মানব জাতির শ্রেষ্ট মানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ এর চরিত্র ফুলের মত পবিত্র সেটাই আমরা জানি, প্রতিটি মুসলমান তাই জানে বা জন্মের পর থেকে জেনে এসেছে।প্রতিটি মুসলমান জন্মের পর জ্ঞান হওয়া থেকে শুরু করে শুনে এসেছে, মোহাম্মদ অতীব সৎ, অতীব দয়ালু, অতীব মহৎ, অতীব ন্যায় পরায়ন ইত্যাদি। এর বাইরে কখনই তারা শোনেনি যে মোহাম্মদ একজন লুটেরা/ডাকাত বা নারী লোলুপ বা কামার্ত বা খুনী বা ক্ষমতা লোভী হতে পারে।এসব হতে পারা তো দুরের কথা- এসব হওয়ার কল্পনাও কোন মুসলমান করতে পারে না, কারন যদি করে তাহলে তার জন্য জাহান্নামের কঠিন আগুন অপেক্ষা করবে। সুতরাং কার এমন বুকের পাটা যে সে আল্লাহর নবী মোহাম্মদের সম্পর্কে এমন ধারনা পোষণ করবে ? কারন কোরানের আল্লাহ আর মোহাম্মদ সে তো একই ব্যাক্তি। সুতরাং সঙ্গত কারনে এটা মনে হয় যে মোহাম্মদ সর্বপ্রথম যে বিষয়টির আশ্রয় নিয়েছেন তা হলো প্রতারনা ও মিথ্যার। অথচ ইসলামি বিশ্বে তিনি হলেন আল আমীন বা মহা সৎ লোক।তিনি সর্বপ্রথমেই যে অসত্যের আশ্রয় নিয়েছেন তা হলো নিজের বানীকে আল্লাহর বানী হিসাবে চালিয়ে দিয়ে আরবদেরকে প্রতারনা করেছেন ও তাদেরকে বোকা বানিয়েছেন।বিষয়টিকে এবার একে একে বিবৃত করা যাক।
মোহাম্মদ ও আল্লাহ যে একই ব্যাক্তি তা পরিস্কার হয় নিচের আয়াত সমূহে:
যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের আদেশ মত চলে তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন যেগুলোর তলা দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। ০৪:১৩
যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে, তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন যেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। ০৪: ১৪
উপরোক্ত আয়াত থেকে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে আল্লাহ ও তার রসুলের আদেশ সমার্থক। তার অর্থ আল্লাহ ও তার রসুল একই ব্যাক্তি।
কোরান যদিও বলছে আল্লাহ এর সাথে কাউকে শরিক করা যাবে না, কিন্তু স্বয়ং আল্লাহ তো মোহাম্মদের রূপ নিয়ে দুনিয়াতে আসতে পারে,আর আল্লাহর জন্য তা খুবই সম্ভব,সেক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে কারো শরিক করাও হয় না। কেন জানি মুসলমানরা সেটাকেও তেমন একটা আমল দেয় না, বোধ হয় তা হলে তা হিন্দুদের অবতার তত্ত্বের সাথে মিলে যাবে এই ভয়ে।কিন্তু যে কেউ একটু মন দিয়ে খোলা দৃষ্টি দিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবে যে , কোরানের কথাগুলো স্রেফ মোহাম্মদের নিজের কথা। কোরানের কথা যে খোদ মোহাম্মদের নিজের কথা তা বুঝতে কোরানের নিচের আয়াতগুলো দেখা যেতে পারে:
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালূ । ০১:০১
কথাগুলো আল্লার হলে, আল্লাহ নিজেই নিজের নামে শুরু করতেন না ।
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি ও তোমার সাহায্য কামনা করি। ০১:০৫
কথাগুলো আল্লাহর হলে আল্লাহ নিজেই নিজের ইবাদত করবেন না।
এখানে প্রশ্ন আসে , কে শুরু করছে? কারা ইবাদত করে ? যদি ধরা হয় এগুলো মানুষকে লক্ষ্য করে বলা হচ্ছে তাহলে সঠিক বাক্যগুলো এরকম হলেই তা বরং আল্লাহর কথা হতো-
শুরু কর আমার( আল্লাহর) নামে, আমি পরম করুনাময়, অতি দয়ালূ।
তোমরা একমাত্র আমারই ইবাদত কর ও আমার সাহায্য কামনা কর।
এ প্রসঙ্গে হিন্দুদের কাছে পবিত্র গীতার কথা উল্লেখ করা যায়। হিন্দুদের বিশ্বাস গীতার বানী হলো স্বয়ং তাদের ভগবান তথা কৃষ্ণের নিজের বানী। শ্রী কৃষ্ণকে তারা স্বয়ং ভগবান বলে বিশ্বাস করে যিনি মানুষ রূপে এ পৃথিবীতে অবতরন করেছিলেন পাপীদেরকে শাস্তি দিতে ও সাধুদেরকে রক্ষা করতে। গীতার দু একটি শ্লোক নিচে দেখা যাক:
হে ধনঞ্জয়, আমা অপেক্ষা শ্রেষ্ট পরম তত্ত্ব আর কিছু নেই।সূত্রে যেমন মনি সমূহ গাথা থাকে, ঠিক তেমনি ভাবে জগতের সবকিছু আমার মধ্যে বিরাজ করছে। ০৭:০৭
হে অর্জুন, আমি ভুত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমানকে জানি। কিন্তু আমাকে কেহই জানে না। আমি সর্বজ্ঞ, আমি কোন মায়ার অধীন নহি, কারন আমি মায়াধীশ। কিন্তু জীব মায়ার অধীন তাই তারা অজ্ঞ। কেবল আমার অনুগৃহীত ভক্তগনই আমার মায়াকে অতিক্রম করিয়া আমাকে জানিতে পারে। ০৭:২৬
লক্ষ্যনীয় এখানে বক্তা যেহেতু স্বয়ং ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাই তিনি সর্বদা নিজেকে প্রথম পুরুষ অর্থাৎ আমি , আমাকে এ সর্বনাম পদ দিয়ে প্রকাশ করছেন। শ্রী কৃষ্ণ তার শিষ্য অর্জুনকে উপদেশ দিচ্ছেন আর সেই উপদেশ বানী সমূহের সমাহার হলো গীতা।অথচ কোরানের বানী খোদ আল্লাহর বানী হওয়া সত্ত্বেও তার সব বাক্য এরকম প্রথম পুরুষ তথা আমি, আমাকে এ সর্বনাম পদ দিয়ে প্রকাশ করেন নি।কোথাও কোথাও যদিও সেভাবে প্রকাশ করেছেন, যেমন-
সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরন রাখ, আমিও তোমাদেরকে স্মরন রাখব এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, অকৃতজ্ঞ হইও না। ০২: ১৫২
অবশ্যই আমি তোমাদেরকে কিছুটা পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, জান ও মালের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। ০২: ১৫৫
যা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, নিরক্ষর মোহাম্মদ আসলে নিজের বাক্যকে আল্লাহর বানী বলে চালাতে গিয়ে এ ভুলটি করে ফেলেছেন।বাক্য গঠন সম্পর্কে তার কোন সম্যক ধারনা ছিল না, যেমন খুশী তার নিজের বানানো কিচ্ছা বলে গেছেন, আর সাহাবীরা যারা একটু শিক্ষিত ছিল তারা শুনে তা তাদের মত লিখে রেখেছে বাক্যগুলোকে কিছুটা পরিমার্জন করে। কিন্তু মোহাম্মদের বর্ননা করা বাক্যগুলোর সংখ্যা ও ব্যকরনগত অসাম্যঞ্জস্যতা এত বেশী ছিল যে সাহাবীরা সব গুলোকে তাদের মত লিখতে পারে নি।।অনেকগুলোই তারা মোহাম্মদ হুবহু যেমন বলেছিল সেরকম ভাবেই লিখে রেখে গেছে আর পরবর্তীতে সেরকম ভাবেই আমাদের কাছে এসেছে।কিন্তু তখন এসব নিয়ে তেমন কেউ তখন চ্যলেঞ্জ করেনি, করার হিম্মতও কেউ দেখায়নি।দেখালে গর্দান যাওয়ার ভয় ছিল। নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করা যাক-
যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে, তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন যেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। ০৪: ১৪
অথচ ঠিক এর পরের আয়াতটি হলো –
আর তোমরা তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যাভিচারিনী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চারজনকে সাক্ষী হিসাবে হাজির কর, অত:পর তারা যদি সাক্ষী প্রদান করে তাহলে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ যে পর্যন্ত তাদের মৃত্যু না হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য ভিন্ন কোন পথ না প্রদর্শন করেন। ০৪:১৫
০৪:১৪ যদি ঠিক ০৪:১৫ আয়াতের ব্যকরনগত বাক্য রীতি অনুসরন করত তাহলে তা হতো নিম্নরূপ:
যে কেউ আমার(আল্লাহ) ও আমার রসুলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে, আমি তাকে আগুনে প্রবেশ করাব যেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।
কিন্তু তার পরেও ০৪: ১৫ আয়াতে কিছুটা গোলমাল করে ফেলেছে। বলছে- অথবা আল্লাহ তাদের জন্য ভিন্ন কোন পথ না প্রদর্শন করেন। এখানে আল্লাহ স্বয়ং বক্তা হওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ করে নিজেকে তৃতীয় পুরুষ হিসাবে উল্লেখ করছেন যা ব্যকরনগত ভুল।আল্লাহর বক্তব্য হলে এটা হতো এরকম – অথবা আমি তাদের জন্য ভিন্ন কোন পথ না প্রদর্শন করি। অর্থাৎ আল্লাহ নিজেকে তৃতীয় পুরুষ রূপে উল্লেখ না করে প্রথম পুরুষ রূপে উল্লেখ করতেন।
আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ইসাকে প্রেরন করিয়াছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তাওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। ০৫: ৪৬
আল্লাহ পরিস্কার ভাবে বলছেন- আমি, অর্থাৎ প্রথম পুরুষে নিজেকে বর্ননা করছেন। অথচ ঠিক এর পরের আয়াতটি হলো –
ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিৎ আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ন করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ন করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারা পাপাচারী। ০৫: ৪৭
আল্লাহর বানী হলে আয়াতটি হতো এরকম-
ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিৎ আমি তাতে যা অবতীর্ন করেছি সে অনুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আমি যা অবতীর্ন করেছি সে অনুযায়ী ফয়সালা করে না , তারা পাপাচারী।
আর একটি আয়াত-
হে মুমিন গন, তোমরা ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না। তারা একে অপরের বন্ধু।তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদের পথ প্রদর্শন করেন না।০৫:৫১
আয়াতের প্রথম অংশটি আল্লাহর বানী বলে মনে হলেও আল্লাহ জালেমদের পথ প্রদর্শন করেন না– এ অংশটুকুকে তা মনে হয় না।এটা যদি এরকম হতো- আমি জালেমদের পথ প্রদর্শন করি না-তাহলে তা আল্লাহর সরাসরি বানী মনে হতো।
গোটা কোরানে এরকম উদ্ভট ব্যকরনগত ভুলের ছড়াছড়ি। যে কেউ একটু দিল মন খোলা রেখে পড়লে তা পরিস্কার বুঝতে পারবে। তবে যাদের হৃদয়ে সীল মারা তারা বুঝতে পারবে না। এ বিষয়ে দু একজনের সাথে আলাপ করে দেখেছি তাদের যুক্তি হলো- আরবী ব্যকরনে নাকি এ ধরনের বাক্যরীতি সিদ্ধ। অর্থাৎ বক্তা নিজেকে প্রথম পুরুষ বা দ্বিতীয় পুরুষ বা তৃতীয় পুরুষ যে কোন ভাবেই প্রকাশ করতে পারে।আরও গভীর ভাবে আলাপ করতে গিয়ে শুনেছি আরও অদ্ভুত কথা। তা হলো- আরবী ব্যকরন তারা অনুসরন করে কোরানের ভিত্তিতে অর্থাৎ কোরানে যে রকমভাবে আরবী ব্যকরনকে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাই শুদ্ধ আরবী ব্যকরন রীতি। কোরানকে আল্লাহর বানী প্রমান করতে গিয়ে এক শ্রেনীর অন্ধ মানুষ নিরক্ষর মোহাম্মদের উদ্ভট কথা বার্তাকেই আদর্শ ব্যকরন রীতি ধরে একটা ভাষার আদি ও অকৃত্রিম ব্যকরনের রীতি নীতিকেই বিসর্জন দিয়ে ফেলেছে।
মুসলমানদের কাছে পৌত্তলিক হিসাবে আখ্যায়িত হিন্দুদের কিতাব গীতায়ও কিন্তু এ ধরনের অসামঞ্জস্যতা নেই অর্থাৎ বাক্য গঠনে ব্যকরনগত ভ্রান্তি নেই। এর কারনও সহজ বোধ্য। তা হলো- গীতার রচয়িতারা ছিল সেই প্রাচীনকালের ভারতের উচ্চ শ্রেনীর শিক্ষিত সম্প্রদায়।তারা ব্যকরণে ছিল বিশেষ পারদর্শী।যে কারনে তাদের রচনায় আর যাই হোক ব্যকরণগত ভুল ছিল না।পক্ষান্তরে,মোহাম্মদ নিজে ছিল অশিক্ষিত, নিরক্ষর , ব্যকরণ কি জিনিস তাই তার জানা ছিল না। ব্যকরণ না জানলেও কিচ্ছা কাহিনী বলতে তো কোন অসুবিধা ছিল না।তবে তা বলতে গেলে ব্যকরণ সঠিক না হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক আর তারই প্রমান ভুরি ভুরি তথাকথিত আল্লাহর কিতাব কোরানে। যেটুকু সঠিক বাক্য বিন্যাস আমরা কোরানে দেখি তার কৃতিত্ব মোহাম্মদের নয়, বরং কিছুটা শিক্ষিত কতিপয় সাহাবীদের। তারাই যতটুকু পারা যায় শুদ্ধ ভাবে মোহাম্মদের বলা কাহিনী কিচ্ছা গুলোকে মুখস্থ করে রেখেছিল বা কাঠ চামড়াতে লিখে রেখেছিল।আর সবাই জানে যে কোরান সংকলিত হয়েছিল মোহাম্মদের কালে নয়, তৃতীয় খলিফা ওসমানের কালে। এটাও সবাই জানে যে , ওসমানের সময় কালে ইসলামী সাম্রাজ্য আরবের পুরো জায়গাতে ছড়িয়ে পড়েছিল কিন্তু সমস্যা হয়েছিল, বিভিন্ন যায়গাতে মানুষ বিভিন্নভাবে কোরান পাঠ করত।এক অঞ্চলের কোরানের সাথে অন্য অঞ্চলের কোরানের মিল ছিল না। যে কারনে কোরানে আল্লাহ নিজের কোরান নিজেই হেফাজত করবেন বলে হুংকার ছাড়ার ( আমি নিজে কোরান অবতারন করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।১৫:০৯) পরেও অবশেষে সে কাজটা ওসমানকেই করতে হয়।কারন ততদিনে যার যার মত কোরান পাঠ শুরু হয়ে গেছিল।তা করতে গিয়ে যে কাজটি তিনি করেন তা হলো- কতিপয় ব্যাক্তি নিয়ে গঠিত কমিটি তাদের পছন্দমত কোরানের আয়াতগুলো সংকলন করেন ও কোরানের বাকী কপি সমূহ পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলেন।আর সে সংকলনের সময় তারা হুবহু মোহাম্মদের কাছ থেকে পাওয়া কোরানের বানী সংরক্ষন করেছিল তা মনে করার কোন সংগত কারন নেই। তা করলে কোরানে আরও অসংখ্য গাজাখুরী তথ্য ও ব্যকরণগত ভ্রান্তি খুজে পাওয়া যেত।যারা কোরান সংকলন কমিটিতে ছিল তারা মোটামুটিভাবে সেখানকার সেকালের শিক্ষিত মানুষ ছিল। যার ফলে তারা অনেকটাই পরিমার্জিত আকারে কোরান সংকলন করেছে তা বোঝাই যায়।বিষয়টি যে এরকম তা বোঝা যায় নিচের হাদিসটিতে:
আবু আনাস বিন মালিক বর্নিত- যখন সিরিয়া ও ইরাকের লোকেরা আজারবাইজান ও আরমেনিয়া বিজয়ের জন্য যুদ্ধ করছিল তখন হুদায়ফিয়া বিন আল ইয়ামান উসমানের নিকট আসল। হুদায়ফিয়া একারনে ভীত ছিল যে সিরিয়া ও ইরাকের লোকেরা ভিন্ন ভাব ও উচ্চারনে কোরান পাঠ করত।তাই সে উসমানের নিকট বলল- হে বিশ্বাসীদের প্রধান,কিতাবকে বিভক্ত করার আগেই মুসলমান জাতিকে রক্ষা করুন, যেমনটা ইহুদি ও খৃষ্টানরা তাদের কিতাবকে পূর্বে বিভক্ত করেছিল।সুতরাং উসমান হাফসার নিকট কোরানের আসল কপি চেয়ে পাঠালেন যাতে করে তা থেকে বেশ কিছু কপি তৈরী করা যায়।হাফসা সেটা উসমানের কাছে পাঠালে উসমান যায়েদ বিন তাবিতকে প্রধান করে আব্দুল্লাহ বিন আয-যুবায়ের, সাইদ বিন আল আস এবং আব্দুর রহমান বিন হারিথ বিন হিসাম এ কয়জনের এক কমিটি করে দিয়ে কোরান সংকলন করতে আদেশ করলেন। তিনি আরও বললেন- যদি যায়েদ বিন তাবিত এর সাথে কোন বিষয়ে ঐকমত্য না হয়,তাহলে সেটা যেন কুরাইশ কথ্য রীতি অনুযায়ী লেখা হয় কারন কোরান কুরাইশ এ রীতিতেই প্রকাশ হয়েছিল।তারা সেভাবেই কোরান সংকলন করেছিল ও আসল কপি হাফসার নিকট পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল। অত:পর এ সংকলিত কপির এক খন্ড করে প্রতিটি প্রদেশে পাঠান হয়েছিল এবং বাকী যেসব পান্ডুলিপি যা আংশিক বা সম্পুর্ন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জিনিসে লিখিত ছিল তা সব পুড়িয়ে ফেলার আদেশ দেন উসমান।যায়েদ বিন তাবিত আরও বলেন- যখন তিনি কোরানের কপি তৈরী করছিলেন তখন সূরা আহযাবের একটা আয়াত হারিয়ে ফেলেছিলেন যা তিনি নবীকে বলতে শুনেছেন। তখন সেটার খোজ শুরু হয় এবং সেটা খুজাইমা বিন তাবিত বিন আল আনসারীর কাছে পাওয়া যায় ( আয়াতটি: মুমিনদের মধ্যে কতক তাদের ওয়াদা পূর্ন করেছে।তাদের কতক মারা গেছে,কতক এখনও অপেক্ষা করছে।তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেনি।৩৩:২৩)।সহি বুখারী, বই-৬১, হাদিস-৫১০
উপরোক্ত হাদিস থেকে কতকগুলি বিষয় পরিস্কার। তা হলো-
১। আল্লাহ নিজে কোরানের রক্ষাকর্তা বলে ঘোষণা দিলেও তিনি তা পালনে ব্যর্থ।আল্লাহ নিজেই রক্ষা করবেন বলেই মোহাম্মদ নিজ জীবনে কোরান সংরক্ষন করেননি। কিন্তু আল্লাহ তো মোহাম্মদের নিজেরই কল্পিত চরিত্র যাকে তিনি অনুভব করতেন তার হিস্টিরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময়, সুতরাং বলাই বাহুল্য যে সে আল্লাহ কোরান সংরক্ষন করবেন না বা করতে পারার কথাও না। সেকারনেই কোরান খুব তাড়াতাড়ি সিরিয়া বা ইরাকে বিভিন্নভাবে পড়া হতে থাকে । বলা বাহুল্য, বিভিন্ন উচ্চারনে পড়ার অর্থ হলো কোরানের বিভিন্ন অর্থ হওয়া, অর্থাৎ কোরান বিকৃত হয়ে যায় খুব দ্রুতই।
২। কোরান যে উক্ত কমিটি বা মোদ্দা কথায় কমিটির নেতা যায়েদ বিন তাবিত কর্তৃকই অনেকাংশেই নিজের বা নিজেদের মত করে লেখা তা উসমানের নিজের কথায় প্রতিফলিত কারন তিনি বলছেন, কোন বিষয়ে যায়েদ বিন তাবিতের সাথে ঐকমত্য না হলে যেন কুরাইশ কথ্য রীতি অনুযায়ী কোরান লেখা হয়। আর পরে সেভাবেই কোরান লেখা হয়। উল্লেখ্য, যায়েদ বিন তাবিত হল মূল লেখক। সে যদি কমিটির অন্যের কোন বলা আয়াতের সাথে এক মত না হয় শুধু তখন মাত্র কুরাইশ কথ্য রীতি অনুসরন করতে হবে। কিন্তু তার নিজের বলা আয়াত সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা যাবে না। সে কোরান সংকলনের সর্বে সর্বা ক্ষমতার অধিকারী আর সে ক্ষমতা তাকে প্রদান করা করেছেন উসমান।
৩।পূর্ন একটি কোরানের কপি যদি মোহাম্মদের অন্যতম স্ত্রী হাফসার কাছে থেকেই থাকে তাহলে তো সোজা সেটা কপি করে নিলেই হতো। সেখানে উসমানের উপরোক্ত আদেশ দেয়ার কোন অর্থই হয় না। তার মানে হাফসার কাছে রক্ষিত কোরান পূর্নাংগ ছিল না বা থাকলেও উসমান ও তার কমিটি নিজেদের কিছু কথা নতুন কপি করা কোরানে জুড়ে দিয়েছেন। তবে পূর্নাঙ্গ যে ছিল না তা বোঝা যায় সূরা আহযাবের একটি আয়াত হারিয়ে যাওয়ার ব্যপারে। হারিয়ে যাওয়া সে আয়াত খোজার জন্য তখন খুজাইমার নিকট যাওয়ার দরকার পড়ত না।আর একটা আয়াত হারিয়ে যাওয়ার কথা যখন স্বীকার করা হয়েছে তখন আরও কত আয়াত যে হারিয়ে গেছে বা উক্ত কমিটি নিজেদের মত বানিয়ে কতকগুলো আয়াত কোরানে জুড়ে দিয়েছে তার হদিস কে দেবে?
৪।চামড়া, খেজুর পাতা বা হাড়ের ওপর যেসব সূরা লেখা ছিল, তার মধ্যে সংকলিত কোরানের সূরার সাথে যে গুলোর মিল ছিল সেসব পান্ডুলিপি কেন পুড়িয়ে ফেলতে উসমান আদেশ দিলেন? সেগুলো তো পুড়িয়ে ফেলার কোন সঙ্গত কারন দেখা যায় না।আর যদি আয়াত ভিন্ন ভাবে লেখা থাকে সেগুলোই বা কে লিখল? কেন লিখল?
