ন’ সাঙ যেবার এই জাগান ছাড়ি/ইদু আগং মুই জনমান ধরি/এই জাগান রইয়েদে মর মনান জুড়ি…চাকমা গান…এই জায়গা ছেড়ে আমি যাব না/এখানেই জন্ম-জন্মান্তর থেকে আমি আছি/এই জায়গা আমার মন জুড়ে রয়েছে।…
পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত বছর ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি সহিংস ঘটনার দগদগে স্মৃতি বিস্তৃত হওয়ার আগেই সম্প্রতি লংগদুতে ২০টিরও বেশী আদিবাসী পাহাড়ি ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। [লিংক]
এবার চৈত্র সংক্রান্তির উৎসব বিঝু, বৈসুক, সাংগ্রাং, বৈষুর আনন্দ ফুরাতে না ফুরাতেই হামলা চালানো হয়েছে খাগড়াছড়ির রামগড়ে। জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৭ এপ্রিল সেখানে নিহত হয়েছেন তিনজন বাঙালি, পাহাড়ি-বাঙালি উভয় পক্ষের হতাহত হয়েছেন অনেক, প্রায় দেড়শ’ ঘর-বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হিংসার লেলিহান শিখায়। …
সংবাদপত্রের পাতায়, টেলিভিশনে, ইন্টারনেটে ছবি ও ভিডিও ক্লিপিং দেখে চোখের পানি সত্যিই ধরে রাখা যায় না! একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দাউ দাউ করে জ্বলছে সোনা রঙা ধানের গোলা…
যারাই একটু নিজ উদ্যোগে খোঁজ খবর নিয়েছেন, তারাই জেনেছেন, রামগড় সহিংসতায় যদিও নিহত হয়েছেন বাঙালিরাই, কিন্তু তারাই সেখানের মূল হামলাকারী। সেখানে আদিবাসীরা সীমিত শক্তি নিয়ে হামলা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন মাত্র। শুধু তাই নয়, জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র যে সহিংসতার সূত্রপাত, এই বাঙালি জনগোষ্ঠিই সেখানকার আদিবাসী মারমাদের জমির জবরদখলকারী।
বলা ভালো, এই বাঙালিরা কোনো সাধারণ বাঙালি নন–- তারা হচ্ছেন সেনা সমর্থিত সেটেলার বাঙালি। আরো স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, এই সেনা-সেটেলাররাই পাহাড়ের হর্তা-কর্তা-অধিকর্তা। তারাই সেখানের প্রধান প্রশাসন, রাষ্ট্রের ভেতর আরেক তালেবান রাষ্ট্র। …
সেনা-সেটেলার শাসনকর্তারা এর আগে পাহাড়ে একই রকমভাবে মহালছড়ি, মাইচ্ছড়ি, গুইমারায় সহিংসতার জন্ম দিয়েছন।
শান্তিচুক্তির আগে ‘নারায়ে তাকবির’ ধ্বনী দিয়ে কসাইয়ের মতো দা দিয়ে কুপিয়ে, মেশিনগানের গুলিতে ঝাঁঝড়া করা হয়েছে শত শত নিরীহ আদিবাসী পাহাড়ি।…লোগাং, লংগদু, ন্যান্যাচর, বরকল, কাউখালি, দীঘিনাল, পানছড়িসহ একের পর এক গণহত্যায় নিভে গেছে শত শত আদিবাসীর তাজা প্রাণ। সহায় সম্বল সব কিছু ফেলে জীবন বাঁচাতে প্রায় ৭০ হাজার পাহাড়িকে একযুগ শরণার্থীর গ্লানিময় জীবন বেছে নিতে হয়েছিল ত্রিপুরার আশ্রয় শিবিরে। [লিংক]
ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৭৫ সালের পরে পাহাড়ে গেরিলা গ্রুপ শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। ওই সময় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার বিদ্রোহ দমনে ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি পাহাড়ে আদিবাসী ও বাঙালি জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। সে লক্ষ্যে সমতলের অনেক সেটেলার পরিবারকে দুই একর আবাদি জমি ও পাঁচ একর পাহাড়ি জমি দেওয়ার কথা বলে সরকারি উদ্যোগে তিন পার্বত্য জেলায় পুনর্বাসন করা হয়।
সাতের দশকের শেষ ও আটের দশকের প্রথম দিকে বহু সেটেলার পরিবারকে পার্বত্য চট্টগ্রামে আনা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বন্দোবস্তের নিয়ম ভেঙে সেটেলারদের জমির কবুলিয়ত দেয়। এ কারণে ভূমি বিরোধ সৃষ্টি হয়। [লিংক]
আটের দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে জেনারেল জিয়া সামরিকায়ন করা এবং পাহাড়ে সেটেলার বাঙালি বসিয়ে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করার যে সূচনা ঘটিয়েছিলেন, সেই একই প্রক্রিয়া জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়ার সরকার হয়ে শান্তিচুক্তির পর শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া হয়ে আবারো শেখ হাসিনার সরকার এখনো বহাল রেখেছে। এটি হচ্ছে সেনা কর্তাদের খুশী রেখে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার বা ক্ষমতায় যাওয়ার ভোটবাজীর এক বিচিত্র রাজনীতি। গণতন্ত্রের খোলসে পাহাড়ে তালেবানী বন্দুকের শাসন টিকিয়ে রাখার চেষ্টা।…
