“তুমি কি বলছ, নওশাদ?”
“আমি বলছি সেই বিওএসি বিমানের একজনও যদি জেগে থাকত তবে যাত্রীরা কেউই অদৃশ্য হত না,” নওশাদ বলে।
“কিন্তু তুমি নিশ্চিত নও, এত বছর আগে সেই বিমানের ভেতরে কি ঘটেছে তা আমরা সঠিক জানি না,” আমি বলি।
“না, আমরা তা জানি না। কিন্তু আমি জানি প্লেনের চারজন চালক, যারা একে ওপরকে লক্ষ্য করেছে তারা কেউই অদৃশ্য হয় নি। অমল, ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে অদৃশ্য হওয়া নিয়ে প্রচুর কিংবদন্তী আছে। ১৯৩০ সালে কানাডার উত্তরে লেক আঞ্জিকুনির ধারে একটা ইনুইট বা এস্কিমো গ্রামের সবাই নাকি উধাও হয়ে যায়। কিন্তু এটা বোধহয় একটা বানানো গল্প মাত্র, এর সম্বন্ধে কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ আমি কোথাও পাই নি। সেই সব কিংবদন্তীর ঘটনাগুলোকে বাদ দিতে হবে। শোন অমল, আমি বিজ্ঞানী নই, কিন্তু কলেজে পদার্থবিদ্যা পড়েছি। আমার মনে হয় এই সব ঘটনায় পর্যবেক্ষণকারীর একটা ভূমিকা রয়েছে। তুমি জান কোয়ান্টাম ব্যতিচারের সেই পরীক্ষাটির কথা। একটি ফোটন আলোক কণিকা কিংবা একটি ইলেকট্রন কণিকা একই সময়ে দুটি ভিন্ন এবং সমান্তরাল ফাটলের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে যতক্ষণ না তুমি জানতে চাইছ কোন দুটি ফাটলের কোনটির মধ্যে দিয়ে সেই কণিকাটা যাচ্ছে। কিন্তু যে মুহূর্তে তুমি ফোটোন বা ইলেকট্রনটির পথ অবলোকন করতে চাইবে সেই মুহূর্তেই ব্যতিচার নকশাটি ভেঙ্গে যাবে। সাংঘাতিক কিছু বুদ্ধির এক্সপেরিমেন্ট আছে যেখানে ফোটোন ফাটল দুটি পার হয়ে যাবার পরে পর্যবেক্ষক জানতে চায় ফোটনের গতিপথ। কিন্তু ফোটন যেন ভবিষ্যতে কি ধরণের পর্যবেক্ষণ হবে সেটা আগে থেকে জেনেই অতীতে খবর পাঠায় এবং তাতে ব্যতিচার নকশা ধ্বংস হয়ে যায়। ফোটন বা ইলেকট্রনের সম্ভাবনা তরঙ্গের সাথে অবলোকন যন্ত্রের বা অবলোকনকারীর এক ধরণের বিক্রিয়ায় বাস্তবতা পুনরায় নির্ধারিত হয়।”
“এই ধরণের ব্যতিচার এক্সপেরিমেন্ট আমরা পুরোপুরি বুঝি না বটে, কিন্তু তাতে কোন কিছু অদৃশ্য হয় না। অন্ততঃ একটা জলজ্যান্ত মানুষ উধাও হয়ে যায় না।” আমি বলি।
“আমি পদার্থবিদ নই। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আগামী কয়েক দিনে যা ঘটবে তার ওপর সারা পৃথিবীর ভবিষৎ নির্ভর করবে।”
“নওশাদ, তোমার মাথা গেছে,” আমি খানিকটা বিরক্ত হয়েই বলি।
“দাঁড়াও, অমল। দেখা যাক নতুন কি খবর আছে পৃথিবীর।”
