অবশেষে প্রকাশিত হল বহু প্রতীক্ষিত গ্রন্থ- ‘ডারউইনঃ একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা ও ভাবনা’।
ডারউইন : একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা এবং ভাবনা
সম্পাদনাঃ অনন্ত বিজয় দাশ
প্রকাশকঃ অবসর প্রকাশনা সংস্থা
বইমেলা স্টল নং- ৩৬৬, ৩৬৭, ৩৬৮
মূদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৩৯
প্রচ্ছদ : এ. টি. আজাদ (রানা)
সূচিপত্র
১. আলী আসগর / চার্লস ডারউইনের জৈববিবর্তন তত্ত্বের উদ্ভব ও প্রভাব
২. এ. এম. হারুন অর রশীদ/ ডারউইনের বিবর্তনভিত্তিক জীবনবৃক্ষ
৩. দ্বিজেন শর্মা/ ডেভিলস্ চ্যাপলিন
৪. রাখহরি সরকার/ পাঠ্যক্রমে জৈববিবর্তনবিদ্যা পুনঃসংযোজনের যৌক্তিকতা
৫. বন্যা আহমেদ/ জৈববিবর্তন – বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি
৬. মাহবুবুর রহমান/ প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব কি ভেঙে পড়েছে
৭. আসিফ/ অরিজিন অব স্পিসিজ : মানব জাতির জন্য আলোর ঝলক
৮. মনিরুল ইসলাম/ জৈববিবর্তন তত্ত্ব এত প্রয়োজনীয় কেন
৯. বিরঞ্জন রায়/ জৈববিবর্তন তত্ত্বের আলোকে চিকিৎসাবিজ্ঞান
১০. অভিজিৎ রায়/ বোয়িং ৭৪৭
১১. কার্ল ঝিমার/ চোখের বিবর্তন যেভাবে হল
১২. থিওডোসিয়াস ডবঝানস্কি/ জৈববিবর্তনের বোধ ব্যতীত জীববিজ্ঞানে কোনো কিছুই অর্থবোধক নয়
১৩. বারবারা ফরেস্ট/ ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ও লক্ষ্য : একটি অবস্থানপত্র
১৪. অনন্ত বিজয় দাশ/ জৈববিবর্তন, ডারউইন এবং ঈশ্বর বিশ্বাস
বইটির pdf file কিভাবে পাবো?
খুব ভাল লাগছে দেখে যে যুক্তিবাদি আন্দোলন ফেসবুক থেকে প্রিন্ট মিডিয়া সর্বত্র ছড়াচ্ছে। এই বইগুলির নতুন প্রজন্ম আরো পড়ুক এটাই কাম্য। প্রিন্ট বা সোশাল মিডিয়ার থেকে এখনো শক্তিশালী টিভি মিডিয়া। সেখানে ঢোকাটা পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত।
তবে বাইরে যেদিকেই তাকাই না কেন, ধর্মভাবের জয়জয়াকার। চারিদিকে মন্দির মসজিদ উঠছে। বাবা- মায়েদের বিজ্ঞাপনে ভর্তি মিডিয়া। দিল্লীতে ৪ বছর আগে পৃথিবী বৃহত্তম মন্দির -অঙ্করভাটের মন্দির তৈরী হয়েছে। আমি দেখতে গিয়েছিলাম। আমাকে একজন আত্মীয় জিজ্ঞেস করলেন, কেমন দেখলে?
আমি বললাম -বুঝলাম, অশিক্ষিত লোকদের হাতে কাঁচাটাকা এলে তারা মন্দির বানায়।
কথাটা মসজিদের জন্যেও সত্য।
ভারতে সবাই এত সহজে চাকরি পাচ্ছে- অর্ধশিক্ষিত লোকে ভরে গেছে গোটা দেশ।
প্রতিবছর বইমেলাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়। বইমেলার বাইরে নতুন প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা খুবই সীমিত। বরাবরের মত এবারের বইমেলায় জীবনী, কাব্য, গল্প, নাটক, উপন্যাস, রম্য, ভ্রমণ, ছড়া, কবিতা, ধর্মীয়, ইতিহাস, রাজনীতি, প্রবন্ধ, গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি ধরনের নতুন প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩ হাজার ১৩।
কিন্তু এর মধ্যে বিজ্ঞানের কয়টি বই বের হল?
গতকালের (১ মার্চ, ২০১১) প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্টে বলছে :
মোটে ৫৬!!
