ধারাবাহিক আলোচনার ৩য় পর্ব। এই ধারাবাহিক আলোচনায় একটি সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া প্রায় সম্ভব হচ্ছে না। সেটা হচ্ছে একটি বিষয় বার বার এসে যাচ্ছে। কারণ, কোরানে একই বিষয় এক সূরাতে আলোচিত হওয়া সত্তেও আবার ঐ বিষয়টিকে খুব সামান্যই বিকৃত করে আলোচিত হয়েছে অন্য জায়গায়। তারপরও চেষ্টা করেছি, এখানে একই বিষয় বার বার না টানার জন্য ।
ইসলামী সংগঠনের সাথে যারা জড়িত বা যারা তীব্রভাবে ইসলামের অনুসারী বলে পরিচিতি পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়, তারা রক্ষণশীল বা কট্ররপন্থি বা প্রচন্ড প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থানে থাকে। তারা কিন্তু, কোরানের কিছু কিছু আয়াতকে সরাসরি অনুসরণ করেই এই রকম অবস্থানে যাচ্ছে। সরাসরি কোরান কাউকে বলেনি যে, তুমি রক্ষণশীল বা কট্ররপন্থি বা প্রতিক্রিয়াশীল হও। অথবা বলেনি যে, সাম্প্রাদায়িক মনোভাব সব সময় পোষন করে রাখো। তারপরও কোরান অনুসারীরা অনিবার্যভাবে সেই অসামাজিক অবস্থানে পৌঁছে যাচ্ছে। কারণ, নিচের আয়াতে আল্লাহ যে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে একজন মুসলিমকে তা হতে বাধ্য করে, যদি সে এই আয়াতকে অনুসরণ করে।
(৩:২৮) মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ব্যতীত কাফিরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেহ এইরূপ করিবে তাহার সঙ্গে আল্লাহর কোন সম্পর্ক থাকিবে না; তবে ব্যতিত্রুম, যদি তোমরা তাহাদের নিকট হইতে আত্মরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন কর। আর আল্লাহ্ তাঁহার নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করিতেছেন এবং আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তন।
আমি জানি, আল্লাহর এই কথাটি কিছু কিছু মুসলমানদের কাছে পরিত্যক্ত। বাস্তবিক ক্ষেত্রে তারা আল্লাহর এই বাণীকে অনুসরণ করতে পারছে না। কিন্তু, এই আয়াত একজন মানুষকে কি শেখায়? সরাসরি নির্দেশ কাফিরদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। আজকে জ্ঞান -বিজ্ঞান, অর্থনীতি, চিকিৎসা থেকে শুরু করে আয়েশ করার উপকরণ এমন কি একজন মুসলমান যে হজ্জ পালন করবে বা নামাজের জন্য পাক হবে বা নিজের সতর ঢাকবে সবই কাফিরদের হাতে। কাফির হত্যা করে শহীদ/গাজী হওয়ার জন্য বা জিহাদ করার জন্য যে অস্ত্রটা ব্যবহার হচ্ছে সেটাও এই কাফিরদের দ্বারা তৈরী। যে কাফির আপনাকে মু’মিন হতে সাহায্য করছে তাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতে নিষেধাজ্ঞা। ধরুন আপনি যেখানে বাস করেন, সেখানে প্রতিবেশি হিসেবে কোন মু’মিন নেই। সেক্ষেত্রে বিপদ আপদে কাফিরদের দ্বারস্থ হতে বা বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে আল্লাহর আপত্তি নেই। আল্লাহ্ কি এত বোকা যে, তার মু’মিনদের বিপদে রাখবেন? প্রয়োজনে তিনি ভন্ডামীকে জায়েজ করে দিয়ে মু’মিনদের রক্ষা করছেন। উপরে উপরে বন্ধুত্ব আর অন্তরে শত্রুতার শিক্ষা। নিশ্চয় তিনি ন্যায় পরায়ণ ও পরম দয়ালু।
ন্যয় পরায়ণতা বা ন্যয় বিচার কোরানে বার বার এসেছে। গত পর্বে ন্যয়ের কয়েকটি নমুনা দেখিয়েছি। সেরকম আর একটি বিচার দেখুনঃ
(৪:১৫) তোমাদের নারীদের মধ্যে যাহারা ব্যভিচার করে তাহাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য হইতে চারজন সাক্ষী তলব করিবে। যদি তাহারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাহাদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ করিবে, যে পর্যন্ত না তাহাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ্ তাহাদের জন্য অন্য কোন ব্যবস্থা করেন।
ন্যয় বিচারের জন্য বাদী ও বিবাদীর সমান সুযোগ থাকতে হবে স্বপক্ষে সাক্ষী বা যুক্তি তর্ক উপস্থাপনের জন্য। এই আয়াতে দেখুন ন্যয় বিচারের প্রধান এই সুযোগটি বন্ধ করা হয়েছে। যে চারজন সাক্ষী তলব করতে বলা হয়েছে সে সাক্ষীগুলো বাদী পক্ষের বা পুরুষদের। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একজন নারীকে ব্যভিচারী বা সমাজে হেয় করার জন্য কোন অভিযোগ আনা হলে, সেই অভিযোগকে ভুল প্রমানিত করার জন্য একজন নারী কোন সাক্ষি গ্রহণ করতে পারছেন না। পুরুষ বা অভিযোগকারী যে সাক্ষি তার বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে সে সাক্ষিই তাকে মানতে হবে এবং মানতে বাধ্য। স্বাভাবিকভাবে বাদীর সাক্ষির সাক্ষ্য অবশ্যই তার বক্তব্যেরই প্রতিফলন। নিশ্চিতভাবে বিচার নারীর বিপক্ষে ফল দেবে। আর তার শাস্তি কি হবে? আমৃত্যু গৃহ অন্তরীণ। মৃত্যু নিশ্চিত না করে তাকে বদ্ধ ঘর হতে বের হতে দেয়া যাবে না। যে ঘরে তাকে বন্ধী করা হবে সে ঘর হতে সে জীবিত বের হয়ে আসতে পারবে না। বের হবে তার মৃত লাশ। নারী নিধন কি কোন বিচারের নাম?
