১। পেশাগত কারণে তথ্য-সাংবাদিকতার কাজে বহু বছর ধরে পাহাড়ে, বনে-বাদাড়ে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ঘুরতে ঘুরতে অজান্তেই চিন্তা-ভাবনার একটি বড় অংশ হয়ে দাঁড়ায় ভাষাগত সংখ্যালঘু পাহাড় ও অরণ্যচারি জনপদ, আদিবাসী মানুষের সমস্যা ও সম্ভাবনা, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না।…
সংবাদপত্রে ছককাটা খবর লেখার বাইরে পাহাড়ের ছোট কাগজ ‘মাওরুম’ ও ‘জুম’সহ অন্যান্য আদিবাসী সাময়িকী (বেশীর ভাগই নতুন বর্ষ বরণ উৎসব — বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু উপলে প্রকাশিত; আয়ুস্কালও খুব স্বল্প) পত্রে লিখেও কিছু সাড়া পাই।
তবে বছর চারেক আগে আন্তর্জালে আদিবাসী বিষয়ক লেখালেখি শুরু করে সাড়া পাই বেশ। আদিবাসী সমস্যার কথা লিখতে লিখতে, আদিবাসী বা অ-আদিবাসী পাঠকের জবাব দিতে দিতে একের পর এক তৈরি হয় পোস্ট। সামহোরিন, সচলায়তন, আমারব্লগ, হয়ে মুক্তমনায়। পাশাপাশি ফেসবুক-নোট তো আছেই।
এই সুযোগে বলি, মুক্তমনা ডটকম ব্লগ হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগে অনলাইনপত্র মুক্তমনায় ‘কল্পনা চাকমা এখন কোথায়?’ [লিংক] নামক আমার প্রথম লেখাটিও আদিবাসী বিষয়ক সমস্যা নিয়ে। আবার ব্লগ হিসেবে মুক্তমনা আত্মপ্রকাশ করলে এখানেও আমার প্রথম পোস্ট ছিলো একই বিষয়ে — ‘পাহাড়ে কেনো এতো সহিংসতা?’ [লিংক]
২। এই করতে করতে ফেসবুকে খুঁজে পাই প্রচুর সংখ্যক আদিবাসী বন্ধু। এক-এগারোর সেনা সমর্থিত মইন-ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকার কাজের কাজ বলতে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় আড়াই দশক পর মোবাইল ফোনের নেট ওয়ার্ক চালু করে। এই সুবাদে প্রচুর সংখ্যক আদিবাসী সদস্য হন ফেসবুকে। আন্তর্জালে চলে যোগাযোগ, কথোপকথন: কখনো সিধু-কানহু, কখনো এমএন লারমা, কল্পনা চাকমা বা চলেশ রিছিল।…তাদের বেশীর ভাগই ছাত্র-ছাত্রী। কেউ বা আবার প্রবাসী। …বিভিন্ন বাংলা ব্লগেও খুঁজে পাই অল্প কয়েকজন আদিবাসী লেখক। …
তো ফেসবুকে বিভিন্ন আদিবাসী বিষয়ক গ্রুপে ঘুরতে ঘুরতে নিজেই একদিন ’পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHT Voice’ [লিংক] নামে একটি গ্রুপ খুলে ফেলি। গ্রুপ ঘোষণায় এরকম কিছু কথা যোগ করি: পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের আদিবাসীদের কথা লিখুন, পড়ুন, ছবি দেখুন, ছবি দিন। আদিবাসী মানুষের অধিকারের কথা বলুন। জয় হোক! — ইত্যাদি।
সঙ্গে সঙ্গে প্রবাসী বন্ধু সঞ্চয় চাকমা সাড়া দেন। উৎসাহ দেন তন্দ্রা চাকমা দিদি। আমরা তিনজন গ্রুপের সঞ্চালক হিসেবে একের পর এক আদিবাসী-আদিবাসী বন্ধুদের গ্রুপের সদস্য হওয়া আমন্ত্রণ জানাতে থাকি। সেটি গত ডিসেম্বরের ঘটনা; আর এর মধ্যেই গ্রুপে সদস্য সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই সেখানে পড়ছে আদিবাসীদের অসংখ্য পোস্ট ও মন্তব্য।…
