মিস্টার মিনিস্টার শাজাহান খান,
সম্প্রতি আপনি জাতিকে ওয়াজ নসিহত করে বলেছেন, ‘এনকাউন্টারে’ সন্ত্রাসী মরলে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না! মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী, আপনি আরো দাবি করেছেন, বর্তমানে ‘এনকাউন্টারের’ কারণেই নাকি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধ রয়েছে!
আপনাকে সাধুবাদ জানাই, বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়ে আপনি নতুন কোনো কথা বলেননি বলে। ক্রসফায়ার (পড়ুন, খরচ ফায়ার)/এনকাউন্টারের পক্ষে এমন ফতোয়া ক্ষমতাসীন প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী
লীগের অনেক রথি-মহারথি নেতা-নেত্রীই অনেকদিন ধরে বলে আসছেন।
তবে আপনি এইসব মহান উক্তি যখন করছেন, তখন ইউকিলিকস ড়্যাব (ড়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান নয়, পড়ুন, রক্ষী বাহিনী এগেইন ব্যাক) নিয়ে আপনাদের গর্বের বেলুনটি লিক করে দিয়েছে। বেয়াড়া ইউকিলিকসকে উদ্ধৃত করে দি
গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, গণতন্ত্রের মহাপ্রভু ব্রিটিশ সরকার স্বয়ং নাকি খুনি এই সরকারি বাহিনীটিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে! আর প্রতিষ্ঠার পরে গত ছয় বছরে ড়্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে নাকি মারা গেছে হাজার খানেক লোক।
ইতিহাস স্বাক্ষী, পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সিরাজ সিকদারকে বন্দী অবস্থায় গুলি করে হত্যার পর তখনকার প্রধানমন্ত্রী ও আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবুর রহমান (‘বঙ্গবন্ধু’ বলবো কী?) সংসদে দম্ভ করে বলেছিলেন, কোথায় আজ সিরাজ সিকদার? এরও আগে তিনি কমিউনিস্ট ভূতের আতংকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, নকশাল দেখা মাত্র গুলি করা হবে! মাননীয় মন্ত্রী, সে দিনও আপনারা ভুলে গিয়েছিলেন, নকশাল কারো গায়ে
লেখা থাকে না।
মি. মিনিস্টার,
আপনি যখন আমাদের ওইভাবে পাপ-পূণ্যের পার্থক্য জলের মতো পরিস্কার করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তখন মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ বলছে, মূলত: ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার, বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এ ধরনের বক্তব্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বিএনপি সরকারের মহান কীর্তি ড়্যাব নিজেরাই পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ ওই বিশেষ বাহিনী গঠিত হওয়ার পর থেকে গত বছর আগস্ট পর্যন্ত ৪৭২টি ঘটনায় ৫৭৭ জন ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে।
মাননীয় মন্ত্রী বাহাদুর, আপনার সরকারের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ ধরে আমরা শিগগিরই ডিজিটাল ক্রসফায়ার/ এনকাউন্টারও উপহার পাবো, আমরা কী এমনটাই আশা করবো?
মি. মিনিস্টার,
কিছুদিন আগে মহান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এ হেন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর আত্মরক্ষার সময় নাকি এসব ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার-এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
অথচ দেখুন, আপনাদের ক্রসফায়ার/ এনকাউন্টারের গল্পগুলো কি পুরনো ও স্যাঁতসেঁতে:
অমুক সন্ত্রাসীকে এতো-শত অস্ত্র-শস্ত্রসহ ড়্যাব/ পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তারের পর তাহাকে লাইয়া অস্ত্রভান্ডার উদ্ধারের উদ্দেশ্যে রাত এতোটার দিকে রওনা হইলে তমুক জায়গায় তাহার অপরাপর সন্ত্রাসী সহযোগিরা উহাকে ছিনাইয়া লইবার জন্য আগে হইতে ওত পাতিয়া থাকে। তাহারা আসামী ছিনাইয়া লইবার নিমিত্তে উপর্যুপরি এলোপাতারি গুলি ছুঁড়িতে থাকে। ড়্যাব/ পুলিশ সদস্যরাও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়িতে থাকে। উভয় পক্ষের ১০/১৫/২০/২৫/৩০ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর সন্ত্রীরা রণে ভঙ্গ দিয়া পলাইয়া যায়। পরে ড়্যাব/ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিত্যাক্ত অবস্থায়
বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও গুলির খোসা উদ্ধার করে। এদিকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী অমুক ড়্যাব/ পুলিশের ক্রসফায়ারে/ এনকাউন্টারে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তাহার বিরুদ্ধে অমুক-তমুক থানায় হত্যা, ধর্ষণ, খুন-জখম-ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্রের বিষয় এতো-এতো মামলা রহিয়াছে। …
মি. মিনিস্টার,
ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার-এর ইতিহাস অবশ্য খুব বেশী পুরনো নয়। এর সূত্রপাত ওপারে ইন্দিরা গান্ধির কংগ্রেসের আমলে, সাতের দশকে নকশালি উৎপাতের সময়। নকশাল গ্রেফতার করতে করতে ইন্দিরা সরকার জেলাখানা ভর্তি করে ফেলার পরেও নকশালি বিদ্রোহ দমন করতে না পেরে ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার চালু করেন; সেখানেও তার নেপথ্যের গল্পটি পূর্বোক্ত ( দেখুন, হাজার চুরাশীর মা–মহাশ্বেতা দেবী)।
এপারে এটি আমদানী করেন আওয়ামী লীগের প্রধান কাণ্ডারী, শেখ মুজিবুর রহমান (ভাগ্যিস, ১৯৭৫ এ আত্নস্বীকৃত খুনী কর্নেল ফারুক-রশিদ গং স্বপরিবারে মুজিব হত্যার কাণ্ডটিকে হত্যা বলেই ঘোষণা করেছিলেন, ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার নয়।)। সে হিসেবে সিরাজ সিকদার ক্রসফায়ার/এনকাউন্টারের শিকার প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তিও বটে।
এর পরের সরকারগুলো ওই ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার-এরই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে মাত্র। মাঝখানে বিএনপি সরকার গুলি খরচ না করে ড়্যাব-পুলিশ-বিডিয়ারের যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ (দিল সাফ?) নামক বিশেষ অপারেশন চালু করে। সে সময় আসামীরা যৌথ বাহিনীর রিমান্ডে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই হৃদরোগে মারা যেতে শুরু করেন, মোটেই অতিরিক্ত পিটুনিতে নয়! এক-এগারোর পর সেনা সমর্থিত অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলও মারা পড়েন ওই দিল-সাফাই কর্মসূচিতে।
মি. মিনিস্টার,
খুন-সন্ত্রাস-রাহাজানি ও ঘুষ গ্রহণে অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আপনাদের গদির রক্ষার ঠেঙারে বাহিনী ড়্যাব ও পুলিশ এগিয়ে — এটি এখন প্রকাশ্য। দিনাজপুরের ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা, আদালত পাড়ায় শিশু তানিয়া ধর্ষণ, ড্রাইভার জালাল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রুবেল হত্যা একেকটি উদাহরণ মাত্র। আর দেখুন, সরকারি হিসেবেই গত বছর মাত্র দেড়মাসে চরমপন্থীদের বিচরণক্ষেত্র বলে পরিচিত কুষ্টিয়ায় ২৬ জন এনকাউন্টার/ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন!
