পিঁপড়ারা ১০০ মিলিয়ন বছর ধরে পৃথিবীতে বাস করে। পৃথিবীর প্রায় সব খানেই পিঁপড়া দেখা যায়। তারা প্রায় ২০০০০ বিভিন্ন প্রজাতির।
পিঁপড়ারা বিভিন্ন রকম দুর্গ(ঘর/ বাড়ি) তেরি করতে পারে।কেউ কেউ আবর্জনায় বাসা বাধেঁ,কেউ মাটির নিচে,কেউ মাটির উপর, কেউ গাছে আবার অনেকেই কোন বাসাই তৈরি করে না কিছু পিঁপড়া ধুলা এবং বালি দিয়ে সাধারনত তাদের দুর্গ তৈরি করে । কিছু আছে ধুলা বালির সাথে খড়কুটু মিসিয়ে শক্ত দুর্গ বানাতে পারে যাতে বৃষ্টির পানিও ঢুকতে পারে না। শস্যসংগ্রাহী পিঁপড়ার এক প্রজাতির পিঁপড়াই সবচেয়ে ছোট দুর্গ তৈরি করে থাকে। তাদের সুরঙ্গ ১৫ ফুট পর্যন্ত গভীর হয়ে থাকে। শীতকালিন নিদ্রার জন্যই তারা এই ব্যবস্থা করে থাকে। তাদের দুর্গে অনেক প্রকোষ্ঠ থাকে । কোনটা ব্যবহৃত হয় শিশু লালন পালন, কোনটায় খাবার গুডাউন,কোনটা থাকে শ্রমিক পিঁপড়াদের বিশ্রামের জন্য।
কিছু পিঁপড়া উই পোকাদের মতো কাঠে বাস করে।
পিঁপড়ারা সামাজিক পতঙ্গ। তাই তারা মহল্লা বা দল তৈরি করে। এদের এই রকম দলকে বলে কলোনী। কোন কোন কলোনীতে এক দশ লাখ এর মিলিয়ন পিঁপড়া থাকতে পারে। প্রতিটা প্রজাতিতে তিন ধরনের পিঁপড়া থাকে। রানী পিঁপড়া, বন্ধা স্ত্রী পিঁপড়া এবং পুরুষ পিঁপড়া। সকল কর্মী পিঁপড়ারাই নারী পিঁপড়া। নারীরাই কলোনির সকল কাজ করে থাকে। তারা খাবার সরবরাহ করে, পিঁপড়ার ডিমের যত্ন নেয়, দুর্গ তৈরি করে, দুর্গ পরিস্কার রাখে এবং কলোনিকে রক্ষা করে।
পুরুষদের পাখা থাকে, তারা কোন কাজই করে না। তারা কলোনিতে রানীর সাথে সহবাস করে উৎপাদনে সহায়তা করে বংশ রক্ষা করে থাকে। এবং সহবাসের পরেই মারা যায়। পুরুষদের জীবন আট সপ্তাহের বেশি হয় না। পুরুষ পিঁপড়াদের একটাই কাজ তা হচ্ছে ভবিষৎ রানীদের সঙ্গ দেয়া।
রানী পিঁপড়া অন্যদের চেয়ে অনেকটা বড় হয়ে থাকে।রানী যখন যৌবন প্রাপ্ত হয় সঙ্গ গ্রহন করে । রানী পিঁপড়া দুই সেট পাখা নিয়েই জন্মায়। বাচেঁ প্রায় বিশ বছরের মতো । প্রায় হাজার খানেকের মতো ডিম পারে, তবে সব ডিমে বাচ্চা হয় না। পিঁপড়ার ডিমও দেখতে ডিম্বাকৃতীর এবং খুব ছোট। এক একটা ডিমের দৈর্ঘ হয় প্রায় ১মিলিমিটারের মতো তবে যে ডিমে ভবিৎষত রানী পিঁপড়া থাকে তা দেখতে অনেক বড় হয়ে থাকে।
যে ডিমগুলোর বাচ্চা হবার সম্ভাবনা আছে সেগুলো নারী পিঁপড়া তাপ দিয়ে থাকে আর যে ডিমগুলোর কোন সম্ভাবনা নাই সে গুলোতে পুরুষরা তাপ দেয়। ডিম পারার পর কর্মীরা ডিমগুলো আলাদা বিশেষ কক্ষে নিয়ে আসে। কর্মীপিঁপড়ারা ডিমগুলোকে প্রতিদিন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পছন্দ করে।