৫। উপরোক্ত বিষয় গুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে- মোহাম্মদের কোরানের সাথে উসমানের কোরানের অনেক পার্থক্য বিদ্যমান।সে পার্থক্যের অন্যতম একটি হলো- মোহাম্মদের কোরানে অনেক বেশী ভূল ভ্রান্তি বা ব্যকরণগত ভূল ছিল কারন তিনি ছিলেন নিরক্ষর। উসমানের করা কমিটির লোকজন ছিল শিক্ষিত, তাই তারা যে কোরান সংকলন করেছে তা অনেকটাই নিজেদের সম্পাদিত, অনেকটাই শুদ্ধ করে লেখা।কিন্তু তারাও বেশী শুদ্ধ করতে পারেনি তার কারন তখনও কোরানের বহু আয়াত সাহাবীদের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল যাকে খুব বেশী সংস্কার করে পাল্টে ফেলা যায় নি। তা করলে সংকলিত কোরানের গ্রহন যোগ্যতা নিয়ে ব্যপক প্রশ্ন উঠত। আর ঠিক সেকারনেই আমরা কোরানের যে ভার্সন আজকে পাই তাও ব্যপকভাবে ব্যকরণগত ভুলে ভরা।যখন একটা সংকলন তৈরী হয়েই গেল তখন থেকে তার অনুলিপিই শুধুমাত্র প্রকাশ হতে থাকে। এভাবেই গত ১৪০০ বছর ধরে কোরান অবিকৃত থেকেছে। অথচ কি অদ্ভুত ব্যাপার – এ বিষয়টিকেই কিছু তথাকথিত ইসলামী পন্ডিত বর্গ আল্লাহর অশেষ কুদরত হিসাবে বিবেচনা করে। তারা স্বাড়ম্বরে প্রচার করে- চৌদ্দ শ বছর ধরে একটি কিতাব অবিকৃত থেকেছে, এটা আল্লাহর কুদরত ছাড়া কিভাবে সম্ভব? উদ্ভট যুক্তিতে এসব তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতদের জুড়ি মেলা ভার।
বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছি, মোহাম্মদের মত অত বুদ্ধিমান ও সুচতুর ব্যাক্তি এমন ব্যকরণগত ভুল কিভাবে করলেন? ভাবতে ভাবতে এর একটা সমাধান সূত্রও আমি বের করেছি যার অভিজ্ঞতা খোদ আমার নিজ জীবনেই প্রত্যক্ষ করেছি। যেমন একবার যে কোন কারনে আমার এক বন্ধুকে আমি মিথ্যা বলেছিলাম। রংপুরে অবস্থান করেও আমি বন্ধুকে বলেছিলাম আমি ঢাকা আছি। বন্ধুটি আমার ছিল চট্টগ্রামে।তো হঠাৎ করে বন্ধুটি বলল সে একটা ব্যবসায়িক কারনে রংপুর যাবে। আমি তাকে বললাম- এখন এখানে আসাটা বুদ্ধিমানের মত কাজ হবে না। কারন এখানে এখন বন্যা , চারদিকে শুধু পানি আর পানি। একটু খেয়াল করলেই কিন্তু আমার বক্তব্য থেকে বের হয়ে আসে যে আমি আসলে বন্ধুকে আমার অবস্থান সম্পর্কে মিথ্যা বলেছি।অর্থাৎ আমি যে ঢাকা অবস্থান না করে রংপুর অবস্থান করছি তা বোঝা যাবে সহজেই।আমি মনের অগোচরে বলে ফেলেছি- এখানে এ শব্দটা। এখানে এ শব্দটা একজন বক্তা সে যায়গা সম্পর্কেই বলে যে যায়গাতে বক্তা বক্তব্য প্রদানের সময় অবস্থান করে। কিন্তু কেন আমি এ ভুলটি করলাম? এর কারন হলো অবচেতন মন। আমি অনেক কথাই তার সাথে সুচতুর ভাবে বলেছি যা থেকে আমার বন্ধু বুঝতে পারবে না আসলে আমি কোথায় অবস্থান করছি। কিন্তু তার পরেও যেহেতু আমি অনেক কথাই বলেছি আর সে কারনে অবচেতন মনে বলে ফেলেছি আসল সত্যটা। মানুষের মন ঠিক এরকমভাবেই কাজ করে। কোরানের বিষয়টিও হুবহু তাই। মোহাম্মদ অবচেতন মনেই ভুলগুলো করে ফেলেছেন।আর সেকারনে গোটা কোরান পাঠ করে সহজেই বোঝা যায় যে তার নিজের বানীকে আল্লাহর বানী বলে চালাতে গিয়ে বার বার ঠিক সেই ভুলটি করেছেন। যে কারনে বার বার আল্লাহ নিজে তৃতীয় পুরুষ রূপে উল্লেখিত হয়েছে কোরানে যদিও কোরান হলো আল্লাহর নিজের মুখের বানী। এর সোজা অর্থ ইসলাম একটা মিথ্যা দিয়ে শুরু হয়েছিল যদিও মোহাম্মদকে সবাই আল আমীন বলে জানে ও বিশ্বাস করে।
তার ওহী পাওয়ার ঘটনা যে একটা কাল্পনিক কিচ্ছা বা হিস্টিরিয়া গ্রস্থ মানুষের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময়কার ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়, তা বোঝা যায় কতিপয় ঘটনায়।
আয়শা থেকে বর্নিত- আল্লাহর নবীর কাছে ওহী আসত স্বপ্নের মাধ্যমে অনেকটা দিনের আলোর মত।—-আল্লাহর নবী আল্লাহর ওহী নিয়ে ফিরে আসলেন তখন তার হৃৎপিন্ড প্রচন্ড রকম কাঁপছিল, -অত:পর তিনি বিবি খাদিজার কাছে ফিরে গেলেন ও বললেন, আমাকে আবৃত কর, আবৃত কর। তিনি তাকে কম্বল দিয়ে আবৃত করলেন যে পর্যন্ত না তার ভয় দুরীভুত হলো। তার পর আল্লাহর নবী হেরা পর্বতের গুহায় কি ঘটেছে সবিস্তারে খাদিজার নিকট বর্ননা করলেন ও বললেন- আমার ভয় হচ্ছে আমার ওপর কিছু একটা ভর করেছে।—— এর পরদিন খাদিজা তাকে নিয়ে তার চাচাত ভাই ওয়ারক্কা ইবনে নওফেলের কাছ নিয়ে গেলেন যিনি ইহুদী থেকে খৃষ্টান হয়েছিলেন ও হিব্রু ভাষায় গসপেল লিখতেন।তিনি বৃদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন ও তার দৃষ্টি শক্তি ক্ষীন হয়ে পড়েছিল।খাদিজা ওয়ারাক্কাকে বললেন- হে চাচাত ভাই, আপনার বোন জামাইয়ের কাছে শুনুন তার কি ঘটেছে। তখন ওয়ারাক্কা মোহাম্মদকে জিজ্ঞেস করলেন- তোমার কি ঘটেছে? আল্লাহর নবী সবিস্তারে তখন সব বর্ননা করলেন।সব কিছু শুনে ওয়ারক্কা বললেন- এই ব্যক্তি সেই ব্যাক্তি যিনি মূসা নবীর নিকট আল্লাহর বানী নিয়ে আসত ।—–এর কিছুদিন পর ওয়ারাক্কা ইবনে নওফেল মারা গেলেন এবং ওহী আসা কিছুদিনের জন্য বন্দ থাকল। জাবির বিন আব্দুল্লাহ আল আনসারি বর্নিত- একদা ওহী আসা বন্দ হওয়া নিয়ে কথা বলার সময় আল্লাহর নবী বললেন- যখন আমি হাটছিলাম হঠাৎ আকাশ থেকে একটা শব্দ শুনলাম। আমি আকাশের দিকে তাকালাম আর সেই ফেরেস্তাকে দেখলাম যাকে আমি হেরা গুহায় দেখেছিলাম। সে বসেছিল আকাশ আর পৃথিবীর মাঝখানে একটা চেয়ারে।আমি আবার ভীত হয়ে পড়লাম ও তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে গেলাম ও খাদিজাকে বললাম- আমাকে কম্বল দিয়ে আবৃত কর, আবৃত কর। আর তখন আল্লাহ সেই ওহী নাজিল করলেন- হে চাদরাবৃত, উঠুন সতর্ক করুন, আপন পালনকর্তার মাহাত্ম ঘোষণা করুন, আপন পোশাক পবিত্র করুন ( কোরান, ৭৪:১-৪) সহী বুখারী, বই-০১, হাদিস নং-০৩
উপরের হাদিস থেকে বোঝা যাচ্ছে, মোহাম্মদ নিজেই আসলে নিশ্চিত নন কিভাবে তার কাছে ওহী আসত।। একবার বলছেন স্বপ্নের মাধ্যমে, একবার বলছেন জিব্রাইল ফিরিস্তা সরাসরি তার কাছে বানী নিয়ে আসত।স্বপ্নে ওহী পাওয়া তো আমাদের দেশে প্রচলিত স্বপ্নে নানা রকম ওষুধ পাওয়ার ব্যবসার মত।এর সাথে মোহাম্মদের ওহী পাওয়ার কোন তফাৎ তো দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও ওহী আসার অন্য নানা পদ্ধতি আছে, যেমন, ঘন্টা বাজার ধ্বনির মত। তো এসব তো একজন মানুষ হিস্টিরিয়াতে আক্রান্ত হলেই এসব ঘন্টা ধ্বনি শুনতে পায় আরও কত কিছু শোনে ও দেখে দ্বীন দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট ও শেষ নবী জিব্রাইল ফিরিস্তাকে দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে গেছেন তিনি বুঝতেই পারলেন না যে তিনি আল্লাহ প্রেরিত নবী। শুধু তাই নয় তিনি এমনকি জিব্রাইল ফিরিস্তাকে চিনতেও পারলেন না।কি আজব কথা! তার পরে এমন ভয় পেয়ে গেছেন যে তার গায় জ্বর এসে গেছে আর তার মনে হচ্ছে কোন অশুভ আত্মা তার ওপর ভর করেছে যে কারনে তিনি বলছেন – আমার ভয় হচ্ছে আমার ওপর একটা কিছু ভর করেছে। শুভ আত্মা ভর করলে তো ভয়ের কোন কারন নেই।এসব তো একজন হিস্টিরিয়া রোগীর লক্ষন যা আমরা হর হামেশা দেখি।কেউ হিস্টিরিয়াতে আক্রান্ত হলে ঠিক এরকম লক্ষনই প্রকাশ পায়। সে মনে করে কি যেন অশরিরী তার ওপর ভর করেছে, তার সাথে কে যেন দেখা করেছে, তার ওপর আবোল তাবোল অনেক আধি ভৌতিক কথাবার্তা বলে যার কোন মাথা মুন্ডু নেই।অনেক সময় তার গায়ে প্রচন্ড জ্বর আসে ও পাগলের মত প্রলাপ বকতে থাকে। এভাবে কিছুক্ষন চলার পর সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে। জিব্রাইল নিজে মোহাম্মদের কাছে পরিচয় দিল না সে কে।কেনই বা সে তার কাছে এসেছে তাও বলল না।আল্লাহর কি মহিমা! আল্লাহর মহিমা বোঝা বড় দায়! কে বুঝতে পারল মোহাম্মদ আল্লাহর নবী? অশিতি পর এক বৃদ্ধ ওয়ারাক্কা, তাও বোঝার কয়েক দিনের মধ্যেই পটল তুলল ও সে নিজেও আর কাউকে এ কিচ্ছা প্রচার করার সুযোগ পেল না যা যথেষ্ট রহস্যজনকও বটে। যে জিব্রাইল হেরা পর্বতের ছোট্ট একটা গুহার মধ্যে দিব্যি ঢুকে গেল, সেই জিব্রাইলকে মোহাম্মদ আবার দেখল আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে রাখা চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায়।তার মানে সে চেয়ার মোটেও ছোট খাট চেয়ার নয়, অতি বিশাল চেয়ার, তা না হলে আকাশ আর পৃথিবীর মাঝখানে রাখা চেয়ার– এভাবে চেয়ারের বর্ননা দেয়া হতো না। আর বিশাল চেয়ারে বসে থাকা জিব্রাইলের আকারও নিশ্চয়ই অতি বিশাল। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা বলে কথা, তাই অতি বিশাল জিব্রাইল অতি ছোট আকার ধারন করে ঢুকে পড়েছিল হেরা পর্বতের ছোট্ট গুহার মধ্যে। মজার কথার সেটাই শেষ নয়। ইতোপূর্বে তো মোহাম্মদ জেনে গেছেন তিনি আল্লাহর নবী, জিব্রাইল হলো ফেরেস্তা যে আল্লাহর বানী তার কাছে নিয়ে আসে। প্রথমবার তিনি তাকে চিনতে পারেননি বলে ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু পরের বার তো তার আর ভয় পাওয়ার কথা নয়। অথচ এবারও তিনি আকাশে তাকে দেখে ভয় পেয়ে গেলেন।তার গায়ে জ্বর চলে আসল। এটা কি প্রমান করে যে তিনি সত্যি সত্যি জিব্রাঈলকে দেখেছেন? নাকি হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আধি ভৌতিক জিনিস দেখেছেন? ভাবতেও অবাক লাগে এসব আধি ভৌতিক উদ্ভট কিচ্ছা কাহিনীর মাধ্যমে তিনি একদল মানুষকে স্রেফ বোকা বানিয়েছিলেন আর আজকেও কোটি কোটি মানুষ সেই বোকামীর শিকার জেনে , না জেনে।শুধু শিকার নয়, কিছু কিছু লোক তো সেই বোকামীর শিকার হয়ে রীতিমতো ফ্যানাটিক, জীবন দিতেও তাদের কোন দ্বিধা নেই।যা আমরা নানা সময়ে নানা রকম আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করছি।
এই জিব্রাইল একবার মোহাম্মদের সাথে কি অদ্ভুত ও গাজাখুরি কান্ডটি করেছে তা এবার দেখা যাক:
আবু দার বর্নিত- আল্লাহর নবী বলেছিলেন- আমি যখন মক্কার বাড়ীতে ছিলাম একদিন বাড়ীর ছাদ খুলে গেল ও সেখানে জিব্রাইল অবতরন করল এবং আমার বক্ষ বিদীর্ন করল।,জম জমের পানি দিয়ে আমার বক্ষ ধুয়ে সাফ করে দিল।তারপর সে একটা জ্ঞান ও বিশ্বাস ভর্তি সোনার পাত্র নিয়ে তা দিয়ে আমার বক্ষে প্রবিষ্ট করে অত:পর বক্ষ বন্দ করল ।তারপর সে আমার একটা হাত ধরে নিকটবর্তী বেহেস্তে নিয়ে গেল। আমরা বেহেস্তের দ্বারে গেলাম ও জিব্রাইল দ্বার রক্ষককে দ্বার খুলে দিতে বলল—-( এর পরের ঘটনা হলো মোহাম্মদ অত:পর সমস্ত বেহেস্ত ঘুরে ঘুরে দেখলেন ও অনেক পূর্ববর্তী নবীদের সাথে খোশ গল্প করলেন)– সহী বুখারী, বই-০৮, হাদিস নং-৩৪৫
মজার কান্ডটি হলো-জিব্রাইল ফিরিস্তা বক্ষ বিদীর্ন করল অর্থ হৃৎপিন্ড বিদীর্ন করেছিল আর তা জম জম কুপের পানি দ্বারা পরিস্কার করে দিল যেন তাতে কোন ময়লা বা অপবিত্রতা না থাকে। শুধু সেটা করেই ক্ষান্ত হয় নি।অত:পর জ্ঞান ও বিশ্বাস দিয়ে হৃৎপিন্ডটাকে ভর্তি করে তা আবার বন্দ করে দিল। বর্তমানে এমন কোন পাগল বা উন্মাদ আছে যে বিশ্বাস করবে হৃৎপিন্ড ধুয়ে দিলে শরীর ও মনের যাবতীয় ময়লা দুর হয়ে যায়।তার চাইতে বড় আজব ব্যপার হলো- মানুষের জ্ঞান ও বিশ্বাস কি হৃৎপিন্ডে থাকে ? আমরা সবাই আজকে জানি, জ্ঞান বা বিশ্বাস সেটা থাকে মানুষের মাথায় মগজ বা ব্রেইন নামক যে পদার্থ আছে তাতে, হৃৎপিন্ডে নয়।অথচ আল্লাহ প্রেরিত জিব্রাইল ফেরেস্তা তা জানে না, জানে না মানব জাতির তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ট মানব, সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী মোহাম্মদ। বাস্তবতা হলো , সেই ১৪০০ বছর আগে মানুষ বিশ্বাস করত মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক আবেগ ভালবাসা এসব হৃৎপিন্ডে থাকে। আমরা নিজেরা এখনও সেই হাজার হাজার বছরের সংস্কার অনুযায়ী বলে থাকি- তোমার হৃদয়ে ভালবাসা নেই।কিন্তু ভালবাসা কি হৃদয়ে থাকে ? হৃদয় বা হৃৎপিন্ড সে তো একটা রক্তের পাম্প মেশিন ছাড়া আর কিছুই নয়।ভালবাসা বলি আর জ্ঞান বলি তা তো থাকে আমাদের মস্তিষ্কে। মোহাম্মদও অকাতরে সেই সরল স্বীকারোক্তিটা করেছেন। কিন্তু নিজেকে সাহাবীদের কাছে অধিকতর গ্রহনযোগ্য ও ঐশি হিসাবে প্রমান করতে এই আজগুবি কিচ্ছা অত্যন্ত সুন্দর করে সাজিয়েছেন। আল্লাহর পেয়ারা নবী সর্বশ্রেষ্ট মানুষ, আল আমীন বলে কথিত মোহাম্মদের এ কিচ্ছা ও কাহিনী কি প্রমান করে তিনি সত্যি আল আমীন বা সত্যবাদী? ব্যক্তিগত ভাবে কেউ যদি অন্যের গচ্ছিত সম্পদ যত্ন করে রেখে আবার ফিরিয়ে দেয় অথচ আদর্শিক ভাবে মিথ্যা ধ্যান ধারনা পোষণ করে আর তা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকে কি সৎ লোক বলা যায়? সততার সংজ্ঞা কি এত সহজ ও সরল? মোহাম্মদের যে ধরনের সততার কথা আমরা শুনি, বাস্তবে ও ধরনের সৎ লোক এই কঠিন দুনিয়াতে ভুরি ভুরি দেখতে পাওয়া যায়। নইলে এক রিক্সাওয়ালা কিভাবে যাত্রীর ফেলে যাওয়া টাকা ভর্তি মানি ব্যাগ পুলিশের কাছে জমা দিয়ে আসে?
ধন্যবাদ,,
আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো, তবে আপনার বিশ্লেষণ গুলো গতানুগতিক। কাঁদা ছোড়াছুড়ি চরিত্র হনন টাইপ। থাক না বুঝে কিংবা না বুঝে হাজার হাজার মানুষ যাকে মানে তার চরিত্র বিশ্লষণ নাইবা করলাম। এতে সমালোচনার মান কমে যায়।। মূল যে যুক্তি যা অকাট্য সেটা হলো… উনি তো ভ্রমনের সময় নিচে কাফেলা দেখেছেন বা আরো আনেক কিছু। আরো উপরে যখন গেলেন বা ফিরে আসার সময় অবশ্যই যা দেখার কথা তা হলো এই পৃথিবী।
**উর্ধগমন করলেই যেহেতু,, ফিরে এসে বলে দিতেন যে এই পৃথিবী যাকে তোমরা দেখছো সমতল, আসলে তাহা এক গোলক বিশেষ বা গোলাকার,, **
এই টুকু বললেই সব লেটা চুকে যেতো, আর আমাদেরও এই তথ্য জানতে ১৫০০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো না ।।
মুক্তমনা ব্লগের কোন ব্লগে এটা আমার প্রথম কমেন্ট । ব্লগটা পড়ে কমেন্ট না করে পারলাম না। অসাধারন যৌক্তিক চিন্তা ও তা প্রকাশের জন্য লেখককে ধন্যবাদ nআ জানালেই নয়!! ধন্যবাদ লেখক
ইসলাম বিষয়ক একটি লেখা খুঁজতে গিয়ে আপনার লেখা টি পেয়ে পড়তে শুরু করলাম, কিন্তু আপনার লেখায় আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি। যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আপনিই বলুন যে লেখা মানুষকে কষ্ট দেয় মানুষকে কাঁদায় তা কি ভাল?
উলুমুল কোরআন পড়–ন, বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার সব প্রশ্নের জবাব পেয়েযাবেন। ইসলামের প্রথম বাণীই হচ্ছে ‘পড়’ পড়লেই জানতে পারবেন আর জানলেই আধার দুর হবে। আলো আসবে। ইসলাম ছাড়া আর কেউ আপনাকে এমন ভাবে উন্মুক্ত জ্ঞান অর্জনের উৎসাহ দেবেনা। কারণ জ্ঞানঅর্জনে আধার দুর হয়ে সত্য প্রকাশিত হয়। ইসলামের গোমড় ফাঁসের ভয় নেই যা আছে সেটা সত্য, ধ্রুব সত্য। যাদের কুসংস্কার আছে তারাই আপনাকে জ্ঞানার্জনে নিরুৎসাহিত করবে।
পোস্টটা লেখার আগে আপনার অনেক সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল। কারণ মূল কোরান আরবী ভাষায়। এও আপনি জানেন যে, একটি শব্দের অর্থ অন্য ভাষায় একাধিক হতে পারে। আগের সময়ে এই রকম অনুবাদের কাজ শুধু আত্মিক জ্ঞানসম্পন্ন আলেমগণ করে থাকতেন। সেইসব অনুবাদগুলো এখন বেশ দুষ্প্রাপ্য। এই যুগের মানুষের আত্মিক উন্নতি এখন আর তেমনটা নেই। ফলে আপনার মনে যখন প্রশ্ন উঠলো তখন আপনি নিজে কেন যাচাই করলেননা আগে? বাজারে শুধু একটা অনুবাদ পাওয়া যায় না। কোরানের একাধিক বাংলা অনুবাদ আছে। সেগুলো যাচাই করা কর্তব্য। ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ কোরানের অনুবাদ করেছিলেন কিন্তু তা এখন পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ? অনুবাদকের দোষ আপনি দিতে পারেন কিন্তু কোরানের নয়। কিন্তু আপনার প্রচেষ্টাতে সেই নিরপেক্ষতার অভাব পরিলক্ষিত। আপনি ধরে নিয়েছেন যে, আপনি যা জেনেছেন সেটিই কোরানের আসল অর্থ-এর যথার্থ বাংলা অনুবাদ। নিজের বিবেকের কাছে নিরপেক্ষ হওয়া উচিৎ। আপনাদের মত হতাশাবাদীরা নিজেদের পক্ষে কোন যুক্তি পেলে তাকেই ধ্রুব সত্য বলে মনে করেন। পোস্টটা সংরক্ষণ করলাম। সমাধান পাওয়ার পর আবার জানাবো ইনশাআল্লাহ।
মুক্ত-মনায় এটি আমার প্রথম কমেন্ট। তাই বলছি, Please don’t get me wrong, আমার কুরান নিয়ে কোন fascination নেই, বা অন্য কোন ধর্মের প্রতি ও fascination নেই। আমি কেবল verifiable evidence এ বিশ্বাসী।
যে কোন discussion এর ক্ষেত্রটা অবশ্যই “Just” হতে হবে, যাতে verifiable evidence বেরিয়ে আসে।
আপনার লেখাটা পড়ার চেষ্টা করলাম, কিন্তু পুরোটা পড়া ধৈর্যে কুলায়নি। এই লেখাটি কোন Analytic approach থেকে আসেনি, এসেছে Hate approach থেকে।
আপনি নিজে একপেশে, খণ্ডিত, prejudiced একটি অবস্থান থেকে লিখেছেন বলেই, আপনার কাজটি, যা হতে পারত একটি দারুন reference, পরিণীত হয়েছে a piece of junk এ।
ধন্যবাদ।
বেশ ভাল বিশ্লেষণ করেছেন। হিন্দুরা ঋগ্বেদকে ঈশ্বরের বাণী বলে দাবী করে অথচ ঋগ্বেদ পুরোটাই দেবতাদের উদ্দেশ্যে মানুষের প্রার্থণা। ঈশ্বর দেবতাদের উদ্দেশ্যে প্রার্থণা করছেন! কী হাস্যকর! মানুষের মাথায় যে কবে একটু প্রশ্নোদয় হবে!
