মুক্তমনাতে ইতোপুর্বে কোরানিক বিজ্ঞান বিষয়ে অনেক লেখা-লেখি হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে ইসলামী পন্ডিতদের মিথ্যাচার। শুধু কোরান নয়, অন্যান্য ধর্মবাদীরাও এপ্রসংগে কম যান না। কোরান নিয়ে পড়া-শোনা করে এযাবৎ কেউ ডাক্তার, প্রকৌশলী কিংবা বৈজ্ঞানিক হতে পারে নি এবং তা সম্ভবও না। বড়জোর, ফতোয়াবাজ মোল্লা হওয়া যায়। আবার কিছু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কোরান রিসার্চ করে চলছেন কোরানে বিজ্ঞান খুঁজার জন্য। মজার বিষয় হচ্ছে, কোরান পড়ে ডাক্তার হতে না পারলে কি হবে, তারা ঠিকই কোরানে চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদি খুঁজে বের করে ফেলছেন। কোরানে যদি এতই বিজ্ঞান পেয়ে থাকেন, তাহলে হাতের কাছে কোরান ফেলে শিক্ষাঙ্গনে বিজ্ঞান শিখতে যাওয়ার অর্থ কি? কোরানবাদীরা কেন সক্ষম হলেন না কোরানের সূত্র ধরে কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে? মুক্তমনার লেখকদের বিভিন্ন আলোচনায় এসব প্রশ্নগুলো বার বার উঠে এসেছে। আমার এই প্রয়াশটাও নতুন কিছু না। বলতে পারেন, সংযোজন মাত্র।
বর্তমান ইসলামী দুনিয়ায় একটা নামকে রীতিমত কিম্বদন্তিতে পরিনত করা হচ্ছে। তিনি হচ্ছেন ডঃ জাকির নায়েক। কোন মুমিন বান্দার সাথে যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় প্রায় সময় একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আপনি কি জাকির নায়েকের লেকচার শুনেছেন? বুঝাই যাচ্ছে জাকির নায়েক যেন বতর্মান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য নূহ (আঃ) এর নৌকা। যেন তাদেরকে উদ্ধার করেছেন। অথচ এই ব্লগেই জাকির নায়েক এর বক্তব্যকে খন্ডন করে অনেক লেখা আছে। প্রথমে আসা যাক, মানুষ সৃষ্টির ব্যাপারে কোরানে কি বলা হয়েছে। কোন জায়গায় বলেছেন মানুষকে মৃত্তিকা হতে সৃষ্টি করেছেন কখনো বা বলেছেন পানি থেকে। নিচের আয়াতগুলো দেখা যাকঃ
(৬:২) তিনিই তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করিয়াছেন (আংশিক)।
(৩৭:১১) উহাদের আমি সৃষ্টি করিয়াছি আঠাল মৃত্তিকা হইতে (আংশিক)।
(৫৫:১৪) মানুষকে তিনি সৃষ্টি করিয়াছেন পোড়া মাটির মত শুষ্ক মৃত্তিকা হইতে ।
(২২:৫) আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছি মৃত্তিকা হইতে (আংশিক)।
(২৩:১২) আমি মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছি মৃত্তিকার উপাদান হইতে (আংশিক)
(৩২:৭) --কর্দম হইতে মানব সৃষ্টির সূচনা করিয়াছেন।
(৪০:৬৭) তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন মৃত্তিকা হইতে (আংশিক)
আমরা সবাই খুব ভাল করে জানি যে, মানুষ নামক প্রাণিটি সরাসরি পুর্ণাঙ্গ মানুষের আকারে সৃষ্টি হয়নি। এটি জীব বিবর্তনের ফল। মাটি, পোড়া মাটি, আঠাল মাটি, শুষ্ক মাটি ইত্যাদি দ্বারা মাটির পুতুল বানানো সম্ভব। তৎকালীন আরবে মুর্তি পূজার প্রচলন ছিল যা, তারা নিজেরাই তৈরী করত। পরে তা ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়। মুহাম্মদের ধারনা আল্লাহও হয়ত মাটি দিয়ে আদমের মুর্তি তৈরী করেছেন। সৃষ্টিকর্তার বিশিষ্টতা প্রমানের জন্য বা অন্য কোন কারনে মুহাম্মদ মাটির মুর্তিতে আত্মা ঢুকিয়ে দেয়ার ব্যাপারটি যুক্ত করেন। এব্যাপারে ৩২:৭-৯ আয়াতে বলা হয়েছে, উহাতে ফুঁকিয়া দিয়াছেন তাঁহার রূহ হইতে। বুঝাই যাচ্ছে এই আয়াতগুলো এসেছে মুহাম্মদের কমন সেন্স থেকে তিনি যতটুকু ধারনা করতে পেরেছেন তা থেকে। কোন বৈজ্ঞানিক চেতনা বা বিশ্লেষন থেকে নয়।
আবার একই বিষয়ে ভিন্ন জায়গায় আল্লাহ কি বলেছেনঃ
৭৭:২০-২২ আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি হইতে সৃষ্টি করি নাই? অতঃপর আমি উহা রাখিয়াছি নিরাপদ আধারে, এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত।
২৫:৫৪ তিনি মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হইতে, অতঃপর তিনি তাহার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছেন (আংশিক)।
৫৬:৫৮-৫৯ তোমরা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ তোমাদের বীয্যর্পাত সম্বন্ধে? উহা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?
২১:৩০ এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হইতে (আংশিক)।
এব্যাপারে জাকির নায়েকের যুক্তি হচ্ছে, জীব কোষের সাইটোপ্লাজম যাতে শতকরা ৮০ ভাগ পানি থাকে। জীবের গঠনে শতকরা ৫০-৯০ ভাগ পানি এবং প্রত্যেক জীবের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পানি অপরিহার্য। প্রত্যেক প্রাণী যে পানি থেকে সৃষ্টি তা ১৪ শতাব্দি পূর্বে কোন মানুষের পক্ষে কী অনুমান করা সম্ভবপর ছিল?
একটি জীব কোষের ৮০ ভাগ সাইটোপ্লাজম থাকলেই কি আমরা বলতে পারি সাইটোপ্লাজম বা পানি থেকে জীব সৃষ্টি হয়েছে? সাইটোপ্লাজম কি কোষ গঠনের মূল উপাদান? পানি থেকে যে জীব সৃষ্টির কথা বলেছেন আর জাকির নায়েকের দাবী ১৪ শতাব্দির পূর্বে কেউ এরকম বলেন নি। কিন্তু আল্লাহ বলার প্রায় বার শত বছর পূর্বে দর্শনশাস্ত্রের প্রথম প্রবর্তক ও আদি জনক আইওনীয় দার্শনিক থেলিস (খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৪-৫৫০ অব্দ) বলেছিলেন, পানিই সৃষ্টির মূল উপাদান, বস্তুর উৎপত্তি, উৎস, দ্রব্যের মূল ও আদি উপাদান। তাহলে দেখা যাচ্ছে কোরানে আল্লাহ পানি থেকে জীব তথা মানুষ সৃষ্টির বিষয়টি নতুন বলেননি। যদিও কোরানের পানি তত্বের মত এই তত্বটিরও বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। কারণ, প্রাণ উৎপত্তির জন্য সাইটোপ্লাজমই একমাত্র বা আদি কারণ নয়। পানি বা তুচ্ছ পানি বা তরল পদার্থের নির্যাস বা বীর্য যাই বলেন, মুহাম্মদ মনে করেছিলেন যেহেতু পুরুষের বীর্য যোনি পথ দিয়ে প্রবেশের মধ্যদিয়ে গর্ভধারণ ঘটে (অন্তত তাই দৃশ্যমান) সেহেতু এটিই মানুষ সৃষ্টির মূল কারণ। আর এটুকু বুঝার জন্য কাউকে বৈজ্ঞানিক হওয়া লাগে না। জীবনে বিজ্ঞান না পড়া যে কোন মানুষরাই তাই মনে করে। আর দেখুন এটা বলতে পেরে কিনা মুহাম্মদ বা আল্লাহ রীতিমত বৈজ্ঞানিক হয়ে গেলেন। এই পানি প্রসংগে কোরানের ৩২:৮ নম্বর আয়াতে বলেছেনঃ
অতঃপর তিনি তাহার বংশ উৎপন্ন করেন তুচ্ছ পানির (তরল পদার্থের) নির্যাস হইতে।
এ আয়াতের ব্যাখ্যা কি রকম হবে? সাধারণ পর্যবেক্ষণ থেকে ব্যাখ্যা করলে আয়াতটির অর্থ বের করা সম্ভব। তুচ্ছ পানি বলতে ধরে নিলাম পুরুষের বীর্য যা নির্গত হবার পর দেখা যায় স্ত্রী যোনি থেকে বেশির ভাগ পরিমানে বেরিয়ে আসে। তারপরও সন্তান ধারণ সম্ভব হয়। তাতে বুঝা যায় সন্তান ধারণে প্রয়োজনীয় অংশটুকু ঠিকই মাতৃগর্ভে থেকে যাচ্ছে। যাকে কিনা কোরানে নির্যাস বলা হয়েছে। তাছাড়া নির্যাস বলে রস বা সার বুঝায়। অর্থাৎ বীর্যের ঐ প্রয়োজনীয় অংশটুকু যা থেকে গর্ভধারণ হয়। এটি সাধারণ পর্যবেক্ষণের সাধারণ জ্ঞান বা ধারণা। কোরানের এ আয়াতটিতে ঠিক তাই বুঝা যাচ্ছে। এইটুকু বুঝতে বিজ্ঞানের কখনোই প্রয়োজন ছিলনা। বিজ্ঞান প্রয়োজন মিলিয়ন শুক্রানু হতে একটি মাত্র শুক্রানু এবং হাজার হাজার ডিম্বানু থেকে একটি ডিম্বানু নিষিক্ত হবার প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট নীরিক্ষা এবং প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করা। বিজ্ঞান তাই করেছে। সাথে সাথে জাকির নায়েকরা কিনা দেখতে পেলেন নির্যাস বলতে এই একটি মাত্র শুক্রানু কিংবা ডিম্বানুকে বুঝাচ্ছেন। এ আয়াতের কোথায় উল্লেখ অাছে যে, পুরুষের কয়েক মিলিয়ন শুক্রানু আর নারীর দশ হাজার ডিম্বানুর কথা এবং একটি শুক্রানু ও একটি ডিম্বানু নিষিক্ত হবার ঘটনায় একটি সন্তানের ভ্রুণ জন্মের কথা? বিজ্ঞান কি তরল পদার্থের নির্যাস বলে দায় এড়াতে পেরেছে? কোরান যদি বিজ্ঞান হয়ে থাকে তাহলে কোরান কিভাবে তা পারল? এই আয়াতের জন্য আমার ঐ অবৈজ্ঞানিক সাধারণ ব্যাখ্যাটিই বেশি প্রযোজ্য নয় কি? আজকের এই সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক ভাষাটি কি সে সময় আল্লাহর জানা ছিল না? শুক্রানু বা ডিম্বানুর সংখ্যা নির্ণয় করতে তিনি অক্ষম বলেই কি নির্যাস শব্দটি ব্যবহার করেছেন?
