এপ্রিল ২১, ২০১১
আবুল কাশেম

৭ম পর্বের পর

মহিলাদের খৎনা করা

এ কেমন কথা! মহিলাদের খৎনা হয় কেমন করে?। তাদের যৌনাঙ্গে এমন কিছু কি আছে যা কেটে ফেলা দরকার?—অনেকেই এই প্রশ্ন করবেন। এর সোজা উত্তর হল: হ্যাঁ, মহিলাদেরও খৎনা করতে হবে—এটাই ইসলামী আইন। ঘুরে আসুন মিশর—দেখবেন প্রায় সমস্ত মহিলাই সেখানে খৎনা করা যদিও মিশরীয় সরকার দাবী করে যে এই প্রথার বিরুদ্ধে আইন আছে। কিন্তু কে শোনে যুক্তি, বিজ্ঞান বা আইনের কথা! ঘুরে আসুন ইন্দোনেশিয়া, পৃথিবীর সর্ব-বৃহত্তম ইসলামিক রাষ্ট্র—সেখানে দেখবেন শতকরা নব্বইজন মহিলা খৎনার শিকার। এই একই অবস্থা মালয়েশিয়াতে। তা হলে বাংলাদেশে কি হচ্ছে? খুব সম্ভবত: বাংলাদেশে এই বর্বর বেদুঈন প্রথা নাই। অথবা থাকলেও অত্যন্ত গোপনে তা করা হয়। আর এও হতে পারে যে বাংলাদেশে যে শারিয়া আইন চালু আছে তা হানাফি আইন। সুন্নিদের মধ্যে হানাফি আইনই একটু কম বর্বরোচিত। হানাফি আইন মতে মেয়েদের খৎনা করা বাধ্যতামূলক নয়। তাই আমাদের মহিলাদের কিছু রক্ষা।

প্রশ্ন হতে পারে কেন মেয়েদের খৎনা করা হবে—ইসলামী আইন অনুযায়ী? এর সরাসরি উত্তর হবে মেয়েদের যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করার জন্য। তা না করলে যে পুরুষদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। পুরুষরা যে পারবে না মেয়েদের যৌন ক্ষুধার চাহিদা মিটাতে। এই সব বর্বর প্রথাকে সভ্যতার প্রলেপ দিতে অনেক ইসলামী জ্ঞানীরা বলে বেড়াচ্ছেন যে মেয়েদের খৎনা নাকি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। কি ডাহা মিথ্যা কথা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মুফতিকে (উনার নাম খুব সম্ভবত: ফেহমী) একবার এক কাফের মহিলা সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করল: কেন মুসলিম মেয়েদের খৎনা করা হয়? মুফতি ফেহমি সৎ উত্তর দিলেন। তিনি বললেন সাধারণত: উষ্ণ দেশের মেয়েদের যৌন তাড়না থাকে অনেক বেশী। তারপর ফেহমি ঐ মহিলা সাংবাদিকের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন: “তোমার হয়ত এর (মহিলা খৎনা) প্রয়োজন নাই; কিন্তু ঐ মহিলাদের আছে”। আমি স্মৃতি থেকে এই ঘটানটি বললাম। কেউ সূত্র চাইলে গুগল ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারেন।

এখন দেখা যাক মহিলাদের খৎনা সম্পর্কে ইসলামী আইন কানুন কি বলে।

শারিয়া আইন ই ৪.৩ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৮৫৯):
খৎনা একেবারে বাধ্যতামূলক। (O. পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যে। পুরুষদের জন্যে খৎনা হবে পুং জননেন্দ্রিয়ের আবরক ত্বক কর্তন করা। মহিলাদের খৎনা হবে ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক ছেদন দ্বারা। এর মানে নয় যে সম্পূর্ণ ভগাঙ্কুর কেটে ফেলা যেটা অনেকেই ভুলবশত: বলে থাকেন।) (হানবালিরা বলেন যে মহিলাদের খৎনা বাধ্যতা নয়—সুন্না। হানাফিরা বলে যে মহিলাদের খৎনা শুধুমাত্র স্বামীকে সম্মান দেখানোর জন্যে।)

সুনান আবু দাউদ, বই ৪১ হাদিস ৫২৫১:
উম আতিয়া আল আনসারিয়া বর্ণনা করেন:
মদিনার এক মহিলা মেয়েদের খৎনা করত। নবী (সাঃ) তাকে বললেন: “খুব বেশী কেটে দিবে না। কেননা এতে স্ত্রীর ভাল হবে এবং স্বামীও বেশী মজা পাবে”।

উপরের আইনগুলো থেকে বুঝা গেল বাঙালি মহিলারা যদি তাঁদের স্বামীকে সত্যিই ভালবাসেন এবং সম্মান করেন তবে প্রমাণ স্বরূপ নিজেদের যৌনাঙ্গের খৎনা করে নিতে পারেন। এখানে আমি কিছু বাড়াবাড়ি বলছি না—ইসলামী আইনে যা লিখা আছে তারই ব্যাখ্যা দিচ্ছি বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে।

মুসলিম মহিলাদের কি ধরণের মৌলিক অধিকার আছে?

