আমাদের মধ্যকার যে আঁতাত,
তা ভালোবাসা নয়।
এটা তাহলে কি ?
তোমায় জিজ্ঞেস করছি বন্ধু,
হয়তো এটা শুধুই সঙ্গ।
একটা সময় ধরে যে শক্তির তীব্রতা
আমাদের মাঝে বিদ্যমান আছে,
তা ভালোবাসা নয়।
এটা তাহলে কি ?
রসায়ন, খেলা নাকি যাদু মন্ত্র ?
এর কম হলে আমার চলবে না।
আমাদের মধ্যকার ভৌত আসক্তি,
আমাদের বোঝাপড়া ভালোবাসা নয়।
কিন্তু এটা তাহলে কি ?
তোমার কাছে তো আমার লুকানোর কিছুই নেই,
তবে স্বাভাবিকতার আড়ালে আমরা আর লুকাতে পারি না।
আমরা এখন অদম্য এক কম্পনের অতি সন্নিকটে দাঁড়িয়ে;
এরপর সামনে যত রাত আসবে তা হবে ভাগাভাগির রাত।
প্রতিটি স্বপ্ন, প্রতিটি মুহুর্ত, প্রতিটি বেদনা হয়তো এক সময় হারিয়ে যাবে,
শুধু আমরাই পারবো না একটা নগ্ন সত্য হতে নিজেদের বাঁচাতে,
আমরা এখন অদম্য এক কম্পনের অতি সন্নিকটে দাঁড়িয়ে;
তা সে আগে হোক আর পরেই হোক।
আমাদের মধ্যকার যে আঁতাত
তা ভালোবাসা নয়….., হয়তো।
অনেকদিন পর কবিতা পড়লাম।
লুকানোর কিছু নেই বলেও লুকিয়ে গেলেন।
হয়তো কবিতায় সব প্রকাশ করতে নেই।
@শ্রাবণ আকাশ,
আমি ভাগ্যবান যে অনেক দিন পর আমার লেখা দিয়ে আপনার কবিতা পড়া আবার শুরু হলো। 🙂
কিছু লেখার শুরু হয় যে কারও নাম দিয়ে কিন্তু আমার এ লেখাটার শুরুতে “to whom it may concern” পড়তে হবে যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উচচ্ছ রাখা হয়েছে একবচন/বহুবচন সংক্রান্ত ঝামেলা এড়াতে। সব প্রকাশ করতে গেলে মহাকাব্য লিখতে হবে যা আমার সাধ্যের বাইরে। (@)
নিকটে থাকা মানেই কাছে থাকা নয়
এভাবে একসাথে থাকা, হয়ত ভালবাসা নয়
অন্যকিছু
@তৃষিত জীবন,
তৃষিত বনের সাথে তৃষা তপ্ত মনও এক সময় জেগে উঠে
দূর্বার গতিতে অতিক্রম করে যেতে চায় বহু দুরের বন্ধুর পথ , দুর্বল মহাকর্ষ
যেখানে সঙ্গ মানেই ভালোবাসা নয়
ভালোবাসা মানেই শৃঙ্খল নয় …
আপনিতো দেখছি কবিতার দিকে বেশ ঝুঁকে পড়েছেন। এটা কি নতুন অভ্যাস, নাকি আগে থেকেই কবিতা লিখতেন?
অটঃ আপনার প্রোফাইল পিকচারটা আমার কাছে অসাধারণ লাগে।
@ফরিদ আহমেদ,
কবিতা লেখা শুরু করেছি মাত্র কয়েক মাস হয়েছে । এর আগে শুধুই অন্যের লেখা পড়তাম। প্রথমে গল্পই লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু আলসেমির কারনে বেশিক্ষন টাইপ করতে ইচ্ছে করে না। আপনার লেখা একটা গল্প আমার খুবই প্রিয়।
প্রোফাইল পিকচারটা আসলে আমাকে এতবেশী প্রতিফলন করে যা আমার কাছের মানুষেরা বুঝতে পারেন।
বাস্তবতার গায়ে কত বিচিত্র রঙের আঁচড় দিয়ে, আমরা আমাদের সত্যগুলোকে ( হয়তো আমরা নিজেরাও বুঝি না কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা) আড়াল করে রাখি আর গানে কবিতায় আশ্রয় খুঁজি নিজেকে দাঁড় করাবার। এখন কবিতাই যদি তা নগ্ন করে দেয়, তো ভদ্রলোকদের তো আর যাবার জায়গা থাকলো না।
মনে হয়, ওই মুহূর্তটুকু ……।
@স্বপন মাঝি,
ধর্ম আফিম হয়ে থাকলে , ভালোবাসাকে হেরোইন বলা যায় যা কিনা আসলে পরিশোধিত আফিম। এই ধর্মের রীতিনীতি গুলো কম মৌলবাদী নয় কিন্তু !
ঠিক ধরেছেন। ওই মুহূর্তটুকু …….।
শিল্পীত বহিঃপ্রকাশ। ভালো লেগেছে। (Y)
কাব্য চর্চা চালিয়ে যান। 🙂
@নীল রোদ্দুর,
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালবাসায় মনে হয় কালিক প্রভাবের চেয়ে স্থানিক প্রভাবই বেশী !
চালিয়ে যান। নতুন প্রজন্ম কিন্তু আপনার সাথে আছে।
আমাদের দেশে শারীরিক আর ভাবুক ভালবাসা ব্যাপক অর্থে কখনো একাত্ম হয়েছিল নাকি? পশ্চিমেই শুধু অনেক আগে থেকে সুবিধাজনক ভাবে আলাদা ছিল মনে হয়। (F)
@কাজী রহমান,
ধন্যবাদ। অভিযোজন ছাড়া কোন প্রাণীই টিকতে পারে না , মানুষ তো নয়ই । পরিবর্তিত পরিবেশে টিকে থাকার জন্য তাই অভিযোজন অতি আবশ্যক। এর অন্যথায় বিলুপ্তি অনিবার্য। ব্যাপকভাবে অপব্যবহূত ‘স্বাভাবিক” শব্দটা সব সময়ই তাই অভিযোজনের সাথে সাংঘর্ষিক।
হয়েছে , তবে কাগজে কলমে স্বীকৃতি পায় নি। এই একটা ক্ষেত্রে বাঙালী কথার চেয়ে কাজে বেশী বিশ্বাসী। (@)
@সংশপ্তক,
@কাজী রহমান,
আরে আমার ইমো …এই যে :lotpot: