অবিশ্বাসের দর্শনের ইবুক বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন এখান থেকে
অবিশ্বাসের দর্শন
-অভিজিৎ রায় এবং রায়হান আবীর
প্রচ্ছদ: সামিয়া হোসেন
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩২০
মূদ্রিত মূল্য: ৫০০ টাকাপ্রকাশক: শুদ্ধস্বর, ফেব্রুয়ারি, ২০১১
৯১ আজিজ সুপার মার্কেট (৩য় তলা) শাহবাগ, ঢাকা।
ই-মেইল: shuddhashar AT gmail.com ( বিস্তারিত তথ্য এখানে)
অবিশ্বাসের দর্শন
১
অভিজিৎদা’র নাম প্রথম শুনি ২০০৭ এর অক্টোবরের দিকে। সেকেণ্ড ইয়ার শেষ, হলে শুয়ে বসে তিনমাসের দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করছি তখন। খান মুহাম্মদ (শিক্ষানবিস) একদিন আজিজ থেকে দুইটা বই কিনে আনলো। ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ এবং ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’। মুহাম্মদ ময়মনসিংহের এক লাইব্রেরিতে আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রীর সামান্য অংশ পড়ে অভিজিৎ রায়ের লেখনীর উপর বেশ মুগ্ধ হয়েছিলো, তাই আজিজ থেকে “আস্ত” দু’টি বই কিনে আনা।
গাজিপুর থেকে জ্যাম ঠেলে ঢাকা আসতে তিন ঘন্টা সময় লাগে। আমি তাই নেক্সট উইকএন্ডে আলো হাতে আঁধারের যাত্রীকে সঙ্গী করে জ্যাম হাতে বাস যাত্রী হলাম। বই ভূমিকা অংশ পড়েই মুগ্ধ। মুগ্ধতা বিষয়বস্তুর উপর। তারপর থেকেই লোকটার (চিন্তা নাই, একটু পরেই তাকে অমানুষ ডাকা শুরু হবে) ফ্যান।
সেকেন্ড ইয়ারের ছুটির সেই সময়ে বাংলা ব্লগের সাথে পরিচিত হলাম গুগলের কল্যাণে সচলায়তনের খোঁজ পেয়ে। নতুন নতুন হলে যা হয় আর কি, আপনারা এখন যেমন সারাদিন মুক্তমনায় বসে থেকে বিশাল বিশাল পোস্ট পড়ে ততোধিক বিশাল বিশাল মন্তব্য করেন, তখন আমিও তাই করতাম। এরমধ্যে সচলে ঢুকে দেখি অভিজিৎ দার লেখা। সচলায়তনের উপর সেদিন মুগ্ধতা আরও কয়েকগুন বেড়ে গেলো। অভিজিৎ দা ব্লগ লেখেন! তাও আমি যে ব্লগ ফলো করি সেখানে!
২
আমাদের সমাজ সদ্যজন্মজাত শিশুর ইহলৌকিক খেলার মাঠের মৌলিক চাহিদা পূরণে খুব একটা আগ্রহী না হলেও তার পরাকাল নিশ্চিত করতে সিদ্ধহস্ত। জন্মগ্রহণ করতে না করতেই সে একটি নির্দিষ্ট ধর্মভুক্ত হয়ে যায়, তারপর ধীরে ধীরে তাকে শেখানো হয় সে যে দলভুক্ত তারাই সেরা, একমাত্র সত্যপথের অনুসারী। অন্যান্যদের জন্য রয়েছে…… (কী রয়েছে সেটা দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন)।
আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ছোটবেলা থেকেই আশেপাশের সবার কাছে আমার ধর্মের মুজেযা শুনেছি, আর ভেবেছি “ওয়াও!!”। আমার বন্ধু-বান্ধব কেউ অন্য কোনো ধর্মের অনুসারী ছিলো কিনা এখন মনে নেই, থাকলেও তার সাথে ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে আমার কথা হয়নি নিশ্চিত। হলে তখনই জানতে পারতাম, নিজ ধর্মকে অন্যদের চেয়ে সেরা প্রতিয়মান করার জন্য প্রত্যেক ধর্মই নানা ধরণের আকর্ষণীয় মুজেজা সংক্রান্ত গল্পের আশ্রয় নেয়। এই সহজ সত্যটা বোধহয় পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই না জেনে ইন্তেকাল করেন।
আমিও হয়তো সে পথেই যাচ্ছিলাম। ক্যাডেট কলেজে কোনো এক শুক্রবার আমাদের মসজিদের ঈমাম আবেগঘন ওয়াজ করতে করতে এক গল্প শোনালেন। সে গল্পে ঈশ্বরের অসীম কুদরতে বিখ্যাত কোনো ব্যাক্তির পাতে থাকা ভাজা মাছ হঠাৎ করে অভাজা মাছ হয়ে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে থর্পের মতো সাঁতার কেটে হারিয়ে যায় গভীর জলে।
পারিবারিক কারণে আমি সেই সময় সাচ্চা ধার্মিক ছিলাম। ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে পারলে “মান’ত” করেছিলাম সেখানে ছয় বছর এক ওয়াক্ত নামাজ বাদ দেবো না। সেটা সবসময় সম্ভবপর না হলেও সম্ভব করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা ছিলো। কোনো ভ্যাজালে পড়লে আর রহমান সুরা এগারো বার পড়ে ঈশ্বরের নিকট ঝামেলা মুক্তির আবেদন করতাম এ আশায় যে এগারো বার সুরা আর রহমান পড়লে যেকোনো ধরণের ঝামেলা থেকে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টা একেবারেই অব্যর্থ। এছাড়া পাশের বাড়ির কোনো মেয়েকে ভালো লাগলেও আর রহমান এবং সুরা ইয়াসিনের আশ্রয় নিতাম কারণ সুরাগুলো যথাক্রমে এগারোবার ও তিন বার পড়লে মনোবাসনা পূরণ হতে বাধ্য। সুতরাং নিষ্ঠাবান ধার্মিক ছিলাম বলাই বাহুল্য। সেই আমিও হুজুরের বয়ানের পর বেঁকে বসলাম। মনে মনে ভাবলাম যদি সত্যিকার অর্থেই এখন ঘটনা কোরান হাদীসে থেকে থাকে আমি তবুও ভাজা মাছের অভাজা হয়ে যাওয়া বিশ্বাস করতে পারবোনা। ধন্যবাদ।
কিন্তু তাতে করে কোনো কিছুই বদলায় না। কোরান মহাসত্য গ্রন্থ এবং আল্লাহ এক এবং তিনি শুধু আমাদের দলে। এমন করে কেটে যেতে থাকা সময়ে একদিন কাঁটাবন মসজিদের লাইব্রেরীতে দুর্দান্ত এক বইয়ের সন্ধান পেলাম। ইসলাম ও বিজ্ঞান বিষয়ে আহমদ দিদাত এর লেখা। সে বইয়ে “মিরাকল নাইন্টিন” নিয়ে একটি অধ্যায় ছিলো- যা পড়ে আল্লাহ এবং বিশেষ করে কোরান যে অলৌকিক গ্রন্থ সে ব্যাপারে একেবারে নিঃসংশয় হয়ে গেলাম। “রাস্তা ঠিকাছে, এখন শুধু ঠিক ঠাক ড্রাইভ করে বেহেশতে পৌঁছাতে হবে, তারপরইইইই …”
তখন হালকা পাতলা বাংলা উইকিতে অবদান রাখি। বই পড়ার পর কোরানের সাংখ্যিক মাহাত্ম্য নিয়ে একটা নিবন্ধ খুলে ফেললাম। এই নিবন্ধই পরবর্তীতে জীবন বদলে দিয়েছিলো, কীভাবে, সেটাতেই আসছি।
৩
সচলায়তনে অভিজিৎ দা বিজ্ঞানময় কিতাব নামে এক পোস্ট দিলেন। সহ ব্লগার এবং অতিপ্রিয় বড়ভাই তানভীরুল ইসলাম একদিন একটা বাক্য বলেছিলেন আমাকে “মোমেন্ট অফ এনলাইটমেন্ট”। এই বাক্যটাকে আমি নিজের মতো এভাবে বুঝে নিয়েছি যে, আসলে এইসব বই পত্র পড়ে মানুষ অবিশ্বাসী হয়না। অবিশ্বাসের সূচনা হয় বজ্রপাতের মতো ঝিলিক দেওয়া ঝলকানীতে। সেটা হতে পারে হঠাৎ কোনো কথা শুনে, কোনো বইয়ের শিরোনাম দেখে কিংবা নিজের মনেও কোনো সংশয় উদয় হলে। এখন বুঝি অভিদার “বিজ্ঞানময় কিতাব” শিরোনামটাই আমাকে আলোকিত করে দিয়েছিলো। এর আগ পর্যন্ত আমার ধারণাও ছিলো না অলৌকিক কিতাবের উপর কোনো ধরণের সংশয় প্রকাশের জায়গা আছে। মহাসত্য গ্রন্থে ভুল আছে বা অযৌক্তিক কথা আছে। তার পুরো লেখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লাম।
কিন্তু বিজ্ঞানময় কিতাব সে লেখাতে অভিদা মিরাকল নাইন্টিনের উল্লেখ করেননি। আমি তখনও পুরোপুরি কনভিন্সড হইনি, কারণ আমার হাতে ছিলো আওয়ামীলীগের জলিলের মতো মিরাকল নাইন্টিন ট্রাম কার্ড। কোরানকে এভাবে ঊনিশ দিয়ে বাঁধা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, সুতরাং এটি মানুষ দ্বারা লিখিত হতেই পারেনা। আমি মন্তব্যের ঘরে ভদ্রভাবে ট্রাম কার্ড ফেললাম। অভিদা আমাকে কিছু লিংক যোগান দিলেন বিষয়টির উপর। আর কিছু বললেন না। তিনি ধর্ম নিয়ে বেহুদা তর্ক করার লোক নন। তার জন্য ইশারাই কাফি!