ইসলামে স্ত্রী এবং দাসীর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে হলে একজন পুরুষ মুসলমানকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, ঐ নারীকে মাহর বা মোহরানা বা অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এখানে ভালবাসা ও পারস্পরিক বুঝাপড়া নাথাকলেও চলবে। একজন দাসীকে অধিকারভূক্ত করতে হলে পুর্বের মালিককে দাসীর বিনিময়ে অর্থ বা অন্য কিছু বিনময় করতে হবে। অথবা কেউ স্বত্ত্ব ত্যাগ করে দাস-দাসী উপহার দেয়ার প্রচলনও বিদ্যমান ছিল। তবে ইসলামে স্ত্রী ও দাস-দাসী অধিকারভূক্ত করার জন্য অর্থের বিনিময়টা বেশী লক্ষ্যণীয়। ইসলামে একজন পুরুষের জন্য তার বিবাহিত স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত অন্য সকল নারীদের সাথে যৌনসর্ম্পক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেখুনঃ
(৪:২৪) এবং নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমদের জন্য ইহা আল্লাহর বিধান। উল্লিখিত নারীগণ (এখানে ২:২৩ এ উল্লিখিত নারীদের কথা বলা হয়েছে) ব্যতীত অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করিতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হইল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। —-(আংশিক)
কোরানে নারীর অধিকার। দাস প্রথা বর্তমান বিশ্বে নিষিদ্ধ। এটাকে মানবতা বিরুদ্ধ বলে পরিগনিত করা হয়। একজন দাসীকে যেকাজে ব্যবহার করা যাবে একজন স্ত্রীকেও সেকাজে ব্যবহার করা যাবে। কোরান নারীকে কোন পর্যায়ে নামিয়েছে? দাস প্রথার মত নিষিদ্ধ এবং ঘৃণিত প্রথার পর্যায়ে একজন স্ত্রীকে নামানো হয়নি? মুসলমানদের ঘরে নারী জন্ম একটি অভিশাপ। মুসলিম সমাজের ভারসাম্য যতটুকু টিকে আছে, আজকের মুসলমানেরা কোরান মানে না বলে। উপরের আয়াতটিতে বলা হয়েছে নারীদের মধ্যে অধিকারভূক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা নারী অর্থাৎ যাদের স্বামী জীবিত আছে তাদেরকে পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে সুনির্দিষ্টভাবে সধবা শব্দটি উল্লেখ করার কারণ কি? একজন পুরুষ একই সাথে বহু স্ত্রী গ্রহণ করা কোরান সিদ্ধ হলেও এই আয়াতে একজন নারীকে বহু স্বামী গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং পুরুষদেরকেও নিদের্শ দেয়া হয়েছে তারা যেন স্বামী জীবিত আছে এমন নারীকে বিয়ে না করে।
কোরান পুরুষের সুবিধা নিশ্চিত করতে গিয়ে কখনো নারীকে শষ্যক্ষেত্র বানিয়েছে, কখনো দাস প্রথার মত ঘৃণীত পর্যায়ে নামিয়েছে, কখনো সরাসরি নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে, পুরুষ যে অধিকার ভোগ করবে নারীরা যেন সমাজে-পরিবারে বা ব্যক্তিগত জীবনে সে ধরনের অধিকার ভোগ করতে না পারে। এইভাবে নারীদের ব্যাপারে আল্লাহর মনোভাব কোরানে বিভিন্নভাবে ব্যক্ত করেছেন। এসমস্ত বিষয়ের উপর মুক্তমনাতে পুর্বে বিস্তর আলোচনাও হয়েছে। তারপরও সূরা নিসা এর উপর আলোচনা করতে গিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করছি। নারীদের ব্যাপারে আল্লাহর দৃষ্টিভঙ্গি কি রকম? ৪:৩৪ অনুযায়ী তিনি মনে করেন পুরুষ হচ্ছে নারীর কর্তা। নারীর উপর পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্। একজনের উপর অন্যজনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গেলে কাউকে না কাউকে অবশ্যই অনুগত হতে হবে। কোন মুসলমান স্ত্রী যদি স্বামীদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করে বা পুরুষের অবাধ্য আচরণ করে তাহলে প্রহার পর্যন্ত করা যাবে। কোরানে আল্লাহ্ স্ত্রীদের প্রহার করার নির্দেশনা দিয়ে হলেও স্বামীদের প্রতি স্ত্রী দের আনুগত্য নিশ্চিত করেছেন আমাদের পুরুষ দরদী আল্লাহ্। দেখুনঃ
(৪:৩৪) পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ্ তাহাদের এক-কে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করিয়াছেন এবং এই জন্য, পুরুষ তাহাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং সাধ্বী স্ত্রী রা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে আল্লাহ্ যাহা সংরক্ষিত করিয়াছেন, তাহা হিফাযত করে। স্ত্রী দের মধ্যে যাহাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাহাদের সদপুদেশ দাও, তারপর তাহাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাহাদেরকে প্রহার কর। যদি তাহাদের তোমাদের অনুগত হয় তবে তাহাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ করিও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহান, শ্রেষ্ঠ।
স্ত্রীদের প্রহার করার জন্য তাদের অবাধ্যতার প্রমাণ পাওয়া লাগবে না, শুধুমাত্র আশংকা করলেই হবে। কোন মানুষকে প্রহার করাকে সাধারণতঃ আমরা অপমানের চরম পর্যায় বলে মনে করি। স্ত্রী জাতিটাকে আল্লাহ্ কি মনে করেন? এই জাতিটা কি কেবলই অপমানের বস্তু। আর আল্লাহ্ একটি বড় দায়িত্ব পালন করে ফেলেছেন নারীদের প্রতি। সেটা হচ্ছে, স্ত্রীদের গোপন অঙ্গগুলো আল্লাহ্ লোকচক্ষুর অন্তরালে নিজেই সংরক্ষণ করে থাকেন। আর সেটাকে হিফাজত করে সতীত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নারীকেই। সাধ্বী স্ত্রী হতে হলে যৌনাঙ্গকে অক্ষত রাখতে হবে। একগুঁয়ে ও রক্ষণশীল একজন পুরুষ মানুষের দাম্ভিকতার সাথে মহৎ সত্ত্বা আল্লাহর এই বাণীগুলো এত মিলে যায় কি ভাবে?
মুসলমান পুরুষরা একসাথে বহুস্ত্রী গ্রহণ করলে স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে যে পারা যাবে না সেটা আল্লাহ্ ঘোষনা করে দিয়েছেন নিচের আয়াতেঃ
(৪:১২৯) আর তোমরা যতই ইচ্ছা কর না কেন তোমাদের স্ত্রী দের প্রতি সমান ব্যবহার করিতে কখনই পারিবে না, তবে তোমরা কোন একজনের দিকে সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকিয়া পড়িও না ও অপরকে ঝুলানো অবস্থায় রাখিও না। যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে নিশ্চিয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
এখানে স্বামীর ইচ্ছার কোন মূল্য থাকে না, যেখানে স্বয়ং আল্লাহ্ স্পষ্ট বলে দেন । বহুস্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে আমার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বলছি, আল্লাহ্ যদি বলত, তোমরা যে সব স্ত্রী গ্রহণ করেছ তাদের সাথে ইচ্ছা করলেও ব্যবহারে তারতম্য করতে পারবে না। তাহলে মু’মিন স্বামীরা একাধিক স্ত্রীদের প্রতি সমান আচরণ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখত। অথচ, আল্লাহ্ নিজেই সে পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে আল্লাহ্ এও বলেছেন যে, একজনের প্রতি একটু-আধ্টু ঝুঁকা যাবে সম্পূর্ণরুপে নয়। নারীদের প্রতি এইটুকু মেহেরবান দেখিয়েই কি আল্লাহ্ আয়াতের শেষে নিজেকে পরম দয়ালু দাবী করে বসলেন ?
