্কৃতি বেদ বা গীতা হতে আগত, এমন ভাবাটা মূর্খামি। হিন্দু ধর্ম, ভারতের আবহাওয়াতে গড়ে ওঠা একটি সাংস্কৃতিক প্রোডাক্ট, যা এই অঞ্ছলের জন্যে ঐতিহাসিক ভাবে নির্বাচিত এবং বিবর্তিত। ট্রপিক্যাল স্যাঁতস্যেতে আবহাওয়া, কৃষিকাজের জন্যে বেশী খাটতে হয় না-প্রচু জঙ্গল এবং পাহার-প্রকৃতি চারিদিকে-অসংখ্য পশুপাখি শিকার করে বনে জঙ্গলে বাঁচতে হয়-এমন অবস্থাতে লোকজন অলস এবং প্যান্থেয়িজম বা প্যাগান হবে।
বেদের সাথে শিকারি নমাডিক জীবনের সম্পর্ক নিবিড়-পরবর্তী কালে তা কৃষিজ সমাজের সংস্কৃতি [ অথর্ব বেদের সময়ে]-তারপরে যখন জনপদ থেকে রাজ্য গড় শুরু হল-ধর্মে আসতে বাধ্য একেশ্বরবাদ এবং পলিটিক্যাল থিসিস। সেটাই আমরা গীতাতে দেখি। এবং সাথে সাথে প্যাগানিজমকে গীতা বাধা দেয় নি, আত্মসাৎ করেছে। ইসলামের ক্ষেত্রে এটা সরাসরি বিরোধে গেছে।
[৫] # ৪ যদি কিছুটা সত্য হয়, আরবে ইসলামের জন্ম এবং ইসলাম বলতে যা যা বোঝায় তা আরবের তৎকালীন সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং আবহাওয়ারই প্রতিফলন। গীতাতে যেমন অখন্ড ভারতের ঐক্যের জন্যে ধর্মে পলিটিক্যাল থিসিস এল, মহম্মদ ও শত বিচ্ছিন্ন আরবকে এক করতে চাইলেন। এর জন্যে দরকার ছিল কোরানের মতন শক্তিশালি রাজনৈতিক থিসিস। ডিসিপ্লিন দরকার ছিল প্যাগান আরবদের মধ্যে। ফলে কোরানে এল ডিসিপ্লিন। সবটাই সমাজ বিবর্তনের দাবী। একজন ধর্মভীরু মুসলিমের কাছে নিশ্চয় অতটা শিক্ষা নেই যে সে ইসলামকে আরবের সংস্কৃতি হিসাবে দেখবে-তাকে সেটাকেই আল্লার হুকুম বলে খাওয়ানো হচ্ছে।
[৬] সুতরাং ধর্মের জন্ম যেহেতু একটি সামাজিক রাজনৈতিক দাবী থেকে, সেই দাবীটা চলে গেলে ধর্মটা ভূত হয়। অধুনা হিন্দু ধর্মের উত্থানের পেছনে মূল কারন, হিন্দুত্বের ভিত্তিতে ভারত একটা রাষ্ট্র-সুতরাং রাজনৈতিক কারনেই হিন্দুত্বের পেছনে প্রচুর গ্যাস ঢালা হয়।
[৭] পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে ইসলামের কারনে-এই দেশগুলির অস্তিত্বের পেছনে ইসলামের একটা বড় ভূমিকা আছে-সুতরাং এইসব দেশের রাজনৈতিক দলগুলি ইসলামের পৃষ্টপোষকতা করতে বাধ্য।
[৮] অর্থাৎ ইসলাম এবং হিন্দু ধর্মের রাজনৈতিক ফুয়েল এখনো বিদ্যমান-যা এই ধর্মগুলির আসল শক্তি।
[৯] গ্লোবালাইজেশন এবং বাজারের বিস্তারের ফলে, দেশের ভিত বা সীমানা যত দুর্বল হবে, ইসলাম এবং হিন্দু ধর্মের ফুয়েল ফুরিয়ে আসবে।
[১০] বাজারের চাপেই ধর্মগুলি আস্তে আস্তে মারা যাবে। একটি মেয়ে হিজাব পড়া তখনই বন্ধ করবে, যখন দেখবে, তা , তার চাকরির অন্তরায় হচ্ছে। আমার এক কলীগ ছিল প্রথম চাকরীতে -কট্টর মুসলমান। তবে আমার সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল। প্রথম ছাঁটাই তেই তার চাকরি যায়। কেও ধর্মীয় ভাবে উগ্র হলে, বাজার তাকে নেবে না। ট্যাক্সি ড্রাইভার লম্বা দাঁড়ি রাখলে, কেও চড়বে না তার ট্যাক্সিতে।
[১১] অর্থাৎ পরিবর্তিত উৎপাদন ব্যবস্থায় এলে, একজন মানুষ ধর্ম থেকে তার ফোকাস হাটাতে বাধ্য-এবং বাঁচার স্বার্থেই তাকে মিশে যেতে হবে।
এটাই আমেরিকান মুসলিমদের মধ্যে হচ্ছে। লস এঞ্জেলেসে যখন ছিলাম, তখন ও হিন্দুদের থেকে মুসলিম বন্ধু আমার বেশী ছিল। মেরীল্যান্ডেও তাই। আমার কখনোই তাদের আলাদা মনে হয় নি। তাই এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে নিয়ম না করায় ভাল। যদিও ইউরোপে ব্যাপারটা পুরো আলাদা। সেখানে মুসলমানরা আরো বেশী মুসলমান হয়ে গেছে সমাজতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যে।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনার বক্তব্যের সাথে একমত।
‘কেউ হিন্দু মুসলিম হয়ে জন্মায় না, সবাই সমান’ বা
‘অহেতুক ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষ ঠিক নয়’
ইত্যাদি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে আপনার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষন করার কোন উপায় নাই।
@ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশেও ঠান্ডা গরম অত্যধিক তো কী করা! মরুতে লু-ঝড় মুখ গোজ চরে- আর তার নাম সংস্কৃতি!