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির দেড় বছর পর ১৯৯৯ সালের ৪ এপ্রিল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটে আদিবাসী ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সর্বশেষ ১৭ এপ্রিল রামগড় উপজেলার গুইমারা থানার বড়পিলাক এলাকায় সহিংস ঘটনা ঘটে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক যুগে ভূমির বিরোধ নিয়ে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ১৩টি বড় সংঘর্ষে সাতজন আদিবাসী ও চারজন বাঙালি মারা গেছেন। এর মধ্যে দীঘিনালার বাবুছড়ায় ১৯৯৯ সালের ১৬ অক্টোবর তিনজন, মহালছড়িতে ২০০৩ সালের ২৬ আগস্ট দুইজন, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটে দুইজন, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে একই ঘটনার জের ধরে সংঘটিত ঘটনায় একজন মারা যান। সর্বশেষ গত রোববার রামগড় উপজেলার গুইমারায় তিনজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫০ জন। দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘরে আগুন লাগানো হয়েছে।
লক্ষনীয়, বরাবরই এসব সহিংসতায় সেনা বাহিনী হয় নেতৃত্বর ভূমিকায়, না হয় সেটেলারদের পক্ষে নেপথ্য মদদদাতার ভূমিকায় থাকে। এর প্রমান তারা আবারো দিয়েছে রামগড় সহিংসতায়ও —
পাহাড়ে সংঘর্ষ সেনা সদরের বক্তব্য
হলুদ চাষ নিয়ে গত রোববার খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার বড়প্লাক এলাকার ছনখোলাপাড়ায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন বাঙালি নিহত এবং অপর দু’জন মারাত্মক আহত হন। এ ছাড়া অনেক ঘর-বাড়িতে অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটে।একটি জমিতে হলুদ চাষকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। ওই চাষের জমি নিয়ে বাঙালি-পাহাড়ি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মালিকানা বিষয়ক বিরোধ চলছিল। তবে ভুল বোঝাবুঝির অবসানকল্পে সিন্দুকছড়ি সেনাজোন কমান্ডার গত ১৬ এপ্রিল জমির মালিক, হলুদচাষিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা ডাকে। সভায় সব ধরনের বিরোধ এড়িয়ে চলার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সব পক্ষ। এ ছাড়া ১৭ এপ্রিল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি সেনাটিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ সময়ও তারা কোনো ধরনের উত্তেজনা লক্ষ্য করেনি। হঠাৎ গত ১৭ এপ্রিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালি হলুদচাষিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনার পর অনতিবিলম্বে খাগড়াছড়ি পুলিশ প্রশাসনের টহলের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ১৭টি টহল পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে।
গত রোববার স্থানীয় সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, এসপি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় জিওসি তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। -আইএসপিআর।
[লিংক]
এ অবস্থায় পাহাড় থেকে যতদিন সেনা-সেটেলার প্রত্যাহার, যথাযথভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন, আইন সংশোধন করে ভূমি কমিশনের মাধ্যমে জমির বিরোধ নিস্পত্তি না হবে, ততদিন পাহাড়ে একের পর এক বাঘাইছড়ি, লংগদু বা রামগড়ের মতো সহিংস ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সর্ম্পকে সরকারগুলোর সীমাহীন অবহেলার মাশুল এখন দিতে হচ্ছে সেখানের পাহাড়ি-বাঙালি উভয়কেই, একদিন এই মাশুল দিতে হবে পুরো বাংলাদেশকেই।…
এই অন্তর্দশনের বাইরে ইউএন শান্তি মিশনে গৌরব কুড়ানো ‘দেশ প্রেমিক সেনা বাহিনী’র জন্য সাধারণের গর্বে বুক ফুলে উঠবে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মতো বড়মাপের অনুষ্ঠানগুলোতে আদিবাসী নাচ-গান দেখে দেশি-বিদেশী দর্শকদের মনে হবে, এদেশের আদিবাসীরা তো ভালোই আছেন!