(প্রথম আলোর রিপোর্টটি বুঝলাম না। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি কি করে বিজ্ঞানের বইয়ের সাথে উল্লেখ হয়? আর কল্পকাহিনি তো কল্পকাহিনি-ই! এখানে বিজ্ঞান শব্দ জুড়ে দেয়ার যথার্থতা কি?)
এর মধ্যে কতটিইবা একদম সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে?
কয়টিই বা গত শতকের পঞ্চাশ-ষাট দশকের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে লেখা?
@অনন্ত বিজয় দাশ,
দেশের সাধারন মানুষ এখনও বিজ্ঞান বলতে সাই ফাই বুঝে
অভিনন্দন অভিনন্দন। সৌজন্য সংখ্যা একটা দিয়েন আমারেও 😉
@লীনা রহমান,
ওয়েটিং লিস্টে নাম এন্ট্রি করতে হবে তাইলে!! :-s :-s
@লীনা রহমান,
নিজের কপিটাই এখনো পাই নি
@অভীক,
থোড়া সবুর কর অভীক! (C) (D)
সবুরে মেওয়া ফলে!
বাংলাদেশে এমনিতেই বিবতর্ন বিষয়ক লেখালেখি নাই বললেই চলে । বইটির বহূল প্রচার কামনা করি …….. (F) (F) (F) ।
@মির্জা গালিব,
অনেক ধন্যবাদ!!
মুক্তমনায় অভীকের নিচের পোষ্টটি দেখে বইমেলায় যাওয়ার ইচ্ছা পুনরায় জেগে ওঠে।
[img]http://farm6.static.flickr.com/5294/5479688446_3e8606b510.jpg[/img]
অবশেষে কিনে আনি ডারউইন বইটি।
[img]http://farm6.static.flickr.com/5013/5479086165_6f81d3d16f.jpg[/img]
@মাহফুজ,
অনেক ধন্যবাদ
একমত, আমার বক্তব্যও মনে হয় সেটাই ছিল।
(Y)
অনন্তসহ বইয়ের অন্যান্য লেখকদেরকেও অভিনন্দন। অভিনন্দন অবসর প্রকাশনীকেও তাদের সাহসী পদক্ষেপের জন্য। অনন্ত আজই মেলায় জানাল মোট ১৪ জন লেখকের মধ্যে ১০ কপি সৌজন্য সংখ্যা পেয়েছে। বাকীগুলো পাবে।
কল্যাণও তার কপি কিনতে অবসর প্রকাশনীর দিকে গিয়েছিল।
যাহোক,
@ফাহিম রেজা, বইমেলায় বিবর্তনবাদের বই প্রকাশিত হলেই দেশের মানুষ মুক্ত-মনা হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়। যুদ্ধপরাধের বিচারের প্রক্রিয়ার জন্য মৌলবাদীরা চুপ মেরে আছে। তাছাড়া, তারা বইমেলায় এসে যুৎ করতেও পারবে না।
প্রকাশিত বই নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার চিন্তা ভাবনা করছি আমরা কয়েকজন
( কল্যাণ ও অনন্তসহ) । ঐটা নির্বিঘ্নে করতে পারব কিনা তা দিয়ে কিছুটা বুঝা যাবে মৌবাদীদের অবস্থা ও অবস্থান এবং এ আলোচনা টি এস সি এর মত নিরাপদ জায়গায় আয়োজন করলে হবে না।
@গীতা দাস, এই আলোচনায় আর ঢুকবো না ভেবেছিলাম, কিন্তু আপনার উত্তরটা দেখে আবার উত্তর দিতে বাধ্য হলাম। আলোচনাটাকে ইচ্ছে করেই অন্যদিকে নেওয়া হচ্ছে কিনা ঠিক বুঝতে পারছি না। আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে বাংলাদেশ মৌলবাদী কি মৌলবাদী নয় সেটা নিয়ে বিতর্কে আমি যাচ্ছি না। আমার প্রশ্ন ছিল বিবর্তন এবং ডারউইন নিয়ে এত বই বের হওয়ার পর সেটাকে ‘মহা-আশ্চর্য্যের’ ব্যাপার বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করাটা কতটূকু যৌক্তিক সেটা নিয়ে। অবসর থেকেই তো ৫ বছর আগে বন্যা আহমেদের বইটিও বেড়িয়েছিল, আমি কয়েক মাস আগেই সেটার দ্বিতীয় সংষ্করণ রাজশাহীর এক ছোট্ট শর থেকে কিনে এনেছি। শুনেছি বিজ্ঞান বক্তা আসিফের