যদি প্রশ্ন করা হয় কোথা থেকে মানুষের সৃষ্টি (যদিও সৃষ্টি শব্দটি এখানে যুক্তিযুক্ত নয়)? কারো পক্ষেই এককথায় এর উত্তর প্রদান করা সম্ভব নয়। এই প্রশ্নে যদি উপাদানকে ইঙ্গিত করা হয় তাহলেও অসম্ভব। কারন একটি মাত্র উপাদান দ্বারা আমাদের দেহ গঠিত নয়। নির্দিষ্ট একটা প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে এটি ঘটে থাকে যা সংক্ষেপে বলতে গেলেও একটি বড়সড় ব্যাখ্যার প্রয়োজন। মায়ের জরায়ুতে মেসিউর ওভামটি ফার্টিলাইজ্ড হবার পর থেকে তা ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ শিশুরুপে পরিনত হবার প্রক্রিয়াকে শুধুমাত্র একটি কারণ বা শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। অন্ততঃ বিজ্ঞান এধরনের দৃষ্টতা দেখায়নি। কেউ যদি বলে মানুষ জমাট রক্ত (বা জোঁক) বা মাটি বা পানি থেকে তৈরী তাহলে কি ভ্রুণতত্ব বা এম্ব্রিউলজীকে সমর্থন করা হয়? ভ্রুণতত্বের কোথাও কি এই শব্দগুলোকে কারণ বা উপাদান হিসাবে দেখানো হয়েছে? না। কোরানে আল্লাহ নিচের আয়াতগুলোতে মানুষকে তিনি জমাট রক্ত হতে সৃষ্টি করেছেন বলে দাবী করেছেন। তাহলে দেখা যাক আয়াতগুলোঃ
(২২:৫) আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছি -------তাহার পর আলাক হইতে, (আংশিক)।
(২৩:১৪) অতঃপর অামি উহাকে শুক্রবিন্দুকে পরিনত করি আলাক-এ, অতঃপর আলাক্কে পরিনত করি পিন্ডে এবং(আংশিক)।
(৪০:৬৭) তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন মৃত্তিকা হইতে, পরে শুক্রবিন্দু হইতে, তারপর আলাকা হইতে, তারপর তোমাদেরকে বাহির করেন শিশুরুপে (আংশিক)।
(৯৬:২) সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত (আলাক) থেকে।
লক্ষ্যণীয় কোরান স্পষ্টভাবে মানুষ সৃষ্টির জন্য মাটি, পানি এবং জমাট রক্তের কথা বলেছে। আল্লাহ এধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? মুহাম্মদের জন্মের প্রায় এক হাজার বছর আগে এ্যারিস্টটল মানব প্রজনন সম্পর্কে বিশ্বাস করতেন যে মহিলাদের রজঃস্রাবের রক্তের উপর পূরুষের বীর্যের ক্রিয়ার ফলে মাতৃগর্ভে শিশুর জন্ম হয়। তখন দুনিয়া জুড়ে এ্যারিস্টটলের মতবাদ সাহিত্য, দর্শন ইত্যাদিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত। স্বাভাবিকভাবে ধরে নেয়া যায় কোরানের জমাট রক্তের উপাখ্যানটি এ্যারিস্টটলের কাছ থেকে ধার করা, যা পরে ভ্রান্ত ধারনা হিসাবে বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া অনেক সময় গর্ভধারণের কয়েকমাস পরে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়ে ভ্রুণ নষ্ট হতে দেখা যায়। তা থেকেও মুহাম্মদের ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, আসলে মাতৃগর্ভে জমাট বেধে থাকা রক্ত থেকে বুঝি মানুষ সৃষ্টি। মাতৃগর্ভে সব যদি রক্তই না হত তাহলে এত রক্ত আসে কোথা থেকে? বাস কোরানে ওহী হিসাবে যুক্ত হয়ে গেল। তর্কের খাতিরেও যদি বলতে হয় তাহলেও, প্রাণ রাসায়নিক ব্যাখ্যায় রক্তের জমাট বাধার যে প্রক্রিয়া বা কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তাতে ভ্রুণ বৃদ্ধির কোন পর্যায়ের সাথেই এর মিল নেই। ভ্রুণ কি? জমাট রক্ত কি? এই দুই প্রশ্নের উত্তর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় গঠন, প্রক্রিয়া বা উপাদানগত দিক দিয়ে ভ্রুণ কখনোই জমাট রক্ত নয়।
সে জন্যই বোধয় জাকির নায়েক আলাক্ব শব্দের অর্থ করতে গিয়ে জমাট রক্ত দিয়ে বিজ্ঞান প্রমাণ করার চেষ্টা করেন নি। আয়াতের অনুবাদে আলাক্ব শব্দের অর্থ জমাট রক্ত বললেও তিনি কৌশলে আলাক্ব শব্দের অর্থ করেছেন এই ভাবেঃ
আরবী শব্দ আলাক্ব এর অর্থ জমাট রক্ত ছাড়াও আরেকটি অর্থ রয়েছে, তা হল, জোঁকের মত এক প্রকার বস্তু যা দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে।
উনার কথা হচ্ছে, বস্তুটা জোঁক না কিন্তু জোঁকের মত। যা আল্লাহও নাম জানেন না হয়ত। আলাক্ব শব্দের অর্থ কখনোই সরাসরি ভ্রুণ করা যাচ্ছে না বলেই এত অপকৌশলের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। প্রায় সব কোরানের বাংলা অনুবাদেই আলাক্ব শব্দটিকে আলাক্ব বা জমাট রক্তই লেখা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত অনুসন্ধানে অভিধানগুলোতে আলাক্ব শব্দের অর্থ পেয়েছি জমাট রক্ত এবং জোঁক। সুতরাং আল্লাহর এই আয়াতটি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। কারন, জোঁক বা জমাট রক্ত থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে তা নিতান্তই হাস্যকর। অথচ জাকির নায়েকরা বিজ্ঞান প্রমানের জন্য কোরানের অর্থ পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছেন। জোঁককে বানিয়েছেন জোঁকের মত বস্তু। প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান তো আর পরিবর্তন করা যায় না। তাছাড়া কেবলমাত্র জোঁকের মত বা আটকে থাকলেই ভ্রুণ হয় না। ভ্রুণে সুনির্দিষ্ট গঠন, বৈশিষ্ট, উপাদান ইত্যাদি রয়েছে। রয়েছে এর বিকাশজনিত প্রক্রিয়া এবং স্তর। ডুবে যাওয়া মানুষ যেমন খড়-খুঠো ধরে বাচতে চাই, সে রকমই ইসলামী চিন্তাবিধরা কোরানের বাণীকে টিকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন অসহায় ভাবে। জোঁক বা আটকে থাকার মাঝে বিজ্ঞান খুঁজার ব্যপারটি আল্লাহর বাণীকে (!) আরো সস্তা এবং ঠুনকো করেছে। যা ইসলামী চিন্তাবিধগনের অবদান।
একটি ভ্রুণ কিভাবে তার অংপ্রত্যঙ্গগুলো বিকশিত করে? কোরানের নিচের আয়াতটি দ্বারা আমরা কি বুঝতে পারি দেখা যাকঃ
২৩:১৪ পিন্ডকে পরিনত করি অস্থি-পঞ্জরে, অতঃপর অস্থি-পঞ্জরকে ঢাকিয়া দেই গোশ্ত দ্বারা, অবশেষে উহাকে গড়িয়া তুলি অন্য এক সৃষ্টিরূপে (আংশিক)।
মোট কথা হলো, মানুষের কঙ্কালটি তৈরী হবার পর কিনা সেই কঙ্কালকে মাংস দ্বারা ঢেকে দেয়া হয়। এই সোজা হিসাবটাকে বিজ্ঞান মেনে নেয় না। একটি মিলিত সেল তার বিভাজন প্রক্রিয়ায় এত বেশি কোষে ভাগ হয় যে তা একটি বিরাট সংখ্যক কোষ সৃষ্টি করে যাকে বলা হয় মরুলা (Morula)। এ সেল ফার্টিলাইজেশন থেকে সব প্রক্রিয়া হয়ে মরুলা পর্যন্ত ঘটনা ঘটে মাত্র ৭২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে। তখন কিন্তু এ অস্থি-পঞ্জরের কোন অস্তিত্বই থাকে না। এটা মোটেও হাড়ের উপর মাংসের প্রলেপ দেয়ার মতো কোন ঘটনা নয়। কারণ, সারা দেহের গঠনের মূলে তিনটি প্রধান অংশ কাজ করে, যাকে কিনা বলা হয়, এক্টোর্ডাম, এন্টোর্ডাম ও মেজোর্ডাম। মূলতঃ এই তিনটি টিস্যুর মধ্যে নিহিত থাকে মসিতষ্ক, মেরুদন্ড, হাড়, হৃদপিন্ড, পেশী, রক্তের কোষ পরবর্তীতে এ টিস্যুগুলো থেকে বিভিন্ন টিস্যুর রূপান্তর ঘটে। সংক্ষেপে বলতে গেলে এক্টোর্ডাম থেকে বিকশিত হয় বিভিন্ন তন্ত্র যার মধ্যে মস্তিষ্ক, মেরুদন্ড, স্নায়ু, চামড়া, নখ এবং চুল ইত্যাদি। এন্টোডার্ম থেকে বিকশিত হয় শ্বসনতন্ত্র ও পাচনতন্ত্রের আস্তরণ, যকৃত ও অগ্ণ্যাশয় ইত্যাদি। আর মেজোডার্ম থেকে বিকশিত হয় হৃদপিন্ড, মূত্রগ্রন্থি, হাড়, কোমল অস্থি, পেশী, রক্তের কোষ ইত্যাদি। অংগ-প্রত্যঙ্গ বিকাশের জন্য ভ্রুণ কখনো মরুলা কখনো ব্লাস্টোসিস্ট কখনো বডিটিউব ইত্যাদি স্তরগুলো পার করে। হাত-পা বিকাশের ক্ষেত্রে যা ঘটে, প্রথমে বডিটিউব থেকে দুজোড়া লিম্ব বাড্ সৃষ্টি হয়। সামনের দুটি হচ্ছে, এন্টিরিয়ার লিম্ব বাড যা পরে হাতের বহিপ্রকাশ ঘটায় এবং পিছনের দুটি হচ্ছে পোষ্টিরিয়ার লিম্ব বাড যা পায়ের বিকাশ ঘটায়। হাত বা পায়ে একটি ধমনী ও একটি শিরা থাকে। তা ক্রমে মুল প্রবাহ বা আর্টারী ও ভেনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং তা থেকে ধীরে ধীরে শাখা-প্রশাখার বিকাশ ঘটে থাকে। এটি হচ্ছে অত্যন্ত সংক্ষেপে হাত-পা বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়। এরকম বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ, তন্ত্র ইত্যাদির বিকাশ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে থাকে। তারপর গঠিত হয় একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষের রূপ। কখনো এপ্রক্রিয়াকে হাড়ের উপর মাংসের প্রলেপের অবস্থা হিসেবে বর্ণনা করা যায় না, কেবল মাত্র অবৈজ্ঞানিকভাবে এটি সম্ভব।
ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞান প্রমানের প্রচলন অনেক বেশি মাত্রায় শুরু হয়েছে। কারণ কি? ধর্মগ্রন্থগুলোকে সার্টিফাই করার জন্য বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার অনুভূতি থেকে এর প্রয়াশ। এক সময় এই ধর্মগ্রন্থগুলোই বিজ্ঞানের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল। হাইশেপিয়া, ব্রুণো, গ্যালিলিও এরা সবাই ধর্মানুসারীদের স্বীকার। অথচ আজকে তাদের প্রয়োজনেই বিজ্ঞানকে ঐশীবাণীর সাথে সমাঞ্জস্যতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যদিও বৈজ্ঞানিক থিওরীর পাশে এসমস্ত ঐশীবাণীগুলোকে খুবই অসহায় দেখায়।
সূত্রঃ
টেক্সট বুক অফ এ্যানাটমি (ডাঃ এস. এন. পান্ডে)
http://www.ehd.org/resources_bpd_illustrated.php
গ্রীক দর্শনঃ প্রজ্ঞা ও প্রসার (মোহাম্মাদ আবদুল হালিম)
জাকির নায়েকের লেকচার (আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান)
স্বতন্ত্র ভাবনা
একটা বিষয় আমিও শুনেছি যে, আল্লাহ নাকি নিষেকের ৪০ দিন পরে আত্মা প্রদান করেন। কিন্তু মজার বিষয় হল, শুক্রানু হতে ডিম্বানুর একত্রিতকরন পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া, তাতে স্পষ্ট দেখা যায় যে, শুক্রানু জীবিত। ডিম্বানুতেও প্রান থাকে, না হলে নিষেক সম্ভব হত না। শুক্রানুর চলনে সেটাই দেখা যায়। জীবন্ত শুক্রানু এবং জীবন্ত ডিম্বানুর মাধ্যমে নিষেকের যে প্রক্রিয়া, এর মধ্যে আল্লাহ নতুন করে জীবিত নিষেকের মধ্যে জীবন ঢুকানোর প্রয়োজনীয়তা কেন?
@আ হা মহিউদ্দীন,
মানুষের অনুভূতির সীমা অনেকটা বিস্তর। ধর্মানুভূতি, প্রেমানুভুতি, সুখানুভূতি ইত্যাদি অনুভূতি যেমন মানুষ ধারণ করে তেমনি এসবের বিপরীত অনুভূতিও অনুভূত হয়। ধর্মানুভুতির প্রচার করতে গেলে অধর্মানুভুতিতে আক্ষরিক অর্থে আঘাত আসতে পারে। তাহলে কি আমরা কারো অনুভুতির নিরাপত্তা দিতে পারি? আলোচনা-সমালোচনা নিষিদ্ধ করে অনুভুতি নিরাপদ রাখার দোহাই দেয়া কতটুকু উচিত? কথা হচ্ছে যেটা আলোচনার অধিকার রাখে সেটাকে সমালোচনার পথও খোলা রাখা উচিত। যুগ যুগ ধরে লালিত অনুভূতি কয়েকটি সমালোচনায় আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে সত্যি সেটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে এই আর কি।
আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চমৎকার :guru:
@গোলাপ ও @বাদল চৌধুরী
গোলাপ
আমি আগেই উল্লেখ করেছি আধুনিক মানুষ হিসাবে সপ্তম শতাব্দির কোরাণ ও তার আয়ত নিয়ে আলোচনা করতে পুস্তুত নই । তারপরেও আমাকে বাধ্য করেছেন আয়তগুলি পড়তে । কোরান স্বীকার করে তোরাহ ও বাইবেল আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত । কারন তোরাহ, বাইবেল ও কোরাণ অনুসারিরা একেশ্বরবাদী । এরা পৌত্তলিক নয় । তাই আধুনিক ইতিহাস এদেরকে সমগোত্রে ফেলে । একমাত্র কুরাইশেরাই বহু ঈশ্বরে বিস্বাসী পৌত্তলিক । যেহেতু তারা ইহুদী, খৃষ্টান নয় এবং মুসলমানও নয় । ঐ আয়তগুলিতে এই বক্তব্যই উচ্চারিত হয়েছে ।
আমি আধুনিক ইতিহাসে আস্থাবান, ইসলামিক পরিভাষায় নয় । এই বিষয় এটাই আমার শেষ পোষ্টিং ।
বাদল চৌধুরী
আমি বলেছিলাম যা সাধারন মানুষের অনুভুতিকে আঘাত করে তার সমালোচনা করা উচিত নয় । এখন যদি আপনার উচিত মনে হয়, তা হলে সমালোচনা করেন । তবে এবিষয় এটাই আমার শেষ পোষ্টিং । এইখানেই আলোচ্য আলোচনার ইতি টানলাম ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আমি আপনার মন্তব্য, “তাই কুরাইশেরা হলো মুহাম্মদের কাছে একমাত্র অমুসলমান” এর সপক্ষে রেফারেন্স চেয়েছিলাম। তা না দিয়ে আবারো উল্টো-পাল্টা মন্তব্য করেছেন।
ইসলামের মুল শিক্ষা হলো পৃথিবীর সমস্ত মানুষ দুই ভাগে বিভক্তঃ
১) মুসলমান = যে মুহাম্মদের (ও তার কল্পিত আল্লাহর) বশ্যতা স্বীকার করে তার কথামত চলে। তা সে পৌত্তলিক, ইহুদী-খৃষ্টান যেখান থেকেই আসুক না কেন। এরাই একামাত্র “সৎ পথ প্রাপ্ত এবং আল্লাহর আশীর্বাদ পুষ্ঠ।
২) অ-মুসলমান = যে মুহাম্মদের বশ্যতা স্বীকার করে নাই। বিপথগামী, অভিশপ্ত, আল্লাহর লানত প্রাপ্ত -ঘৃনিত। । এরা ছিলেন,
ক) একেশ্বরবাদী – হানিফ সম্প্রদায়, ইহুদী -খৃষ্টান (আহলে কিতাব), । জরাষ্টুয়ান (Zoroaster)
খ) বহু-ইশ্ব্র্ররবাদী – মক্কার পৌত্তলিকরা, ভারতের হিন্দু।
@আ হা মহিউদ্দীন,
ধর্মগ্রন্থগুলো কি অমানবিক নয়, অবৈজ্ঞানিক নয়,অসত্য নয়? তবে কেন ধর্মের সমালোচনা করা যাবেনা? ধর্ম থেকে যারা বেরিয়ে এসেছেন আমার জানা মতে তাদের প্রায় সকলেই ধর্মগ্রন্থ পড়েই ধর্মের বর্বরতা ও আজগবিতা দেখেই আর ধর্মে থাকা সমীচীন মনে করেননি। বেশির ভগ ধার্মিক মানুষই ধর্মগ্রন্থ তাদের নিজ ভাষায় পড়ে দেখেননি, তাই যারা পড়েছেন তাদের কি উচিত নয় ধর্মের বর্বরতাগুলো সবাইকে দেখিয়ে দেওয়া? মুক্তমনাতে ধর্ম নিয়ে যখন কোন লেখা আসে তাতে ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্স থাকে, নিজের বানানো কোন কিছুতো থাকেনা। যেকোন বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক হতে পারে সুষ্ঠুভাবে। কোন কিছুই সমালোচনার ঊর্ধে নয়। আপনি ধর্মকে সমর্থন করতে চাইলে এর পক্ষের অথবা ভাল দিকগুলো ধর্মগ্রন্থের আলোকে আলোচনায় উপস্থাপন করতে পারেন।
@তামান্না ঝুমু,
“ধর্মগ্রন্থ পড়েই ধর্মের বর্বরতা ও আজগবিতা দেখেই আর ধর্মে থাকা সমীচীন মনে করেননি”।আপনি শিক্ষিত মহিলা তাই হয়ত সমীচীন মনে করেন নাই । কিন্তু যারা আপনার মত শিক্ষিত নয় এবং কোন দিন কোরাণও পড়ে নাই তারা কিন্তু ধর্মে থাকতে চায় এবং তারা ধর্মের সমালোচনাও পছন্দ করে না ।
আপনি একজন প্রগতিশীল মানুষ রাজনীতি করেন না এবং সাধারন অশিক্ষিত মানুষের, এমন কি শিক্ষিত মানুষের সাথে কোন যোগাযোগ নাই, অর্থ্যাৎ মাঠের বাস্তবতার সাথে সম্পর্কহীন । বাস করেন ইন্টারনেটে, তাই ধর্মের উলঙ্গ সমালোচনা করতে চান । যেমন মাঠে বসবাসরত তসলিমা নাসরিন ও হুমায়ন আজাদ করিতে গিয়া, তাদের পরিনতির কথা চিন্তা করুন ।
যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে, যেখানে হাজারের উপর বাঙালি নর-নারীর সমাগম হয়, তসলিমা নাসরিন আসলে সকল ধর্মের মহিলারা উসখুস করেন ।
আপনি যে বক্তব্য এখানে উপস্থাপন করলেন, তা নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটে এসে পাবলিকলি বলুন, দেখবেন কিল একটাও মাটিতে পড়বেনা । যারা আপনাকে কিলাবে, তারা কেউই মৌলবাদী নয়, সকলেই আপনার মতো শিক্ষিত মানুষ ।
এই জ্যাকশন হাইটেই আমরা প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করি । নারীর স্বাধীনতা, পিতৃ সম্পত্তির সম অধীকার, মৌলবাদের সমালোচনা, ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথকীকরণ এর কথা বলি, মানুষ সমর্থন করে । তারপরও ধর্ম রাষ্ট্রএর ঘাড়ে চেপে বসে । আর আপনি কিনা চাচ্ছেন ইন্টারনেটে ধর্ম ব্যাশিং করে মানুষের মন থেকে ধর্ম মুছে দিবেন । যাক আপনার যখন ইচ্ছা হয়েছে তখন দিতে থাকেন ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনকে আমি বছরের পর বছর ধ’রে ক্রমাগত অনুরোধ ক’রে যাচ্ছি কোরানের অনুবাদ পড়ার জন্য। কিন্তু তারা কেউ আজ পর্যন্ত তা করেনি। কোরানের কোন কোন সুরায়, কোন কোন আয়াতে অমানবিকতা আছে, নৃশংসতা আছে, বিজ্ঞানের সাথে সংঘাত আছে, আজগবিতা আছে তা তো কারো পক্ষে জনে জনে ব’লে বেড়ানো সম্ভব নয়। যতোটা লিখে সম্ভব। তাই লেখাতে আয়াত ও সুরা নাম্বার দেয়া থাকলে পাঠক অন্তত তার সত্যতা যাচাই করার জন্যে হলেও কমপক্ষে কোরানের সেই অংশটুকু পড়ে দেখবে। ধর্মগ্রন্থ না পরলে ধর্মে কী আছে তা কখনো জানা সম্ভব না তাই তারা ধর্মের সমালোচনা পছন্দ করেনা। যারা ধর্মের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, তাদের কী উচিত নয় যারা ধর্মে আছে তাদেরকে ধর্মের অন্ধকারগুলো দেখিয়ে দেয়া?