সেই থেকে শুরু। আমার ধর্ম সংক্রান্ত স্কেপটিক ইনকোয়ারি। যত গভীরে যেতে থাকলাম, যতো পড়তে থাকলাম, ততো দেখলাম শৈশব থেকে লালন করা সংস্কারগুলো তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাচ্ছে। হাজার বছর ধরে চলা ধর্মীয় ভণ্ডামি আর মিথ্যাচারের মুখোশ ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকলো আমার কাছে।
মুহাম্মদ তখন বিজ্ঞান এবং মাঝে মাঝে ধর্ম- বিজ্ঞান, সংশয়বাদ নিয়ে লিখে। আমি সেগুলো পড়ি, আর পড়ি মুক্তমনার বিশাল আর্কাইভ। নিজে ব্লগিং করলেও সেটা নিন্তান্ত, ভাত খেয়ে যাচ্ছি, খেয়ে এসে ঘুমাবো টাইপের কথা বার্তা। কিন্তু হঠাৎ একদিন মনে হলো, একটা পাপ মোচন করা দরকার। উইকিতে মিরাকল নাইন্টিন নিবন্ধের পাপ মোচন।
চিন্তা পর্যন্তই।
এরপর হঠাৎ একদিন ক্যাডেট কলেজ ব্লগে মিরাকল নাইন্টিন নিয়ে পোস্ট আসলো। সেখানে বর্ণনা করা হয়েছে কোরানের সব কিছুতে আছে মহান উনিশ। আল্লাহর অস্তিত্বের বাস্তব প্রমাণ একেবারে। আমি গা ঝাড়া দিয়ে বসলাম। মিরাকল নাইন্টিনের ভণ্ডামি তুলে ধরে একটা ব্লগ লিখলাম। এই লেখা যেহেতু আমার পাপমোচন লেখা ছিলো তাই এসব বিষয় নিয়ে পুনরায় আর কোনো লেখার আগ্রহ ছিলোনা। কয়েকমাস পরে, অভিদা আমাকে একটা মেইল দিলেন, মেইলের বিষয়বস্তু উনি নেট খুঁজে আমার মিরাকল নাইন্টিন লেখাটা পড়েছেন, আমি যেন মুক্তমনায় নিবন্ধন করে লেখাটা সেখানেও রাখি।
আরেকবার মুগ্ধ হবার পালা। কারণ তখন অভিদা, বন্যাপাকে মুক্তমনায় যাওয়া আসার সুবাধে চিনেছি ঠিকই কিন্তু এরা প্রত্যেকেই ছিলেন আমার কাছে বিশাল উচ্চতার একজন মানুষ। সেই অভিদা আমাকে মেইল করেছেন। তারপরই থেকেই মুক্তমনায় নিবন্ধন করে ধীরে ধীরে অতি আঁতেল সম্প্রদায়ের লেখা বিভিন্ন ব্লগে ভয়ে মন্তব্য করা শুরু করি।
৪
শুরুর কথাই বিশাল হয়ে গেলো। এবার দ্রুত আসল প্রসঙ্গে চলে আসি। ২০০৯ এর ডিসেম্বরের দিকে অভিদা আর বন্যাপা ঢাকায় এসেছিলেন। সে সুবাদে এই দুই বিখ্যাত মানুষের সাথে কয়েকবার দেখা হয়েছিলো। বন্যাপা (অভিদা কিন্ত না) সুটকেস ভর্তি বই এবং চকলেট নিয়ে আসছিলেন। আমরা নিজেদের বই ভাগাভাগি করে, সে বইয়ের গন্ধ শুকতে শুকতে আর চকলেট খেতে খেতে বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গঠনে তরুণদের ভূমিকা এবং করণীয় নামক বিষয় নিয়ে বিশাল জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করছিলাম। একেবারে শেষ মূহুর্তে অভিদা ভিক্টর স্টেংগরের “নিউ এইথিজম” বইটা কোন চিপা থেকে বের করে মুহাম্মদের হাতে দিয়ে বললেন, বইটা পড়তে। অনেক কিছু জানা যাবে।
মুহাম্মদের আগে সে বই আমি কব্জা করে পড়া শুরু করলাম। “অনেক কিছু জানার জন্য” না বরঞ্চ বইয়ের শুরুতে INGERSOLL’S VOW নামে ইঙ্গারসল সাহেবের একটি বক্তৃতার কিয়দংশ পড়ে মুগ্ধ হবার কারণে। তারপর পুরো বইটা অল্প দিনের কাছে মুখস্ত করে ফেলি। নাস্তিকতা নিয়ে বাজারে অনেক বই পাওয়া যায় কিন্তু নিউ এইথিসজের বিশেষত্ব ছিলো মুলত এর রেফারেন্স কালেকশন। বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ে বিবর্তন, এস্ট্রোফিজিক্স, ধর্ম, ঈশ্বর হাইপোথিসিস সহ বিভিন্ন বিষয়ে বর্তমান সময়ে নাস্তিকতার পুরো দর্শনটাই ফুটে উঠেছিলো। সবকিছু ছুঁয়ে যাওয়া বইটা পড়ে এসব বিষয়ে আগ্রহ বোধ করলাম, এবং রেফারেন্স উল্লেখ থাকা বইগুলো নামিয়ে আরও ডিটেইল ‘জ্ঞান অর্জনে’ ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
কিন্তু এতো বই পড়ে কি হবে? সচলের মাহবুব লীলেনদা বলেছেন- বই পড়তে হয় না, লিখতে হয়। এই মূলমন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ঠিক করলাম বাংলা ভাষায় অবিশ্বাসের দর্শন নিয়ে একটা রিভিউ বই লিখে ফেলা যেতে পারে। নিজের মতো কচ্ছপ গতিতে লেখা শুরু করলাম। তারপরই বুঝলাম কতো বড়ো একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। চার লাইন লিখতে আমার সময় লাগে তিন ঘণ্টা (পাঠকরা চাইলে এই বিখ্যাত চার লাইন আমি বই বেরুলে চিহ্নিত করে দিবো)। বই নিয়ে যখন অথৈই সাগরে ঠিক সেই সময় অভিদা মেইল করে বললেন, এমন একটা বই দুইজন মিলে লেখা যায় কিনা। সেই থেকে শুরু। অমানুষ অভিদা বইয়ের কাজে যোগ দিলেন। সাথে এই আমি। আমি আর অভিদা – আমাদের এই যুগপৎ প্রয়াসের বিনীত উপস্থাপনাই এবারের বই –অবিশ্বাসের দর্শন।
৫
পোস্টের শেষে বইয়ের একটা প্রিভিউ পিডিএফ আপলোড করে দিচ্ছি। সেখান থেকে কিংবা মুক্তমনার বই পরিচিতি পাতায় রাখা ভূমিকা পড়লেই পাঠক বইটি কী নিয়ে লেখা সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। তারপরও এখনে কিছু কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন।
বইটিকে মোটামুটি দু’টি ধাপে ভাগ করা যায়। প্রথম অংশ ঈশ্বর হাইপোথিসিসের বৈজ্ঞানিক খণ্ডন, দ্বিতীয় অংশ ধর্মালোচনা। এছাড়া বৈজ্ঞানিক ভাবে খণ্ডনে যাবার আগে প্রথম অধ্যায় “বিজ্ঞান এর গান” এ বিজ্ঞানের আসলেই ঈশ্বর নাম অতিপ্রাকৃতি, কাল্পনিক ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু বলার এখতিয়ার এবং ক্ষমতা আছে কিনা সেটা বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বইয়ের একেবারে শেষ অধ্যায়ে রাখা হয়েছে নাস্তিকতার বর্তমান এবং ভবিষ্যতালোচনা।
বিজ্ঞানের ঈশ্বর সম্পর্কে কিছু বলার এখতিয়ার নেই বলে ধার্মিক এবং মডারেট ধার্মিকরা অনেক বাক্যাবলী ব্যবহার করলেও নিজেদের ক্ষেত্রে তারা সে ব্যাপারটুকু একেবারেই ভুলে যান। প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থকে বৈজ্ঞানিক প্রমানের জন্য বাজারে হাজার ধরণের বই পাওয়া যায়। আমরা আমাদের বইয়ে একেবারে প্রান্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলেও ‘বিজ্ঞানময় কিতাব’ নামে একটি অধ্যায় সংযুক্তি করেছি ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান নামক বিষয়গুলোকে খণ্ডানোর জন্য। এখানে পাঠকের উদ্দেশ্যে আরও একটা কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন, এই বইয়ের বেশ কিছু অধ্যায়ের নামের সাথে আপনারা আগে থেকে পরিচিত থাকলেও ভেবে নেবেন না, জাস্ট সে লেখাগুলো ব্লগ থেকে কপি পেস্ট করা বইয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। ব্লগের লেখাগুলোর সাইজ তিন পাতা হলে বইয়ে অধ্যায়টি জায়গা দখল করেছে পঞ্চাশ পাতা। অসংখ্য নতুন বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে নাম আগের মতো রেখে। বইটি কিনে পড়লে ঠকবেননা আশা করি।
৬
বইটি প্রকাশ করেছে ‘শুদ্ধস্বর’। সম্পূর্ণ বইটি কম্পোজ করা হয়েছে ইউনিকোডে। ছাপা হয়েছে ইউনিকোড ভিত্তিক সোলাইমানিলিপি ফন্টে। বইটির প্রুফ রীড করেছেন মুক্তমনার অন্যতম পরিচিত মুখ এবং যুক্তি পত্রিকার সম্পাদক অনন্ত বিজয় দাশ। পাশাপাশি বইটির মানোন্নয়নের ব্যাপারে চমৎকার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর অত্যন্ত চমৎকার প্রচ্ছদ করেছে সামিয়া হোসেন। শুরুতে আমার আর অভিদার ধারণা ছিলো বইটা আমি আর অভিদা ছাড়া আর কেউ কিনবেনা, কিন্তু ফেসবুকে এই বইটা নিয়ে একটা মামুলী পোস্টের সাথে সাথেই অসংখ্য ‘লাইকের’ তালিকা এবং সর্বোপরি এই দুর্ধষ প্রচ্ছদের কল্যাণে বইটা বেশ ভাল চলবে বলে ধারণা করছি আমরা। সামিয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এছাড়াও বই প্রকাশের বিশাল ঝক্কির সাথে বহু মানুষ জড়িত ছিলেন। এখানে তাদের সবার নাম উল্লেখ করা সম্ভব না হলেও বিশেষ কয়েকজনের নাম বইয়ের শেষে কৃতজ্ঞতা সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্বোধনের জন্য চন্দ্রবিন্দু জুড়ে দেয়ার রেওয়াজ আছে বাংলায়। কিন্তু আমরা এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি। কেবল বয়সের কারণেই কারো মাথার উপর চন্দ্রবিন্দু আরোপের চেষ্টা আমরা করিনি। আসলে একাডেমির নিয়ম অনুসারে বইয়ে কোনো ব্যক্তি সম্মানিত না অসম্মানিত সেটা বিচার করা হয়নি বলে কেউই ‘তার’ এর উপর চন্দ্রবিন্দু পাননি, কিন্তু তা বলে কারো প্রতি অযথা অশ্রদ্ধাও প্রকাশ করা হয়নি। বরং নির্মোহ ভাবে যুক্তির কথাই আমরা বলতে চেয়েছি ব্যক্তি বা বয়সকে দূরে সরিয়ে রেখে। বইটিতে বহু রেফারেন্স দেয়া হয়েছে, কিন্তু ভাষা রাখার চেষ্টা করেছি যতদূর সম্ভব সাবলীল।
৭
আপাতত এইটুকুই। বইটি এক বসায় পড়ে ফেলার মতো হয়েছে কিনা জানিনা। তবে আমরা দুজনেই আশা করি বইটি, যারা ‘প্রশ্ন করেন এবং উত্তর খুঁজেন’ তাদের কিছুটা হলেও কাজে লাগবে।
ব্লগ শেষ, এখন মাটির হাড়ি ভেঙে কয়েন বের করে গোণা শুরু করেন। পাঁচশ (২০ পারসেন্ট ছাড়ে সেটা ৪০০ এবং ২৫ ছাড়ে ৩৭৫ হতে পারে) টাকা পকেটে ভরে বইমেলায় চলে আসবেন আশা করি। সাথে কলম আনা প্রয়োজন হবেনা, কারণ কলম আমার সাথে থাকবে, তবে কলমে কালি থাকবে কিনা বলতে পারি না :))
আমাদের জীবন দীপান্বিত হোক! মুক্তচিন্তার জয় হোক!
প্রয়োজনীয় লিংক
বইটি কিনেছি।
মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে মনের ভুলে আল্লাহ খোদা ঈশ্বরকে ডাক দিয়ে বসতে ছিলাম। 🙁 🙁 অন্য কিছু নয়, কেবলই কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য যে, তিনি আমাকে দিয়ে দু’শ অথবা তিন’শ টাকার নোট বের করেননি।
লেখা নিয়ে বিরোধিতারতো কিছু নেই, উল্টো প্রশংসারও কিছু নেই। অবিশ্বাসীরা এরকমই মেধাবী হয়! 🙂
কিন্তু প্রশ্ন হলো জ্ঞান/বিজ্ঞান যে এতো মূল্যবান, তা বইয়ের মূল্য দিয়ে প্রমাণ করার প্রয়োজন কেন পড়লো বুঝলাম না!
(আমি মন্তব্যগুলো পড়িনি, এর আগে হয়তো কেউ এ বিষয়ে বলেছেন এবং লেখকও হয়তো জবাব দিয়েছেন!)
@sobak,
শুদ্ধস্বর আসলে ভালো কাগজে বই ছাপায় তো, আর চেহারা সুরত সবকিছুর উপর অনেক গুরুত্বারোপ করে, তাই দাম একটু বেশি হয়ে যায়… এই বিষয়টা নিয়ে আসলেই আমার কিছু করার নেই। (অবশ্য বইয়ের সাইজ এতো বড় হওয়ার অপরাধ আমাদেরই :)) )
বই পড়ে জানাবেন ক্যামন লাগলো…
হুমায়ুন আযাদের পর এমন সাহস আর কেউ করেনি।
মুক্তবুদ্ধির দ্বার তবে খুল্ল অবশেষে।
একটা কথা ভাবতে ভালই লাগে-আমরাই সেই প্রজন্ম যারা ঈশ্বরের শ্রাদ্ধদিনের সাক্ষী।
হায় ঈশ্বর! গদা, ত্রিশুল আর তলয়ার হাতে নয়, তোমার পুনরজন্ম হক সংগীতে ও শুদ্ধতম শিল্পকলায় (তোমার বেহেস্তও যার অস্তিত্ত নেই)।
আরও লেখার প্রতিক্ষায় থাকলাম।
হুমায়ুন আযাদের পরে এমন সাহস আর কেউ দেখাইনি।
লেখক দুজন কে অনেক ধন্যাবাদ।
মুক্তবুদ্ধির পথ কখনও বন্ধ করা যায়না।
সম্ভবত আমরাই সেই প্রজনম যারা ঈশ্বরের শ্রাদ্ধ দিনের সাক্ষি থাকলাম।
হায় ঈশ্বর! গদা, ত্রিশুল, বা তলয়ার হাতে নয়। তোমার পুনর্জন্ম হোক সংগীতে ও শিল্পকলায়।(যা তোমার প্রস্তাবিত স্বারগেও নাই)।
আরও লেখার আশায় থাকলাম।
@মাসুদ মুরশেদ,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। অনুপ্রেরণা পেলাম।
সাহসের কিছু না। সভ্য জগতের বাসিন্দা হিসেবে নিজেদের কথাবলার অধিকারটুকু ব্যবহার করেছি আমরা দু’জন কেবল। আর কিছু নয়।
বইটা মেলায় কিনবো ভাবছি।
তবে আপনার ঈশ্বর অবিশ্বাসের ঘটনা, সাধারণ বিশ্লেষণের চেয়ে তৎক্ষণাত হয়েছে। এত তাড়াতারি পালটে যেতে পারে, ভাবা যায় না। অনেককেই দেখেছি, কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর লেগেছে তাদের বিশ্বাস বদলাতে।
@রঞ্জন বর্মণ,
সময় বেশি লাগে সেটা মানতে পারিনা। একটু আলোকিত হলেই পুরা বিষয়টা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
@রায়হান আবীর,
বই টা কিনেছি, পড়েছি, বেশ ভাল হয়েছে।
আপনার নিজের সময়টা খুব কম লাগলেও সবার ক্ষেত্রে সমান নয়, কারন সবাই সমান আলোকিত হওয়ার চর্চা করে না। যারা করে তারা স্ব-উদ্দোগেই করে। কেউ জোড় করে চাপিয়ে দিয়ে হয় না। তবে যারা স্ব-উদ্যোগেই করে তারা নিজের সন্দেহ কে কাটিয়ে উঠার জন্য সোর্স খুঁজে এবং তা পেয়ে গেলে তার আলোকিত হয়ে উঠার রাস্তাটা খুব সহজ হয়। আমাদের দেশে এখনো অনেকেই বলে যে, হিন্দুর ঘড়ের জন্ম নিয়ে আসারাই বেশী নাস্তিক। তার মানে কি বুঝালো তারা, এই দেশে যেখানে ৯০শতাংশ এর উপড়ে মুসলিম তার পরও নাকি হিন্দুরাই বেশী নাস্তিক হচ্ছে।
লোকমুখে শুনলাম বইটা বেরিয়ে গেছে। শুদ্ধস্বরের ফেসবুক পেইজে ছবিটা পাওয়া গেল, একেবারে কোনার দিকে অবিশ্বাসের দর্শন উঁকি দিচ্ছে। 🙂
[img]http://www.mukto-mona.com/Articles/avijit/raihan/obisshasher_dorshon/boimela/obisshasher_dorshon_in_stall.jpg[/img]
আমার কোন বইই মেলার প্রথম দিন থেকে মেলায় পাওয়া যায়নি। এটি নিঃসন্দেহে একটি রেকর্ড।
রায়হানের কাছ থেকে জানলাম মেলা্র প্রথম দিন নাকি মাত্র ১০ কপি আনা হয়েছিলো, কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে (এ জন্যই বলি ভাল সহলেখক ধরে বই লিখতে হয়, সকল প্রশংসা রায়হানের প্রাপ্য)।
@অভিজিৎ,
মেলার প্রথমদিন যদি ১০ কপি এনে থাকে তাহলে “শুদ্ধস্বর” তাদের স্টল খুলতে না খুলতে প্রথম ১০ মিনিটের মাথায় আমাদের সামনেইতো ৪-৫ কপি বিক্রি করেছিল।আফরোজা আলম হলো তাদের প্রথম খরিদ্দার।দেখলাম ওনি আপনার “সমকামিতা” ও গীতা দি’র “তখন ও এখন” বইগুলি কিনেছিল।আর কল্যান কেনার পর বার বার বলেছিল “অবিশ্বাসের দর্শন” বইটি না-কি খুব ভালো বিক্রি হবে।
গীতা দি,আফরোজা,(কল্যান জ্যামে আটকা পড়ার কারনে পরে আসে),জাকির হোসেন নান্নু,আমি ও আরো দু’য়েকজন মেলার প্রথমদিন এক সাথে চরম আনন্দের সাথে কাটাই ও মেলা ঘুরে ঘুরে দেখি।গীতা দি বারবার বলেন সবাইকে মনে হয় কত কত বছর থেকে চিনি-জানি,কত আপনজন, অথচ আজই আমাদের সবার সাথে প্রথম দেখা ও সাক্ষাৎ।
রায়হান আবীর,রামগড়ুড়ের ছানা ও লীনা আমাদের সাথের দারুন সঙ্গটি উপভোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।আশা করি আগামি কয়েকদিনের মাথায় আবার আমরা সবাই একত্রিত হতে পারব।
অঃট আচ্ছা আমাদের পথিক ও রনদীপম বসুর কেউ কি খোজ-খবর দিতে পারেন ওনারা কোথায় আছেন ?
আমি ও একমত। এই বইগুলো ভালো বিক্রি না হয়ে যেতেই পারেনা। মুহুর্তেই নিঃশেষ হয়ে যাবে।
তাছাড়া আমি তো অধম আছি। আমার অনেক’কে বললেই হুমড়ি খেয়ে সেই বইটা কিনে ফেলবে।
কেননা আমার বই পড়ার রুচি তারা জানে বোধ করি তাই।
সত্যি আনন্দ লাগছিল যে আমরা ক’জনা মাত্র মুক্তমনার। আরও অনেকে যোগ দিলে আনদ আরও ঘনিভূত হবে। তবে হবে আশা রাখি। মেলাটা জমে উঠুক। 🙂
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
আড়ালে থেকেই যথারীতি পড়ে যাচ্ছিলাম। আপনার কারণে লগিন করতেই হলো। আমি ভাই আপনাদের পাশেই আছি। আসলে ইদানিং আঙডাঙ ছবিবাজী করে জুতসই কিছু লেখা হচ্ছে না বলে এখানে অন্তরালবাসী থেকে খোঁজখবর নিয়ে যাই আর চমৎকার সব লেখাগুলো পড়ে নেয়ার চেষ্টা করি। এই হলো বিষয়।
ছুটির দিন হিসেবে শুক্রবার ৪তারিখ বিকেলে মেলায় যাবো আশা করছি। ঢাকায় যারা আছেন, এদিন চলে আসতে পারেন। শুদ্ধস্বরের সামনেই দেখা হয়ে যাবে, সামনাসামনি পরিচয়টুকুও হয়ে যাবে !
আর বইটির সৌজন্যে রায়হানকে শুধু অভিনন্দনই নয়, কষে মাইর দিতে হবে ! ও এতো ভালো কাজ করে কিভাবে ! অভিজিৎ দা’কে নিয়ে আমার নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে অভিজিৎ-রায়হান জুটি যে কী জিনিস, মুক্তচিন্তক পাঠকরা এবার নিশ্চয়ই খুব ভালো করেই উপলব্ধি করবেন আশা করছি।
এছাড়া পোস্টের মন্তব্যের উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে অভিজিৎ দা’র চেহারার যা বর্ণনা শুনলাম, তাতে কোথাও একটা ভেজাল রয়ে গেছে ! কালো বদখত মুটকো চেহারার একটা লোকের এমন রূপবান ছবি বইয়ে আসলো কী করে ! এ বিভ্রমের ব্যাপারে বন্যাপুর প্রত্যয়ন চাই ! হা হা হা !
@রণদীপম বসু,
অনেক ধন্যবাদ রলো আপনার প্রতিউত্তর করার জন্য।ভালোই হলো তাহলে কাল মেলায় “শুদ্ধস্বরের” সামনে আমাদের দেখা হচ্ছে,এদিকে আমি গীতা দি ,আফরোজা সহ অন্যদের কে জানান দিচ্ছি গরম তাজা খবরটি।দেখা যাক কে কে আসে !!!
অঃটঃ
নীচের সংবাদটি অনন্ত বিজয় দাসের দেওয়া সবার সাথে শেয়ার করার জন্য এখানে দিলাম।
yukti 3rd issue
——————————————————————————–
আগামী ৪ ফেব্র“য়ারি, শুক্রবার দুপুর ১২.৩৫-এ বিটিভিতে ‘মহাবিশ্বের পথে পথে’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমন্সকতার ছোট কাগজ যুক্তি’র তৃতীয় সংখ্যা নিয়ে একটি পুস্তক-আলোচনা দেখানো হবে।
অনুষ্ঠানটি দেখার অনুরোধ রইল।
‘মহাবিশ্বের পথে পথে’ শিরোনামের পাকি বিজ্ঞানভিক্তিক অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা, পরিচালনা, সঞ্চালকের দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞান লেখক রুশো তাহের।
অনুষ্ঠানটির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করে হবে। পাওয়া গেলে ভিডিও ফুটেজটি আপনাদের সাথে পুনরায় শেয়ার করা হবে।
ধন্যবাদ
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
মামুন ভাই আপনি কাল যাবেন শুনলাম। আমি গত দুই দিন গিয়েছি। কিন্তু কাল একটা দাওয়াতে সারাদিন বিজি। গেট্টুগেদারে মাস্ট দেখা হবে :))
অসাধারণ এ বইটির জন্মলগ্নে পাঠ করার দুর্লভ সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।
আমি উদ্বেলিত, আনন্দিত, কৃতজ্ঞ।
এ গ্রন্থের প্রতি পৃষ্ঠায়, প্রতিটি লাইনে, প্রতিটি শব্দে লেগে আছে তেজোদ্বীপ্ত দুই তরুণের দুর্বার দ্রোহের ছাপ। সেই দ্রোহের আগুন থেকে একটুখানি উত্তাপ পাওয়ার আশায় উন্মুখ হয়ে বসে আছি আমরা। নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষায়।
আমার আন্তরিক অভিনন্দন রইলো। শুভকামনা করি অবিশ্বাসের দর্শনের মূল চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।
বইটি দারুন হয়েছে। একদম ফাটাফাটি। (আমি অবশ্য বের হওয়ার আগেই পড়ে ফেলেছি, রায়হান বলেছে, আমার নাকি অনেক গুনা হবে!!)
সবার মত অভিদার ছবি দেখে আমিও টাস্কিত!
আর অসাধারণ প্রচ্ছদের জন্য সামিয়া হোসেনকে আন্তরিক অভিনন্দন।
বইটা খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব, কি মনে হয়?
ইহা কি মন্তব্য অংশ নাকি অভিদার চেহারার পোস্টমর্টেম অংশ??
অভিনন্দন রায়হান, সেইসাথে অভিজিৎ’দাকেও অনেক অভিনন্দন!
খবর তো আগেই জানতাম, এই সুযোগে অফিশিয়ালি জানিয়ে গেলাম। বইটা একদম লেখকের সহিসহকারে কিনে নিবো। কয়েকজন বন্ধু আর জুনিয়রকেও বিলাবো। এই বই সবার পড়া দরকার আছে! পড়লে যদি কিছু গোবর কেটে মগজ হয়!
এই বইয়ের প্রকাশে আমার ব্যক্তিগত লাভ হয়েছে একটা। মুহাম্মদের মতো, নতু করে উৎসাহ পেয়েছি। এজন্য তোমাকে আলাদা ধন্যবাদ, সামনে থেকে উদাহরণ দেখিয়ে ‘নেতৃত্ব’ দিলে। 😉
অভিজিৎদার ছবিটা দেখে নিরাশ হয়েছি।
আমার কল্পনার সাথে বাস্তবতার কত ফারাক।
আমি ভাবছি দেখতে আমাদের মতো তামাটে হবে।
প্রতিদিন জগিংকরে ফিটফাট একটা বডি থাকবে।
বিশ্বাসিদের সাথে লড়তে শারিরীক শক্তিওতো লাগে…।
এখন মনে হচ্ছে আনফিটফ্যাট।
রায়হান আবীরের ছবিটা ফেসবুকেই যা দেখেছি তাই।
@আসরাফ,
ভাই, আপনারে নিরাশ করার জন্য আমিও নিরাশিত হলাম 🙂 আপনার ‘রিকোয়ারমেন্ট’ দেখে মনে হল, আমি কোন বই লিখতে যাচ্ছি না, হলিউড বা বলিউডে অডিশন দিতে যাচ্ছি যেন।
ছবি দেইখাই পাবলিক যেভাবে আমারে ফর্সা, বাংগালী না, আনফিটফ্যাট বানায় দিতেসে – খুবই মুশকিলের ব্যাপার হচ্ছে মনে হচ্ছে। আমি আসলে ওগুলার কোনটাই নই। বাকিটুকু দেইখেন কোনদিন সামনাসামনি দেখা হলে …
তবে আপনি নিরাশ হলেও আপনার মন্তব্য দেখে বন্যা যার পর নাই খুশি হবে এটা বলতে পারি। এখন যথারীতি ছবিটা নিয়ে তার আপত্তির কারণ জায়েজ হবে বন্যার কাছে, কইব – “তোমারে তো আগেই বলছিলাম ছবিটা নিয়া …” 🙂
রায়হান আবিরকে না হয় বই মেলায় পাব।
আভিজিৎদা কি এই উপলক্ষে ঢাকায় আসবেন?
আমি আর কমেন্ট করুম কি, রায়হান আবীর আমার পাশের চেয়ারে বসে ধুমায়ে কমেন্ট করতেছে। অন্যদিন আমারে কয়, সারাদিন ব্লগিং করেন কেন? আজকে বালক কি সুন্দর হাসিমাখা আলোকিত মুখ নিয়ে কমেন্ট করতেছে। 😀
আবীর, ইটটি মারিলে পাটকেলটি খাইতে হয়। 😛
আবীরকে অভিনন্দন জানাইলাম না, তোমার জন্য :guli:
আর অভিজিৎ দা, আপনার জন্য :-[ এর শুভেচ্ছা। ইসস, আপনি আমার ডিপার্টেমেন্টের অদেখা বড় ভাই, ভাবিছিলাম, আপনারে দেখে চেহারাতেই একটা যান্ত্রিক মিল খুঁজে পাবো অথচ আপনারে বাঙ্গালী বলেই মালুম হয় না। 😉
@নীল রোদ্দুর,
রায়হান এখন তালিকাভুক্ত লেখক হিসেবে (ভাল বাংলায় গ্রন্থকার না কি যেন বলে) নাম লেখাতে যাচ্ছে। ওকে নিয়ে নো ফাইজলামি!
কী আর করা! অবাঙ্গালী অভিজিৎবিহারী ঝুনঝুনওয়ালার ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
@অভিজিৎ,
অভিজিৎ দা’র ধন্যবাদের চেয়ে তো দেখি অভিজিৎ বিহারী ঝুনঝুনওয়ালার ধন্যবাদ টেস্টি। 😉
উদীয়মান গ্রন্থাকার রায়হান আবীরকে নিয়ে নো দুষ্টামী 😀
ভয় খালি একটা, আমাদের উপদ্রবে কোনদিন আমাদের স্যার এর হার্টের ব্যামো হয়ে যায়। কবিতার বই এর ভিতরে কি আছে, তা জানলে হইতে পারে। :hmm:
বইটা আমি অবশ্যই কিনব। তবে কি জানেন আমার মাটির হাঁড়িটা ভেঙ্গে সব মিলে পাঁচশ টাকা হবেনা। তাছাড়া পাঁচশ টাকার সাথে গাড়ি ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া তো আছেই। সেগুলো নিয়ে এখন ভীষণ চিন্তিত। তাই মাটির হাঁড়িটার দিকে তাকিয়ে আছি যদি সে হঠাৎ মুখ ফুটে বলে উঠে ” রাফি, তোমার পড়ার আগ্রহে আমার চিরদিনের বন্ধ মুখটা উন্মুক্ত হয়ে গেছে। আমি আমার সততায় হেরে গেলাম। যাও, তোমার যা লাগে আমি তাই তোমায় দেব।” এই কথাগুলো শোনার অপেক্ষায় আছি। জানি সে তার সততা কখনই ভঙ্গ করবে না। তারপরও মানুষ অন্তহীন অপেক্ষায় পথের দিকে কিংবা কারো দিকে চেয়ে থাকতে পছন্দ করে, তাই চেয়ে থাকা।
@রাফি,
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। মেলায় দেখা হবে 🙂
@রাফি,
কাল রাতে নর্থ ক্যারোলিনা থেকে ফিরলাম। খুব ক্লান্ত অবস্থায় আপনার মন্তব্যটা দেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বইটার দামটা আসলেই একটু বেশি হয়ে গেছে। সব দোষ রায়হান আর শুদ্ধস্বরের টুটুল ভাইয়ের। আমি হচ্ছি হাভাতে লেখক, তারপরেও থাকি দেশের বাইরে। আমি লেখক কপিও পাইনা অনেক বইয়ের 🙂 । তারপরেও যদি কেবল অর্থের কারণেই বইটা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমাকে একটা ইমেইল করবেন এই ঠিকানায় – [email protected] (চারবাক এর পর একটি আন্ডারস্কোর আছে, যেটা অনেক কম্পিউটারে আসে না)।
@অভিজিৎ দা, আমি শুধু একটা মন্তব্য লিখেছি। আমি টাকার জন্য কোন আগ্রহ বিসর্জন দেইনি। আমি অবশ্যই বইটা পড়ব। তবে খুব ভাল লাগল আপনার কমেন্টের জন্য। বইমেলায় দেখা হবে।
অবিশ্বাসের দর্শন বইটির জন্য আগাম বুকিং দিয়ে রাখলাম। লেখকদ্বয়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। (F)
সেই সঙ্গে বই মেলার লেখক-ব্লগার সবাইকে অভিনন্দন জানাই। চলুক। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
ধন্যবাদ। শুদ্ধস্বরে খোঁজ নেবো আপনি আপনার কথা রাখলেন কিনা সে বিষয়ে 😉
বইটা নিয়ে কিছু কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছে।
ভূমিকা পড়ে আমার কয়েকটা কথা মাথায় আসল। বইটা কি পুরো পুরিই অবিশ্বাসীদের জন্য? নাকি বিশ্বাসীদেরও কিছু দাবী আছে? অন্তত মাঝামাঝি অবস্থানে যারা আছে তাদেরও কি কোন দাবি আছে এই বইয়ের উপর? যদি থেকে থাকে তবে আমি বলব ভূমিকাটা অতিমাত্রায় কড়া হয়ে গেছে। বিশ্বাসী বা অর্ধবিশ্বাসী বা ভূয়োবিশ্বাসীরা যদি বইটার প্রতি সামান্য আগ্রহও দেখাতে চায়, বা ইন্টারেস্টিং প্রচ্ছদ দেখে একটু নেড়েচেড়ে দেখতে চায়, তবে এই কড়া ভূমিকা দেখে তারা আশাহত হবে।
ভূমিকাতেই ধর্মবিশ্বাসকে এই হারে বাম্বু না দিয়ে ভূমিকা দিয়ে পাঠককে ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধিরে ধিরে মজা উন্মুক্ত করলে হয়ত আরো কিছু মানুষ আমরা পেতাম।
এ প্রসঙ্গে ‘আলো হাতে…’ এই বইয়ের ভূমিকাটাকে আমি আদর্শ বলব।
শুরুতেই যে হারে বাম্বু দেয়া হল!! তা পড়ে আমার নিজেরই জন্ডিস রোগির মত মুখ তিতা তিতা লাগতে শুরু করেছে। 🙁
সুঁই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরুলে কি ভালো হত না?