@সন্ন্যাসী,
কোন ধর্মের মূল বিষয়গুলো হাস্যকর নয়?
সামু ব্লগে এই লেখাটা সালমান সিদ্দিকী নিক নেমে পোস্ট করার পর হতে ওদের ব্লগে ভেলকিবাজি শুরু হয়েছে দেখছি। ঘন ঘন সারভার ডাউন, শ্লো-স্পিড এবং সবশেষ একটু আগে লগইন করে এই লেখাটির অস্তিত্ব খুজেঁ পেলাম না। তাহলে কী সামু ওই লেখাটা ব্যান করে ট্রাশে পাঠিয়েছে? যদি তাই হয় তাহলে মুক্ত চিন্তার সাইনবোর্ড লাগিয়ে ব্লগ বানিয়েছে কার স্বার্থ সিদ্ধির আশায়? বিষয়টা আমার বোধগম্য হলো না।
তবে আশার কথা এবং আনন্দের কথা মুক্তমনায় এই সাহসী লেখাটা আছে। আশা করবো ভবিষ্যতেও থাকবে এবং এরচেয়েও সাহসী ও সমৃদ্ধ লেখা পাবো।
শিরোনাম দেখে পিছিয়ে আবার কৌতূহল বশতঃ চোখ।
পড়তে পড়তে চোখ কপালে। হয়্তো আমার অজ্ঞতা।
না জানি ইংরেজি, না আরবি। বাংলায়? সে-ও খুব একটা না। মানে পড়ার সময় হয়ে ওঠে না।
কোরানের ভাষাটা আসলে কার? এ শিরোনাম ধরে এগিয়ে গেলে লেখাটা আরো সার্থক মনে হতো। আমি এ কথাটা বলছি আমার সীমাবদ্ধ অভিজ্ঞতা থেকে। কারণ কোরানের ভুল ধরা তো চাট্টিখানি কথা নয়। সেখানে নবী-র ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলাদা একটি রম্য-রচনা লেখা যেতো।
লেখার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় অর্থাৎ কোরানের ভাষাটা আসলে কার, এ নিয়ে আরো অনেক গঠনমূলক আলোচনা হতে পারতো।
তবে আমার চোখদু’টোকে আকাশে তুলে দেবার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
ফেসবুকে বিভিন্ন প্রশ্নে যখন দেখি “পৃথিবীতে জন্ম নেয়া সর্বশ্রেষ্ট মানব কে” এই ধরনের প্রশ্নে কেউ উত্তর করে প্রফেট মুহাম্মদ ,রাগে মাথায় আগুন ধরে যায় :-X একটা সহজ সত্য আমরা কি কখনোই বুঝব না?? ;-(
রেফারেন্সঃ
ক্বাব বিন আশরাফ (বুখারী- Volume 5, Book 59, Number 369:) আবু রাফি (বুখারী-Volume 5, Book 59, Number 371) আসমা বিনতে মারিয়াকে গুপ্ত ঘাতক পাঠিয়ে, প্রয়োজনে প্রতারনার আশ্রয়ের অনুমতি দিয়ে, “খুন”।
ভবঘুরে ও গোলাপ
ভবঘুরেঃ আপনার ভাষ্য অনুযায়ী ইতিহাসবিদরা কোরাণ-হাদিস পড়েন নাই, মনগড়া মতবাদ দিয়ে ইতিহাস লিখেছেন বা দেড় শত কোটি মুসলমানদের কেউই কোরাণ পড়েন নাই অথবা পড়লেও বুঝেন নাই, কারণ সবাই আশিক্ষিত ও ওহাবী । মুহাম্মদ, ইসলাম, কোরাণ ও মুসলমান যে জঘন্য রকম খারাব, তা না বুঝে কয়েক লক্ষ শিক্ষিত তরুন প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী মনগড়া মতবাদ নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে । অসংখ্য এই মনগড়া মতবাদি মানুষদের মধ্যে আমিও একজন । বিশ্বব্রক্ষ্মন্ড কতগুলো বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত হয় বলে আমরা মনে করি, যার নাম তত্ত্ব । এই তত্ত্ব অনুযায়ী ডারইউন প্রানী বিবর্তন আবিষ্কার করেছেন । আর এই তত্ত্বই আপনার কাছে লাগে ধোয়াসে ও যুক্তিহীন । চৌদ্দশত বছর পূর্বের মুহাম্মহের ব্যক্তিগত চরিত্র হনন, ইসলাম, কোরান ও মুসলমানদেরকে গালাগালি করা আপনার মত নাস্তিকের কাছে হয়েছে যুক্তিপূর্ণ । অতএব আপনার মত নাস্তিকের সাথে আলোচনা করা বৃথা । তাই আলোচনার ইতি টানলাম ।
গোলাপঃ সপ্তম শতাব্দির মুহাম্মদকে প্লে-বয় হিসাবে চিহ্নিতকরণ এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত, যার কাছে অশালীন বলে মনে হয় না বিধায় প্রতিবাদ করে না এবং প্রতিবাদির মন্তব্যই যার কাছে কেবল মাত্র অশালীন মনে হয়, তার সাথেও আলোচনা করা বৃথা । ইতি টানলাম
মহিউদ্দীন
মুহাম্মাদ পৃথিবীর ‘শ্রেষ্ঠ সফলকাম’ মানুষের একজন, বিশ্বের ১২৫ কোটির ও বেশী লোক তার প্রবর্তিত ধর্ম ইসলামের অনুসারী এবং তার আদর্শ পালনে ব্রতী। ইসলামের basic and fundamental tenants হচ্ছে ‘শাহাদাঃ কুরানের প্রতি বিশ্বাস (আল্লাহকে উদ্ধৃত করে মুহাম্মদের মুখ নিসৃত বানী) এবং মুহাম্মাদের প্রতি বিশ্বাস (আল্লাহকে উদ্ধৃত না করে মুহাম্মদেরই মুখ নিসৃত বানী ও কর্ম)। দুই খানেই বক্তা মুহাম্মাদ। মুহামাদের বর্নিত ‘আল্লাহর অস্তিত্ব’ মুহাম্মদের প্রতি অবিশ্বাসে অস্তিত্বহীন। সুতরাং “মুহাম্মাদই” ইসলামের একামাত্র মাধ্যম যাকে না জানলে ইসলামের কিছুই জানা যায় না। সাদা ভাষায়ঃ
” If you know Muhammad, you know Islam. If you do not know Muhammad, you do not know Islam” – plain and simple.
মুহাম্মাদের জীবনী ও তার কর্ম-কাহিনী জানা প্রতিটি মুসল্মানের জন্য খুবই গুরুত্বপূ্র্ন। তাকে নিয়ে অসংখ বই /প্রবন্ধ লিখা হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। এর পরেও তার সম্বন্ধে “স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ” ধারনা পাওয়া সম্ভব হয় না।
কারনঃ
১) তার কর্মের কোন সমালোচনা করা যাবে না, যে করবে তাকে “খুন” করা হবে। শুধু ভাল ভাল কথা লিখতে হবে, তার প্রসংসা করতে হবে। সমালোচনার শাস্তি “মৃত্যুদন্ড”। এ “দন্ড” প্রথা চালু ও বাস্তবায়ন করেছে মুহাম্মাদ নিজে। ক্বাব বিন আশরাফ, আবু রাফি, আসমা বিনতে মারিয়াকে গুপ্ত ঘাতক পাঠিয়ে, প্রয়োজনে প্রতারনার আশ্রয়ের অনুমতি দিয়ে, “খুন” করিয়েছেন। তা আজও চলছে বহাল তাবিয়তে, পূর্নদ্যমে – যেখানেই সূযোগ মিলছে। এই খানে এক অতি সাধারন ও গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নঃ “কোন ধরনের মানুষ সমালোচনায় ভয় পায় /রুষ্ঠ হয় এবং সমালোচনাকারীকে হত্য করে মুখ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন?” । This tradition itself speaks a lot. মুহাম্মদের সমাচোলকদের হত্যার ব্যবস্থা আজকের ‘মৌলবাদীদের’ আবিষ্কার নয়।
২) মুসলমানরা কোন ‘অমুসলীম’ লেখকের লিখায় বিশ্বাস করে না। লেখককে হতে হবে “মুহাম্মাদ ও তার বর্নিত আল্লাহয় (কুরানের)’ পূর্ণ বিশ্বাসী। এ এক অদ্ভুত আব্দার ! কোন সুস্থ মস্তিষ্ক মানুষ বিশ্বাস করবে না যে “সাদ্দামে বিশ্বাসী ও তার গভীর অনুসারী” শিষ্যের লিখিত সাদ্দামের জীবন কাহিনী বেশি গ্রহনযোগ্য। (কিন্তু কি করা যাবে! “জনগনের দাবী”! )
তাই মুহাম্মাদের “সঠিক জীবন কাহিনী” জানা খুবই দূরহ।
প্রথম দিকের মুহাম্মদের জীবনীকাররা (Biographer) প্রতেকেই ছিলেন ১ম সারির বিশিষ্ট মুসলীম আরবীভাষী স্কলার এবং ইসলামের গভীর অনুসারি। তারা তদের সমস্ত জীবন ইসলামের পিছনে ব্যায় করেছেন।
তার হলেনঃ
১) মুহাম্মাদ ইবনে ইশাকে (৭০৪-৭৬৮) – মুহাম্মদের সর্বপ্রথম জীবনীকার, author of “Sirat Raoul Allah”। তার পূর্বপুরুষ ছিল ইরাকের অধিবাসী। তার দাদা ইয়াসার (Yasar) কে ডিসেম্বর, ৬৩৩ সালে মুসলিমরা বন্দী (দাস) করে মদীনায় নিয়ে আসে।ইসলাম গ্রহন করার পর তাকে দাস থেকে “মুক্ত” করা হয়। ইবনে ইশাকের বাবা ইশাক এবং চাচা ‘মুসা ইবনে ইয়াসার’ ছিল well known Hadith transmitter. ধারনা করা হয় এ বইটি তিনি সম্পন্ন করেন ৭৫০ সালের দিকে।
২) আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ওমর ইবনে ওয়াকিদ আল আসলামী, সংক্ষেপে “আল ওয়াকিদি (Al-Waqidi)- জন্ম মদিনায় (৭৪৭-৮২৩)। তার বই “Kitab Al Maghazi (deals with expedition of Mohammad”.
৩) মুহাম্মাদ বিন সা’দ (Ibne Saad) -জন্ম বসরায় (৭৮৪-৮৪৫) -Author of “Kitab Al Tabaqat Al Kabir”.
এদের পরে এসেছে ইরানী স্কলাররাঃ
৪) ইমাম বুখারি (৮১০-৮৭০), ইমাম মুসলীম (৮২১ -৮৭৫)
– অত্যন্ত সতর্কতার সাথে হাদীস সগ্রহ করেছেন, অধিকাংশ হাদিসই repetition from previous sources.
৪) আবু জাফর মুহাম্মাদ বিন জারির আল তাবারি (৮৩৯-৯২৩)
– author of “Tarikh Al Rasoul Wal Muluk”. মুহাম্মাদের জীবনীকার হিসাবে সে ইবনে ইশাক ও পূর্ববর্তী মুসলীম স্কলারদেরই উদ্ধৃতি দিয়েছেন। নতুন করে কিছু আবিষ্কার করেন নাই।
মুহাম্মদের জীবনের কোন ঘটনাংশ এবং তা কোন উৎস (reference) থেকে সংগ্রিহিত তা না জানলে সেটা মনগড়া কিনা সে ব্যপারে কোন আলোচনা অসম্ভব। উপরে উদ্ধৃত উৎস গুলোকেই সাধারনভাবে বিশ্বাস যোগ্য বলা হয়।সাধারনভাবে বলছি এ কারনেই যে গভীর বিশ্বাসীরা ‘মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে’ যায় এমন কোন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে না।
বিশিষ্ট প্রাচীন ঐসব মুসলিম ইতিহাসবিদদের বর্ননা মতে মুহাম্মাদের ১২ বছরের মক্কা জীবনে মোটামুটি ১০০ জন লোককে তার দলে টানতে পেরেছিলেন। তাদের মধ্যে একমাত্র আবুবকর ও উমর ছাড়া আর কোন বিশিষ্ট মাক্কবাসী ছিল না। এই সু দীর্ঘ মক্কা জীবনে স্ত্রী ‘খাদিজা’ এবং পরবর্তিতে তার নিজস্ব হাশেমি পরিবারের একমাত্র “হামজা চাচা” ছাড়া আর কোন বিশিষ্ট প্রাপ্ত বয়ষ্ক পরিবার সদস্যই তাকে নবী বলে স্বীকার করেন নাই।কেন করেন নাই? আলী ইবনে আবু তালিব মুসলমান হন মাত্র নয় বছর বয়সে। তখন আলী শুধু অপ্রাপ্তবয়ষ্কই ছিলো না, ছিলো মুহাম্মাদের কাছে পালিত পোষ্য (dependent). চাচা আবু তালিব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব পারিবিরিক অভাব ও অসচ্ছলতার মধ্যে ছিলেন। খাদিজাকে বিয়ে করে মুহাম্মাদ তখন সচ্ছল। আবু তালিব কে সাহায্যের জন্য তার এক ছেলে “আলী” কে ভাতিজা মুহাম্মাদ এবং তার আরেক ছেলে “জাফর” কে ভাই আল-আব্বাস নিয়ে যান তাদের নিজ নিজ বাসায়। দাদা আব্দুল মুত্তালিব এর বিশাল পরিবারের একমাত্র সবেধন ‘হামজা’ ছাড়া তার অনান্য ছেলেরা (মুহাম্মাদের চাচা) যেমন আবু তালিব, আল-হারিত, আবু লাহাব, আল আব্বাস এবং মেয়েরা (মুহাম্মাদের ফুফু) যেমন বারাহ্, আতিখা, উমাইমাহ্ কেহই তাকে নবী হিসাবে শুধু অস্বীকারই করেন নাই, সক্রিয় বিরোধিতা করেছিলেন অনেকেই। সোজা ভাষায় মুক্কা “জীবনে” মুহাম্মাদ “নবী মিশন” পুরোপুরি ব্যর্থ।
মদিনায় হিজরত। তারপর, মুহাম্মদের অন্য এক জীবন। ‘পলিটশিয়ান’ মুহাম্মাদ। কুট বুদ্ধি, প্রতারনা, হত্যা, খুন, লুট, নিরীহ জনপদের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদের সম্পত্তি দখল, যুদ্ধ-বন্দী দাস -দাসী (সম্ভগ-বৈধ্য), দাস ব্যবাসা – কিছুই বাদ রাখে নাই সে। প্রতিটি আক্রমন ও যুদ্ধ-লব্ধ হামলায় মুহাম্মাদের হিস্যা ১/৫ অংশ (২০%), যুদ্ধ ছাড়া (ভীত সন্ত্রস্ত গোত্রের নিঃসর্ত আত্মসমর্পনের মাধ্যমে) প্রাপ্তলব্ধ সম্মত্তির পুরটাই তার প্রাপ্য (দৃষ্টান্ত ফাদাক (Fadak) অধুষ্যিত ভীত সন্ত্রস্ত ইহুদিদের পুরো শহরটায় তার ভাগে(১০০%) – যেটা সে ফাতিমা ও আলীকে উপঢৌকন স্বরুপ দিয়েছিল)।
বিশিষ্ট প্রাচীন মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ননা মতে মুহাম্মাদ তার ১০ বছরের মদীনা জীবনে ৬৫ এর বেশী যুদ্ধে জরিত ছিলো। গড়ে প্রতি দু মাসে একটা। তাদের বর্ননা মতে এই বিশাল সংখক যুদ্ধের মাত্র দুটি (ওহুদ ও খন্দক) ছাড়া আর সব গুলোই ছিলো অমুসলিম জনপদের উপর অতর্কিত হামলা (জিহাদ)। প্রথমাবস্থায় তা ছিলো রাতের অন্ধকারে বানিজ্য ফেরৎ নিরীহ কুরাইশ কাফেলার উপর অতর্কিত হামলা করে তাদের মালামাল লুন্ঠন, তার আরোহীদের হত্যা অথবা কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়া, তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা এবং পারিবারের কাছ থেকে সম্পদের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া। পরবর্তীতে শক্তি বাড়ার সাথে সাথে এ হামলার পরিসর বৃদ্ধি করে অমুসলিম জনপদের উপর হামলা, তাদের বাড়ীঘর লুন্ঠন – সম্পত্তি দখল এবং enslavement করা। কিভাবে মুহাম্মাদ এবং তার সাথীরা এ যাত্রার শুরু করেছিলেন্ তার vivid বর্ননা মুসলিম ঐতিহাসিকরা লিখে রেখেছেন। ৬২২ থেকে তার মৃত্যুকাল ৬৩২ সাল পর্যন্ত – হাজার হাজার অনুসারী তার আবিষ্কৃত ইসলামে (“ধর্ম-রাজনীতি-ব্যবসা”) দলে যোগদান করেছিল। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সার্থক “পলিটিশিয়ান”।
মুহাম্মাদের সাফল্য মদিনায়। অথচ মদীনা জীবনের “ঘটনা-প্রবাহ” সাধারন মুসলমানরা (তথা কথিত মডারেট) অল্পই অবিহিত।
কারন স্পষ্ঠ। “সেকুলার ‘মুসলমান” অনেকেই আছেন, কিন্ত “সেকুলার ইসলামের” কোন অস্তিত্ব নাই, যেমন নাই ‘হট-আইস’ নামক কোন বস্তুর।
@ মহিউদ্দিন,
আপনি জ্ঞানী মানুষ। আবুল কাসেম, আকাশ মালিক,ভবঘুরে, সৈকত চৌধুরীরা সাধারন মুসলমানদের জন্য এ সব অজানা (“যে সত্য বলা হয় নাই”) কাহিনী লিখছেন তাকে “ধর্মের বিরুদ্ধাচারন, মুসল্মানদের গালিগালাজ, মুসল্মানদের স্পর্ষকাতরতায় আঘাত” এ সমস্ত বিশেষ বিশেষনে ভুষিত না করে Reference -সমৃদ্ধ উপযুক্ত “যুক্তি-তথ্য” দিয়ে পাঠকদের “তারা যে ভ্রান্ত” তা জানার সূযোগ দিন।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
@আ হা মহিউদ্দীন,
উদ্ভট কথার জাল বুনলেন আবার। আপনি প্রমান করুন নিবন্ধে রেফারেন্স সহ যা লেখা আছে তা মিথ্যা। আপনি পাল্টা রেফারেন্স দেন। সেটা না করে আবোল তাবোল বকছেন। এটাই হলো আপনাদের মত বিশ্বাসীদের নমুনা।
মুহাম্মদ, ইসলাম, কোরাণ ও মুসলমান যে জঘন্য রকম খারাব, তা না বুঝে কয়েক লক্ষ শিক্ষিত তরুন প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী মনগড়া মতবাদ নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা
@ভবঘুরে,আবেগ আছে। আমি তো তাই ই দেখছি। কিনতু এটা অবশ্য ই কোনো হালকা বিষয় নয়। আপনার যুক্তি লংঘনীয় বা অলঙ্ঘনীয় এখন ই তা বলতে চাই না। তাইএ বিষয়ে আরো জানতে চাই। যারা ধর্ম নিয়ে গবেষনা করেন তাদের নিশ্চয়ই কোনো জুক্তি আছে সেটাই দেখতে চাই। যে যুক্তি টিকবে আমি তার দলে।
@aunik,
আলোচ্য নিবন্ধে কোন অংশ অযৌক্তিক সেটা বলে দিলে আলোচনায় সুবিধা হতো।
ভবঘুরে, আবুল কাসেম, রাইট স্মাইল ও পৃথীবি
ভবঘুরে
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, “দুই দিনের বৈরাগী, ভাতেরে বলে প্রসাদ” । প্রবাদটি আপনার ক্ষেত্র প্রযোজ্য বলে মনে হয় । তাছাড়া তারুন্য ও সবজান্তা ভাব আপনাকে তাড়া করছে । তাই সুস্থ মনে কিছু চিন্তা করতে পারছেন না । আপনার মত গ্লাসজারে বসে নয়, বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাটে, পথে-প্রান্তের বিভিন্ন সেক্টরে কয়েক লাখ প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী কাজ করছে । তারা রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে ধর্ম পৃথকীকরণ প্রচার করছে । তারা কেউই আপনাদের মতো ইসলাম বিদ্বেষ প্রচার করে না । ধর্ম, নাস্তিকতা বা বিশ্বাস হলো ব্যক্তিগত বিষয়, রাষ্ট্র বা রাজনীতির বিষয় নয় । ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো প্রগতিশীলিদের কাজ না ।
নিজেকে মুক্তমনা ভাবেন, কিন্তু ইতিহাসের বস্তুবাদি ধারণা সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না । ডারইউনের প্রানী বিবর্তন সমর্থন করেন, কিন্তু মার্ক্সের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ বুঝেন না । উৎপাদন (Production) ও উৎপাদক (Productive force) এর সম্পর্ক কি এবং উদ্বৃত্ত মূল্য(Surplus value) কি ভাবে সৃষ্টি হয় তা জানেন না বিধায় অর্থনীতি বুঝেন না । জনতার সাথে সম্পর্কহীন ভাবে গ্লাসজারে অবস্থান করেন বিধায় রাজনীতি বুঝেন না । সব কিছুকেই বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখেন । কিন্তু বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের কোন কিছুই বিচ্ছন্ন নয় । The universe is an integral whole in which things are interdependent, rather than a mixture of things isolated from each other; (2) The natural world or cosmos is in a state of constant motion; (3) Development is a process whereby insignificant and imperceptible quantitative changes lead to fundamental qualitative changes; (4) All things contain within themselves internal dialectical contradictions, which are the primary cause of motion, change and development in the world.