বিজ্ঞান বক্তৃতা দেখতে দর্শণীর বিনিময়ে শয়ে শয়ে মানুষ হাজির হয়। মুক্তমনায় প্রকাশিত ডারউইন, ডকিন্স এবং বিবর্তনের উপর বিভিন্ন লেখা সমকালের মত পত্রিকার বিজ্ঞান পাতা কালস্রোতে নিয়মিত বের হয়, আজ সকালেই অভিজিতের একটা লেখা দেখলাম সেখানে। যুক্তি বা মুক্তান্বেসার মত পত্রিকা ( যেখানে অহরহ নাস্তিকতা, বিবর্তন এবং আইডি নিয়ে লেখা বের হয়) বের করেও তো দেখছি অনন্ত বিজয় বা ডঃ অজয় রায় দিব্যি টিকে আছেন, এবং এই লিস্ট ইচ্ছে করলেই বাড়ানো যায়।
বাংলাদেশে মৌলবাদ নেই একথা কেউ বলছে না। পৃথিবীর উত্তরটা দেখুন, নিটোল, নিঃসংগ বায়াস বা রায়হান আবীরের মত অনেকেই একথা আগেও বহুবার বলেছেন। কিন্তু দেশটাকে এক কথায় ‘মৌলবাদী’ বলে খরচের খাতায় ফেলে দিতে আমার এবং অনেকেরই আপত্তি আছে। মৌলবাদের মাত্রা নিয়ে কথা বলা যায়, কিন্তু ডারউইনের ভাবধারা একটা নিয়ে বই বের করলে ‘আশ্চর্য্য’ হওয়ার ধোঁয়া তোলাটা কেমন যেন বাস্তবতা বিবর্জিত বলেই মনে হয়।
@ফাহিম রেজা,
এ বিষয়ে আর মন্তব্য না করলেও চলত। গীতাদি এমন কিছু তো বলেন নি।
আর বাংলাদেশ মৌলবাদী দেশ না প্রগতিশীল দেশ এগুলো নিয়ে এমন বিতর্কের আসলে কোনো অর্থই হয় না। কারণ মৌলবাদ বা প্রগতিশীলতা এগুলো খুব আপেক্ষিক বিষয়। একজন নিজের মত করে বাংলাদেশকে মৌলবাদী দেশ বলতে পারেন, তিনি তার স্বপক্ষে অনেক বক্তব্য হাজিরও করতে পারবেন আবার কেউ ইচ্ছে করলে বাংলাদেশকে একটি প্রগতিশীল দেশ বলেও চালিয়ে দিতে পারেন।
আমরা আরেকটু সহনশীল হলে সব অহেতুক বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পারি।
@ফাহিম রেজা,
আপনার আলোচনা সত্যই ভাল লেগেছে। আমি পুরোপুরি সহমত প্রাকাশ করছি।
আপনার সাথে আবুল কাসেমেরও দ্বিমত দেখছি না।
আমি তো কাসেম সাহেবের বক্তব্যে উতসাহের ইঙ্গিতই দেখছি। এই বেশী দিন আগের ঘটনাও নয়। মাত্র আধ ঘন্টার ব্যবধানে ৬৩টি জেলায় বোমা বিস্ফুরিত হয়েছিল। সেই অবস্থান থেকে আমাদের অগ্রগতি অসাধারণ। তাই আমি কাসেম সাহেবের বক্তব্য থেকে তাঁর আনন্দধ্বনিই শুনতে পারছি।
অকপটে বলি। আমি অহংকার করে মাঝে মাঝেই বলি – যে দেশে প্রবল প্রতাপ ব্জে এম বি রা তিরিশ মিনিটে ৬৩ জেলায় বোমা ফাটাতে পারে সেই দেশেরই দামাল ছেলেরা এবং মেয়েরা ধর্মীয় বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
হ্যাঁ হ্যাঁ দাদা, বের হয়ে সমস্ত জঞ্জাল নির্মূল করে দিয়েছে। (*) :guli:
@গীতা দাস,
(Y)
এই মাত্র বইমেলা থেকে ফিরলাম। আগেই জানিয়েছি, শুধু ‘ডারউইনঃ একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা ও ভাবনা’ বইটি কেনার জন্যই যাবো। আমার সৌভাগ্য যে বইটির সম্পাদনার কাজ যিনি করেছেন তার সাক্ষাত পাওয়া। অবশ্য মূল সৌভাগ্য সম্পাদকের সাক্ষাত নয়, সম্পাদক থাকাতে বইটির মূল্য কম পাওয়া। বইটির মূল্য ৩০০ হলেও আমার জন্য ছিল ১৯৫ টাকা। আর এটাই হচ্ছে আমার জন্য মূল সৌভাগ্য। লেখক কমিশন বলে একটা কথা থাকে, আমি সেই কমিশন পেলাম অনন্ত বিজয় থাকাতে। সম্পাদকের কাছ থেকে অটোগ্রাফ নিতে ভুল করিনি। অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে মজার ছোট্ট কাহিনী বলি- সম্পাদক সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- কী লিখবো? জবাবে বললাম- লিখুন, আই লাভ ইউ। পাশে কল্যান ভাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বললেন- আপনি মেয়ে মানুষ হলে কথাটা লেখা যেতো। বললাম, মনে করুন আমরা সমকামী।
সম্পাদক লিখলেন- মাহফুজ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
চমৎকার কভার এবং বাইন্ডিং। অবসর প্রকাশনীতে থাকতে থাকতেই আরো দুটো কপি আমার সামনেই বিক্রি হয়ে গেলো। ছবিও তুললাম বেশ কয়েকটি। ছবি আর দিতে চাচ্ছি না। কারণ অভিযোগ উঠেছে- ছবিগুলো ব্যাঙে পরিণত হচ্ছে। সরাসরি হার্ডডিস্ক থেকে ছবি মন্তব্যে দেয়ার কৌশল জানি না। কেউ যদি আমাকে শিখিয়ে দেন তাহলে ছবি যুক্ত করতে পারি।
যাহোক, বইটিতে ১৪ জন লেখক ১৪ টি বিষয়ের উপর লিখেছেন। অভীক মূল পোষ্টের সূচিপত্রেই সেটা উল্লেখ করেছেন।
বইটি সম্পাদক উৎসর্গ করেছেন এভাবে-
বাংলাদেশে জৈববিবর্তন চর্চার পথিকৃৎ
অধ্যাপক
ড. ম. আখতারুজ্জামান
(১ মার্চ, ১৯৩৩-২ডিসেম্বর, ২০১০)
বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।
যাক, অনেক দেরীতে হলেও গুরুত্বপূর্ণ বইটি মেলায় এসেছে। বিশাল অভিনন্দন! (F)
—
একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করি, সারা বছরই বইটির প্রচার ও বিপণন যেনো সুষ্ঠু হয়। চলুক। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
অনেক ধন্যবাদ!!
এ ব্যাপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
অভিনন্দন সম্পাদক ও লেখকদেরকে।
আজই মেলায় গিয়ে সংগ্রহ করবো বইটি।
আসল কথায় বলা হয়নি।
অভিনন্দন ,এবং অভিনন্দন (F) (F) (F)
@তানভীরুল ইসলাম,
অনেক ধন্যবাদ!!
@তানভীরুল ইসলাম,
ধন্যবাদ
অনন্ত, অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো। আজকে সকালে তোমার ফোনটা পেয়েই মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল। পরের মেলায় বিবর্তনের প্রশ্নোত্তরের উপর যে বইটা নিয়ে কাজ করছো সেটা বের করে ফেল।
@বন্যা আহমেদ,
অনেক ধন্যবাদ বন্যাদি।
দেখি প্রশ্নোত্তরে বির্বতনের অংশটি আবার শুরু করবো। ডারউইন স্মারক সংকলনের জন্য এটা বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল।
মনে করেছিলাম, বইমেলায় আর যাবো না। এখন শুধু এই বইটির জন্য যাব। বিবর্তন সম্পর্কিত বাঙলা বই আমাকে কিনতেই হবে।
ছোট্ট একটা ঘটনা বলি-
[চার্লস রবার্ট ডারউইনের প্রজাতির উৎপত্তি যেটি ভাষান্তর করেছিলেন ড. ম. আখতারুজ্জামান। বইটি কেনার আগ্রহ বহু আগে থেকেই, বাঙলা একাডেমিতে পুরোনো বইয়ের মধ্যে আধা ঘন্টা ধরে তন্ন তন্ন করে তল্লাসি চালিয়েছি কিন্তু পাইনি। অবশেষে প্রধান বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে জিজ্ঞেস করায় বললেন- বইয়ের ক্যাটালগের মধ্যে যদি না থাকে তাহলে পাবেন না। ক্যাটালগে খুঁজলাম; পেলাম না। হঠাৎ কল্যান ভাইয়ের কথা মনে পড়লো; তার হাতে বইটি দেখেছি। তাকে ফোন দিলাম। তিনি বললেন- শাহবাগ থেকে টিএসসির দিকে যেতে বামহাতে ফুটপাতে