এবার নারী প্রসঙ্গ তবে থাক, অন্য আলোচনা হোক।
(৪:৯২, ৯৩) কোন মুমিনকে হত্যা করা কোন মুমিনের কাজ নয়, তবে ভুলবশত করিলে উহা স্বতন্ত্র এবং কেহ কোন মুমিনকে ভুলবশত হত্যা করিলে এক মুমিন দাস মুক্ত করা এবং তাহার পরিজনবর্গকে রক্ত পণ অর্পণ করা বিধেয়, যদি না তাহারা ক্ষমা করে । যদি সে তোমাদের শত্রুপক্ষের লোক হয় এবং মুমিন হয় তবে এক মুমিন দাস মুক্ত করা বিধেয় । আর যদি সে এমন এক সম্প্রদায়ভুক্ত হয় যাহার সঙ্গে তোমরা অঙ্গীকারবদ্ধ তবে তাহার পরিজনবর্গকে রক্তপণ অর্পণ এবং মুমিন দাস মুক্ত করা বিধেয়, এবং যে সংগতিহীন সে একদিক্রমে দুই মাস সিয়াম পালন করিবে । তওবার জন্য ইহা আল্লাহর ব্যবস্থা এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় । কেহ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করিলে তাহার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হইবে এবং আল্লাহ তাহার প্রতি রুষ্ট হইবেন, তাহাকে লা’নত করিবেন এবং তাহার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখিবেন ।
দেখলেন তো, হত্যা সংত্রুান্ত আল্লাহর ফয়সলা? ভুলবশতঃ কোন মু’মিনকে বা চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের লোককে হত্যা করা হয়, সেক্ষেত্রে হত্যার বিচার হচ্ছে- মু’মিন দাস মুক্ত করা, রক্তপণ অর্পন ইত্যাদি। ইচ্ছাকৃতভাবে মুমিন হত্যা করলে তার বিচার করবেন স্বয়ং আল্লাহ। পৃথিবীতে তার বিচার হওয়া জরুরী না। আর যদি একজন মুমিন ব্যক্তি , মুমিন নয় এমন কোন ব্যক্তিকে হত্যা করে তবে একদিক্রমে দুই মাস সিয়াম বা রোজা পালন করলে তার প্রায়শ্চিত্ত হয়ে যাবে। হত্যাকে নিরুৎসাহিত করা তো দূরের কথা, আমি এই ভেবে আশ্চর্য হচ্ছি যে, আল্লাহর কাছে নন-মুমিনদের রক্তের দাম কত কম। কি সুন্দর ফয়সলা। ইচ্ছে করল হত্যা করলাম বিনিময়ে দাস মুক্ত করলাম বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ভরনপোষন দিলাম সালিশে যা র্ধায্য হয় বা দুই মাস রোজা রাখলাম। ক্ষমা পরায়ন আল্লাহ্ বলে কথা।
কোরানে পাক-পবিত্রতার ব্যাপারটা আমার মাথায় আসে না। নামাজ আদায় করতে হলে শরীর-স্থান-পোষাক ইত্যাদি পাক হতে হয়। সাধারণতঃ নারী সম্ভোগ বা মল-মূত্র-বায়ু ত্যাগ করলে শরীর নাপাক হয় বা অপবিত্র হয়। এসব কর্ম সম্পাদনের জন্য গোসল বা ওযু করতে হয় পাক হওয়ার জন্য। প্রশ্ন হলো মলদ্বার দিয়ে বায়ু ত্যাগ করার পর ওযু করলে পবিত্র হওয়া যায় কি করে? এখানে তো হাত-পা-মুখ এসবের কোন সম্পর্ক নেই? আর নারী সম্ভোগ বা মল-মূত্র ত্যাগ করার পর যদি পানি না পাওয়া যায় তাহলেও একজন মুসলমান গোসল বা অযু না করেও পবিত্র হতে পারবে। এই সুযোগটা পাওয়া যায় তায়াম্মুম করে। গোসলের কাজটা সেরে ফেলা যাচ্ছে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম অর্থাৎ হাত ও মুখমন্ডল মাসেহ্ করে। আয়াতটির আংশিক নিচে দেখুনঃ
(৪:৪৩)———- তোমাদের কেহ শৌচস্থান হইতে আসে অথবা তোমরা নারী-সম্ভোগ কর এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করিবে এবং মাসেহ্ করিবে মুখমন্ডল ও হাত, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।
ধার্মিক জুলাই ২৭, ২০১১ at
৭:১৩ অপরাহ্ন – Reply
সূরা কাউসারের মত একটি সূরা
আরবিতে কেউ বানাতে
পারলে পোস্ট করুন।
জবাবঃ ভাই, আপনি বুদ্ধিমান হয়েও কি করে বোকার মত প্রশ্নটা করলেন? পৃথিবীর কোন সৃষ্টি ই হুবহু একটার মত অন্যটা হয় না, হবেও না। যদি কেহ সূরা কাউসারের মত আরেকটা সূরা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে হয় তার চেয়ে ভালো হবে, নয়তো খারাপ হবে। হুবহু কখনই সম্ভব নয়। তুমি কবি নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথের মত একটা কবিতা লিখে দেখাতে পারবে? শুধু তুমি নয়, তোমার চৌদ্দ গোষ্টি মিলেও পারবে না। কারন, কবিতা হয়তো লিখতে পারবে, কিন্তু সেটা হুবহু হবে না। হয় নজরুল কিংবা রবী ঠাকুরের চেয়ে ভালো হবে, কিংবা খারাপ হবে।
সূরা কাউসারের মত একটি সূরা আরবিতে কেউ বানাতে পারলে পোস্ট করুন।
বিভিন্ন গ্রুপে কোরানের অসঙ্গতিগুলো নিয়ে তর্ক করতে গিয়ে যেটা উপলদ্ধি করলাম যে বিবর্তন আর্কাইভের মতো কোরানের অসঙ্গতিগুলোকে নিয়ে একটি আর্কাইভের প্রয়োজন। যারা এই বিষয় নিয়ে লিখেন, যেমন আপনি, আবুল কাশেম, আকাশ মালিক, ভবঘুরে, আপনারা সম্মিলিত ভাবে একটি প্রকল্প হাতে নিন। কিছু মৌলিক প্রশ্ন নির্ধারণ করুন। যেমন কোরানে কোন অসঙ্গতিপূর্ণ বাণী নেই, কিংবা মুহাম্মদের মত নিরক্ষর ব্যক্তি কিভাবে এত বৈজ্ঞানীক তথ্য জানা সম্ভব, কিংবা কোরানের মত আরেকটি গ্রন্থ কেউ রচনা করতে পারবে না, বা কোরান অপরিবর্ত রয়েছে ইত্যাদী। ধার্মিকেরা কি প্রশ্ন করতে পারে সেগুলো আমরা জানি, শুধু দরকার সেগুলোকে খন্ডন করে লিখে রাখা যুক্তি দিয়ে যেন রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগানো যায়। বিবর্তনের আর্কাইভটা দেখুন সেটি কিভাবে বিভিন্ন প্রশ্নগুলোকে সামনে রেখে সেগুলোর জবাব তৈরী করেছেন। এভাবে কোরানের বিষয়টাকেও ট্যাকল করা হলে একটি ভালো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। এখন যেমন রেফারেন্সগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেগুলোকে একত্র করা কেবল।
আমার পরামর্শ হবে একেকটি আয়াত ধরে বিশ্লেষণ না করে একেকটি বিষয় ভিক্তিক ভাবে আয়াতগুলোকে সংকলন করুন। অনেক ক্ষেত্রে আয়াতগুলো নিজেরাই এমন স্পষ্ট যে ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। শুধু আয়াতগুলো একত্রে থাকলেই হয়। উদাহরণ স্বরূপ ধরুনঃ বিধর্মীকে হত্যা করা নিয়ে যত আয়াত এসেছে কোরানে সেগুলোওকে পর পর রেফারেন্স সহ সাজান, অথবা নারীদেরকে নিয়ে যেসব বিতর্কিত আয়াত আছে সেগুলো একত্রে রাখুন, অথবা বিজ্ঞানের সাথে অসামঞ্জস্য যেসব আয়াত আছে সেগুলোকে একত্রে রাখুন। এভাবে নানান বিষয় অনুসারে আয়াতগুলো একত্র করুন। অনেক আয়াত হয়তো একাধিক বিষয়ে স্থান পাবে, সেটা সমস্যা নয়। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর যতগুলো আয়াত আছে সেগুলো হাতের কাছে থাকলে বিতর্কে রেফারেন্স হিসেবে কাজে আসে। আপনার এই সিরিজটাকেই সেভাবে সাজাতে পারেন। একেক পর্ব একেক বিষয় নিয়ে লিখলেন। কেউ মন্তব্যে নুতন আয়াত দিলে সেটিকে মূল লেখায় যুক্ত করে দিলেন, এভাবেও এগুতে পারেন। তবে আমি অনুরোধ করবো আপাতত শুধু কোরানের আয়াত নিয়েই কথা বলুন। হাদীসকে টেনে আনার দরকার নেই। আসলে ইসলামকে খন্ডন করার জন্যে হাদীস পর্যন্ত যেতে হয় না। এক কোরানকেই খন্ডন করা গেলে হাদীস এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু হাদীস টেনে আনলে ফারুক সাহেবের মত কিছু মানুষকে অহেতুক সুযোগ করে দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে অন্যদের মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম।