তাই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে প্রাচীন শাসক যখন সক্রেটিসকে হেমলকে খুন করেন, আগুনে পুড়িয়ে মারেন ব্রুনোকে বা নির্বাসনে দেন গ্যালিলিওকে– তখন তাদেরকেই অনেক বেশী গণতন্ত্রী বলে মনে হয়। তারা আর যা-ই করুক
আপনাদের মতো ‘আইনের শাসন’ প্রতিষ্ঠার নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পাইকারি বিক্রেতা সেজে মুক্তিযোদ্ধা নিরাপদ বৈরাগীকে (৫৮) ক্রসফায়ার করার পর আবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফনের ভণ্ডামীটুকু অন্তত করেনি (দেখুন,
‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সত্কার, দৈনিক প্রথম আলো, ১০ অক্টোবর, ২০০৯)!
মি. মিনিস্টার,
আপনারা যদি ‘সন্ত্রাসী’ নির্মূলে শেষ পর্যন্ত যদি ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার বহালই রাখতে চান, তাহলে বিনীত অনুরোধ, আপনারা বরং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ড়্যাব/পুলিশ দিয়েই সন্ত্রাসী নির্মূল শুরু করুন, এদেরকে দিয়েই শুরু করুন ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার। প্রয়োজনে এ জন্য না হয় তৈরি করুন আরেকটি বিশেষ খুনি বাহিনী। পরে না হয় তাদের নির্মূলে আবারো নতুন কোনো বাহিনী তৈরি করা যাবে! তারপর আবার…
—
পুনর্লিখিত।
—
ছবি: যৌথবাহিনীর হেফাজতে নিহত গারো আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিল, ড়্যাব ইন অ্যাকশন, ফাইল ফটো।
—
পড়ুন: WikiLeaks cables: Bangladeshi ‘death squad’ trained by UK government, guardian.co.uk
আপডেট:
[লিংক]
আমাদের দেশে সরকারী কর্মকর্তা, মন্ত্রী মিনিষ্টার এসব হবার একটি অন্যতম যোগ্যতা মনে হয় অবলীলাক্রমে ডাহা মিথ্যা কথা বলতে পারার ক্ষমতা। নইলে র্যাবের ক্রশফায়ারের অবিশ্বাস্য একই গল্প কিভাবে শত শতবার ব্যাবহৃত হতে পারে?
র্যাব দল ঠিক রাতের বেলাতেই বন্দী সন্ত্রাসীকে নিয়ে বের হয় অস্ত্র্ উদ্ধার অভিযানে, দলের অন্য সদস্যদের পেয়েও যায় যায়গামত (সন্ত্রাসীদের মগজ বলতে আসলে কিছু নেই, দলের কেউ গ্রেফতার হলে তারা আবার সে যায়গায় থাকে?)। এরপর সন্ত্রাসীদের কত বড় সাহস, তারা আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ভয়াল র্যাব বাহিনীকে দেখে কোথায় পালাবে তা নয়, উলটা গুলি করতে শুরু করে। কিসের আশায় কে জানে? এরপর যথারীতি হাত কড়া পরা অবস্থায় বন্দী সন্ত্রাসী দৌড়ে কিভাবে যেন পালাতে চায় (যদিও এদের হাতকড়া গাড়ির সাথে বাধা থাকার কথা)। আল্লাহর কি অসীম কুদরত, এত ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধে কিভাবে যেন আর কেউই কোনদিন আহত বা নিহত হয় না, সেই সন্ত্রাসী সাহেবই শুধুমাত্র নিহত হয়ে যায়। আহতও হয় না কোনদিন, এক্কেবারে শিওর শট, নিহত।
এই একই গল্প অবিশ্বাস্য ভাবে ব্যাবহার হয়ে আসছে বছরের পর বছর। যারা বলছেন তারাও জানেন ডাহা মিথ্যা, যারা শুনছেন তারাও জানেন মিথ্যা। তারপরেও চলছে, এর কারন কি?
আমার এক ঘনিষ্ট আত্মীয় বেশ কিছুদিন এই বাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাক্তি ছিলেন, তার কাছে কিছুদিন আগে শুনেছি কিছু কথা কিভাবে লাশ গায়েব করা হয়। উনি গাড়িতে করে এক ট্যুরে যাবার সময় অবলীলাক্রমে হাসি মুখে বলে যাচ্ছিলেন, কিভাবে পেট ফাঁড়া হয়, পেটের নাড়ি ভুড়ি বের করে পাথর পুরে এক বিশেষ যায়গায় ডাম্প করা হয়। গাড়ির ভেতর তার ১৭ বছর ও ১১ বছরের দুই মেয়ে ও স্ত্রীও ছিল। তাকিয়ে দেখছিলাম তাদেরও কারো মুখে বিন্দুমাত্র কোন প্রতিক্রিয়া নেই। মনে হয় প্রিয়জনের এহেন দেশসেবার গল্পে তারা মুগ্ধ। মিশনের সদস্যদের পাপমুক্তির জন্য আবার মোল্লা ডেকে তওবা পড়ানোরও ব্যাবস্থা আছে।
অস্বাভাবিক পরিবেশে মনে হয় সবারই মনোজগত পরিবর্তিত হয়ে যায়।
@আদিল মাহমুদ,
ভাষাহীন! :deadrose:
@বিপ্লব রহমান,
কথা সত্য ভাইজান। সেই বর্ননা শুনে আমার পেটে পাক দিলেও মহিলাদের নির্লিপ্ত চেহারা দেখে সহজের বুঝতে পেরেছিলাম যে এই কাহিনী মনে হয় ওনারা প্রতিদিনই শোনেন।
কাকে ফেলে কাকে দোষ দেব? এই পদ্ধুতিতে তো আম জনতা খুশী। ২/৩ বছর আগে দেখেছিলাম র্যাব বন্দনায় মিছিল, মিছিলের সামনে কয়েকটি শিশু; র্যাবের পোষাক পরনে, হাতে খেলনা বন্দুক।
@আদিল মাহমুদ,
এ ক ম ত। কিন্তু এখন মনে হয় আম-জনতা ড়্যাবের কালো পোষাকটিকে যমের মতোই ভয় পায়। খুনী বাহিনীটির আসল রূপ একেবারে প্রকাশ্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :rose:
যেসব কাহিনী দমন করার জন্য র্যাবের প্রয়োজন হয়েছিল সেসব পুলিশ সৎ থাকলে তাদের দিয়েই সম্ভব হত। র্যাব গঠনকালেও এসব নিয়ে কথা হয়েছিল- পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে। র্যাব উৎসাহের সাথে কিছুদিন কাজ করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে সেই পুলিশেরই আরেক রূপ!