@তানভী,
আহা! বুঝতে হবে তো!! এইটা ফাল হয়ে ঢুকবে, তারপর আর বের হবে না :-[
আর অভিজিৎদার আগের বইটা পড়ে সেই ফাল এর জন্য পথ তৈরি হবে। (H)
@তানভী,
ধন্যবাদ তোমার গরম গরম মন্তব্যের জন্য। বইটাতে অবিশ্বাসী ছাড়া আর কারও জন্য কিছু আছে কিনা জানতে চেয়েছো। আমি নিজে মনে করি, এবং সেটা ফ্ল্যাপে লেখাও হয়েছে চিন্তাশীল যেকোনো মানুষের জন্যই এই বই। এখন কথা হলো, চিন্তাশীল কারা? যে নিজের বিশ্বাস ভেঙে যাবে এমন বাক্য পড়ে আশাহত হয়ে পুরো বিষয়টাকে ছুড়ে ফেলে দেয় তাকে আর যাই বলো চিন্তাশীল বলা যাবে না। সুতরাং এমন মানুষ এই বই থেকে কিছু গ্রহণ করতে পারবেনা, বলাই বাহুল্য। তারা কিছু থেকেই কিছু গ্রহণ করতে পারবেনা।
এবার আসি, “ভূমিকাটা অতিমাত্রায় কড়া হয়ে গেছে”, এবং ছুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে ঢুকা প্রসঙ্গে। ভূমিকাটা একদমই কড়া হয়নি। আমরা দুইজনই এই বইয়ে সরাসরি কথা বলতে চেয়েছি (সরাসরি মানে গালাগালি না অন্য কাউকে ছোট করা না), এবং একেবারে ভূমিকা থেকেই সরাসরি কথা বলেছি। ধর্ম বিশ্বাস আর কুসংস্কারে বিশ্বাস একই জিনিস, এটা বলতে অসুবিধা কোথায়? আর ধরি মাছ না ছুঁই পানি টাইপ বই বাজারে প্রচুর, এদিক থেকেও আমি মনে করি, অবিশ্বাসের দর্শন ইউনিক। আমরা সরাসরি স্পর্শকাতর এসব জিনিস স্পর্শ করেছি।
আর ব্লগে আমি অনেক সময় মাত্র ছাড়িয়ে আক্রমনাত্মকভাষা ব্যবহার করেছি। এটা অনুচিত। বইয়ে তেমন করা হয়নি, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি ছিলো।
আর সবশেষে বলবো, অবিশ্বাসের দর্শন একটি গবেষণা বই। এখানে উপন্যাসের মতো করে ধীরে ধীরে ক্লাইমেক্স এ যাওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। গবেষণা পেপারে দেখো না, এবস্ট্রাক্ট এ পুরো পেপারে কি আছে সেটা রেজাল্ট সহ বলে দিতে হয়। ভূমিকাটা অনেকটা তেমনই…
পুরো বই পড়ে তোমার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। আর মেলায় তো দেখা হচ্ছেই।
@রায়হান আবীর,
হুম, বুঝলাম। 🙂
@তানভী,
রায়হানের লেকচার খাইয়া চুপ মাইরা গেলা দেখতেসি। তোমারে দিয়ে কিছু হবে না। 🙂
তবে রায়হানের লেকচারটা খারাপ হয় নাই। আমার পছন্দ হইসে। :))
@অভিজিৎ,
নাহ্। রায়হান ভাইয়ের লেকচারের পর ভাবলাম বাম্বু তো বাম্বুই। দিবে যখন ভালো সাইজের বাম্বুই ভালো। সামনে দিয়া চিকনা হইলে দেওনের টাইমে ভাইঙ্গা পরার ভয় থাকে! তাই মুলি বাঁশের তুলনায় পাহাড়ি মোটা বাম্বুই অধিক উত্তম!!! (তবে ইকটু ভয়ে আছি যে বইটা কি বাম্বু হইল, নাকি পিলার সাইজ হয়া গেল!! শেষ পর্যন্ত মাথায় ঢুকার আগে আটকায়ে না গেলেই হয়!!) 😛
@তানভী,
শোনো মিয়া, তুমি যেমনে বাম্বু বাম্বু করতেছ আমার তো নিজেরই লজ্জা লাগতেছে। কাউরে বাম্বু দেওয়া হয়নাই। বাম্বু দিতে চাইলে এমনেই দেওয়া যায়, হুদাই এতো পেইন নিয়া সাড়ে তিনশ পেইজের বই লিখতে হয়না।
তবে সত্যরে বাম্বু দিয়া প্রতিস্থাপিত করলে মোটামুটি ঠিকাছে। একটা কথা জানো তো, সত্য কখনই কাউরে আঘাত করেনা, যদি সে জায়গায় আগে থেকে মিথ্যা না থেকে থাকে।
@রায়হান আবীর,
সেজন্যই তো কবিগুরু গাহিয়াছেন –
‘সত্য যে কঠিন, সে কঠিনেরে ভালবাসিলাম
সে কখনো করেনা বঞ্চনা।’
🙂
@রায়হান আবীর,
বাম্বু যেমন পরম সত্য, সত্যও তেমন চরম বাম্বু। অপ্রিয় সত্য হজম করা সব সময়েই তিক্ত। আমরা নাহয় ভার্সিটির হলে থাকা মিসকিন গ্রুপ (যদিও ক্যাডেট কলেজ আর আইইউটির হলে থাকা পাব্লিককে কোন ভাবেই হলের মিসকিন বলা যায় না! আর অভিদা আদৌ হলে ছিলেন কিনা তা আমার জানা নাই!অন্যদের কথাও জানি না ,তবুও! ) আমরা না হয় হাভাতে, সব কিছুই অল্পতে হজম করে ফেলি! কিন্তু বাকি সবার পেটে তো সব সয় না!! (আমারও প্রথম দানে বদ হজম হতে লাগসিল!)
ভেজালের দুনিয়ায় খাঁটি জিনিস খাইতে গেলে বদহজম কনফার্ম!
@রায়হান আবীর,
এই কথাগুলো ভুমিকায় থাকলে কিছু মানুষ বইটিকে কোরানের বৈজ্ঞানিক তরজমা মনে করে কিনতো। প্রায় হুবহু এরকম কিছু আয়াত কোরানে বহুবার এসেছে।
ইহজনমে বই মেলায় কবে যাওয়া হবে আল্লাহই জানে। এক সুযোগে অভিজিৎ দা’র ফটো দেখার সৌভাগ্য হল। বই মেলার আপডেইট কিন্তু প্রতিদিন দিতে হবে। টেবিলে এডভ্যান্স (D) (C) দিয়ে রাখলাম।
@আকাশ মালিক,
হে হে হে। মেলা থেকে এসে এতো ঘুম্পায় না … কি যে করি 🙁
‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বইয়ের জন্য দুইজনকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি অভিনন্দিত করছি মন্তব্যকারীদেরকেও যা পড়ে বইটি কিনতে অনেকেই ( মুক্ত-মনার অনিয়মিত পাঠকেরা) উদ্ধুদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
অভিজিৎ রায় আর রায়হান আবীরের ছবি দেখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেও প্রযুক্তি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য পারতেছি না, তবে প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে এবং পারব। আর রায়হানকে তো শুদ্ধস্বর এর স্টলেই দেখতে পাব ফেব্রুয়ারিতে। মুক্ত-মনার আর কাকে কাকে বই মেলায় পেতে পারি?
মুক্ত-মনার সংশ্লিষ্টিরা যারা বাংলাদেশে আছেন তারা কি ফেব্রুয়ারির মেলায় দেখা করার একটা প্রোগ্রাম করতে পারি না?
@গীতা দাস,
সহমত।
@গীতা দাস,
আপনার বইয়ের জন্য শুভকামনা রইলো। আর শুদ্ধস্বরে দেখা তো হবেই, তখন কথা হবে… ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@রায়হান আবীর,
হ্যাঁ, শুদ্ধস্বরে দেখা হবে। ৪০০ টাকাই আলাদা করা আছে অবিশ্বাসের দর্শনে এর জন্য। ৩৭৫ টাকায় পেলে মহাখুশি। আর ইতোমধ্যে আমি আপনার ও অভিজিৎ রায়ের চেহারা দেখে নিয়েছি। কাজেই চিনতে পারব দেখেই। ভাল থাকবেন।
তাছাড়া শুদ্ধস্বর থেকে প্রকাশিত মুক্ত-মনার লেখকদের বইয়ের একসাথে launching করার কোন চিন্তা ভাবনা কি করা যায়?
@গীতা দাস,
গীতাদি, আপনার এ পরামর্শগুলো গুরুত্বপূর্ণ। মাহবুব সাইদ মামুন ভাই এখন বাংলাদেশে। উনি এর মধ্যেই রায়হান, লীনা এবং অন্যান্যদের সাথে দেখা করেছেন। আফরোজাও এখানে দেখলাম, আপনার তরফ থেকে খানাপিনার প্রত্যাশা করছেন, কিংবা ব্যর্থ হলে নিজেই আয়োজন করতে চাচ্ছেন :)) । আপনারা সবাই মিলে কিছু একটা করে ফেলুন। সাংগঠনিকভাবে আয়োজন করলে আর শুদ্ধস্বরের টুটুল ভাইয়ের সাথে কথা বলে নিলে বই একসাথে launching এ সমস্যা হবার কথা নইয়। রায়হানের সাথেও যোগাযোগ রাখুন। আমি একটা ইমেইল করছি আপনাকে একটু পরে। দেখেন নেবেন।
আপনার বইয়ের বহুল প্রচার কামনা করি।
@অভিজিৎ,
আপনার মেইল পেয়ে উত্তরও দিয়েছি।
আমাদের মন্তব্য পড়ে বাংলাদেশের মুক্ত-মনার অন্যান্য আগ্রহী পাঠকদের অনুরোধ করছি বই মেলায় সমবেত হওয়ার জন্য মাহবুব সাইদ মামুন এর সাথে যোগাযোগ করতে।
আশা করি আমাদের উদ্যোগ সফল হবে।
@গীতা দাস,
আপনার সাথে একমত। মুক্তমনার বাংলাদেশি ব্লগার’রা ইচ্ছে করলে ‘বইমেলায়” একটা মিলনমেলার আয়োজন করা যেতে পারে। কথা হচ্ছে উদ্যোগটা নিবে কে। সে ক্ষেত্রে গীতাদি আপনি শুরু করুন আমরা আছি পেছনে। বই মেলায় সব মুক্তমনা সদস্য আহা কি দারুণ হবে। জলদি ব্যবস্থা করুন। চা,পানি ,বিস্কুট। সেই সাথে অভিজিতের বই বের হওয়া উপলক্ষে খানা-পিনার (C) ব্যবস্থা থাকতে হবে।এটা আমাদের দাবী। :rotfl:
@ অভিজিত আপনাকে শুভেচ্ছা বইএর জন্য। 🙂
@আফরোজা আলম,
:)) ফুল গিয়ারে রাজি!!! খানা পিনা হলে তো মাশাল্লাহ! বই ব্যচা টাকায় রায়হান ভাই আমাগো খাওয়াইবো… :))
@তানভী, রায়হান ভাই তার মোটা বই দিয়া তোমারে পিটাইবো :))
@আফরোজা আলম,
মেলায় তো নিয়মিতই যাওয়া হয়। এবারও তাই যাব। একটা নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে ফেলুন। আমারা ঢাকায় আছি। ঢাকার বাইরের কেউ তারিখটা নির্দিষ্ট করে দিন।
রাযহান আবীর, অভিজিৎদা ও সংস্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন। প্রচ্ছদটি খুব সুন্দর। বাংলায় এ ধরনের বই খুবই কম, ধর্মীয় শিক্ষার বই অজস্র। এ ধরনের বই একুশের বই মেলায় নতুন মাত্রা যোগ করবে, বহু পাঠককে আকৃষ্ট করবে এবং নতুন ভাবনার যোগান দেবে। আপনাদের সবার শ্রম সার্থক হোক, শুভ কামনা রইলো।
@গোলাপ,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য…
মুখবন্ধটি সুন্দর হয়েছে। রায়হান আবীরের পর্যায়ক্রমিক বিশ্বাসের পরিবর্তনের বিবরণটি চিত্তাকর্ষক। এখনি বইটি পেতে ইচ্ছে করছে। অভিজিত রায় এবং রায়হান আবীর দুজনকেই আন্তরিক অভিনন্দন বইটির জন্য।
অভিজিৎ রায় মানুষটি দেখতে কেমন জানার জন্য একটা কৌতুহল ছিল। নিজেকে যেন সব জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। শেষের ফ্ল্যাপটি সংযোজন করার জন্য বাড়তি ধন্যবাদ।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আলো হাতে আঁধারের যাত্রী বইয়ে অভিদার একটা পাসপোর্ট সাইজ এবং টাইপ ছবি ছিলো যতদূর মনে পড়ে :))
প্রথমে অভিনন্দন আপনাদের।
বইটা কলকাতায় পাওয়ার কি আশা আছে। ঢাকা থেকে আনা তো সম্ভব নয়।
না আমার কপালে শুধু পিডিএফ। হার্ডকপি পড়তে যে মজা পাই। সফট কপি থেকে তেমন মজা পাই না কেন জানি না।
@সুমিত দেবনাথ,
কলকাতায় পাওয়া যাবার প্রয়োজনটা কী? রাতে বেলা সীমান্তে আসেন। রায়হান যাবে বইটা নিয়ে। তারপর বোঝেনইতো। আনন্দবাজারে আপনাদের দুজনের ছবিসহ খবর হবে। আমরাও মুক্তমনায় একটা ব্যানার করে ফেলবো এর প্রতিবাদে। 😛
@ফরিদ আহমেদ, আপ্নে কি আমারে বোকা পাইছেন। আমি কি চাইবো ফ্যালানীর মতো আমারে ঝুলানী হোক।
খালি আনন্দবাজারে ছাপবো না। ত্রিপুরার দৈনিকগুলিতেও খবর আইবো, ত্রিপুরার যুবক পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাঙলাদেশ সীমান্তে পাচার কার্য্য করতে গিয়ে ধৃত অথবা মৃত। ওর কাছ থেকে ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামক ক্ষ্যাপনাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যা এক সঙ্গে হাজার খানেক ধর্মবাদীকে ঘায়েল করতে সক্ষম।
@সুমিত দেবনাথ,
পাওয়া যাবে কিনা প্রকাশক ভালো বলতে পারবেন। আর না হলে ফরিদ ভাইয়ের বুদ্ধি তো আছেই :))
মুক্তমনার ব্যানারে জায়গা পেতে মঞ্চায় :))
চমৎকার প্রচ্ছদ।
বইটা আসছে কবে মেলায়?
অভিনন্দন দু জনকেই।
@সাইফুল ইসলাম,
কবে আসছে অচিরেই জানাবো…
অভিনন্দন সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
জানিনা কবে নাগাদ হাতে পাবো বইটা।
প্রচ্চদটা দারুন হয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম সবগুলোকে রাস্তায় শুইয়ে দেয়া হয়েছে। পরে আবার ভালোভাবে দেখলাম। খটকা লাগল। রাস্তা নাকি দেয়াল? মনে হচ্ছে সব মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারলে আরো ভালো লাগত। 🙂
@শ্রাবণ আকাশ,
বসানো হয়েছে, হলের করিডোরের রেলিং এ। রঙ স্প্রে করে পুরা রেলিং কেই প্রচ্ছদে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
আর নামটা লিখেছে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বন্ধু। দেওয়ালে চিকা মারার এক্সপার্ট তারা। বহুত যত্ন এবং ভালোবাসা নিয়ে নামটা লিখে দিসে তারা।
প্রথম বইয়ের জন্য বিশাল অভিনন্দন রায়হানকে :guru: । অভিজিৎ’দাকে আর কিছু দিলাম না। ওগুলো ওনার জন্য ডালভাত হয়ে গেছে। আর তানভীরের মত আমিও অভি’দার ছবি দেইখ্যা টাস্কি খাইছি :guli: । ভীনিদেশী ভিনদেশী মনে হয়। এখন বুঝা যাচ্ছে কেন মানুষ ইহুদী/নাসারাদের সাথে মুক্তমনার যোগাযোগ খুঁজে পায় :lotpot: ।
@স্বাধীন,
এই জন্যইতো আমি আগেই বলছিলাম যে, ওদের সাথে যোগাযোগের মূল দায়িত্ব অভির। আমার খাঁটি বাঙাল চেহারা দেখে ইহুদি-নাসারারা ঠিক বিশ্বাস পায় না। 🙁
@স্বাধীন,
=))
@রায়হান, বইটার দাম চারশ না পাঁচশ? তুমি কও চারশো, বইএর ফ্ল্যাপে কয় পাঁচশ…
@বন্যা আহমেদ, কমিশন দিয়েটিয়ে খুব সম্ভবত চারশ টাকা, আর পরিচিত লোকদের বোধহয় কম দামে দেয়।
@বন্যাপা,
একটি বইয়ের মুদ্রিত মূল্য যদি পাঁচশ টাকা হয় ২৫% ছাড়ে এর মূল্য কতো হবে :))
@রায়হান আবীর, হা হা হা, জ্বরের ঘোরে মনে হয় পাটিগণিত ভুলে গেছ! প্রথমত, আমি জানতাম না যে সব বইয়ে সব সময় ২৫% দেওয়া হয়। আর দ্বিতীয়তঃ ২৫% না, মনে হয় ২০% বলতে চাইসিলা তুমি, ৫০০ এর ৭৫% ৩৭৫ হয় ৪০০ না 😀 ।
@বন্যা আহমেদ,
অবস্থা আসলেই কেরোসিন দেখা যায়! :((
@রায়হান আবীর,
ঐ মিয়া জ্বর নিয়ে শীতের মধ্যে জেগে আছো কেন? ঘুমাও।
তানভীর ভাই, পিচ্চি নেটবুকটারে এইজন্যই ভালো পাই। কম্বলের তলে ঢুইকা ব্লগাইতেছি। থই থই ওয়াইফাই তো আছেই। তবে মাথা মনে হয় কাজ করতেছেনা!
বন্যাপা, দামের কনফিউশন ঠিক্কইরা দিলাম। ঠিক্করতে গিয়া আবার কোনো গ্যাড়ান দিলাম কিনা কে জানে 😀
@রায়হান আবীর,
তুমি আসলেই জ্বরের ঘোরে আছ। লেখা দেইখাই বুঝছি। একবার আমারে আকাশে তুলো, আরেকবার মই কাইড়া ‘অমানুষ’ বানাইয়া আছাড় মারো- কোনটা যে চাও কে জানে।
অভিদার জন্য কিছু হয় নাই। তুমি নিজেই অনেক পরিশ্রম করছ। বাংলাদেশ থেকে সবকিছু তো তুমিই সামলাইছ। কাজেই সব ক্রেডিট তোমার। আর বই ভাল না চললে সেই দায়িত্বও তোমার থাকবে, আগেই বলে দেই। :))
যাহোক, প্রথম বই প্রকাশের জন্য আমার তরফ থেকে অভিনন্দন। মাহবুব লীলেনের একটা মজার লেখা পড়ছিলাম – প্রথম বই প্রকাশের ব্যাক্কল মুহূর্ত নামে। বইমেলায় তোমার মুহূর্তটা কেমন হয় তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে থাকব আমি!
অভিদা,
এগুলো মনে হয় কবিদের অনুভূতি। আমার কোনো অনুভূতি হচ্ছেনা। মোড়ক উন্মোচনি কিভাবে বানচাল করা যায় সে চিন্তা করতেছি আপাতত :))
আর সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাইছি আমরা দুইজন। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে আপনি অনেক কৃতজ্ঞতা পান। আমার মতো একটা মূর্খকে এই বিশাল কাজের সঙ্গী করায় এবং সারাবছর ধরে আমার পেইন খাওয়ার জন্য :))
প্রচ্ছদটা আসলেই চমৎকার হয়েছে। শিল্পীকে অভিনন্দন।
বইটা কবে জোগাড় ও পড়ে উঠতে পারব নিশ্চিত নই, তবে দুর্দান্ত কাজটির জন্য ধন্যবাদ লেখকদ্বয়কে।
@রৌরব,
ধন্যবাদ। মুক্তমনায় একসময় আপনার নিয়মিত অংশগ্রহণ ইদানিং ক্রমশঃ অনিয়মিত হয়ে পড়ছে কিন্তু। এটা শুভলক্ষণ নয় মোটেই।
@রৌরব,
এই বইটা আশা করছি প্রিন্ট রেডি পিডিএফ আকারে ছাড়া হবে। তখন পাবেন :))
@রায়হান, ওই উৎসর্গের ব্যাপারটা তো ঠিক বুঝলাম না। জামান আঙ্কেলের নামের নীচে কী ওইটা আমার নাম? আমার ধারণা ছিল আমি এখনও বেঁচে আছি :-Y ।
ব্যাপারটা কিন্তু খুবই অস্বস্তিকর হয়ে গেল, আমাকে একটু জানাইলে ভালো হতো না? এই উৎসর্গ মুৎসর্গ ভালো লাগে না দেখে বিবর্তনের পথ ধরে বইটা পর্যন্ত কাউরে উৎসর্গ করি নাই, আর ……… :))
অভিজিৎ আর রায়হানের সাথে বন্যাকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সহমত :))
@বন্যা আহমেদ,
আচ্ছা আমি বুঝিনা, আপনি এতো চিল্লাইতেছেন ক্যান? বইয়ের প্রিভিউ দেখন তো যে পাতায় আপনার নাম লেখা আছে সে পাতায় উৎসর্গ বলে কোনো শব্দ চোখে পড়ে নাকি? :))
আপনার নেক্সট বই আমারে আর অভিদারে উৎসর্গ কইরা ঋণ শোধ করে দিয়েন…
অনেক অভিনন্দন দুইজনকেই।
@আশরাফ মাহমুদ,
ধন্যবাদ (দু’জনের পক্ষ থেকেই) :))
আবারো অভিনন্দন। সামিয়া আপুরে একটু বেশি ভালুবাসা এত জট্টিল প্রচ্ছদের জন্য। (F) (F) (F)
ভাইজানেরা মুক্তমনার সদস্যদের জন্য একটু কনসেশনের ব্যাবস্থা করা যায় না?? 😕 হইলে মনে হয় ভাল হইত আমাগো মত পোলাপাইন মাইয়াপাইনগো জন্য। আর কনসেশন না করলে আপনাগো কর্মক্ষেত্রে কমপ্লেন যাইব কাজ কাম ফাকি দিয়া সারাদিন বইসা বইসা এত বড় বই লেখার জন্য…… 😉
কবে নাগাদ বই আসবে? মেলার মাঝামাঝিতে??
আমার একটাই ঈদ সারাবছরে, সেইটাও এক মাসব্যাপী, ফেব্রুয়ারি মাস। এমনিতেই এক বছরের অপেক্ষার শেষ মুহূর্ত আসায় আর দেরি সইছেনা তার উপর আছে এই বই……
really cant wait any longer…… 🙂
@লীনা রহমান, শুরু থেকেই থাকবে আশা করি। দেরী হলেও খুব বেশি সাত দিন!
বাকিদের সবাইকে ধন্যবাদ। মন্তব্যের জবাব পরে দিবো, জ্বরাক্রান্ত হয়ে বিছানায় 🙁
@রায়হান আবীর, ভাল হোন তাড়াতাড়ি…মেলায় দেখা হবে 🙂
একটা কথা। এই পোস্টে যারা ঢু মেরেছেন তারা পোস্টের শেষে দেওয়া বইটির প্রিভিউ পড়তে ভুলবেন না! বইয়ের চরম ইন্টারেস্টিং অংশে আসার পরে আম্মু এসে বই কেড়ে নিয়ে গেলে যেমন লাগে। ঠিক তেমন একটা অনুভুতি নিয়ে বসে আছি পুরো বইটা হাতে পাবার। :guli:
@তানভীরুল ইসলাম, প্রায়ই মিস করে যাচ্ছিলাম। আপনার মন্তব্যে হুশ হলো। অনেকদিন থেকেই কিছু ফেস অন্ধকারেই রয়ে গেছে। দেখার বড় সাধ… এবার সেই লিস্ট থেকে দুজন বাদ পড়ল। 🙂
সবাই কেন যে প্রোফাইলে মুখটা একটু দেখায় না!
@শ্রাবণ আকাশ,
আপনি কে? আপনি কেন আমাদের ফেস দেখতে চান? আপনার কাহিনি কি? :))
@রায়হান আবীর, কিছু মানুষ প্রদীপ জ্বালিয়ে যাচ্ছে অথচ নিজেদের মুখগুলোই অন্ধকারে রেখে দিচ্ছে- অদ্ভুত না? 🙂
আগে গাদা খানেক ফাইজলামি কইরা লই!
আলো হাতে চলিয়াছে… বইটাতে অভিদার ছবিতে একটা নায়ক নায়ক ভাব ছিল! এই বেলা এই বইতে সেই লুকটার লুক এর মধ্যে নায়কের আব্বা আব্বা টাইপ ভাব চলে এসেছে!! আগের বইটার সময়টাতে কি নায়িকা অভাব ছিল? নায়িকা পাওয়ার পরে নায়ক ভাব নাইক্কা হয়ে গেল!!? 😛
রায়হান ভাইরে পুরাই নায়কের মত লাগতেসে! (অভি দার আপাতত আমারে সামনে পাবার চান্স নাই,তাই বাঁশ দিতে অসুবিধা নাই!! রায়হান ভাইয়ের কথা আলাদা, উনি যায়গায় দাড়ায়া আওয়াজ দিলেও ডিপার্টমেন্টে আমার বারোটা বাজার চান্স আছে 😛 )
আর দুঃখজনক ব্যপার এই যে বড় ভাই হইয়াও, এবং আমার ডিপার্টমেন্টে সংসার পাতিবার পাঁয়তারা করিবার পর ও সেই (অ)ভদ্র লুক আমার সহিত আইজো দেখা করিল না!! 🙁
যা হঊক, বইমেলাই আপাতত ভরসা।
আর বইয়ের ব্যপারে বেশি কিছু বলব না। এমনিতে অভিদার বই পড়েছি এই কৃতিত্বেই আমি ডিপার্টমেন্টের আমার লাইনের বড় ভাইদের উপ্রেও পার্ট নেই!! এই বই হাতে পেলে আমার ইজ্জত ডাবল হয়ে যাবে!
তবে অতীব দুঃখের ব্যপার হইল আমার মত অভাগা মিসকিন টাইপ ছাত্রদের এই বই কিনতে গিয়ে মাস শেষে চউক্ষে লাল নীল বাত্তি দেখিতে হইবে!! :-Y
@তানভী,
তুমি পোলাপাইন বুঝ নাই। নায়কের বাপ না, জসিমের মতো ভিলেনের রোল নিছি এইবার। কিন্তু সিনেমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বুঝবা না আমি নায়ক না খল নায়ক।
তুমি মিয়া এদ্দিন পরে কইত্থেইকা হাজির হইলা? তোমার বুয়েট কেমন চলতেসে? লেখালিখি বাদ দিয়া হাওয়া হয়ে গেলে মিসকিনই হইবা কয়দিন পরে! 🙂
@অভিজিৎ,
হি হি হি হি। ভাইয়া, যতই পার্ট লন না ক্যন আপনের ছবি আবার ভালো মতন দেইখ্যা যা বুঝলাম, আপনেরে পুরাই আনোয়ার হুসেনের মত লাগতেসে, যে কিনা সিনেমা শুরুর আধা ঘন্টার ভিতরেই হার্ট অ্যাটাক নাইলে গুল্লি খায়া শ্যাষ!
বইটই সেইভাবে পড়া হচ্ছে না। তাই হাত দিয়ে নতুন কিছু বের হচ্ছে না। 🙁
হুদাই বেহুদা লেখা দিতে আর মন চায় না।
আসিমভের সূচনা বইটা পড়তেসি, ঐটা নিয়া কিছু লেখার ইচ্ছা আছে। দেখি কি হয়!
@তানভী,
এখনও বুয়েটে আছ নাকি গ্রামের ছেলে গ্রামে ফিরে গেছো? :))
@রায়হান আবীর,
আপাতত গ্রামের ছেলে গ্রামে ফেরত আসছি। ৩ তারিখ আবার ঢাকা ব্যক করতে যাইতেসি।
অসংখ্য অভিনন্দন রইলো দুই অবিশ্বাসী, অভিজিৎ এবং আবীরকে।
প্রচ্ছদটাও দারুণ হয়েছে। সে কারণে সামিয়াকেও বিশাল একটা অভিনন্দন। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, মুক্তমনায় যে চমৎকার নতুন ব্যানারটি বেশ কিছুদিন ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে, সেটিও সামিয়ারই করা।
@ফরিদ আহমেদ,
ঠিক। সামিয়ার কাজ অসাধারণ। মুক্তমনার ব্যানারটা তো দারুণ হইসেই। আর বইয়ের প্রচ্ছদ বইটার জৌলুস বাড়ায় দিসে অনেক।
সামিয়াকে ধন্যবাদ।
@ফরিদ আহমেদ,
ধন্যবাদ ভাইয়া। সামিয়া’র তো ইদানিং আপনাদের কারণে মাটিতে পা পড়েনা। তাকে মাটিতে নামিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্য করুন। তাকে বেশি করে গালি দেন :))
@রায়হান আবীর,
মাথা খারাপ হইছে আমার। আমি সামিয়ারের গালি দেই, তারপর তুমি আমারে ফালি ফালি কর। গালি দেবার পরের দিনইতো তুমি পোস্ট দিবা ‘মুক্তমনা মডারেশন আমার রাগান্বিত ভাবনা’, এই শিরোনামে।
@ফরিদ আহমেদ,
হা হা হা। আপনি পারেনও :))
প্রথমেই বিশাল কংগ্রেচুলেশন।
মনে আছে- আমি আর বন্যাপা বইয়ের কাজ শুরু করেছিলাম তোর আর অভিজিৎ দারও আগে। অবিশ্বাসের দর্শন-এর কাজ শেষ, আর আমাদের বই অর্ধেকই হয় নাই এখনও। সব আমার দোষ…
তবে বন্যাপার মত আমিও নতুন করে বই শুরু করার জোশ পাইছি।
পরিক্ষাটা শেষ হলেই আগে তোদের বই পড়া শেষ করব। তারপর আমিও মনে হয় লিখতে শুরু করব…
সামিয়া কে স্পেশাল থ্যাংক্স প্রচ্ছদের জন্য।
@শিক্ষানবিস, গত বছরটা তোমার জীবনে একটা মাইলস্টোন বছর ছিল, বই হয় নাই তো কী হইসে যা যা করসো সেগুলাই বা কম কিসে? বই এবার হবে, পরীক্ষা শেষ কর তাড়াতাড়ি।
@শিক্ষানবিস,
তুমি যে কই যাও আর কোত্থেকে হঠাৎ করে আবির্ভুত হও, তুমিই জান।
এবারে আসলেই পরীক্ষা শেষ করেই বইটা শেষ করার কাজে হাত দিয়ে দাও। ওটা আসলেই একটা মাস্টারপিস হবে।
@শিক্ষানবিস, গত বছরটা তোমার জীবনে একটা মাইলস্টোন বছর ছিল, বই হয় নাই তো কী হইসে যা যা করসো সেগুলাই বা কম কিসে? বই এবার হবে, পরীক্ষা শেষ কর তাড়াতাড়ি।
অনেক অনেক অভিনন্দন!! বইটা হাতে পাবার জন্য মুখিয়ে আছি 🙂 মোড়ক উন্মোচন কবে নাগাদ হতে পারে? এই বইটা কিনেই এবার মেলায় বই কেনা-কিনি উদ্বোধন করবো।
কী যে খুশি হয়েছি বলে বোঝাতে পারবো না। মনে হচ্ছে যেন আমার সন্তানের লেখা বই ছাপা হচ্ছে! সত্যি!! :rotfl:
এমন আরো অনেক লেখা, অনেক বই আসুক তোমার আর অভিজিৎদার কাছ থেকে।
btw: বইয়ের ফ্লাপে অভিজিৎদার ছবি দেখে আমি অবাক। সে যে এমন টুকটুকে ফর্সা, তা জানতাম না!! তোমার ছবিটাও দারুণ হয়েছে।
আমাদের সবার জীবন দীপান্বিত হোক!
তানভীর ভাই,
আপনার আগ্রহ দেখে ব্যপক অনুপ্রেরণা পাইছি সারা বছর জুড়ে। বই কিনলে ঠকবেন না, আপনার নামে ভালো ভালো কথা লিখে দিসি 😀
দেখা হবে মেলাতে 😀
@তানভীরুল ইসলাম,
ও মনে হয় উত্তর ভারত থেকে আসা ব্রাক্ষ্মণ। (রেফারেন্সঃ শ্রাবণ আকাশঃ বর্ণভেদের মর্মবাণী) 😛
@ফরিদ আহমেদ, :))
@ফরিদ আহমেদ এবং তানভীরুল,
সবাই সব ছাইড়া আমার ফুটুক আর গায়ের রং লইয়া পড়ছে ক্যান? তানভীরুলের তো জানতাম খালি বিজ্ঞানের রষকষহীন বিষয়ে আগ্রহ, এখন তো দেখতেসি ফরিদ ভাইয়ের মতো রসালো হয়ে উঠছে। বিজ্ঞান ছাইড়া চামড়ার রং নিয়া পড়ছে। ঘোর কলিকাল।
এনিওয়ে, আমার রং বেশি ফর্সা না। আটলান্টায় স্নো পড়ছিলো গতমাসে। আর এদিকে আমার কোন ছবি নাই। এতো কইরা বললাম যে, আমি বইয়ে ছবি টবি দেই না। আমার আগের বইটায় কোন ছবি যায় নাই। কিন্তু রায়হান ছবি দিয়া বই বের করবেই! কি করে বুঝাই আমার তো আর তার মত নায়ক হবার বয়স নাই! পরে আমার মেয়ের হাতে পায়ে ধইরা কোন রকমে একটা ছবি তুইলা পাঠাইসি। সেটাই এই ছবি। স্নো থেকেইকা আলো রিফলেকশনের কারণে বেশি সাদা লাগতেসে। নরমাল ছবি পাঠাইলে ‘টুকটুকে ফর্সা’ না বইলা ‘কালাহারি মরুভূমি’ ডাকতো।
@অভিজিৎ,
পাবলিকরে বুদ্ধু মনে করো মনে হয়। আমরাওতো কত স্নো পাউডার মাইখ্যা থুক্কু মানে স্নো-র মধ্যে দাঁড়াইয়া ছবি তুলি। কই সেইগুলাতো অমন টুকটুকে ফর্সা আসে না। তুমি দক্ষিণের বামুন ঠাকুর না, উত্তরের, এইটা নিশ্চিত।
@ফরিদ আহমেদ,
এই সবগুলি মন্তব্যকে এক কথায় প্রকাশ করিলে উহার নাম হইবে, ‘বর্ণবাদ’।
@বন্যা আহমেদ,
সাদারে সাদা কইলে বর্ণবাদ হয়, এই প্রথম শুনলাম।
@ফরিদ আহমেদ,
আরে দুঃখের কথা আর কি কমু ফরিদ ভাই। বাসায় এমনিতে আমার কেউ ছবি তুলে না, চেহারার সুরত দেইখা মনে হয় পালায় সবাই। ফলে কেউ ছবি চাইলে দশবার মাথা চুলকাইতে হয়। গতবার আহমেদুর রশীদ বইয়ের জন্য ছবি চায়। উনারে কইলাম ছবি নাই। উনি বিশ্বাস করে না – কয় মিয়া ফাইজলামি করেন – আপ্নের একটা ছবি নাই? আমি কই – হ নাই। তো ছবি ছাড়াই সমকামিতার উপর বইটা বাইর হইসে। কিন্তু এইবার উঠতি নায়ক রায়হানের পাল্লায় পড়ে ছবি দেওনই লাগলো। কোন রকমে একটা ছবি তুইলা পাঠাইসিলাম। এখন বন্যা কয় – এইটা কি ছবি দিসো – এয়স্যা মোটকা লাগতেসে, তুমি তো এতো মোটা না (ক্যামনে বুঝাই – আমি আসলে এর চাইতেও ডবল মোটা। ছবিতে বরং স্লিম লাগতেসে!)। এনিওয়ে তাও ভাল তানভীরুলের, আপনের আর স্বাধীনের কল্যানে চেহারা ছবির (নাকি খালি চামড়ার) ইট্টু প্রশংসা পাওয়া গ্যাছে। এমনিতে আসল বর্ণবা্দী প্রোপাগান্ডায় এমনিতেই অস্থির থাকি, এই ঘোর দুর্দিনে আপনেরাই ভরসা! 🙁
@অভিজিৎ,
আগেরবার দেশে গিয়ে রায়হানের কাছে আপনার যে বর্ণনা শুনেছিলাম তাতে মনে হয়েছিলো আপনি “অমায়িক-বুদ্ধিদীপ্ত-রসিক-ছোটো-খাটো এবং টুকটুকে কালো” :-[ একটা মানুষ। কিন্তু আকৃতি এবং রঙ-এর প্যারামিটার রিসেট করা লাগলো ফ্ল্যাপের এই ছবি দেখে। :))
@তানভীরুল ইসলাম,
রায়হানের বর্ণনা খারাপ না আপনার ইমাজিনেশন খারাপ তা বুঝতে পারছি না। তবে, আপনি যা যা প্যারামিটার লিখলেন, আমি তার ঠিক উল্টা।
আমি বুদ্ধিহীন (অন্তত বন্যার তাই অভিমত)-রসকসহীন। খুব একটা বেটে আমাকে বলা যাবে না মনে হয়, আর চেহারা খারাপ যদিও, তারপরেও এটলিস্ট ওই কালোভুতের আইকনের মতো তো নই মনে হয়। 🙂
আর ‘টুকটুকে কালো’ জিনিসটাই বা কী? আমি তো জানতাম কুচকুচে কালো হয়। আপনার টুকটুকে নিয়ে বাতিক আছে মনে হচ্ছে; ফর্সার আগেও কালোর আগেও টুকটুকে – কী মুশকিল!
বুদ্ধিদীপ্ত রসিক পর্যন্ত ঠিকাছে। কিন্তু ছোট খাট বা “টুকটুকে” কালো বলতে যাবো ক্যান? অভিদা তো লম্বা এবং টুকটুকে ফর্সা :))
বন্যাপারে ছোট খাট ও টুকটুকে কালো বলা যেতে পারে যদিও :))
@রায়হান আবীর,
এবার বন্যার তরফ থেকে ঝারি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হও। টুকটুকে কালোর কথা না হয় বাদই দেই, বন্যার ধারণা, ও বাংলাদেশের ‘মহিলা স্ট্যান্ডার্ডে’ অনেকটা জিরাফজাতীয় প্রানী গুলার কাছাকাছি। আর তুমি তারে কও ছোট খাট …
@তানভীরুল ইসলাম,
ইদানিং বেশি খাইতেছেন নাকি? উলটা পালটা বকেন :))
@অভিজিৎ,
আমাদের তিনজনরে মিষ্টি খাওয়ায় দাও। 🙂
@অভিজিৎ,
অভিনন্দন, অভিনন্দন এবং অভিনন্দন (F) । খানা পাওনা রইল। গীতা’দিকে বলেছি আপনার কাছ থেকে আদায় করতে। না খাওয়ালে নাহয় আপনার হয়ে আমিই খাইয়ে দেব সবাইকে ভয় পাবেন না। 😉
@আফরোজা আলম,
আমি তো নতুন লেখক না, রদ্দিমাল। এ বইমেলার মূল আকর্ষণ গীতাদি এবং অবশ্যই রায়হান। তাদের প্রথম বই বেরুচ্ছে এ বইমেলায়। সুতরাং এ উপলক্ষে খানাপিনা হতেই পারে। আপনারা আয়োজন করুন। আর গীতাদি কিংবা রায়হানই ব্যবস্থা করবে চিন্তা নেই!
প্রথমে আমি লেখক অভিজিৎ দাদা এবং আবীর ভাইয়াকে অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাই এই এক গুরুত্বপূর্ণ অন্ধগৌঁড়ামির হাতিয়ারতুল্য বইটি নিরীহ এবং প্রতাড়িত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য । আমি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করি যে একদিন সমাজ অন্ধবিশ্বাস থেকে বেড়িয়ে আসবে – মানবের সত্যিকার ভাবার্থ বুঝবে ।
কিছু ব্যক্তিগত আবার পরের জন্য ও; অফ টপিক হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । গতবার দেশে বেড়াতে যাওয়াতে অনেক স্কুল-কলেজের বন্ধু/বান্ধবীর সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার সুযোগ ঘটেছিল; তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলোকে খুব কাছের হয়ে দেখার সুভাগ্য ও ঘটেছিল । দেশের বাইরে থেকে দেশের মানুষের সুখ-দূঃখগুলো খুব কমই অনুধাবন হয় -তদূপুরি যান্ত্রিকযুক্ত জীবন সবসময় নিজের হয়ে বাঁচতে সহায়তা করে । পার্বত্য অঞ্চলের অনেক ছেলে-মেয়ে উচ্চ পড়াশুনার জন্য ঢাকায় বাড়া বাসাতে এক কক্ষে অন্তত ১০-১৫ পর্যন্ত করে বসবাস করে চলেছে । ছেলে-মেয়েদের অনেক উদাসীন জীবনামুখী হতে দেখেছি, ভিন্নরকম চিন্তা-চেতনা নিয়ে যেনো ব্যতিব্যস্ত । সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চান্স না ফেলে মা-বাবাকে ভুলিয়ে হলেও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়ে উচ্চ ডিগ্রী নেওয়ার তাগিতে তারা ঢাকায় আসে। পড়াশুনা করছে না ভালোমতো; বন্ঞ্চিত হচ্ছে ভালো বই পড়া থেকে । বাসা ভাড়া- ভার্সিটির টিউশন ফি- খাওয়ার খরচ- অন্যান্য খরচসহ মিলিয়ে অনেকে পরিবারের বরাদ্ধকৃত অর্থ দিয়ে মাস পার করাতে পারে না । বই পড়ার প্রতি অমনোযোগী (হতে পারে অর্থের অভাবে বই খেনা হচ্ছে না) উচ্চ ডিগ্রীধারী হয়েও অনেকে অন্ধবিশ্বাসের উপর ভর করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে ভ্রাতৃ সংঘাতে তাদেরকে ও ব্যবহার করা হচ্ছে । এক সত্যিকার প্লাটফরম না থাকাতে বাড়ন্ত সেই গহীন পাহাড়ের তরুণেরা আজ দিশেহারা । আমি আশারাখি সেই তরুণেরা অন্ধগৌঁড়ামি থেকে বেড়িয়ে আসবে -এবং আত্ম নির্ভরশীল হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সতেষ্ট হবে । এইসব বইগুলো তাদের কাচে পৌঁচে যাক এই আমার দৃঢ় কামনা । ধন্যবাদ সকল মুক্তমনা সদস্যদের ।