-
কেবা আগে প্রাণ করিবেক দান
পশ্চিমবাংলা না কেরল – মাদ্রাসা শিক্ষায় কে বেশি সার্থক ?
লিখেছেনঃ সত্য মিত্র
জি হ্যাঁ। বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষার উন্নতিকরণের জন্য গঠিত কমিটির লোকেদের গন্তব্যস্থল ভারতের দুটি কমিউনিস্ট রাজ্য। বাংলাদশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইসলামী শিক্ষাবিদদের কাছে ইসলামী শিক্ষার প্রসার ও প্রচারের আলোকবর্তিকা বহন করছে এই দুটি কমিউনিস্ট রাজ্য, মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান বা আরব রাষ্ট্রগুলি নয়। কমিটির সদস্য ও অন্যান্য ইসলাম নিবেদিত ব্যক্তিদের বিতর্ক ও আলোচনার মূল বস্তু হল – কোন রাজ্য(পড়ুন কোন রাজ্যের কমিউনিস্টরা) মাদ্রাসা শিক্ষার মাধ্যমে আরবী ভাষা ও দ্বীনিয়াতের স্বার্থ রক্ষায় বেশি সফল।
মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা পশ্চিম বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসলামী করনের সক্রিয় সমর্থক আনন্দবাজার পত্রিকা যারা অন্যান্য ক্ষেত্রে মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির কার্যক্রমের সমালোচক (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই দলে পড়েন যিনি মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সব কাজে খুঁত খুজে পান শুধু শিক্ষার ইসলামী করণ ও তসলিমা বিতাড়নে তিনি মার্ক্সবাদীদের নীরব সমর্থক)। আনন্দবাজার পত্রিকা তার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০১০ সংখ্যায় গর্বসহকারে জানিয়েছে, “ফেরার আগে ঢাকার প্রতিনিধিরা জানিয়ে গিয়েছেন, সফর ব্যর্থ হয়নি। যে অভিজ্ঞতা তাঁরা নিয়ে যাচ্ছেন, বাংলাদেশের উদ্যোগ সফল করতে তা খুবই সহায়ক হবে। বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১০ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল এক সপ্তাহ ধরে এ রাজ্যের বিভিন্ন মাদ্রাসা ঘুরে দেখেছে। তাঁরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার এই ‘উৎকর্ষের’ পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হল: ● পশ্চিমবঙ্গে মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার ফারাক নেই। (এটা ডাহা মিথ্যে।তাহলে, মূল ধারার স্কুল না খুলে ইসলামী মাদ্রাসা কেন?) ● মাদ্রাসার পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত।● এ রাজ্যের মাদ্রাসায় অ-মুসলিম পড়ুয়ার সংখ্যাও যথেষ্ট।● শিক্ষক নিয়োগ হয় সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে।● সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক অবস্থান ভাল।”
বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা “পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসায় অ-মুসলিম ছাত্রছাত্রীর বহর দেখেও তাঁরা কার্যত অভিভূত। বর্ধমানের ওরগ্রামের এক মাদ্রাসায় তো অ-মুসলিম পড়ুয়াই ৬২%! (বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারী) নজরুলের কথায়, “এই ব্যাপারটা ভীষণই ভাল লাগল।” (ভাল লাগারই কথা। হিন্দুর ছেলেরা একেবারে ছোটবেলা থেকে শিখছে কাফের হওয়ার জন্য তাদের দোজখে যেতে হবে, যদি না তারা ইসলাম ধরম গ্রহণ করে। এবং এরপর বাংলাদেশে হিন্দুদের মাদ্রাসায় পড়তে আপত্তি করার কোন যুক্তি থাকতে পারে না।)