@শ্রাবণ আকাশ, :yes:
পৃথিবীতে কোন দমনমূলক আইন কি শাসিতের প্রয়োজনে হয়েছে ? শাসকের শাসনকে পোক্ত করার প্রয়োজনেই বিভিন্ন প্রশাসনিক আইন তৈরি হয়েছে। একইভাবে বিভিন্ন বাহিনীও গঠিত হয়েছে শাসকের সেবার জন্যেই। আমজনতার উছিলা দিয়ে তৈরি এসব বাহিনীর মাধ্যমে সবকালেই শাসকরা আমটুকু খেয়ে জনতাকে বস্তাবন্দী করার ফিকিরেই থেকেছে। রাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র, গণতন্ত্র, এসব কেবলই সস্তা বুলি এখন। সবই আসলে ক্ষমতাতন্ত্র। ক্ষমতাই জিন্দাবাদ। জনতা কখনো ক্ষমতায় যায় না। যারা ক্ষমতায় যায় তারা নেতা। আর নেতারা কখনোই জনতা হয় না। অতএব প্যাঁদানোর জন্যে যে বাহিনী তৈরি, তার কাছে মানবিক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা কেবলই কষ্ট-কল্পনা বিপ্লব দা। বরং তাদের কাছে আমাদের চাওয়া হোক, যা করার তা ভণ্ডামো না করে সরাসরিই করুক। তখন অন্তত তাদের সততায় মুগ্ধ হয়ে আমরা বলতে পারবো- কসাই হলেও ভণ্ড নয় এরা !
@রণদীপম বসু,
অ্যাঁ! 🙁
—
অ/ট: রণো দা, এদ্দিনে পাইছি আপ্নেরে। কত্তোদিন আপ্নের লেখা পড়ি না! মুক্তমনার জন্য আপ্নের সেই বিখ্যাত এসএলআর ক্যামেরা (মেগাপিক্সেল-২) দিয়া তুলা কিছু ফটুব্লগ দিলেও তো পারেন। 😀
রক্ষি, র্যাব অপারেশন ক্লিন হার্ট, ক্রসফায়ার – আসলেই বাংলাদেশে একই কুমীরের খেলা চলছেই, চলবে কোন বিরাম নাই। দেখতে দেখতে এখন ক্লান্তই হয়ে গেছি।
মিনিস্টার শাজাহান খানের কাছে চিঠি লেখা আর দেওয়ালের সাথে কথা বলা প্রায় একই …
তারপরেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ দা,
:yes:
র্যাব বাহিনীর সাথে রক্ষী বাহিনীর কী কোন মিল পাওয়া যায়?
মোকছেদ আলীর একটা লেখায় রক্ষী বাহিনী সম্পর্কে কিছুটা ধারণা এভাবে দেয়া আছে:
মসজিদের সামনের দোকানের দেয়ালের সঙ্গে বড় বড় দুইটি পোষ্টার। একটাতে আছে, ১৯৭২-৭৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসন আমলে দ্রব্যমূল্য কিরুপ বৃদ্ধি পেয়েছিল তার সংক্ষিপ্ত তালিকা। ৩০ টা আইটেম। প্রথম আইটেম, দশ আনার সেরের চাল ১০ টাকা। ২ আনার সেরের লবণ ৬০ টাকা। ৪ আনা দিস্তার কাগজ ৪ টাকা। বিনামূল্যের কীটনাশক ৩০ টাকা। এইভাবে প্রায় ৩২ টা আইটেম। আর একটি পোষ্টারে ১৯৭১-৭৫এ আওয়ামী শাসন আমলে লুটেরা আওয়ামী গুন্ডারা কতটা ব্যাংক ডাকাতী করেছে, কত হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার করেছে তারই সচিত্র খতিয়ান।
লোকজন ভীড় করে পড়ছে। কেহ পড়ে অতীতের স্মৃতিচারণ করছে। ইস কি, বিভীষিকাময় দিনগুলি গুজরান করতে হয়েছে। যারা আওয়ামী লীগপন্থি তারা মুখ কালো করে ফুসতে ফুসতে চলে যাচ্ছে। রক্ষী বাহিনী মানুষকে কিভাবে জুলুম অত্যাচার হত্যা করেছে, তার কয়েকটি চিত্র স্থান পেয়েছে পোষ্টারে।
১৫/১৬ বৎসরের একটি স্বাস্থ্যবান ছেলে দেখে বলছে, এরা আসলে রক্ষী বাহিনী নয়, এরা সেই হানাদার পাকিস্তানী সৈন্য।
এক বুড়া। ছেলেটির কথা শুনে বলল, তোর বয়স কত? ছেলেটি বলল, ১৬ বৎসর। বৃদ্ধের প্রশ্ন- বাংলাদেশ হয়েছে কত বৎসর? ছেলেটি মনে মনে হিসাব করে বলল, ২৬ বৎসর। বৃদ্ধ বললেন, তাহলে তোর জন্মের ৯ বৎসর আগের এসব কাহিনী। তোর বাপ বেঁচে আছে? ছেলেটি জবাব দেয়, আছে। বৃদ্ধের প্রশ্ন- কি নাম তোর বাপের? ছেলেটি উত্তর দিল, ‘জবেদ মিস্ত্রি।’ বৃদ্ধ বললেন-‘ও তুই জবেদ মিস্ত্রির বেটা। তা তোর বাপের কাছেই জিজ্ঞেস করে শুনিস, আওয়ামী লীগের শাসন আমলে রক্ষী বাহিনী নিরীহ জনগণের উপর অত্যাচার করেছে কি না?’
আরেকজন বলল, ওকি শুনে নাই, ওর বাপের চাচাত ভাই গোলজার মৃধাকে রক্ষীবাহিনী ধরে নিয়ে সাধুপাড়ায় রক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পে গুলি করে মেরে দেয়। কি দোষ ছিল গোলজারের? দোষের মধ্যে ছিল, তার স্বাস্থ্য ছিল ভাল। লাঠি খেলার ওস্তাদ ছিল।
@মাহফুজ,
Rab>Rapid Action Battalion > Raxi Bahini Again Back! 😛
@বিপ্লব রহমান,
আজ বাইপাইলে দেখলাম ড়্যাব বাহিনী ট্রাফিক পুলিশের কাম করতাছে। ঘটনাটা কী??
@মাহফুজ,
কন কী? যানজট দূর কর্তেও ড়্যাপিড অ্যাকশন? এরচেয়ে বন্দুক দিয়া ধান চাষ কর্লেও পার্তো!
