১৭ই এপ্রিল ২০১১ সালে অতীতের মতো আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেলো সবুজ-শ্যামলে ভরা প্রাকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্য যার নামে বাংলাদেশ গর্বিত হয় -রাঙামাটি শহরের রুপের বর্ণনায় পুরা বাংলার মানুষ আবেগে-গর্বে-“রাঙামাটির শহরে দুপুর বেলার আহারে….রে..রে” গানে মুখরিত ধ্বনিতে গানের সুর তুলে সেই পার্বত্য চট্রগ্রামে । খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবান তিন পার্বত্য জেলা মিলে গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্রগ্রাম । ১৯০০ সালে অখন্ডিত ভারত বর্ষে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা “চিটাগং হীল ট্রাক্স‘ নামে আলাদা এক আইন শুধু পার্বত্য চট্রগ্রামে বসবাসরত সংখ্যালঘুদের নিয়ে প্রনয়ন করেন [

    http://www.satp.org/satporgtp/countries/bangladesh/document/actandordinances/chittagon_hill.htm

] । ব্রিটিশ শাসকদের থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অখন্ড পার্বত্য চট্রগ্রাম পাকিস্তানের হাতে চলে যাই, পূর্ব পাকিস্তানের এক অংশ হিসেবে এর শাসন ভার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা কায়েম করতে থাকে । ১৯৫৭ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা লাখো পাহাড়ী মানুষের বুকে এক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করে, যা ১৯৬২ সালে সম্পূর্ণরুপে হয়ে উঠে সারা পাকিস্তানের এক সবোর্চ্চ হাইড্রো বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে, যার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২৩০ মে.ওয়ার্ড [

    http://en.wikipedia.org/wiki/Kaptai_Dam

] । বর্তমানের সেই কাপ্তাই হৃদটি লাখো মানুষকে উদ্ভাস্তু করেছে । পূর্বপুরুষের ভিটা থেকে উৎখাত করেছে দাদু-দাদীদের । কান্নার লোনাজল বুকে ভাসিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল হাজারো জমিহীন পাহাড়ী মানুষের । সহায়-সম্ভলহীন হয়ে শুধু পরনের জামা কাপড় নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল এখানে -সেখানে সেই স্বজনহারা, জমিহারা নীরহ মানুষদের । আজ দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ঘুরতে চাই সেই রাঙামাটির নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্য কাপ্তাই হৃদ দেখার জন্য, হয়ত কেউ বিন্দুমাত্র অনুধাবন করতে পারে না সেই কাপ্তাই হৃদটির সৃষ্টি পানি দিয়ে নয়, লাখো মানুষের চোখের লোনাজলে, লাখো অসহায় মানুষের বুকের উপর দিয়ে ।

স্বাধীন বাংলাদেশের পর পার্বত্যবাসী আশা করেছিল তাদের ভাগ্যর পরিবর্তন ঘটবে, কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে তা হয়ে দাড়াই নতুন মধ্যযুগীয় বর্বরতার সূচনা । ৭ ই মার্চ ১৯৭৩ সালে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে তৎকালীন “পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতি” পক্ষ থেকে জুম্ম জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে মানবেন্দ্র নায়ারন লারমা জয়ী হন । এর এক বছরের আগে ২৪ শে এপ্রিল ১৯৭২ সালে চারটি দাবী সম্মিলিত এক মেমোরেন্ডাম নিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান “না, আমরা সবাই বাঙালী, আপনাদের জাতিস্বত্তার পরিচয় ভুলে যাও, বাঙালী হও” বলে তিরষ্কার করেন, যেটি মূলতঃ স্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান পার্বত্য চট্রগ্রামের সমস্যার আসল সমস্যা বলে ধরে নেয়া হয় [

    http://pcjss-cht.org/cht_history&struggle.php#Bangladesh%20Period_1

] । এভাবে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জিয়া ক্ষমতায় এলে ১৯৭৯ সালে প্রথমাবস্থায় গোপনে ৫,০০০ সমতলের বাঙালী পরিবারকে পার্বত্য এলাকাতে আইন-বিরোধীভাবে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করেন [