চলতে থাকে ডেস্টটপ, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন টিপে আমাদের গ্রুপের লেখালেখি…মতামত প্রদান, তর্ক-বিতর্ক, এমন কি ব্যক্তিগত আক্রমনও। কিছু ফেক আইডিধারী গ্রুপে এসে ব্লগের মতোই ক্যাচাল বাধায়। গালাগালি থেকে শুরু করে ব্যক্তি কুৎসা রটনা, সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক মন্তব্য ও পোস্ট দেওয়া, পাহাড়ের একটি বিতর্কিত দলের পক্ষে দলবাজী — ইত্যাদির অপচেষ্টা চালায়। বাধ্য হয়ে গ্রুপ ঘোষণার সঙ্গে যোগ করা হয় মৌলিক কিছু নিয়ম নীতি। আমরা বেশ কিছু পোস্ট ও মন্তব্য মুছে দেই, কয়েকজনকে ব্লক করে গ্রুপের পরিবেশ ফিরিয়ে আনি।…
৩। একদিন ব্লগার ষষ্ঠ পাণ্ডব দা ওই গ্রুপেই এসে বলেন, কমরেড, এই চমৎকার গ্রুপের লেখা, ছবি ও অন্যান্য লেখার লিংক যদি কেউ রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তাকে একটু বিপদেই পড়তে হবে, কারণ প্রয়োজনীয় তথ্যটি চট করে এখানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই আপনারা একটি আদিবাসী ব্লগের কথা চিন্তা করুন।…
তার প্রস্তাবটি আমাকে ভাবায়। কিন্তু আমি নিজে টোকনো-কানা, তাছাড়া পেশাগত ব্যস্ততাও আছে। তাই একটি ব্লগ খুলে ফেলে সেটিকে এগিয়ে নেওয়া আমার একার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। …তাহলে উপায়? আমি আন্তর্জালে খোঁজ চালাই। …
আমি দেখি, ফেসবুকে অন্যান্য আদিবাসী গ্রুপগুলোর যে সমস্যা, আদিবাসী বিষয়ক ব্লগগুলোতেও প্রায় একই সমস্যা– এগুলো মোটেই প্রাণবন্ত নয়। এর কারণ, এগুলোর সৃষ্টা ও সঞ্চালকরা অধিকাংশই ছাত্র। তাই পড়াশুনা, পরীক্ষা ইত্যাদির ফাঁকে ব্লগ সাইটকে হালনাগাদ করাসহ এগুলোকে জনপ্রিয় করার জন্য তাদের হাতে যথেষ্ষ্ট সময় নেই।…
উপরন্তু পাহাড়ের একটি ব্লগ দেখে তো ভিমড়ি খাওয়ার দশা! সেখানে আমার কয়েকটি লেখা ও ছবি হুবহু কপি-পেস্ট করে অন্যের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে! সঙ্গে সঙ্গে ব্লগ সঞ্চালকদের ই-মেইল পাঠাই; কিন্তু সুরাহা হয় না কিছুতেই।
বেশ কিছুদিন পর আমাদের ফেসবুক গ্রুপ ’পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHT Voice’ এ বিষয়ে দুঃখ করে একটি ছোট্ট মন্তব্য দিলে একজন পাহাড়ি ছাত্র জানান, তিনি ওই ব্লগটির সঞ্চালক। পরীক্ষার কারণে এতোদিন ব্লগে মোটেই সময় দিতে পারেননি। আর ব্লগ সাইটটি সৃষ্টির শুরুতে তারা এখান-সেখান থেকে কিছু লেখা ও ছবি জোগাড় করে ব্লগের প্রথম পাতা তৈরি করেছিলেন। লেখকস্বত্ত্বর বিষয়টি তারা মোটেই তারা ভাবেননি। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে সঙ্গে সঙ্গে ওই পোস্টগুলো মুছে দেন।…
