আজ কদিন ধরেই কি যেন একটা অব্যক্ত যন্ত্রণায় ছটফট করছি। কোত্থেকে একলাইন কথা মাথায় এলো আর ঘুরপাক খেতে শুরু করল–

“কোথায় সে তীব্র মানুষ তোমার ভিতর?”

এটা কোন কবিতার লাইন নাকি আগে কোথাও পড়েছি, নাকি আমারই মস্তিষ্কপ্রসুত, জানিনা। কেবল বুকের ভিতর দহনটা থেকে থেকে ছোবল মারতে লাগলো। মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা, ক্রুসেড, বিশ্বযুদ্ধ, হিরোশিমা নাগাসাকি, ইরাক, আফগানিস্তান, বর্ণবাদ, ১৯৭১… এই যন্ত্রনায় ক্ষয়ে যেতেই যেতেই অস্থির ভাবে বেরিয়ে এলো কয়েকটি শব্দগুচ্ছ! সেগুলোও আহত, ক্ষতবিক্ষত! এই যে আহত শব্দগুলো…

তীব্র দহনের চিৎকার,
শব্দগুচ্ছে কবিতার লাশ;
আহত অভিব্যক্তি, আহত শিল্পের শিল্পী;
রোদে শুকায় রক্তের হোলি।
মনোরম সাজে পূঁজিপতির গদি!

পাতায় পাতায় স্বাক্ষরিত হলুদ শান্তিচুক্তি,
জাতিসংঘের শীতাতপে হয় না মত্তহাতির তৃপ্তি;
পতাকা পোড়ে জলন্ত ক্রোধে,
কান্না ভাসে শরণার্থী শিবিরের বাতাসে,
নির্যাতিতের আশ্রয় বন্দীর মিছিলে।

বিদ্রোহী, এবার ওরা তোমার রক্ত চায়।
শান্তিচুক্তির আগুনে উড়াবে ছাই।
চুপচাপ দেখো ঐ, পর্দার আড়ালে
নীল রক্তই চির অভিজাত,
নিপুন হাতে গেঁথেছে লাল রক্তের সাথে বারুদের আঁতাত।

কত গভীর তোমার মানব মনন?
কত দৃঢ় তোমার শান্তি সমন?
মুক্তির মিছিলে না হতে পারি গান্ধী;
হয়ে যাবো শত শত উত্তরসূরী।
বদ্ধমুঠিতে আমার কলমের তরবারি,
ধরণী কাঁপিয়ে দিলেম আজ হুশিয়ারি।
————————–

পত্রিকায় পড়লাম, কাঁটাতারে কিশোরীর লাশ ঝোলে! যন্ত্রণা অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছুতে আর কি চাই?