১৩৭০ সনের রবীন্দ্র পুরস্কার পাওয়া বই”কড়ি দিয়ে কিনলাম”।
আমার কাছে অনুরোধ এসেছে “আমার প্রিয় বই” সম্পর্কে কিছু লিখতে। কী ভাবে শুরু করব বুঝতে পারছিনা।
লেখক এই বই শুরু করেছেন শেষ থেকে। অনেকটা যেন শেষ থেকে শুরুর মতনই বিষয়টা। সেই দীপু তখন আর দীপু নেই। এখন সে দীপঙ্কর সেন। মিস্টার দীপঙ্কর সেন।

সেই দীপু এখন রেল কোম্পানির বড় চেয়ারের বড়ো সাহেব।
লেখকের ভাষায় –
১৯৬০ সালের ১লা জানুয়ারি “দেশ” পত্রিকায় দীপঙ্কর সেই যে যাত্রা শুরু করল। আরম্ভ হল সন্ধান। ফ্রি-স্কুল স্ট্রীট থেকে শুরু করে একেবারে কালীঘাটের ডাস্টবিন পর্যন্ত পরিক্রমা শুরু হোল তার।
দিনে দিন প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায়,প্রতি মুহূর্তের অণূভাবনায় দীপঙ্কর তখন মানুষ হয়ে উঠছে আর মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছে।

এমন ভাবেই সূচনাপর্ব ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম বই এর। বিংশ শতকের দ্বিতীয়-তৃতীয় দশকের মাঝামাঝি। বিরাট একটা যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে পৃথিবীতে।
দীপঙ্করের মা রাঁধুনি। এক কৃপণ ব্রাহ্মণের আশ্রয়ে থাকে মা আর ছোট দীপু। বাড়ির মালিক’কে দীপু অঘোর দাদু বলে ডাকতো। খিটখিটে মেজাজের ঐ বৃদ্ধ কেন জানিনা দীপুকে গোপনে ভালবাসত।
আর প্রকাশ্যে “মুখ পোড়া” বলে গাল দিতো।
ওদিকে অঘোর দাদুর সব সময় এক কথা কড়ি দিয়ে সব কেনা যায়। মানুষের ঘরে ঘরে পুজো দেন,বিনিময়ে যা পান তা সঞ্চয় করে রাখেন গোপন সিন্দুকে। কোন অজানা বিশ্বাসে দীপুর মায়ের ঘরেই সেই সিন্দুক ভরা টাকা থাকে,সোনার মোহর লুকান থাকতো।
এমনই বাল্য অবস্থায় সতী আর লক্ষ্মী নামে দুই বোন তার নিজ পরিবারের সাথে অঘোর দাদুর ভাড়াটে হয়।

পরিচয়ের সূত্রপাত ওখান থেকেই।তখন দীপু ভাবতেও পারেনি এই সতী আর লক্ষ্মী দুই বোনের সঙ্গে তার জীবন এমন করে জড়িয়ে যাবে।
সব চাইতে অপার বিস্ময়ের ব্যাপার সতীকে দীপুর ভালো লাগলেও মুখ ফুটে কোনও দিন কিছু বলেনি বড় হয়েও।

দীপু জানে তার মা রাঁধুনি। তার বাবাকে ডাকাতে মেরে ফেলেছে বলেই তো তাদের এই দুরবস্থা। এই জন্যই মা’কে অন্যের আশ্রয়ে থেকে রাঁধুনির কাজ করতে হচ্ছে। দীপুর প্রতি মায়ের অনেক আশা। দীপুকে পাশ করে নিদেন পক্ষে একটা কেরানীর চাকরি হলেও করতে হবে।

তাইতো দীপুর মত নিরীহ মুখচোরা অথচ চারিত্রিক ভাবে বলিষ্ঠ হওয়া মানুষরা নিজের আবেগের কথা বলতে পারেনা। ভাবতে পারেনা সংসারী হয়ে থিতু হবে দীপু।

গল্প এভাবেই চলে –

দীপু একদিন দেখে কংগ্রেসের মিটিং। একটা কারবাইড গ্যাস বাতি। অন্ধকার হলে জ্বালানো হবে।খবরের কাগজের লোক,পুলিশের রিপোর্টার বসে আছে কাগজ পেনসিল নিয়ে।

ভীতু দীপু প্রশ্ন করে—“সুভাস বোস কোনটা রে?

