এপ্রিল ২১, ২০১১
আবুল কাশেম
৭ম পর্বের পর
মহিলাদের খৎনা করা
এ কেমন কথা! মহিলাদের খৎনা হয় কেমন করে?। তাদের যৌনাঙ্গে এমন কিছু কি আছে যা কেটে ফেলা দরকার?—অনেকেই এই প্রশ্ন করবেন। এর সোজা উত্তর হল: হ্যাঁ, মহিলাদেরও খৎনা করতে হবে—এটাই ইসলামী আইন। ঘুরে আসুন মিশর—দেখবেন প্রায় সমস্ত মহিলাই সেখানে খৎনা করা যদিও মিশরীয় সরকার দাবী করে যে এই প্রথার বিরুদ্ধে আইন আছে। কিন্তু কে শোনে যুক্তি, বিজ্ঞান বা আইনের কথা! ঘুরে আসুন ইন্দোনেশিয়া, পৃথিবীর সর্ব-বৃহত্তম ইসলামিক রাষ্ট্র—সেখানে দেখবেন শতকরা নব্বইজন মহিলা খৎনার শিকার। এই একই অবস্থা মালয়েশিয়াতে। তা হলে বাংলাদেশে কি হচ্ছে? খুব সম্ভবত: বাংলাদেশে এই বর্বর বেদুঈন প্রথা নাই। অথবা থাকলেও অত্যন্ত গোপনে তা করা হয়। আর এও হতে পারে যে বাংলাদেশে যে শারিয়া আইন চালু আছে তা হানাফি আইন। সুন্নিদের মধ্যে হানাফি আইনই একটু কম বর্বরোচিত। হানাফি আইন মতে মেয়েদের খৎনা করা বাধ্যতামূলক নয়। তাই আমাদের মহিলাদের কিছু রক্ষা।
প্রশ্ন হতে পারে কেন মেয়েদের খৎনা করা হবে—ইসলামী আইন অনুযায়ী? এর সরাসরি উত্তর হবে মেয়েদের যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করার জন্য। তা না করলে যে পুরুষদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। পুরুষরা যে পারবে না মেয়েদের যৌন ক্ষুধার চাহিদা মিটাতে। এই সব বর্বর প্রথাকে সভ্যতার প্রলেপ দিতে অনেক ইসলামী জ্ঞানীরা বলে বেড়াচ্ছেন যে মেয়েদের খৎনা নাকি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। কি ডাহা মিথ্যা কথা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মুফতিকে (উনার নাম খুব সম্ভবত: ফেহমী) একবার এক কাফের মহিলা সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করল: কেন মুসলিম মেয়েদের খৎনা করা হয়? মুফতি ফেহমি সৎ উত্তর দিলেন। তিনি বললেন সাধারণত: উষ্ণ দেশের মেয়েদের যৌন তাড়না থাকে অনেক বেশী। তারপর ফেহমি ঐ মহিলা সাংবাদিকের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন: “তোমার হয়ত এর (মহিলা খৎনা) প্রয়োজন নাই; কিন্তু ঐ মহিলাদের আছে”। আমি স্মৃতি থেকে এই ঘটানটি বললাম। কেউ সূত্র চাইলে গুগল ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারেন।
এখন দেখা যাক মহিলাদের খৎনা সম্পর্কে ইসলামী আইন কানুন কি বলে।
শারিয়া আইন ই ৪.৩ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৮৫৯):
খৎনা একেবারে বাধ্যতামূলক। (O. পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যে। পুরুষদের জন্যে খৎনা হবে পুং জননেন্দ্রিয়ের আবরক ত্বক কর্তন করা। মহিলাদের খৎনা হবে ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক ছেদন দ্বারা। এর মানে নয় যে সম্পূর্ণ ভগাঙ্কুর কেটে ফেলা যেটা অনেকেই ভুলবশত: বলে থাকেন।) (হানবালিরা বলেন যে মহিলাদের খৎনা বাধ্যতা নয়—সুন্না। হানাফিরা বলে যে মহিলাদের খৎনা শুধুমাত্র স্বামীকে সম্মান দেখানোর জন্যে।)
সুনান আবু দাউদ, বই ৪১ হাদিস ৫২৫১:
উম আতিয়া আল আনসারিয়া বর্ণনা করেন:
মদিনার এক মহিলা মেয়েদের খৎনা করত। নবী (সাঃ) তাকে বললেন: “খুব বেশী কেটে দিবে না। কেননা এতে স্ত্রীর ভাল হবে এবং স্বামীও বেশী মজা পাবে”।
উপরের আইনগুলো থেকে বুঝা গেল বাঙালি মহিলারা যদি তাঁদের স্বামীকে সত্যিই ভালবাসেন এবং সম্মান করেন তবে প্রমাণ স্বরূপ নিজেদের যৌনাঙ্গের খৎনা করে নিতে পারেন। এখানে আমি কিছু বাড়াবাড়ি বলছি না—ইসলামী আইনে যা লিখা আছে তারই ব্যাখ্যা দিচ্ছি বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে।
মুসলিম মহিলাদের কি ধরণের মৌলিক অধিকার আছে?
ইসলামী আইন অনুযায়ী একজন মুসলিম পুরুষ একজন ইহুদী অথবা খ্রিষ্টান মহিলাকে বিবাহ করতে পারবে। এজন্যে মহিলাটিকে ইসলাম গ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়—যদিও মহিলাটি ইসলাম গ্রহণ করলে ভাল হয়। অনেকে এর সাথে সাবি ও জরথুস্তদের মহিলাদেরও অন্তর্গত করেন। কিন্তু মুসলিম নারীরা কিছুতেই অন্য ধর্মের পুরুষকে বিবাহ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই বিধর্মী পুরুষ ইসলামে দীক্ষিত হয়। এই ই হচ্ছে মুসলিম নারীদের প্রতি ইসলামী ন্যায় বিচার! ইসলামী পণ্ডিতেরা তাই প্রচার করছেন—ইসলাম মহিলাদেরকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে!
দেখা যাক কোরান কি বলে এই ব্যাপারে।
কোরান সূরা আল বাকারা, আয়াত ২২১ (২:২২১):
আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ্ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
আচ্ছা মুসলিম মহিলাদের কি অধিকার আছে মিহি ও একটু স্বচ্ছ পোশাক পরার—যেমন নাইটি অথবা নাইলনের সূক্ষ্ম গাউন? ইসলামী আইন অনুযায়ী একজন মুসলিম মহিলা এমন পোশাক পরতে পারবেনা যাতে তার অন্তর্বাস দেখা যেতে পারে এমনকি তা যদি শোবার ঘরে একান্ত নিভৃতেও হয়। এরকম করলে আল্লাহ্ নাকি নারাজ থাকেন। ভালো কথা—এখানে মহিলাদের একটু সম্ভ্রম-ভাবে রাত্রের পোশাক পরতে বলা হচ্ছে। কিন্তু আপত্তি হচ্ছে এ ব্যাপারে মুসলিম পুরুষদেরকে কিছুই বলা হয় নাই। তারা চাইলে শুধুমাত্র জাঙ্গিয়া পরেও ঘুমাতে পারে—আল্লাহ্ তাতে নারাজ হবেন না।
দেখুন হাদিস কি বলছে।
সহিহ মুসলিম, বই ২৪ হাদিস ৫৩১০:
আবু হুরায়রা বর্ণনা করলেন:
আল্লাহ্র রসুল (সাঃ) বলেছেন: “নরকের দুই অধিবাসী আমি যাদেরকে দেখিনি—তারা হল সেই সব ব্যক্তি যারা ষাঁড়ের লেজের মত চাবুক দিয়ে ঢোল পিটায় ও সেই সব মহিলারা যারা এমন পোশাক পরিধান করে যে তাদেরকে উলঙ্গই দেখা যায়। এই সব মহিলারা অশুভের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তাদের স্বামীকেও অশুভের দিকে নিয়ে যাবে। এদের মাথা বখত উটের কুব্জের মত এক দিকে কাত হয়ে থাকবে। এরা স্বর্গে প্রবেশ করবে না বা স্বর্গের সুবাসও গ্রহণ করবে না যদিও স্বর্গের সুবাস অনেক দূর থেকেই পাওয়া যাবে। এরা তা থেকে বঞ্চিত হবে।