পুনর্লিখিত।।
—
ছবি: রামগড়ে আহত এক পাহাড়ি মেয়ে, সংগৃহিত/ জ্বলছে রামগড়, ১৭ এপ্রিল ২০১১, কাপেং ফাউন্ডেশন।
—
আরো দেখুন: ফেসবুক গ্রুপ ‘পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHT Voice’ [লিংক] ।
আপডেট:
[img]http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Bank&pub_no=503&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=9[/img]
বিস্তারিত… [লিংক]
আমি যদি ব্যাপারটিকে একটু মোটা দাগে নিয়ে আসতে চাই, তাহলে এটা বলতেই হয় যে, এদেশের পাহাড়ি ও বাঙালী জনগোষ্ঠীর মাঝে যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা একদিনে হয় নি, খুব দূঃখজনক হলেও সত্য, অসচেতনভাবে হলেও এর রাষ্ট্রীয় উদ্যোক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সচেতনভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করেন জিয়াউর রহমান আর বিপুল পরিমাণ ঈমানী জোশে কফিনের মূল পেরেকগুলো মারে এরশাদ এবং শেষ পেরেক মারার কাজ এখনো চলছে অনেকটাই রাষ্ট্র আর সেনাবাহিনীর যৌথ তত্ত্বাবধানে!!! পাহাড়ি ও বাঙালীরা আলাদা জাত- এই ধরনের জাতীয়তাবাদী চুলকানিমূলক হেজিমোনি রাষ্ট্রকাঠামোই তৈরি করেছিলো এখানকার শাষকশ্রেণীর উৎসাহে। এটা বন্ধ করতে হলে বিপরীত হেজিমোনি অনেক জোরালো ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার দরকার। ধন্যবাদ বিপ্লব দা’কে এই বিষয়ে সচেতন অক্লান্ত ভূমিকা পালনের জন্য।
মানুষের পরিচয় আসলে শেষ পর্যন্ত মানুষই। অন্য কিছু নয়।
@নিঃসঙ্গ বায়স,
(Y) (Y)
অ/ট: পার্বত্য পরিস্থিতির ওপর চমৎকার ব্যানার করায় মুক্তমনার নেপথ্য কারিগরদের জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা। শাবাশ! :clap
@বিপ্লব রহমান,
:clap :clap :clap
ভীষণভাবে সহমত। 🙂 কিন্তু এটা অফ-টপিক হবে কেনো?! 😛
@নিঃসঙ্গ বায়স, (Y) (Y) (Y)
খুব কার্যকর ভাবে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে আরো কি কি করা যায় সবাই মিলে ভাবুন তো,। আরো কি করা যায়।
@কাজী রহমান,
অনেক ধন্যবাদ। চলুক। (Y)
@কাজী রহমান ভাইয়া, খুব কার্যকর ভাবে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে হলে আগে পাহাড়ীদের সম্পর্কে বেশির ভাগ আমাদের বাঙালী ভাই-বোনেরা যে নীতিবাচক দিকগুলো মনে পোষন করে থাকেন সেসবকে ধীরে-ধীরে বদলিয়ে দেয়া, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সেসব কিছু অসম্ভব ও নই । মানুষদেরকে পরিষ্কারভাবে জ্ঞাত করাতে হবে পাহাড়ীদের যতটা বন্য-হিংস্র-অশিক্ষিত বলে মনে করা হয় তারা আসলে তেমনটা নয় । স্বার্বভৌমত্বের দোহায় দিয়ে “পৃথক রাষ্ট্রের” হুমকি হিসেবে রাষ্ট্র তথা সেনাতন্ত্র যে অপপ্রচার চালিয়ে থাকে তাও সত্য নয় । অনেকে মনে করে পাহাড়ীরা বাঙালীদের থেকে আলাদাভাবে কোটার মাধ্যমে বাড়তি সুযোগ পেয়ে থাকে, বুঝিয়ে দিতে হবে যে সেসব হচ্ছে পিছে পড়া জাতিকে শিক্ষিত করে তোলা উপাদান মাত্র । আর মৌলিক অধিকারগুলো যেগুলো আত্মনিয়ন্ত্রে মানুষে অবশ্যম্ভাবী সেগুলো যে দেয়া হয়নি তা অধিকাংশ বাঙালী জনগণই জানেন না । অনেক শিক্ষিত মানুষেরই আদৌ বুকে কাণনপুনি ধরে যখন পার্বত্য চট্রগ্রামকে হারানো ভয় ঢুকিয়ে দেয়া হয় । সেসব করা না গেলে অধিকাংশ মানুষ এসবের কথা কখনো গুরুত্বসহকারে নিবে না বলে মনে হয় ।
@জয়েন্টু,
এ ক ম ত। খুব ভালো বলেছেন। (Y) (Y)
@জয়েন্টু,
হ্যাঁ জয়েন্টু আমার মনে হয় কাউকে ১, ২, ৩, ৪……… এইভাবে প্রায়োরিটি তালিকা তৈরি করতে হবে। পাহাড়িদের বুকে টেনে নিতে কার্যকরী জনমত সৃষ্টি যদি প্রথম অত্যন্ত জরুরী কাজ হয় তাহলে সেগুলো কি কি ভাবে করা যায় আর ছড়িয়ে দেয়া যায় তা ভাবতে হবে। কাদের কাছে দিতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছেই নালিশটা নিয়ে গেলে মনে হয় সবচে ভালো। প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যাবহার তো ওরাই করছে। কায়েমি স্বার্থবাদী কিছু লুটেরাদের বাঙালি নামে অভিহিত করার বদলে অন্য কিছু নাম দেওয়া উচিৎ। ওখানে নির্যাতন হচ্ছে এই কথাটা নতুনরা জানলে ওরা ভাবনা এবং কাজের জগতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারবে। যোগাযোগে জনমতে সাম্প্রতিক মিশরীয় আন্দোলনের কথা মাথায় রাখা যেতে পারে। ব্যথিত দুঃখিত হওয়ার পরও আরো অনেক অনেক কিছুই করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে সাইবার জনসংযোগে কয়েকজনই নেতৃত্ব দেবার জন্য যথেষ্ট বলে মনে হয়। এটা একটা প্রস্তাব মাত্র। ভেবে দেখা যাক……… :-s
