মাগো, তোমার জন্ম বুঝি আজ সার্থক হল
তোমার প্রসবিত সন্তান আজ পুর্ণ মর্যাদা পেল
তোমার খুনী সন্তানের জন্য আজ পালন করছি
হরতাল আমরা, গৌরবে। করছি মিছিল, ভাঙচুর করছি।
দাবী তুলছি মুক্তি চাই খুনী বেজন্মার,
মুক্তি চাই যুদ্ধাপরাধীর, মুক্তি চাই ধর্ষকের, ডাকাতের,
ঔদ্ধতকারীর, মুক্তি চাই রাজাকারের, স্বাধীনতা বিরোধীর।
মাগো তোমার জন্ম আজ সত্যিই সার্থক,
তোমার অন্ধত্ব আমাদের চেতনালোকে আলোড়ন
তোলেনি কোন, কখনও। আমরা মিছিল ডাকিনি,
দাবী তুলিনি মুঠোবদ্ধ হাতে, গর্জন করিনি গলার ধমনী ফুলিয়ে,
কিন্তু
তোমার কুষ্ঠরোগটার স্থায়ী আবাসের পক্ষে
আমরা আজ সোচ্চার। দাবী তুলছি, ক্যন্সার
জীবানুর ব্যক্তিগত আবাসন প্রকল্পে, দাবী তুলছি
গ্যংগ্রীন আক্রান্ত অঙ্গটাকে জীইয়ে রাখতে।
আমরা মুক্তি চাইছি বেজন্মা শুয়োরের,
আমরা মুক্তি চাইছি জারজ রাজাকারের,
আমরা মুক্তি চাইছি ফনা তোলা কালসাপের,
আমরা মুক্তি চাইছি ডাকাত আর সন্ত্রাসীর
তার মানে,
আমরা মুক্তি চাইছি সাকা চৌধুরীর।।
ভাল লাগল,খুবই ভাল।সাকার জন্য নির্বাচিত বিশেষনগুলা বেশ চমতকার।সাকার জন্য আরো বাঁকা বিশেষণ দরকার। :yes:
রাজনীতি জানি না, তবে এই সরকার যা করে সব ছালা রাজনীতি। কাক কোনদিন কাকের মাংশ খায় না। সাকার বিচার আমার কাছে মনে হচ্ছে প্রহসণ।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
প্রহসণ না প্রহসন, বানানে আমি খুব কাঁচা।
“বেজন্মা শুয়োরের, জারজ রাজাকারের, ফনা তোলা কালসাপের, ডাকাত আর সন্ত্রাসীর” মুক্তি চাওয়া মানে সাকা চৌধুরীর মুক্তি চাওয়া। একদম ঠিক। একমত।
একটা ই-বুক পড়েছিলাম। বইটির নাম “সাকা একটি পশুর নাম”। তখন ভেবেছিলাম সেই পশুটির নাম কী? আজ তার জবাব পেলাম। গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত তার দাম্ভিকপূর্ণ আচরণ আর কথাবার্তা অনেকেই দেখেছে। গ্রেফতারের পর কেমন যেন ভেজা বেড়াল হয়ে গেছে। উপযুক্ত দিনে জাতিকে রাস্ট্র একটা সুন্দর উপহার দিল। ৩৯ বছর আগে এই উপহার দেয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সম্ভব হয়নি। এখন শুধু জাতি অপেক্ষায় রয়েছে- বিচার দেখার। যেদিন এই পশুকে কোরবানী (ফাসিও হতে পারে) দেয়া হবে সেদিন সাকার জীবন সার্থক। বলুন, আলহামদুলিল্লাহ।
সাকার বৌ থ্রেট দিয়েছে “কিভাবে সোনার বাংলা গড়ে, আমরা দেখে নিবো!”
এ রকম একটি বাণী হজম করতে গিয়ে মাথাটাকে ১০হাত মাটির নিচে গুঁজে দিতে ইচ্ছে করে। বাংলাদেশীরা যে কোন দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে এখনো অভ্যস্ত না। নইলে মুক্তিযুদ্ধের এতো বছর পর একজন রাজাকারের বৌ আমাদেরকে এভাবে থ্রেট দিতে পারে না।
তবে এ কবিতাটিকে আমার মনে হয়েছে “উপস্থিত স্যার!” এর মতো। বিশেষ করে শব্দচয়নসহ হাবিজাবি বিবেচনায়।
তবুও চেতনায় শ্রদ্ধা।
@সবাক, চোরের মা’র গলা শুধু বড়ই না…
:rose2: :rose2: অনেক ধন্যবাদ।
চমৎকার হয়েছে!