ইসলামী আইন অনুযায়ী একজন মুসলিম পুরুষ একজন ইহুদী অথবা খ্রিষ্টান মহিলাকে বিবাহ করতে পারবে। এজন্যে মহিলাটিকে ইসলাম গ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়—যদিও মহিলাটি ইসলাম গ্রহণ করলে ভাল হয়। অনেকে এর সাথে সাবি ও জরথুস্তদের মহিলাদেরও অন্তর্গত করেন। কিন্তু মুসলিম নারীরা কিছুতেই অন্য ধর্মের পুরুষকে বিবাহ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই বিধর্মী পুরুষ ইসলামে দীক্ষিত হয়। এই ই হচ্ছে মুসলিম নারীদের প্রতি ইসলামী ন্যায় বিচার! ইসলামী পণ্ডিতেরা তাই প্রচার করছেন—ইসলাম মহিলাদেরকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে!

দেখা যাক কোরান কি বলে এই ব্যাপারে।

কোরান সূরা আল বাকারা, আয়াত ২২১ (২:২২১):
আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ্‌ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।

আচ্ছা মুসলিম মহিলাদের কি অধিকার আছে মিহি ও একটু স্বচ্ছ পোশাক পরার—যেমন নাইটি অথবা নাইলনের সূক্ষ্ম গাউন? ইসলামী আইন অনুযায়ী একজন মুসলিম মহিলা এমন পোশাক পরতে পারবেনা যাতে তার অন্তর্বাস দেখা যেতে পারে এমনকি তা যদি শোবার ঘরে একান্ত নিভৃতেও হয়। এরকম করলে আল্লাহ্‌ নাকি নারাজ থাকেন। ভালো কথা—এখানে মহিলাদের একটু সম্ভ্রম-ভাবে রাত্রের পোশাক পরতে বলা হচ্ছে। কিন্তু আপত্তি হচ্ছে এ ব্যাপারে মুসলিম পুরুষদেরকে কিছুই বলা হয় নাই। তারা চাইলে শুধুমাত্র জাঙ্গিয়া পরেও ঘুমাতে পারে—আল্লাহ্‌ তাতে নারাজ হবেন না।

দেখুন হাদিস কি বলছে।

সহিহ মুসলিম, বই ২৪ হাদিস ৫৩১০:
আবু হুরায়রা বর্ণনা করলেন:
আল্লাহ্‌র রসুল (সাঃ) বলেছেন: “নরকের দুই অধিবাসী আমি যাদেরকে দেখিনি—তারা হল সেই সব ব্যক্তি যারা ষাঁড়ের লেজের মত চাবুক দিয়ে ঢোল পিটায় ও সেই সব মহিলারা যারা এমন পোশাক পরিধান করে যে তাদেরকে উলঙ্গই দেখা যায়। এই সব মহিলারা অশুভের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তাদের স্বামীকেও অশুভের দিকে নিয়ে যাবে। এদের মাথা বখত উটের কুব্জের মত এক দিকে কাত হয়ে থাকবে। এরা স্বর্গে প্রবেশ করবে না বা স্বর্গের সুবাসও গ্রহণ করবে না যদিও স্বর্গের সুবাস অনেক দূর থেকেই পাওয়া যাবে। এরা তা থেকে বঞ্চিত হবে।

আজকের বিশ্বে আমরা এর উদাহরণ সর্বদায়ই দেখছি। টেলিভিশন খুললেই দেখছি কি ভাবে তালিবানরা ইসলাম কায়েম করছে, কি ভাবে সুদানে ইসলামী স্বর্গ তৈরি করা হচ্ছে। কিভাবে সোমালিয়ায়, ইরানে, পাকিস্তানে নারীদের প্রতি আচরণ করা হচ্ছে। চিন্তা করা যায় কি বোরখার ভিতরে কেমন আরাম আছে? তার উপর গ্রীষ্মের উত্তাপে? আমরা ১৯৭০ এর দিকে দেখেছিলাম কেমন করে মাওবাদীরা জোরপূর্বক তাদের নির্দেশিত পোশাক, মাও কোট পরিয়ে দিচ্ছে ছেলে মেয়ে সবাইকে। এই ব্যাপারে মনে হচ্ছে ইসলামের সাথে কম্যুনিজমের বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে। উভয়েই স্বেচ্ছাচার ও একনায়কত্ব।

এখন আমরা দেখব মহিলাদের পর্দার ব্যাপারে ইসলামী আইন কি রকম।

শারিয়া আইন এফ ৫.৬ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ১২২):
একজন মহিলাকে তার মাথা ঢেকে রাখতে হবে (খিমার দ্বারা)। এছাড়াও শরীরের উপরে ভারী আচ্ছাদন পরতে হবে যা মহিলার সম্পূর্ণ দেহকে ঢেকে রাখবে। (O.কিন্তু এমনভাবে গায়ে জড়াবে না যাতে করে তার দাঁড়ান, উঠা, বসা করতে বাধা আসে অথবা নামায পড়তে অসুবিধা হয়। মহিলাটি নামায পড়ার সময় তিন পোশাকে পড়বে)।

শারিয়া আইন এম ২.৩ (ঐ বই, পৃঃ ৫১২):
অধিকাংশ আলেমদের মতে (n. হানাফিরা বাদে যার বৃত্তান্ত রয়েছে নিম্নের ২.৮ এ) কোন মহিলার পক্ষে মুখমণ্ডল অনাবৃত রেখে গৃহের বাইরে যাওয়া বে আইনি—কোন প্রলোভন থাকুক আর না থাকুক। যখন প্রলোভন থাকে (মহিলার উপর কোন পুরুষের) তখন আলেমরা একমত যে মহিলার মুখমণ্ডল আবৃত থাকতেই হবে। এখানে প্রলোভন বলতে বুঝানো হচ্ছে যৌন সঙ্গমের ইচ্ছা অথবা তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। তবে অগত্যায় পড়লে যদি মহিলার প্রয়োজন হয় তবে সে দৃষ্টি দিতে পারে, যদি প্রলোভনের সম্ভাবনা না থাকে।

শারিয়া আইন ডবলু ৫২.১ (১০৮) (ঐ বই পৃঃ ৯৭৩):
মহিলা পাতলা পোশাক পরতে পারবে না।
মহিলাদের পাতলা পোশাক পরা অপরাধ তুল্য। যে মহিলা পাতলা পোশাক পরে তার দেহের বৈশিষ্ট্য দেখাবে অথবা অন্যের প্রতি হেলে পড়বে অথবা অন্যকে তার দিকে হেলে পড়তে দিবে সেও এই পর্যায়ে পড়বে।

শারিয়া আইন ডবলু ৫২.১ (২৭২) (ঐ বই পৃঃ ৯৮ ৯৯):
মহিলাদের সুগন্ধি পরে গৃহের বাইরে যাওয়া অপরাধ, এমনকি তাতে স্বামীর অনুমতি থাকলেও।

শারিয়া আইন এম ২.৩ (এ) (ঐ বই, পৃঃ ৫১২):
কোন মহিলার বিবাহযোগ্য কোন পুরুষের নিকটে থাকা বে-আইনি। (A.নিজের স্ত্রী অথবা অ-বিবাহযোগ্য আত্মীয় ছাড়া কোন পুরুষের জন্যে অন্য কোন নারীর সাথে একাকী থাকা একেবারেই বে-আইনি। তবে যদি দুই নারীর সাথে পুরুষ একা থাকে তবে তা বে-আইনি হবে না।

মহিলাদের জিহাদে যোগদান

ইসলাম বিশারদরা প্রায়শ: বলেন যে মহিলাদের জন্য প্রধান জিহাদ হচ্ছে হজ্জ। এটা সত্যি যে এ ব্যাপারে কিছু হাদিস আছে (যেমন সাহিহ বোখারী ভলুম ২, বই ২৬, হাদিস ৫৯৫)। যে বিষয়টা ইসলামী বিশারদরা চেপে যান তা হচ্ছে ঐ হাদিস অর্ধ সত্য। এই হাদিসের প্রসঙ্গ হচ্ছে এই যে যখন বিবি আয়েশা জিহাদে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তখন নবীজি আয়েশাকে বলেছিলেন যে তাঁর (আয়েশার) জন্যে সবচাইতে ভাল জিহাদ হবে হজ্জ মাবরুর (সিদ্ধ হজ্জ)। এখন দেখা যায় অনুবাদকরা তাঁদের ইচ্ছামত ব্রাকেটে (নারীদের জন্যে) জুড়ে দিয়েছেন। বিবি আয়েশা যখন জিহাদে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তখন তিনি নিতান্তই নাবালিকা ছিলেন—তাই নবীজি হয়ত চাননি ঐ অল্প বয়সী মেয়েটা জিহাদে যোগদান করে বেঘোরে প্রাণ হারায়।

আমরা আরও দেখি কেমন করে এইসব ইসলামী পণ্ডিতেরা, যাঁরা বেশীরভাগই পাশ্চাত্ত্য দেশে বাস করেন, তাঁদের দ্বৈত ভূমিকা দেখান—অর্থাৎ দুই-মুখে কথা বলেন। যখন পাশ্চাত্ত্যে থাকেন তখন বলেন জিহাদ মানে মানসিক যুদ্ধ করা, নিজেকে উন্নত করার জন্যে, নিজের বিরুদ্ধে নিজেই যুদ্ধ করা। কি সুন্দর কথা। এ কথায় কার না মন ভিজবে! কিন্তু এই ইসলামী পণ্ডিতেরাই যখন ইসলামী স্বর্গে যাবেন তখন বলবেন জিহাদ মানে ইসলাম প্রচারের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করা—কাফেরদের হত্যা করে বিশ্বব্যাপী ইসলাম কায়েম করা।

এই ব্যাপারেও আমরা লক্ষ্য করি ইসলামের অন্যায় আচরণ—মহিলাদের উপর। শারিয়া আইন বলে মহিলাদের জন্যে জিহাদে যোগদান করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু যখন জিহাদে-লব্ধ লুটের মাল ভাগ হবে তখন মহিলা জিহাদিরা কোন নির্দিষ্ট ভাগ পাবেনা। তারা শুধু পাবে একটুমাত্র পুরস্কার—এই আর কি।

দেখা যাক শারিয়া আইন এ ব্যাপারে কি বলে।

শারিয়া আইন ও ৯.৩ (ঐ বই পৃঃ ৬০১)
জিহাদ বাধ্যতামূলক (O.ব্যক্তিগতভাবে) সবার জন্য (O.যারা সমর্থ, পুরুষ এবং মহিলা, বৃদ্ধ ও তরুণ) যখন শত্রু মুসলিমদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে।

….একজন মহিলা যে জিহাদে যোগদান করবে, যখন শত্রু চারিদিকে ঘিরে ফেলবে তখন তার কাছে দু’টি সিদ্ধান্ত থাকবে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করা অথবা শত্রুর কাছে আত্মসমর্পণ করা, যদি মহিলা মনে করে যে আত্মসমর্পণ করলে তার প্রতি কোন অসদাচরণ করা হবে না। কিন্তু যদি মহিলা মনে করে যে আত্মসমর্পণের পরেও সে নিরাপদে থাকবে না, তখন তাকে লড়াই করতেই হবে, সে মহিলা কোনক্রমেই শত্রুর কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।

তা’হলে আমরা দেখছি যে মহিলারা জিহাদে যোগদান করতে বাধ্য, এমনকি জিহাদে তারা মৃত্যুবরণও করে নিতে পারে। লক্ষ্য করবেন আজকাল বেশ কিছু ইসলামী আত্মঘাতী বোমারুরা হচ্ছে মহিলা। এই সকল মহিলারা যে অক্ষরে অক্ষরে শারিয়া আইন মেনে চলেছে তাতে আমাদের কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

এখন আমরা পড়ব নিচের হাদিস যেখানে মহিলা জিহাদিদের পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। এই হাদিস বেশ লম্বা, তাই প্রাসঙ্গিক অংশটুকুই উদ্ধৃত করা হবে।

সহিহ মুসলিম বই ১৯, হাদিস ৪৪৫৬
ইয়াজিদ বিন হুরমু্য বর্ণনা করলেন যে নাজদা একটা পত্র লিখলেন আব্বাসকে পাঁচটা ব্যাপারে।
… আমাকে বলুন আল্লাহ্‌র রসুল (সাঃ) যখন মহিলাদেরকে জিহাদে নিলেন তখন কি রসুলুল্লাহ মহিলাদের জন্য যুদ্ধে-লব্ধ মালের (খুমুস) জন্যে কোন নিয়মিত অংশীদার করেছিলেন? … ইবনে আব্বাস উত্তরে লিখলেন: …কখনও কখনও রসুলুল্লাহ মহিলা জিহাদিদের সাথে মিলে যুদ্ধ করেছেন। এছাড়া মহিলা জিহাদিরা আহত যোদ্ধাদের সেবা করত। জিহাদে লব্ধ মালের কিছু পুরষ্কার মহিলারা পেত। কিন্তু রসুলুল্লাহ মহিলাদের জন্য কোন নিয়মিত অংশভাগ রাখেননি।…

চলবে (৯ম পর্বে)।

ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-১)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ২)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৩)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৪)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৫)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৬)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৭)