গত প্রায় তিন বছর ধরে চেষ্টার পর অবশেষে সফল হলো ইউসিএসএফের (UCSF=ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, স্যান ফ্র্যান্সিসকো) দলটা। বিকল্প বৃক্ক বা কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কারের পথে তারা বিশাল একটা মাইলফলক দাঁড় করালো। সারা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এই মুহূর্তে প্রায় জনা চল্লিশেক গবেষক পড়ে আছেন তাঁদের গবেষণাগারে একই কাজ করার জন্যে।
সাফল্য এলো ইউসিএসএফের হাত ধরে; আরো স্পষ্ট করে বললে দলনেতা ইউসিএফের স্কুল অব ফার্মেসি এবং মেডিসিনের যুগ্ম বিভাগ বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড থেরাপিউটিক সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক বাঙালি বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ড: শুভ রায়ের হাত ধরে। আমরা একটু গর্বিত হতেই পারি, এবং বেশ একটু।
ছোটবেলায় জীববিদ্যায় পড়া, বৃক্ক শরীরের ছাঁকন-অঙ্গ। আমাদের শরীরের তথা রক্তের আবর্জনা পরিস্রুত করে সিমবিচির মতো এই দুটি রেচনাঙ্গ মূত্রথলিতে যা জমায়, তা ত্যাগের আনন্দে আমরা নিতান্তই উদ্ভাসিত থাকি, পুরুষেরা তো যত্রতত্রই। কিন্তু, বিগড়োয় এটা শরীরের অন্য সব কিছুর মতোই। সারা জাঁহানে এ-মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ লোক ভুগছে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD)-এ, যার জন্যে প্রযোজ্য চিকিৎসা [Renal Replacement Treatment (RRT)] কেবল বৃক্ক প্রতিস্থাপন অথবা, ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রক্তশোধন। এখন অবধি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ৪ লাখ আর পৃথিবীজোড়া প্রায় ২০ লাখ রোগী তাঁদের রক্তশুদ্ধি ঘটাচ্ছেন ডায়ালাইসিস করে।
কিন্তু, হাজারো সমস্যা এগুলোর।
স্রেফ খরচ-খর্চা বাদ দিলে (যেটা অবহেলার যোগ্য মোটেও নয়, কিছুটা ধারণা দেবো পরে), নানান সমস্যাও যুক্ত হয়। তবে, বেঁচে থাকার জন্যে সয়ে যাওয়া, এটাই নীরবতার মানে হতে পারে।
সমস্যাগুলোর একটা তালিকা হতে পারে এরকম:
১) বৃক্ক প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে:
ক) দেবেটা কে? টিস্যু ম্যাচিং নামে একটা গুরুতর সমস্যা আছে, যেটার কারণে যথাসম্ভব কাছের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেই বৃক্ক সংগ্রহ করা জরুরি। কিন্তু, নানান কারণে সেটা হয়ে ওঠে না। তাই, অপেক্ষা…মৃত্যুর অথবা,…।
একটা পরিসংখ্যান বলছে, স্রেফ যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ৮৫,০০০ হতভাগ্য হাপিত্যেশ করে আছে একটা বৃক্কের জন্যে অপেক্ষমাণ তালিকায় নাম লিখিয়ে। এই তথ্য অগস্টের। ভাগ্যবান হয়েছে মাত্র ১৭,০০০, গোটা বছর জুড়ে। ভারতে প্রতিবছর প্রায় ১.৫ লক্ষ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে CKD-তে, নতুন বৃক্ক প্রতিস্থাপিত হচ্ছে মাত্র ৩,৫০০ জনের আর ৬,০০০ থেকে ১০,০০০ জন নিচ্ছেন ডায়ালাইসিস। বাকিদের ভাগ্যে কী আছে সেটা করুণভাবে অনুমেয়।
খ) এরপরও প্রচুর ওষুধ খেয়ে যেতেই হয়। কারণ, শরীর নানা কারণেই সেই বৃক্কটি প্রত্যাখ্যান করতে পারে। তাই, নানান সমস্যা তৈরি হয় বারবার।
গ) বৃক্কের সাথে নানা রোগ-জীবাণুও দাতার শরীর থেকে ঢুকে যেতে পারে গ্রহীতার শরীরে। মানে, চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগ ফ্রি।
গ) লাগে টাকা। কে দেবে? গৌরীসেন না মুসা বিন শমশের?
২) ডায়ালাইসিসের ক্ষেত্রে:
ক) প্রচুর সময় দিতে হয় চিকিৎসায়। সপ্তায় লাগাতার অন্তত তিনবার (যুক্তরাষ্ট্রে) বা দুবার (ভারতে) হাসপাতালে যেতে হয় এবং প্রতিবার প্রায় তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাটাতে হয়। মানে, স্বাভাবিক জীবনের বা কাজের আশা শেষ।
খ) তেমন সফল নয়। কার্যকর বৃক্কের তুলনায় ডায়ালাইসিস মাত্র শতকরা ১৩ ভাগের মতো কার্যকর, আর এটা চালিয়ে পাঁচ বছর বেঁচে থাকেন রোগীদের মাত্র ৩৩-৩৫ ভাগ। যাঁরা মৃত্যুবরণ করেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই মৃত্যুর কারণ হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যাওয়া। ঘটনা হচ্ছে, বৃক্ক শুধু রক্ত পরিশোধনই করে না। আরো কাজ আছে এর। যেমন: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, বিপাকীয় ও অনালগ্রন্থির ক্ষরণোত্তর কার্যক্রম, ভিটামিন ডি তৈরি ইত্যাদি। এর কোনটাই ডায়ালাইসিসে লভ্য নয়।
গ) শারীরিক দুর্বলতাও উপরি পাওনা। কারণ আগেই বলা। এটা বৃক্কের কাজের মাত্র একটাই করে। তাই, স্বাস্থ্য আর টেকে না।
ঘ) টাকা, মশাই, টাকা। ভালো লাগে না আর এতোবার এক্কথা বলতে!
ডঃ রায়দের দলটি ঠিক এখানেই হাত দিয়েছে। তাঁদের আবিষ্কৃত যন্ত্রটি, বৃক্কীয় সহায়ক যন্ত্র বা রেনাল এ্যাসিস্ট ডিভাইস (RAD), দূর করতে পারবে CKD-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত পদ্ধতির অনেক অসুবিধেই। দাবি প্রমাণের স্বপক্ষে এখন তাঁরা একটা মস্ত ঘরজোড়া প্রোটোটাইপ বানিয়েছেন। সাফল্য দাবি করতে গিয়ে তাঁরা পরীক্ষাও চালিয়েছেন বেশ কয়েক ডজন ইঁদুর আর নাম-না-জানা গন্ডাখানেক শুয়োরের ওপর। তাঁদের দাবি, যন্ত্রটা বেশ ভালোভাবেই কাজ করেছে ওখানটায়। কিন্তু, মানবদেহের ওপর পরীক্ষা তাঁরা এখনো সেরকমভাবে চালান নি।
ডঃ রায় স্নাতক হন ওহিওর আলিয়ন্সের মাউন্ট ইউনিয়ন কলেজ থেকে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি তাঁর প্রকৌশলে, তবে পরবর্তীকালে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। পিএইচডি অবশ্য তড়িৎ প্রকৌশলে। তাঁর দক্ষতা মেমস (MEMS=Micro-electromechanical Systems) প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানান চিকিৎসাসম্বন্ধীয় যন্ত্র আবিষ্কারে। এর আগে তিনি হৃৎপিণ্ডে ঠিক জায়গায় স্টেন্ট বসানোর জন্যে করোনারি প্লাক নির্ধারণে খুদে তারহীন সেন্সর তৈরিতে কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে পেয়েছেন টিআর৩৫ পুরস্কার। তাঁর কিছু কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাবেন এখানে।