সেই প্রাচীনকাল থেকেই মৌলবাদীরা হত্যা করে চলেছে দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও প্রগতিশীল মুক্তমনের মানুষকে। তাই বলে প্রগতিশীলতা থেমে থাকেনি, মানুষের কলম থেমে যায়নি।
সত্য বলার অপরাধে যারা মানূষকে আঘাত করে তাদের যত বড় ডিগ্রীই থাকুকনা কেন তারা অবশ্যই মৌলবাদী। কারো মতামত বা বক্তব্যের বিপরীতে যদি অন্য কারো কিছু বলার থাকে তাহলে সে বিষয়ে তাদের পাল্টা যুক্তি ও মতামত সুন্দর সুষ্ঠুভাবে উপস্থাপন করা উচিত, মারামারি ক’রে নয়।
নারীর স্বাধীনতা, পিতৃসম্পত্তিতে নারীর সম অধিকার, রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে পৃথকীকরণ এগুলো কী ইসলাম বিরোধীতা নয়? একদিকে ধর্মের পক্ষে বলা অন্যদিকে ধর্মের বিপক্ষে বলা স্ববিরোধীতা নয় কী?
যতার্থ মন্তব্য। খুব অল্প লোকই দেখাতে পারে মৃতুর ঝুঁকি নিয়েও ‘সত্য’ প্রকাশের সৎসাহস।
“মডারেট ইসলাম” বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব ইসলামে নাই। মুহাম্মাদের ইসলামই একমাত্র ইসলাম।তথাকথিত ‘মডারেট মুসলমানেরাও” ইসলামের শিক্ষায় কতটা ভয়াবহ ও “বর্বর” হতে পারে তার প্রানবন্ত উদাহরন মহিউদ্দিন সাহেবের যতার্থ মন্তব্যঃ
আজ ১৪০০ বছর পরেও মানুষ ইসলামী শিক্ষার বিপরীত যে কোন মন্তব্য প্রাকাশ্যে করলে “মৃত্যু ভয়ে” ভীত হতে হয়। সহজেই অনুমান করা যায়, মুহাম্মাদের জীবদ্দশায় ‘তার এবং তার ইসলামের সমালোচনাকারীর’ কি পরিনতি হয়েছিল। অল্প কিছু উদাহরনঃ
Quran (3:151) – “Soon shall We cast terror into the hearts of the Unbelievers-
Quran (8:12) – “I will cast terror into the hearts of those who disbelieve. Therefore strike off their heads and strike off every fingertip of them —
Quran (9:5) – “So when the sacred months have passed away, then slay the idolaters wherever you find them, and take them captives and besiege them and lie in wait for them in every ambush, then if they repent and keep up prayer and pay the poor-rate, leave their way free to them.”
Quran (9:29) – “Fight those who believe not in Allah nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by Allah and His Messenger, nor acknowledge the religion of Truth, (even if they are) of the People of the Book, until they pay the Jizya with willing submission, and feel themselves subdued.”
Bukhari ( vol 4, bk 52, no 220) – Allah’s Apostle said… ‘I have been made victorious with terror’
মক্কা বিজয়ের পর পৌত্তলিকদের “মৃত্য” এবং “মুসলামনিত্ত বরন” এদুটির একটি বেছে নিতে বলেছিলেন (৯:৫)। আহলে কিতাবদের (ইহুদী-খৃষ্টান) এর জন্য “”মৃত্য”, “মুসলামনিত্ত বরন” অথবা “বশীভুত-অপমানিত অবস্হায় জিযিয়া প্রদান” (৯:29) – এ তিনটির যে কোন একটি বেছে নেয়ার সূযোগ দিয়েছিলেন আমাদের “দয়াল নবী”।
ইসলামে বর্বরতা আজকের ‘জংগী বাদী বা তথাকথিত মডারেট” মুসলমানদের আবিষ্কার নয়। এটা মুহাম্মাদের শিক্ষা। এটাই ছিল তার দশ বছেরের মদীনা জীবনে হাজার হাজার মানুষকে “ইসলামের পদতলে” দিক্ষিত করার “মূল চাবি-কাঠী”। সীরাতে (মুহাম্মাদের জীবনী-গ্রন্থ) তার vivid বর্ননা দেয়া আছে।
@তামান্না ঝুমু,
বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোসহ বাংলাদেশের মহিলা সমিতি মাঠের বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে কর্ম-কৌশল গ্রহন করে । উক্ত কর্ম কৌশল মাঠের অভিজ্ঞতাহীন আপনার মত মানুষের কাছে স্ববিরোধীতা মনে হওয়াটাই স্বাবাভিক । কারন আপনার জ্ঞান আছে, কিন্তু জ্ঞান প্রয়োগ কৌশল জানা নাই । আপনার আরও জানা নাই যে অশিক্ষিত সাধারণ মানুষসহ শিক্ষিত মানুষের ইসলামে বিশ্বাস কোরান পড়ে হয়নি এবং বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ধর্মগ্রন্থ পড়তে হয় না ।
ধর্মগ্রন্থগুলো হলো বিভিন্ন কালের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে মানব জ্ঞানের সমাহার, ফলে সমাজ, সভ্যতা ও ইতিহাসের অঙ্গ । তাই নৃ-বিজ্ঞান অনুযায়ী ধর্ম হলো বংশপরাম্পরায় অর্জিত মানব সাফল্যের গর্বিত উৎসব । কিন্তু আপনার কাছে ধর্ম হলো অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক ও অসত্য । কারন বিষয়টি আপনি দেখেন বিচ্ছিন্নভাবে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে । কিন্তু আমার মতো বাম প্রগতিশীলেরা ধর্মকে দেখে সমাজ, সভ্যতা ও ইতিহাসের ভিত হিসাবে এবং প্রেক্ষাপটে । ফলে আমাদের কাছে ধর্ম হয়ে যায় ব্যক্তিগত বিশ্বাস ।
আপনারা মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে মৌলবাদীদের মত করেন আক্রমন, আমরা মানুষের ব্যতিগত বিশ্বাসকে করি শ্রদ্ধা । এইখানেই মৌলবাদ ও আপনাদের মধ্যে আমাদের পার্থক্য ।
যাক, আপনি আপনার জ্ঞান নিয়ে ধর্মকে আক্রমন করতে থাকুন । কারন আপনারা শিশু নয় যে জ্ঞান দেয়া যাবে । তা ছাড়া আমি বিতর্কে বিশ্বাস করি না । তাই আলোচনার ইতি টানলাম ।
@পাপিয়া চৌধুরী, @গোলাপ ও @বাদল চৌধুরী
পাপিয়া চৌধুরী
শিশুর মলমুত্র ত্যাগের উদহারণ আপনার কাছে অসম্মানজনক মনে হয়েছে । কিন্তু শিশু হলো পবিত্র, অন্যের দরজায় মলমুত্র ত্যাগের ক্ষমতা সে রাখে না । তাছাড়া তার কোন বুদ্ধিও থাকে না । ধর্ম এরকমই একটি বুদ্ধিহীন পবিত্র শিশু, যে অন্যের দরজায় মলমুত্র ত্যাগের, অর্থ্যাৎ ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে না । তবে অন্যে যদি ঐ শিশু, অর্থ্যাৎ ধর্মের নাম নিয়ে কারও ক্ষতি করে, তার জন্য ত শিশু, অর্থ্যাৎ ধর্ম দায়ী হতে পারে না । তাই বলছিলাম ধর্ম সমালোচনার উর্ধে ।
ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে ধর্মকে আপনার সার্বিকভাবে ক্ষতিকর বলে মনে হয়েছে । তাহলে World History, Civilization from Its Beginning, page 100 এর নিম্নে উদ্ধৃত অংশটুকু পড়ুন ।
So Arabia’s two halves lacked unity. And in each half the people were divided, in the North as separate and often warring nomad tribes, in the South as the scattered inhabitants of an ancient kingdom.
Into this divided land burst a new force: a religious message destined to reshape the lives of Arabs everywhere. The man who brought this message was a preacher called Mohammed.
এই ইতিহাসের কথাই আমি আপনাকে বলেছি, যা আপনার কাছে সভ্যতা, সমাজ ও ধর্মের ভাবসম্প্রসারন বলে মনে হয়েছে । যাক আপনার ইতিহাসের জ্ঞান নিয়ে আপনি থাকুন ।
গোলাপ
আধুনিক মানুষ হিসাবে আমি সাধারনত কোরান ও তার আয়ত নিয়ে আলোচনা করি না । কারন এর আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট হলো সপ্তম শতাব্দি । ইহুদী, খৃষ্টান ও ইসলাম হলো একেশ্বরবাদী ধর্ম । কিন্তু কুরাইশেরা ছিল বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসী । আপনার উল্লেখিত আয়াত, যথা; ৩-১৯, ৩-৮৫, ৪-১৪, ৪-৪৮, ৪-৫৬ তে আছে একেশ্বরবাদের গুণকির্তন এবং বিশ্বাস না করলে তার শাস্তি । বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসী কোরাইশেরা ছিল মুহাম্মদের শত্রু । শত্রুকে দোজকের ভয় দেখিয়ে একেশ্বরবাদে নিয়ে আসার লক্ষ্যে বর্ণিত আয়াতের আবির্ভাব । আয়াত ৫-৭২, ৫-৭৩ এবং ৭-১৫৮ তে একেশ্বরবাদী ইসরাইলের বংশধরদেরকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তোমাদের কাছে মরিয়মের পুত্রকে রসুল করে প্রেরন করা হয়েছিল, কিন্তু ইহুদীদের মধ্য থেকে যারা তাকে হত্যা করেছ এবং খৃষ্টানদের মধ্য থেকে যারা তাকে আল্লাহর পুত্র হিসাবে গণ্য করছে তারা আল্লাহর শাস্তি ভোগ করবে ।তাই দেখা যাচ্ছে ইহুদী, খৃষ্টান ও ইসলামের মধ্যে মুহাম্মদ কোন পার্থক্য নিরূপন করেন নাই । এদের মধ্যে কারও কারও আল্লাহর ধর্ম থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে । তাই কুরাইশেরা হলো মুহাম্মদের কাছে একমাত্র অমুসলমান, যা আমি উল্লেখ করেছি ।
আপনার দেয় রেফারেন্সে বর্ণিত মুহাম্মদের জীবন আমি পড়ে ছিলাম । কিন্তু আমি মুহাম্মদের জীবনীর চেয়ে তার কর্মকান্ড, যা ইতিহাসে বর্ণিত, তে উৎসাহিত বেশি । তাই বারবার ইতিহাসের কাছে যাই ।
বাদল চৌধুরী
মুক্তমনায় প্রকাশিত ইসলাম, মুহাম্মদ, কোরান ও মুসলমান ব্যাশিং সংক্রান্ত লেখা, যার অনেকগুলিতে আমি প্রতিবাদ করেছি, এর সংখ্যা আর আপনার দেখা সংখ্যার পার্থক্য অনেক । ধর্ম কেন সমালোচনার উর্ধ্বে তার ব্যাখ্যা আমি পাপিয়া চৌধুরীর মন্তব্যের প্রতি উত্তরে দিয়েছি । গ্রহন করা বা না করা আপনার দায়ীত্ব ।
মুক্তমনা আমার কথায় চলে না । আমাকে মুক্তমনার ইচ্ছা মত চলতে হয় । অন্যথায় আমার মন্তব্য প্রকাশিত হয় না । মুক্ত মনায় আমি বহু গালাগালি শুনেছি । কিন্ত মুক্তমনার সেন্সারশীপ বাধা হয়ে দাড়ায়নি । তবে আমার প্রত্যেকটি লেখাকে সেন্সারশীপ অতিক্রম করতে হয় ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
অন্য কথায় আপনার মতে ‘শুধু কুরাইশরা ছাড়া’ বাকি সবাই মুসলমান। আপনার এ মন্তব্যের সপক্ষে কোন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স দিতে পারেন কি?