। পশ্চিম বাংলার মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী (কংগ্রেসী আমলে একজন শিক্ষামন্ত্রীই যথেস্ট ছিল, কমিউনিস্টরা দ্বীনের স্বারথে আলাদা মন্ত্রী বানিয়েছেন) কমরেড আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা কী ভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা-ব্যবস্থা চালাচ্ছি, ওঁরা মূলত তা দেখতে এসেছিলেন। আমাদের ব্যবস্থা ওঁদের যে ভাল লেগেছে, তা জেনে আমাদেরও ভাল লাগছে।” বাংলাদেশের ইসলাম পসন্দ পত্রিকা ‘নয়া দিগন্ত’ তার ১৫ই ডিসেম্বর, ২০১০ (৮ মহররম, ১৪৩২) সংখ্যায় জানিয়েছে যে “পশ্চিম বঙ্গের মন্ত্রী আবদুস সাত্তার বলেন, বাংলাদের মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে যাচ্ছে।“
পশ্চিম বাংলার কমিউনিস্টরাই কি শুধু ইসলামের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেন? ইসলামের সঠিক সেবকরা সেই উত্তর খুঁজতে পৌছে গেছেন আরেক ঘোর কমিউনিস্ট রাজ্য কেরলে। তাদের ইসলাম সেবার ঐতিহ্য তো পশ্চিম বাংলার চেয়ে কোন কম নয়। সেই ১৯৫৯ সালে কমরেড নাম্বুদ্রিপাদ মুসলিম লীগের হাত ধরে কমিউনিস্ট সরকার গঠন করেছিলেন কেরল রাজ্যে। ভারত বিভাগের ক্ষত তখনো তাজা এবং ‘মুসলিম লীগ’ একটি ঘৃণিত নাম, তবু পিছু হটেন নি কমরেড নাম্বুদ্রিপাদ। সেই সম্পরক আজো অটুট বিভিন্ন রূপে। তাই নয়া দিগন্তের সাংবাদিক পৌছে গেছেন ভারতের দক্ষিণতম প্রান্তের সেই রাজ্যে। ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১০ (১৮ মহররম, ১৪৩২) সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে তিনি জানিয়েছেন যে, “ কেরালায় মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি বেসরকারি উদ্যোগে বা সরাসরি মুসলিম সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হয়।>>>>> এসব মাদ্রাসায় ইসলামি চরিত্র ও শিক্ষা-দীক্ষাকে বিনষ্ট না করেও আধুনিক বিষয়গুলো পড়ানো হয়। এমনকি আধুনিক শিক্ষাপ্রণালীও সেখানে প্রয়োগ করা হয়, যার সাথে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ভারতের বাঁধাধরা খাতের মাদ্রাসাগুলোর চরিত্র ও শিক্ষাকাঠামোর কোন মিলই নেই।>>> কেরালা এটা করে দেখিয়েছে। কিন্তু আমলাতন্ত্র ও পারটির কুক্ষিগত পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোরড তা করতে পারেনি, বিড়ম্বনা এখানেই।”
অতএব, খেলা জমে গেছে। ইসলামের সেবায় কোন রাজ্যের কমিউনিস্টরা বেশি নম্বর পাবেন। বাংলাদেশ কাকে স্বীকৃতি দেবে? কেরল না পশ্চিম বাংলা? কেরালা বেশি ইসলাম ভক্ত, কারণ ওখানে বেশির ভাগ মাদ্রাসায় পড়ানোর মাধ্যম আল্লার ভাষা আরবী এবং আন্তরজাতিক ভাষা ইংরেজী। সংস্কৃত ভাষার দুরগন্ধ যুক্ত মালয়ালম ভাষাকে পাত্তা দেওয়া হয়না। পশ্চিমবাংলার মাদ্রাসায় অবশ্য আরবীর সাথে সংস্কৃত ভাষার দুরগন্ধ যুক্ত বাংলাও স্থান পায়, কারণ সেটি যে আবার ইসলামী দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। পশ্চিমবাংলায় ইসলামী শিক্ষার প্রসারে অগ্রগামী সরকার, কেরলে প্রাইভেট ইনস্টিটিউশন। সরকার না প্রাইভেট ? ইসলাম কোন দিকে ঝুঁকবে ?