আমরা দুজনে মিলে ইন্টারনেট দেখলাম। মাত্র কয়েক মিনিটের অনুসন্ধানে যা বের হয়ে এল তাতে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহর থেকে আলাদা আলাদা ভাবে গত তিন দিনে বেশ কয়েকজন মানুষ উধাও হয়ে গেছে। খবরগুলো পৃথক ভাবে দেয়া হয়েছে, সেগুলোকে একত্রিত করে কেউ কিছু লেখে নি। যোগসূত্রটা যেন কেউ এখনো ধরতে পারে নি।
“এরকম ভাবে আচম্বিতে এসব কি শুরু হল?” আমার বিস্ময়ের বাধ মানে না।
“জানি আমি কিছুটা পাগলের মতই কথা বলছি,” নওশাদ বলে, “আমি এই ব্যাপারে গভীর ভাবে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু আমাদের ধরে নেয়া উচিত না মহাবিশ্ব আদিকাল থেকে যেমন চলে এসেছে ভবিষ্যতেও তেমনি চলবে। ডায়নসররা ১০০ মিলিয়ন বছরেরও বেশী পৃথিবীর বুকে বিচরণ করেছে, তাদের অস্তিত্ব এক মুহূর্তের এক ঘটনায় মুছে গেল।”
“কিন্তু সেটা ছিল একটা গ্রহাণুর সঙ্গে আঘাতের ফলাফল। গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষকে খুব সহজেই বর্ণনা করা সম্ভব।”
“ঠিকই বলেছ, অমল, কিন্তু যেভাবেই এই ঘটনাকে আমরা বর্ণনা করি না কেন এখন থেকে কোন ব্যবস্থা না নিলে মানুষ পৃথিবী থেকে মুছে যাবে।”
“কিন্তু শুধু মানুষ কেন? অন্য জীবরা কি অদৃশ্য হচ্ছে না? উদ্ভিদ? অজৈবিক বস্তু?”
“আমি জানি না, অমল। কোন এক ধরণের তরঙ্গ হ্য়তো আসছে অন্য মহাবিশ্ব থেকে। কি ধরণের মহাবিশ্ব তা আমাকে জিজ্ঞেস কর না। আমি তা জানি না। সেই তরঙ্গ বিক্রিয়া করছে আমাদের সচেতন মনের সাথে। কোন এক ভাবে সেটি সৃষ্টি করছে এক ধরণের অনুনাদ যা কিনা সেই মনের ধারক মানুষের দেহকে স্থানান্তরিত করছে।”
“কিন্তু তুমি বলছ আমরা যদি অবলোকিত বা পর্যবেক্ষিত হতে থাকি তবে এই ধরণের ঘটনা ঘটবে না?”
“আমি নিশ্চিত নই, কিন্তু আমরা সচেতন ভাবে যখন সেই তরঙ্গের সঙ্গে কোন মানুষের বিক্রিয়াকে পর্যবেক্ষণ করি তখন হয়তো ঐ বিক্রিয়ার ফলাফলকে বদলে দিই।”
আমি নওশাদের অন্য জগতের ভৌতিক তরঙ্গের ব্যাখ্যায় বিশ্বাস করি না। কিন্তু এই ঘটনাগুলোর মাঝে যে একটা যোগ আছে সেটাও অস্বীকার করতে পারি না।
নওশাদ বলল, “এসো আমরা একটা চিঠি লিখি।”
“কাকে লিখব?” আমি বলি, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে?”
“তাতে লাভ?”
“তাহলে NASAকে?”
“NASA কেন?”
“আমি জানি না,” আমি বলি, “এই রকম বিপদের সময় কাকে সতর্ক করা উচিত?”
“জাতিসংঘ?”