ইসলামিক পরিভাষায় ‘ইহুদী, খৃষ্টানদেরকে বলা হয় “আহলে কিতাব”।
তারা তখুনি মুসলমান মর্যাদা পাবে যদি তারা সবজান্তা মুহাম্মাদকে (মুহাম্মাদের দাবী তারা তাদের গ্রন্থ বিকৃত করেছে -মুহাম্মদের আল্লাহ তাকে তা জানিয়েছে) নবী হিসাবে মেনে নিয়ে তার কথামত চলবে। “বিচার মানি তবে তাল গাছ আমার” জাতীয় স্ট্যটেজী (দেখুন এখানে)। মক্কা বিজয়ের পর
এই “আহলে কিতাবরা” পেয়েছিল “ধিমিণী” প্রতীক।
(দেখুন এখানে) লিঙ্কটা কাজ করছে কিনা নিশ্চিত নই। আবার যোগ করছি।
@আ হা মহিউদ্দীন,
শিশুসুভ/সংগতিহীন কাজকে যারা সর্বযুগে প্রজোয্য বলছে, তাদের দাবীর বিপরিতে ধর্মগ্রন্থকে রেফার করে আলোচনায় আনতে হচ্ছে। সেটাকে আলোচনা সমালোচনা যাই বলেন সেটাও আপনার বিষয়।
মন্তব্যে বাকি অংশের জন্য বলছি, আপাতত মুল বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতার বাইরে যেতে চাচ্ছি না ।
@আদিল মাহমুদ, @গোলাপ, @বাদল চৌধুরী ও @রৌরব
আদিল মাহমুদ
আপনার বক্তব্য অনুযায়ী আস্তিক হলেই আবেগের বসে অন্ধ হতে হবে যেমন কোন কথা নাই, তেমনি নাস্তিক হলেই অন্ধ হয়ে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য নিয়ে আসতে হবে এমনও কোন কথা নাই । প্রফেসর সালাম তার ব্যক্তিগত মত দিয়েছেন । কারো ব্যক্তিগত মত শিরধার্য নয় । আস্তিক, নাস্তিক ও আবেগ প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিষয় নয়, এগুলো দর্শনশাস্ত্রভুক্ত বিষয় । তাই প্রসঙ্গিক ভাবেই আপনাকে আস্তিক ও নাস্তিকের সংজ্ঞা দিয়ে বুঝাবার চেষ্টা করা হয়েছিল । দুঃখের বিষয় নিজেকে মুক্তমনা ভাবলেও মনটা মুক্ত নয় বলে মনে হয় ।
গোলাপ
কোন ঘটনা বা বিষয় অথবা বস্তু এর অংশ, পূর্ণ ঘটনা, বিষয় ও বস্তুকে প্রতিনিধিত্ব করে না । আমার বক্তব্যের ২/১ বাক্য উদ্ধৃত করে আপনি যে মন্তব্য করেন, তা আমার পূর্ণ বক্তব্যকে বিকৃত করে ।
তাছাড়া রেফারেন্স সহ আপনার শেষ বক্তব্য ছিল “ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কুরাইশরা ‘তাদের ধর্ম-রক্ষার’ খাতিরে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল যখন মুহাম্মদ তাদের ‘পুজনীয় দেব-দেবীদের তাচ্ছিল্য’ এবং তাদের পুর্ব-পুরুষদের অসম্মান করা শুরু করে”। আপনার উক্ত বক্তব্যের সাথে ঐক্যমত পোষণ করলাম, কিন্তু এখন বলছেন এটা আমার ব্যক্তিগত মত । এমতাবস্থায় আপনাদের সাথে বেহুদা আলোচনা করে লাভ নাই ।
বাদল চৌধুরী
আপনি কচি খোকা নয় যে আপনাকে বলে দিতে হবে কোনটা সমালোচনার উর্ধে, আর কোনটা উর্ধে নয় । গত দুই বছরের প্রতিমাসে ইসলাম, মুহাম্মদ, কোরাণ ও মুসলমানদের চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধার করে ২/১টা লেখা মুক্তমনায় প্রকাশ হয়েছে । এমন কি সি আই এ কর্তৃক সৃষ্ট আল-কায়দা কর্তৃক টুইন টাওয়ার ধ্বংস এবং ৩-৪ হাজার মানুষ হত্যার দায়ও ইসলাম, কোরাণ, মুহাম্মদের শিক্ষা ও মুসলমানদের উপর চাপিয়ে প্রবন্ধ মুক্তমনায় প্রকাশিত হয়েছে । কিন্তু ইরাকের ৪০ লক্ষ শিশু হত্যা ও সাধারণ পাঠানদের দুঃখ-কষ্ট এর কারণ, কেন প্যালেষ্টাইনীরা ৬০-৭০ বছর ধরে নিজ দেশে পরবাসী, তিউনেশিয়া, মিসর ও ইয়ামেনের সাধারন মানুষ যদি সংশ্লিষ্ট সরকারকে উৎখাত করতে পারে, তা হলে যুক্তরাষ্ট্র কেন গাদ্দাফিকে অপসরনের জন্য সাধারন মানুষের উপর বোমা হামলা করছে, এ ব্যাপারে মুক্তমনায় আজ পর্যিন্ত একটা প্রবন্ধও আমার চোখে পড়েনি । তাই দেখা যাচ্ছে যে মুক্তমনা দাবীদারদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল ইসলাম, মুহাম্মদ, কোরাণ ও মুসলমানদেরকে ব্যাশিং করা । আমি যে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করলামসে সকল দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান । মুক্তমনা দাবীদারদের কাছে এই মুসলমানেরা হলো সন্ত্রাসী । তাই এই সন্ত্রাসীরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি ।
রৌরব
ইসলাম, মুহাম্মদ, কোরাণ ও মুসলমান ব্যাশিং না করতে পারলে আপনার পেটের ভাত হজম হয় না । ইসলাম ও মুহাম্মদ সম্পর্কে ইতিহাসের বিশ্লেষণ শুনলে আপনার কাছে হাস্যকর মনে হয় । অতএব নিজেকে মুক্তমনা দাবী করে চোখ বন্ধ করে থাকুন ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
কচি খোকা মনে করে কি বড় খোকা সেজে ধর্মগ্রন্থ সমালোচনার উর্ধ্বে বলে গেলানোর চেষ্টা করেছিলেন?
আমি আগেও বলেছি, আপনার দাবী অনুযায়ীও ২/১টি লেখা ব্যতিত আর বাকি সব লেখা ভিবিন্ন প্রসংগের উপর। আমার দাবী ছিল কোন কিছু সমালোচনার উর্ধ্বে নয়, তার উপর আবার সংগতিহীন একটি বিষয়। আপনার পছন্দ মত সমালোচনা মুক্তমনায় আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। নীতিমালা মেনে আপনিও লিখতে পারেন আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে। তাছাড়া আপনার উল্লেখিত ব্যাপারে মুক্তমনায় যে লেখা হয় নি তা নয়। ব্লগের খুঁজ করুন অপশনে অনুসন্দধান করলে দেখবেন প্রবন্ধে, মন্তব্যে কতভাবে প্রতিবাদ/আলোচনা/সমালোচনা স্বরুপ ঘুরে-ফিরে কথাগুলো এসেছে। আপনার আবদার আর অভিমানগুলো বড় অদ্ভুত। লেখা পছন্দ হলে তো হল নয়তো যা তা বলছেন। হযরতরা মুক্তমনায় যেভাবে বলে আরকি। আরেকটা কথা বলি, আপনি ব্যক্তিগতভাবে মুক্তমনায় যে যে বিষয়ে লেখা আসা উচিত বলে মনে করেন সে সে বিষয়ে মুক্তমনে লিখে ফেলুন। তাহলে মুক্তমনাও সমৃদ্ধ হবে আর আপনার দেয়া অপবাদও গুছবো। কি বলেন, ভাল হবে না? খামোকা, এসব দাবী-দওয়া, আবদার (সমালোচনার উর্ধ্বে, এটা লিখছেন, ওটা লিখছেন না) করে কিছু একটা হতে হতে নিজেই করে ফেলা ভাল না?
@আ হা মহিউদ্দীন,
আমি লিখেছিলামঃ
আপনার জবাব ছিলঃ
প্রতুত্তরে আমার জবাবঃ
তার জবাবে আপনি লিখেছেন (পুরো বক্তব্য)ঃ
তার মানে আপনি আমার রেফারেন্স দেয়া ‘লিঙ্কটি (‘দেখুন এখানে’) ‘ পড়েনই নাই, না পড়েই জবাব লিখেছেন। ওখানে কোন কুরানের আলোচনা ছিল না। ছিল “সীরাত (মুহাম্মাদের জীবন)” আলোচনা।
আপনি ঠিকই বলেছেন। মহি উদ্দিন সাহেব, আমারা মানুষের “ধর্ম অনুভুতি সম্পুর্ন” স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। উপযুক্ত রেফারেন্স (কুরান-হাদিস/সীরাত) ছাড়া ব্যক্তিগত মতামত ‘ব্যক্তি পর্যায়ে’ রাখাই শ্রেয়। আপনার রেফারেন্সহীন মন্তব্য কুরানে বর্নিত অমুসলমানেরা ছিলেন কুরাইশেরা‘ যে সত্য নয় তা কুরানের রেফারেন্স দিয়েই জানিয়েছি। আরো স্পষ্ঠ রেফারেন্স দেখুন ভার্স ৭:১৫৮
বহু পাঠক আমাদের মন্তব্য পড়ছেন। তারাই আমাদের এ আলোচনার উত্তম ‘বিচারক’।
ভাল থাকুন।
মুছল্মানেরা একটি প্রস্তরযুগীয় মৃগীরোগী পিডোফাইলের ফাঁদা ভুতখেদানো দৈত্যিদানোর গল্পে ভ্রুনতত্ব খুঁজে পায় বলেই বোধহয় বিগত শত শত বছরে বিজ্ঞানে কোন উল্লেখযোগ্য অবদান তারা রাখতে পারেনাই এবং পারবেও না আগামী হাজার হাজার বছরে। :-[ :-[
@আল্লাচালাইনা,
একমত আপনার সাথে। আবিষ্কার করতে তো মগজ লাগে, গলাবাজি করে কি আর বিজ্ঞানে অবদান রাখা সম্ভব? আর তারা মিল যতটুকু খুঁজে পায় তাও গোজামিল।
প্রাসঙ্গিক একটি ভিডিও ‘ক্লিপ’ঃhttpv://www.youtube.com/watch?v=kGz4TdtYkAE&NR=1
httpv://www.youtube.com/watch?v=ujhDQuOTCgg&feature=related
@আদিল মাহমুদ
দর্শনশাস্ত্র অনুযায়ী আস্তিক ও নাস্তিক হলো বিশ্বাস নামক দন্ডের দুই প্রান্ত । অর্থ্যাৎ আস্তিক হলো কম নাস্তিক এবং নাস্তিক হলো কম আস্তিক । উভয়ই বিশ্বাসীই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানে তদপর । আমি আস্তিক বা নাস্তিক কোনটাই না । আমি ইসলাম, মুহাম্মদ ও কোরাণকে দেখি দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের দৃষ্টিকোন থেকে, যা স্থান কাল ও পাত্র নির্ভর । ফলে আপনাদের সাথে আমার দ্বিমত হয়ে যায় ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
এখানে যে প্রসংগের অবতারনা করা হয়েছে তার সাথে আপনার বিশ্বাস কি বা আস্তিক নাস্তিকের দর্শনের সরাসরি সম্পর্ক নেই। আপনাকে প্রায়ই দেখি প্রসংগ থেকে চট করে অনেক দূরে চলে যান, নানান তত্ত্ব কথা নিয়ে আসেন।
কোরানে বিজ্ঞান আবিষ্কার রোগের বিরুদ্ধে প্রফেসর আবদুস সালাম যে সতর্কবানী দিয়েছিলেন তা জানেন তো?
আস্তিক হলেই যে সবাইকে আবেগের বশে একেবারে অন্ধ হতে হবে এমন কোন কথা নেই।
@পাপিয়া চৌধুরী, @গোলাপ, @রাইট স্মাইল, @রৌরব, @যাযাবর, @হৃদয়াকাশ, @বাদল চৌধুরী
পাপিয়া চৌধুরী
আমাদের সকলেরই একটা শিশুকাল ছিল । সেই কালে যেখানে সেখানে মলমুত্র ত্যাগ করেছি । তারপর কৈশোর কালে যা করেছি, তা আজ হাস্যকর মনে হয় । কিন্তু ঐ কালগুলোকে আমরা সমলোচনা করি না । কারণ কালগুলি সমালোচনার উর্ধে । সমাজ ও সভ্যতার উষা লগ্নের বিভিন্ন কালে ধর্মগুলির আবির্ভাব ঘটেছে, অর্থ্যাৎ সভ্যতার শিশু-কৈশোর কালে, তাই ধর্ম সমালোচনার উর্ধে ।
ইতিহাস থেকে জানি রোমের দাস প্রথা ভেঙ্গে ভ্যাটকানের যাজকতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে । এই যাজকতন্ত্র থেকেই সামন্তবাদের জন্ম । ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিল সামন্তবাদ । যাজকতন্ত্র তার নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং সামন্তবাদ তাদের নিজ নিজ আধিপাত্য বিস্তারের লক্ষ্যে কোন কোন সামন্তবাদ যাজকতন্ত্রের পক্ষে এবং অন্যেরা বিপক্ষে অবস্থান নেয় । ফলে ষষ্ঠদশ শতাব্দির শেষার্ধ থেকে ইউরোপে ক্যাথলিক ও প্রোটেষ্ট্যানদের মধ্যে একশত বছর ধরে ধর্ম যুদ্ধ চলে । ফলে সামন্তবাদ থেকে এক উদরপন্থী মধ্যবিত্তের জন্ম নেয়, যারা আধুনিক রাষ্ট্রের জন্ম দেয় এবং ঘোষণা দেয় রাষ্ট্র ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করবে না ও ধর্ম রাষ্ট্রের উপর হস্তক্ষেপ করবে না । অর্থ্যাৎ রাষ্ট্র হবে ধর্ম নিরাপেক্ষ ।
ইতিহাসের অগ্রগতি হয়েছে, দাসপ্রথা, যাজকতন্ত্র, সামন্তবাদ হয়ে সমাজ আধুনিক পুজিবাদ সমাজে এসে পৌছিছে । মানুষ কর্তৃক মানুষ শোষণের রকম ভেদ ঘটেছে, কিন্তু শোষণের অবসান ঘটেনি । পুজিবাদের শোষণের কারণে মানুষ অনিশ্চয়তায় ভোগে । ইতিহাসের আলোচ্য প্রেক্ষাপটে আপনি ধর্মকে দেখেন বিচ্ছিন্ন ভাবে, আর আমি দেখি সামগ্রিক ভাবে । আমার মন্তব্যগুলিকে আপনার পরস্পর বিরোধী মনে হয়েছে, কারন আপনি ইতিহাস সচেতন নয় ।
গোলাপ
রেসিডেন্সি গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে আমি যা দেখেছি এবং ফেকাল্টির সাথে আলোচনায় যা বুঝেছি, তাই আমার লেখায় ব্যক্ত করেছি । বর্ণিত ফেকাল্টির ব্যক্তিরা বলেছেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাষ্ট্রের দশটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ।
একজন প্রোগ্রাম ডাইরেক্টরও ছিলেন, যিনি অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন । বর্ণিত ডাইরেক্টর মহিলা আধ্যাপক সাহেবকে পরিচিত করে বলেন, তিনি আলোচ্য প্রোগ্রামের মূল ব্যক্তি । ফেকাল্টি মেম্বারদের নাম থেকে প্রতিয়মান হয় যে তারা কেউই হিন্দু বা মুসলমান নন । গ্রাজুয়েটদের মধ্যে ২/১ হিন্দু ও মুসলমান ছিলেন । আমার কাছে ইহুদী, হিন্দু, খৃষ্টান ও মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ছিল সামাজিক প্রথা । উপস্থিত সকলেই উক্ত ধর্ম বিশ্বাস থেকে আগত ।
আপনার প্রদর্শিত পরিসংখ্যান দিয়ে পুজিবাদ পরিচালিত হয় না । পুজিবাদের জন্য প্রয়োজন পুজির, যা খৃষ্টান ও ইহুদীদের আছে, মেধা, যা হিন্দু(ভারত)এর আছে এবং সম্পদ ও শ্রম, যা মুসলমান প্রধান দেশগুলিতে আছে । তাই আমার কাছে ধর্ম কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় ।
কান টানলে মাথা আসে । তাই ইতিহাস পড়লে ধর্ম আসে । আবার দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ পড়লে ইতিহাস ও ধর্মকে বিশ্লেষণ করা যায় ।
আপনার মন্তব্যের শেষ প্যারা থেকে উদ্ধৃত পরে বলছি, কোরাণে বর্ণিত অমুসলমানেরা ছিলেন কুরাইশেরা । তাই কোরাণকে সপ্তম শতাব্দিতে রেখে দিয়ে, বর্তমান ঘটনাগুলি, বিশ্লেষণের আধুনিক টুলস দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করুন ।
বাদল চৌধুরী
আমেরিকা এটোম বোম মেরে হিরোসিমা ও নাগাসাকিকে ধ্বংসলীলায় পরিণত করেছিল । এই ধ্বংসলীলা কে করলো, বিজ্ঞান, এটম বোম বা মার্কিন সাধারণ মানুষ অথবা পুজিবাদী রাজনীতি ? বিশ্বাস-অবিশ্বাস বা জীবনের অনিশ্চয়তা বুঝার আগে আমেরিকা কত লক্ষ শিশুকে ইরাকে হত্যা করেছে, তার পরিসংখ্যান বেড় করুন । তারপর বিষয়টি সামগ্রিক ভাবে বিশ্লেষণ করুন ।
রৌরব, রাইট স্মাইল, যাযাবর, সীমন্ত ঈগল ও হৃদয়াকাশ
আশা করি উপরের বর্ণিত আমার মন্তব্যগুলি থেকে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
অতএব দাসপ্রথা, সতীদাহ, বর্ণবাদ, জাতিবিদ্বেষ, পুরুষতন্ত্র এবং এরিস্টোটলের এথিকস সমালোচনার ঊর্দ্ধে। চমৎকার।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আশা করি আপনি আপনার প্রশ্ন, “এখন বলুন এই কাজটি তিনি কেন করলেন ?” উত্তর পেয়ে গেছেন। পুজিবাদের প্রয়োজনের তাগিদ!
