জনৈক ডাক্তার মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী(এমবিবিএস) আজ সকালে আমার ফেসবুক প্রফাইলের দেয়ালে একটা লিঙ্ক পোস্ট করেছেন। লেখাটি সদালাপ নামক ধর্মব্লগেও পোস্ট হয়েছে দেখালাম, অভিজিৎ ভাইয়ের লেখার সমালোচনা বলে একটু পড়ে দেখার আগ্রহ জন্মালো। লেখাটি পড়া শুরু করা মাত্রই উনার যুক্তিবোধ আমাকে আরেক “স্বনামধন্য ডাক্তার” বিখ্যাত যাকাত ব্যাবসায়ী জোকার নায়েকের কিছু বক্তব্য মনে করিয়ে দিলো, এবং আমি তার লেখাটির কিছু সমালোচনা করলাম আমার ফেসবুকে দেয়া লিঙ্কের মন্তব্য ঘরে। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম, তিনি আমার মন্তব্যগুলো মুছে ফেলেছেন এবং নিজের দেয়া লিঙ্কটিও মুছে ফেলেছেন। অগুরুত্ত্বপুর্ণ বিধায় লিঙ্কটি আর আমি শেয়ার করছি না, তবে কিয়দাংশ এই আলোচনার সুবিধার্থে কপি করবো। এর একটু পরে খুব আশ্চর্য্য হয়েই দেখলাম, তিনি আমাকে ব্যাক্তিগত মেসেজ পাঠাচ্ছেন, এবং অত্যন্ত নোংরা ভাষায় আমাকে গালাগালি করেছেন। সেই গালিগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল, “শুয়ারের বাচ্চা” “মূর্খের বাদশাহ” এবং আরও কুরুচিকর গালি যা মুক্তমনার মত ব্লগে বলতে আমার রুচিতে বাধছে।
ডাক্তার মুশফিকের লেখাটি শুরু হয়েছে এভাবেঃ
আমাদের দেশের জনগণের একটি মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য হলো, তারা ডাক্তারের কাছে সহজে যেতে চায়না, নিজেই নিজের চিকিৎসা করে, আমাদের অভিজিৎ বাবুও চিকিৎসক না হয়েই এইডসের মত একটি মরনঘাতী ব্যাধিতে সমকামের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রচার করে সমাজের উপর তার অপচিকিৎসা চালিয়ে যান । আমার বাবা ইতিহাসের লোক, চিকিৎসক নন, আমার মাতামহ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লোক – ১৯৫২ সালের ভাষা সৈনিক তথা একাত্তরের বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ জিয়াদ আলী, তিনিও চিকিৎসাবিদ্যার সঙ্গে জড়িত নন । তাদের মাঝে মাঝে দেখি ড্রাগ ম্যানুয়াল বা মিমস, সিমস, পিমস ইত্যাদি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে, হয়তো কারো কোন ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা হয়েছে, তখন তারা মিমস লব্ধ জ্ঞানে রোগীকে বলেন প্যারাসিটামল বা অ্যান্টি অ্যালারজিক খেতে । এই কাজটি বাংলাদেশে অনেকেই করেন, একটু কাশি হলেই দেখা যায়, কফ সিরাপ তুসকা খাওয়া শুরু করেন । ভাইরাল কমন কোল্ডে অনেকে অনেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেন । কেউবা ঘন সর্দিতে আন্দাজে অ্যালাট্রল খাওয়া শুরু করেন । আমি মনে মনে হাসি, কেননা চিকিৎসক হতে গেলে ৫ বছর এমবিবিএস পড়তে হয়, তারপর তিনি ডাক্তারি করতে পারেন, শুধু ইন্ডিকেশন- ডোজ-সাইড এফেক্ট-প্রিকোশন দেখে ঔষধ দেওয়া যায়না ।
অজয় রায় পুত্র অভিজিৎ রায় সমকাম এবং সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি বিজ্ঞানময় কিতাব (!) লিখেছেন বলে দাবী করে আসছেন । এই মহাকিতাবের নাম – ““সমকামিতা : একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান” , সমকামিতার পক্ষ নিতে যেয়ে অজস্র মিথ্যে বলেছেন অভিজিৎ রায়, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের দাবী করে বইটির মধ্যে জুড়ে দিয়েছেন চরম অবৈজ্ঞানিক তথ্য যা অধুনা চিকিৎসাবিজ্ঞান সমর্থন করেনা, সেগুলো নিয়েই আমার এই পোস্টের অবতারনা ।
এই অংশটুকু পড়বার পরেই ডাক্তার মুশফিক সাহেবের দৌড় আমি বুঝে ফেললাম, এবং তারপরেও পুরোটা পড়ে দেখলাম। পড়ে দেখার পরে বুঝলাম, উনি অভিজিৎ ভাইয়ের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করে একটু লাইমলাইটে আসবার চেষ্টা করছেন।
এই এমবিবিএস পাশ ডাক্তার সাহেবের একটা লেখা ইতিপুর্বে মুক্তমনাতে পড়েছিলাম, এবং কিছুটা সমর্থনও দিয়েছিলাম। এর কারণ হচ্ছে, উনার সাথে আগে একবার আমার মেসেঞ্জারে চ্যাট হয়েছিল বেশ ক’বছর আগে। নতুন লেখকদের আমি সবসময়ই উৎসাহ দেই, উনাকেও দিয়েছিলাম। কিন্তু উনি আমার উৎসাহকে মনে হয় ভুলভাবে নিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন আমি উনার শিশুতোষ প্রবন্ধটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি।
বেশ ক’বছর আগে যখন উনার সাথে চ্যাট হয়েছিল, উনি নিজেই বলেছিলেন, উনি একটা বই বের করে নিজেই সেটার বিরুদ্ধে লাগবেন, যেভাবেই হোক বইটি ব্যান করিয়ে বিখ্যাত হবেন। বিখ্যাত হবার অদম্য আকাংখা এই তরুন ছেলেটিকে পেয়ে বসেছে, এবং সে বিখ্যাত হবার আকাংখায় এখন অভিজিৎ ভাইয়ের লেখার সমালোচনা করছেন-নিজের মেধা-যোগ্যতা-জ্ঞানকে বিবেচনায় না এনেই।
আমার ফেসবুক দেয়ালেই আমি মন্তব্য লিখলাম, এবং উনি আমার মন্তব্য মুছে ফেললেন কোন কারণ ছাড়াই। একজন সমালোচক যখন অন্যের সমালোচনা করেন, অন্যের লেখার সমালোচনা করেন, এবং নিজের সমালোচনাগুলোকে কৌশলে মুছে ফেলেন, এবং সমালোচককে “শুয়ারের বাচ্চা” বলে ফেসবুকে গালি পাঠান, তখন উনার মানসিক বয়স এবং বদ্ধ উন্মাদ হবার সম্ভাবনা আমাকে আতংকিত করে তোলে।
তাকে লেখা আমার মন্তব্যগুলো এখানে পোস্ট করছি।
আসিফ মহিউদ্দীনঃ অত্যন্ত নিম্নমানের লেখা। সমালোচনা সব সময়ই স্বাগত জানাই, কিন্তু লেখাটাতে সমালোচনা ছাড়া সব কিছুই হয়েছে। প্রথমেই নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অভিজিৎকে খারিজ করার একটা মানসিক আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে।
ভাবখানা এমন, “আমি ডাক্তর, আমি সবাত্থে বেশি বুঝি”। ঠিক যেন আমিনী দাবী করেন যে সে দাড়ি টুপি ওয়ালা এবং কোরান হাদিস পড়া বলে সে ধর্ম সম্পর্কে বেশি বুঝে এবং আর কেউ কিছু বোঝে না। সেদিনও আমিনী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিল “আমনে আমাত্থে বেশি বুজেন?”। এই মুশফিক সাহেবের শুরুটাও তেমন।
দুনিয়া অনেক এগিয়ে গিয়েছে, এইডস কিভাবে ছড়ায় তা জানার জন্য এমবিবিএস পাশ করার এখন আর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। লেখক প্রথমেই এই ভুলটি করেছেন। অভিজিৎ ভুল না ঠিক সেটা ভিন্ন ব্যাপার, কিন্তু “আমি ডাক্তর, আমি সবাত্থে বেশি বুঝি” এই ধরণের ভাব কোন আলোচনার উপযুক্ত নয়। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বিভিন্ন জায়গাতে আড্ডা দেই, এবং এমবিবিএস পাশ বহু ডাক্তার আমার আলোচনায় চেয়ারে বসারই সুযোগ পায় না, কিন্তু এটা বলে কোন আলোচনার আবহ সৃষ্টি করাটা আমার কাছে নোংরামী বলেই মনে হয়েছে।
9 minutes ago · Like//আসিফ মহিউদ্দীনঃ এই মুশফিক সাহেব বোধকরি আরেক “স্বনাম ধন্য ডাক্তর” জোকার নায়েকের কিছু বক্তব্য নিয়মিত শোনেন। কারণ তার বক্তব্যের সাথে জোকার নায়েকের কিছু বক্তব্যর অদ্ভুত মিল পেলাম। জোকার নায়েক বলেন, ” বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে বিজ্ঞানী হতে হবে, রাজনীতি সম্পর্কে জানতে রাজনীতিবিদ হতে হবে, রোগ সম্পর্কে জানতে ডাক্তার হতে হবে, সুতরাং ইসলাম সম্পর্কে জানতে মুসলিম হতে হবে” এই বলে সে অমুসলিম/নাস্তিক/মুক্তমনা/মানবতাবাদীদের ইসলাম সম্পর্কে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেন। তিনি বোঝান, ওরা কেউই ইসলাম সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার যোগ্য না, কারণ ওরা কেউই মুসলিম না। একমাত্র একজন প্রকৃত মুসলিমই ইসলামের সমালোচনার যোগ্যতা রাখেন। কি হাস্যকর যুক্তি!
4 minutes ago · Like//আসিফ মহিউদ্দীনঃ ইসলাম সম্পর্কে সমালোচনার জন্য আমাদের মুসলিম হতে হবে, দুর্নীতিবাজদের সমালোচনা করতে হলে আমাদের দুর্নীতিবাজ হতে হবে, ধর্ষককে ঘৃণা করতে আমাদের ধর্ষন করতে হবে। এই হচ্ছে আমাদের প্রিয় ডাক্তর জোকার নায়েকের ধ্বজভঙ্গ যুক্তির নমুনা।(এই অংশটুকু শুধুই জোকার নায়েকের যুক্তির নমুনা বোঝবার জন্য ব্যাবহার করেছি)
3 minutes ago · Like//আসিফ মহিউদ্দীনঃ এই লেখাটিতেও তেমনি একটা হামবড়া ভাব, যে “আমি ডাক্তর, কোথাকার কোন অভিজিৎ কি আমাত্থে বেশি বুজে?” দেখানো হয়েছে প্রবলভাবে।
কিন্তু জনাব, এইডস কিভাবে ছড়ায় তা জানতে একটি এমবিবিএস সার্টিফিকেট লাগে না। আর সার্টিফিকেট ধারী অনেকের মধ্যেও বিবর্তনবাদ নিয়ে যা শুনেছি, এখন সার্টিফিকেট ধারী শুনলেই হাসি পেয়ে যায়।
about a minute ago · Like//আসিফ মহিউদ্দীনঃ এর চাইতে বেশি বলতে গেলে ঐ লেখাটির একটা সমালোচনা লিখতে হবে, তা করলে ঐ লেখাটিকে গুরুত্ত্ব দিয়ে ফেলা হয়। যার কোন প্রয়োজন দেখছি না। লিঙ্ক শেয়ারের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
2 hours ago · Like · 1 person
এরপরে আমাদের এমবিবিএস ডাক্তর সাহেব যিনি সবাত্থে বেশি বোঝেন, প্রথমে এই মন্তব্যগুলো, পরে তার শেয়ার করা লিঙ্ক মুছে ফেলেন। যিনি সমালোচনাই সহ্য করতে পারেন না, তিনি এসেছেন সমালোচক সাজতে। কি হাস্যকর ব্যাপার!!! এরপরে আমাকে অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় বেশ কয়েকটি মেসেজ পাঠান, মেসেজটার স্ক্রীনশট চাইলে দেয়া হবে।
আমাদের এমবিবিএস পাশ ডাক্তর মুশফিক সাহেব নিজেকে নাস্তিক দাবী করে, মুক্তমনা দাবী করে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন, এবং সেই মেসেজে Avijit Roy ভাইকে বদ্ধমনাও তিনি দাবী করেছেন। বেশ ভাল কথা। অভিজিৎ ভাই আসলেই বদ্ধমনা, মুক্তমনা হলে তিনি এই এমবিবিএসের পিছনে কষে একটা লাথি ঠিকই লাগাতেন বলেই আমার মনে হয়। তো আমাদের “স্বঘোষিত মুক্তমনা” এবং “যুগশ্রেষ্ট নাস্তিককুল শিরঃমনি” মুশফিক ভাই (এমবিবিএস-সুভানাল্লাহ) এর মুক্তমনের পরিচয় পেলাম আমারই বক্তব্য ডিলিট করে আমাকে কুৎসিত ভাষায় গালাগালিতেই। যে আমার ছোট কয়েক লাইন সমালোচনা সহ্য করতে পারছেন না, তিনি অভিজিৎ ভাইয়ের লেখার সমালোচক এবং “স্বঘোষিত মুক্তমনা” বনে গেছেন। কি কান্ড!!!