পিঁপড়াদের জীবন চারটি স্তরে বিভক্ত। ডিম,লার্ভা,পুপা ও পুর্নাঙ্গ পিঁপড়া। ডিমগুলো থেকে উৎপন্ন হয় লার্ভা। লার্ভা পর্যায়ে তাদের কোন চোখ,কিংবা পা কোনটাই থাকেনা। কিন্তু তারা খাবার খেতে পারে। বড় পিঁপড়া এই খাবার খাওয়ায় এবং দেখাশোনা করে। লার্ভাগুলি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং অনেকটা মন্ডের আকার ধারন করে,উপরে একটি নতুন চামড়া তৈরি হয়।তখন দেখতে অনেকটা রেশমের গুটির মতো দেখায়।
এটাকেই পোপা দশা বলে। পোপা আবস্থার পর যখন পুর্নাঙ্গ পিঁপড়ায় রুপান্তরিত হয়, পিঁপড়ারা তখন তাদের এই খোলস কেটে পিঁপড়াদের বের হয়ে আসতে সহায়তা করে। প্রথম আবস্থায় তাদের দেহ কিছুটা ধুসর সাদা থাকে। কয়েক ঘন্টা পরেই তারা চলাচল শুরু করে।তারা অল্প কয়েক দিনেই বড় হয়ে যায়। পিঁপড়া ডিম থেকে পুর্ণ বয়স্ক হতে তিনমাসের মতো সময় লাগে। পিঁপড়ার এই পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের ভাষায় পিঁপড়ার রুপান্তর বলে।
সাধারন ভাবে পিঁপড়ারা ৭ বছর পর্যন্ত বাঁচে কিন্তু রানী পিঁপড়া ১৫ বছরের মতো বাঁচতে পারে। তারা খুব ব্যাস্ত সময় কাটায়। পিঁপড়ারা দলবদ্ধভাবে খাবার সংগ্রহ, এবং যুদ্ধ করে থাকে।জীবনের বেশির ভাগ সময়ই তারা তাদের দলের সাথে কাটায়। কেউ কেউ খাবার হিসেবে কাঠ খুব পছন্দ করে কেউ আবার তৃণ পছন্দ। সবধরনের শস্যই তারা পছন্দ করে । চিনির প্রতি তাদের আছে আলাদা আকর্ষন।
পিঁপড়ার শরীর প্রধানত তিনটি অংশে ভাগ করা থাকে মাথা( হেড), মধ্যশরীর(শরীরের মধ্যবর্তী অংশ),পশ্চাতদেশ( rear আথবা metasoma) । পিঁপড়ার থাকে ছয়টা পা। সবগুলো পাই শরীরের মধ্যবর্তী অংশের সাথে সংযুক্ত থাকে।
মাথার অংশে থাকে চোয়াল( মুখ), চোখ, এবং এন্টানা ( কীটপতঙ্গের মাথার জোড়া শুঁড় যা তাদের অনুভব-ইন্দ্রিয়ের কাজ করে।) তেলাপোকার যেমন সামনে দুটি নাড়াচারা করার মতো এন্টেনা থাকে। তাদের চোখ অনেকগুলী লেন্সের সমন্বয়ে তৈরি তাই তার যে কোন নাড়াচাড়া খুব ভালভাবে দেখতে পারে। তাদের এন্টানাটা বিশেষ ভাবে তৈরি । তারা এন্টেনা দিয়ে গ্রান নেয়া, স্পর্শ করা, স্বাদ নেয়া এমনকি শুনতেও পারে। পশ্চাতদেশের তাদের পেট এবং মলদ্বার থাকে। অনেক প্রজাতির পিঁপড়ার বিষাক্ত কর ( বিষ প্রয়োগের ক্ষমতা) আছে। অনেক প্রজাতির পিঁপড়ার পশ্চাতদেশের বিষাক্ত হুল থাকে যা তাদের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করে।
পিঁপড়াদের কোন ফুসফুস থাকেনা। ক্ষুদ্র এক প্রাকার ছিদ্র দিয়ে আক্সিজেন গ্রহন এবং কার্বনডাই আক্সাইড ত্যাগ করে। পিঁপড়াদের রক্তের কোন রং নাই। তাদের হৃতপিন্ড অনেকটা লম্বা টিউবের মতো। মাথা থেকে রঙহীন রক্ত বডিতে যায় এবং আবার মাথায় ফিরে আসে। তাদের রক্তে এক ধরনের কস থাকে হৃদপিন্ড পরিশোধন করে আবার মাথায় ফেরত পাঠায়। পিপিড়াদের স্নায়ু তন্ত্র দীর্ঘ স্নায়ু তন্তু দিয়ে গঠিত। স্নায়ুতন্ত্র মাথা বডি থেকে প্রতিটি শরীরে প্রতিটি অংশে কাজ করে। এটা অনেকটা মানুষের মেরুদন্ডের ভেতরের স্পাইনাল কর্ডের মতো কাজ করে।