@আ হা মহিউদ্দীন,
এটা আপনার ব্যক্তিমত, আমি তার সন্মান করি। কিন্তু ইসলাম তা স্বীকার করে না (3:19, 3:85, 4: 14, 5:72, 5:73, 4:48, 4:56,)
@আ হা মহিউদ্দীন,
কিসে কি উপমা দিলেন? শিশু বা কৈশোর কালের কার্যক্রমকে কেউ বয়সকালে অবশ্যই পালনিয় বলে দাবী করি না। আমরা ভাবি সেটা ঘটে চিন্তার অপরিপক্কতার জন্য। সেই কালে যেখানে সেখানে মল মুত্র ত্যাগকে কেউ যদি সবাইকে বয়সকালেও করতে বলে তাহলে হাসবেন না? ধর্ম যদি সভ্যতার “যেখানে সেখানের মল মূত্র” হয় তা হলে এসব অবশ্যই পরিত্যাজ্য। খামোকা গায়ে পিটে মল মূত্র মেখে থাকার বাধ্যবাধকতাকে সমালোচনার উর্ধ্বে রাখলেন?
এসব কর্মকান্ড কি সমালোচনার উর্ধ্বে দাবী করবেন? এসব বিষয়ের সমালোচনাও মুক্তমনার করে। সবি সন্ত্রাস, নামটা শুধু ভিন্ন। ধর্মীয় সন্ত্রাস, রাজনৈতিক সন্ত্রাস ইত্যাদি।
@আ হা মহিউদ্দীন,
মানুষ একবার প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর শিশুকালের নির্বুদ্ধিতার কাজগুলো আর করে না। একটা পূর্ণবয়স্ক মানুষ যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করলে আপনি তাকে সমালোচনা না করে ক্ষমা করে দেবেন? আরো ভেবে দেখুন সে যদি এই কাজ আপনার বাড়ির দরজায় এসে করে যায়? :-X
বর্তমান সভ্যতার যথেষ্ঠ বয়েস হয়েছে, আজকেও ধর্মের নামে অনাচার, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা তাকে মানায় না। এখন সময় হয়েছে ধর্মের মত অপচর্চা বন্ধ করা, সেটা সমালোচনা ছাড়া সম্ভব না। ধর্ম সভ্যতার একটি বদস্বভাব, সেটা ছাড়াতেই হবে। কোনো কিছুই সমালোচনার উর্ধে নয়, তবে সমালোচনা অবশ্যই যুক্তিসাপেক্ষ হতে হবে।
ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে আমিও ধর্মকে সার্বিক জানি, তবে তা হল সার্বিকভাবে ক্ষতিকর। মানব ইতিহাসে ধর্ম কখনো মঙ্গলময় ছিল না, ধর্মের সাথে সম্পর্ক শুধু ক্ষমতা আর অর্থের (আমার এক বন্ধুবরের উক্তি, আমার মতে ধর্মের যথার্থ সংজ্ঞা)।
আমি কতটুকু ইতিহাস সচেতন তার মূল্যায়ন আমি নিজে করছি না। তবে এটুকূ শিওর আপনার মন্তব্যের প্রত্যুত্তর করার জন্য ইতিহাস বোঝার কোনো দরকার নেই। শত ইতিহাসের রেফারেন্স দিলেও আপনি কুযুক্তিরই অবতারণা করবেন। এই মন্তব্যটিতেই দেখুন না, ইতিহাস রেফার করার কোনো দরকার হয়েছে? আপনি সভ্যতার শৈশব বোঝানোর জন্য কোথা থেকে একটা
মল-মূত্র বিষয়ক সভ্য-ভব্য উদাহরণ নিয়ে এলেন। ইচ্ছা না থাকলেও ওটা নিয়েই আপনাকে পাল্টা উত্তরটা দিতে হল। এই রুচিজ্ঞানে ইতিহাস সচেতনতার কি দরকার বলেন? :-s
বাকি যে উদাহরণ দিলেন তা মনে হল না আপনার ইতিহাস সচেতনতার ফসল। মনে হল সভ্যতা, সমাজ ও ধর্ম নামের ভাবসম্প্রসারণ, যেখানে ধর্মের আবশ্যকতার কোনো নির্ভরশীল যৌক্তিকতা নেই।
আচ্ছা, জাকির নায়েকের পিএইচডি কোন বিষয়ে কেউ বলতে পারেন ? শ্রদ্ধেয় আবুল কাশেমের এক লেখায় পড়েছিলাম মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের পিএইচডির বিষয় হচ্ছে ইসলাম আবির্ভাবের পর আরবের মুরতাদগণের তত্ত্ব তালাশ। জাকিরের বিষয়টাও সেরকম নাকি ?
@এডমিন, @বাদল চৌধুরী, @ভবঘুরে, @সাধারণ পাঠক,
এডমিন
আপনাদের সাথে আমার অতীত সম্পর্কটা সুখকর নয় । তাই সন্দেহ থাকে ।
বাদল চৌধুরী
কোরাণে অসংগতি থাকুক বা না থাকুক সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়, বিবেচ্য বিষয় হলো সমালোচনা করাটা । যে কোন ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ সমালোচনার উর্ধে । ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় । ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করাটা ভদ্রচিত কাজ নয় । অন্যেরা আলোচনা করছে বলে আমাকেও তার উত্তর দিতে হবে, এটা কোন যুক্তি হতে পারে না ।
সমাজ ও সভ্যতার সাথে ধর্ম অঙ্গা অঙ্গি ভাবে জড়িত । একে বিছিন্ন ভাবে দেখার কোন সুযোগ নাই । সমাজে মানুষ অনিশ্চয়তায় ভোগে । তার এই অনিশ্চয়তা যখন আমি আপনি দূর করতে পারবোনা তখন তার বিশ্বাসের সমালোচনা করাটাও উচিত হবে না । ইমোরির আধ্যাপক সাহেব তাই সামাজিক জটিলতার মধ্যে যান নাই ।
ভবঘুরে
আপনার প্রথম ভুল হলো মুসলমানকে জাতি হিসাবে উল্লেখ করা । ইসলাম ধর্মের অনুসারিদেরকে মুসলমান বলে । তাই জাতি ও ইসলাম ধর্মের অনুসারিদের মধ্যে পার্থক্য বুঝার চেষ্টা করুন । ইসলামের বয়েস চৌদ্দশত বছর । আর ইসলামি টিভির বয়স ১০/১৫ বছর । তাই দেখা যাচ্ছে যে ইসলামি টিভি ছাড়া মানুষ ইসলাম বিশ্বাস করে আসছে । মধ্য প্রাচ্য ও উপমহাদেশের সাধারন মুসলমানেরা ইসলামি টিভির চেয়ে বোম্বের টিভি দেখতে বেশি পছন্দ করে । তাই দেখা যাচ্ছে আপনি ইসলাম বিদ্বেষে আসক্ত । ফলে সুষ্ঠু চিন্তা শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন ।
সাধারণ পাঠক
আপনার পান্ডিত্যপূর্ণ মন্তব্যের আগা-মাথা কিছু বুঝি নাই । তাই উত্তর দিতে পারলাম না বলে এই অজ্ঞ অধমকে ক্ষমা করবেন ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
:-Y :-X ;-(
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনি ধর্মকে যতই ব্যক্তিগত বিষয় বলুন না কেন এটি কখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। আপনি নিজেই বলেছেন সমাজ ও সভ্যতার সাথে ধর্ম অঙ্গা অঙ্গি ভাবে জড়িত। ব্যক্তি থেকে সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি সব জায়গায় যার শিকড় বিস্তৃত। সংঘবদ্ধভাবেও পালিত হয় বিভিন্ন কার্যক্রম। সেটা ধ্বংসাত্বক বা আর যাই হোক কোন যুক্তি ব্যতিরেকে কেবল ধর্ম বলেই এটি পালিত হচ্ছে। আর এসব কিছুর বৈধতার সনদ হচ্ছে ধর্মগ্রন্থ। নিজস্ব বিশ্বাস বা অবস্থানের মুল অবলম্বনকে সমালোচনার উর্ধ্বে বলে দাবী করা ঠিক হবে না।
@বাদল চৌধুরী,
ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয় আধুনিক যে কোন রাষ্ট্র বলে । সমাজ পরিচালিত হয় সংশ্লিষ্ট সমাজের মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট রাষ্ট্র দ্বারা এবং রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধি কর্তৃক প্রনোদিত সংবিধান দ্বারা , কোন ধর্মগ্রন্থ দ্বারা নয় ।
ধর্ম হলো বিশ্বাস । বিশ্বাসের মধ্যে যুক্তি খুঁজা বোকামি । ধর্ম হলো উৎসব । তাই সংশ্লিষ্ট ধর্মের লোকেরা একাত্রিত্ব ভাবে উৎসব পালন করে । এব্যাপারে অধিক জ্ঞান অর্জনের জন্য নৃ-বিজ্ঞান পড়ুন ।
মানব জীবিনের অনিশ্চয়তা দূর করার ক্ষমতা আমাদের নাই বিধায় আমি ও আপনি চাই বা না চাই বিশ্বাস বিরাজ করবে এবং মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে মনের দুঃখ লাঘব করবে ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনি আমার মন্তব্য বুঝতে পারেননি। সব সংঘবদ্ধ ধর্মীয় কর্মকান্ডকে উত্সব হিসাবে চালিয়ে দেবার কৌশল্টা মানা যায় না। ইসলামী জংগী সংগঠনগুলোর ধ্বংসাত্বক ও অমানবিক কার্যক্রমকে কি উত্সব বলবেন? আর এসব কৃতকর্মের অনুমোদন দেয় ধর্মগ্রন্থ। বিশ্বাসে যুক্তি খুঁজা অবান্তর। বিশ্বাসীরা বিশ্বাস নিয়ে থাকুক, ইচ্ছেমত ফরিয়াদ করুক, তার সপক্ষে যুক্তি না দিলেই হয়। সে জন্য বোধয় কোরানের সাথে তাল মিলিয়ে বার বার বলছেন ধর্মগ্রন্থে কোন সন্দেহ বা সমালোচনা করা যাবে না। বিশ্বাসীদের তো আবার কোন যুক্তির প্রয়োজন হ্য় না।
@আ হা মহিউদ্দীন,
‘ইসলামের’ কুশিক্ষা, অসংগতি এবং অন্ধ-বিশ্বাস দুরীকরনে আপানার অবস্থান ‘ইতিবাচক’ নয়। একদিকে আপনি দাবী করছেন এ ব্যপারে আপনি সজাগ, কিন্তু অন্ধ-বিশ্বাসীদের মতই আপনি মনে করেন তা চালু থাকা শ্রেয়। আপনার ভাষায়,
দুঃখিত। আমি আপনার সাথে একমত নয়। আপনার অবস্থানের সাথে একজন অন্ধ-বিশ্বাসীর পার্থক্য শুধু বাক্যের মারপ্যাচ, উদ্দেশ্যে কোন পার্থক্য নাই। সেটা হলো “টিকে থাক সনাতন বিশ্বাস”।
আমেরিকায় ডাক্তারী রেসিডেন্সি প্রগামের সাথে আমি প্রত্যক্ষ জরিত ছিলাম
বেশ কিছু বছর। এখানে রেসিডেন্টরা বিভিন্ন ‘এটেন্ডিং ফিজিসিয়ান /প্রফেসারের অধীনে পালাক্রমে’ তা সম্পন্ন করে। জেনারেল মেডিসিনের প্রগাম ৩ বছর মেয়াদী। আপনি কি ‘আধ্যাপকের অধীনে’ বুঝাতে প্রগাম ডাইরেক্টর বা প্রগাম চেয়ারম্যান বুঝাতে চাচ্ছেন? আমেরিকায় কোন প্রতিষ্ঠানের ‘উর্ধতন’ কর্মকর্তার’ কোন বিশেষ ধর্মকে প্রবর্ধক করাকে কেউ সহজভাবে নেই না, নিরুৎসাহিত করা হয়। আপনার ভাষায়,
আপনার কি মনে হয় কাজটা তিনি ঠিক করেছেন? কিসের ভিত্তিতে তিনি শুধু “ইহুদী , হিন্দু, খৃষ্টান ও ইসলাম” বিশ্বাসীদের তিনি তার প্রতিষ্ঠানে প্রাধান্য দিয়েছিলেন? সংখ্যভিত্তিক ইহুদীরা বিশ্ব জনগুষ্টি মাত্র 0.22%। অন্যদিকে non-Religious 16%, বৌদ্ধরা ৬%, চাইনিজ ট্রাডিশান ৬% এবং আফ্রিকান Indigenous ৬%।
এটা যদি পক্ষপাতিত্ব না হয় তবে পক্ষপাতিত্বের সংগ্যা কি?
