মুঘল বাদশা আকবর-এর শাসনামলে কৃষিকাজ ও কৃষকদের খাজনা প্রদানের সুবিধার্থে ভারতীয় স্যোলার ক্যালিন্ড্যার বা সৈার-পঞ্জিকা ও হিজরি লূনার ক্যালিন্ড্যার বা চান্দ্র-পঞ্জিকার ওপর ভিত্তি করে বাদশা আকবর-এর নির্দেশে ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ফাতেউল্লাহ শিরাজি বাংলা পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন যেটা বঙ্গাব্দ বা বাংলা অধিবর্ষ হিসাবে পরিচিতি পায়। পহেলা বৈশাখের উদ্যাপন আকবরের আমল থেকেই শুরু হয়। চৈত্রের শেষ দিনে কৃষকরা তাদের সমসত্ম লেনদেন ভূস্বামীদের বুঝিয়ে দিতেন এবং বৈশাখের প্রথম দিনে ভূস্বামীরা কৃষকদের মিষ্টি মুখ করাতেন। এই দিনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মেলা বসতো। ফলশ্রুতিতে দিনটি বাঙ্গালীদের পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হল। এই দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল হালখাতা বা হিসাবের নতুন খাতা প্রস্ত্ততকরণ। যা অদ্যবদি এদেশের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রচলিত আছে।
কলকাতাতে বৈশাখ মাসকে বিবাহের জন্য আদর্শ সময় মনে করা হত। মানুষজন নতুন পোশাক পরিধান করে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যেত। চৈত্র মাস জুড়ে মানুষ নানাবিধ কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে উদ্যাপনের প্রস্ত্তত করে গড়ে তুলত। এ সময় পোশাক ব্যবসায়ীরা বেশ ছাড়ে পোষাক বিক্রি করতো। আর বৈশাখ মাস জুড়ে চলত বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করা হত। মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে আর ছেলেরা কুর্তা আর ধুতি পরে সকালে নতুন বর্ষ বরনে শোভাযাত্রা বের করতো।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতির অতি প্রাচীন অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল পহেলা বৈশাখ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমসত্ম বাঙ্গালীদের অতি প্রাণের উৎসব এই পহেলা বৈশাখ। তৎকালীন পাক-শাষনামলে পূর্ব বাংলাকে মুসলমানদের ভূখন্ড বিবেচনা করে এবং পহেলা বৈশাখকে প্রকৃতি-পূজা বা হিন্দুদের আচার হিসাবে প্রচার করে পাক-সরকার কৌশলে বাঙ্গালীদের সংস্কৃতহীন করার যে হীন মতলব আটে তাতে অনেক বাঙ্গালী মুসলমান বিভ্রামেত্ম পড়ে যায় এবং যার একটা রেশ এখনো গোঁড়া মুসলমান বাঙ্গালীদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীতে ’৫২-তে সংগ্রাম করে ভাষা অর্জনের মধ্য দিয়ে পূর্ব বাংলার বাঙ্গালীরা তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে নতুন করে সচেতন হতে শুরু করে। ’৭১-এ একটি নির্দিষ্ট ভূখন্ডের পাশাপাশি আমরা পাই আমাদের সংস্কৃতির স্বাধীনতা। বলা যায় দীর্ঘ দিন যুদ্ধ করে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে এই স্বাধীনতা পাই বলেই আমরা আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব সজাগ হয়ে উঠি। ফলত পহেলা বৈশাখ হয়ে ওঠে হিন্দু-মুসলমান সকলের প্রাণের উৎসব। এবং বাঙ্গালীর জাতীয় ও সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান তো বটেই। সমগ্র বৈশাখ মাস হয়ে ওঠে বাঙালীর আপন সংস্কৃতির সাধনা ও প্রেরণার মাস।
পহেলা বৈশাখের সাথে আমাদের অনেক পুরানো সংস্কৃতি জড়িয়ে ছিল, যেমন–যাত্রা, পালা গান, কবি গান, গাজির গান, অলকাপ গান, পুতুল নাচ, বাউল-মুর্শিদি-ভাটিয়ালি গান, বর্ণনামূলক নাটক, যেমন–লাইলি-মজনু, রাধা-কৃষ্ণ, ইউসুফ-জুলেখার মঞ্চস্থ, ইত্যাদি যা এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। যদিও পুতুল নাচ ও যাত্রা এখনো কোথাও কোথাও দেখানো হয় তবে তা বিকৃত অবস্থায়। একসময় ঢাকায় ঘুড়ি উড্ডয়ন, মুন্সিগঞ্জে ষাঁড়ের দৌড় প্রতিযোগিতা, এবং গ্রামাঞ্চলে ঘোড়-দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের যুদ্ধ, নৌকা বাইচ বেশ জনপ্রিয় ছিল যা এখন প্রায় আমাদের বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি হিসাবে গণ্য হচ্ছে। তবে এখনো পহেলা বৈশাখে চট্টগ্রামে বলি ও রাজশাহীতে গম্ভীরা বেশ আড়ম্বরের সাথে পালন করা হয়।
পহেলা বৈশাখ কি শুধুই একটি অনুষ্ঠান? অনুষ্ঠানতো আরো আছে, যেমন–ঈদ, জন্মদিন, বিবাহ, ভালোবাসা দিবস, বাবা দিবস, হ্যাপি নিউ ইয়ার আরো শত শত। এই অনুষ্ঠানগুলোর সাথে পহেলা বৈশাখের পার্থক্যটা কোথায়–এই বিষয়গুলো একটু ভেবে দেখা দরকার।
গ্রাম্য সংস্কৃতির বা কৃষকদের এটাই একমাত্র অনুষ্ঠান যেটা ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মর্মমূল হচ্ছে কৃষকদের নতুন ফসল ঘরে তোলা ও জমিদারদের কাছে ঋণমুক্ত হওয়ার আনন্দ। অথচ শহরের কয়জনই বা এই বিষয়ে অবগত থাকেন! জমিদারী প্রথা বিলোপের সাথে সাথে নগরে অর্থাৎ কৃষকদের মাঝে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার আমেজ বেশ থিতিয়ে এসেছে। তবে বাংলা দিনপঞ্জিকার প্রথম দিন হিসাবে দেশের শিক্ষিত সমাজে এর কদর বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে।
বিষয়টি আপাত দৃষ্টিতে আমাদের ভেতরে আশার সঞ্চার করে বটে; কিন্তু একটু তলিয়ে এবং খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে আজকাল সবখানেই আমাদের সংস্কৃতি চর্চার নামে যা হচ্ছে সেটা হল তার বিকৃতিকরণ–ভাষা থেকে শুরু করে পোশাক, সঙ্গীত, নৃত্যকলা, খাদ্যাভ্যাস সবখানেই। আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি এখন ব্যবসায়ের পণ্যতে পরিণত হয়েছে। আমাদের লোকজ সংস্কৃতিকে বিশেষ বিশেষ দিনে বিশেষ বিশেষ কায়দায় প্রদর্শন করে সর্বচ্চ মুনাফা আদায় করছে বহুমুখী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো; টেলিভিশন ও প্রিন্টেড মিডিয়া রঙিন রঙিন ছবি পেশ করে কাটতি বাড়াচ্ছে বহুগুণে, ১০টি এস এম এস ফ্রি দেওয়া হচ্ছে প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য–এমনই সসত্মা আবেগ আমাদের! আমি এসবের কোনকিছুকেই দোষের মনে করছি না। কিন্তু যখন ‘অতিরিক্ত’ ছাপিয়ে ওঠে ‘প্রকৃত’ আয়োজনকে তখন মাথা ব্যথা করে বৈকি।
রমনার বটমূলে (১৯৬৫ সাল থেকে) রবীন্দ্রনাথের ‘এসো হে বৈশাখ এসো হে..’ গানের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার বাঙ্গালী পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেই। এখানে প্রকাশ পায় বাংলার স্বাধীন মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাস-এর বহিঃপ্রকাশ। সমসত্ম জাতি একই কাতারে সামিল হয়ে আনন্দ উদ্যাপন করে এমন দিন হরহামেশা আশে না। অমত্মত আমাদের মত দরিদ্র-দুর্নিতিগ্রসত্ম দেশে তো সেটা কল্পনা করাই আকাশ কুসুম চিমত্মার সামিল। হাজার সমস্যায় জর্জরিত আমাদের জীবন প্রবাহ, সমাজ ও রাষ্টীয় ব্যবস্থা। এমন অবস্থায় পহেলা বৈশাখ প্রতি বছর সমগ্র বাঙ্গালীর দেহে এক চিলতে প্রাণের সঞ্চার করে। এবং সেটা রমনার বটমূলে বেশ স্পষ্টত হয়। তবে এখানে যা হয় তার সবটা আমাদের সংস্কৃতি না। ২০০১ সালে বোমা হামলা, প্রতি বছরই যত্রতত্র নারীদের টিজিং এর স্বীকার হওয়া। আর ১০০-২০০ টাকা দরে এক প্লেট পামত্মা-ইলিশ খাওয়া। চাইনিজ বা থাই না খেলে যে বাঙ্গালীদের আজকাল জাত রক্ষা হয় না, সে বাঙ্গালীদের বছরে এই একটি দিনে আয়েশ করে পামত্মা-ঈলিশ ভক্ষণ করে বাঙ্গালীত্ব যাহির করার যে প্রয়াস তা আমাদের পূর্বপুরুষদের দরিদ্রতাকে প্রচন্ডভাবে অপমান করে এবং হেয় করে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যকে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যত দিন যাচ্ছে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন তত বেশি আড়ম্বরময় হচ্ছে। তার মানে কি এই যে সময়ের পরিক্রমায় আমাদের বাঙ্গালীত্ব্ আরো প্রগাঢ় ও গূঢ় হচ্ছে?–বোধহয় না। মিথ্যাকে যাহির করার জন্যই তো ঢাক-ঢোলের প্রয়োজন বেশি! আমরা যে আমাদের হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় অর্জিত সংস্কৃতি থেকে ক্রমান্বয়ে ছিটকে যাচ্ছি সেটা ঢেকে রাখার জন্যই এত বাদ্য পেটানো। নিজের বিবেককে ঠেকানো ও ঠকানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম এটা।
অতি আড়ম্বরের সাথে নেচে-গেয়ে পহেলা বৈশাখ পালন এখনকার প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় ফ্যাশন ও প্যাশন হয়ে উঠেছে। আর পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে কোনও ফ্যাশনই সময়কে জয় করতে পারে নি। তাই আমাদের সংস্কৃতির আচার ও অনুষ্ঠানগুলো যেদিন থেকে ফ্যাশন-এর কারণ হয়ে উঠেছে সেদিন থেকে শুরু হয়েছে আমাদের সংস্কৃতির সর্বনাশ। একটা জাতি যখন তাদের সংস্কৃতি ও লোকাচারকে বাইরে বের করে আনে তখন তাদের শূন্য অন্দরমহলে অন্যকোনও সংস্কৃতি গোপনে দানা বাঁধতে থাকে। আমাদের ভেতরে এমনটি হচ্ছে না তো ? একটু বুকের ভেতরটা নেড়ে-ঘেঁটে দেখা খুব জরুরী হয়ে উঠেছে। স্বদেশ ও সংস্কৃতিকে আপন অমত্মরে লালন করতে হবে। তাই বলে কি অনুষ্ঠান, আমেজ-আনন্দ করা যাবে না? অবশ্যই যাবে। বাড়িতে নতুন অতিথির আগমনে আমরা আনন্দ-অনুষ্ঠান করি না–ব্যপারটা হতে হবে ঐরকম, ভেতর থেকে উৎসারিত।
আমি আমাদের সংস্কৃতি চর্চার সবখানেই হতাশাবাদ ব্যক্ত করে আলোচ্য লেখার ইতি টানবো না। আশার ব্যাপার হল, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই দেশ ও দেশের সংস্কৃতি নিয়ে ভাবছে। সাংস্কৃতিক উপনিবেশবাদের হাত থেকে আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে তারা সদা তৎপর। আমত্মজার্তিক পরিসরে বাঙ্গালীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পহেলা বৈশাখের উৎসবমুখর উদ্যাপন তারই প্রমাণ বহন করে। পরিশেষে রবীন্দ্রনাথের মত বলতেই হচ্ছে, আমাদেরকে নিজের দেশ ও সংস্কৃতিকে আপন করতে শিখতে হবে, অন্যথায় প্রকৃত মুক্তি মিলবে না। আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনেই আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটুক এই প্রত্যাশাই রইল আগামীর কাছে। জয়তু পহেলা বৈশাখ! জয়তু বাংলা নববর্ষ!
মুক্তমনার সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
অ.ট.
জানি ভাষায় প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা থাকলে বানান ভুল করা ঠিক না। তবুও নেটে টাইপ করতে গিয়ে সবারই কমবেশী “টাইপিং মিসটেক” হয়ে যায়। খুব বেশী দৃষ্টিকটু না হলে বানান ভুলের প্রসঙ্গটা মাফ করে দেয়া যায় না? 🙂
(তাই বলে বানান ভুল করাকে মোটেই উৎসায়িত করছি না কিন্তু 😛 )
@শ্রাবণ আকাশ,
আর বলবেন না ভাই, মানে বানান ভুল করাটা শুধুই ভুল, এটা দোষের কী করে হয় আমি জানি না। এই বিরাট ডাগালে(ডাক্তার+গায়েন+লেখক) আবার এটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করছে। মানে আজিব দুনিয়া।
আপনি তো বলছেন টাইপোর কথা, আমি বলছি আমি আসলেই বানানে দূর্বল। ইংরেজিতে তো বটেই বাংলাতেও। তো এটা আমার সীমাবদ্ধতা হতে পারে, কিন্তু দোষের কিভাবে হয় জানি না। 🙁 🙁
@ মুশফিক,
মি. মুশফিক, আপনাকে একটি সবিনয় নিবেদন,
ডাক্তারির ‘ড’ এর জ্ঞান আপনার আছে কিনা নিশ্চিত না হলেও মুক্তমনার সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন আপনি এক ডাক্তার। অবশ্য আমাদের দেশের হাজামরা এমনকি ষাণ্ডার তৈল বিক্রেতারাও নিজেদের ডাক্তার বলে মনে করে। যাক গে, আসল কথাটা হল আপনার নামের আগে এভাবে ড. লাগানো দেখে হাসি পায় এবং আপনাকে আবাল বলে সন্দেহ হয়। আমি আশা করব মডারেটররা আপনার নামটির আগা থেকে ড. নামক গোবর্জনাটি ছেটে ফেলবেন। (কেউ কিছু মনে করবেন না, ডাক্তারদের অপমান করতে চাচ্ছি না, মন্তব্যটি ভাল করে খেয়াল করেন)
(এভাবে বললাম কারণ মুশফিক এ ভঙ্গিতে বলেন ও এটি পছন্দ করেন)
@সবাই
জামাতের উপর গদাম শুরু হওয়ার পর থেকে ব্লগে ব্লগে এক ধরণের ছাগুর উৎপাত শুরু হয়েছে যারা নাকি ছাগু হয়েও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অথবা আত্মীয়, কোন কোন ক্ষেত্রে নাস্তিকও বঠে। আবার উনারা মাঝে মাঝে আন্তর্জাতিকতা নিয়ে কচকচানি শুরু করেন। এদের কথা হল যেহেতু দেশের ধারণা অদূর ভবিষ্যতে থাকবে না তাই পাকিদের কথা ভূলে যাও। উনারা মুক্তিযুদ্ধে নিহত বাঙালিদের সংখ্যা কমাতে তৎপর। ওরে রামছাগল, দেশের ধারণা না থাকলেই কি একাত্তরের গণহত্যা, নাৎসিদের গণহত্যা এগুলো জায়েজ হয়ে যায়?( আর কবে দেশের ধারণা থেকবে না, আদৌ তা হবে কিনা তা কি কেউ নিশ্চিত বলতে পারে? তাহলে আতি বিপ্লবীদের দোষ কোথায় যারা ভাবে একসময় যেহেতু কোন শোষণ থাকবে না তাহলে এক্ষণি শোষণকারী শ্রেণীশত্রু খতম কর। কিছু ভারতীয়ও পাকিদের কাণ্ড সম্পর্কে না জেনে পাকিদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে যা দুঃখজনক।) উনারা যে ধর্ষণ করেছেন, হত্যা করেছেন এগুলোর বিচার হবে না? ক্ষতিপূরণ কোথায়? পাকিরা তো রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমাটাও চাইল না এতদিন। কিত্নু এগুলো নিয়ে উনাদের মাথাব্যথা নেই, একমাত্র কারণ উনারা ছাগু, পাকিদের ধর্ষণজাত সন্তান। এতদিন ভাবতাম মুক্তমনা এদের উৎপাত থেকে দূরে থাকবে কিন্তু সে আশায় গোড়েবালি।
মুশফিক একটা প্রবন্ধ লেখেছে মুক্তমনায়। মুক্তমনায় লেখার বিন্দুমাত্র যোগ্যতা না থাকা সত্তেও লেখাটি কিভাবে যেন প্রকাশিত হয়েছে যা শুধু শুধুই ব্যক্তি আক্রমণ। ইউনুসকে নিয়ে সমালোচনার অনেক কিছু আছে, কিন্তু তিনি সমালোচনা করলেন কি, ইউনুসের মেয়ে কোথায় কি করল। তার লেখাটিকে ফালতু বললে তিনি ব্লগারদের ব্যক্তি আক্রমণ করতে শুরু করলেন, কে কি করেন সব খবর সংগ্রহ করতে শুরু করলেন এবং অতি আশ্চর্যের বিষয় হল এগুলো নিয়ে মুশফিক ব্যক্তি আক্রমণ করে অত্যন্ত আপত্তিকর ভঙ্গিতে যেসব মন্তব্য তিনি করেছেন তা মুক্তমনায় প্রকাশিতও হয়েছে। তিনি বোঝেন না কোনটি ব্যক্তি আক্রমণ আর কোনটি সমালোচনা। তিনি জানেন না কোন প্রবন্ধকে ফালতু বললে তা ব্যক্তি আক্রমণ হয় না। তিনি শুধু বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন্য মুক্তমনায় ঢুকেছেন সে বিষয়টি এখনো কেন উপলব্ধি করতে পারছেন না মুক্তমনার বন্ধুগণ?
তিনি পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ছিলেন কি ছাগুগিরি ট্রেনিং নেয়ার জন্যই? যে প্রবন্ধটি মুক্তমনায় প্রকাশ করেছেন তা তিনি আগেই একটি ছাগু ব্লগে প্রকাশ করেছেন যা মুক্তমনার জন্য অপমানজনক। বিভিন্ন ব্লগে উনাকে এ লেখার কারণে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা দেখলে শুধু করুণাই হবে। অথচ মুক্ত-মনায় তিনি পেয়েছেন জামাই বাবুর খাতির। এর শেষ কোথায়?
সুন্দর প্রবন্ধ।
আমার কাছে কি মনে হয় বলি। নতুন পুরাতনকে স্থলাভিষিক্ত করে। তাই পুরাতনকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হয়। আর নতুন আসে বাঁধ ভাঙার মতো। নতুনের নাম সবসময়েই ছিল ফ্যাশন।
নতুন যে পুরাতনের এই সংস্কৃতিকে বরণ করে নিতে পেরেছে, এটাকে আশীর্বাদই বলা যায়। কারণ, শেষে গিয়ে যাকে রক্ষের এই আপ্রাণ চেষ্টা, সে যে মিলিয়ে যাবে কোন সন্দেহ নেই। আর যাকে রক্ষের এই চেষ্টা, সেও কিন্তু তার অবয়বে, পালনের ঢঙে আদি অকৃত্রিম নয়। সবই একসময় পুরাতনকে স্থলাভিষিক্ত করে এসেছে। সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতা খারাপ কিছু না। তবে আমি ফ্যাশনের অ্যাডভোকেট। :))
@রূপম (ধ্রুব),
চমৎকার!
@রৌরব,
হে হে। বাই দা ওয়ে, মুসলমানেও কিন্তু তার মুসলমানি সংস্কৃতির ভিতরে ভেজাল ঢুকে যাওয়া নিয়ে হা-পিত্যেশ করে। এখন যে মুসলমান বাঙালি হয়ে উঠছে, সেই সংস্কৃতিও কিন্তু পঞ্চাশ বছর আগে বাঙালি মুসলমানের মধ্যে ছিলো না। লেখায় সেটায় প্রায় মিলিয়ে যাচ্ছিলঃ
এটা কে পালন করতো? হিন্দু? না মুসলমান? নাকি উভয়ই। হিন্দু মুসলমানের বৈশাখ বরণের ধরন তো এক ছিলো না ধর্মীয় কারণেই। মুসলমান যে রক্ষণশীল ছিল, হিন্দুর বৈশাখী সংস্কৃতিতে তার অংশগ্রহণ মোটের উপর ছিলো মেলাটা দেখে আসা পর্যন্তই। কিন্তু লেখা ইঙ্গিত দিচ্ছে, মুসলমান আর হিন্দুর বৈশাখ বরণ ধরন ধারণে একই ছিল –
মানে এই সংস্কৃতি যে মুসলমানও পালন করতো হিন্দুর মতই একইভাবে, সেটা মুসলমানেও জানতো না? যদি মুসলমানেও একইভাবে পালন করতোই, তাহলে আর তাকে “সংস্কৃিতহীন” করা যাবে কিভাবে? পালন তো তার মধ্যে ঢুকেই আছ! আর পালন যদি না করেই থাকে, তাহলে “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমসত্ম বাঙ্গালীদের অতি প্রাণের উৎসব এই পহেলা বৈশাখ”, কথাটা তো অসত্য প্রতিপন্ন হলো। সত্য কথা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসব পালনের ধরন ভিন্ন ছিল।
বরং এর পরের কথাগুলো তুলনামূলকভাবে সত্যনিষ্ঠ মনে হচ্ছেঃ
মানে বৈশাখ বরণটা হিন্দু মুসলমানে উভয়েরই প্রায় সমান প্রাণের উৎসব হয়ে ওঠাটা সমসাময়িক ঘটনা।
মুসলমান সংস্কৃতিতে হীনসর্বস্বই ছিল। মুসলমানের ‘বাঙালিয়ানা’ ঘরানার বৈশাখ বরণের ঘটনাটা একটা সমসাময়িক ব্যাপার। যে কারণে গোঁড়া মুসলমান এখনো এর বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রক্ষণশীলতা দেখায়ে যাচ্ছে। একটা হিন্দু আর মুসলমান পরিবারে, ছেলে মেয়েদের শিক্ষায় এখনো নাচ, গান, সংস্কৃতির যে পার্থক্য, সেটা এখনো চোখে পড়ার মতো। ফলে একটা পরিবারের কাছে এই উদ্্যাপন যেখানে একটা স্বাভাবিক ঘটনা, আরেকটা পরিবার সেটাকে কয়েক দশক সময় নিচ্ছে ধাতস্থ হয়ে নিতে। সেখানে ফ্যাশন, ফিউশন, এগুলো আরও অতিরিক্ত এলিমেন্ট। ‘বাঙালি’ সংস্কৃতিতে অনভ্যস্ত বাঙালি মুসলমানের কাছে মূলত দুই-ই নতুন।
@রূপম (ধ্রুব), আমান মনে হয় বাঙালি মুসলমান বলতে আপনি ফরায়েজী আন্দোলনের পর হতে গড়ে উঠা বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলমান সমাজ বোঝাচ্ছেন। আমার যতদূর মনে হয় ৯০% গ্রামীন মুসলমান আর হিন্দু দের মধ্যে সংষ্কৃতিগত পার্থক্য খুব একটা ছিলো না।
এটা ঠিক যে দিনে দিনে ১লা বৈশাখ উদযাপন বেড়ে চলেছে। আইরিশদের সেইন্ট প্যাট্রিক’স ডে এর মতো ১লা বৈশাখ দেশে বিদেশে বাঙালিদের এথনিক ডে তে পরিনত হয়েছে। এটা এখন পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে বাঙালি আইডেন্টিটি এর একটি নোংগর হিসেবে উদ্ভুত হচ্ছে।
@সফিক,
এটায় আমার দ্বিমত আছে। মানে আমার মনে হয় উল্টোটা। পূজা উৎসবের জন্যে হিন্দুদের যে নাচ গানটা শিখতে হয়, মুসলমান দরিদ্র কৃষকের ঘরে সেটা ধর্মের কারণে চর্চিত হতো না। নাচ গানের কোন প্রয়োজন দরিদ্র মুসলমান কৃষকের ছিলো না। তাই বলে সে যে পূজোয় বা মেলায় বেড়িয়ে আসতো না, তা কিন্তু বলছি না। কিন্তু সেটা আর পালনের মধ্যে তফাতটা আছে। মুসলমান বলে যে কিছু একটা একটা সময় থেকে ছিলো, সেটা গোণায় ধরলে বিশ্লেষণ সত্যনিষ্ঠ ও সুবিধাজনক হয় আরকি।
তাতো বটেই।
@সফিক,
ফরায়েজি আন্দোলন নিরপেক্ষভাবেই কি গ্রামীণ মুসলমান মাদ্রাসা মক্তব মসজিদে যেতো না? মক্তবে কোরান তেলাওয়াতও তো একটা সংস্কৃতি। গ্রামীণ মুসলমানের সংস্কৃতি। যেটা গ্রামীণ হিন্দু চর্চা করতো না।
@সফিক,
ঠিক এই আলোচনাটা মুক্তমনারই অন্য কোথাও হচ্ছিল আরেকদিন। মানে ফরায়েজি আন্দোলনটি যে বাঙালী মুসলিমের আত্মপরিচয়ের ইতিহাসে একটি threshold phenomenon, সেই ব্যাপারটি। আপনার কি জানাশোনা আছে নাকি এ ব্যাপারে আরো? outline টা জানলেও ঠিক কি ঘটেছিল, কতটুকু বিস্তৃত ছিল এর প্রভাব এ ব্যাপারে ফাঁক আছে প্রচুর আমার জানায়।
@রৌরব, আমরো তেমন একটা রিগোরাস পড়াশোনা নেই। বিভিন্ন বই, প্রবন্ধ, আর রিভিউ পড়ে একটা ধারনা গড়ে উঠেছে যে উনবিংশ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের বৃহৎ সাবাঅলটার্ন হিন্দু-মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংষ্কৃতিগত খুব একটা পার্থক্য ছিলো না। আরব থেকে হজ্বফেরত ফরায়েজীদেরদের মাধ্যমেই ওহাবী আদর্শের পত্তন ঘটে।
বেশ আগে একটা লেখায় পড়েছিলাম যে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু অংশে লোকাল মুসলিম জনগোষ্ঠী আন্চলিক সংষ্কৃতির সাথে এতোটাই মিশে ছিলো যে তারা নিয়মিত শূকরের মাংস খেতো (প্রধান আ্যানিমল প্রোটিন উৎস) এবং তারা মাত্র দিনে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়তো (এতো সময় কোথায়)। কেবল মাত্র ৭০ এর দশক থেকে, পে্ট্রোডলার এর জোড়ে, আরব-পাকিস্তান ফেরৎ বিশুদ্ধতাবাদীদের প্রভাবেই এসব স্থানে আমূল পরিবর্তন হয়।
@সফিক,
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বলতে যদি ইন্দোনেশিয়া হয় তবে এরকমটা আমি শুনেছি ভাসা ভাসা। নাইপলের বইটাতেও এবিষয়ে বেশ বড় একটা অধ্যায় আছে।
@রূপম (ধ্রুব),
আপনার এই মন্তব্যটা এইই পড়লাম ভাল করে। একটা চমৎকার ডাইকোটোমি তুলে ধরেছেন, যেটার ধার কাছ দিয়ে আমাদের নিচের আলোচনা গেছে —
বাঙালীত্ব বাঙালী মুসলিমের একটা মৌলিক জিনিস, যাকে অর্বাচীন মৌলবাদের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন….নাকি…
বাঙালী মুসলিমের ক্ষেত্রে বাঙালীত্ব ও ইসলামীত্ব প্রায় সমকালীন, অর্থাৎ আধুনিক নির্মাণ।
আমার বক্তব্য:
বাঙালীত্বটা অমৌলিক নয় হয়ত। কারণ সংস্কৃতি সচেতন না হলেও বহমান সংস্কৃতি একটা থাকে। কিন্তু বাঙালী হিসেবে আত্মসচেতনতার ইতিহাস খুব অর্বাচীন। এটা একটা “সমস্যা” বই কি। ফরাসী বা ইংরেজরা দেখুন অন্তত ব্যাটল অফ আজিনকোর পর্যন্ত আত্মসচেতন জাতীয়তার উন্মেষপর্ব ট্রেস করতে পারে। তুলনায় আমাদের কি অবস্থা?
@রৌরব,
বাঙালি মুসলমান নিয়ে হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুর পর আমার করা এ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটা পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। (আজকাল এই ভাষার কোটি কোটি মন্তব্য পড়তে পড়তে আমারও ভাষা এরকম হয়ে উঠছে। 😉 )
যাহোক।
বলে আপনি এই আমাদের মধ্যে কাকে কাকে ঢুকালেন, সেটা বড় গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশি? বাঙালি? বাঙালি মুসলমান? বাঙালি সেকুলার মুসলমান?