বিছানো বইয়ের মধ্যে খোঁজ করুন। চলল এবার ফুটপাতে তল্লাসি। এমন কি জিজ্ঞেস পর্যন্ত করলাম দোকানদারকে। পেলাম না। বিফল মনোরথে ফিরে এলাম শাহবাগে; গাড়িতে উঠবো, ঠিক সেই মুহূর্তে কি মনে করে আবার কল্যান ভাইকে ফোন দিলাম। জানালেন যে, তিনি বইমেলায় এসেছেন, বইটি দেখেছেন। আমি আর গাড়িতে না উঠে ফিরে চললাম টিএসসির দিকে। শেষ পর্যন্ত কল্যান ভাইয়ের সাথে দেখা হলো। অবশেষে তার সহায়তায় সফলভাবে কেনা হলো বইটি। পুরোনো বই কিনতে দরদাম করতে হয়। দোকানদার চেয়েছিল ১৮০। আমি বলেছিলাম শুধু ৮০। শেষ পর্যন্ত ১০০ টাকায় রাজি।]
ডারউইন এবং বিবর্তন সম্পর্কীয় বই হলে আমি কিনবো; এমন মনোভাব আমার ভেতরে কেন এসেছে, আমি নিজেই জানি না। শুধু উপলব্ধি করি যে, আমাকে কিনতেই হবে।
সেই উপলব্ধি থেকেই বলি- “ডারউইন : একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা এবং ভাবনা” বইটি কিনতেই যাবো আজ।
খুব ভাল সংবাদ।
বাংলাদেশের মত মৌলবাদী দেশে ডারউনের ভাবধারা প্রচারিত হবে এটা সত্যিই আশ্চর্য্যের ব্যাপার।
@আবুল কাশেম,
বাংলাদেশ মৌল্বাদী দেশ কিনা এ নিয়ে বিতর্কে না গিয়েও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনি ঠিক কিসে এত ‘ আশ্চর্য্যের ব্যাপার’ দেখলেন ঠিক বুঝলাম না। আপনি কি অনেকদিন দেশে যান না, নাকি খবর কম রাখেন? ‘ডারউইনের ভাবধারা’ তো আমি সেই ছোটবেলা থেকেই দেশে দেখে এসেছি, দ্বিজেন শর্মার গাদাগাদা লেখা আছে ডারউইন এবং বিবর্তন নিয়ে, দেবীপ্রসাদের বই দেশে থাকতেই পড়ে এসেছি। শুনেছি গত দশ বছরে ডারউইন এবং বিবর্তন নিয়ে বেশ কিছু বই বের হয়েছে, আমার কাছেই আছে বেশ কয়েকটি। আর মুক্তমনা লেখকদের অনেকের বইই কিন্তু বিবর্তন আর ডারউইন নিয়ে। বন্যা আহমেদের বইটাতে যে পরিমাণ ‘বেয়াদবী মার্কা’ বিবর্তন এবং ধর্ম বিরোধী কথাবার্তা আছে তা যদি দেশে এত ব্যপকভাবে চলতে পারে তাহলে এই বইটাতে ‘ডারউইনের ভাবধারা’ প্রকাশ হতে দেখে এত ‘আশ্চর্য্য’ হওয়ার কী আছে? এই বইমেলাতেও অভিজিৎ আর রায়হান আবীরের ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বের হয়েছে, কোন অসুবিধার কথাই শোনা যায়নি, বরং ব্লগে যা শুনছি বইটা নাকি হট কেকের মত বিক্রি হয়েছে। আমাদের দেশে এখন যদি অবিশ্বাসের দর্শনের মত বই হুহু করে বিক্রি হয়ে যায় এবং তার লেখকেরা দেশে দিব্যি হেটে চলে ফিরে বেড়াতে পারে তাহলে এসবে এতটা অবাক না হওয়াই বোধ হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বাংলাদেশে মৌলবাদ আছে তা আমি অস্বীকার করছি না, কিন্তু উলটা দিকটাও ফেলে দেওয়ার মত না। বিশেষ করে আজকের তরুণ সমাজের একটা বড় অংশই ধর্ম কর্মের ধার ধারে না বলে আমার মনে হচ্ছে। আপনি অন্য ব্লগে গেলেও দেখবেন অনেক ইসলাম বিরোধি লেখা অনেক থাকে। তাদের লেখাগুলো নিয়ে বইও হচ্ছে। এই যে পারভেজ আলমের ইসলামবিরোধী বইটাই ধরেন, উনার লেখাগুলা সামু ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলো থেকেই পরে বই ছাপানো হয়েছে। এইগুলো যদি স্বাভাবিক হয়, সেখানে ডারউইনের উপর বই বের হওয়াটা কি এতটা আশ্চর্যের?