কিরণ বলে- সুভাস বোস আসেনি। জ্ঞ্যানাঞ্চন নিয়োগী এসেছে।দেখনা এমন বক্তৃতা দেবে তুই কেঁদে ফেলবি- লন্ঠন বায়স্কোপ হবে।“

দীপু ভাবে কিরণ কত জ্ঞানী কত বুদ্ধিমান। কিরণের বাবার কুষ্ঠ রোগ হয়েছে। ঘরে ভাত নেই। স্কুল কামাই দিয়ে মাঝে মধ্যে প্রায় লুকিয়ে ভিক্ষে করে,অথচ কিরণ কত জ্ঞানী। আর দীপু নিজে কত বোকা। বড়বড় চোখ নিয়ে চারদিক তাকায়। কিরণ কে বন্ধু পেয়ে গর্বিত অনুভব করে কিশোর দীপু।

দেখতে দেখতে গোলমাল লেগে গেল। দীপু কোনমতে প্রাণ নিয়ে ফিরে গেল। অথচ দীপু জানেনা ও কেন সেখানে গিয়েছিল। সে তো আর স্বদেশী করেনা।
ওকে পড়াশোনা করে মায়ের দুঃখ ঘুচাতে হবে।অন্যের আশ্রয়ে থাকে ওরা। মা রাঁধুনির কাজ করে।

লিখছি আর ভাবছি”কড়ি দিয়ে কিনলাম” তো মহাভারত। এতো বড় বিশাল দুই খণ্ড বই নিয়ে কিছু লেখায় আমি কতটুকু সফল হব। তবু আমাকে লিখতেই হবে।মনের এক তাড়না অনুভব করছি। ব্যর্থ হলেও সান্ত্বনা এই যে কিছু তো বলতে পেরেছি।

বিমল মিত্রের প্রিয় ছিল “রামায়ণ”। আমার ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম”।

বই’এ ফিরে যাই-

অঘোর দাদু কৃপণ ছিল। তাঁর বখে যাওয়া দুই নাতিকে বাড়ি ঢুকতে দিত-না। তাঁর ভয় সব টাকা-কড়ি লুটে-পুটে খাবে। দীপুর মা লুকিয়ে তাদের জন্য ভাত রেখে দিত। ওরা রাত,বা ঘুম দুপুরে পাঁচিল টপকে এসে খেয়ে যেত। নাম ছিটে আর ফোঁটা।

মাঝে মধ্যে চিৎকার শোনা যেত-

মেরে ফেলব মুখপোড়াদের নির্ঘাত মেরে ফেলব –বেরো মুখপোড়া বেরো,

খড়ম পায়ে বুড়ো মানুষ দোতালার বারান্দার এদিক থেকে ওদিক ছোটাছুটি করছে। কিন্তু চোখে দেখতে পায়না অঘোর দাদু।তাই ছিটের মাথায় মারতে গিয়ে লাঠিটা কখনও পড়ছে দেয়ালে,কখনও পড়ছে মেঝেতে। ছিটে,ফোঁটা ততক্ষণে কোথায় টুপ করে পালিয়ে গেছে। অঘোর দাদু জানতেই পারেনি।

দীপুর মা বুঝিয়ে সুঝিয়ে ধরে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে হাওয়া দেয়। তাকেও বলে –“ও মুখপোড়া মেয়ে তুইকি আমায় শান্তি দিবিনা।‘

এমন করেই ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এগিয়ে চলে মহাকাব্যের মত।

এমন করেই ঈশ্বর গাঁঙ্গুলি লেনের কত ঘটনা দীপুর জীবনকে ওলট পালট করে দিয়েছে।

ঈশ্বর গাঁঙ্গুলি লেনে পরের গলগ্রহ, নগদ তেত্রিশ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি হওয়া জীবন, সে হবে বড়,সে ভুলে যাবে। যেন দীপঙ্কর গরীব হবার দুঃখ বোঝেনা, যেন দীপঙ্কর অর্থাভাব কাকে বলে জানে না। যেন তার মা পরের বাড়ি রান্না করে, মুড়ি ভেজে কাঁথা সেলাই করে তাকে মানুষ করেনি।

তার চাকরি হওয়া যে কি জিনিস তা গাঙ্গুলী বাবু, কে-জি বাবুকে কেমন করে বুঝাবে।

দীপঙ্কর কি কা-পুরুষ? না এখানে আমরা দেখতে পাই-অন্য দীপঙ্করকে।
সমস্ত কালীঘাট সুদ্ধ লোক যখন বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েছিল তখন সত্যি যদি সতীর গায়ে হাত তুলতো তারা? তার শরীরের সাথে সতীর শরীরটাও একাকার হয়ে গিয়েছিল তখন।
সতী তার বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে নিশ্চিন্তে নির্ভর করেছিল। বাইরের সমস্ত ঝড় ঝাপটা থেকে একমাত্র দীপঙ্করই তাকে বাঁচাতে পারে।

দীপঙ্করের মনে হয়েছিল যেন আরও লুটপাট হোক,তবু সতীকে সে তো বুকের মধ্যে পেয়েছে।

একসময় দীপঙ্কর অনুভব করে-

সত্যি এবার তাকে নতুন পথে চলতে হবে। যখন সবাই একে একে ছেড়ে চলে গেল দীপঙ্কর কে, তখন তার নিশ্চয়ই নতুন একটা পথ আবিষ্কার করতে হবে।

লক্ষীদির ও তাকে প্রয়োজন নেই। সতীর প্রয়োজনও ফুরিয়ে গিয়েছে। কিরণ তাকে ত্যাগ করেছে। সকলের সব চাওয়ার সব পাওয়ার ভেতরকার চাওয়া-পাওয়ার পরিচয় পেয়েছে।

সবাই বলেছে-

এই বিচ্ছেদ থেকে আমাকে উত্তীর্ণ করো। অথচ তাদেরই মতন দীপঙ্কর ও তো একদিন মিশতে চেয়েছিল সকলের সাথে। যেখানে যার সঙ্গেই মিশতে চেয়েছে,
সেখান থেকেই এসেছে বিচ্ছেদ।

এমন মিল কি তার হয় না, যা পেতে হলে বিচ্ছেদের মূল্য লাগেনা।

হায় দীপঙ্কর!
চোখে জল আসেনা এই লাইনগুলো পড়তে। কেমন এক অনুভূতি হয়। কি অনবদ্য সৃষ্টিই না দিয়েছেন ‘বিমল মিত্র” আমাদের।
কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি। কাকে ফেলে কাকে আনি।

সেই এমন এমন অবস্থা বিরাজমান –

সমস্ত ইন্ডিয়া তখন আরও উদগ্রীব হয়ে চেয়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর দিকে, জহরলাল নেহেরুর দিকে, বল্লভ ভাই প্যাটেলের মুখের দিকে। সুভাস বোস নেই, সি আর দাশ নেই। কুইট ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া থেকে যাও। আমরা আমাদের দেশ চালাব। হরিজন পত্রিকায় গান্ধী

লিখেছেন-

Whatever the consequences, therefore to India, her real safety and Britain’s too lie in orderly and timely withdrawal from India.
সমস্ত পৃথিবী স্তম্ভিত হয়ে গেছে কংগ্রেসের প্রস্তাব শুনে। বেয়নেটের মুখে জবাব দাও। চার্চিল মুখে চুরুট পুরে হেসেছে শুধু।

এভাবেই গড়িয়ে চলেছে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’। এভাবেই এগুতে থাকে যেন বিশাল মহাভারত।
বিমল মিত্র এই বই’এ যে দিনক্ষণ উল্ল্যেখ ্করেছেন তখনকার ঘটনার বর্ণনা দিলে আমরা দেখতে পাই-

সন্তোষ –কাকার মৃত্যু দিয়ে। তিনি এসেছিলেন দীপঙ্করের বাড়িতে আত্মীয় হিসাবে দাবি নিয়ে।তাঁর মনে আশা ছিল দীপঙ্করের সাথে তাঁর মেয়ের বিয়ে দেবেন।
দীপঙ্করের মায়ের মৃত্যুর পর তিনি চাপ সৃষ্টি করেন দীপুর প্রতি। এক সময় তার কন্যা ক্ষীরোদা ক্ষুব্ধ হয়ে বাবা’র প্রতি রাগ করায়, বাবা রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এবং এক মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে।
লেখকের বর্ণনায়-

সেদিন সন্তোষ –কাকার সেই অপঘাত মৃত্যুটা দেখে মনে হয়েছিল যেন শুধু সেটা অপঘাত মৃত্যুই নয়, সে মৃত্যু যেন মানুষের সঙ্গে মানুষের যুদ্ধের প্রথম বলি। প্রথম হত্যা।
মানুষের সাথে মানুষের যুদ্ধ অনেক বেধেছে। যুদ্ধের শেষ হয়নি পৃথিবীতে। মানুষ শিক্ষা পেয়েছে, সভ্যতা পেয়েছে, ধর্ম পেয়েছে, সমাজ পেয়েছে – সব পেয়েও যে কিছুই পায়নি, সন্তোষ-কাকার মৃত্যু তার প্রমাণ।

সন্তোষ কাকা কি পৃথিবীতে একজন! হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি সন্তোষ-কাকারা আত্ম বলিদান দিয়েছে মানুষের লড়াইয়ে। সন্তোষ-কাকারা জানেনি কী তাদের অপরাধ, আর কেনই বা তাদের এই শাস্তি! সন্তোষ –কাকারা বুঝতে পারেনি কে তাদের ভাগ্য বিধাতা।

আর কি-ই বা তার বিচার।

শুধু ভারত বর্ষের প্রদেশ প্রদেশেই নয়, সমস্ত পৃথিবীর জলে স্থলে জনপদে- জনপদে সন্তোষ-কাকারা আত্ম বলি দিয়েছে অকারণে।

তারা জানতে পারেনি কেন এই যুদ্ধ, কেন এই শত্রুতা।
তারা জার্মান দেখেনি, ইটালী দেখেনি, আমেরিকা দেখেনি, জাপানও দেখেনি। তারা বোঝেনি কেন জার্মানী তাদের শত্রু, আবার কেন আমেরিকা তাদের বন্ধু। শুধু দেখেছে,
প্রচন্ড দুর্ভিক্ষ, শুধু দেখেছে প্রাণঘাতী মৃত্যু।

মৃত্যুই সন্তোষ-কাকাদের সব প্রশ্নের নির্বাক উত্তর দিয়ে দিয়েছে।
যদি বেঁচে থাকতো সন্তোষ কাকারা, তবে হয়তো দীপঙ্করের মতই জানতে পারতো তাদের মৃত্যুর জন্য মিলিটারি , লরী দায়ী নয়। দায়ী আমেরিকার ডলার, দায়ী ইংলন্ডের পাউন্ড, ইটালীর লিরা, জার্মানীর মার্ক, ফ্রান্সের ফ্রাঙ্ক, জাপানের ইয়েন, আর ইন্ডিয়ার টাকা।

এক অদ্ভুত চরিত্র সতীর স্বামী সনাতন বাবুর। সব সময় বই মুখে থাকা আত্মভোলা মানুষও একদিন সংবিত ফিরে পেলেন সতীর বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার পর। শাশুড়ির অত্যাচারে বাড়ি ছেড়েছিল সতী।
সতীকে পেতে চান তিনি,

সনাতন বাবু বলেন-
-আমার মা তো তোমারও মা। তুমি আমি কি আলাদা? তুমি আমি, আমার মা-সকলকে জড়িয়ে সংসার। তোমাকেও যেমন ছাড়তে পারিনা। মা’কে ছাড়লে তোমাকেও ছাড়তে হয় যে।আর তোমাকে ছাড়লে নিজেরই তো অস্তিত্ব থাকে না।
কূট চালাকিতে পারদর্শী সতীর শাশুড়ি। তবু সনাতন বাবুর কাছে তিনি মা। সতী তাঁর স্ত্রী।

দীপঙ্কর সতীর সুখের জন্য হাল ছাড়েনা। সনাতন বাবুকে বলে,-
-আপনার কাছে একটা অনুরোধ,রাখবেন?
সনাতন বাবু কথা দিয়েছিলেন – আমি রাখব।
-সতীকে সুখী করবেন?
-হ্যাঁ করবো।

ট্যাক্সিতে ওঠার সময় সনাতন বাবুর হাসির মানে বুঝেনি দীপঙ্কর। পরে বুঝেছিল। তখন সতী সত্যি সুখী হয়েছিল।
পরিশেষে বলি,এতো বিশাল, এতো ব্যাপক বই এর সমালোচনা করতে আমি অক্ষম। আমার এই অক্ষমতা পাঠক নিশ্চয় ক্ষমা করে দেবেন।

শেষ করার আগে একটা উদ্ধৃতি দেই-

দীপঙ্কর সংসার ত্যাগী হয়ে গ্রামের স্কুলে যায় সেখানে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলে-
‘আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি। তোমরা মনে করোনা এই এত বড় পৃথিবীতে আমার কোনও আশ্রয় মিলবেনা।
‘পৃথিবী অনেক বড়। তোমরা যত কল্পনা কর তার চেয়েও বড়। আমি একদিন আর এক জায়গা থেকে এখানে এসেছিলাম। আবার এখান থেকেও চলে যাবো।
‘প্রয়োজন হলে পৃথিবীর সব জায়গায় আমি খুঁজবো- দেখবো ‘কোথায় মানুষ পাই”। আমি হতাশ হইনা,হতাশ হবোনা। সনাতন বাবু আমাকে শিখিয়েছেন হতাশ হতে নেই।
আমি আশা নিয়ে সারা পৃথিবী খুঁজবো – কোথাও না কোথাও মানুষ পাবোই।‘

আমার প্রিয় বই ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’। যে বই এর আলোচনা সমালোচনা করার যোগ্যতা আমার নেই। আমায় ক্ষমা করুন।