আপনার এই ‘আমাদের’ কথাটার মধ্যে জাতীয়তাবোধ আছে। সেটায় মোটেও সমস্যা নেই। আপনি হয়তো বলবেন জাতীয়তাবোধের দরকার আছে। আত্মসচেতনতার দরকার আছে। তবে এটাকে আমি রাজনৈতিক ধারণা বলবো। আমার সংজ্ঞায় এখানে রাজনীতি মানে হলো একের খায়েশ দশের উপর বিস্তারের প্রয়াস। মানে আমি যদি আত্মসচেতনতার দরকার আছে বলে প্রচার প্রসার করি, তাতে আমি আমার এই ব্যক্তিক ভাবনাটাকে আর দশজনের মধ্যে সঞ্চারিত করতে চাচ্ছি, তারা আত্মসচেতনতাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবুক না ভাবুক।
আমি বলবো সকল রাজনৈতিক ধারণার মতো এর সাথেও একমত হওয়া কঠিন। আমার রাজনৈতিক ধারণা হলো একটা দেশে দশটা ভিন্ন জাতীয়তাবোধের মানুষ থাকতে পারে। এগারো নম্বররাও থাকতে পারে, যারা কিনা কোন জাতীয়তাবোধই পোষণ করে না, যাদের সংখ্যা বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। এমন দেশের মানুষগুলো একটা মূল আত্মসচেতনতাপূর্ণ জাতীয়তাবোধের আওতায় আরও ভালো থাকতো এমনটা আমার মনে হয় না।
আর বহমান সংস্কৃতির ধারণার মধ্যেও একটা মেইনস্ট্রিমিং আছে। এমন একটা ধারণা আছে যে সবার মধ্যে একটা বড় আকারের সংস্কৃতি কমন ছিল, শুধু সেটা উদ্ধার করা হয় নি। এখন এই নাও উদ্ধার করে দিলাম। এটাও একটা ex post facto জিনিস।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো, ভাত খাওয়া, কিছু পোশাক আর ধর্মীয় উৎসব ছাড়া বাংলাদেশিদের সংস্কৃতি জেলায় জেলায় ভিন্ন। বহমান সংস্কৃতি বলে যদি কিছু থাকে, আমি সেটা কোনটার সাথে মিলাবো? আমার বাবা-মায়ের গ্রামের বাড়ি যে জেলায় তার সাথে? আর আমি বেড়ে উঠেছি মেট্রোপলিটন ঢাকায়। মেইনস্ট্রিমিংয়ের সুতিকাগারে। এগুলো বড়ই ভিন্ন বস্তু। বহমান সংস্কৃতি কেবলই স্থানীয়। বাঙালিত্ব সকল বাংলাদেশিদের জন্যই একটি আধুনিক নির্মাণ। কারণ বাঙালিত্ব হলো ঠাকুরবাড়ির সংস্কৃতি। যার সাথে বাংলাদেশের কোন জেলার বহমান সংস্কৃতিরই তেমন কোন যোগ নেই। এইদেশে উৎসব বলতে হিন্দুদের পূজা-পার্বণ, মুসলমানের ঈদ, এই-ই কমন।
ফলে বাঙালিত্বের ওকালতি করে বাঙালি মুসলমানিত্বকে প্রতিহত করা আর বাঙালি মুসলমানিত্ব, এমনকি ফরায়েজিত্বের ওকালতি করে বাঙালিত্বকে প্রতিহত করার মধ্যে গুণগত পার্থক্য নাই। যে বাঙালি মুসলমানিত্বের সংস্কৃতি ধারণ করার খায়েশে আছে, তার বাঙালি মুসলমানিত্বকে লোপাট করার যে আগ্রাসী আচরণ, এর কোন প্রকারের উৎকর্ষগত মূল্য নাই। ফলে বাংলাদেশিদের বাঙালি মুসলমানিত্বটা একটু কমিয়ে বাঙালিত্ব বাড়ানো ভালো, এমনটাও বলা যাচ্ছে না। রাজনীতি অবশ্যই জায়েজ আছে। কিন্তু যুক্তি তর্কে সেটা প্রতিষ্ঠা হয় না আর কি। পিছিয়ে পড়া জাতি গোষ্ঠির যেমন অধিকার আছে তাদের নিজেদের খায়েশের সংস্কৃতিটাকে লালন পালনের, মাদ্রাসাওয়ালাদেরও সেই একই অধিকার আছে। বাংলাদেশে বাসকারী মাদ্রাসাওয়ালা লোকটা বাঙালিত্ব ধারণে অনিচ্ছু অক্ষম বলে বিন্দুমাত্র হীনবোধ তাকে করতে দেয়া যায় না।
কিন্তু রাজনীতিও যেহেতু স্বাভাবিক অধিকার। আপনি চাইলে ধীরে ধীরে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাঙালি আত্মসচেতনতার মিথ খাওয়াতে পারেন। আমিও চেষ্টা করতে পারি তাকে একটা আত্মকেন্দ্রিক, সাংস্কৃতিক সচেতনতাহীন, সুদখোর, মদখোর, জেনাকারী, সুফি সাধুতে পরিণত করতে। 🙂
ফলে
-তে কার সমস্যার কথা বলছেন, সেটায় আমি আটকে যাই।
@রূপম (ধ্রুব),
প্রয়াসে সমস্যাটা কোথায়? রাস্তার ধারে যে লোক জোঁকের তেল বিক্রি করছে, বা পেনিসিলিন বিক্রি করছে, তার মধ্যেও অনুরূপ প্রয়াস আছে, যেকোন মানব-মিথস্ক্রিয়ার মধ্যেই তো সেটা থাকবে, অবধারিতভাবে (আপনিও পরে এটা বলেছেন একজায়গায়)। আমার বা আপনার একটা রাজনৈতিক মতামত আছে, এটা বৈধ শুধু নয়, বিকল্পরহিত, কারণ…
আপনি নিজেই বলছেন, এটাও একটা রাজনীতি। আমি অলসভাবে প্রশ্নটাকে মেটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি না, এটা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণ অ্যাসাম্পশন বিহীন জাতি হয় না (“জাতি” আমি খুব সাধারণ ভাবে ব্যবহার করছি এখানে, স্রেফ একই এলাকায় একই রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে বসবাসকারি লোক হিসেবে) — সেটা ইউরোপীয়রা টের পেয়েছে মাল্টিকালচারিলজমের ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে।
কাজেই একটি কিয়ৎপরিমাণে কনভার্জেন্ট সমাজ গঠনের প্রচেষ্টাটাই অবৈধ, আমি এ ব্যাপারে একমত নই। প্রশ্নটা হল, প্রাসঙ্গিক প্রজেক্টটি ভাল কিনা। সে ব্যাপারে আপনার মতামত হচ্ছে…
ঠাকুর বাড়ির কথা স্থগিত থাক এক মুহূর্ত। আপনি কি জেলা পর্যায়ে বহমান, প্রাকৃত সংস্কৃতির অস্তিত্ব স্বীকার করছেন? যদি করেন, তাহলে ফরায়েজীর সাথে একটি পার্থক্যের সূক্ষ সূত্রপাত কি হয়ে যাচ্ছে না? বাংলা সংস্কৃতির project তো শুধু ঠাকুর বাড়ি নয়, টিভি নাটকে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারও তো ওই প্রজেক্টের অংশ। ঠাকুর বাড়িকে মেইনস্ট্রিমিং অবশ্যই বলতে পারেন, কিন্তু লাখ খানেক লোক স্বেচ্ছায় গিয়ে জেমসের কনসার্ট দেখাও মেইনস্ট্রিমিং — কারণ ওই খানে বসেই তারা তৈরি করছে জাতির সাধারণ মিথের ভিত্তি, সাধারণ রসিকতার ভিত্তি, সাধারণ reference point, এবং প্রভূত পরিমাণে গাঁজার ধোঁয়া।
ফরায়েজি ধারার সাথে জাতীয়তাবাদের পার্থক্য, জাতীয়তার নির্মাণ সম্ভাব্যভাবে, একই বাঙালীর ক্ষেত্রে বাস্তবেও, অনেক বেশি স্থিতিস্থাপক। এমনকি রবীন্দ্র গোঁড়ারাও কি তেমনই গোঁড়া? ওই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এলিটস্ট বটে, নাক উঁচু, কিন্তু আবার সেকারণেই তার proselytizing প্রবণতা আরবী ঘোড়ার মত লাগাম হীন নয়। তার ফাঁক ফোঁকর দিয়ে আপনার ওই দশম বা একাদশ জাতীয়তাবাদ স্বচ্ছন্দে গলে বেরিয়ে যাবে, এই আশা রাখি।
@রৌরব,
উন্মাদ বাক্য। এরকম কিছু বলতে চেয়েছিলাম:
ফরায়েজি ধারার সাথে জাতীয়তাবাদের পার্থক্য — জাতীয়তার নির্মাণ সম্ভাব্যভাবে (এবং বাঙালীর ক্ষেত্রে বাস্তবেও) অনেক বেশি স্থিতিস্থাপক।
@রৌরব,
প্যারান্থেটিকটা বুঝেই নিয়েছিলাম!
@রৌরব,
সমস্যা তো নাই। খালি স্বীকার করাচ্ছি যে, এটা আর দশটা রাজনৈতিক প্রয়াসের মতো একটা। মানে আপনার “আমরা”, আত্মসচেতনতার অভাবে “সমস্যা”, এই শব্দগুলোতে রিজার্ভেশানটা রাখলাম মাত্র। ফলে কোন প্রচেষ্টাকে আমি অবৈধ বলি নি, এখনো বলছি না। মাল্টিকালচারিজমে ইউরোপের ব্যর্থতার ব্যাপারটা থেকেও তেমন শিক্ষা পাচ্ছি না। মাল্টিকালচারিজম সফল হবার উদাহরণও নিশ্চয়ই আছে।
আর গোঁড়ামি, কেউ প্রচণ্ড গোঁড়া হলেও তো আমার সমস্যা নেই। কেউ নিজের যাপনে গোঁড়া হলে আমার বা আপনার কিইবা এসে যায়? কিন্তু হস্তক্ষেপ জোরজবরদস্তি করতে আসলে কোনটাকেই ছাড় দেয়া যায় না।
ফরায়েজি সম্পর্কে আমি কমই জানি। বাঙালি মুসলমানের মুসলমানিত্ববোধ নিয়ে আমি মূলত কথা বলছিলাম। ওতে বারবার ফরায়েজি আসছে দেখে মনে হচ্ছে ওরা যেন সমার্থক। কিন্তু আমার তা মনে হয় না। আমার অভিজ্ঞতায় দেখা গোঁড়া মুসলমানের পারিবারিক ভাবধারা ওলিআউলিয়াদের ধর্মপ্রচারের কাল থেকে চলে আসছে।
এখন ঠাকুরবাড়ির গোঁড়া যে বাঙালি মুসলমানিত্বের কাছে বেশ আধুনিক, তাতে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু তারপর কী? কম গোঁড়া দেখে ‘ক’-কে বাঙালিত্ব লালন পালন করতে হবে আর বাঙালি মুসলমানিত্ব থেকে দূরে থাকবে হবে?
‘ক’ যদি হন আপনি, তাতে আপনি মুক্ত স্বাধীন। বা যাতে তা পালনে স্বাধীন থাকতে পারেন, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার।
‘ক’ যদি হয় বাঙালি মুসলমানিত্বের মধ্যে আছে এমন কেউ, তবে বলবো সেটা আগ্রাসী। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব হয়তো স্বাভাবিকই, কিন্তু এই দ্বন্দ্বে বাঙালি মুসলমানিত্বকে গ্রাসের জন্যে বাঙালিত্বের পক্ষাবলম্বন নিরপেক্ষভাবে এক বাক্যে মেনে নেওয়ার মতো বিষয় মনে হয় না। ধরেন সংবিধানে যদি বাঙালিত্বের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়, সেটা মানা যাবে না, এই টাইপের আর কি। রাষ্ট্রের বরং দায়িত্ব থাকতে পারে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিকে বিভিন্ন আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষা করা। তার মধ্যে মাদ্রাসায় যাওয়া মোল্লার সংস্কৃতিটা বাদ যাবে কেনো? এটা আমি বুঝতে চেষ্টা করছি। মুক্ত মতপ্রচারের মাধ্যমে আমরা যে আলো ছড়ানোর চেষ্টা করছি বা রাষ্ট্র যে মোল্লাদের অপরাধ ঘটানোকে প্রতিহত করবে, তার সাথে এ নিশ্চয়ই সাংঘর্ষিক না।
ঠাকুরবাড়ি সংস্কৃতি, মিলাবেষ্টিত বৈশাখ সংস্কৃতি, মুসলমানিত্ব কোনোটাতেই আমার সমস্যা নাই। খালি হোঁচট খাই যখন শুনি, অমুক খানে নাকি তমুক বিষ ঢুকে যাচ্ছে। আমাদের নাকি তমুক মিথ তৈরি করা উচিত। (এই অমুক তমুকের মধ্যে উপরে বর্ণিত সকল সংস্কৃতিই পড়তে পারে।) অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু আমি কোনোভাবেই মাথাটা ঝাঁকিয়ে বলতে পারি না, ঠিক! তাই এই তর্ক। বারবার বুঝতে চাই কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এখন পর্যন্ত কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ কিন্তু আসলো না। কেবল অপিনিয়ন হিসেবেই থেকে গেলো। আমি পরিষ্কার হতে চাইলাম যে এই বক্তব্যগুলোর স্ট্যাটাস অপিনিয়নের উর্দ্ধে যায় নি। এগুলো এমন যে সমমনারা একই রকম বোধ করলে মাথা ঝাঁকাবেন। কিন্তু ভেঙে কোন যুক্তি দেয়ার বিষয় এগুলো না।
@রূপম (ধ্রুব),
হালকা রিবুট করি আত্মসচেতনতা বিষয়ে একটা মন্তব্য করার জন্য, কথা দিচ্ছি ফিরে আসব।
জবরদস্তি করে আত্মসচেতন বানানোর অধিকার কারো নেই, এবং আত্মসচেতনতা কোন মৌলিক অর্থে প্রয়োজনীয়ও নয়। আমার বক্তব্য এটুকুই: এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আত্মসচেতনতা অবধারিত, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষার প্রসারের ফলে আমরা এই অবস্থাই পৌঁছে গেছি — বস্তুত আধুনিকতাকে সংজ্ঞায়িতই করা যায় আত্মসচেতনতার মাধ্যমে। এটা আমার রাজনৈতিক পছন্দের ব্যাপার নয়, স্রেফ বাস্তবতা বিষয়ক দাবি।
এখন ফিরে আসি। প্রথমে ঐক্যমতের জায়গাটা।
ভয়ংকর একমত। বাংলা ভাষাটাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে হয়ত বাদ দেয়া সম্ভব নয়, কিন্তু ওছাড়া সরকারের সংস্কৃতি নির্মাণ বা লালনের প্রজেক্ট থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকা উচিত। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে যদি প্রধানমন্ত্রীর কিছুই বলার না থাকে, অত্যন্ত আনন্দিতই হব আমি।
তবে একটা জিনিস পরিষ্কার করা দরকার। “বিভিন্ন আগ্রাসন” বলতে ঠিক কি বোঝাচ্ছেন? কারণ আইনানুগ আগ্রাসন-এ সমস্যা দেখিনা। কেউ যদি টিভি স্টেশন খুলে প্রচার করে যে সক্কলের তাদের আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করে আনুনাসিক রাবীন্দ্রিক ভাষা ব্যবহার করা উচিত, এবং যে কারণেই হোক বেশ সফল হতে থাকে তারা, আপনার কি মনে হয় সরকারের উচিত চাটগাঁইয়া ভাষাকে এই “আগ্রাসন” থেকে রক্ষা করা? সেটাও কি সামাজিক ইঞ্জিনিয়ারিং নয়?
তা ঠিক। কিন্তু আমার বক্তব্যটা ছিল এরকম: ঠাকুরবাড়ি আর ফরায়েজবাড়ি একই কাঠামোয় ফেলা গেল, তাতে তাদের সমার্থকতা প্রতিপন্ন হল না। ওখান থেকে আলোচনার শুরু। তারপর কেউ বলতে পারেন, নানান সীমাবদ্ধতা সত্বেও ঠাকুরবাড়ি > ফরায়েজবাড়ি (বা উল্টোটা)। একারণেই…
কথাটা পুরো মানলাম না। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে “বিষ” নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আমার মতামত তো বলেছি। এটাও স্পষ্ট করি যে কারোই নিজের সাংস্কৃতিক পছন্দ অন্যকে যুক্তি দিয়ে বোঝানো দায়িত্ব নেই, এটা তার inalienable ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ঐচ্ছিক ভাবেই যে জাতীয় আলোচনা সতত চলমান, সেখানে “আমার মতে বখতিয়ার খিলজি থেকেই আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের শুরু, এবং এটাই সবল বাংলাদেশ গড়বার শ্রেষ্ঠ পথ, কারণ …(যুক্তি বা কুযুক্তি)” — এটা তো অভিনন্দিতই হওয়া উচিত।
আমিও আসলে কমই জানি। ওটাকে মৌলবাদের সমার্থক হিসেবে এই থ্রেডে কিভাবে যেন ব্যবহার করা শুরু করি। যাহোক। ফরায়েজি আর বাঙালি মুসলমানিত্ববোধ এক নয় — মানছি। বক্তব্যটা তথাপি এরকম: আমি উপরে আত্মসচেতনতার অবধারিত্ব সম্পর্কে একটা যুক্তি দিয়েছি। এ ব্যাপারে আপনি একমত কিনা জানিনা, কিন্তু ধরুন এক সেকেণ্ডের জন্য একমত হলেন। তাহলে আপনি দেখবেন, বাঙালী মুসলিম যখন মুসলিম হিসেবে আত্মসচেতনতার দিকে গেছে, তখন পথটা গেছে মৌলবাদের দিকে। অর্থাৎ (বাঙালি মুসলমানিত্ববোধ = মৌলবাদ) না হতে পারে, কিন্তু
প্রাক আধুনিক বাঙালি মুসলমানিত্ববোধ + আধুনিকতার চাপ –> (tends to) ফরায়েজী
আবার ঠিক একই ভাবে —
প্রাক আধুনিক বাঙালিত্ব + আধুনিকতার চাপ –> (tends to) ঠাকুরবাড়ি
দুটিই আসন্ন দাবি বটে, তবে আমার মতে সম্পূর্ণ ভুল নয়। এখন ওই “আধুনিকতার চাপ” অংশটা যেহেতু ঐতিহাসিক অবধারিত (আমার মতে), অতএব এই নির্মাণ গুলোকে আপনি যতটা adhoc বলছেন, ততটা এরা নয়। একটা ঐতিহাসিক ভিত্তি থেকেই এরা উঠে এসেছে, অতএব সাংস্কৃতিক আলোচনায় এদুটির সাথেই গভীরভাবে বিজড়িত হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে নয়, কিন্তু সামাজিক পর্যায়ে। আপনি বলতে চাইছেন, এসবের দরকার কি, let a thousand flowers bloom। একমত, let করতে দিতে সমস্যা নেই, বরং let করতে দিতেই হবে। কিন্তু এই উদারতার পাশাপাশি এই পর্যবেক্ষণ (সমর্থন নয়) আমার থাকতে পারে যে মূল flower দুটি হবে ওই দুটি, যা উপরে আলোচিত হয়েছে।
@রৌরব,
আরও পরিষ্কার হলো, পর্যবেক্ষণ সমর্থনের বিভাজনগুলো।
কিন্তু “আমাদের” শব্দে আটকাইয়া যাওয়ারাও কি অভিনন্দিত হবে না। ;-(
@রৌরব,
আরেকটা জিনিস কন তো। সোনারবাংলাদেশ ব্লগে মুসলমান সংস্কৃতির বিশুদ্ধতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে হা-পিত্যেশ হচ্ছে। ওটা এখনো বৈশাখ বরণে ধাতস্থ না হয়ে ওঠা বাঙালি মুসলমানেরই বচন। ওটার সাথে এই লেখায় বাঙালি সংস্কৃতির ‘বিশুদ্ধতায়’ ভেজাল ঢুকে যাওয়ার জন্যে যে আফসোস, তার গুণগত পার্থক্যগুলা কী কী? :-s
@রূপম (ধ্রুব),
জাতীয়তা ধরেন ২-৩ শ বছরের পুরোনো নয় ধারণা হিসেবে। অর্থাৎ, আধুনিক জাতীয়তাবাদের ধারণা মোটামুটি কৃত্রিম একটা নির্মাণ। বাংলাদেশে বাঙালী মুসলিমের “প্রগতিশীল” অংশ এই নির্মাণ কাজে ১৯৫২ সালের পর থেকেই ব্যস্ত — জাতীয় বীর সিরাজউদ্দৌলা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিব, ব্লা ব্লা — জাতীয় মিথ তৈরির একটি প্রক্রিয়া আর কি। সেটির একটি আনুসাঙ্গিক trope হচ্ছে বিশুদ্ধতাবাদ — আমি বিশুদ্ধতাবাদী, এই জবরদস্তিই যেন আমার আইডেনটিটিকে Ex Post Facto একধরণের প্রামাণিকতার দলিল দেয়।
মিল তো আছেই অতএব ইসলামী বিশুদ্ধতাবাদের সাথে। তবে এই দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মিথ নির্মিত হয়েই আছে, সেটাকে স্রেফ সাংস্কৃতিক যুদ্ধে জিতিয়ে নিয়ে ফরায়েজি project টি সম্পূর্ণ করে নিতে পারলেই কেল্লা ফতে। এটুকু পার্থক্য।
আরেকটা পার্থক্য আছে অবশ্যি। বাঙালীত্ব ঘোষিত ভাবেই একটি সংস্কৃতি, আর ইসলাম বাস্তবে বাকি সবকিছুর মত সংস্কৃতির অংশ হলেও ঘোষিত ভাবে সংস্কৃতির উর্দ্ধে বিরাজ করে।
@রৌরব,
ফরায়েজি project জিনিসটাও নিশ্চয়ই সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতার মতো খারাপ কিছু না হওয়া টাইপের কিছু একটা? তবে প্রজেক্ট ফ্রজেক্ট শুনে মনে হয় বাঙালিপনার চেয়ে এটা অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। সেটা কি সংস্কৃতির উর্দ্ধেও বিরাজের কারণে?
কেবল ইসলামি সংস্কৃতিতে বিচরণ কিন্তু খুব অসম্ভব না। সেটার সম্ভাব্যতাকে অস্বীকার করাটা অন্যায়। আসলে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ মাত্রই যে ধরে নেয়া হয়, ইসলামি সংস্কৃতি ত্যাগ করা হবে ও বাঙালিত্ব বরণ করে নেয়া হবে, এই বিশুদ্ধতাবাদী প্রকোপটা বড় পীড়াদায়ক।
সংস্কৃতি-নাস্তিক বলেও একটা জিনিসের স্বীকৃতি থাকা উচিত। রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কাউকে গায়ের চামড়া, চুল, পোশাক বা ভাষা দেখেই ‘বাঙালি’ শুধাবার আগে জিজ্ঞেস করে নেওয়া কর্তব্য যে তার নিজের আত্মস্বীকৃত পরিচয় কী। বা এটা কোন বিষয়ই হওয়া উচিত নয়। ধর্মের মতো জাতি পরিচয় বহন করাটাও একটা জন্ম-অভিশাপ।
আর আপনার বাঙালিত্বের সংস্কৃতি হওয়া আর ইসলামের সংস্কৃতি-উর্দ্ধ হওয়ার “ঘোষিত” ক্যাটাগরিটা ঘোষণা করে রাখাটাকে ভালো লাগছে। 🙂
@রূপম (ধ্রুব),
হঁ, খুব ভেবে project কথাটা বলিনি, কিন্তু আপনি যেমন বললেন কতকটা সেরকমই শোনাচ্ছে বটে। বাঙালিপনাও, অন্তত তার রাজনৈতিক রূপে, কিছুটা নিয়ন্ত্রিত। বা নিয়ন্ত্রণের আশা অনেকে পোষণ করেন হয়ত।
ফরায়েজির সাথে সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতার তুলনা পুরো স্পষ্ট হলনা কিন্ত। মৌলবাদীরা কিন্তু ঠিক ধ্রুপদী রক্ষণশীল নন, বরং অনেকক্ষেত্রেই radical। ধ্রুপদী রক্ষণশীল (যাদের নিয়ে হায়েক অতগুলো কথা লিখেছেন) তাদের কাছে সংস্কৃতির কন্টেন্ট ঠিক কি, তার চেয়ে বড় কথা হল সেটি যেন হড়হড়িয়ে পরিবর্তিত না হয় সকাল-বিকাল। ইসলামী বিশুদ্ধতাবাদ তো তা নয়।
cultural islam, কাজী নজরুল ইসলামের ধরণের? দেখা যাক। আমি আশাবাদীও নই এব্যাপারে, আবার নিরাশাবাদীও নই। ফারসী ছন্দ, আরবী লিখন ভঙ্গী, ইসলামী স্বর্ণযুগ নিয়ে উৎসাহ, ইসলামী(?) স্থাপত্যের প্রতি প্রেম নিয়ে একটি সেকুলার “ইসলামী” সংস্কৃতি গড়ে উঠলে আসলেই আর কিছু চাই না।
চেহারা দেখেই বাঙালী বোঝা যায়, মুখ খোলবারও দরকার হয় না :-D। সিরিয়াস ভাবে: নিশ্চয়ই। বিশেষত বিদেশে এ সমস্যাটা হামেশা পীড়া দেয়।
কি কর্মু কন? ঘোষিত ক্যাটাগরিটা অঘোষিত রাখলে শেষে কানাঘুষা শুরু হয়ে যেতে পারে, ওসব ঘোষেটি বেগমীয় ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা আগেই কমিয়ে রাখতে চাই।
@রৌরব,
:lotpot: সেইরকম!
:hahahee:
মোজাফফর হোসেন,
পহেলা বৈশাখের উপর মননশীল লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। আপনি এবং সবাইর জন্য রইল নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা (F) (F) (F)
@মোঃ হারুন উজ জামান, ধন্যবাদ আপনাকেও। ভালো থাকবেন।
বৈশাখ থেকে বৈশাখী মেলার সূচনা। ঐতিহ্যবাহী সুপ্রাচীনএই মেলা এখন বাংলার সীমা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব জুড়ে। লন্ডনে বৈশাখী মেলায় ঘটে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ। দিন ভর চলে নাচ, গান, আনন্দ ও মিলন মেলা। মেলার আকর্ষনে বাঙ্গালী ছাড়াও এখানে আসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পর্যটক। আকার আকৃতিতে ও জন সমাগমে এটাই বিদেশের মাটিতে বাঙ্গালীদের সব চেয়ে বড় সফল অনুষ্ঠান। এতে সংহত হয় ঐক্য, সুদৃঢ় হয় জাতীয় চেতনা, প্রকাশমান হয় বাঙ্গালী সংষ্কৃতির ঐতিহ্য।
শুভ নব বর্ষের শুভ কামনায় শুভ হোক সবার জীবন (F)
আমাদের যা আছে সে টুকুই উদযাপন করতে দোষ কি?
আমাদের স্বকীয়তা, বাঙ্গালীত্ব, দেশজ সংস্কৃতি, বাংলাদেশের
বিশাল গ্রামীণ সমাজের কাছাকাছি যাওয়ার মত আসলেই
আমাদের কোন উৎসব নেই!
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা! (F)
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আমরা কি পারি না, ঈদ-পুজাকে ছারিয়ে, আমাদের এই উৎসবকে সবার উপরে নিতে?