আজকের বিশ্বে আমরা এর উদাহরণ সর্বদায়ই দেখছি। টেলিভিশন খুললেই দেখছি কি ভাবে তালিবানরা ইসলাম কায়েম করছে, কি ভাবে সুদানে ইসলামী স্বর্গ তৈরি করা হচ্ছে। কিভাবে সোমালিয়ায়, ইরানে, পাকিস্তানে নারীদের প্রতি আচরণ করা হচ্ছে। চিন্তা করা যায় কি বোরখার ভিতরে কেমন আরাম আছে? তার উপর গ্রীষ্মের উত্তাপে? আমরা ১৯৭০ এর দিকে দেখেছিলাম কেমন করে মাওবাদীরা জোরপূর্বক তাদের নির্দেশিত পোশাক, মাও কোট পরিয়ে দিচ্ছে ছেলে মেয়ে সবাইকে। এই ব্যাপারে মনে হচ্ছে ইসলামের সাথে কম্যুনিজমের বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে। উভয়েই স্বেচ্ছাচার ও একনায়কত্ব।
এখন আমরা দেখব মহিলাদের পর্দার ব্যাপারে ইসলামী আইন কি রকম।
শারিয়া আইন এফ ৫.৬ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ১২২):
একজন মহিলাকে তার মাথা ঢেকে রাখতে হবে (খিমার দ্বারা)। এছাড়াও শরীরের উপরে ভারী আচ্ছাদন পরতে হবে যা মহিলার সম্পূর্ণ দেহকে ঢেকে রাখবে। (O.কিন্তু এমনভাবে গায়ে জড়াবে না যাতে করে তার দাঁড়ান, উঠা, বসা করতে বাধা আসে অথবা নামায পড়তে অসুবিধা হয়। মহিলাটি নামায পড়ার সময় তিন পোশাকে পড়বে)।
শারিয়া আইন এম ২.৩ (ঐ বই, পৃঃ ৫১২):
অধিকাংশ আলেমদের মতে (n. হানাফিরা বাদে যার বৃত্তান্ত রয়েছে নিম্নের ২.৮ এ) কোন মহিলার পক্ষে মুখমণ্ডল অনাবৃত রেখে গৃহের বাইরে যাওয়া বে আইনি—কোন প্রলোভন থাকুক আর না থাকুক। যখন প্রলোভন থাকে (মহিলার উপর কোন পুরুষের) তখন আলেমরা একমত যে মহিলার মুখমণ্ডল আবৃত থাকতেই হবে। এখানে প্রলোভন বলতে বুঝানো হচ্ছে যৌন সঙ্গমের ইচ্ছা অথবা তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। তবে অগত্যায় পড়লে যদি মহিলার প্রয়োজন হয় তবে সে দৃষ্টি দিতে পারে, যদি প্রলোভনের সম্ভাবনা না থাকে।
শারিয়া আইন ডবলু ৫২.১ (১০৮) (ঐ বই পৃঃ ৯৭৩):
মহিলা পাতলা পোশাক পরতে পারবে না।
মহিলাদের পাতলা পোশাক পরা অপরাধ তুল্য। যে মহিলা পাতলা পোশাক পরে তার দেহের বৈশিষ্ট্য দেখাবে অথবা অন্যের প্রতি হেলে পড়বে অথবা অন্যকে তার দিকে হেলে পড়তে দিবে সেও এই পর্যায়ে পড়বে।
শারিয়া আইন ডবলু ৫২.১ (২৭২) (ঐ বই পৃঃ ৯৮ ৯৯):
মহিলাদের সুগন্ধি পরে গৃহের বাইরে যাওয়া অপরাধ, এমনকি তাতে স্বামীর অনুমতি থাকলেও।
শারিয়া আইন এম ২.৩ (এ) (ঐ বই, পৃঃ ৫১২):
কোন মহিলার বিবাহযোগ্য কোন পুরুষের নিকটে থাকা বে-আইনি। (A.নিজের স্ত্রী অথবা অ-বিবাহযোগ্য আত্মীয় ছাড়া কোন পুরুষের জন্যে অন্য কোন নারীর সাথে একাকী থাকা একেবারেই বে-আইনি। তবে যদি দুই নারীর সাথে পুরুষ একা থাকে তবে তা বে-আইনি হবে না।
মহিলাদের জিহাদে যোগদান
ইসলাম বিশারদরা প্রায়শ: বলেন যে মহিলাদের জন্য প্রধান জিহাদ হচ্ছে হজ্জ। এটা সত্যি যে এ ব্যাপারে কিছু হাদিস আছে (যেমন সাহিহ বোখারী ভলুম ২, বই ২৬, হাদিস ৫৯৫)। যে বিষয়টা ইসলামী বিশারদরা চেপে যান তা হচ্ছে ঐ হাদিস অর্ধ সত্য। এই হাদিসের প্রসঙ্গ হচ্ছে এই যে যখন বিবি আয়েশা জিহাদে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তখন নবীজি আয়েশাকে বলেছিলেন যে তাঁর (আয়েশার) জন্যে সবচাইতে ভাল জিহাদ হবে হজ্জ মাবরুর (সিদ্ধ হজ্জ)। এখন দেখা যায় অনুবাদকরা তাঁদের ইচ্ছামত ব্রাকেটে (নারীদের জন্যে) জুড়ে দিয়েছেন। বিবি আয়েশা যখন জিহাদে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তখন তিনি নিতান্তই নাবালিকা ছিলেন—তাই নবীজি হয়ত চাননি ঐ অল্প বয়সী মেয়েটা জিহাদে যোগদান করে বেঘোরে প্রাণ হারায়।
আমরা আরও দেখি কেমন করে এইসব ইসলামী পণ্ডিতেরা, যাঁরা বেশীরভাগই পাশ্চাত্ত্য দেশে বাস করেন, তাঁদের দ্বৈত ভূমিকা দেখান—অর্থাৎ দুই-মুখে কথা বলেন। যখন পাশ্চাত্ত্যে থাকেন তখন বলেন জিহাদ মানে মানসিক যুদ্ধ করা, নিজেকে উন্নত করার জন্যে, নিজের বিরুদ্ধে নিজেই যুদ্ধ করা। কি সুন্দর কথা। এ কথায় কার না মন ভিজবে! কিন্তু এই ইসলামী পণ্ডিতেরাই যখন ইসলামী স্বর্গে যাবেন তখন বলবেন জিহাদ মানে ইসলাম প্রচারের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করা—কাফেরদের হত্যা করে বিশ্বব্যাপী ইসলাম কায়েম করা।
এই ব্যাপারেও আমরা লক্ষ্য করি ইসলামের অন্যায় আচরণ—মহিলাদের উপর। শারিয়া আইন বলে মহিলাদের জন্যে জিহাদে যোগদান করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু যখন জিহাদে-লব্ধ লুটের মাল ভাগ হবে তখন মহিলা জিহাদিরা কোন নির্দিষ্ট ভাগ পাবেনা। তারা শুধু পাবে একটুমাত্র পুরস্কার—এই আর কি।
দেখা যাক শারিয়া আইন এ ব্যাপারে কি বলে।
শারিয়া আইন ও ৯.৩ (ঐ বই পৃঃ ৬০১)
জিহাদ বাধ্যতামূলক (O.ব্যক্তিগতভাবে) সবার জন্য (O.যারা সমর্থ, পুরুষ এবং মহিলা, বৃদ্ধ ও তরুণ) যখন শত্রু মুসলিমদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে।….একজন মহিলা যে জিহাদে যোগদান করবে, যখন শত্রু চারিদিকে ঘিরে ফেলবে তখন তার কাছে দু’টি সিদ্ধান্ত থাকবে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করা অথবা শত্রুর কাছে আত্মসমর্পণ করা, যদি মহিলা মনে করে যে আত্মসমর্পণ করলে তার প্রতি কোন অসদাচরণ করা হবে না। কিন্তু যদি মহিলা মনে করে যে আত্মসমর্পণের পরেও সে নিরাপদে থাকবে না, তখন তাকে লড়াই করতেই হবে, সে মহিলা কোনক্রমেই শত্রুর কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
তা’হলে আমরা দেখছি যে মহিলারা জিহাদে যোগদান করতে বাধ্য, এমনকি জিহাদে তারা মৃত্যুবরণও করে নিতে পারে। লক্ষ্য করবেন আজকাল বেশ কিছু ইসলামী আত্মঘাতী বোমারুরা হচ্ছে মহিলা। এই সকল মহিলারা যে অক্ষরে অক্ষরে শারিয়া আইন মেনে চলেছে তাতে আমাদের কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
এখন আমরা পড়ব নিচের হাদিস যেখানে মহিলা জিহাদিদের পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। এই হাদিস বেশ লম্বা, তাই প্রাসঙ্গিক অংশটুকুই উদ্ধৃত করা হবে।
সহিহ মুসলিম বই ১৯, হাদিস ৪৪৫৬
ইয়াজিদ বিন হুরমু্য বর্ণনা করলেন যে নাজদা একটা পত্র লিখলেন আব্বাসকে পাঁচটা ব্যাপারে।
… আমাকে বলুন আল্লাহ্র রসুল (সাঃ) যখন মহিলাদেরকে জিহাদে নিলেন তখন কি রসুলুল্লাহ মহিলাদের জন্য যুদ্ধে-লব্ধ মালের (খুমুস) জন্যে কোন নিয়মিত অংশীদার করেছিলেন? … ইবনে আব্বাস উত্তরে লিখলেন: …কখনও কখনও রসুলুল্লাহ মহিলা জিহাদিদের সাথে মিলে যুদ্ধ করেছেন। এছাড়া মহিলা জিহাদিরা আহত যোদ্ধাদের সেবা করত। জিহাদে লব্ধ মালের কিছু পুরষ্কার মহিলারা পেত। কিন্তু রসুলুল্লাহ মহিলাদের জন্য কোন নিয়মিত অংশভাগ রাখেননি।…