৪। এ পর্যায়ে এগিয়ে আসেন উত্তরবঙ্গের সান্তাল ছাত্র ও ব্লগার সমর মাইকেল সরেণ। ওই গ্রুপেই তিনি টোকা দিয়ে জানান, তিনি নিজেই একটি ব্লগ খুলেছেন w4study.com ঠিকানায়। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, এটি ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা বিষয়ক ব্লগ হবে। পরে মত পরিবর্তন করে একে বানানো হয় ‘আদিবাসী বাংলা ব্লগ’ [লিংক]। সমর জানান, এই ব্লগ সাইটটি খোলার ক্ষেত্রে মুক্তমনা ডটকম দেখে তিনি খুবই উৎসাহিত হয়েছেন। তার আহ্বানে আমি সাড়া দেই। আমরা যৌথভাবে ব্লগটিকে এগিয়ে নিতে থাকি। তবে এখনো মূল কাজটি সমর একাই করে চলেছেন।
এ পর্যায়ে আবারো সুহদ সহ ব্লগার ষষ্ঠ পাণ্ডবকে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ ’পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHT Voice’ ঠোকা দেই, পাণ্ডব দা, আমাদের ব্লগটি দেখুন, মতামত দিন। উনি একনজরে চোখ বুলিয়ে বলেন, ব্লগটিতে আরো অনেক পরিবর্তন আনতে হবে। প্রথম পাতা থেকে হাবিজাবি পোস্ট সরিয়ে তথ্যবহুল লেখা দিয়ে সাইটটিকে সাজান। ফেসবুক গ্রুপ থেকে প্রয়োজনীয় লেখাগুলো ব্লগ সাইটে নিয়ে আর্কাইভ তৈরি করুন — ইত্যাদি। আমি তার সঙ্গে একমত হই। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। …
সঙ্গে সঙ্গে প্রধান ব্লগ সঞ্চালক সমরকে পাণ্ডব দা’র ভাবনাগুলো জানাই। সঙ্গে যোগ করি আমার মতামতও। ইমেইল, টেলিফোন, এসএমএস-এ আলাপচারিতা চলতেই থাকে।…
অল্পদিনের মধ্যেই ব্যপক পরিবর্তন আনা হয় ব্লগ সাইটটির সাজ-সজ্জায়। সবচেয়ে সহজ এর লগইন পদ্ধতি। একজন ব্লগার ইচ্ছে করলে নতুন করে লগইন নেইম ও পাসওয়ার্ড নিয়ে সেখানে ব্লগ লিখতে পারেন। আবার ব্লগার ইচ্ছে করলে গুগুল বা ইয়াহু বা ফেসবুকসহ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট দিয়েও লগইন করতে পারেন। এতোদিন নীতিমালার বালাই ছিলো না; সমরের সঙ্গে আলাপক্রমে আমরা ছোট্ট একটি নীতিমালাও তৈরি করি। ব্লগটির সাউট বা আলাপ-আলোচনা বিভাগটি একেবারে লাইফ এসএমএস-এর মতো। ব্লগাররা ইচ্ছে করলে এখানে ইমোকটিনসহ ছোট ছোট বাক্যে বাতচিত সারতে পারেন। …
সমর ও ব্লগের টেকি বন্ধুরা এখন কাজ করছেন ‘আদিবাসী শব্দকোষ’ নিয়ে। এছাড়া আদিবাসী বিষয়ক সার্চ ইঞ্জিনও এরই মধ্যে উন্মুক্ত হয়েছে [লিংক]। ব্লগের নেপথ্য কারিগররা এখন কাজ করছেন আদিবাসী ইউকিপিডিয়া নিয়ে।
৫। ব্লগযাত্রার অল্পদিনের মধ্যেই ‘আদিবাসী বাংলা ব্লগ’ ডয়েচে ভেলের ব্লগ প্রতিযোগিতায় মানবাধিকার বিভাগে সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়ে (এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ) এগিয়ে আছে [লিংক]। প্রসঙ্গত, একজন ভোটদাতা প্রতি ৪৮ ঘন্টা পর পর সেখানে ভোট দিতে পারেন।
আগ্রহী পাঠকদের অনুরোধ জানাই, আমাদের ব্লগটিতে একবার বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য। আর যদি সম্ভব হয়, ডয়েচে ভেলের ওই ব্লগ প্রতিযোগিতায় আপনিও না হয় এই ব্লগ সাইটটির পক্ষে ঠুকে দিন একটি ভোট!