এই যুগান্তকারী কাজে তিনি একা নন, বলা হয়েছে আগেই। ইউসিএসএফে তাঁদের দলটা ছাড়াও আরো দশটা দল কাজ করছে তাঁর সাথে। এরমধ্যে আছে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, যেখানে ডঃ রায় প্রথম এই যন্ত্রটার ব্যাপারে কাজ শুরু করেন। এছাড়া আছে কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান, ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং পেন স্টেট ইউনিভার্সিটি। তিনি নন পথিকৃতও। এর আগের নানামুখী উদ্ভাবন তাঁদের কাজ বহুগুণে এগিয়ে দিয়েছে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজিস্ট (রেচনাঙ্গ বিশেষজ্ঞ) ডেভিড হিউমস ২০০৪ সালেই দেখান যে, যেসব রোগীদের বৃক্ক কাজ-করা বন্ধই করে দিয়েছে, তাদের জন্যে কক্ষাকৃতি পরিশোধন যন্ত্রে মানব বৃক্কের কোষ ব্যবহার করে তাদের স্বাস্থ্যের বেশ উন্নতি ঘটানো যায়। অর্থাৎ, বায়োরিএ্যাক্টর বৃক্ক তৈরির সম্ভাবনা তিনিই দেখান। আর, এরপরে ডঃ রায় এবং ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের নেফ্রোলজিস্ট উইলিয়াম ফিসেল একটা অতিক্ষুদ্র ছিদ্রময় সিলিকন ঝিল্লি তৈরি করেন, যেটা ডায়ালাইসিস যন্ত্রগুলো মাপে বেশ ছোট করে আনবে।
হিউমস প্রয়োজনীয় মাত্রায় বৃক্কের কোষগুলো গবেষণাগারে কালচার করার উপায় উদ্ভাবন করেছেন। স্রেফ একটা বৃক্ক থেকেই মোটামুটি ১ লক্ষ যন্ত্রের জন্যে দরকারি কোষ কালচার করতে পারেন তিনি। এছাড়া, ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্যে সেগুলো শীতক কক্ষে সংরক্ষণের সেরা পদ্ধতিও তিনি আবিষ্কার করেছেন। হিউমস রক্তশোধক এবং বায়োরিএ্যাক্টরের সমন্বয় ঘটিয়ে প্রথাগত RRT-কে চ্যালেঞ্জ জানান। তাঁর পিয়ার-রিভিউড প্রকাশনায় তিনি RAD (Renal Assist Device)-র সাফল্য নিয়ে আশা জাগান, বলেন RAD-এর অসুস্থদের বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা RRT-এর চাইতে অনেক বেশি। ১০ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে ৬ জনই ৩০ দিনের ওপরে বেঁচে থাকেন।
তাঁর একটা সাক্ষাৎকারে সরল ভাষায় কিছু কথা বলা আছে, আগ্রহীরা দেখতে পারেন। এছাড়া, তাঁকে নিয়ে ম্যাসেচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনলজির অনলাইন পত্রিকা টেকনোলজি রিভিউয়ের একটা রিপোর্টিং পাবেন এখানে।
শুভ রায় এবং তাঁর দল এই বায়োরিএ্যাক্টর বৃক্কটিই উৎপাদন করেছেন, তবে এখনো তাঁরা বলছেন না যে, বৃক্ক প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়াটিই তাঁদের যন্ত্রের মাধ্যমে বাসি হয়ে পড়বে। বরং, তাঁর সহগবেষক ফিসেলের মতে, “বৃক্কে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ধরনের কোষ থাকে, নানানটার নানা কাজ। আমরা প্রধানত রেচনাঙ্গ ব্যর্থতার ভয়াবহ ব্যাপারটা সমাধানেই আগ্রহী। আপনি যদি বৃক্ক পাওয়ার জন্যে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকেন, তাহলে এই যন্ত্র আপনার অপেক্ষাটা সার্থক করবে।” তাঁর বক্তব্য, যেসব রোগী অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন, এটা তাঁদের বৃক্ক চাহিদা আর প্রাপ্তির সেতুবন্ধন ঘটাবে।
এবার আসা যাক যন্ত্রটা কিরকম এবং কেমনভাবে কাজ করে সেটা একনজর দেখে নিতে। স্যুপের টিনের মাপের যন্ত্রটার একটা প্রতিরূপও এর মধ্যে তাঁরা তৈরি করেছেন। ওটার মূল অংশ দুটো:
১) এর অর্ধেক অংশ জুড়ে আছে শরীরের বিষ(টক্সিন)মোচন অংশ। ওটায় হাজারো সিলিকন ঝিল্লি একসাথে জুড়ে দেওয়া আছে। ওই ঝিল্লির খুদে ছিদ্রগুলো এতো ঘন আর এতো নিখুঁতভাবে তৈরি করা যে, তারা শরীরের নিজস্ব রক্তচাপ ব্যবহার করেই (অর্থাৎ, বাইরের কোন শক্তির ধার না ধেরেই) পরিস্রাবণ প্রক্রিয়া চালু রাখতে পারে। এই ছাঁকনিগুলোর ভেতর দিয়ে রক্ত বয়ে যাবে, আর পরিস্রুত দ্রবণ হিসেবে আলাদা হয়ে বেরিয়ে আসবে বিষ, শর্করা, জল আর লবণ।
বিশুদ্ধ রক্ত আর জলীয় পরিস্রুত দ্রবণ দুটোই এবার যন্ত্রের বাকি অর্ধাংশে যাবে, ওটা একটা আলাদা বদ্ধ অংশ, একটা বায়োকার্ট্রিজ।
২) ওখানে আছে আরো সিলিকন ঝিল্লি, ওগুলো নির্দিষ্ট একরকমের মানববৃক্কের কোষ দিয়ে মোড়ানো। ওপরে-বলা পরিস্রুত রক্ত আর দ্রবণ দুটোই যখন এই বদ্ধ অংশের (বায়োকার্ট্রিজ) ভেতর দিয়ে যায়, তখন যন্ত্রটা কিছুটা জল, শর্করা আর লবণ শুষে নেয়, তৈরি করে ভিটামিন ডি আর রক্তচাপ খুব কমে-যাওয়া রোধ করে। শরীরে বৃক্ক এই কাজগুলোই করে, কিন্তু ডায়ালাইসিস করে এগুলো পাওয়া যাবে না।
যেসব বর্জ্য আত্মীকৃত হলো না একটা নল সেগুলো বয়ে নিয়ে যাবে মূত্রনালীতে আর সেগুলো বর্জ্য হিসেবে ব্যহ্ যায়েগা-ঠিক যেমন কিনা আপনার শরীরের পাম্প মেশিন আকা কিডনি করছে।
আরো একটু স্পষ্ট হতে পারে এবিসিসেভেন টিভির রিপোর্টিঙের এই ভিডিওটা দেখলে।
রক্তচাপের চাইতেও কম চাপে এই যন্ত্র কাজ করতে পারে, যেটা কিনা বিশাল একটা প্রাপ্তি, এতে করে এটা মাপে ছোট করার সম্ভাবনাও বেড়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য গবেষক দলগুলো এখনো শুধু রক্তশোধন প্রক্রিয়া নিয়েই কাজ করছে, কেউ কেউ চেষ্টা করছে পরিধানযোগ্য বৃক্ব বানানোর, সমস্যা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ তরল বাইরের পাম্প ছাড়াই কিভাবে বিশোধন করা যাবে সেটা। এরকম একটা যন্ত্র এরই মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে আছে। কিন্তু, নিরন্তর ডায়ালাইসিস করেও তো বৃক্কের অন্য কাজগুলো করা যাবে না। এখানেই, নীরবে সবার ওপরে ডঃ রায়ের দলটি।