চলবে (৯ম পর্বে)।
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-১)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ২)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৩)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৪)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৫)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৬)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৭)
আপনার ভাষা অনুসারে স্বাধীনতা মানে একজন মানুষের স্ত্রী যখন তখন অন্য কোনো পুরুষের সাথে একই বিছানায় রাত কাটাতে পারবে (শারিরীক সম্পর্ক)। ইসলাম যেহেতু বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক নিষিদ্ধ করে তাই ইসলাম বর্বর। এটাই হলো আপনার লেখার সারমর্ম।
আপনারা যেসব প্রমান দেখালেন তা যে সত্য তা কি করে বুজব।আপনাদের মত মানুষ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য জাল হাদিস তৈরি করতে দ্বিধা করেন না।মুসলিম নারীরা যৌন দাসী নয় বরং স্বামীর উপর তাদেরও পূর্ন অধিকার আছে।নারীরা হালকা পোশাক পরতে পারবে তবে স্বামী ব্যাতিত কোনো মানুষ যেন না দেখে। পুরুষদের কাছে সব থেকে বড় হক হল মায়ের হক আর নারীদের কাছে স্বামীর হক।নারী পুরুষ কেউই মুশরিক বিবাহ করতে পারবে না।
আমি নিজে যে খুব ধার্মিক, এমন নয়। দিনে পাঁচ বার নামাজ আমিও পড়তে পারিনা। আর আমার কাছে মনে ধর্ম পালন ব্যক্তির ইচ্ছাধীন থাকা উচিৎ। কারও যদি ভাল না লাগে, সে পালন করবেনা। তবে লেখকের সাথে আমি একমত নই। আপনি যে বইগুলোর রেফারেন্স দিলেন, কিসের ভিত্তিতে ওই বইগুলোকেই আপনি প্রামাণ্য হিসেবে ধরলেন? আমি নিজের বিবেচনাকে আগে প্রাধান্য দেই। আমি মনে করি ধর্ম সঠিক। কিন্তু আমরা নিজেদের স্বার্থের জন্য তা বিকৃত করি। আমার বিশ্বাস, লেখক নিজে ” হুজুর কেবলা” কিংবা “লাল শালু” পড়েছেন। খুব সহজভাবে এটা বুঝা যায় কেন এই লেখাগুলো এলো? এর মূল কারন, এমনটাই ঘটছে এখন। এখন কোন ব্যক্তি তার নিজের স্বার্থের জন্য যদি কোন মতবাদ প্রচার করে, তবে তার সাথে ইসলামের কি সম্পর্ক থাকতে পারে? তার অনুসারিরা তা চর্চাও করতে পারে, তারা নিজেদের মুসলিম পরিচয়ও দিতে পারে, তাই বলে তাদেরকে ইসলামের মূল চর্চাকারি ভাবাটা বোকামি। আর হাদিস যে অনেক জাল আছে, তা সম্ভবত আপনার অজানা নেই। আপনি সময় করে মূল আরবির সাথে অনুবাদের তুলনা করবেন। তাহলে আপনার কাছে ব্যপারটা আরো পরিষ্কার হবে।
আমার কাছে ভাই আপনি ইসলামি মৌলবাদিদের চেয়ে ভালো কোন ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করতে পারলেন না । মৌলবাদিরা যেমন ইসলামের বিরোধি ভালো কোন কিছুও মানে না ; তেমনি আপনিও আদিম বা ইসলামের কোন ভালো ব্যাবস্থাও গ্রহন করেন না ।
স্থান-কাল-পাত্র ভেদে নর-নারির খতনা অবশ্যই একটা ভালো ব্যাবস্থা । নিজে এ বিষয়ে মতামত না দিয়ে চিকতসাবিদ বা বিজ্ঞানিদের কাছে জেনে নিন, তারা কি বলেন । অতিরিক্ত যৌন অনুভুতি বা স্পর্শকাতরতা যেমন নর-নারির ব্যাক্তিগত সমস্যা, তেমনি সমাজেরও সমস্যা । গ্রহনযোগ্য হবার পরেও আদিম / ট্রাইবাল / ইসলামিক বলে, এমন দরকারি ব্যবস্থা কে খারাপ বা পরিত্যাজ্য বলাটা এক ধরনের অজ্ঞানতা বা মুর্খামি ।
আর ইসলামের বিরুদ্ধে বলার জন্য কিছু সংখ্যক ভিন্ন ধর্মি আর নাস্তিক মানুষ নিতিগত বা আর্থিক কারনে মাঠে বেশ বলিয়ান । আপনি কি জন্যে বলিয়ান, তা অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না । যদি অর্থাভাবের কারনে ফিন্যান্সিয়াল্লি মোটিভেটেড হয়ে থাকেন ; তাহলে অর্থাভাবের কারনে যারা ধর্মব্যাবসার সাথে জরিত তাদেরকেও আপনার কাতারে না ফেলার কোন কারন দেখছি না ।
@Hasan Khan,
“মহিলাদের খৎনা” কেন গ্রহনযোগ্য এবং দরকারি এ ব্যপারে কিছু জানবেন কি? ইসলামী জাহান ছাড়া আর কো্ন দেশে এ ধরনের
প্রথা চালু আছে কি?
@গোলাপ,
বিষয়টি সম্পর্কে চিকিতসাবিজ্ঞানিরা কি বলেন, সেটাই চুরান্ত সঠিক । সাধারন ভাবে বলতে পারি, পুরুষদের খতনা যে কারনে গ্রহনযোগ্য বা দরকারি, নারিদেরও (অবশ্যই ছেদনযোগ্য অংশ) খতনার ক্ষেত্রেও তাই । আমি যেটুকু জানি তাতে, খতনা পুরুষদের অতিরিক্ত যৌনানুভুতি বা যৌন স্পর্শকাতরতা কমায় । অতিরিক্ত যৌন সুরসুরি শারিরিক সুস্থতা, ব্যাক্তি ও সমাজ জিবনের সুস্থতা এমনকি সফল বা তৃপ্তিদায়ক যৌন ক্রিয়ার জন্যও ক্ষতিকর ।
ইসলামি জাহান ছারা আর কোন দেশে এই প্রথা চালু আছে কি না, তা আমি জানি না ; সেটা গৌন বিষয় নয় কি ! আর শুধু ইসলামি জাহানে প্রচলিত বলেই সেটা পরিত্যাজ্য বা গ্রহনযোগ্য হবে আর ইসলামি জাহানের বাইরে প্রচলিত বলেই সেটা পরিত্যাজ্য বা গ্রহনযোগ্য হবে ; সেটাও আমি মানতে রাজি নই ।
@Hasan Khan,
চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ন (শুধু মাত্র ‘কোন বিশেষ স্বাস্থ্য-সম্মত’ কারন থাকলেই এটা করা যেতে পারে)। এ ব্যপারে আরো জানতে আগ্রহী হলে আপনি আপনার পরিচিত যে কোন ‘চিকৎসকের’ সাহায্য নিতে পারেন।
World Health Organization (WHO) এর ফেব্রুয়ারী, ২০১০ রিপোর্টের সারমর্মঃ
Female genital mutilation
Fact sheet N°241
February 2010
Key facts
* Female genital mutilation (FGM) includes procedures that intentionally alter or injure female genital organs for non-medical reasons.
* The procedure has no health benefits for girls and women.
* Procedures can cause severe bleeding and problems urinating, and later, potential childbirth complications and newborn deaths.
* An estimated 100 to 140 million girls and women worldwide are currently living with the consequences of FGM.
* It is mostly carried out on young girls sometime between infancy and age 15 years.
* In Africa an estimated 92 million girls from 10 years of age and above have undergone FGM.