মহিউদ্দিন সাহেব, আমি জানি না আপনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে কি পরিমান পড়াশুনা /রিচার্স করেছেন। আমি এখানে “ইসলামের শিক্ষা”র কথা বলছি। মুসলামানেরা কি পালন করেন বা না করেন সে কথা নয়। কারন আমরা সবাই জানি অধিকাংশ মুস্লমানই ভাল-মানুষ, সৎ-কর্মশীল। আমার বাবা-মা ও তাদের দলে। অন্যান্য সব ধর্মাবলম্বীদের মতই সাধারন মানুষ তারা। We must separate “Islam” and “Muslims” during the discussion of Islam as a Religion. “ইসলামের” প্রধান শিক্ষা হলো অমুসলীমদের প্রতি ঘৃনা, তা আমি আগে এক মন্তব্যে লিখেছিলাম।
ইস্লামের প্রধান শিক্ষা হলো, “যে ব্যক্তি আল্লাহ (মুহাম্মদের বর্নিত বিশ্ব-স্রষ্টা)
এবং তার রসুল মহাম্মাদকে বিশ্বাস করে না” সে হলো পথভ্রষ্ঠ /কাফের /এবং সে ব্যক্তিই (মুহাম্মাদ বর্নিত) আল্লাহর ‘অভিশপ্ত’। প্রতিটি সুন্নী মুস্লমান বাধ্যতা মুলকভাবেদিনে ৫ ওয়াক্ত নামাজে কমপক্ষে ৩৬ বার (শিয়ারা ২০ বার- তারা শুধু নামাজে ফরজ ও ওয়াজেবকে মানেন, সুন্নতে মুয়াক্কাদাকে নয়) উচ্চারন করছেন যেন তাদেরকে সে সকল “পথভ্রষ্ঠ -গজব প্রাপ্ত” লোকদের পথে পরিচালিত না করা না হয় (১ঃ৭)
আমি শুধু সুরা বাকারার উদাহরন দিচ্ছি (২য় সুরা)। দেখুন মুহাম্মাদ (তার আল্লাহর রেফারেন্স দিয়ে কুরানে ) সেই “কাফেরদের (অমুস্লিমদের)” সম্মন্ধে কি বলছেনঃ
(Quranঃ Messages of Muhammad which he said, ‘Received from his Allah’, For all mankind at all time (Teaching of Islam)]
1. Allah’s threat of punishment and fear to non-beleivers (non-Muslims):
2:20, 2:24, 2:39, 2:41, 2:48, 2:54, 2:55, 2:59, 2:61, 2: 65 (Transgressed of the sabah> “be you monkeys), 3:81, 3:85, 2:98, 2:104, 2:109, 2:11, 2:114, 2:120 ( to Muhammad), 2:123, 2:126, 2:145 (To Muhammad), 2:159, 2:161, 2:162, 2:165, 2:167, 2:174-175 (At least = 27)
2। Command Muslims to fight /kill/not take friend or helpers from non-belivers:
2:216-217, 2:190 (abrogated by harsher verse 9:36), 2:191-194
3. Insulting words /accusation to non-believers:
2:204, 2: 208, 2:14, 2: 96, 2:170, 2:171, 2:204, 2: 208, 2:254
4. Allah curses, misleads, set in astray, put a seal to non-believers:
2:7, 2:10, 2:15, 2:17, 2:26, 2:88, 2:161
5. Guidance only from Allah whom He likes, punishes whom he likes:
2:105, 2:119, 2:142, 2: 213, 2:258, , 2:272, 2: 284
অমুস্লীলমদের প্রতি মুহাম্মদের (এবং তার বর্নিত আল্লাহ্র) কেন এত আক্রোশ!? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কুরাইশরা “তাদের ধর্ম-রক্ষার” খাতিরেই তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল যখন মুহাম্মাদ তাদের “পুজনীয় দেব-দেবীদের তাচ্ছিল্য’ এবং তাদের পূব-পুরুষদের অসন্মান করা শুরু করেছিল। দেখুন এখানে।
ভাল থাকুন।
@আ হা মহিউদ্দীন,
কোন গ্রন্থ পড়ে এই রকম সিদ্ধান্তে আসলেন আপনি? কোনো ধর্মগ্রন্থে তো এই কথা লেখা নেই?! উল্টো একে অপরের প্রতি বিরোধিতামূলক মন্তব্যে ভরা। একটি অন্যটিকে ভুল বলে, সমালোচনা করে নিজের মতবাদকে সত্য দাবী করে। কোনো একজন মানুষের পক্ষে একই সময়ে সকল ধর্মগ্রন্থকে সত্য ধরা সম্ভব নয়। কুরানকে সত্যি ধরে নিলে, বাইবেলকে সমালোচনা না করে উপায় নেই। একইভাবে বাইবেল পড়ে দেখলে দেখা যাবে তোরাহর সমালোচনায় ভর্তি। কোনো এক কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন(!) মানুষের পক্ষে এর সবকটিকে ঠিক ধরে নিয়ে সমালোচনাহীন থাকা কি সম্ভব? কেবল দুইভাবেই তা সম্ভব- হয় তাঁর সবকটি ধর্মগ্রন্থ সম্বন্ধেই পূর্ণ ধারণার অভাব আছে অথবা/এবং তিনি কোনো একটি মতবাদে বিশ্বাসী হয়েও সচেতন সমাজের সামনে আমার মতে সব ধর্ম সমান টাইপ একটা ফর্ম নিতে চাচ্ছেন।
ধর্ম যুগে যুগে হস্তক্ষেপ করে গেছে সকল রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সিদ্ধান্তে, কি করে তা ব্যক্তিগত হয় আমার অপরিপক্ক মগজে তা ঢুকছেনা। এতই যদি ব্যক্তিগত হবে তো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবিধান ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হওয়া নিয়ে ধার্মিকদের এত টেনশন কেন? আপনারই বা এত টেনশন কেন মুক্তমনায় ধর্ম বা ইসলামের সমালোচনামূলক যুক্তিযুক্ত লেখা আসলে? ধর্মের জয়গান গেয়ে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান হয় , সেটা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা, তার সমালোচনা করা উচিত না বলে আপনার দাবী। তেমনি মুক্তমনা ব্লগারেরা ব্যক্তিগতভাবে ধর্মকে অপ্রয়োজনীয় গারবেজ মনে করেন- আপনার তো তাতে সমস্যা থাকার কথা না। আফটার অল, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করাটা ভদ্রচিত কাজ নয়। তাই না?
আবার একই মন্তব্যে বলেছেন-
পরস্পরবিরোধিতারও একটা সীমা থাকা উচিত!!
আদিম সমাজে অনিশ্চয়তা ছিল শিকার খুঁজে পাওয়ায়, দূর্যোগের সাথে টিকে থাকায়। যত দিন গেছে মানুষ নিজেকে ও পারিপার্শ্বিককে উন্নত করেছে নিজের বুদ্ধি দিয়ে, ততই কমেছে অনিশ্চয়তার হার। ধর্মের আবির্ভাব সমাজে একটা ব্যাপারকে খুব ভালো নিশ্চিত করেছে, সেটা হল হিংসা আর বিদ্বেষ। বনের পশুও ক্ষুধার্ত হয়ে, সন্তান বা সঙ্গি রক্ষার জন্যই আক্রমণ করে নয়তো করে না, আধুনিক মানুষ করে। এ বিশুদ্ধভাবে ধর্মের অবদান।
তাছাড়া দারিদ্র্য, দুঃখের বিমোচনে ধর্মের শরনাপন্ন হওয়া নিরেট নির্বুদ্ধিতা। পড়ে দেখতে পারেন, অভিজিৎ রায়ের বিশ্বাসের ভাইরাস -২ (বিশ্বাস ও দারিদ্র্য) ,বুঝতে পারা যাবে ধর্মবিশ্বাসী দেশগুলোর কি নাজেহাল অবস্থা ধর্ম করে রেখেছে। সেই লেখাতেই এই ব্যাখ্যাও পাওয়া সম্ভব ইমোরি’র অধ্যাপকের ধর্মভীরুতা, বা নীতিমান্যতা’র কারণটি কি।
১০/১৫ বছরে এই চ্যানেলগুলো যে পরিমাণ অপজ্ঞান পরিবেশন করে ফেলেছে তাতেই সমস্যা। নিজের বিশ্বাস নিজে নিয়ে ঘরে বসে থাকলেও অত সমস্যা হত না। হাতে দা, ছুরি, চাপাতি নিয়ে জেহাদ করতে বেরিয়ে পড়াতেই আপত্তি। যারা নিজের বিশ্বাসকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে না রেখে সমাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করে চলেছে তাদের সমালোচনা করলে পরেই আপনার নৈতিকতাবোধ আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাই না? এই লিঙ্কে দেখুন ইসলামের অনুসারীরা গত দশ বছরে ধর্মবিশ্বাসকে কতটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে রেখেছে।
মনের ভার লাঘবের জন্য ভুয়া গল্পের আশ্রয় না নিয়ে আসল্ সত্যিটা জানানোই কি উচিত না? আর কতদিন এইসব ধাপ্পাবাজি চলতে দেয়া যায়?
@আদিল মাহমুদ,
কোরানে অসংগতি আছে বলেই তার সমালোচনা করতে হবে বলে কোন পরিপক্ক মানুষ মনে করে না । কারন পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মানুষের বিশ্বাস এর সাথে জড়িত । এই মানুষদেরকে সম্মান দেখানো যে কোন কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের কর্তব্য । কে গলাবাজি করলো আর কে করলো না, তাতে আমার আপনার কি আসে যায় ।
আটলান্টার ইমোরি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়টি মার্কিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দশটির একটি । উক্ত মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্সি গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল । যে আধ্যাপকের অধীনে ডাক্তারেরা রেসিডেন্সি করেছেন, তিনি মেডিক্যাল সাইন্সের নামকরা একজন অধ্যাপক । অনুষ্ঠান আরম্ভ হওয়ার পূর্বে ইহুদী, হিন্দু, খৃষ্টান ও ইসলাম ধর্মের লোক দ্বারা নিজ ধর্মগ্রন্থের কিছু অংশ পাঠ করালেন । এখন বলুন এই কাজটি তিনি কেন করলেন ?
@আ হা মহিউদ্দীন, এর উত্তর তো সোজা। মার্কেটিং এবং ফাইনান্স! আর কোন তথ্য বা ইনফর্মেশন পেয়ে কেউ “অপমানিত” হলে তার দায়ভার তথ্যসুত্রের নয়।
@আ হা মহিউদ্দীন,
সংগতিহীন কোরানকে মহাগ্রন্থ, মহাবিজ্ঞান ইত্যাদি দাবী করা কি খুব পরিপক্কতা? আর সেই অবান্তর দাবীর বিপরীতে সমালোচনা করলে হয় অপরিপক্কতা। আর বিশ্বাসের সংখ্যাগরিষ্টতা থাকলেই কি তাকে সমালোচনারা উর্দ্ধে রাখতে হবে? কিভাবে বুঝব গলাবাজি ব্যাপারটি নিয়ে আপনার মাথাব্যাথাও কম না? ধর্মান্ধতার অপপ্রচারের সমালোচনা করলে কারো কারো মাথাব্যাথা হবে বা হচ্ছে তা প্রতিনিয়তই দেখছি।
হলফ করে বলতে পারবনা। তবে অনুমান করতে পারি। আপনি কি চান একই রকম কাজ সবাই করে ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাক? চাইবেন তো আপনার অপছন্দের সমালোচনা কেউ না করুক।
@আ হা মহিউদ্দীন,
এই কাজটি তিনি করেছেন নিজের স্বার্থে, সব ধর্মের লোকজনকে খুশী করে বেশী সংখ্যক লোকের কাছে তিনি তাঁর গ্রহনযোগ্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। পৃথিবীর মানুষের কল্যানের বিষয়টি তিনি অগ্রাধিকার দেননি।
@আ হা মহিউদ্দীন,
“ইমোরি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়টি মার্কিন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দশটির একটি” তথ্যটি কোথায় পেলেন? আসলে এর স্থান ২১ নম্বরে।
(http://.usnews.rankingsandreviews.com/best-graduate-schools/top-medical-schools/emory-university-04023)
আপনি সমাবর্তনে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বলেই কি ২১ থেকে এক লাফে ১০ এর মধ্যে চলে গেল? নাকি ১০ এর মধ্যে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আমন্ত্রিত হতে পেরে আপনি নিজের মাহাত্ম্য যাহির করতে চাচ্ছেন? এরকম অবান্তর কথা ভেনে মাইলেজ পেতে চেষ্টা করাতো ইস্লমিস্টদের কাজ। প্রথম দশ (বা ২১, ২১ ও মন্দ) এর মধ্যে আছে বলেই তাদের সব কিছুই যুক্তিসঙ্গত বা সদুদ্দেশ্যমূলক হয়ে যাবে?
এই ধরণের চিন্তা মুক্তমনের পরিপন্থী সেটা আপনার জানা নেই হয়ত। “অমুকে বলেছেন অতয়েব এটা সঠিক…” ইত্যাদি। তাছাড়া এই অধ্যাপকের কি ভূমিকা এই ধর্মগ্রন্থ পাঠের প্রোটকল অনুসরণ করার ব্যাপারে? প্রোটকল অনুসরণ করা একটা গতাণুগতিক কাজ। হাসিনা খালেদা ও একে অপরকে ঈদে শুভেচ্ছা বাণী পাঠান। তাদের মধ্যে কতটা শুভেচ্ছা আছে আমরা তো জানি ও দেখি।
আপনি বারবার একই কথা আওড়াচ্ছেন যে অনেক দরিদ্র, নিরীহ, ধর্মভীরু মুসলীম আছে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা শিক্ষিত/মুক্তমনাদের উচিত নয় এই হতদরিদ্র মুসলীমরা আপনার আমার মত ইন্টার্নেটে কীবোর্ড নিয়ে দিন রাত কাটানোর মত বিলাসিতা পোষাতে পারে না। যারা এই ব্লগে বা ইন্টারনেট ফোরামে সময় কাটান তাদের ওরকম নিরীহ গোবেচারা ভেবে তাদের বিশ্বাসে আঘাত লেগে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়বে এমনটি ভাবাই হাস্যকর। যারা পড়তে পারে, বা নিজের বিশ্বাস নিয়ে বড় বড় কথা বলে তদেরকে উদ্দেশ্য করেই এই সমালোচনামূলক লেখা। তার যদি সমালোচনায় খুবই মর্মাহত হন সেটার দায়দায়িত্ব তাদেরই। দরকার হলে মনোস্তাত্বিকের শরণাপন্ন হতে পারে তারা।
@যাযাবর,
ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য।
যতার্থ মন্তব্য। বাংলাদেশের সাধারন মানুষ ধর্মভীরু, ধর্মান্ধ নয়। ধর্মে ‘অসংগতির’ ব্যাপারটা তাদেরকে বুঝানো অনেক সহজ, কিন্তু তাদেরকে তা জানানোর সূযোগ দেয়া হয় না । মসজিদ, মক্ত্যব, মাদ্রাসা, ওয়াজ-মাহফিল, এবং ‘যারা পড়তে পারে, বা নিজের বিশ্বাস নিয়ে বড় বড় কথা বলে’ এবং ইন্টারনেট চালান’ তারাই “অসংগতিটা” পাকাপোক্তভাবে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেন। তাদের দেহ আছে একুবিংশ শতাব্দীর যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার যোগান নিয়ে কিন্তু মাথা পরে আছে সেই ৭ম সতাব্দীর মতাদর্শে। মুলতঃ তিনটি কারনে তারা তা করেনঃ
১) আসামর্থতা – তারা সত্যই তা ধরতে পারেন না। কারন, নিজের ভাষায় একবারও এ ‘মহাগ্রন্থটা” পড়েন নাই, বা পড়েছেন কিন্তু ‘সিলেক্টিভ’ জায়গা গুলোতে, কিংবা পড়েও ধরতে পারেন নাই।
২) অন্ধবিশ্বাস – কুরানে কোন “অসংগতি’ নেই, কারন তা কুরানেই লিখা আছে (সুরা নিসা 4:82) । কুরান আল্লাহর বানী, আর আল্লাহর বানী কখনো ভুল হতে পারে না – ‘তিনি সকল ভুলের উর্দ্ধে’।
৩) সত্য প্রকাশে বিমুখতা /অপারগতা – কুরান পড়েছেন, বুঝেছেন ‘অসংগতি’ কিন্তু তা বলা যাবে না। কারন, তারা জনাব আ হা মহিউদদ্দিন সাহেবের মতাদর্শের অনুসারী। তারা তা প্রকাশ না করেই শুধু ক্ষান্ত নন, সাধারন মানুষের “বিশ্বাসে আঘাত” হানার অভিযোগ তুলে তারা উল্টো ‘সত্য’ প্রকাশকারীদেরকেই সক্রিয় সমালোচনা করতে ও বাধা দিতে পিছপা হন না। তারা কেন যে সাধারন মানুষদের ‘সাধারন জ্ঞান ও বিচার-বুদ্ধিকে’ এত দূর্বল ভাবেন তা আমার বোধগম্য নয়!