—
সংযুক্ত : আদিবাসী বিষয়ক কয়েকটি ব্লগ এবং ওয়েব সাইটের লিংক
আদিবাসী বাংলা ব্লগ, আদিবাসী ব্লগবিডি, সিএইচটি বিডি, নিউজ সিএইচটি বিডি, সিএইচটি নিউজ বাংলা, চাঙমা, চাঙমা কবিতা, কালচার আদিবাসী ব্লগবিডি, জুম্মা পিপলস, সিএইচটি নিউজ আপডেট এবং সিএইচটি ভয়েস।
আঙ্কেল এখন কি এরকম কোনো সাইট/ব্লগ আছে যেখানে আদিবাসী ব্লগাররা লেখালেখি করেন বা শুধুমাত্র আদিবাসীদের নিয়ে লেখালেখি হয়?
আপডেট:
[লিংক]
আপডেট : ডয়েচে ভেলের ব্লগ প্রতিযোগিতায় মানবাধিকার বিভাগে আদিবাসী বাংলা ব্লগ সেরা ব্লগ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে [লিংক]। :rotfl:
—
এ বিজয় শুধু আদিবাসী বাংলা ব্লগের নয়, এ বিজয় দেশের ৪৫টি ভাষাভাষী ২৫ লাখেরও বেশী আদিবাসী মানুষের। কামনা করি এই ব্লগ সাইটটি হয়ে উঠুক পাহাড় ও সমতলের অধিকার বন্চিত আদিবাসী মানুষের কণ্ঠস্বর, এমএন লারমা, সিধু-কানহু, কল্পনা চাকমা, চলেশ রিছিলের উত্তোরাধিকার!
সমর, পাভেলসহ ব্লগের নেপথ্য কারিগর, ব্লগার, পাঠক, ভোটদাতা সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতঞ্ঝতা। জয় হোক! (Y)
বিপ্লব রহমান,
আদিবাসীদের জন্য বিভিন্ন কাজ করছেন জেনে ভাল লাগল!
@লাইজু নাহার, (Y)
অভিনন্দন।
খুব বেশি ভাল লেগেছে, তাই বেশি কিছু বলতে পারলাম না।
@স্বপন দা,
অনেক ধন্যবাদ; কৃতজ্ঞতা। (Y)
>@বিপ্লব দা, আদিবাসী বিষয়ক তথ্য পরিবেশন ও সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে যারা রয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদের সাথে স্মরন করছি।
@যশেশ্বর চাকমা,
আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগলো। আগামীতেও সঙ্গে থাকার বিনীত অনুরোধ। (Y)
কয়েকদিন আগে পাহাডে বেডাতে গিয়েচিলাম…আসার সময় একটা আদিবাসী মেয়ে আমার পাসে বসেচিল।অনেক্ষন জডসড হয়ে বসে থাকার পর মেয়েটাই নিরবতা ভাংল।তারপর পুরা রাস্তা আসতে আসতে কথা বলেচি।মেয়েটার কথা শুনে মনে হল ওরা খুব হীনমন্যতায় ভুগে।মেয়েটা যে আধিকার বঞ্চিত সে ব্যপারে সে খুব সচেতন।কিন্তু আমি বাঙালি বলে সেভাবে আমার সাথে আলোচনা করতে ভয়ও পাচ্ছিলো।
পাহাডের চমৎকার চারপাশ দেখে মনটাই ভাল হয়ে গিয়েচিল।আমার নিজের দেশে যে এত সুন্দর দৃশ্য থাকতে পারে কখন ভাবিনি।
আদিবাসীদের জন্য অন্তরের গভীর থেকে শুভু কামনা…।
ধন্যবাদ একটা ভাল লেখা উপহার দেওয়ার জন্য
:thanks:
@জৈনক রাকিব,
আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিকই আছে। দূর পাহাড়ে আমরা যারা বেড়াতে যাই, তাদের অনেকেই পর্যটনের দৃষ্টি-সুখের মোহ থেকে বের হয়ে আসতে পারি না। …