@কাজী রহমান, আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া,
নতুন প্রজন্মের কাছেই নালিশটা নিয়ে গেলে মনে হয় সবচে ভালো। আমার ও এই প্রস্তাবনতা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় ।
কায়েমি স্বার্থবাদী কিছু লুটেরাদের বাঙালি নামে অভিহিত করার বদলে অন্য কিছু নাম দেওয়া উচিৎ । নির্ধারণটা আমার মনে হয় এখানে বড়মাপিক লেখক, সামাজিক এবং প্রগতিশীল মুক্তমনা ব্যক্তিত্বদের চেষ্টা করা উচিত ।
ওখানে নির্যাতন হচ্ছে এই কথাটা নতুনরা জানলে ওরা ভাবনা এবং কাজের জগতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারবে। এর প্রস্তাবনার গ্রহণযোগ্যতা নিঃসন্দেহে ভালো কিছু দাবী রাখে ।
পরিশেষে বলবো আপনার সকল প্রস্তাবনাগুলো আমার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে । অন্য কেউ যদি এগিয়ে আসে আলোচনাটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ।
@জয়েন্টু,
ঠিক আছে জয়েন্টু। ধন্যবাদ। একটু অপেক্ষা করে দেখা যাক কি ঘটে (O)
আমি নিশ্চিত পাহাড়ীরা যদি মুসলমান ধর্মের অনুসারী হত তাহলে জিয়া পাহাড়ে আদিবাসী ও বাঙালি জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মত হীন কোন পরিকল্পনা করার সাহস করতেন না বা আদৌ এরকম কোন সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করতেন না। পাহাড়ীদের উপর এত অত্যাচারের পরেও আন্দোলন ও প্রতিক্রিয়া জোড়দার না হওয়ার অন্যতম কারন ধর্ম।ঘটনার প্রেক্ষাপট টা আমরা একটু উল্টিয়ে দেখলেই আপনাদের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। ধরুন, পাহাড়িরা মুসলমান ধর্মের অনুসারী আর বাঙালি সেটেলাররা হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ ধর্মের।অবস্থা তখন কি দাঁড়াত? যেখানে আফগানিস্তান, ইরাক বা পাশের দেশ ভারতে কিছু ঘটলেই তার আঁচ আমাদের ক্ষত বিক্ষত করে সেখানে নিজ দেশে এই ঘটনা ঘটলে যে কি হাল হত আমার মত অধমের পক্ষে তা চিন্তা করারও দুঃসাহস নেই।
আবার ধরুন পাহাড়ীরা মুসলমান সেটেলাররাও মুসলমান সেনাবাহিনী কি তখন মুসলমান ভাই পাহাড়ীদের দিকে বন্দুকের নল উঁচু করত? মুসলিম দেশ গুলো কি তখন চুপ করে থাকত? বা দেশে কি তখন জিয়ার বিরুদ্ধে মুসলমান হত্যার অভিযোগে গন অসন্তোষ দানা বাধার ভয় থাকত না? :-X
@রাজেশ তালুকদার, (Y) (Y)
@রাজেশ তালুকদার,
(Y) (Y) (Y)
@রাজেশ তালুকদার, আপনার মনে হয় একটু ভুল হচ্ছে। মুসলমানেরা মুসলমান হত্যায় কারো চেয়ে কম যায় না এবং এটা বেশ স্বাভাবিকও। কয়েকবছর ধরে সুদানের দারফুরে আরব বংশদ্ভুত মুসলিমরা, আফ্রিকান মুসলিম দারফুরী দের উপরে অনেক হত্যা্যজ্ঞ চালিয়েছে। আরবজাহান বা মুসলিম বিশ্ব থেকে টু শব্দ হয়নি। ইরান ইরাক যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মুসলিম মরেছে, কারো প্রতিক্রি্য়া হয়নি। ৭১ এ পাকিস্তানীরা আরকটি মুসলিম প্রধান দেশেই গনহত্যা চালিয়েছে এবং পুরো মুসলিম বিশ্ব (অন্তত সরকারগুলি) তাতে সমর্থন দিয়ে গেছে।
মানুষ মারায় মুসলমানদের বেশী আপত্তি নেই। কারন এই দুনিয়া তো দুদিনের। আসল জীবন তো আখেরাতে। তবে কাফেরদের হাতে মুসলমান মরলে তখন মুসলিমদের মানবতা জেগে ওঠে।
আমার মনে হয় না পাহাড়ীরা ভিন্ন জাতির কিন্তু মুসলমান হলে তাদের বেশী কোনো সুরক্ষা হতো। খালি গ্রাম জ্বালাও পোড়াও এর সময়ে একটু খেয়াল করে মসজিদটা বাচিয়ে চলতো হয়তো।
@সফিক,
উঁহু…আমার মনে হয় রাজেশ তালুকদার জাতিগত নিপীড়নের রূপটিকে ধর্মীয় দৃষ্টিতে একটু ওলট-পালট করে দেখতে চেয়েছন। আর তেমনটি হলে, অর্থাৎ আদিবাসীরা মুসলিম হলে পাহাড়ের রাজনীতি অন্য রকমভাবে লিখতে হতো বৈকি! (Y)
@ বিপ্লব রহমান,
আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে, ধরা যাক যে পাহাড়িরা স্বাধীন দেশ গঠন করলো, ঐ নতুন দেশে তাদের মানবাধিকার কেমন হবে, তাদের-ই নিজস্ব স্বাধীন সমাজব্যবস্থায়?
আমার মনে হয়না যে তাদের নেতারা/রাজারা তাদের খুব একটা স্বাধীনতা দেবে, যার উপর ভিত্তি করে তাদের বিকাশ সম্ভব।
আবার বর্তমান অবস্থাই ও তাদের মুক্তি দেখছিনা আমি। কাজেই তাদেরকে হয় বাঙলাদেশ ও তাদের নেতাদের/রাজাদের থেকে মুক্ত হতে হবে, অথবা তাদের নেতাদের/রাজাদের থেকে মুক্ত হয়ে বাঙলাদেশ ও পৃথিবীর সাথে মিশে যেতে হবে। অন্য কোনো পথে আমি পাহাড়ি মানুষদের মুক্তি দেখছিনা।
ধন্যবাদ
@আদনান,
অ্যাঁ!! 😕
…
কে বলেছে বাংলাদেশে কোনদিন তালেবানি রাষ্ট্র হবে না!
বাহ! কি সুন্দর ইসলামী শান্তি কায়েম হচ্ছে–একে বারে ১০০% নবীজির পদাঙ্ক অনুকরণ করে—মনে পড়ে গেল নবীজি একে বারে এই ভাবে খায়বারে ইহুদিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাদেরকে কেটে টুকরা টুকরা করেন এবং তাদের ভূমি-সম্পত্তি সব কব্জা করে নেন।
কে বলছে বাংলাদেশে জিহাদ হচ্ছেনা?
@আবুল কাশেম, 🙁
এ ব্যাপারে পত্রিকা গুলোতে নিয়মিত চোখ রেখেছি। ব্লগে যে কয়টা ফিচার এসেছে দেখেছি।
সব সময় যে ব্যাপাটি আমাকে বেশি বিচলতি হই পাহাড়ি দের সম্পর্কে ভুল প্রচারনা। আমি যাদের সাথেই এই ব্যাপার গুলো নিয়ে কথা বলেছি এবং খুব অবাক হয়েছি তাদের পাহাড়িদের উপর তাদের নেতিবাচক ধারনা দেখে। এটা সরকারের কারনে যেমন মিডিয়ায় আসেনা তেমনি জনসাধারন এই ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না বলে সরকারও সহজে অসভ্যতা করে যাচ্ছে বাধাহীন ভাবে।
@আসরাফ,
এ ক ম ত। খুব ভালো একটি বিষয় ফোকাস করেছেন।
আমার মনে হয়, পাবর্ত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের আদিবাসীদের বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকসহ গণমাধ্যমের দীর্ঘ নেতিবাচক প্রচারণা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এমন বৈরি মানসিকতা তৈরি করেছে। সরকারি নীতি-নির্ধারক মহল, আমলা, এমনকি কথিত ব%
নেট বিভ্রাটে মন্তব্যের শেষাং উধাও! … 😉 বাকী অংশ:
*সরকারি নীতি-নির্ধারক মহল, আমলা, এমনকি কথিত সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক — অনেকেই এমন নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
কিন্তু রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি সভ্যদেশে এমন মানসিকতার পরিবর্তন হতেই হবে। অন্যথায় ইতিহাস আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না। (Y)
বিপ্লব দা, ধন্যবাদ সমসাময়িকে ঘটে যাওয়া বড়পিলাকে ঘটনাটিকে তুলে ধরার জন্য । এখানে খুব সম্ভবঃত “দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘরে আগুন লাগানো হয়েছে” বদলে –দেড় শত হবে বলে আমার মনে হয় । কারণ যেখানে আধিবাসীদের মাত্র একশটা ঘর পুড়েছে, সেখানে এতগুলো সেনা সমর্থিত উদ্ভাস্তু বাঙালীর ঘর পুড়ানো কখনো সম্ভব নয় । আর আরেকটা কথা, দেশের বড়মাপিক পত্রিকাগুলোতে ও আদৌ তেমন কোন নিষ্ঠতা এবং নিরপেক্ষতার সাথে আসল তথ্য চাপাচ্ছে না, যেজন্য চারজন আধিবাসী গুম হওয়ার ঘটনাটি ও আদৌ পত্রিকার খবরে আসেনি । আর পুড়ে যাওয়া, ড়েপ্রুচাই মারমা (৮৫) এবং এক শিশুর ঘটনাটি ও চাপা দিতে পুলিশ এবং সেনাসহ সকলেই যৌথভাবে মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে । চট্রগ্রাম পলিটেকনিক্যালে পড়ু্যা ছাত্র আশিষ চাকমা (১৮) কে আদৌ পাওয়া যায় নি যদিও অনেক পালিয়ে বাঁচা যাত্রীরা দেখেছেন তাকে নির্মমভাবে মারা হচ্ছে । ধন্যবাদ এবং শুভকামনা । চলুক ।
@জয়েন্টু,
গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা। লেখায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী দিয়েছি। পত্র-পত্রিকার সংবাদ প্রসঙ্গে আপনি যা বলেছেন, স্বীকার করি, হয়তো সেভাবে গণমাধ্যমে পুরো খবর আসছে না। আবার অনেক খবরই হয়তো একপেশে। তবে গণমাধ্যমেরও সীমাবদ্ধতা আছে। প্রসাশনের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা ছাড়া বেশীরভাগ সময়ই অমন গুম বা নিঁখোজ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করা যায় না। …আর বিষয়টি স্পর্শ কাতরও বটে।
আপনাকে অনুরোধ করি, মুক্তমনা ডটকম-এ এসব বিষয়সহ পার্বত্য সমস্যা নিয়ে লেখার। ব্লগও হতে পারে বিকল্প গণমাধ্যম।
সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। (Y) (Y)
“যে জাতির পাকি-বৃটিশ অভিজ্ঞতা আছে, সে জাতি কি করে নিজে আরেক জাতির উপর এমন নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়!”