আমরা দুজনেই বুঝতে পারলাম পৃথিবী আসলেই কত অসহায়। সবার সমূহ বিপদে সবাইকে বাঁচাবার কোন পদ্ধতি পৃথিবী গড়ে তুলতে পারে নি। শেষ পর্যন্ত আমরা দুজনে মিলে আমাদের পরিচিত দেশী-বিদেশী লোকের একটা ইমেইল লিস্ট বানালাম। নওশাদ চিঠির একটা খসড়া করল। তাতে এই পর্যন্ত তার চিন্তাধারা সে লিখল। এর মূল কথা হচ্ছে একে অপরকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আমরা চিঠিটা পাঠিয়ে দিলাম।
চিঠিটা পাঠিয়ে আমরা অনেকক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম। গরমের দিন, সূর্য অনেক ওপরে উঠে গেছে।
তারপর আমি বললাম, “তুমি বুঝতে পারছ এর পরে পৃথিবী আর আগের মত থাকবে না।”
নওশাদ হাসল। বলল, এখনই আমাদের প্রতিটি কার্যক্রম নথিবদ্ধ হচ্ছে। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, ক্রেডিট কার্ডের বেচা-কেনা এসব কিছুর মধ্য দিয়ে বহু যুগ হয় আমাদের পৃথিবী আগের মত নেই।”
সকালের আলো জানালার ফাঁক দিয়ে পশ্চিমের দেয়ালে পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই ভ্যাপসা গরম পড়বে।
নওশাদ বলে, “অমল, তুমি একা থাক। তোমার জন্য আমার চিন্তা হচ্ছে। কয়েক দিনের জন্য তুমি তোমার কাকার বাড়ি চলে যাও।”
“কি যে বল তুমি,” নওশাদের কথায় হাসি আমি, “দীপ্তি আহমেদ অদৃশ্য হয়েছে বলে দেশশুদ্ধ সবাই কি অদৃশ্য হয়ে যাবে?”
“ঠিক আছে,” নওশাদ দরজা দিয়ে বার হতে হতে বলল, “কিন্তু দু-দিন কাকার বাড়ি গিয়ে থাকলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে না।”
পঞ্চম অধায়
সকালে আমি এত তাড়াতাড়ি উঠি না। গরম বাতাস খোলা জানালা দিয়ে ভেতরে ঢোকে। ফ্যান চালিয়ে দিয়ে সোফায় এসে শুয়ে পড়ি। এক ঝাঁক কাক বাইরে তারস্বরে চিৎকার করে। আমি তাদের দেখার জন্য জানালার পর্দা সড়াই, কিন্তু কোন কাক দেখি না, রাস্তাও দেখি না, রাস্তার বদলে দেখি এক গভীর গিরিখাত। গিরিখাতের এক পাড়ে আমি। খাতটির প্রস্থটি খুব বেশী হলে পাঁচ মিটার, কিন্তু তার গভীরতা এত বেশী যে আমি তার তলা দেখতে পাই না। কেমন করে যেন বুঝতে পারি আমাকে পার হবে সেই খাত। তখনই দেখি খাতের ওপর আড়াআড়ি রাখা বরফের আয়াতাকার পুরু খণ্ড। সেই বরফের খণ্ডটাই পারাপারের সেতু। আমি সেটার ওপর সন্তর্পণে পা ফেলে এগই। আমাকে ঐ পাড়ে যেতে হবে। কিন্তু আমি বরফের ওপর পা রাখার সাথে সাথেই বরফ দ্রুত গলতে শুরু করে। আমি তখনই বুঝলাম সেই বরফের খণ্ড আমাকে ধরে রাখতে পারবে না। ও’পাড়ে পৌঁছানোর আগেই সব বরফ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আমি এক গভীর গিরিখাতে পড়তে আরম্ভ করি। কিন্তু এক ধরণের অদ্ভূত অভিকর্ষ আমার ওপর কাজ করে। প্রথমে দ্রুত পড়লেও আমার গতি তারপর শ্লথ হয়ে আসে। আমি নিজের শরীরের দিকে তাকাই, মনে হয় যেন আমার সারা দেহ ধীরে ধীরে স্বচ্ছ হয়ে উঠছে।
অমল, অমল, অমল…।
আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, ঘুম ভেঙ্গে যাবার মুহূর্তে মনে হয় আমার শরীরের ত্বক কেমন যান ঢেউএর মত আন্দোলিত হচ্ছে। কিন্তু সেটা ঐ মুহূর্তটুকুর জন্যই। তারপরই সব থেমে গেল।
আবার শুনি, অমল, অমল, তুমি কোথায়?