    http://www.angelfire.com/ab/jumma/settlers/memo.html

], যেটি মূলতঃ বাঙালী-পাহাড়ীর সমস্যাকে জাতিগত এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য বাঁধিয়ে দেয়ার প্রথম ষড়ষন্ত্র ছিল । সে পথ ধরে ১৯৮০ সাল হতে আনুমানিক ১৩টি গণহত্যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাঙালী সেটেলার কর্তৃক সংখ্যালঘু জুম্মজাতিস্বত্তাদের উপর বর্বরভাবে সংগঠিত করা হয় [

    http://www.angelfire.com/ab/jumma/massacre.html

] ।

১৯৯৭ সালে ‘পার্বত্য চুক্তি‘ নামে এক চুক্তি আওয়ামিলীগ সরকার এবং শান্তিবাহিনীর মধ্যে সম্পাদিত হয় [

    http://www.chtcommission.org/information-about-the-chittagong-hill-tracts/the-cht-peace-accord

] । পার্বত্য তথা সারা বাংলাদেশের মানুষ আশা করেছিল সেই ‘চুক্তির’ পর পার্বত্য চট্রগ্রামে জাতিগত সহিংষতা হ্রাস পাবে, পার্বত্য মানুষের সত্যিকার মুক্তি ঘটবে কিন্তু চুক্তির ১৩ বছরের পর ও এর মুলধারাগুলোর কোনটিই বাস্তবায়ন করা হলো না । বরং চুক্তির পরবর্তীতে মহালছড়ি, মাইসছড়ি, বাঘাইছড়ি, খাগড়াছড়ি, লংগদুসহ সাম্প্রতিক মাসে রামগড়ে জাতিগত সহিংষতায় শতশত ঘর-বাড়ি পুরে যাওয়াসহ অনেক তাজাপ্রাণের মৃত্যু ঘটেছে । সম্প্রতি রামগড়ের ঘটনাটি শুধু বাংলার নববর্ষের পরপরই সংঘটিত হয়, ঠিক যেময় মারমা জাতি সম্প্রদায়ের নববর্ষের আমেশ সন্নিকঠে পৌঁছেছিল । ঘটানাটির উদ্ভব ছিল মূলতঃ ভুমির মালিকানা নিয়ে, যার মধ্যে দিয়ে তিন সেটেলার বাঙালী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায় । ঘটনাটির পরপর ১৮ ই এপ্রিল প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় চাপানো হয় “রামগড়ে আধিবাসীদের সাথে সংঘর্ষ, তিন বাঙালী নিহত” যার মধ্যে দিয়ে শুধু সেটেলারদের ক্ষয়ক্ষতির কথা একপেশে হয়ে তুলে ধরা হয় [

    http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2011-04-18

] । কিন্তু ৪ জন পাহাড়ী গুম হওয়ার খবর আর সাক্ষ্য মিলে না, ৪ জন হলেন আনু মারমা (১৬), আম্মে মারমা (২৭), আম্মে মারমা কন্যা সন্তান উক্রা মারমা (২) এবং আশিষ চাকমা (১৮) [ http://unheardvoice.net/blog/2011/04/18/cht-3/comment-page-1/#comment-28554 ] । অপরদিকে তড়িঘড়ি নিজেদের দ্বায়ভার এড়াতে সেনা প্রশাসন ব্যক্তিগত কেন্দ্র থেকে বিবৃতি দেই, “একটি জমিতে হলুদ চাষকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। ওই চাষের জমি নিয়ে বাঙালি-পাহাড়ি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মালিকানা বিষয়ক বিরোধ চলছিল। তবে ভুল বোঝাবুঝির অবসানকল্পে সিন্দুকছড়ি সেনাজোন কমান্ডার গত ১৬ এপ্রিল জমির মালিক, হলুদচাষিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা ডাকে। সভায় সব ধরনের বিরোধ এড়িয়ে চলার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সব পক্ষ। এ ছাড়া ১৭ এপ্রিল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি সেনাটিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময়ও তারা কোনো ধরনের উত্তেজনা লক্ষ্য করেনি। হঠাৎ গত ১৭ এপ্রিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালি হলুদচাষিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় [ https://blog.mukto-mona.com/?p=15869 ] । বিবৃতিটি প্রথম আলোর মৃত্যুর ঘটনার সাথে মিলে না । অন্যদিকে আশিষ চাকমার নিখোঁজকে কেন্দ্র করে প্রথম আলো সাংবাদিক হরিকিশোর চাকমা অন্য এক আধিবাসী ব্লগে ঠিক যেভাবে রিপোর্ট করেন তার একাংশ, ”