তাঁরা আশা করছেন আরো অর্থের যোগান আর দলগত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে তাঁরা বড়মাপের পশু এবং এরপর মানুষের ওপর তাঁদের যন্ত্রের যথার্থতা পরীক্ষা করবেন। তবে, সাধারণ মানুষের নাগালে আসতে আরো প্রায় ৫-৭ বছর লাগবে বলে ডঃ রায় জানান। যদি ঠিকভাবে বাজারজাত করা যায়-এরমধ্যে এফডিএ-র অনুমোদন এবং আরো কিছু মেলে-তাহলে এটার দাম পড়বে প্রায় ২৫,০০০ মার্কিন ডলার, মানে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭,৫০,০০০ (সাড়ে সতের লক্ষ) টাকা। তবে, এটা এককালীন খরচ। নিতে হবে না কোন বাড়তি ওষুধ, যেমনটা হয় বৃক্ক প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে, টিকবে অনেক দিন (গবেষকদের দাবি)।
বলেছিলাম খরচের কথা বলবো অন্য চিকিৎসাপদ্ধতিগুলোর। এবার একটু ধারণা দেই। মার্কিন মুল্লুকে ডায়ালাইসিসের খরচ পড়ে বছরে প্রায় ৭৫,০০০ ডলার। আর বৃক্ক প্রতিস্থাপনের প্রতি বছর গড়পড়তা খরচ হয়ে থাকে ২৫,০০০ ডলার। এই খরচ বেশিরভাগই এন্টি-রিজেকশন ড্রাগের, যেটা RDA-তে দরকারি নয়, কারণ কোন দেহকোষ সংক্রমণের জন্যে উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে না।
যেটা বলা, আরো পাঁচ-সাত বছর সমস্যা নয় যদি যন্ত্রটা আসলেই কাজ করে। আরো সমস্যাও রয়ে গেছে সমাধানের জন্যে। যেমন, আমাদের প্রাকৃতিক বৃক্ক দিনে প্রায় ৯০ লিটার জলীয় দ্রব্য পরিস্রাবণ করে। সেখানে এখনো তৈরি-করা বায়োকার্ট্রিজটা দিনে মাত্র ৩০-৩৫ লিটার জল পরিস্রাবণের ক্ষমতা রাখে, যেখানে অন্তত ৪৩ লিটার পরিস্রাবণ করতেই হবে। আরো দেখতে হবে যন্ত্রটা যেন রক্ত জমাট বাঁধিয়ে না ফেলে বা ইমিউন রিএ্যাকশন তৈরি না করে। পথটা নেহাৎ ছোট নয়।
এরমধ্যে আরেকটা মজার ব্যাপার।
ভারতীয় মিডিয়াগুলো ডঃ শুভ রায়কে ভারতীয় বা ভারতীয়-আমেরিকান হিসেবে প্রচার করে বেশ আত্মশ্লাঘার ঢেঁকুর তুলছে। যদিও নিউ কেরালা ডটকমের এই লেখাটায় তাঁর জন্ম বাংলাদেশে, তাঁর আত্মীয়স্বজন অনেকেই বাংলাদেশে এখনো আছেন বলে বলা হয়েছে (তাঁর ভাষায়, “আমার বাবার দিকের প্রায় আত্মীয়েরাই এখন ভারতে, মায়ের দিকের বেশিরভাগই বাংলাদেশে), তারপরও রিপোর্টটার শুরুতে তাঁকে পরিচিত করিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত’ হিসেবে। সিএনএন-আইবিএন, ভারতের একটা খবরের চ্যানেল, তাঁকে ভারতীয় দাবি করে রীতিমত একটা রিপোর্টিঙই করে ফেললো। মজার বা দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, কালের কণ্ঠ গত ৫ ডিসেম্বরের পত্রিকায় আনন্দবাজার পত্রিকা অনুসরণে একটা রিপোর্টিং করেছে, যেখানে তারাও যথারীতি তাঁকে ভারতীয় বলেই উল্লেখ করেছে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=FUgsn5Z6oBE’
তাঁর পিতামহ চট্টগ্রামের একটা মফস্বলের মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে সুপরিচিত, বিশেষত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাঁর জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য এখনো অনেক প্রবীণ শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। তাঁর পিতা চট্টগ্রামের এক মোটামুটি পরিচিত ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যদিও প্রায়ই পায়ের তলায় সর্ষে। তাঁর ছোটভাই ডঃ জয় রায় (১৯৭১-এর শেষদিকে জন্ম, তাই এই নাম) আবার চিকিৎসক (Doctor এবং Doctorate দুইই), সুইডেনের শ্রুতকীর্তি ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটে, যেটা নোবেল পুরস্কার দেয়।
ঠিক বোধগম্য নয় কোন হিসেবে তিনি ভারতীয়! তাঁর কাকারা বা অন্য কিছু আত্মীয় ভারতে হিজরত করেছেন বা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে? এভাবেই বোধহয় সালমান খান পাকিস্তানি হয়ে যান। বিশ্বমিডিয়ায় এসব তথ্য অর্থহীন, বুঝতে পারি। কিন্তু, তাঁর নামের সাথে বাংলাদেশের নাম যুক্ত থাকলে দেশের মানুষ হিসেবে কিছুটা বুক-ফুলে ওঠার এই সামান্য-বা-অসামান্য অনুভূতিটাও হারিয়ে ফেলতেই হবে?
অভিযোগ করবো? কিন্তু, কার কাছে?
[লেখক চিকিৎসাবিজ্ঞানসংক্রান্ত ব্যাপারে বিশেষ-অজ্ঞ বলে কেউ যদি ভুল ধরিয়ে দেন, তাহলে কৃতজ্ঞতা জানানো হবে। তবে, ভুল সংশোধন করা হবে কি-না, সেটা নিশ্চিত নয় ;-)। আর, লেখা নিয়ে কোন মন্তব্যের জবাব না দেওয়ারই বিশেষ সম্ভাবনা, কারণ লিখতে গিয়েই সব মেধা বা বিদ্যে খতম! :-(]
আশা করি, এবার সবাই নিশ্চিত হবেন যে, তাঁর জন্ম কোথায় এবং তিনি আদিতে কোন দেশের পাসপোর্টধারী ছিলেন!
বিপ্লব পালও আশা করি, তাঁর স্যুইপিং রিমার্ক ফিরিয়ে নিয়ে বন্যার মন্তব্যে ‘লাইক’ বোতাম চেপে যাবেন। ফরিদ ভাইও হবেন নিঃসংশয় 😀
প্রথম আলো-তে এশেছে।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-12-12/news/115341
শুভ রায় আমেরিকান নাগরিক অনেক দিন থেকেই। তিনি বাংলাদেশী না ভারতীয় সেই প্রশ্ন এখানে অবান্তর। তার কৃতিত্বে ভারত বা বাংলাদেশের বিন্দুমাত্র অবদান নেই।
আমেরিকাতে দক্ষিন এশিয়ার লোকেদের আইডেন্টির একটা বড় অংশ ভারত কেন্দ্রিক-সেখানে হিন্দু নাম হলে, তাকে আমেরিকান ভারতীয় করে দেওয়াটা মিডিয়ার জন্যে সব থেকে স্বাভাবিক কাজ। ভারতীয় মিডিয়াতে তাকে ভারতীয় বলে ঢালাও করে প্রচার করা হচ্ছে। ভারতীয়ত্ব বিক্রি করে সব মিডিয়াই খায় তারাও খাচ্ছে।
কিন্ত বাংলাদেশের কোন সংবাদপত্র তাকে আমেরিকান বাংলাদেশী দাবি করে কোন সংবাদ বা ইন্টারভিউ ছাপালো না কেন?? তিনি হিন্দু বলে, সেই খবরটা বাজারে চলবে না?
শুভ রায় যদি শুভ আহমেদ বা এই টাইপের মুসলমাম নাম হত-ভারতীয় ও মিডিয়া তাকে ভারতীয় বলে দাবি করার আগে চেক করত-বাংলাদেশে জন্ম জানলে, খবর ছাপাত না। বাংলাদেশের সংবাদপত্রে তাকে বাংলাদেশী আমেরিকানের বিরাট কৃতিত্ব বলে খবর ছাপাত। কারন মুসলমান নাম বলে বাজারে খেত।
আইডেন্টি রাজনীতি এবং মানুষে মানুষে ভেদ এত গভীরে ঢুকিয়েছে মিডিয়া ও এই সমাজ-মাঝে মাঝে নিজেকে এই সমাজের লোক ভাবতেও ঘৃণা হয়-নিৎসের ভাষায় এমব্যারাসমেন্ট টু মাইসেলফ।
@বিপ্লব পাল,
শুভ রায়ের এ ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া কোনভাবে পাওয়া যায় না 🙂 ? ওনার জাতপাত নিয়ে এহেন ধস্তাধস্তি উনি কি চোখে দেখেন?