এবার বুঝি ফোনের স্ক্রীনে নওশাদ আমাকে ডাকছে। তার মুখে উদ্বেগের চিহ্ন।
ফোন চালু করলে নওশাদ বলে, “অমল, তোমাকে গত পাঁচ মিনিট হল ডাকছি। তুমি ঠিক আছ তো? আমার তো তোমাকে নিয়ে বেশ চিন্তা হচ্ছে।”
আমি যেন একটা ঘোরের থেকে বার হয়ে আসি। “আমি ঠিক জানি না, নওশাদ। আমি একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখছিলাম। স্বপ্নের মধ্যে আমার শরীর মনে হল যেন স্বচ্ছ হয়ে আসছে। আর তোমার চিৎকারে ঘুম যখন ভাঙ্গল মনে হল শরীরের মধ্যে কম্পন হচ্ছে।”
“অমল, তুমি এখনই আমার কাছে চলে আস। দেরী কর না।”
হঠাৎ করেই নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। নওশাদের ফোন না পেলে আমি কি এই মহাবিশ্ব থেকে মুছে যেতাম?
চলবে… ৫ম পর্ব
কোয়ান্টাম মেকানিক্স টেকানিক্স খুব একটা বুঝি না। তবে বেশ কৌতূহলোদ্দীপক গল্প। আমার সামনেই যেহেতু পরের পর্বগুলো আছে, সেহতু সেগুলো পড়ে ফেলি জলদি। রুমে আমি একাঁ, কারো পর্যবেক্ষণে নেই এই মুহূর্তে, কাজেই ঊঁধাও হওয়ার আগেই পরে ফেলি, যাই।
@নিবারণ নিরুদ্দেশ,
আপনি এতো সুন্দর লেখাটা দেরি করে হলেও পড়েছেন। আসলে দারুণ।
@রামগড়ুড়ের ছানা, আফরোজা আলম, পাপিয়া চৌধুরী, আরাফাত, প্রতিফলন, রনবীর সরকার, হেলাল, ছদ্মবেশী, টেকি সাফি 🙂
আপনাদের মন্তব্য ও উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ। নিজেই উধাও হবার আইডিয়াটা ইন্টারেস্টিং (ধন্যবাদ হেলাল), সেটাকে ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ছদ্মবেশীর হাত থেকে বাঁচার জন্য এই গল্পর অংশগুলো ভ্রমণ করতে করতে পোস্ট করছি, অনেক জায়গায় আমি ইন্টেরনেট সংযোগ করতে পারছি না। রনবীর সরকারের প্রশ্নটি যথাযথ – দেখা যাক গল্প কি বলে। টেকি সাফি টেকনিক্যাল দিক থেকে প্রশ্ন তুলেছেন, আমি জানি না গল্পের চরিত্র অমল বা নওশাদ তার উত্তর জানে কিনা, দেখা যাক তারা কি করে বা তাদের কি হয়। কাজী রহমানের মন্তব্যটি অবশ্য বুঝি নি 🙂
আমি খুব কম জানি কিন্তু আমি যতদুর জানি কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যায় মানুষের পর্যবেক্ষন এর তেমন কোন তাৎপর্য নেই। বরং এখানে বলা হয় পর্যবেক্ষন।
মানুষের পর্যবেক্ষন মানে ফোটন জড়িত, তবে ফোটন জড়িত কিন্তু মানুষের পর্যবেক্ষন অনুপস্থিত সেখানেই কোয়ান্টাম সুপারপজিসন অযৌক্তিক হয়ে যায়। আর শুধু ফোটন নয়, আলো নয় আলো যেহেতু ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ওয়েভ তাই অন্যান্য ওয়েভগুলোর জন্যও মনে হয় ব্যাপারটা প্রযোজ্য হবে।