@ফাহিম রেজা,
স্মাইলি কাজ করছে না, তাই লিখেই মন্তব্যে সহমত জানাচ্ছি (ইয়েস)।
@ফাহিম রেজা,
আপনি আবুল কাশেমের এই উক্তিকে নেতিবাচক হিসেবে নিলেন তাও আশ্চর্যের বিষয় লাগছে অনেকের কাছে। কেউ বলছে কেউ মুখ খুলছে না। ্তাই আমি অনেকের হয়ে জানাচ্ছি-
বলা বাহুল্য এই সব খবর আমরাই মানে যারা দেশে থাকি তারাই বলেছি। প্রতিদিন মেলায় গিয়েছি প্রতিদিনের আপডেট দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ যে মৌলবাদী মুক্ত নয় তার জলজ্যান্ত প্রমান আমাদের
শ্রদ্ধেয় ডঃ হুমায়ুন আজাদের উপরে আক্রমন অবশেষে তার মৃত্যু। এই উদাহরণ কি যথেষ্ঠ নয়?
তিনি এই দেশেই থাকতেন। বিদেশে নয়। আজ যদি তিনি বিদেশের মাটিতেও বেচে থাকতেন আমরা আরো অনেক কিছু পেতাম তাঁর কাছ থেকে।
অত্যান্ত আপত্তিকর প্রশ্ন।
তিনি দেশে গেলে কি ঢাক ঢোল পিটিয়ে যাবেন নাকি? কেউ পিটায় কেউ পিটায় না। অনেকের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত থাকাও অস্বাভাবিক নয়।
আবুল কাশেমের মত লেখক’কে এমন উপদেশ দেয়া অনেকটা মায়ের কাছে মাসির গল্পের মত লাগল। আশা করি পরবর্তিতে ভেবে চিনতে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করবেন।
প্রিয় পাঠক, মুক্তমনা এডমিন আমি আশা করি ভুল বলিনি।
@আফরোজা আলম, নাস্তিক হিসেবে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীরও(ইনিই তো বাঙ্গালীকে আরজ আলী মাতুব্বরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন) খ্যাতি আছে, শাহরীয়ার কবিরকেও জামায়াতীরা নাস্তিক দাবি করে। বস্তুত, যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিরোধী সবাই মৌলবাদীদের কাছে নাস্তিক। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদও নাস্তিক, কিন্তু আপনি হয়ত খেয়াল করেননি যে তাঁর বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের আস্ফালন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল যখন তাঁর “পাক সার জমিন সাদবাদ” প্রকাশিত হয়েছিল। বইটা যতটা না ইসলামবিরোধী ছিল, তার চেয়েও বেশি ছিল সেটি জামায়াত বিরোধী। জামায়াত একারণেই ইসলামের ব্যানারে অধ্যাপক আজাদের উপর হামলে পড়েছিল। অধ্যাপক আজাদের উপর হামলাটা বাংলাদেশে মৌলবাদীদের শক্তিশালী প্রভাবের পরিচায়ক হলেও শুধুমাত্র একারণে বাংলাদেশকে “মৌলবাদী দেশ” আখ্যা দেওয়া যায় না। আমেরিকাতে এখনও টেক্সাস, কানসাসে বিবর্তন পড়ানো নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, গর্ভপাত ক্লিনিকগুলো এখনও খ্রীষ্টান মৌলবাদীদের ভয়ে সন্ত্রস্ত। আবুল কাশেম বা আপনি কি এখন আমেরিকাকেও মৌলবাদী বলবেন? বলে রাখা ভাল, আমেরিকার বাইবেল বেল্ট কিন্তু আয়তনে খুব একটা ছোট না।
