বাঁচা’র অধিকার,নারী অধিকার ও শিশু অধিকার অত্যন্ত মৌলিক অধিকার মানুষের।বাঁচা’র অধিকার বিশ্বে মোটামুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌছে যাওয়ার পর নারী ও শিশু নিয়ে বর্তমানে সবাই কাজ করছে। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক-রাজনীতিক-জনসংখ্যা-সামাজিক প্রতিটি বিভাগেই দুর্ভাগা।তার চেয়েও দুর্ভাগা এদেশের মানুষ।তার চেয়েও বেশি অভাগা দরিদ্র জনগোষ্ঠি এবং স্বাভাবিক ভাবেই নারী ও শিশুই সকল নির্যাতনে’র প্রধান শিকার!
৪০৯৫ কিঃমিঃ সীমান্ত এলাকা আছে আমাদের ভারতে’র সাথে,সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো চরম দারিদ্রতার শিকার। সারা বাংলাদেশ জুড়ে যে পরিস্থিতি,সে সব এলাকায় তার চেয়েও ভায়াবহ অবস্থা। তারই কারনে সেসব এলাকার মানুষ ভারতে যায় সাময়িক ও নিন্ম আয়ের কাজের খোঁজে। দারিদ্রতা’র আঘাতে সভ্যতার প্রায় সকল উন্নয়ন থেকে বন্চিত মানুষগুলো কোন বৈধ কাগজপত্র জোগাড় করে যায় না। তারা বি,এস,এফ ও বি,জি,বি’র সাথে ঘুষে’র সম্পর্কে জড়িত কিছু দালালের সাথে যোগাযোগ করে টাকা দিয়ে সীমানা পারি দেয়।সীমান্তরক্ষী বাহিনীগুলো অবশ্য টাকা নিয়ে নিজেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তাদের পার করে না।তার মানে দরিদ্র মানুষগুলো সম্পুর্ন অবৈধ অবস্থায় বিপদজনক ভাবে সীমানা পাড়ি দেয়।তবে,ভারত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা মুল্যে’র ফেনসিডিল নামক মাদক কিন্তু একই অবৈধ পথে তবে নিরাপদেই সীমানা পেড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে!
তেমনই শুক্রবার ভোরে নয়াদিল্লী’র এক ইটে’র ভাটায় কাজ করা পরিবারে’র বাবা ও মেয়ে সীমানা পারি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল।কিন্তু তারা কোন দালালে’র মাধ্যমে না এসে হয়তো নিজেদের উপর আস্থায় অথবা টাকা বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই প্রস্তুত মই বেঁয়ে চুঁপিচুঁপি সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গানোর সিদ্ধান্ত নেয়।শনিবার দিন মেয়েটি’র বিয়ে নির্ধারিত ছিল তাই টাকা ও বিয়ের গয়নাগাঁটি নিয়ে তার বাবা’র হাত ধরে কাঁটাতারে উঠে।বি,এস,এফ এর ভয় ও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল করে মেয়েটি জামা-কাপড় সহ সীমান্ত কাঁটাতারে আটকে যায় তৎক্ষনিক আতংক ও ভয়ে তার গলা দিয়ে বের হওয়া চিৎকার শুনে বি,এস,এফ দুর থেকেই তারে ঝুলে থাকা অবস্থায় মেয়েটিকে গুলি করে,তার বাবা নিজের জীবন নিয়ে পালিয়ে বেঁচে যায়!(সুত্রঃপ্রথম আলো)
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেয়েটি ৪ ঘন্টা কাঁটাতারে ঝুলে! সকাল ১০টায় বি,এস,এফ তার মৃত লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং ৩০ ঘন্টা পর পতাকা বৈঠক করে বি,জি,বি’র মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে লাশ ফেরৎ দেয়।(প্রথম আলো)
মেয়েটির বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর, তার মৃত্যুতে হয়তো একটি বাল্য বিবাহ যা নারী নির্যাতন আইনে দন্ডনীয় তা রোধ হল কিন্তু নারী ও শিশু হত্যা’র মত জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়ে গেল! বি,এস,এফ এর গুলিতে গত বছরের ৭০ জন বাংলাদেশি’র নামে’র সাথে এ বছরের প্রথম ২ সপ্তাহেই যোগ হল অন্তত ৩ জন।যাদের মাঝে এই বাচ্চা মেয়েটিও,যার চোখে কোনদিন কোন সপ্ন ছিল কিনা জানিনা তবে আমাদের অনেকে’র মত জীবনে’র প্রতি বিতৃষ্না হয়তো ছিল না।কাঁটাতারে ঝুলন্ত লাশের ছবি এসেছে আনন্দবাজার পত্রিকায়( সুত্রঃ প্রথম আলো)
পৃথিবী’র নানান জায়গায় প্রতিবেশী দেশে দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে,ভারতের সাথেই বৈরি দেশ পাকিস্তান,চীন,নেপাল ও ভুটানে’র সীমানা রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশী মানুষ হত্যা ইসরাইল-ফিলিস্তুন নয় তা করা হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তেই!২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বি,এস,এফ এর গুলিতে মারা যায় ৩১৫ জন বাংলাদেশী(সুত্রঃহিউম্যান রাইটস ওয়াচ) ।মেয়েটিকে হত্যা’র পরদিন আরো ২ জন বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা’র পর লাশ নিয়ে গেছে বি,এস,এফ(সুত্রঃযেকোন পত্রিকা)!!
সংক্ষেপে এটুকুই খবর! বেশি ব্যাখ্যা করে রগরগে করতে চাই না শুধু জানতে চাই, বাংলাদেশ সরকারের ৭% জিডিপি’র অর্থনীতি’র জন্য আড়িয়াল বিলে ৬ হাজার কোটি টাকা’র আধুনিক বিমানবন্দর প্রয়োজন নাকি সীমান্তবর্তী এলাকায় কর্মসংস্থান এর ব্যাবস্থা করে বাংলাদেশী জনগণকে কাঁটাতারে ঝুলন্ত মৃত্যু’র জন্য ভারতে কাজ করতে পাঠানো বন্ধ করা ও দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানো প্রয়োজন?
কানাডা ও অপরদেশ যেভাবে বি,এস,এফ কর্মকর্তাদের ভিসা নাকচ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে, যদিও তাদের একজন নাগরিকও বি,এস,এফ এর গুলিতে মারা যায়নি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা যখন বি,এস,এফ কে “ট্রিগার হ্যাপি” আখ্যা দেয় তখন বাংলাদেশের সরকার কি এরকম ধারাবাহিক হত্যা’র নিন্দা জানবে?এই সমস্যা সমাধানে দরিদ্রতা মোকাবেলায় কোন পদক্ষেপ নিবে?
দেশে’র সচেতন ও বুদ্ধিজীবিগণ কি এরকম মৃত্যু’র দায় কাঁধে নিয়ে সমাধানের লক্ষ্যে কলম ও মেধা ব্যায়ের কষ্টসাধ্য কাজটুকু করবে? ভারতে’র সরকার বা নুন্যতম পশ্চিমবঙ্গে’র বুদ্ধিজীবিরা কি কিছু বলবে?
মানুষের যে কটি অধিকার লঙ্ঘন হতে পারে তার সবকটি কি লঙ্ঘিত হয়নি এক কিশোরী ফেলানী’র মৃত্যুতে?সবশেষে বিশ্বের উদিয়মান মহাশক্তিধর, পারমানবিক বোমা’র অধিকারী,বৃহৎ প্রতিবেশি ভারতে’র সাথে সুসম্পর্ক কামনা করি এবং কিছুটা সন্মান নাই হোক, মানুষ ও বাঙ্গালি হিসেবে আমাদের গুলি করে হত্যা করার আহব্বান করি ,সরকার হয়ত করবে না জেনেই নিজেরা করছি।
ফালানী’র বাবা কথা দিয়েছে,”পেটের ক্ষুধায়ও আগামিতে আর ভারত যাবে না”।
আমি একটা জিনিস বুঝি না তালি কি শুধু একহাতেই বাজে। এত বড় বাংলাদেশে কর্মসংস্তান না করে আমি কেন অন্যায় ভাবে সীমান্ত পাড় হব!!! এটা কি অন্যায় নই? সীমান্তে সেনা মোতায়নের আর প্রয়োজন কি, বাংলাদেশি জংগিরা ওখানে গিয়ে বোমাবাজি করে মানুষ মারার যথেষ্ট নজির আছে। সেটা কি মানবধিকার লঙ্ঘন হয় না!!!!?? ফেলানি কে গুলি করে হত্যা যদি অমানবিক হয় তাহলে বোমাবাজি করে মনুষ হত্যা কি মানবিক!! তাছাড়া এতই যখন সমস্যা একটা কাজ করলে তো ভালোই হতো বর্ডার টা তুলে দিলেই তো ভালো হয়। সবাই অবাদ বিচরণ করতে পারতো আর যা খুশি করতে পারতো….বার্ডারের আর প্রয়োজন কি…..?
http://thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=170550
খুশি হলাম। 🙂
নানা কারণে লেখাটা পড়তে দেরি হয়ে গেল। অনেকের আলোচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উঠে এসেছে।যেহেতু আলোচনা অনেকদূর এগিয়ে গেছে আর আমারো নতুন করে কিছু বলার নেই তাই শুধু শেয়ার দিলাম মানুষকে জানাতে। কারণ আপাতত এটুকুই আছে আমার সামর্থ্যের মাঝে।সরকারও যদি না ঘুমিয়ে থেকে তার সামর্থ্যমত এই মানবতাবিরোধী হত্যার বিপক্ষে সোচ্চার হত আর এই প্রান্তিক জনগণের বেঁচে থাকার জন্য ব্যাবস্থা করত সর্বোপরি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করত নোংরা পলিটিক্স ভুলে তাহলেই খুশি হতাম। অসামাজিককে সময়োপযোগী একটা লেখা উপহার দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি
কোথাও একসময় পড়েছিলাম “Being neighbor of super power is a threat” এখানে কথাটা পুরোটাই সত্য।
আমি ফ্যালানিকে খুব বিশাল ব্যাপার মনে করিনা, কারণটা খুব সোজা আমি কালকের পত্রিকাটেও দুই-চারটে রগরগে খুনের গল্প শুনবো। আমি চাঁদা না দেয়ায় খুন হয়ে যাওয়া আর ফ্যালানির ইস্যুর খুব বেশি পার্থক্যতো বুজলামনা :/ তাই আমি বলবো এইসব হাড়ির হাড়ি গালি বি এস এফ কে না দিয়ে সেই শক্তিটুকু আমাদের সরকারের টনক নড়াতে ব্যবহার করি। নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি,নিজেদের সমস্যা গুলো সমাধান করি, তাহলে ফ্যালানিতো আর ওপারে যায়না! গেলেও সেটা ব্যক্তিগত বোকামির নাম দিয়ে চালিয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু আমি এখন না পারছি ফ্যালানির দোষ দিতে, না পারছি গুলির বিনিময় এ খাদ্য নীতির বি এস এফ এর ঘাড়ে দোষ চাপাতে!
@টেকি সওদাগর, এই মন্তব্যের জন্য দুঃখিত। আমার খানিকটা ভুল হয়েছিলো। (উপরে @আদিল মাহমুদ এর সাথের আলোচনাটি দেখুন)
মানবিকতা বা অমানবিকতার কোন দেশ জাতি পার্টি ধর্ম হয় না।
বি এস এফের কাজ অমানবিক। এবং সব কিছুর উর্ধে উঠেই সেটাকে নিন্দানীয় বলতে হবে। বাংলাদেশ গরীবা না বড়লোক না মুসলমান-সেসব কারনে যদি কেও বি এস এফকে সমর্থন করে তা নিন্দানীয়।
অমানবিক কাজের পেছনে কোন সমর্থন খোঁজা বোকামি। এই ভুলটা মুসলমান, হিন্দু, কমিনিউস্ট, জাতীয়তাবাদি সবাই করে থাকে।
অধিকাংশ মুসলমান, মহম্মদ যেভাবে বানু কোরসির ইহুদিদের হত্যা করেছিল তাকে সমর্থন করে! কমিনিউস্টরা স্টালিনের গণ নিধনের কারন খুঁজতে যায় এবং সেখানে স্টালিনের দোষ পায় না। তেমন এখানে আরেক ভারতীয় বি এস এফের অমানবিকতার জন্যে বাংলাদেশকে দায়ী করছে-যেটা ঐ মুসলমানদের বানু কোরেসির নিধনকে সমর্থন করার সমান অপরাধ।
এবং এই ধরনের অমানবিকতার পেছনে আছে ” আইডেন্টিটি” বা পরিচিতি। কেও যদি নিজেকে মুসলিম ভাবে, সে কি করে মহম্মদকে দোষী বলবে বানু কোরেসির হত্যাকান্ডের জন্যে? কেও নিজেকে ভারতীয় ভাবলে, সেও ভুল করে বি এস এফকে সমর্থন করতে যাবে। এই ধরনের পরিচিতির সংকট এড়াতে হবে। আমরা যদি ভাবতে পারি, সবার আগে আমরা মানুষ, তারপর ভারতীয় বাংলাদেশী পন্ডিত মুসলমান হিন্দু হনু ইত্যাদি-তাহলে এই ধরনের মানবিকতার সংকট হয় না।
@বিপ্লব পাল,বনু কুরসি কে নিদন কেন চালানু হইছিল তার ইতিহাস জেনে কথা বলেন।এই উদাহরণ দিয়া আপনি ও কি বিএসএফ এর হত্যাকান্ড কে সমরথন দিলেন।কিসের সাথে কি উদাহরণ?
@ভূইফোঁড়,
দেখেছন ত- আমার কথায় সিল মোহর মেরে দিলে্ন!