মানুষের পর্বেক্ষনের সাথে এর সামান্য সম্পর্ক থাকলেই মূল কথাটা এটা নয় বরং মূল কথা হলো প্রকৃতি আমাকে পর্যবেক্ষন করছে। বিবিসি এর একটা ডকুমেন্টারী “How long is a piece of string” তে দেখি বলা হয় “Nature defines us” এজন্যই আমরা একই সাথে অসীম সংখ্যক বিন্দুতে অবস্থান করতে পারিনা।
আমাদের একই সাথে শুধুমাত্র তখনই দুই, তিন এমনকি অসীম সংখ্যক স্থানে থাকা সম্ভব হবে যখন সম্পূর্ন শুন্য স্থানে থাকব, যেখানে কোনপ্রকার তরঙ্গ আমাদের অবস্থান ডিফাইন করছে না, তবে অনিশ্চয়তাবাদ নীতি আবার এই “সম্পূর্ন শুন্যস্থান” এলাও করে না।
তাই টেকনিক্যালি আমাদের কখনোই একই সাথে বিভিন্ন স্থানে উদয় হওয়ার চান্স জিরো।
আবার বলছি, কোয়ান্টাম মেকানিক্স আমি খুব কম জানি তাই ভুল বলতেও পারি।
@টেকি সাফি,
এখানে আবার প্যাঁক ক্রিয়েটর ঢুকে পড়বে নাতো?
ভহায়ঙ্কার সুন্দর।
@হেলাল,
না…….না ।উনারে তো আমি ১ম পর্ব থেকেই পর্যবেক্ষণে রেখেছি । আর যদিবা উধাও হতে চান তাহলে……..।
বাকি টা আর বললাম না । সেটা ১ম পর্বেই বলেছি।
পরের পর্ব তারাতারি প্লিজ………………….এবং দয়া করে গল্পটা শেষ করবেন না। সমাধান দেবার আগে নিজে উদাও হবেন না যেন।
আপনার সিরিজের প্রতিটি পর্বই পড়লাম।
দারুন হচ্ছে।
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব পোস্ট করেন।
তবে যারা অদৃশ্য হচ্ছে তারাতো নিজেদের নিজেরা পর্যবেক্ষন করছে। তবে তারা অদৃশ্য হচ্ছে কেন?
হুমম… কোয়ান্টাম থিউরি!!
… নতুন লেখা আসলে কষ্ট করে পুরান একটা পর্ব প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নিজের ব্লগে রেখে দিবেন, কিন্তু নতুন পর্ব দিতে দেরি করবেন না যেন… (F)
প্রথম পাতায় একই লেখকের দুইয়ের বেশি লেখা থাকা কাম্য নয়। মুক্তমনা নীতিমালার ২.১৫ তে পরিষ্কারভাবে এ বিষয়টা উল্লেখ করা আছে।
আপনার দুটি লেখাকে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এ দিকটার প্রতি আপনি খেয়াল রাখবেন।
গল্পে কোয়ান্টাম তত্ত্বের কথাবার্তা আসিতেছে মনে হচ্ছে … 🙂
গল্প শেষে কিন্তু সবাইকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
এই পর্বটি আগের পর্বগুলোর চাইতে অপেক্ষাকৃত বড় লেখার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ। পড়ে শেষ হয়ে গেলেই অস্থির লাগে পরের কাহিনী জানার জন্য। আবারও অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক ধরনের গল্প, বই, ভুতুড়ে গল্প আষাঢ়ে গল্প পড়েছি।
কিন্তু এমন আকর্ষনীয় লোম হর্ষক লেখা এই-ই প্রথম পড়ছি-
পরবর্তি পর্বের জন্যে আগ্রহে রইলাম-
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন 🙁 🙁 ।