ভাল থাকবেন সবাই।
বাঙ্গালির সাংস্কৃতিক জীবন বেশ সীমাবদ্ধ। এ জীবনে কোন আনন্দ উল্লাস চাঞ্চল্য নেই। এ জাতি মোটামুটি একটি দরিদ্র ও আনন্দহীন জাতি। তাদের জীবনপাত্র কখনো উচ্ছলিত হয়না । এই উৎসবকে আনন্দঘন করার জন্য দেখা যায় অনেকে শাঁখ বাজাচ্ছে, মঙ্গলপ্রদীপ জালাচ্ছে কিংবা মুখোশ পরছে। কিন্তু এসবের মধ্যে আমি কোন আনন্দ দেখিনা। ঐসব মুখোশ পরে সবাইকে কেমন কিম্ভূত কিমাকার ভূতুরে রাবণের বংশধরদের মত লাগে।শাঁখ এমন কি আহামরি সুর উৎপন্ন করে ? মঙ্গলপ্রদীপের মঙ্গল শব্দটার কোন বিশেষ তাৎপর্য দেখিনা, কাগজে আগুন ধরিয়ে দিলে, লাকড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে সেটিও জ্বলে ।
আমরা গান শুনি কিন্তু গান গাইনা, নাচ দেখি কিন্তু নাচিনা । আমাদের পহেলা বৈশাখের গান ঐ একটাই, এসো হে বৈশাখ এসো এসো। আমাদের জাতির মধ্যে বৈচিত্রের বড়ই অভাব, চিরজীবন গতানুগতিকতার ফানুসেই আবদ্ধ থেকে গেলাম। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতিমনা মনোভাবের অভাব। বাঙালি জাতি- ধনী গরিব হিন্দু মুসলমান সবাই সাংস্কৃতিক চর্চায় অনেক পিছিয়ে।
আমাদের মাঝে যেটি রয়েছে সেটি হলো শুধু ফ্যাশন ও স্টাইলের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা । বন্ধু বান্ধবকে শো করতে হবে, অন্যদের চেয়ে নিজেকে সুন্দরী প্রমাণ করে ছাড়তে হবে এসবই থাকে নববর্ষ উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য ।
বছরের ৩৬৪ দিন বিদেশী কালচারে মত্ত থেকে মাত্র ১ দিন দেশীয় কালচারের প্রতি মায়াকান্না দেখানো হাস্যকৌতুক ছাড়া আর কি ? আর এখান থেকে আরেকটি জিনিসও প্রমাণিত হয়, বিদেশি গান বাজনা আমাদের এসো হে বৈশাখের থেকে কতো বেশি আবেদনময়, আর আমাদের সাংস্কৃতিক ভান্ডার কতটা সামান্য যে প্রতিবছর একই গান একই নাচ নিয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশনা করতে হয়।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা । 🙂 (F) (F) (F)
@ডঃ মুশফিক,
ভূতুড়ে *
@ডঃ মুশফিক,
বাঙ্গালির সাংস্কৃতিক জীবন বলতে কি বোঝাচ্ছেন? বাংলা সংস্কৃতির কথা বলতে চাচ্ছেন নাকি? আপনার মন্তব্য পড়ে হতভম্ব হয়ে পড়েছি। সীমাবদ্ধতা দেখে মর্মাহত হলাম। কাকে বা কি কে গাল পাড়ছেন আর হাঁসি মুখে কাকে ফুল দিচ্ছেন বুঝতে কষ্ট হচ্ছে? অনুগ্রহ করে একটু বুঝিয়ে দিন।
@কাজী রহমান,
ধন্যবাদ, আমি গাল পাড়িনা । 😛
বাঙ্গালি সংস্কৃতি আসলেই হতদরিদ্র । উদাহরণ দেইঃ
১) লালন বালন হাসন রাজা আলাওল এদের কবিতা-গান-লেখনী সাহিত্যমানের দিক থেকে খুবই নিম্নমানের, ক্লাস নাইন পাস করলেই এসব সাহিত্য যে কেউ পড়তে পারে, তবে বোঝার কিছুই নেই, যেমনঃ
ক) খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমন আসে যায়
এর মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত নেই, আছে কিছু অর্থহীন বর্ণনা। খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কিভাবে আসলো আর গেল এগুলো অর্থরহিত ।
খ) কানাই তুমি খেল খেলাও ক্যানে রঙ্গে রঙ্গিলা কানাই কানাই তুমি খেল খেলাও ক্যানে ?
এর মধ্যে কোন উত্তর নেই, আছে রহস্যীকরণ, প্রশ্ন আছে, উত্তর অজানা ! এসবে মানুষ মুক্তমনা হওয়ার চেয়ে বরং বদ্ধমনা হয়ে পড়ে।
২)আমরা প্রতিবছর এসো হে বৈশাখ দিয়েই শুরু করি, এমন একটি গান আজ পর্যন্ত পাওয়া গেলনা যা এই গানটির বিকল্প হিসেবে গাওয়া যেতে পারে, তার মানে আমাদের সংস্কৃতির ভাণ্ডার সমৃদ্ধ নয়, তাই এক গান নিয়ে সারা জীবন পড়ে থাকতে হয়।
৩) আমরা বলি কবিগুরু কিংবা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ, তার মানে কি রবীন্দ্রনাথের মত কবি দুনিয়াতে আর নেই ? শেক্সপিয়ার, কীটস, ওয়ার্ডসওয়ারথ, বোদলেয়ার, হাইনে, মালারমে, পাবলো নেরুদারা সবার গুরু রবীন্দ্রনাথ ? দুনিয়াতে তাকে কেউ কবিগুরু বা বিশ্বকবি বলেনা, যুক্তরাজ্য ফ্রান্স জার্মানিতে কত শত নামকরা কবি, সেই তুলনায় আমাদের হাতে গোণা নগণ্য কিছু, আর রবীন্দ্রনাথের কবিতা সরল কিশোর আবেগের কবিতা, ঐ কবিতাগুলো বুঝতে জ্ঞানী হওয়া লাগেনা, তাই স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তকে রবীন্দ্রকবিতার ছড়াছড়ি ।
৪) নজরুল ইসলাম এককালে কালি মায়ের পায়ে লুটিয়ে পড়তেন, মস্তিষ্কবিকৃতি হওয়ার পর আল্লাহ রাসুলের কোলে কিংবা মসজিদের পাশের কবরে ঢোকার স্বপ্ন দেখতেন । শামসুর রাহমান অনেক বড় মাপের কবি তবে বিশ্বমানের বলতে একটু দ্বিধা থেকেই যায়।
৫) লেখকের বিচারে শরৎচন্দ্র বিশ্বমানের, কিন্তু তিনি আমাদের কিন্তু নন, আমরা ভারতীয় বাঙালিদের কে নিজের বলে প্রচার করতে বড়ই ভালবাসি, অথচ সেই ভারতকেই চরম ঘৃণা করি। ব্যাপারটি দ্বিচারিতা। আমাদের দেশের মধ্যে হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসগুলোর সাহিত্যমান নেই, আছে লোক হাসানো একটু রঙ্গতামাশা, হিমু চিমু হয়ে পাগলামি করা আর আটপৌরে জীবনের বিরক্তিকর বর্ণনা। আমাদের পাঠকসমাজ জ্ঞানী নয়, তাই তারা এসব অপাঠ্য অপন্যাসগুলো পছন্দ করে । লেখকের বিচারে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, সারভান্টিজের মতই আমাদের শওকত ওসমান বিশ্বমানের সাহিত্যিক। ওয়ালিউল্লাহ খারাপ নন তবে বর্ণনামূলক, জ্ঞানগরিমা কিংবা গতানুগতিকতার বাইরে কিছু তার লেখায় প্রকাশ পায়না ।
৬) আমাদের সঙ্গীতের অবস্থা চরম খারাপ, একতারা দোতারা -এগুলো কোন বড় কিছু নয়, চমৎকার শব্দ উৎপন্ন করতে পারেনা । টুং টুং টুং শব্দ উৎপন্ন করা বড় কিছু নয়, গিটার, পিয়ানো, অর্গান, হারমোনিয়াম, তবলা এগুলোর কাছে এসব একতারা দোতারা কিছুই না।
৭) আমাদের বর্তমান গায়ক গায়িকা বিশ্বমানের নয়, সুবীর নন্দী, আব্দুল হাদী, বশির আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার নিশ্চিতভাবেই মোহাম্মদ রফি,মেহদী হাসান,কিশোর কুমার,তালাত মাহমুদ,মুকেশের সমতুল্য নয়।
ভারতীয় বাঙালি শিল্পীদের ধরলে, কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও মান্না দে বিশ্বমানের ।
আবার, মহিলা গায়িকাদের বিচারে, লতা মঙ্গেশকর,নুরজাহান,আশা ভোসলে,অলকা ইয়াগনিক,শ্রেয়া ঘোষালদের ধারের কাছেও নন আমাদের সাবিনা ইয়াসমিন মমতাজ শাহনাজ রহমাতুল্লাহ রা।
তবে, রুনা লায়লা বিশ্বমানের শিল্পী।
৮) আমাদের নৃত্যশিল্পের চেয়ে অনেক বেশি বিকশিত ভারতনাট্যম কিংবা অন্যান্য দেশের নৃত্যশিল্পীরা। এমনকি বেলি ড্যান্স অনেকের কাছে হয়তো অশ্লীল ঠেকতে পারে, কিন্তু ওতে যে ভাইব্রেশনের কারুকলা আছে, তা আমাদের দেশের নৃত্যশিল্পীদের পক্ষে সম্ভব নয়।
৯) আমাদের মধ্যে শিল্পী সাহিত্যিক হওয়ার প্রবণতা কম, সবাই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার উকিল হতে চায়, বিবিএ পড়ার ধুম পড়ে গেছে। উল্লেখ্য, আমাদের দেশের বুয়েট আর মেডিক্যাল সবচেয়ে নির্বোধ অশিল্পী মন মানসিকতার মানুষ তৈরি করে, ওখান থেকেই তৈরি হয় ডিজিজ (শওকত ওসমান)।
১০) পূর্ব ও পশ্চিমের অনেক দেশেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তরুণতরুণী নরনারী দলেদলে জড়ো হয়, নাচগান করে, পানাহার করে, চরম ফুর্তিফারতি করে। সেই তুলনায় আমাদের পহেলা বৈশাখে তো তেমন কিছুই হয়না, যা হয় তা হলো ধীরশান্ত পারিবারিক ঘোরাঘুরি, কিছু প্রাগৈতিহাসিক খেলনা কেনা, অস্বাস্থ্যকর পান্তাভাত গেলা, আর কে কোন ড্রেস পরবে, কে কোন শাড়ি পরবে, এগুলোতেই আমাদের দৃষ্টির পুরোটুকু নিবদ্ধ হয়ে থাকে ।
আমি এই নববর্ষের পক্ষপাতী নই, কিন্তু আপনারা তো এই গতানুগতিকতার নববর্ষের পক্ষপাতী । তাই আপনাদেরকেই নিশ্চয়ই ফুল দেই । গাল পাড়ার প্রশ্নই আসেনা, তবে এটা বুঝতে কষ্ট হয় যে, নেগেটিভ বলা মানেই কি ‘গাল পাড়া’ ? গালাগালি/গাল পাড়া অন্য জিনিস, সুতরাং, আপনার এই ‘গাল পাড়া’ শব্দটি নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে ।
ভাল থাকুন, ধন্যবাদ। (F) (F)
@ডঃ মুশফিক, এসব বলে আপনি কি বলতে চাইছেন ? বিশ্বমান বলতে আপনি কি বোঝাতে চাইছেন এবং সেটা কিসের বা কোন মানের ভিত্তিতে নির্ণয় করছেন–জানাবেন প্লিজ….!!!
@মোজাফফর হোসেন,
এসব বলে আমি এসবই বোঝাতে চাচ্ছি । 🙂
স্থান কাল পাত্র ছাড়িয়ে যায়, গতানুগতিকতাকে অতিক্রম করে যায়, যার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে , যা সাম্প্রদায়িকতার বা স্থানিকতার দোষে দুষ্ট নয়, যা জাতি ধর্ম গোত্র নির্বিশেষে সকলের কাছেই পছন্দনীয়, তাকে বলা হচ্ছে বিশ্বমানের ।
গ্যাব্রিয়েল গারসিয়া মারকেজের উপন্যাস দেশে দেশে বিখ্যাত, ড্যান ব্রাউনের উপন্যাস দেশে দেশে বিখ্যাত, লতা মঙ্গেশকর বা অমিতাভ বচ্চন বা শাহরুখ খানদের সারা দুনিয়া চেনে, তাই এরা বিশ্বমানের।
কিন্তু আমাদের দেশের না গায়কদের কেউ চেনে, না নায়কদের কেউ চেনে, আমাদের লেখকেরা বিশ্বে অপরিচিত, নৃত্যশিল্পীরাও অপরিচিত । তাই আমাদের সংস্কৃতির স্থানিক আবেদন থাকলে সারা বিশ্বে সার্বজনীন আবেদন নেই।
হ্যাঁ, দেশপ্রেমের আবেগ দিয়ে আমরা ১০০ বার আমাদের সংস্কৃতিকে সেরা বলে দাবী করতে পারি, কিন্তু যুক্তির বিচারে তা কখনোই সত্য প্রমাণিত হবেনা।
ধন্যবাদ।
@ডঃ মুশফিক, চেনে না তার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে বাণিজ্যর অভাব। আজ হলিউডের যে কোন সিনেমা আমরা দেখি বা তার নাম জানি, কিম্বা ওদের সবচেয়ে বাজে অভিনেতাকেও সারা পৃথিবী দেখে, তাই বলে সেই সিনেমা বা সেই অভিনেতা বিশ্বমানের হয়ে গেল ?? বিশ্বচেনা মানেই বিশ্বমানের নই নিশ্চয় ! আমাদের অনেক ভালো অভিনেতা কিম্বা লেখক আছে, কিন্তু আমি জানি বিশ্বের কেউ তাদের চেনে না। কারণ বিশ্বে তার মার্কেটিং হয় না। আমি আমার সংস্কৃতিকে সেরা বলছি না, কিন্তু আমার জন্য এটাই উপযুক্ত। পৃথিবীর যে যে জাতির যা সংস্কৃত সেটা তারই জন্য উপযুক্ত, এখানে সেরার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? বলুন তো আপনার মা সেরা না আমার ??
আপনি সাহিত্য নিয়ে কথা বলছেন। আমি ইংরেজিতে অনার্স করেছি, সুতরাং আপনি যাদের বিশ্বমানের বলছেন তাদের লেখা আমি কম-বেশি পড়েছি। আমাদের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘লালসালু’, ‘আরণ্যক’ কিম্বা আরো অনেক আছে যেগুলো ওদের অনেক বহুল প্রচারিত ও বিক্রিত বইয়ের থেকে ভালো। ভালো অনুবাদ ও মার্কেটিং এর অভাবে এদের কেউ পড়বে না জানি, তাই বলে কি এরা বিশ্বমানের নই?? বিশ্ববাজারে প্রভাব, রাজনীতিগত কারণ, ভাষা এগুলো হল প্রচারের অন্যতম কারণ, কথনই মান নই ! আর বহুল প্রচারিত মানেই সবচে ভাল না, যদি তাই হত, তাহলে বাংলাদেশের সবচে ভাল লেখক হতেন হুমায়ুন আহদেম।
আর আপনার বিশ্বমানের সঙ্গার সাথে আমি একমত হতে পারছি না। ‘গ্যাব্রিয়েল গারসিয়া মারকেজের উপন্যাস দেশে দেশে বিখ্যাত, ড্যান ব্রাউনের উপন্যাস দেশে দেশে বিখ্যাত, লতা মঙ্গেশকর বা অমিতাভ বচ্চন বা শাহরুখ খানদের সারা দুনিয়া চেনে, তাই এরা বিশ্বমানের।’ তাহলে বলতেই হচ্ছে কিম কার্দেশিয়ান, মল্লিকা শেরওয়াত এরা এবং আমেরিকান পাই সিনেমা বিশ্বমানের কারণ এদের সারা দুনিয়া দেখে বা চেনে!! –বিশ্বমান ব্যপারটা কী এতটাই সস্তা আপনার কাছে? উত্তম কুমারকে সারা বিশ্ব চেনে না তাই বলে কি শাহরুক কিম্বা অমিতাভের থেকে খারাপ মানের অভিনেতা সে ?
আবারও বলছি, আমি আমার সংস্কৃতকে বিশ্বসেরা বলব না, তবে সেটাকে আমার উপযুক্ত মনে করে মন-প্রাণ উজাড় করে ধারণ ও পালন করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন,
১) আমার সংজ্ঞাটিতে বিশ্বমানের বলতে বিশ্বচেনা – কখনোই বলা হয়নি। আমি বিশ্বমানের অনেকগুলো বৈশিষ্টের কথা উল্লেখ করেছি ।
২) আমাদের দেশের ভাল অভিনেতা অবশ্যই আছে কিন্তু তারা যে বিশ্বমানের, তা আপনি কোন কোন নির্ণায়কের ভিত্তিতে নির্ণয় করবেন, সেটা কিন্তু বলেননি। তারা কেন এবং কিসের ভিত্তিতে বিশ্বমানের, তার পেছনে যুক্তি দেখাতে হবে।
৩) মার্কেটিং না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ আছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো চাহিদা নেই। আর চাহিদা নেই তার পেছনে বড় একটি কারণ বিষয়টি কোয়ালিটি সম্পন্ন নয়। পাকিস্তানী শিল্পীদের দেখুন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের এত সমস্যার পরেও পাকিস্তানী কত শিল্পী ভারতে সুপ্রতিষ্ঠিত । অথচ আমাদের রুনা লায়লা ছাড়া কেউই বলতে গেলে সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।
আমাদের দেশের বয়স তো কম হলো না, তাও এই অবস্থার পেছনে কারণ হলো আমাদের পরিবেশনাগুলোতে আন্তর্জাতিক আবহাওয়াটা অনুপস্থিত।
আমরা স্থানীয় বিষয়াদি নিয়েই গানবাজনা-নৃত্য-চলচিত্র ও অন্যন্য পরিবেশনা করি। সেখানে অন্যরা সেই স্থানিকতাকে অতিক্রম করে সার্বজনীন কিছু করার চেষ্টা করে। তাই আমাদের বিষয়গুলো মার্কেট পায়না এবং পাবেনা, এটাই তো সঙ্গত ।
সবকিছুতেই তুলনামূলক বিচার করা যায়, সেরার প্রশ্নটা তাই অবশ্যই আসবে। আমার মা সেরা না আপনার মা সেরা, বিষয়টি অবান্তর। আপনার চোখে আপনার মা সেরা এবং আমার চোখে আমার মা সেরা হলেও তৃতীয় পক্ষের বিচারে কোন না কোন একজন সেরা হবেন, তৃতীয়পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কাছে যার মা সেরা বলে বিবেচিত হবেন, তার মা-ই প্রকৃত সেরা। বিষয়টা আপনার বা আমার ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপটের আলোকে চিন্তা করলে তো হবেনা, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, যারা নিরপেক্ষ, তাদের প্রেক্ষাপট থেকে চিন্তা করতে হবে।
পদ্মা নদীর মাঝি আমার পছন্দ, যদিও তাতে অনেক ভুল রয়েছে, মাছ ধরার ভুল বর্ণনা তাতে রয়েছে, তারপর ঘরের আকারের বর্ণনাও সঠিক নয়, তাও আমি বলবো পদ্মা নদীর মাঝিকে আমি বিশ্বমানের বলতে রাজি আছি, কিন্তু বাকি ২ টি উপন্যাস কোনক্রমেই বিশ্বমানের নয়,অতিস্থানিকতায় সীমাবদ্ধ।
বাংলাভাষাভাষী থেকে সংখ্যায় কম অনেক ভাষার অনেক মানুষ সাহিত্যে নোবেল কিন্তু পেয়েছেন। ভারতের প্রধান ভাষা হিন্দী হলেও সেখানে চলচিত্রের গানগুলো রচিত হয় উর্দুতে, কই উর্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা না হয়েও তো ভারতে কত জনপ্রিয় ! আবার পাঞ্জাবী ভাষাতেও তো গান হচ্ছে অনেক। পাঞ্জাবীও তো হিন্দীভাষী থেকে কম। তাও তো চলছে। সুতরাং শুধু মার্কেটিংয়ের দোষ দিলে তো চলবে না স্যার ।
সংজ্ঞা মানে জানি, সঙ্গা মানে কি ? 😛
আপনি তো কথাকে মিস-ইন্টারপ্রেট করছেন। যাদের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, তারা তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সেরা । মারকেজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী ছিলেন না, ছিলেন কলম্বিয়ান। আর লতা মঙ্গেশকর শুধু হিন্দীউর্দু নয়, বাংলা সিন্ধী পাঞ্জাবী ইংলিশ গুজরাটি মারাঠি তামিল সহ অনেক ভাষাতে গান গেয়েছেন, এবং প্রত্যেক ভাষাতেই সাবলীলভাবে গেয়েছেন। বিপরীতে আমাদের তার নখের তুলনীয় শিল্পীও নেই। শাহরুখ খান ও অমিতাভ বচ্চন লিজেন্ড। উত্তম কুমার হিন্দী উচ্চারণ করতে পারতেন না ঠিকমত, একই সমস্যা ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের, তাই তারা হিন্দী ছবি ও হিন্দী গানে বেশিদূর যেতে পারেননি।
হিন্দী অশুদ্ধ উচ্চারণ করার বিষয়টি সম্পর্কে ভাল করে খোঁজ নিন।
উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, আমরা আসলেই তেমন সংস্কৃতিমনা নই। প্রকৃতপক্ষে লুঙ্গী পরা বাঙ্গালি মুসলিম কৃষক সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির হাতেখড়ি সাধারণভাবে হিন্দু জমিদারদের দেখাদেখি,তাদের আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি থেকে । কিছু ব্যতিক্রম আছেই, কিন্তু ব্যতিক্রম গৌণ বিষয়।আমাদের সংস্কৃতির চর্চার মূলে এই হিন্দু জমিদার ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংস্কৃতিচর্চাই মুখ্য ।
একজন লেখকের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ডঃ হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, পৃথিবীর সব দেশে ৯৫% লেখা অপাঠ্য এটা ঠিক নয়। তবে বাংলাদেশের জন্য তা প্রযোজ্য হতে পারে। কারণ আমাদের সমাজ শিক্ষিত নয়, আমাদের যারা শিক্ষিত তারাও কমবেশি অশিক্ষিত, তাদের সাংস্কৃতিক মান অত্যন্ত নিম্ন।আমাদের এখানে যারা বইপত্র লেখেন তাদের একটি বড় অংশ মোটামুটি অর্ধশিক্ষিত বলা যায়, তাদের সংস্কৃতির মানও নিম্নমানের। কাজেই তারা নিম্ন সাংস্কৃতিক মানের বই লেখেন।এটা ঠিক এখানে যে সমস্ত বই প্রকাশিত হয় তার ৯৫% নিম্নমানের। কিন্তু ইংরেজি ভাষায় যেসব বই বের হয়, তার ৯৫% নিম্নমানের নয়।
(একুশ আমাদের অঘোষিত স্বাধীনতা দিবস, পৃষ্ঠা ২৮)
একই বইয়ের পৃষ্ঠা ১৯ এ বলেছেন, বাঙালি মুসলমান মোটামুটি একটি দরিদ্র ও আনন্দহীন গোত্র ।
শওকত ওসমান কিংবা শামসুর রাহমান তাদের ইন্টারভিউতে একই মত প্রকাশ করেছেন।
সুতরাং আপনার কথাটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে এই নামকরা ব্যক্তিদের কথাকে ভুল প্রমাণিত করে তবেই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যা কোনভাবেই যৌক্তিকভাবে সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ। 🙂
@ডঃ মুশফিক, দু:খিত! বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার কথা শুনে আমার মাথা ব্যথা করছে। হতে পারে এটা আমার ব্যর্থতা। দয়া করে আপনি আর আমার কোনও লেখায় কমেন্ট করবেন না। এতে হয়ত আপনার কিছুই যায় আসে না, কিন্তু না করলেই আমি খুশি হব। আমি আসলে আপনার যোগ্য নাগরিক না। আপনি অন্য কাউকে খুজে বের করুন। সম্ভব হলে এখান থেকে আপনার মন্তব্য ডিলিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন,
বাহ ! এতো তাড়াতাড়ি রণেভঙ্গ দিয়ে ফেললেন ? যুক্তি দিতে না পারলে মাথাব্যথা তো করবেই। প্যারাসিটামল এক্সট্রা ৬২৫ মিগ্রা খান। মাথাব্যথা কমে যাবে।
হতে পারে আবার কি ? আপনার রণেভঙ্গ দেওয়া থেকে নিশ্চিতভাবেই প্রমাণিত হয়, এটি সুস্পষ্টভাবেই আপনার ব্যর্থতা । 🙂
এটা আপনার লেখা বলে আমি কমেন্ট করতে পারবো না, এটা আবার কেমন কথা ? খুবই স্বৈরতান্ত্রিক শোনাচ্ছে। আপনার লেখায় কমেন্ট করার পূর্ণ অধিকার আমার আছে, সকলেরই আছে। আপনি আমার অধিকারকে রোধ করতে চান কেন ? সংস্কৃতি নিয়ে তো খুব লিখলেন, আমার মতপ্রকাশের অধিকারকে রুখতে চান, এটা কেমন সংস্কৃত আচরণ, বলুন তো ?
এখানে শুধু আপনার সঙ্গে আমার আলোচনা হচ্ছেনা, এখানে আরো কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
আপনি যেমন দুঃখিত, আমিও তেমনি দুঃখিত, আমি আপনার অনুরোধ রক্ষা করতে পারছিনা বলে দুঃখিত। ধন্যবাদ । 🙂 🙂
@মোজাফফর হোসেন ও @ডঃ মুশফিক,
মোজাফফরেও সাথে আমি একমত এবং তাকে বিশ্বসেরা করা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। আর সে চেষ্টা করার ক্ষমতা না থাকলেও সমস্যা নেই, কারণ আমার মা যেমন একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও আমার মাকে আমি অন্য যে কোন কারও থেকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি, ভালবাসি ও তার প্রতি দায়িত্ববোধ অনুভব করি। তেমনি আমার দেশ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও একই অনুভূতি।
@গীতা দাস,
মায়ের শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে একাডেমিক শিক্ষার কথা আমি একবারের জন্যও বলিনি।
আপনি নিজ থেকেই এটি ধারণা করে নিয়েছেন।
বিশ্বসেরা করতে গেলে বিশ্বসেরা করার ক্ষমতা ও দক্ষতা থাকতে হবে, আমাদের এই ক্ষমতা ও দক্ষতা কোনটিই নেই।
মায়ের প্রতি বাবার প্রতি পরিবারের প্রতি সকলেরই আবেগ রয়েছে, আমারও রয়েছে, আপনারও রয়েছে, তবে যুক্তি ও আবেগ সাধারণভাবে বিপরীতমুখী।
দেশপ্রেমের বা পরিবারপ্রেমের চেয়ে সততা ও যুক্তিবাদ অনেক বড়, আপনি ১০০ বার আপনার আবেগ থেকে আপনার দাবীটি করতে পারেন, তবে যুক্তির বিচারে তা কখনোই খাটবে না।
বীজ দেখে ফলের অনুমান, ধূম্র দেখে আগুনের অনুমান, তেমনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চরম দুরবস্থা দেখে আমি একটি সিদ্ধান্ত দেই, যতই চেষ্টা করুন না কেন, বাংলাকে বিশ্বসেরা করতে পারবেন না। আজ থেকে ১০ বছর পরে আমার কথাটা মিলিয়ে দেখবেন যে আমি সত্য বলেছিলাম কিনা।
ব্যাপারটা আমাদের দেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মত, তারা বলে অস্ট্রেলিয়াকে হারাবে, অমুককে হারাবে তমুককে হারাবে, কিংবা আমাদের দেশের মুখসর্বস্ব দেশপ্রেমিক বা রাজনৈতিক নেতাদের মত,তারা এই করবে সেই করবে, দারিদ্র দূরীকরণ করবে ইত্যাদি। কিন্তু ৪০ বছরেও দেশ যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই আছে, উন্নতি হয়নি কিছুই, সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞানের প্রসার হয়েছে, আমাদের জীবনযাত্রা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে সমৃদ্ধ হয়েছে, কিন্তু সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের চরম অবনতি হয়েছে, আগে আমরা যতটুকু সংস্কৃতিমনা ছিলাম, এখন তাও নেই। দিন দিন এটি কমবে।
ধন্যবাদ। 🙂
@ডঃ মুশফিক,
আপনার কথায় যুক্তি আছে। সততা আছে। হয়ত কিছু জিনিশে আমি একমত নয়। তবুও আপনার কথায় যুক্তি আছে। কেউ কেউ হয়তো আবেগ প্রবন মতামত দিয়েছে।
@Truthseeker,
ধন্যবাদ, আমি জানি, আমাদের দেশে প্রকৃত মুক্তমনার বড়ই অভাব। অনেকেই আছে স্বঘোষিত মুক্তমনা, বাস্তবে চরমভাবে বদ্ধমনা অন্ধ আবেগিক এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন । আমাদের দেশে সৎ ব্যক্তির খুবই অভাব। দেশের ভালো চাওয়াই যথেষ্ট নয়, তাকে বাস্তবায়িত করার ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।গতানুগতিক পথে এগিয়ে তো ৪০ বছরে কিছুই হলোনা, এবার একটু ভিন্ন রাস্তায় কেন আমরা চলিনা ? দেখি কি হয় ?