বাংলাদেশে এখন ধর্মের সমালোচনা করলে কেউ হুমকির মুখে পড়ে না, তবে এটা ঠিক যে ইসলামকে নির্দিষ্ট করে আক্রমণ করলে অনেকেই খেপবে। কিন্তু এই বইটা তো ইসলাম নিয়ে না, এখানে মৌলবাদের প্রশ্ন আসছে কেন? এমন তো না যে এই বছরই প্রথম দেশে ঘটা করে ডারউইন নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। দু’ বছর আগেই তো মনে হয় শিক্ষা-আন্দোলন মঞ্চ থেকে ডারউইন দিবসে ঢাবি ক্যামপাসে বড় একটা র্যালি বের করা হয়েছিল, সেই র্যালির খবর প্রত্যেকটি পত্রিকাতে এসেছিল। সেই বছর ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডারউইনকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল, আমাদের স্কুলেও হয়েছিল। গত বছর মনে হয় মুক্তমনা লেখকরা সমকালের কালস্রোতে ডারউইন দিবস উপলক্ষে লেখা প্রকাশ করেছিলেন। এরপরও কেউ যদি বাংলাদেশকে কট্টর মৌলবাদী দেশ বলেন, তখন এতে আপত্তি না করাটাই আপত্তিকর হবে। এখানে কেউ যদি ব্যাক্তি আক্রমণের শিকার হয়ে থাকে, তবে সেটা বাংলাদেশে বসবাসকারীরাই হয়েছেন।
@পৃথিবী,
আপনার কথা কিছু অংশে ঠিক যেমন আপনি বলেছেন রাজনৈতিক ব্যপারটা। সে অর্থে ঠিক। কিন্তু কিছু অংশে মানা গেলনা।
অবাক বিস্ময়ের বিষয় এখন আগেকার চাইতে বিশালাকারে অন্ধ ধর্ম চর্চা বেড়ে গিয়েছে। বেড়ে গিয়েছে বোরকার প্রবণতা, বেড়ে গিয়েছে হজ্জ্ব করার প্রবণতা। হজ্জ্ব মানেই হচ্ছে একটা ডিগ্রী। শুনে অবাক হই, যে যতোবার হজ্জ্ব করে সে নাকি ততই ডিগ্রীধারী হয়। কতো, আর কতো উদাহরণ যে দেব।
আসলে কি জানেন সরিষায় ভূত বলে একটা কথা আছে না?
সব দেশেই গোঁড়ামি আছে সত্য কিন্তু ইসলামি জেহাদি নাই।
থাকলেও সংখ্যায় কম।
জেহাদ এই বিষয়ে মনে হয় শ্রধ্যেয় আকাশ মালিক বা আবুল কাশেম বলতে পারবেন। বিবর্তনের মত একসেমিনারে কজন মানুষ যায়, দেখলে ভাবলে কান্না পায়। অথচ দেখুন একটা ওয়াজ মেহফিল হোক লোকজনের অভাব হবে না। তাই বলে সবাই এরা যে অশিক্ষিত তা নয়। বরং শিক্ষিতের হার অনেক বেশি। তাই ভাবি, কি হবে কি করা যাবে আদৌ আমাদের সবার প্রচেষ্টা কী সফল হবে? হয় তো হবে। আমরা বেঁচে থাকবো কিনা তখন। আবার সন্দেহ জাগে
আমাদেরই মত মানুষদের দেখি ভূতের মত এখন পেছনে হাটছে।
দুঃখ তখন লাগে। যখন দেখি ‘দজ্জাল” বলে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা হাতে করে বই বিক্রী করছে। লোকজনও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কিনছে। পাছে কেয়ামতের সময় গুনাহ না হয়। এই হচ্ছে বর্তমানের এক একটা বিচ্ছিন্ন ব্যপার।
@আফরোজা আলম,
আবুল কাশেম যখন নিজেই স্বীকার করেছেন তরুণ সমাজের পরিবর্তনের ব্যাপারে সজাগ ছিলেন না, সেখানে আপনার অযথা উনার হয়ে ওকালতি করার কন কারণ খুঁজে পেলাম না। উনাকে করা প্রশ্নগুলোর উনিই ভাল জবাব দিয়েছেন, এবং দিতে পারতেন।
তাতে হইলটা কি? আবুল কাশেম যা বললেন তা জায়েজ হয়া গেল? আপনারা মেলায় ঘুরেছেন, আনন্দ করেছেন, বইয়ের আপডেট দিয়েছেন – এতে কি প্রমাণিত হয় না যে বইমেলায় ঘোরাঘুরি করার মত পরিবেশ আছে? একহাতে বইমেলায় ইচ্ছামত ঘুরাঘুরি করে আনন্দ করার কথা বলবেন, মুক্তমনায় ছবি দিবেন, আবার অন্য হাতে বাংলাদেশের মত মৌলবাদী দেশে ডারউইনের উপর বই বেরুলে আশ্চর্য হওয়ার ভান করবেন তা তো হয় না।