খুব কঠিন প্রতিযোগিতা।
ইসলামপ্রেমীদের জন্য সবচেয়ে সুখবর হল পশ্চিমবাংলার সেকুলার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংশ করে ইসলামী শিক্ষা প্রসারের তিন জন কান্ডারীই ব্রাহ্মণ সন্তান – বুদ্ধদেব ভট্টাচায, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রণব মুখোপাধ্যায়। এবং ১৯৫৯ সালে মুসলিম লীগের সাথে হাতমেলানো কমরেড ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদ শুধু ব্রাহ্মণ নন ব্রাহ্মণ শিরোমনি শংকারাচারয পরিবারের সন্তান।
অামরা বিশ্বাস করি প্রত্যেক মানুষের মধ্যে ঈশ্বর থাকেন ৷ তাই প্রতেক মানুষকে ঈশ্বর রূপে শ্রদ্বা করি ৷ এবং বিশ্বাস করি পৃথিবীর প্রতিটা ধর্ম সমান সত্য৷ কোন ধর্মের ভাষাকে দূর্গন্ধ বলা পৃথিবীর কোন ধর্মের অাদর্শ হতে পারে না ৷ অার যে ধর্ম এই সব শিক্ষা দেয় সেই ধর্ম স্পটত হিংসা, রাহাজানি, মারামারির ভিত দ্বারা গঠিত৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিক নেতারা মুষলীম গোষ্টিকে একটি ভোট ব্যংঙ্ক হিসাবে দেখে
প্রশ্ন হল ভারত কি স্যকুলার দেশ ? না এটা সংবিধানের পাতায়ই তার সার? ব্রাক্ষণ আর মুসলমান দুটার মধ্যে পার্থক্য কম কারণ দুটাই গোঁড়া (ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে বলছি না)। ভারতের রাজনীতি চালিত হয় ধর্মের দ্বারা। কোন নেতা মন্ত্রী চাইবে না ভারত স্যকুলার হোক। কারণ ধর্মের আফিম খাইয়ে রাখলে শোষণ করা যায় বেশী। না হলে তো মানুষ সুস্থ মস্তিষ্কে থাকবে। নেতারা মাথা হাতাবে কি করে? আর মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা তো চালু করতে হবে। কারণ আজ পৃথিবীতে যে মাদকে বেশী নেশা হচ্ছে তার নাম ইসলাম। ভারতে মুসলিমদের আর কোন উন্নতি হোক আর না হোক আল্লার আইনের উন্নতি হচ্ছে। আর কে কমিউনিষ্ট? ঔ ভারতের লাল ঝান্ডা ওয়ালা ছাগল গুলো। ওগুলো তো সবচেয়ে বেশী ধর্মের তোষক। দেখে দু:খ হয় এই একবিংশ শতাব্দিতেও আমরা অন্ধকারে রইলাম। আলো আর দেখা হলো না। মনে হয় আরও অনেক রক্ত ঝরার বাকী রয়ে গেছে। ভারতের গেরুয়া সাধুরাও এখন আল্লাকে নকল করেন। কথায় কথায় বলতে শুনি মুসলমানরা কিভাবে তাদের ধর্মকে রক্ষা করছে। আর আমরা? আর তার ব্যবহারিক প্রয়োগ দিতে গিয়ে তৈরী হচ্ছে ভগবা আতংবাদী। হিন্দুবাদীদের পত্রিকা “সন্দেশে” তারা আহ্বান দিয়েছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার আদলে আবার গুরুকুলে শিক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে। তবু ভারতে মুক্তচিন্তা করার মানুষের অভাব নেই। শুধু আমরা বিচ্ছিন্ন। আর ওরা একত্রিত।
লেখকে ধন্যবাদ একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে লেখার জন্য
মুক্তমনায় স্বাগতম আপনাকে। অবিশ্বাস্য কাহিনী শোনালেন আপনি, অবিশ্বাস্য কারণ এ ব্যাপারে কিচনুই জানা ছিলনা, ভারতে যে মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে এরকম রাজনীতি চলছে তা জানতামনা, বিস্তারিত জানতে ইচ্ছে হচ্ছে এ ব্যাপারে
হিন্দু জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী সমর্থন করা বাংলাদেশের তথাকথিত সেক্যুলার ব্যক্তিদের নীতিতে পরিণত হয়েছে । ভারত বিশ্বের সর্ববৃহত আস্তিক্যবাদী সিউডোসেক্যুলার শক্তি । ভারত এবং বাংলাদেশের তথাকথিত সেক্যুলার মূলধারার ব্যক্তিদের নিম্নোলিখিত চরিত্র বর্ণনা করছিঃ
১) হিন্দু (হিন্দু জাতীয়তাবাদী সহ) তোষণ বাংলাদেশের তথাকথিত সেক্যুলারিজম-এর মূলধারায় পরিণত । বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও অন্ধ ভারতভক্তি বাংলাদেশের বেশিরভাগ হিন্দুদের সহজাত বৈশিষ্ট্য ।
২) মুসলিম তোষণ ভারতের তথাকথিত সেক্যুলারিজম-এর সহজাত প্রবৃত্তি, চাই সে মুসলমান পাকিস্তানপন্থী হোক না কেনো ।
৩) বাংলাদেশে সেক্যুলার হতে চাইলে শুধু ইসলামপন্থীদের আর পাকিস্তানের সমালোচনা করো, ভুলেও হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের এবং ভারতের সমালোচনা করা যাবে না । হিন্দু সংস্কৃতি সেক্যুলার সংস্কৃতি, শত শত বছরে উপমহাদেশে ভারতীয় মুসলিমদের হাতে গড়ে ওঠা ইনোভেটিভ ফিউশন কৃষ্টি সেক্যুলার নয় ।
৪) ভারতে মিডিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে হিন্দুপন্থী এবং মুসলিম সমালোচক, মুসলিমদের ভেতর বর্তমানে পাকিস্তানসমর্থকদের সংখ্যা অতীতের তুলনায় কম, বাংলাদেশে মিডিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে সেক্যুলার, হিন্দুপন্থীদের কম সমালোচক, হিন্দুরা বেশিরভাগই নিজ দেশের তুলনায় ভারতপ্রেমী । তবে বাংলাদেশের চেয়ে পশ্চিম বাংলার মানুষ তুলনামূলকভাবে বেশি সেক্যুলার ।
@খুরশীদ এ. চৌধুরী,
খুব সত্য কথা বলেছেন।
ভারতের ইসলাম বা মুসলমানের বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই আপনি বিজেপি সিম্প্যাথাইজার চিহ্নিত হবেন। আমি যতই বিজেপির বিরুদ্ধে লিখি না কেন-সে সব গ্রাহ্য হবেই না। এই ধরনের ভুল ধর্ম নিরেপেক্ষ ধারনা দূর হোক।
ধর্ম ও থাকবে আবার ধর্ম নিরেপেক্ষতাও থাকবে, এসব গাঁজাখুরি। প্রথাগত ধর্ম গুলি ধ্বংশ হয়ে একটি সার্বজনীন আধ্যাত্মিক চিন্তার বিকাশ হোক। এও এক বিংশ শতাব্দিতে এসে লোকে মক্কা বা বারণাসিতে গিয়ে পদপৃষ্ট হয়ে প্রাণ দেবে-এই ধরনের তীর্থযাত্রা, পুজা, হজ ইত্যাদি আইন করে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কেও বাড়িতে নামাজ বা পূজো করলে আপত্তি দেখি না-কিন্ত মন্দির মসজিদ এসবকে পরিবর্তন করে কমিনিউটি সেন্টার বানানো হোক।
@বিপ্লব পাল, ধন্যবাদ। স্তালিন কিংবা মাওয়ের মতো নয় বরং আধুনিক বিজ্ঞান, যুক্তিবাদ ও ব্যক্তিস্বাধিনতাই ধর্মবিহীন সমাজ নির্মাণে আমাদের সাহায্য করবে। বাস্তবে ধর্মীয় স্বাধিনতার নামেই সবচেয়ে বেশি স্বাধিনতা হরণ হয়। ব্যক্তিস্বাধিনতাই সর্বোচ্চ স্বাধিনতা, অনেক দেশেই রাষ্ট্রস্বাধিনতার নামে শাসকশ্রেণী শোষণের পথ তৈরী করেছে। রাষ্ট্র, সে যে নামেই হোক ব্যক্তিস্বাধিনতাই প্রকৃত স্বাধিনতা – সব রাষ্ট্রকেই তা মানতে হবে। ধর্মীয় সহ সব স্বাধিনতাই থাকা উচিত্ কিন্তু ধর্মের নামে ব্যক্তিস্বাধিনতা যে হরণ হবে না সে নিশচয়তা কে দেবে ?
সবই ভোটবাজীর খেলা। আর কমরেড আব্দুস সাত্তাররা হচ্ছেন ‘মূলা-কমিউনিস্ট’; ওদের বাইরেরটা লাল, ভেতরটা সাদা!
সত্য মিত্রকে মুক্তমনায় স্বাগতম। :rose:
সব কিছু দেখে শুনে মনে হচ্ছে মানুষের ক্ষমতার লোভ ও স্বার্থপরতার কারনে গোটা মানব সভ্যতার অস্তিত্বই এক সময় হুমকির সম্মুখীন হয়ে যেতে পারে।
কিছুদিন আগে দেগঙ্গায় মুসলিম উগ্রবাদীদের হাতে হিন্দু গ্রামবাসী নিপীড়িত হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে আল্লার সরকারী মালিকানাধীন মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা ধরে রাখতে ও উন্নত করতে পশ্চিমের আগ্রহের কমতি নেই। দুঃখ হল এই,বাংলাদেশের অধিকাংশ আল্লাভক্ত কিন্তু পশ্চিমকে হিন্দু পশ্চিম বলেই জানে যারা পাকিস্তানের সাথে যাওয়ার মত বুদ্ধিমত্তা দেখায়নি,যেমনটি পূর্ব দেখিয়েছে। কেউ কেউ তো পশ্চিমকে ভারত থেকে মুক্ত হয়ে ইসলামী বাংলার সাথে মিলে যাওয়ার আহ্বান জানাতেও ভোলেন না। এরপরও বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগে পশ্চিমের কেউ থাকলেই তাকে হিন্দু বলে ধরা হয়,যদিও পশ্চিম আসলে যে কি,তা তারা নিজেরাই জানে না। কিছুদিন আগে কংগ্রেস ও হিন্দু সন্ত্রাসীদের টপ র্যাংক দিয়েছে ভারদের পারস্পেকটিভে। তো এখন বাংলার আল্লার সেপাইদের আনন্দ পাওয়া ঠেকানো যাবে না,তাদের উচ্চ জন্মহার দিয়ে তারা হারানো ভুমি পুনরুদ্ধার করবে। আল্লার ইচ্ছে,হিন্দু বুঝছে।
খুব আর্শ্চয্য হয়ে যাচ্ছি কমিউনিস্ট রাজ্য পশ্চিমবাংলা এবং কেরলে ইসলামী তথা মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসারের প্রচেষ্টার কথা জেনে। কমিউনিজম আর ইসলামিজমের এই মিলন কি ভোটের জন্য ঘটে?
ইজম বা আদর্শ দিয়ে কি হয় আসল কথা হলো ক্ষমতায় যাওয়া।
মুক্তমনায় স্বাগতম। ভালো বিষয়।
আমার মত ঘটনাগুলো যে একেবারে জানে না, তাদের জন্যে লেখাটা অবশ্য একটু কষ্টকর হয়ে গেল। যেমন ঐসব রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা-ব্যবস্থার স্বরূপ জানার আগেই লেখাটা থেকে জানছি যে পুরো শিক্ষা-ব্যবস্থাটারই নাকি ইসলামিকরণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পুরো লেখাটা পড়ে আমার কাছে পরিষ্কার হলো না, ওসব রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা-ব্যবস্থার ঠিক কোন বিষয়গুলো বিশেষভাবে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে সমালোচনার যোগ্য, যে সমালোচনা অন্য রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা-ব্যবস্থার উপর প্রযোজ্য নয়। যদিও লেখার টোনটা পুরোপুরিই সমালোচনার। তাছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান মাদ্রাসা শিক্ষা-ব্যবস্থার জায়গায় ঐসব রাজ্যের ব্যবস্থাটা গ্রহণ করলে কি উন্নতি বা অবনতি হবে, সেই তুলনাটাও পরিষ্কার না। ফলে লেখাটা পড়ে এমন মনে হতে পারে যে, সেখানের ব্যবস্থাটা দেখতে যাওয়াটা বা বিবেচনা করাটাই খারাপ হচ্ছে।
বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা-ব্যবস্থা নিয়ে করণীয় কি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। একটা রাষ্ট্রে একাধিক শিক্ষা-ব্যবস্থাটা একটা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু জোর করে একটা জনগোষ্ঠীর উপর কিছু চাপিয়ে দেয়া তার চেয়ে বড় সমস্যা। যারা এই ব্যবস্থাতে জড়িত, তাদের মতামতকে বিবেচনা করাটা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
সফরের বিষয়টি একেবারেই জানা ছিলো না। বিষয়টা তুলে আনার জন্যে ধন্যবাদ।
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই মনে হয় একেই বলে। মৌলবাদীরা ছাড়া বাকি পৃথিবী যখন জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে চলেছে তখন আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কি করে আরও ধর্মফাইড করা যায় তাই নিয়ে চিন্তা করছি। একটা জিনিস দেখে অবাক হই, সব ধর্মের মৌলবাদীরা কী সুন্দর এককাট্টা হয়ে যায় যখন এই ধর্মের প্রসংগ আসে, যদিও ইতিহাসে এটা বারবারই দেখেছি, তারপরও প্রতিবার নতুন করে অবাক হই। এমনিতে হিন্দু মুসলমানে মারামারি কাটাকাটির শেষ নেই, কিন্তু যেইমাত্র শিক্ষা ব্যবাস্থাকে ধর্মীয়করণের প্রশ্ন আসল হিন্দু-মুসলমান মোল্লারা সব এক হয়ে গেল। পশ্চিম বাংলার কমিউনিষ্টদেরও বাহবা দেওয়া উচিত এত ডিভোটেড ধর্মের কান্ডারী হওয়ার জন্য :guli: এক্কেবারে সোনায় সোহাগা।
@ফাহিম রেজা,
হিন্দুরা মাদ্রাসা করতে উৎসাহী হয়েছে? আপনার মন্তব্য ঠিক না,পড়ুন ভোটখেকো রাজনীতিকরা। ভারতে এটা চলতেই থাকবে,মুসলিম জনগোষ্ঠি তাদের উচ্চ প্রজনন হার দিয়ে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতেই থাকবে। ভবিষ্যতে হয়ত ভারত ইসলামী রাষ্ট্রও হতে পারে,কে বলতে পারে?
@রুশদি,
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব মতে,জনসংখা বাড়ে গাণিতিক হারে। এখানে জাতি ভেদের কথা বলা হয় নি।
@রুশদি,
ধর্ম আমাদেরকে যতটা ভাল করেছে (কি ভাল করেছে তা না জেনেই বলছি) তার চাইতে মন্দই বেশী করেছে। এই নানা ধর্মের জন্যে (বুদ্ধ ধর্ম ছাড়া) হয়েছে কত রক্তারক্তি। মাত্র কয়েক শ বছর আগে যারা ভাই-ভাই ছিল তাদের ই পরবর্তি জেনারেশনের জেনারেশন পরে হল শত্রু-শত্রু, মার দাংগা আর ঘ্রিনা।
সেদিন পড়লাম পশ্চিম বাংলার কোন তৃনমুল বিধায়ক কোলকাতা মাদ্রাসা কলেজকে মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে।
মমতা, বদ্ধু, প্রনব সবাই এক। এক সে বড়কার এক। একই গোয়ালের গরু বা গাভী।
আচিরেই ভারত বিভাজিত হচ্ছে ধর্মের ভিত্তিতে। যে দিনই মুসল্মান সংখায় হিন্দুদের সমান হবে সেই দিনই আল্লাহু আকবার আর নারাই তগদির জিগির তুলে আলাদা দেশের দাবি করবে। সংখায় সমান সমান হতে আর বেশী দিন দেরী করতে হবে না।
“আদর্শ” আবর্জনায় পরিনত হলেও তা সারাজীবন আঁকড়ে ধরার মনোভাবটাই কি যত অনিষ্টের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে?
আপনাকে মুক্ত-মনায় স্বাগতম। আশা করি আপনাকে এখানে নিয়মিত পাব।
( রেফ দিতে বেশ কিছু জায়গায় ভুল করেছেন ঠিক করে দেয়া হয়েছে। রেফ দিতে হলে যদি অভ্র দিয়ে লেখেন তবে ছোট হাতের দুটি r অর্থাৎ rr দিবেন। যেমন, পর্ব লেখতে হলে porrb । এক্ষেত্রে অভ্র মাউস দিয়ে লেখলে র তারপর হসন্ত দিবেন। )