ধনেপাতার ইমোসহ এই প্রথম ধন্যবাদ পাওয়ায় আপনাকে জানাই জাঝাঁ! :rotfl:
—
তবে বানানগুলোর প্রতি একটু খেয়াল রাখার জন্য বিনীত অনুরোধ। 😉
@বিপ্লব রহমান,
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
সরল মনে মন্তব্য করিলাম :-O :-O :-O
:-Y :-Y :-Y
@জনৈক রাকিব,
কিপিটাপ! 😉
আপনার কথামত আমি কয়েকটি আদিবাসি সাইট দেখলাম।
সত্য বলতে কী আমি একেবারেই অভিভূত হয়ে পড়লাম। আমি চিন্তাই করতে পারিনা আমাদের দেশেই চলছে এই অপরিসীম নির্য্যাতন, বৈষম্য এবং অনাচার। আমরা কেন পাকিস্তানিদের দায়ি করছি? আমরা সুযোগ পেলে যে ‘পাকিস্তানি’ সামরিক বাহিনী হয়ে যাই, আদিবাসিদের প্রতি আপনার লেখা তাইই প্রমাণ করল।
আপনার লেখা পড়ার পর এবং এই সব সাইটগুলোর তথ্য জেনে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রতি আমার স্রদ্ধা অনেক কমে আসল।
আমাদের আদিবাসিদের এই করুন অবস্থা বিলোপের জন্য তাদেরকে সম্পূর্ন স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে।
@আবুল কাশেম,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আগামীতেও সঙ্গে থাকার বিনীত অনুরোধ। চলুক। (Y)
অসাধারণ লেখা বিপ্লবদা৷ শুধু একটা তথ্য যদি সংশোধন করেন ভালো হয়৷ ডয়েচে ভেলের প্রতিযোগিতায় প্রতি ২৪ ঘন্টা পর পর ফেসবুক, টুইটার ব্যবহার করে ভোট দেওয়া যাবে, ৪৮ ঘন্টা নয়৷
@আদিবাসী সমর্থক,
আরে তাই তো! টাইপো হয়েছে ভ্রাতা। নেট লাইন শম্বুকগতির হওয়ায় মূল লেখায় সংশোধনী দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছি না। …:-)
কাল এই পোস্টটা দেওয়ার পর একবার সংশোধনী দিতে গিয়ে দেখি অর্ধেক পোস্ট উধাও! পরে বেশ খানিকটা কসরত করে আবার পোস্ট দিতে হয়েছে। 🙁
মুক্তমনা ডটকম-এর নেপথ্য কারিগরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: এই ব্লগ সাইটে নির্মাণাধীন পোস্ট অটো-সেফ করার সুযোগ যোগ করার জন্য (যেমনটি সামহোয়ারিনে আছে)। তাহলে অনেক জটিলতা সহজেই এড়ানো যায়। (Y)
জলপাই সবসময় জলপাই-ই থাকে, তা সে যে পাত্রেই পরিবেশন করা হোক না কেন।
ফরিদ ভাইর সাথে একমত। জলপাই ইজ জলপাই। এনাদের কুনো পরিবর্তন নাই।
থ্রী চিয়ার্স ফর বিপ্লব ভাই। চমৎকার কাজ করেছেন । অভিনন্দন জানাই।
@সাইফুল ইসলাম, (Y)
@ফরিদ আহমেদ,
এ ক ম ত। চলুক। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