মূলতঃ এ তিন শ্রেনীর লোকরাই সাধারন মানুষের ‘ধর্মান্ধ’ দূরীকরনের প্রধান অন্তরায়।ফলাফল, ‘ধর্মন্ধের জয়’। সাধারনের লোকেরা কখনোই ‘আসল সত্য’ জানতে পারেন না।
লেখক বাদল চৌধুরীকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি প্রয়োজনীয় ‘সিরিজ’ পাঠকদের উপহার দেয়ার জন্য।
correction:
জনাব আ হা মহিউদদ্দিন সাহেবের মত মতাদর্শের অনুসারী।
@গোলাপ,
সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। উত্সাহিত হলাম।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনার যুক্তি এবং কন্টেক্সট খুবই অদ্ভূত।
বহু বিজ্ঞানী ব্যাক্তিগত জীবনে ধার্মিক। তারা বাড়িতে বা নিজের মত কি ধর্ম চর্চা করেন বা গ্রন্থ পাঠ করেন তা দিয়ে কারো কিছু যায় আসে না।
প্রতিটা ধার্মিক লোকই যে কোন কাজ আল্লাহ বা তারা যে গডে বিশ্বাসী তার নামে শুরু করে। কেউ প্রকাশ্যে বা কেউ মনে মনে। এই ভদ্রলোক হয়ত সব ধর্মের লোকের প্রতি সম্মান দেখাতেই সবার গ্রন্থ পাঠ করিয়েছিলেন। ধর্মগ্রন্থে আরো বহু কথা আছে যেগুলিতে বিজ্ঞানের সংশ্লিষ্টতা নেই। বহু কথাই আছে শান্তিময়, সে সব কথা কেউ পাঠ করলে সমস্যা কোথায়?
তার সাথে কোরান ও বিজ্ঞান বা কোরান ও ভ্রুনত্ত্বের সম্পর্ক কি বোঝা গেল না। উনি কি সেই সভায় ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান বিষয়ক বয়ান দিয়েছিলেন?
এখানে কি এই লেখক বা আর কেউ দাবী করছে যে সকল বিজ্ঞানীকে তাদের ধর্ম ত্যাগ করতে হবে বা ধর্ম পালন বা আস্তিক হলে বিজ্ঞানী হওয়া যাবে না?
– যারা ধর্মগ্রন্থে অসংগতি আছে জেনেও তাতে বিজ্ঞান আবিষ্কারের দাবী করে তাদের বিশ্বাসের ছত্রছায়ায় ছাড় দিতে হবে? এর পরিনতি জানেন? আরব দেশে শুনেছি এখনো জ্বীনে ধরা, তাবিজ তুমার এই জাতীয় ব্যাপারে আদালতে মামলা করা যায়। মানে আপনি মামলা দায়ের করতে পারেন যে কেউ আপনাকে তাবিজ করেছে তাই আপনি অসূস্থ হয়ে গেছেন। এসব কিন্তু তাদের ধর্ম সূত্রে প্রাপ্ত। এখন আমরা বিশ্বাসে আঘাত লাগার ছূতায় এসব মেনে নেই, কি বলেন?
Lawyer wants jinn to testify in court
এ জাতীয় আরো খবর দেখুনঃ (লিঙ্ক আর দিচ্ছি না কষ্ট করে, সার্চ দিলেই পাবেন)
Saudi family takes ‘jinn’ to court
Sorcery Charges On The Rise In Saudi Arabia
আমাদের দেশেও আসুন আমরা এসব ভাবধারা চালু করি। আদালতে জ্বীন পরীর স্বাক্ষ্য তলব করা হোক। আমাদের দাবীর বিরোধীতা করা যাবে না কারন ৮৫% লোকের ধর্মানুভূতির প্রশ্ন। আমরা গলাবাজি করে তাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করি কিভাবে!
জিয়াউল হক আমলে পাকিস্তানে যে সরকারী উদ্যোগে বিপুল অর্থ ব্যায় করে জ্বীনের রাসায়নিক উপাদান, দোজখের তাপমাত্রা নির্নয় এসব বিষয় নিয়ে ব্যাপক গবেষনা হয়েছিল তা জানেন? যদিও ফলাফল জানা যায়নি।
ধর্মগ্রন্থের ব্যাপ্তি যা, অর্ত্থাত মানসিক শান্তি সেখানে সীমাবদ্ধ রাখলেই অন্তত তাতে বিজ্ঞান আছে কি নেই তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাবো না।
@ভবঘুরে ও বাদল চৌধুরী
ভবঘুরের মন্তব্যের একটি যুক্তি পূর্ণ উত্তর দিয়ে ছিলাম । কিন্তু মডু সাহেবদের সেন্সারশীপ অতিক্রম করতে ব্যর্থ্ হয়েছে । আলোচ্য এই উত্তরটি প্রকাশিত হবে কিনা বলতে পারছি না ।
আপনারা উভয়ই আমার পূর্ণ বক্তব্যের একটি বা দুইটি বাক্যে কোড করে যে মন্তব্য করেন তা আমার বক্তব্যের বিকৃতি ঘটায় । কারণ কোন বিষয় বা বস্তুর অংশ পূর্ণ বিষয় বা বস্তুকে প্রতিনিধিত্ব করে না ।
গত দুই বছরে এমন কোন মাস আমি খুঁজে পাই নাই যেখানে ইসলাম, মুহাম্মদ, কোরাণ বা মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করে কোন পোষ্ট হয়নি । তাই বলা হয়েছে বিষয়টি আপনাদের প্রিয় । বিষয়টির পক্ষ অবলম্বন করে আজ পর্যন্ত মুক্তমনায় কেউ কোন পোষ্ট দেয়নি । কিন্তু অযাচিত ভাবে বিষয়টির উপর প্রতি মাসে ২/১টি নেতিবাচক প্পোষ্ট আপনারা দিয়ে চলছেন, যা আমার বক্তব্যের প্রথম প্যারায় বলা হয়েছে ।
আমার মত বদ্ধমনেরা প্রত্যেকটি বিষয় দেখে স্থান, কাল পাত্রের এবং ৯৮% অশিক্ষিত সাধারণ মানুষ, যারা কোরান পড়েনি এবং বিজ্ঞানের তত্ত্ব জানে না, তাদের দৃষ্টি কোন থেকে । আমার বক্তব্যটা ছিল বর্তমান কালের প্রেক্ষাপটে চৌদ্দশত বছর পুর্বের গ্রন্থে “অসংগতি থাকাটা স্বাভাবিক” । কিন্তু একে বিকৃত করে আপনি বললেন “সরাসরি অসংগতি” আছে বলে আমি উল্লেখ করেছি ।
ধর্মকে আফিমের সাথে মার্ক্স তুলনা করেছেন । কিন্তু কোন প্রেক্ষাপটে তুলনা করেছেন, সেটা জানা থাকলে উপমাটা দিতেন না । তাই বলছি কোন বিষয় অর্ধ জ্ঞান থাকার চেয়ে জ্ঞান না থাকাটাই উত্তম । প্রকৌশলী দিয়ে ডাক্তারী করাতে গেলে যে অবস্থার সৃষ্টি হবে, একই অবস্থার সৃষ্টি হবে বিজ্ঞান দিয়ে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করতে গেলে ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনার কো্নো মন্তব্যকে আটকে দেওয়া হয় নি। কোনো টেকনিক্যাল কারণে হয়তো পোস্ট হয় নি আপনার দিক থেকে। নীতিমালা ভঙ্গ না করলে মুক্তমনায় কখনই কোনো মন্তব্যকে আটকে দেওয়া হয় না।
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনার বক্তব্য থেকে কিছু অংশ কোড করলে আপনার বক্তব্য বিকৃতির অভিযোগ থাকায় কোড করা থেকে বিরত থকলাম।
আপনি স্বীকার করছেন যে ইসলাম, মুহাম্মদ, কোরাণ বা মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করে প্রতিমাসে ২/১টি নেতিবাচক পোষ্ট থাকে মুক্তমনায়। তাহলে আপনি মনে করেন বাকি পোষ্টগুলো ইসলামের বিপক্ষে না। আপনার কথাও যদি মেনে নেয়, এই ২/১টি পোষ্ট কি মাসে প্রকাশিত পোষ্টের সংখ্যাগরিষ্টতা পায়? তাহলে আপনি কিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিষয়টি জনপ্রিয়? তাছাড়া, অন্যান্য পোষ্টগুলোও তো ব্যাপক আলোচিত হয়। আপনার আপত্তিটা দেখছি ইসলাম বিপক্ষ পোষ্ট নিয়ে পোষ্টে প্রদত্ত যুক্তিতে না। আসলে মুক্তমনার অবস্থান কারো পক্ষে বা বিপক্ষে না। ব্লগারেরা প্রয়োজনানুভূতি এবং নিজস্ব সাচ্ছন্দবোধ থেকে লেখেন। এটি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিত্ব বা নির্দেশ ছাড়াই ঘটে। কেউ ভুল তথ্য সরবরাহ করে থাকলে অবশ্যই সংশোধন করা যাবে। তার জন্য প্রয়োজন ভুলের যথাযথ বস্তুনিষ্ট যুক্তি বা ব্যাখ্যার।
আপনার বক্তব্য বিকৃত করা হয়নি। আপনার বক্তব্য হুবহু কোড করেই বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি বলেছেন চৌদ্দশত বছর পুর্বের গ্রন্থে “অসংগতি থাকাটা স্বাভাবিক”। তাহলে সংগতি থাকাটা অস্বাভাবিক বা কাকতালীয় ব্যাপার। এখানে বর্তমান প্রেক্ষাপটে চৌদ্দশত বছর পুর্বের গ্রন্থে অসংগতির স্বাভাবিকত্ব কি সংগতি বিরুদ্ধ অবস্থান প্রকাশ করেনা? অসংগতি দেখেন কেউ মনে মনে আর কেউ প্রকাশ্যে, পার্থক্য এই যা আরকি।
কোন বিষয়ে স্বয়ংসম্পুর্ণ বা পরিপুর্ণ জ্ঞানী কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই। তবে দাবীদার থাকতে পারে। সম্পুরক পরিক্রমা থেকে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, স্বয়ংসম্পুর্ণতাকে ভিত্তি করে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিশ্লেষন করা যায় না। তাছাড়া আমার লেখায় আমি কোরানিক বিজ্ঞান নিয়েই আলোচনা করেছি। ধন্যবাদ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
অথচ এর তুলনায় কোরান একটা সম্পুর্ন পারফেক্ট বিজ্ঞানময় কিতাব, ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম, মুহাম্মদ সর্বশ্রেষ্ট মানুষ এসব প্রমান করার জন্য দুনিয়া ব্যপী কয়েক ডজন ইসলামী টিভি দৈনিক কত ঘন্টা সময় ও কত টাকা ব্যয় করে হিসাব করেছেন ? অথচ সেই আপনিই কিন্তু বললেন যে বর্তমানের প্রেক্ষাপটে কোরানে অসঙ্গতি থাকাটা স্বাভাবিক। আমাদেরও তো একই বক্তব্য যে সেই ১৪০০ বছর আগের প্রেক্ষিতে কোরান বা ইসলাম ঠিক ছিল, কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষিতে তার প্রয়োজনীয়তা শূন্যের কোঠায়। কিন্তু যদি কেউ সেটা নিয়ে লেখালেখি না করে , মানুষ তো ওইসব টেলিভিশনের গাজাখুরী প্রচারই তো বিশ্বাস করবে যা আপনি নিজেও ভালমতো টের পাচ্ছেন। আর এর ফলাফল কি ? ফলাফল হলো- মুসলমান জাতি এমনিতেই সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, এখন তারা ফিরে যাবে সেই ১৪০০ বছর আগেকার আরব যুগে। আপনি কি তাই চান ? যদি না চান তাহলে এখন এ বিষয়টি ব্যখ্যা করে একটা পোষ্ট দিয়ে ফেলুন না এ ব্লগে, আমরাও উপকৃত হই সেই সাথে সাধারন পাঠকরাও।
@আ হা মহিউদ্দীন,
কিভাবে দিবে বলেন, বিষয়টির পক্ষ অবলম্বন করলে যে সব যুক্তি তর্কের অবতারনা করতে হবে তা পুরোটাই হবে হাস্যকর এবং কুযুক্তি। তা কেউ কি আর জেনে শুনে সে পথে পা বাড়িয়ে নিজকে খেলো করতে চায়?
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনাকে একটা ব্যাপারে ধন্যবাদ না দিলেই নয়। সেটা হচ্ছে আপনার কু যুক্তির অবতারণ। কারণ, আপনার কু যুক্তি আছে বলেই মুক্তমনারা মন্তব্য করার মতো যথেষ্ট রসদ পায়। নইলে তারা মন্তব্য করতো নিয়ে ?