এটা ঠিক বলেছেন। এটার সাথে সহমত জানাচ্ছি। কিন্তু হুমায়ুন আজাদের মত ঘটনা আর ঘটেনি। ঘটলে আপনারা আর মেলা থেকে এইরমভাবে আপডেট জানাতে পারতেন না। হুমায়ুন আজাদের মত পরিস্থিতি বোধ হয় এখন নাই। তরুন সমাজ অনেক সচেতন।
যা হোক শেষ কথা হল, আমি আপত্তি জানিয়েছি এবং অবাক হয়েছি ডারউইনের উপর বই বের হওয়াতে হঠাৎ করে আবুল কাশেমের আশ্চর্য হয়ে যাওয়াতে। এই বইয়ের চেয়ে অনেক নাফরমানি বই, ধর্ম বিরোধী বই এই বইমেলায় বেরিয়েছে। সে সব বইয়ের লেখকেরা বুক ফুলিয়েই মেলায় ঘুরেছেন, অটোগ্রাফ দিয়েছেন। সেইটা ম্যাডাম আপনেও জানেন। সেগুলার ছবি আপনারাই দিয়েছেন।
আপনার সাথে এই অযথা বাকবিতণ্ডা করতে গিয়ে এই বইয়ের লেখক এবং সম্পাদককে অভিনন্দন জানান হয় নাই। এই বইয়ের সাথে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন। (F)
@ফাহিম রেজা,
সত্যি আপনি আমার দিব্ব চোখ খুলে দিলেন বলে ধন্যবাদ। সারাজীবনই বইমেলা গিয়েছি ভাইজান।
অবাক হবার কিছু নাই। আপনার সুন্দর জবাবের জন্য আরেকদফা ধন্যবাদ। 🙂
@ফাহিম রেজা,
ধর্মকর্মের ধার ধারে না বলেই যে সে আল্লাহবিরোধী কিম্বা সৃষ্টি তত্ত্ব অস্বীকারকারী, তা কিন্তু নয়।
এবার লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গনে প্রচুর সময় কাটিয়েছি। কবি কিম্বা সাহিত্যিকদের মুখে কথায় কথায় ‘আল্লাহ’ এবং ‘দোয়া করবেন’ এমন শব্দ প্রচুর শুনেছি। এই প্রাঙ্গনের অধিকাংশই তরুণ সমাজ।
‘লেখক আড্ডা’স্থানে গিয়েছি বেশ কয়েকবার। সেখানেও আল্লাহবিশ্বাসী কবিদের আনাগোনাই বেশি। এক ছড়াকার ও কবির সাথে পরিচিত হলাম। তিনি মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন। আবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে কড়া পড়ে গেছে। আমাকেও নামাজ পড়তে আহবান করলেন।
@ফাহিম রেজা,
ঠিক আছে। আপনার কথা মেনে নিলাম। বাংলাদেশের আপামর জনতা এখন যুক্তিবাদ, বিজ্ঞান ও বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী হয়েছে–এতো খুবই আশার কথা। আমি এই পরিবর্তনের ব্যাপারে সজাগ ছিলাম না।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এখন ইসলামী মৌলবাদের থেকে দূরে থাকছে জেনে আনন্দিত হলাম। আপনি আমাকে আশার কথা শোনালেন।
ধন্যবাদ
অভিনন্দন।
উল্লেখ্য, মন্তব্যে স্মাইলি দিতে পারছি না। অন্য কারো এ সমস্যা হচ্ছে কি?
@রৌরব,
তাই তো দেখছি! এটা কখন থেকে হল? সকালেও তো ঠিক ছিল। মনে হয় রামগড়ুড়ের ছানা কিছু করছে 🙂 (ম্যানুয়াল স্মাইলি) আমি কিছুক্ষণ গুতাগুতি করে দিশা পাইলাম না। ম্যাসেজ দিসি রামগড়ুড়ের ছানাকে। ঠিক করে দিবে নিশ্চয় তাড়াতাড়ি।
আর অনন্তকে এই চমৎকার বইটি প্রকাশের অভিনন্দন!
স্মাইলি ঠিক হয়ে গিয়েছে :-[ :-[ :-[ (I) (I) (I)
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আপনাকে :-[ (C) (F)