ঢাকা কলেজ আর নটর ডেম কলেজ, জগতে এই দুইটা কলেজকে একসাথে নিয়ে একটা জিনিসই করা সম্ভব, অবিরাম বিতর্ক। বাংলাদেশের বিশেষ কিছু জেলা আছে, যেখানে করার মত কোনও কাজ না থাকলে লোকজন নাকি বলে, ‘যেহেতু হাতে কোন কাজ নেই, যাই, জেলা শহরে গিয়ে ভাইয়ের নামে বাড়ির পাশের জায়গা নিয়ে মামলাটা করে দিয়ে আসি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদেরও হাতে কোনও কাজ না থাকলে ঢাকা কলেজ আর নটরডেম কলেজ নিয়ে বিতর্ক করতে বসে। নটরডেম কলেজ গ্রুপ বলে, ‘আরে ঢাকা কলেজেতো দূর থেকে শিক্ষকরা দেখায়, ওই যে দূরে আলমারীর ভিতর দেখছো ওটার নাম হচ্ছে টেস্টটিউব। আর নটর ডেম কলেজ কেমিস্ট্রি ল্যাব-এ আমরা লবণ মুখে দিয়ে বলে দিতে পারি সেটা কি লবণ, কোনো এক্সপেরিমেন্টও করতে হয় না।’ আর ঢাকা কলেজ বলে, ‘নটর ডেম কলেজে স্টুডেন্টরা নাকি ক্লাসে ফিডার নিয়ে যায়, তারপর তাদেরকে ক্লাস এর মাঝখানে বিশ মিনিট সময় দেয়া হয় ফিডার খাওয়ার জন্য। ফিডার খেয়ে সবাই আবার পড়তে বসে।’
নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কের গণ্ডি পেরিয়ে এরপর একে একে আসে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ বিতর্ক। বিতর্কের শুরুতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ বিতর্কিত হবার যোগ্যতা হারায়। যেহেতু ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর নামই হচ্ছে কলেজ, অতএব এ-নিয়ে বিতর্ক করে শুধু শুধু সময় নষ্ট করার মানে হয় না, বিতর্কিত হবার জন্য কমপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে। সবাই জানে অত্যন্ত অযৌক্তিক এই যুক্তি, কিন্তু তারপরও মেনে নেয় অবিসংবাদিতভাবে। অতএব, রইলো বাকী দুই।
কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে নিয়ে মা যখন টিএসসি চত্বর দিয়ে রিক্সায় চড়ে যায়, তখন নাকি মেয়েকে সাবধান করে বলেন, ‘মাথায় ওড়না দিয়ে বসো’। মায়ের কথামত মেয়েও তড়িঘড়ি করে ওড়না দিয়ে চোখ-মুখ ঢাকতে শুরু করে। তারপর বাসায় গিয়ে মায়ের হাঁফ ছেড়ে বাঁচা, ‘উফ্! আজকে-না টিএসসি হয়ে আসলাম। কি রকম থমথমে একটা পরিবেশ। যা একটা ভয় লাগছিলো।’ সেই একই মা, বুয়েট ক্যাম্পাস দিয়ে যাবার সময় মেয়েকে বলেন, ‘ওড়নাটাকে এ-রকম বোরখা বানিয়ে বসে আছ কেনো। একটু রিল্যাক্স করে বসো।’ বাসায় গিয়ে মায়ের সে-কি আনন্দ, ‘আজকে-না বুয়েটের ক্যাম্পাস দিয়ে আসলাম। কি মিষ্টি আর লক্ষী সব ছেলে। দেখেই মায়া হয়। মন চায় নিজের ঘরের আপন ছেলে করে রাখি।’ তারপর মেয়ের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা করবার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত।
গল্পের এই পর্যায়ে বুয়েট গ্রুপ ব্যাপক চেষ্টা করে ভিতর থেকে ঠিকরে বের হয়ে আসা খুশিটাকে আটকে রাখার জন্য। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপতো আর মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবে না। তারা ব্যাপারটাকে মেনে নেয়ার ভাব করে বলে, ‘এটা জগতে চরম সত্যকথাগুলোর মধ্যে একটি। পঞ্চাশোর্ধ যে-কোন মহিলাই বুয়েটের ছেলে পছন্দ করে। সমস্যা হচ্ছে ওই ভদ্রমহিলাদের আধুনিক মেয়েরা কেন জানি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের পেছনেই ছুটে। বুয়েটের স্টুডেন্ট দেখলেতো পীথাগোরাসের উপপাদ্য ছাড়া আর কিছুই মনে আসা সম্ভব না, পরবর্তীতে যেটা প্যারাসিটামল খেয়ে জোর করে ভুলতে হয়।’
বস্তুত, এই সব বিতর্কে যার গলার জোর যত বেশি, তার যুক্তির জোরও তত বেশি। সবগুলো যুক্তিই হাস্যকর এবং বলতে গেলে অন্তঃসারশূণ্য, কিন্তু আড্ডা জমানোর জন্য অতুলনীয়। অন্তঃসারশূণ্য না হলে, বিতর্কের শুরুতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ বাদ পড়ে যেত না। মানুষের সবচেয়ে অসহায়তম মুহূর্তগুলোতে একজন ইঞ্জিনিয়ার কিংবা একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন একজন ডাক্তারের; তা তার প্রতিষ্ঠানের নাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোক আর ঢাকা মেডিকেল স্কুলই হোক না কেন। জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নেই। সে-জীবন যখন মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যায়, তখন প্রত্যক্ষভাবে সে-জীবনের সাথী হয়ে আসেন একজন ডাক্তার-ই।
এই সব বিতর্কগুলো সবচেয়ে ভালো জমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো করার সময়। ল্যাব ক্লাসগুলোতে শিক্ষক ছাড়া মোটামুটি সবাই উপস্থিত থাকে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহেনশাহ্ শিক্ষকগণ ল্যাবটা কোন বিষয়ের উপর, সেটা বলে দিয়েই অজানার উদ্দেশ্যে হারিয়ে যান। কোথাও তাদের হারিয়ে যেতে নেই মানা। বরাবরের মতই ক্লাসের প্রথম দিককার কিছু সিরিয়াস স্টুডেন্ট মাথার ঘাম গলায় গড়িয়ে নিয়ে ল্যাব প্রব্লেম সলভ্ করে। আর আমরা শাহেনশাহ্ বিতার্কিকরা সেটা কপি করে এনে ল্যাব শেষে শিক্ষককে বুঝিয়ে দিই। কারণ আমরা বুঝে গেছি প্রতিভা বলে কিছু নেই, প্রকৃত ভালো স্টুডেন্ট হচ্ছে সে, যে অন্যের থেকে কপি করে নিজের মত করে ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারে। ওদিকে সত্যিকার অর্থে যে ল্যাব প্রব্লেমটা সলভ্ করে, তাকে হয়তো আমাদের থেকে কপি করবার অপরাধে বিচক্ষণ ও সুবিবেচক শিক্ষক মহাশয় কখনো কখনো ল্যাব থেকে বের করে দেন। বিচিত্র এই দুনিয়াদারী, ফ্যান্টাসীতে ভরা এই কিংডম্।
একদিন আমাদের এইরূপ সুখের ল্যাব-এ দুঃখের আগুন নিয়ে এলো সবেমাত্র ডিপার্টমেন্টে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করা নতুন শিক্ষিকা। নতুন যোগদান করা তরুণী শিক্ষিকারা কেন যে এতটা সুন্দরী হোন সে রহস্য আমি কখনোই উদ্ঘাটন করতে পারিনি। নতুন ম্যাডাম দেখি আবার সবসময় ল্যাব-এ উপস্থিত থাকেন। সুন্দরী ম্যাডাম সবসময় ল্যাব-এ উপস্থিত থাকবেন সেতো বড় সৌভাগ্যের বিষয়; কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো, তিনি সপ্তায় সপ্তায় হোময়ার্কের প্রচলন শুরু করলেন। কোন অবস্থাতেই তাঁকে দমানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে, উনার কথায় কর্ণপাত করে আমাদের বহু বছরের সাধনার ফসল, পুরোনো ফাঁকিবাজ উপাধিটা বিসর্জন দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অত্যন্ত প্রত্যাশিতভাবে মাস শেষে ম্যাডাম আমাদের হোমওয়ার্ক এর গ্রেডিং করে একে একে ডেকে পাঠালেন। আমাকে ডেকে সামনে বসিয়ে পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে বললেন, ‘তোমাকে বলেছিলাম সোমবার জমা দিতে, কিন্তু তুমি জমা দিয়েছে মঙ্গলবার, সেই জন্য তোমাকে আমি শূন্য দিয়েছি।’ জগতে কেউ যে এত সুন্দর রোমান্টিক সুর নিয়ে শূন্য দিতে পারেন, এটা আমার জানা ছিলো না। মনে হচ্ছিলো, তিনি কোন কবিতার লাইন আবৃত্তি করে শুনাতে আমাকে ডেকে বলছেন, আমি একটি কবিতা বলব, আমার কবিতার নাম তোমায় দিলাম শূন্য। আমি খুশি মনে উনার দেয়া শূন্য নাম্বার বুকে জড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম।
বেরিয়ে আসতে না আসতেই দেখি আরেক ভদ্রমহিলা ডিপার্টমেন্টে এসে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি এসেছেন আমাদের একজন বান্ধবীর সাথে পরিচিত হতে। আমাকে বলছেন অমুক নামের মেয়েকে চিনি না-কি। আসলে উনি এসেছেন উনার ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে। এই এক অসহনীয় মাত্রার যন্ত্রণা। বাঙ্গালী মায়েদের ছেলের বউয়ের চাহিদা মেটানোর জন্য কত মেয়েকে কত জায়গায় যে অপমান হতে হয়, সেটা মেয়ে হয়েও বাঙ্গালী মায়েরা বুঝেন না। তারা মেয়ে চান, ছেলের বউ চান। ছেলে লম্বা-ফর্সা হলে লম্বা-ফর্সা মেয়ে চান; কারণ তা না হলে জুটিটা একদমই মানাবে না। ছেলে খাটো-কালো হলেও লম্বা-ফর্সা মেয়ে চান; কারণ তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম খাটো হবে, কালো হবে। মোট কথা যে-কোনো অজুহাতে তারা লম্বা-ফর্সা মেয়ে চান। তাই যুগে-যুগে কালে-কালে মায়েরা দেখতে আসেন, মেয়ে দেখতে আসেন; দেখতে আসেন সুপার শপ্-এ, কলেজে-স্কুলে, দেখতে আসেন বাস টার্মিনালে, নদীর ঘাটে, বাসার ছাদে, থিয়েটারে; তারা মেয়ে দেখতে আসেন, দেখতে আসেন কত লম্বা আর কত ফর্সা সেই মেয়ে।
(চলবে…)
[email protected]
Dec 28, 2010
আড্ডার যুক্তিতর্কগুলোর মধ্যে দিয়ে রম্য লেখাটি মনে হয় এখন পর্যন্ত সেরা। যদিও শেষ দিকে বাঁশ দিতে ছাড়েন নি একচুলও।
রাজু,
ভাবতেই খারাপ লাগছে, আর মাত্র চারটা পর্ব বাকী এই সিরিজটায়। দারুণ জমজমাট হচ্ছে, হাস্যরসে ভরপুর।
@ইরতিশাদ,
🙂 🙂
ইরতিশাদ ভাই। অন্য কোনো দশ পর্ব নিয়ে ঠিকই আবার যন্ত্রণা করব।
অনেক কিছু মাথায় আসছে কিন্তু এখন বলা যাবেনা,আগে পাশ করে নেই :)।
:yes: ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তোমার আগের কথার রেফারেন্স ধরেই বলছি। বড় হওয়ার পর মানুষ ভুলে যায় একদিন শিশু ছিলাম; সেইরকম পাশ করার পর ভুলে যায় একদিন কি ঘটেছিলো।
তবে আমিও বলি, আগে পাশ করে নাও, যেই দেশে যেই আচার।
:yes:
@পৃথিবী,
ধন্যবাদ। 🙂
“তরুণী শিক্ষিকারা কেন যে এতটা সুন্দরী হোন সে রহস্য আমি কখনোই উদ্ঘাটন করতে পারিনি।” এই প্রশ্নের সরল উত্তর দিয়ে গেছেন বঙ্কিম বাবু – ‘যৌবনে কুক্কুরীও সুন্দর’।
লিখে যান, বড় তাড়িয়ে তাড়িয়ে পড়ছি।
@মিয়া সাহেব,
বঙ্কিম বাবু যাই বলুন না কেন, কারণ যাই হোক না কেন, সুন্দর একটা কিছুর ভাবনাটাই সুন্দর।:-)
অনেক ধন্যবাদ।
প্রভূত আনন্দসহকারে পড়িলাম।
@Atiqur Rahman Sumon,
🙂 🙂
অনেক ধন্যবাদ।
:lotpot:
আপনার লেখার স্টাইলে মজা পাই। :yes:
আপনি কিন্তু আরেকটা বিতর্কের কথা ভুলে গেলেন, ভিকারুন্নিসা আর নটরডেম!আমার বন্ধুরা আজাইরা কারণ ছাড়া এইটা নিয়ে কথাবার্তা বলে, আমি আবার একটু সিরিয়াস মানুষ তার উপর আবার আমার ভিকারুন্নিসা কলেজকে জান দিয়ে ভালবাসি তাই কেউ আমাকে শুনিয়ে আজাইরা বিতর্ক করা শুরু করলেই আমি চোখ পাকিয়ে তাকাই, বলাই বাহুল্য ওরা মজা পায়, কিন্তু কলেজে আমার এত সুন্দর একটা সময় কেটেছে আর এত ভাল বন্ধু ছিল সেখানে আমার যে আমি এই কলেজ নিয়ে আজাইরা কিছু শুনতেই চাইনা 🙁
@লীনা রহমান,
আজমল স্যার নাকি ভিকারুন্নিসাতে লালাগ্রন্থি পড়াতে যাওয়ার সময় তেঁতুল নিয়ে যেতেন। উনি ক্লাসে বলেছিলেন।
আমার একটা ক্লাসমেইট ফ্রেন্ড আছে, ভিকারুন্নিসা ডিবেটিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলো। বুঝতেই পারছেন তাকে সামলাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে। 🙂
ভালো থাকবেন।
@মইনুল রাজু,
ভাই আমি কমার্সের ছাত্রী।ভিকারুন্নিয় শুধু কলেজে পড়েছি তাই বলতে পারিনা…আমাদের সেকশনে আমরা মাত্র ৯ জন একোনমিক্স নিয়েছিলাম বাকীরা সব কম্পিউটার।তাই আমাদের ক্লাস করার সময় রুম খুঁজতে হত।এই সুযোগে আমাদের ৯ জনের একজন গিয়ে ম্যাডামের কাছে গিয়ে বলত শুধু সেই এসেছে আর কেউ আসেনি বলে যারপরনাই বিরক্তি প্রকাশ করে আসত।আর ম্যাডাম তখন ক্লাস ক্যান্সেল করে দিত, তখন আমাদের আর পায় কে??সোজা মাঠে। :rotfl:
আমি দোলনা চরম ভালবাসি।আমার মত কিছু দোলনা প্রেমিক ফেন্স টপকে ভিকারুন্নিসা স্কুলের পিচ্চিদের গ্রাউন্ডে গিয়ে দোলনা বা স্লিপারে চড়ে বসে থাকতাম, পিটি আপা আমাদের পিছনে লাঠি নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে অতিষ্ট হয়ে অবশেষে আমাদের কলেজগ্রাউন্ডে দুটো দোলনা দিয়েছিল। 😎
@লীনা রহমান,
ইন্টারেস্টিং।
পুরোনো দিনের গল্প আসলেই মজার।
বুঝেছি, আমার ছেলেবেলা নিয়ে আরেকটা দশ পর্ব লিখতে হবে।
🙂 🙂
শাশুড়ি হওয়ার পর মায়েরা বেমালুম ভুলে যান, তারাও যে একদিন কারো পুত্রবধু ছিলেন।
‘সাস ভি কভু বহু থি’
তবে এ শুধু বাঙ্গালি মায়েদের মধ্যেই নয়, সকল জাতিতেই আছে।
@আকাশ মালিক,
খুবই সত্যি কথা। কিন্তু এর থেকে নিস্তার পাওয়ার ভালো উপায়-ই বা কি হতে পারে। যাই হোক, ভালো থাকবেন। 🙂
শুধু কি তাই? মানুষ বড় হবার পর ভুলে যায় একসময় শিশু ছিলাম, ক্ষমতা পাবার পর ভুলে যায় একদিন জনগণের একজন ছিলাম,সেলিব্রেটি হয়ে ভূলে যায় একটি সাধারণদের একজন ছিলাম। তবে কেও কেও ভূলে যায়না,আমার মনে হয় তারাই সবথেকে বড় মাপের মানুষ।
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
@বিপ্লব রহমান,
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। 🙂
@মইনুল রাজু,
শূণ্য লেখায় শূন্যতার একাকীত্ব কী বাড়লো? (খুব খেয়াল করে) 😕
@বিপ্লব রহমান,
এখন বুঝতে পারছি, কেন আমার পরীক্ষাগুলোতে শূন্যই পাওয়া উচিৎ। 🙂
বানানটা ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ।
@মইনুল রাজু, :yes:
@পরশ পাথর,
যুগ পাল্টাইছে। এখন মেয়েরাও ছেলে দেখতে যায়।
আপনার আর অভী ভাবীর বেলায় কী ঘটেছিল, কে কাকে প্রথম দেখেছিল?
@মাহফুজ,
আমার আর অভীর ইতিহাসতো বিরাট ইতিহাস। একটা সিরিজ লেখা যাবে। 🙂
কিন্তু আপনি অভীকে চিনেন কি করে?
@মইনুল রাজু,
সেই ইতিহাসের সিরিজ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করি ফরিদ ভাইয়ের মত বড়ই চিত্ত-দোলাদায়ক হবে।
একদিন আপনিই তো পরিচয় করিয়ে দিলেন।
@মাহফুজ,
ফরিদ ভাইয়ের পর্যায়ে যাওয়া এক জীবনে সম্ভব নয়। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধি লাভ করেছেন। 😀
রাজু,
না, এত তাড়াতাড়ি ঢাকা মেডিকেল কলেজ বিতর্কিত হবার যোগ্যতা হারায় না। বলে নেয়— স্কুল অব মেডিসিনের উদাহরণ। কলেজ আর স্কুল মানেই যে নীচের দিকে না সে ব্যাখ্যাও চলে। ডাক্তারী মুখস্ত বিদ্যার জায়গা এটা বলতেও প্রতিপক্ষ দেরি করে না। সত্যি সে এক মজার সময় ছিল। অযৌক্তিকভাবে বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া।
ক্লাস নাইনে পড়ার সময় আমার ‘তখন ও এখন’ এর ১৫ নং পর্বে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ নিয়ে এমন বাহাদুরীর কথা উল্লেখ করেছিলাম—
ধন্যবাদ সেই সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
@গীতা দাস,
😀 😀
গীতা’দি,
এই দেখেন না, আমি বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে এখন কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ছি। কিন্তু আড্ডার মূল মজাটাই ছিলো অযৌক্তিক যুক্তি দেখিয়ে আরেকজনকে বাতিল করে দেয়া।
মানবিক বিজ্ঞানের বিতর্ক করেনি সে-রকম মনে হয় কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনিও আমাকে পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন। 🙂