উনার লেখার উপরোক্ত সমালোচনা করায় তিনি আমাকে “শুয়ারের বাচ্চা” “মূর্খের বাদশাহ” “নাস্তিক মৌলবাদী” “ছাগবৎস” “হস্তমৈথুনকারী” “অর্বাচীন যুবক” “মুক্তমনার দালাল” সহ বিভিন্ন উপাধীতে এবং গালাগালিতে ভূষিত করেছেন ব্যাক্তিগত মেসেজের মাধ্যমে। ডাক্তর মুশফিক নামক দ্বিতীয় জোকার নায়েকের মেসেজ পেয়ে আমি মুগ্ধ। কি বলবো ভেবেই পাচ্ছি না। একজন সমালোচক যখন তার সমালোচককে শুধুমাত্র সমালোচনার জন্য সেই মন্তব্যগুলো মুছে “শুয়ারের বাচ্চা” বলে গালি দেন, তখন তার চাইতে বেশী মুক্তমনা আর কে হতে পারে?
আমাকে এইটুকু সমালোচনার অপরাধে “শুয়ারের বাচ্চা” বলে গালি দেয়া মেসেজের ছবিঃ
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, উনি আমাকে গালি দিয়েছেন নাকি লেখার শেষে নিজের সাক্ষর রেখেছেন ব্যাপারটা ঠিক ধরতে পারি নি। আপনাদের কারো জানা থাকলে প্লিজ জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকে ফেসবুক থেকে একটি লিঙ্কে গিয়ে দেখলাম সমান্তরাল নামে এক লেখক ‘আমার ব্লগে’ ‘ডক্টর’ মুশফিক সাহেবের স্বরূপ উন্মোচন করে দিয়েছেন –
ডঃ মুশফিক ইমতিয়াজ, আপনি ডাক্তার কবে হলেন? -সমান্তরাল
শুধু তাই নয় এই লোক চোদ্দ জায়গায় লেখা লিখে তানভীরুলকে গ্র্যাণ্ড ডিজাইনের অনুবাদ করার জন্য ‘চোর’ বানাচ্ছিলেন দুই দিন আগেই, অথচ নিজেই দেখি অমি রহমান পিয়ালের লেখা দেদারসে কপি করে চলেছেন!
এই লোককে আমি ‘উন্মাদ’ বলেছিলাম। আমি কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। একে উন্মাদ ডাকলে হেমায়েতপুরের রোগীরাও বিদ্রোহ করে বসতে পারে। একে দেখলে ‘মহাউন্মাদ’ও লজ্জা পেয়ে যাবে।
ফেসবুকে এক জায়গার উনার শেয়ার করা লিঙ্কটায় একটু সমালোচনা করেছিলাম । ‘আসিফ মহির চামচা’ গালি পূর্বক ‘হা হা’ করে হাসি দিলেন । হাবে ভাবে পাগলই মনে হল ।
আসিফ ভাই,
ডাঃ মুশফিক একটি ইতর প্রানী বিশেষ। কাউকে সম্মান দিতে শেখেনি।সে যখন ৫ম বর্ষের ছাত্র ছিল তখনি নামের আগে ডাক্তার লিখতো। তাকে কোন গুরত্ব না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।সামান্য ভদ্রতাও শেখেনি। কি আর বলব?
অত্যন্ত জঘন্য প্রকৃতির নীচুমনের এই ছেলেটা ডাক্তার সমাজের কলংক।
যাই হোক ভালো থাকবেন।
@বীরেন্দ্র ভট্টাচার্য্য,
অনুগ্রহ করে ডাঃ মুশফিক সম্বন্ধে আরেকটু বিস্তারিত জানাবেন কি? যেহেতু আপনি তাকে ব্যাক্তিগতভাবে চেনেন। just curious…
@মুক্তমনা এডমিন
উপরে ২৮ নং মন্তব্য (মন্তব্যকারীঃ ফয়সাল মাহমুদ (অভি)) এর ভাষাটা একটু কেমন হয়ে গেল না?
@টেকি সাফি, ওদের কে এর চেয়ে নিন্ম ভাষা মন্তব্য করার শব্দ খুজে পাইনি ভ্রাতা সফিকুল ইসলাম ওরফে টেকি সাফি (F) ।
ডাক্তার মুশফিককে মগবাজারের পেইড এজেন্ট এবং ইবনে ছিনা পশু হসপিটালের হাজাম ডাক্তার মনে অইতাছে।ব্যাটা তুই যা বলবি তাই রাইট কেম্নে বুঝলি। তুর ঈমানী জুর মগবাজার পর্যন্ত তাই ফরিদ আহমদ কে আলতু ফালতু মেইল করস।তাসলিমা নাসরিন কে দেশ থেকে বহিষ্কার করে কি প্রগতিশীলদের আটকাতে পেরেছিস। অধ্যাপক হুমায়ুন আযাদের উপর বর্বর হামলা করে তুরা কি প্রমান করলি।এসব মুসফিকদের জন্য দেশে কাঠাল পাতার আজ বড় অভাব।১৬ লাখ মগবাজারী ছাগু যদি সব কাঠাল পাতা খেয়ে ফেলে তা হলে বাকী প্রানী সমাজ বাচেঁ কি করে।
@ফয়সাল মাহমুদ (অভি),
নিচের টেকি সাফির মন্তব্যের সুত্র ধরে মুক্তমনায় ভাষা ব্যবহারে আরেকটু সতর্ক হতে আপনাকে অনুরোধ করছি। ডাক্তার মুশফিক যতই বাজে কথা বলুকনা কেন,আমাদের এরকম ভাষা ব্যবহার মানায়না :-)।
ডাক্তার মানুষ মারে।
নিজের সমালোচনা যে সহ্য করতে পারে না সে কেনো অন্যের সমালোচনা করতে আসে!!!
কে সঠিক কে বেঠিক তা বড় কথা নয়।কথা আপনি কতটুকু বলছনে ও কতটুকু শুনছেন।নিজের সমালোচনায় আসা মন্তব্য যে মুছে দেয় বুঝতে হবে তার ভিতর গলদ আছে।
বুঝতে পারলেন না!ডাক্তার মানুষ…প্রেসক্রিপশনে লেখা শেষে সবসময় সাক্ষর করেন তাই বুঝি অভ্যাসটা রয়ে গেলো!!! :))
সদালাপ থেকেও মুশফিকের প্রস্থান কেবল মাত্র সময়ের ব্যাপার। মুশফিকের প্রতিটি লেখায় সদালাপের সম্পাদক কাঁচি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন, যেটা আবার মুশফিকের মতো মানুষ মেনে নিতে পারেন না :)) । তার শেষ ঠিকানা হবে “প্রিয়” ব্লগের মতো গালি-গালাজ পূর্ণ ব্লগ। এই “প্রিয়” ব্লগ কারা চালায় আমার ধারণা নেই। কিন্তু সেই ব্লগের পেছনের মানুষগুলোও যে খুব একটি সুস্থ নয় – সেটা চিন্তা করা যায়। না হলে নিজের উঠোনে এরকম গালি-গালাজ হতে দেয় কেউ। অবিশ্বাস্য। আশে পাশে কত অসুস্থ মানুষ যে সুস্থের বেশ ধরে ঘুরে বেড়ায় তা কল্পনা করা যায় না।
যা হোক মুক্তমনার সদস্যদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ এই পোষ্টে কমেন্ট করা ছেড়ে আমরা অন্য লেখাগুলোতে মনোনিবেশ করি।
@স্বাধীন,
অনুরোধটা একটু অদ্ভুত নয় কি? এই পোস্ট তো প্রথম পাতা থেকে সরিয়েই ফেলা হয়েছে, কেউ যদি এখানে তার মত জানাতে চায় বা এখানে যদি আলোচনা চলে তাহলে সমস্যা কি?
আসিফ মহিউদ্দীন–সফিকের বাহাসটুকু বাদে এই লেখায় বিয়াফক বিনোদিত হৈলাম। :lotpot:
তয় লেখার শুরুতে যেমুন বলা হৈছে:
মুক্তমনার মতো সাইটে প্রতিবন্ধীদের হেয় করা ভালু লাগে নাই। 🙁
—
ডাক্তর মুশফিকরে আর কী কমু? তার জন্য পুরানা ব্লগ সাইট থাইকা এক্খান ফটুকই যথেষ্ট :
[img]http://www.hilarytopper.com/wp-content/uploads/2010/10/Kick-Butt-ass-swift-kicking-1.gif[/img]
@বিপ্লব রহমান, দুঃখিত, প্রতিবন্ধীদের হেয় করার জন্য লিখি নাই এমনটা। তারপরেও অসচেতনভাবে কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি সত্যিই দুঃখিত।
আর সফিক সাহেবের সাথে বাহাসটা মিটে গেছে বলেই আশা করছি। যতক্ষণ না কেউ তেড়ে আসছেন, আমি একেবারেই শান্তশিষ্ট মানুষ। 😉
তবে যাই বলেন, ডাক্তার সাহেবের সিগনেচারটার দুইপাশে দুইটা ইমো দেখে তার শৈল্পিক মনের প্রশংসা করতেই হয়। :lotpot:
@আসিফ মহিউদ্দীন,
ঠিকাছে। এখন লেখার ওই অংশটুকু সংশোধন কৈরা দেন।
বাহাস মিটনের খপরে আপ্নেরে জাঁঝা। 🙂
এক্টা বিনীত অনুরোধ (এইটা আদিল মাহমুদসহ অনেকেই আগে কর্ছেন):
দয়া কৈরা আর এমুন পোষ্ট দিয়া ডাক্তর সাবেরে অহেতুক পাত্তা দিবেন না; মুক্তমনার পরথম পাতায় তো অবশ্যই না। এইটা এক্টা পিলিইইইজ! :))
@বিপ্লব রহমান, এডিট করে দিলাম। আর একজনার অনুরোধে প্রথম পাতায় দিয়েছিলাম। এই ডাক্তার সাহেবের মুক্তমনা বিষয়ক আগ্রহ ব্যাপক, তিনি এখানে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। তবে অধিক উত্তেজনায় বুদ্ধিনাশ আর কি। এই জন্যেই এখানে এটা পোস্ট করেছি।
ভাল থাকেন।
আসিফ মহিউদ্দীন এবং সফিক, আপনাদের দুজনকেই কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করে আপনারা যদি মুক্তমনায় ঝগড়াঝাটি করেন, তবে দুজনকেই মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মুক্তমনার উচ্চ মান বজায় রাখার জন্য সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
@মুক্তমনা এডমিন, সতর্ক হইলাম। মুক্তমনার উচ্চমান বজায় রাখতে সর্বদাই সচেষ্ট থাকিবো। আপনেরে ধন্যবাদ।
এবং সকলের কাছে আশা করবো মুক্তমনার উচ্চমান সম্পর্কে সদা সতর্ক থাকতে। কোন সদস্যকে হুট করে তুমি বলে ফেলাটা আর যাইহোক, “উচ্চমান” সম্পন্ন নয়। অভিজিৎ, বিপ্লব পাল, আকাশ মালিক আমার শ্রদ্ধেয়, তারা তুমি বললে আমি কিছু মনে করবো না। কিন্তু আমাকে অন্য কারও তুমি বলার অধিকার তখনই থাকবে যখন সে আমার ঘনিষ্ট বন্ধু হবে। আশা করি ব্যাপারটা এখানেই শেষ। (C)
@মুক্তমনা এডমিন, মাত্রা ছাড়ানোর জন্যে দু:খিত। শেষ একটা অবজার্ভেশন। মুশফিক আজকে স্বরূপে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ায় চারিদিকে নিন্দা আর ব্যংগ করার ধুম পড়ে গেছে। কিন্তু মাসকয়েক আগেই যখন ছেলেটির লেখায় মানসিক ভারসাম্যহীনতা এবং কুৎসিত ব্যক্তি-আক্রমন প্রবণতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিলো, তখন যারা তাকে স্পনসর করেছে তাদের কাছ থেকে একটি ছোট্ট sorry কিন্তু এখনও শোনা হয়নি। একটা sorry ‘র ক্ষমতা অনেক। সরি না বলতে পেরে মুক্তমনা হওয়া সম্ভব নয়।
@মুক্তমনা এডমিন,
(Y)
এডমিনেরা ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো (F) । সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে এর বিকল্প নেই। “আমু”, “প্রিয়” এর মতো গালি-গালাজপূর্ণ আন-মডারেটেড ব্লগ হিসেবে মুক্তমনাকে দেখতে রাজী নই। এডমিনকে ধন্যবাদ সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্যে।
এর ডাক্তার হতে (আসলেই যদি হয়ে থাকে) এখনো ঢের বাকি বলেই মনে হয়। সাধারণত ডাক্তারদের হাতের লেখাই বোঝা যায় না, সেখানে এরকম ফকফকা সিগনেচার- আমার সন্দেহের কারণটা আশা করি বুঝতে পারছেন।
@শ্রাবণ আকাশ, একদম ফকফকা সিগনেচার। দুই পাশে আবার দুই লোগো। দুই লোগোর মানে কি কিছু বুঝলেন?
তিনি আবার পায়ুপথ বিশেষজ্ঞ, পায়ুপথের যে বর্ণনাটা দিয়েছেন, আমি হাসতে হাসতে শেষ।
@আসিফ মহিউদ্দীন, কারো জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক না। আর ঐ বর্ণনাটা শুনেও হাসাহাসি ঠিক না, কেননা বিশেষজ্ঞ, আই মীন, বিশেষভাবে অজ্ঞ হলে এর চেয়ে ভালো বর্ণনা আশা করাটা ভুল হবে।
আর দেখেন- বান্দর বলেন, শুয়ার বলেন আর মৃত্তিকা বলেন, তিনটাই মহান আল্লাপাকের মহান কুদরতি। লোগো দুইটা দেখে উনার মানুষে বিবর্তিত হতে চাওয়ার আকুল ফরিয়াদটাই চোখে পড়ছে। এ ব্যাপারে ওনাকে মনুষ্য সমাজে স্বাগতম জানানো এবং যথাযথ সহযোগিতা করাই উচিত বলে মনে করি। তবে উনার কাজকর্মে মনে হচ্ছে উনি এখনো আল্লার বিবর্তনাধীন আছেন। আর আল্লার ইচ্ছা ছাড়া যেহেতু একটাও গাছের পাতা নড়ে না তাই উনাকে ছাড়পত্র দেয়ার জন্য ইন্টারনেট জুড়ে একটা বিশেষ মোনাজাত এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা আমাদের সবার ঈমানী দায়িত্ব।
@শ্রাবণ আকাশ,
:lotpot: :hahahee:
“অবাক মুশফিক অবাক করলি তুই”!
ধিক্কার জানাই মুক্তমনার সবার পেছনে লাগার জন্য।
সব পড়ে মনে হয় এ লোকটা যে পাকিস্তানের এজেন্ট তাতে কোন
সন্দেহ নাই!
তবে সবারই এ থেকে সতর্কতার দরকার আছে।
@লাইজু নাহার,
একটু আগে দেখলাম আমার এ পোষ্টে করা মন্তব্যটাই
মুশফিক আমার ই-মেইলে পাঠিয়েছে!
এ আমি কার পাল্লায় পরলাম!:-s
@লাইজু নাহার,
আপনিও যে তার হিট লিস্টে ঢুকে গেছেন সেটাই জানাতে চেয়েছে সে। অন্যেরা যেরকম ভয়ে আল্লাহ আল্লাহ করছে, আপনিও সেরকম শুরু করে দিন এখন থেকে। :))
আপনার মেইল থেকে ব্লক করে দিন তাকে। এটাই সহজ সমাধান এই বিদ্বেষপরায়ণ বাহ্যজ্ঞানরহিত বাতিকগ্রস্ত বাচাল বালককে সীমানার বাইরে রাখার।
@লাইজু নাহার,
ম্যাসেজ যা সে দিতে চায় এটা খুবই পরিষ্কার- আপনাকেও সে ইন্টিমিডেইট করার চেষ্টা চালাবে। আপনি তাকে বিনাবাক্যে মেইল লিস্ট থেকে ব্যান করে দিয়ে সিন্দাবাদের ভুতটি নির্ঝঞ্ঝাটে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেন। অল্টার্নেটিভলি, একে মোটামুটি একটা কড়া ধমক দিয়ে মেইল ব্যাক করুন। একবার যদি এইটা তাকে আপনি পরিষ্কারভাবে কমিউনিকেট করতে পারেন যে- চটকানা মেরে তার কানের টিম্পানি ফাটিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আপনি রাখেন (অবশ্যই ভার্বালি), তবে মনে হয় সে ফ্লাইট দিবে।
এইখানে কথাপ্রসঙ্গে একটা কথা- তার সাথে গতকাল আমারও কিন্তু একটা আদান-প্রদান হয়েছে। আমি প্রথমেই তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছি আমার সাথে ইন্টিমিডেইটিং আচরণ করলে what is he going to get back! এখন সে আমার সাথে মানবতা কপচাচ্ছে 😀 । কখন ইস্লামিস্টরা মানুষের সাথে মানবতা কপচানো শুরু করে এটা সম্পর্কে আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। অভিজিত রায়ের মতো ভদ্রভাবে কথা বলেন এরা আপনার সাথে ইস্লামিক আচরণ করবে, অপরপক্ষে আপনিও যদি ইস্লামিক আচরণ করা শুরু করেন তাহলে তারা প্রতিক্রিয়ায় আপনার সাথে মানবতাবাদী আচরণ করবে। আমাকে করা তার মন্তব্যটি এখানে তুলে দিচ্ছি আমি।
হযরত মুশফিকের মতো তার ছেড়া একটা ছাগলের কাছ থেকে যদি অতপর মানবতা, শালীনতা, সত্যবাদীতা আর নিয়ত শিখতে হয় ট্রাজেডি হয়ে যায়না এইটা? ট্রাজেডি ইতিমধ্যেই লেখা শুরু করে দিয়েছে বোধহয় শেক্সপিয়ার কবরে বসে, রোমিও জুলিয়েট আউটশাইনিং ট্রাজেডি!
@আল্লাচালাইনা, ওফ এই ব্যাটা আমারেও জ্বালাইছে। কিন্তু আমি গাইল খাইনাই :)) সে খালি আমার কাছে বিচার দিছে সবার নামে, আর কিছু খুবই পিকুলিয়ার যুক্তি দেখাইছে। আমি যখন বললাম আমি তার কাজ কারবারে বিরক্ত আর কিছু কড়া কথা বললাম তখন ভালমত বিদায় হইছে। আমি মনে হয় জীবনে বেশি পূণ্য করছিলাম তাই গাইল খাইতে হয়নাই :))
@লীনা রহমান, গাইল কিন্তু আমিও খাইনাই, জর্জ হযরত বুশের মতো প্রিএম্পটিভ মেসার নিছিলাম :)) ! মেজাজটা খারাপ লাগে কখন জানেন? যারা ভদ্রলোক এদেরকেই ইসলাম সবচেয়ে নোংড়া আঘাতটা হানে। সর্বকালে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ ইনসান খাঁজাঁ হযরত হয়রানের আমাকে দেখলে তরোয়াল উচিয়ে আসা শিবসেনা সদস্যের কথা মনে পড়ে যায়; সঙ্কিত হয়ে পড়ে হযরত হয়রান; অনিচ্ছাকৃতভাবে পেন্টুতে পিসু করে নাপাক হয়ে যায়! অথচ, আদিল মাহমুদ-অভিজিত-আকাশ মালিক এদের সাথে কি আচরণটা করে দেখছেন? কি কড়া কথা বলছিলেন আমাদেরকেও একটু শুনান, ভবিষ্যতে মুশফিকের মতো পাগল-ছাগল আরও দুই একটা পথে পড়লে তাদের উপর আপনাকে লেলিয়ে দিলাম 😀 !
মুশফিক ছেলেটার আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়। সে সবসময় নামের আগে ড. লাগায়। তারমানে মাঝে মাঝে হয় সে নিজেই ভুলে যায় যে সে হাতুড়ে হলেও একজন ডাক্তার অথবা সে একটা প্রতারক। ইদানিং যে হারে ডাক্তার নামধারী প্রতারকদের সন্ধান মিলছে তাতে আশংকা জাগে। এই দেখেন, হতে পারে উনিই আমাদের এই ডাক্তার সাহেব-
http://i1137.photobucket.com/albums/n516/Sondhi420/VuaDoctor.jpg
মুক্ত-মনাদের বিরুদ্ধে প্রচারণায় কেউ যদি খুশি হয়ে একে আসকারা দেন তবে এটাই বলব তিনি যা করছেন তা যে স্রেফ আহম্মকি তা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন।
মাথাহীন লোককে বেশি পাত্তা দেওন ঠিক না। তবে কেউ মাথায় উঠলে ভাল করে একটা আছাড় দিয়ে নামিয়ে দেয়া উচিত যেটা করেছেন আসিফ সাহেব। নিজ ব্লগে দেয়ায় ভাল হয়েছে। প্রথম পাতায় থাকলে ও বলে বেড়াত দেখ মুক্ত-মনারা আমার পশ্চাৎদেশে লাথি মেরেছে সুতরাং আমি আর কম না।
মুশফিক ছেলেটা ব্যক্তিত্বহীনতা, চরিত্রহীনতা ও নির্লজ্জতার জীবন্ত উদাহরণ। ও নিজেকে নাস্তিক বলে বেড়ায় আবার জামাতি/ছাগু ব্লগে লেখে।
ফাকিস্তানে গিয়ে যে চিরস্থায়ীভাবে কাঠাল পাতা ভক্ষণ শেখে তার কাছে মানুষের মত ব্যবহার আশা করা আহম্মক ছাড়া আর কেউ করে না।
ছেলেটার সম্পর্কে যা জানি তা হল, সে বাংলাদেশে আটকে পড়া ফাকিস্তানি পরিবারের সন্তান। রক্তের অতিরিক্ত মাত্রায় টানের প্রভাবে শেষ পর্যন্ত ফাকিস্তানে চলে যায়। সেখানে গিয়ে ফাকিদের গোয়েন্দা সংস্থার চামচা হওয়ার চেষ্টা করে ও ছোটখাটো এক চামচায় পরিণত হয়। এর মধ্যে তার আবার বাসনা হল বিখ্যাত হওয়ার মানে পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে । তাই সে সর্টকাট রাস্তা ধরল। শুরু করল বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা। কিন্তু ছেলেটা বুঝল না, এভাবে কাজ কারবার করলে স্পশ্চাৎদেশে গদাম ছাড়া আর কিছুই জুটবে না।
তার কীর্তিগুলো বিভিন্ন ব্লগে ছড়িয়ে আছে। তাকে মোটামুটি সবাই গদাম দিচ্ছে। তারছেড়া ব্লগ থেকে আরম্ভ করে ছাগু ব্লগ সবখানে সে সমানে গদাম খাচ্ছে সেরকম উদাহরণ নজীর বিহীন।
মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী M.B.B.S. যে ভাষায় আফরোজা আলম, স্বাধীন, সফিক, তামান্না ঝুমু এবং ফরিদভাই কে আক্রমন শানিয়েছেন তা উনার Signature এর সঙ্গে বেশ সাযুজ্যপূর্ণ। আর অভিজিতদাকে যেভাবে বইমেলায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেটা একেবারে ঢেলা খেয়ে পালানো বেপাড়ার কুকুরের “আমাদের পাড়ায় আয়, দেখে নেব” টাইপের মত। আমার নিরীহ প্রশ্ন উনি কোন প্রজাতির। ডোবারম্যান, স্প্যানিয়েল, আলসেশিয়ান নাকি বাঁশবাগানে লাঞ্চ খেতে যাওয়া নেড়ি?
@স্বপ্নিল, উনি তো উনার জাত সিগনেচারেই চিনিয়ে দিয়েছেন। :lotpot:
গন্যমান্য জঘন্য মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী ডাক্তার বা ফিজিসিয়ান নয়, কিন্তু ভদ্রলোক M.B.B.S. অর্থাৎ উনি মা- বাপের বেকার সন্তান। আমাদের রাষ্ট্রভাষা হিন্দী তে বেকার শব্দের অর্থ হল ফালতু।এখন প্রশ্ন হল এরকম ফালতু লোকের থেকে গালাগালির থেকে আর কি বেশী আশা করা যায়।
লেখাটিকে মূলপাতা থেকে সরিয়ে লেখকের নিজের ব্লগে নিয়ে যাওয়া হলো।
@মুক্তমনা এডমিন, উক্কে আপনেরে ব্যাপক ধইন্যা। :-X
:hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
আমার করুণা হয় এর জন্য। অন্যদেরকে তো বটেই তামান্না ঝুমুকে যে বাজে ভাষায় কথা বলেছেন তার জন্য কখনো আমার সামনে এলে চড় দিয়ে তার দাঁত ফেলে দেব…
@লীনা রহমান,
ভাগ্য ভালো মুক্তমনার কারোরই তোমার মাসল সম্পর্কে তেমন ধারনা নাই। দেখলে আমার লাহান হাসত। :hahahee:
@সাইফুল ইসলাম, আমি আপনের কি ক্ষতি করছি যে আপনি আমার মাচো(!) ইমেজ নষ্ট করতে উইঠা পইড়া লাগলেন? আপনেরে মাইনাস :guli:
আমি কেন নকিয়া মোবাইল ব্যবহার করি জানেন? আমার আগের মোবাইলটা ১৯ বার আর এইটা অলরেডি ৪ বার আছাড় খাইছে। মাসল না থাকুক মোবাইল তো আছে 😉
@লীনা রহমান,
যাদেরকে কিনা এখন পর্যন্ত একটা ইনফ্লামেটোরি কথাও বলতে শোনা যায়নি সেই তামান্না ঝুমু, আফরোজা আলম নীলরোদ্দুরদেরকে নিয়েও তার এতো সমস্যা? চড়ায়া দাঁত না ওরে থাবড়া মাইরা মুতায় ফেলানো দরকার। অরে প্রলভন টলোভন দিয়া ঢাকা ইউনিভার্সিটি এরিয়াতে আইনা যদি একটা ধোসা পিটনী দিতে পারেন কোনমতে (পারবেন ইজিলি এই গরুটার মাথায় দুই আনি মগজও নাই), পৃথিবীতে ফোঁটা সমস্ত গাদাফুল সংগ্রহ করে আপনার জন্য নৈবেদ্য সাজাবো আমি!! :rotfl:
@আল্লাচালাইনা, পিটানোর চেয়ে মানসিক ডেভেলপমেন্ট হওয়া বেশি জরুরি, তাই আপাতত নৈবেদ্যর আশা ছাড়লাম 🙁
@লীনা রহমান,
ধন্যবাদ লীনা অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানোর জন্যে।
@তামান্না ঝুমু, লোকটা এখানে আমার কমেন্ট দেখে আমাকে ফেসবুকে পারসোনালি মেসেজ করে নিজেকে ডিফাই করার চেষ্টা করেছে, স্বভাবতই আপনাদের সবার নামে বিচার দিয়ে, এত ফালতু লাগল ব্যাটাকে…তবে ভাগ্য ভা
আমিনির দুস্ত মুশফিক পাগলা বেয়াপক বিনোদন দিলো। তার পাছায় গদাম দিতে মন চায়।
এই লোক যখন লাইম লাইটে আসার জন্যেই এতো কাহিনি করে তখন তাকে নিয়ে আর আলোচনা না হলেই ভালো, অন্তত মুক্তমনায়। আশা করি আমরা দ্রুত এই ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা বন্ধ করবো। মুক্তমনায় এই ব্যক্তিকে নিয়ে পোষ্ট বা আলোচনা নিরুৎসাহিত করা হোক।
কিছু ম্যানিয়াক/ফেনাটিক থাকবেই সমাজে। এদের হাতেই হুমায়ূন আজাদকে প্রাণ দিতে হয়। তাই প্রকৃত মুক্তমনাকে এই সব উন্মাদের হুমকিতে ভয় পেলে চলে না, চলবেও না। তারপরেও যারা স্বনামে লিখেন এবং ঢাকায় বসবাস করেন তারা অবশ্যই সাবাধানতা অবলম্বন করবেন। সবাই এই ব্যক্তিকে ইগনোর করে সামনে এগিয়ে চলুন।
এই পোষ্টটিকে ব্যক্তিগত ব্লগে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে লেখকের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল।
@স্বাধীন, অনুরোধ রক্ষা করছি, আর কিছুক্ষণ পরেই সরিয়ে নেবো।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
উপরে আরেকটি মন্তব্যে বিস্তারিত বলেছি। আবারো বলছি যে আমার অনুরোধে না সরালেও হবে। আপনি নিজে যদি মনে করেন যে এই আলোচনা মুক্তমনায় চলার প্রয়োজন নেই সে ক্ষেত্রে আপনি সরাতে পারেন। লেখাটি প্রথম পাতায় থাকলেও আমার আপত্তি নেই।
এবার আমি আপনার মূল প্রতিক্রিয়া লেখা প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। এই ব্যাপারে আপনার বক্তব্য পাওয়া গেলে খুশি হবো। আপনার প্রতিক্রিয়াটি এসেছে যখন আপনি নিজে আক্রান্ত হলেন এই তথাকথিত ডঃ হতে। এবং যখন এই ব্যক্তি নানান স্থানে আপনার এবং ফরিদ ভাইয়ের সার্টিফিকেট দেখাচ্ছে তখন। আপনার এমন বক্তব্য দেখায যায়নি এই ব্যক্তির মুক্তমনায় প্রকাশিত ইতিপূর্বের লেখায়। আপনি আজকের লেখায় বলছেন যে
এবার আমি আপনার সেই মন্তব্যটির প্রথম অংশটুকু এখানে দিচ্ছি
আপনার এই মন্তব্য “কিছুটা সমর্থন” কথাটিকে সমর্থন করে না। আপনার মন্তব্যের আগে যারা মন্তব্য করেছিলো সবাই মূলত লেখাটিতে যে সব অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এসেছিল সেগুলো নিয়েই মন্তব্য করেছে, আমি করেছিলাম, বিশেষ করে ইউণূস তনয়ার বিষয়টি। কথা হলো যে আপনাদের মত অভিজ্ঞ মানুষেরা যখন একটি লেখা পড়ে সে লেখার আপত্তিকর অংশের প্রতিবাদ না করে উলটো প্রতিবাদকারীদেরকেই ইউণূস পুজারী বানিয়ে দেন তখন বেশ অবাক হতে হয়।
আমি সত্যি কথা বলতে কি আপনার মন্তব্য বেশ বেশ অবাক হয়েছিলাম। আমার জানামতে মুক্তমনার সাথে আপনি বেশ অনেক দিন ধরেই জড়িত। তারপরেও যখন এক কথা বলে বসেন “মুক্তমনার মন্তব্যকারীদের থেকে কি এর চাইতে বেশি আশা করা যায় না?” তখন অবাক না হয়ে পারি না। আমি আপনার মন্তব্যের প্রতিবাদে একটি মন্তব্য করেছিলাম, কিন্তু আপনার কোন বক্তব্য পাইনি। আশা করি এবার কিছু বক্তব্য পাবো।
আমি এখনো বলবো যে মুক্তমনার অধিকাংশ সদস্যই ইউনূস পুঁজারী/বিদ্বেষের উর্ধ্বে উঠে উক্ত লেখার ভুল ধরতে পেরেছিলাম এবং উক্ত লেখকের অসুখটিও ধরতে পেরেছিলাম । বরং আপনারাই সেটা করতে পারেননি, এবং উল্টো আমাদেরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। আশা করি ভবিষ্যতে মুক্তমনার সহ-সদস্যদের প্রতি কিছুটা আস্থা রাখবেন। আমি মনে করি না মুক্তমনার সদস্যরা অবিবেচিত ভাবে কাউকে হেয় করে বা কোন লেখার সমালোচনা করে। একই কথা প্রযোজ্য মাসুদ রানার লেখাটি সম্পর্কেও।
@স্বাধীন, মুক্তমনার সদস্যদের প্রতি আস্থা আছে। ডাক্তার মুশফিকের প্রতি ছিল না। ইতিপুর্বে এসএম রায়হান যিনি এক সময়ে মুক্তমনার ভক্ত ছিলেন, পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে আজকে পাক্কা জেহাদী বনে গেছে, তার পুরো ইতিহাস জানি। আর জানি বলেই ছেলেটাকে বাঁচাতে চাচ্ছিলাম। বর্তমানে মুক্তমনা বিদ্বেষী আর একটা এসএম রায়হান চাইনি।
আর আমার এই চেষ্টার কারণে কয়েকজন মুক্তমনার কথাও আমার শুনতে হয়েছে, তারা আমার সাথে যোগাযোগও করেছিল এই নিয়ে। কিন্তু সে সময়ে যেটা জরুরী মনে হয়েছিল সেটাই করেছি। আমার কাজের পদ্ধতি আলাদা, আপনি নাও বুঝতে পারেন।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
এবং কি জন্যে সেইটা করবেন শুনতে পারিকি, kindly if you may? আপনার কি মনে হয়না এই পোস্টটাতে বহু মানুষজনের এটেনশন এবং মন্তব্য পড়ছে? মানুষের কিছু বলার ছিলো মানুষ সেইটা এইখানে বলছে? পোস্টটা বেশ জীবন্ত এবং আর কোন ব্যক্তির এইটা নিয়ে কোন সমস্যা নাই এক স্বাধীন ছাড়া? এমনকি ফরিদ আহমেদেরও নেই, এই পোস্টে মন্তব্যকারীদের মধ্যে যার কিনা কোন পোস্ট ব্লগে কোনটা প্রোফাইলে পোস্ট হওয়া উচিত এই নিয়ে মাথা ব্যাথা থাকা সবচেয়ে বেশী কাম্য এবং গ্রহনযোগ্য? আশা করি আমাদের বাদবাকী সকলের মতামতেরও কিছু মুল্য দিবেন, ধন্যবাদ।
@আসিফ মহিউদ্দীন, আমার মনে হচ্ছেনা লেখাটা ব্যক্তিগত ব্লগে সরিয়ে নেয়াটা খুব বেশি জরুরি। যদিও ্ডাঃ মুশফিককে নিয়ে আলোচনা আমার কাছে বৃথাই মনে হয় কারণ কোন যুক্তিই তার উপর কাজ করেনা তবু মানুষেরও তো জানা উচিত সে কিরকম পাবলিক, নইলে যেহেতু সে একজন ডাক্তার, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। আমরা তাকে জানি কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেনা। তাই এভাবে সমালোচনা হওয়াটা ভালই মনে হচ্ছে আমার কাছে।
@লীনা রহমান, আমার থাপ্পর খেয়ে সে এখন প্রিয় ব্লগে আমার ছবি ছেপে আমাকে মৃত্যু হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে আমার হাটু কাপঁছে, আমারে বাচাঁন… ;-(
@আসিফ মহিউদ্দীন,
এ এমন একটি মধ্যযুগীয় দেশে বড় হয়েছে যেই দেশকে পৃথিবীর সবাই ঘৃণা করে, যেই দেশের মানুষ ‘ডাঙ্কি সেক্স’ সার্চ করে বিশ্বের একনম্বর স্থান দখল করেছে, ওসামা বিন লাদেনকে প্রটেক্ট করেছে এবং সারাবিশ্বে ইসলাম ও সন্ত্রাস রপ্তানী করে জীবীকা নির্বাহ করে। এ একটা জোক হলেও হুমকী যা সে দিচ্ছে সেটা কিন্তু মোটেও জোক নয়! একটু সিরিয়াসলিও নিয়েন। একেতো বাংলাদেশে থাকেন, তার উপর নাম-ঠিকানা ছাপায়া যেইরকম কেয়ারলেস চলাফেরা করেন ভয়ইতো লাগে আপনাদের নিয়ে! আমার নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়েছে এরা যে কতোটা ভ্যান্ডাল হতে পারে, প্রয়োজনে এরা নিজের নাক কেটে হলেও পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে পারে বেহেস্তে বাহাত্তরটি নাবালিকা হুরের লোভে। সতর্ক হোয়েন!!
দেখা যাচ্ছে আমার লুঙ্গি গামছাও খুলে নিয়েছে হযরত মুশফিক as if I give a f***! গালি দিবোনা ওরে চুম্মা দিবো মাইনষে! কেউ যদি একটু উসকানী দিতো অরে পিডনী দিতে সরাসরি বাংলাদেশ চলে আসতাম, প্লেনের ভাড়া না থাকলে সাঁতরায় আসতাম প্যাপিলনের নায়কের মতো! কতোটা অসত একটা ছেলে চিন্তা করছেন, মোরওভার কতোটা পাগলা একটা ছেলে, এখনও তার একফোঁটা রিমোর্স নাই যে- আমার কাজকর্ম খুব সম্ভবত ভুল ছিলো? বিন্দুমাত্র এম্প্যাথি নেই এর? এই ছেলেটার শিজ্ঞিরই একটা গার্লফ্রেন্ড দরকার, আমার ধারণা সঙ্গহীনতা এর জীবনকে এইরকম বিষিয়ে তুলেছে। এই তার ছেড়া ছাগলটা যদি একটা বন্দুক যোগাড় করে স্প্রি কিলিঙ্গে নেমে পড়ে তখন কি হবে? কিংবা যদি ইয়োর্কশায়ার রিপারের মতো সিরিয়াল কিলার হয়ে যায়?
@আল্লাচালাইনা,
জানতে ইচ্ছে হচ্ছে আপনার অভিজ্ঞতা
@আসিফ মহিউদ্দীন, ভাই যা খাওয়ার খায়া নেন, আপনার কেয়ামত আয়া পড়ছে। চিন্তা কইরেননা আমি আপনের জন্যে কুরান খতম দিমু আর এক লাখ কালেমা পড়ুম বেহেস্তে তো যাইবেনই না অন্তত যাতে সবচেয়ে ছোড দোজখে যান 😉
@লীনা রহমান, ডরে আমার মুখ থেকে আল্লা রসুলের নাম বাইর হয়া শুরু হইছে। দোয়া কুনুত পরতাছি সমানে। :lotpot:
গত চারদিনে এই বিকারগ্রস্ত বালকটি আমাকে দুটো মেইল করেছেন। যার কোনো উত্তর তাঁকে আমি দেই নি। দেবার কোনো প্রয়োজনই বোধ করি নি আসলে। প্রথমটিতে আমার প্রতি সম্মানসূচক সম্বোধন করলেও মুক্তমনার বেশ ক’জন সম্মানীয় সদস্যকে কুকুরবৎস বলে গালাগাল করেছেন তিনি। শুধু গালাগালই নয়, মুক্তমনা এবং মুক্তমনার সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দিয়েছেন। তাঁর রুদ্ররোষ থেকে বাঁচার জন্য মুক্তমনার বাকি সব সদস্যদের ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি। নাহলে পরিণতি যে ভয়াবহ হবে সেটা বলতেও ভোলেন নি।
এর মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে মজাদার মনে হয়েছে অভির বিরুদ্ধে হুমকিটা। ইসলাম অবমাননার কারণে আগামী বইমেলায় শুদ্ধস্বরের স্টলে ব্যাপক জনসংযোগ এবং জনবিক্ষোভ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ মুসলিম পাঠকেরা অভিকে শারীরিকভাবে আক্রমণও করবে বলে হুমকিধামকি দিয়েছেন। তাঁর এই এক হুমকিতেই প্রমাণিত হয় যে, এই নাদান ব্যক্তিটি আসলে নাস্তিক নন, নাস্তিকের ভেক ধরা একজন ইসলামিস্ট।
পুরো ইমেইলটি তুলে দিলাম আমি এখানে। এটা একটা হুমকি প্রদানকারী একতরফা ইমেইল। কাজেই, এটিকে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে আমার তরফ থেকে কোনো নীতিগত বাধা নেই। দ্বিতীয় মেইলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
প্রথম মেইলে ডঃ মুশফিকের হাত থেকে আমি কোনোক্রমে বাঁচলেও, দ্বিতীয় মেইলে আর রক্ষা পাই নি। এই মেইলে আমাকে কাঁঠাল পাতা চাবানো হাম্বা হাম্বা করা মূর্খ ষাঁড় হিসাবে গালমন্দ করেছেন তিনি। তবে গালমন্দের মধ্যেও বেশ কিছুটা জ্ঞান লাভ হয়েছে আমার। ষাঁড় যে কাঁঠাল পাতা চিবোয়, এটা আগে জানা ছিল না আমার। ভীতু, কাপুরুষ, ভণ্ড সম্ভাষণেও ভূষিত করা হয়েছে আমাকে। এছাড়া আমার নামটাকেও বিকৃত করে আমাকে ফকির, ফদির আর ফরিং বলে বেশ একচোট ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে আমাকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে্ন। এমনিতে আমার সেকেলে, আরবিজাত এবং ক্ষ্যাত নামটা নিয়ে সবসময় বিব্রত থাকি আমি। তার উপরে এই সব রঙ্গব্যঙ্গ কী আর সহ্য হয় প্রাণে? 🙁 যাইহোক, দ্বিতীয় মেইলটাও আপনারা দেখে নিন সকলে এই সুযোগে।
@ফরিদ আহমেদ, বাপরে, এতদুর? এতো বদ্ধ উন্মাদ!!!
সে এই লেখাটি পড়ছে, তাই তাকে একটা মেসেজ দিতে চাই।
গত বইমেলাতে প্রায় সারাক্ষণই মেলাতে ছিলাম। আসিফ কে এবং সে কি করতে পারে, সেই সম্পর্কে তার ধারনার যথেষ্ট অভাব আছে। আমার সামনে কখনও পরে গেলে সে তার ভিজা প্যান্ট নিয়ে পালাবারও সময় পাবে না। তাকে আহবান জানাচ্ছি তার সমস্ত জেহাদী বন্ধুদোস্ত নিয়ে একবার আমার সামনে পরুক। তার বিখ্যাত হবার ইচ্ছা আমি তার কোন পথে প্রবেশ করাবো সেটা আমি তাকেই বেছে নিতে দেবো।
এই সব থার্ডক্লাশ চামারগুলারে বেশ কইরা কান মলা দিয়া মুক্তমনা থেকে বাইর করতেন ফরিদ ভাই। 😀
@আসিফ মহিউদ্দীন,
আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। আমি যদি কোনদিন দেশে আসি, প্রথমেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবো ইনশাল্লাহ। ডরে ভয়ে এতক্ষণ শ্বাস বন্ধ ছিল, এবার বাঁচার আশা হলো। তবে শত্রুকে আন্ডারইস্টিমেইট করতে নেই, পারলে তার গতিবিধি নজরে রাখা ভাল।
@আকাশ মালিক, আরে, আপনি দেইখা ফালাইছেন কি লিখছি? লজ্জায় পইরা গেলাম।
ঢাকায় থাকি, নিজের নাম পরিচয় ছবি দিয়ে লিখি, অনেক ছেলেপেলে নিয়ে আড্ডা দেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভয় দেখাতে চায়, মোল্লারা ফোন করে হুমকি দেয়, আমার এলাকার মসজিদে আমার নামে শুক্রবার বয়ান দেয়া হয়। তাই শার্টের হাতা গুটিয়ে রাখি। এখন আর সেই সময় নাই যে পরে পরে মার খাবো। পাল্টা মার দিতে শিখে গেছি।
কেউ পেশী দেখালে তাকে সেটা দিয়ে জবাব দিয়ে দেবো।
আর আপনি আসলে অবশ্যই এই অধমরে একটা খবর দিয়েন। আপনারে দেখার ইচ্ছাটা পূরণ হবে।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
সত্য বলার সৎ-সাহস সবার থাকেনা। অনেক সময় সত্য বলার ইচ্ছা থাকলেও জীবনের ভয়ে তা বলা যায়না।আমি নাস্তিক এ সত্যটুকু আমি আমার কোন আত্নীয় স্বজন,বন্ধু-বান্ধব কাউকে বলতে পারছিনা ভয়ে। ধর্মান্ধ নেককার সব আত্নীয়ের ভিড়ে আমার ছি ছি পড়ে যাবে,আমাকে সবাই ঘৃণা করবে, পরিত্যাগ করবে।নাস্তিক হওয়ার পরে খুব একা হয়ে গিয়েছিলাম,প্রচন্ড মানসিক অস্থিরতার মধ্যে দিন যাপন করছিলাম।মুক্তমনায় এসে আমি মানসিক স্থিরতা ফিরে পেয়েছি,মনের কথা খুলে বলতে পারছি, সবার সাথে আলোচনা করতে পারছি।মুক্তমনা না থাকলে আমাদের কী যে হতো!
আপনারা যারা ্দেশে ভয়াবহ ইসলামিস্টে পরিবেষ্টিত থেকেও ইসলামের জঘন্যতা নিয়ে লিখেন তাদের সৎসাহস দেখে গর্বে বুক ভ’রে যায়। আবার ভয়ও হয়।কারণ ওরাতো হিংস্র ওরাতো মোহাম্মদের লেলিয়ে দেয়া হায়েনা।তাই সাবধানে থাকবেন।আমাদেরকে ধীরে সুস্থে পরিকল্পিত ভাবে এগোতে হবে।
@তামান্না ঝুমু, ভয়ে আতংকে দিন কাটাবার দিন শেষ। আজকে আমরা উচ্চস্বরে বলছি আমরা নাস্তিক। এতে হয়তো অনেকেই ভ্রু কুচঁকে তাকাবে, মোল্লারা চাপাতি চালাতে চাইবে। কিন্তু এখনও এটা না বললে আমাদের সব সময়ই জনবিচ্ছিন্ন ধারা হিসেবে থাকতে হবে।
আপনার আমার মত অনেকেই ধর্মে অবিশ্বাসী, কিন্তু তারা বলতে পারেন না, বলতে দ্বিধা করেন।এই ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে। একটু মার খেয়েই না হয় বলে গেলাম, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যখন বলবে তারা নাস্তিক, তখন সমাজ ব্যাপারটাকে এখনকার চাইতে অনেক বেশি স্বাভাবিক ভাবেই নেবে।
প্রথম প্রথম নাস্তিক শুনলেই চিৎকার দিয়ে উঠতো লোকজন। মনে হতো আকাশ মাথায় ভেঙ্গে পরেছে। আজকাল তারা স্বাভাবিক ভাবেই নিচ্ছে-“হ্যা, নাস্তিক মানুষও থাকাটা সম্ভব”-এই বোধটুকু অনেক জরুরী। এই টুকু তৈরি করতে হলে আমাদের সবাইকেই উচ্চস্বরে বলতে হবে। সমাজে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মত ধর্মে অবিশ্বাসী/নাস্তিকদেরও আজকে স্বীকৃতি দেবার সময় হয়েছে। শিক্ষা ব্যাবস্থায়, টিভি চ্যানেলে, পত্র পত্রিকায় সোচ্চার হবার সময় হয়েছে। আজকে আমরা না হয় মার খেলামই, কিন্তু অবস্থা পাল্টাবেই।
অনলাইনে ব্লগিং এর ভেতরেই শুধু আমাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, সবখানে ছড়িয়ে পরতে হবে। যেতে হবে বহুদুর, দরকার সাহসী কিছু মানুষ।
@ফরিদ আহমেদ, আমার পাঁচ বছর বয়সী ভাগ্নেও যদি ‘এমবিবিএস’ সাহেবের এই কথাগুলো শুনে তাহলে নির্ঘাত হাসতে হাসতে বমি করে দেবে!
@নিটোল, উনি বিশিষ্ট পায়ুপথ বিশেষজ্ঞ। উনার সাম্প্রতিক লেখাটিতে পায়ুপথের বর্ণনা এতটাই বাস্তব ছিল যে, পড়লেই বোঝা যায় তিনি কোথায় হাত রেখে লেখাটি লিখেছিলেন। :hahahee:
@ফরিদ আহমেদ,
এই লোক কি পাগল নাকি? একে ডাক্তারী বিদ্যার সার্টিফিকেট দিয়েছে কে? খোজ নিয়ে দেখা দরকার এলোক ডাক্তারী করে কোথায়, এতো সুস্থ লোককেও অসুস্থ করে ফেলবে!
@ফরিদ আহমেদ,
মুশফিক যেভাবে সবাইকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাতে তাকে লাদেনের উত্তরসুরী মনে হচ্ছে। অভিদাকে হুমকি দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া যায় কি?মুক্তমনার অনেক সদস্য বাংলাদেশে বাস করেন ও স্বনামে লিখেন তাদের জন্য তো ভয় হচ্ছে।
এতো বেশি ব্যস্ত থাকি যে ফেসবুকে যাওয়ার সময়ই পাইনা।ছবি দেবো দেবো ভাবছিলাম। কার ফেসবুকে ছবি আছে কার নেই তাতে তার সমস্যা কোথায়?ছবি না থাকাটা কি অপরাধ? এ জন্যে কাউকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিতে হবে?
সে অনেকগুলো ব্লগে গিয়ে যেচে যেচে অপমানিত হচ্ছে।সবাই তার প্রতি হৃদয় নিঙড়ানো ঘৃণা প্রদর্শন করছে ,তার অপমানের ঝুলি কি এখনো পূর্ণ হয়নি?
@তামান্না ঝুমু,
😀
এই উন্মাদের সাথে যে সিরিয়াস হওয়া যায় না আশা করি সেটা এতদিনে বুঝেছেন।
সে তো আমার ব্লগ থেকে ব্যান খাবার পর তাদের নামে মামলা ঠুকে দেবে হুমকি দিয়েছিল, আমার ব্লগ তাতে ভয় না পেয়ে তাকে আবার দ্বিতীয় দফায় ব্যান করেছে 😀 ।
@তামান্না ঝুমু,
ভয়ের কিছু নেই। যে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে সে কুকুর কামড়ায় না।
@ফরিদ আহমেদ,
ভয়ে তো আমার হাত পা পেটের ভেতর সেঁধিয়ে যাচ্ছে। ;-( এখন বাংলার নাস্তিক/মুক্তমনাদের তো আর নিস্তার নাই। “ডাক্তার মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী(এমবিবিএস)” রে ক্ষেপাইয়া কাজটা কিন্তু একেবারেই ঠিক হয়নাই। এখন কি হবে…? :-O
@সাদাচোখ,
:lotpot:
এই শুয়োরের বাচ্চা ডাক্তার(আমি কিন্তু বকা দিইনি-উনি নিজেই উনার পরিচয় দিয়েছেন :-)-কে তার অন্যান্য চিকিৎসাব্যবসায়ী অনুগামী সহ হাবিয়া দোজখে পাঠানো উচিৎ।সমস্যা হল হাবিয়া দোজখ নেই।এরে কী করা যায় চিন্তা করতাছি।হুমকি দেয়ার কারণে একটা কেস করা উচিৎ।তাতেও সমস্যা-এই শয়তানের দেশে কেউ কেস নিব না।যাই হোক ঐ গাধা ডাক্তারকে বলছি আপনাদের মত সার্টিফিকেটধারী ডাক্তার আছে বলেই এই দেশের এই অবস্থা।নচিকেতার ‘ও ডাক্তার’ গানটি শুনবেন দয়া করে।একটা লাইন বলি-‘নিজেদের ডাক্তার বল কেন,তার চেয়ে বল নাকো ব্ল্যাকমেইলার”।আপনি তো সারা দেশের লোকের মগজ জোকার নায়েকের মত করে ব্ল্যাকমেইল করছেন।
@Imran Mahmud Dalim,
জনাব শুয়ারের বাচ্চা সাহেব(আমিও গালি দেই নাই, উনার সাক্ষর ধরে সম্বোধন করলাম মাত্র) বিখ্যাত হতে চায়। যেকোন উপায়েই হোক, তার বিখাত হওয়া চাই।
এই জন্যে সে নিজে বই লিখে নিজেই সেই বইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করাতে চান।
এখন আবার সে ধর্মান্ধদের শিবিরে জনপ্রিয় হবার ধান্ধায় আছে। সদাপ্রলাপ ব্লগ নাকি তাকে কিছু অফার করেছে সেখানে লেখার জন্য।
দেখা যাক শেষ পর্যন্ত তার বিখ্যাত হবার আশাটি পূরণ হয় কিনা।
আমি একটা বুদ্ধি দিয়েছিলাম। নগ্ন হয়ে ফার্মগেট ধরে হাটা শুরু করলেই কেল্লাফতে। :lotpot:
একে আবারো গুরুত্ব দেবার দিয়ে লাইম লাইটে আনার কারন দেখি না। ওনার লজিক্যাল সেন্স যে কত প্রখর তা মুক্তমনায় বিহারী বিষয়ক আলোচনায় টের পেয়েছিলাম। উনি ওনারে বক্তব্য যা খুশী বলে যাবেন কিন্তু তার বিপরীত কিছু বলা যাবে না। বিপরীতে যতই ভাল রেফারেন্স দিন তাকে উড়িয়ে দেবেন অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত লোকের সূত্র বলে। এই লোকের সাথে তর্কে পারে এমন সাধ্য আল্লাহ খোদারও আছে? এর সাথে কথা বলাও তো সময় নষ্ট। এরপর আমার ব্লগে একদিন দেখি এসে কান্নাকাটি করছেন তাকে নাগরিক ব্লগ থেকে উষ্ঠানো হয়েছে বলে।
সেখানে তারপর যথারীতি বোমার মত সব লেখা এবং স্মরনীয় বানী দিয়ে আস্তিক নাস্তিক নিরপেক্ষ সব ধরনের ব্লগারের মাঝেই তুমুল বিনোদন বিলিয়েছিলেন। সামান্য পাঠক প্রতিক্রিয়াতেই গন ব্যান, কথায় কথায় একে তাকে অসভ্য, অর্ধশিক্ষিত। ফলে ওনার প্রসস্তিমূলক লেখা পড়েছে একের পর এক। তারপর ভাগ্যে যা জোটার তাইই হয়েছে।
ওনার কিছু স্মরনীয় বানী ছিলঃ (হুবহু মনে নেই, আর তার ব্লগও ২ দফায় বাতিল)
(লিমন র্যাব বিতর্কে ডঃ আসিফ নজরুল সম্পর্কে)
আন্তর্জাতি নদী আইন কোন বিষয় হল? এ বিষয়ের পিএইচডি কোন ব্যাপার নাকি?
শেখ হাসিনা ও ডঃ ইউনুস প্রসংগেঃ
নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্তিতে শেখ হাসিনার চেয়ে যোগ্য লোক বাংলাদেশে আর নেই।
উনি প্রতি লেখায় প্রতি প্যারায় নিজের সম্পর্কে দম্ভোক্তি করে বেড়ান, যেমন ডঃ মুশফিকের মত কেউ নেই, উনি হেন উনি তেন।
এই সমকাম ঘটিত লেখাতেও কাল আমার ব্লগে ব্যান করার আগে দেখেছিলাম ছত্রে ছত্রে এই রকম শিশুসূলভ দম্ভোক্তি। লেখার শেষ ছিল বড়সড় বোল্ড অক্ষরে নিজের বিজয় নিজেই ঘোষনা করে।
এর লেখা পড়লেই বোঝা যায় যে হয় নিতান্তই শিশু আর নয়ত বদ্ধ উন্মাদ। যদিও স্কুলের ছেলেরাও মনে হয় না নিজের ঢোল নিজেরা এভাবে পেটায়। যেই শ্রেনীরই হন, তার সাথে সিরিয়াস তর্ক মানে সময় নষ্ট।
@আদিল মাহমুদ, তার সাথে তর্কের বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও নেই। যিনি সামান্য দু’লাইনের সমালোচনা হজম করতে গিয়ে এক বস্তা গালি দেন, তার সাথে আর যাইহোক, তর্ক করা সাজে না। আপনি ঠিকই বলেছেন, এই ছেলেটা হয় শিশু নাহয় উন্মাদ।
তবে সে নিজের ঢোল খুব জোরে বাজাতে পারে বলে নতুনরা যেন ভুল “মুক্তমনা”(!)র কবলে না পরে, সেজন্যে আমাদের একটু শক্তহাতে উনাকে হ্যান্ডেল করা দরকার।
আশা করি এই চড়টি খাবার পরে তার একটু শিক্ষা হবে।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
তার শিক্ষা সহজে হবে বলে মনে হয় না। আমার ব্লগ মোটামুটি আওয়ামী সমর্থকদের এলাকা। তার নির্লজ্জ সরকারী দালালি দেখে সেসব আওয়ামী সমর্থরাও হতবাক হয়ে গেছে, তার সাথে পাকিস্তানী ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে কেমন যেন সন্দেহ হয়।
তবে সে সব যায়গা থেকে উষ্ঠা খেলেও মুক্তমনার প্রতি তার বিশেষ স্নেহের প্রকাশটা কেমন যেন লাগে। অন্য ব্লগে যেভাবে গালি খেয়েছে সেই তূলনায় মুক্তমনায় কিছুই খায়নি। গ্র্যান্ড ডিজাইন বই এর অনুবাদ সচলের আশরাফও করেছে, তাকে চৌর্যবৃত্তির দায়ে কিছু বলেনি, বলেছে মুক্তমনার তানভীরকে। তার যে কোন কারনেই হোক মুক্তমনার প্রতি বিশেষ নজর আছে।
@আদিল মাহমুদ, তার সম্পর্কে আমি যতটা জানি, সে দীর্ঘদিন পাক আর্মী ইন্টিলিজেন্সের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল, তাদের এজেন্ট হবার আশায়। অবাক হচ্ছেন? হ্যা, এটা সত্যি। সে নিজেই আমাকে বলেছিল। পরের ঘটনা আমি আর জানি না, তবে সে পাকি এজেন্ট হলে আমি মোটেও অবাক হবো না।
আর মুক্তমনার প্রতি তার আকর্ষণ বোধকরি তার বিখ্যাত হবার বাসনার একটা সিড়ি মাত্র। সে যেভাবেই হোক বিখ্যাত হতে চায়।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
পাক ইন্টেলিজেন্স এই রকম চিজ তাদের বাহিনীতে ঢোকালে তাদের মনে হয় আর কোন রকম রাখঢাকের চিন্তা করতে হবে।
তার সেই বয়ানের কোন ট্রেস এখনো আছে?
তার বিহারী প্রীতি আছে আমি এটা মুক্তমনাতেই পরিষ্কার টের পেয়েছিলাম, ব্যাক্তিগত দিকে টার্ন নেয় বলে কিছু বলিনি। সে নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক বলে দাবী করলেও দেখেছি যে গালিগালাজের সময় বীরংগনাকে বারাংগনা বলে বিকৃত করছে। যেটা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কোন লোকে কোনদিন কোন কারনেই করবে না।
@আদিল মাহমুদ, তার বয়ানের ট্রেস নেই। বহু আগের কথা। হতে পারে সে মিথ্যা বলেছিল, তবে বলেছিল এবং সে হয়তো চেষ্টাও করেছে।
আর হ্যা, পাক আর্মী তার মত লোককে ঢোকালে বুঝতে হবে পাক আর্মীর মাথাতেও বড় ধরণের সমস্যা আছে। তবে পাকিস্তান বলে কথা, অসম্ভব কিছু না।
সে ইদানিং জেহাদি হুংকারও দিচ্ছে সমানে।
@আসিফ মহিউদ্দীন, I am dumbfounded. মুশফিক আ্যাফেয়ারে আপনার হটকারীতা সম্পর্কে জেনে আমার আশ্চর্যের মাত্রা ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে। এই ছেলেটি খ্যাতির জন্যে পাগলাপারা, এই ছেলেটি পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স এর সাথে যোগা্যোগ করেছে বা চেয়েছে। তার পরও আপনি মুক্তমনায় তার প্রলাপকে উৎসাহ দিয়েছেন? তাকে নিজের প্রটেজে করে রেখেছিলেন। কারন সে নাস্তিকতা নিয়ে দুতিনটি কথা বলেছিলো যা আপনার মনের মতো হয়েছিলো ???
আপনার নিজের মানসিক সুস্থতা নিয়েই আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে। নাস্তিকতার প্রসারে আপনি কি এতোটাই ফ্যানাটিক হয়ে গেছেন। এরকম হলে কিন্তু আপনি আপনার উদ্দ্যেশ্যকে চরম ক্ষতিগ্রস্থ করবেন অনিবার্যভাবে।
@সফিক, আপনি এতটা উত্তেজিত কেন???
মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়া কম বয়সী ছেলে ছিল, নানান ফ্যান্টাসীর জগতে বাস করতো। কটা তরুন নাস্তিক দেখেছেন জানি না, আমি প্রতিদিন নতুন নতুন দেখি এবং তাদের সামলাই। এক একজন এক এক টাইপের। কয়েকজনার কথা বললে আপনার চোয়ালের হাড়ই তো বোধহয় লেগে যাবে।
কে ব্যাক্তিগতভাবে কি চিজ, সেটা নিয়া মাথা ঘামাই না। কে আমার কাজের জন্য জরুরী সেটাই দেখি। এদের কেউ যদি লম্পট হয়, কেউ যদি দুর্নীতিবাজ হয়, সেগুলো আমার মাথাব্যাথার কারণ না। কে কোথাকার এজেন্ট তা দিয়ে আমার কি? আমি দেখছিলাম নাস্তিক হবার কারণে সে পারিবারিকভাবে কোন ধরণের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কিনা।
আপনি বোধহয় অধিক উত্তেজনায় স্বাভাবিকভাবে চিন্তাই করতে পারছেন না।
একটা ছেলে বললো সে মোসাদের এজেন্ট, আর আপনিও দৌড়ে গেলেন পুলিশে খবর দিতে!!
@আসিফ মহিউদ্দীন, আপনি মুশকিকের মতো ক্লিনিক্যাল কেস না হতে পারেন, কিন্তু আপনার ম্যাচিউরিটি লেভেল তার চেয়ে বেশী উচুতে নয়।
@সফিক, আপনি ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করছেন। আমি কি সেটা নিয়ে আপনার মাথা না ঘামালেও চলবে। গায়ে পরে ঝামেলা করতে আসবেন না, আমি খুব খারাপ মানুষ। ভদ্র ব্যাবহার যেমন করতে পারি, চড়িয়ে দাঁতও ফেলে দিতে পারি।
আমার ম্যাচিউরিটি লেভেল আপনার গবেষণার বিষয়বস্তু নয়। ভদ্র ব্যাবহার করুন, ভদ্র ব্যাবহার পাবেন। আপনার মত কোন সফিককে নিজের ম্যাচিউরিটি লেভেল প্রমাণ করতে এখানে বসিনি। আমি কে জানা না থাকলে অন্যের সাহায্য নিন, নিজে ধারণা করে মাথার উপরে বেশি প্রেশার দেবেন না দয়া করে।
আগে থেকেই দেখছি আপনি পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে চাইছেন। আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, আপনাকে আমি ঝগড়ার উপযুক্ত মনে করছি না। খুব বেশি গরম হয়ে গেলে আপনাকে নিয়েও হয়তো এমন একটা লেখা দেবো, দু’দিন বাদে ভুলেও যাবো। এই ডাক্তার মুশফিক যেমনটা রক্ত গরম এবং পা লাগিয়ে ঝগড়া করার মানুষ, আপনিও সেরকম হবার ধান্ধা করে হিট হবার আশায় থাকলে হিট করে দেবো। তার আগে একটু জাতে উঠতে হবে।
ধন্যবাদ।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
@সফিক, কি? অত্যাধিক উত্তেজনায় কথাই আটকে গেছে? মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছে না? উত্তেজনা প্রশোমনের কিছু ঔষধ পাওয়া যায়, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেয়ে দেখুন। নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিন। এত গরম হয়ে গেলে কবে হার্ট এটাক করে বসে। :-s
@আসিফ মহিউদ্দীন, একটি ব্লগে দেখেছিলাম একজন ড: মুশফিক ের অভিজিৎ এর প্রতি আক্রমন করাকে তুলনা করেছিলো আরশোলা জেট প্লেনের সমালোচনা করছে এই ভাবে। তোমার সাথে সামান্য যা ইন্টার-আ্যাকশন হয়েছে আগে তাতে ধারনা হয়েছিলো তোমার ইন্টেলেক্ট তোমার শিষ্যের পর্যায়েই, এখন কনফার্ম হলাম টেম্পারামেন্টেও একই। জানি তোমার শিষ্যের মতো তুমিও ব্রেক ছাড়া, কখনই থামতে জানো না। তবে আমি থামলাম।
@আসিফ মহিউদ্দীন, যেমন শিষ্য তেমন গুরু। ভেরি ফিটিং।
@সফিক, বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ। এইটুকু বুঝতে আপনার মাথাকে কি পরিশ্রমটাই না করতে হয়েছে, ভেবেই খারাপ লাগছে। :lotpot:
আপনাদের মত পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করা লোকদের একটু কম পছন্দ করি। তবে বেশি গরম হয়ে গেলে ঠান্ডাও করতে জানি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বলে কথা।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং দুরে থাকুন।
@সফিক, বুঝতে পারছি আমার টেম্পারমেন্ট, আমার ইন্টেলেক্ট, আমার ম্যাচিউরিটি লেভেল, আমার ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন, এবং চালিয়ে যাচ্ছেন। এজন্যে আমি আপনাকে সাধুবাদ জানাতে পারছি না কারণ আমি আপনাকে একাজ করতে বলিনি। এছাড়াও আপনি শুরু থেকেই আমাকে কি বুঝে তুমি করে বলছেন তাও জানি না। আপনি আমার বন্ধু নন এবং অনলাইনে অপরিচিত মানুষকে “আপনি” বলাটা একটা সাধারণ ভদ্রতা। এই ব্যাপারটাও শেখেন নি বোঝা যাচ্ছে। শিখে নিন এখনি, প্রয়োজনে খাতায় লিখে নিন।
আপনি অভদ্র এবং অত্যাধিক গরম স্বভাবের মানুষ। এই জাতের লোককে খুব ভাল ভাবে লাইনে নিয়ে আসার সব টেকনিক আমার জানা আছে। এখন সময় করতে পারছি না বলে আপনাকে নিয়ে বসা গেল না। ভবিষ্যতে সময় করে আপনাকে নিয়ে বসবো হয়তো।
আর “আপনি” করে বলার মত ভদ্রটাটুকু যদি শিখতে না পারেন, আমার পথে ভবিষ্যতে না পরলেই খুশি হবো। আগেই বলেছি আমি খুব খারাপ মানুষ, চড়িয়ে দাঁত ফেলে দিতে আমার জুড়ি নেই। আজকাল দাঁত লাগাতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। তার উপরে দাঁতের ডাক্তার যদি ডাক্তার মুশফিকের মত হয়, তাহলে তো সর্বনাশ!
আপনি যেহেতু শুরু করেছেন, আপনিই থামবেন। আর না থামলেও আমি থামাতে জানি, সুতরাং চিন্তার কিছু নেই।
@সফিক,
:))
দূঃখিত আপনাদের দুজনার মাঝে নাক গলানোতে।
আরশোলার জেট প্লেন ঘটিত মহতি উক্তিটি এই অধমেরই করা 🙂 ।
সেটা নিতান্তই হালকা মেজাজে করা, আমার ব্লগে। সে ব্লগে যেসব কথাবার্তা হয় তার তূলনায় এটা কিছুই নয় আশা করি জানেন।
এত হালকা মেজাজের কথা মুক্তমনায় বলি না, যস্মিন দেশে যদাচার।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
এই কথাটা আপনাকে জানানো হয়নি কখনো আগে- আপনার প্রটাগনিজমের জন্য আপনার প্রতি আমি সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল। আপনি আসলেই একজন সত্যিকারের কর্মী। যদিও অন্যান্য বহুদিকে আমার বহু শখ, আহ্লাদ রয়েছে তারপরও আমি মনে করি আমার টেবিলে যদি কুন্ডুলী পাকিয়ে থাকে একটি বিষাক্ত বিষাক্ত সাপ, অন্যান্য সকল শখ-আহ্লাদ পুর্ণ করার আগে সেই সাপটিকে সর্বপ্রথমে মাথা চটকে হত্যা করাটাই হওয়া উচিত আমার প্রথম দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে আমি নিজেও শুরুতে এডামেন্ট ছিলাম যে আমার আন্তর্জালীয় কর্মকান্ড হতে যাচ্ছে ১০০% ইসলামবিরোধী প্রটাগনিজম, তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি সেই লক্ষ্য হতে আমি আলোকবর্ষ বিচ্যুত হয়ে পড়েছি এবং এই জন্য নিজ মনে লজ্জিতও বোধ করি। কিন্তু, আপনাকে এবং আকাশ মালিক, আবুল কাশেম প্রমুখকে দেখে একটা বিশাল স্বস্তিবোধ হয় ভেবে যে- টেবিলে কুন্ডুলী পাকিয়ে থাকা ইসলাম নামক বিষাক্ত সাপটির বিরুদ্ধে কথা বলার অন্তত কেউ না কেউ রয়েছেই যেই ভাবটি কিনা মাঝেমাঝেই হতাশায় পর্যবসিত হতো মানুষকে ইসলাম ইস্যুতে ম্লান বদনে মুখ ঘুরিয়ে থাকতে দেখে। প্রটাগনিস্টিক স্পিরিট সবার মধ্যেই বিদ্যমান, কেউ সেটাকে লাগিয়ে দর্শনের আজাইড়া প্যাচাল পাড়ে, কাইব্য লেখে, বৈজ্ঞানীক তত্ত্ব দেয়, সমাজতন্ত্রের কথা বলে, এইযে পৃথিবী পৃথিবীতে এতো এতো হেগেমোনি- পোস্টকলোনিয়াল হেগেমনি, ইউরোসেন্ট্রিক এন্ড্রোসেন্ট্রিক হেগেমোনি দুরীকরণে ঝাড়ুদারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়; কিন্তু ইসলাম নিয়ে কথা বলার কেউ নেই; অথচ এইটা হচ্ছে ইসলাম যেটি কিনা তার এবং তার কাছের লোকজনের উপর পোজ করে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মিলিট্যান্ট থ্রেট; বাস্তবতাটা এমন হোক যেইরকম কিনা আমি চাই এই ফ্রুটলেস স্বপ্নবিলাসে অশ্রদ্ধায় ডিনায়ালে ভোগে বাস্তবতার প্রতি সত্যিকারেই বাস্তবতাটা কিনা যেমন! আপনার ব্যয়িত সেলফলেস কর্মঘন্টা, শ্রম ও সময়ের জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইসলাম বিষয়ে আপনার চমতকার চমতকার লেখাগুলি সামহোয়্যারে গিয়ে সবসময়ই পড়ি, আপনার কর্মকান্ড ফেইসবুকেও ফলো করি সবসময়। মুক্তমনায় যদি কিছু লেখেন, তবে মন্তব্য করার সুযোগ পেয়ে ধন্য হবো। কোপাকুপি চালিয়ে যান।।। :candle:
@আল্লাচালাইনা, আপনার মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত হলাম। সাধারণত কেউ প্রশংসা করে না। প্রশংসা পাওয়াটা ভুলেই গিয়েছিলাম। প্রতিদিন সামহোয়্যারে শুধুমাত্র “আসিফ মহিউদ্দীন” শিরোনামেই দু’তিনটা পোস্ট আসে প্রথম পাতায়। সেখানে থাকে অশ্লীল গালাগালি, কুৎসিত মন্তব্য, এমনকি আমার সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন, স্ক্যান্ডেল তৈরির চেষ্টা ইত্যাদি।
এরমধ্যে অনেক মুক্তমনা/সাবেক বামনেতাও উঠতে বসতে গালি দেয় আমার নামে। আমার অপরাধ হচ্ছে আমি একজন কর্মী, গায়ে খেটে কাজ করি। এরমধ্যে আপনার মন্তব্যটা পেয়ে সত্যিই অনুপ্রানিত হলাম। অন্তত কেউ তো দেখছে, যে আমিও কিছু ধাক্কা দিতে পেরেছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
” “শুয়ারের বাচ্চা” “মূর্খের বাদশাহ” “নাস্তিক মৌলবাদী” “ছাগবৎস” “হস্তমৈথুনকারী” “অর্বাচীন যুবক” “মুক্তমনার দালাল”””
মুশফিক ভাই –এমবিবিএস- সব সময় উপরোক্ত শব্দ গুলো ব্যবহার করেন কি না তাই অন্যকেও এই কথা গুলো বলতে ভালবাসেন।
তবে এধরনের ডাক্তারের অভাব আমাদের দেশে কম নেই, রোগীকে বলেন দেখেন আল্লাহ কি করে আমরা তো মাত্র উচিলা।
এমন কথা বলায় আমার বোন আমার মামাকে নিয়ে গিয়েছে এক ডাক্ততের কাছে । এবং ভিজিট না দিয়েই যখন চলে আসছে, তখন ডাক্তার অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল আমার ভিজিট। বোন বলেছে আল্লাহ দোয়া নিতে তো আপনার কাছে আসি নি, তাই ভিজিট নাই। আর আপনার চিকিৎসার দরকার নেই। এর পর সে আমাকে ফোন দিয়ে বলে এই অবস্থা, আমি বললাম ভাল করেছিস।
তাই এমন ডাক্তার এর কাছ থেকে সাবধান।
এডমিন,
উপরের লেখকের বিরুদ্ধে মুক্তমনার সদস্য জনাব পৃথিবী সাহেব একটি অভিযোগ করে ছিলেন। অভিযোগের উদ্ধৃতি নিচে দেওয়া হলঃ
রোমান হরফ থেকে যতদূর বুঝতে পারতেছি জনাব পৃথিবী সাহেব, আমার দেশ নামক সাপ্তাহিক পত্রিকায় মুক্তমনার আরেক লেখকের লেখা প্লেগারাইজ হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। মুক্তমনার এক লেখকের বিরুদ্ধে আরেক সদস্যের প্লেগারিসমের অভিযোগ গুরুত্বের সাহিত বিবেচনা করার দায়িত্ব এডমিনের ।
@ফুয়াদ, লেখাটি অবশ্যই শিক্ষানবিসের। বেশ কয়েক বছর আগে নাম উল্লেখপুর্বক লেখাটি একজায়গাতে ছেপেছিলাম বলে মনে পরে(একেবারেই নতুন একটা ব্লগ সাইট ছিল, যেখানে কেউই যেত না। জাকির নায়েককে নিয়ে একটা আলোচনার সুত্রপাত হওয়াতে প্রাসঙ্গিক ভাবে দিয়েছিলাম) । ঐখান থেকে কেউ লেখাটা ছেপেছে কিনা আমার জানা নাই। আমি ব্যাপারটা দেখছি এবং এই ভুল সংশোধনের ব্যাবস্থা নিচ্ছি। আমাকে মেইলে বা ফেসবুকে ব্যাপারটা জানালেই তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নিতে পারতাম।
তারপরেও এরকম হয়ে থাকলে আমি অবশ্যই দুঃখিত এবং লজ্জিত। আমি আজকেই পত্রিকার সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করে ভুল সংশোধনের ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
কিন্তু এই কথাটি আপনি মেইলে বা ফেসবুকেও বলতে পারতেন। এই আলোচনাতে এটা কতটা প্রাসঙ্গিক ঠিক বুঝলাম না।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
আপনার মেইল বা ফেইচবুক কিছুই আমার কাছে নেই, তাছাড়া আমি আপনাকে চিনিও না। আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং আপনিও এখানে আছেন, তাই তুলে ধরা হয়েছে। এতে আপনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলেন এবং মুক্তমনার এডমিনগন প্রয়োজনীয় ভুল সংশোধনের ব্যাবস্থা গ্রহনের সুযোগ পেলেন।
আমি দুঃখিত যদি আপনি আমার কাজে কষ্টঁ পেয়ে থাকেন।
@ফুয়াদ, ফেসবুকে বা সামহোয়্যারে আপনি থাকলে আমাকে চিনে ফেলার কথা। যাইহোক, ব্যাপারটা ছোট করে ব্যাখ্যা করি।
আমরা কিছু বন্ধু মিলে(৭-৮জন সর্বসাকুল্যে) একটা ব্লগ সাইটে আড্ডা দিতাম, সেখানেই জাকির নায়েককে নিয়ে আলোচনার সুত্রপাত এবং আমি একটা লেখা সেখানে নাম উল্লেখপুর্বক দেই। এই নিয়ে তুমুল আলোচনা চলে এবং প্রাসঙ্গিক ভাবেই সেই লেখাটি ব্যাবহার করেছিলাম।
এছাড়াও সেখানে আমরা কয়েকজন মিলেও একটা আইডি ব্যাবহার করতাম, বিভিন্ন ধরণের তর্ক করতাম। আমাদের কিছু বন্ধুর আড্ডা দেবার জায়গা ছিল সেটা।
সেখান থেকে কেউ লেখাটি ছেপেছে কিনা আমার একেবারেই জানা নাই। আমি আজকেই ব্যাপারটা দেখছি এবং ব্যাবস্থা নিচ্ছি। ঐ লেখাটির সমস্ত কৃতিত্ত্ব শিক্ষানবিশের এবং তাতে ভাগ বসাবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নাই। আমি শুধু আলোচনার সুবিধার্থেই লেখাটি ব্যাবহার করেছিলাম।
দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এডমিনগন চাইলেই আমার বিরুদ্ধে যেকোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
কিন্তু এই ডাক্তার মুশফিক সম্পর্কে আপনার মতামতটা জানা হলো না।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
আপনার জবাব পেয়ে খুশি হলাম। আসলে মুক্তমনায় প্লাগারিসম আর কপি রাইট আইন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আপনিও এখানে ছিলেন, তাই এডমিন এবং আপনার দৃষ্টি আকর্ষন প্রয়োজনীয় ছিল। ডাঃ মুশফিক সাহেবের সাহিত আমার কোন লেনদেন নেই। তাই কিছু না বুঝে মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা। আপনাকে ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ, এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, অভিজিৎ ভাইয়ের সমকামীতা বিষয়ক লেখার সাহায্য নিয়েছিলাম আমি সামহোয়্যারের একটি পোস্টে। অভিজিৎ ভাই একারণেও আমার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পারেন। তবে যতদুর মনে আছে, অভিজিৎ ভাই ব্যাপারটা ভাল করেই জানতেন এবং আমাকে নিজে থেকে বেশ সাহায্যও করেছিলেন। সেই পোস্টে আমি অভিজিৎ ভাইয়ের ঋণ স্বীকার করেছি এবং ব্যাক্তিগত ভাবেও অভিজিৎ ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম।
যেকোন আলোচনার জন্য বিভিন্ন পোস্টের সাহায্য তো আমরা নিতেই পারি, কিন্তু বেনামে ছাপা হওয়াটা দুঃখজনক। কোথাও কোন ভুল হয়েছে নিশ্চিত।
কিন্তু এখানে আমরা আলোচনা করছিলাম জনৈক ডাক্তার সাহেবকে নিয়ে। আসুন এবারে মূল আলোচনাতে ফেরত যাই।
বিঃদ্রঃ তিনি আমাকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
সৈকত এর লেখার সমালোচনাটা আবার ফেসবুকে দিয়েছে। ঐখানে আমার সাথে তর্ক চলছে।
তার ব্লগে আমার মন্তব্য মুছে দেয়। আবার বলে যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে।
” বেশ ক’বছর আগে যখন উনার সাথে চ্যাট হয়েছিল, উনি নিজেই বলেছিলেন, উনি একটা বই বের করে নিজেই সেটার বিরুদ্ধে লাগবেন, যেভাবেই হোক বইটি ব্যান করিয়ে বিখ্যাত হবেন। বিখ্যাত হবার অদম্য আকাংখা এই তরুন ছেলেটিকে পেয়ে বসেছে —- ” এর মানে হলো মুশফিক নামের টাইম বোম্বটি সম্পর্কে তুমি সবার আগেই জানতে। এই সাইকোটিক ছেলেটি যখন কদিন আগে মুক্তমনায় প্রথম লিখলো তখন তার অসংলগ্ন লেখা এবং অস্বাভাবিক প্রতিআক্রমন প্রবনতা নিয়ে অনেকেই যখন লিখছিলো তখনো তুমি তাকে উৎসাহ দিয়েছো। আজকে যখন ছেলেটির র্যাবিস ভাইরাস ম্যাচিউরড হয়ে শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এবং সে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েছে তখন তুমি এসেছো ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে। গ্রেট জব!
@সফিক, প্রতিদিন আট থেকে দশজন তরুনের সাথে কথা হয়। তারা নতুন নতুন নাস্তিক হয়, এবং অনেক আশা নিয়ে তাদের মনে কথাগুলো বলে। ধারণা করি, তারা এই কথাগুলো বলার মত মানুষ পায় না। তাই এদের একটু সময় দেই আমি। তারা যা বলে শুনি, এবং বিভিন্ন ধরণের উপদেশও দেই মাঝে মাঝে।
মুশফিক ছেলেটা বেশ কয়েক বছর আগে ধরেছিল, তখন বেশ কিছু কথা বলেছিল। কিছু কথা ভাল ছিল, কিছু কথা খারাপ। এখানে খারাপ গুলোই উল্লেখ করেছি প্রাসঙ্গিক ভাবে।
আর আমার প্রতি অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে যে, আমি নাস্তিক/মুক্তমনা/নিধার্মিকদের অনেক বেশি লাই দেই। মুক্তমনাতে দেখছিলাম বেচারা বেশ বিপদেই পরেছে। একটু উৎসাহ দিতেই সমর্থন দিয়েছিলাম-ছেলেটার বয়স আসলেই কম। ভেবেছিলাম একটু পাকলে ভাল লিখতে শুরু করবে। আপনি জানেন, এসএম রায়হানও একটা সময় আধা-নাস্তিক ছিল, পরে পাল্টে গিয়েছিল। আমি চাইনি সেও পাল্টে যাক, হতাশ হয়ে পরুক। যদিও ইউনুস বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিটা পাল্টিয়ে লিখি নি।
ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নয়, সে ড্যামেজ করার বান্দা নয়। সে একটা রক্ত গরম বাচ্চাছেলে এবং রাতারাতি বিখ্যাত হবার আশায় একটু লাফাচ্ছে। এরা কোন ড্যামেজ করতে পারে না, শুধু লাইমলাইটে আসার জন্য হাতপা ছুড়তে পারে।
মুশফিক গালি দেয় আপ্নেরে? আপনার মোড চেইঞ্জ করতে হবে বোধহয় তাইলে। নাস্তিকরা কোন মোডে থাকলে ইস্লামিস্টরা তাদের গালি দেয় আর কোন মোডে থাকলে আল্লার দরবারে তাদের পাপমুক্তির জন্য ফরিয়াদ জানায় এইটা বর্ণনা করে একটা স্ক্রীনশট দিয়েছিলাম আমি এককালে ফেইসবুকে দেখেছিলেন আপনি সেটা বোধহয়। মোড চেইঞ্জ করেন ঐরকম, তাইলে দেখবেন পাইক্যা জারজ হযরত মুশফিকও আপনার জন্য দোয়া কালাম পাঠ করছে গালাগালির পরিবর্তে! আর এইটা একটা কাম করলেন এতোদিন পরে একটা লেখা লিখলেন সেইটা প্রাইভেট প্রোফাইলে পোস্ট করলেন? পাবলিক করেন লেখা, মুশফিক পাগলা কদ্দুর এইডস বুঝে সেইটা আমরা পনের মিনিট লিটারেচার সার্চে বসলেই খুব সুন্দর করে ডেমন্সট্রেট করতে পারবো। এই চর্বি-রক্ত-মাংশের নির্লজ্জ কৌতুকটি নাকি ধামকী দিয়েছিলো আমারব্লগের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিবে :lotpot: , ইডিয়ট!!!
@আল্লাচালাইনা, তার সম্পর্কে আমার আসলেই কোন আইডিয়া নাই। বহু বছর আগে একবার কথা হয়েছিল, দেখেছিলাম টগবগে তরুন, একটু বেশ লাফায়। আমি উৎসাহই দিয়েছিলাম। কিন্তু এর মাথা যে এতটা খারাপ বুঝতে পারি নি। আজকে হাতে নাতে দেখতে পেলাম।
আসিফ ভাই, আপনার লেখাটি পড়ে হাসতে হাসতে আমার দম বন্ধ হবার জোগাড়! আপনি আর লোক পেলেন না এইরকম একটা রামছাগলের সাথে চ্যাট করতে গেছেন! এরকম ছাগল আর গাধার বিচরণ ইন্টারনেটের উর্বরক্ষেত্রে অভাব নেই। তারা “তালগাছটা আমার” জাতীয় মতবাদে বিশ্বাসী। এদের কোন কথাতেই কান দেয়া উচিত নয়। এই ধরনের রামছাগলরা সারক্ষণই প্যাঁ-প্যাঁ করতে থাকবে যতোক্ষণ না পর্যন্ত এদের মনিবের কষে লাথি না খাবে। যাই হোক এদেরকে গদাম আর লাথির উপর রাখাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আর যে স্ক্রিনশটটা দিয়েছেন ওটাও চমৎকার একটি শিল্প! শিল্প বললাম এই কারণে যে, দুই পাশে দুইটা ‘ইমো’ সংযুক্ত করে “শুয়োরের বাচ্চা” বলে যে গালি দিয়েছেন ওটা আসলে উনার নিজেরই স্বাক্ষর। আমরা চিঠিপত্র লেখার পরে যেমন সিগনেচার করি অনেকটা সেরকমই! তাই ডাক্তার মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী(এমবিবিএস) এর স্বাক্ষরটা খুবই যথার্থ হয়েছে বলেই আমার মনে হয়। এই ডাক্তরের স্বাক্ষরেই প্রমাণিত হয় তার চরিত্র। তবে এই শুয়োররাও যে ডাক্তর হতে পারে আজ প্রথম জানলাম।
পোস্টের পুরোটাতে উনার নাম ব্যবহার না করে সাক্ষরটা ব্যবহার করলেই পারতেন। ভদ্রলোক সাক্ষরের আগেপরে যে খুশি হয়েছেন!! দেখেই শ্লার মুগ্ধতা!
@সবাক, উনি নিজের সাক্ষর লেখেন শুয়ারের বাচ্চা। এরকম সাক্ষর বাপের জন্মে দেখিনি।
প্রতিক্রিয়া লেখা বিধায় শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত ব্লগে প্রকাশ করলাম। ধন্যবাদ।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
লেখাটি কিন্তু ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত হয়নি, প্রথম পাতাতেই প্রকাশ হয়েছে। প্রতিক্রিয়া পোষ্ট হিসেবে ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত হওয়াই উচিত ছিল।
@স্বাধীন, যন্ত্রণা!!!
একজন অনুরোধ করলো বলে আবার প্রথম পাতায় দিয়েছিলাম, আপনি বললে আবার সরিয়ে ফেলতে পারি। :-X
কিন্তু এক একজন এক এক কথা বললে কই যাই?
@আসিফ মহিউদ্দীন,
আমি বলার কেউ নই। তবে আমার মনে হয়েছে আপনি নিজেও বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন যে এই ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা মানেই একে পাত্তা দেওয়া। আমি কেবল আপনার এই বিষয়টিকে সমর্থন জানালাম। আমারো মনে হয়েছে লেখাটি ব্যক্তিগত ব্লগে থাকলেই ভালো হতো। তবে আপনি চাইলে রাখতেও পারেন। মনে হয় না এডমিন বা কেউ বেশি আপত্তি জানাবে। আমার আপত্তি নেই লেখাটি প্রথম পাতায় থাকলে, কিন্তু তাকে নিয়ে এতো আলোচনাতে আগ্রহও নেই। তবে ফর দ্যা রেকর্ড, তার কুকীর্তিগুলো ব্লগে লিপিবদ্ধ করে রাখা ঠিক আছে, সেটার দরকার আছে বলে মনে করি। সরাবেন, না রাখবেন এটা আপনার সিদ্ধান্ত। কোনটাতেই আমার আপত্তি নেই। ভালো থাকুন।