@বিপ্লব পাল,
বাংলাদেশের সংবাদপত্রে তাকে বাংলাদেশী আমেরিকানের না বলে, মনে হয় বাংলাদেশী মুসলমানের কিংবা আমেরিকান মুসলমানের বিরাট কৃতিত্ব বলে খবর ছাপাত।
আমরা আগে মুসলমান তারপর বাংলাদেশি, বাঙ্গালি মোটেই নই।
@আকাশ মালিক,
আপনার এবং বিপ্লব দুজনেরই বক্তব্যই মারাত্মক রকমের অতিরঞ্জিত। আমাদের মূলধারার প্রিন্ট মিডিয়া এখন পর্যন্ত ওই রকম পর্যায়ে যায় নি বলেই আমার ধারণা। আমাদের প্রিন্ট মিডিয়াকে অথর্ব বলা যেতে পারে, কিন্তু সাম্প্রদায়িক বলার মত কিছু এখনও চোখে পড়ে নি আমার।
@বিপ্লব পাল, আমার মনে হয় কোন বিজ্ঞানী তাঁর পরিচয় নিয়ে নিজে থেকে কিছু না বললে আমাদের সেটা নিয়ে মাতামাতি না করাই ভাল, এতে করে শুধু আমাদের হীনম্মন্যতাই প্রকাশ পায়। মাকসুদুল হক বাংলাদেশ সরকারের টাকায় যে কাজ করেছেন তা নিয়ে বাংলাদেশীরা গর্ব করতেই পারে। কিন্তু শুভ রায় আমেরিকার টাকায় যাই করুন, তার বিন্দুমাত্র ক্রেডিট বাংলাদেশ(বা ভারত) উপভোগ করতে পারবে না। জন্ম পরিচয় দিয়ে কিইবা আসে যায়, কাজেই পরিচয়। আমাদের যাঁদের কোন প্রকার সহায়তা করছি না, তাঁদের সাফল্যে আমাদের আত্মতৃপ্তিতে নাচানাচি করাটা একদমই মানায় না।
@বিপ্লব পাল,
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা আমার কাছে একদমই অসম্ভব মনে হচ্ছে। ভারতের কথা বলতে পারব না, তবে বাংলাদেশের জাইটগাইস্ট এখনও পাকিস্তানের স্তরে পতিত হয়নি।
@পৃথিবী,
অসম্ভব কেন হবে? বিপ্লব পালের প্রশ্ন ছিল “কিন্ত বাংলাদেশের কোন সংবাদপত্র তাকে আমেরিকান বাংলাদেশী দাবি করে কোন সংবাদ বা ইন্টারভিউ ছাপালো না কেন??” এর উত্তর তো কেউ দিল না। অসম্ভব বলা যেত যদি সেরকম সংবাদ বা ইন্টারভিউ ছাপান হত। যেহেতু এটা ঘটেনি এটা খুবই সম্ভব। পর্যবেক্ষন করেই তো বিচার করতে হয়। এটা ঘটতে পারে না ওটা ঘটতে পারেনা এরমকম দাবী করলেই হলনা। বাস্তবতা কি সেটাই বিবেচ্য।
বিপ্লব পালের পরের প্রশ্নটা ‘তিনি হিন্দু বলে, সেই খবরটা বাজারে চলবে না?’ আগের প্রশ্নটার সম্পূরক উত্তর হিসাবে এসেছে। সেটা হয়তো আপনার নজর এড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের কোনো পত্রিকা বাংলাদেশি আমেরিকান হিসাবে এখন পর্যন্ত তাঁর সাক্ষাৎকারছাপে নি এটা সত্যি, ছাপবে যে না একথা বলা যাচ্ছে না। সেই না ছাপার সাথে বিপ্লব কীভাবে পর্যবেক্ষণে পৌঁছোতে পারে যে ডঃ শুভ রায় হিন্দু বলে বাংলাদেশের সংবাদপত্র তাঁর কথা ছাপায় নি। এখানে বাস্তবতাটা কী?
@ফরিদ আহমেদ,
মিডিয়াকে আমি একটু বেশী ভাল করে চিনি। মিডিয়া সাম্প্রদায়িক না। মিডিয়া হচ্ছে বেশ্যার ও অধম ব্যাবসায়ী। যে খবর বাজারে খাবে, তারা শুধু সেই খবরের পেছনেই টাকা ঢালবে। প্রশ্ন হচ্ছে একজন বাংলাদেশী হিন্দুর সাফল্যের খবর বাংলাদেশী বাজারে খাবে কি না?? যদি খেত, খবরটা কেও না কেও ছাপাত। পশ্চিম বঙ্গের প্রায় সব কাগজেই কিন্ত ছাপিয়েছে যারা বাংলাদেশের সংবাদ পত্রের চেয়ে প্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে আছে।
@বিপ্লব পাল,
মিডিয়া যে বেশ্যা ও অধম ব্যবসায়ী এ বিষয়ে তোমার সাথে একমত আমি। তবে একেবারেই একমত না এটার সঙ্গে যে শুভ রায় হিন্দু বলে বাংলাদেশি বাজারে তাঁর সাফল্য বিক্রি হবে না। বাংলাদেশের মানুষের বিষয়ে তোমার জ্ঞানের অপূর্ণতা এখনও রয়েই গেছে দেখছি। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
মিডিয়া যে বেশ্যা ও অধম ব্যবসায়ী এ বিষয়ে বিপ্লবের সাথে একমত হলে এটাও মানতে হবে যে ডঃ শুভ রায়ের সাফল্য বাংলাদেশি বাজারে বিক্রি হলে তারা তাহলে ছাপাত। এটাই তো বেশ্যা ও অধম ব্যবসায়ীর অর্থ। যা চলে তা বেচ। তারা যে ছাপায় নি সেটাই প্রমাণ করে যে বাজারে এটা বিক্রী হবে না। এটাকেই বাস্তবতা বলতে চেয়েছিলাম। তবে একেবার হয় ০ নাহলে ১০০ এরকম চিন্তা করা ঠিক নয়। কম বেশি বিক্রীর ব্যাপার। হয়ত শুভ রায় বলে যতটা বিক্রী হবে শুভ আহমদ হলে তার চেয়ে বেশী বিক্রী হত। কস্ট বেনেফিট চিন্তা করেছে হয়ত তারা।
এটা একটা ভুল বিচার। উপরে আকাশ মালিক এর মন্তব্যঃ
বাংলাদেশের সংবাদপত্রে তাকে বাংলাদেশী আমেরিকানের না বলে, মনে হয় বাংলাদেশী মুসলমানের কিংবা আমেরিকান মুসলমানের বিরাট কৃতিত্ব বলে খবর ছাপাত। আমরা আগে মুসলমান তারপর বাংলাদেশি, বাঙ্গালি মোটেই নই।
টা তো বিপ্লব পালের মন্তব্যের চেয়ে ঢের বেশী স্টিরিওটাইপিং। আকাশ মালিক এর মন্তব্যকে মারাত্মক অতিরঞ্জনও বলেছেন। বাংলাদেশের মানুষের বিষয়ে বাংলাদেশীরাই যদি এত অজ্ঞ হয় তাহলে বিপ্লব পালের কি দোষ। তবুও বিপ্লব পালের মন্তব্য বাস্তবতার ও যুক্তির বেশি কাছাকাছি আকাশ মালিকের চেয়ে।
@যাযাবর,
বিপ্লবকে খুব বেশি দোষ অবশ্য দেই নি আমি। এটা বাংলাদেশ সম্পর্কে টিপিক্যাল ভারতীয় মানসিকতা। তাদের ধারণা যে বাংলাদেশ একটা ইসলামিক মৌলবাদী দেশ। খুব অল্প সংখ্যক ভারতীয়ই এই ধারণার উর্ধ্বে উঠতে পারে। সে কারণেই বিপ্লবের মন্তব্যের কোনো পালটা মন্তব্য আমি করি নি প্রথমে। মন্তব্য করেছি তখনই যখন আকাশ মালিক ঢালাও মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের সংবাদপত্র সম্পর্কে (যদি তিনি সংগ্রাম, নয়া দিগন্তের মত সাম্প্রদায়িক পত্রিকাগুলোকে সিঙ্গল আউট করে বলতেন, তাহলে অবশ্য কোনো বিরোধিতাই আসতো না আমার তরফ থেকে।)।
তবে বিপ্লবের ছোট্ট একটু সমস্যা আছে। ও প্রায়ই বাংলাদেশ নিয়ে খুব সরলীকরণ মন্তব্য করে ফেলে। ওর বাংলাদেশ সম্পর্কে যে জ্ঞান, তার চেয়ে পশ্চিম বাংলা বা ভারত সম্পর্কে অনেক বেশি জ্ঞান নিয়েও, মুক্তমনায় অনেক বাংলাদেশিই পশ্চিম বাংলা বা ভারত সম্পর্কে ওরকম হালকা মন্তব্য করে না।
বাংলাদেশের মানুষ হলেই যে বাংলাদেশ সম্পর্কে অজ্ঞ হবে না বা বাংলাদেশ বিরোধী হবে না এমন কোনো কথা নেই। কার কোথায় সমস্যা আছে, বা কে কোন কারণে বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষ পুষে রেখেছে, সেটাতো আর আমরা জানি না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
ভারতীয় মিডিয়া যে মুসলিম হলে এতটা উদ্যোগী হয়ে ছাপাত না, আমি সেটা আগেই বলেছি। তাই কোন দেশের বিরুদ্ধে এই উক্তি না। আমি ভারতীয় হিন্দুদের সাম্প্রদায়িকতা স্বীকার করে নিচ্ছি।
আমি জাতি ধর্ম দেশের ওপরে উঠেই লেখার চেষ্টা করি। কৃত্রিম কিড নির খবরটা সব আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেই গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে। বিজ্ঞান এং প্রযুক্তির খবর প্রতিদিন আমি অনেক সার্চ করি।
বাংলাদেশ কেন ছাপেনি সেটা একটু আশ্চর্য্য ত বটেই! যেখানে ভদ্রলোকের ফ্যামিলি বাংলাদেশেই থাকেন।
@বিপ্লব পাল,
তোমার আন্তরিকতাটা বুঝতে পারছি। আমি এখানে হিন্দুদের সাম্প্রদায়িকতা বা ভারতেও সাম্প্রদায়িকতা আছে বাংলাদেশের মতই সে বিষয়ে যাচ্ছি না। সাম্প্রদায়িকতা কমবেশি সব দেশেই আছে, সব ধর্মেই আছে। আমার মূল পয়েন্টটা হচ্ছে শুভ রায়ের খবরটা আমাদের সংবাদপত্রে না ছাপানোতে যে তিনি হিন্দু এই বিষয়টা মূখ্য না, সেটারই বিরোধিতা করা। আমাদের সবচেয়ে আশার জায়গাটা ওইখানেই যে, বাংলাদেশের মূল ধারার সংবাদপত্রসমূহ এখনও ধর্মনিরপেক্ষতাকে লালন করেই চলেছে।