বাঙালিদের হামলায় নিহত অথবা নিখোঁজ আশীষ চাকমার (১৮) বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন তাঁর বাবা দেবপ্রিয় চাকমা। কিন্তু খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. আনিসুল হক ভূইঁয়া এত দেরিতে আবেদন করার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন, নিখোঁজ হওয়ার এতদিন পর কতকিছু হয়ে যেতে পারে । …. আশীষ চাকমা চট্টগ্রাম শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেনিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র । ১৭ এপ্রিল তিনি পরীক্ষা শেষে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার নিজ বাড়িতে আসার উদ্দেশে চট্টগ্রাম থেকে শান্তি পরিবহণের বাসে (চট্ট মেট্রো-ব-১১০২৬৩) দীঘিনালা আসছিলেন বলে তাঁর বাবা দেবপ্রিয় চাকমা জানান

[

    http://www.news.chtbd.net/?p=353

] ।

সবচেয়ে যে ছবিটি লেখককে বেশিমাত্রায় মর্মাহত করেছে সেটি হচ্ছে অজ্ঞাত নাম না জানা এক মেয়ের, বয়স, নাম, গ্রাম জানা নেই, এক মারমা পুলিশ খাগড়াছড়ি থেকে চট্রগ্রাম যাওয়া পথে ছবিটি মোবাইল সেটের মাধ্যমে তুলেন । ছবিটি ২০ শে এপ্রিল ইন্টারনেটের সবখানে ছড়িয়ে যায় । যেটিকে অনেকে কুচক্রান্ত হিসেবে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন । দীর্ঘ ১০দিন পর পত্রিকাগুলোর নীরব ভুমিকাকে উপেক্ষা করে ২৭ শে এপ্রিল “মি প্রুর খোঁজ মিলেছে, চলছে চিকিৎসা” শিরোনামে কালেকন্ঠ পত্রিকার বিষয়টি উঠে আসে

    http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Bank&pub_no=503&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=9&archiev=yes&arch_date=27-04-2011

] ।

প্রথম আলো ব্লগে এক ব্লগারের প্রতিবেদনে যে প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে তা সম্পূর্ণভাবে এখানে তুলে ধরছি সকলের পাঠের সুবিধার্থে :

গত ১৭ এপ্রিল ২০১১ রামগড়-মানিকছড়িতে পাহাড়িদের উপর সেটলার হামলার সময় জালিয়া পাড়ায় সেটলারদের হামলার শিকার মিপ্রু মারমা এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেনি৷ তার মাথার ক্ষতটি এখনো শুকায়নি। ক্ষত শুকানোর জন্য নিয়মিত ড্রেসিং করিয়ে দিতে হচ্ছে। খাগড়াছড়িতে এক শিক্ষকের বাড়িতে তাকে প্রয়োজনী চিকিত্‍সা সেবা দেয়া হচ্ছে।

মানিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাড়পত্রে তার নাম লেখা রয়েছে মিতু মারমা। তবে তার আসল নাম হচ্ছে মিপ্রু মারমা (১৩), পিতা মৃত. মেলাপ্রু মারমা, মাতা আম্রা মারমা। পিতা মেলাপ্রু মারমা ৩ বছর আগে রোগে ভুগে মারা যান। তাদের গ্রাম ছিলো মানিকছড়ির মাহ্গ্রা নামক এক গ্রামে। পিতা মারা গেলে তার মা তার ভাইদের বাড়ি গুইমারার বড়তলী এলাকায় এসে বসবাস করছেন৷ মিপ্রুরা চার ভাই বোন৷ সে সবার বড়। বাড়িতে কষ্টে সংসার চলে৷ তাই মিপ্রুর মা মিপ্রুকে খাগড়াছড়ির এক স্কুল শিকের ঘরে রেখেছেন৷ বৈসাবি উত্‍সব শুরু হলে মিপ্রু মারমা নিজ গ্রাম গুইমারায় চলে যায় ১৩ এপ্রিল৷ এরপর সে মানিকছড়ি মহামুনি মেলায় তার এক বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে যায়৷ সে বাড়িতে নেই জেনে তার মামা প্রুশি মারমা ও মামী রিএমা মারমা তাদের ৬ মাসের সন্তান ঞিওমা মারমাকে নিয়ে তার খোঁজে মানিকছড়িতে যায় এবং তাকে খুঁজে পাবার পর গাড়িতে করে বাড়িতে আসার সময় রামগড়ের জালিয়াপাড়ায় তারা সেটলারদের হামলার শিকার হয়।