@স্বাধীন,
আপনার পরামর্শটা ধরে এগুতে পারলে অসাধারণ একটা কাজ হত। আমি আগামী পর্ব থেকে শুরু করতে রাজি। তবে, অনেক বিষয় ইতোপূর্বে আলোচিত হয়ে গেছে। যার জন্য সাজানোর কাজটা জটিল হয়ে গেল। দেখি আগামী পর্বে কি করা যায়।
সম্মিলিত উদ্দোগের ব্যাপারে আবুল কাশেম, আকাশ মালিক, ভবঘুরের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য এ্যাডমিনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারে। আমি আপনাকে অনুরোধ করব, আপনার মন্তব্যটি মুক্তমনা এ্যাডমিনের নজরে ফেলা যায় কি না। কারণ এখানে বিষয় ভাগ করে নেয়া সবচেয়ে জরুরী।
@বাদল চৌধুরী,
এই কাজে এডমিনের প্রয়োজন হবে না। আপনি নিজেই ই-বার্তার মাধ্যমে উনাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনারা নিজেরা সমন্বয়ের মাধ্যমে যদি কাজটুকু করতে পারেন খুব ভাল হয়। আমি আমার একটি পুরোনো লেখাতেও এই ধরণের একটি আর্কাইভের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে লিখেছিলাম। সাম্প্রতি কিছু লোকের সাথে বিতর্কে আমার আবার মনে হয়েছে আসলেই প্রয়োজন এটার। আপনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এই সমন্বয়ের কাজটুকু করে ফেলুন না।
জব্বর আইছে !!!!
পরবর্তী পর্ব কবে পামু?
আমার মনে হয় ইদ্দতকাল মানে আগের স্বামীর ঔরষজাত কোনো সন্তান তার তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা স্ত্রীর গভের্ আছে কিনা তা পরখ করে নেঙয়া।
৩:২৮]আমি আমার জীবনে ‘কাফিরদেরকেই’ ভালো বন্ধু হিসেবে পেয়েছি।
৪:১৫]শরিয়তি আইন আনুযায়ী একজন ধর্ষিতার মামলায় সাক্ষ্য প্রমানে চারজন পুরুষ প্রয়োজন যারা এর প্রত্যক্ষদর্শী।কথা হল যদি এমন কাউকে পাওয়াও যায়।তবে আদালতে সাক্ষ্য প্রমান সময় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসবে আপনাআ দেখেও কেনো তা প্রতিহত করেননি।আসলে এ এক গোজামিল।মাছ দিয়ে শাক ঢাকা।
৪:৩৪]প্রথমে বাবা এরপর স্বামী সর্বশেষে ছেলে।আসলে ইসল্ম নারীকে স্বংসম্পুর্ন হিসেবে কখনই স্বীকার করে নি।
৪:১২৯]এক সাথে চারটা বিয়ে শুনলেই তো লম্পটগিরি মনে হয়।
৪:৯২, ৯৩]নন-মুসলিমদের রক্ত বহুৎ সস্তায় এখানে বিক্রি হয়।
৪:৪৩]অরথাৎ শৌচস্থান ও নারী একই ভাবাদর্থ!বাহ এ বাহ!
ধন্যবাদ বাদল আলোচনায় আনার জন্য।
চমৎকার একটা সিরিজ। চালিয়ে যান। (Y)
@সিদ্ধার্থ,
আপনার উৎসাহ সাথে থাকল। ধন্যবাদ।
কোরান হাদীশের এসব কালাকানুন প্রাচীনপন্থী সব মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এসব নিয়ে আলোচনাও আসলে সময় নষ্ট। এসব দিয়ে সমাজ জীবন চালাবার চিন্তা করা উন্মাদের লক্ষন। মুশকিল হল মুসলমানদের মধ্যে যারা নিজেদের ইসলামী স্কলার দাবী করেন বা ইসলাম ডিফেন্ডার হিসেবে আবির্ভূত হন তারা ইসলাম নিয়ে এতই অবসেশনে ভোগেন যে মুখে এটা কিছুতেই স্বীকার করবেন না। নিজেরা পালন করবে না, মানবে না ঠিকই; কারন ভালই জানে যে এসব আসলে অচল। কিন্তু মুখে স্বীকার করাটাকে মনে করে বড় ধরনের গুনাহ।
এসব কেন এই যুগে পালন করা যায় না, মুসলমানেরাও পালন করে না, উলটো আমিনীরা কোরানের আইন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সাধারন মুসলমানেরাই বিরোধীতা করে এর কারন জিজ্ঞাসা করলে নানান এড়িয়ে যাওয়া জবাব দেন। একদিকে বলেন যে কোরান আংশিক ভাবেও অস্বীকার করা মানে কোরান পুরোই অস্বীকার করা বা ইসলাম চ্যূত হওয়া আবার অন্যদিকে ফেলো ব্রাদারদের তেমন উদাহরন গন্ডায় গন্ডায় দিলে তখন বড়জোর তারা আসল ইসলাম জানে না বা মেইন ষ্ট্রীম ইসলামে নেই এসব দায় এড়ানো কথা বলেন। এভাবে যে নিজেদের কতটা হাসির পাত্র মনে হয় তাও বোঝেন না।
কোরান হাদীস অক্ষরে অক্ষরে সব যুগে সবাইকে মেনে চলতে হবে এই দর্শনই আসলে ইসলাম ঘটিত যাবতীয় সমস্যার মূল। না হলে কোন যুগে নবীজি কি করে গেছেন, কোরনের কোন আয়াত কোন পরিস্থিতিতে কিসের জন্য নাজিল হয়েছে তার সাথে বর্তমান যুগের বাস্তবতার কোন মিল না থাকলেও সেসব নিয়ে পড়ে থাকার কোন মানে নেই।
কোরান আবির্ভূত হবার সময় ইসলাম নুতন ধর্ম হিসেবে এসেছে, তখন আরবে পরিষ্কারভাবে মুসলমান বনাম নন মুসলমান ভাগ ছিল, যা নিয়ে বহু যুদ্ধ বিগ্রহ হয়েছে। সেই হিসেবে হাদীস কোরানে কাফের নাছারা ইহুদী বিষয়ক হেট ভার্স এসেছে। নবীজির যুগে মুসলমান বনাম মুসলমান যুদ্ধ শুরু হয়নি, তাই সে বিষয়ক কোন নির্দেশনাও নেই। কোরান পড়লে মনে হয় যে যুদ্ধ কেবল মুসলমান বনাম অ এসবের সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক টানার কোন মানে আছে? নারী বিষয়ক নির্দেশনাগুলিও তেমনই। সে যুগের পরিপ্রেক্ষিতে হয়ত সেসব মানবিক ছিল, তবে আজকের যুগে সেসব কায়েম করতে কোন সূস্থ মাথার লোকে ভাবতে পারে? তাও গুনাহর ভয়ে বা সোয়াবের আশায় সেসবকে অন্ধভাবে ডিফেন্ড করে যেতে হবে। মহা পন্ডিত জাকির নায়েক বহু বিবাহ জায়েজ করতে নানান চমকপ্রদ যুক্তি দিয়েছেন। ওনার মতে জগতে পুরুষ কম, মহিলাই বেশী। কাজেই মহিলাদের উচিত এই বায়োলজিল্যাক ফ্যাক্ট মেনে সতীনের ঘর করতে রাজী হয়ে যাওয়া। ওনার নিজের মেয়েকে উনি সতীনের ঘরে পাঠাবেন? শিশু বিবাহেও কেউ সমস্যার কিছু দেখেন না, উলটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হাজির করেন যে ১০ বছরেও মেয়েরা সাবালিকত্ব প্রাপ্ত হয়। কিন্তু নিজের শিশু মেয়েকে কোন ৫০ বছরের লোকের সাথে জীবিত থাকতে বিয়ে দেবেন? জিজ্ঞাসা করলে আবার দারুন কথা বলে দেবেন, করতেই হবে এমন ইসলামে বলা হয়নি। কাজেই আমি কেন করব?