উপরুক্ত বর্ণিত তত্ত্বের উপর জ্ঞানের অভাব হেতু ইসলামি সন্ত্রাসীদের বর্তমান কর্মকান্ডের উৎস খুঁজে পান না । ফলে চৌদ্দশত বছর পূর্বের ঘটনাগুলোকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিয়ে এসে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন । আপমার জনতাকে নিয়েই জাতিয়তাবাদি রাষ্ট্র, গণতন্ত্র, ধর্ম নিরাপক্ষতা ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে বাহত্তুরের সংবিধান নিয়ে এসেছে । জিয়া ও এরশাদের সামরিক সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে আমাদেরকে বাংগালি মুসলমান বানানের চেষ্টা করে । জিয়া ও এরশাদের কর্মকান্ড হাই কোর্ড কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় জাতি পুনরায় বাহত্তুরের সংবিধানে ফিরে গেছি । ফলে রাষ্ট্র এখন ধর্ম নিরাপেক্ষ । জাতির বর্তমান সংগ্রাম হলো আস্তিক ও নাস্তিক মৌলবাদের বিষক্ত নিশ্বাস থেকে নিজকে রক্ষা করা এবং পুজিবাদি ব্যবস্থা পরিবর্তন করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা ।
আবুল কাসেম
মুহাম্মদ প্রাচীন কালের মানুষ, বিপরীতে John Glubb আধুনিক কালের মানু্ষ, তাই তুলনা হয় না । যেমন আলেকজান্ডারের সাথে পুরুর তুলনা হতে পাড়ে, কিন্তু মধ্যযুগের মোগল সম্রাট আকবার বা াধুনিক কালের হিটলারের সাথে তুলনা হবে না । মুহাম্মহ ইসলাম প্রবর্তন করেছেন তার সময়কার বিধি-বিধান অনুযায়ী । আর John Glubb ইসলামকে বিশ্লেষণ করেছেন বর্তমান কালের বস্তুবাদি ইতিহাসের ধারণা/বিধি-বিধান অনুযায়ী ।
রাইট স্মাইলঃ হাই কোর্ট ফতোয়া বৈধ করেছে, কিন্তু শাস্তি দেয়া অবৈধ করেছে । ফতোয়া শহরের শিক্ষিত সমাজে কার্য্যকর নয় । গ্রামীন অশিক্ষিত সমাজে গ্রামীন টাউট সমাজপতিরা ব্যক্তি স্বার্থ্য বা লালসা উদ্ধারের জন্য ফতোয়ার আশ্রায় নেয় এবং শাস্তি দেয়ার চেষ্টা করে । শাস্তি যেমন অবৈধ হয়েছে, তেমনি ফতোয়াও অবৈধ হওয়া উচিত । তার জন্য প্রয়োজন জনমত সৃষ্টি করা । শিক্ষিত গোলাম আজম, নিজামি, মোজাহিদ, সাইদি বা আমিনীরা ্মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোক, অর্থের কারনে ধর্মান্ধ হয়েছে এবং সন্ত্রাসী কার্য্যকলাপ চালাচ্ছে । আপমার জনতার কাছে উক্ত নামগুলো ঘৃণিত । গ্রামীন অশিক্ষিত মানুষ ধর্মান্ধ নয়, তারা ধর্মপ্রান । এরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার (জাতিয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্ম নিরাপেক্ষতা ও বৈষম্যহীন সমাজ) প্রান শক্তি । শ্রমজীবি এই মানুষেরাই সমাজ বিবর্তনের চালিকা শক্তি । ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারকারীদেরকে এরা ঘৃণা করে এবং শত্রু ভাবে ।
পৃথীবিঃ আমি, আপনি, ধার্মিক-অধার্মিক বা আস্তিক-নাস্তিক মৌলবাদি কে কি ভাবলো তা দিয়ে সমাজ বিবর্তন হয় না । সমাজের বিবর্তন হয় তার নিজেস্ব বিধি-বিধানে । সমাজ বিবর্তনের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখতে পাই, শিকারি-খাদ্য সংগ্রহকারী আদি সমাজ বিবর্তিত হয়ে মাতৃতান্ত্রিক সমাজে রূপান্তরিত হয়েছিল, মাতৃতান্ত্রিক সমাজ আবার কৃষি সমাজে রূপান্তরিত হয়েছে, কৃষি সমাজ আবার দাস সমাজে, দাস সমাজ আবার সামন্তবাদ সমাজে, সামন্তবাদ আবার পুজিবাদে রূপান্তরিত হয়েছে । আলোচ্য এই সামাজিক বিবর্তনের কারন বিশ্লেষণ করলেই বিবর্তনের বিধি-বিধান পাওয়া যায়, যা বস্তুবাদি ইতিহাস ও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ।
সদালাপ যে আচরণ করছে, সে রকম আচরণ আমাকে আপনাকে করতে হবে বলে আমি মনে করি না ।
মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
কথাটা সত্য। এখন আপনার কাছে প্রশ্ন -আপনি কি মনে করেন সেই বিধি বিধান সর্বকালের জন্য আদর্শ ? এর উত্তর পাওয়ার পর আপনার সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। অন্যথায় আপনার সাথে আলোচনার কোন মানেই হয় না । কারন আপনার বক্তব্য ধোয়াসায় পরিপূর্ন যার কোন পরিস্কার অর্থ নেই্।
@ভবঘুরে
তত্ত্ব না বুঝলে সব কিছু ধোয়াসা লাগে এবং কোন কিছুর অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় না । গ্রামীন প্রচলিত কথা “স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে কথা বল” । একই কথা দর্শনশাস্ত্রে বলে Everything depends on time, place and condition. এর থেকে শিক্ষা নিতে পারি যে সব কিছু পরিবর্তনশীল ।
মুহাম্মদের ইসলাম ৭২ ভাগে বিভক্ত, যার মধ্যে শিয়া ও সুন্নি ফেরকা প্রধান । সুন্নিরা চার ভাগে বিভক্ত । এই চার ভাগের মধ্যে সব চেয়ে উদার হলো হানাফিরা এবং কঠোর হলো হ্যানবালিরা । আরবেরা হ্যানবালি মতবাদের । এই হ্যানবলিদের একটি ক্ষুদ্রাংশ হলো ওহাবী । এই ওহাবীরাই হলো গোড়া মুসলমান এবং সন্ত্রাসী । ওহাবীদের পৃষ্ঠপোষক হলো সাউদী বাদশাহরা । ভারত উপমহাদেশ, আফগানিস্থান ও মধ্য এশিয়ার মানুষ মূলত হানাফি এবং উদর । কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করে রপ্তানি হয়ে আসা মতবাদ ও অর্থ । তাই দেখা যাচ্ছে মুহাম্মদের ইসলাম ও আদর্শ পরিবর্তন হয়েছে ।
নরবিজ্ঞান (Anthropology) অনুযায়ী ধর্ম হলো সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষ বংশ পরম্পরায় যে সাফল্য অর্জন করেছে, তার বহির্প্রকাশ । ধর্ম পালনের মাধ্যমে মানুষ তার পূর্বপুরুষদের সাফল্যকে স্মরণ করে । যেমন ২১শে ফেব্রুয়ারী ও ১৬ই ডিসেম্বার পালনের মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের সাফল্য স্মরণ করি । তাই কেউ যদি অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি না করে, নিজ ধর্ম পালন করে, তা হলে আমার-আপনার তো কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ।
সোভিয়েত কমিউনিষ্টরা জোর করে কৃষকের জমি সমবায় সমিতিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করে এবং মানুষকে নাস্তিক বানাতে গিয়া জনসমর্থন হারায় । তাই শিক্ষনীয় হলো জোর করে কিছু করা উচিত নয় ।
মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
সহমত।
ধর্মও যদি “স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে কথা” বলতো তাহলে তো কোন সমস্যাই ছিল না। ধর্মের শিক্ষা তার সনাতন ‘শাস্ত্রকে’ জানা ও মানার শিক্ষা। কুরানের বানী অপরিবর্তনশীল, সর্বকালের ও সকল মানুষের জন্য।
তারা প্রত্যেকেই “কুরান-সুন্নার” অনুসারী। ‘উদার-গোড়া-সন্ত্রাসীর’ পার্থক্য
শুধু “মানার” তারতম্যে। কুরান ও সুন্নার অনুসারীকে সন্ত্রাসী বলা ইসলামী দৃষ্টিতে না জায়েজ ও কুফরী।
এখানে রপ্তানী বলে কিছু নাই, সবই ইসলামী মতবাদ। সবপক্ষই কুরান ও মুহাম্মাদের জীবনাদর্শ পালন, প্রচার ও প্রসারে ব্রতী।
একমত নই। “মুহাম্মদের ইসলাম ও আদর্শ” অপরিবর্তনশীল।তার আদর্শকে ঠিকমত পালন করা নাম প্রতিটি মুসল্মানের অবশ্য কর্তব্য।
ইসলামী জজ্গীরা “পূর্বপুরুষদের সাফল্যকে ” শুধু স্মরণই নয়, তাকে পুনুরুদ্ধারের ব্রতে জান-মাল দুটোই বিসর্জন দিচ্ছে। এ যুক্তিতে তাদেরকে কাজকে মন্দ বলা যায় না।
একমত। কিন্তু বাস্তবতা তা বলে না। ধার্মিকরা (সমাজ) নাস্তিকদের কি দৃ্ষ্টিতে দেখে তা আমরা সবাই জানি।
@গোলাপ,
ধন্যবাদ আপনার বক্তব্যের জন্য। আসলে মহিউদ্দিন সাহেব যে কি বলছেন আর কি বুঝাতে চাইছেন সে সম্পর্কে তার নিজেরই পরিস্কার ধারনা কম। অথচ প্রতিপক্ষের বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে খন্ডন না করে কিছু পান্ডিত্যপূর্ন শব্দ চয়ন করে বুঝাতে চেয়েছেন উনি অনেক গভীর পানির মাছ।আবার প্রতিপক্ষের ব্যপারে সরাসরি অপমানসূচক আক্রমন করতেও তার দ্বিধা কম । সুতরাং তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সহজেই অনুমেয়। তবে উনি নিজেতে অতি চালাক মনে করলে করতে পারেন, কিন্তু অন্যদেরকে বোকা ভেবে আনন্দিত হলে সেটা হবে –পাগলের সুখ মনে মনে।
@আ হা মহিউদ্দীন,
অনুগ্রহ করে কোরান হাদিসের আলোকে দেখাতে পারেন ওহাবী মতবাদীরা ইসলামের কোন বিষয়কে পরিবর্তন করেছে? উদাহরন সহ বক্তব্য প্রদান না করলে আপনার বক্তব্যের সারবত্তা শূন্য। আমরা আপনার মত অত পন্ডিত নই , তবে যাই বলার চেষ্টা করি তার উপযুক্ত রেফারেন্স ও উদাহরন দিয়েই সেটা করি। নিজেদের মনগড়া কোন মতবাদ বা মতামত প্রকাশ করি না। আমাদের লেখায় আমাদের নিজেদের মনগড়া মতামত প্রকাশ করেছি কিনা সেটাও দেখানোর জন্য আপনার প্রতি আহ্বান রইল।
@আ হা মহিউদ্দীন,
বাস্তবতাটা এরকম হলে, ভাল হতো। সমস্যা হলো বিশ্বাসের এই পাহাড়টা যখন ব্যক্তিগত আচরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সংগঠিত শক্তি রূপে সমাজের ঘাড়ে চেপে বসে, প্রশ্নহীন জীবন যাপনে বাধ্য করে, তখন তার শেকড় ধরে টান দিতে হয়।
মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভেবে, আপনি উদ্বিগ্ন। আপনার এই আন্তরিক উদ্বেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আন্দোলনের তো বিভিন্ন স্তর থাকে। ভবঘুরের এ লেখাটা পড়ে মনে হলো, এটি বৌদ্ধিক আন্দোলনের অংশ। এর পাঠক কারা? একটু ভেবে দেখুন। আর এ জাতীয় লেখাগুলো শুধু আজকের জন্য নয়, আগামী্র জন্য আরো বেশি প্রযোজ্য। বিশ্বাসের বিষ যদ্দিন থাকবে, তদ্দিন কিন্তু মাঠ পর্যায় থেকেই শুরু হতে পারে উল্টো পথে যাত্রা।
@আ হা মহিউদ্দীন,
@আ হা মহিউদ্দীন,
কিন্তু সমাজের বিবর্তন মানুষই করে।
মারাত্তক সিরিকাস analysis. এই লেখাটা পরলে মনে হয় আমার বাড়ীর কাজর ছেলেটাও হাসতে হাসতে খুন হত। ভাইজান খুবিই সস্তা ধরনের কিছু কথা লিখলেও বাহবা পাউয়া যায় যদি পেছনে অনেক support থাকে। আর এখানে ত সবাই একই গরুর পাল। এখানে কেউ যদি আপনাদের কথা মত কথা বলে তাহলে সে হয়ে যায় আপনাদের কাতারের জ্ঞানী প্রাণী। আর কেউ তা না করলে হয়ে যায় low level type এর helicobactar(জদিও জানিনা helicobactar এর প্রকারভেদ). হা হা হুয়া। অদ্ভুত ফালতু ধরনের ১টা লেখা। ভবিসৎতে লেখার প্রতি জত্নবান হউয়ার পরামরশ্ থাকল। আর হা ,আমি ভাই মুক্কু সুক্কু মানুস আমার অপর সবাই েযন আবার মরা পসুর মাওংস খাউয়া শকুনের মত পইরেন না।
@অনিক,
আপনার অবস্থা যে আপনার বাড়ীর কাজের ছেলের মত বা তার চাইতেও কম তা কিন্তু বোঝা যায় আপনার নিচের লেখা পড়লেই –
না ভাই , আমরা পাগলের প্রলাপকে তেমন গুরুত্ব দেই না।
একচেটিয়া মন্তব্য করা হয়েছে। আরও ব্যখ্যা দরকার। ভিন্নধর্মী মন্তব্য খুব ই কম।
@aunik,
আপনি কি মনে করেন যুক্তি পূর্ন ভাবে ভিন্নধর্মী কোন গ্রহনযোগ্য মন্তব্য কেউ করতে পারবে ? পারবে না । তার প্রমান যে দুই একজন ভিন্ন ধর্মী বক্তব্য প্রদান করার চেষ্টা করছেন , ভাল করে পড়ে দেখেন তাদের কথায় যুক্তির চেয়ে আবেগ বেশী। কিন্তু এখন আবেগের বা বিশ্বাসের যুগ না, যুক্তির যুগ।
কমেন্টগুলা পইরা মজা পাইলাম। লেখাটাও দারুন।
ভবঘুরে
ডঃ পালের প্রবন্ধের আলোচনা কালে আপনার অভিযোগ ছিল আমি আসল কথার উত্তর দেইনি এবং আপনি প্রশ্ন করেছেন “যে দেশে মহানবী এসে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে আলোর পথ দেখালেন সে দেশ পশ্চাদপদ থাকে কেমনে ? সে দেশ তো সবার চেয়ে বেশী উন্নত থাকার কথা। তাই না”।
বর্ণিত কারণের জন্যই আপনার প্রবন্ধে মন্তব্যের উদ্দিশ্যে আমার আগমন । আপনার কোন আসল কথার উত্তর দেয়া হয়নি, তা আমার কাছে পরিস্কার নয় । আপনার উল্লেখিত প্রশ্ন এবং আপনার প্রবন্ধ পড়ে মনে হচ্ছে ইসলামি মৌলবাদের সাথে ইসলাম এবং সাধারণ মুসলমানদেরকে ইসলামি সন্ত্রাসীদের সাথে য়াপনি একীভুত করে ফেলেছেন । তারুণ্যের স্বভাব হলো ধর্মকে আঘাত করা ও নিজেকে সবজান্তা ভাবা ।
ইসলামের প্রতি আপনার বিদ্বেষ এবং নিজ আবেগকে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হয়ে কোরাণের উদ্ধৃতি দিয়ে নিজেকে মৌলবাদিদের পর্যায় নিয়ে গেছেন ।
কোরান, তার আয়াত ও মুহাম্মদকে বিশ্লেষণ করা উচিত সপ্তম শতাব্দির আরবের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে, যা ঐতিহাসিকেরা করে থাকেন । ঐ কালে যে কাজগুলো গর্বিত ও বীরত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত ছিল, তা আজ গর্হিত । মানুষের কর্মকান্ড হলো ইতিহাস । মানব সভ্যতার ইতিহাসের বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন ধর্মের আগমন ঘটেছিল ঐতিহাসিক কারণে । তাই প্রগতিশীলেরা ধর্মকে দেখেন সংশ্লিষ্ট সময়ের প্রেক্ষাপটে ।
Sir John Glubb এর The Life and Times of Muhammad বইটি পড়লে, আরবে ইসলামের আগমন এবং মুহাম্মদের ও নব্য মুসলমানদের কর্মকান্ড ও তার কারণের বিশাদ বর্ণনা পাবেন । অশক্ষিত মৃগীয়রোগি মুহাম্মদ ছিলেন কবি স্বভাবের । কিন্তু তার রক্তে ছিল আরবের যুদ্ধাংদেহি ভাব । কোরান হলো কবি মুহাম্মদের সৃষ্টি । মনের ভাব কেন হয় তা জানা না থাকার কারণে আল্লাহকে রপ্তানি করতে হয় । দেশে্র উন্নতি আল্লাহ করে না, করে মানুষ । তাই মানুষকে হতে হয় প্রগতিশীল, অর্থ্যাৎ সম্মূখমূখী । সভ্যতাকে যা দেয়ার ধর্ম তা দিয়েছে । ধর্মকে আকড়িয়ে থাকার আর প্রয়োজন নেই । এখন ধর্মীয় চিন্তা হলো পশ্চাদ্মূখী, তাই মৌলবাদি মানুষ দিয়ে উন্নতি হয় না । সাধারণ বাংগালি মুসলমান ধর্মীয় মৌলবাদকে পছন্দ করে না, প্রমান আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, তেমনি সাধারন আরববাসীও পছন্দ করে না, প্রমান আরবদেশের বর্তমান গণবিস্ফোরণ । যদি নাস্তিক মৌলবাদি না হন তবে ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেশ প্রচার বন্ধ করে রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে ধর্ম পৃথিকীকরণের প্রচারে আত্মনিয়োগ করুন ।
মহিউদ্দীন
@আ হা মহিউদ্দীন,
আপনি যদি সত্যি উপরোক্ত মনোভাব পোষণ করে থাকেন তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই। আমরা তৎকালীন ইতিহাস, খোদ কোরান ও হাদিস সব কিছুকেই বিশ্লেষণ করে বুঝেছি যে ইসলাম মোহাম্মদের নিজস্ব আবিস্কৃত একটা রাজনৈতিক মতবাদ যার সাথে আল্লাহ বা সৃষ্টি কর্তার কোন সম্পর্ক নেই। মার্কসবাদের মত একটা রাজনৈতিক ও অনেকটা অর্থনৈতিক দর্শন ছাড়া আর কিছুই না। তাহলে কিন্তু আর মৌলাবাদীতা বা উগ্রবাদীতা আসে না। তখন সহজেই এ সিদ্ধান্তে আসা যায় যে , মোহাম্মদ কৃত রাজনৈতিক দর্শন সেই মধ্যযুগে ভালই ফলপ্রসু হয়েছিল যা আজকের যুগে অচল। কিন্তু বিষয়টা কি এত সহজ ও সরল? ইসলামি ঝান্ডা ধারী, তথাকথিত পন্ডিত বর্গ তাদের কথা বার্তা আর হুংকার শুনে কি মনে হয় যে আপনি যে ভাবধারা পোষণ করছেন তারাও সেই একই ধারনা পোষণ করছে? রাষ্ট্র যন্ত্র থেকে ইসলামকে পৃথকের কথা বলছেন। সেটাও তো সম্ভব যদি সবাই এ সিদ্ধান্তে আসে যে ইসলামি দর্শন মধ্যযুগের জন্য প্রযোজ্য এখনকার জন্য অচল, যেমন সামন্ততন্ত্র বা রাজতন্ত্র বা এমন কি সমাজতন্ত্র আজকের যুগে অচল। অথচ আমরা কি দেখছি? ইসলামী পন্ডিতরা তারস্বরে বিপুল পুজি বিনিয়োগ করে সমস্ত রকম প্রচার যন্ত্র ব্যবহার করে প্রচার করছে ইসলাম হলো সর্বকালীন সময়ের জন্য আদর্শ রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা। এবার বুঝে নেন সমস্যাটা কোথায়।
এটা একটা ঢালাও মন্তব্য করলেন। ইসলামের অন্ধকার দিক গুলো তুলে ধরার জন্য যদি আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলেন তাহলে আমার বলার কিছু নেই। তবে আমি বুঝি এটাও একটা কৌশল। ইদানিং ইসলামিষ্টরা বুঝে গেছে শত চেষ্টা করেও ইসলামের অন্ধকার দিকগুলোকে আর অন্ধকারে রাখা যাচ্ছে না। তাই তারা এ ধরনের নরম কৌশল অবলম্বন করছে যা আবার ইসলামী কায়দাও বটে।
@আ হা মহিউদ্দীন,
ইসলাম জানবার জন্য পড়তে হবে কোরান, হাদিস, সিরাহ এবং শারিয়া। স্যার যন গ্লাব কি ইসলাম জানেন–উনি কি নবীজির চাইতেও বেশী ইসলাম জানেন?