* FGM is internationally recognized as a violation of the human rights of girls and women
সম্পূর্ন আর্টিকেলটি এখানেঃ
http://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs241/en/
আবুল কাশেম ভাই,
FGM সম্বন্ধে প্রথম পড়াশুনার সুযোগ পাই, African Literature-এর উপরে কিছু ক্লাস প্রোজেক্ট করতে গিয়ে। আমি যতদূর বুঝেছি, FGM-এর origin এবং practice এর সাথে ধর্মের থেকে কালচার এর সম্পর্ক বেশি। তবে অবশ্যই মানবো যে ইসলাম ব্যাপারটির স্বীকৃতি দিয়েছে বিধায় FGM practice-এর আরও convincing reasons পেয়েছে মানুষ।
আপনার দেয়া শারিয়া আইনের বর্ণনা অনুযায়ী, FGM Type-1, মানে prepuce (ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক) কেটে ফেলা আইনসিদ্ধ। আমিও এরকম কিছুই পড়েছিলাম। অথচ যারা FGM করাচ্ছে, তারা অনেক সময়ই clitoris, labia minora, labia majora পর্যন্ত কেটে ফেলছে।
পুরুষের খৎনা করাও কতটা যুক্তিসঙ্গত? নারী পুরুষ উভয়েরই যৌনাঙ্গের আবরক ত্বকে (prepuce) শত শত sensitive nerve endings থাকে। খৎনা করা হলে নারী, পুরুষ উভয়েরই যৌনতার অনুভূতি বদলে যায়। অথচ, খৎনার কোন শারীরিক বা সামাজিক benefit বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হয়নি। খৎনা করা মানুষের সমাজে ধর্ষণ, বা যৌন রোগ কমেনি। যারা খৎনা করায়নি তারা দিন রাত সঙ্গম করেও বেড়াচ্ছে না। স্রেফ Google করলেই এই ব্যাপারে অনেক গবেষণার তথ্য পেয়ে যাবেন।
প্রায় ২০০০ বছর ধরে, ১৯ শতক পর্যন্ত, Chinese Government Service-এ লাখ লাখ castrated পুরুষ কাজ করেছে। অনেক সময় স্বেচ্ছায় অনেক সময় জোড় করে এই সব castration হতো। ২০০০ বছর ধরে সমাজ মেনে নিয়েছিল এই রীতি।
ভাবনার এবং আলোচনার মতন কতগুলো বিষয় ছুড়ে দিলাম স্রেফ।
ইংলিশ ব্যবহার এবং বানান ভুলের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।
@জয়,
না, কোনক্রমেই নয়। আমিও এই প্রথার ঘোর বিরোধী।
একে বারে সত্যি কথা। বেশ কিছুদিন আগে একটা সংবাদ, যা ব্রিটেনের এক খ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানের ম্যাগাযিন থেকে নেওয়া–এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে খৎনা করা পুরুষেরা অ-খৎনা করা পুরুষদের চাইতে অনেক আগেই যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে অথবা যৌন আবেগ অনেক প্রশমিত হয়ে যায়। এই প্রবন্ধে দেখানো হয়েছিল যে পুরুষদের খৎনা যা তাদের যৌন ক্ষমতা এবং যৌণতার মেয়াদ বৃদ্ধি করে –এই যে দাবী তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। সত্যি বলতে পুরুষদের খৎনা তাদের যৌনতার উপর এক বিশাল আবরন এনে দেয়। যার ফলে তাদের জন্য পুর্ণ যৌন সুখ উপভোগ হয় না।
আমি কোন রেফারেন্স দিতে পারব না–কারণ সংবাদটি স্মৃতি থেকে দিলাম।
কিন্তু কে শোনে বিজ্ঞানের কথা। এদিকে মুসলিমরা, ইহুদিরা এবং কিছু সংখ্যক খ্রিষ্টানরা তাদের ছোট ছোট ছেলেদের খৎনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশী মুসলমানদের পূর্ব পুরুষরা এক সময় হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিল। ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে ও তাদের পূর্ব হতে চর্চিত ধর্মের সব কিছু একেবারে ছুড়ে ফেলা সম্ভব হয় নি তাই নতুন গ্রহিত ধর্মের সাথে পুরানো ধর্মের কিছুটা সমন্বয় তারা করতে চেয়েছল নিঃসন্দেহে। সম্ভবত এই সব কারনে আমাদের দেশে বর্বর বেদুঈন প্রথা খুব একটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি।।
নাওয়াল আল সাদাই ( আমি দুঃখিত, বানানটা নিয়ে ভ্রান্তি আছে) -র কাছ থেকে প্রথম আমি মুসলিম নারীদের খৎনা বিষয়ে অবগত হই( “৯৭ এ)। এটা তাঁর নিজের জীবনে ঘটেছে।
মুসলমানের ঘর থেকে উৎপন্ন হলেও; আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, আমি বা আমার গ্রাম বা আমার দেখা আশপাশের মানুষ, আসলে না-মুসলমান, না-হিন্দু, না-বাঙালি – সবকিছুর মিশ্রণ। ( আমার এ অভিজ্ঞতা স্থানিক)
আপনার লেখা পড়ে মহান ধর্মের(!) মহত্বের নানা বিষয়ে অধিকতর জ্ঞান লাভ করছি।
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার সিরিজটির জন্য। ননস্টপ চলতে থাকুক …
পৃথিবী আজ অনেক এগিয়ে যেত, যদি নারীরা পরিপূর্ণ অধিকার, ক্ষমতা, মমতা, সমতা পেত।
নারীদের খৎনা বিষয়ে তো কিছুই জানতাম না 🙁 জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
আপনি অথবা অন্যকোন মুক্তমনা সদস্য যদি নারীদের খৎনার কারনে শারীরিক ক্ষতিসমুহ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতামতগুলো তুলে ধরতেন তাহলে বোধহয় আরো পরিষ্কার এবং সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারতাম।
এমন বর্বরতার বিরুদ্ধে ফেমিনিস্টরা কেন কোন কথা বলে না সেটাও জানার খুব ইচ্ছা হচ্ছে।
@অসামাজিক,
Female Genital Mutilation লিখে ইউ টিউবে দেখুন নারীর উপর পুরুষ কর্তৃক দুনিয়ার জঘন্যতম নৃশংস অত্যাচার। উল্লেখ্য, হাদিসে বর্ণীত আছে মুহাম্মদ এই কাটাকাটি নিষেধ করেন নি, বলেছেন কাটার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করবে। খলিফা ওমর বলেছেন, কাটো তবে সম্পূর্ণ কেটোনা।
মিশরের ফতোয়া কমিটির সিদ্ধান্ত দেখুন-
1949-MAY-28: They decided that it is not a sin to reject female circumcision.
1951-JUN-23: They stated that female circumcision is desirable because it curbs “nature” (i.e. sexual drive among women). It stated that medical concerns over the practice are irrelevant.
1981-JAN-29: The Great Sheikh of Al-Azhar (the most famous University of the Islamic World) stated that parents must follow the lessons of Mohammed and not listen to medical authorities because the latter often change their minds. Parents must do their duty and have their daughters circumcised
যাদের চোখ রক্ত সইতে পারেনা তারা কেউ এই লেখা পড়বেন না-
httpv://www.youtube.com/watch?v=uBJysHfocts&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=9kNMC65pNsg&NR=1&feature=fvwp
httpv://www.youtube.com/watch?v=rUvrHsPaTSo&feature=related
@আকাশ মালিক,
মিশরেরই আল আজহার ইউনিভার্সিটি কিন্তু বলেছে যে এই প্রথার সাথে মূল ইসলামের কোন সম্পর্কে নেই।
Al-Azhar Supreme Council of Islamic Research, the highest religious authority in Egypt, issued a statement saying FGM/C has no basis in core Islamic law or any of its partial provisions and that it is harmful and should not be practiced.”[37]
Coptic Pope Shenouda, the leader of Egypt’s minority Christian community, said that neither the Qur’an nor the Bible demand or mention female circumcision
মিশরে ২০০৭ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় ২০০৬ সালে ব্যান করা হলেও মোল্লা গ্রুপের মদদে আবারো বেড়ে যাচ্ছে।
মৌরিতানিয়াতেও দেখলাম ইসলামী আলেমরা নিষিদ্ধ করার ফতোয়া দিয়েছে।
http://en.wikipedia.org/wiki/Female_genital_cutting
@আদিল মাহমুদ,
কোরানে পুরুষদের খৎনা করার কথাও নাই, পাথর ছুড়ে হত্যার কথাও নাই—তা হলে এই সব প্রথা কেন ইসলামের আইন হয়ে আছে? কোরানে কি পরিষ্কার করে লেখা আছে মুর্তাদ হত্যার?
ঐ সব মোল্লারা সুবিধাবাদী–যখন যা প্রয়োজন তাই দেখান। আসলে The Principles of Islamic Jurisprudence বলছে কোরান এবং হাদিস একই। যা কোরানে নাই তা হাদিস এবং সুন্না থেকে নিতে হবে–যা হাদিস এবং সুন্নাতে নাই তা কোরান থেকে নিতে হবে। এ ব্যাপারে যে কোন ইসলামি আইনের শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে।
যখন পশ্চিমা দয়া দাক্ষিণ্যের দরকার পড়ে তখন মিশরীয় সরকার তাদের আইন দেখায় মহিলাদের খৎনার বিরুদ্ধে–আহা কি সুন্দর বিচার হচ্ছে। যে আইনের কোন প্রয়োগ নাই–সেই আইন থাকা আর না থাকা একই কথা। আজ পর্যন্ত আমি শুনি নাই যে মিশরীয় সরকার কাউকে দণ্ড দিয়েছে মেয়েদের খৎনা করার জন্য। এদিকে ওখানকার অধিকাংশ মহিলারা এই খৎনার শিকার–কোথায় যে পড়েছিলাম–শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ।
ইন্দোনেশীয়া এবং মালয়েশিয়াতেও একই অবস্থা।
কাজেই এই সব আইন একেবারেই অর্থহীন।
@আবুল কাশেম,
আসলে যে যাইই বলুক আসল ঘটনা আমরা সবাই জানি। কোন ধর্মই জগতে ১০০% নুতন রূপে আবির্ভূত হয়নি। কিছু নিয়ম কানুন ধর্ম এনেছে। আবার সব ধর্মই প্রাচীন মূল্যবোধ, ততকালীন স্থানীয় সমাজে প্রচলিত অনেক প্রথা যা এখনকার পরিপ্রেক্ষিতে অমানবিক ও অচল এসব নুতন করে চালু না করলেও স্বীকৃতি দিয়ে গেছে।
এসব খতনা ব্যাপারটাও তাই। ইসলাম বা খৃষ্টিয়ানিটি নাজেল হবার আগ থেকেই ছিল, ধর্মগুলি এসবে আপত্তি করেনি; উতসাহই দিয়ে গেছে।
সেটা বোধগম্য। মুশকিল হল ধার্মিক মনে তার ধর্মের প্রতি যে অন্ধ আনুগত্যের শিক্ষা দেওয়া হয়, প্রতিটা আদেশ নিষেধ মহাপুরুষের বানী বিনা প্রশ্নে অক্ষরে অক্ষরে পালনের শিক্ষা দেওয়া হয় তার আছরে এইসব প্রাচীনপন্থী অমানবিক প্রথা এই যুগেও দিব্ব্যি অনেক যায়গায়ই টিকে আছে। আকাশ মালিকের দেওয়া ভিডিও লিঙ্কে ও উকির কিছু তথ্য দেখে বুঝতে পারলাম যে ধর্মের অনেক ব্যাপারের মত যথারীতি এই প্রথাও সহি ইসলাম কিনা এই নিয়ে মোল্লাদের ভেতর ষ্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্তি আছে। যে মোল্লা অপেক্ষাকৃত আধুনিক মননের, এইসব অমানবিক প্রথার পক্ষে কথা বলার বিপদ বোঝে সে তার মত ব্যাখ্যা দেবে, নানান কায়দায় এড়িয়ে যেতে চাইবে। আবার যে মোল্লা কট্টর, ধর্মের ব্যাপারে কোন ছাড়ই দিতে রাজী নয় সে সমর্থন জানিয়েই যাবে।
আমার কাছে যেটা অসূস্থ ঠেকে সেটা হল মোল্লা আলেম এদের এসব বিতর্ক নয়। এমন একটা অমানবিক কালচার পালন করা যায় কিনা, ধর্মসিদ্ধ কিনা তা নিয়ে বিতর্ক কিভাবে চলতে পারে সেটাই খুবই আপত্তিকর ঠেকে। মনে হয় ধর্মগ্রন্থে বিধর্মীদের ধরে ধরে নির্বিচারে মাথা কেটে ফেলো এমন বানী থাকলে এই বানীও পালন করা যায় কিনা তা নিয়েও এনারা তর্ক করতেন। ধর্মের এমনই মহিমা। নইলে স্ত্রীকে এক তরফা প্রহার করা যায় কিনা তা নিয়ে শিক্ষিত বিবেক সম্পন্ন কোন মানুষে বিতর্ক করতে পারে?
মুসলমান দেশগুলির রেকর্ড যা বুঝলাম তাতে মনে হচ্ছে যে তারাও এর আছর থেকে বের হতে চাইছে, তবে দীর্ঘদিনের গেড়ে বসা জঞ্জাল থেকে মুক্তিলাভ এত সহজ নয়। একদিন হয়ত চিরতরে মুক্তি পাবে, তবে ততদিনে সর্বনাশ হবে বহু নিরীহ মানুষের।
@আদিল মাহমুদ,
(Y)
@আদিল মাহমুদ,
আপনার সাথে আমি মোটামুটি একমত।
তবে আমাদের চুপচাপ বসে থাকলে চলবে না। আমাদের উচিৎ হবে ইসলামের কদর্য্য রূপ উন্মুক্ত করা। আজকাল এই সব করা হচ্ছে–সেই জন্যেই ত পশ্চিমা দেশে অবস্থানরত মুসলিমরা উঠে পড়ে লেগে গেছে ইসলামের ধোয়া মোছার জন্য। কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা বৃথা। ধীরে ধীরে বিশ্ব জানতে পারছে ইসলামে বিভৎসতা।
যাঁরা অন্য ধর্মে পারদর্শী তাঁরা দেখান সে সব ধর্মের কদর্য্য রূপ। কিন্তু আজ ইসলাম যে বিশ্বের অন্যতম বড় সমস্যা। তাই ইসলাম নিয়েই বেশী আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক।
@অসামাজিক,
খুব ভাল প্রশ্ন করেছেন। আমি এই ব্যাপারে অনেক চিন্তা ভাবনা করেছি–কিন্তু কোন মুসলিম নারীদের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার না হবার যুক্তিযুক্ত কোন কারণ পাই নি।
আমার মনে হয় মুসলিম নারীরা Stockholm Syndrome বিকারগ্রস্ত আছে। আর তাছাড়া ইসলাম বলছে নারীদের একমাত্র কর্তব্য তাদের স্বামীর যৌনদাসী হয়ে বেঁচে থাকা এবং সন্তান উৎপাদনের জন্য তাদের প্রজনন যন্ত্রকে প্রস্তুত রাখা। মুসলিম নারীদের যে যৌন সুখ উপভোগের অধিকার আছে তা অতি ক্ষীনভাবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেমন করেই হোক তাদের যৌন তাড়নাকে চাপিয়ে রাখতেই হবে।
আমার মনে হয় মুসলিম নারীরা যেমন করে হোক ধর্মকে আঁকড়ে থাকবেন–কোনক্রমেই এ থেকে এক ইঞ্চি বিপথে যাবেন না—তা যতই শিক্ষত বা অশিক্ষিত হন না কেন। বোধ করি সে জন্যেই মহিলা খৎনার বিরুদ্ধে তাঁদেরকে তেমন উচবাচ্চ করতে দেখিনা। যাঁরা করেন তাঁদের প্রায় সবাই কাফের এবং পশ্চিমা মহিলা এবং পুরুষেরা।
আইয়ান হিরসি আলি ( Ayyan Hirsi Ali) -র ২০১০ -এ প্রকাশিত বই “Nomad” থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি, “ Imagine being a girl in Egypt, Sudan,Somalia—any one of the twenty-six countries around the Middle East, Africa, and the Pacific. Your clitoris has been cut, as well as your inner labia, and the opening of your vagina has been sewn together” ( page 229) |
Nomad -এর ১২৭ পাতা থেকে আরেকটা উদ্ধৃতি দেই, “whenever I spoke, American listeners gasped in indignant surprise at the very concepts of child marriage, honor killing, and female excision. Rarely, if ever, did it occur to these audiences that many women and girls suffer precisely these kinds of oppressions in houses and apartment buildings all over the United States.
Roughly 130 million women around the world have had their genital cut. The operation is inflicted on an estimated six thousand little girls every day.( source: Integration of the Human Rights of Women and the Gender perspective/ Violence Against Women (2003) |
There are already many genitally mutilated women and girls in America, and many others at risk of mutilation. To take the culture I know best, it is a rare in Somali family that will refrain from cutting their daughters, wherever they live.”
যারা আইয়ান হিরসি আলি-র ব্যাপারে জানেন না, তাদের জন্য লিখছি | সোমালিয়াতে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা| গৃহযুদ্ধের শিকার হয়ে পরিবারে সাথে পালিয়ে বেড়িয়েছেন ইথুওপিয়া, সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশে| নিজের অসম্মতিতে কানাডা প্রবাসী এক সোমালিয়ানের সাথে বিয়ে ঠিক করে কানাডায় পাঠিয়ে দেবার জন্য পশ্চিম জার্মানিতে ভিসা নেয়ার সময় সেখান থেকে পালিয়ে হল্যান্ডে রাজনৈ্তিক আশ্রয় নিয়ে সেখানে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন| কিন্তু সেখানে থেকেও মুসলিম মৌলবাদিদের দ্বারা আক্রমনের শিকার হন| ডাস ফিল্ম ডিরেক্টর থিও ভ্যান গগের সাথে ইসলামে নারীদের নির্যাতন নিয়ে ছবি বানান,”Submission”| ডিরেক্টর থিও ভ্যান গগ মুসলিম আতাতায়ীর হাতে নিহত হন| আইয়ান হিরসি আলি সম্প্রতি আমেরিকাতে বাস করছেন| তার উল্লেখযোগ্য বই “ Infidel”, “The Caged Virgin”,”Nomad”|
@ভজন সরকার,
Infidel বইটা আমি পড়েছি। এই বইতেও সোমালি মহিলাদের খৎনার ব্যাপারে ঐ ধরণের মন্তব্য করা হয়েছে।
সৌদি আরবেও কি নারীদের খৎনা করানো হয়? খৎনার ব্যাপারে ইসলামী পন্ডিতদের যুক্তি কি?