সেটলাররা তাদের উপর হামলা চালালে তারা দিগ্বিদিক শুন্য হয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মিপ্রু মারমা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রুশি মারমা নিজের প্রাণ বাঁচাতে এমনভাবে দৌড় দেন যে তিনি এখনো তার পায়ের ব্যথার কারণে হাটতে পারেন না৷ রিএমা মারমা পালানোর সময় এক বাঙালি গৃহবধু তাকে ঘরে আশ্রয় দেন৷ পরে বুদ্ধি করে তাকে বোরখা পরিয়ে তিনি রিএমা মারমাকে পাহাড়ি গ্রামে পর্যন্ত পৌছানোর ব্যবস্থা করেন।

মিপ্রু মারমাকে ঘটনা বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে কিছু্ই মনে করতে পারছেনা বলে জানায়। তাকে তার রক্তাক্ত হবার ছবি দেখালে সে নিজেকে শনাক্ত করতে পারে। তার মামা প্রুশি মারমা জানান সেটলারদের হামলার সময় মিপ্রুর হাতে বিনি চালের একটি থলে ছিলো।

মিপ্রু মারমার বর্তমান তত্ত্ববধানকারী শিক্ষক জানান যে, মিপ্রুর বিষয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাকে জানান। তার কাছ থেকে তিন জানতে পারেন যে মিপ্রু মানিকছড়ি হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পরিচয়দানকারী ব্যক্তি তাকে জানায় যে, ‘মিপ্রুকে এক বাঙালি রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ফোনে ঐ বাঙালির সাথে যোগাযোগ করে সে একটি গাড়ি ভাড়া করে লুকিয়ে ঘুর পথে মেয়েটিকে তার হাতে গছিয়ে দেয়। এরপর উক্ত ব্যক্তি অন্যের সহায়তায় মিপ্রু মারমাকে ১৭ এপ্রিল রাতে মানিকছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে মিপ্রু মারমা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত অজ্ঞান ছিলো ৷ উক্ত ব্যক্তি মারফতে মিপ্রুর মামা সম্পর্কীয় এক আত্মীয় তার খোঁজ নিতে গেলে দোতলায় ওঠার সময় সেটলাররা তার উপর আক্রমণ করে। তার গায়ে দুএক ঘা পড়ার পর তিনি পালিয়ে এক কোণায় আশ্রয় নিয়ে সারারাত সেখানে থাকার পর সকালে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে চলে আসেন।

মিপ্রুর খবর পাবার পর তার তত্ত্বাবধানকারী স্কুল শিক্ষক হাসপাতালে ফোন করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ১৯ এপ্রিল ২০১১ দুপুরে খাগড়াছড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় রামগড়-মাটিরাংগা-মানিকছড়ি সড়কে পাহাড়িদের যাতায়াতে নিরাপত্তা না থাকায় তিনি নিজে গিয়ে তাকে নিয়ে আসতে পারেন নি। বর্তমানে তার বাড়িতে রেখে চিকিত্‍সা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

মাথায় আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে মিপ্রু মারমা এখন শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন। ডাক্তাররা তাকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, নিয়মিত ঔষধ সেবন ও স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মানিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো: এন ইলমাম মিপ্রু মারমাকে চিকিৎসা করেন এবং হাসপাতাল ত্যাগকালে ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করেন।

    http://prothom-aloblog.com/posts/10/125468

২৯ শে এপ্রিল ২০১১-এ আলজারিরা একটি খবর প্রকাশ করে, যে খবরে পার্বত্য চট্রগ্রামে অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ছবি এবং মিশিলের ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে খবরটিকে পর্যবেক্ষণ করা হয় http://www.ustream.tv/recorded/14336141 । মি প্রুর ছবিটি যেদিন প্রথম ফেইজবুকে দেখি দুইরাত পর্যন্ত ঘুমাতে পারিনি, যা আদৌ ব্যতীত করে চলেছে ।

পাঠকের জন্যঃ লিংকগুলো অনেক্ষণধরে সাজাতে ব্যর্থ চেষ্টা করার পর ও পেরে উঠলাম না । তাই আন্তরিকভাবে দূঃখিত ।