অবশ্য সেটা বোঝার বুদ্ধি আপনার মাথায় আছে কি না জানি না-তবে আমি বি এস এফের হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দায় করেছি চিরকাল। বি এস এফের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিডিও এম পি দের কাছে পাঠিয়েছি। এসব আমার এখানে লেখার কোন দরকার নেই।
আমি লিখেছিলাম মিয়া বলে লোকটির ব্যাবহার বিশ্লেষন করতে। যেটা দরকার ছিল-কারন মুসলমানরা ইসলামের অনেক অমানবি্ক হত্যাকান্ডই দেখতে পায় না। কিন্ত যেহেতু এটা ভারতের হত্যাকান্ড সেহেতু দেখতে পাচ্ছে। মিয়াও তাই। সে আবার বি এস এফের হত্যাকান্ড দেখতে পাচ্ছে না। এগুলো মানসিক রোগ-যা নিজেকে হিন্দু মুসলমান ভারতীয় ইত্যাদি ভাবার মাধ্যমে জন্মায়।
বনু কুরেসি নিয়ে কোন মুসলমানের বক্তব্য কি? ইহুদিরা চুক্তি খেলাপ করে মহম্মদের শত্রুদের সাথে ছিল। কোন অস্ত্র নিয়ে সাথে ছিল না কিন্ত। শুধু তারা ঘুরে গে্ছে এই সন্দেহেই আপনাদের “শ্রেষ্ঠ মানব” সব ইহুদিদের কোতল করলেন। ইহুদি মেয়েদের নিয়ে কি করলেন সেটা আর লিখলাম না।
এসব আপনি দেখতে পাবেন না। কারন ইসলাম আপনাকে অন্ধ করে রেখেছে। যেভাবে মিয়াকে অন্ধ করেছে ইসলামের প্রতি তার ঘৃণা। এগুলোর কোনটাই মনুষয়ত্বের পরিচয় না।
@বিপ্লব পাল, :yes: :yes: :yes:
সবাই দেশপ্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। মেয়েটা ভারতে গিয়েছিল কেন ? কেন তাকে ঐ বীভতস কাঁটা তারের বেড়া টপকাতে হয়? তা নিয়ে কেউ আলোচনা করলেন না। পাকিস্তানী আমলে ওই দেশে আমরা তো এরকম যেতাম না। কাঁটাতার না থাকলেও সীমান্তে অবাঙ্গালী পাহারা তখনো এমনই ছিল। গত উনচল্লিশ বছর পাকিস্তানী শোষণ বন্ধ হওয়ার পরেও দেশের মানুষকে অন্যদেশের কাঁটাতার টপকাতে হচ্ছে – এমনটা তো কথা ছিল না (নাকি এখন পশ্চিম পাকিস্তান ভাবে বোঝাটা ঘাড় থেকে নেমে অর্থনৈতিক ভাবে ভালই হয়েছে)। কাঁটা তারের ব্যানার সেন্টিমেন্টাল বটে, তবে সেটা এটাও দেখায় যে প্রতিবেশি দেশে আমরা এমন অবাঞ্ছিত যে সেই দেশ কোটি কোটি টাকা খরচা করে কাঁটা তারের বেড়া দিচ্ছে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে বলে। আসুন এমন দেশ বানানোর দাবী করি যে দেশের নাগরিককে আইন ভেঙ্গে অন্য দেশে (শুধু ভারত নয়) যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
@মিয়া সাহেব,
আপনি শুধু ফেলানির মৃত্যু দেখলেন। ভারতীয় রি, এস, এফের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আমাদের হাওর দখল, মাছ লুট, জমি দখল, ধান কেটে নিয়ে যাওয়া এগুলোর ব্যাখ্যা কি??
আমি ভারতের কাছে সোজাসোজি জানতে চাই তাদের উদ্দেশ্য কি? তারা কি বাংলাদেশের পতন ও সেই সাথে নিজেদের পতন চায়?
আমি ব্যক্তিগতভাবে দুটি কারণে ভারতের প্রতি দূর্বল ছিলাম-
১। ভারত যে কারণেই হোক আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে।
২। ভারতে পৃথিবীর প্রায় এক পঞ্চমাংশ মানুষের বাস।
কিন্তু ভারতের আচরণ বরাবরই সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
@সৈকত চৌধুরী,
আর গত বছর গুলোতে কত লোকের মৃত্যু বি এস এফের হাতে হয়েছে তার কি কোনো খবর রাখেন? এদের অতি অল্প লোকই সীমান্ত ডিঙ্গাতে চেয়েছিল। নিরীহ কৃষক তার ক্ষেতে কাজ করছে তাকে হঠাৎ করে গুলি করে হত্যা—-এভাবেই হয়েছে বেশির ভাগ ।
আর সীমান্ত ডিঙ্গাতে চাইলে গুলি করতে হবে? – এ কোন অসূরীয় আইন? কেন, ভারতীয়রা বরাবরই আমাদের দেশে আসছে, আমাদের বিডি আর তাদের কিন্তু গুলি করেনা আর এজন্যই অনেকে ভেবে বসে আছেন ভারতীয়রা আমাদের দেশে আসে না।
আমাদের দেশে ভারত বিরোধিতা ক্রমশ বেড়ে চলছে এই কারণে আর এর ফায়দা নিচ্ছে জামাতিরা। এভাবে হতে থাকলে ভবিষ্যতটা সহজেই অনুমেয়।
@মিয়া সাহেব,
ভাই, দেশপ্রেমে যতটা হাবুডুবু খাচ্ছি, তার চেয়েও বেশী হাবুডুবু খাচ্ছি মানবাধিকারের দাবীতে। ফেলানীদের এইদেশে জীবিকার সুযোগ আমরা নিশ্ছিত করতে পারিনি, তা আমরা স্বীকার করি, কিন্তু তারপরেও আমরা পাখি মারা মত করে মানবাধিকার যাতে লংঘিত না হয় সেই দাবী করছি।
ভারতীয় বা বাংলাদেশী হিসাবে না দেখে আগে ফেলানীর মৃত্যুকে মানুষের চোখে দেখেন আগে, সেই অনুরোধ করব।
@মিয়া সাহেব,
পাকিস্তান আমলেও দেশ গরীবই ছিল, তবে জনসংখ্যা ছিল এখনকার অর্ধেকেরও কম। তাই অভাব হাহাকার এতটা ছিল না যে জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষকে সীমান্ত পাড়ি দিতে হত বা প্লেনের চাকা ধরে বিদেশে রওনা দিতে হত। আমাদের অনেক ব্যার্থতা থাকলেও সীমিত সম্পদ দিয়ে ১৬ কোটি লোকের ভরন পোষন প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। দারিদ্র থাকবেই, কম হলেও কিছু লোকে ওপারে যাবেই। তাই বলে শুধু সীমান্ত পাড়ি দেবার জন্য কাউকে দেখামাত্র গুলি করতে হবে? ভয়াবহ অপরাধীদেরও তো কোন সভ্য দেশে দেখা মাত্র গুলি করা হয় না। আমেরিকান সীমান্তে প্রতিদিন বহুদিন অবৈধ মেক্সিকান ধরা পড়ে। তারাও বহু বিচিত্র কায়দায় সীমান্ত পাড়ি দেয়। তাদের কি আমেরিকানরা শুধু গরীব দেশের গরীব লোক বলে সীমান্ত পাড়ি দেবার অপরাধ গুলি করে মারে?
আজকের পাকিস্তানেও অবস্থা মোটেও ভাল নয়। পাকিস্তান হল বিশ্বের একটি শীর্ষ দেশ যাদের নাগরিকেরা সবচেয়ে বেশী হারে দেশত্যাগ করে। গত দুই বছরে শুধু ১ লাখ পাকিস্তানীকে ধরা পড়ার পর বিভিন্ন দেশ থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে, আরো কত লুকিয়ে চুরিয়ে আছে তার খোঁজ কে বলতে পারে? কাজেই যুক্তি পাকিস্তান থাকলেও মনে করার কোন কারন নেই যে কেউ সীমান্ত পাড়ি দিত না।
@আদিল মাহমুদ,
মানছি মেক্সিকানরা বিচিত্র কায়দায় আমেরিকায় ঢুকে। কিন্তু আমেরিকানদের ওদেরকে প্রয়োজন আছে । আমেরিকার ইমিগ্রিশান আইন খুব শিথিল না বলে ওরা দুবাই,ইন্দোনেশিয়ার মত গাড়ির গাড়ি আদমি আমদানি করতে পারে না আমাদের মত বাংলাদেশ থেকে বা মেক্সিকো থেকে!
একই ব্যাপার ঘটছে জাপানের মত দেশেও, অদক্ষ আর সামাজিকভাবে নিচু শ্রেনীর কাজের জন্য আমাদের মত গু-সাফ করা লোকের দরকার। তাই ওরা গুলি করে মারে না। তাই বলে ওদের আমি মোটেও ভাল উদাহরন বলব না, ওরাও যে কতটা সহিংস সেটার প্রমান দেয়ার কোন প্রয়োজনবোধ করছি না।
কিন্তু ভারত নিজের জনগন নিয়েই ভগবানের কাছে মুক্তি প্রার্থনা করছে সেখানে ওদের এইরকম অলিখিত আইনের কোনো প্রয়োজন নেই।
@টেকি সওদাগর,
আপনার কথা মানতে পারলাম না। আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের দিয়ে শস্তায় কাজ করানো হয় ঠিকই, তবে সরকার তাই বলে সীমান্তে এদের ছাড় দিয়ে ঢোকায় না। সীমান্ত অত্যন্ত কড়া। আমেরিকার যাদের প্রয়োযন তাদের আইন সংগত ভাবেই আমেরিকায় ঢোকানো হয়, তাদের জন্য নানান রকমের বিশেষ ওয়ার্ক ভিসার ব্যাবস্থা আছে। কাজেই আমেরিকার মেক্সিকান শ্রমিকের দরকার আছে বলেই সীমান্তে তাদের গুলি করে মারা হয় না এমন যুক্তি খুবই হালকা।
আসল কারন হল মানবতার ব্যাপারটা। আমেরিকানরা ভিয়েতনাম, ইরাক বা আফগানিস্তানে যাইই করুক, মেক্সিকান সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ এর কায়দায় মানুষ মারলে তাদের নিজ দেশের জনগনই ফুঁসে উঠবে। এ জাতীয় বহু উদাহরন আছে। ফরিদ ভাই একটা দিয়েছেন, পড়ে নেন। মেক্সিকান সীমান্তে দালালদের coyote বলা হয়। এরা মেক্সিকানদের টাকার বিনিময়ে সীমান্ত পার করায়। এই সীমান্ত পাড়ি দেওয়া মোটেও সহজ না। অনেক লোক মারা পড়ে। তবে বেশীরভাগ মারা পড়ে মরুভূমিতে ডিহাইড্রেশন বা না খেতে পেয়ে, আর এই coyotes দের হাতে। আমেরিকানদের গুলিতে নয়।
আমেরিকানদের আন্তর্জাতিক কর্মকান্ডের কারনে মনে হয় যারা আমেরিকায় থাকেননি তাদের কাছে আমেরিকান বলতে মোটামুটি হিংস্র পশু গোছের কিছু মনে হয়। আমেরিকা বাইরের বিশ্বে যাইই করুক, নিজের দেশে সম্পূর্ন ভিন্ন। আমাদের দেশের যেসব অবৈধ লোক মধ্যপ্রাচ্য, মালইয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মায়ানমার এসব দেশে ধরা পড়ে আর যেসব লোক আমেরিকায় ধরা পড়ে তাদের কিছু অভিজ্ঞতা দয়া করে তুলনা করে নেবেন। গত বছর মনে হয় পড়েছিলাম যে থাই নেভী অবৈধ বাংলাদেশীদের ধরে ভাংগাচোরা ডুবন্ত লঞ্চে করে খোলা সমুদ্রে ছেড়ে দেয় কোন খাওয়া পানি না দিয়ে। একে হত্যাকান্ড ছাড়া আর কি বলা যায়? পশ্চীমা দেশের লোকে অন্তত কোনদিন শুধু অবৈধভাবে তাদের দেশে প্রবেশের অপরাধে কাউকে এভাবে মারবে না।
মুশকিল হল আমাদের অঞ্চলের মানুষের মাঝে গোটা উর্দিধারী সম্প্রদায় সম্পর্কেই ঈশ্বরের প্রতিনিধি ভাবার কালচার কম বেশী আছে। উর্দিধারী লোকেরা বিনা বিচারে মানুষ মারবে আমাদের মননে এটাই স্বাভাবিক, পশ্চীমা বিশ্বে সেটা স্বাভাবিক নয়। মানুষের যে শুধু মানুষ বলেই বিশেষ মূল্য আছে এই বোধটাই আমাদের অঞ্চলে সেভাবে গড়ে ওঠেনি।
আর একটা কারন মনে হয় এই যে যারা সীমান্তে বা বিদেশের বনে জংগলে মরুভূমিতে এভাবে মরে তারা সবাই সমাজের দরিদ্র শ্রেনীর লোক। তাদের নিয়ে সমাজের শিক্ষিত সচেতন অংশ বলতে যাদের বোঝায় তারা কোনদিন কিছু করবে না। বড়জোর দুয়েকজন সুশীল পত্রিকায় কিছু কলাম লিখবে। বিরোধী রাজনৈতিক দল হয়ত এই সুযোগে সরকারকে কিছু গালাগাল করে নেবে। এই পর্যন্তই। এই মৃতদের তালিকায় যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, সেনা অফিসার এদের ছেলেরা থাকত তবে দেখা যেত দেশ জুড়ে তোলপাড় হচ্ছে। সরকারের মন্ত্রীরা ছুটে যাচ্ছে দিল্লী। আমাদের দেশে মানবাধিকার জাতীয় সব সমস্যারই মূল এখানে আছে।
@আদিল মাহমুদ, মন্তব্যটি পড়ে ভাল লাগলো 🙂
ধন্যবাদ আবারো মনে করিয়ে দেয়ার জন্য, মানুষের মূল্যায়নের মাপকাঠিটা। আসলে এত এত বেশী এসব দেখছি যে মাঝে মাঝে এরকম করুণ ঘটনাও নিজের ভিতরের মানুষটিকে সজোরে নাড়া দেয়না আর 🙁 এটি আমারই ব্যার্থতা ।
আর হা ভাই আমি আমারিকানদের পশু মনে করিনা, ইন্টারনেট আর প্রযুক্তির যুগে ওদের সাথে ভার্চুয়ালি হলেও মেলামেশা হয়। ওদেরও মানুষই মনে হয়, আর তা আর কাছে থেকে দেখেছি হাইতি বিপর্যয়ের সময় যখন আমরা ছোট্ট একটা কম্যুনিটি ফোরামের (mahalo) সবাই রেড-ক্রস কে ফান্ড পাঠিয়েছিলাম 🙂
আবারো ধন্যবাদ! 🙂
@আদিল মাহমুদ,ব্যাক্তিগতভাবে এই ঘটনা’র মুল দায় আমাদের বাংলাদেশী জনগনে’র, কারন আমরা সরকারকে দিয়ে প্রান্তিক মানুষগুলোর কোন দায়িত্ব গ্রহন করতে বাধ্য করি না!! তারপরেও দেশে’র একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক যখন এরকম নির্মমভাবে সীমান্ত কাঁটাতারে মারা যায় তখন কোন বিবেচনায় সরকার নিশ্চুপ তা বলা যায় না, আওয়ামী লীগ বিরোধীরা বলবে তারা ভারতে’র বন্ধু কিন্তু আমি এত সরল করে বলতে চাই না,কারন বি,এন,পি বা অন্য কোন দলও কোন প্রতিবাদ করলো না!!!
আসলে আমরা দেশে’র সবচেয়ে অভাগা গরীব শ্রেণীটিকে অনেক আগেই ফেলে দিয়েছি নিজেদের চিন্তা-চেতনা’র বাইরে!!!
নিজেদের যতই দোষ দেই তাতে কিন্তু ভারত সরকার ও পশ্চিমবাংলা’র সুশীলদের দায় কমে না, অন্য সকল হত্যা বাদ দিলেও এই কিশোরীটির মৃত্যু’র ঘটনা আলাদা। কাশ্মীরে এক কিশোর হত্যা’র দায়ে ১৫ জন বি,এস,এফ কে দায়ী করা হয়েছিল!! কিন্তু বাংলাদেশে’র ব্যাপারে “দার্শনিক উদাসীনতা”র চেয়ে বেশি কোন প্রতিক্রিয়া কখনোই দেখা যায় না!!
আমেরিকা’র সেনাবাহিনী’র মাঝে জবাবদিহীমুলক প্রক্রিয়া থাকাটা কিন্তু তাদের বর্ডার ফোর্সের আচরন নিয়ন্ত্রন করে।বিশ্বে’র উন্নত সকল দেশেই সামরিক বাহিনী’র মাঝে আচরন নিয়ন্ত্রনের ব্যাবস্থা আছে কিন্তু বিশ্বে’র সবচেয়ে বড় সীমান্ত বাহিনী বি,এস,এফ এর এসবের বালাই নেই!!
তাদের দেশে’র সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার সংঠনগুলো যথেষ্ট সচেতন না আমাদের ব্যাপারে। আমি কিন্তু এটাকে বড় করে দেখি কারন, শ্রেণী বিভেদ বা অন্যান ক্লাসিক থিওরী মেনে নিলে চুপ করে থাকা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই!!
ভারত তার পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী কাকে মুল্য দিবে আর কাদের ফেলানী মনে করবে সেটা তাদের ব্যাপার তাই তাদের মুল অভিযুক্ত করতে পারছি না তাছাড়াও আরেকটি বড় কারন হল আমাদের সরকারে নিস্পৃহতা!!! একটি স্বাধীন দেশে’র সরকারের মত আচরন করতে প্রায়ই ব্যার্থ হই আমরা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি শব্দও উচ্চারন করেনি ফেলানী হত্যা’র ব্যাপারে!! আমাদের দেশে’র মানবতা’র বিরুদ্ধে অপরাধ করায় যারা দায়ী তাদের বিচার কিভাবে হবে তার সবক পাই আমরা “ওবামা’র বিশেষ দুত”র কাছ থেকে আর পরদিনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিডিয়াকে ভুল ব্যাখ্যাকারী বলে বক্তব্য রাখে!!! এই জবাবদিহিতার মনোভাব দেখি না যখন সীমান্ত কাঁটাতারে ঝুলে থেকে মারা যায় ফেলানী!!! আর তার কাছ থেকে জবাবদিহি আদায়ে ব্যার্থতা তো আমাদের ছাড়া আর কারোই নয়!!!
@অসামাজিক,
আমারো ভাবনা মোটামুটি একই। জনগন সজাগ প্রতিবাদী না হলে মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনদিনই উন্নতি হবে না। সে দেশের ভেতর পুলিশী নির্যাতন বা গার্মেন্টস শ্রমিকদের শোষন হোক আর সীমান্ত্র বিএসএফ এর গুলি হোক।
আমাদের সুশীল, আম জনতা এদের উতসাহ থাকে বিএনপি আওয়ামী লীগ বা স্বাধীনতার ঘোষক এসব বিতর্ক নিয়ে। মৌলিক মানবাধিকার সংক্রান্ত ব্যাপারে কারো তেমন মাথাব্যাথা থাকে না। কিছু সমাজ সেবা প্রতিষ্ঠানকেই বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করতে হয়।
এই সরকার ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষার কথা বলে, ভাল কথা। তাদের উপর এইসব হত্যাকান্ড বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার আশাবাদ আরো বেশী। বিন্দুমাত্র টনক নড়েছে বলে মনে হয় না। বিরোধী দলের কথা আর কি বলব? এখন হয়ত চুপ, নির্বাচনের আগে দেখা যাবে এই ছবি নিয়ে গত সরকারের আমলে ভারতীয় আগ্রাসন ব্যানারে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োযন করে বেড়াচ্ছে।
ভারতীয়দের দিক থেকে বুঝতে পারি যে বিপুল সংখ্যক বাংলদেশীর অনুপ্রবেশ তাদের মাথাব্যাথা। তাদের সীমান্ত রক্ষা তাদের দায়িত্ব। যাকে গুলি করে মারা যায় তাকে নিশ্চয়ই আটক করা যায় বা ধমকে তাড়ানো যায়। মানুষের জীবনের মূল্য শুধু জাতীয়তার কারনে এত কম হতে পারে না। ভারতীয় মিডিয়াতে এসব খবর হাইলাট করার উদ্যোগ আমাদের নেওয়া উচিত।
@মিয়া সাহেব,
মেয়েটা যে কারনেই ভারতে যাক তাই বলে তাকে গুলি খেয়ে মরতে হবে, এটা কোন ধরনের অসভ্য আইন?
সে যে কারনেই বীভৎস কাঁটা তারের বেড়া টপকাক, তাই বলে তাকে বীভৎসভাবে মরে যেতে হবে এটাতো ভয়াবহ যুক্তি।
অন্য কোন আলোচনাই এক্ষেত্রে খাটেনা। সোজা কথা মেয়েটিকে বি, এস, এফ নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে। এর অবিলম্বে বিহিত হওয়া দরকার।
@মিয়া সাহেব,
আপনি যে দেশপ্রেমে হাবুডুবু খান না, সেটা জেনে কৃতার্থ হলাম। এবার বলুন দেখি, দেশপ্রেমে হাবুডুবু খাওয়াটা কি দোষের কিছু? সব সমাজেইতো দেশপ্রেমকে মহৎ গুণ বলে বিবেচনা করে। দেশপ্রেম ছিল দেখেই সে না একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিল। না থাকলেতো করতো না। আলাদা দেশও পেতাম না আমরা।
এটা আলোচনার কোনো বিষয় ছিল না বলেই আলোচনা করা হয় নি। একজন নিরীহ কিশোরী কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে নৃশংসভাবে নিহত হয়েছে। সেই মৃত্যুটা যে চরম অমানবিক এবং ভয়াবহ অন্যায়, সেটাই ছিল মূখ্য বিষয়। কারণ, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের জন্য কাউকে গুলি করে মারা যায় না। আসলে কোনো অপরাধের জন্যই গুলি করে মারা যায় না। যতক্ষণ না ওই ব্যক্তির দ্বারা দায়িত্বশীল অফিসারের বা অন্য কারো জীবনের উপরে আসন্ন হুমকির সম্ভাবনা থাকে। এরকম নৃশংসভাবেতো নয়ই। এটা সভ্য সমাজের পরিপন্থী। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র এটা পারে না।
আপনার এই ধারণা ভয়াবহভাবে ভুল। পাকিস্তান আমলে অসংখ্য হিন্দু পরিবার সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত চলে গিয়েছে অবৈধভাবে। সেই সংখ্যাটা এখন সীমান্ত অতিক্রমকারীদের চেয়ে অনেক বেশি। তাঁদের কয়জনকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে? একাত্তরসালে এককোটি বাঙালি সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। তখনও ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নি। কাজেই ভারতের কাছে টেকনিক্যালি তারা তখনও পাকিস্তানি নাগরিক। বিএসএফ এদের মধ্যে কয়জনকে হত্যা করেছে? বিপ্লবী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ সহ সকলেই ছিল অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারী লোক। কই তাঁদের কাউকেতো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী গুলি করে মারে নি। বরং জামাই আদর করে রেখেছিল।
সীমান্ত অতিক্রম শুধু বাংলাদেশিরা করে এটা যদি ভেবে থাকেন তবে ভুল করছেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এমন অদ্ভুতভাবে করেছিল বৃটিশরা যে এর জের আরো সুদীর্ঘকাল টানতে হবে দুই দেশের মানুষকে। এমনও দেখা গেছে যে ঘুম থেকে একই গ্রামের আপন দুই ভাই জেনেছে যে তাদের বাড়ির মাঝখান দিয়ে সীমানা চলে গিয়েছে দুই দেশের। এখন থেকে তারা দুই দেশের নাগরিক। রাষ্ট্রীয় সীমানা দিয়ে দেশভাগ করা যায়, কিন্তু মানুষকেতো আর ভাগ করা যায়। এই লোকগুলো দীর্ঘকাল, অর্থনৈতিক-সামজিক, সাংস্কৃতিকভাবে একে অপরের সাথে জড়িত। দেশভাগের পরেও সেই সম্পর্কটা বিলীন হয় নি। ফলে, দুই পক্ষেরই সীমান্ত অতিক্রম ছিল অতি স্বাভাবিক ঘটনা। উঠোন পার হলেই যেখানে আরেক দেশে যাওয়া যায়, সেখানে নিশ্চয় আশা করা যাবে না, যে তারা পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে বৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করবে। তো এই রকম অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়া কয়জন ভারতীয়কে তৎকালীন ইপিআর, এবং পরবর্তীতের বিডিআর হত্যা করেছে?
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অবৈধভাবে স্থলসীমান্ত অতিক্রমের ঘটনা ঘটে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর সীমান্তে। এর খুব স্বাভাবিক একটা কারণও রয়েছে। এই এক জায়গাতেই শুধুমাত্র প্রথম বিশ্বের একটা দেশের সীমান্ত রয়েছে তৃতীয় বিশ্বের কোনো দেশের। এই সীমান্তে মানুষ কিরকমভাবে মরিয়া হয়ে সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করে সেটা না জেনে থাকলে একটু জেনে নিন ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে। বর্ডার গার্ড কতজনকে হত্যা করে সেটার সংখ্যাও পেয়ে যাবেন আপনি। গতবছর পনেরো বছরের এক মেক্সিকান কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছিল একজন আমেরিকান বর্ডার গার্ড। কারণ, ওই কিশোর নাকি ইট ছুড়ে মেরেছিল। এই এক ঘটনায় আমেরিকান বর্ডার গার্ডের পশ্চাৎদেশের চামড়া তুলে নেওয়ার অবস্থা করেছিল আমেরিকান মিডিয়াই। এফবিআই পর্যন্ত অফিসিয়ালি তদন্তে নেমেছিল এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির শাস্তির জন্য। শুধু মেক্সিকো সীমান্তই নয়, কিউবা থেকে লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে বোটে করে কীভাবে মায়ামিতে আসে সেটাও দেখে নিতে পারেন ইউটিউবে সার্চ দিয়ে। এদের কয়জনকে কোস্টগার্ড হত্যা করে? যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকোর মধ্যে অর্থনৈতিক যে পার্থক্য, নিশ্চয় ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সেই পার্থক্য এখনও তৈরি হয় নি। নাকি ভারত প্রথম বিশ্বের দেশ হয়ে গেছে এখনই?
আমার ধারণা ছিল আপনি একজন ভারতীয় নাগরিক। এখন বাংলাদেশি জেনে আমি যুগপৎ বিস্মিত এবং গভীরভাবে বিষাদগ্রস্থ।
আমার প্রথম মন্তব্যে আপনাকে আমি ভারতীয় নাগরিক বিবেচনা করেই মন্তব্য করেছিলাম। আপনি সেটা সংশোধন করে দেন নি। কাজেই, হঠাৎ করে আপনার বাংলাদেশি বনে যাওয়া দেখে সত্যি সত্যি-ই বিস্মিত হলাম। সেই সাথে আপনার ভাগ্য যথেষ্ট ভাল বলেই মনে করছি। কারণ আপনি যে ধরনের অনুভূতিহীন নিষ্ঠুর মন্তব্য করেছিলেন, তাতে করে আপনি বাংলাদেশি টের পেলে, আমার প্রতিক্রিয়াটা আরো যে অনেক বেশি কঠোর হতো এটা সুনিশ্চিত।
এবার আসি কেন বিষাদগ্রস্থ সে ব্যাপারে। এই মেয়েটার কাঁটাতার থেকে বাদুরের মত ঝুলে থাকা লাশ দেখার পরে সেই রাতে আমি ঘুমোতে পারি নি। যে কোনো স্বাভাবিক অনুভূতিসম্পন্ন মানুষেরই খারাপ লাগার কথা এরকম মৃত্যু দেখলে। বাংলাদেশি বলেই হয়তো আমাদের অনুভূতিটা হয়েছে আরো বেশি রকমের। মুক্তমনায় মেয়েটার লাশের ছবি দিয়ে ব্যানার বানানোতেই অনেকে আপত্তি জানিয়েছেন এই বলে যে এটা তাঁদের মনের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আপনার মধ্যে কোনো বিকার ঘটে নি। বরং সেই শুরু থেকে আপনি এই হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে এর পিছনে যুক্তি দিয়ে চলেছেন। কোনো ভারতীয় নাগরিকও এখন পর্যন্ত সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সাফাই গায় নি। এর থেকে আমার সিদ্ধান্ত দুটো। হয় আপনি দয়ামায়াহীন অত্যন্ত নিষ্ঠুর ধরনের মানুষ, অথবা বাংলাদেশিদের প্রতি আপনি বুকের মধ্যে প্রবল ঘৃণা বয়ে নিয়ে বেড়ান। একারণেই, একজন নিরীহ কিশোরীর অসহায় এবং মর্মান্তিক মৃত্যুও আপনাকে উল্লসিত করে, বাংলাদেশিদের গরীব বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য আর হেয় করে বিকৃত মজা পান।
গুলির বদলে গুলিতেই কেবল বিএসএফ এর অত্যাচার কিছুটা কমতে পারে….কোই তারাতো ওয়াগা কিংবা লাদাখ অরুনাচলে এই আচরন করার সাহস পায় না?…আমরা তুলনামুলক দুর্বল বলেই কি য়ামাদের সাথে এত্তো বীরত্ব?
@আহাসান,
এই ভিডিওটা দেখুন। জৈন্তাপুর সীমান্তে গুলি চালিয়ে তিনজন বাংলাদেশিকে আহত করেছিল বিএসএফ। এর কোনো পালটা উত্তর দেয় নি বিডিআর। একজন বিক্ষুব্ধ মহিলা বিডিআরের কাছে এর জবাবদিহি চাইছে, গ্রামবাসীরা রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করছে।
এই সমস্ত সাহসী এবং খাঁটি মানুষদের জন্য বুকের সবটুকু ভালবাসা জিইয়ে রাখি আমি।
httpv://www.youtube.com/watch?v=2TIvp_1oW0A&feature=related
@ফরিদ আহমেদ,
ভিডিওটা দেখলাম। আমি অবশ্য বাস্তব দৃশ্য দেখে অভ্যস্থ।
শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে কি ভারতের সাথে যুদ্ধ করতে হবে?? :-/
@সৈকত চৌধুরী,
কে যুদ্ধ করবে? ভারতে এখন দুধের নহর বয় চারদিকে। না খেতে পাওয়া বাংলাদেশিরা তার একটু ছিটেফোটা পাবার আশায় জানবাজি রেখে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গোতে চায়। বেড়াটা খালি একটু খুলে দিলে হাভাতে বাংলাদেশিরা হাছড়েপাছড়ে সবইতো ভারতে চলে যাবে। কিংবা যদি ভারত বলে যে এটাকে প্রদেশ করা হোক, সবাই মিলে দুইহাত তুলে সমর্থন জানাবে। 🙂
মজা নয় সৈকত। আগে ভাবতাম যে, কিছু অহমিকাপরায়ন, মূর্খ ভারতীয় এই ধরনের অদ্ভুত ভাবনা ভাবে। কিন্তু এখন দেখছি আত্মমর্যাদাহীন অমেরুদণ্ডী কিছু বাংলাদেশিও একই রকম ভাবনায় আচ্ছন্ন।
এই ভিডিও দেখে সবচেয়ে আশার জায়গাটা পেয়েছি আমি বিডিআরকে ধোলাই করা মহিলাটিকে দেখে। যে প্রচণ্ড তেজ আর আত্মমর্যাদার সাথে এই ভদ্রমহিলাটি বিডিআরের জোয়ানকে বললেন যে, বিডিআর থাকতে বাঙালি আহত হয় ক্যামনে, কিসের সৈন্য তোমরা, এরকম সৈন্য আমাদের লাগবে না, সেই একই তেজ এবং আত্মমর্যাদাবোধটুকু যদি আমাদের নেতাদের আর বাংলাদেশের সব মানুষের থাকতো, তবে ভারত যে সমস্ত ফাজলেমিগুলো বাংলাদেশের সাথে করে, তার কিছুই করতো না।
@ফরিদ আহমেদ, :yes:
@আহাসান,
কথা তো সত্য। দুর্বলের সাথে যত বীরত্ব।
পাকিস্তানের সাথেও তাদের নদীর পানি নিয়ে ভাগাভাগির চুক্তি আছে। সেখানেও তারা আমাদের পদ্মার পানি ডাকাতি করার মত হিম্মত দেখায় না।
কিছু লোকে যে উগ্র ভারত বিরোধীতায় ভোগে ও দেশে প্রকাশ্যে তাদের বিদ্রোহী উলফা গ্রুপদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেবার দাবী জানায় তার কিছুটা ভিত্তি ত অবশ্যই আছে।
ব্যানারে লেখা আছে “রাষ্ট্র মানেই কাঁটা তারের বেড়া…”। আচ্ছা, পৃথিবীর সব দেশেই কি এমন কাঁটা তারের বেড়া রয়েছে (আক্ষরিক অর্থে)?
ফরিদভাই এর অনুরোধে একটা ব্যানার করার চেষ্টা করলাম –
http://blog.mukto-mona.com/wp-content/themes/neobox/headers/felani_mm.jpg
ভাল হয়নি হয়তো, কিন্তু গুরুত্বটা বোঝা গেলেই যথেষ্ট।
@অভিজিৎ,
ব্যানারটা মনের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করছে 🙁
@তানভীরুল ইসলাম,
আমারও। ছবিটা ছাড়া ব্যানারটা করা যায় না?
@রূপম (ধ্রুব),
প্লিজ ব্যানারটা সরাবেন না, পারলে অন্যান্য ব্লগে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিন।
@তানভীরুল ইসলাম,
মনের উপর এই চাপটুকু ফেলাটাই ব্যানারটির মূল উদ্দেশ্য। এই সীমান্তে প্রতি চারদিনে একজন নিরস্ত্র বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়।
প্রতি বছর ঢাকায় বি ডি আর – বি এস এফ এর শীর্ষ ৈবঠকে একটি কমন এজেন্ডা থাকে, সিমান্তে গুলি বন্ধ করা।এ বছরও ঢাকার বৈঠকে এ ব্যপারে উভয় পক্ষ একমত হয় সিমান্তে গুলি বন্ধ করার । কিন্তু খুবই আশ্চার্যের বিষয়,
বি এস এফ দিল্লী গিয়ে বিষয়টা বেমালুম ভুলে যায়। সিমান্তে গুলি বন্ধ হওয়া
উভয় দেশের স্বার্থে এক্ষুনি বন্ধ হওয়া উচিৎ।
আন্তর্জাতিক আইন কি বলে? মামলা করা কি সম্ভব? এমনকি ভারতীয় আইনেও কি মামলা সম্ভব?
@রৌরব,
মামলা করা অবশ্যই সম্ভব। বেআইনী অনুপ্রবেশকারীদের কখন গুলি করা যাবে (যেমন, আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করলে, সশস্ত্র হলে ইত্যাদি) তার নিয়ম কানুন আছে। অভাগা মেয়েটি যদি সেসব নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে না থাকে তাহলে বিএস এফ-এর কর্মচারীর শাস্তি হতে পারে।
@রৌরব,আমার জানামতে মামলা করা সম্ভব এবং ভারতীয় আইনেই মামলা করা যাবে। অন্য জায়গায় দেখা একজনে’র মন্তব্য দিলাম,
তিনি বললেন যে, “সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ” ঘটলে স্ব স্ব দেশের আইনের হাতে তুলে দেওয়া এবং আদালতে ওর বিচার করা ও জেল জরিমানার বিধান রাখা আছে। ঘটনাকে যদি “সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ” ধরনের অপরাধে ফেলাই যায় তবে তো তা প্রমাণিত যে বিএসএফ নিজ দেশের আইন ভঙ্গ করেছে। নিজেদের আইন আদালতের হাতে তুলে না দিয়ে নিজেই আইন হাতে তুলে নিয়ে খুন করেছে। ভারতের আইনেই একটা মারাত্মক ক্রিমিনাল অপরাধ করেছে বিএসএফ।”
“উভয় দেশের একটা চুক্তি আছে। “যুদ্ধাবস্থা” ঘোষণার আগে কেউই সীমান্তের একটা নিদির্ষ্ট মাইলের মধ্যে সৈন্য সমাবেশ করতে পারে না, বলে চুক্তিবদ্ধ। এজন্যই চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য করতে বিএসএফ ও বিডিআরকে আগেই স্ব স্ব দেশ সিভিল প্রশাসনের অধীনে রেখে গড়ে তোলা হয়েছে। সেনা প্রশাসনের অধীনে নয়। ফলে স্বভাবতই এবং স্বাভাবিক অবস্থায় অর্থাৎ যুদ্ধাবস্থা কেঊ ঘোষণা করে রাখেনি এমন সময়গুলোতে, ঘটনা “সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ” জাতীয় আইনের আওতায় আসবে। এমনকি চোরাচালানীর কেসও।
আবার, যুদ্ধে নিজেদের দেশ রক্ষায় সেনাবাহিনী পরস্পরের সৈন্য মারলে তা অনুপ্রবেশ জাতীয় ঘটনা মনে করার কোন প্রশ্ন নাই”।
সেজন্যই আমাদের সরকারে’র কাছে দাবী করতে হবে তৎপর হবার জন্য!!সভ্যতা ও মানবতা রক্ষা’র জন্য আমাদের মানবাধিকার ও আইনজীবিদের দায়িত্ব নিতে হবে!
ভারতে’র সাথে বিরোধে’র লক্ষে নয় নিজেদের রক্ষা’র জন্য, বাঁচার জন্য।
@অসামাজিক,
সেক্ষেত্রে আশা করি ভারতের মানবাধিকার সংস্থাগুলি এ ব্যাপারে অগ্রসর হবে। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলি তাদের ভারতীয় কাউন্টারপার্টদের এ ব্যাপারে অনুরোধ করতে পারে, যদিও সেটা করতে হবেই বা কেন? যদিও এসব মামলায় জেতার আশা কম, তবুও ভারতে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তত বিএসএফ ও ভারতীয় সরকারকে বিব্রত করে এঘটনাগুলি কিছু হলে হয়ত কমিয়ে আনা সম্ভব।
সবচেয়ে ভাল হয় এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন থাকলে।
@রৌরব,
সুখের বিষয় হচ্ছে যে, ভারতে শুধু মিয়া সাহেবদের মত দাম্ভিক, প্রতিবেশী দেশের মানুষের প্রতি মায়ামমতাবিহীন অসংবেদনশীল লোকজনই থাকে না, মানুষের প্রতি ভালবাসায় পরিপূর্ণ মমতাবান লোকেরাও আছে, তা সেই মানুষেরা হোক না প্রতিবেশী বা ভিনদেশি মানুষ। ভারতের একটা মানবাধিকার সংগঠন হচ্ছে বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (MASUM)। এরা সীমান্তের দুই পাশে বি এস এফ এর সহিংস ঘাতক আচরণের প্রতিবাদ করছে। বি এস এফের বিরুদ্ধে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টটা এখানে দেখতে পাবেন।
@অসামাজিক,
সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য কাউকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে এটা কোন ক্রমেই হতে পারেনা। জানিনা পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে কি আইন কানুন আছে এর জন্য, তবে এটা নিশ্চিত যে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য হত্যা করা কোন সভ্য দেশে ঘটতে পারেনা।
সীমান্তের নিরক্ষর লোকজন সব নিয়ম-কানুন নাও জানতে বা বুঝতে পারে, যেমন এই দুর্ভাগা মেয়েটি হয়তো জানেনা তাকে দেখতে পেলেই গুলি করে মেরে ফেলা হবে বা হয়তো জানেনা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করলে তাকে গুলি করা হবে। এটা সুস্থ মস্তিষ্কে কিলিং-এর মতো জঘন্য অপরাধ বলে বিবেচিত হওয়া উচিৎ বলে মনে করি। বি এস এফ -এর এই অমানবিক জঘন্য কার্য্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
যেহেতু ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে বাংলাদেশীরা মারা যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারেরই কুটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে ভারত সরকারের সাথে বসে অবিলম্বে এর একটা সমাধান করা দরকার।
@ব্রাইট স্মাইল্, আপনাকে ধন্যবাদ।আমরা তো ভারতে’র কাছ থেকে বাস্তবিকভাবেই কোন প্রতিকার বা ন্যায় বিচারের আশাটুকুও করতে পারছি না সত্য! সরকারে’র মাধ্যমেও এর কুটনৈতিক উদ্যোগ বা তীব্র প্রতিবাদ করার স্বপ্ন দেখার সাহসটুকুও নেই!
তবে এই ঘটনার মাঝেই বেড়িয়ে এল যে, দুর্নীতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যার্থতা কতদুর বিস্তৃত ও কুটনীতিতে আমরা কত দুর্বল তারই পরিষ্কার একটি ছবি।
@অসামাজিক,এ রকম অমানবিক হত্যাকান্ডে,আমাদের মতো সাধারন মানষের দীর্ঘ শ্বাস ফেলা ও দুঃখ করা ছাড়া আর কী করার আছে?সীমান্তে বসবাস কারী ভাগ্য বিরম্বিত হত দরিদ্র মানুষ গুলো মশা মাছির মরে নিঃচিহ্ন হয়ে গেলেও উপর ওয়ালাদের কোনও সমস্যা নেই।মানুষকে দেখা মাত্র গুলি করে হত্যা এ কেমন বর্বরতা!
বি এস এফ-কে গুলি চালাতে হয় কেন ? বিডি আর যদি নিজের দেশের সীমান্ত ঠিক মত পাহারা দেয় তাহলে বাংলাদেশী নাগরিকরা বেআইনী ভাবে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করতে পারবে না এবং বিএসএফ-এর গুলির শিকার হবে না। বিএসএফ তো বাংলাদেশের ভিতর ঢুকে বাংলাদেশী হত্যা করছে না। বিএসএফ-এর কাজ হল বেআইনী অনুপ্রবেশ রোখা এবং সেই কাজ কখোনই বাবা-বাছা করে করা সম্ভব নয়। (অবশ্যই গুলিটা গরীব মানুষ বেশি খায়)। সীমান্তের কাঁটা তারকে যাদের ভীষণ অপছন্দ (কবিতার ভক্তবৃন্দ) এবং গরীব মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য কাতর, তারা কাঁটা তার উঠিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের একটি প্রদেশ বানানোর দাবী জানান। তাহলে সীমান্ত বা বিএসএফ কোনটাই থাকবে না, সারা ভারতই হতে পারবে বাংলাদেশীদের (তখন অবশ্য তারা আর বাংলাদেশী থাকবেন না) অবাধ বিচরণক্ষেত্র । ……খুব বিপজ্জনক প্রস্তাব, দেশপ্রেমীরা আমার চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর ফতোয়া দেবেন ভারতীর আগ্রাসনবাদের দালাল বলবেন।কিন্তু ভেবে দেখবেন, গরীব মানুষের জন্য কোনটা ভাল। যদিও বাংলাদেশের মতন দরিদ্র, জনবহুল দেশের বোঝা ভারত (যে নিজেও ধনী নয়) নিতে রাজী হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কেউ কেউ বর্তমানের সীমান্তহীন ইওরোপের উদাহরণ দিতে পারেন। সেই ভাবে ভারত ও একধরণের ইওরোপ। সমধর্মী, গণতান্ত্রিক, উদারমনা ও একই মুদ্রা ব্যবহারকারী ইওরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতীয় প্রদেশ গুলির তুলনা করা যেতে পারে। কিন্তু ইওরোপ ভিন্নধর্মী, অপেক্ষাকৃত গরীব ও (অসহিস্নু)সংস্কৃতির দেশ তুরস্ককে ইওরোপীয় ইউনিয়নে নিতে এখনো রাজী নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতেরও সেই রকম ‘ওপেন বর্ডার’ হয়ত একদিন সম্ভব হবে যখন শুধু বাংলাদেশের মানুষ ভারতে আসবেন না ভারতের মানুষও বাংলাদেশে গিয়ে নির্বিঘ্নে কাজ কর্ম করতে পারবেন এবং বাংলাদেশের সার্বিক চ্রিত্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ ও আধুনিক মনস্ক। এখানে উল্লেখযোগ্য, সমসংস্কৃতির দেশ নেপাল ও ভারতের মাঝে কোন কাঁটা তার নেই, বিনা পারমিটে একে অন্যের দেশে যেতে পারেন।
@মিয়া সাহেব,
আপনাদের মত কিছু ভারতীয় নাগরিকের অহমিকা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, মানবিকতার স্তর ছেড়ে চরম অমানবিক আচরণ করতেও বিন্দুমাত্রও দ্বিধাবোধ করেন না আপনারা। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আপনাদের ঘৃণাটাও চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটা অসহায় কিশোরী মেয়ে যে কিনা কাঁটাতারে আটকে গিয়েছিল, তাকে আপনাদের বীর দেশপ্রেমিক বাহিনী পাখির শিকারের মত গুলি করেছিল। আধাঘন্টা ধরে মেয়েটা গুলিবিদ্ধ হয়েও বেঁচেছিল। পানি পানি করে অসহায়ের মত গুঙ্গিয়েছিল। তারপর মরে গিয়েও কাঁটাতারে ঝুলে ছিল আরো সাড়ে তিনঘন্টা। আর আপনি এসেছেন এর সাফাই গাইতে। লজ্জা করে না আপনাদের।
অবৈধভাবে দেশের সীমানা অতিক্রম করলে গুলি করে মারতে হয় এমন আইন সভ্য বিশ্বে আর কোথায় আছে দেখান আমাদেরকে।
নেপাল আপনাদের সমসংস্কৃতির দেশ হয় আর বাংলাদেশ হয় ভিন্ন সংস্কৃতির দেশ। ভালই বলেছেন। নেপাল হিন্দু দেশ বলেই নিশ্চয়ই এই উপলব্ধি, তাই না?
@ফরিদ আহমেদ,
্মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট দেখুন। তারা বলছে বি ডি এর গুলি চালনার ব্যাপারে বি এস এফকে সমর্থন করে।
In researching this report, the Bangladeshi human rights organization Odhikar and Human Rights Watch interviewed several BDR officials about Bangladeshi victims. In most cases, if the BSF presented evidence of smuggling, the BDR did not complain about Bangladeshi nationals being killed. For instance, with respect to the killing of Shyamol Karmokar, the BDR Camp Commander at Wahedpur border, Subedar Sirajul Islam, said that while his death was “unfortunate and sad,” the BSF had opened fire believing him to be a cattle trader because he was with a group of rustlers. “Thus there was nothing wrong with the fact that the BSF has shot him.”
http://www.hrw.org/en/node/94641/section/3
কিছু বুঝলেন ফরিদ ভাই?
আসল সমস্যাটা হচ্ছে রাষ্ট্রএর অস্তিত্বে। বি এস এফের প্রধান বলছেন, আমাদের সীমান্তে ঢুকলে গুলি চালাবোই-কারন সেটাই আইন। যদিও সেটা ভারতীয় আইন না। ভারতীয় আইন হচ্ছে, কেও গ্রেফতার এড়াতে পালালে, তাকে না মেরে ঘায়েল করতে পার। মারতে পার না।
কিন্ত ইউরোপে বা আমেরিকাতে এটা হয় না-এখানে অনুপ্রবেশ করলে গ্রেফতার করে। পালানোর চেষ্টা করলে রাবার বুলেট আছে।
ওপরে রিপোর্টে পরিস্কার বি এস এফের বিরুদ্ধে ভারতের মধ্যেই মানবাধিকার লঙঘনের কেস অনেক বেশী।
@বিপ্লব পাল,আপনার মোহমুক্ত জবাবে’র জন্য আবার ধন্যবাদ কিন্তু একটি ব্যাপার আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে মনে হল,কারন সমস্যা চিন্হিত করেও কোন সমাধানে’র কথাই বলছেন না,তাই হয়ত কিছু বিষয় আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে মনে করি যেমন, আবাঙ্গালি সোলজারগুলো ভাষাগত সমস্যার কারনে ও বি,এস,এফ এর হাতে মানবাধিকার ভঙ্গের শাস্তি না হওয়ায় নিরীহ বাংলাভাষী অন্চলে এসে দুর্বল নিরীহ জনগনের উপর তান্ডব চালায় এটাই সত্য। ভারত আর্থিক নাকি পদ্ধতিগত দুর্বলতার কারনে জানিনা তবে রাষ্ট্রটি তাদের ২ লক্ষ ২০ হাজার সোলজার সমৃদ্ধ বি,এস,এফ এর বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়োজিত সোলজারদের মানসিক স্বাস্থ রক্ষনাবেক্ষনে ব্যার্থ পুরোপুরি।সামরিক ট্রেনিং প্রাপ্ত এসব মানুষ পরিষ্কার বিকারগ্রস্থ হয়ে নারী-শিশু হত্যা করছে।
জম্মু-কাশ্মীর সহ ভারতে’র বিশাল গোলযোগপুর্ন সীমান্তে প্রাপ্ত প্যানিক থেকে তাদের মানসিক সুস্থতা নষ্ট হয় এবং সেসব সোলজার শান্ত এলাকায় এসে বর্বর হয়ে যায়।মানসিক ঝুকিতে থাকা সকল সোলজার সহ আবাঙ্গালী সোলজার প্রত্যাহার করে বাংলাভাষা জানা সোলজারই ঘনজনবসতিপুর্ন এই সীমান্তে নিয়োগ দেয়াটাই গ্রহনযোগ্য সমাধান।বাংলাভাষী মানুষের সাথে বি,এস,এফ এর এই আচরন কোন ভাবেই চলতে দেয়া যায় কি?? বি,এস,এফ এর বিকৃত মানসিকতা’র জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়।ভারতকেই তার সমাধান করতে হবে।আন্তর্জাতিক মহলে এ বিচারে’র দাবী রয়েছে।তবুও প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালতে এ নিয়ে দেন-দরবার কারোই কাম্য নয়!
সবশেষে, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করা এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গে সীমান্তে শত শত মানুষ হত্যা’য় অভিযুক্ত বি,এস,এফ কে কি শাস্তি দেয়া উচিত ও এর কি কি সংস্কার আপনি নিজে দাবী করেন ???
@অসামাজিক,
(1) কাশ্মীর থেকে ফেরা বি এস এফরা একটু টাফ এটা ঘটনা। আমি ব্যাক্তিগত অনেক কেসই জানি-এখানে দীর্ঘতর করলাম না।
(২) বি এস এফের সাথে স্থানীয় লোকেদের ভাল সম্পর্ক থাকে না। এখন ইউ আই ডি হওয়ার পরে, আশাকরি তাদের ভারতীয় আর বাংলাদেশী আলাদা করতে সমস্যা হবে না
(৩) আন্তর্জাতিক আদালতে কি হবে? বি ডি আরের বক্তব্য দেখলেন ত। তারা বলছে বি এস এফ ঠিক করেছে-কারন নিজেদের এলাকাতে তারা গুলি চালাতেই পারে। সেটা তাদের অধিকারে আছে। তবে মানুষ মারার অধিকার তাদের নেই।
(৪) দারিদ্র্যের কারনে বাংলাদেশীরা বর্ডার পার হওয়ার চেষ্টা করবেই। এটা পৃথিবী জুরে সর্বত্র হয়। মেক্সিকানরাও আমেরিকান বর্ডার এইভাবে ঝুঁকি নিয়ে পার করে। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতি ভীষন ভাবে দরকার
(৫) সাথে সাথে বি এসএফের মানবিকতার শিক্ষা দেওয়া দরকার। সেটাত
সম্ভব না। মানবিক হলে যুদ্ধ করবে কি করে? আমাদের এক বছর এন সি সি করতে হত-যা ছাত্রদের জন্যে মিলিটারী ট্রেনিং। ওখানে প্রচন্ড বাজে ব্যাবহার করা হয়-যেটাও ট্রেনিং এর অঙ্গ। মানসিক টাফ হওয়ার ট্রেনিং। তা নাহলে যুদ্ধ করবে কি করে???
মানবিকতা বর্জন করতে শেখানো মিলিটারি শিক্ষার অঙ্গ। আমেরিকান সেনারা ইরাকে কি করেছে দেখছেন ত। পাকিসেনারা বাংলাদেশে কি করেছে সেটাও জানেন।
সুতরাং ডিমিলিটারাইজেশন ছারা সমাধান নেই। মিলিটারী ব্যাপারটা বর্তমান সভ্যতার জন্যে বেমানান-কিন্ত উপায়ত নেই!
ভারত-বাংলাদেশ কমন ইকনমিক জোন ছারা আমি আর কোন সমাধান দেখছি না।
@বিপ্লব পাল, সমস্যা’র সমাধানে আশু করনীয় কি তা বলবেন আশা করেছিলাম আপনার কাছে।
যেটা আমাদের সীমান্তের ঘনবসতিপুর্ন এলাকায় বাংলা ভাষা জানা বি,এস,এফ এবং শান্তিকালীন অবস্থায় তাদের মানসিক মেডিকেশনে’র ব্যাবস্থা করা। এত বিশাল বাহিনী’র কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করতে হবে! কিশোরীটি’র হত্যা’র ঘটনায় এরকম স্পষ্ট ও সরাসরি কোন প্রতিরোধমুলক পদক্ষেপ নেবার কথা বলবেন আশা করেছিলাম।
বিনা প্ররোচনায় কিশোরী মেয়েটিকে কাঁটাতারে’র বেড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় গুলি করার জন্য সরাসরি দায়ী বি,এস,এফ এর সেক্টর কমান্ডার এবং দায়ী সোলাজারদের বিচারে’র ব্যাবস্থা করা এবং বি,এস,এফ এর সংশ্লষ্ট সেক্টর চিফ ও ভারতে’র কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারে’র উচিত কিশোরীটির মৃত্যু’র জন্য তার পরিবারে’র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবেই নয় একজন নারী-শিশু ও মানবতা’র অধিকার রক্ষা’র সমর্থক হিসেবেই আমরা এই দাবী করি আপনিও কি মানবতা’র পক্ষে’র একজন পরিচিত ব্লগার হিসেবে এই দাবী’র প্রতি সমর্থন জানান???
আপনার সমর্থন চেয়ে সংকটপুর্ণ সময়ে এই প্রশ্ন কোন রকম “স্ট্যান্ট” নেবার চেষ্টা করছি না আমি। আপনি যদি আপনার পরিচিত নির্মোহ ও স্থায়ী সংস্কারহীন উত্তর দেন তবে আন্তর্জাতিক ভাবে সুবিচার প্রতিষ্ঠায় আশাবাদী হব।
@ফরিদ আহমেদ,
নেপাল একদা হিন্দু দেশ ছিল, এখন আর নয়। সেটি এখন সেকুলার দেশ।
আচ্ছা এই হচ্ছে তাহলে ঘটনা। এ কারণেই কোনোকালে ভারতের অংশ না হয়েও নেপাল আর ভারত সমসংস্কৃতির দেশ। এত গভীর প্রেম। আর হাজার হাজার বছর ধরে বাংলাদেশ অখণ্ড ভারতের অংশ হিসাবে থেকেও এখন ভিন্ন সংস্কৃতি। বুঝলাম এতক্ষণে। তা দাদা একটু বলবেন কী, হিন্দু রাষ্ট্র থাকা অবস্থায় নেপালিরা অবাধে ভারতে আসতে পারতো কি না? এই বিশেষ ব্যবস্থা কি হিন্দু রাষ্ট্র থেকে সেকুলার রাষ্ট্রে উত্তরণের আগে ঘটেছে না পরে ঘটেছে? আর বাংলাদেশ কি ইসলামি রাষ্ট্র? এর সরকারি নামটা কি জানেন আপনি? আপনার ভাষ্য অনুযায়ী আমরা সেকুলার রাষ্ট্রে পরিণত হলে আমাদের লোকজনকে আর আপনারা গুলিটুলি করে মারবেন না মনে হয়, তাই না? যত দোষ সব ওই মুসলমান হওয়াটাই দেখছি।
@মিয়া সাহেব,
আপনার এই দাম্ভিকতার সুযোগটা করে দিয়েছে আমাদেরই অসৎ মূর্খ রাজনীতিবিদরা। আপনার ভারত কি ধর্মনিরপেক্ষ ও আধুনিক মনস্ক হয়ে গেছে? আপনার দৃষ্টিতে তা হতে পারে, তবে সভ্য যে মোটেই হয় নাই তা তো বুঝাই যায়, কাঁটা তারে ঝুলন্ত মেয়েটি এর সাক্ষী।
@আকাশ মালিক,
:yes:
@মিয়া সাহেব,
মনে রাইখেন আমরা শুধু সরকারে থাকা দুর্নীতিবাজ ও অসৎ নেতাগুলার জন্য পারতেছি না।আমাদের মুক্তি সময়ের ব্যাপার।কারন ১৬ কোটি এবং এক ভাষা,এক জাতে’র মানুষে’র একতা বদ্ধ হওয়া সময়ের ব্যাপার!!!!!
নিজেদের কথা খেয়াল কইরেন!
আর কাঁটাতারে’র বেড়া??? আমরাই দিমু আর মনে রাইখেন আপনার আর আমার ঘরে’র মাঝে বেড়া যদি দিতেই হয় তাইলে কোন মুল্যেই সেই বেড়া এক ইন্চি ফাঁকা হবে না। কোন কিছুর বিনিময়েই না!!!!!!!
সারক্ষনই তো মুখে মিষ্টি কথা বলেন, শুনেন, মনের কথাগুলা শুধু সংকটের সময় না, সবসময় প্রকাশ কইরেন,সেটাই হবে সভ্যতা।
@অসামাজিক,
ভারতীয় একটি ছেলে যদি বেড়া ডিঙিয়ে ঢুকতে চায় তখন কি করবেন? 😉
@রৌরব,ঐ পরিস্থিতিতে কি করবো লিখেও সামাজিক ভদ্রতা’র খাতিরে মুছে দিয়েছিলাম।ভেতরটা অত অসামাজিক হয় নি তো তাই, তবে আপনি জানতে চাওয়ায় এবার বলছি কি লিখেছিলাম।
“তখন ভারতের যে কেউ, এমুনকি আপনেও( মিয়া সাহেব) যদি আসেন তাইলে আপনেরে ঢুকতে দিমু,চইড়া খাইতে দিমু আমার সোনার বাংলায়,কেউ যেন পশু-পাখি মনে কইরা গুলি না করে আপনেরে তা নিশ্চিত করুম”।
আমি নির্মোহভাবে আপনাকে বিশ্বাস করার জন্য অনুরোধ করে বলতে চাই যে,আমাদের দেশে কাজের উদ্দেশ্যে,পেটের তাড়নায় যদি কোন ভারতীয় আসে এবং তা যদি হয় বাংলাভাষী তবে আমার ভাই-বোন ও তাদের সন্তানে’র জীবনে’র যেরকম মুল্য দেই ঠিক ততটুকু মুল্যই তার জীবনটাকেও দিব।
কক্সবাজার-টেকনাফে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাস করে যারা মায়ানমার থেকে এসেছে এবং নিয়মিত আসে তাদের সাথে বি,জি,বি’র আচরন দেখুন!!
শুধুমাত্র আবাঙ্গালি বি,এস,এফ বলেই এবং তাদের ব্যকগ্রাউন্ডে সমস্যা আছে বলেই আমরা আজ সমাধানযোগ্য এক ভয়াবহতা’র শিকার বলেই আমার বিশ্বাস!!
@অসামাজিক,
শুনে সুখী হলাম। কারণ ভারতীয় বেড়ার বিরোধিতা, আবার একই সাথে নিজেরা ইঞ্চি ফাঁক বিহীন বেড়া তৈরির বাসনা, এদুটোকে খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না।
একটা কথা। রোহিঙ্গারা কেউ বেড়ায় মরে ঝুলে আছে বলে জানিনা, তবে তাদের সাথে আমাদের আচরণ নিয়ে গর্ব কতটুকু করা যায় নিশ্চিত নই।
এই বাঙালী-অবাঙালী সমীকরণে আমি কিঞ্চিৎ বিভ্রান্ত। বাংলাদেশের সাথে আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরার সীমান্তে এসব ঘটনা ঘটলে কি এ ব্যাপারে আপনার মতামত ভিন্ন হত (সে বাংলাদেশীরাই সীমান্ত পার হোক, আর অবাঙালী ভারতীয়রা বাংলাদেশে ঢুকুক)?
এখানে অতি সরলীকরণ হচ্ছে। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বাঙালি বিএসএফ দিলেই তারা আদর করে আমাদের দিকে গুলিটুলি চালাবে না, ফুল বিলোবে, এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। এই সমস্যার মূল আরো গভীরে এবং ভিন্ন জায়গায়।
@ফরিদ আহমেদ,
কি সেটা? অসামাজিক কিন্তু এই ব্যাপারটিকেই হাইলাইট করলেন কয়েকবার — তাঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে ফুল না বিলোলেও কমিউনিকেশন গ্যাপ কমে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বাঙালী থাকলে। আপনার মত কি?
বিএসএফ বাংলাদেশি কাউকে ধরেছে, তারপর জেরা করেছে, কিন্তু ভাষা বুঝতে না পেরে গুলি করে মেরেছে এরকম মাত্র একটা উদাহরণ দিতে বলুন অসামাজিককে। বাংলাদেশ সীমান্তে এপর্যন্ত যত হতাহত হয়েছে তার সবই দূর থেকে টার্গেট প্রাকটিস করা বা এলোপাতাড়ি গুলির ফসল। বাংলা এবং হিন্দি এমন কোনো দুটো ভিন্ন গ্রহের ভাষা নয় যে, পরস্পরকে বোঝা যাবে না।
@ফরিদ আহমেদ,আমি পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষেই বাংলাভাষী বি,এস,এফ এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলছি।জম্মু-কাশ্মীর বা চীন সীমান্ত থেকে আসা বি,এস,এফ দের আচরনগত সমস্যা দেখা যায় এই এলাকায়।
আর ভাষাগত কারনে হত্যা’র উদাহরন আমি সত্যিই দিতে পারবো না।তবে সেই ব্যার্থতায় কিন্তু সমস্যা’র সমাধানে সুপারিশ বন্ধ করবো না।কারন বিষয়টা সমাধানের দাবী রাখে।আমি আমার দিক থেকে আপাতত এটিই খুজে পেলাম।
আর ভাষাগত সমস্যা’র ছোট্ট একটি উদাহরন আপনি উপরে মুক্তমনা’র সুমিত দেবনাথে’র নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটায় দেখতে পারেন।
@রৌরব,রোহিঙ্গা’রা নিরাপদে প্রবেশ করছে এবং বি,জি,বি’র দ্বারা তাদের আক্রান্ত না হওয়াকেই বুঝিয়েছি।তাদের শরনার্থীশিবিরের অমানবিক জীবন যাপনের উন্নয়নে আমাদের ব্যার্থতাকে আমি আমাদের “ব্যার্থতা” চিন্হিত করে ব্যাবস্থা নিতে সরকার যেন আন্তর্জাতিক সাহায্য চায়,যা চেয়েছে অলরেডি, সেটির সমর্থন করি।
আর এই বাঙালী-অবাঙালী সমীকরণে বিভ্রান্ত হবেন না।সমীকরনটি আসলে জাতিগত পার্থক্য বা রেসিস্ট উদ্দেশ্য করিনি।এই সমীকরন ভাষাগত, কারন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে,বাংলাদেশি ও ভারতের নাগরিক নির্বিশেষে বাংলা না জানা সোলজারদের হাতে বাংলাভাষী মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে।তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে,ঘনবসতি পুর্ন দরিদ্র এই এলাকায় ভাষাগত পার্থক্যের ফলে সাধারন গরীব মানুষ ও ডিউটিতে থাকা বি,এস,এফ এর মধ্যে কোন স্বাভাবিক কথোকপোথন সম্ভব হয় না ফলে বি,এস,এফ তাদের দায়িত্ব পালনে সমস্যা মোকাবেলা করছে ও স্বাভাবিক আচরন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তারা যখন প্রশ্ন করে সাধারন মানুষ জাবাব দিতে না পেরে প্যানিক হয়ে যায় এবং সেটা বি,এস,এফ এর মাঝেও ছড়ায়,যেহেতু বি,এস,এফ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত তাই তারা নিরীহ মানুষের উপর অল্পসময়ের মধ্যেই চড়াও হয়। মানে তাৎপর্যপুর্ন যোগাযোগে’র অভাবেই বেশি’র ভাগ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে’র বাইরে চলে যাচ্ছে।
সীমান্তে’র যে এলাকা কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সে জায়গায় স্টাডি করার পরে বাংলাদেশ নয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাই “ভাষাগত পার্থক্য” ও বি,এস,এফ এ মানবাধিকার চর্চার কোন ব্যাবস্থা না থাকাকেই কে মূল সমস্যা বলে চিন্হিত করেছে।
এটার একটু লিংক বা রেফেরেন্স দিনতো প্লিজ।
@ফরিদ আহমেদ,
হ্যাঁ, এ ব্যাপারে কিছু তথ্য পেলে মন্দ হয় না।
@ফরিদ আহমেদ,
বিপ্লব পালও একই সাইট রেফার করেছিল।
http://www.hrw.org/en/node/94641/section/3
খুব তাৎপর্যপুর্ন রিপোর্ট। আপনার হাতে পরে সেটি আরো তাৎপর্যপুর্ণ হয়ে উঠবে আশা করি!
@অসামাজিক,
দেখেছি এটা। এটাই আমি রৌরবকে দিয়েছে। এখানে গ্রামবাসীদের সাথে তাদের যোগাযোগের অসুবিধার কথা বলা হয়েছে স্থানীয় ভাষা না বোঝার কারণে। যার ফলে অনেক সময়ই বি এস এফ এর লোকেরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে। কিন্তু এর সাথে মানুষ হত্যার কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষ হত্যার পিছনের আসল কারণটা অন্য। বিএসএফ আসলে নিজেদের ছাড়া আর কারো কাছেই দায়বদ্ধ নয়। ভারতের মত একটা গণতান্ত্রিক দেশ একটা ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করেছে। পাকিস্তান বা চীনের মত শক্তিশালী দেশের সীমান্তে পালটা মার খাবার ভয়ে সুবোধ হয়ে থাকে বি এস এফ, কিন্তু এই দায়বদ্ধহীনতার পুরো সুযোগ নেয় বাংলাদেশের মত দূর্বল দেশের সীমান্তে এসে। ওই একই রিপোর্টে এই দায়বদ্ধহীনতা সম্পর্কে লেখা হয়েছেঃ
BSF personnel are not accountable to the local administration, the police, or to human rights institutions. The police, in fact, often refuse to register complaints against the BSF. Under India’s Border Security Force Act, BSF personnel cannot be prosecuted in civilian courts without approval from the federal home ministry—permission that is seldom granted. Authorities say that BSF personnel are prosecuted by internal courts, where the hearings and verdicts are not public.[19] Not surprisingly, this deeply flawed system of accountability has failed to serve as effective deterrence against human rights violations.
@অসামাজিক,
আমি “এর প্রতিকার চাই”, ” এই অমানবিক হত্যাকান্ড বন্ধ হৌক”
এই ধরনের কথা বলে সময় নষ্ট করার লোক না। আমার বাড়ি সীমান্ত এলাকাতে ছিল-সেখানেই বেড়ে ওঠা। বি এস এফ হারে হারে চিনি। বাংলাদেশী ডাকাত, স্মাগলারদের জন্যে অবাধ অধিকার-সাধারান মানুষকে তারা মারে। আমার এলাকার এম এল এ, এম পিরা যাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে নি, আমি এই ব্লগে নিপাত যাক, এই চাই ওই চাই লিখে কি করব??
আমি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বহুবার ঘুরেছি-২০০৮ সালে একটা ডকুমেন্টারীও তুলেছিলাম-তবে সেটা এই বি এস এফ নিয়ে না। আমার গাড়ি তারা বারবার চেক করেছে। কিন্ত সেটা তাদের কাজ। দামী ক্যামেরা ছিল-সেসব ও চেক করেছে। বহলোকের কাছে শুনেছি বি এস এফ সেখানে কি অত্যাচার করছে। তারা প্রণব মুখার্জির কাছে অনেক দরবার করেও প্রতিকার পায় নি। আর আমি ত কোন ছার।
@বিপ্লব পাল,আমাদের সমস্যটা’র জন্য আমরা নিজ দেশে’র সরকার ছাড়া আর কাউকেই দায়ী করি না,এবং এই সমস্যা’র সমাধানে নিজেদের উপর ছাড়া আর কারো উপরই ভরসা করি না।
আমরা জানি কিভাবে নিজেদের লোকেদের কাজ করতে দিয়ে তাদের জীবন নিরাপদ করতে হবে।
আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম আপনার ভাবনাটুকু এবং তা বলার জন্য ধন্যবাদ।
@মিয়া সাহেব,
http://www.odhikar.org/FF/ff09/BSF09/Engilsh/Monjuara_Roumari_Kurigram_November6_2009_BSF_English.pdf
http://www.newsnetwork-bd.com/UI/Public/NewsDetail.php?LogID=15425
ভাই মিয়া সাহেব, এইগুলো আপনাদের কোন সেক্যুলারিজমের ফলাফল? অবাক হয়ে গেলাম, আপনার বি এস এফ এর অযৌক্তিক গুলি মারার ব্যাপারটাতে সাফাই গাওয়া দেখে। আপনারা সবাই কি এইরকমই ভাবেন?
স্রেফ মনে রাখবেন, বাংলাদেশ যতই ছোট্ট দেশ হোক, আর ভারত যতই বিশাল হোক, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। রাষ্টীয় মর্যাদার দিক থেকে বাংলাদেশ ভারত সমপর্যায়ের। আপনাদের দাম্ভিক উচ্চারণ আমরা চুপচাপ শুনে যাব না।
@মিয়া সাহেব, 🙁
উহ কী নির্মম-
[img]http://amarbornomala.com/uploadedimage/72638uttar2.jpg[/img]
ছবি- শুভ্রদ্বীপ পাল, আনন্দবাজার পত্রিকা,কলকাতা।
(১) বি এস এফ ভারতীয় বাংলা এলাকাতে খুন ধর্ষন রাহাজানি তোলাবাজি সব কিছুই করে। এটা ভাবলে ভুল হবে বি এস এফ শুধু বাংলাদেশী গুলি করে। প্রতিবছরই শয়ে শয়ে শ্লীলতাহানি কাজের সাথে তারা যুক্ত। সমস্যা হচ্ছে ভারতের আইন অনুযায়ী সেনাদের বিচার সিভিল কোর্টে হয় না। তাদের আলাদা মিলিটারী ট্রাইবুনাল আছে। আমাদের এলাকার এম এল এ , এম পি রাও বি এস এফের বিরুদ্ধে দিল্লীতে অভিযোগ জানিয়ে কিছু করতে পারে নি। এমন কি যখন প্রণব মুখার্জি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, এবং তার নিজের এলাকা বাংলাদেশ সীমান্তেই-তাতেও কিছু উন্নতি হয় নি।
(২) বি এস এফের হাতে সীমান্তের লোকেরা কিভাবে হয়রানি হয়, তাই নিয়ে ভারতেই অনেক ডকুমেন্টারী আছে। আমি নিজেও অনেক এমন লোকেদের সাথে কথা বলেছি।
(৩) অবাঙালী অফিসার একটা সমস্যা। তবে কেও কেও যদি একথা বলে থাকে অবাঙালী বলেই তারা বাঙালীদের ওপর অত্যচার করে বাজে কথা বলছে। আমি যতবার সীমান্ত এলাকাতে গেছি-শেষ গেছি ২০০৮ সালে-বি এস এফের সাথে কথা বলেছি। হিন্দিতে কথা বললে ওরা খাতির করে- যেটা সাধারন লোকের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশী না ভারতীয় না বুঝতে পেরে সমস্যা হয়।
[৪] তবে মূল কারন বি এস এফ এবং বি ডি আর স্মাগলিং এর সাথে জড়িত। ভারত থেকে প্রতিদিন থেকে টন টন তুলো, সুতো, নুন, পেঁয়াজ, ডিম বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকছে। তাদের বি এস এফ গুলি করে না। হেনস্তা করে যারা রোজগারের জন্যে সীমান্ত ক্রস করতে বাধ্য হয়। তারা গুলিও খায়।
(৫) এই সমস্যার সমাধান আমি দেখতে পাচ্ছি না। ভারত বাংলাদেশকে একটা ইউরোপিয় ইউনিয়ানের স্ট্রাকচারে আনলে তবেই এই সমস্যার সমাধান হবে। কারন আমি ২০০৮ সালে যখন বি এস এফের শীর্ষ স্থানীয় অফিসারদের সাথে কথা বলেছি-উনারা বলেছেন, ওদের শুট আট সাইট অর্ডার আছে বর্ডার ক্রস করলে। যা কিছুটা অমানবিকও বটে। অন্যান্য দেশে শুধু জেলে পোরে ইলিগ্যাল ক্রসিং এর জন্যে।
@বিপ্লব পাল, আপনি বি,এস,এফ এর আভ্যন্তরীন সমস্যাগুলো চিন্হিত করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
বর্বর আচরনে’র জন্য দায়ী বি,এস,এফ এর বর্তমানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অপসারন করে বাংলা ভাষায় দক্ষ নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। আবাঙ্গালী সৈন্যগুলো জম্মু-কাশ্মীর সহ, চীনের সাথে গোলযোগ পুর্ন সীমান্তে থেকে থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় আক্রান্ত। বাংলাভাষী ঘনবসতিপুর্ন এই এলাকাটি থেকে এসে তারা সমাজে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
পশ্চিম বাংলা’র সরকার কিভাবে নিজ প্রদেশে’র মানুষদের হত্যা’র ব্যাপারে উদাসীন হয় সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার কিন্তু ঢাকা’র দায়িত্ব হল রাষ্ট্রে’র ন্যায় নয়া দিল্লী’র সাথে কথা বলা এব্যাপারে।
পাকিস্তান ও চীনের সাথে ভারতে দীর্ঘ গোলযোগ পুর্ণ সিমানা আছে তাই বর্ডারে শ্যুট এ্যট সাইট অর্ডার রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশে’র সাথে পশ্চিম বাংলা সিমান্তে এই অর্ডার তুলে নেবার দাবী জানাই কারন এই এলাকায় হত্যাগুলো সব বিনা প্ররোচনায় এবং নীরিহ নিরস্ত্র মানুষের উপর হয়।বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েরই নাগরিক নির্যাতিত হয়।
গ্রেপ্তার না করে সরাসরি গুলি করে শ্যুট এ্যট সাইট ফ্যান্টাসিতে আক্রান্ত বি,এস,এফ!!!!
বাংলাদেশ একটি স্বাধিন সার্বভৌম দেশ,নিরপেক্ষতায় আমারা প্রমানিত বিশ্বে তাই আমাদের ১০ হাজারের বেশি সৈন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত এবং সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে কোন বেসামরিক জনগন হত্যা করে না তারা।উপমহাদেশীয় অন্যান্য দেশে’র মত অন্যান্য দুর্নামও আমাদের নেই।স্থিতিশিলতা নেই বি,এস,এফ এর বাংলাদেশে’র সীমানা এলাকায়।
একটি সশস্ত্র বাহিনী’র হাতে নিজেদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা এবং প্রতিকারে ব্যবস্থা নেবার জন্য তাদের কর্তৃপক্ষে’র সাথে কথা বলবো না??
বাংলাদেশে’র জনগণ যেন ভারতে কাজে’র জন্য না যায় সেলক্ষ্যে উদ্যোগ নেবার জন্য আমরা আমাদের সরকারে’র কাছে দাবী জানিয়েছি।
বর্ডার প্যানিকে আক্রান্ত বি,এস,এফ সৈন্যদের অবিলম্বে ডিউটি থেকে সরিয়ে বা পরিবর্তন করে নতুন সৈন্য নিয়োগ এবং বর্তমান উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলি করে এবং বাংলাভাষী মানুষের ঘনবসতিপুর্ন সীমান্ত এলাকায় ভারতে’র সীমান্ত আইন পুনরায় বিবেচনা করার দাবী বাংলাদেশ সরকারে করা উচিত।
নইলে বাংলাদেশে সদ্য শুরু হওয়া মানবতা’র বিরুদ্ধে অপরাধের যে বিচার প্রক্রিয়া তার সন্মান নষ্ট হবে কারন সুনিদৃষ্ট জায়গায়,নিদৃষ্ট সমস্যা’র কারনে সুনিদৃষ্ট ভাবে বি,এস,এফ এর হাতে মানবতা’র বিরুদ্ধে অপরাধ বর্তমান দিনেও হয়ে আসছে!
বাংলাদেশে এই কিশোরীর মৃত্যুতে শোক ও হতাশা নেমে এসেছে এর প্রতিবাদ না করলে উগ্রবাদি দলগুলোকে প্রতিবাদ করে জনপ্রিয়তা অর্জনের সুযোগ করে দেবে না আওয়ামী লীগ সরকার সেটি আশা করছি এবং ভারত বৃহৎ প্রতিবেশি হিসেবে আমাদের সাথে সম্পর্কের নীতিগুলো সুবিবচনা করে দেখুক যে তার আচরনগত সমস্যা সমাধান করে কিভাবে নিজেদের ও দুটি দেশেরই স্বার্থ সুরক্ষা করতে পারে কারন চারদিকে শত্রুতা’র ভারে আক্রান্ত ভারত কে বাংলাদেশ নিয়ে এখনো দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না।
আপনি ব্যাক্তিগত ভাবে যেভাবেই হোক সমস্যাটি চিন্হিত করেছেন সেটি হল সভ্যতা, ভারত একটি রাষ্ট্র হয়ে প্রতিবেশী দেশে’র কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে যদি কোন কথা না বলে তখন ১৬ কোটি মানুষই নিজেদের প্রতারিত বোধ করবে ও হীনমন্যতায় ভুগবে যার সুদুরপ্রসারী ফল হবে এবং যা ট্রানজিট সহ নানান গুরুত্বপুর্ণ চলমান ইস্যুগুলোতে বাঁধা হয়ে দাড়াবে!
বাংলাদেশে’র মানুষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার শুরু করে যদি দেখে প্রতিবেশী একই অপরাধে জড়িত আর এর বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেবার জন্য কেউ নেই তখন নিশ্চয়ই ১৬ কোটি বাংলাভাষী ও বাংলাদেশে’র জনগন এরকম ঘটনার জন্য ভবিষ্যতে নতুন কারো বিচারের আশা করবে!!!
তাই সুসম্পর্ক রক্ষার তাগিদে বাংলাদেশ সহ পশ্চিম বাংলা ও কেন্দ্রীয় ভারত সরকার যদি বি,এস,এফ কে সংশোধন করার চেষ্টা না করে তাহলে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনকে প্রশ্রয় দেয়া হয়ে যাবে!
ধর্মে’র মতই আইন,সশস্ত্রবাহিনী ও সমাজে’র হাতে নিগৃহীত হওয়া মানুষের জন্য প্রতিবাদ করা প্রতিবাদী নিশ্চয়ই মানুষ ছাড়া অন্যকোন পরিচয়ে’র কাছে মাথা নত করবে না!
@বিপ্লব পাল,
বিএসএফ তো ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশ নয় জানি, তাদের কেন সিভিল কোর্টে বিচার করা যাবে না?
আমারো মনে হয় যে মূল প্রশ্নটা আসলে শুধু বিএসএফ বনাম বাংলাদেশী নয়।
আমাদের গোট অঞ্চলেই মনে হয় উর্দিধারীরা মানুষকে সরকারী মদদে তুচ্ছ কারনে মেরে ফেলতে পারবে এমন একটা সংস্কৃতি চালু হয়েছে। যার কারনে আপনাদের দেশেও মনে হয় এসব হত্যাকান্ড গনমানুষের মনে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। আমাদের দেশে যেমন পুলিশ ধরে নিয়ে থানায় পিটিয়ে মেরে ফেললে বড়জোর পত্রিকায় খবর হয়। একটু বেশী ফলো-আপ হলে লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন হয়, কর্মকর্তাদরে “ক্লোজ’ করা হয়। ঠাণ্ডা হয়ে গেলেই আবার তাদের পূনবহাল করা হয়। আদালতে পুলিশ কাষ্টরি থেকে আসামী হাজির করা হয় পিটিয়ে আধ মরা রক্তাক্ত অবস্থায়, মাননীয় ধর্মাবতাররা কিছুই দেখতে পান না।
আরেকটা কারন মনে হয় এইসব ফেলানিরা হল সমাজের দরিদ্র শ্রেনীর লোক, তাদের এমন করুন মৃত্যুতে সমাজের সুশীল বা শিক্ষিত অংশের তেমন কিছু যায় আসে না। সমাজের সেই সুশীল অংশ আরো গুরুতর ব্যাপার যেমন বিএনপি আওয়ামী লীগ বা ধর্ম বনাম নাস্তিকতা এসবের আলোচনা বেশী গুরুত্বপূর্ন বলে মনে করেন।
আপনাদের দেশের লোকের সক্রিয় সচেতনা বাদে এই সমস্যার সমাধান দেখি না।
ভারতে আসা বিভিন্ন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং যা জেনেছি। বাংলাদেশে যা মজুরী তা দিয়ে সংসার চালানো দায়। কাটা তারের বেড়া হওয়ার আগ পর্যন্ত একজন লোক আমাদের বাড়ীতে কাজ করত নাম শফিক উদ্দিন। খুব ভোরে সে সীমান্ত পার হয়ে আসত। আর বিকাল হলে বাড়ীতে চলে যেত। আমি একদিন তাকে প্রশ্ন করলাম তুমি বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে কাজ করো কেন? সে উত্তর দিল সেখানে সারাদিন কাজ করে ২০-৩০ টাকা রোজগার হয় যা দিয়ে সংসার চলে না। ভারতে কাজ করলে অন্তত ১০০ টাকা তো পাওয়া যায়। আর এখানে চালের দাম কম তাই এখান থেকে কিনে নেয়। তাতে তার অনেক পয়সা সাশ্রয় হয়।
সেখান থেকে বুঝলাম। বাংলাদেশের মানুষের অনুপ্রবেশের কারণ।
আর বি,এস, এফ এদের জ্বালায় ভারতের বাঙালীরা কি কম ভুগছে? সীমান্ত অঞ্চলের ভারতীয়দের কারণে অকারণে এরা নির্যাতন করে। আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি। যেসব পুরুষ পরিবার থেকে দূরে মেসে থাকে এরা বেশী সহিংস হয়। বি,এস, এফ ও তার ব্যতিক্রম নয়। তার উপর তো আছে ক্ষমতা। তার জন্যই তো সাধারণ মানুষ যখন সুযোগ পায় তখনই ওদের পেটায়।
একটা ঘটনাবলী তখন ক্লাস এইটে পড়তাম। বন্ধুদের নিয়ে একবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দেখতে গেলাম। গিয়ে পড়লাম বি,এস,এফ এর কবলে। আমাদের ধরে নিয়ে গেল তাদের ক্যাম্পে। সেখানে লাগল আমাদের বাংলাদেশী তকমা কারণ আমরা হিন্দী জানতাম না। আর সারাদিন যে অত্যাচার চলল তা জীবনে কখনও ভুলব না। শেষে সন্ধ্যার দিকে ধর্মনগর পুলিশ আমাদের অর্ধমৃত অবস্থায় ধর্মনগর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
পরে যদিও বি,এস,এফ এর পক্ষ্য থেকে ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়। এবং আমাদের চিকিৎসার সব ব্যয় তারা বহন করে। তবু তো অত্যাচার মুফতে গেল।
মাঝে শুনেছিলাম বাঙালী অঞ্চলে বাঙালী বি,এস,এফ দেওয়ার জন্য। তা কতটুকু অগ্রসর হল তা জানি না। বাঙালী বি,এস,এফ দিলে কিছু অমানবিক কার্যকলাপ কমত।
@সুমিত দেবনাথ,
তাহলে এই চলমান অমানবিক কার্যক্রম বন্ধে’র জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো কি আমরা জানি এবং তা বাস্তবায়নের দাবী জানানোতে আমারা দায়বদ্ধ,তাই নয়??
আপনার এলাকায় পরিষ্কার ও চলমান ঘটা মানবাধিকার লঙ্ঘনে’র প্রতিবাদ না করলে অন্যান্য ক্ষেত্রে ঘটা মানবাধিকার লঙ্ঘনে’র প্রতিবাদ কিভাবে করবেন?আমাদের সমাজ,ভাষা ও প্রকৃতিগত একাত্মতা মনে রেখে ও সার্বিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সমর্থক হিসেবে আপনিও কিন্তু নিজের জায়গা থেকে অন্যায়-অবিচারে’র বিরুদ্ধে সত্যিকার অর্থে কিছু করতে পারেন।
হয়ত ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী’র নিষ্ঠুর হত্যা’র সরাসরি প্রতিবাদে নয় কিন্তু নিজের জীবনের বাস্তব অভিগ্গতা বা গত ৩ বছরে প্রাণ হারানো ৭১ জন ভারতীয়কে হত্যায় দায়ী বি,এস,এফ কে ও এর আইন সংস্কারের দাবী জানিয়ে কলম ধরে।
@অসামাজিক, আমি বিভিন্ন সময় স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বি,এস,এফ এর অত্যাচার নিয়ে লেখালেখি করেছি। ভারতীয় পত্রিকাগুলি পড়ে এই ব্যাপারে লেখবো।
ভারতের সীমানা পরিবেষ্ঠিত ছোট্ট একটা দেশ, সে দেশের মানুষের আবার বাঁচার অধিকার! দেশটাই তো মনে হয় উনারা দয়া না করলে বাঁচতো না। মাঝে মাঝে আধ-একটু ট্রিগার হ্যাপি হবার অধিকার কি তাদের মানবাধিকার নামক বস্তুর চেয়ে কম নাকি? কম যে নয়, তা তো দেখিয়ে দিচ্ছেই। দয়ায় বেঁচে থাকা দেশের সরকার কথা বলবে? সাহস তো কম নয়!
আমরাও ভালো, এই নিয়ে আবার কথা বলি! :-Y
🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
এটা নিয়ে কথা বলাটা বোধ হয় মাথায় আঘাত পাবারই মতন।
:deadrose:
কি লিখবো, কি ভাবে প্রকাশ করবো বুঝতে পারছি না। শুধু মনে কষ্ট হয়।
বারে বারে একটা কথাই মনে আসে ভারতের বিদেশ নীতি দিনে দিনে যেন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সব ব্যাপারে ভারতের কানে জল ঢোকে লেটে। বাংলাদেশের সংগে হয়ত এমন সময়ে সত্যি সত্যি সুসম্পর্ক স্থাপনের চেস্টা করবে তখন আর সময় থাকবেনা।
ভারতের অবাংগালী আমলাদের পশ্চিমবংগের বাংগালীদের প্রতিই দরদ কম। তারপর বাংলাদেশী বাংগালীদের পর কতটা দরদ আছে তা সন্দহের ব্যাপার।
দিল্লিতে বাংগালী আমলারাও আছে এবং পুর্ববংগ শেকড়েড় বাংগালী আমলারাও যে নেই তা নয়। কিন্তু তারা কেন এত উদাসিন? তাঁরা কি খাইয়া মতসের ঝোল শুইয়া রমনীর কোল হরি বোল হরি বোল করে?
মাঝে মাঝে এও মনে হয় বাংলাদেশের বাংগালীদের একটা নিজস্ব সত্বা আছে, তাঁদের নিজেদের একটা দেশ আছে কিন্তু পশ্চিম বাংলার বাংগালীদের তা নাই, তারা যেন অপরের গোলাম।
আমাদের বাংগালীদের পুর্বপুরুষদের ভুলের মাশুল আজ আমাদের গুনতে হচ্ছে। আমারা কাঁটা তাঁরের বেড়ায় পরস্পর কন্টকিত, রক্তাক্ত।
@সেন্টু টিকাদার, ৪৭ এ কি বাঙ্গালীদের সীমানা নির্ধারণের অধিকার ছিলো? নিজেদের স্বতন্ত্র থাকার যে সুযোগটা ছিলো তাও তো কূটনীতির জালে আটকানো ছিল। তাছাড়া কাঁচি তো তুলে দিয়েছিল Cyrill Radcliffe এর হাতে। আমরা তো বলির পাঠা।
@নীল রোদ্দুর,
কিন্তু তার পরেও নাকি শোহরাবর্দি সাহেব, জ্যোতি বোসু ও আরও অনেক বাংগালীরা চেস্টা করেছনিলেন দুই বাংলা এক হয়ে এক বাংলা গঠন করে কিন্তু ঘোটি বাংগালীরা যেমন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীরা এটা চাই নি।
@সেন্টু টিকাদার, মানবিক সত্য কথাটি বলেছেন!
বাংলাভাষী হবার কারনে আমাদের দুটি দেশে’র মাঝে যে সম্পর্ক তা কিন্তু কেউই অস্বীকার করেনা কিন্তু, বাংলাদেশে’র সাথে সম্পর্কে তাদের নিয়ন্ত্রন কেন নেই!
এত বড় ভারত দেশটিতে পশ্চিম বাংলা’র নিজস্ব নীতি বলতে কিছুর প্রতিফলন নেই সেজন্যই তাদেরকেও আমাদের সজাগ করা দরকার।
যদি আমাদের সম্পর্কের বাস্তবতা হয় বছরে ৭০-৮০ টি নিয়মিত লাশ তাহলে আমাদের মানুষদের মাঝে সম্প্রীতি’র চিন্হ কোথায়?সুসম্পর্ক ও সহয়তামুলক আচরনের প্রকাশ ছাড়া কোন পার্টনারশীপ কি আদৌ সম্ভব?তাহলে সকল দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ মানুষে’র মানবতা’র জয়ে’র যে সপ্ন তা
কি সংশয় কাটিয়ে কোনদিন সাধারনে’র সামনে আসতে পারবে?
এই ঘটনাগুলো যে কতটা দুঃখজনক তা কাউকে বলে বুঝাতে হবে না আশা করি। যাদের সাথে আমাদের কোনো সীমান্ত ছিল না, হাজার হাজার বছর একসাথে থাকলাম, একই ভাষায় কথা বললাম, এক সাথে চললাম তারা এখন আমাদের গুলি করে মারবে।
শুধু গুলি করে মারা নয়, বি এস এফের প্রত্যক্ষ সহায়তায় হাওর দখল, মাছ লুট, গরিব কৃষকের ধান কেটে নিয়ে যাওয়া, অবৈধ মাদক দ্রব্য পাচার(গরিব বাংলাদেশিদের ব্যবহার করে) ইত্যাদি চলছে তো চলছেই।
ভারতের এসব আচরণ সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এর একটা আশু বিহিত না হলে বাংলাদেশে ক্রমেই ভারত বিরোধি মনোভাব বেড়েই চলবে যার সুযোগ নেবে জামাতি ও মৌলবাদী অপশক্তি – এরা যদি প্রতিষ্টা লাভ করে তবে বাংলাদেশ শুধুই একা ধ্বংস হবে না, ভারতের ধ্বংস টেনে নিয়ে আসবে- এই সত্য ভারত যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করবে ততই মঙ্গল।
@সৈকত চৌধুরী,
আমরাও প্রতিবাদ করে দেশেকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সরকার যে আন্তরিক তা জনগনকে বোঝানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছেও দাবী জানাই। আমাদের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগই ভারতকে উপলদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করে, একটি হতদরিদ্র মানুষের বোঝা বাংলাদেশের ঘাড় থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বি.এস.এফ. কে ধন্যবাদ দেওয়া ছাড়া কি করতে পারি আমরা? কি দরকার এমন হতভাগীদের কষ্ট করে বেচে থাকার? গরিবদের জন্য আবার কিসের মানবাধিকার?!! হাসালেন মশাই। ফেলানির মত এরকম মানুষগুলো মরলে কার কি এসে যায়? কাঁদি শুধু আমরা কিছু বোকার দল। ৩ বছরে ৩১৭ জন কে গুলি করে মারা হয়েছে তাতে কোন সরকার এর কি আসে যায়? গরিব তো মরবেই । ওরা তো না খেতে পেয়ে এমনিতেই মরত, তার চেয়ে বি.এস.এফ. ভাইয়েরা একটু ট্রিগার টিপে নিশানা প্র্যাকটিস করলো, আপনার এত কি আসে যায় বলুনতো মশাই? এটা নিয়ে এমনভাবে লিখে আমাদের মত বোকাদের কেন কাঁদান শুধু শুধু?
[পত্রিকায় খবরটা পড়ে চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল, আপনার লেখাটা পড়তে গিয়েও একই ব্যাপার হলো।:-( ]
@হিল্লোল,
কাঁদানোর জন্য নয়,জাগানোর জন্য লেখা! আমার দেখা এই ব্লগে প্রায় সকল ব্লগারই সচেতন,শিক্ষিত ও দায়িত্বসম্পন্ন মানুষ।এরা যদি কান্না থামাতে আগ্রহী হয় তখন কিন্তু সত্যিই ফলাফল আশা করা যায়।এই আগ্রহটি জাগানোর জন্যই লেখা।
প্রতিরোধ-প্রতিশোধ নয় প্রতিবাদই হচ্ছে সমস্যা সমাধানে’র প্রথম ধাঁপ।মানুষের কষ্ট,দুঃখ সমাধানে সচেতন মানুষদের কাছ থেকে সেই প্রতিবাদ টুকুই দাবী করি কারন, সরকার নিরাপত্তা তো নয়ই সমস্যা সমাধানে কোন তৎপরতাই দেখাচ্ছে না।
প্রতিবাদ করে বিশ্লেষন করে গরীব মানুষগুলো’র জীবনে’র ও আর্থিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমাদেরকেই তো সরকারের কাছে বলতে হবে তাই প্রথমে তো জাগতে হবে!!
যেই পরিমান মানুষ ভারতে কাজ খুঁজতে যায় তাদের কাজের ব্যাবস্থা করার ক্ষমতা বাংলাদেশে’র বর্তমানেই রয়েছে। দুর্নীতিতে আক্রান্ত সরকার আর নিন্মবিত্ত সমাজের প্রতি উদাসীনতায় আক্রান্ত অর্থনীতি’র পরিবর্তনে সুশীল সমাজ নিরবতা ভেঙ্গে জেগে উঠলেই হয়।মঙ্গা যেভাবে নির্মূল হয়েছিল শুধু সচেতন মিডিয়া’র কল্যাণে, সেভাবেই সীমান্তবর্তী মানুষের রোজগারের ব্যাবস্থা করে আমাদের সীমান্ত সীল করে সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত করা যায়।দু দেশে স্মাগলিং বন্ধে আর আক্রমনাত্মক বি,এস,এফ এর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে মিডিয়া ও সুশীল সমাজের এই নিরব অবস্থা’র কোন অযুহাত কি কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য? তাদের কাছে ১৬ কোটি মানুষের কি কামনা সেটা তুলে ধরার জন্যই লেখা।
আর আমার লেখার থেকে হাজারগুনে বেশি কাজ হবে যদি মুক্তমনা’রা এই পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করে মিডিয়া ও সুশীল সমাজকে দায়িত্বগ্রহনে এগিয়ে আসা’র আহব্বান জানায়।
@অসামাজিক: আপনার লিখা এবং মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমার মন্তব্যটা আসলে, বারবার ঘটে যাওয়া এমন ঘটনাগুলোর পরেও কোনো সরকারেরই টনক না নড়ার জন্যে কিছুটা স্লেশাত্মকভাবে করা… আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি ঘটনা নিয়ে লিখার জন্য।
বাংলা ব্লগ,পত্রিকা সবকিছুই এখন এ ঘটনাটি নিয়ে অনেক সরব।ক্ষিপ্ত বাঙ্গালী সমানে গালি দিয়ে চলেছে বি এস এফ আর ভারত সরকারকে।ভারতের জনগন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ।কেন? কারণ,তারা জানে বাংলাদেশ দিয়ে পাকিস্তানী জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করে নাশকতার উদ্দেশ্যে।এদের ঠেকাতে বি এস এফ কে কঠোর হতেই হবে।জঙ্গির ভয় দেখিয়ে ভারত সরকার নিজের জনগনের কাছে এভাবে বৈধ করে নেয় এই হত্যাগুলো।আর বাংলাদেশে এই ঘটনার ফলে মানুষের মনে ভারতকে নিয়ে যে ভয় টা ছিল তা আরেকটু বেড়ে যাবে।সু্যোগ নেবে রাজনৈতিকদলগুলো ,ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বুনবে।ফালানীর লাশ কাঁটাতারে ঝুলবে, আর বাংলাদেশে আর ভারতে ,পূর্ব থেকে পশ্চিমে,উত্তর থেকে দক্ষিনে রাজত্ব করবে ভয়ের রাজনীতি।
ট্রিগার-হ্যাপি, হওয়াটা কি বি এস এফ এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, নাকি বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে তাদের রাষ্ট্রীয় নীতিমালাই এমন? ইসরাইল-ফিলিস্তিনের চেয়েও দেখি খারাপ অবস্থা। তাহলে এই মিথ্যে ‘বন্ধুত্বের অভিনয়’ কেন?
সব দেখে যা মনে হয়, আমাদের একমাত্র অপরাধ হচ্ছে দারিদ্র। সেই নয়া-দিল্লি গিয়ে ইটের ভাটায় কাজ! এত এত মানুষ ছিলো আমাদের। উদ্যোক্তা নেই, নাকি উদ্যোগের পরিবেশ নেই?
দুর্বলে আহবানের কোনো দাম নেই। সারা দুনিয়ার কোথাও। যতদিন ওদেশে ইটের ভাটায় পুড়তে যাবে মানুষ ততদিন কাঁটাতারেও ঝুলতে হবে।
@তানভীরুল ইসলাম,সমগ্র বাংলাদেশ খুঁজলে এরকম পরিবার খুব বেশি পাওয়া যাবে না যারা ইট-ভাটায় ও অন্যান্য কাজ করতে ভারতে যায়।তারা একদম সীমান্তবর্তী,প্রান্তিক জনগন। বিশেষ করে রংপুর জেলায় কাজের সংকট আছে যারা ঢাকা পর্যন্ত আসতে পারে না তারা যায় ভারত।খুব বাস্তবভাবেই আমাদের অর্থনীতি’র সে ক্ষমতা আছে এই ক্ষুদ্র জনসংখ্যা’র কাজের ব্যাবস্থা করা,তখন নিশ্চয়ই কেউ সীমান্ত এভাবে পার হবে না।
কিন্তু সমস্যা হল ঢাকা ও মধ্যবিত্ত কেন্দ্রীক দেশে’র প্রতিটি সেক্টর ও তাদের নীতি!
প্রায়ই এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সীমান্তে। গরীবের জীবন তো কচু পাতার পানির মতো। মরলে সরকারেরই কি আসে যায়, আর বিরোধী দলেরই কী আসে যায়? এটা নিয়ে চলবে কিছুদিন রাজনীতি। তারপর সব চুপ। আবার শুরু হবে আরেকটি ঘটনা, তারপর রাজনীতি.. তারপর চুপ।
কিছু বলার নেই, কী বা বলবো? বলেই বা কী হবে? ব্লগে বসে দুটো কথা বলে সমবেদনা জানিয়েই বা কী লাভ? দেশে সমস্যাগুলো যে কত গভীরে সেটা মনে হয় শুধু আজকের পত্রিকার বাকী খবরগুলো পড়লেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
অসামাজিককে অনেক অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্য।
এর সাথে যোগ দিন ২৪% কালো টাকা, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার ব্যাঙ্কগুলোতে জমা থাকা কোটি কোটি টাকার ভাগ বাটোয়ারা……
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন অসামাজিক। লেখাটা পড়ে শহীদ কাদরীর একটা কবিতার লাইন মনে পড়ে গেলো –
রাষ্ট্র মানেই কাঁটাতারে ঘেরা সীমান্ত…
রাস্ট্র মানেই লেফট রাইট…
আমারো একই প্রশ্ন –
মানুষের যে কটি অধিকার লঙ্ঘন হতে পারে তার সবকটি কি লঙ্ঘিত হয়নি এক কিশোরী ফেলানী’র মৃত্যুতে?
ধন্যবাদ অসামাজিককে। খবরটি আমার ভিতরেও আলোড়ন তুলেছিল। আপনার লেখায় এর প্রকাশ পড়ে আপ্লুত হয়েছি সমব্যাথী পেয়ে। আমি আপনার সাথে আত্মিকতা অনুভব করছি এবং আপনার মতামতের সাথে সহমত পোষণ করছি।