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে পিঁপড়াদের দেখেন দেখবেন তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। পিঁপড়ারা তাদের এন্টানার স্পর্শ করে নিজেদের মদ্যে যোগাযোগ করে। তারা এক ধরনের কেমিক্যাল ছড়িয়ে রাখে যা তাদের পরবর্তিদের ফলো করতে সহায়তা করে।
পিঁপড়ারা কলোনির জন্য নানা ধরনের কাজ করে থাকে। প্রজাতি অনুযায়ি তাদের কাজের ধরন ভিন্ন হয়। তাদের দেহর উপরও নির্ভর করে কে কোন কাজ করবে। বড় মাথার পিঁপড়া যে কাজ করে ছোট মাথার পিঁপড়া তা করে না। শক্ত চোয়াল যার আছে তার কাজ এবং নরম চোয়াল ওয়ালার কাজের চেয়ে ভিন্ন। তাছাড়াও ডিম, লার্ভা ও পুপাদের লালন পালনের জন্য কাজ ভাগ করা আছে। কেউ খাবার সংগ্রহ করে। এমনিক দুর্গ তৈরি করা পাহারা দেয়ার দ্বায়িত্বেও ভিন্ন ভিন্ন পিঁপড়া কাজ করে।
পিঁপড়ারা জীবনের নানান স্তরে নানান ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। ছোট লার্ভারা বড় পিঁপড়াদের কাছ থেকে এক ধরনের তরল খেয়ে থাকে। বড় পিঁপড়ারা বাহির থেকে যে শস্য সংগ্রহ করতে পারে তাই খায় এবং সংগ্রহ করে কলোনিতে নিয়ে আসে। সংগ্রহিত খাবার ছোটদের খাবার উপযুক্ত তরল করে দেয় যাতে তা সহজে খেতে পারে। বড় হয়ে যাবার পর কিছু কিছু পিঁপড়া খাবার খেতে পারে না কারন তাদের চোয়াল কেবল তাদের কাজের উপযোগি হয়ে তৈরি হয় খাবার খাওয়ার জন্য নয়। রানী পিঁপড়া রাজকীয় আপ্যায়ন পায়। কর্মী পিঁপড়ারা রানীল জন্য আলাদা করে এক ধরনের তরল মুখে করে নিয়ে আসে। পুরুষ ও রানী পিঁপড়ারা এতটাই অলস থাকে যে তাদের কর্মী পিঁপড়া খাবার তুলে দেয়।
লক্ষ করলে দেখায়ায় কিছু পিঁপড়া নানান ধরনের কাজ করছে।
পাতাকাটা পিঁপড়া: এরা পাতা কেটে জৈব সার তৈরি করে। এবং তাদের খাদ্য উৎপাদন করে থাকে। এ ধরনের পিঁপড়া
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আঞ্চল এবংদক্ষিন আমেরিকারয় পাওয়া যায়।
শস্যসংগ্রাহী পিঁপড়া: এরা নাতিশীতোষ্ণ উত্তর আমেরিকায় বাস করে। বেশির ভাগ প্রজাতি যুক্তরাষ্টের মিসিসিপি নদির পশ্চিমে পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে দুইটা প্রজাতি আছে একটা টেক্সাস হারভেষ্টার এবং অন্যটা ওয়েষ্টার্ন(লাল) হার্বেষ্টার পিঁপড়া।
আর্মি পিঁপড়া: তারা খুব কর্মঠ এবং ক্ষেপাটে। তারা দলবল নিয়ে শিকার করার জন্য ঘুরে বেড়ায়। তাদেরকেও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আঞ্চল এবংদক্ষিন আমেরিকারয় পাওয়া যায়।