আমাদের মধ্যে empathy ‘র এতো অভাব! বাংগালীর সাংষ্কৃতিক-রাজনোৈতিক-ভৌগলিক অধিকার নিয়ে আমাদের এতো সচেতনতা, আর গারো-সাওতাল-চাকমাদের সমন্ধে আমরা এতোই নিস্পৃহ!
@সফিক,
এই উপলব্ধিবোধ আমাকে বহু বছর তাড়া করে ফিরছে; ঘুম নেই। 🙁
বিপ্লবদা,
আপনার লেখা পড়লে, খুব অসহায় বোধ করি। খুব লজ্জা হয়, ঘেন্না হয়; কিন্তু কিছু যেন আর করার নেই। শুধু দেখা; এ হচ্ছে প্রবাসে থাকার সুখ। আর এটাও ঠিক আপনাদের মত কিছু অগ্রগামী মানুষ, যারা পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি, আরো বড় এক দায়িত্ব কারো প্ররোচনা ছাড়াই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন, আপনাকে অভিনন্দন।
নিষ্ঠুর উপহাস!
@স্বপন দা,
🙁
আপনার মতো মুক্তমনা মানুষের সহমর্মিতায় আমরা আজও বেঁচে আছি কিন্তু আর কতকাল এভাবে? …… আপনার লেখার মাঝে বিবেকের তাড়না আছে। আছে নিজের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস থেকে পরের স্বাধীনতা উপলদ্ধি করার অসম্ভব টান…. আপনি হাজার বছর বেঁচে থাকুক আমাদের অন্তরে ….শুভকামনা..
@মারমা,
মনে হয় সময় এসেছে, কঠিন-কঠোর আন্দোলনের কথা ভাবার। আর সে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে আপনাদেরই। আশাকরি, সেদিন সয়াহাক শক্তি হিসেবে মুক্তমনা শুভবুদ্ধির মানুষের অভাব হবে না।
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। চলুক। (Y)
এটা এমন একটা ব্লগ, যেখানে এধরণের লেখায় কোন আপত্তি-গালিগালাজ কিছু নেই!
অন্য যে কোন ব্লগ মাধ্যমে এই লেখার প্রতিক্রিয়া হতো দেখার মতো। বাঙালীরা সব ঝাপিয়ে পড়তো দেশপ্রেম (!) ও জাতিয়তাবোধ (!!) থেকে। পাহাড়ি আদিবাসীদেরকে এবং তাদের দালালির জন্য আপনাকে ধুয়ে ফেলা হতো ….
বুঝিনা- যে জাতির পাকি-বৃটিশ অভিজ্ঞতা আছে, সে জাতি কি করে নিজে আরেক জাতির উপর এমন নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
🙁
@নাস্তিকের ধর্মকথা, @ রৌরব,
(Y)
আপডেট :
রামগড় সহিংসতার ওপর দুটি ভিডিও ক্লিপিং–
ভিডিও ক্লিপিং এক:
[img]httpv://www.youtube.com/watch?v=bAu_EtwZcfY&feature=player_embedded[/img]
ভিডিও ক্লিপিং দুই:
[img]httpv://www.youtube.com/watch?v=ivnrJGpjlM0&feature=player_embedded[/img]
ইউনুসের চাকরি যাওয়ার চেয়ে কোটিগুণ গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক কোন ক্ষোভ লক্ষ্য করছি না। (W)
@রৌরব,
এ ক ম ত। 🙁
@রৌরব,
(Y)
@রৌরব,
চমৎকার উপমা।
খুব বেশি খাঁটি কথা, খুব একটা শুনা যায় না। যারা বলে তারা এখনো সংখ্যালঘু।
পাহাড় আবার অশান্ত হয়ে উঠেছে। বাঙ্গালিদের লাগাদার পাকিপনায় আমি বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। এই গতবছরই ফেব্রুয়ারি মাসে খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি-বাঙালি ভয়াবহ সংঘর্ষ-এর পর আমি লিখেছিলাম ‘মোর গাঁয়ের সীমানার পাহাড়ের ওপারে প্রতিধ্বনি শুনি’। মুক্তমনার অন্য সদস্যরাও প্রবন্ধ লিখেছিলেন। আর কত প্রতিবাদ হবে? আর কত রক্ত ঝড়লে পাহাড়ি জনগোষ্ঠির সমস্যাকে সমস্যা হিসেবে দেখবেন বাংলাদেশের সরকার?