@ফরিদ আহমেদ,
এই থিসিসটা কেমন? খবরটি প্রচারিত হয়নি সাম্প্রদায়িকতার কারণে নয়, বরং হিন্দুদের ক্রমশ ভারতে চলে যাওয়া বিষয়ক অস্বস্তির কারণে। শুভ রায় যদি “পুরোপুরি” বাংলাদেশি হতেন তাহলে বড় করে প্রচারিত হত। এটা ঠিক আমার মতামত নয়, সম্ভাব্য অনুমান।
@রৌরব,
কী করে বলবো? এই অস্বস্তিটুকু কি আমাদের মূল সংবাদপত্রগুলোর আছে? থাকতে পারে, আবার নাও থাকতে পারে। সত্যি কথা হচ্ছে, জানি না বিষয়টা।
শুভ রায় পুরোপুরি-ই বাংলাদেশি এতে কোনো সন্দেহ নেই, যেহেতু তিনি জন্মেছেন বাংলাদেশে একজন বাংলাদেশি মহিলার গর্ভে। ব্লাডি সিভিলিয়ানের দেয়া তথ্য যদি সঠিক হয় তবে তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্টই বহন করছেন এখন পর্যন্ত। কিন্তু তিনি নিজে কতখানি বাংলাদেশের বিষয়ে মানসিকভাবে সম্পৃক্ত সেটাই হচ্ছে আসল প্রশ্ন। যার বাবা ভারতীয়, মা বাংলাদেশি, জন্মেছেন বাংলাদেশে, কিন্তু ছোটোবেলায় পড়াশোনা করেছেন ভারতে, তারপর বাবার সাথে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন উগান্ডায়, পরে চলে গেছেন আমেরিকায়, তিনি হয়তো রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশি পাসপোর্ট বহন করেন, কিন্তু বাংলাদেশের প্রতি নাড়ির টানটুকু অনুভব করেন কি না, সেটা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ জাগতেই পারে।
@ফরিদ আহমেদ,
উপরে দিগন্তকে দেখলাম অভিজিৎকে বলেছেনঃ
@ব্রাইট স্মাইল্,
শুভ রায় মার্কিন নাগরিক হতেই পারেন। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মার্কিন দেশে আসার আগে তার নিশ্চয়ই ভিন্ন একটা দেশের পাসপোর্ট ছিল। সেটি বাংলাদেশি হবার সম্ভাবনাটাই সবচেয়ে বেশি।
আরেকটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন এখানে। শুভ রায়ের যেহেতু তিনটা দেশের সাথে গাঢ়ভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে, তিনি কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে চান এটা সম্পূর্ণই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় হওয়া উচিত। বাবা ভারতীয় বলে ভারতীয়রা তাকে নিয়ে টানা হেঁচড়া করবে, বাংলাদেশে জন্মেছেন বলে বাংলাদেশিরা, বা মার্কিন নাগরিকত্ব আছে বলে গর্ব করার অধিকার ছেড়ে দিতে হবে আমাদের সেটিও নয় (তাহলে বন্যা, অভি, স্নিগ্ধা, ক্যাথেরীনা, ইরতিশাদ ভাইয়ের উপর অধিকারও আমাদের ছেড়ে দিতে হবে যে)। তিনি যদি বলেন তিনি ভারতীয় তবে তিনি ভারতীয়, যদি বলেন বাংলাদেশি তবে বাংলাদেশি আর যদি বলেন যে মার্কিনি, তবে তিনি মার্কিনি। সোজা হিসাব।
@ফরিদ আহমেদ,
আমার ধারণা বাংলাদেশের সংবাদপত্রে যারা খবরটি দিবেন তারা এখনো খবরটি পায়নি বা এটা যে একটি ভালো খবর সেটা বুঝে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা আমাদের সাংবাদিকদের বিজ্ঞানবিমুখতার একটি দিক হিসেবে দেখা যেতে পারে। দেখতে পারেন যে বিজ্ঞান নিয়ে যে কোন খবরই বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোতে দেখা যায় না। সে কারণেই মুক্তমনার মত ব্লগের প্রয়োজন আরো বেশি বেশি। এখানে হিন্দু/মুসলমান পরিচয় বাজে কথা। আমিও ফরিদ ভাইয়ের সাথেই সহমত প্রকাশ করি। দু’একটি পত্রিকা বাদে মূলধারার পত্রিকাগুলো অসম্প্রাদায়িক মনোভাবেরই পরিচয় দিয়ে আসছে।
@বিপ্লব পাল,
খবরটা কালের কণ্ঠে এসেছে।
http://dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Bank&pub_no=367&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&news_id=111108
@যাযাবর, বাংলাদেশী মিডিয়া খুব একটা উন্নত মানের না, এই খবর না ছাপানোর পেছনে একটা খুবই স্বাভাবিক কারণ হতে পারে এই ঘটনা সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা। খবর না ছাপানোর পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, সাম্প্রদায়িকতা তার মধ্যে একটা খুবই নগণ্য কারণ। তাছাড়া যে মিডিয়া হিন্দু বাঙ্গালীর কাজের কথা প্রকাশ করতে অপারগ সেই একই মিডিয়া কিভাবে ইহুদি-নাছারাদের আবিস্কারের কথা দৈনন্দিন ভিত্তিতে ছাপাতে পারে-একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? ইহুদি-নাছারারা তো হিন্দুদের চেয়েও মুসলমানদের বড় শত্রু।
কোন বাস্তবতা?
@পৃথিবী, বিপ্লব এবং ফরিদ আহমেদ, আমিও মনে করি খবরটা না ছাপানোর পিছনে অজ্ঞতা, প্রফেশানালিজমের অভাব, মৌলিক খবর না ছাপিয়ে বিদেশী পত্রিকা থেকে কাট এন্ড পেস্ট করার প্রবনাতাই মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এবং মিডিয়াগুলো এখনও এমন অবস্থানে যায়নি যে মুসলমান না হলে তাদের সম্পর্কে সংবাদ ছাপানো হবে না। বরং বলা যেতে পারে যে আমাদের মধ্যে অজ্ঞতা এবং অলসতা এতই প্রবল যে এ ধরণের খবর খুঁজে বের করার জন্য যেটুকু শ্রম বা মেধার প্রয়োজন হয় সেটাও আমাদের নেই। আমার আশে পাশে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করা ‘দেশী হিন্দু’র অভাব নেই এবং আমি মিডিয়াকে কখনই দেখিনি শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে তাদের খবর না ছাপাতে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নেই এ কথা বলছি না, বলতে চাচ্ছি যে শুধুমাত্র ‘হিন্দু হওয়ার কারণে এরকম একটা খবর দেশীয় পত্রিকা ছাপাবে না’ বা ‘পাবলিক তা খাবে না’ ধরণের কথাবার্তাগুলো একটু সরলীকরণ বলেই মনে হয়, এ ধরণের অবস্থায় ধর্মের চেয়ে ‘সংকীর্ণ জাতীয়তাবোধ’টা অনেক বড় ভূমিকা রাখার কথা।
@বন্যা আহমেদ,
স্বাধীন,বন্যা আপানাদের সাথে এক মত।
(বাংলাদেশ আমার প্রিয় জন্ম ভুমি আর ভারত আমার প্রিয় কর্ম ভুমি।) আমার আন্তরিক বিশ্বাস এবং যা দেখি ও পড়ি বাংলাদেশের সংবাদপত্রে, তাতে মনে হয় না বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি সাম্প্রদায়িক (এক টা দুটো ছাড়া)। এনেক সময় তারা অনেক খবর সংগ্রহ করতে পারে না বা অনেক সময় ভারতীয় সংবাদপত্রের রেফারেন্স দিয়ে কনো কোন আন্তর্জাতিক খবর প্রকাশ করে।
@পৃথিবী,
সহমত। উপরে মন্তব্য দিয়ে দেখলাম যে তুমিও এই বিষয়টি এনেছো। আমিও মনে করি এখানে এই পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞানবিমুখতাই বেশি দায়ী।
@স্বাধীন, ঠিকই বলেছেন, আমার ধারণা, আমেরিকার মত আমাদের দেশেও ইন্টেলেকচুয়াল মহল এবং মূল ধারার মিডিয়া এখনও অনেক লিবারেল। এরা শুধু ধর্মীয় কারণে এরকম একটা কাজ করবে না। সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া, মিলিটারিতে সংখ্যালঘুদের রিক্রুট করা বা সরকারী কোন প্রমোশনের সময় সাম্প্রদায়িকতা হয়তো একটা বিশাল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এরকম একটা বিষয়ে ধর্মের ভূমিকা অনেক গৌণ হয়ে যায়।
এখনও জাতিভেদ! ডঃ রায় একজন মানুষ এই পরিচয়টাই কি যথেষ্ট নয়?