পত্রপত্রিকায় দেখছি সাকার স্ত্রী আর মেয়ের চোখের জল দেখে অনেকেরই হৃদয় উৎলে ওঠছে! আহা! হিরো সাজার এই তো সুযোগ!! :heart: :heart:
:lotpot: :rotfl:
@অনন্ত বিজয় দাশ,
অনন্তদা, অনেক ধন্যবাদ কবিতা পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য।
:-Y :-Y :-Y
@amman, :-X :-X :-X , 😀
সাইফুল ইসলাম,
কবিতার বক্তব্যের সাথে সহমত।
@গীতা দাস,
অনেক ধন্যবাদ গীতা দি মন্তব্যের জন্য।
এটাকে বাইরে রাখলেই মনে হয় বেশী ভালো হত। মাঝে মাঝে এর “বচানামৃত” শুনে বোঝা যেত শুয়োরেরাই শুয়োরকে দলে টেনে নেয়…
@শ্রাবণ আকাশ,
কতাডা এক্কেরে মিছা না। 😀
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
পাগলা কুকুরটাকে খাঁচাবন্দি করতে পারায় যারপর নাই খুশি। তবে কতদিন এভাবে রাখা যায় সেটাই কথা। কারণ ঘেউ ঘেউ করা আর কামড় দেয়া খাঁচায় বসেও সম্ভব হতে পারে।
@হেলাল,
হেহে, হাচাই কইছেন।
ধইন্যা কমেন্টের লিজ্ঞা। 😀 :rose2:
সাইফুল – :yes:
কিন্তু কোন একদিন সকালে উঠে হয়তো দেখবেন ঠাটারিবাজারের সব শুয়োরের পাল মিছিল করে আপনার বাসার সামনে হাজির হয়ছে প্রতিবাদ জানাতে – ‘সাকা’ নামে অভিহিত করায় শুয়োরেরাও আজ অপমানিতবোধ করছে! 🙂
(ইনফ্যাক্ট, এই ‘শুয়োরেরও অপমান’ থিমের উপর একটা কবিতা পড়েছিলাম অনেক আগে , ভারতের কোন এক মন্ত্রীকে নিয়ে লেখা – অনেক কষ্ট করেও মনে করতে পারছি না লাইনগুলো)।
@অভিজিৎ,
অভিদা সমেস্যায় ফালাইয়া দিলেন। আইচ্ছা দেহি কি করা যায়। 😀
সময়োপযোগী কবিতাটির জন্য কবিকে ধন্যবাদ। জনমত গঠনে এ ধরণের সাংস্কৃতিক তৎপরতা, আশা করা যায়, সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
“বেজন্মা শুয়োর” এবং “জারজ” এই শব্দ দু’টো উপমা হিসাবে ব্যবহার করা কতটা যুক্তিযুক্ত, একটু ভেবে দেখবেন। আশা করছি, কিছু মনে করবেন না।
সাকা কি শুধু মানুষ খেকু, পত্র-পত্রিকায় যা পড়ছি, এক কথায় ভাবা যায় না।
আমাদের ভাবনার স্থির জলে একটুখানি ঢেঊ…..
ভাল থাকবেন।
@স্বপন মাঝি,
বুঝতে পারলাম বিশেষনের তীব্রতা একটু কম হয়ে গেছে। সমস্যা নাই পরেরবার ঠিক করে দেব।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কোন সন্দেহ নেই, পৃথিবী বৈচিত্রে ভরপুর; বাংলাদেশে একটু বেশি-ই।
:coffee:
:guli: :guli: :guli:
@স্বাধীন,
:coffee: । নেন ভাই মাথা ঠান্ডা করেন। 🙂
আপনার সুন্দর প্রতিবাদী কবিতা পড়ে দারুণ আনন্দ উপভোগ করলাম। যারা আজ রাজাকারদের পক্ষে মাঠে নেমেছে তারা নব্য রাজাকার, তাদেরকেও বাংলার নতুন প্রজন্মের তরুণরা ক্ষমা করবে না।
@Arupa,
এর বিরোধীদের সংখ্যাটা আশংকাজনক।
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
কবি, এত হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হবার কিছু নেই। এই সব হরতাল ফরতালের আসলে কোনো মূল্য নেই। সাকার মুক্তি চেয়ে হরতাল কারা ডেকেছে, সেটা জানি বলেই এ কথা বলছি। ‘এরা’ যে ‘আমরা’ নই এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। ‘এরা’ আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের শুধু খেয়াল রাখতে হবে যে, ‘এরা’ যেন কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2010/12/images.jpg[/img]
@ফরিদ আহমেদ, আপনি তো দেখি গানের ভান্ডারের পাশাপাশি ছবিরও ভান্দার খুলে বস্লেন। লিপিস্টিক দেওয়া কুমীর থেকে শুরু করে শিং ওয়ালা বাঁকা সাঁকা পর্যন্ত কিসসুই বাদ নাই।
@ফাহিম রেজা,
কতা সত্য। 😀
@ফরিদ আহমেদ,
কার্টুন টা লা জবাব।
সর্বদাই দেখি ঢাকা , চট্টগ্রাম, ও সন্নিহিত অঞ্ছলের রাজাকারদের নিয়ে লেখা লেখি হয় কিন্তু দেশের অন্যান অঞ্ছলের যেমন গোপালগঞ্জের রাজাকারদের নিয়ে লেখা লেখি হয়না। গোপাল্গঞ্জ, মাদারি পুর, ফরিদপুরে সাকা চৌধুরী না থাকলেও অনেক বড় রাজাকার ছিল।
সাকা চৌধুরী রাজাকার হলেও খুব আতিথেয় পরায়ন তা আপনার মুন মুন সেন কাহিনী হতে বঝা গেল। 😀
@সেন্টু টিকাদার,
তাই তো দেখছি।
ধন্যবাদ সেন্টু ভাই কমেন্টের জন্য।
@সেন্টু টিকাদার, কথা ঠিক, রাজাকারদের একটা লিস্টি যেন কোন ব্লগে দেখেছিলাম। তাতে ঐসব এলাকার অনেক নাম ছিল। আর ১৪ নাম্বারে ছিল পুতুলের দাদাশ্বশুরের নাম। এ নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে অনেক কথা হয়েছে। হাসিনা নিজেই সাফাই গেয়েছেন এই বলে যে তিনি পিস কমিটির সদস্য ছিলেন তবে কোনো অনৈতিক কাজ করেন নাই!
অফটপিক:
ক্রিকেট খেলা নিয়ে সেই পোস্টে সেদিন মন্তব্য করতে পারছিলাম না নেট স্লো থাকার জন্য। মনে হচ্ছে আপনি কোথায়ও বলেছিলেন যে আপনি টুঙ্গীপাড়ার মানুষ। (ঠিক কিনা?) তো যা বলতে চেয়েছিলাম- বঙ্গবন্ধু কলেজ সংলগ্ন বাড়ির এক ছেলে (এলাকায় লীগ হিসাবে খুব প্রভাব) নিউইয়র্কে এসে কিভাবে পাকিস্তানের অন্ধ সমর্থক হয়ে যায়, সেটা আমি আজো বুঝতে পারি নাই।
@ফরিদ আহমেদ,
এইটাই আসল কথা। ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।
ভাই কবিতা ভালো লিখেছেন,গালি-গালাজও ভালো হয়েছে :rotfl: :rotfl: :yes: :yes: :yes:
@রনি,
বুঝতে পারলাম গালাগালিডা আরেকটু কড়া করার দরকার আছিল। 😀
@সাইফুল ইসলাম, খুব অদ্ভুত একটা জাতি আমরা। এই সাকা, নিজামীরা তো জনগনের ভোট পেয়েই নির্বাচিত হয়ে আসে। সব জেনেশুনেও আমরা এদের জন্য ভোট দেই, হরতাল ডাকি। পৃথিবীর সব জাতিই হয়তো এরকম, কে জানে!
@বন্যা দি,
🙁
@বন্যা আহমেদ,
অদ্ভুতের কিছু নেই। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসে বটে, তবে জনগণ কতখানি মন থেকে এদেরকে নির্বাচিত করে সেটাই হচ্ছে আসল প্রশ্ন। টাকা আর ক্ষমতা থাকলে সবই হয়, ভোট কেনাও যায় বা দখলও করা যায়। ভোটতো ভোট, টাকা আর ক্ষমতা দিয়ে সুন্দরী নারীর অমূল্য দেহ-মনকেও পর্যন্ত কিনে ফেলা যায়।
ঘটনাটা ঘটেছিল দুই দশক আগে। মুনমুন সেন তখনও বিগতা যৌবনা হন নি। তো এই উদ্ভিন্ন যৌবনা মুনমুন সেন কয়েকদিনের জন্য সাকা চৌধুরীর একান্ত আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন। সাকাও তার অতিথিশালায় সুন্দরী অতিথির আদরযত্ন বেশ ভালভাবেই করেছিল। সাকায় মুগ্ধ মুনমুন সেন কোলকাতায় গিয়ে আনন্দলোক বা সানন্দাতে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশে সাকার মত এমন সুদর্শন এবং জ্ঞানী লোক আর দ্বিতীয়টি নেই। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
:rotfl:
@বন্যা আহমেদ,
অন্য জাতির কথা জানি না, তবে আমরা যে জাতি হিসেবে বেশ অকৃতজ্ঞ তা জানি। ধন্যবাদ বন্যাপা কমেন্টের জন্য।
Eবারের বিজয় দিবসটআ সাকার গ্রেপ্তারের কারণE স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আশআ করি কারাগার থেকে তার আর জ্যান্ত বের হয়ে আসা হবে না।
@পৃথিবী,
আমিন, ছুম্মা আমিন।