@অভিজিৎ দা,
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। আপনার ওই অসাধারণ লেখাটি আমার বহুবার পড়া। কিন্তু সেদিন লেখাটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এখনই এটিকে প্রিয় পোস্টে নিচ্ছি। (Y)
আমার মনে হয়, প্রতিবাদীপক্ষ এখনো সংখ্যালঘু।
@ বিপ্লব রহমান,
পাহাড়িদের, তাদের সমাজব্যবস্থায়, মানবাধিকার সম্পর্কে কি কিছু বলবেন? তাদের সমাজব্যবস্থায়, ব্যাক্তি হিসাবে তারা কতটা স্বাধীন?
আমার মনে হয় তাদের সমাজব্যবস্থা বেশ বন্ধ। যতদিন না তারা মিশে যাচ্ছে সারাদেশ ও পৃথিবীর সাথে, ঐ অঞ্চলে শান্তি আসবেনা।
আদনান
@আদনান,
আপনি কী লেখা না পড়েই মন্তব্য করেন? পুরো লেখাটিই তো পাহাড়িদের বর্তমান সমাজিক অবস্থা ও মানবাধিকার নিয়ে লেখা। :-Y
ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন? 😕
@বিপ্লব রহমান,
আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে, ধরা যাক যে পাহাড়িরা স্বাধীন দেশ গঠন করলো, ঐ নতুন দেশে তাদের মানবাধিকার কেমন হবে, তাদের-ই নিজস্ব স্বাধীন সমাজব্যবস্থায়?
আমার মনে হয়না যে তাদের নেতারা/রাজারা তাদের খুব একটা স্বাধীনতা দেবে, যার উপর ভিত্তি করে তাদের বিকাশ সম্ভব।
আবার বর্তমান অবস্থাই ও তাদের মুক্তি দেখছিনা আমি। কাজেই তাদেরকে হয় বাঙলাদেশ ও তাদের নেতাদের/রাজাদের থেকে মুক্ত হতে হবে, অথবা তাদের নেতাদের/রাজাদের থেকে মুক্ত হয়ে বাঙলাদেশ ও পৃথিবীর সাথে মিশে যেতে হবে। অন্য কোনো পথে আমি পাহাড়ি মানুষদের মুক্তি দেখছিনা।
ধন্যবাদ
@আদনান ভাই, গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ১৯৩০-৪০ এর আগে পাহাড়ী জনগনের বিশেষ করে চাকমা এবং মারমাদের রাজ প্রথা ছিল । রাজারা ছিলেন কর্তাস্বরুপ । আইন-কানুন গুলো উনাদের উপর প্রভাব থাকতো । সেসময় শুধু পাহাড়ীরা কেনো পুরো বিশ্বে কতজন মানুষ অধিকার নিয়ে সচেতন ছিল তা ও জানার আছে । পরবর্তীতে যখন মানুষ অধিকার নিয়ে সচেতন হয়েছে, শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে ঠিক সেসময় পাহাড়ীরা ও থেমে থাকেনি । শত-বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে উচ্চ শিক্ষার্থে সরিয়ে পড়েন সারা দুনিয়া জুড়ে । রাজ কর্তাদের প্রভাব কমতে থাকে । এখন ও রাজপ্রথা আছে তা হচ্ছে অফিসিয়ালী, এ নয় যে রাজারা পাহাড়ীদের উপর খবরদারী করতে পারে । এখন মানুষ যার-যার স্বাধীনতা নিয়ে চলে, শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর রাঙানো চক্ষু ব্যতীত । ‘মুক্তি’ যদিও একটি শব্দমাত্র, কিন্তু এর ব্যাখ্যা কিংবা গুরুত্ব বিরাট তাৎপর্য যে বহন করে তা অস্বীকার করার নেই । ব্যক্তি হিসেবে প্রতিটি পাহাড়ী স্বাধীনচেতা, ধর্মের বাঁধাবন্ধকতা তাদের নেই; হয়ত যাগ-যজ্ঞের মতো কিছু রীতি-প্রথা, কুসংষ্কার বিদ্যমান । সেইসব রীতিনীতির মাঝে কাউকে হিংসা-ধ্বংসের বদলে থাকে অহিংসাপরায়ন হতে ।
রাষ্ট্রতন্ত্র যদি জ্ঞানের উপায় বাহির করতে পারে যে যার মাধ্যমে পাহাড়ীদের অধিকারগুলো সঠিকভাবে মূল্যয়ন করা সম্ভব, তাতে আলাদা রাষ্ট্রের দরকার পড়বে কেনো ? আর পাহাড়ীরা ওতো কোন বিচ্ছিন্ন আলাদা রাষ্ট্রের দাবী করছে না । আর আরেকটা কথা, কাউকে অধিকার দেয়ার আগে যদি চিন্তা করি যে সে অধিকার পেলে অপব্যবহার করবে, সে নীতিজ্ঞানকে নিয়েতো পৃথিবীর কাউকে আর অধিকার কিংবা সত্যিকার স্বাধীনতা দেয়া যাবে না । 😕
@জয়েন্টু,
আবারো আপনি আমার মনের কথাই বলেছেন। শাব্বাশ! (Y)
@আদনান,
আপনার এই ‘ধরা যাক’টি খুব অপ্রাসঙ্গিক। কেনো এমন অবাস্তব বিষয়ের অবতারণা করছেন? 😛
পাহাড়িরা তো খুব বেশী কিছু দাবি করছেন না। তাদের দাবি, শান্তিচুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন। আর বর্তমান রাজারা (সার্কেল চিফ) অনেকটাই প্রথাগত রীতিনীতি অনুসরণ করেন। রাজ্য শাসন বলতে যা বোঝায়, তা নয়। …
ভাইরে, দোয়াও চাই, মাফও চাই। …শুধু মন্তব্যের খাতিরে মন্তব্য না করার বিনীত অনুরোধ। ধন্যবাদ। (W)
@বিপ্লব রহমান,
একই দেশের ভিতরে আবার শান্তিচুক্তির কি প্রয়োজন? সবাই কি একই শাসনতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনা? শুনি যে পাহাড়িরা স্বায়ত্তশাসন চায়। স্বায়ত্তশাসনের ফলে কি একই শাসনতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব? আমার মনে হয়, পাহাড়ি অঞ্চল এমন কিছু দাবি করতে পারেনা, যা দেশের অন্য কোনো অঞ্চল দাবি করতে পারেনা।
আপনি এমন একটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখেন, কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে তো মনে হয় আপনি ক্ষেপা প্রকৃতির মানুষ। নিজেই যদি শান্ত না থাকেন, তবে তো ভাই শান্তির পথের কাজ শেষ করতে পারবেন না।
আর একটা কথা, আমাকে প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো কারন নেই। আমি পাহাড়িদের জন্য শান্তি-ই চাই, আর সেজন্যই মনে করি যে নিদেনপক্ষে স্বাধীন দেশ গঠন ছাড়া তা সম্ভব নয়, কেননা তাদের স্বায়ত্তশাসনের দাবি গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্রের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।
@আদনান,খারাপ বলেন নাই । পার্বত্য চট্রগ্রামের ইস্যুটি একদিকে যেমন অতি গুরুত্বপূর্ণ ঠিক অন্যদিকে তেমনি স্পর্শকাতর । কোনরকম ক্ষেপাতে মানসিকতার মধ্যে দিয়ে এর সমাধান করা যাবে না । বিশেষতঃ যারা পার্বত্য চট্রগ্রাম সম্পর্কে লিখালেখি করে থাকেন উনাদের বেশিমাত্রায় সহনশীল এবং আন্তরিকতার সাথে অন্য আরেকজনের প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করা উচিত, জানা না থাকলে “আমার জানা নেই সেই বিষয়ে, জানতে পারলে আপনাকে জানাবো” এমন শান্ত এবং আন্তরিকতারসহীত ভাবানুবাদ করা উচিত অন্ততঃ প্রগতিশীল হিসেবে । না হয় একজনের ক্ষেপাতে মানসিকতার জন্য অন্য দশজন ভুল বুঝে থাকবে যদি নিজের প্রশ্নগুলোর বদলে সে অপবাদ পেয়ে যাই । ধন্যবাদ লেখক বিপ্লব ভাইকে ।
@অমিত হিল,
আপনার প্রোফাইলে ক্লিক করে দেখলাম, এ পর্যন্ত একটি লেখা পোস্ট করেননি। লগইন করে ওই একটি মাত্র মন্তব্যই করেছেন; তা-ও আবার ব্যক্তিগত আক্রমণকে সমর্থন জানিয়ে? (N)
পুনশ্চ: হুমম…এই তাহলে ঘটনা। 😛
@আদনান,
পার্বত্য চট্টগ্রাম সর্ম্পকে নূন্যতম ধারণা না থাকায় আপনার সঙ্গে আলাপ-চারিতা বৃথা। 🙁
ব্যক্তিগত আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। (N)
@আদনান,
ধর্মীয় বা জাতিয়তাবাদী মোড়ক দিয়ে, জাগতিক প্রয়োজনে কিভাবে দাঙ্গা উৎপাদন করা হয়; আমার মনে হয়েছে, লেখক সে কারখানার হালচাল পাঠকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
@স্বপন দা,
আমি চেষ্টা করেছি মাত্র। সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। (Y)
অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে। কিন্তু এর প্রতিবাদে কি কিছু করা হচ্ছে? অন্তত ব্লগের মানুষদের নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ কিংবা মানব বন্ধন ধরনের কিছু কি করা যায় না? যদিও সেগুলো এই অবিচার বন্ধে কতটুকু সাহায্য করবে জানি না।
@স্বাধীন,
সঙ্গে থাকার জন্য আবারো অনেক ধন্যবাদ।
সর্বত্রই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হচ্ছে। আদিবাসী ফোরাম ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করেছে। আশাকরি সেখানে আপনাকে পাবো। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
আমি তো ভাই এখন দেশের বাহিরে। তবে খুব শীঘ্রই দেশে ফিরছি। আশা করি দেখা হবে কখনো। আপনাদের ও আদিবাসীদের প্রতি সহমর্মিতা রইবে সব সময়। সমাবেশের খবর আপডেট হিসেবে জানাবেন ব্লগের মানুষদের জন্য।
@স্বাধীন,
ওহ আচ্ছা! আপনার সমর্থন-সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। (Y)
সত্যিই কী অমানবিক! এমন সব সংবাদ শুনে স্থির থাকা কষ্টকর।
এমন সংবাদ আর কখনো আমরা শুনবো না- এমন দিন কি আসবে?
@নিটোল,
সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চলুক। (Y)