:coffee:
গরীবের বঊ হচ্ছে সবার ভাবি। এমনিতে আমাদের অর্জন সামান্য। সেই সামান্যটুকুও যদি বড়লোকেরা মেরে দিতে চায় তাহলে কেমনে হয়? নামের শেষে খান দেখলে পাকিস্তানিরা ছিনিয়ে নিতে চায়, আর রায় দেখলে ভারতীয়রা। কোনদিন না আবার অভিজিৎ রায়কেও ছিনতাই করে নিয়ে যায় সেই আশংকাতেই আছি। আনন্দবাজারের প্রথম পাতায় হয়তো বড় বড় করে শিরোনাম হবে, বিখ্যাত নাস্তিক্যবাদী ওয়েবসাইট মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি নাস্তিক শ্রীযুক্ত অভিজিৎ রায়। এরপরে ছোট্ট করে কোথাও লেখা থাকবে, যদিও তিনি ভুলক্রমে বাংলাদেশে জন্মেছেন, কিন্তু তাঁর বাবা এবং দাদা জন্মসূত্রে ভারতীয় ছিলেন।
@ফরিদ আহমেদ,
কী কন এইগুলা! আমারে আবার ক্যাডা কষ্ট কইরা ছিনতাই করবো? ছিনতাই করলে দুর্ভোগই আছে কপালে!
তোমারে না, তোমার কীর্তিরে ছিনতাই করবো দাদাবাবুরা। তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ, রবিবাবুর এই কথা এখন উল্টাইয়া গ্যাছে গা।
@ফরিদ আহমেদ,
এ আর নুতন কি?
এই সার্টিফিকেট তো উনি খোদার ফজলে বহু আগেই পেয়ে গেছেন 😀 ।
বেশীরভাগ লোকে ইংগিত করে বা ঠারে ঠোরে বললেও এক ব্রিগেডিয়ার সাহেবের পুরনো একটা লেখায় বিস্তারিত ছিল। সে এক দারুন বিনোদন।
আমাদের অথর্ব মিডিয়া তাহলে করছেটা কী? ব্লাডি সিভিলিয়ানের এখন ‘হায় অভিজিৎ হায়, তুমি আর বাংলাদেশি নাই’ নামে একটা প্রবন্ধ বিভিন্ন ব্লগে লেখা জরুরি প্রয়োজন। 🙂
শুভ রায়কে নিয়ে সচলায়তনের এই লেখাটি আপনি-ই লিখেছেন, তাই না?
উপমহাদেশের মিডিয়ার এই ছোঁকছোঁক ভাবটা পছন্দ নয় একদম। যার জন্ম বাংলাদেশে আর আত্মীয়রা ভারতে বা বাংলাদেশে আছে বলে তাকে ভারতীয় বা বাংলাদেশী বলে টানাটানি করার কিছু নেই। শুভ রায়ের কর্ম ও কর্মক্ষেত্র দুইই আমামর মার্কিণ তাই তাকে আমেরিকার নাগরিক বলে আমেরিকান নাগরিক বলাই ভাল। উপমহাদেশের “সাকসেস স্টোরি” এত কম, যে আমাদের মিডিয়া চাতকপাখির মত বিদেশে দেশীরা কি করল তার দিকে তাকিয়ে থাকে, এটা ভাবে না যে শুভ রায় কেন, তার পরের দুই প্রজন্মও মনে হয় শুভ রায়ের কাজটা দেশে বসে করে দেখাতে পারত না। সুতরাং নাগরিকত্ব বিতর্ক ছুটি দিয়ে দেওয়া উচিত।
একটু আইনি বিষয়ে আসি। শুভ রায় কি কোনো সময়ে ভারতীয় বা বাংলাদেশী পাসপোর্ট হোল্ডার ছিলেন? থাকলে সেই দেশ তাকে তাদের দেশের “বংশোদ্ভূত” বলে দাবী জানাতে পারে। বাংলাদেশের সাথে ভারতীয় আইনের একটু তফাত আছে এ নিয়ে। বাংলাদেশে “বাই বার্থ” সবাইকে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু ভারতে হয় না।
ব্লাডি সিভিলিয়ান, অনেকদিন পরে লিখলেন। এতদিন কই ঘাপটি মেরে ছিলেন?
যাহোক, ড: শুভ রায়কে অভিনন্দন। বাঙালি হোক, বাংলাদেশী হোক, কিংবা বিশ্বনাগরিক … তার কাজের জন্য গর্ব অনুভব করছি।
@অভিজিৎ,
আর বলবেন না দাদা। যা যাচ্ছে আমার ওপর! ঘাপটি মারি নি, ধাক্কা খেয়ে খেয়ে অন্ধের মত পথ চলছি।
আপনার অভিনন্দন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনারই লাইনের লোক কি না। আর, আমি কিন্তু বাংলাদেশি হিসেবেই বেশি গর্ব অনুভব করছি :D।
ভারতীয় মিডিয়ার ব্যাপারটা কি সমর্থন করেন?
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
প্রশ্নই উঠে না। তার উপর ড. রায় যখন বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়েই আমেরিকায় আছেন বলে আপনি বলছেন, তারপর তো এ নিয়ে কোন ওজর আপত্তিই থাকার কথা নয়।
আমার মনে হয় ড: শুভ রায় নাম দেখে সত্যজিৎ রায়ের কেউ ভেবে নিয়েছিলো। অথচ এ-পাড়ে যে অভিজিৎ রায়-ও আছে সেটা বোধ হয় তাদের চোখে পড়ে নি 😛
@অভিজিৎ,
আমার আগেই চোখে পড়েছিল।
আপনিও রায়, আমেরিকাতেই থাকেন বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে, বায়োমেডিকেলে কি কি করেছেন বলে মাঝে মাঝে সুযোগ পেলেই নিজের ঢোল পেটান (বলাই বাহুল্য কোনরকম তথ্য প্রমান ছাড়াই)।
আপনার কাছ থেকে জাতি এই রকম কিছু কি আশা করতে পারে না??
@অভিজিৎ, আমার ধারণা উনি আবেদ খান সম্পর্কে বলেছেন “বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে আছেন।” শুভ রায় মার্কিন নাগরিক।
@অভিজিৎ,
আমি তো জানতাম আপনি এপার-ওপার দুপার পাড় হয়েই পারাপারের খেয়ায় পরপারে চলে গেছেন।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
মহাস্থবির জাতক হয়ে পাতকের কাজ করতে থাকলে ধাক্কা খাবেন না তো কী খাবেন! 😀
এতোদিনে বুঝলাম এখানে সময়ের এতো অভাব কেন!