দূঃখের ব্যাপার হল যে এসব প্রাচীনপন্থী কালাকানুনের স্বীকার হয় মূলত অশিক্ষিত দরিদ্র শ্রেনীর লোকেরা। এর জন্য পুরো দায়ী এসব ভন্ড তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেনীর লোকেরা। নিজেদের পরকালের সোয়াবের আশায় এনারা সফলভাবে যুগ যুগ ধরে ধর্মের নামে কুসংস্কার জিইয়ে রাখছেন।
@আদিল মাহমুদ,
সময় নষ্ট নয়। এই যে অনেকের উপলব্ধি হচ্ছে কোরান-হাদিসের আইন দ্বারা বর্তমানে চলা যাবে না তা এই ধরণের আলোচনারই ফসল মূলত। 🙂
আসলে যদি প্রগতিকে, ভিন্নমতকে মেনে নিত তবে ইসলাম হয়ত এত সমস্যা হত না আর মুসলমানরাও বেশ এগিয়ে যেত। কিন্তু এটা ইসলামের শিক্ষার মধ্যে নেই।
@সৈকত চৌধুরী,
– আমার তেমন মনে হয় না। হাদীস কোরানের প্রাচীনপন্থী কালাকানুন যে এই যুগে অচল তা বুঝতে কোন তত্ত্বীয় আলাপ আলোচনার দরকার পড়েনি। সুদ নিষিদ্ধ কিনা, চোরের শাস্তি হাত কাটা যায় কিনা, কাফের নাছারার সাথে বন্ধুত্ব করা যায় কিনা এসব বেশীরভাগ মানুষ নিজের কমন সেন্স থেকেই জানে। এসবের জন্য কোন আন্দোলন করতে হয়নি। আরো যেসব এখনো চলছে সেগুলিও সময়ের সাথে আপনিই উঠে যাবে। সভ্যতার নিয়মই এই, যুক্তিবাদের জয় হবেই। সময়ের সাথে যা টিকবে না তার আপনিই বাতিল হবে।
আলাপ আলোচনা বলতে আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছি ঈমান্দারদের গম্ভীর মুখে শরা শরিয়তী বিধান নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। সেদিন আলোচনা দেখলাম “কিতাবে” সব আছে কিনা, এবং সেই কিতাব খানা শুধুই কোরান নাকি অন্য আরো জ্ঞানের বই সেই আলোচনা। যাদের বুদ্ধিসুদ্ধি কিছু আছে তারা অবশ্য চেষ্টা করেন কোনমতে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দুই কুলই রক্ষা করা যায় এমন সমাধানে আসতে।
@আদিল মাহমুদ,
এটা আসলে সাধারণ মানুষের কমন সেন্স না, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের সেন্স হতে পারে। এসব অসঙ্গতিগুলোকে অনেক বেশি পরিমান মুসলমানই সরাসরি কোরানের বাণী কীনা নিজে কখনো পড়ে দেখেন নি। অথচ কোরানকে মহাগ্রন্থ, মহাবিজ্ঞান, সমস্ত ভুলত্রুটির ঊর্ধে ভেবে নিচ্ছে। এমন কিছু প্রতিষ্ঠান বা লেখক আছে যারা কোরানকে বিজ্ঞান বা সমস্ত ভুলত্রুটির ঊর্ধে ইত্যাদি রীতিমত প্রমান করে ছাড়ছে। এই অসঙ্গতিগুলো নিয়ে কোথাও না কোথাও আলোচনা না হলে আমরা যারা এসব ব্যাপার ধীরে হলেও জনসমক্ষে প্রকাশ হোক এরকম চাচ্ছি, তাদের জন্য হতাশাজনক হবে।
আমি শুধুমাত্র তাই মনে করিনা। ঊঠে যাবার পেছনে তত্ত্ব/তথ্য, শিক্ষা, প্রেষণা, পরিবেশ ইত্যাদির ব্যাপক ভূমিকা আছে বলে মনে করি। এ ঊপায়টা যদি ভুলও হয়, তবুও ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও একটি প্রয়াস বলতে পারেন। লাভ না থাকুক ক্ষতি তো নেই।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার সুচিন্তিত মতামত ও দিকনিদের্শেনার জন্য।
@আদিল মাহমুদ,
এতটি ১০০% সত্য কথা
একটি ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন :
জাকির নায়েকের ই মেইল ঠিকানাটি কেউ আমাকে জানাতে পারেন। উনার কাছে কয়েকটা প্রশ্ন করতাম। :-s
@হৃদয়াকাশ, এখানে দেখুন। ধন্যবাদ ।
মুক্তমনার ব্লগার এবং সদস্যদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা অসামঞ্জস্যতা কি শুধু কোরানেই ? অন্যান্য ধর্মের বইতে কি কোন অসামঞ্জস্যতা নাই ? মুক্তমনাতে দেখতেছি শুধু কোরআন শরীফের অসামঞ্জস্যতা তথা ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা গবেষনা করতে।তার মানে আমরা কি ধরে নিব মুক্তমনা মানে শুধু ইসলাম ধর্ম বিরোধীতা ? কিন্তু ধর্মকারীতে দেখেছি ওরা সকল ধর্মের সমালোচনা করতে।তাহলে মুক্তমন ও ধর্মকারী ওয়েবের সমান আদর্শ নীতি থাকলে,মুক্তমনা কেন একচেটিয়া বিরোধীতা করছে।
@ফয়সাল মাহমুদ (অভি),
জবাব খুবই সোজা ভাই। এই ব্লগে কোরানের সমালোচনা যারা করছে তাদের বেশির ভাগই মোসলমান পরিবার থেকে উঠে এসেছে।তারা ছোটবেলা থেকেই কোরান পড়ে তা বিশ্বাস করে বড় হয়েছে। মোসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া এদের প্রথম প্রশ্নের সম্মুখিন কোরান হবে নাতো কি বাইবেল কিংবা গিতা হবে ? কোরান নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে এর মানে অন্য ধর্মের বইগুলি ভালো বা প্রশ্নাতীত এই ধারনাটা আপনারা মোসলমানরা কোথা থেকে পেলেন?একটু নেট ঘেটে দেখুন অন্য ধর্মের গোমরগুলিও চিচিং ফাঁক হয়ে আছে।এই মুক্তমনায় খুঁজে দেখুন এখানেও অনেক নমুনা পাবেন আপনি।
@সংশয়, কোরান নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে এর মানে অন্য ধর্মের বইগুলি ভালো বা প্রশ্নাতীত এই ধারনাটা আপনারা মোসলমানরা কোথা থেকে পেলেন?
ভাই মুক্তনাতে এক ব্লগার মন্তব্যে বলেছেন,কল্যানের সার্থে নাকি ধর্মগুলি মানুষ তৈরী করেছে।তার প্রতিবাদে আরেক ব্লগার বলেছেন,কল্যানের সার্থে ধর্মে তৈরী হলেও অকল্যান ছাড়া ধর্মগুলি কিছুই দিতে পারেনি।
আমি ব্যাক্তি গত ভাবে সকল মত ও পথ কে সম্মান করি।আমার দৃষ্টিতে যে যেই মতই বিশ্বাস করুক না কেন তার মধ্যে হয়ত ওর যুক্তি আছে।নাস্তিকেরা কোন ধর্ম না মানলে ওদের বিয়ে সাদী,নাম,এবং আচরন,খাওয়া দাওয়া দাওয়া নিজ নিজ পিতা মাতার ধর্মের অনুসারে করে থাকে।
আজ মুফতিরা বাল্য বিয়ে করার জন্য নারী নীতির বিরোধিত করছে।বিন লাদেন কে শহিদ বলছে।যা শুনলে শয়তানও লজ্জা পায়।আমার মুফতি বিরুধী পোস্ট গুলি দেখার আমন্ত্রন রহিল।যা বেশীর ভাগ লিখা অভিজিৎ দা থেকে আমি চুরি করে লিখি :)) আমার ব্লগ
আজ নাস্তিক ভাইয়েরা দাড়িওয়াদের দাড়ির সমালচনা করছি,কিন্তু নাস্তিক গুরু আরজ আলী মাতুব্বর এবং চালস ডারওইনেরর দাড়ির সমালোচনা করতে দেখি না।
আজ পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মের নামে বোমা মারা হচ্ছে।অমুসলিমদের ধরে তালেবান জঙ্গীরা মুক্তিপনের নামে আল্লাহর নামে মানুষ খুন করছে।আবার নিজেদের কে শহীদ গাজী ফতুয়া(ফতোয়া) দিচ্ছে।নাস্তিকদের হত্যার জন্য দুই টাকা দামের হুজুর যারা ডিলা কুলুপ আর বিবি তালাকের ফতুয়া ছাড়া কোন জ্ঞান রাখেনা ওরা ফতুয়া দেয়।
আবার যখন পৃথীবিতে মুসলিমদের হত্যা শুরু হয় মোল্লারা তখন ফতুয়া দেয় মানব হত্যা জায়েয নয়।তখন আমার খুব হাসি পায়।এমন একটি কার্টুন ধর্মকারীতে দেখেছি। (Y)
কিছুদিন আগে এক মুফতি কে বলেছি অমুসলিম, নাস্তিকদের নামে ফতুয়া বন্ধ করে ওদের কে সম্মান করতে শিখেন।মুফতি ব্যাটা আমারে কয় নিজের টাকা দিয়ে কম্পিউটার চালাই।কে বানাল তা আমার দেখার বিষয় না।
আমি বললাম।মুফতি সাব আম্নে মেল মানেন তালগাছ আম্নের ভাগে চান।পরে মুফতি সাবরে তালগাছের ছবি উপহার দেই। 😀 😀
@ফয়সাল মাহমুদ (অভি),
মুফতিদের মতকে সম্মান দেখিয়েই কি মুফতিদের বিরুদ্ধে লেখেন? আপনি যদি তা পেরে থাকেন, তাহলে সামগ্রিকভাবে যারা ইসলামের সমালোচনা বা অন্য ধর্মের সমালোচনা করে লিখেন তারা যে, অসম্মান করছেন না সেটাও মেনে নেয়া উচিত। বিশ্বাসীরা ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান বা এগুলো সব নির্ভুল বলে যুক্তি দেখালে এবং যদি আপনি তা যুক্তিসঙ্গত মনে না করেন তাহলে কেন সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবেন না? আপনি-আমি কখনোই নির্দিষ্ট কোন গোষ্টি বা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছি না। কেবল ব্যক্তিগত চিন্তাগুলোকে তুলে ধরি বা বিশ্লেষন করি। প্রতিনিয়ত নিজস্ব চিন্তা-ধারার মধ্যেও পরিবর্তন আসে এবং ব্যক্তিগত বিচার-বিবেচনায় অনেক সমৃদ্ধি ঘটে। ভেবে দেখুন বড় পার্থক্যটা এখানেই।
সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসংগ। জম্মের সময় কেউ নাস্তিক হিসেবে জম্ম নেয় না। প্রথা, সংস্কৃতি, ধর্ম এসবের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। আফ্রিকাবাসীর ইসলাম আর মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী রীতিনীতি ঠিক একরকম নয়। আরো অনেক আঞ্চলিক প্রথা বা সংস্কৃতি আছে যেখানে ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে একাকার হয়ে গিয়েছে। বিয়ের কথায় আসি, একজন নাস্তিক কখনই সমাজের বাইরে নয়। সে যাকে বিয়ে করবে বা যে সমাজে বিয়ে করবে সেখানে কনে বা বর নাস্তিক নাও হতে পারে। নিজের চেতনার প্রতিফলন না হলেও সেখানে একজন নাস্তিককে অত্যন্ত সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হয়। নামকরণ সেতো বুঝে উঠার আগেই হয়ে যায়। পরিচিতির জন্য সামাজিক প্রথায় যেকোন নামকরণে কোন নাস্তিকের আপত্তি আছে বলে মনে হয়না । সব ধার্
@ফয়সাল মাহমুদ (অভি),
মুফতিদের মতকে সম্মান দেখিয়েই কি মুফতিদের বিরুদ্ধে লেখেন? আপনি যদি তা পেরে থাকেন, তাহলে সামগ্রিকভাবে যারা ইসলামের সমালোচনা বা অন্য ধর্মের সমালোচনা করে লিখেন তারা যে, অসম্মান করছেন না সেটাও মেনে নেয়া উচিত। বিশ্বাসীরা ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান বা এগুলো সব নির্ভুল বলে যুক্তি দেখালে এবং যদি আপনি তা যুক্তিসঙ্গত মনে না করেন তাহলে কেন সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবেন না? আপনি-আমি কখনোই নির্দিষ্ট কোন গোষ্টি বা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছি না। কেবল ব্যক্তিগত চিন্তাগুলোকে তুলে ধরি বা বিশ্লেষন করি। প্রতিনিয়ত নিজস্ব চিন্তা-ধারার মধ্যেও পরিবর্তন আসে এবং ব্যক্তিগত বিচার-বিবেচনায় অনেক সমৃদ্ধি ঘটে। ভেবে দেখুন বড় পার্থক্যটা এখানেই।
সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসংগ। জম্মের সময় কেউ নাস্তিক হিসেবে জম্ম নেয় না। প্রথা, সংস্কৃতি, ধর্ম এসবের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। আফ্রিকাবাসীর ইসলাম আর মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী রীতিনীতি ঠিক একরকম নয়। আরো অনেক আঞ্চলিক প্রথা বা সংস্কৃতি আছে যেখানে ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে একাকার হয়ে গিয়েছে। বিয়ের কথায় আসি, একজন নাস্তিক কখনই সমাজের বাইরে নয়। সে যাকে বিয়ে করবে বা যে সমাজে বিয়ে করবে সেখানে কনে বা বর নাস্তিক নাও হতে পারে। নিজের চেতনার প্রতিফলন না হলেও সেখানে একজন নাস্তিককে অত্যন্ত সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হয়। নামকরণ সেতো বুঝে উঠার আগেই হয়ে যায়। পরিচিতির জন্য সামাজিক প্রথায় যেকোন নামকরণে কোন নাস্তিকের আপত্তি আছে বলে মনে হয়না । সব ধার্মীকেরা কিন্তু সব ক্ষেত্রে ধর্মীয় আচরণ করে তা নয় বরং ক্ষেত্রে বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধেও যায়। আঞ্চলিক সংস্কৃতির প্রভাবে এটি ঘটতে পারে। তাই বলে তারা ধর্মকে অস্বীকার করছে তা বলা যাবে না। আচ্ছা বাংলাদেশ বা ভারতে আমরা যা খাচ্ছি তার সব কিছু কি কোরান বা বেদের খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাচ্ছি? ধর্মীয় খাদ্য তালিকা এবং বিবর্তনীয় বা অভ্যাসলব্দ খাদ্য তালিকা গুলো দিয়ে আমাকে কি একটু সহযোগিতা করতে পারেন? ইংগিত নয় সরাসরি তালিকা। তাহলে সিন্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে আসলে কোন খাদ্যটা কার ধর্মীয় সম্পত্তি। আমি জানি, মুসলমানদের অনেক অনেক আগেই গরুর অস্তিত্ব ছিল।
স্ব-বিরতধীতা।
কোথায় কিরকম সমালোচনা দেখেছেন জানি না। হতে পারে এটি ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা। নিজস্ব রুচিবোধকে উপেক্ষা করে দাড়ি বা এসমস্ত লেবাজ যখন কোন বিশেষ ব্যক্তি বা সত্ত্বার তাবেদারীর বা সন্তোষ্টির জন্য সামাজিকভাবে, পারিবারিকভাবে প্রয়োগের পায়তারা চলে তখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বটে।
একমত।
@ফয়সাল মাহমুদ (অভি),
আমার ব্যক্তিগত মত হল, মুক্ত-মনার বেশির ভাগ লেখক ইসলাম ধর্মাবলম্বী পরিবার অথবা ইসলামী সমাজ থেকে এসেছেন। তাই তারা ইসলাম নিয়েই বেশি লেখেন। যেহেতু বাংলা ভাষাভাষী ইহুদি-খ্রিস্টান অত্যন্ত নগন্য তাই এগুলোর সমালোচনা কম হয়। আর মুক্ত-মনায় প্রায় সবাই বাংলাদেশী ব্লগার। তাই হয়ত ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা বেশি হয়। আরেকটি কারণ আছে- ‘ইসলামের মত এত অসহনশীল ধর্ম আর হয় না। তাই এর বিরুদ্ধে মুক্ত-মনা ব্লগ ছাড়া আর কোথাও তেমন কিছু বলা যায় না’।
ধর্মকারী আর মুক্ত-মনার উদ্দেশ্য আলাদা। ধর্মকারী মূলত বিনোদন ব্লগ। তাই এর সাথে মুক্ত-মনার এ ধরণের তুলনা অবান্তর।
এক ধর্মের সমালোচনা করলেন আর আরেক ধর্মের করলেন না- এ ধরণের আবদার অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য। মুক্ত-মনায় ব্লগ লেখবেন ব্লগাররা। এখানে মডারেটররা কাউকে কিছু লেখতে বাধ্য করেন না।
এছাড়া শুধু ধর্ম সমালোচনা মুক্ত-মনার উদ্দেশ্য না। ধর্ম নিয়ে লেখা একটু বেশি আলোচিত হয় এই যা। আপনি দেখবেন এখানে বিজ্ঞান বিষয়ক যেকোনো লেখাকে সমাদর করা হয়।
আর আপনি খুঁজলে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মগুলোর সমালোচনা করে অনেক লেখা মুক্ত-মনায় পাওয়ার কথা। আপনাকে হিন্দু ধর্মের উপর কিছু লেখার সন্ধান দিচ্ছি-
http://www.mukto-mona.com/Articles/ramendra/why_not_hindu.htm
http://www.mukto-mona.com/Articles/ananta/sonatan_dhorme_naree.htm
http://www.mukto-mona.com/Articles/ananta/Geeta_abd.pdf
http://www.mukto-mona.com/Articles/ananta/pouranik_vs_science_1.pdf
http://www.mukto-mona.com/Articles/ananta/pouranik_vs_science_2.pdf
http://mukto-mona.com/Articles/kasem/women_hinduism.htm
http://www.mukto-mona.com/Articles/akash/Monushonghita.pdf
http://www.mukto-mona.com/Articles/akash/Nari_Shikka.pdf
@সৈকত চৌধুরী,
@সংশয়,
ফয়সাল মাহমুদ (অভি) এর মন্তব্যের যথাযথ জবাব দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
@ফয়সাল মাহমুদ (অভি),
ভুল বললেন। যেহেতু একজন সববিষয়ে লিখতে পারেনা, তাই যার যার মনোনীত সাইড আলাদা, মুক্তমনার হস্তক্ষেপ ছাড়াই। সুতরাং কেউ একজন শুরু করলে হয়। আর মুক্তমনায় যে অন্য ধর্মের সমালোচনা হয়না অবশ্যই তা নয়। ইসলাম নিয়ে সমালোচনা বেশি হওয়ার আর একটি কারন হচ্ছে, এটি প্রতারনার শেষ ভার্সন।
বিষয়বস্তুর সঙ্গে নামকরণের কোনো মিল নেই। শিরোনাম দেখে আমি ভেবেছিলাম, কোরান যে একমুখে দুই কথা বলে- সেই বিষয়ে আলোচনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশ হলাম।
@হৃদয়াকাশ,
কোরানে অসামঞ্জস্যতা বলতে সঙ্গতিহীন বা অসঙ্গতি বা যুক্তির অভাব ইত্যাদি বিষয়কে বুঝানো হয়েছে। যা, যুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষন করে সঙ্গতিহীন প্রমাণ করা যায়। আসলে আপনাকে হতাশ করার কোন ইচ্ছে আমার ছিলনা। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
প্রধান ধারার তথ্য-মাথ্যমগুলোতে বিজ্ঞান আর নৈতিকতার পোশাক পড়িয়ে ধর্মের যে মিথ্যে জয়জয়কার চলছে, তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে বসে থাকলে, একসময় টুপি-দাড়ি ছাড়া রাস্তায় হাঁটা যাবে না। ভিন্ন ধর্মের হলে হলুদ পোশাক পড়ে রাস্তায় বেরুতে হবে। এদের ভন্ডামি উম্মোচন তাই খুব খুব করেই দরকার। ধর্মীয় সংগঠনগুলো পুষ্টি পাচ্ছে সব দিক থেকে, তাদের বিরুদ্ধে যাবার, বলবার মানুষ দিন দিন কমে আসছে, এমন কি প্রগতিশীলদের কেউ কেউ-ও এ ব্যাপারে মুখে তালা ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা খোমেনির কাছ থেকে কোন শিক্ষাই লাভ করেনি।
এ ধারার লেখা অব্যাহত থাকুক। মুক্তমনার সাহসী লেখকদের অভিন্দন।
@স্বপন মাঝি,
হ্যাঁ বাঙালিরা বসে বসে আঙ্গুল চুষলে বাংলাদেশ খোমেনির দেশে রূপান্তরিত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এ যেন ভানুর “দেকি না কি করে” জোক। সময় বহিয়া যায়…। (O)
@স্বপন মাঝি,
ওদেরকে প্রগতিশীল বলবেন না। প্রগতিশীল শব্দটায় কালি পড়বে। পত্রিকার সম্পাদকরাও মোল্লাদের চাপে টুপি মাথায় তওবা করছে। জাতির বিবেকের অবস্থা দেখুন।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখাটি আমার ভাল লেগেছে । আমাদের সকলেরই এই আসমানী কিতাবটি ভালভাবে জানা দরকার । কেননা এই কিতাবের নারীকে কতভাবে ভোগ বিলাসিতার বস্তূ হিসাবে দেখানো হয়েছে তা হুজুর মহোদয়গনকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো দরকার ।
আমার ভয় হয় যদি এই কথিত ইসলামি চিন্তাবিদ্গন আপনার লেখাটি পড়ে তাহলে সরাসরি আপনার বিরুদ্ধে যিহাদ ঘোষনাসহ সমস্ত আলেম, উলামা ও মাশায়েক সম্প্রদায়কে নিয়ে মস্তক কতল করার উদ্দেশে যাপিয়ে পরবে । আজ ভুলক্রমে যদি কোনভাবে তাদের স্ত্রীগন এই লেখাটি পড়ে তাহলে কত হুজুরের স্ত্রী যে তালাক হবে তার কোন হিসাব পাওয়া যাবে না । লেখাটি আমাদের কত যে দরকার তা এই দুনিয়ার কানার হাট বাজারের মানুষকে বুঝানো যাবে না । বাদল চৌধুরী আপনি লেখাটি Persist করবেন এই আশাই থাকবো । Thanks for you and your striking life.
@shahin,
এজন্যেই তো মুক্তমনায়। আলেম, উ
@shahin,
এজন্যেই তো মুক্তমনায়। আলেম, উলামা ও মাশায়েক সম্প্রদায়ের নাগালের বাইরে।
@বাদল চৌধুরী,
মোটেও নয় । কারন আলেম, উলামা ও ইসলামি উগ্রপন্থীদের হাত অনেক বড়। তারা একশত দশ তলায়ও বিমান হামলা করতে পারে। আর মুক্তমনাতো …………..? তবে নিরাপদ থাকা ভাল।
ছাক্কা রেফারেন্স; যথপোযুক্ত জিজ্ঞাসা আর বিশ্লেষণ। আবার আর একটা সুন্দর লেখা। চালিয়ে যান। :clap
@কাজী রহমান,
ধন্যবাদ।
আরো অনেক রম্য কবিতা চাই আপনার কাছ থেকে। লিখবেন তো?
@বাদল চৌধুরী,
আপনারা মজা পেলে অবশ্য অবশ্যই লিখতে থাকব। মনচান্দিতে সাইনবোর্ড লাগান “মোল্লা হইতে সাবধান”। ভালো থাকুন।
তৎকালীন আরবের রুগ্ন অর্থনীতির সাথে মৌখিক তালাকের একটা যুতসই সুবন্দোবস্ত গড়ে তুলতেই মনে হয় স্ত্রী গ্রহনের সাথে অর্থ লেনদেনের আপোষরফার বিশেষ ব্যবস্থা তৈরী করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হল- ইচ্ছামত তালাক দিতে সমস্যার সমাধান করা গেল আবার অপর দিকে কিছু অর্থ দিয়ে এও বুঝানো গেল নারী জাতির মঙ্গলের কথা ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে।
বহু বিবাহে বাধা না থাকলেও অর্থনৈতিক ভিন্নতার কারন ও তালাকের মত সহজে স্ত্রী ত্যাগের কোন অনুমতির বিধান না থাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ধর্ম গুলোতে স্ত্রী গ্রহন কালে অর্থ দেনের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
@রাজেশ তালুকদার,
মন্দের ভাল আরকি। হিন্দুদের কথা বাদে বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ধর্মগুলো মনে হয় নারীকে কিছুটা সম্মান দেখিয়েছে। অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলছি, আপনার লেখা আমার বরাবরই ভাল লাগে, বিশেষ করে শয়তানের “জন্ম ও বিবর্তনের ইতিহাস(১ম পর্ব)” লেখাটি হেভি লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
@বাদল চৌধুরী,
ধারাবাহিক এমন একটি প্রয়োজনীয় সিরিজ লিখার জন্য ধন্যবাদ।
খুব ভাল হয়েছে।
মুহাম্মাদ ও আল্লাহর (ইসলামিক) আইনে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। মুসলীম এবং অমুসলীম। মধ্যিখানে কিছু নাই। আইন কানুন-সহ যাবতীয় বিধি ব্যবস্হাই এই দুই গুষ্ঠির জন্য দুই রকমঃ মুসল্মানের জন্য আইন এবং অমুস্লমানের জন্য আইন। ইসলামে সামগ্রীকভাবে ‘ন্যায় -অন্যায়’ জাতীয় কোন Concept নাই। ইসলাম পরিচালিত হয় ‘Permissible versus Non-permissible” আইনের ভিত্তিতে। ‘মহাম্মাদ এবং কুরান’ সমর্থিত কার্যাবলী হলো ‘Permissible”, এর বাহিরে সব কিছুই “Non-Permisible”.
@গোলাপ,
সম্ভবত আপনার কথাই ঠিক। তবে, মুসলিমদের মধ্যে মুমিন, মুনাফিক, মুত্তাকি, নাফরমান ইত্যাদি শব্দগুলো পাওয়া যায়। যদিও দলগত বিবেচনায় শব্দগুলোকে মুসলিম বা অমুসলিম থেকে বেশি একটা আলাদা করা যায় না।
একমত। ইসলামী ন্যায় -অন্যায়কে সার্বজনীনভাবে বা সাধারণভাবে প্রয়োগ করা যায় না। তাই একে নৈতিকবিবেচনায় প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ থাকে। ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তেব্যের জন্য।
যদি চারজন সাক্ষী না পাওয়া যায় তাহলে ব্যবিচারী নারীদের কি বিচার হবে? আর যে পুরুষের সাথে ব্যবিচার করা হয়েছে তার কি বিচার হবে?
@তামান্না ঝুমু,
আল্লাহই জানে। আমি তো ফতোয়া দিতে পারি না। এটা সম্ভবত ফতোয়া আইনে (ইজমা/কিয়াস) বিচার হবে।
পুরুষটার বিচার হবে কিনা আমার ব্যক্তিগত আভিমতে দ্বন্ধ আছে।
হেডলাইনটা ঠিক করে দিলে ভাল হয়।
@আসরাফ,
ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
@বাদল চৌধুরী,
তথ্যবহুল একটি লেখা, কিন্তু লেখাটায় প্রচুর বানান ভুল আছে। এডিট করে নিলে পাঠকের পড়তে ও বুঝতে সুবিধে হবে।
@আকাশ মালিক,
অসতর্কতা বশতঃ বানান ভুলের জন্য দুঃখিত। আপাতত গোচরীভূত ভুলগুলো ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।