ওই মিয়া আগে কইবেন তো। আদিবাসী লেখা যা পাই তাই পড়তে চাই। আসলে পাহাড়িদের সম্বন্ধে আগে কোন ধারণাই ছিলনা, আপনার লেখার মাধ্যমে প্রথম পরিচয়। পাকি জলপাইদের প্রতি সীমাহীন ঘৃণা আর আমাদের জলপাইদের প্রতি সমালোচনার অতীত ভালবাসা- এভাবেই চিন্তা করতাম। আমাদের জলপাইরাও যে বিনা কারণে কোন বাবা -মায়ের বুক খালি করতে পারে, কোন মেয়ের সর্বনাশ করতে পারে, তারাও যে খেয়াল খুশি মত আজরাইলের ভূমিকায় নামতে পারে তা আপনার লেখা পড়ার আগে কল্পনাই করিনি। অনেক অপকর্মের হোতা শহীদ জিয়া ( শহীদ ?) বাঙ্গালীদের সেখানে পাঠাইয়া আরও একটা যে অপকর্ম করেছেন তার ধারনাই ছিলনা।
আপনার লেখার মাধ্যমে আরও মানুষ পাহাড়িদের দুঃখ, দুর্দশার কথা জানুক, মানুষ আরও সচেতন হোক , সরকার প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করুক এটাই চাই।
@হেলাল,
সুহৃদ, আপনার এই সরল স্বীকারোক্তি প্রমান করছে, বহু বছর ধরে আমাদের সরকারগুলো পাহাড়ের নেপথ্য ইতিকথা জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি। আর গণমাধ্যম, বই-পুস্তক এ সব সরকারি হীন্য নীতিকে সমর্থন জুগিয়ে এসেছে। অর্থাৎ খুব পরিকল্পিতভাবে পার্বাত্যাঞ্চলকে রাখা হয়েছে মূল স্রোতধারার বাইরে। এমন কী এখনো এই একই প্রচেষ্টা চলছে। …
চমৎকার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আগামীতেও সঙ্গে থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ। (Y)
* সংশোধনী: হীন্য নীতি > হীন নীতি।
উদ্যোগটিকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু প্রতিযোগিতায় গিয়ে কিন্তু তালিকায় ব্লগটিকে দেখলাম না। ছানি টানি পড়ল কিনা কে জানে।
@রৌরব,
অনেক ধন্যবাদ।
একটু কষ্ট করে ডয়েচে ভেলের ব্লগ প্রতিযোগিতার লিংকে গিয়ে মানবাধিকার বিভাগটি (Special Topic Award Human Rights) খুঁজে দেখবেন? [লিংক] (Y)
আপনার অনেক মন্তব্যের সাথেই আমি এক মত হই। এক্ষেত্রেও হলাম। পাহারীরা পিছিয়ে আছে অনেক দিক থেকে।ধর্মিয়রা( মুসলিম জঙ্গি) তো দেখতেই পারে না আবার সরকার ও প্রধান বিরোধী দু দলই দেখে সতীনের চোখ দিয়ে।
এই ধরনের ভোটা ভোটি কেন জানি কখনোই আমার ভাল লাগেনা।
@আসরাফ,
আপনার পাঠ-প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ। (Y)
থ্যঙ্কু বিপ্লব দা, থ্যাঙ্কু । জোশ একটা পোষ্ট উপহার দিয়েছেন… আপনার লেখা পড়েই আদিবাসী বাংলা ব্লগের জন্ম দিয়েছি…
@সমর,
আপনাকে এখানে দেখে খুব ভালো লাগছে। বিনীত অনুরোধ জানাই, মুক্তমনা ডটকম-এ মাঝে মাঝে লেখার জন্য।
আদিবাসী বাংলা ব্লগের সর্বাত্নক সাফল্য কামনা। (Y)