জেনে আনন্দিত হলাম। কিডনী সমস্যা খুবই প্রকট, নিদারুন পীড়াদায়ক, ব্যায়সাধ্য তো বটেই। আশা করি মানব দেহতেও সফলভাবেই কাজে লাগানো যাবে। বহু লোকের উপকার হবে।
এ মুহুর্তে মনে পড়ছে মুক্তমনাতেই কিছুদিন আগে আমরা কার্টুনিষ্ট আরিফের অসুস্থ মায়ের জন্য কিছু ডোনেশন তুলেছিলাম। উনিও একই রোগেই ভুগছেন।
আবিষ্কারক কোন দেশের বা জাতির তাতে বাস্তবের চোখে আসলেই তেমন কিছু যায় আসে না। তবে আবেগের চোখে বাংগালী বলে তো গর্ব ও আনন্দ হতেই পারে। এটাও হয়ত এক ধরনের সাম্প্রদায়িকতা? বিশেষ করে বিজ্ঞান জগতে আমাদের নাম সেভাবে আসে না দেখে মনে হয় এ অনুভূতি আরো বেশী কাজ করে।
@আদিল মাহমুদ,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও আমার লেখায় সেটা বলেছিলাম:
তবে, পরের লাইনটা নেহাৎ সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার বুকের গহীন ভেতরের মৌলবাদী অনুভূতি
আচ্ছা, ধরুন এই বিজ্ঞানী আজ নোবেল পুরস্কার পেলেন। তখন কি আপনি এতো সহজভাবে ব্যাপারটা নিতে পারবেন? আমি পারবো না, সোজা কথা।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
– এই উক্তিটা আমার নয় যদিও, তারপরেও আপনার মতই বলি যে আমিও অত সহজভাবে নিতে পারবো না। যতই মুখে দেশ জাতিতে কিছু যায় আসে না বলি তার পরেও নিজেকে স্থির রাখা যাবে না। তবে যেমন আগেই বলেছি, অন্তত ৫/১০ বছর পর পর হলেও একজন করে বাংগালী তেমন কোন কৃতিত্ত্ব দেখাতে পারলে হয়ত উচ্ছ্বাস আর অতটা থাকবে না।
আমারতো দারুন আনন্দ লাগছে………ধন্যবাদ এমন আশা জাগানিয়া কিছু শুনানুর জন্য…
@রনি,
আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি নতুন দিগন্ত এবং ড: রায়ের কথা পড়ে আরও ভাল লাগল একজন বাঙ্গালী হিসাবে। লেখকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। :rose: :rose2:
@সুমিত দেবনাথ,
হুম, ধন্যযোগ নিন। তবে, উনি ‘বাংলাদেশি বাঙালি’, ‘ভারতীয় বাঙালি’ নন।
@সুমিত দেবনাথ, আমি তো এই রকম দেখি না। কে বাঙলাদেশী আর কে ভারতীয়? তার চেয়ে বড় কথা উনি একজন বাঙ্গালী এবং এর চেয়ে বড় কথা উনি বিশ্ববাসী হিসাবে যে মানুষের জন্য যে আবিষ্কার করেছেন সেটাই বড় কথা। এই কিডনী শুধু বাংলাদেশীর শরীরে প্রতিস্থাপিত হবে না বা শুধু ভারতীয়দের শরীরেও স্থাপিত হবে না। বিজ্ঞান এই ভাবে চিন্তা করে না।
হয়তো গালি খাবো এটা বলার জন্য, কিন্তু তারপরও সাহস করে বলেই ফেলি 🙂 । ডঃ রায় কোন দেশী তাতে কি আসলেই কিছু এসে যায়? উনি নিজে যদি এ নিয়ে আপত্তি না জানান তাহলে হয়তো ধরে নিতে হবে যে ‘ভারতীয়’ বলে পরিচিত হতে ওনার কোন অসুবিধা নেই। আমাদের নিউজ মিডিয়াগুলো তো ওনার ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার নিয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারতো। এখন তো ভিডিও কনফারেন্সিং করে বা আর কোন ব্যবস্থা না থাকলে একটা ফোন করেই সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব। নিজেরা সেটা না করে ভারতীয় পত্রিকা থেকে কেটেছেঁটে খবর ছাপিয়ে দিলে কি আর করা যাবে?
@বন্যা আহমেদ,
আমি মেয়েদের গালি দেই না, বড্ড ভালোবাসি। আর বলতে বাকিটা রাখলেন কী?
একটু কি আসে যায় না? উনি তো বাংলাদেশের অনেকের জন্যে অনুপ্রেরণা বা উদাহরণ হতে পারেন। তাছাড়া, দেশের কেউ যদি ভালো কাজ করে তাহলে গর্বিত হতে পারবো না? ডঃ আবেদ খানকে নিয়ে আমরা পত্রিকায় কেন লিখি তাহলে? ‘ভারতীয়’ হতে তাঁর অসুবিধে না থাকলেও (নেই, সেটাই বা বলি কিভাবে?) আমার আছে। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতাই মানতে পারছি না। তবে, গোপনে বলি, তাঁর আত্মীয়েরা বাংলাদেশে কিছুটা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, তিনি কিন্তু এখনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েই আমেরিকায় আছেন ;-)।
আমাদের নিউজ মিডিয়ার কথা আর কী বলি! তবে, এক্ষেত্রে তাদের দোষও দিতে পারছি না। তাদের তো কিছুই জানা ছিলো না। তাই তো ইন্টারনেট, ব্লগ, বিকল্প গণমাধ্যম। এর শক্তি তো এটাই। বিকল্প তথ্য জানা এবং জানানো যাবে। উইকিলিকস দ্র:!
ধন্যবাদ।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
তাহলে আর কিন্তু-কেনর অর্থ কি? বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সরাসরি তাকে গিয়ে অভিনন্দন জানানো উচিত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান
আপনি তো শুধু মৌলবাদীই নন, চরম সেক্সিস্টও 🙂 ( বাংলা কি হবে? লিংগবাদী, কিন্তু শব্দটা খুবই খারাপ শোনাচ্ছে)। সেক্সিটদের ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করলাম :guli: ।
আর হ্যা ভালোই আছি, বহুদিন পরে আপনার সাক্ষাৎ, মানে ব্লগদর্শন পেয়ে ভাল লাগলো। আর আপনাকে ‘ফিট’ কিছু দেইনি, আপনার মত যারা ভাষা এবং বানান সম্পর্কে এতটা জ্ঞান রাখেন তাদের আমি খুবই ভয় পাই। ‘ক্লিনচিট’ না বলে এটাকে ‘ভীতিচিট’ জাতীয় কিছু বলা যেতে পারে 😥 ।
তাহলে তো বলবো, মিডিয়ার এই ভুলে তথ্যে ওনার আপত্তি জানানো উচিত। অবশ্য কিভাবে প্রতিবাদ জানাবেন সেটাও একটা সমস্যা হতে পারে। আর আপনি কি মনে করেন ভারতীয় মিডিয়া এটা ইচ্ছা করে করেছে, ভুলও তো হতে পারে। আমাদের দেশের মিডিয়াই যদি এরকম ভুল তথ্য ছাপাতে পারে, তাহলে ভারতের মিডিয়াকে দোষ দিয়ে আর লাভ কি!
@বন্যা আহমেদ,
হুম, বাংলাদেশের সাফল্যবুভুক্ষু মৌলবাদী বলতে পারেন। সেক্সিস্ট? না তো! মেয়েদের ভালোবাসা সেক্সিজম নাকি? ইয়ে…সেক্সি বলতে চাইছিলেন না তো?
আহা, ভালোবাসা বন্ধু হিসেবে, সহব্লগার হিসেবে, কিংবা ভাই হিসেবেও তো নিতে পারেন (তবে, শেষেরটায় আমার আবার কিঞ্চিৎ আপত্তি আছে)।
কিছু বাস্তব সমস্যা আছে, পরে জানাতে পারি। তবে, বললাম তো, তাঁর আত্মীয়েরা দেশে কিছুটা চেষ্টা করছেন। সফল হলে জানানোর চেষ্টা করবো। ভারতীয় মিডিয়ায় প্রথম খবরটা আসে নিউ কেরালা ডট কমের একটা লেখায়, লেখক নিজে ওয়াশিংটনবাসী। ওখানে ভেতরে স্পষ্টই বলা ছিলো,
এরপর দেখুন:
এখানে কোথায় বলা আছে যে তিনি ভারতীয়? এরপর থেকেই সব ভারতীয় গণমাধ্যম রীতিমত হুমড়ি খেয়ে পড়ে খবরটায়।
দেখুন:
১) টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
২) ইকোনমিক টাইমস।
৩) হিন্দুস্থান টাইমস।
৪) রিডিফ নিউজ।
৫) টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
গুগল করুন, আরো পাবেন। প্রতিটারই, আমি আবারো বলছি, প্রতিটারই তারিখ ৩ ডিসেম্বরের পরে। মানে, নিউকেরালার খবরটার পরে।
বাকিটা আপনার অভিরুচি।
আমাদের দেশি গণমাধ্যমগুলোর দোষ দেই না, ওরা তো জানতোই না ঘটনাটা। আমার নেহাৎ ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিলো বলেই না জানা।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, হা হা হা,’সেক্সি’ কথাটার অর্থ আমার কাছে অনেক ব্যাপক, বিবর্তনীয় একটা গুরুত্ব আছে এটার, হুট করে সেটা ব্লগে বলে বসি কিভাবে :laugh: । আমার লেখায় অসংখ্য বানান ভুলের সুযোগ নিয়ে এটাকেও ভুল বলে চালিয়ে দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিলেন বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তা তো হবার নয়। আপাতত ‘সেক্সিস্ট’ বলেই গালি দিতে চেয়েছিলাম আপনাকে ,‘স্ট’ টুকু সচেতনভাবেই লাগিয়েছিলাম শব্দটার সাথে। মেয়েদের ঘৃণা করার মতই চোখ বন্ধ করে ভালোবাসাটাও আমার কাছে সেক্সিস্ট ব্যবহারেরই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়। শুধুই ‘মেয়ে’ বলে গালি দেবেন না কথাটার মধ্যে কেমন যেন কারুণার গন্ধ পাই, তার মধ্যে যতই নিখাত ভালোবাসা পুরে দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন ঃ)। সহব্লগার হিসেবে ভালোবাসা দিলে অবশ্য নিতে কোনই আপত্তি থাকতো না।
:yes:
@স্বাধীন,
ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু, ভারতীয় গণমাধ্যমের কাণ্ড নিয়ে কিছু বক্তব্য আশা করেছিলাম।
লিখাটি পড়ে খুব ভাল লাগলো। লেখককে অনেক ধন্যবাদ সহজ করে বিজ্ঞনের আবিষ্কারের বিষয়ে লিখার জন্য ।শুভ রায় বাংলাদেশী বংশদ্ভুত জেনে আরো ভাল লাগলো।
@গোলাপ,
আহা, শুনে আনন্দ পেলুম! আপনার সুখেই আমার শান্তি।
ড: শুভ রায় ও তার দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। :clap2:
@বিপ্লব রহমান,
আপনাকেও শুভেচ্ছা। তবে, ভারতীয় মিডিয়ার বাজে কাজটা নিয়ে কিছু বললেন না? আপনার কাছ থেকে আশা করেছিলাম গঠনমূলক কিছু। আর…ইয়ে…কালের কণ্ঠেও কিন্তু তাঁকে ভারতীয় হিসেবে বলা আছে, কিছু করা যায় কি?
ধন্নবাদ লেখককে। খুব আনন্দ হছছে একজন বাংআলি এত ভাল কাজ করছে। খুব ভাল খবর।
@Truthseeker,
আপনাকেও মন্তব্যের জন্যে অজস্র ধন্যযোগ। ভালো থাকুন।
মুক্তমনার এটা ব্যপার ভেবে খুব গর্ব অনুভব করি তা হলো বিজ্ঞানের প্রায় সকল নতুন আবিষ্কারই খুব দ্রুত জেনে যাচ্ছি এর কল্যানে।
ধন্যবাদ
লেখক@:yes:
ডঃ রায় বাঙ্গালী এটা ভাবলে ভাল লাগে। কিন্তু কেন?
তাঁকে এই প্রতিভার পেছনে কি বাঙ্গালীর কোন অবদান আছে?
তিনি যে কোন রাষ্টেই জন্মতে পারতেন, তাই না?
আমি নিজেও দেখেছি আমার এলাকার একজন একটা ভাল কাজ করেছে ,এটা ভাবতে খুব সুখ পাই।
@আসরাফ,
এটার একটা বিবর্তনবাদী ব্যখ্যা আছে। মানুষ প্রথমে তার পরিবার , তার পর তার স্বীয় বংশ, অত:পর গ্রাম,জেলা, দেশ ও সর্বোপরি জাতী- এর প্রতি বিশেষ পক্ষপাতিত্ব দেখায়। তাই কোন বাঙালী যদি মঙ্গল গ্রহেও জন্ম নিয়ে কোন একটা কৃতিত্বপূর্ন কাজ করে তখন এর জন্যে আমাদের গর্ব হয়। তবে ড: রায় কোন মতেই ভারতীয় নয় যদি লেখকের তথ্য সঠিক হয়। বরং তিনি বাংলাদেশী। তবে ব্যাক্তিগত কারনে তিনি নিজেকে বাংলাদেশী না বলে বাঙ্গালী হিসাবে পরিচয় দিতেই বোধ হয় বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। তবে এ ধরনের খবর আমরা মাঝে মাঝেই শুনি যে ওমুক প্রত্যঙ্গের কৃত্রিম ভার্শন তৈরী সম্ভব হয়েছে , পরবর্তীতে আর জানি না তাদের ব্যবহারিক প্রয়োগ কতদুর কি হলো । যেমন- কৃত্রিম হৃৎপিন্ড। বহু আগেই এর আবিস্কার , এখন এর ব্যবহার কতদুর কি তেমন জানি না , কেউ কি বলবেন এ বিষয়ে?
সবশেষে ধন্যবাদ লেখককে এ ধরনের একটা গর্ব করার মত একটা খবর দেয়ার জন্য।
@ভবঘুরে,
ড: রায় বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছেন বা তিনি একজন ভারতীয় অথবা আমেরিকান নাগরিক অথবা উনি নিজকে কি হিসাবেই পরিচয় দিতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সেটা বড় কথা নয় সবার উপরে সত্য কথা হলো তিনি একজন বাঙ্গালী।
@আসরাফ,
তোমার কথাও ঠিক। মানুশ নিয়েই কথা। তবুও একটু আবেগ তো থাকেই।
@আসরাফ,
ধন্যবাদ মন্তব্যের লাগি। কিন্তু, কোন কারণ নেই, তারপরও বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে অন্যের কৃতিত্বে যে ভালো লাগে, এটায় মৌলবাদী আছি।
প্রথমে ভাবলাম আপনি বুঝি “বৃক্ষ” বানান ভুল করেছেন। একচোট হেসে নিয়ে পরে দেখি অন্য ব্যাপার 😛
@রৌরব, আমিও তাই ভেবেছিলাম প্রথমে, তবে লেখার টাইটেলের নীচে লেখকের নাম দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম যে ইনি আর যাই করুন না কেন বানান ভুল করবেন না 🙂 ।
@বন্যা আহমেদ,
এতোটা ক্লিনচিট কাউকে দেওয়া ঠিক নয় বোধহয়, সত্যি! যাহোক, ভালো আছেন আশা করি?
@রৌরব,
হুম, মনে পড়লো শিব্রামের বনে গিয়ে ‘ঋক্ষের’ বদলে ‘বৃক্ষ’ শিকার করার ফজিলতসমূহ 😀
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, :laugh: :laugh:
@রৌরব,
আপনিতো তাও খালি ভেবেছিলেন, আমিতো আরেকটু হলে লেখকের মান-সম্মান রক্ষা করার আন্তরিক ইচ্ছা নিয়ে টাইটেল এডিট করে ঠিক করে দিচ্ছিলাম 🙁 🙁 ।
ব্লাডি সিভিলিয়ানকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
সুপ্রিয় মডারেটর,
পোস্টে ছবি বা ভিডিও কোনটিই আসছে না। ঠিক করে দেওয়া যায় কি? আমি তো নির্দেশনা মনে হল ঠিকঠাকই অনুসরণ করেছিলাম :-(!
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
কৈ? মডুরাম কৈ? (হারিকেন ইমো) 😛
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
ছবি ঠিক করে দেয়া হল। আসলে জেপেগ বা জিফ ইমেজের লিঙ্ক দিতে হবে, অন্য কিছু দিলে কাজ করবে না। আপনার সঠিক লিঙ্কটি ছিলো –
http://farm6.static.flickr.com/5208/5240317543_503b285a47_z.jpg
এরপর ফ্লিকারের কোন ভাল প্লাগইন্স পেলে যোগ করে দেয়া হবে ভবিষ্যৎ ঝামেলা এড়াতে।
ইউটিউবের ভিডিও হলে ভিডিওর URL কপি করতে হবে এবং লিঙ্কটি পোস্ট করার সময় http:// র বদলে httpv:// লিখতে হবে।
@মুক্তমনা এডমিন,
ধন্যবাদ। জানা ছিলো না ব্যাপারটা। আমার ছবিটা ছিলো জেপিজি ফর্ম্যাটের, কিন্তু ওটা তো আমার দোষ নয়। যেখান থেকে ছবি নিয়েছিলাম, সেখানেই এই ফর্ম্যাট।
যাহোক, জানলাম। একটা FAQ অংশ চালু করলে কেমন হয়?
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
FAQ অংশ আছে একটা। পৃষ্ঠার উপরের মেনুতে “সাহায্য” অংশ দেখুন। পৃষ্ঠাটি অসম্পূর্ণ মনে হলে অবশ্যই জানাবেন।
@মুক্তমনা এডমিন, :yes: :yes:
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
বিষয়টা তো বুঝলাম না। আমি এই লেখার কথা বলছিনা। একটা লেখাও তো গলায় ছুরি পড়ার কথা না, তাহলে? আমাদেরকে বঞ্চিত করেন কেন?