তাঁতী পিঁপড়া: লালচে এক ধরনের পিঁপড়া। এরা আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনে, ইন্ডিয়া, এবং দক্ষিন আস্ট্রলিয়ায় পাওয়া যায়।
ইন্টানেটের কল্যানে প্রাপ্ত।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমারও ইচ্ছে আছে। একবার ভেবেছিলাম মাকড়শা,প্রজাপতি ইত্যাদি নিয়ে ধারাবাহিক পোষ্ট দেব। আবার ভাবলাম এটা ব্লগে একঘেয়ে লাগতে পারে।
পিঁপড়া নিয়ে বেশ আগ্রহ ছিল ছোটবেলায়। এখন যে নেই তা নয়। পিঁপড়া বেশ বিস্ময় উদ্রেককর প্রাণী। আমার ইচ্ছে হয় এভাবে প্রতিটি প্রাণি সম্পর্কে আলাদা আলাদাভাবে বিস্তারিত জানার।
ভাল লাগল।
ধারনা করা হয় পৃথিবীর সব পিঁপড়ার মিলিত ওজন (biomass) সব মানুষের মিলিত ওজনের থেকে বেশি 🙂
@জয়,
তাই নাকি!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি পিঁপড়া খাব……।
kobutor, থাইল্যান্ডে এবং মেক্সিকোতে ant larvae খাওয়া হয়। মেক্সিকান খাবারটা শুনেছি, অত্যন্ত সুস্বাদু। ভবিষ্যতে খাওয়ার ইচ্ছে আছে। লাল পিঁপড়া ভেঁজে গোলমরিচের গুড়ার বদলে ব্যবহার করা যায়। এটা খেয়েছি, গোলমরিচের গুড়োর মতনই লাগে 🙂
@kobutor,
এটা আবার চিৎকার করে বলতে হয়। তাও আবার ব্লগে??? 😀
@kobutor, পিঁপড়া খেলে না তাড়াতাড়ি সাঁতার শেখা যায়? 🙂
@শ্রাবণ আকাশ, piপিঁপড়া খেয়েও তো সাঁতার শিখতে পারি নাই। 🙁 (U) 😕
ছাগুর রচনা দিলে মুখস্ত করে পরীক্ষায় কাজে লাগাতে পারতাম। 🙂
ছোটোবেলা মায়ের লুকিয়ে রাখা মিষ্টি, মিষ্টিজাত খাবারের সন্ধান দিতে পিঁপড়ার অবদান কোনোদিন ভুলব না। পিঁপড়ার পোস্টে কমেন্ট করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং কিঞ্চিত ঋণ পরিশোধ করলাম। (^) 😉
@শ্রাবণ আকাশ,
ঠিক বুঝলাম না। কি বুঝাতে চাইলেন।
@আসরাফ, বলছিলাম গরু-ছাগলের রচনা হলে মুখস্ত করে পরীক্ষার সময় কাজে লাগত 🙂
আচ্ছা পিঁপড়ারা তো Formicidae পরিবারের। Formicidae কি formic acid থেকে আসছে? কিন্তু সব পিঁপড়াদের তো আর বিষ নেই।
ছোটবেলায় ভাবতাম পিপড়াদের জন্য একটা ছোট বাড়ি বানাব যেখানে অনেক প্রকোষ্ঠ থাকবে। আর তাদের প্রত্যেকটিতে ছোট ছোট ক্যামেরা থাকবে, যা দিয়ে পিঁপড়াদের চলন, গমন সব দেখা যাবে। আর পিঁপড়া সম্পর্কে গবেষণা করা যাবে।
বুঝতেই পারছেন ছোটবেলায় পিঁপড়া নিয়ে আগ্রহ আমার কি পরিমানে ছিল?
আপনার এই লেখায় সেই ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে গেল।
পিঁপড়ারা সামাজিক জীব, কিন্তু তারাও কিন্তু মারামারি করে। আমি নিজে দুইটা পিঁপড়াকে মারামারি করতে দেখেছি।
আরেকটা মজার ব্যাপার হল একটা পিঁপড়া মারা গেলে অন্য পিঁপড়া তাকে মুখে করে নিয়ে যায়। এটার কারন কি বলতে পারবেন? অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করার জন্য নিয়ে যায় নাকি?