@তামান্না ঝুমু,
দেখুন আমার রচনায় আমি কি লিখেছি। হানবালি শারিয়া আনুযায়ী মুসলিম নারীদের খৎনা বাধ্যতামূলক নয়–তবে করা ভাল বা সুন্নত। সৌদি আরব হানবালি শারিয়া মেনে চলে।
আমি এই ব্যাপারে অনেক দিন আগে এক বই পড়েছিলাম–তাতে লিখা হয়েছিল অনেক সৌদি পুরুষ চান তাঁদের বিবিরা খৎনা করুক। আবার অনেক চান না। এই বই হচ্ছে The Princess এবং লেখিকার নাম হচ্ছে Jean P. Sasson. বইটি পড়ে নিবেন–জানবেন কী অবস্থায় সৌদি নারীরা তাদের জীবন কাটায় শান্তির ধর্মের তলায়।
আমার যা ধারণা বেশীর ভাগ সৌদি নারীরা হয়ত খৎনা করে নেন শিশু অবস্থাতেই–তাই তাঁরা জানেন না তাঁদের যৌনাঙ্গের উপর কী করা হয়েছে। আর তা ছাড়া এটা একটা সুন্নত তাই ধর্মপ্রাণা মহিলাদের উচিত হবে সুন্নত পালন করা।
তার কারণ হচ্ছে আমরা হাদিস থেকে জানতে পারি যে অন্ততঃপক্ষে নবীর প্রিয়তম বিবি আয়েশা খৎনা করেছিলেন–হয়ত খুব অল্প বয়সে, মনে ৫-৬ বছরে। অন্যান্য বিবিদের ব্যাপারে তেমন সংবাদ নাই–তবে খুব সমভবতঃ তাঁদেরও যৌনাঙ্গ খৎনা ছিল। ইসলামের ইতিহাস থেকে বিশেষত ওহদ যুদ্ধের বিবরণ থেকে জানা যায় যে মক্কা এবং মদিনায় সেই যুগে অনেক খৎনাক্কারি মহিলা ছিল। তার এক হাদিস আমি উপরে দিয়েছি।
খৎনা কোথায় বেশি হয়?
@kobutor,
আমার যতটুকু জ্ঞান তা থেকে বলতে পারি মহিলা খৎনা সবচাইতে বেশি হয় মৌরিতানিয়া, মিশর, নাইজেরিয়া, সুদান এবং ইন্দোনেশিয়তে।
কোথায় একবার পরেছিলাম মৌরিতানিয়ায় মুসলিম নারীদের ১০০% খৎনা করে থাকে। এই ব্যাপারে গুগল ঘাঁটাঘাঁটি করুন।
মহিলা খতনার বর্বর প্রথা আমার ধারনা ছিল শুধু উত্তর আফ্রিকার বিরান অনগ্রসর এলাকায় সীমাবদ্ধ। মিশর ইন্দোনেশিয়া/মালইয়েশিয়ার মত দেশেরও এর প্রকোপ এত মারাত্মক জানা ছিল না। বছর দুয়েক আগে এখানে এই খতনার শিকার এক নাইজেরিয় মহিলার এসাইলাম কেস নিয়ে এখানে বেশ বড় ধরনের শোরগোল পড়েছিল।
এই পদ্ধুতি যে রীতিমত শরিয়া আইনে আছে জানতাম না, ধারনা ছিল স্থানীয় আদিবাসী কালচার।
মহিলা জিহাদীদের নিয়ম কানুনও জানা ছিল না 🙂 ।
@আদিল মাহমুদ,
হুমায়ুন আযাদের নারী বইটা না পড়ে থাকলে আজই সংগ্রহ করে পড়ে নিন, সেখানে এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত আছে।
@আকাশ মালিক,
পড়িনি বইটা, দেখি পড়তে হবে। মনে হয় বিনে মাগনাই ওয়েবে পাওয়া যাবে।
@আদিল মাহমুদ,
…
ইসলামের লজ্জা ঢাকার জন্য নব্য কিছু ইসলামীরা তাই প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। এই সব নতুন ইসলামী প্রচারকরা বেশীরভাগই পাশ্চাত্যে থাকেন এবং পাশ্চাত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। উনাদের কথাবার্তা সুনলে আমার ভীষণ হাসি পায়। যখন ইন্দোনেশিয়া, মিশর, সুদান, নাইজেরিয়া এবং মায় ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার উদাহরণ দেওয়া হয় তখন চুপ মেরে যান
আমি আস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতি বলতে পারি। এখাকার অনেক মুসলিম তাদের শিশুবয়সী কন্যাদের তাদের ইসলামী স্বর্গে পাঠিয়ে দেয় এই খৎনার জন্য। কিছু কিছু বালিকা অস্ট্রেলিয়া ফেরত আসার পর তাদের যৌনাজ্ঞে সমস্যা দেখা দেয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দেখা যায় ঐ সব সমস্যা খৎনা জড়িত। পুলিশ এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করলে ঐ সব বালিকাদের মাতাপিতারা ইসলামের অজুহাত দিয়ে মুক্তি পেয়ে যায়। এ ছাড়াও এখানকার অনেক মুসলিম অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে বাধ্য করতে চাইছে তাদের মেয়েদের খৎনা করার অধিকার দিতে। তাদের দাবীর যুক্তি হচ্ছে–যেহেতু অস্ট্রেলিয়াতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখান হয়–তাই ইসলামের এই বাধ্যতামূলক (মহিলা খৎনা) করার অধিকার তাদেরকে দিতে হবে। এখন পর্যন্ত আস্ট্রলিয়ার সরকার এই ব্যাপারে চুপ মেরে আছে। তবে যে ভাবে ইসলামি তেলে, এতিহাদ, আমিরাত, ইসলামী চেয়ার (বিশ্ববিদ্যালয়ে) ইত্যদিতে ঢালা হচ্ছে তাতে মনে হয় অস্ট্রেলিয়ান সরকার হয়ত মুসলিমদের এই দাবী মেনে নিবে–ঐ সব ভুক্তভোগী শিশু মেয়েদের দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে।
এই জঘন্য প্রথা হয়ত ইসলামের আগেই ছিল কিন্তু নবীজি (তথা ইসলাম) যদি এই প্রথাকে অ-ইসলাম মনে করেছিলেন–তবে কেন এই প্রথাকে রহিত করলেন না? উনি এক বাক্য দ্বারা সুদের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে দিলেন–তবে মহিলা খৎনার ্নিষিদ্ধের ব্যাপারে উনার সাহস কেন উবে গেল?– কেন উনি কাপুরুষ হয়ে গেলেন? দেখুন উপরেরে হাদিস–নবীজি কি বললেন?
@আবুল কাশেম,
অষ্ট্রেলিয়ায় তাদের এসব দাবী দাওয়ার কোন সূত্র ওয়েব সাইট দিতে পারেন? আল্লাহই মালুম কোনদিন না কানাডায়ও দাবী ওঠে। এখানে এখনও এমন ঘটনা শুনিনি।
এসবের জন্য আধুনিক ইসলামবিদদের ডিফেন্স কি তা আমি নিজেই বলতে পারিঃ
১। এই প্রথা কোরানে নেই, তাই এটা ইসলামের কোন অংশ নয়।
২। যে হাদীস রেফার করা হয় সেটা দূর্বল হাদীস। কোরানের সাথে যেই হাদীস মেলে না তা মানতে আমরা বাধ্য নই।
৩। শরিয়া আইন মানতেই হবে এমন কথা নেই, তাছাড়া কেবল মাত্র ইসলামি রাষ্ট্র হলেই এসব আইন মানতে হতে পারে (এই আজগুবি থিয়োরির মানে আমি কিছুতেই বুঝি না। কোরানে নিষিদ্ধ সুদ কেমন করে ইসলামী দেশে চলে আরো নানান ষ্পষ্ট আদেশ কেন পালিত হয় না তার অবধারিত জবাব হিসেবে এটি শোনা যায়)। এখন ইসলামী রাষ্ট্র বলতে কেউই নেই, ইসলামী রাষ্ট্র আর মুসলমান প্রধান রাষ্ট্র এক নয়।
৪। কেবল মাত্র বিরান কিছু অশিক্ষিত এলাকার লোকে এসব পালন করতে পারে যার সাথে ইসলামের কোন যোগ নেই।
@আদিল মাহমুদ,
আমি সংবাদপত্রে পড়ে ছিলাম–Sydney Morning Herald-এ বেশ কয়েক বছর আগে। আমি ঐ সংবাদ কেটে রাখি নাই–যদি জানতাম একদিন এই রচনা লিখব, তা’হলে হয়ত তাই করতাম। আমি লিঙ্ক দিতে পারছিনা–আপনি চেষ্টা করতে পারেন।
আর কানাডার মুসলিমরা যা বলছে–তাদের উত্তরে তাদেরকে শুধু আমার রচনার এই অংশটুকু পাঠিয়ে দেন এবং ইসলামী পণ্ডিতদের সাথে আলোচনায় নামতে বলুন। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন বিবি আয়েশার কি খৎনা ছিল? হ্যাঁ, অথবা না।
@আবুল কাশেম, নারী খৎনা আমি যতোদূর জানি পানি কম আছে এমন মরু অঞ্চলগুলোর ট্রাইবাল প্রথা। পুরুষ ও নারী খৎনার উদ্ভব হয়েছে পানির অভাবজনিত কারণে যৌনাঙ্গ এবং মূত্রনালীর নানা রোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য। এই প্রথা ইসলাম ধর্ম থেকে বহু প্রাচীন। তবে নারী খৎনা করাবার পর থেকে নারীদের যৌনতৃপ্তির ব্যাপারটি তাদের কাছে গৌণ হয়ে যায়- ব্যাপারটি আবিষ্কার করার পর থেকে ঐ সমস্ত ট্রাইবের পুরোহিতেরা নারীদমনের কাজে নারী খৎনা ব্যবহার শুরু করেছে। পরবর্তীতে ব্যাপারটি নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক এবং পুরো ক্লাইটোরিয়াস উৎপাটনের রীতি চালু হয় ( আগে একটুখানি চিড়ে দেয়া হতো এবং এখনো কয়েকটি ট্রাইব ক্লাইটোরিয়াস চিড়ে দেয় শুধু)। আমার এক বন্ধুর মায়ের এই খৎনা করা আছে—তাদের রীতিতে নারী খৎনা করা খান্দানি মেয়ের লক্ষণ। কারণ তার নিজের চাহিদা নেই— ( কি আর বলবো!!! )
মনে রাখতে হবে ইসলামের কোনো রীতি অথবা ফিলসফি তার নিজস্ব নয়– হয় ধার করা নয়তো চোথা মারা অন্য কোনো ট্রাইবাল রীতি বা ধর্ম থেকে। নারী বশে রাখার জন্য এই নারী খৎনা মুহাম্মদ গ্রহণ করেছে সাদরে। তবে হাদীসে আছে মহানবী একবার একজনকে করতে মানা করেছে। আবার সে এ কথা বলেছে—পুরুষের জন্য খৎনা মাস্ট কিন্তু নারীদের জন্য করলে ভালো।
মুহাম্মদের জীবনীতে কিন্তু বলে সে ‘ইন্দ্রিয়সুখকর রমণী’ বেশ ভালোই পছন্দ করতো। তার বউ হাফসার দাসী মারিয়ার সাথে (কৃষ্ণাকায় সুন্দরী এবং বেশ কামুক) অন্য বউদের ফেলে একমাস রাত কাটানো, যয়নবের প্রতি তার আকুল আকর্ষন, ৬/৭ বয়সী আয়েশার সাথে পুতুল খেলা সবই কিন্তু ইংগিত করে সে খৎনা করা মেয়ে পছন্দ করবে না।
@মৌনতা,
অথচ তিনি নিজের কোন মেয়ে, কোন স্ত্রীর খৎনা করান নি।
যে বিষয়টা আল্লাহ ও আল্লাহর নবী জানতেন না, বুঝতেন না, আজ ১৪ শো বছর পরে সাধারণ মুসলমানরা বুঝতে পারলো নারী খৎনা অমানবিক, এটা অত্যাচার। আজ দেশে দেশে তা আইন করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নবীরা যে ভন্ড, প্রতারক ছিলেন, তারা যে আল্লাহর প্রেরিত কোন বিশেষ মানুষ ছিলেন না, তাদের সাথে আল্লাহ যে কোনদিন কথা বলেন নি, তাদের মুখ দিয়ে যে সকল কথা বের হতো, তা যে তাদের নিজের কথা, তারা যে বিজ্ঞানের ব দর্শনের দ ও বুঝতেন না, তারা যে জগতের শ্রেষ্ট অভিনেতা ছিলেন, এ হলো তার অন্যতম প্রমাণ।
মুহাম্মদের অবিহবাহিত নারীর সাথে (গুপ্তাঙ্গ নিয়ে) হাতাহাতি খেলা, প্রেফারিবলি শেইভেন ভিজাইনা, এক বাথটাবে (Bathtub) স্বামী স্ত্রী এক সাথে স্নান করা, ইন্দ্রিয়সুখকর কামুক রমণী সঙ্গ কামনা করা, এ সবই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
দারুণ একটি সিরিজ হয়ে উঠছে এটি। ইসলামের সমালোচনা করে এমন সমৃদ্ধ ও রেফারেন্সবহুল লেখা খুব কমই আছে বাংলা ভাষায়, আমার ধারণা।
সিরিজ শেষ হলে লেখাগুলো একত্র করে ই-বুক বানিয়ে মুক্তমনায় রেখে দিলে কেমন হয়?
@নিটোল,
এই ব্যাপারে আমার করার কিছু নাই। আপনি মুক্তমনার কর্তৃপক্ষকে আপনার অনুরোধ জানান।
নারীদেরকে বশে রাখার জন্য মুসলমান পুরুষেরা কতইনা বর্বর ফন্দি বের করেছে। আইন যখন বর্বর হয় তখন বর্বরতার লাগাম ধরে রাখা যায় কি দিয়ে?
এব্যাপারে সূরা আল মায়েদাহ এ একটি চমৎকার আয়াত আছেঃ
(৫:৫) আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
@বাদল চৌধুরী,
বাংলায় এক প্রবাদ আছে: দুর্জের দমন আর শিষ্ঠের পালন।
কেমন মনে হয় এই প্রবাদ?
ইসলামের ইতিহাস থেকে আমরা অনেক শিক্ষা লাভ করতে পারি। ইসলাম শান্তির বাক্যকে দুর্বলতা মনে করে। ইসলামের ইতিহাস আমাদের জানাচ্ছে যখনই কোন জাতি ইসলামের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমনাত্মক হয়েছে তখনি ইসলাম পিছ পা হটে গেছে।
আমরা তা করতে পারি নি–তাই আজ পর্যন্ত আমরা ইসলামের দাস হয়ে আছি–আমরা নিজেদের জাতিসত্বা ভুলে আরব এবং তুর্কিদের বংশধর পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি—কি নিদারূণ পরাজয়–আমরা লজ্জা বোধ করি নিজেদের বাঙ্গালি অথবা ভারতীয় পরিচয় দিতে। আমরা হচ্ছি আরব বা তুর্কি। এদিকে আরব আর তুর্কিরা আমাদের ময়ুরের পেখম দেখে কি হাসাহাসিই না করছে। ওরা আমাদেরকে মিসকিন, নিঁচুজাত, অসভ্য বলে বিচার করছে। কিন্তু তাতেই আমরা কৃতার্থ।
@বাদল চৌধুরী,
দুঃখিত, ভুল লিখেছিলাম। বাংলা প্রবাদটা হবে;
বাংলায় এক প্রবাদ আছে: দুষ্টের দমন আর শিষ্ঠের পালন।
প্রাচীন আরবীয়দের কাছে ডি ভি ডি প্লেয়ার থাকলে আল্লাহ তার যাবতীয় সৃষ্টি কৌশল , বিগ ব্যাঙ, ব্ল্যাক হোল, আদম , বেহেস্ত, জাহান্নাম ইত্যাদি একটা ডি ভি ডি ডিস্কে করে পাঠিয়ে দিত কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের কাছে শুধু তাদের ভাষাই ছিল তাই তাদেরকে শুধু কোরান পাঠানো হয়েছিল।
ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্যে যে কোন ধরনের প্রতারনা, মিথ্যাশ্রষ, কিংবা ছলচাতুরী সম্পূর্নরুপে ইসলামে আইন সিদ্ধ। ইহুদী কবি ক্বাব বিন আশরাফকে হত্যার জন্য মুহাম্মাদ তার সাগরেদ ঘাতক মুহাম্মাদ বিন মাসলামাকে এরুপ সমস্ত প্রতারনারই অনুমতি দিয়েছিল (Ref: Sahi Bukhari: Volume 5, Book 59, Number 369)
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক নতুন তথ্য জানলাম।
@গোলাপ,
হ্যাঁ, আপনি সঠিক লিখেছে। এই ব্যবস্থাকে তাকিয়া এবং কিতমান বলা হয়। এগুলো কোরানেও লেখা আছে।