আপনি এক মন্তব্যে বলেছেন, এক তৃতীয়াংশ মুসলমান। হিসেবটা কি ঠিক হলো ? বর্তমান পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ৬৮০ কোটি। এর এক তৃতীয়াংশ হলে হয় ২২৬ কোটি। কিন্তু মুসলমানদের সংখ্যা কত ? ১৩৫ কোটি, বড়জোর ১৫০ কোটি।
শেষে আপনাকে আর একটা ধন্যবাদ এই কারণে যে, আপনি স্বীকার করেছেন কোরানে অসঙ্গতি আছে। সেই অসঙ্গতিকে স্বীকার না করে কোরান নিয়ে এত ফালাফালির কারণটা কী ? কোরান নিয়ে মুসলমানদের এত লাফালাফি, এটাই কিন্তু ইসলাম নিয়ে এত সমালোচনার মূল কারণ।
প্রফেসর কীথ মুরের কাহিনী ব্যাখ্যা না করলে মনে হয় কোরানে ভ্রুনতত্ত্ব আবিষ্কার পুরো বলা হল না।
– এর মোক্ষম জবাব কিন্তু জাকির নায়েক দিয়ে রেখেছেন আগেই। আপনারা চলেন ডালে ডালে, উনি চলেন শিরায় শিরায়। উনি সর্বদাই বলেন যে কোরান বুক অফ সাইন্স, বুক অফ সায়েন্স নয়; কাজেই এতে সম্পূর্ন বিজ্ঞান পাওয়া যাবে না। তবে মোক্ষম ইংগিত পাওয়া যাবে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি ঠিকই বলেছেন। আমার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার জন্য এই পর্বে অনেক প্রাসংগিক অপুর্ণতা রয়ে গেছে।
জাকির নায়েক বললেও অনেকেই কোরানকে সরাসরি বিজ্ঞান বা কোরান থেকে গবেষনা করে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবী করছে। তাছাড়া, উনি এই ইংগিত মেলানোর জন্য অনেক চাতুরির আশ্রয় নেন। যা সরাসরি বিজ্ঞানকে সার্পোট করে না।
@আদিল মাহমুদ,
আমার জানা মতে “কুরানে বিজ্ঞান” প্রজেক্টের পথিকৃত হচ্ছেন ডাঃ মরিস বুকাইলী। তার “বাইবেল, কুরাণ ও বিজ্ঞান’ কিতাবটি মুসলীম জাহানের সর্বাধিক পাঠ্য তালিকার একটি। ভদ্রলোক তার সে বইয়ে এতই চাপা মেরেছেন যে তার ‘সমালোচনা ও যুক্তি-খন্ডনে’ ডাঃ উইলিয়াম ক্যাম্বেল পূরো আর একটি বই লিখতে বাধ্য হয়েছেন।
উৎসাহী পাঠকরা সে বইটির বাংলা অনুবাদও বিনামূল্যে ‘ডাউনলোড‘ করতে পারেন।
http://www.answering-islam.org/Campbell/contents.html
http://www.answering-islam.org/Bangla/index.html
@গোলাপ,
আমার জানা মতে বুকাইলি কোরানে পূর্নাংগ বিজ্ঞানের সন্ধান বিষয়ে বই লিখেছেন।
আর কিথ মুর স্পেসিফিক্যালী কোরানে ভ্রুনতত্ত্ব বিষয়ে গবেষনা করে বই লিখেছেন যার আবার আশ্চর্যজনক ভাবে মুসলিম ভার্ষন এবং নন-মুসলিম ভার্ষন আছে। উনি নিজে এই বিষয়ে একজন বিশ্ব নন্দিত বিশেষজ্ঞ, ওনার মতের দাম স্বাভাবিক ভাবেই আছে। যে কোন ইসলাম পসন্দ সাইটে কোরানে বিজ্ঞান বিষয়ে দেখবেন ওনার রেফারেন্স থাকতেই হবে। জাকির নায়েকও ওনাকে রেফার করেন।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন।আর কিথ মুর শুধু ‘Embryology, টেনেছেন।
আমি ‘কোরাণে বিজ্ঞান’ বুঝাতে চেয়েছি।
@গোলাপ, আমার এক বাংলাদেশ নিবাসী ব্লগবন্ধু (অবশ্যই নাস্তিক) একবার আমাকে কিথমুরের বইটি লাইব্রেরী থেকে ইস্যু করে এর কয়েকোটা পাতা স্ক্যান করে তাকে পাঠাতে অনুরোধ করেছিলো। বইটির আইএসবিএন যখন আমার বন্ধু আমাকে দিলো, সাথেসাথেই ইন্টার্নেটে লাইব্রেরী ক্যাটালগে সার্চ করে আমি বইটি খুঁজে পেলাম না। আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম, যেই লাইব্রেরীতে আমি সার্চ দিয়েছিলাম তাদের কাছে পৃথিবীর ইতিহাসে লাইফ সায়েন্সের উপর লেখা মোর অর লেস সকল বই-ই থাকার কথা, এর আগে কোন বই খুঁজে পাইনি এমন হয়নি। তখনই জানতে পারি যে- এই মহামুল্য অসমানী কিতাবখানির দুইটি ভার্সন রয়েছে, একটা শিক্ষাভিলাসীদের জন্য অন্যটা মুছল্মানদের জন্য, আমার বন্ধুটি চাচ্ছিলো সেই মুছল্মানদের জন্য লেখা ভার্সনটা। অমুছল্মানদের জন্য লেখা ভার্সনটার এইএসবিএন দিয়ে সেটা ততক্ষণাতই খুঁজে পেয়েছিলাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে- শিক্ষাভিলাসীদের জন্য যেই ভার্সনটা সেইটাতে নাকি কোন হোকাস-পোকাস কথাবার্তা নেই, রয়েছে শুধু মুছল্মানদের জন্য যেই ভার্সন সেইটাতে। হযরত কিথমুর চালাক মানুষ, তিনি স্পষ্টতই এটা অনুধাবন করেছিলেন যে- ‘শিক্ষাভিলাসীদের জন্য লেখা ভার্সনে কোরান চালান যাবে না, বোগদাদী গদাম খেয়ে মানুষ হয়ে যেতে হবে তাহলে’!
@আল্লাচালাইনা,
আপনার সাথে একমত। বুঝতে পারি উনারা ভাল ‘বানিজ্যে’ নেমেছেন। তাদের হোকাস-পোকাস ভার্সন অন্ধ-বিশ্বাসীদের মনের খোরাক এবং অমুসলীম ভার্সনে “ইজ্জত” রক্ষা – সবই চালিয়ে যাচ্ছেন একই সাথে। শুনেছি ডাঃ বুকাইলী নাকি তার সেই একটি বইয়ের স্বত্বাধিকারেই ‘মিলিওনিয়ারী’।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি ঠিকই বলেছেন ।
বাদল চৌধুরী…
আপনি এখানে বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করছেন।তাই জাকির নায়েক চাতুরীর আশ্রয় নেন একথা বলার মাধ্যমে আপনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন
কোরান, মুহাম্মদ ও মুসলানদের নিয়ে আলোচনা কথিত মুক্তমনা দাবীদারদের একটি জনপ্রিয় বিষয় । একজন ধর্মান্ধ বা ধর্মপ্রান মানুষকে কোরাণ ও বিজ্ঞান সম্পর্কে মুক্তমনায় লেখার প্রয়োজন পড়ে না, অন্য কোথায়ও তাদের কোন মন্তব্য শুনলেই কথিত মুক্তমনারা ইসলাম ব্যাশিং করে মুক্তমনায় প্রবন্ধ পোষ্ট করে দেন । কথিত মুক্তমনারা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, তাদের জানা উচিত কোরাণ চৌদ্দশত বছর পূর্বে লিখিত একটি গ্রন্থ, এতে অসংগতি থাকাটা স্বাভাবিক । তাই তা নিয়ে কটক্ষ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় ।
৯৮% সাধারণ মানুষ মুক্তমনাদের মত শিক্ষিত নয় । তারা কোরাণ পড়েনি এবং বিজ্ঞানের তত্ত্ব জানে না । তবে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত দ্বারা তারা বার বার প্রতারিত হচ্ছে । তাই আল্লাহ/ঈশ্বর/ভগবান এর উপর বিচারের ভার অর্পন করে মনের ভার লাঘব করছে এবং একই সাথে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাবার চেষ্টা করছে । তাই বিষয়টি বিশ্লেষন করা উচিত আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে, বিজ্ঞানের দৃষ্টি কোন থেকে নয় । কারণ সমাজ তার নিজস্ব বিধি-বিধান মত পরিচালিত হয় । বিজ্ঞানের তত্ত্ব দ্বারা পরিচালিত হয় না ।
@আ হা মহিউদ্দীন,
তাই নাকি ? কিন্তু ইসলামিষ্টরা কি মানবে কোরানে অসংগতি আছে? কোরান নিয়ে এত আলোচনার উদ্দেশ্যই তো হলো যে এতে প্রচুর অসংগতি আছে। কিন্তু অধিকাংশ বিশ্বাসী মানুষই তো তা মানতে চায় না।তাহলে এসব নিয়ে লেখা লেখি না করে উপায় কি ?
@আ হা মহিউদ্দীন,
ভুল বললেন মশাই। মুক্তমনারা কোরান, মুহাম্মদ ও মুসলানদের নিয়েই শুধু আলোচনা করেনা সেটা বদ্ধমনা দাবীদারদেরও জানা থাকা ভাল। আর জনপ্রিয়/অপ্রিয় বিষয়টি জনে জনে জনমত নেয়া ছাড়া নির্ধারণ করা তেমন বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
আপনি পুরানো গ্রন্থটাকে সরাসরি অসংগতি আছে বললেন আর আমি ব্যাখ্যা করে বললাম। অথচ, আপনি বুদ্ধিমান থেকে গেলেন আর আমারটা কিনা বুদ্ধিমানের কাজ হলো না।
ধর্মের আফিম খাওয়ায়ে সাধারণ মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলে কারো না কারো সুবিধা তো আছেই। যুগ যুগ ধরে এটাই তো অব্যাহত রাখার পায়াতারা হচ্ছে।
কেউ যদি মনে করে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকেও বিশ্লেষন করা উচিত তাহলে তো ক্ষতি নেই। কারণ, বিশ্লেষনটা আমার মনে হ্য় আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@আ হা মহিউদ্দীন,
– আপনি তো নিজেই মনে হয় স্বীকার করছেন যে কোরানে অসংগতি আছে। অসংগতি থেকে থাকলে তা নিয়ে কথা বলা যাবে না? না থাকলে না হয় বলা যেত যে বলাটা প্রতারনার পর্যায়ে। কি বলেন?
আর কোরানে বিজ্ঞানে দাবীদারদার গলাবাজি আপনার চোখে পড়ে না তেমন? যে গ্রন্থে অসংগতি থাকা স্বাভাবিক বলে মনে করেন তা নিয়ে যে একদল উচ্চশিক্ষিত লোকে আধুনিক বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার পেয়ে যাচ্ছে বলে দাবী করছে তাদের কি বলবেন? তাদের অপরাধ বড় নাকি যারা সেই অসংগতি ধরাচ্ছে তাদের অপরাধ বড়? কোন পক্ষ গলাবাজিতে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে?
@আ হা মহিউদ্দীন,
আমাদের (মানুষবা প্রানী) জগৎ সংসারে এমন কিছু কি অছে যা বিজ্ঞান ছাড়া পরিচালিত হয়। ভাই যাতে সাধারন মানুষ প্রতারিত না হয় সেটাই মুক্তমনার লক্ষ্য, আমাদের কাজই আসল সত্য কে অনুসন্ধান করা যাতে মানুষ জানতে পারে কোনটি সত্য এবং কোনটি মিথ্য, সিদ্ধান্ত নেয়া তাদের দায়িত্ব।
আপনারা আজে বাজে পোস্ট দিচ্ছেন। আপনারা কখনো কোরআন পড়েছেন? নাকি অন্যকে ছোট করার জন্য যা ইচ্ছে তাই লিখছেন। আপনার যুক্তির রেফারেন্স দিন। আজে বাজে কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।
@জাহাঙ্গীর আলাম,
আপনি নিজের মাতৃভাষায় কোরান পড়েছেন কখনো ? মনে হয় না পড়েছেন। পড়লে এরকম ফালতু মন্তব্য করতেন না।
কোরান থেকেই তো বহু রেফারেন্স দেয়া আছে, আপনি অন্ধ নাকি ?
@জাহাঙ্গীর আলাম,
আয়াতগুলো কোরানের ভেতর থেকে উল্লেখ করা হয়েছে। দয়া করে যাচাই করে নিন। আমি বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি, আমি কাউকে ছোট বা বিভ্রান্ত করার জন্য লিখছিনা। আমার উপস্থাপিত যুক্তি বেঠিক মনে হলে সুনির্দিষ্টভাবে খন্ডন করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
@জাহাঙ্গীর আলাম,
দয়া করে আপনিই আগে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদ করা কোরান পড়েন, তারপর মন্তব্য করেন। অধিকাংশ ইসলামীদেরই এই এক প্রব্লেম, নিজে কোরান না পড়ে অন্যকে তা পড়ার উপদেশ দেয়। গিরিশ চন্দ্র সেনেরটা পড়তে বললাম এই কারণে যে, পরে যারাই কোরান অনুবাদ করেছে তারাই আল্লা ও ইসলামকে সেফ করার জন্য কিছু না কিছু বিকৃতি ঘটিয়েছে।
কদিন আগেই এ নিয়া একজনের সাথে তর্ক হয়েছিল। আকে অনেক কষ্টে বুঝাইছিলাম, জমাট রক্তপিন্ড এক জিনিস, মাংসপিন্ড এক জিনিস আর ভ্রুণ আরেক জিনিস। সবগুলাই আলাদা আলাদা টিস্যু। তাছাড়া মায়ের পেটে একটা বাচ্চা ছোট থেকে বড় হচ্ছে এটা আমাদের সাধারণ দৃষ্টিতেই দেখতে পাচ্ছি। আগের যুগের মানুসরাও এটা জেনে আসছে। এজন্য “জমাট রক্তপিন্ড থেকে মানুস হচ্ছে” একে নতুন কোন তথ্য ভাবার কারণ দেখি না। এছাড়া এবরশন হলে জমাট রক্তপিন্ড বের হয় এটা গ্রামের নারীরাও জানে। তারাও সেটাকে নষ্ট বাচ্চা হিসেবেই দেখে।
এই পোস্টে সমস্ত ব্যাপারগুলো খুব সুন্দরভাবে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
@নাজমুল,
বিষয়োক্ত ব্যাপারে কোরানে আরো অনেক আয়াত আছে যা ব্যাখ্যার প্রয়োজন মনে করিনি। অনেকটা লেখার সংক্ষিপ্ততা বজায় রাখার জন্য বলতে পারেন। লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সিরিজটা ধীরে ধীরে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। লিখতে থাকুন। (Y)
একটি বিষয়ে বলব। বৈজ্ঞানিক তথ্যসমূহের জন্য রেফারেন্স উল্লেখ করলে কি আরো ভালো হতো না? আমি মনে করি এই ধরনের লেখা রেফারেন্স সহকারে লেখা হলে তা বেশ সলিড হয়।
@নিটোল,
হ্যাঁ, আপনার কথা ঠিক আছে। লেখাটিতে সাধারণ বৈজ্ঞানিক তথ্য দেয়া হয়েছে বিধায় রেফারেন্স দিয়েছিলাম না। রেফারেন্স দিয়ে দিয়েছি। আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখায় ফিটাসের লিঙ্গ নির্ধারনের বিষয়টি বাদ গেছে। লিঙ্গ নির্ধারন হয় নিষেকের সাথে সাথে কিন্তু কোরানে তার অনেক পর হয় বলা আছে।
@বিনায়ক হালদার,
হ্যা, বিষয়টি বাদ দিয়েছি। এবিষয়ে আরো অনেক কিছুই বাদ দিয়েছি। বড় পোষ্ট পাঠকের বিরক্তির কারন হতে পারে ভেবে এ অবস্থা আরকি। মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
সবজান্তা জাকির নায়েকের মুখোস কি কোন মুখোমুখি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের দারা খুলে দেয়া যায় না ??? কেননা সাধারণ নিরমল মানুষগুলোকে যা খুশি তাই বুঝাচ্চে আর মানুষ বাহবা দিচ্ছে।ইস্লাম কি মানুষকে হিংসা শিখাচ্ছে না? শান্তির তো কিছুই দেখি না ইস্লামে এই সত্যটাকিা মুসলমানরা বুঝতে পারে না? মাঝে মাঝে মনে হয় ধর্মগুলোকে যদি নিষিধ্য করা যেত পৃথিবীতে!!!
@আস্তরিন,
জাকির নায়েককে সরাসরি সম্প্রচারিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রবীর ঘোষ নাকি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি হয়েছিলেন। এব্যাপারে মুক্তমনাতে ঈশ্বরহীন ফলোআপঃ জাকির নায়েক বনাম প্রবীর ঘোষ নামে একটি পোষ্ট করেছিলেন মুক্তমনার পাঠকসহ সকলের পরামর্শ চেয়ে। তখন অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। আপনি লিংকটি পড়ে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।