ইসলামের হিজাবের কারন পিশাচিক শিশ্ন-তাড়না; আর তাকে যুক্তি,সংস্কৃতি আরো কত রং-এ সাজানোর অপূর্ব প্রয়াস!
@শান্তনু সাহা,
তাই কি? এটি মূলত মধ্য প্রাচ্যের সংস্কৃতি। খ্রীষ্ঠান নান রা না, ধর্মভীরু খ্রীষ্ঠান সাধারন মেয়েরাও হিজাব পড়ত বা এখনো পড়ে। আমি দক্ষিন ইটালীর গ্রামে দেখেছি, অনেক খ্রীষ্ঠান মেয়ে এখনো হিজাব পড়ে। আলবেনিয়ান খ্রীষ্ঠানরাও পড়ে। আগে গোটা ইউরোপেই মেয়েরা হিজাব পড়ত।
কিন্ত ঐ যে বল্লাম-পৃথিবী এগোচ্ছে আর মুসলমানরা তত মধ্যযুগে ফিরতে চাইছে-ফলে খ্রীষ্ঠানরা হিজাব ছেড়েছে, হিন্দুরা ঘোমটা ছেড়েছে- আর আরো বেশী বেশী করে মুসলিম মহিলারা হিজাব পড়ছে।
ঐতিহাসিক ভাবে দেখা গেছে, একটা ধর্মের সংস্কার শক্তি যখন থেমে যায়, সেই ধর্মের উৎপাদন শক্তিও থেমে যায় এবং তখন ধর্ম হেঁসেলে ঢোকে, মেয়েদের পোষাকের তলাতে লুকাতে চায় সে-কারন পৃথিবীকে তার কিছু দেওয়ার থাকে না। ইসলামের এই অবস্থা ছিল না মুঘল আমলে বা অটোমানদের সময়। কিন্ত বর্তমানে সেটাই দাঁড়িয়েছে।
@অভিজিৎ, বিতর্কে নামতে চাইছি(যদিও টাইপ-ই ঠিক মত শিখিনি); তবে তার আগে জানতে চাই- আপনি হিন্দুধর্ম বলতে কি বোঝাতে চান? আর হিন্দু কে বা কারা?
@অভিজিৎ, সহমত…। (Y)
TED এর এই ভিডিওটা অনুযায়ী এরা গড কমপ্লেক্স দ্বারা অ্যাফেক্টেড। সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে ট্রায়াল-ইরোর প্রসেস পর্যবেক্ষন করা ছাড়াই নিজ নিজ সিদ্ধান্তকে সেরা মনে করে।
ডাবল থাম্বস আপ (Y) (Y)
ভাতৃত্ববোধেরও, গত পরশু টুইটারে দেখলাম ট্রেন্ডিং টপিক, #blamemuslims এটা অবশ্যই নেতিবাচক তবে তারপরই দেখলাম মুসলাম ভাইরা চেষ্টা করছে #lovemuslims ট্রেন্ডিং করার… এখানেও হাসলাম কারন কতটা ক্ষুদ্র মনের দেখুন #lovehuman বলতে এদের বাধছে… বলছে লাভমুসলিমস, তারমানে হিন্দু,খ্রীষ্টান,অ্যাথিইস্ট এরা সব বাদ।
এটাই আসল কথা। তবে কথা হলো যারা ইতোমধ্যেই ‘পশু’ হয়ে গেছে তাদেরকে কীভাবে বোঝানো সম্ভব? তাদের মাথায় আসন গেড়ে বসা মহান আদর্শ থেকে হয়ত আমরা চাইলে পরবর্তী প্রজন্মকে বাচাঁতে পারব, কিন্তু তাদের কী হবে?
(Y)