আমার একটা স্বপ্ন ছিলো অনেকটাই সত্যের মত
স্বপ্নটা আমি কম করে হলেও কয়েকশ বার দেখেছি।
আমি দেখতাম বিশাল এক বিশৃঙ্খল জনতার ভীড়
জোয়ারের ঢেউয়ের মত বেড়েই চলছে ।
আমি দেখতাম একসঙ্গে একটা ঈগল এবং একটা শকুন
উড়াল দিচ্ছে গভীর নীলের দিকে ।
বিশৃঙ্খল জনতা এসময় বার বার হাত তালি দিচ্ছে
আর আমি ছিলাম ঠিক সেখানে , জনতার মাঝে।
আর তুমি ! আমায় বললে মাটির উপর দাঁড়িয়ে থাকতে !
এ কেমন স্বপ্ন যেখানে ডানার আঘাত তোমায় ব্যাথা দেয় না ?
তোমায় গর্ত থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে না ?
ঈগলটা একসময় শকুনটাকে সাথে নিয়ে উড়াল দিলো
আর পৃথিবীর উত্তর উড়ল একসঙ্গে দক্ষিনের সাথে।
সময় লাগলেও কেউ না কেউ নিশ্চয়ই সেখানে পৌঁছাবে,
মুক্ত আকাশ আর বন্ধনহীন স্বাধীনতার টানে।
লেখাটী অনেক দারুন হয়েছে। লেখাটী পড়ে দারুন লাগল। এমন সুন্দর সুন্দর লেখা আরও পড়তে চাই।
ইশশ…আর একটু হলেই কবিতাটা মিস করে গিয়েছিলাম। অন্য রকম জানালা দিয়ে দেখা জীবন, অন্য রকম ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা
@কাজী রহমান,
সরাসরি সম্প্রচার বিধায় তেমন ভাবতে হয় নি। যা দেখেছি চোখের সামনে তাই লিখেছি।
শেষ রাতে আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও অন্য রকম ভালো লাগলো।
অদ্ভুত স্বপ্ন, তাই কবিতাটা অন্যরকম, অনেকের ভীড়ে আলাদা।
ঈগল এবং শকুনের তাৎপর্য কোথায়? উচ্চতার সীমা বোঝাতে?
প্রথমবার পড়ে কবিতাটা বাউন্সার যাচ্ছিল, দু/তিন বার পড়ে ক্যাচ ধরতে সক্ষম হয়েছি।
@পাপিয়া চৌধুরী,
ঈগল এবং শকুন একই পাখি প্রজাতি Accipitridae পরিবারের সদস্য হলেও এরা আচরণের বেলায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঈগল যেখানে একটা ভ্রাতৃঘাতী শিকারী পাখী , শকুন সেখানে নেহায়েত গলিত শবভোজী যদিও এরা উভয়ই বিশাল উচ্চতায় উড্ডয়নে সক্ষম।
অনেক কঠিন কবিতা মন্তব্যের ঘরে বুঝিয়ে না দিলে এই অধমের কষ্মিন কালে ও বুঝা সম্ভব হত না। 🙂
@রাজেশ তালুকদার,
আমার বলা ব্যাখ্যা নয় , আপনাদের মনে যে ব্যাখ্যার উদয় হবে সেটার তাৎপর্য আরো বেশী বলে মনে করি।
কবিতাটি বুঝতে সুবিধা হল না, তবে মনে হয় ভাল হয়েছে।
@সীমান্ত ঈগল,
প্রতি মুহুর্তেই আমাদের আশে পাশে দৃষ্টির অগোচরে বিশেষ পরিস্থতিতে অপ্রত্যাশিত এবং বিরল কিছু ঘটনা ঘটে , বাস্তবতা স্বপ্নকে ম্লান করে চলে যায় নতুন নতুন উচ্চতায় যা প্রত্যক্ষদর্শীর মনে গভীর দাগ কাটে।
সময় ব্যয় করে পাঠের জন্য ধন্যবাদ।