যাদের মতামত পড়লাম, তারা চরমভাবে অন্ধ দেশপ্রেমে আচ্ছন্ন, তাদের মধ্যে নামকরা লেখকদের লেখনীর সঙ্গেও পরিচয় নেই, এই কারণেই তারা এই পক্ষপাতদুষ্ট কথাগুলো বলে যাচ্ছে, আমি যে বাংলা গান চলচিত্র অপছন্দ করি তা নয়, কিন্তু এরা আমাকে দোষারোপ করবে যে আমার এসব ঘৃণা করি বা রুচি হচ্ছেনা, ইত্যাদি অভিযোগ তুলে।
আমি যত বাংলা গান শুনেছি এবং যত গান ( ২০০ জি বি-র মত শুধু পুরোন গান) আমার সংগ্রহে আছে, তার ধারের কাছেও ওনাদের নেই।
আমাদের বাঙ্গালিরা তো হেমন্ত-মান্নাদে-কিশোর কেই চেনে, সংখ্যাগরিষ্ঠই অখিলবন্ধু ঘোষ,মানবেন্দ্র,শচীন দেব বর্মণ,সুধীরলাল,সুমন কল্যাণপুর,মৃণাল সেন,ধনঞ্জয়,কে এল সায়গল,তালাত মাহমুদ,নির্মলা মিশ্র,আরতি,সতীনাথ সম্পর্কে অবগত নয়,শুনলেও শুনেছে তাদের কমন কিছু গান।
আবার, মেহদী হাসান, গোলাম আলি, আহমদ রুশদী কে অনেকেই চেনেনা, জানেনা যে মেহদী হাসানের কণ্ঠকে লতা ঈশ্বরের কণ্ঠের সঙ্গে প্রতীকী তুলনা করেছেন। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদও একই কথা বলেছেন।
চলচিত্রে ভারতীয় চলচিত্রের ধারের কাছে না পাকিস্তানী বা বাংলাদেশী চলচিত্র।
তবে পাকিস্তানের খুদা কে লিয়ে বা রামচান্দ পাকিস্তানী বিশ্বে চরমভাবে সমাদৃত হয়েছে, খুদা কে লিয়ের রেটিং প্রায় ৮/১০।
আসলে খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এনারা দেখেন বলে, সততার চেয়ে দেশপ্রেম বড় বলে তাদের কাছে গণ্য হয়।
আর এই সাইটে ডঃ হুমায়ুন আজাদকে অনেক সম্মান করা হতো, পুরো বাংলাদেশেই তার সম্মান, এমনকি মুসলমানেরা পর্যন্ত বলতো যে বাংলাদেশে এই একটি লোকই সত্য কথা বলে, কাউকে ভয় পায়না, সত্য কথা বলার জন্য নির্মমতার শিকারও হয়েছিলেন তিনি, আজকে সেই ডঃ হুমায়ুন আজাদের সমর্থনপুষ্ট মুক্তমনা সদস্যদের নীরবতা দেখে কিছুটা অবাক হচ্ছি ।
দেশপ্রেম থেকে সততা অনেক বড়, সততায় কোন পক্ষপাতিত্ব নেই, দেশপ্রেমে আছে অন্ধ পক্ষপাতিত্ব ।
@ডঃ মুশফিক, পোস্টে এসেছি দেরী করে। এখন পর্যন্ত এই পর্যন্ত পড়লাম। আপনার উপরের কয়েকটি মন্তব্যের শেষের দিকে লক্ষ্য করলাম ডঃ হুমায়ুন আজাদকে টেনে এনেছেন। অবশ্যই আপনার মন্তব্যে প্রাসঙ্গিক ভাবে। উনি যতটা আলোচিত-সমালোচিত তা অনেকটাই ওনার “প্রথা বিরোধী” মনোভাবের জন্য।
আপনি এক জায়গায় বলেছেন যে প্রথাগত পদ্ধতিতে আমরা ৪০ বছর চেষ্টা করেও কিছু করতে পারিনি; এবার অন্য ভাবে চেষ্টা করা যাক। তো এই “অন্যভাবে” বলতে কি আপনি ডঃ হুমায়ুন আজাদের মত ওরকম প্রথা ভাঙার কথা বুঝাতে চাচ্ছেন?
যদি তাই হয় তাহলে প্রধানত কোন কোন বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে বলেন?
@শ্রাবণ আকাশ,
অনেক ব্যাপারই রয়েছে, যেগুলো মনে আসছে এই মুহূর্তে সেগুলো বলছিঃ
১)মুখসর্বস্ব দেশপ্রেমিক না হয়ে কাজে করে দেখানো দেশপ্রেমিক হওয়া দরকার।
দেশ নিয়ে সমালোচনা দেশের ভুলত্রুটিকে সংশোধন করতে সাহায্য করবে, দেশের মানুষ সতর্ক হবে, সচেতন হবে, দেশ নিয়ে ভাববে, কিন্তু দেশ নিয়ে অতিরিক্ত প্রশংসা করলে মানুষ ভাববে, “আরে আমিই তো সেরা,আমার দেশই সেরা” তখন সেই আনন্দে মানুষ কাজে ফাঁকি দিবে, অলস হয়ে যাবে। পরিণতিতে এই মুখসর্বস্ব দেশপ্রেমিকদের জন্য দেশের বড় ক্ষতি হবে, এটাই ৪০ বছর ধরে হয়ে আসছে।
২) দেশের রাজনীতিতে শিক্ষক-ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-উকিলসহ দেশের সুশীল ও বুদ্ধিজীবী সমাজকে সক্রিয়ভাবে নিয়ে আসতে হবে, মন্ত্রী-উপদেষ্টারা যদি অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত কুশিক্ষিত না হয়ে প্রকৃত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী থেকে হয়, তাহলে কিছুটা হলেও দেশের উন্নতি হবে।
৩) সরকারী টিভিকে নিজস্ব প্রচারকার্যে ব্যবহার করলে মানুষ বিরক্ত হয়, সরকারী টিভি ও প্রচারমাধ্যমকে পূর্ণ অধিকার দিতে হবে।
৪) আমরা এই করেছি ঐ করেছি, আমরা অমুক এনেছি তমুক এনেছি-এসব না বলে স্বীকার করতে হবে নিজেদের ব্যর্থতাগুলো। তাতে মানুষ যেমন সন্তুষ্ট হবে, তেমনি দেশের ব্যর্থতাগুলোও প্রকটিত হবে যা থেকে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবো।
৫) মনমানসিকতায় বিশ্বনাগরিক হতে হবে, রেসিস্ট হওয়া যাবেনা, তা পাকিস্তান-ভারতসহ সকল দেশের ক্ষেত্রেই।
৬) প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির উচিত হবে দেশের বিভিন্ন কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা, হেলিকপ্টার থেকে বীজ ছড়ালে হবেনা, শুধু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা উদ্বোধন করলে হবেনা, নিজে ঐ অনুষ্ঠানে কিছু কায়িক পরিশ্রম করতে হবে।
৭) গতানুগতিক ধারার বইপুস্তক বা দেশীয় লেখকদের লেখনীর সংখ্যা বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে শিশুকিশোর ও শিক্ষার্থীদের পরিচিত করতে হবে। বিশ্বসংস্কৃতি বইপুস্তকে তুলে ধরতে হবে।
৮) সাধারণ জ্ঞান ও সংগীত/নৃত্য/চলচিত্র জাতীয় শিক্ষানীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৯) আইনের সংস্কার করতে হবে, বিচারপ্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে, বছরের পর বছর মামলা চলানো যাবেনা।
১০) ধর্মীয় শিক্ষা পারিবারিকভাবে হবে, এটি জাতীয় শিক্ষাক্রমে থাকবে না, ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত এই ধর্মীয় শিক্ষার জায়গায় সাধারণ জ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এরকম অনেক ব্যাপার আছে, এখানে পুরো লেখা সম্ভব নয় আর আমার কাছে কিছু এক্সেপশোনাল পয়েন্ট আছে, ওগুলো আজ থেকে ১৫-২০ বছর পরেই আমি বলবো, ব্যক্তিগত কারণে বলতে এই মুহূর্তে অপারগ ।
ধন্যবাদ । 🙂
@ডঃ মুশফিক,
আমিও বলিনি যে আপনি বলেছেন। আমি তুলনামূলক উদাহরণ দিয়েছিলাম মাত্র।
যাকগে। ভাল থাকুন আর ব্লগে তুমুল বিতর্ক তুলুন।
@ডঃ মুশফিক,
আপনার খোলাখুলি মতামত আমার ভাল লেগেছে।
@Truthseeker,
ধন্যবাদ, ভাল লাগতেই হবে, আপনার আইডিতেই তার প্রকাশ, সত্যসন্ধানী আপনি, আর আমি কারো পক্ষ নেই না, নির্মোহভাবে ইতিহাস বা অন্য বিষয়াদি যুক্তির আলোকে আগ্রাসীভাবে ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করি ।
ভাল থাকুন।
@ডঃ মুশফিক,
বাঙ্গালির সাংস্কৃতিক জীবন বলে আলাদা কোন জীবন থাকতে পারে এটা হজম করা কষ্টকর। সামান্য অর্থে জীবন-চেতনাই সংস্কৃতি বলে জানি। বাঙ্গালিরা আনন্দহীন জাতি? মনে হচ্ছে অপার গোঁড়ামির কারনে আপনি অন্ধ হয়ে গিয়েছেন তাই বাঙ্গালির আনন্দ উল্লাস আপনার পোড়া চোখে ধরা পড়ে না।
শাঁখ মঙ্গল প্রদীপে যদি অনেক বাঙালি আনন্দিত হয় আর আপনি একা বাঙালি (বাঙালি তো, তাই না?) বা আপনার মত কেউ সেই আনন্দ না দেখেন, কিংবা যেখানে সেখানে রাবনের বংশধর দেখেন, তাতে কিই বা আসে যায়। যা মঙ্গলময়, আদরণীয়, গ্রহণীয় তাই টিকে যাবে, গোঁড়া অন্ধরা টেকে ভয় দেখিয়ে; একাংশে, ক্ষুদ্রাংশে, আপনার অর্থহীন প্যাঁচালে বাঙ্গালি সংস্কৃতির কিচ্ছু ক্ষতি হবে না।
আহারে যুক্তি। এ যেন ছাগলের চারটা পা আছে, টেবিলেরও চারটা পা আছে, তাই টেবিলটাও ছাগল। মন্দ নয়।
চোখ কান মন খুলুন, বৈশাখের অজস্র গান শুনতে পাবেন। নাচ দেখলেই নাচতে হবে, গান শুনলেই গাইতে হবে নাকি? পারলেও তা করতে হবে নাকি? মানুষ তো অনেক ভালো কাজ দেখে, সবাই করে নাকি? কুৎসিত কাজও দেখে বা পারে, তাই করতে হবে নাকি?
আপনি তো ক্লাস নাইনের বেশী, হাসন লালনের মত একটা লিখুন না, আমরা আপনার সাহিত্যসৃষ্টি ওর তাঁর মান একটু দেখি। হাসন লালনের গান আপনাকে বুঝতেই হবে এমন কোন কথা আছে নাকি? বুঝতে না পারলে বাদ দিন, সবাই সব কিছু বোঝে না।
যাক, এতক্ষনে আপনার কথায় সহমত জানাতে পারছি। কবিগুরু বিশ্বকবি এইসব কথা ভক্তের অন্ধ উচ্চারন।
নজরুলকে বিকৃত মস্তিষ্ক বললেন কি কারনে? স্মৃতি লোপ পাওয়া আর মস্তিষ্কবিকৃতি কি করে এক কথা হোল? কালি ভক্তি আর আল্লা ভক্তির সময়কালটা কি এইমাত্র উৎপাদন করলেন? নজরুল যখন যা ইচ্ছা তা লিখেছে, অসুস্থাবস্থায় কিছু লিখেছে বলে জানা নাই।
আপনি তো দেখছি পুরো পাঠক সমাজকে বলছেন তারা জ্ঞানী নয়। তো জ্ঞানী সাহেব, পুরো একটা সমাজের জ্ঞান বিচারের ভার কবে পেলেন?
দেখছি বাঙালিদের কিছুই ভালো লাগছে না আপনার, আপনি বাঙালি তো? সন্দেহ হচ্ছে।
অন্যদের নাচের শ্লীল অশ্লীল আপনার ভালো লাগলে কি আর করা, কিন্তু বাঙ্গালির নৃত্যকলা ঘৃণা করতে হবে কেন?
অসহ্য লাগছে, রুচি হচ্ছে না আর উত্তর দিতে। বুয়েট আর মেডিক্যাল নির্বোধ তৈরি করে? আবার সাধারণীকরণ, আপনি কোন গ্রহের বাসিন্দা?
ভালো মন্দ গ্রহন বা বর্জন করে সেখানকারের সেই সময়ের মানুষেরা, বেশীর ভাগ মানুষেরা। যা ভালো তা বহুদিন টিকে থাকে, যা ভালো নয়, তা বর্জন করে মানুষ। আপনার অসুস্থ ভাবনা আস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হোক, বর্জন করুক তা বাঙালি জাতি।
@কাজী রহমান,
এটা শুধু আমার কথা নয়, এটা ডঃ হুমায়ুন আজাদের কথা ।
দ্রষ্টব্যঃ একুশ আমাদের অঘোষিত স্বাধীনতা দিবস পৃষ্ঠা-১৯ ।
কোথায় ডঃ হুমায়ুন আজাদ আর কোথায় আপনি ? আমাকে অন্ধ বলার আগে কিছু বই পড়ুন, তাহলে জানবেন যে আপনি নিজেই জন্মান্ধ । আপনার মনমানসিকতা দেশপ্রেমের সস্তা আবেগে পরিপূর্ণ । এই দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নতি করা যায়না। আপনাদের চেয়ে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি এদেশকে, আপনাদের পন্থায় এদেশের ৪০ বছরে উন্নতি হয়নি, আমার পন্থায় হবে।
বাঙ্গালি সংস্কৃতির ক্ষতি করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নেই, আপনারা যদি দৈত্যসদৃশ মুখোশ পরে হাউ মাউ কাউ করে আনন্দউল্লাস করেন,তো ভাল কথা । আমার কিছুই যায় আসেনা। রুচির অভাব থাকলেই কেউ মানুষ থেকে দৈত্য সেজে হাউ মাউ কাউ করে আনন্দ উল্লাস করে ।
টেবিল আর ছাগল ! কিসের মধ্যে কি ? পান্তা ভাতে ঘি ! মঙ্গলপ্রদীপের তাৎপর্য কি ? মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালালেই তা মঙ্গল বয়ে আনে ? প্রদীপ জ্বালিয়ে শুধু পরিবেশদূষণটাই হয়, লাভের লাভ কিছুই হয়না ।
কতিপয় বাঙালি গান গায় আর নাচে, সেখানে সিংহভাগ বাঙালি চুপ করে বসে থেকে তা উপভোগ করে, এখান থেকেই পরিষ্কার হয়, বাঙ্গালির সিংহভাগ অসংস্কৃত ।
হাসন লালন বালন ছিল অসংস্কৃত, তাদের মধ্যে শিক্ষা ছিলনা, তাদের মধ্যে যে সামান্য আবেগ ছিল তাই ঐসব পচা গানগুলোর মাধ্যমে বের হয়ে এসেছে।আমি যেদুটো গানের কথা উল্লেখ করেছি,তার অর্থ পুরোটুকু লিখে তারপর আপনার দাবী করবেন ! ডঃ হুমায়ুন আজাদ লালন বালন সম্পর্কে কি মন্তব্য করেছেন তা জানতে তার ধর্মানুভূতির উপকথা ও অন্যান্য বইটি পড়ুন।
বিশ্বকবি প্রশ্নে আমার সঙ্গে সহমত হওয়ার পেছনে আপনার নজরুলপ্রীতি জড়িত। আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, যারা নজরুলকে রবীন্দ্রনাথের চেয়ে বড় প্রমাণ করতে বড়ই উদগ্রীব ।
আর নজরুল পিক্স ডিজিজ নামক একটি নিউরন ঘটিত সমস্যায় ভুগছিলেন। নিউরোনাল ডিজিজ বলে মস্তিষ্কবিকৃতি বলা হয়েছে, এর অনেক ভাবগত অর্থ ও আক্ষরিক অর্থ রয়েছে।
সুত্রঃ http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80_%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2_%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
পুরো সমাজের জ্ঞান কতটুকু তা আমার আগেই ডঃ আহমদ শরীফ, ডঃ হুমায়ুন আজাদ, শওকত ওসমানেরা বলে দিয়ে গেছেন। তাদেরই পুনরাবৃত্তি করলাম আমি । আপনার সন্দেহে আমার কিছুই যায় আসেনা, আমি আপনার চেয়ে অনেকগুণ বেশি খাঁটি বাঙ্গালি বলেই আপনার মত এতো বানান ভুল করিনা। তবে পচা বাঙালিত্বে বিশ্বাস করিনা। বাঙ্গালির নৃত্যকলা ঘৃণা করা হয়নি কোনভাবেই, ঘৃণা করেন আপনারা তাই লিখেন, ” আস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হোক” ( চন্দ্রবিন্দুও দেননি আবার ক-এ দীর্ঘ উ দিয়েছেন, ২ টা ভুল ১ শব্দে)। আমি শুধু বলেছি, ঐ ভাইব্রেশন শামীম আরা নীপাদের পক্ষে সম্ভব নয় ।
আর বুয়েট মেডিক্যাল যে নির্বোধ তৈরি করে তা আমার আগে আহমদ শরীফ ও শওকত ওসমান বলে গেছেন ।
আহমদ শরীফঃ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে তবলিগওয়ালা বেশি, ছাত্রদের মধ্যে সংকীর্ণমনা ছাত্র বেশি। মানববিদ্যা ও সমাজবিদ্যার ছাত্রশিক্ষকদের থেকে বিজ্ঞানের ছাত্রশিক্ষকদের জীবনদৃষ্টি সংকীর্ণ দেখেছি।শুক্রবারে বিজ্ঞানের শিক্ষকরাই বেশি পরিমাণে মসজিদে যান।এর কারণ বোধহয় মানুষের মনের বিকাশ ঘটে তিনটি জ্ঞানে-সাহিত্য,ইতিহাস ও দর্শনে,এখনকার দিনে সমাজবিজ্ঞানে।এসব বিষয় তাদের পড়া থাকেনা, তারা স্ব স্ব বিষয় পড়ে টেকনোক্র্যাট হন, কিন্তু বহুদর্শী হন না। এজন্যই বোধ হয় তাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়াশীলতা রয়ে যায়, জীবনদৃষ্টি প্রসারলাভ করেনা।
(সাক্ষাতকার – হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০)
শওকত ওসমানঃ ডঃ আজাদ, কিছু মনে করোনা, ওখান থেকে ডিজিজ তৈরি হয়, ডক্টর নয় । ওখান থেকে উৎপন্ন হয় বৈদ্য নয় ব্যাধি ।
(সাক্ষাতকার – হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা ৭২)
[img]http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/puspita201104141302792316_IMG.jpg[/img]
http://amarbornomala.com/uploadedimage/1046_MG_5377.jpg
http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/puspita201104141302792316_MG_5353.jpg
বর্ষবরণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। ছবি: রাশেদুজ্জামান/ বিডিনিউজ ২৪ডটকম/
দেখলেন তো, আপনার কথামতই, যা ভালো তা বহুদিন টিকে থাকে, যা ভালো নয়, তা বর্জন করে মানুষ। কি গ্রহণ করছে মানুষ আর কি বর্জন করছে, তাতো সবাই দেখতেই পেল !
শুনুন, আপনি ১০০ জন্মেও ডঃ হুমায়ুন আজাদ, আহমদ শরীফ, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, শওকত ওসমান, শামসুর রাহমানদের মত হতে পারবেন না ।
তাই এসব বক্তব্য উপস্থাপন করে নিজেকে খেলো করে তুলবেন না।ব্লাডি সিভিলিয়ান বানান নিয়ে খুব কথা বলতো, ওনার আর্টিকেলে দেখুন ১৬ টি বানান ভুল। আমাকে চ্যালেঞ্জ করা মানে সেখানে নিশ্চিত পরাজয়।এটা ভেবেই ভবিষ্যতে মন্তব্য করবেন বলে আশা করছি। ভালো থাকুন, ধন্যবাদ।
🙂
@ডঃ মুশফিক,
[img]http://amarbornomala.com/uploadedimage/1046_MG_5377.jpg[/img]
[img]http://www.sonarbangladesh.com/blog/uploads/puspita201104141302792316_MG_5353.jpg[/img]
@ডঃ মুশফিক,
আপনাকে অনুরোধ করছি মন্তব্যে বিশাল আকারের আর অপ্রয়োজনীয় ছবি যোগ না করতে। এতে পেজ লোডের সময় বেড়ে যায়,পাঠকরা বিরক্ত হয়। আপনার বক্তব্য বোঝাতে ১টি ছবি যথেষ্ট ছিল,এতগুলো দরকার ছিলনা। আশা করি এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে সচেতন হবেন।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ধন্যবাদ। আমার কাছে ছবিগুলো দেখানো প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে, তাই দেখিয়েছি।
৯৬.২ এবং ৯৮.৩ কিলোবাইটের ২ টি ছবির জন্য পেজ লোডের সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যায়, কথাটি মানতে পারলাম না। আপনি যদি মডেম ইন্টারনেটও ব্যবহার করেন,তাতেও এই সমস্যা হয়না। জিপি/বাংলালিংকে স্পীড ১৬-৩৫ কিলোবাইট ।
আর আমার বিশাল লেখাকে উদ্ধৃত করে যে একজন ১ বাক্যের জবাব দিলেন (জবাব ও না, আসলে উনি আমাকে পিঞ্চ কাটলেন যে আমি বাঙ্গালি কিনা), সে প্রসঙ্গে কিন্তু কিছু বললেন না ।
আসলে হয়তো আমার লেখার সত্যাচার আপনার কাছে পছন্দ হয়নি, ওদিকে যুক্তি দিতে না পেরেই হয়তো এদিক থেকে কিছু বলতে চেষ্টা করলেন। ধন্যবাদ। 🙂
@ডঃ মুশফিক,
রামগড়ুড়ের ছানা মুক্তমনার কারিগরি দিক দেখাশোনা করে। কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকেই সে তার মন্তব্যটা করেছে। আপনাকে কে পিঞ্চ কাটলো, না ধরে পিটুনি দিল, সেটা তার মন্তব্যের বিবেচ্য বিষয় ছিল না। সংস্কৃতি নিয়ে আপনাদের এই বিতর্কে সে একেবারেই অংশ নেয় নি।
সন্দেহবাতিক কল্পনাবিলাসটা একটু কম করলেই সবার জন্য মঙ্গল।
@ফরিদ আহমেদ,
ধন্যবাদ । আর রামগড়ুড়ের ছানাকে ভুল বোঝার জন্য দুঃখিত। রামগড়ুড়ের ছানাের জন্য (F) (F)
এত মানুষ পেছনে লাগেন, তাই একটু ইনসিকিউরড ফিল করি, নিঃসন্দেহে । তবে উলুবন/অন্ধ ইত্যাদি—এরকম ব্যক্তিগত আক্রমণ করে করা কমেন্টগুলো যখন ছাড়পত্র পেয়ে যায় এবং তাদের প্রতিআক্রমণ করে করা কমেন্ট যখন ছাড়পত্র পায়না, তখন একটু কেমন যেন লাগে। 🙂
তারপরও ধন্যবাদ।
@ডঃ মুশফিক,
ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেখে খুশি হলাম। রামগড়ুড়ের ছানা বয়সে বাচ্চা, কিন্তু অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথার যুক্তিপ্রবন মেধাবী একটা ছেলে। ও যখন কিছু বলে, তখন সেটাকে গুরুত্বের সাথে নেওয়াটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।
আবারও ভুল করছেন আপনি। আপনার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া মানে আপনার পিছনে লাগা নয়। এই যুক্তিতে আপনি যাঁদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হন, তাঁরাও ভাবতে পারেন যে, আপনি তাঁদের পিছনে লাগছেন।
এই থ্রেডে আপনার মাত্র দু’টো মন্তব্যকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় নি। একটা লালন, আলাওল নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত ভাবনাপ্রসূত এক লাইনের একটি অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য। এটি অনুমোদন পেল কী পেল না, তাতে খুব একটা কিছু যায় আসে না। আর অন্যটি ছিল মুক্তমনার একজন সদস্যকে অত্যন্ত কড়াভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করে লেখা। ওটি প্রকাশিত হলে আপনার নিজস্ব ইমেজই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। মডারেটররা বরং আপনাকে সাহায্যই করেছেন এক্ষেত্রে।
আপনি ছাড়া এই থ্রেডে অন্য যাঁরা মন্তব্য করেছেন তাঁরা সকলেই মুক্তমনার পূর্ণাঙ্গ সদস্য। তাঁদের মন্তব্যকে মডারেশন পার হয়ে আসতে হয় নি। এঁদের কারো মন্তব্য যদি আপনার কাছে ব্যক্তি আক্রমণাত্মক মনে হয়, তবে মডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করাটাই ছিল সঠিক পন্থা। তাঁরাই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারতেন এর। পালটা ব্যক্তি আক্রমণ সঠিক কোনো সমাধান নয়।
আক্রমণ পালটা আক্রমণ না করে বরং মুক্তমনার সদস্যদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ঠকবেন না আপনি। 🙂
@রামগড়ুড়ের ছানা,
অত্যন্ত দুঃখিত, আশা করি কিছু মনে করবেন না। আসলে প্রিয়ব্লগসহ কিছু জামাতি ও জামাতের দোসরপন্থী লোকেদের অত্যাচারে জর্জরিত। মেইল ফেসবুক, কোথাও রক্ষা নেই, জামাতিরা খুবই সক্রিয়, তাই কেউ কিছু বললেই মনে হয়, এই বুঝি জামাতি আসলো ! তাই আশা করি, ক্ষমা করবেন । 🙂
@ফরিদ আহমেদ
মডারেশনের ব্যাপারে আমার অনাস্থা নেই। এর আগেও ডঃ ইউনূস শীর্ষক আর্টিকেলে আমি বলেছি সেকথা।
আমি এটাই করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কোথায় কি ( এখানে নাকি কোন-ইমেইলে ) করতে হবে তা ঠিকমত না বুঝে আমি পাল্টা আক্রমণ করেছিলাম। যাই হোক, ২-১ ব্যাপারে আপত্তি ছিল, যেমন একজন বলেছেন, অন্ধ আর যাকে প্রতি আক্রমণ করা হয়েছে, উনি বলেছেন, উলুবনে। এইগুলো ব্যক্তি আক্রমণ মনে হয়েছে। আমি কিন্তু বাংলা সংস্কৃতি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলাম, জনাব মোজাফফর কিংবা জনার কাজী রহমানকে নয়, প্রকৃতপক্ষে যাদের আমি চিনিই না তাদের ব্যক্তি আক্রমণ করার প্রশ্ন আসেনা, তবে ‘উলুবন’ আর ‘অন্ধ’ সরাসরি বলার কারণে আমি প্রতি আক্রমণ করেছিলাম।
সহমত । (Y)
@ডঃ মুশফিক,
এই ব্যাপারটা নিয়ে উপরেও আপনার কমেন্ট দেখলাম।
নাচের ব্যাপারে আপনার সাথে আমার কিছুটা হয়তো মিলবে। আসলে বাঙালী নারী-পুরুষ- কারোরই ফিটনেস বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে সচেতনও না বেশিরভাগ। আপনি যে বিশ্বমানের নাচ-গানের কথা বলছেন তা করতে যে পরিমান ফিটনেস দরকার তা আমাদের কারোর নেই। মিডিয়ার দিকে তাকান- যাদেরকে প্রজন্মের কাছে রোলমডেল হবার কথা তারা নিজেরাই আটার বস্তা!
তবে আমি মাঝে মধ্যে চিন্তা করি- এরা নাচে না, সেই জন্য ফিটনেস নাই; নাকি ফিটনেস নাই, সেই জন্য নাচে না! (একেবারে নিখুঁত নাচতে হবে, এমন নয়; লাফালাফি করে শরীরটা ঘামালেও কিন্তু চলে। আবার ঐ বোরখা/শাড়ি পরেই বা লাফালাফি করবে কি করে! এ প্রসঙ্গে হুমায়ুন আযাদকে ডাকলে তিনি বলবেন, “শাড়ি প’রে শুধু শুয়ে থাকা যায়; এজন্যে বাঙালি নারীদের হাঁটা হচ্ছে চলমান শোয়া।”)
আমেরিকায় নাচের রিয়েলিটি শো গুলো অনুকরণ করে ইণ্ডিয়াতে নাচের যে অনুষ্ঠানগুলো হয়- দেখে হাসি পায়। আবার আমাদের বাংলাদেশ ফলো করে ইণ্ডিয়াকে। বুঝেন তখন কি অবস্থা হবে!
সহমত । শাড়ির চেয়ে তুলনামূলক সালোয়ার কামিজ পরে হাঁটাচলা কাজকর্ম সুবিধাজনক। (Y)
আসলে ফিটনেস না থাকার পেছনে ১) জন্মগত রেসিয়াল ব্যাপার ২) রুটির বদলে ভাত খাওয়ার প্রবণতা ৩) চর্চাহীনতা ৪) উদাসীনতা দায়ী।
আর গান ও চলচিত্রের ক্ষেত্রে ১) চর্চাহীনতা ২) উদাসীনতা ৩) মেধাহীনতা ৪) জ্ঞানহীনতা বা অল্পবিদ্যা দায়ী ।
@কাজী রহমান, আপনি আমার মনের কথায় লিখেছেন। আমি ভদ্রলোকের সাথে কথা বলার রুচি হারিয়ে ফেলেছি। আপনিও হয়ত খুব শীঘ্রই হারাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
@মোজাফফর হোসেন,
আঙুর ফল টক, যুক্তিতে না পারলে রুচির প্রলাপ বকেন ! সত্যি কি চমৎকার অজুহাত !
@ডঃ মুশফিক,
লালন একজন উচ্চমার্গের দার্শনিক ছিলেন সেটা সর্বজন স্বীকৃত। সম্পূর্ণ নিরক্ষর হয়েও তিনি অসংখ্য গান রচনা করেছেন কেবল মুখে মুখে। কতটুকু প্রতিভার অধিকারী হলে একসাথে গীতিকার, সুরকার , গায়ক ও দার্শনিক হতে পারেন? জাতিভেদ প্রথায় জর্জরিত একটি সমাজে জন্ম গ্রহন করেও তিনি জাতি ভেদের বিরোধিতা করেছেন, সাম্যের গান গেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ নিজে লালনের অনেকগুলো গানের সংকলন করেছেন। গানগুলো এত নিম্ন মানের হলে তিনি তা কখনো করতেন কি? ক্লাস পাস ফেলের সাথে তো সাহিত্য বুঝার কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়না। সুকান্ত মেট্রিক পাস করেননি, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ এঁদের কারোরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশি ছিলনা। আরজ আলী মাতুব্বরের কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তাই। তাই এঁরা জ্ঞানী নন?
জাত গেল , সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে
এ গান গুলোর ভাবার্থ কত মহান কত অসাধারণ কখনো ভেবে দেখেছেন কি?