আমি ছোটবেলায় মাঝেমধ্যে পিঁপড়াদের খেতে দিতাম। তো একবার মনে হল কি পিঁপড়ারা কি পরিমান খেতে পারে তার একটা ধারনা নেবার জন্য কিছু চিনির শিরাপ ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। মজার ব্যাপার হল, সেই চিনির শিরাপ ভোজনের পর পিঁপড়াগুলো দিব্যি বিশ্রাম নেয়া শুরু করল, যদিও আমি জানতাম যে পিঁপড়ারা সাধারনত কোন বিশ্রাম নেয় না।
ডাইনোসাররা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবার পর, পৃথিবীতে ডাইনোসার অপেক্ষা ছোট প্রাণী মানুষের রাজত্ব শুরু হল।
কে জানে মানুষ এবং মানুষের মতো বড় প্রাণীগুলো প্রাকৃতিকএবং মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বিলুপ্ত হবার পর পৃথিবীতে পিঁপড়াদের রাজত্বই কায়েম হয় কিনা।
পিঁপড়াবিষয়ক আরও লেখা চাই।
@রনবীর সরকার,
এ ব্যপারে তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে জানাব।
@রনবীর সরকার,
পিঁপড়ারা পোকার মৃতদেহ ভক্ষণ করে। সাথে হয়ত স্বজাতির মৃতদেহও… :-s
লেখাটা পড়ে বেশ ভাল লাগল। পিঁপড়া আকৃতিতে ক্ষুদ্রে হলে হলেও কর্ম, পরিশ্রম, বাচ্চা লালন পালন, খাদ্য সংগ্রহ, বাড়ী-ঘর তৈরী, ইত্যাদি কাজে মানুষের মতই পরিশ্রম করে।
লিখতে থাকুন :clap ।
@রাজেশ তালুকদার,
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আমার এই পিঁপড়া প্রাণীটির উপর একটি বিশেষ দূর্বলতা আছে। এইট/নাইনে থাকতে আমার ঘরের পাশের বারান্দায় লাল পিঁপড়ার প্রচুর আনাগোনা ছিল। কৌতুহল বশত ওই পিঁপড়াগুলোর উপর একরকম গবেষণা শুরু করে দিই। সবাই বলত পিঁপড়া একতাবদ্ধ প্রাণী। আমি নিজে চোখে দেখেছি একটি পিঁপড়া বিপদে পড়লে দলের অন্যান্য পিঁপড়াগুলো কিভাবে ওটাকে উদ্ধারের প্রাণপন চেষ্টা চালায় তা না দেখে বিশ্বাস করা যায় না।
আপনার লেখাটি আমার ভাল লেগেছে।
বিষয়টা মজা লাগল। যে ডিমের কোন সম্ভাবনা নাই সেই ডিম কি সিদ্ধ করে খাওয়ার জন্য তাপ দেয়া হয়?? :rotfl: :rotfl:
@অভীক,
পুরুষরা অকর্মা। মনেহয় তাদের একটা কাজ দিয়ে কর্মঠ বানানোর চেষ্টা 😀 😀 😀
স্বাগতম মুক্তচিন্তার জগতে।
স্বাগতম লেখালেখির জগতে।
@রৌরব,
ধন্যবাদ।
মুক্তমনায় আসরাফের এটি প্রথম লেখা। অভিনন্দন। শুরু হোক পথচলা।
@ফরিদ আহমেদ,
:guru:
@আসরাফ,
শাবাশ! :clap
ব্যতিক্রমধর্মী লেখা। চলুক। (Y)
—
@বিপ্লব রহমান,
গতকালকে আপনার জোকসের বইটা পড়ছিলাম। আপনার আরো বই আছে নাকি?
কোথা থেকে জানতে পারবো?
@আসরাফ,
‘প্রেস জোকস’ আমার দ্বিতীয় গ্রন্থ। প্রথম গ্রন্থ — ‘রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে’ মুক্তমনায় ই-বুক আকারে প্রকাশিত। আপনার আগ্রহের জন্য অনেক ধন্যবাদ। চলুক। (Y)