আপনার অসাধারন বিশ্লেষণ ধর্মী ও রেফেরেন্স পূর্ণ লেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার রেফেরেন্স গুলো আপানার লেখাটাকে অনেক বেশি জোরালো করেছে এবং নারীদের ক্ষেত্রে ইসলামের (কোরআন ও হাদিস উভয়েরই) অসম ও দমনমূলক নীতিগুলোকে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
আমার মতে, আমাদের দেশে ইসলামের যে রুপটা আমরা দেখি সেটা আরবের ইসলামের মূল রুপ অথবা পিওরিট্যানিক রুপ থেকে তুলনা মূলক ভাবে অনেক ভাল।অন্যভাবে বলতে চাইলে বলতে হবে, আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির সাথে হানাফি সুন্নি ইসলাম মিশে আমাদের দেশে একটা নতুন ধরনের ইসলাম সৃস্টি হয়েছে, যা আরবিয় হাবি ইসলাম বা মূল হানাফি ইসলাম থেকে অনেক ভিন্ন। যদিও নারী অধিকারের ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতির থেকে খুব একটা পরিবর্তন হইনাই, বিশেষ করে নারীদের সম্পত্তির অধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা পুরাপুরি আমাদের আরব ভাইদের অনুসরন করি। তারপরেও সর্বপরি আমাদের দেশের ইসলাম মধ্য-প্রাচ্য অথবা উত্তর আফ্রিকার দেশের ইসলামের চেয়ে অনেকটা নমনীয় এবং সহনশীল, যেমনটা মধ্য-প্রাচ্য অথবা আফ্রিকার প্রায় কোন দেশেই দেখা যাই না। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন ইসলামিক মুভমেন্টের নামে ইসলামের সেই পিওরিট্যানিক ওহাবি ভার্সনটাই আমাদের সমাজে ধুকিয়ে দেওার চেস্টা চলছে। আমারা যদি আমাদের দেশের সমাজকে পিওরিট্যানিক ওহাবি ইসলাম থেকে রক্ষা করতে না পারি, আমাদের পরিণতি হবে পাকিস্তান, আফগানস্তান অথবা ইরানের মত।
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করার কারনে কোন কিছু বুঝার আগেই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলাম। ইসলামকে মনে করতাম সর্বশ্রেস্ট ধর্ম এবং এটা নিয়ে অন্য ধর্মের লোকের সাথে তর্কও করতাম। পারিবারিক ভাবে আমরা আবার ছিলাম পিওরিট্যানিক ওহাবি ইসলামের অনুসারী। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে যখন ইসলাম সহ অন্যান্য ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ব্লগে পড়তে শুরু করি, তখন থেকেই সন্দেহ হতে শুরু করে। কিন্তু তখন মন মানতে চাইত না, বিভিন্ন যক্তি দিয়ে ইসলামের খারাপ বিধান গুলোকে জাস্টিফাই করার চেস্টা করতাম। অনেক সময় মনকে বুঝাতে পারতাম, অনেক সময় পারতাম না। কিন্তু কখনই শুধু অন্ধ ভাবে মেনে নিতাম না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দেখলাম ইসলামের কিছু বিষয় কোন ভাবেই জাস্টিফাই করা যায় না। তখনি মনের ভিতরে প্রচন্ড তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। আসতে আসতে পড়তে লাগলাম বিভিন্ন তথা কথিত নাস্তিকদের বই এবং ইসলামের আসল চেহারা সম্পর্কে জানতে পারলাম। ইসলামের বীভৎসতা জানতে পারলেম। কিন্তু মজার বিষয় হল, ইসলামের বীভৎস চেহারার উপরে এত সুন্দর ভাবে একটা মিথ্যা চেহারা লাগান আছে যা মুসলমান থাকতে কখনই দেখিনি, কিনবা কে জানে হয়ত দেখার চেস্টা করিনি। এবং আমার ধারনা কেউই মুসলমান থাকা অবস্থায়, ইসলামের ভয়ঙ্গর চেহারাটা দেখতে পারে না অথবা আমার মতোই দেখতে চায় না।
আমি আন্তরিক ভাবে দুক্ষিত যে আপনার লেখার জবাবে আমি আমার জীবনের কাহিনী বলে ফেলেছি। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হল এতটুকু আপনাকে বলা যায় তাই বললাম।
এখন আপনার কাছে একটা আর্যি জানাব, আপনার ইসলামে বর্বরতা লেখাটা আমার খুবই ভাল লেগেছে। আমি যদি কোন ওয়েবসাইট অথবা ব্লগে আপনার লেখাটা শেয়ার করি তাহলে কি আপনার কোন সমস্যা আছে? অবশ্যই লেখক হিশেবে কৃতিত্বটা আপনারই থাকবে, আমি শুধু লেখাটাকে আমার লগ ইন থেকে পোস্ট করব।
@সামিউল,
সামিউল আপনার লেখা ইসলামের বর্বরতা শিরোনামে লেখাটি পড়ে আমার মনে হল আপনি বুঝাতে চাইছেন ইসলাম একটি বর্বর ধর্ম। এখানে মানবতার কোন স্থান নেই। যতসব অসভ্য বর্বররা ইসলামের অনুসারি। আপনার লেখার বিভিন্ন হাদীস ও কুরআনের সে সব উদাহরণ টেনে তা আপনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন। ইসলামের আসল চেহারা বলতে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন?
@নিশাদ, ইসলামের আসল চেহারা বলতে আমি যা বুঝিয়েছি সেটা এখানে এক বা দুই পৃস্টাতে লিখে শেষ করা যাবে না। তার চেয়ে বরং আমি আপনাকে কয়েকটা বইয়ের নাম বলছি আপনি সেগুলো পড়ে নিজেই দেখেন। বই গুলো হচ্ছে আকাশ মালিক এর ” যে সত্য বলা হয়নি” (এটা মুক্তমনার ই-বুক ফ্রি পড়তে পারবেন), Twenty Three Years: A Study of the Prophetic Career of Mohammad by ALI DASHTI এবং “No god, but God” by Reza Aslan. এছাড়াও মুক্ত মনাতে বিভিন্ন ব্লগেরদের ইসলাম সংক্রান্ত ব্লগও পড়তে পারেন। আশা করি এইগুলি পড়ার পর ইসলামের আসল চেহারা নিয়ে আপনার মনে আর কোন সন্দেহ থাকবে না অথবা অন্য কাউকেই আর এ ব্যপারে জিজ্ঞাসা করতে হবে না। ধন্যবাদ।
@সামিউল,
আমার মনে হয় কথাটি আংশিক সত্য। বাংলাদেশে যে শারিয়া আইন আছে তা পুরোপুরি হানাফি আইন–হেদায়েত থেকে এসেছে–যা ব্রিটিশরা করে গিয়েছিল। এই আইনের সামাণ্য কিছু রদবদল ইংরেজরা করেছিল–তারই সুফল আমরা কিছু পাচ্ছি। আর সেই জনেয় ত খাঁটি মুসলিমরা চাচ্ছে শত করা ১০০ ভাগ নির্ভেজাল বেদুঈন শারিয়া আইন চালু করতে যা ইসলামের আঁতুড়্ঘর আরব দেশে বিদ্যমান।
আজকাল এই কথা অনেক বাঙালি মুসলিমরা বলেন–যার কোন ভিত্তি আমি দেখিনা। অনেকে হয়ত এই কথা বলেন ইসলামের কর্কশতা হ্রাস করে দেখানোর জন্য। কিন্তু সুফী ইসলাম, বাংলার ইসলাম, মিশ্র ইসলাম—এই সব কোন ইসলাম নাই। বিশ্বব্যাপী শুধু একটা ইসলামই আছে আর তা হচ্ছে সেই ইসলাম যা কোরান, সুন্না এবং হাদিসে লিখিত আছে–সেই ইসলাম যা নবীজি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। যেহেতু আরব এবং তুর্কিরা আমাদের সংস্কৃতি, ভাষা, সভ্যতাকে পুরোপুরি আরব অথবা তুর্কিতে পরিণত করতে পারে নাই–তাই আমরা আমাদের মনগড়া ইসলাম নিয়ে বেশ খুশীখুশী ভাব দেখাচ্ছি।
আমাদের এই কাঁচা হাতের লেখা যে আপনাকে ইসলাম নিয়ে ভাবিত করেছে তার জন্য সত্যি আমি খুব আনন্দিত বোধ করছি। ইসলাম নিয়ে আরও পড়াশোনা করুন এবং এর বিরুদ্ধে কলম ধরুণ—এই ভাবেই আমরা পারব ইসলামের জগদ্দল পাথর সরিয়ে দিতে।
না, আমার পক্ষ থেকে কোন আপত্তি নাই। তবে মুক্তমনার কোন আপত্তি আছে কি না আমি জানিনা। আমি অনুরোধ করব আপনি মুক্তমনার কর্তৃপক্ষ থেকে জেনে নিন।
আপনাকে প্রচুর ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টের জবাব দেবার জন্য।
আমাদের দেশের প্রচলিত ইসলাম সম্মন্ধে আমি আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে, যে কোন ভাবেই হোক আমাদের দেশের প্রচলিত ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশে গুলোর ইসলাম থেকে অনেকটা নমনীয় এবং এর সম্পুর্ন কৃতিত্য আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির। কিন্তু নমনীয় ইসলামও আধুনিক কোন সভ্য সমাজের জন্য যথেস্ট নমনীয় নয়, বরং তা যে কোন সমাজের জন্যই হুমকি স্বরূপ। শুধু ইসলাম নয় যে কোন ধর্ম এর গোঁড়ামই সমাজকে পেছনের দিকে টেনে রাখতে সক্ষম। ধন্যবাদ
@সামিউল,
আপনি যা লিখেছেন তার সাথে আমি একমত।