রবীন্দ্রনাথের সমমানের কবি দুনিয়াতে আছ। আমরা আমাদের দেশকে সোনার বাংলা ,রূপসী বাংলা বলি কেন? আমাদের দেশের চেয়ে অনেক সুন্দর দেশ পৃথিবীতে আছে তাই বলে কি আমাদের দেশকে আমরা লোহার বাংলা, কুৎসীৎ বাংলা বলব নাকি? রবিন্দ্রনাথ তো সবার জন্য, সব বয়সী মানুষের জন্য লিখেছেন। তাই আমরা যেমন শিশুশ্রেণীতে রবীন্দ্রনাথ পড়ি তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ি।স্কুল কলেজে পুস্তকে রবীন্দ্রনাথ তুলে দিয়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্যগুলো তুলে দিলে ছেলে মেয়েরা কিছু শিখতে পারতো।
দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের বাজনা আপনার ভল লাগেনা। আপনার এ কথা শুনে একটি গানের কথা মনে পড়ে গেল, তোমরা একতারা বাজাইয়োনা দোতারা বাজাইয়োনা।
ডাক্তার সাহেব, আপনি নজরুলকে পাগলের সার্টিফিকেট দিয়েছেন । তিনি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন পাগল নয়।
আপনি বলেছেন আমাদের শিল্প সাহিত্যের কোন কিছুই বিশ্ব মানের নয়। আপনি তো একাধারে ডাক্তার, লেখক ও গায়ক(বিশ্বমানের কি)? এ রকম বহু গুণে গুণাম্বিত সব্যসাচী বাংলাদেশে আর কখনো জন্মেছে নাকি? আপনিই এ অভাগিনী বাংলার মান বিশ্বের দরবারে কিছুটা বাড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন?
@তামান্না ঝুমু,
আমার কাছে তার দর্শনকে উচ্চমার্গের মনে হয়না, একথা বললে বলবেন, এটি আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, তাই বলি ডঃ হুমায়ুন আজাদের কাছেও একই মনে হত ( ধর্মানুভুতির উপকথা ও অন্যান্য), উনি এগুলোকে দর্শন বলেননি বলেছেন পচা বিশ্বাস ও আবেগ গান হয়ে বের হয়ে এসেছে।
ঐযুগে গীতিকার হলে সুরকার ও গায়ক হতেই হত, আর তার কন্ঠ যে আসলেই ভাল ছিল তার প্রমাণ নেই বা পাওয়া যাবেনা, আর আমাদের দেশের অধিকাংশ গ্রামীণ জনগণ স্থানীয় শিল্পীদের অশুদ্ধ গ্রামীণ বাংলা উচ্চারণের গান শুনে থাকেন, লালনের যুগে শিক্ষা বলতে গেলে কিছুই ছিলনা, আর শিক্ষাহীন জনগোষ্ঠী নিশ্চিতভাবেই সংস্কৃতিতে অনেক পিছিয়ে কেননা শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির যোগসূত্র রয়েছে। যেমনঃ সাধারণতঃ প্রকৃত শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গালাগালি করেনা, কিন্তু দেখা যায়, অশিক্ষিত ও কুশিক্ষিতদের মধ্যে গালাগালির প্রবণতা অনেক বেশি। একইভাবে বলা যায়, শিক্ষাহীন গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সংস্কৃতির উচ্চমান ক্খনোই অনুধাবনে সক্ষম হয়নি, তাই ঐ নিম্নমানের সংস্কৃতির মধ্যেকার উচ্চমানের শিল্পীকে (লালন, হাসন রাজা ইত্যাদি) গ্রহণ করে নিতে বাধ্য হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথকে ডঃ হুমায়ুন আজাদ বলেছেন, কিশোর আবেগের কবি, প্রথম নোবেল পাওয়ার কারণে আমরা রবীন্দ্রনাথ ও ইউনূস দুজনকেই ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে দিয়েছি। এরা যতটা বলা হয়, ততটা নয়। আমাদের বাঙালিদের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য হলো আমরা নিজেদের ছোট কোন জিনিসকে অতিরঞ্জন করে বড় করে দেখাতে ইচ্ছুক,এই মনোভাব তখনি আসে যখন আমাদের কাছে অনুভূত হয় যে , আমাদের গর্ব করার মত তেমন কিছুই নেই । তখন আমরা রবীন্দ্রনাথ বা ইউনূসকে আকাশে উঠিয়ে দেই ।
আরজ আলী মাতুব্বর জ্ঞানী নন, উনি অজ্ঞেয়বাদী এবং তাই তার মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন জাগতো, সেগুলোই তিনি প্রকাশ করেছেন, কিন্তু জ্ঞানী নয় বলে উত্তর দেননি ।
এসব ভাষা বর্তমান যুগে অচল আর এসব গানে স্পষ্টতার খুবই অভাব।
যাদের নাম বলেছি, তারা রবীন্দ্রনাথ থেকেও বড় কবি, কেননা তাদের লেখা পড়তে,শিক্ষিত হওয়া লাগে, রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়তে ক্লাস ওয়ান পাশ করলেই চলে, তাই ক্লাস ওয়ানের বইয়ে রবীন্দ্রনাথ পাওয়া যায় ।
আর আমার দেশকে আমি কুৎসিত বলবো যদি টা আসলেই কুৎসিত হয়ে থাকে । আর টা না হয়ে থাকলেও রূপসী অবশ্যই নয়, এই রূপসী শুধুই আবেগ, বাস্তব নয়, আমার দেশ যতটুকু ততটুকু বলবো, ১) মিথ্যে ২) অতিরঞ্জন করবো না।
একতারা দোতারার শব্দ অনেকটা Monographic Sound, Variation এর অভাব, বিদেশী বাদ্যযন্ত্রগুলো Stereographic Sound উৎপন্ন করে, ভ্যারিয়েশন থাকে তাতে। টুং টুং টুং কতক্ষণ ভাল লাগে ? বড় একঘেয়ে লাগে।
জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন উনি গান শোনেন তবে রবীন্দ্রসঙ্গীত পছন্দ করেন না, বলেছিলেন ” বড় একঘেয়ে লাগে ”
পাগল শব্দটা কোথাও লিখিনি, বলেছিলাম মস্তিষ্কবিকৃতি হয়েছিল, মস্তিষ্কবিকৃতির অনেক অর্থ আছে। তবে আরেকদিক থেকে উনি পাগলই ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন কয়েকটা, হিন্দু মুসলিম নিয়ে কালি মায়ের পায়ে বা আল্লাহ রাসুলের কোলে উঠতে চেয়েছেন। এগুলো এক ধরনের পাগলামি।
আমি বলেছি ৫% বিশ্বমানের, ৯৫% নয়। কোনকিছুই শব্দটি কখনোই বলিনি।
আমি ৪০ বছরের বুড়ো নই, তাই আমার হাতে অনেক সময় রয়েছে, নীরদচন্দ্র চৌধুরী আর আমার মধ্যে অনেকে মিল খুঁজে পান, উনি যেমন বাঙালি চরিত্রের ত্রুটি ধরতেন, আমিও ধরি, উনি ৫৫ বছর বয়স থেকে লেখালেখি শুরু করেও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছেন, আমি তার অনেক আগে থেকেই লেখা শুরু করেছি, হয়তো কয়েক বছরের মধ্যেই জানতে পারবেন কিছু। আর উনি বাঙ্গালিদের কাছে সমালোচিত হয়েছেন, তবে দুনিয়াব্যাপী সমাদৃত হয়েছেন, আমিও না হয় বাঙালিদের কাছে সমালোচিত হলাম, কিন্তু দুনিয়াব্যাপী সমাদৃত হতেও তো পারি, তাইনা ? সময়ই বলবে, আমার গায়কী বিশ্বমানের কিনা জানিনা, তবে পাকিস্তানঃ৩ কিংবা প্যালটক/ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারে বাংলাদেশঃ১ বা স্মৃতিটুকু থাক সুরে সুরে রুমগুলোতে যেয়ে যাচাই করে নিতে পারেন আমার গায়কী দক্ষতা কতটুকু, সুবীর নন্দীর মত ফ্যাসফ্যাসে গলায় গাইনা, বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই কেমন গাই তা যাচাই করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, রেডিওতেও গেয়েছি, ৫ বছর পাকিস্তানে থাকার কারণে বাংলাদেশে সিডি বের করার আমন্ত্রণকে না করতে হয়েছিল। আসলে আমার ই-মেইলে জানাবেন, তাহলে আমি গান গেয়ে দেখাব কোন চ্যাটরুমে।
লেখনীর ব্যাপারে বলবো, ১৬৫০ বার পঠিত হয়েই আমার ডঃ ইউনূস শীর্ষক প্রবন্ধটি ১৩২ লাইক পড়েছে মাত্র কদিনে, আর ২০০৯ সালে লিখিত ১০০০০ বার পঠিত প্রবন্ধগুলোর লাইক ১৭৭। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন।
আরেকটি কথা হলো, দুনিয়াতে যত নামকরা ব্যক্তি এসেছেন, তাদের পেছনে ১০০০ টা মানুষ লেগেছেন, ঐ ব্যক্তিকে ভুল প্রমাণিত করার জন্য যারপরনাই চেষ্টা করেছেন,গালি দিয়েছেন,উল্টাপাল্টা ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন,ইত্যাদি।মুক্তমনাতে আমাকেও আক্রমণ করা হয়েছে এমনভাবে, কিন্তু দুর্নীতির শিরোমণি দেশে সামান্য কিছু সৎ ব্যক্তি রয়েছেন, তারা বলেছেন,
সুতরাং, দেখা যাক, সময়ই বলে দেবে ভবিষ্যতে কার অবস্থান কোথায় হবে। আমি শুধু এটুকু দেখতে চাই, আমার সমালোচনাকারীদের কয়জন নিজের নামকে ভাস্বর করে তুলতে পারেন ।
ধন্যবাদ । 🙂
@ডঃ মুশফিক,
রবীন্দ্রনাথ এবং লালনকে একপাশে রেখে বাংলা গান ও সাহিত্যের কথা কীভাবে কল্পনা করা যায়। তাহলে বাংলা সাহিত্যে আর কি বাকি থাকে? যদিও তাঁদেরকে আপনি বাদ দিতে বলেননি, আমি বললাম কারণ আপনি বলেছেন তাঁদের কারো রচনা আপনার পছন্দ নয়। লালন রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পারা কোন ছেলে খেলা নয়। তাঁদের রচনা বুঝতে হলে উন্নত শৈপ্লিক মন চাই, সূক্ষ (বানানটি ঠিক ভাবে আসছেনা) রুচিবোধ থাকা চাই ।
ক্লাস ওয়ানের বইয়ে রবীন্দ্রনাথার যে লেখা পাওয়া যায় তা তিনি শিশুদের জন্য লিখেছেন। যেকোন ব্যাপারে পাস ফেল টেনে আনছেন কেন? প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে সব কিছুর বিচার করেন কেন? পৃথিবীতে অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি রয়েছেন যাঁদের বড় কোন প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী নেই। বাংলাদেশ এবং ভারতের জাতীয় সংগীত রবিন্দ্রনাথের লেখা। পৃথিবীতে আর কোন কবির লেখা গান দুটি দেশের জাতীয় সংগীত আছে কিনা আমার জানা নেই। এই গানগুলো কি কোন ওয়ান পাস ব্যক্তি জাতীয় সংগীত হিসাবে নির্বাচন করেছেন? আর আপনার কোন লেখাতো এখনো ওয়ানের বইতেও স্থান পায়নি।
আরজ আলী জ্ঞানী নন তাই তিনি শুধু প্রশ্ন করেছেন উত্তর দিতে পারেননি। আপনি তো অনেক জ্ঞানী ও উচ্চ শিক্ষিত আরজ আলীর প্রশ্নগুলো উত্তর আপনি দিয়ে দেবেন কি?
নোবেল পেয়ে রবীন্দ্রনাথ অতি বিনয়ের সাথে লিখেছিলেন,”এই মণিহার আমায় নাহি সাজে।” ডাক্তার গায়ক বা লেখক হিসাবে আপনার নামটি দুর্ভাগ্য বশত আমি আর কারো কাছে কখনো শুনিনি।মাইকেল জ্যাকসনও অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। একটি কথা আছে,”শুধু প্রজ্ঞা ও বিনয় আর কিছু নয়” নিজের বিজ্ঞাপন নিজে দিতে আর কখনো দেখিনি। সুবীর নন্দীর গলা আপনার কাছে ভাল না লাগতে পারে সেটা আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার। কিন্তু কোটি কোটি মানুষ তাঁর গানের ভক্ত সেটা তাদের পছন্দ। শুধু রেডিওতে গেয়ে নিজেকে এতো বড় মাপের শিল্পী ভাবার কারণ দাখতে পাচ্ছিনা। লতা মঙ্গেশকরও নিজেকে নিজেকে নিয়ে এ রকম গর্বিত বাক্য উচ্চারণ করেছেন বলে নজির নেই। খালি কলসি নিয়ে একটি প্রবাদ মনে পড়ে গেল।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার কল্পনাশক্তি হয়ত সেইরকম না, বাংলা সাহিত্যে আর বাকী তো থাকেই না, বললাম যে ৯৫% অপাঠ্য (ডঃ আজাদেরও), কথা মনে হয় বুঝতে পারেন না। 🙂
প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যায় দুর্বল লোকজনই এই গীত গায় । নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যায় দুর্বলতা দেখেই ওই জ্ঞানীগুণীদের কথা বললেন, এতে মনে মনে আপনারা সান্ত্বনা পান যে একদিন আপনারা ওরকম হবেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত আপনাদের কেউই চিনলো না।
ঐ গানগুলো কোন বুদ্ধিজীবী নির্বাচন করেনি, করেছেন আমাদের ও ভারতের রাজনীতিকেরা আর রাজনীতিকদের দৌড় যে মোল্লার দৌড়ের মতই মসজিদ পর্যন্ত, তা বলা বাহুল্য ।
আমার বয়স আপনার থেকেও কম, আপনারা অনেকেই ৩০+ আমি তো তাও না, কিন্তু এটুকু নিশ্চিত আপনাদের চেয়ে আমার প্রসেসর স্পীড অনেক বেশি। সময় আসুক, ১০ টা লেখা বইয়ে পাবেন।
আমি কি আপনাকে ব্যক্তি আক্রমণ করি ? আপনি কেন করেন ? আমার কথা ছিল আরজ আলিকে নিয়ে, আপনাকে নিয়ে নয়। আপনি আরজ আলির জের টেনে আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করেন কেন ? সত্যিই অদ্ভুত !
এইটা আপনার ব্যাখ্যা, আমার ব্যাখ্যা হলো, রবীন্দ্রনাথ জানতো যে সে নোবেল পাওয়ার যোগ্য নয়, তাই ঐটা বলেছিল !
আর অন্যদিক থেকে, বিনয়ীরা সুবিধাবাদী, সুবিধাবাদীরা বিনয়ী । (ডঃ হুমায়ুন আজাদ প্রবচনগুচ্ছ)
এই লোকটা ছিল একটি ভাঁড় ! নাহলে ৪০-৪২ বার কসমেটিক সার্জারি করে চেহারা বদলাতো না। মাইকেল জ্যাকসন আপনার কাছে উদাহরণ ?!!!! ও কি গাইতো না নাচত ?
দেখুন কি লিখেছেন আপনি,
আপনি খোঁচা মেরেছেন, তার উত্তরে আমি বলেছি, আসুন যাচাই হয়ে যাক, আমার গানের গলা কেমন। আপনি তো এখন ভয় পাচ্ছেন, আমি ভয় পেলে কখনোই আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতাম না, বরং এভয়েড করতাম।আমার বয়স অনেক কম, কত তা বলবো না, তবে অনেক কম। সুতরাং আমার হাতে অফুরন্ত সময় আছে। আপনি চ্যালেঞ্জ করেছেন, আমি আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, এখন আপনি যদি অন্য প্রসঙ্গে চলে যান, তাহলে বোঝা যাবে আপনি ভয় পেয়েছেন।রুমের ইউজাররাই বলবে আমি কেমন গাই, পাকিস্তান রুমে আমাকে বলা হয় নায়া মেহদী হাসান। আর প্যালটকে যে কোন রুমে জিজ্ঞাসা করে দেখবেন ডঃ মুশফিক নাম উল্লেখ করে, কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আহসান খানের ভাই বদরুল আহসান খান, উনি বিশিষ্ট আবৃত্তিকার, ওনাকে প্যালটকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, আই ডি – Rajpath রাজপথ। আরো অনেক বিশিষ্টজন আছেন, যারা আমার গানের ভক্ত ।
আপনাদের মন্তব্যগুলো পড়ে যা বুঝতে পারছি, তা হলো, সময় নষ্ট করার মত অফুরন্ত সময় আপনাদের আছে, এগুলোই করতে থাকুন, বড় কিছুই হতে পারবেন না দুনিয়ায় । ১০ বছর পর কথা মিলিয়ে দেখবেন আমি সত্য বলেছিলাম কিনা !
খালি কলসীর প্রবাদটি আপনার নিজের জন্য প্রযোজ্য, ভয় না পেয়ে রুমে আসুন, গান গাওয়ার পরেই বোঝা যাবে, কার কথা সত্য !
@ডঃ মুশফিক,
আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কতদুর তা আপনি কীভাবে জানলেন? আমি ওয়ান ফেল। মুক্তমনায় অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি আছেন। পি এইচ ডি আছেন অনেকেই।তারা কেউই আপনার মত হাস্যকর আচরণ করেননা।নিজের সার্টিফিকেটও কেউ নামের আগে ঝুলিয়ে রাখেননা।আমরা পরবর্তীতে জ্ঞানীগুণী হবো এ রকম হাস্যকর উক্তি আমরা কেউই করিনি। আপনি করেছেন।
আপনার এ বাক্যটি পড়ে Three idiots মুভির চতুরের কথা মনে পড়ে গেল।মুক্তমনায় হাসির খোরাক জোগাচ্ছেন আপনি ,মন্দ কি? আপনি তো আপনার দাবী অনুযায়ী একাধারে ডাক্তার, গায়ক, লেখক, জ্ঞানী,গুণী,উচ্চ শিক্ষিত।১০ বছর পর আশা করি আরো অনেক গুণ অর্জন করবেন। তখন অ থেকে ঁ পর্যন্ত সবগুলো বর্ণমালাই আপনার নামের আগে বসিয়ে দিতে হবে।সংক্ষেপে অ থেকে ঁ মুশফিক।
“আমার সোনার বাংলার” পরিবর্তে কোন গানটি আমাদের জাতীয় সংগীত হবার উপযুক্ত বলে আপনি মনে করেন? আমাদের জাতীয় সংগীতকে অবজ্ঞা! জাতীয় সংগীত যারা অবজ্ঞা করে তারা তো জাতীর কলঙ্ক।
আমার বয়স কত আপনি বুঝলেন কীকরে? আমার বয়স ৯০+। আপনি বলেছেন আপনি ডাক্তার , পাকিস্তানে পাঁচ বছর চাকরি করেছেন। তবে এখনো ছোট্ট বালক। আর এখানে তো বয়সের প্রশ্ন একেবারেই অবান্তর। সুকান্ত ২১ বছর বয়েসে মারা যান। তার আগেই তিনি তাঁর আগুন ঝরা কবিতাগুলি লিখেছিলেন। কিন্তু আপনার মত নিজের বিজ্ঞাপন নিজে দেননি।
রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন।আর এটা তাঁর শ্রেষ্ঠ লেখা নয়।এটা অনেক জ্ঞানীজনই বলে থাকেন।”হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতি”তে গোলাম মুরশিদও বলেছেন। সে হিসেবে তাঁর অন্যান্য অসাধারণ লেখার জন্য তাঁকে আরো কয়েকবার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল।
তিনি কতবার কসমেটিক সার্জারি করেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি শুধু আমার নন সারা দুনিয়ার সংস্কৃতি মনা মানুষের আইডল। তিনি নাচতেন ও গাইতেন।শুধু তাই নয় এ পৃথিবীর সেলিব্রেটিদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিমানে দান করেছেন।আপনি নিজেকে শিল্পী, লেখক দাবী করছেন ,কিন্তু সারা দুনিয়া যাঁদের সম্মান করে,এ পৃথিবীর প্রতি যাঁদের অনেক অনেক অবদান রয়েছে,সেসব অগ্রজদের সম্মান করা তো দূরের কথা স্বীকৃতিও দিচ্ছেননা।কেমন শিল্পী আপনি যার মনে সম্মানিতের জন্য কোন শ্রদ্ধা বোধ নেই?
@ডঃ মুশফিক,
নোংরামী হচ্ছেনা তো?
নয়া মেহদী হাসান সাহেব, পাকিস্তান রুমে, প্যালটকে এসব কী বলছেন ভাই?
এ জন্যই বুঝি বয়সের কথা আগে বলে রেখেছেন? তা চেহারা মুবারক, রূপ-রঙটা বলে দিলে আরো ভাল হতোনা?
@তামান্না ঝুমু,
পিলিজ যাইয়েন না, এইহানের কতাতেই যে দূর্গন্ধ ছড়াইতাছে, আমি কিছুক্ষন পরপর এয়ারফ্রেশনার দিতাছি। তাতে কইরা গান যদি হুনতে যান নিশ্চিত অজ্ঞান অইবেন। কী দরকার পাকি গায়েনের উৎকট দূর্গন্ধে ভরা গান হুনার। হেরতে আমগোর মমতাজের গানই ভালা। “পোলা তো নয় একখান আগুনেরই গোলারেএএএএএএএএ” :)) :))
@সাইফুল ইসলাম,
এতো বড় শিল্পীর(স্বঘোষিত) গান শুনতে আমাদেরকে আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতে হবে কেন বুঝতে পারছিনা।হতে পারে যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই পাইলেও পাইতে পারো মানিক রতন!
@কাজী রহমান,
ডঃ মশফিক এর মন্তব্য পাঠ করে, মনে হয়েছিল কিছু বলি। তারপর কেন জানি মনে হলো, এ ধরণের মন্তব্যে নীরব থাকাটাই ভাল জবাব।
@স্বপন মাঝি,
হ্যাঁ, উলুবনে মুক্তো ছড়ানো আর কি। ধন্যবাদ।
@কাজী রহমান,
উলুবনে শব্দটির মাধ্যমে ব্যক্তি আক্রমণ করলেন, বাংলাদেশের নামকরা বুদ্ধিজীবী ডঃ হুমায়ুন আজাদ, ডঃ আহমদ শরীফদেরকে আপনার অমূল্য মুক্তোগুলো যদি ছড়াতে পারতেন তাহলে ওনারা আমার মতই কৃতার্থ হতো। 🙂
@স্বপন মাঝি, ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
@ডঃ মুশফিক, দু:খিত আমি আপনার সাথে একমত হতে পারছি না। ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন,
অবশ্যই, আপনি একমত না হতে পারেন একশোবার, তবে না হওয়ার পেছনে যদি কারণ বা যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনার একমত না হওয়াটা যৌক্তিক বলে বিবেচিত হবে । কিন্তু কারণ বা যুক্তি ছাড়াই যদি এমনটি দাবী করেন তাহলে ব্যাপারটি সকলের কাছে আপনার নিছক দেশপ্রেম বলেই প্রতিভাত হবে । তাই, আমার বক্তব্যের বিরুদ্ধে আপনার অবস্থান যুক্তি ও কারণ উল্লেখপূর্বক সকলের কাছে তুলে ধরলে বিশেষ কৃতার্থ হতাম ।
ধন্যবাদ । 🙂
@ডঃ মুশফিক,
বাঙলা সংস্ককৃতি নিয়ে আমার মধ্যে কোন আলাদা ধরনের গর্ব বোধ নেই। এটা ধারন করার ব্যাপার। কিন্তু আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন ছিল। সুবিধার জন্য এভাবেই শুরু করছিঃ-
আপনার প্রথম মন্তব্য থেকে প্রশ্নঃ
সংস্কৃতির সংজ্ঞা কী?
এই ফ্যাশন করার প্রবনতা কোথা থেকে এসেছে?
আপনার ২য় মন্তব্য থেকে প্রশ্নঃ
তারমানে কি কোন কিছু বুঝতে পারলে তার সাহিত্যমান খারাপ? হুমায়ুন আজাদের কথা আপনার মুখে খুব শোনা যায়। আচ্ছা তার সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে কবিতাটা তো পড়েছেন। আপনার কাছে ঐ কবিতার সাহিত্যগুন সম্পর্কে কী মনে হয়? মানে এটা উচুসাহিত্য পদবাচ্য কি না?
তার মানে আমরা বুঝতে পারলাম গানের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। মানে এখানে বলা উচিত ছিল খাচাটা কার? যদি ড.মুশফিকের হয় তাহলে তার কেন? যদি তার না হয়, তাহলে তার না কেন? খাচার অবস্থান কোথায়? যদি ঢাকায় হয় তাহলে ঢাকায় কেন? যদি না হয় তাহলে ঢাকায় না কেন? এইভাবে পৃথিবীর প্রত্যেকটি স্থানের ক্ষেত্রেও প্রশ্ন রাখতে হবে এবং অতি অবশ্যই সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তারপরে প্রশ্ন আসে অচিন পাখি নিয়ে। কে এই অচিন পাখি। তার বৈজ্ঞানিক নাম লিখতে হবে। যদি নাম না পাওয়া যায় তাহলে বলতে হবে কেন তাকে অচিন পাখি নামেই ডাকা হচ্ছে? কেন মেইড ইন চায়না মানে চীন বলা হচ্ছে না? তারপরে আসে, কেমনে আসে যায়। এখন প্রশ্ন যেহেতু রাখা হয়েছে তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিতে হবে। মানে হল কেমনে আসে যায় তা বলতে হবে। যদি বলতে না পারে তাহলে লালনকে কবর থেকে উঠিয়ে ১০০ দোররা মারা হবে শিল্পের নিয়ম নীতি(?) না মানার জন্য। এইতো নাকি? আমার যদি বুঝতে ভুল হয় তাহলে জানাবেন।
এই কথা সম্পর্কেও একই প্রশ্ন। উল্লেখ থাকে যে এই বিশেষ গানটি আমার বেশ পছন্দের। আমি মুক্তমনা কিনা জানিনা তবে বদ্ধমনা নই। এইটা কী করে সম্ভব হল? নাকি আমার ক্ষেত্রে আপনার রুলস খাটেনি বলে আমিই মানুষ না?
আমার কাছে তাকে কোন মাপেরই মনে হয় না। তো? তারমানে কী সে বিশ্বমানের নয়? আবার আপনার কাছে বিশ্বমানের বলতে দ্বিধা থাকে আমার কাছে থাকে না। তারমানে কি সে বিশ্বমানের?
আপনার ব্যক্তিগত মতামত? তারমানে কি আপনার ব্যক্তিগত মতামতই সবার মেনে নিতে হবে? যদি না হয় তাহলে বললেন কেন? আর যদি হয় তাহলে আপনার মুখে ঝাটার বাড়ি। এখানে কথা হচ্ছে বিশ্বমান নিয়ে তাই না? আপনার ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে আমরা কী করব?
কোন শব্দটা চমৎকার আর কোন শব্দটা চমৎকার না, এটা বের করার উপায় কী? আপনি হারমোনিয়ামের কথা বলছেন। আমার কাছে এটাকে চরম বিরক্তিকর লাগে। এখন প্রশ্ন হল তৃতীয় ব্যক্তিকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে তার উত্তর কী হবে? কোনটার শব্দ বেশী চমৎকার? আপনার হারমোনিয়ামের নাকি একতারা দোতারার?
আবার একই কথা। কোন ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে আপনি একদলকে বলছেন বিশ্বমানের আর আরেকজনকে বলছেন বিশ্বমানের না?
আচ্ছা এখন কিছুটা বুঝতে পারলাম। নরনারী দলেদলে জড়ো হয়না বলে, নাচগান করে না বলে, পানাহার করে না বলে এবং আরোও একটি বলে আছে। চরম ফুর্তিফার্তি করে না বলে বাঙলাদেশের পহেলা বৈশাখ খুব একটা ভালো উৎসব নয়। তা বেশ বেশ। কিন্তু প্রশ্ন হল এগুলো করলেই যে তা ভালো হবে আর না করলেই যে সেটা ভালো হবে না এই যুক্তির উৎস কোথায়? মানে আমার কাছে কিন্তু আপনার এই উদাহরনগুলো খুব একটা আকর্ষনীয় লাগল না। মজা করব আমার যেভাবে খুশী। এখন সেটাও যদি আপনি ঠিক করে দেন তাহলে তো ভাই সমস্যা!!
সে আপনি নাই হতে পারেন। কিন্তু কথা হল, আপনি বাঙলাদেশের মানুষ পুর্ব-পশ্চীমাদের মত দলেদলে জড়ো হয়, নাচগান করে, পানাহার করে, চরম ফুর্তিফারতি করতে পারে না বলে পহেলা বৈশাখকে সমর্থন করতে পারছেন না। তাই না? চমৎকার তো!! একটা নতুন তত্ত্ব পেলাম।
আপনার পরবর্তী মন্তব্যের থেকেঃ
বলেছেন ভালো। তবে অন্তসারহীন। স্থান কাল পাত্র ছাড়িয়ে সবকিছু সবসময় গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। গতানুগতিকতা কী জিনিস? আপনি, যদি ধরেও নিই যে সবার চোখে গ্রহনযোগ্য কিছু লিখেছেন, তারপরেও কিন্তু সেরকম কিছু পুনরায় লেখা হলে তা গতানুগতিকতাতেই পর্যবসিত হবে। সকলের কাছে পছন্দনীয় বলে কিছু নেই। সাম্প্রদায়ীকতার কথা বলছেন, শোষিত সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বললে আপনাকে শোষক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। মানে হল আপনি সাম্প্রদায়িক হবেন।
একি বলছেন দাদা?? এরকম তো কথা ছিল না! শুধুমাত্র দেশে দেশে বিক্রী হয় দেখেই সে বিশ্বমানের? খাইছে, তাহলে তো আপনি পর্ণ ইন্ডাস্ত্রিকে বলবেন শিল্পকলার সবচেয়ে উন্নত মাধ্যম। কারন এই জিনিস যত বেশী দেখা হয় তা তো অন্য কোন কিছু দেখা হয় না! ড্যান ব্রাউনের লেখা খোদ আমেরিকাতেই সমালোচিত, লতা মুঙ্গেস্করের কন্ঠ আমার কাছে বাশের চিনচিন মনে হয়, তার মানে কী আমি বলব যে তারা বিশ্বমানের না? আমার কাছে ভালো না লাগলেও অন্যদের কাছে ভালো লাগতেই পারে। এটাই বড় কথা। আমি আমার একার মতামত অন্যদের উপরে চাপিয়ে দেব কেন?
শওকত ওসমানকে আপনার পছন্দ বলেছিলেন। আমার প্রশ্ন, শওকত ওসমানকে দুনিয়ার কজন মানুষ চেনে? আপনার যুক্তিতেই কিন্তু সে বিশ্বমানের না। তাহলে তাকে আপনার পছন্দ কিসের ভিত্তিতে?
পরবর্তী মন্তব্য থেকে প্রশ্নঃ
আচ্ছা দেখি বলেছেন কি না?
গ্যাব্রিয়েল গারসিয়া মারকেজের উপন্যাস দেশে দেশে বিখ্যাত, ড্যান ব্রাউনের উপন্যাস দেশে দেশে বিখ্যাত, লতা মঙ্গেশকর বা অমিতাভ বচ্চন বা শাহরুখ খানদের সারা দুনিয়া চেনে, তাই এরা বিশ্বমানের।
এটা দিয়ে অন্য কী বোঝা যায় মাথায় আসছে না। একটু বুঝিয়ে বলেন।
আমাদের দেশের ভাল অভিনেতা অবশ্যই আছে কিন্তু তারা যে বিশ্বমানের, তা আপনি কোন কোন নির্ণায়কের ভিত্তিতে নির্ণয় করবেন, সেটা কিন্তু বলেননি। তারা কেন এবং কিসের ভিত্তিতে বিশ্বমানের, তার পেছনে যুক্তি দেখাতে হবে।
ওকি কথা!! এখানে বিশ্বমান কথাটাই উদ্ভাবন করেছেন আপনি,
এখন আমাদেরকেই তার সংজ্ঞা দিতে হবে? চমেৎকার!!!!
বাঙলাদেশে থাকেন তো????
আপনার কথা অনুযায়ী সংখ্যা গরিষ্ঠদের মতামতই শেষ কথা। আজকের দুনিয়ায় ঈশ্বরে বিশ্বাসী লোক সবচেয়ে বেশী। তারমানে কী ঈশ্বর আছে? ঝামেলা মুক্তভাবে বলা যায়, ক্রীশ্চীয়ানরা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশী। তারমানে কী যীশুই ঈশ্বর?
আপনার কাছে এই লেখাগুলোর মধ্যে “পদ্মা নদীর মাঝি” ভালো লেগেছে( লেখকের সাত পুরুষের ভাগ্য বলতে হবে) সেজন্য আপনি তাকে বিশ্বামানের বলতে রাজি হয়েছেন!! অন্যগুলো ভালো লাগেনি তাই সেগুলো বিশ্বমানের না???? চ্রম তো। লালসালু এবং আরন্যক আমার পড়া ভালো লেখার মধ্যে অন্যতম। পথের পাঁচালীর সম্পর্কে আপনার মতামত কী? ওটাও কিন্তু খুবই ন্যারেটিভ, স্থানিকতা দোষে দুষ্ট। জানাবেন দয়া করে।
নোবেল পেয়েছেন, কিন্তু হয় তিনি ইংরেজিতে লিখেছেন অথবা তার লেখার অনবদ্য অনুবাদ হয়েছে। বাঙলা ভাষার শ্রেষ্ট লেখাগুলোর কয়টি ভালো অনুবাদ বাদই দিলাম, অনুবাদই হয়েছে হয়টির বলুন তো? আমি বলছি না বাঙলা ভাষাতেই সব ভালো রচিত হচ্ছে। বাঙলা ভাষায় রচিত লেখা আন্তর্জাতিক লেখার থেকে অনেক নিচুতে। কিন্তু কথা আমাদের ভাষাতেই এমন কিছু লেখা আছে যেগুলো নিঃসন্দেহে নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তারা কিন্তু পায় নি!
আপনি হিন্দি, উর্দু(ওয়াকঃথুহ) পাঞ্জাবী ভাষায় গানের কথা বলছেন এবং বলছেন সেগুলো নাকি চলছে। আমার প্রশ্ন, আপনি পাঞ্জাবী ভাষায় কয়টি গান শুনেছেন। আমি নিজে হিন্দি ভাষার গান খুব একটা শুনি না, উর্দূর তো প্রশ্নই আসে না। এই হিন্দি উর্দূ ভাষার গান গুলোর প্রধান শ্রোতা কে? ইউরোপ আমেরিকার জনগন। মোটেও না। সবই ইন্ডিয়া। আর বাঙলাদেশ। তো এগুলোও তো স্থানিকতায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল। আমাদের দেশের গানও তো আমাদের দেশের মানুষ প্রচুর শোনে। তো ঐ হিন্দি, উর্দূ, পাঞ্জাবী গানের সাথে পার্থক্য কোথায়?
তো আসলে এই নিয়মের ব্যতিক্রম আপনি কোথায় দেখছেন বলবেন কি?
বাঙ্গালী বানানটা ভুল। সঠিক হল, বাঙালী। ভাই আমার অনেক বানান ভুল হয়, কিন্তু নিজেকে আপনার চেয়ে কম বাঙালী ভাবতেও কষ্ট হয়। আমিতো জানতাম বাঙালী হওয়া যায় কিছু জন্মগত বৈশিষ্টের জন্য। বানান না পারার জন্যেও যে আমার বাঙালীত্ব হুমকির সম্মুখীন হতে পারে জানতাম না! 🙁 🙁
@সাইফুল ইসলাম,
সংস্কৃতির সংজ্ঞাটি ব্যাপক তবে মোটামুটিভাবেঃ
সূত্রঃ বদরুদ্দীন উমর, সংস্কৃতির সংকট, মুক্তধারা প্রকাশনী, ১৯৮৪, ২৭ পৃ:
বিদেশী সংস্কৃতি অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও আবেদনময় এবং তাতে ফ্যাশনের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে । আমাদের সংস্কৃতি দুর্বল ও গ্রামীণ বলে (ফতুয়া-লুঙ্গী-গামছা ইত্যাদি) দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে।তাই শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং বিশ্ব ইংরেজি/ভারতীয় ইত্যাদি সংস্কৃতি ও ফ্যাশনের দিকে ঝুঁকছে ।
যা সহজেই বোঝা যায়, তা এই কারণেই সহজে বোঝা যায় যে, তাতে জ্ঞানের কথা, নতুনের কথা খুব একটা নেই, তাই ঐ গান বা সাহিত্য মানুষ ও দেশের বিকাশ এবং সভ্যতার জন্য তেমন অবদান রাখতে পারেনা । লালনদের গান এরকমই । আর হুমায়ুন আজাদের, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে- কবিতাটিতে যেই ভবিষ্যৎবাণী শৈল্পিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে,আজকের বাংলাদেশে তা অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে,বাংলাদেশ আজকে নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে,কবিতার এই যে বহুদর্শী গুণ,তা কজনের কবিতায় থাকে ?লালন থেকে অনেক জ্ঞানী ও বহুদর্শী ডঃ হুমায়ুন আজাদ। শুধু লালন কেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রজ্ঞাময় বুদ্ধিজীবী ছিলেন এই লোকটি ।
দোররা মারা,মেড ইন চায়না,বৈজ্ঞানিক নাম ইত্যাদি অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা করে আপনি প্রমাণ করেছেন যে, সাহিত্য সমালোচনা – যে কি জিনিস, তার সামান্যটুকু আপনি জানেন না ।
নিজেকে বদ্ধমনা না বললেই আপনি মুক্তমনা হয়ে যান না, আর আপনার অজ্ঞানগর্ভ কথাবার্তা ও ভাষার প্রতি সুপ্ত বিদ্বেষ (উর্দু ওয়াকঃথুহ) থেকেই বোঝা যায় আপনি চরমভাবে সাম্প্রদায়িক ও বদ্ধমনের মানুষ।
শামসুর রাহমানকে যার কোন মাপেরই মনে হয়না, তার সঙ্গে বিতর্ক করা বৃথা,কারণ শামসুর রাহমান বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বসেরা কবি বলে বিবেচিত,শুধু সাধারণ জনগণ নয়,এদেশের অসাধারণ ব্যক্তিবর্গও তাকে উল্লেখযোগ্য কবি বলে স্বীকার করেছেন।অসাধারণদের কথার কিছু দাম আছে,আপনার কথার বিন্দুমাত্র দাম নেই। যে সংস্কৃতির সংজ্ঞা জানেনা, যে সাহিত্য সমালোচনা বোঝে না, তার কথার আদৌ কোন দাম থাকে কি ?
শওকত ওসমান শুধু আমার ব্যক্তিধারণায় নয়,বাংলাদেশের সাহিত্যসমালোচক ও বোদ্ধাদের বিচারে অসাধারণ এক কথাশিল্পী।
ঝাঁটার- বানান ভুল আর জনাব ফরিদ আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ
এই ধরনের কথাবার্তার অবতারণা করার জন্যই প্রতিআক্রমণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দোষ আমার নয়, যারা এধরণের কথার সূচনা করে, দোষ তাদের ।
হারমোনিয়ামের শব্দ বহু অংশ বা উপাদান বিশিষ্ট, বিভিন্ন শব্দ উৎপাদনে সক্ষম,বিভিন্ন শব্দের মিশ্রণে বৈচিত্রময়, সেখানে একতারা দোতারা একই ধরনের টুং টুং শব্দ উৎপন্ন করে এবং শুনতে বৈচিত্রময় লাগেনা। যদি একতারা দোতারা হারমোনিয়াম বা গিটার থেকে শুনতে ভাল লাগতো তো, দেশের গ্রামীণ জনগণ আজকে হিন্দী চলচিত্রের গানের দিকে ঝুঁকত না।
মোহাম্মদ রফি কিশোর কুমার তালাত মাহমুদদের গায়কী দক্ষতা অনেক বেশি ছিল বলেই আজকে তারা গ্রেট, পাকিস্তানের জনসংখ্যা তো একসময় আমাদের চেয়ে কম ছিল, তাও কি মেহদী হাসান গ্রেট বলে বিবেচিত হননি ?
আমাদের দেশের মধ্যবয়সী লোকেরা শুনলে রফি লতা কিশোর মেহদী দের গানই শোনে, হাদী বশিরদের শোনে না। কেননা, গানগুলোর মধ্যে গভীরতা নেই, আর গায়কের কণ্ঠে নেই গায়কী ।
অন্তঃসারহীন বানান ভুল। নরনারীর নাচগান, পানাহার, চরম ফুর্তিফার্তি না করার বিষয় একটি অংশ কিন্তু আপনি অসৎভাবে আমার বরাত দিয়ে দাবী করছেন, আমি শুধু ঐ একটা কারণ-ই বলেছি যা সত্য নয়। আমি এগুলো ছাড়াও মঙ্গলপ্রদীপ,একপেশে এসো হে বৈশাখ গান,কিছু আদিম খেলনা কেনা, অস্বাস্থ্যকর পান্তাভাত গেলা, ইত্যাদি অনেক প্রসঙ্গ এসেছে ।
শিক্ষাহীনতা ও অসভ্যতার নজীর আপনার অসভ্য ভাষা, মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আর আমি একাধারে চিকিৎসক,লেখক এবং গায়ক। বিজ্ঞান ও শিল্প উভয় দিকেই আমার পারদর্শিতা রয়েছে । আপনার মত না । চিকিৎসক হলে ডঃ তো লিখবই, ডাঃ লুতফর রহমান ডাঃ লেখেননি ? আজব !
মারকেজ/লতা/শাহরুখেরা সকলেই তাদের অবস্থানে শীর্ষ, আর বিদেশেও ভারতীয় গান ও চলচিত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সুতরাং, তারা অবশ্যই বিশ্বমানের। এর আগেও আমি এটি বলেছি, আপনি তো না পড়েই মন্তব্য করেন ! আর আমার ভাষাজ্ঞান আপনার থেকে হাজারগুণে ভাল,সবসময় পুঙ্খানুপুঙ্খ লেখা যায়না, আপনি তারই সুযোগ নিয়ে আমার কথাগুলোকে মিস-ইন্টারপ্রেট করছেন !
আমি সংজ্ঞা চাইনি, আমি চেয়েছি যুক্তি । আপনি সংজ্ঞা ও যুক্তির পার্থক্যই দেখি বোঝেন না !
রুনা লায়লা প্রসঙ্গে বাংলাদেশে থাকি কিনা প্রশ্ন করেছেন, তাই বলি,
সূত্রঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Runa_Laila
লালসালু ও আরণ্যকের সাহিত্যমান তেমন উঁচুদরের নয়, পথের পাঁচালী নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের, পথের পাঁচালীতে ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজমের ব্যবহার স্পষ্ট, পদ্মা নদীর মাঝি ও পথের পাঁচালী বাস্তব জীবনের চরম নির্মমতা অত্যন্ত শৈল্পিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে, আর সেদিকে লালসালু কিংবা আরণ্যকে বড় কোন ট্র্যাজেডি বা এপিক বৈশিষ্টের অভাব।
বাংলাদেশের ৫% সাহিত্যকে কিন্তু খারাপ বলা হয়নি, সেগুলো বিশ্বমানেরই, কিন্তু বাকি ৯৫% খারাপ, ওগুলো অপাঠ্য কুপাঠ্য , একই মনোভাব ডঃ হুমায়ুন আজাদের । আপনাদের মত জ্ঞানীগুণীদের কাছ থেকে ডঃ আজাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
আমি পাকিস্তানে ৫ বছর ছিলাম, অজস্র পাঞ্জাবী গান শুনেছি, না জেনে কথা বলেন কেন ? আর পাকিস্তানেও যাওয়া লাগেনা, ভারতীয় ছবিতে উর্দুগানের পরেই পাঞ্জাবী গানের অবস্থান। আর বিদেশেও ভারতীয় চলচিত্র বা গানের চাহিদা রয়েছে, একটু ভাল করে খোঁজ নিন। ইন্দোনেশিয়ার চ্যানেলেও সেদিন দেখলাম, ভারতীয় চলচিত্র। আর আপনার উর্দুভাষার প্রতি চরম বিদ্বেষ থেকে প্রমাণিত হয়, আপনি আসলে রেসিস্ট । আমি বাংলা হিন্দী উর্দু তামিল পাঞ্জাবী সিন্ধী পারসী ইংলিশ ফ্রেঞ্চ তুর্কি সহ বিভিন্ন ভাষার গান শুনেছি। আপনি যখন উর্দু গানই শোনেননি, তখন তুলনামূলক বিচার করার জ্ঞান আপনার এখনো হয়নি। পরিণত হোন আগে !
আমাদের দেশে কতিপয় নাচে আর গায়, বিদেশে সবাই নাচগানে অংশগ্রহণ করে। এখানেই পার্থক্য !
আর বাঙ্গালী বাঙালি বাঙ্গালি – ৩ টি বানানই সঠিক। সাধে কি বলি, অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী ।
সূত্রঃ অভ্র ৫.১.১.০
আপনি কয়টা বানান ভুল করেছেন দেখিঃ
সংস্ককৃতি
ধরনের
ধারন
প্রবনতা
সাহিত্যগুন
উচুসাহিত্য
খাচাটা
উদাহরন
পশ্চীমাদের
অন্তসারহীন
গ্রহনযোগ্য
সাম্প্রদায়ীকতার
বাশের
চমেৎকার
ক্রীশ্চীয়ান
চ্রম
আরন্যক
শ্রেষ্ট
উর্দূ
ঝাটা
আকর্ষনীয়
সর্বমোট ২০ টি বানান ভুল। :clap
বাঙ্গালিত্বের জন্য শুধু জন্মগত বৈশিষ্ট্যই নয়, অর্জিত (Acquired) বৈশিষ্ট্যেরও অতীব প্রয়োজন।
@ডঃ মুশফিক,
@ডঃ মুশফিক,
সংস্কৃতির সংজ্ঞা মোটেই ব্যাপক নয়। মানব জীবনের সব কিছুই সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। বাঙলাদেশ চরমভাবে দূর্নীতি পরায়ন একটা দেশ। আমাদেরকে স্বীকার করতেই হবে যে বাঙলাদেশের সংস্কৃতিতে দূর্নীতি অন্তর্ভুক্ত। আপনি যদি শিল্পকলা, সাহিত্য, নাচা গানা এগুলোকেই সংস্কৃতি বলেন তাহলে বলতে হয় পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষই সংস্কৃতিবান নয় যেহেতু বেশীর ভাগ মানুষই এগুলোর সাথে জড়িত নয়। যেটার সাথে জাত্যাভিমান আসতে বাধ্য এবং যেটা মোটেই যুক্তির কথা নয়। বাঙলা সংস্কৃতি সম্পর্কে আমার কোন উচু ধারনা নেই, এবং এটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত মতামত। উচু ধারনা করাটাই আপেক্ষিক ব্যাপার। আমার কাছে একটা জিনিস ভালো লাগেনা বলেই কি সেটা আরেকজনের কাছে খারাপ লাগতে হবে নাকি? এটা কোন ধরনের যুক্তি ভাই?
আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম,
আপনি বলেছেনঃ
আবার সেই আপনার নিজস্ব তত্ত্ব। ভাই আমি বুঝি না আপনার ভালো লাগে বলে কি আমার ভালো লাগতে হবে? আমি ঈশ্বরে অবিশ্বাস করি। কিন্তু হিন্দুদের, মুসলমানদের, ক্রিশ্চিয়ানদের অনেক ব্যাপারই আমার কাছে আনন্দের লাগে। ভালো লাগা মন্দ লাগা সবসময়েই কি যুক্তি নির্ভর হয়?
আপনি বলেছেন,
প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। নিউটনের এই সূত্র বুঝতে রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়া লাগে না। তারমানে এটা খুবই নিম্নমানের তত্ত্ব? কি জানি ভাই, হতেও পারে। আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতার সূত্র বুঝতে নবম দশম শ্রেণীর গণিতই যথেষ্ট, এবং এইমাত্র আমরা জানতে পারলাম যেহেতু এই জিনিস একটি নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বুঝতে সক্ষম সে জন্য এটি খুবই নিম্নমানের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব।
হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে আমার অভিমত দেখতে এই লেখাটি পড়তে পারেন।
মেনে নিলাম অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু আমার প্রশ্নটাও কি অপ্রাসঙ্গিক ছিল? আপনি বলেছেন যেহেতু এই গানের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত নেই সে জন্য এটা কোন উচু দরের গান নয়। আমি বলেছি, তাহলে গানের মধ্যে সিদ্ধান্ত থাকতেই হবে কেন? যদি এই হয় ভালো গানের বৈশিষ্ঠ তাহলে আমাদের মেনে নিতেই হবে গজল গুলোই হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো গান, কারন ঐ গানে সিদ্ধান্ত আছে আল্লাই সব, নবীই সব। কী বলেন?
যাই হোক এটা যেহেতু আমাদের বর্তমান প্রসঙ্গে কোন প্রভাব ফেলবে না, এটা সম্পর্কে আলোচনা করারটা জরুরী বোধ করছি না।
আমি কী বলেছি আপনি আমার থেকে শতগুন ভাষা জ্ঞান থাকার পরেও বুঝতে পারেন নি বলে হতাশ বোধ করছি। আমি কী বলেছি আবার দেখিঃ
আমার কাছে তাকে কোন মাপেরই মনে হয় না। তো? তারমানে কী সে বিশ্বমানের নয়? আবার আপনার কাছে বিশ্বমানের বলতে দ্বিধা থাকে আমার কাছে থাকে না। তারমানে কি সে বিশ্বমানের?
কিছুটা কি বোঝাতে পারলাম?
বাঙলাদেশের সর্বসেরা কবি বলে বিবেচিত? উনি অনেক অনেক উচু মাপের কবি কিন্তু এই সর্বসেরা অভিধাগুলো কার দেয়া? আপনার? কোন বিরাট কবিতা বোদ্ধার? হলেই বা আমি মানব কেন? যদি আমার কাছে সেরকম মনে না হয়? এখনও মনে হয় বোঝাতে পারি নি!
আমার কথার দাম আমি দিতে বলছি না, শুধু বলছি আপনি যখন বলছেন তখন আপনার কথারও যে দাম নেই সেটাও মনে রাখবেন।
বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্য বোদ্ধা অনেকের কাছেই, ঐ আরন্যক, লালসালু ইত্যাদি বিশ্বমাপের, কিন্তু আপনার কাছে নয়। যখন আপনার কাছে ভালো লাগেনি তখন সেটা বিশ্বমাপের নয় আর যখন আপনার ভালো লাগার কথা উঠেছে তখন আপনি তাবত বাঙলাদেশী সাহিত্য মহলকে তাদের অজান্তেই আপনার কাতারে দাঁড় করিয়ে ফেললেন? চমৎকার না??
আপনি বলেছিলেন,
আমি তখনই বলেছি শওকত ওসমানকেও দুনিয়াবাসী চেনেনা তারমানে কি সে বিশ্বমানের না? যেহেতু আপনিই বলেছেন বিশ্বমানের হতে হলে তাকে সারা বিশ্বের চিনতে হবে!! আমি শুধু আপনার কথাটাই আপনাকে ফিরিয়ে দিয়েছি, তার বেশী কিছ নয়।
আপনি আমার কথা কোট করেছেন,
তখন তো নিশ্চিত ছিলাম না আপনাকে ঝাঁটার বাড়িটা দেব কিনা, এবার নিশ্চিত। আপনি ঝাঁটার বাড়ি খাওয়ারই উপযুক্ত। আপনি জোড় করে আপনার ব্যক্তিগত অভিমত সবার উপরে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। এই ধরনের লোকের জন্য উপযুক্ত কথা আরোও রূঢ়। আমি অনেক কমই বলেছি। তারপরেও পাঠকের সুবিধার্থে আমরা দেখি আসলে কোন কথার প্রেক্ষিতে আমি ঐ নির্দিষ্ট কথাটা বলেছিঃ
আপনি বলেছিলেন,
তখন আমি বলেছি,” আপনার ব্যক্তিগত মতামত? তারমানে কি আপনার ব্যক্তিগত মতামতই সবার মেনে নিতে হবে? যদি না হয় তাহলে বললেন কেন? আর যদি হয় তাহলে আপনার মুখে ঝাটার বাড়ি। এখানে কথা হচ্ছে বিশ্বমান নিয়ে তাই না? আপনার ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে আমরা কী করব?’
সিদ্ধান্ত পাঠকের হাতে। আরেকটা ব্যাপার বাচ্চাদের মত শুধু আব্বু আম্মু করেন কেন? আপনিও ছোট নন আমিও ছোট নই। ফরিদ ভাইকে ডাকলেই কি আপনার ধারনা আমার লেজ গজাবে ঐ লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য? অদ্ভুত ব্যাপার!!
আপনার কি মনে হয় না আপনি বিরাট স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। আরে ভাই হারমোনিয়ামে বৈচিত্রময় সুর পাওয়া যায় নাকি পাওয়া যায়না তাতে কী আমার পছন্দ পাল্টাবে? আমার কাছে যদি একতারা ভালো লাগে সেটা কী আমার দোষ নাকি আমি ঘুষ খেয়ে সেটা পছন্দ করেছি? আর হিন্দি গান, আমি নিজে হিন্দি গান বিরাট অপছন্দ করি। তো? তারমানে কি আমি এখন বলে বেড়াব যে যেহেতু হিন্দি গানে কোন নতুনত্ব নেই সেজন্য হিন্দি গান ফালতু? আর তাছাড়া , প্রত্যেকটি জিনিসেরই সময়ের চাহিদা থাকে, একতারা, দোতারা তাদের যৌবনে দাপটে বেজেছে। এখন যদি তা জনগনের ভালো না লাগে তাহলে দোষটা বাদ্যযন্ত্রের নয়, দোষটা মানুষের রুচির। আর এটা (দোষ) মোটেও নেগেটিভ সেন্সে নয়। এটাই স্বাভাবিক যে মানুষের রুচি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হবে। মানুষ কিছু দিন পরে যদি হিন্দি গান শোনা ছেড়ে দেয় তারমানে কী হবে যে হিন্দি গান ভালো না( যদিও আমার কাছে কয়েকটা ছাড়া বেশীর ভাগই ফালতু লাগে)? আর আপনার এটাও দেখতে হবে হিন্দি গানে কী পরিমানে ভ্যারিয়েশন এখন এসেছে। আপনার ঐ লতার যুগের হিন্দি গান এখন বিপুপ্ত প্রায়।
আচ্ছা আপনার কাছে মেটাল গান কেমন লাগে? সারা দুনিয়াতে গানের মধ্যে যদি নতুনত্ত্ব থাকে তো আছে মেটাল/রক গানে। এই ব্যাপারে আপনার জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুনতে চাই।
বিবেচিত হয়েছে কাদের কাছে? সঙ্গীত বোদ্ধাদের কাছে? জনগনের কাছে? বাঙলাদেশের যাদের নিয়ে আপনি নাক সিটকোলেন তারাও কিন্তু সঙ্গীত বোদ্ধাদের কাছে এনং জনগনের কাছে গ্রেত বলেই বিবেচিত। আরে ভাই, ঝেড়ে কাশেন তো, বলে দেন আপনার কাছে ভালো লাগে না বলেই তারা গ্রেট নয়।
এনাদার নিউ থিওরি ফ্রম ডক্টর+রাইটার+সিঙ্গার(নট সিঙ্গার কম্পানি বাট গায়ক)মুশফিক। যেহেতু এই গানগুলো আপনার মত মধ্যবয়সীরাই শোনে সে জন্য এগুলো গ্রেট। আপনার নোবেল পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। হাচা কইতাছি।
আপনার ভাষাজ্ঞান আসলেই চমৎকার(এটা আমার কথা নয় আপনার নিজের কথা, আবার বলেন না যেন আপনাকে ব্যক্তি আক্রমন করা হচ্ছে, মানুষের আর তো খেয়ে দেয়া কাজ নাই!!)
আরে ভাই আপয়ার প্রত্যেকটি কথাই তো ঐ পানাহার( পান্তা,), চরম ফুর্তিফার্তি(মঙ্গলপ্রদীপ,একপেশে এসো হে বৈশাখ গান,কিছু আদিম খেলনা কেনা) র অন্তর্ভুক্ত নাকি? আপনার প্রধান বক্তব্য ছিল যেহেতু, নাচা গানা নেই (মানে যেহেতু হুদাই এসো হে বৈশাখ গায়, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালায়, আদিম খেলনা কেনে), পানাহার(মানে হুদাই পান্তা খায়) নেই, চরম ফুর্তিফার্তি(মানে ধীরশান্ত পারিবারিক ঘোরাঘুরি ছাড়া আর কিছুই করে না) নেই সেজন্য আপনার কাছে বাঙলির বৈশাখ উদযাপন ভালো লাগে না। তাই নয় কি? এখন পাঠকরা বলুক আমি অসৎভাবে এমন কিছু বলেছি কিনা যা আপনি বলেন নি।
সে আপনি করতেই পারেন। বাচ্চারা ভয় পেলে অভিভাবকদের ডাকবেই।
কিন্তু পাঠকরা দেখুক কেন ঐ চমৎকার প্রবাদটা(বাঙলা ভাষার কাছে আমি ঋণী এই চমৎকার প্রবাদটার জন্য, নইলে ডক্টর সাহেবকে এটার সাথে পরিচয় করাতে পারতাম না) কেন এসেছেঃ
ডাক্তার সাব বলেছেনঃ
আমি নাদান বালক শুধু জিজ্ঞেস করেছি উনি যদি মনেই করেন যে এগুলো হতে চাওয়া মানেই অসংস্কৃতমনা হওয়া, তাহলে উনি নিজে কেন ডাক্তার হয়েছেন? এই ধরনের ক্ষেত্রে বাঙলায় যে চমৎকার প্রবাদটা রয়েছে সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছি। তারপরেও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সেটাকে কমনীয় রাখতে, ডাক্তাত সাব আবার অন্যেরে বলার সময় কিছু খেয়াল করে না, কিন্তু তাকে বললে অভিভাবকদের ডাকা শুরু করেন। সেজন্য খাটি বাঙলা “গু”কে আমি পূরীষ বলেছি। কিন্তু তাতেও দেখা যাচ্ছে তার গায়ে লেগেছে। দুঃখ, দুঃখ।
তাও ভালো নিজেকে রবীন্দ্রনাথ, আইন্সটাইন, নিউটন, শেলী, বোদলেয়ার, এদের সমন্বয় বলেন নি। বাচলাম। আর আমি কী সেটা আপনি জানেন কী করে? আমি অবশ্যই কিছু না, কিন্তু আপনার তো জানা থাকার কথা নয়?
আচ্ছা আমি আপনাকে ঠিক কোন জায়গায় মিস-ইন্টারপ্রেট করেছি দেখাবেন? এই ধরনের দাবী করা কিন্তু খুবই অপমানজনক, আমি আপনাকে যা কিছু বলেছি তার সবই কোটেশন দিয়েই করেছি, আপনি হঠাৎ করে বলে বসলেন আমি নাকি মিস-ইন্টারপ্রেট করেছি। কোট করুন, ভুল স্বীকার করব।
বদ্ধমনা হলেও সত্য স্বীকার করতে পারি।
সংজ্ঞা যুক্তির অংশ। আর আমি ঐ কথা আপনাকে বলেছি এ জন্য যে আপনিই যেহেতু “বিশ্বমান” কথাটা এখানে শুরু করেছেন সে জন্য আপনাকেই বলতে হবে, বিশ্বমান কী জিনিস, কী কী শর্ত দ্বারা সিদ্ধ হলে তাকে বিশ্বমানের বলা যাবে। তা না আপনি অন্যকে আপনার বানানো জিনিসের গুনাগুন বলতে বলছেন!!!!
আপনি যদি মনে করেন যে লালসালু, আরণ্যকে বাস্তবতা নেই তাহলে এই ব্যাপারে আলোচনা না করাটাই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আমি নিজেও কিন্তু এই মতবাদেই বিশ্বাসী, শুধুশুধু ঝাল মেটালেন। আমি কি আপনার এই কথার ভিন্ন কিছু বলেছি?
আর হুমায়ুন আজাদ? তার সম্পর্কে আমার মতামত জানতে আগে লিঙ্ক দিয়েছিলাম এখন ও দিচ্ছি। এখান থেকে দেখে নিন।
আর হ্যা, পাকিস্তান সম্পর্কে আমি রেসিস্ট।
যাই হোক এই বাক্যের অর্থ বোঝা সম্ভব নয়। কারন জানিনা কিভাবে একটা জায়গায় সবাই নাচে গানে অংশগ্রহন করে, আর করলেই তা হবে উচু সংস্কৃতি???? মারহাবা!!
আর বাঙ্গালী বাঙালি বাঙ্গালি – ৩ টি বানানই সঠিক। সাধে কি বলি, অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী ।
একবার ভেবে দেখেছেন অল্প বিদ্যাই যদি ভয়ংকর হয় তাহলে বেশীবিদ্যা কী হবে???? থাক আর ভাবার দরকার নেই। আমরা দেখি আপনার কথার যথার্থতাঃ
শব্দ উচ্চারণ
বাঙ্গালী বাংগালী
বাঙালি বাঙালি( কোন প্রকার হলন্ত ছাড়াই. সহজ করে বললে, ব্যাঙ যদি বলা হয় তাহলে ব্যাঙ্গ উচ্চারিত হয় না। হয় কি? সঙ বললে সঙ্গ উচ্চারিত হয় না।)
বাঙ্গালি বাংগালি।
যেসব তৎসম শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হয় না সেগুলোতে “ং” হবে না।
যেমনঃ বাঙলা শব্দটি তৎসম। এটির কোন সন্ধি বিচ্ছেদ নেই। সুতরাং এটিতে কোন “ং” হবে না।
আবার “সংবাদ” শব্দটি তৎসম। কিন্তু এটির সন্ধিবিচ্ছেদ হয়। সম+বাদ= সংবাদ
সুতরাং এটিতে অনুস্বার হবে।
হুমায়ুন আজাদ, আহমেদ শরীফ উভয়েই বাঙলা বানানটি ব্যাবহার করত। অবশ্য তারা কোনভাবেই আপনার সমকক্ষ নয়। তাদের মত লোকেদের সাথে আপনার তুলনা করায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
গুস্তাখি মাফ করবেন জনাব।
বাঙলা বানানে আমার বিরাট অক্ষমতা রয়েছে। এর জন্য আমার দুঃখের সীমা নেই। কিন্তু শুধু এই কারনেই যদি আমার বাঙালিত্বে টান পড়ে তাহলে আমার কোন দুঃখ নেই। আমি জানি আমার দেশের অন্তত ৭০ ভাগ মানুষ সঠিক বানান জানে না,এবং তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই লেখাপড়া জানে না। লেখাপড়া করার বিলাসিতাও তাদের নেই। কিন্তু তাতে করে তাদের বাঙালি হওয়া কেউ ঠেকাতে পারেনি। আমি না হয় সেই অংশের প্রতিনিধিত্ব করব।
আমি আপনার প্রত্যেকটি পয়েন্ট হাতে ধরে ধরে বলেছি। আপনি কিন্তু আমার কয়েকটি পয়েন্ট লাফ মেরে এসেছিলেন। ব্যাপার না।
@ডঃ মুশফিক,
@সাইফুল ইসলাম,
দূর্নীতি
পরায়ন
উচু
ধারনা
বৈশিষ্ঠ
শতগুন
আরন্যক
ধারনা
কাতারে
জনগনের
পরিমানে
নতুনত্ত্ব
সিটকোলেন
বাচলাম
গুনাগুন
অংশগ্রহন
জোড়
এবার ১৭ টি বানান ভুল। আগে বানান শিখুন, তারপর কথা বলতে আসবেন।
আপনার মত এত ফ্রি সময় নেই যে এইভাবে আপনার পেছনে নষ্ট করবো।
হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে কবিতা লিখলেই কবি হওয়া যায়না ।
মুক্তমনা মডারেটরের প্রতি পুনরায় দৃষ্টি আকর্ষণঃ উনি আবার ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন। মুক্তমনার পক্ষ থেকে মুক্তমনার নিয়মাবলী ভঙ্গ করার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে বলা উচিত।
@ডঃ মুশফিক,
দুর্নীতি বানানে প্রথমেই দুর্নীতি করেছেন, আর দুর্নীতিগ্রস্ত কিনা তা আমাদের এখানকার আলোচ্য বিষয় নয়। আর বদরুদ্দিন উমরের থেকেও দেখি বড় পণ্ডিত হয়ে গেছেন।
মানবজীবনের সবকিছুই যদি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে আপনি নিজেই বলে দিলেন যে, সংস্কৃতির সংজ্ঞাটি ব্যাপক,যেহেতু সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত।
ভারতসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশেই মানুষ সংস্কৃতিমনা, তারা অনেকেই চর্চা করেন, বাংলাদেশেই এই চর্চা কম। আপনার মন্তব্য থেকেই বোঝা গেল আপনি দুনিয়া সম্পর্কে বিশেষ জানেন না।
আমাদের দেশে একদল নাস্তিক সমাজ রয়েছে, যারা দেশী বই পড়ে বা অধিকার না পেয়ে নাস্তিক, নিশ্চিতভাবেই অনেকের ঘরেই বিদেশী বই নেই বা তার অভাব। এরা প্রকৃত নাস্তিক নয়। আর আমি বলিনি ভাললাগা মন্দলাগা যুক্তিনির্ভর,আমি বলেছিলাম,
বিদেশী সংস্কৃতি অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও আবেদনময় এবং তাতে ফ্যাশনের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে । আমাদের সংস্কৃতি দুর্বল ও গ্রামীণ বলে (ফতুয়া-লুঙ্গী-গামছা ইত্যাদি) দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে।তাই শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং বিশ্ব ইংরেজি/ভারতীয় ইত্যাদি সংস্কৃতি ও ফ্যাশনের দিকে ঝুঁকছে ।
পুরো বিশ্বের কথা বলেছিলাম, আমার নিজস্ব কিছু বলিনি। আপনি নিয়ে এসেছেন আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের কথা ! হাস্যকর !
আইনস্টাইনের তত্ত্ব নবম দশম শ্রেণীর জন্য নয়, এটি একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ানো হয়। ভুল তথ্য দিয়েছেন, কবির বিজ্ঞানচর্চা দেখে বড়ই পুলকিত হলাম।
লেখক জানেনই না যে গজল আল্লাহ নবীর গান নয়, বরং সেগুলো হামদ নাত নাজম বা কাওয়ালী সঙ্গীত, এদের পার্থক্য টাও বোঝেন না !
আপনার ভাষাজ্ঞান দুর্বল,আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা আপনার বাক্যগঠনে সেইরূপে প্রকাশ পায়নি। এমনভাবে লিখুন যাতে আপনার মনোভাব ১০ জনে বুঝতে পারে। কোন মাপেরই মনে হয়না কথাটি অস্পষ্ট ।
আপনার কথার দাম দেওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা, কিন্তু ডঃ আজাদ/আহমদ শরীফ/শওকত ওসমানেরা যা বলে গেছেন,তারই পুনরাবৃত্তি হয়েছে আমার কথায়,সুতরাং তাদের কথার মূল্য থাকলে আমার কথারও মূল্য আছে।
ওয়ালিউল্লাহ সম্পর্কে একই কথা বলে গেছেন ডঃ হুমায়ুন আজাদ। তাকেও আপনি ঝাঁটার বাড়ি মারতে চান নাকি ?
আপনার পছন্দ ও রুচি যে নিম্নমানের হবে তা আপনার পুরীষ পাছা ঝাঁটা যৌনকেশ -এসব শব্দ থেকেই বোঝা যায় !
মোহাম্মদ রফি,মেহদী হাসান,লতা মঙ্গেশকরদের যেমন ভারত চেনে, তেমনি পাকিস্তান চেনে, বাংলাদেশও চেনে। মার্কেটিং ১টি ব্যাপার কিন্তু এটিই সব নয় (১০০% নয়, তাদের গায়কী দক্ষতার কারণেই (এটিই প্রধান) দুনিয়া তাদের চেনে, বাংলাদেশি গায়ক গায়িকাদের দুনিয়া চেনেনা, ভারত পাকিস্তান চেনেনা।
আবার সেই ব্যক্তিগত পছন্দ ! আর হিন্দী গানে নতুনত্ব নেই, এটা তো চরম মিথ্যে কথা !
এতক্ষণ অনেক বানান ভুলসহ কিছুটা শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিলেন, এখন দেখি আপনার আসল চেহারা বের হয়ে গেছে, ডঃ জাফর ইকবাল কবিদের নিয়ে একটি নাটক লিখেছিলেন, ওখানে কবি প্রথম প্রথম শিষ্ট ভাষায় কথা বলে, পরে দেখা যায়, একটু খোঁচা দিতেই তার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
জনাব ফরিদ আহমেদ মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলেছিলেন, আমি সেই মোতাবেক দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। আপনার এই কথাটাই তো অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ! আর আপনি বাচ্চা ও অভিভাবক শব্দটি ব্যবহার করে চরম নোংরামি করেছেন।
ডাক্তার যেমন হয়েছি, তেমনি রেডিওতে গজলও গেয়েছি, আবার লেখালেখিও করি, ডাক্তার হয়েও যে ডাক্তারদের সমালোচনা করতে পারি,এখান থেকেই প্রমাণ হয় আমি নিরপেক্ষ। আপনার মত রেসিস্ট না যে দেশ বা উর্দু ভাষাকেও ঘৃণা করতে পারে !
প্রতিটা পরতে পরতে মিস-ইন্টারপ্রেট করে এখন সাধু সাজছেন ! আপনার মত হীনমনাদের পক্ষেই এমন দ্বিমুখী দ্বিচারিতা করা সম্ভব। একদল আছে নিজে গালি দিয়ে অন্যদের বলে ” ভাইসব গালি দিবেন না ” আপনি ঐ শ্রেণীর লোক ।
একটি বিষয় সম্পর্কে কতগুলো যুক্তি দেওয়ার পরই ঐ বিষয়টির সংজ্ঞা দেওয়া যায়। তাই যুক্তি সংজ্ঞার অংশ, সংজ্ঞা যুক্তির অংশ নয়।
আপনি যদি এই মতে বিশ্বাস করেন যে, ৯৫% অপাঠ্য আর ৫% পাঠ্য, তাহলে বাঙ্গালি সংস্কৃতি যে অত্যন্ত নিম্নমানের তা আপনার কথার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়।
রেসিস্ট মানুষ কখনো যুক্তিতর্কের ধার ধারেনা। আপনার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে।
আমি কোন পয়েন্ট স্কীপ করিনি, আপনার বোঝার ভুল। আমি লেখা সংক্ষিপ্ত করার জন্য আপনার ২-৩ পয়েন্টের যুক্তি একসাথে দিয়েছি ।
আর বানান ভুল করা লোকের ব্যাকরণ নিয়ে কথা বলা মানায় না। আর ৩টি বানানই সঠিক তার প্রমাণ আপনাকে দিয়েছি। বেঙ্গলি লিনাক্স অনলাইন ডিকশোনারীও চেক করতে পারেন !
যাই হোক, লিখলে সংক্ষিপ্ত করে লিখবেন। থিসিস লিখবেন না, সময় নষ্ট করার মত অফুরন্ত সময় আপনার থাকতে পারে, আমার নেই। ধন্যবাদ।
@ডাগালে,
আফনাড় ছময়েড় অবাভ থো এইকাণে বকবক কড়চেণ খেণ? আফণে বিড়াট ডাগালে(ডাক্তার+গায়েন+লেখক) ছেটী পেরমান কড়াড় ঝণ্য?
ণিশ্চিত তাকেন আফণি না আছলে সবাই কুউউউউব কুশী হবে।
@সাইফুল ইসলাম,
:lotpot: তোমার এমন মনোরম কমেন্টস করার পর আর না হেঁসে থাকতারলাম না।
কেমন আছ ?
@মামুন ভাআআআইইইই,
কী খবর আপনার????
আমি ভালো।
আর বলবেন না, এমন একজন ভারসেটাইল জিনিয়াস পেয়ে মুক্তমনার সদস্য হিসেবে অনেক গর্ব হচ্ছে। আশা করি সবারই হচ্ছে। মুক্তমনা ধন্য। :))
@সাইফুল ইসলাম,
হাশথে হাশথে ঝাণ ষেস। হবে ভাণাণঠি বূল হএ গেচে।হভে হভে।
ডাগালে:lotpot:
@সাইফুল ইসলাম,
ভীষ্বমাণেড় ভাধ ফড়েচে। ভীষ্বমাণেড় ঢাঘালে হভে।
ইন্টারনেট আর গুগলের সমন্বয়ে একটা ব্যাপার ঘটেছে যে নেটে আলোচনায় name dropping অত্যন্ত সহজ হয়ে উঠেছে।Name Dropping এর মানে হলো কথার মাঝে বড়ো বড়ো কিছু নাম ঝেড়ে নিজেকে অনেক জানাশোনা জাহির করার চেষ্টা করা। অবশ্য ভালো name dropper হতে হলো কিছুটা জানাশোনা থাকতে হয়, নাহলে তাড়াতাড়িই ধরা খাবার সম্ভাবনা। আমাদের এই ড: মুশফিক যে একজন amateur name dropper ছাড়া আর কিছু নয় তা প্রথম থেকেই বোঝা গিয়েছিলো। অবশ্য তিনি এডমিন এর সা্র্টিফিকেট প্রাপ্ত বিশিষ্ট অ্যাটাকিং ব্লগার।
যে লোক বিশ্বমানের কথা বলতে গিয়ে একলাইনে গ্যাব্রিয়েল গারসিয়া মারকেস (মারকেজ নয়) আর ড্যান ব্রাউনের কথা বলে, সেই লোক ড্যান ব্রাউনের নীলক্ষেত কপি পড়তে পারে, এবং মারকেসের নাম শুনে থাকতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই মার্কেস পড়া হতে পারে না। এই লোক উপন্যাসের সাহিত্যগুন আলোচনায় বলে, “লালসালু ও আরণ্যকের সাহিত্যমান তেমন উঁচুদরের নয়, পথের পাঁচালী নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের, পথের পাঁচালীতে ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজমের ব্যবহার স্পষ্ট”। কথাটা পড়ে কয়েক সেকেন্ড বিমূঢ় হয়ে ছিলাম। পথের পাঁচালী উপন্যাসে ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজম!! পরমূহুর্তে খেয়াল হলো সত্যজিতের ‘পথের পাঁচালী’ সিনেমাটি ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজম ওয়েভের প্রভাবিত। ২ সেকেন্ডে বের হলো wiki তে film টি সম্পর্কে রয়েছে “Pather Panchali was a critical and popular success. Influenced by Italian neorealism…”
ড: মুশফিক একজন internet troll এর প্রকৃষ্ট উদাহরন। কথায় আছে please don’t feed the trolls। কিন্তু এডমিন মনে করছে এধরনের লেখক ব্লগে ট্র্যাফিক বাড়াবে। শর্ট টার্মের জন্যে ভালো স্ট্র্যাটেজী নিশ্চই।
এডমিন এর কাছে অনুরোধ, ড: মুশফিক এর অপ্রকাশিত মন্তব্যগুলি কোনোভাবে আলাদাকরে প্রকাশ করা যায় না? তার কথাগুলি সাইবার স্পেসে চিরকালের জন্যে হারিয়ে যাবে ভাবতে খারাপ লাগছে।
@সফিক,
ডঃ মুশফিকের এই মন্তব্য পড়ে আমিও বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজম মূলত ফিল্ম কেন্দ্রিক একটি আন্দোলন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে এর সূত্রপাত হয়। পথের পাঁচালি সিনেমাটা ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজমের অনুসরণে তৈরি হয়েছে, এটা সবাই-ই জানে। পথের পাঁচালি নির্মাণের আগে এই ধারায় নির্মিত ভিত্তরিও দা সিকার বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র বাইসাইকেল থিফটি সত্যজিত রায় দেখছিলেন পঞ্চাশবারের মতন (এই মুহুর্তে রেফারেন্স দিতে পারছি না বলে দুঃখিত)।
অন্যদিকে পথের পাঁচালি উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯২৮ সালে। ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজম শুরু হবার পনের বছর আগে প্রকাশিত একটা উপন্যাস কীভাবে এর দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। বরং উলটো আমরাই হয়তো দাবী করতে পারি যে, পথের পাঁচালির দ্বারাই ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজম প্রভাবিত হয়েছিল। 😛
@ সফিক ও ফরিদ আহমেদ,
ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজম মূলত নয় বরং সম্পূর্ণই চলচিত্র বিষয়ক কনসেপ্ট ।
যতই বলুন না কেন, এটা সবাই জানে না। ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজমের নামই শোনেনি অনেকে । তথ্যসূত্র উল্লেখ না করলে এরাই আমাকে বলে আমি নাকি ডঃ ইউনূস নিয়ে মনগড়া কথা বলেছি, আবার তথ্যসূত্র দিলে বলে ইন্টারনেট ট্রল। দারুণ দ্বিচারিতা ! দুদিক থেকেই অজুহাত দিবে !
পথের পাঁচালি উপন্যাসকে দুনিয়া চেনেনা, চেনে পথের পাঁচালি চলচিত্রটিকে। তাই ওটার নাম আসলেই মানুষ চলচিত্রের কথাই প্রথমে মনে করে। সেইক্ষেত্রে আমার দাবী একেবারে সঠিক । আমি এখানে শুধু উপন্যাস নয় বরং চলচিত্র সঙ্গীত নৃত্যসহ বিভিন্ন দিক আলোচনা করেছি।
আসলে ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না, তাই গুগল তারাই করেছেন এবং এখন কথার প্যাঁচে ফেলে আমাকে ট্রল ফ্রল প্রমাণ করতে চাচ্ছেন। আমি একজন মানুষ, কম্পিউটার নই, আমার লেখার প্রত্যেকটি লাইনই পুঙ্খানুপুঙ্খ হবে, এমন আশা করাটা অসঙ্গত, তাই আমার লেখার কোথাও সংক্ষিপ্ততা বা অস্পষ্টতা থাকতেই পারে, সেইগুলো নিয়েই সফিক সাহেবের মত নিজের নামের সঠিক বানান করতে না পারা মানুষ যখন হাউকাউ করে ওঠেন,তখন সত্যিই মজা লাগে ।
Italian neorealism (Italian: Neorealismo) is a style of film characterized by stories set amongst the poor and working class, filmed on location, frequently using nonprofessional actors.
ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজমের জন্য এই ২টি ব্যাপার লাগবেঃ
১) filmed on location
২) using nonprofessional actors
যা উপন্যাসে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক । অতএব, :lotpot:
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা । 🙂
@ডঃ মুশফিক,
আপনার দাবী মোটেও সঠিক নয়। আপনি উপন্যাস সম্পর্কেই এই দাবীটা করেছিলেন, চলচ্চিত্র সম্পর্কে নয়। দেখা যাক সাইফুলকে কী বলেছিলেন আপনি।
এখানে পথের পাঁচালী চলচ্চিত্র কোথায়?
এর আগেও আপনি দাবী করেছেন যে, সফিক সাহেবের নামের বানান ভুল। এরকম হাস্যকর দাবী করছেন কোন ভিত্তিতে? এটা তাঁর নিজের নাম। তিনি শ দিয়ে লিখবেন না স দিয়ে লিখবেন সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। এখানে শুদ্ধ অশুদ্ধ বলার আপনিতো কোনো অথরিটি নন।
আমার এই সারকাজমের উত্তরে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা-টাকা ইত্যাদি যা যা লিখলেন, তার কোনো কিছুই বোধগম্য হলো না আমার। 🙁
@ফরিদ আহমেদ,
আমার লেখাতে, এখানে পথের পাঁচালী উপন্যাস শব্দটি কোথায় ? উপন্যাস শব্দটির নামগন্ধও নেই !
পথের পাঁচালী বলতে চলচিত্রই সকলের মাথায় আসে, কেননা ওটিই বিখ্যাত ।
বিভূতিভূষণকে অনেকেই চেনেনা । না চেনা অবশ্য ভাল কিছু নয় ।
উঠোন বাঁকা সফিক সাহেবকে বলেছি, আপনাকে নয়। আপনি আহত হয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। তবে এটাও খেয়াল রাখা দরকার, এসব ট্রল ফ্রল বিদ্রূপাত্মক শব্দ ব্যবহার করলেও আমিও আহত হই । এদিকে মুক্তমনার দৃষ্টি নেই, কারোর কমেন্ট মডারেশন হয়না, আমি সদস্য নই বলে আমারটা হয়, আইন সকলের জন্য সমান হওয়া উচিত।
সফিক কেউ লেখেনা, এমন বিদঘুটে বানান দেখলে তো সমালোচনা হবেই, এখানে অথরিটির প্রশ্ন না, এখানে ক্রিটিসিজমের প্রশ্ন ।
@ডঃ মুশফিক,
তা ঠিক। :))
উপন্যাস শব্দটির নামগন্ধ যেমন নেই, তেমনই চলচ্চিত্র শব্দটিরও টিকিটিও নেই ওখানে। আপনি যখন একই লাইনে লালসালু, আরণ্যকের সাহিত্যমানের সাথে তুলনা করে বলছেন যে, পথের পাঁচালীতে ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজমের ব্যবহার স্পষ্ট, তখন পথের পাঁচালী বলতে আপনি যে চলচ্চিত্র না বুঝিয়ে উপন্যাসকে বুঝিয়েছেন সেটাই আমি ভেবে নিয়েছি। আপনি যে, প্রায়শই আমের সাথে আপেলের তুলনা করেন সেটা ভুলে গিয়েছিয়াম আমি। 🙂
অনেকের ক্ষেত্রে এরকম হতেই পারে। এতে দোষের কিছু দেখছি না আমি। আমার অবশ্য ভিন্ন। আমি পথের পাঁচালীর কথা ভাবলে উপন্যাসের কথাই ভাবি, চলচ্চিত্রের কথা নয়। এর কারণ হচ্ছে যে, আজ পর্যন্ত যতগুলো উপন্যাস আশ্রয়ী চলচ্চিত্র আমি দেখেছি তার সবগুলোই আমাকে কিছুটা হলেও হতাশ করেছে। কোনোটাই গুণে-মানে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি মূল উপন্যাসকে। তবে কথা হচ্ছে যে, সাহিত্যের সাথে সাহিত্যেরই তুলনা চলে, চলচ্চিত্রের নয়। আরণ্যক, লালসালুর সাথে তাই তুলনা চলে কেবলই উপন্যাস পথের পাঁচালীর, চলচ্চিত্র পথের পাঁচালীর নয়।
মানুষ না চিনলেও উৎকৃষ্ট বস্তু উৎকৃষ্টই থাকে, তা অবিশ্বমানের হয়ে যায় না। বিভূতিভূষণ, সত্যজিৎ রায় এবং পথের পাঁচালী নিয়ে আপনার পছন্দের ব্যক্তি হুমায়ুন আজাদের দু’টো মন্তব্য এখানে তুলে দিচ্ছি।
‘
বাংলাদেশে সবাই রহমানই লেখে। কাউকে কখনো দেখি নি শফিক রেহমান, রেহমান সোবহান বা শামসুর রাহমানের নাম নিয়ে সমালোচনা করতে।
@ ফরিদ আহমেদ,
কেউ না কেউ ডঃ হুমায়ুন আজাদের ঐ উক্তিগুলো প্রকাশ করবে, সেটা আমি জানতাম দেখেই লিখেছিলাম,
না চেনা অবশ্য ভাল কিছু নয় ।
পথের পাঁচালী- উপন্যাস কিংবা চলচিত্র যেটাই হোক, দুটোই বিশ্বমানের। আমি কোনটারই বিরোধিতা করিনি, আর বিভূতিভূষণ কে না চেনারও প্রতিবাদ করেছি, বিরোধিতা করেছি শুধু লাল সালু আর আরণ্যকের ।
এটা আপনার ব্যক্তিগত অভিমত, সকলের অভিমত নয়, বাস্তবে বিভূতিভূষণকে দুনিয়া চেনেনা, অথচ সত্যজিৎ রায়কে সারা দুনিয়া চেনে। যাই হোক, সারা দুনিয়া চিনলেই হয়না, আমারো একই কথা। কিন্তু বাংলা আউল বাউল গান চলচিত্র ও নৃত্যের হাল এতই বেহাল যে, ওগুলোর দিকে তাকানোই যায়না । ৫% ভাল হলে তো হবেনা, ৯৫% ভাল হতে হবে।
কাউকে কখনো দেখি নি শফিক রেহমান, রেহমান সোবহান বা শামসুর রাহমানের নাম নিয়ে সমালোচনা করতে।
বাংলাদেশে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী/সুশীল সমাজের ১টি ব্যক্তিও সফিক লেখেন না যেমনঃ শফিক রেহমান, শফিকুর রহমান, , গ্রামে গঞ্জে দেখা যায়, শফিক কে সফিক লিখতে, সম্ভবত আমাদের মুক্তমনা লেখক একমাত্র সফিক ।
সফিক দিয়ে গুগলে সার্চ করতেই দেখলাম কয়েকটি সাইট, প্রথম কয়েকটি হলোঃ
১)নূপুরের চিঠি (প্রাপক: সদ্য আত্নহত্যা করা স্বামী সফিক)
২)বর্তমানে মনোহারগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা সফিকুর রহমান সফিক বলেন
৩)তেলের স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে সৌদি আরবে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশির নাম সফিক মিয়া (৪৫)।
১ জন আত্মহত্যাকারী, ১ জন বিএনপি নেতা, ১ জন শ্রমিক ।
বাড়তি মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ।
আমাকে উদ্দেশ্য করে করা আগের মন্তব্যেই আপনি বলেছেন যে, আপনার মন্তব্যে উপন্যাস শব্দটিই নেই। পথের পাঁচালী বলতে আপনি চলচ্চিত্রকেই বুঝিয়েছেন। এখন আবার উপন্যাস এলো কোথা থেকে?
যাক, অবশেষে আমরা অন্তত এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি যে, সারা দুনিয়া চিনলেই সেটা সবসময় বিশ্বমানের হয় না, আর সারা দুনিয়া না চিনলেও বিভূতিভূষণদের মত মানুষদের সৃষ্ট বিশ্বমানের মণিমুক্তোগুলো পড়ে থাকতে পারে অলক্ষ্যে।
গ্রামে গঞ্জে মানুষ শফিককে সফিক লিখলে আপনার সমস্যাটা কোথায়? আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি, বি এনপি নেতা বা একজন শ্রমিকের নাম সফিক হওয়াতে অসম্মানের কী হলো? আপনার এই অদ্ভুত উন্নাসিকতার মানে বুঝতে পারছি না। আপনি কি কোনো কারণে গ্রামের অশিক্ষিত লোকজন বা শ্রমিক শ্রেণীর মানুষকে ঘৃণা করেন?
@ফরিদ আহমেদ,
এখন তো উপন্যাস আসেনি । আমি বলেছি, পথের পাঁচালী- উপন্যাস কিংবা চলচিত্র যেটাই হোক, দুটোই বিশ্বমানের। আমি কোনটারই বিরোধিতা করিনি ।
আমি বলেছি সাধারণভাবে (In Generally) এটি বুঝিয়েছি, নিওরিয়ালিজমের প্রশ্নে নয়। লেখায় কমা বা সেমিকোলন মাঝে মাঝে দেওয়া সম্ভব হয়না, তো আপনি ঐ টাইপের খুঁত ধরার চেষ্টা করছেন ।
আমি কখনোই সারা দুনিয়া চেনার – ব্যাপারটিই যে বিশ্বমানের হওয়ার একমাত্র কারণ, তা বলিনি, আমি বলেছি, বিশ্বমানের হওয়ার পেছনে দক্ষতার মূল্য অবশ্যই সারা দুনিয়ার চেনার ব্যাপারটির থেকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ।
সমস্যাটি হলো গ্রামের জনগণ অধিকাংশই শিক্ষিত নয়, তাই তারা ওভাবে লেখে। আর আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি, বি এনপি নেতা বা একজন শ্রমিকের নাম সফিক হওয়াতে অসম্মানের ব্যাপার রয়েছে।
আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি চরম নির্বোধ, জীবনের প্রতি তার এই অসম্মানজনক ছেলেখেলাই তার মানুষ পরিচয়ের প্রতি অপমানজনক ।
শ্রমিক শিক্ষিত নয় বলে, তার সংস্কৃতি নিম্নমানের। আমাদের দেশের শ্রমিকেরা বিদেশে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়, অবৈধভাবে বিদেশে যায়, নারীঘটিত কেলেংকারী, সমকামিতা ও গালাগালিতে এদের চেয়ে শীর্ষস্থানে কেউ নেই। তাই বাংলাদেশের শ্রমিকেরা অবশ্যই সম্মানের যোগ্য নয় ।
গ্রামের মানুষের প্রতি বা শ্রমিকের প্রতি মানুষ হিসেবে আমার ঘৃণা নেই, তারা পড়ালেখার সুযোগ পায়নি বলেই তাদের এই দশা । তবে তাদের বাস্তবের কার্যকলাপে নিশ্চয়ই যে কোন সচেতন ব্যক্তির ঘৃণা আসার কথা ।
@ফরিদ আহমেদ, আমাদের সবারই জানাশোনায় ঘাটতি রয়েছে। আমরা একে অপরের তথ্যভিত্তিক অজ্ঞানতাকে আক্রমন করতে পারি কিন্তু পুরো বুদ্ধিভিত্তিক ক্ষমতা কি আক্রমনের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ? এর আগে এক লেখার মন্তব্যে পড়েছিলাম অনেক নবীন, মুক্তচিন্তায় উৎসুক মুক্তমনায় আলোচনা করতে ভয় পায় পাছে সবার সামনে হেয় হবে এই ভয়ে।আমরা আশাকরি মুক্তমনা নি:শংক আলোচনাকে উৎসাহিত করবে সবসময়ে। ড: মুশফিকের স্টাইল সে ধরনের পরিবেশের উপরে কি প্রভাব ফেলতে পারে সেটা ভাবা উচিৎ।
মত প্রকাশের স্বাধীনতাই হওয়া উচিৎ মুক্তমনার প্রধান স্তম্ভ। সুতরাং কারো শালীনভাষায় পরিবেশিত মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়া কখনই সমর্থন করা যায় না। কিন্তু মুক্তমনা এডমিন এর উচিৎ নীতিলংঘনকারীদের সবার সামনে জানিয়ে দেয়া যে এধরনের আচরন কাম্য নয়। রিপিট অফেন্ডারদের সাময়িক শাস্তি’র কথাও ভাবা যেতে পারে। নাহলে একের পর এক থ্রেডে কমেন্ট অপশন বন্ধ করতে হবে। আর মডারেটরদের অতিরিক্ত পরিশ্রম এর কথা না বললেও হয়।
@সফিক,
এই বিষয়টা আসলে গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা চাই যে, মুক্তমনার যে কোনো লেখার উপরে আলোচনা চলুক, তর্ক-বিতর্ক চলুক। অনেক সময় মূল প্রবন্ধের চেয়েও আলোচনা জমজমাট হয়ে যায়। এটা আমরা অতীতে বহুবারই দেখেছি মুক্তমনায়। কিন্তু সেই তর্ক-বিতর্ক যখন ব্যক্তিগত ইগোতে পর্যবসিত হয়, ব্যক্তিগত জয়-পরাজয় হিসাবে কেউ কেউ দেখে থাকেন, তখন আশংকিত না হয়ে পারা যায় না। বিতর্কের ঠিক কোন জায়গাটাতে থেমে যেতে হবে, সেই পরিমিতবোধটা না থাকলে শেষ পরিণতিটা অবশ্যম্ভাবীভাবে তিক্ততায় গিয়ে ঠেকে। এই লেখায় যেমন মোজাফফর অত্যন্ত বুদ্ধিমানের মত এক পর্যায়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে বিতর্ক থেকে। এর জন্য তাকে টিটকারিও সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে ওটাই ছিল সবচেয়ে পরিণত আচরণ।
মুক্তমনার সদস্যরা এই পরিমিতবোধ এবং পরিণত আচরণ অর্জন করতে পারলে, মডারেটরকে আর কমেন্ট বন্ধ করার মত বিকল্প রাস্তায় যাবার প্রয়োজন হয় না বার বার।
@সফিক,
আপনি আমাকে ট্রল বলে আক্রমণ করছেন, এটা কি শোভনীয় কিছু ? আমার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতাকে আক্রমণ করে আমাকে ট্রল বানিয়ে দিয়েছেন, ঐ যে বলেছিলাম না, একদল গালাগালি করে বলে “ভাইসব গালাগালি করবেন না” ঐ রকম।
আর তথ্য আমি ভুল দেইনি, আপনি বুঝতে ভুল করেছেন, নিওরিয়ালিজম যে একান্তই চলচিত্রের বিষয়, সেটি না জেনেই আপনি ভেবেছেন আমি ওটা উপন্যাস সম্পর্কে বলেছি, গুগল তো আমার আগে আপনি করেছেন
পরমূহুর্তে খেয়াল হলো সত্যজিতের ‘পথের পাঁচালী’ সিনেমাটি ইটালিয়ান নিওরিয়ালিজম ওয়েভের প্রভাবিত। ২ সেকেন্ডে বের হলো wiki তে film টি সম্পর্কে রয়েছে “Pather Panchali was a critical and popular success. Influenced by Italian neorealism…”
আপনার যদি খেয়ালই হয়ে থাকে, তাহলে আর উইকি করার কি দরকার ছিল, আপনি লিখেছেন, ২ সেকেন্ডে বের হলো wiki তে film টি সম্পর্কে রয়েছে এতেই তো বোঝা যায়, আপনি আসলে জানতেনই না, উইকি করে তারপর জেনেছেন, আর নিজের অজ্ঞানতা ঢাকতে লিখেছেন, পরমূহুর্তে খেয়াল হলো ।
জনাব সাইফুল ইসলাম তার বাক্যে ভাষার ফুলঝুরি ঘটিয়েছেনঃ
১)ঝাঁটার বাড়ি
২) পুরীষ
৩) পাছা
৪) যৌনকেশ
শব্দগুলো ব্যবহার করে, তার লেখার উপর কোন মডারেশন নেই অথচ, আমার যুক্তিখণ্ডন করা বড় আকারের (সুবিশাল নয়), মন্তব্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বলতে পারবেন আর আমি রিপ্লাই দিতে পারবো না ?
জনাব সাইফুল ইসলামের গালাগালি দোষের নয়, আমার যুক্তিখণ্ডন দোষের ?
@ফরিদ আহমেদ, সত্যজিৎ মনে করতেন বিভুতিভূষন নোবেল না পাওয়া নোবেল এর সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরে। আমার প্রিয় বিভূতিভূষন ‘আরন্যক’। ‘পথের পাচালী’ এসএসসি’র সিলেবাসে থাকায় অসংখ্যবার পড়া। ‘আরন্যক’ এর মতো আর কোনো উপন্যাস আমাকে কখনো এতোটা আচ্ছন্ন করে রাখেনি।
@সফিক,
এটা আপনি কি কইলেন ভাই 🙁 । ব্রাউনের লেখায় রিয়ালিজম না হোক, ম্যাজিকের তো অভাব নেই! মারকেস আর সে জ্ঞাতি-গুষ্ঠি বললেও অন্যায় হয় না 😛 ।
@রৌরব, মিলটা মাথায় আসে নি। সত্যই, ড্যান ব্রাউনকে মার্কেসের ভাবশিষ্য বলাই যায়। (F)
@সফিক,
প্রথম থেকেই আমিও বুঝেছিলাম, কিন্তু যে মানুষ ঘোষণা দিয়ে বলতে পারেন যে, তার ভুল কেউ প্রমাণ করতে পারবেনা, তার সাথে আমার মত অল্প বিদ্যার মানুষ তর্ক করবে কোন সাহসে। একবার ভেবেছিলাম এডমিনকে অনুরোধ করবো ওকে সকল পাঠক-লেখকের সমালোচনা করা থেকে বারণ করতে, অন্যতায় নতুনেরা আসার সাহসই করবেনা।
আমারও সত্যি ইচ্ছে জাগে জানতে, মুশফিক সাহেবের মন্তব্যগুলোতে কী লিখা ছিল যা আটকে দেয়া হয়েছে?
@আকাশ মালিক,
অ্যাডমিন/মডারেটরের কাছে অনুরোধ করুন, ঐ মন্তব্যগুলোতে কি লেখা ছিল তা প্রকাশ করতে,ওতে কাজী রহমান সম্পর্কে কিছু কথা বলা হয়েছিল, তাও গালাগালি নয়, আমি পুরীষ ঝাঁটার বাড়ি অন্ধ এইরকম গালাগালি ও নোংরা ভাষা ব্যবহার করিনা, ওখানে ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় কাজী রহমানকে বুদ্ধিজীবী বলা হয়েছিল। তাই-ই কিনা তা মডারেটরকে জিজ্ঞাসা করুন।
ইস্যু বের করতে ভালোই ওস্তাদ আপনারা ।
@ডঃ মুশফিক, আপনাকে অভিনন্দন , মুখোশধারী সাংস্কৃতিক ও দেশপ্রেমিকদের মুখোশ উম্মোচনে অকুতোভয়ে একাকি লড়াই করার জন্য। :clap :clap
@ফারুক,
আবার আপনার যৌনকেশ পোড়ানো মন্তব্য। এখানে আপনি মুখোশধারী সংস্কৃতিবান আর দেশপ্রেমিক কোথায় দেখলেন? ডাক্তার সাব তো শুধু তার নিজস্ব থিওরি কপচাচ্ছেন এখানে।
ডাগালে(ডাক্তার+গায়ক+লেখক) সাহেব কি আপনার বাড়ির লোক নাকি ভাই? এক্কেবারে মিল্লা গেল মনে হয়!!!!
@সাইফুল ইসলাম,
নুতন জ্ঞানদানের জন্য ধন্যবাদ। এতদিন জানতাম কলমের কালি তলোয়ারের চেয়েও ধারালো – অর্থাৎ কাটতে জানে। এখন জানলাম এটা আগুন – পোড়াতে ও জানে।
অন্ধ আর বদ্ধ না হলে তো দেখার কথা , যেমন আমি দেখলাম। :))
এই পৃথিবীতে যখন ঘর বেধেছি , তখন এই পৃথিবীর সকল বাসিন্দাই আমার বাড়ির লোক হবে , এটা তো জানা কথা। আপনি দুটো ভাল কথা বলুন ডাক্তার সাহেবের মতো , দেখবেন আপনার সাথে ও আমার মিল খুজে পাওয়া যাবে।
@ফারুক,
আপনাকে দর্শক সারিতে রেখে ডঃ মুশফিক যে মুখোশধারী সাংস্কৃতিক ও দেশপ্রেমিকদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য একাকী লড়াই করছেন সেটা জানা ছিল না আমার। আমার ধারণা ছিল যে, আমরা একটা বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছি। ডঃ মুশফিকও যদি আপনার মতই ভেবে থাকেন যে, তিনি লড়াই করছেন মুখোশধারীদের বিরুদ্ধে, তবে পালটা আঘাত গ্রহণের জন্যও তাঁকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেটাও তাঁকে ওই একাকী লড়াই করার মত একাকীই বরণ করতে হবে। কারণ, তিনি হয়তো জানেন না যে, দর্শকসারিতে বসে অন্যের জন্য হাততালি দেওয়া ছাড়া লড়াই এ অংশ নেওয়ার কোনো মুরোদ আপনার নেই।
@ফরিদ আহমেদ,দর্শক ছাড়া তর্ক-বিতর্কই বলুন আর মোরগ-লড়াই বলুন , কোনটাই জমে না।
ব্যাক্তি আক্রমনকে (ডাগালে নামকরন ও অশ্লিল শব্দ চয়ন) লড়াই না বলে তর্ক-বিতর্ক বলা আপনার ও আপনার সমমনাদের পক্ষেই সম্ভব।
শুধু হাততালির কি ক্ষমতা , সেটাতো আপনার ভালই জানা থাকার কথা। স্মরন করুন , আমার সেই বিখ্যাত হাততালির কথা। মডারেশনের কাচি হাতে ব্লগানোর মুরোদ থাকা এমন কোন মুরোদ নয় , এটা সাদ্দামের মুরোদের মতৈ।
অ.ট- একটি জিজ্ঞাসা প্রকাশের অপেক্ষায়। এটার কি আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা আছে?
ডঃ মুশফিক এখন পর্যন্ত বলেন নি যে, তিনি লড়াই করছেন। অথচ আপনি ঠিকই তাকে লড়াইয়ে নামিয়ে দিতে চাচ্ছেন আপনার সেই বিখ্যাত ক্ষমতাবান হাততালির মাধ্যমে। এখানে ব্যক্তি আক্রমণ দুইপক্ষ থেকেই হয়েছে। আপনার যদি দুই চোখে দেখার ক্ষমতা থাকতো তবে ঠিকই দেখতে পেতেন। কিন্তু আফসোস, আপনার একটা চোখ সবসময় বন্ধই থাকে। আমার আবার উলটো। দুই চোখেতো দেখি-ই, সেই সাথে একটা তৃতীয় নয়নও আছে। মুক্তমনার অদৃশ্য অনেক কিছুই আমি দেখি, যা আপনি দেখেন না।
মডারেশনের কাঁচি হাতে নিয়ে ব্লগাই না আমি। আপনি বুঝবান হলে এতদিনে সেটা বুঝে যেতেন। মডারেশনের কাঁচির চেয়েও আমার নিজস্ব অস্ত্র অনেক বেশি আধুনিক এবং বিধ্বংসী। এই কাঁচি হাতে থাকাতে আমার বরং ক্ষতিই হয়েছে। নিজস্ব অস্ত্র ব্যবহারের স্বাধীনতা হারিয়েছি আমি।
একটি জিজ্ঞাসা নাকি ভুল জানা? ভুল জানা আলোর মুখ দেখেছে। লেখার পেন্ডিংটা সবসময় চেক করা হয় না। আগে পেন্ডিং এ কোনো লেখা থাকলে মডারেটরদের কাছে একটা অটো ইমেইল যেত। ইদানিং সেটা দেখছি না। আশা করি শাফায়েত সেটিকে ফিরিয়ে আনবে। কোনো লেখা জমা দেবার পরে সম্ভব হলে একটা মেইল দিয়েন মডারেটর বরাবরে। সেক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভবপর হবে।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। (F) (F)
মোজাফফর, আপনি সহ মুক্তমনার সবাইকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা। (F)
ঠিক সময়ে সঠিক প্রবন্ধটি ছেড়েছেন… 🙂
@অভিজিৎ, ধন্যবাদ। আপনি পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
ছোটবেলায় প্রতি পহেলা বৈশাখে আমাদের পাশের গ্রামে, রেল স্টেশনের ধারে, এক মাঠে মেলা বসত। প্রত্যেকবছর পহেলা বৈশাখের এই মেলার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। নববর্ষ আসার একমাস আগে থেকেই টাকা জমানো শুরু করতাম, মেলা থেকে রঙ-বেরঙের জিনিষ কিনব বলে। মেলায় আর কিছু না কিনলেও আমরা বাচ্চা-কাচ্চারা প্রত্যেকবারই একটা করে ‘ব্যাঙের গাড়ি’ কিনতাম। মনে আছে আমাদের পিচ্চি-পাচ্চাদের ব্যাঙের গাড়ির ঢ্যাড়-ঢ্যাড়-ঢ্যাড় শব্দে পাড়ার সবাই অতিষ্ট হয়ে যেত। আমরাও বড়দের বিরক্ত করে খুব মজা পেতাম! আহ্! কত মধুরই না ছিল সেই দিনগুলো! এখন ওখানে মেলা বসে কি না জানি না।
মোজাফফর হোসেন, আপনার লেখাটা পড়ার সময় আমার কেন জানি ছোটবেলার এই স্মতিটা খুব করে মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে
@আদম অনুপম, খুবই মধুর সে স্মৃতি নিশ্চয়! ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
@আদম অনুপম,
আমার মা এক সপ্তাহের মধ্যেই ইন্ডিয়া থেকে ফিরবে। সকালে ফোনে কথা হল। কিন্তু আর কাউকে পেলাম না। সবাই “চৈত্র” পূজোয় গেছে। পূজোকে আমি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখিনা। উৎসব ছাড়া আর কিছু নয়। বার মাসে তের পার্বণ (উৎসব)।
চৈত্র মাসের শেষ দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান হত। প্রথমে বাড়ী বাড়ী গ্রামে গ্রামে গিয়ে নেচে গে্য়ে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করতাম। জমিদার প্রকাশ চন্দ্র হোমের বাড়িতে নাচতাম প্রায় এক ঘন্টা, তিনি তাঁর পূজো পন্ডপের সামনে বসে আমাদের নাচ গান উপভোগ করতেন। তারপর অন্যদের বাড়িতে নাচতে যেতাম আর অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকতাম কখন জগদীশ বাবু সুখবরটা নিয়ে আসবেন – জমিদার বাবু কত দিলেন। নিজের মান- সন্মানের ব্যাপার আছে। কেউ যেন তাঁর চেয়ে বেশী না দিতে পারেন। তাই তিনি প্রতিবছর “এক টাকা” করে পারিতোষিক দিতেন। আমরাও প্রচুর পরিশ্রম করতাম যেন তিনি একটাকার কম না দেন।
সংক্রান্তি দিন ছিল সারা অঞ্চলব্যাপী মেলা। সেদিনের আয়োজন ভিন্ন। সমাজের নানা প্রফেশনের লোকদের নিয়ে ভ্রাম্যমান গীতিনাট্য নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রদর্শন করা হত। আর রাত থাকত আরও জমকালো। সারারাত সংএর অনুষ্ঠান। গ্রামের মানুষের যে কী প্রতিভা থাকতে পারে এই রাতের অনুষ্ঠান না দেখলে বুঝা যাবে না।
বাংলাদেশের অনেক হিন্দু দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। সাথে গ্রামীণ সাংস্কৃতিক সম্পদ টুকুও নিয়ে গেছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
সংযোজনঃ
বিএডিসির বর্তমান এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর জনাব নূরুজ্জামান বছর চার আগে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে ধামরাইএর টোপেরবাড়ী গ্রামে নিয়ে আসেন দেশজ সাংস্কৃতিক প্রতিভা দেখাতে। গত ডিসেম্বরে দেশে গিয়ে দেখি নুরুজ্জামান সাহেব নিজেই একটি নাটক রচনা, পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল ২৫ শে ডিসেম্বর। বললেন – পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গ্রামীণ ঐতিয্য (বানানটা নিশ্চয় ভুল) নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটু ধরে রাখার প্রচেষ্টা মাত্র।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
নৃপেনদা, গ্রামীণ সাংস্কৃতিক সম্পদ টুকুও নিয়ে গেলেও কি তাহারা ওই সম্পদের ব্যবহার করতে পারছে? আমার মনে হয় পারছে না। কেন পারছেনা এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। তাহারা যে উদসাহ উদ্দিপনায় আনন্দে সবাইকে নিয়ে সময় দিত বিভিন্ন সামাজিক উদসবে তা কিন্তু অনেক স্তিমিত হয়ে যায় পশ্চিম বাংলায় পা রাখার সাথে সাথে। নানা কারনে জীবন যেন বেশী বেশী যান্ত্রিক হয়ে যায়। নানা কারনে বাংগালদের মানসিকতায় ঘটি প্রভাব পড়ে যায়। বাংগাল ও ঘটিদের মধ্যে মানসিকতার পার্থক আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যায়। পূর্ব বাংলার সেই সম্পদের ব্যবহার আস্তে আস্তে কমে যায়।
@সেন্টু টিকাদার,
বাংগাল ঘটি এগুলো নিয়ে কেউ এতও bothered নয়। প্রত্যেকে নিজের নিজের কাজে যথেসটো ব্যাস্ত।
চমতকার একটি লেখা ।
@পলাশ, ধন্যবাদ।
একদম সত্যিকথা… নিজের ভেতর থেকে শুরু করতে হবে।কিন্তু এটা করতে গেলে যে আমাদের রাষ্ট্রের ভিতরের যত প্রতিষ্ঠান আছে তাদের ভিত ধরে নাড়া দিতে হবে যেখান থেকে নতুন এক আমাদের নিজস্ব,আত্মজ এক স্বাধীন সংস্কৃতির উদ্ভব হবে। সেটাই হবে আমাদের মূল পরিচয়।নিজের পরিচয়ের উপর দাঁড়িয়ে তখন আমরা বিশ্বজনীনতাকে সাদরে গ্রহন ও বর্জন করব।
নিজের পরিচয় আমরা ধারন ও বরন করেছিলাম ১৯৭১-এ কিন্তু তারপরের ইতিহাস তো……কমবেশী সবার জানা।যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম তারাই আবার কন্ট্রা-বিদ্রোহ করে গত ৩৫ বছর রাষ্ট্রের মালিক হয়ে সমাজ ও সামাজিকতার রন্দ্রে রন্দ্রে কারেন্ট জালের মতো বিস্তার লাভ করে বসে আছে। সেখান থেকেই আগে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।তা নাহলে সংস্কৃতি নিয়ে যতই চিল্লাই সেটা সুস্থ্য ও সাবলীল হবে না,শুধু জগাখিচুড়ি আর জগাখিচুড়ির সংস্কৃতির মূল্যবোধ নিয়ে আমাদের আরো অনেক কাল বেঁচে ও দেখে যেতে হবে।
তোমাকেসহ মুক্তমনার সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছে রলো (F) ।
অঃটঃ গতপরশু ফোন করেছিলাম কিন্তু তোমাকে পাই নি।
@মাহবুব সাঈদ মামুন, হুম, ভাইয়া। আমি পরে ট্রাই করলাম কিন্তু কেনো যেন হল না। বড় মিস করে ফেলেছি!! ভালো আছেন নিশ্চয়।
পিত্তাছ ( বানান নিয়ে আমার বিভ্রান্তি আছে) গাছের বীচি সংগ্রহ করতাম সারা চৈত্র মাস। ( প্রযুক্তির মহাপ্রলয়ে এ গাছটি এখনো টিকে আছে কি-না, আমার জানা নেই) লাল টুকটুকে নরম আবরণ সরিয়ে খয়েরি রঙের বীচিগুলো খুব সযত্নে রেখে দিতাম গুপ্ত স্থানে। (‘ সময়কাল ‘৭০-৭১)
কলা গাছের ছাই দিয়ে পুরনো কাপড় ধুয়ে দিলে একেবারে ফকফকা পরিস্কার। মাসের শেষ দিনটা সুখের ছিল না। করলার ভর্তা খেতে হতো। তিতা খেয়ে বছর বিদায়।
পিত্তাছ বা পিত্তাস গাছের বীচি নিয়ে পাড়ার ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা মেলায় হাজির। পিত্তাছ বীচি সংগ্রহে, আমাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা থাকতো। সেই বীচি বিক্রি করে বাতাসা, মুরলি, বাঁশি ও খে্লনা কিনে নিয়ে আসতাম। নিজের উপার্জন বলে কথা।
সেই উপার্জনের পথ ধরে চলতে গিয়ে গাছটাকেই কি মেরে ফেলেছি? গাছটার অকাল মৃত্যু হলে, আমাদের অকাল মৃত্যু রুখবে কে?
@স্বপন মাঝি,
আমার জানা মতে এই গাছের নাম, রয়না। এগুলি থেকে তেল তৈরি করা হয়। তার নাম রয়নার তেল। আবু ইসহাকের “জুঁক” গল্পে এই রয়নার তেলের কথা আছে।
তবে আমি খুব নিশ্চিত না।
@আসরাফ,
হয়তো বা। পিত্তাছ বীচি থেকেও তৈল তৈরি করা হতো।
শুভ নববর্ষ।
@স্বপন মাঝি, বাহ! বিষয়টি জেনে ভালো লাগলো। আপনি কেমন আছেন? ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন,
ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকবেন।
শুভ নববর্ষ।
মোজাফফর হোসেন,
তোমাকেসহ মুক্তমনার সবাইকে শুভ নববর্ষ। (F)
@গীতা দাস, ধন্যবাদ দিদি।
@মোজাফফর হোসেন,
তো গান কই?
httpv://www.youtube.com/watch?v=Q9pBbbTerlY&playnext=1&list=PL224B08C53A45BFCE
@আকাশ মালিক, খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ গানটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
@আকাশ মালিক,
চমৎকার, আপনার দে’য়া এ উপহার।
শুভ নববর্ষ।
তা কেন হবে? এই মাসের ধারণা তো আগে থেকেই থাকার কথা।
@রৌরব,
ঠিক কথা।
@কাজী রহমান,
এটা ঠিক-ই আছে| কিছু প্রাসংগিক ব্যাখ্যা প্রয়োজন শুধু!!
বাংলা সনের সাথে আকবরের যে ক্যালেন্ডার ,নাম তারিখ-ই-ইলাহি বা ঈশ্বরের ক্যালেণ্ডার ( দীন -ই-ইলাহির অনুকরণে ), তার ব্যাপক প্রভাব আছে| তারিখ-ইলাহির শূন্য বছর হলো ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ ( যে বছর আকবর সিংহাসনে আরোহন করেন)| দীন-ই-ইলাহির মত তারিখ -ই-ইলাহিও জনপ্রিয়তা পায় নি| কিন্তু আকবরের তারিখ -ইলাহির দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ষোড়শ শতকের শেষভাগে বাংলা সনের বছরের সংখ্যা স্থির করার ব্যাপারে কিছু অদল -বদল করা হলো| যা আজকের বাংলা সন| বস্তত তারিখ-ই-ইলাহি ক্যালেন্ডারের শূন্য বছর ১৫৫৬ খ্রিঃ ( হিজরি ক্যালেন্ডারে ৯৬৩ সাল )-কে কাজে লাগিয়ে বাংলা স্যোলার বা সোর ক্যালেন্ডার লুনার বা চান্দ্র হিজরি সংখ্যার সাথে মিলিয়ে নেয়া হলো| নতুন বাংলা ক্যালেন্ডারের ঘড়িকে ১৪৭৮ শকাব্দ থেকে ৯৬৩ হিজরিতে পিছিয়ে দেয়া হলো| বস্তুত সে বছর বাংলা ও হিজরি সন একই| কিন্তু বাংলা ক্যালেন্ডার স্যোলার বা সোর আর হিজরি ক্যালেন্ডার লুনার বা চান্দ্র ক্যালেন্ডার হওয়াতে হিজরি ক্যালেন্ডার বাংলার চেয়ে এগিয়ে গেছে এই চার শ’ বছরে | কারণ,চান্দ্র বছর ৩৫৪ দিন ৮ ঘন্টা ( ৪৮ মিনিট??)- যা স্যোলার বছরের চেয়ে কম|
@ভজন সরকার,
সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো , কোন বাজ্ঞালি হিন্দু কি একবারেও ভেবে দেখেছেন যে, তাদের পূজা-পাবণের সময় যে দিনক্ষন মানা হয় তা হযরত মুহাম্মদের মক্কা থেকে মদিনা যাত্রা বা হিজরতের সাথে সংগতি রেখে করা? যা হিজরি লূনার বা চান্দ্র সনের স্যোলার বা সৌর রূপ| কট্টর সাম্প্রদায়িক হিন্দু মোল্লারা বাংলা সনকে কি পরিত্যাজ্য ঘোষনা করবেন?
@ভজন সরকার,
ভজন দা, হিন্দুরা যে পূজা-পার্বণ করে তা তো চাঁদ দেখা তথা সৌর মন্ডলের উপর নির্ভরশীল বলেই জানতাম। তা হিজরতের আগে থেকে শুরু নয় কি?
যে জন্য বাংলাদেশে অফিসিয়েল বাংলা নববর্ষ একদিন আগে আর কট্টর হিন্দুরা পালন করে একদিন পরে পঞ্জিকা মতে। বিষয়টি নিয়ে একটা পরিস্কার
ধারণা প্রয়োজন।
@ভজন সরকার, ধন্যবাদ বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য।
@রৌরব, আমি পহেলা বৈশাখ বলতে নতুন বর্ষ উদযাপনের কথা বলছি। ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন,
হ্যাঁ, কিন্তু দেখুন ভজন সরকার কি বলছেন
আমিও এরকমটাই জানতাম। কিন্তু আগেও যদি পহেলা বৈশাখ নতুন বছরের শুরু হয়ে থাকে শকাব্দ মতে, তখন কি কোন উদযাপনই ঘটত না? আমি নিজে জানিনা, কিন্তু অনুমান করছি কিছু না কিছু তো হওয়ার কথা।
@রৌরব, হতে পারে…তবে তখন কী ধরনের উদযাপন হত তা আমি ঠিক বলতে পারছি না। ধন্যবাদ।
একদিন হয়ত বৈশাখ কে খুঁজতে হবে।
@kobutor, আমি অবশ্য তা মনে করছি না। তবে এ জন্য বিশ্ব-সংস্কৃতির স্রোতটাকে সামলাতে হবে আমাদেরকেই। ধন্যবাদ।