@আ হা মহিউদ্দীন,
সাধারন জনগন যারা জীবন যাপনের জন্য ধর্মকে অপরিহার্য্য বলে মনে করে তাদেরকে কি করে এই ধারনায় কনভিন্সড করা যাবে, কারন তারা মনে করে কোরান-হাদিসে যা বর্নিত আছে তার সবকিছুই মানুষের জন্য মংগলজনক এবং অপরিহার্য্য। আজকেও পত্রিকার খবরে প্রকাশ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ফতোয়া বৈধতা পেয়েছে। আর কে না জানে যে দেশের বহু নারী ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনকে এই রায়ের বিরুদ্বে সংগ্রাম করতে হলে তাদেরকে আগে জানতে হবে তাদের প্রান প্রিয় যে ধর্ম এই ফতোয়া তৈরী করেছে সেই ধর্মের আসল ব্যাখ্যা। আর এই ব্যাখ্যাকে আপনি নাম দিয়েছেন ‘ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেশ প্রচার’। আপনাদের এই মনোভাবের কারনেই কিন্তু সাধারন লোকজন কখনই ফতোয়ার বিরুদ্ধে রায় দিবে বলে মনে হয়না।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ধর্ম কতটা সমাজের গভীরে পৌছেচে এটা তার উৎকৃষ্ট নিদর্শন। সারা পৃথিবী যখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কঠিন দৌড় প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত আমরা বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো তখন ইসলামী খেলাফত পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করে মধ্য যুগে ফিরে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
@আ হা মহিউদ্দীন,
খুবই যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গী, এবং একজন চিন্তাশীল মানুষের কাছে এটা স্বতঃসিদ্ধ। সমস্যা হল, ধার্মিকরা তাদের ধর্মের ক্ষেত্রে এই সত্যটা মানতে রাজি না। একজন ধার্মিক ঠিকই স্বীকার করেন যে কোরানকে তার সময়ের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করতে হবে, আবার ওই একই ধার্মিক দাবি করেন যে কোরান সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য গ্রন্থ। এই স্ববিরোধীতা থেকে তাঁদেরকে বের করে আনার জন্য কোরানের সমালোচনার তীব্র প্রয়োজনীয়তা আছে।
আপনি মন্তব্যের এই অংশে যা বললেন সেটি যদি আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে সদালাপে গিয়ে ওখানকার লোকজনকে এই কথাগুলো শুনিয়ে আসুন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করুন। এরপর আমাদেরকে বোঝান এইরকম লোকজন নিয়ে আপনি কিভাবে রাষ্ট্র আর ধর্মের পৃথকিকরণ সাধন করবেন। সেকুলার নাগরিক না থাকলে রাষ্ট্রও সেকুলার হতে পারবে না, একারণে এখনও পর্যন্ত্য পৃথিবীতে আমরা কার্যত কোন সেকুলার রাষ্ট্র দেখতে পাইনি। বেশিদূর যাওয়া লাগবে না, পাশে ভারত তো আছেই।
কোরান যে স্রেফ মধ্যযুগীয় একটি গ্রন্থ ছাড়া আর কিছু না, এটা মুসলমানরা বুঝতে পারলেই কেবল একটা সেকুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। তাঁদেরকে এটা বোঝানোর জন্য কোরানের সমালোচনা করতে হবে, কোরানের অথেন্টিসিটি নিয়ে চিন্তা করতে বাধ্য করতে হবে।
@পৃথিবী,
সদালাপের মানুষজনকে মহিউদ্দিন সাহেবের ভালই জানা আছে।
@ভবঘুরে,
আগের লিংক কাজ না করার জন্য ক্ষমা প্রার্থী।
আবার শাহ জালাল সম্পর্কে নতুন করে লিংক দিলাম পড়ুন
ভবঘুরে ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, আসলে এই কথাটা আমার মাথায় অনেক দিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল যে আমার নিজের লেখায় আমি নিজের নাম ধরে কিভাবে লিখতে পারি। হয় আমি পৃথিবীর নিয়মের বাইরে, নইলে আমি নিয়ম ই জানিনা। যদি প্রথমটা সত্যি হয় তাহলে আমার এই লেখা কিজন্য পৃথিবীর মানুষের উপরে চাপিয়ে দেব?? তবে আপনার লেখা পড়ে অনেক গুলো জিনিস ই পরিষ্কার হয়ে গেল।
কিন্তু আপনার এই পোষ্ট টা অপূর্ণ হয়ে থাকত যদিনা আহ্বানকারী নামের ভদ্রলোক উনার সুচিন্তিত মতবাদ প্রকাশ না করতেন। অনেকেই উনার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন আমার আর কিছু লেখার ইচ্ছা থাকলেও মনে টানলনা। তাই আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মানুষের জ্ঞানের পিপাশা দীর্ঘায়িত হোক।
@পদ্মফুল,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি সত্যি বলেছেন- আহ্বানকারী আমাদের অনেক উপকার করেছেন। এদের মত মানুষ মন্তব্য না করলে আমরা বুঝতেই পারি না যে মানুষ কতটা ব্রেন ডেড হতে পারে। তাছাড়া এদের কারনে আমরা আলোচনার জন্য আরও বেশী পয়েন্ট পাই। যত বেশী ওনাদের মত মানুষ আলোচনায় আসে ততই গোমর বেশী ফাক হয়ে যায়। ততই ওনাদের মত মানুষদের অন্ত:সার শূন্যতা প্রকাশ করা যায়।
@আহ্বানকারী,
আপনার হাস্যকর মন্তব্যের জবাব অনেকে সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। তাই আমি এ সম্পর্কে আর কোন মন্তব্য করার প্রয়োজন বোধ করছি না।
শাহ জালালের বাংলায় ইসলাম প্রচার সম্পর্কে জানার জন্য পড়ুন এখানে
আশাকরি মুক্ত মনায় আপনার সু-মন্তব্যের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
@লাইট ম্যান,
আপনার লিংক তো ওপেন হয় না ভাই ।
@ভবঘুরেঃ এতো প্যাচালের কি দরকার ভাই! ধর্ম তো যুক্তির বিষয় না। কেউ যদি বিশ্বাসে সুখী হতে চায়, হোক না। বিজ্ঞান আর যুক্তির চর্চা করেন, ধর্মটা মডারেট হয়ে আসবে।
@নবারূন,
আপনার কথাটা সত্য হলে আমি বড়ই খুশী হতাম। কিন্তু জাকির নায়েক মার্কা লোকজন যেভাবে কুরান নামক একটা জগাখিচুড়ী মার্কা বই থেকে বিজ্ঞানের নানা সূত্র আবিষ্কার করে চলেছে তাতে কি আপনি মনে করেন মুসলিম বিশ্বে মানুষ জন মডারেট হবে ? আমি তো দেখি বরং উল্টোটাই হচ্ছে। আর বর্তমান জগতটা কোন ফালতু বা অন্ধ বিশ্বাস – এর যুগ না। এ জগত টা বিজ্ঞান আর যুক্তির যুগ। তাই যারা অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে সুখী হতে চায় সেটা তাদের ব্যাক্তিগত পছন্দ হতে পারে কিন্তু সেই অন্ধ বিশ্বাস সাধারন মানুষের মধ্যে যদি কেউ ছড়িয়ে দিতে চায়, অন্য মানুষকেও অন্ধ করতে চায়, তাহলে এ ধরনের প্যাচালও চলতে থাকবে। এর পর মানুষ বেছে যেটা সত্য সেটাই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
জাকির নায়েক এর মতো কিছু লোক সবসময়ই থাকে যারা ধর্মের ভিতর থেকে বিজ্ঞানের বার্তা খুজতে থাকে। সেগুলা শোনার জন্যেও কিছু লোক সবসময়ই রেডি থাকে। বিজ্ঞানের চর্চা সেই শ্রোতাদের সংখ্যা কমিয়ে আনবে।
আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে গভীর শ্রদ্ধা আর আস্থা দিয়ে ধরে রেখেছি। তার চরিত্রের দোষ বিচার আমাদেরকে বিজ্ঞানের প্রতি নতুন করে আগ্রহী করেনা।
@নবারূন,
গভীর শ্রদ্ধা ধরে রেখেছেন কারন আপনি নিশ্চিত এতদিন পর্যন্ত আল্লাহর নবীর চরিত্রের দোষ ত্রুটি গুলো জানেননি। ধরুন যদি আপনি একেবারে শৈশব অবস্থায় আপনাকে মোহাম্মদ সম্পর্কে ভাল ভাল কথা বলা না হতো- এভাবে স্বাধীন ভাবে শিক্ষা লাভ করতেন। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর যদি মোহাম্মদ সম্পর্কে এখন যে সব কথা শুনছেন তা জানতেন, তাহলে আপনার কি প্রতিক্রিয়া হতো ? আর দেখুন আমরা যারা তার চরিত্রের খারাপ দিক গুলো তুলে ধরছি, আমরা কখনই আমাদের নিজেদের দেয়া বা আবিস্কৃত তথ্য দিচ্ছি না । আমরা কিন্তু কোরান , সহি হাদিস, বিশিষ্ট ইসলামী লেখক তাদেরই রচনা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে সেটা করছি। মজার ব্যপার দেখুন যখনই এসব খারাপ দিক গুলো প্রকাশ হয়ে পড়ছে , তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা কিন্তু এ সবের একটা গোজামিল জাতীয় ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যেমন- মোহাম্মদ ১৩ টা বিয়ে করেছিল নাকি বিশেষ উদ্দেশ্যে। অসহায় নারীকে মর্যাদা দেয়া, অন্য গোত্রের সাথে সু সম্পর্ক স্থাপন ইত্যাদি। অথচ দেখুন, অসহায় নারীকে মর্যাদা দিতে গেলে মানবজাতীর তথাকথিত শ্রেষ্ট মানুষকে একের পর এক বিয়ে করে যেতে হবে – এটা কোন ধরনের যুক্তি?আর তার ২/৩ টি বিয়ে ছিল অন্য গোত্রের সাথে সম্পর্ক ভাল করার উদ্দেশ্য কে সামনে রেখে। বাকি গুলো উনি করেছিলেন কি কারনে ? আপনি বলেন? ইসলামী উৎস সাক্ষী দেয়- মোহাম্মদ বিয়ে বহির্ভুত যৌন কর্মও বেশ কয়েকজন দাসীর সাথে করেছিলেন। এসব ঘটনা না জেনে আপনি যদি তাকে মহা মানব বলে শ্রদ্ধা করেন তাহলে আপনার বা আপনাদের মত মানুষদের জন্য করুনা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। প্লিজ, কোরান হাদিস ভাল করে নিজ মাতৃভাষায় পড়ুন আর তার পর আপনার যা খুশী করুন আপত্তি নাই। কিছু পড়বেন না , জানবেন না অথচ উপদেশ দিতে আসবেন এটা হয় না ভাই ।
First I must give a hearty thanks to Voboghure for such a wonderful article. I read through all of it with great attention. I am happy to see all the comments here and didn’t realized there are so many free thinkers in a backward country like ours. I had read pretty similar article once in some website it was Who Authored the Qur’an?—an Enquiry —- Abul Kasem. I think here too a great numbers of good point highlighted by the author. But I like Voboghure for his clear thinking and wonderful style of writing. And expect some more articles like this one in future.
Please forgive me not using bangla font here because I still feel awkward to use them, perhaps gradually I will learn to use Ovro.
@শুভ্র,
আপনাকে মুক্ত-মনায় স্বাগতম।
মুক্ত-মনায় বাংলা হরফে বাংলা ভাষায় মন্তব্য না করলে তা সাধারণত গ্রহণ করা হয় না।
বাংলা ঠিকমত দেখতে এবং লিখতে হলে
প্রায়শ জিজ্ঞাস্য বা সাহায্য
আর কোনো সাহায্য লাগলে বলবেন। ধন্যবাদ।
😛
মুলতঃ ধর্ম বিদ্বেষ থেকেই উন্মাদরা এ সকল লেখা লেখে। তথাকথিত নাস্তিক গোষ্ঠী কে সু পথে আনার জন্যই যুগে যুগে মহা পুরুষগণ ধর্ম প্রচার করে ছিলেন।
কপাল দোষে আজও পৃথিবীজুড়ে নাস্তিকের ছড়া ছড়ি। তারা দেখেও দেখে না। শুনেও সুনে না। এমনকি বুঝেও বুঝে না। অথচ নিজেকে ভাবে মহা জ্ঞানী।
১৪৩২ হিজরি সালেও কিছু বেকুফ আছে, যারা ইসলাম ধর্মের বিরুধে অনেক কথা বলে বেড়ায়, আবার গোপনে জানোয়ার পূজা করে। কোন কিছু সম্পর্কে বলার আগে ওই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হয়। গাধার দল দুই এক লাইন কোরআন শরীফ পরেই না বুঝে উল্টা পাল্টা বকে। অথচ এই মহাগ্রন্থের একটি লাইন বুঝতে হলেও অনেক কিছু জেনে নিতে হয়।
১. ইউনিভার্সিটি ছাত্রের বই কখনও ক্লাস ওয়ান বা টু এর ছাত্র বুঝবে না। এটা বুঝেও তারা বুঝে না। ভালো কথা বুঝার যোগ্যতা নেই বলেই মহা গ্রন্থ কুরআন পরতে গিয়েও ভুল বুঝে।
২. ওরা বলে মুহাম্মাদ (সঃ) নারী লোভী। অথচ মূর্খরা জানেনা তিনি নারী লোভী থাকা তো দুরের কথা তৎকালীন যুগে তিনি নারীকে তার মর্যাদায় সম্মান্নিত করেছেন। বলে বেড়ায় তাঁর একের অধিক স্ত্রী ছিল, কিন্তু এটা জানে না যে দীর্ঘ ৪০ বছর পর্যন্ত তিনি তাঁর চাইতে ১৫ বছর বেশী বয়সের একজন সাধারন আরব রমণীর সাথে সুখি জীবন যাপন করেছেন। অতঃপর তাঁর মৃত্যুর পর বিয়ে করেছেন। সংগ্রাম ছাড়া কোন বিরাট সামাজিক পরিবর্তন সাধন হয় না । তখনও হইনি। লড়াই শেষে অনেক অসহায় নারীকে সামাজিক ভাবে পুনর্বাসন করতে তখন তিনি কতককে বিয়ে করেছিলেন। এই সুযোগে মূর্খরা তাঁর মতো মহান মানবকে নারী লোভী বলার সুযোগ পায়। অথচ তারা জানে না ওই সব মহিয়ান নারীরাই তাকে কখনও এই দোষারোপ করা তো দুরের কথা তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর মানবিক গুণাবলীর প্রশংসা করতে করতে পরবর্তী জীবন পার করেছেন।
৩. মুহাম্মাদ (সঃ) কে গাধারা লুটেরা বলে, অথচ এই মহান মানব জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দারিদ্রকে পছন্দ করেছেন। তিনি অর্থ লিপ্সা, ভোগ বিলাস বর্জন এর শিক্ষা দিয়েছেন। আরব সম্রাজ্জের একসময়কার শাসক হয়েও অনাহারে- অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ভগ করেননি। মাসের পর মাস একটি মাত্র জামা পরিধান করে রাজ্য শাসন করেছেন।
৪. কিছু কিছু মূর্খ ভাবে আধুনিক যুগেই বুঝি সব জ্ঞানী গুণী আছে ( বিশেষ করে তাদের মতো মূর্খরা)। অথচ জ্ঞানী গুণী যুগে যুগে সকল সমাজেই ছিলেন। কিন্তু মূর্খরা তৎকালীন ধর্মপ্রাণ মানুষদেরকে বোকা বানাতে চায়। নিজেরা বোকার হদ্দ বলেই এরকম অপচেষ্টা করে। আধুনিক ইতিহাস ঘেঁটে কেউ বলতে পারবে না যে ইসলাম দেশে দেশে জোরজবরদস্তির মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছে। ইসলাম প্রশার লাভ করেছে তাঁর নিজস্ব মহিমায়। কাউকে জোর করে মুসলমান করা হয়নি। ৫ শত বছর পূর্বে এই ভারত বর্ষেও ইসলাম প্রচারিত হয়েছে সৌন্দর্যের অলৌকিক মহিমায়। ভারতের খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) , বাংলাদেশের হযরত হহাহ জালাল (রহঃ) এর ইতিহাস খুঁজলেই ভণ্ডের দল এ উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের অনেক কিছু জানতে পারবে। এখনও দেশে দেশে অনেক জ্ঞানী গুনিরা ইসলামে দীক্ষিত হচ্ছেন। কথায় আছে, গাধায় পানি ঘোলা করে খায়। ইসলাম বিরোধী মূর্খরাও ঠিক তেমনি।
৫. মূর্খরা আগুন পূজা, লিঙ্গ পূজা, মাটি পূজা, গরু পূজা, হাতি পূজা, পারলে লেংটা মেয়েও পূজা করে। অথচ ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে বলে বেড়ায়। যে ধর্মে এখনও ছোট জাত – বড় জাত বলে কথা আছে, যে ধর্মে নারী তাঁর উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে ভাগ পায়না, যে ধর্মে সতীদাহ প্রথা চালু ছিল তারা আবার ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে কথা বলে। যে ধর্মে নিচু জাতের (শুদ্র) লোক গিতা নামক গ্রন্থ ছুঁলে তাঁর হাত কেটে দেয়া হতো, চোখ দিয়ে পরলে চোখ উপরে ফেলা হতো , তারা আবার মানবতার কথা বলে।
মাটি দিয়া বানাইল পুতুল,
সে হইল দেবতা।
তারে আবার করে পূজা।
আপন মায়ের খবর নাই! পুতুলেরে মা ডাকে।
এই সব মাতাল সহজে কি কুরআন পাক এর মতো গ্রন্থ পরেই বুঝে ফেলবে?
কি করেই বা একেশ্বরবাদী মুহাম্মাদের (সঃ) উপরে বিশ্বাস আনবে।
কঠিন, কঠিন, অনেক কঠিন।
আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুক, অথবা ধ্বংস করুক।
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করলে এরা একদিন হয়তো নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে।
@আহ্বানকারী,
আপনি যে হজরত মহাউন্মাদের যোগ্য শিষ্য তা আপনার এ মন্তব্য থেকে অতি পরিষ্কার।
মুহাম্মদের সময় কে কে নাস্তিক ছিলেন? নাকি ইসলাম ধর্মের বাইরের সকলকে নাস্তিক বলে মনে করেন?
মুহাম্মদের মদিনায় পালানোকে স্মরণীয় করে রাখতেই কি এ হিজরি সাল? জানোয়ারের পূজা কেডা করে? মুক্তচিন্তকরা কারো পূজা করে না।
খাদিজা বেশ প্রভাবশালী মহিলা ছিলেন। তাই তার জীবদ্দশায় মুহাম্মদের আরেকটি বিয়ে সম্ভব ছিল না। আর খাদিজার ধন-সম্পদটাও একটা ব্যাপার ছিল। খাদিজার মৃত্যুর পর বুড়োকালে মুহাম্মদ দেখিয়ে দিলেন তিনি আসলেই মহাউন্মাদ।
কেডা কইছে? মুহাম্মদের প্রকৃত জীবনী জানার চেষ্টা করেন তো।
@আহ্বানকারী,
খাদিজা বেচে থাকতে মোহাম্মদ বিয়ে করার সাহস করেনি। আপনি যদি আপনার বউ এর টাকায় জীবন ধারন করেন, তার সামনে আর একটা বউ ঘরে তুলতে পারবেন ? লাথি দিয়ে আপনার বিচি ফাটিয়ে আপনার বউ আপনাকে ঘর থেকে বের করে দেবে, বুঝেছেন? মোহাম্মদ তো খাদিজার টাকায় জীবন ধারন করত। এখন বোঝেন কেন খাদিজা বেচে থাকতে তিনি বিয়ে করেন নি। মনে রাখবেন, খাদিজা যখন মারা যায় মোহাম্মদ তখনও অসহায় এক মানুষ ছিলেন মক্কাতে যাকে জীবন বাচাতে খাদিজার ওপর সম্পূর্ন নির্ভর করতে হতো। আর মোহাম্মদ যখন মদিনার নেতা বা রাজা বনে গেলেন, ওদিকে খাদিজাও অক্কা পেল, তখন তার সামনে অবাধ সুযোগ বিয়ে করার। যুবক বয়েসে বিগত যৌবনা খাদিজাকে বিয়ে করে মনের সুখ মেটে নি। তাই প্রৌঢ় বয়েসে এসে একের পর এর মেয়ে ও নাতনীর বয়সী মেয়েদেরকে বিয়ে করতে থাকেন ও ১০ বছরে ১২ টা বিয়ে করেন। জঘন্যতম কাজটি তিনি করেন ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করে। এ না হলে আল্লাহর নবী হয় কেমনে ?এটাকে বলছেন আপনি অসহায় মেয়েদের তিনি মর্যাদার জীবন দিয়েছিলেন ?আবু বকরের মেয়ে আয়শা খুব অসহায়া ছিল বুঝি ? আর একটা জঘন্য কাজ তিনি করেন তার পালিত পূত্র জায়েদের বউ জয়নাবকে বিয়ে করে। এ বিয়ে করার জন্য মোহাম্মদ কোরানের ওহী পর্যন্ত নাজিল করে যাতে জায়েদ বাধ্য হয় জয়নাবকে তালাক দিতে। পৃথিবীর কোন সভ্য বাপ তার পালক পূত্রের বউকে বিয়ে করতে এমন প্রতারনা করেছে যেটা করেছে আল্লাহর পেয়ারা নবী মোহাম্মদ ? শুধু কি তাই , কোরানের বানীর নামে মোহাম্মদ যত খুশী বিয়ে করার লাইসেন্স নিয়েছে, এটা বোধ হয় তার চরিত্রের অতি মহত্বের পরিচয় বহন করে ? ক্ষমতাবান ও ধনী লোকদের অনেকে মেয়েই বিয়ে করতে চায়, আর তাই ক্ষমতাবানদের উচিৎ একের পর এক বিয়ে করে যাওয়া , আর এটাকেই আপনি বলছেন নারীদের মর্যাদা প্রদান করা ? কেন দেখেন নি এরশাদ সাহেবের বউ থাকতেও কতজন তাকে বিয়ে করেছে বা করতে চেয়েছে ? মেয়েরা চাইলেই নবী মোহাম্মদকে একের পর এক বিয়ে করতে হবে নাকি ? এটা কি তার চরিত্রকে মহিমান্বিত করে নাকি ? তিনি বললেই তো কত সাহাবী সেসব নারীকে বিয়ে করতে পারত ? মক্কা মদিনার সব অসহায় নারী যদি চাইত সবাইতে কি মোহাম্মদ বিয়ে করত নাকি ? আপনাদের মত ব্রেন ডেড মানুষরা যতদিন থাকবে , আমাদের মত অনুন্নত দেশের মানুষগুলোর ততদিন কোন উন্নতি বা মুক্তি নেই।
@আহ্বানকারী,
কোরান ইউনিভার্সিটির বই হওয়া তো দুরের কথা প্রাইমারী লেভেলের বই ও না। আপনি মনে হয় কোরান নিজের মাতৃভাষায় পড়েন নি। না পড়ে থাকলে আজই একটা বাংলা বা ইংরেজী তর্জমা কিনে পড়ে ফেলুন , তার পর মন্তব্য করুন।
@ভবঘুরে,
আহ্বানকারীর বাংলা পড়ার জ্ঞান আছে বলে তো মনে হয় না। আপনি উনাকে আবার ইংরেজি তর্জমা পড়তে বলছেন ! :lotpot:
@আহ্বানকারী,
কোরানে বলা হয়েছে কোরান বোধগম্য করে নাজিল করা হয়েছে।মহাজ্ঞানী ছাড়া অন্য কেউ যদি কোরান বুঝতে না পাড়ে তাহলে কোরান নাজিলের মানে কী? কোরান যদি আল্লার বাণী হয়ে থাকে এখানে মোহাম্মদের কৃতিত্ব কী? সংবাদ পৌঁছানোর কাজটি তো যেকেউ করতে পারে।
তিনি খাদিজাকে বিয়ে। করেছিলেন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য।একসময় তার কর্মচারীও ছিলেন।তাই খাদিজার জীবদ্দশায় আরো বিয়ে করে সবকিছু থেকে বঞ্চিত হবার মত অদূরদর্শী তিনি ছিলেননা।
কোরানে বার বার গনীমতের মালের লোভ জেহাদীদেরকে কেন দেখানো হয়েছে তিনি যদি লুটেরা না হন?