:lotpot:
@বিপ্লব রহমান,
ভবিষ্যতে কৃষকের বন্ধু হয়ে উঠবে, ইনশাল্লাহ। তখন দ্যাখতে পাবেন বিঘা প্রতি ফলন দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
এঁরা হবেন – একের ভেতর অনেক।
@মাহফুজ,
আল্লা হুম্মা আমিন! 😀
রাষ্ট্র যখন ব্যার্থতায় নিমজ্জিত হয়ে তার অসুখ ভাল করার নামে নিজ দেশের নাগরিকদের প্রশাসন দ্বারা হত্যায় লিপ্ত হয় তখন বোঝা যায় কিসের পিঠে চলে দেশ।
আমি শুধু তর্কের খাতিরে এবং “শয়তানের উকিল” এর ভুমিকা পালন করে কিছু বলতে চাই:
দুঃখের বিষয় হল যে, বি,এন,পি সরাসরি সামরিক বাহিনী’র কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত এই বাহিনী গঠন করলো এবং অকাতরে মানুষ মারলো কিন্তু দেশের মানুষ বিচলিত তো হলই না বরং নিজে দেখেছি যে মানুষ উৎসাহিত করলো এই হত্যা।
বুঝলাম যে বাংলাদেশে তৎকালীন সন্ত্রাসবাদ আসলেই মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল এবং জনগন যেকোন উপায়ে এর নির্মুল চাইছিল।কারন, আমাদের বিচার ব্যাবস্থা ও পুলিশ প্রশাসন সন্ত্রাসের নির্মুলে পুরোপুরি অক্ষম এবং মোটা দাগে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যপুষ্ট ছিল। নিশ্চয়ই স্বীকার করবো এই হত্যাকান্ড শুরু হবার পর দেশ থেকে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজী অনেক কমেছে এবং তরুন প্রজন্ম আর আগের মত সেভেন স্টার গ্রুপের মাস্তানগুলোকে “হিরো” মনে করে বড় হচ্ছে না। খুব আবেগ নিয়ে বলতে শুনেছি তরুনদেরকে যে,জোসেফ,সুব্রত বাইন,আসলাম,প্রকাশ-বিকাশ কি সিগারেট টানে,কি চশমা পরে,কি স্টাইলে কথা বলে!!! একজন সাধারন ঢাকাবাসী হিসেবে সত্য করে যদি বলি তবে বলবো যে, তৎকালীন অরাজকতাকে আজকের পরিস্থিতি দিয়ে তুলনা করা যায় না।যদি আমরা সেই সময়ের ত্রাসের রাজত্ব ভুলে যেতে বা মনে করতে না চাই তবে এটা নিরপেক্ষতা হারায়।
আমি মোটেও বলছিনা যে সন্ত্রাস দমনে এটাই প্রয়োজন ছিল,আমি শুধু বলছি যে আপাত দৃষ্টিতে “ক্রসফায়ার” যে উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয়েছিল তা অনেকটা পূর্ন করেছে।
আমার ব্যাক্তিগত অভিগ্গতায় দেখা উত্তরা, এবং ঢাকা’র সার্বিক সমস্যা ছিল এলাকা ভিত্তিক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি যা কমবেশি প্রত্যেকটি পরিবারে কোন না কোন ভাবে প্রভাব ফেলেছিল।রাস্তায় মেয়েদের উত্তক্ত করা থেকে মুদি ও টং দোকানে চাঁদাবাজী,বাড়ি বানানোর জন্য মিষ্টির টাকা,স্কুল কলেজের ছেলেদের হাতে অস্ত্র দেয়া এবং সর্বোপরি মাদকনির্ভরতা এসব ছিল “ডিপ রুটেড” সমস্যা যা কেউ চাইলেও এড়িয়ে যেতে পারতো না। কিন্তু আজ এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাস সর্বগ্রাসী নয়।
বাংলাদেশ একটি নতুন ও গরিব রাষ্ট্র এবং ছোট জায়গায় খুবই বড় সমস্যাবহুল ও দুর্নীতিপ্রবন জাতিগোষ্ঠির বসবাস আমাদের অনেক বিচিত্র সমস্যায় জর্জর করে তার উপর রয়েছে প্রায় মুর্খসম রাজনৈতিক সরকার যা সমস্যা সমাধানে প্রায়ই নিরুপায় এবং যখন সমাধান করে তখন নতুন সমস্যা বাধায়। যেমন সন্ত্রাস কমাতে যেয়ে খুন শুরু করলো।
আমার ব্যাক্তিগত মনোভাব হল যেহেতু প্রাথমিক লক্ষ্যপুরন হয়েছে তাই এই বিচারবহির্ভুত হত্যা বন্ধ ও এই বাহিনী বিলুপ্ত করা হোক কারন এটি অমানবিক এবং আইনের পরিপন্থি।
এই বাহিনীতে পুলিশদের বেশি বেশি আগমনে এর যে দুর্নীতিমুক্ত চেহারা ছিল সেটিও আজ নেই এবং ইদানিং এর বিরুদ্ধে প্রচুর দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ সুতরাং এই আর্মি-পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা আর নেই তার চেয়ে বরং এই অভিগ্গতা কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে ভেতর থেকে দুর্নীতিমুক্ত করা হোক।
“কিছু দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ” যদি অবৈধ টাকার সিন্দুকের সন্ধান দিতে গিয়ে ঘটনাস্থলে ওৎ পেতে থাকা “অন্য দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মচারিদের বা অপর রাজনৈতিক নেতাদের” ছোড়া গুলিতে নিহত বা আহত হয় তাহলে জনগন ঠিক একই ভুমিকা পালন করবে যেমনটা সাধারন সন্ত্রাসীদের হত্যায় করেছিল।
@অসামাজিক,
এ ক ম ত। এরপরেও আরো যোগ করে বলতে চাই, বাহিনীগুলোকে মানবিক করা খুবই প্রয়োজন। নইলে কাজের কাজ তেমন কিছুই হবে না। :rose:
@অসামাজিক,
দেশের কোন মানুষকগুলো RAB কর্তৃক অকাতরে মানুষ খুন করাকে উৎসাহিত করেছিল?যারা জোট সরকারের চামচা আর যারা বিবেকহীন একমাত্র তারাই এটাকে উৎসাহিত করেছিল।আর সন্ত্রাস চাদাবাজি কমেছিল বলছেন, কমেছিল যারা এন কাউন্টারে মারা পড়েছিল শুধু তারাই চাঁদাবাজি বন্ধ করেছিল।কিন্তু খুনখারাবি,মান্তানি,বোমাবাজি,বাংলা ভাইয়ের নৃশংসতা এগুলো কি কমেছিল?তখন কি পত্রিকার পাতাগুলোতে এগুলোকে সাধুবাদ জানিয়ে সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় ছাপা হত?জোসেফ,সুব্রত বাইন,আসলাম এরা কি ২১শে আগস্ট এর গ্রেনেড হামলাকারী,নাটোরের মমতাজ হত্যাকারী, আহসানুল্যাহ মাষ্টার হত্যাকারী, বাংলা ভাই,১০ট্রাক অস্ত্র আমদানীকারক এদের চেয়েও বেশী ভয়ংকর ছিল?RAB এক্ষেত্রে কি করেছে?
বিচার ব্যাবস্থা ও পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছিল,কিন্তু কেন? বিচার ব্যাবস্থা ও পুলিশ প্রশাসন কি সরকারের বাহিরে এবং RAB কি সরকারের ভেতরের প্রতিষ্ঠান। RAB ভাল কাজ করতে পারলে পুলিশ পারছিলনা কেন?এখান থেকে কি বোঝা যায় না যে RAB কে মানুষ হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল, যা পুলিশ কে দেয়া হয়নি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিও ভালনয়। বরং একটু বেশী খারাপ। এটা কারও কাম্য নয়।অন্তত শেখ হাসিনার সরকারের কাছ থেকে।কিন্তু তাই বলে জোট সরকারের সাফাই গাওয়াটা কি ঠিক?