গাধা,উন্মাদ,মূর্খ বিশেষণে কাকে বিশেষিত করা হয়েছে? এ বিশেষণ গুলো যারা সুরা ও হুরীর লোভে যুক্তি-প্রমানহীন, ভিত্তিহীন,অবৈজ্ঞানিক,অমানবিক ও হাস্যকর প্রলাপে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে তাদের জন্য প্রযোজ্য নাকি যারা সত্যানুসন্ধানী ,যুক্তিবাদী ও মানবিক তাদের জন্য?
মূর্তি পূজক কাকে বলা হয়েছে? মুক্তমনায় কোন মূর্তি পূজক আছে বলে তো জানতামনা।লেখাটি লিখেছেন ভবঘুরে তিনি মূর্তিপুজক বলে জানা ছিলনা।
@আহ্বানকারী,
বলেন কী? বলুন আল্লাহর কপাল ভাল যে আমরা তার মনের সাধ পূর্ণ করছি। আমরা না থাকলে আল্লাহর মানুষ দিয়ে দোজখ ভর্তির খায়েশ অপূর্ণই থেকে যেতো।
@আকাশ মালিক,
নবীজিও দোজখে যেতে পারেন শিশু ধর্ষনের অপরাধে।
@তামান্না ঝুমু,
যেতে পারে কি বলছেন? যদি সত্যি সত্যি দোজখ বলে কিছু থেকে থাকে ইতোমধ্যেই তিনি সেখানে বসে আছেন আর আগুনে পুড়ছেন। কারন ৯ বছরের আয়েশার সাথে তিনি ৫৪ বছর বয়েসে সেক্স করেন যা শিশুকে ধর্ষণের অপরাধের শামিল যদিও সেটা বিবাহ সম্পর্কিত ছিল। বিবাহিত নর নারীর সেক্স অবৈধ নয় , তবে তাদের উভয়ের শারিরীক ও মানসিক পরিপক্কতা থাকতে হবে, আর ৯ বছর বয়সে কোন মেয়ে পরিপক্ক হয় না। অবশ্য দুষ্ট প্রকৃতির ইসলামী পন্ডিতরা যুক্তি দেয়- আয়শা ঐ বয়েসেই পরিপক্ক হয়ে যায় আল্লাহর বিশেষ আশীর্বাদে। অনেকে অবশ্য আবার সেটাকে বিশ্বাস করে না , তারা নানা রকম তথ্য উপাত্ত হাজির করে প্রমান করতে চায় আয়শাকে যখন মোহাম্মদ বিয়ে করে তখন নাকি তার বয়স কম পক্ষে ১৭ ছিল। যাহোক, দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের স্বভাব হলো- সবাই যেন তাদেরকে অনুসরন করে বা তাদের সাথী হয়। মোহাম্মদও ঠিক সেই কাজটি করে গেছেন। তিনি নিজে ভালই জানতেন কি তিনি করছেন বা করে গেছেন দুনিয়াতে। দোজখে যাতে একা একা কষ্ট করতে না হয়, সে ব্যবস্থাই করে গেছেন তিনি অত্যন্ত দক্ষ ভাবে। আবেগ প্রবন পাবলিক তা এখনও বুঝে উঠতে পারছে না।
@আহ্বানকারী,
ভাই, আপনি একদম জায়গা মত আইস্যা পড়ছেন। মুক্তমনায় এ যাবৎ কালের দেখা সেরা কমেন্ট। :guli:
আপনি এক কাজ করেন, আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে কোরানের ব্যাপারে আপনি বিশেষজ্ঞ হলেও হতে পারেন। তো আমরা যারা কোরান পড়ে বুঝিনি, তাদের উদ্দেশ্যে কোরানের কিছু সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করুন, আমরা ধন্য হই, দলে দলে আস্তিক হই। যেটা করতে পারেন – আকাশ মালিক নামের একজন কি এক বই লিখেছেন কোরানের উলটাপালটা ব্যাখ্যা করে। আপনি একে একে সেই বইয়ের ভুলগুলো ধরিয়ে দিন। তাহলে আর কেউ না হোক আমি আপনার দলে যোগদান করবো। আজই কাজে নেমে পড়ুন।
@স্বাধীন,
আমিও আছি আপনার সঙ্গে।
@আহ্বানকারী,
বেশ ভাল লাগলো আপানার ভিন্ন জাতের টিপ্পনি।
নবিজী্র সম্বন্ধে অন্য ধরনের টিপ্পনি করব না। আমি তাঁকে একজন রাজনীতির ্লোক ছাড়া আর কিছুই মনে করিনা যে মানুষটি তাঁর ধুরন্ধর বুদ্ধিবলে নিজের নামকে অক্ষয় করে রেখে গেছেন। সমাজ কি পেল আর কি পেল না – এই চিন্তা ব্যতিরেকে বলি – এর থেকে পৃথীবিতে একজন অশিক্ষিত মানুষের আর কি চাওয়া থাকতে পারে।:-)
মধ্য প্রাচ্যের লোকেরা প্রাক-নবিজী্র কালেও যেমন বর্বর ছিল, এখনও প্রায় তাইই। নিশকষ মরুভুমি তাহাদের সমস্ত রকমের দার্রশনিক চিন্তা থেকে বিরত রেখেছে।
আগুন পুজা মানে কি বোঝাতে চাইছেন? যজ্ঞ?
পূজা কথাটির মানে হোল ভালবাসা এবং শ্র্রদ্ধা নিবেদন।
লিংগ পুজা ? সবাই এটা করে। কেউ রাতে করে কেউ দিনে করে। কেউ ভাল বেসে শ্রদ্ধা ভরে চুম্বন করে অন্য লোকজনের অগোচরে , আবার কেউ ভালবেসে সিমবো্লিক হিসেবে দিনে পুজা করে। এই দুই পুজার মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
মাটি পূজা মানে ভূমিপুজা বুঝাতে চাইছেন? এই পূজা তো আপনিও করেন। এই ভূমির জন্যইত এত সব রক্তের বন্যা বয়ে গেছে আমাদের এই বিশ্বে।
এই এক খণ্ডো ভুমির জন্যইতো ১৯৭১ হলো। যে ভুমি আপনাকে শস্য দানা দিল তার উপর না হয় একদিন আপানি দুটো ফুল ছিটিয়ে দিলেন তার প্রশস্তি গেয়ে। আরোবিরা না হয় এগুলি বোঝে না কারন তাহারা মরুভুমির মানূষ। অত সব দর্শন-টর্শন তাদের মাথায় আসেনা। কটা দার্শনিকের জন্ম মরুভুমিতে হয়েছে নবিজী পরবর্তি কালে?
এই সিম্বলিক দর্শনটি মানুষ কে ভুমি সংরক্ষণের উপজোগিতা সম্বন্ধে সজাগ করে।
গরু পূজা?
যে গরু আপনাকে দুধ দিয়ে বাঁচালো, আপনার জমি কষর্ণ করে দিল, গোবর দিলো আপানার জ্বালানি হিসাবে, মৃত্যুর পর যার চামড়া দিয়ে আপনি জুতাও বানালেন। এই জীবটিকে কেটে খেতে মরুভুমির লোকদের বাধত না। কারন দুইটিঃ এক- খাদ্যের অভাব ছিল। দুই- মরুভুমির লোকেরা প্রাকৃতিক কারনে কম দয়া মায়ার অধিকারী। এখনও তাই।
এই জীবটিকে তার বৃদ্ধ বয়সে কেটে না খেয়ে, না হয় এক্দিন তাকে পানিতে গোছল করিয়ে তার গলায় একটা ফুলের মালা চড়ালেন ও তার গুণগান গাইলেন ।
আজাকাল ত মানুষ কত কিছুরই দিবস পালন করে। মাতা দিবস, বৃক্ষ দিবস, ইত্যাদি। না হয় আমারা একদিন গরু দিবস পালন করলাম। এটাকে গরু পুজা বলেন বা গরু দিবস বলেন তা আপনার ব্যাপার।
লেংটা মেয়েও পূজা – আরে এটাতো বর্তমানেও চালু আছে। কোনো না কোনো ভাবে সব ধর্মের লোকেরা করছে।:))
হাতি পুজা? এটা মাইথোলজি।
মুক্তমনায় আরও মন্তব্য করুন।
@সেন্টু টিকাদার,
একদম চড়মারা জবাব। শুধু - লেংটা মেয়েও পূজা- এর জবাবে বলছি, এটা না হলে আপনার আমার কারোরই জন্ম হতো না।
@সেন্টু টিকাদার,
আমি আমার আগের মন্তব্যটি আহ্বানকারীর উদ্দেশ্যে করেছি। :-Y
@আহ্বানকারী,
আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুক, অথবা ধ্বংস করুক।
এক মতের না হলেই কি ধ্বংস কামনা করতে হবে ৷
@শুভ্র,
আপনি জানেন না বুঝি? এটাই তো সাচ্চা মুসলমানের কাজ। শুধু ধ্বংস কামনা নয়, ক্ষমতা আর সুযোগ থাকলে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করার জন্য আল্লাহ এসব সাচ্চা মুসলমানদেরকে বলে দিয়েছে।
@আহ্বানকারী,
কোরানে বলা হয়েছে আল্লাহ মানুষ ও জীন জাতি সৃষ্টি করেছেন শুধু তার এবাদতের জন্য।এবাদত মানে গুণগান।আল্লাহ এতো তোষামোদ প্রিয় কেন?আপনার মন্তব্যে হিন্দু ধর্মের অনেক বর্বরতার কথা দেখতে পাই।ইসলাম ধর্মও কিন্তু কম বর্বর নয়।হাত কাটা,দোররআ মারা,দাসী সম্ভোগ,যুদ্ধবন্দিনী সম্ভোগ, স্ত্রঈ প্রহারের নির্দেশ ইত্যাদি কোরানের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে।আর এখানে তো হিন্দু ধর্মের পক্ষে কেউ কথা বলছেনা।
ইসলাম নারীকে সম্পদের অধিকার দিয়েছে পুরুষের অর্ধেক।আর তা হচ্ছে অন্যান্য ধর্মের তুলনায় “নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল”র মত।
এই লাইনটি কোরানের আয়াতের মত।আল্লার ভাষা ও এ রকম।গজব পড়ুক,ধ্বংস হোক,জাহান্নামে যাক,পূঁজ খাক ,চাঁদের কসম,সূর্যের কসম ইত্যাদি ধ্বংসাত্নক ও হাস্যকর কামনা বাসনাগুলো আল্লার।
@তামান্না ঝুমু,নবীজী স: দুরন্ধর না ভালো সে বিষয়ে একটু পরে আসি।ইসলাম এর নারী নীতি সম্পর্কে আগে জানুন পরে মন্তব্য করুন। মেয়েরা ছেলেদের থেকে সম্পত্তি কম পাবে এটা এ রকম কোনো আইন তো ইসলাম এ নাই ই বরং মেয়েদের যে অর্থনঐতিক স্বাধীনতা দিয়েছে তা আজ পর্যন্ত কেউ তো নয়ই বর্তমান নারী নীতিতেও নেই। একটু কষ্ট করে জানার চেষ্টা করুন। ইসলাম নারীদের কানা মামা নাকি তীক্ষন দ্রিষ্টি সম্পন্ন মামা দিয়েছে।ব্যর্থ হলে আমার দারস্হ হইয়েন ব্যখ্যা করব।
@উপাধী,
কোরান পড়ে দেখুন, সুরা নিসা, আয়াত ১১ (৪ঃ১১) এক পুত্র পাবে দুই কন্যার সমান।
ইসলাম নারীকে মুক্তি দিয়েছে যেমন,
নারীকে কখনো স্বাবলম্বী হতে বলা হয়নি।সব সময় গৃহকোণে থাকুতে বলা হয়েছে।স্বামীকে বলা হয়েছে স্ত্রঈকে প্রহার করতে। সাক্ষীর ক্ষেত্রে একজন পুরুষের জায়গায় দুজন নারী।দাসীদেরকে মনিবদের সম্ভোগের জন্য বৈধ করা হয়েছে।নারী ঈমামতি করতে পারবেনা। নারী রাষ্ট্রঅপ্রধান হতে পারবেনা।
নারী জানাজার নামাজে অংশ নিতে পারবেনা।সুরা নিসা, আয়াত ৩৪(৪ঃ৩৪)
পুরুষ নারীদের উপর অধিকর্তা কারণ আল্ললাহ একের উপর অন্যকে বৈশিষ্ট দিয়েছেন এবং পুরুষ নারীর জন্য অর্থ ব্যয় করে।পুরুষদেরকে পরকালের পুরষ্কার হিহাবে হুর ও মদের লোভ দেখানো হয়েছে।আবার সমকামী পুরুষদের জন্য গেলমানও রয়েছে।
আমি হাদিস কোরান ভাল ভাবে পড়ে ইসলাম সম্মন্ধে কথা বলছি।আপনার দ্বারস্থ হবার প্রয়োজন দেখছিনা।
@আহ্বানকারী,
আরে ভাই ঐ মূর্খদের কথা বাদ দেন, জাহান্নামে যাক মূর্খের দল। আপনি আমাকে জরুরী ভিত্তিতে বলেন, আমার দয়াল নবী খাদিজা, সওদা, আয়েশা , হাফসা, জয়নাব বিনতে খোজাইমা, উম্মে সালমা , জয়নাব বিনতে জাহাশ (, উম্মে হাবিবা ( রামালা বিনতে আবু সুফিয়ান), ময়মুনা ও ম্যারিয়া কিবতিয়াকে কোন্ লড়াইয়ের ময়দান থেকে উঠিয়ে এনে পুনর্বাসন দিয়েছিলেন।
অনাহারে- অর্ধাহারে থেকে এই গরীবি অবস্থায়ও ১৩/১৪টা নারীকে বিয়ের দায়ীত্ব আল্লায় তার উপর দিয়েছিলেন, আহারে কষ্ট।
@আকাশ মালিক,
অন্য কিছু না হোক, বাংলাদেশের গরীব ফকির মিসকিন সম্প্রদায়ের মানুষ নবিজীর এ সুন্নাহ টা খুব আন্তরিকভাবে পালন করার চেষ্টা করে। ঢাকার বস্তি অঞ্চলে একটা জরীপ চালালে দেখা যাবে এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বস্তিবাসী দুই বা তিন বিয়ে করেছে। এসব আসলে আল্লাহর ইচ্ছা।
“বিসমিল্লায় গলদ” বলে একটা ব্যাপার আছে। সেটার উৎসটা এতদিনে পরিষ্কার হলো 🙂
ভবঘুরে, আপনি এসব কী লিখেছেন? আস্তাগফেরুল্লা(!) নাউজুবিল্লা(!!) ইমান আনেন ভাই, ইমানেই মুক্তি(!?)।
চালিয়ে যান ভাই, আমি যেন আরো বেশি বেশি নাউজুবিল্লা, আস্তাগফেরুল্লা বলতে পারি(!)
(F) (W) (F)
কোন সুবিধাবাদী পাবলিশার এই লেখাটা দেখলে, নেক্সটা কোরান ছাপানোর সময় সব ঠিক করে ফেলবেন। এতে অবশ্য সমস্যাই হবে।
আপনাদের ইদানীং-কার কিছু লেখা পড়লে পর্ণোগ্রাফীর কোন সাইট বলে মনে হয়।
@তারিক,
মুহাম্মদের জীবন নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করলে এগুলোই বেরোয়। পৃথিবীর দেড় শতাধিক মানুষ তাকে আদর্শ বলে মনে করে। মুহাম্মদের ভুতকে মানুষের মাথা থেকে নামাতে হলে এগুলো নিয়ে আসা দরকার।
@তারিক,
নবীজির বাস্তব জীবন তো মনে হয় পর্নোগ্রাফীকেও হার মানাবে। তিনি ১৩ টা বিয়ে করেন, ১২ টা দাসী ছিল যৌন চাহিদা মেটানোর। এক সাথে তার ৯ টা স্ত্রী বেচে ছিল আর তাদের সাথে পালাক্রমে যৌন ক্রিড়া করতেন, অতিরিক্ত হিসাবে দাসী তো ছিলই। আমার তো মনে হয় না কোন পর্নো সাইটের প্লে বয় নায়কের এতগুলো গার্লফ্রেন্ড থাকে সেক্স করার জন্য। মুসকিল হলো- আমরা খালি নবীজির মহত্বের কথা শুনি, কিন্তু ব্যাক্তি জীবনে এতসব নারী নিয়ে অবাধ ফুর্তি করেছেন তা কেউ কখনো ভুলেও প্রচার করে না। শুধু কি তাই ? নবী যাতে অবাধে যখন তখন যাকেই পছন্দ হবে তাকে বিয়ে করে ফুর্তি করতে পারেন তার জন্য তিনি কোরানের বানী পর্যন্ত নাজিল করেছিলেন। আপনি কি জানেন সে আয়াত ? আল্লাহ তাকে যৌন লীলা করার অবাধ লাইসেন্স দিয়েছিলেন। আহা, সর্বশ্রেষ্ট আর সর্বশেষ নবী বলে কথা! আর কোন নবী তো আর আসবে না পরে, তাই যাবতীয় ফুর্তির চুড়ান্ত রকম ব্যবস্থা আল্লাহ আমাদের প্রান প্রিয় নবীর জন্য করতে কোন কসুর করেন নি।
আপনার ধারণা একেবারে মিথ্যে নয়। তবে, চিন্তা করুন—
নবিজি যখন অহী পেতেন তখন তাঁকে মৃগী রোগীর খিঁচুনী ধরত বলা যেতে পারে। কারণ আমি উপরে যে হাদিস দিয়েছি সেই ধরণের আরও অনেক ঘটনার হাদিস পাওয়া যায়। এই সব হাদিস একেবারেই উড়িয়ে দেবার মত নয়। সবগুলোই সহিহ্–তার মানে এই হাদিস সন্দেহের উপরে।
তবে নবীজি যখন লুট তরাজ চালাতেন, মানুষ হত্যা করতেন, গনহত্যা চালাতেন, নারী উপভোগ করতেন, কাউকে ধোঁকা দিতেন, যুদ্ধ পরিচালনা করতেন–তখন তা সজ্ঞানেই করতে। মৃগী রোগের খিঁচুনী তখন তাঁকে ধরত না। কারণ, এই সময় মৃগী রোগে ধরলে উনার পক্ষে ঐ সব ইসলামী ক্রিয়া কলাপ করা সম্ভব হত না।
এই সব দেখে মনে হয় নবীজির ছিল দুই সত্বা।
@আবুল কাশেম,
বিষয়টা আসলে এরকম। যাদের মৃগী রোগ আছে তারা স্বাভাবিক ভাবে তো সুস্থ মানুষ। হঠাৎ হঠাৎ করে তাদের ওপর রোগটা আক্রমন করে ও তখন তাদের নানা রকম অদ্ভুত লক্ষন প্রকাশ পায়। যেমন- আবোল তাবোল বকা, শরীরে খিচুনী, চক্ষু রক্ত বর্ণ হওয়া, আধি ভৌতিক জিনিস দেখা, সামঞ্জস্যহীন কিন্তু আধি ভৌতিক কথা বার্তা বলা, ঝিম মেরে পড়ে থাকা এসব। তবে বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে লক্ষনের ভিন্নতা দেখা যায়। কেউ কেউ অজ্ঞান ও হয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পর আবার তারা সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। তখন তারা সুস্থ স্বাভাবিক কথা বার্তা বলে। এধরনের রোগী দেখেনি এমন কেউ আছে নাকি ? সমস্ত ধর্মের প্রবক্তারা কম বেশী এ ধরনের রোগের শিকার। হিন্দুদের রাম কৃষ্ণ পরমহংস দেব তার একটা উজ্জ্বল নমুনা। তিনি নাকি মাঝে মাঝে কালি দর্শন করতেন ও উন্মাদের ন্যয় আচরন করতেন। আসলে উন্মাদনার সময়ই তিনি কালি দর্শন করতেন। এটা তো স্রেফ মৃগী রোগের লক্ষন। সাধারন মৃগী রোগীর সাথে এদের তফাৎ হলো- সাধারন মানুষরা ধর্মীয় বিষয়ের বাইরের জিনিস নিয়ে কথা বলে, আর এরা সেটা ধর্মকে জুড়ে দিয়ে করে। সেকারনেই তারা ফিরিস্তা বা দেব দেবীর দেখা পায়। সাধারন মানুষও এসব বিশ্বাস করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকে। যেকারনে খুব দ্রুত এদের গ্রহন যোগ্যতা বেড়ে যায়। কিন্তু কোন উন্নত সমাজে এদেরকে স্রেফ মৃগী রোগী হিসাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হতো। যেটা আমাদের মত দেশে করা হয় না। সে কারনেই পীর ,ফকির, সাধু বাবা, অবতার এসবের প্রকোপ আমাদের মত অনুন্নত দেশে বেশী । এখন বোঝাই যায় যে এরা এক একটা মৃগী রোগী ছাড়া আর কিছু নয়।
@ভবঘুরে, [জ্ঞান কাহাকে বলে? প্রতিমাপূজা ]
মাস্টার — আজ্ঞা ভাল, কিন্তু অজ্ঞান।
শ্রীরামকৃষ্ণ (বিরক্ত হইয়া) — আর তুমি জ্ঞানী?
তিনি জ্ঞান কাহাকে বলে, অজ্ঞান কাহাকে বলে, এখনও জানেন না। এখনও পর্যন্ত জানিতেন যে, লেখাপড়া শিখিলে ও বই পড়িতে পারিলে জ্ঞান হয়। এই ভ্রম পরে দূর হইয়াছিল। তখন শুনিলেন যে, ঈশ্বরকে জানার নাম জ্ঞান, ঈশ্বরকে না জানার নামই অজ্ঞান। ঠাকুর বলিলেন, “তুমি কি জ্ঞানী!” মাস্টারের অহঙ্কারে আবার বিশেষ আঘাত লাগিল।
শ্রীরামকৃষ্ণ — আচ্ছা, তোমার ‘সাকারে’ বিশ্বাস, না ‘নিরাকারে’?
মাস্টার (অবাক্ হইয়া স্বগত) — সাকারে বিশ্বাস থাকলে কি নিরাকারে বিশ্বাস হয়? ঈশ্বর নিরাকার, এ-বিশ্বাস থাকিলে ঈশ্বর সাকার এ-বিশ্বাস কি হইতে পারে? বিরুদ্ধ অবস্থা দুটাই কি সত্য হইতে পারে? সাদা জিনিস — দুধ, কি আবার কালো হতে পারে?
মাস্টার — আজ্ঞা, নিরাকার — আমার এইটি ভাল লাগে।
শ্রীরামকৃষ্ণ — তা বেশ। একটাতে বিশ্বাস থাকলেই হল। নিরাকারে বিশ্বাস, তাতো ভালই। তবে এ-বুদ্ধি করো না যে, এইটি কেবল সত্য আর সব মিথ্যা। এইটি জেনো যে, নিরাকারও সত্য আবার সাকারও সত্য। তোমার যেটি বিশ্বাস, সেইটিই ধরে থাকবে।
মাস্টার দুইই সত্য এই কথা বারবার শুনিয়া অবাক্ হইয়া রহিলেন। এ-কথা তো তাঁহার পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে নাই।
তাঁহার অহঙ্কার তৃতীয়বার চূর্ণ হইতে লাগিল। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয় নাই। তাই আবার একটু তর্ক করিতে অগ্রসর হইলেন।
মাস্টার — আজ্ঞা, তিনি সাকার, এ-বিশ্বাস যেন হল! কিন্তু মাটির প্রতিমা তিনি তো নন —
শ্রীরামকৃষ্ণ — মাটি কেন গো! চিন্ময়ী প্রতিমা।
মাস্টার ‘চিন্ময়ী প্রতিমা’ বুঝিতে পারিলেন না। বলিলেন, আচ্ছা, যারা মাটির প্রতিমা পূজা করে, তাদের তো বুঝিয়ে দেওয়া উচিত যে, মাটির প্রতিমা ঈশ্বর নয়, আর প্রতিমার সম্মুখে ঈশ্বরকে উদ্দেশ করে পূজা করা উচিত।
[লেকচার (Lecture) ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ]
শ্রীরামকৃষ্ণ (বিরক্ত হইয়া) — তোমাদের কলকাতার লোকের ওই এক! কেবল লেকচার দেওয়া, আর বুঝিয়ে দেওয়া! আপনাকে কে বোঝায় তার ঠিক নাই।! তুমি বুঝাবার কে? যাঁর জগৎ, তিনি বুঝাবেন। যিনি এই জগৎ করেছেন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষ, জীবজন্তু করেছেন; জীবজন্তুদের খাবার উপায়, পালন করবার জন্য মা-বাপ করেছেন, মা-বাপের স্নেহ করেছেন তিনিই বুঝাবেন। তিনি এত উপায় করেছেন, আর এ-উপায় করবেন না? যদি বুঝাবার দরকার হয় তিনিই বুঝাবেন। তিনি তো অন্তর্যামী। যদি ওই মাটির প্রতিমাপূজা করাতে কিছু ভুল হয়ে থাকে, তিনি কি জানেন না — তাঁকেই ডাকা হচ্ছে? তিনি ওই পূজাতেই সন্তুষ্ট হন। তোমার ওর জন্য মাথা ব্যথা কেন? তুমি নিজের যাতে জ্ঞান হয়, ভক্তি হয়, তার চেষ্টা কর।
এইবার তাঁহার অহঙ্কার বোধ হয় একেবারে চূর্ণ হইল।
তিনি ভাবিতে লাগিলেন, ইনি যা বলেছেন তাতো ঠিক! আমার বুঝাতে যাবার কি দরকার! আমি কি ঈশ্বরকে জেনেছি — না আমার তাঁর উপর ভক্তি হয়েছে! “আপনি শুতে স্থান পায় না, শঙ্করাকে ডাকে!” জানি না, শুনি না, পরকে বুঝাতে যাওয়া বড়ই লজ্জার কথা ও হীনবুদ্ধির কাজ! একি অঙ্কশাস্ত্র, না ইতিহাস, না সাহিত্য যে পরকে বুঝাব! এ-যে ঈশ্বরতত্ত্ব। ইনি যা বলছেন, মনে বেশ লাগছে।
কথাম্রিত থেকে নেয়া
@শেসাদ্রি শেখর বাগচী,
কি লিখেছেন এসব?
কোরান সংরক্ষন ওসমান করেছিলেন। তাহলে ওসমান কি আল্লার অবতার? আমার মনে হয় নবী রাসুলেরা কেউই হিস্টিরিয়া বা এপিলেপ্সি রোগে আক্রান্ত ছিলেননা। তারা সজ্ঞানে সুপরিকল্পিত ভাবে মানুষকে ধোঁকা দিয়াছেন।
মোহাম্মদ, আল্লাহ ও তাদের অনুসারীদের দাবি অনুযায়ী কোরান যদি এত বড়
বিজ্ঞান হয়ে থাকে তাহলে কোরানের কোথাও কিভাবে কাগজ বানাতে হবে তা লিখা নেই কেন?আল্লার মহামূল্যবান বাণীগুলো খেজুর পাতায় লিখতে হয়েছে কেন?
সে চেয়ারটি ছিল কোন গ্রহ বা উপগ্রহ আর জিব্রাইল ছিল সে ভিন গ্রহের বাসিন্দা এলিয়েন।:lotpot:
@তামান্না ঝুমু,
চেয়ারটি স্পেসশীপ হলেই তো মানায় ভালো। হয়তো অতি শীঘ্রই কোন ইসলামী চিন্তাবিদ আবিস্কার করবে যে জিব্রাইল এমন মহাশূন্য যানে চেপে যাতায়াত করত যা আলোর গতির বহুগুন(লক্ষ কোটি বা তারও বেশী) গতিতে চলতে সক্ষম।
শুরুটাতেই থলের বেড়াল বাইরে; এই রকম বেসিক যুক্তির চড়েই তো অজ্ঞান মুসলমানের জ্ঞানপ্রদিপ জ্বলে ওঠার কথা। কিন্তু ঐ যে জ্ঞানপাপী, নামে আধুনিক মুসলমানের কথা হোল “বিচার আচার সবই মানি কিন্তু তালগাছটা আমার”, ওরা শান্তি পায় বিশ্বাসে।
অনেক অনেক সরাসরি, যৌক্তিক আর গ্রহণযোগ্য ধরনের ভালো হয়েছে।
অনেক গুলি (F) আর :clap
@কাজী রহমান,
এটাই তো আমার ভাবতে আশ্চর্য লাগে। কোরাণের শুরুটাই তো গোজামিল দিয়ে। যে কেউ একটু মনযোগ দিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবে সূরা ফাতিহা কোন ক্রমেই আল্লাহর বানী নয়, হতে পারে না।
@ভবঘুরে,
হ্যাঁ গোঁজামিল আর মহাম্মদি স্বার্থ রক্ষা হয় এমন আজগুবি বক্তব্যে ভরপুর এই পাক কিতাব। কিন্তু কে রাখবে প্রশ্ন এটাতে। ঐ কিতাবে ঘপলা খুঁজলে মহাপাপ। অজু ছাড়া ওটি স্পর্শ নিষেধ। আল্লা হ, মহাম্মাদ বা কোরানে কোন জিজ্ঞাসা আনলেই ভয়ানক গুনাহ। চিন্তা চেতনা কাজে ভাবনায় কোথাও সংশয় আনা যাবে না। মুসলমান তাই ভয়ের চোটেই সংশয়হীন।
@কাজী রহমান,
এক সময় খৃষ্টানদের বাইবেল নিয়েও এ ক্যারিকেচার ছিল। কিন্তু এক সময় তার অবসান ঘটে। এ অবসান ঘটানোর জন্য বেশ কিছু জ্ঞানী গুনী ও সাধারন মুক্ত বুদ্ধির লোককে অঘোরে প্রান দিতে হয়। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে অঘোরে প্রান যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই তিরোহিত। সেকারনেই মানুষ মন খুলে তাদের মুক্ত চিন্তা চেতনার বহি: প্রকাশ ঘটাচ্ছে। মোল্লা মৌলবিরা চ্যলেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা যতই কিতাবের মধ্যে বিজ্ঞান খুজে পাক না কেন, সময়েই সব জারি জুরি ফাঁস হয়ে যাবে, সাধারন মানুষ যা বোঝার বুঝে নেবে। সে জন্যে একটু সময় দরকার। খৃষ্টান ধর্মের যাতাকল থেকে বেরোতে কয়েক শ বছর লেগেছিল। তথ্য প্রযুক্তির যুগে শতকের বদলে কয়েক দশক লাগতে পারে। যা ইতোমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে।
@ভবঘুরে,
তথ্য প্রযুক্তির এই পর্যবেক্ষণটি কিন্তু বেশ কাজের। মুক্তি নিতে আর দিতে উৎসাহী যারা তারা নিজের আশপাশ থেকে শুরু করে পারেন। নিজ পরিবার, বন্ধু বান্ধব আর আশপাশের মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার অপেক্ষাকৃত সহজ বলেই আমার মনে হয়। বুদ্ধিমত্তা যোগে চেষ্টা জোরেশোরেই চলুক। (O)
হিন্দুরা যেমন গোমাতা পূজো করেন, তেমনই মুসলমানদের নবী গরু না গাধা ছিলেন, তাই দিয়ে তাদের বিশ্বাস টলবে না। ধর্মের ভিত্তি বিশ্বাস যা যুক্তি দিয়ে টসকানো মুশকিল। কোরান একবার কমন সেন্স নিয়ে পড়লেই বোঝা যায় এটি একটি মধ্যযুগের সংকলন। কিন্ত বিশ্বাসী মন কি তা মানবে?
“ধর্ম বিশ্বাস” ওভাবে টলবে না-১০-১৮ বছর একজন কিশোর কিশোরীর ফর্মেটিভ সময়। ঐ সময়টাতে বিজ্ঞানের বীজ, মুক্ত চিন্তার বীজ একজন কিশোরের মাথায় ঢোকাতে পারলে তবেই কাজ হবে।
কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান ছড়ানো জরুরী। বিজ্ঞানের ভিত দৃঢ় হলে, এই সব ধর্মের ভূত চলে যাবে। রায়হান বলে যে লোকটা পাতার ওপর পাতা বিবর্তনের বিরুদ্ধে লিখে চলেছে ধর্মের মোহে অন্ধ হয়ে-তার একটাই কারন। বিজ্ঞানের বেসিকটা স্কুল স্তরে যেটুকু পরিস্কার হওয়া দরকার ছিল তা নেই। এই বেসিকের অভাবে বিবর্তনা না জেনেও সে পাতার ওপর পাতা লিখে যেতে পারে। জাকির নায়েক বা রায়হানের মতন ছাগলদের উৎপত্তির একটাই কারন-বিজ্ঞান শিক্ষা এবং বিজ্ঞানের ভিত্তি দারুণ ভাবে দুর্বল। আমি এর আগে ১০ টা উত্তরে দেখিয়ে ছিলাম তার বিজ্ঞানে প্রাথমিক জ্ঞানটুকুই নেই যে কারন কোনটা যুক্তি আর কোনটা কুযুক্তি সেটাই বোঝে না।
সুতরাং এই সব করে ধর্মের কিছু হবে না। বাচ্চাদের জন্যে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রবন্ধ লিখলে অনেক কাজে দেবে।
এই ধরনের প্রবন্ধে কিছু হিন্দুকে ইসলাম কত খারাপ সেই ব্যাপারে উস্কে দেওয়া যায়-কিন্ত ব্যাপারটা সেই আলকাতরা নর্দমাকে বলে তুই কত কালো এই ব্যাপারটাই হবে।
জ্ঞান বিজ্ঞান যুক্তির বেসিকটা একজন বাচ্চার মধ্যে ঠিক করে দিলে, সে নিজেই কোরান ইসলাম হিন্দু ধর্ম কি বুঝে নেবে। ধর্মগ্রন্থগুলি এতই নিম্নমানের সাহিত্য এবং জ্ঞান, ওই বেসিকটা জানলে- যেকেও নিজেই বুঝে যাবে ধর্মটা কি। এই আত্মউপলদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। জোর করে উপলদ্ধিটা না চাপানোই ভাল।
@বিপ্লব পাল,
জ্ঞান বিজ্ঞান সেই ছোট বেলা থেকে পড়েই কিন্তু অবশেষে অনেকে ফ্যানাটিক হয়ে গেছে কাজের কাজ কিছুই হয় নি। বাংলাদেশে ইঞ্জিনীয়ার ও ডাক্তারদের মধ্যেই তাবলিগ জামাত বেশী। সুতরাং জ্ঞান বিজ্ঞানের পাশা পাশি ধর্ম ভিত্তিক যে সব আজগুবি কিচ্ছা কাহিনী আছে সেগুলোর আলোচনাও সমভাবে কার্যকর বলে আমার ধারনা। আর আমার ধারনা এ দ্বিতীয় পদ্ধতি বর্তমানে কাজ দিতে পারে বেশী।
@ভবঘুরে,
সদালাপ সাইটে স্বঘোষিত এবং সার্টিফায়েড জ্ঞানীগুনিদের কথা বলছেন? তাদের বিজ্ঞানের ভিত খুব দুর্বল। আমি ওদের যেকোন লেখাতে অজস্র বিজ্ঞান চিন্তার ভুল ধরাতে পারি।
@বিপ্লব পাল,
আরে না আমি ঐ সাইটে তেমন যাই না। সুতরাং ওখানে কি হয় না হয় তাও জানি না। মাঝে মাঝে গিয়ে দেখেছি কিছু সস্তা দরের লেখা ওখানে প্রকাশিত হয়। অনেকটা ফুটপাথে চটি বই এর মত। আমি বাস্তব থেকে বলেছি। আমার পরিচিত যত ডাক্তার বা ইঞ্জিনীয়ার আছে তার সিংহ ভাগই তাবলিগ জামাতের সদস্য। তারা তাদের পেশার বাইরে অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে নারাজ, তাদের সময়ও তেমন নেই মনে হয়। কাজ কর্মের চাপের বাইরে নামাজ রোজাতেই তারা শান্তি খুজে পায়। এ ধরনের লোকজন সহিংস না হলেও সমাজের অনেক ক্ষতি সাধন করে। তা হলো – সাধারন মানুষ যারা তাদের সংস্পর্শে যায় তারা এদের কর্তৃক প্রভাবিত হয়। আমাদের দেশে ডাক্তার বা ইঞ্জিনীয়ারদেরকে মেধাবী সম্প্রদায়ের লোক মনে করা হয়। সুতরাং তাদের আচরন ও বিশ্বাস সাধারন মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে বলে সাধারন মানুষ তাদের দ্বারা দারুনভাবে মানসিক ক্ষতির শিকার হয়।
@ভবঘুরে,
সার্টিফিকেট থাকলেই কেও বিজ্ঞান শেখে না। সদালাপের অনেক লেখকেরই পি এইচ ডি আছে। কিন্ত আদতে তাদের বিজ্ঞানের বেসিক জ্ঞান এবং বিশ্লেষন ক্ষমতা ক্লাশ টেনের বিজ্ঞান সচেতন ছেলেদের থেকেও কম। বিজ্ঞান সচেতনতা অন্যভাবে গড়ে ওঠে। আমি আবার বলছি-বিজ্ঞান সচেতনতা বাড়ানো দরকার। এই ধরনের আর্টিকেল লিখে লাভ নেই।
@ভবঘুরে,
আমার পরিচিত অনেক মেধাবী ছেলে মেয়ে আছে শিবিরের নেতা-নেত্রী।এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিজ্ঞ শিক্ষকও আছেন শিবিরের একনিষ্ঠ সেবক ও ছেলে মেয়েদেরকে শিবিরমুখী করার জন্য অনুপ্রেরণা দায়ক। আর তাবলীগ তো আছেই।সাধারণ কারো সাথে ইসলামের বর্বরতা নিয়ে কথা বলতে চাইলে তারা যথারীতি আস্তাগফেরুল্লাহ পড়তে পড়তে উচ্চ শিক্ষিত তাবলীগী ও শিবিরীদের উদাহরন দিয়ে থাকে। আমার মনোভাব আমি কোন আত্নীয় স্বজনের সাথে ভাগাভাগি করতে পারছিনা, আবার তাদের ক্ষতিকর ধর্মান্ধতাও মেনে নিতে পারছিনা।আমার কয়েকজন ঘনিষ্ট আত্নীয়কে আমি কোরানের অনুবাদ পড়ার জন্য অবিরাম অনুরোধ করে যাচ্ছি। তারা বলে,” কোরানের আবার অনুবাদ কিসের কোরান তো কোরান।”
@তামান্না ঝুমু,
একই অভিজ্ঞতা আমারও । আমার বেশ কিছু বন্ধু বান্ধবকে কোরানের অনুবাদ পড়তে বলার পরও তারা পড়েনি। অগত্যা পকেটের পয়সা খরচ করে তাদেরকে অনুবাদ কিনে উপহার দিয়েছি তাও বছর দুই তিন হয়ে গেল। এর পর থেকে তাদের পড়ার অগ্রগতি জানতে চেয়েছি। দু:খের বিষয় আজও কেউ কোরান পড়ার সময় পায় নি। অথচ তাদেরকেই দেখি দৈনিক ৪/৫ ঘন্টা আড্ডা মারে। আর বলা বাহুল্য, নামাজ রোজা মোটেও কাজা করে না। এখন বুঝুন এ জাতি নিয়ে কি আশা করতে পারি ?
@তামান্না ঝুমু,
সঙ্গে কাউকে না পেলে নিজের বিশ্বাসে অটল থাকুন। বেহেশতে হুর-গেলমান হারানোর রিস্ক কেউ নিতে চায় না। তবে এটা নিশ্চিত যে তারাই চরম নির্বোধ আর প্রতারণার শিকার। (F)
@বিপ্লব পাল, আমরা আশে-পাশে ধর্মের প্রভাব মুক্ত যাদেরকে দেখি তাদের বেশিরভাগই ১০-১৮ বছর বয়সে এই পথে এসেছেন বলে মনে হয় না। তবে এটা ঠিক ঐ বয়সে হলে সংখ্যাটা আরো বাড়ত।
আল্লায় চাইলে যে কোনো বয়সেই হতে পারে 🙂
@ বিপ্লব দা,
ধর্ম নিয়ে এরূপ আলোচনার প্রয়োজন আছে। যদি কেউ ধর্ম সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য চায় তবে সে কিভাবে পাবে যদি না কেউ নির্মোহভাবে ধর্ম নিয়ে কোথাও আলোচনা করে? একজন মানুষ খুঁজলে শুধু পাবে ধর্মের বন্দনা। আপনি কি সেটাই চান? আপনাকে দেখেছি কেউ ধর্ম নিয়ে লেখলেই বিভিন্ন ভাবে নিরুৎসাহিত করতে। আপনি হয়ত বলবেন ধর্মকে অন্য এঙ্গেল থেকে ব্যাখ্যা করতে, তা করেন কেউ তো বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু কোনো ভাবেও এসব ধর্মবিরোধি লেখাকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই।
এগুলো পড়েই অনেক মানুষ ধর্মের গ্রাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারছে। ব্লগ হয়ত বেশি মানুষ পড়ে না। আমরা যদি মূল ধারার মিডিয়ায় প্রবেশ করতে পারতাম তবে ধর্মের মেরুদণ্ড অনেক আগেই ভেঙ্গে যেত। হয়ত ছোট পরিসরে হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে হবে।
আগে বিজ্ঞান বুঝা নয় একজন ধর্মবিশ্বাসীর আগে ধর্ম বুঝা উচিত, আর সে ধর্ম ঠিকমত বুঝলেই তা ত্যাগ করবে এবং বিজ্ঞান বুঝতে পারবে। হ্যা, বিজ্ঞান বুঝলেই একজন বিশ্বাসী ধর্ম ছেড়ে দেয় না, সে বিভিন্ন গোজামিল দিয়ে চালিয়ে দেয়, ধর্মের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত হতে চাইলে দরকার ধর্ম বুঝা আর যেকোনো কিছুই বুঝতে হলে দরকার এর বিভিন্ন মুখি আলোচনা-সমালোচনা।
@সৈকত চৌধুরী,
কারুর যদি প্রকৃতিবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানে সম্যক জ্ঞান থাকে, যে কোন ধর্মের বা ধর্ম গ্রন্থের প্রতিটা লাইনের অন্তর্নিহিত কারন আরো ভাল ভাবে, সঠিক ভাবে বুঝবে। এই ধরনের প্রবন্ধের দরকার তাদের হবে না। কোরান বুঝতে গেলে, মহম্মদের ইতিহাস এ টু জেড পড়লেই জলের মতন পরিস্কার হবে। সমাজ বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বিশ্লেষন না করলে, সম্পূর্ন পন্ডশ্রম করা হয়। এটা আস্তে আস্তে বুঝবে।
আপনার লেখাটি জোরালো যুক্তিপূর্ণ।
নবীজির অহি প্রাপ্তি যে ভাঁওতাবাজীপূর্ণ তা নিচের হাদিস থেকে পরিষ্কার।
২.৮০১ ছাফওয়ান (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, আমার পিতা (ইয়া’লা (রাঃ) ওমর রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর নিকট অনুরোধ জ্ঞাপন করিলেন যে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের প্রতি অহী নাযেল হওয়াকালীন তাঁহার অবস্থা আমাকে দেখাইবেন। অতঃপর রসুলুল্লাহ (দঃ) “জোয়ে’ররাণা” (মক্কা হইতে ১১/১২ মাইল দূরে অবস্থিত) স্থানে থাকাবস্থায় এক ব্যক্তি তাঁহার নিকট উপস্থত হইল। লোকটির পরিধানে একটি জুব্বা ছিল এবং উহা খালুক জাফরান মিশ্রিত তৈরী সুগন্ধি মাখানো ছিল। সে জিজ্ঞাসা করিল, ইয়া রসুল্লাল্লাহ! ওমরার এহরাম অবস্থায় সুগন্ধি মাখানো জামা গায়ে থাকিলে কি করিতে হইবে? এবং আমি ওমরা কিরূপে আদায় করিব? রসুলুল্লাহ (দঃ) তাহার প্রশ্নের উত্তর না দিয়া নীরব রহিলেন। সঙ্গে সঙ্গে হযরতের প্রতি অহী নাযেল হওয়া আরম্ভ হইল এবং তাঁহাকে একটি চাদর দ্বারা ঘেরাও করিয়া দেওয়া হইল। তখন ওমর (রাঃ) ইয়া’লা (রাঃ)কে তাঁহার পুর্ব অনুরোধ অনুসারে ইশারা করিয়া ডাকিলেন। তিনি আসিয়া ঐ ঘেরাও এর ভিতর মাথা ঢুকাইয়া দেখিতে পাইলেন, রসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের চেহারা মোবারক রক্তবর্ণ এবং তাঁহার কণ্ঠনালী হইতে একপ্রকার শব্দ নির্গত হইতেছে। কিছুক্ষণ পর যখন তাঁহার ওই অবস্থা দূরীভূত হইল তখন তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, ওমরার বিষয় প্রশ্নকারী ব্যক্তি কোথায়? তখন এ ব্যক্তিকে সংবাদ দিয়া উপস্থিত করা হইল। রসুলুল্লাহ (দঃ) বলিলেন, তোমার পরিধানের জুব্বাটি খুলিয়া ফেল, (কারণ এহরাম অবস্থায় তৈরী জামা ব্যবহার কর নিষিদ্ধ, তদুপরি ইহা সুগন্ধ যুক্তও বটে।) এবং (এই জাফরান মিশ্রিত) সুগন্ধ (তোমার জুব্বাটি হইতে) তিনবার ধৌত করিয়া ফেল। (কারণ, জাফরানের রং পুরুষের জন্য ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।) আর হজ্জ অবস্থায় যেরূপ চলিয়া থাক ওমরা অবস্থায়ও তদ্রূপেই চল। (বোখারী শরীফ, অনুবাদক মাওলানা আজিজুল হক , মহাদ্দেছ জামিয়া কোরআনিয়া, লালবাগ ঢাকা। খণ্ড ২, পৃঃ ৯০, হাদিস ৮০১)
এই হাদিস অনলাইন পড়া যেতে পারে।
http://www.banglakitab.com/
উপরের হাদিস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে হযরত উমর নবীজির অসুস্থতার ব্যাপারে সম্পুর্ণ জানতেন–এবং এর পুর্ণ ব্যবহার করেছিলেন। তখনকার দিনে মৃগীরোগীদের আলৌকিক গণনা করা হত–যেমন আমাদের দেশে অনেক আবোল তাবোল কথাবার্তাকারীকে পাগল বা পীর মনে করা হয়। আরও বুঝা যায় যে হজরত উমর এই পীরের (নবীজির) হাত ধরে বেশ কিছু হাতিয়েও নিয়েছিলেন।
@আবুল কাশেম,
আজিজুল হক সম্ভবত নিজের ইচ্ছেমত হাদিস নং দিয়ে দিয়েছেন। এই হাদিসের নাম্বার ও ভলিউম কত হবে? (ইংরেজী অনুবাদে যেমন থাকে)।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার ধারণা অমূলক নয়। এই হাদিস আমি ডঃ মুহসিন খানের সহিহ বুখারীর ইংরাজী অনুবাদে পাই নি। আমার ধারণা হাদিসটি ডঃ মুহসিন-ই হয়ত গায়েব করে দিয়েছেন–কারণ উনি ভাল করেই জানেন এই হাদিসে কী মারাত্নক কথা আছে, যা ইসলামের ভিত্তিকে কাঁপিয়ে তুলবে।
আমি বাংলা এবং ইংরাজি সহিহ বুখারী ভালমত যাচাই করে অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করেছি–অনেক ক্লেদময় হাদিস বাংলা বুখারীতে গায়েব এবং অনেক ক্লেদময় হাদিস ইংরাজী বুখারীতে গায়েব। কি আশ্চর্য লুকোচুরি খেলা চলছে হাদিস নিয়ে।
তবে সত্য চাপা রাখা সহজ নয়। প্রায় একই ধরণের হাদিস সহিহ মুসলিমে আছে। আমি একটা দিলাম ইংরাজি–
Book 007, Number 2654:
Ya’la b. Umayya reported on the authority of his father (Allah be pleased with them) that a person came to the Apostle of Allah (may peace be upon him) as he was at Ji’rana and he (the person) had been putting on a cloak which was perfumed, or he (the narrator) said: There was a trace of yellowness on it. He said (to the Holy Prophet): What do you command me to do during my Umra? (It was at this juncture) that the revelation came to the Apostle of Allah (way peace be upon him) and he was covered with a cloth, and Ya’la said: Would that I see revelation coming to the Apostle of Allah (may peace be upon him). He (Hadrat ‘Umar) said: Would it please you to see the Apostle of Allah (may peace be upon him) receiving the revelations ‘Umar lifted a corner of the cloth and I looked at him and he was emitting a sound of snorting. He (the narrator) said: I thought it was the sound of a camel. When he was relieved of this he said: Where is he who asked about Umra? When the person came, the Holy Prophet (may peace be upon him) said: Wash out the trace of yellowness, or he said: the trace of perfume and put off the cloak and do in your ‘Umra what you do in your Hajj.
এই একই ধরণের হাদিস পাবেন সহিহ মুসলিম ৭.২৬৫৬; ৭.২৬৫৮। দেখুন অনলাইন সহিহ মুসলিম।
এই হাদিস যদি কেউ বাংলায় অনুবাদ করেন তবে বাধিত থাকব। মনে হয় বাংলা করলে এই হাদিস এবং বাংলা বুখারী হাদিস একই হবে।
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি যখন মোহাম্মদের ওহী পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারি তখনই আমার সন্দেহ হয় যে এটা মৃগীরোগ ছাড়া আর কিছু নয়। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের গ্রামে আমি বেশ কয়েকটি মৃগীরোগী ছোট বেলাতে দেখেছি যাদের বাহ্যিক লক্ষন অনেকটা মোহাম্মদের ওহী পাওয়ার সময়কার অবস্থার মত ছিল। নইলে জিব্রাইল যেখানে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে ওহী দিতে পারে সেখানে হঠাৎ করে সেটা বন্দ হয়ে- স্বপ্নের মাধ্যমে ওহী, ঘন্টা ধ্বনির মাধ্যমে ওহী- এসব তো মৃগীরোগের লক্ষন।
@আবুল কাশেম,
ধর্মকারীতে আজকে ওমরের বিষয়ে আরেকটা পোস্ট এসেছে.. ‘ইসলাম ও পিছ-কাম’ বিষয়ে…
@আরিফুর রহমান,
দেখলাম, ভাল লিখেছে।
হযরত উমরের এই ব্যাপারে তিরমিজি হাদিস আছে।
শিয়া মুসলিমদের জন্য নারীদের সাথে পায়ুমেহন জায়েজ। এই প্রসঙ্গে পড়তে পারেন ‘ইসলামে বর্বরতা–নারী অধ্যায়—-ঠিক মনে পড়ছে না কত পর্ব। মনে পড়লে জানাব।
@আবুল কাশেম,
আপনার মন্তব্যে লেখা “শিয়া মুসলিমদের জন্য নারীদের সাথে পায়ুমেহন জায়েজ।” এই লাইনটির সঠিক ব্যাখ্যা দেন। কারন রাসূল্লাহ (সঃ) এর সময় কোন শিয়া বলে কিছুই ছিল না। শিয়া, সুন্নি এগুলা সৃষ্টি হয়েছে অনেক পরে।
@আধার রাতের মুসাফির,
রসুলের সময় ছিল না , কিন্তু শিয়া সুন্নী বিভাগ রসুলের সাগরেদরাই করেছিল যারা রসুলের সাহচর্যে ছিল। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায়, সেসব সাগরেদরা কেমন ছিল। যদি রসুলকে তারা সত্যিকার আল্লাহ প্রেরিত পুরুষ মনে করত, এত তাড়াতাড়ি তার সাহচর্যে থাকা সাগরেদরা এরকম বিভক্ত হতে পারত ? এ থেকে বোঝা যায়, ওসব সাগরেদ মূলত: ক্ষমতা ও সম্পদের লোভেই মোহাম্মদের পিছনে পিছনে ঘুরত।
@ভবঘুরে,
সাগরেদ বলতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন? আপনি কি সরাসরি সাগরেদ মানে সাহাবীগণকে বুঝাচ্ছেন না কি সাহাবীগণদের ১০তম কিংবা ১২ তম বংশধরদেরকে বুঝাচ্ছেন। ইসলামের চারটি জেনেরেশনকে সঠিকভাবে ধরা হয়। আর সেটা হলো রাসুল্লাহর সময়, সাহাবীদের সময়, তাবেঈনদের সময় এবং তাবে-তাবেঈনদের সময়। ইসলামের যে চারটি শরিয়াতের উৎস আছে তা এই চার সময়ের মধ্যেই হয়েছে। তার মধ্যে কুরআন এবং হাদীসের রাসুল্লাহর সময়; ইজমা এবং কিয়াস হয়েছে বাকিদের সময়। পরে হয় নাই। এই চারটি সময়ের মধ্যে কিন্তু মুসলিমরা বিভক্ত (শিয়া, সুন্নিতে) হয় নাই। বিভক্ত হয়েছে আরো পরে। দেখুন আপনি যদি এই বিষয়গুলি সম্পকের্ ভাল না জানেন সেটা আপনার ব্যথর্তা; অন্যের নয়।
@আধার রাতের মুসাফির,
হাদিস এবং হাদিসের ব্যাখ্যাকারীরা যা বলেছে আমি তাই-ই লিখেছি। আমি আমার নিজের কোন মত লিখি নাই। তাই আমার ব্যাখ্যার কোন প্রয়োজন নাই। আপনি যদি আরও পরিষ্কার ব্যাখ্যা চান চবে পড়ু্ন—
সুনাআন আবু দাউদের ইংরাজি অনুবাদ। অনুবাদকের নাম অধ্যাপক আহমদ হাসান। উনি বোধকরি পাকিস্তানের কোন এক ইসলামি বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক। আমি যতটুকু জানি উনি এখনও জীবিত। আপনি উনাকে লিখতে পারেন।
আপনাকে সুনান আবু দাউদের ছাপান বই পড়তে হবে। ্দেখুন কোন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা মাদ্রাসায়।
আমি আপনাকে এই বই-এর অনুলিপি অথবা স্ক্যন পাঠাতে পারব না।
নীচে সূত্র দিলাম।
Do no anal sex with your wife; if you do then Allah curses you (the Shia allows it though, note 1483, vol. ii, p.579)… Sunaan Abu Dawud 11.2157
Abu Dawud, Sulayman b. al-Ash’ath. Al-Sunaan, a collection of Hadith,vol.i-iii. Translated in English by Prof. Ahmad Hasan, Kitab Bhavan, 1784 Kalan Mahal, Daraya Ganj, New Delhi-110002 (India), 2001.
@আবুল কাশেম,
কোন কিছু সম্পকের্ সঠিক ভাবে জানতে হলে আমাদের মুল টেক্সট বই পড়তে হয়। আর মূল টেক্সট বইটি আছে আরবি তে। আরবি কে অনুবাদ করা হয় অন্য ভাষাতে যেটা কিন্তু মূল উৎস নয়। আপনি মূল হাদীস গ্রন্থটি আছে আরবিতে। আপনি সেখানে দেখেন যে, শিয়া, সুন্নির কোন কথা আছে কি না? সেখানে আপনি এ ধরনের কোন কথাই পাবেন না। কোন অনুবাদক যদি কোন রকম ভুল করেন তার মানে এই না মুল উৎসটি ভুল। এইটা আমাদের বুঝতে হবে।
@আধার রাতের মুসাফির,
আমি ত লিখেছি আপনি আনুবাদকেকে লিখুন।
আমার উপরে কেন দোষারোপ করছেন? আনুবাদক ভুল করে থাকলে সেটা তাঁর দায়িত্ব; আমাকে জড়াচ্ছেন কেন? আনুবাদক যা লিখেছেন আমি মাত্র তার উদ্ধৃতি দিয়েছি।
@আবুল কাশেম,
তাহলে আপনি ঐ অনুবাদকের ভুলের ব্যাপারে কিছু না বলে হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে কেন হাদীসকে কলুসিত করতে চাচ্ছেন????
@আধার রাতের মুসাফির,
আপনি ৭২ টা হুরীর লোভ সামলাতে পারছেন না, তাই না ? তাই আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে চাচ্ছেন।
একটা কথা মাথায় রাখেন, সমস্ত ধর্মই চরম মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। সবগুলোই মানবজাতির সঙ্গে সেই শুরু থেকে প্রতারণা করে আসছে। এই বিবেচনায় ইসলাম সবচেয়ে বড় প্রতারক। তুচ্ছ একটা ব্যাপারে আপনি কেনো আবুল কাশেমের দোষ খুঁজছেন ?
@হৃদয়াকাশ,
দেখুন কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা আসুন আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার করি।
আমি যে ৭২টি হুরের লোভ করতেছি না কি আপনি সেটা আপনি জানলেন কিভাবে? আপনি কি সবজান্তা। আপনাদের মত লোকদের দোষ একটাই সহজ ভাবে কোন কিছুর উত্তর না দিয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলেন এবং লেখেনো।
আমি এখানে ঠিক আবুল কাসেমের এর ভুল ধরিয়ে দেোয়ার চেষ্টা করিছি মাত্র।
আচ্ছা আপনি বলেন তো কিভাবে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো??????????
ছোট্ট প্রশ্ন।
@আধার রাতের মুসাফির, ছোট প্রশ্নের উত্তর এখানে আর এখানে পাবেন বলে মনে করি।
@নিটোল,
আমার হয়ে জবাব দেবার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। (Y)
@নিটোল
যদি আপনি ভাবেন েয, এটি কারোর সাহায্য ছাড়াই কিংবা কারোর কন্ট্রোলিং এবং অপারেিটং ছাড়াই এটি এমনি ভাবে হচ্ছে তাহলে দুঃখিত আমি আপনাদের েদয়া লিংকের সাথে একমত হতে পারলাম না। আপনি যে কম্পিউটারটা ব্যবহা্র করতেছেন সেটা কোনভাবে কারোর দ্বারা তৈরী না হয়ে এমনি এমনি যদি তৈরী হতে পারে কিংবা তৈরী হলেো এর অপারেটিং সিস্টেম কোন প্রোগ্রামের দ্বারা তৈরী না হয়ে এমনি এমনি তৈরী হয় তাহলে হয়তো আপনার লিংক অনুযায়ী হতে পারে।
আপনি মানুেষর ইউরিনারী সিেস্টমের কথা একবার ভাবুন। েদখুন এ র গাঠনিক একক েনফ্রন এর জটিল গঠন এর প্রতিটি অংেশর কাজ। এবং কি ভােব এটি নিয়ন্ত্রীত হচ্ছে। কেউ যদি এর অপারেটিং এবং কন্ট্রোলিং সিস্টেম তৈরী করে না দেয় তাহলে কিভাবে এটি বিবতর্েনর মাধ্যমে তৈরী হতে পারে????????
@আধার রাতের মুসাফির, আপনার মন্তব্য দেখে বুঝলাম আপনি নতুন পাবলিক। মুক্তমনায় যদি অনেকদিন থেকে এসে থাকেন তাহলে এই বহুল চর্বিত প্রশ্নটি করতেন না। এ ধরনের বহু প্রশ্নের জবাব মুক্তমনায় নানা ভাবে নানান সময়ে দেয়া হয়ে গেছে। আপনি পুরোনো পোস্ট গুলো ঘেটে দেখলে এ ধরনের প্রশ্ন সংবলিত অনেক পোস্টের খোঁজ পাবেন। ওসব পড়ে দেখেন।যদি একমত না হন তাহলে ওখানে প্রশ্ন করেন- পোস্টের লেখক উত্তর দেবার জন্য সবসময়েই আছেন। সাধারণত কোনো পোস্টে ওই পোস্ট এর সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোই করা হয় এবং আলোচিত হয়।
@আধার রাতের মুসাফির,
আপনি কি আমার জ্ঞানের পরিধি যাচাই করছেন ? আপনাকে একটা কথা বলি, ধর্ম- জীবজগত, পৃথিবী সবকিছুর সৃষ্টি সম্বন্ধেই সহজ একটা ব্যাখ্যা দেয়। কিন্তু বিষয়গুলো অত সহজ নয়। বিজ্ঞানের সাহায্যে অত সহজে তার ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। তাই অত সহজে তা বোঝাও যায় না। এটা বুঝতে হলে অনেক পড়াশুনা করতে হয়। সেই সময় এবং ধৈর্য কি আপনার আছে ? থাকলে এখনই পড়াশুনা শুরু করে দেন, এমনিই আপনার প্রশ্নের জবাব একদিন পেয়ে যাবেন।
আর একটা কথা, বিশ্বাসের কাছে সবাই শিশু। আপনার যদি সেই শৈশবত্ব না কাটে তাহলে আপনাকে নিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার নেই। কারণ, এসব বিষয় নিয়ে শিশুদের সঙ্গে আলোচনা চলে না।
@হৃদয়াকাশ,
দেখুন কার শৈশব্ত কেটেছে আর কাটে নাই আসুন আমরা আলোচনার মাধ্যমে দেখতে পারি। আমি স্বীকার করি আমার জ্ঞান সীমিত তবে মুখের্া নই। আমি আপনাকে ইনভাইট করলাম।
” আপনাকে একটা কথা বলি, ধর্ম- জীবজগত, পৃথিবী সবকিছুর সৃষ্টি সম্বন্ধেই সহজ একটা ব্যাখ্যা দেয়। কিন্তু বিষয়গুলো অত সহজ নয়। বিজ্ঞানের সাহায্যে অত সহজে তার ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। তাই অত সহজে তা বোঝাও যায় না। এটা বুঝতে হলে অনেক পড়াশুনা করতে হয়। ”
যদি বিজ্ঞানের সাহায্যে আপনি ব্যাখ্যা দিতে না পারেন তাহলে আপনি আপনার ইচ্ছামত ব্যাখ্যা দেন দেখি সেটা সঠিক হয় কি না?
আপনি শুধু জ্ঞানীর মত কথা “বললেন এটা বুঝতে হলে অনেক পড়াশুনা করতে হয়।” আপনি তো তাহলে বিষয়ট্ িএড়িয়ে গেলেন।
@আধার রাতের মুসাফির,
আমার হয়ে নিটোল ই আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে, তাই আমি আর সে বিষয়ে গেলাম না। শুধু বলতে চাই, আমার সঙ্গে পাল্লা দেবার আগে বাংলা লেখাটা ভালো করে শিখুন। কারণ, কারো লেখায় বাক্যগঠনে ও বানানে ভুল দেখলে তাকে আমি হিসেবেই নিই না।
ধন্যবাদ নিটোল।
মুহাম্মদের ‘নবী’ হিসাবে সফলতার পিছনে খাদিজা ও তার চাচাত ভাই ওয়ারক্কা বিন নওফেলের ভূমিকা সর্বাধিক, যার সঠিক মূল্যায়ন ইসলামের ইতিহাসে অনুপস্থিত। সাধারন মুসলমানের অনেকেই ওয়ারক্কা বিন নওফেলের নামও জানেনা। অথচ ইমাম বুখারীর বর্ণনা মতে মুহাম্মাদকে সেই ‘প্রথম’ নিশ্চিত করেছিলেন যে ‘ সে আল্লাহর নবী’। ওয়ারাক্কার কাছেই মুহাম্মাদ ‘ইহুদী ও খৃষ্টান’ ধর্মের অনেক বিষয়াদি জানতে পেরেছিল নূন্যতম দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে – ‘ওয়ারাক্কা ও খাদেজার পারিবারিক ঘনিষ্টতার সূত্রে’। পরবর্তীতে সে গল্পগুলোই মুহাম্মাদকে তার “ওহী’ কম্পোজের জোগান দিতে সাহায্য করেছিল।
@গোলাপ,
একদম ঠিক কথা বলেছেন। এ দুজনের মূল্যায়ন হলে মোহাম্মদ এর মর্যাদা কমে যায়। সেটা তো হতে দেয়া যায় না।
কোরান একদম এলোমেলো কিছু বাক্যের সমাবেশ। আমার মনে হয় মোহাম্মদ কাতিবে ওহি বা ওহি লেখক দলকে শুধু বলতেন আল্লাহ তাকে এই মেসেজ দিয়েছেন আর তারাই একে কিছুটা কবিতার রূপ দিত, তাও তখনকার প্রচলিত কবিতার আকারে। যা আবার বিভিন্নভাবে জোড়াতালি দেয়া হয়েছে। আবার কোরানে আগেকার সময়ের ঐখানকার অনেক কবির কবিতাও বিভিন্নভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।
কোরানে যেভাবে হুমকির ছড়াছড়ি তাতে মনে হয় কোরান এক অসভ্য সত্তার দ্বারা রচিত।
আবুল কাশেম ভাইয়ের গবেষণাধর্মী অসাধারণ কিছু বই পড়তে পারেন-
Who Authored the Quran?
কাশেম ভাইয়ের অন্যান্য বই
অনেকে এটা পড়ে ভাবতে পারে আপনি হয়ত হিন্দু ধর্মকে ইসলামের উপর স্থান দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আপনি অন্য কোনো বইয়ের উদ্বৃতি দিতে পারতেন। হ্যা, সাধারণ মানুষ কি মনে করবে তাও একটা ব্যাপার। কোরানের মত খাঁপছাড়া গ্রন্থ আর পাবেন না আর কথিত হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোর বেশ সাহিত্যগুণ রয়েছে।
আমরা কোনোভাবেও কোনো ধর্মকেও যেন আশ্রয় না দেই। এই যেমন হিন্দু ধর্মই কিন্তু বর্ণবাদের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভেদ নিয়ে এসেছে, এর হাত ধরেই এসেছিল সতীদাহ প্রথা। এরকম চরম নিকৃষ্টতম কাজ হিন্দুধর্মের মাধ্যমেই হয়েছে। মানুষের যেকোনো ধরণের মুক্তির কথা ভাবতে হলে সর্বাগ্রে ধর্মের বিলোপ প্রয়োজন।
মুহাম্মদকে নিয়ে ফেইস বুকে একটি নোট লেখেছিলাম
– হজরত মুহাম্মদ যৌন-উন্মাদ ছিলেন না, তাই তো?
@সৈকত চৌধুরী,
না ভাই , আমি আসলে দেখাতে চেয়েছি শিক্ষিত ও অশিক্ষিত লোকের লেখা একটা কিতাবে-এর পার্থক্য। কোন কিতাবকে প্রমোট করার উদ্দেশ্য নেই এখানে যে কারনে আমি বলেছি -হিন্দুদের বিশ্বাস গীতার বানী হলো স্বয়ং তাদের ভগবান তথা কৃষ্ণের নিজের বানী
ইয়া মাবুদ! এসব যে কোত্থেকে বের করেন আপনারা! আপনার উপর “ঠাডা” পড়ুক!!
আসলে এসব কোনো ব্যপার না। উপরওয়ালা আসলে অসাবধানবসত এসব ভুল করে ফেলেছেন। ভুলগুলো শুধরে ফেলা কোনো ব্যপারই না। অতি শীঘ্রই উনি হয়ত নতুন ভার্সনের গ্রন্থ নাজিল করে দেবেন (এই গ্রন্থটা হবে একেবারে সায়েন্টিফিক!)।
@নিটোল,
(
শুধু সায়েন্টিফিক নয়, ডিজিটালও ।
@নিটোল, এইসব ছবি ফেসবুকে আপলোড করলে মনে হয় মেরেই ফেলবে :guli:
@ইফতি,
কল্লা নামায়ে ফেলবে :guli: :guli:
হুম! মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র!!
(সতর্কীকরণঃ শুধুমাত্র বড়দের জন্য এই ছবি।)
[img]http://www.faithfreedom.org/Gallery/mo-aisha.gif[/img]
@ফরিদ আহমেদ, হা হা হা। আপনার উপর ‘ঠাডা’ বর্ষিত হোক!!
(জ্বালাময়ী কার্টুন। মেয়েটার একপ্রেশন দারুণ হইছে!)
@নিটোল,
জ্ঞান পাপীর মত আপনার মন্তব্য ।
@আধার রাতের মুসাফির,
এ কোন নতুন গুরুজি? প্রণাম আপনাকে। :guru: :guru:
মুসাফির আধার রাতের ক্যান?দিনের বেলায় সমস্যা কী?চেহারা দেখাইবার মঞ্চায় না?
@ফরিদ আহমেদ,
ওরে বাবা , এ কার্টুন কই থিক্কা পাইলেন? আমি যে কয়বার দেখলাম হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাওয়ার যোগাড়।
@ফরিদ আহমেদ,
(সতর্কীকরণঃ শুধুমাত্র বড়দের জন্য এই ছবি।)
বউ একটু চোখ ফেরাওতো, আমি একটা ফটো দেখবো-
[img]http://www.sex-in-islam.com/images/muhammad-aisha-pedophilia-child-sex.bmp[/img]