@বোকা বলাকা,
ঞঁ!! 😕
@বোকা বলাকা,বুঝলাম না যে জোট সরকারে সাফাই কোথায় গাইলাম!
আমি হয়ত বোঝাতে পারিনি যে RAB এর সফলতা নিদৃষ্ট ছিল শুধু এলাকা ভিত্তিক সন্ত্রাস দমনে।
২১শে আগস্ট এর গ্রেনেড হামলাকারী,নাটোরের মমতাজ হত্যাকারী, আহসানুল্যাহ মাষ্টার হত্যাকারী, বাংলা ভাই,১০ট্রাক অস্ত্র আমদানীকারক আর জোসেফ,সুব্রত বাইন,আসলাম এক না। এটা আপনার বুঝতে হবে।
আপনার মত এত সরল ভাবে বুঝতে পারলাম না। RAB একটি নতুন গঠিত স্পেশাল ফোর্স এবং প্রাথমিক ভাবে সামরিক ও পুলিশের চৌকস কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত।তাদের গঠনের একটা উদ্দেশ্য ছিল এবং তা সুনিদৃষ্ট। বিচার ব্যাবস্থা ও পুলিশ প্রশাসনের অনেক মোটা দাগের দুর্বলতার বাইরে ছিল RAB।
অকাতরে খুনে কেউই উৎসাহিত করে নাই কিন্তু এর বিরূদ্ধে কোন জনরোষ আজ পর্যন্ত আপনি কোথাও দেখেছেন?
আর আমার ধারনা, জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা এবং তার ব্যার্থতা ও সফলতা কে দলীয় দৃষ্টিকোনে নিয়ে বিচার খুব নিদৃষ্ট একটি দলের লোক ছাড়া অন্য কেউ করে না।
আর বাংলাদেশের ইতিহাসের কোন সরকারই তাদের কর্মকান্ড’র জন্য আমার “সাফাই এর গান” পেতে পারে না।
@অসামাজিক,
“দুঃখের বিষয় হল”বলে RAB গঠনটিকেই হালকা করে দিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে। অথচ RAB গঠনের কোন প্রয়োজন ছিল কি? আবার
কিন্তু আসলেই কি তখন মানুষ বিচলিত হয়নি?আসলেই কি মানুষ এই বিচার বহির্ভূত হত্যাযজ্ঞ উৎসাহিত করেছিল? এক অনিয়ম ঠেকাতে আরেকটা অনিয়ম সৃষ্টি কোন সভ্য মানুষ মেনে নিতে পারে? তখনকান পত্রিকাগুলো কিন্তু সেকথা বলেনা।তবে কিছু কিছু মানুষ আপনার মত বলেছিল,তাদের পরিচয় আগেই দিয়েছি।জোট সরকারে সাফাই আর কাকে বলে।
এক নয় এটা কেমনে বুঝি?জোসেফ,সুব্রত বাইন,আসলাম এরা খুটির জোর ছাড়া কি সন্ত্রাস/চাদাবাজি করতে পারে?এদের চাদার ভাগ কি শুধু পুলিশই খায়?নেতারা এর ভাগ পায়না? গ্রেনেড হামলা….ইত্যাদি তারেক/বাবর….
নিজে করেনি। মুফতি হান্নান….এধরনের সন্ত্রাসীদের মাধ্যমেই হয়েছিল। জোসেফ,সুব্রত বাইন,আসলাম RAB এর সামনে পড়ে আর হান্নানেরা পড়ে মন্ত্রী/তারেকের সামনে।ইসলামী জঙ্গিরা একযোগে সারাদেশে বোমা ফাটিয়েছে কিন্তু ক’জন RAB এর সামনে পড়েছে?
সামরিক ও পুলিশের চৌকস কর্মকর্তা দ্বারা RAB পরিচালিত এটা বুঝলাম। কিন্তু দূর্বলতার বাহিরে এরা যে নয় তাতো আগেই বললাম।কিছুদিন সেনানিবাসের ভিতরে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল,তখন দেখেছি কত RAB সদস্য কত কুকাম করে চাকরী হারিয়েছে।সেসময় এক RAB সদস্যের সাথে পরিচয় ছিল। মাঝে মধ্যেই প্রযোজনের তাগিদে আমাদের কাছে আসতে হত। তারা কি কাজ করেছে বা করতঃ তা এখানে বলার প্রয়োজন নাই তবে তার একটি কথা জানাই। সে বলেছিল,”সরকার পরিবর্তন হলে অথবা পরকালে কি হবে তা একমাত্র আল্লাই জানেন”।
না দেখিনাই। RAB এর মানুষ মারার লাইসেন্স ছিল। হয়তো সে জন্যই।তবে ভেতরে ভেতরে সমালোচনার অন্ত ছিল না।সে সময় পেপার পত্রিকায় অনেক লেখালেখিও হয়েছে।
@বোকা বলাকা,
আপনার সাথে একমত।
@বোকা বলাকা,
হুমম… :-/
@বোকা বলাকা, আলোচনাটাকে দলীয় রাজনৈতিক বিতর্কে ঠেলবেন না দয়া করে।বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের জন্য সাফাই গাওয়া আমার কাজ নয়।
দেশটা আমার তাই বিরাজমান সমস্যাগুলোর সমাধান আমি মন থেকে আশা করি। কোন দল তা সমাধান করলো আর কোন দল সমস্যা বাড়িয়ে দিল আমি সেভাবে দেখি না। জাসদ( ইনু) যদি সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদ নির্মুল করতো তাহলেও আমি একই কথা বলতাম।চারদলীয় জোট সরকার বা বর্তমান ১৪ দলীয় সরকার দুটোই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষতি করে যাচ্ছে।আর আমরা তারই মাঝে বেঁচে আছি আমাদের দৈনন্দিন সমস্যাগুলো কমলেই ভাল।
আসলাম আর মুফতি হান্নানদের পার্থক্যটা হল সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের। আশা করি বুঝবেন।
দুটোই বাংলাদেশের সমস্যা ছিল। এবং দুটোই অনেকাংশে কমে এসেছে।সরকার এই বাহিনি ছাড়া যদি এসব কমাতো তাহলেও আরো ভাল হত। তবে আমার কাছে মুখ্য হল সমাধান। আমি সেটাই বলেছি যে, খুন করে অপরাধ কমানো যথাযত নয়। কিন্তু সবাই যেহেতু এখন RAB এর বিপক্ষেই বলবে তাই আমি বিপরীত স্রোতে বলেছি যে, তাদের অবদান ভেবে দেখুন যে সবশেষে ফলাফল কি!
প্রতিটি রাষ্ট্রই সমাজের এরকম দুর্বল সময় পার করে এসেছে। আমরাও পার করেছি বলতে পারলেই খুশি হতাম। আমার মনে আছে ৯১ পরবর্তী সময়ে দেশের মুল সমস্যা ছিল অস্ত্র,চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস।২০০১ পরবর্তী সময়ে তা কমেছে।এরপর মুল সমস্যা এলো জঙ্গি, তার বিরূদ্ধেও ভাল ফলাফল এসেছে এরপর এল দুর্নীতি কিন্তু দুঃখজনক ভাবে তার পুরোপুরি সমাধান হল না তবে ধাক্কা একটা ভালই লেগেছিল। এসব ইতিহাসে লেখা থাকবে।
আপনার সাথের এই আলাপনের মুল পয়েন্ট হল যে,আমি এই “বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের” সফলতাটুকু গুরুত্ব দিচ্ছি আর আপনি এই ব্যাবস্থাটারই প্রতিবাদ করছেন।
যদি আমি নিজেকে সুশীল প্রমান করতে চাইতাম বা দলীয় এলার্জিতে আক্রান্ত হতাম তাহলে হয়তো আপনার মত করেই বলতাম কিন্তু দেশের সেইসব দিনগুলোর কথা মনে থাকায় বলছি, RAB এর কাজ শেষ হয়েছে এবার এটি ভেঙ্গে দিয়ে সকল ক্ষত্রে দুর্নীতি নির্মুলের ব্যাবস্থা নেয়া হোক। যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন দেশের সমস্যাগুলো সমাধানে মনযোগী হোক।
@অসামাজিক,
ঠিক, আমার মতে দুইটি প্রধান সমস্যাকে মোকাবেলা করা দরকার। এক জনসংখ্যা এবং দুই দুর্নীতি।
@ব্রাইট স্মাইল্,
জ্বী, আসলেই আমাদের প্রায় সকল সমস্যার শুরু আর সমাধানের অন্তরায় জনসংখ্যা আর দুর্নীতি কোন না কোন ভাবে জড়িত।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুর্নীতি সমস্যা নিরসনে, নিরপেক্ষ উচ্চ আদালত আর খুবই শক্তিশালী স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যকর করা। এর অবকাঠামো তৈরী আছে বিগত সময়ে শুধু দরকার ইচ্ছাটুকু।
আর যেহেতু জনসংখ্যা বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে বহু আগে তাই এখন পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয় থেকে ছোট পরিবার উৎসাহিত করন কর্মসূচী জোরদার আর যুব মন্ত্রনালয়ের আওতায় দেশব্যাপি ব্যাপক ভাবে কারিগরী প্রশিক্ষন ও কার্যক্রম সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া খুবই দরকার। কৃষি ও যুব উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কিছু উদ্যোগী কর্মকর্তার পরিশ্রমে প্রায়ই প্রত্যন্ত অন্চলে প্রান্তিক চাষিদের ব্যাপক সফলতার কথা শুনা যায়।
সরকার ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মাঝেই বেশ বড় বেকার জনসংখ্যার জন্য সল্পমেয়াদি চাকরির ব্যাবস্থা করেছিল একই ভাবে যদি দেশের স্নাতক পাশ করা ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন সরকারি ও সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে ৩ মাস থেকে ১ বছরে মেয়াদি ঐচ্ছিক শ্রমের ব্যাবস্থা করতে পারে তবে তা নিশ্চিত দেশপ্রেম ও মানব উন্নয়নে বেশ ভাল হবে।
ভাই আমি আসলেই বুঝি না যে জনসংখ্যা সমস্যার সমাধানে মানব উন্নয়েনের শক্তিশালী কর্মসূচী প্রণয়ন হয় না কেন??? উন্নয়নমুলক কাজ বাধা দিয়ে তো কারোই লাভ হয় না, দুর্নীতিবাজদের ও কোন লাভ হয় না তবু কেন এরকম কাজে সরকারগুলোর এত অনীহা??? নাকি দেশের গরিব কমলে মধ্যবিত্ত সমাজ নিজেদের বড়লোক মনে করতে পারবে না ভেবে ভীত???
@ বিপ্লব রহমান
আমি কিছু অপ্রিয় সত্য বলতে চাই। আবার হয়ত লোকজন ইঁট নিয়ে তাড়বে।
ভারত এবং বাংলাদেশে রাজনীতির মূলশ্রোত দুটো ভাগে ভেঙেছে- সমাজতান্ত্রিক জাতিয়তাবাদ এবং ধর্মীয় জাতিয়তাবাদ। ভারতে কংগ্রেস, বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ-এবং ভারতের বিজেপি, বাংলাদেশের বি এন পি একই ধরনের রাজনীতি করে।
কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে বাম ধারার রাজনীতি অপ্রসাঙ্গিক হয়ে গেল কেন?
সোজা উত্তর হচ্ছে সেই বস্তাপচা লেনিনবাদ আঁকড়ে বসে থাকা। অধিকার নিয়ে আন্দোলন সফল কোনদিন হবে না যতদিন উৎপাদনশীলতা এবং মানবাধিকার একসাথে উন্নত হবে। পেটে ভাত না থাকলে অধিকার ধরে রাখা যায় না।
বামধারার আন্দোলনে নতুন কোন জোয়ার এল না। সেই খুনী লেনিন স্টালিনকে আঁকড়ে ধরে তুলসীপাতা দেওয়া রাজনীতি। যেখানে দরকার ছিল একটি নতুন ধারার বাম আন্দোলন- যা হবে নতুন বিজ্ঞান এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বাম আন্দোলনের ব্যার্থতাই এই দুর্দিনের কারন।
অন্যকে দোষ দিয়ে কি লাভ? নিজেদের ঘরটা আগে দেখা উচিত।
@বিপ্লব পাল,
আমার কাছে ঠিক একই রকম মনে হয় না। বিএনপি যখন মৌলবাদীদের সাথে জোট করে তখন নিজ ছাত্র দলের তুপের মুখে পড়েছিল। এখন বিএনপির অনেক সমর্থক আছেন যারা যদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। এবং নিজ দলের পতনের জন্য মৌলবাদীদের দায়ি করে।
ভারতের বিজেপি কি একই রকম?
@বিপ্লব পাল,
বাংলাদেশের মানুষের বিজ্ঞান এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি আন্দোলন দরকার ছিল এবং আছেও কিন্তু সেটা কি একমাত্র “বামধারার” ই হতে হবে? কারন বেশ দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসে,বাম রাজনীতি পশ্চিম বঙ্গে ক্ষমতা পর্যন্ত গিয়েছে কিন্তু বাম আদর্শ’র যে সমাজ তা কতটুকু বাস্তবরূপ পেয়েছে বা সে লক্ষ্যে চেষ্টাই বা করছে কিনা? নাকি উল্টো প্রতিহত করে?
বাংলাদেশের ইতিহাসে, স্বাধীনতার পরে জাসদের দ্বারা শেখ মুজিব বিরোধি আন্দোলনের পর থেকে আক্ষরিক অর্থে সত্য যে বামপন্থি রাজনীতি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে এবং সাধারন মানুষ (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র রাজনীতি বাদে) এর প্রতি কোন আগ্রহ দেখায় না, কোন সচ্ছ ধারনা নেই বরং নেতিবাচক ধারনা পোষন করে। কারন এই ধারাটি কোন না কোন সময় দুর্নীতিগ্রস্থ মুল দলেগুলোর সাথেই ছিল এবং এদের অঙ্গসংগঠনমুলক মনোভাব, সুতরাং এরা নিজেদের মতবাদ মানুষের কাছে পৌছে দিতেই পারেনি। বিশ্বের অন্যান্য জায়গার এমনকি ভারতের বাম রাজনীতি দেখেও বাংলাদেশের মানুষ যে কি পরিমান অনাগ্রহী তা বোঝা যায় না। এর পুরো ব্যার্থতা বাম রাজনৈতিক দলগুলোর।কিন্তু জনগন এদের নিজ গোত্রীয় মনেই করে না।
বাংলাদেশের জনগন বিজ্ঞান এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলনে সাড়া দিবে তবে সেই ডাক যদি গনবিচ্ছিন্ন দল থেকে আসে তাহলে হবে না, আসতে হবে বঙ্গবন্ধু’র মত একজন বাঙ্গাল নেতা,জনমানুষের নেতার কাছ থেকে। পদ্মার পুব পাড়ের সমাজ ব্যাবস্থা মাথায় না রেখে আমদানি করা কোন মতবাদ বাংলাদেশের মানুষ গ্রহন করে না।তাই বারবার সামরিক বাহিনী ও ধর্মীয় সুড়সুড়ি দেয়া দল জনগনের কাছে জনপ্রিয় হয়ে যায়।কারন তারা যেটা করে সেটাই সাধারনে পর্যন্ত পৌছাতে পারে। তার জন্যই আওয়ামী লীগের মত দল ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের সাথে জোট বাধে শুধু জনসাধারন কে “কভার” দেখানোর জন্য। ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষেধ হবার আগেই বলে যে, এই আইন কার্যকর হবে না।
জনগন কে কিছু শেখানোর জন্য আগে তো তাদের কাছে যেতে হবে।তাই মনে করি ডান-বাম না মুলত একদল সঠিক মানুষ যদি জনগনের জন্য তাদের সাথে থেকে রাজনীতি করে তবেই সেটা ভাল।
আওয়ামী লীগের মত একটি দলই পারে বিজ্ঞান এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে কিন্তু তারা “অক্ষম”!! কারন এদের নেতৃত্বে যারা তাদের নিজেদের জীবনই বিজ্ঞান এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়।
মুল ব্যার্থতা আসলে বাম দের নয় মুল ব্যার্থতা শিক্ষিত সমাজের যারা নিজেদের স্বার্থের বিনিময়ে বিজ্ঞান এবং যুক্তি বিকিয়ে দেয়। মৌলবাদীদের সাথে স্বার্থ রক্ষায় একজোট হয় এবং নিজেদের বাইরে আর কারো জীবনের দুঃখ কষ্ট গায়েই মাখে না, প্রয়োজন ও মনে করে না। শিক্ষিত সমাজ শিক্ষা বিনিময়ে আগ্রহী নয় তারা বিক্রয়ে আগ্রহী তাই আন্দোলন করার মত মনসংযোগই তারা অর্জন করতে পারে না।
@বিপ্লব পাল,
আপনার মন্তব্যটি যদিও এ লেখার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়, তবু একাংশের প্রতিমন্তব্যে বলছি:
উঁহু…বোধহয় খুব বেশী সরলীকরণ হয়ে যাচ্ছে। ওই খুনী লেনিন স্টালিনকে আঁকড়ে ধরে ই কিউবা বিপ্লব হয়েছে এবং আমেরিকার বিশাল থাবার নীচে দাপটের সঙ্গেই টিকে আছে। তবে ক্যাস্ট্রো বা চে আপনার দৃষ্টিতে খুনী কি না, তা আবার কে জানে! 😉
আমার মনে হয়, নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণেই এ উপমহাদেশে বাম রাজনীতি বিভ্রান্ত হয়েছে, বিভক্ত হয়েছে, শক্তিক্ষয় হয়েছে– এমনকি শেষ পর্যন্ত বাম ধারার রাজনীতি অপ্রসাঙ্গিক হয়ে গেছে।
অনেক ধন্যবাদ। :rose:
@বিপ্লব রহমান,
কিউবাতে যখন বিপ্লব হয়, তখন লেনিন বা স্টালিন ছিলেন হিরো-সেই ১৯৫৪ সালের ঘটনা। এই মূহুর্তে স্টালিন এবং লেনিনের এত কুকীর্তি জানা গেছে-এবং কমিনিউজমের এত অমানবিক , অগণতান্ত্রিক দিক উন্মোচিত, যে কেও এদের ভাঙিয়ে পার্টি করতে গেলে হিতে বিপরীত হবে।
আর ক্যাস্ত্রর ফাসিস্ট সরকারের টিকে থাকা নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। যেদিন ওখানে কমিনিউজম শেষ হবে, থলে থেকে সব বেড়াল বেরোবে। যেমন সোভিয়েতের পতনের পর কমিনিউস্ট জমানার ইতিহাস ক্রমশ প্রকাশ্য হয়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাস এবং রাজনৈতিক সিস্টেমকে ক্যাপিটালিস্ট বনাম কমিনিউস্ট এই ভাবে ভাংলে লাভ হবে না। কারন আসল অপরাধীর নাম ক্ষমতা। ক্ষমতা যখন জনগণের হাতে না থেকে কিছু লোকের হাতে পুঞ্জীভূত হয়, সাধারন লোকের ওপর অত্যাচার এবং শোষন চলে। কমিনিউস্ট সিস্টেমে ক্ষমতা থাকে পার্টির গুটিকয় লোকের হাতে-আর ক্যাপিটালিজমে ব্যাবসায়ীদের হাতে। কোরাপশনের মূল কিন্ত ক্ষমতা।
ক্রসফায়ারকে আপনাকে এই বৃহত্তর লেন্স দিয়েই দেখতে হবে, যেখানে গুটিকয় লোকের ক্ষমতাদিয়ে একটা বৃহৎ সিস্টেমকে চালানো যায়।
@বিপ্লব পাল,
হুমম… :-/
@বিপ্লব পাল,
পুনশ্চ: আপনার কাছ থেকে এমন মন্তব্যই আশা করেছিলাম। প্রায়শই আপনাকে খুব দক্ষতার সঙ্গেই, এমনকি বেশ খানিকটা অপ্রাসঙ্গিকভাবেও, কমিউনিস্ট নেতাদের লেজ আবিস্কার করতে দেখি। 😀
চিন্তার কিছু নাই। আগামী টার্মে বিএনপি-জামাত যখন আবার ক্ষমতায় আসবে, নিরীহ লোকজনের পাশাপাশি শাহজাহান খানদের মত অনেক পাড় আওয়ামী লীগারই তখন ক্রসফায়ারে মারা পড়বে। ফাহিম রেজার একই কুমির দেখানোর গল্পের মত র্যাবও তখন একই প্রেস রিলিজ ইস্যু করবে। বিএনপি একে মিডিয়ার কারসাজি বলবে, আর যুবরাজ ভাইয়া তখন হাওয়া ভবনে ক্রিকেট খেলতে খেলতে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় নি বলে ওয়াজ নসিহত করবে জাতিকে।
@ফরিদ ভাই,
অসম্ভব কিছু নয়। এটি হচ্ছে সব অসম্ভবের দেশ। এদেশে সব অসম্ভবইই সম্ভব! 🙂
চলেশ রিছলের কথা জাফর ইকবালের বইতে পড়ে কেঁদে ফেলেছিলাম। পুরো ক্রসফায়ার ব্যাপারটাতেই ভয়ে শিউরে ওঠার একটা ব্যাপার আছে। অনেকে দেখি এটাকে সমর্থনও করে।খাঁচায় বন্দি ইদুরদের পানিতে চুবিয়ে মারার মত ব্যাপারটাকে কি সুন্দর র্যাবের হিরোগিরির মোড়কে মোড়া যায়।যখনই টিভিতে খবর দেখি বা পেপারে ক্রসফায়ারের খবর পড়ি তখন ১০ বছরের ছেলেও বুঝতে পারে কাহিনি ভুয়া, বিতৃষ্ণায় মুখ বাকায়।আমরা বুঝতে পারছি সব, তারপরও এই মিথ্যাচার না করলেই কি নয়?
@লীনা রহমান,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আজকের সংবাদপত্রে ড়্যাবের আরো কীর্তি ফাঁস হয়েছে:
[লিংক] 🙁
@বিপ্লব রহমান,
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়েরা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ এখন টি আই বি এর প্রতিবেদন নিয়ে লেগেছেন।
@গীতা দি,
এরা পারেনও বটে! 😛
@বিপ্লব রহমান, একবার আমার ভাইয়ের এক বন্ধুর বাড়ির গ্লাস ভেঙ্গেছিল ওর আরেক বন্ধু কিন্তু ভুলবশত সেই গ্লাস ভাঙ্গার জন্য ওই বাড়ির আপু আমার ভাইকে থানায় নিয়ে গিয়েছিল কারণ তার ভাই আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আর দিচ্ছিলনা বলে একটু ঝগড়া ছিল।
আমরা ভীষন ভয় পেয়েছিলাম কারণ থানায় গিয়ে দেখলাম সেই মহিলাকে পুলিস চা খাওয়ায় আর আমার ভাইকে পিটাতে চায়!বারবার মনে পড়ছিল সেইসব ঘটনার কথা যেখা পুলিস ব্যাগে ফেনসিডিল দিয়ে ছাত্রকেও কোর্টে চালান দিয়ে দেয়! বিনা দোষে ভুলবশত মানুষদের ক্রসফায়ার করে র্যাব!!যেকোন অন্যায়ে পুলিস মামলা নেয়না, অপরাধী ছাড়া পায়, নির্দোষ শাস্তি পায়, একটা দেশে পুলিস র্যাব যদি নিরীহদের এভাবে হয়রানি করে, ক্রসফায়ারের নামে এমনকি খুনও করে তাহলে ভয় না পেয়ে কি উপায়?
@লীনা রহমান,
আমাদের সাংবাদিকদের মধ্যে একটা কথা খুব চালু আছে:
মাছের রাজা ইলিশ
মানুষের রাজা পুলিশ… 🙁
@বিপ্লব রহমান,
র্যাবের সোর্স যে কোন সময় ভুল হতে পারে, আর তা হলেতো বাংলাদেশে যে কোন নিরপরাধ লোক ক্রসফায়ারের শিকার হতে পারেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি বলতে হবে!
@ব্রাইট স্মাইল্,
এ ক ম ত। :yes:
@লীনা রহমান,
জাফর ইকবালের কোন বইটায় আছে?
আমি একটা পড়েছিলাম
@লীনা রহমান, @আসরাফ,
গারো আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলের ওপর ডেইলি স্টারের বিশেষ ফিচার Nightmare in Modhupur -ও পড়ে দেখতে পারেন। এর লেখক হানা শামস আহমেদ মানবাধিকার সংস্থা সিএইচটি (চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস) কমিশনের একজন সক্রিয় কর্মী।
অনেক ধন্যবাদ। :yes:
@আসরাফ,
জাফর ইকবালের একটা কলামের বই আছে। ‘বৈশাখের হাহাকার ও অন্যান্য’ ওটার বৈশাখের হাহাকার শিরোনামের কলামটাই ছিল চলেশ রিছিলকে নিয়ে…
@লীনা রহমান,
ওই কলামটি পড়া হয়নি। নিজে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে জানি, এক-এগারোর সেনা সমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সে সময় গণমাধ্যমের ওপরেও ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ চালিয়েছে। তো ওই কলামে কী যৌথবাহিনীর নির্যাতনে চলেশ রিছিলের মৃত্যুর বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়েছিলো? 😕
@বিপ্লব রহমান,
জাফর ইকবাল চলেশ রিছিলের ওপর চলা অকথ্য শারীরিক নির্যাতনের বলতে গেলে গ্রাফিক বর্ননা দিয়েছিলেন।
@আদিল মাহমুদ, ওখানে যৌথ বাহিনীর কথা বলা আছে, মেজর তৌফিক এলাহীর নাম ধর দোষারোপ করা হয়েছে।
আপনি অনেক কষ্ট করালেন।বইটা অনেকদিন আগে পড়েছিলাম তো তাই আবার বের করে চেক করতে হল অনেক গ্যাঞ্জামের মধ্যে।আমার কোন শেলফ নেই তাই একটা ট্রাংকের উপর থাকে সব বইপত্র।কিন্তু খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দারুণ একটা জিনিস দেখলাম, দেখলাম মওদূদীর বইয়ের উপর “বিশ্বের কামসূত্র সমগ্র” :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@লীনা রহমান,
নুতন আবিষ্কার নিয়ে বড়সড় একটা লেখা নামিয়ে দেন।
জাফর ইকবাল যেই বর্ননা দিয়েছিলেন তাতে মনে হয় পাক আর্মিও লজ্জা পেতে পারে।
@আদিল মাহমুদ, :yes:
মি. মিনিস্টার,
কোন অপারেশানেই RAB এর কোন সদস্যই আহত/নিহত হয় না। ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসিরা কি একটিও গুলি তাদের গায়ে লাগাতে পার না??
মি. মিনিস্টার,
কথা হচ্ছে এই যে অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে তার কি কোন হিসাব আছে?
কেমন করে বুঝব যে এগুলো RAB এর পূর্বে উদ্ধার করা জিনিসই বার বার দেখানো হচ্ছে না?
@আসরাফ,
পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
এই ঠেঙাড়ে বাহিনী কিছু অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করে, বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুরসহ বেশ কিছু জঙ্গী দমন করে খানিকটা বাহবাও কুড়িয়েছে — এ কথা অস্বীকার করার জো নেই। কিন্তু ড়্যাব একই সঙ্গে এটিও প্রমান করেছে যে, পুলিশ, আর্মড পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ, পুলিশের ডগ স্কোয়াড, পুলিশের বিশেষ বিভাগ (এসবি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ইত্যাদি এ জাতীয় অপরাধ দমনে চরম ব্যর্থ। তাই তাদের কার্যক্রম যেনো অনিবার্য! :deadrose: