ভূমিকা:
গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবতাবাদ ও জাতীয় মুক্তি, আপাত: চারটি আলাদা প্রপঞ্চ মনে হলেও একটি বিকাশমান জাতির কাঙ্ক্ষিত মুক্তি অর্জনে উপরোক্ত প্রপঞ্চগুলো অত্যন্ত নিবীড়ভাবে সম্পৃক্ত। জাতীয় মুক্তির সাথে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ইহজাগতিক মানবতাবাদ কিভাবে সম্পৃক্ত তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে হলে সর্বাগ্রে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ইহজাগতিক-মানবতাবাদ প্রভৃতি প্রপঞ্চগুলোর প্রকৃত সংজ্ঞা ও সংজ্ঞার মর্মগত দিক নিয়ে আলোচনা জরুরী।
গণতন্ত্র:
আমাদের দেশের আমজনগণের কাছে গণতন্ত্র শব্দটি যত পরিচিত, তার মর্মগত দিক ততোধিক অজ্ঞাত। তারা গণতন্ত্র অর্থ মনে করে কেবল নির্বাচন ও নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট প্রদান। অতএব জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা দেশ যখন শাসিত হয়, তখন তাত্ত্বিকভাবে ধরে নেওয়া হয় যে, জনগণই দেশ শাসন করছে। অথচ জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার যদি নাগরিক অধিকার হরণ করে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালায়, নারী নির্যাতন করে, আইনের শাসন কায়েম করতে ব্যর্থ হয়, তখন সে সরকার আর গণতান্ত্রিক থাকে না। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বও তাদের কায়েমী স্বার্থে জনগণকে ও তাদের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের কাছে গণতন্ত্রের প্রকৃত সংজ্ঞা বলতে কেবল ভোট দানের অধিকারকে বুঝাতে চান। কারণ, যে সকল জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন কিংবা তাদের আহুত সভা সমাবেশ হরতালে নেতৃবৃন্দের প্রতিশ্রুত পরিবর্তনের প্রত্যাশায় প্রাণাতিপাত করেন, তারা যত অজ্ঞ বা বোকা থাকে তত নেতা-নেত্রীদের সুবিধা-তাদের প্রতারিত করার জন্য। অথচ নির্বাচনে ভোট প্রদান, সভা-সমাবেশ-মিছিল ইত্যাদি হল গণতন্ত্রের নিতান্ত প্রতিভাস বা appearance, তার মর্ম বা essence নয়। গণতন্ত্রের মর্ম হল প্রত্যেক নাগরিকের মানবিক ও মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা। যে সমাজ বা রাষ্ট্রে মানুষের মানবিক ও মৌলিক অধিকার অহর্নিশ পদদলিত হয়, সে সমাজ বা রাষ্ট্র কখনো গণতান্ত্রিক হতে পারে না। সেখানে ভোটের ব্যবস্থা চালু থাকলেও নির্বাচন হয় প্রহসনপূর্ণ-যে নির্বাচনে জনগণ কখনো তাদের সত্যিকার প্রতিনিধিও নির্বাচন করতে পারে না। আবার মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হলে দু’টি মৌলিক বিষয় অপরিহার্য; একটি হল সে রাষ্ট্রের আর্থিক সঙ্গতি, অন্যটি হল সুশাসন। কারণ রাষ্ট্রের সম্পদ বা অর্থনৈতিক সঙ্গতি থাকলেও সুশাসন না থাকলে যেমন মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না, তেমনি আবার সম্পদ না থাকলে কেবল সুশাসন দিয়েও মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করা যায় না। অতএব প্রকৃত গণতন্ত্র হল- জনগণের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা-যা অর্জনের জন্য জনগণ ভোট দিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত কিংবা প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
ধর্মনিরপেক্ষতা :
ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি মূলত: ইংরেজি secularism শব্দটির বঙ্গানুবাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু secularism শব্দটির অর্থ ইহজাগতিকতা-ইহজগত শব্দের বিশেষণ। ইহজাগতিকতা অর্থ কেবল ইহজগত নিয়ে কাজকারবার, ভাবনা, চিন্তা-এর সাথে পরলৌকিক কোন বিশ্বাস বা বিষয়ের সম্পর্ক থাকবে না। পক্ষান্তরে ধর্মের ভিত্তি পরলৌকিক বিশ্বাস এবং ধর্ম পরলৌকিক মুক্তিকেই মানব জীবনের মূল লক্ষ্য বলে চি‎হ্নিত করে। তাই ইহজাগতিকায় ধর্ম অপ্রাসঙ্গিক। একটি রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতিতে কেন ধর্মনিরপেক্ষতা বা ইহজাগতিকা থাকতে হবে? এ প্রশ্নের সঠিক জবাব পাওয়া যাবে ইতিহাস থেকে। রাষ্ট্রকে ইহজাগতিক করার একটি ঐতিহাসিক বিশ্ব-প্রক্ষাপট আছে। মধ্যযুগে মানব সমাজ যখন সামন্তবাদী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখন ধর্ম সমাজের মূল চেতনার স্থান দখল করে নেয়। ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্র ছিল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গীর্জা-মসজিদ-মন্দিরের নিয়ন্ত্রণে। তখন ভাল মন্দ, নীতি-নৈতিকতা, ন্যায়-অন্যায়, শ্রেয়োবোধ ইত্যাকার সকল সামাজিক মূল্যবোধগুলো নির্ধারিত হত প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাস বা নীতিমালার মানদণ্ডে। তাই রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে ধর্মযাজকেরাই ছিল তখন সর্বেসর্বা। ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোতে তখন দোর্দণ্ড প্রতাপে গীর্জার যাজকেরা রাষ্ট্র পরিচালনা করত। ফলত: সমাজে বিজ্ঞান-চেতনা বা যুক্তির কোন ঠাঁই ছিল না। মানুষের চিন্তা-চেতনা-মূল্যবোধ তখন ছিল ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতার মোড়কে আবৃত। আর ঐ সব ধর্মীয় নীতি নৈতিকতাকে দাবী করা হত ঈশ্বরের অলঙ্ঘ্য বাণী বা আদেশ রূপে। অতএব, সে সকল নীতিমালা যত অযৌক্তিক কিংবা অমানবিক হউক না কেন, তা পরিবর্তনের কোন সুযোগ মানুষের ছিল না। এ সব অযৌক্তিক ও পশ্চাৎপদ নীতি-নৈতিকতার কাছে মানুষ ছিল বলির পাঁঠা। তাই এ সময়কে ইউরোপ মহাদেশে অন্ধকার যুগ(dark age) বলা হয়। কিন্তু সামন্তবাদী সমাজের গর্ভ থেকে যখন পুঁজিবাদী সমাজের উদ্ভব ও বিকাশ, তখন ধর্মের স্থলে বিজ্ঞান ক্রমে মূল সামাজিক চেতনার স্থানটি দখল করে নিতে থাকে। সমাজের উৎপাদিকা শক্তির বিকাশের ফলে মানুষের চেতনার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ক্রমে বৈজ্ঞানিক চিন্তার উদ্ভব ও বিকাশের মাধ্যমে সমগ্র ইউরোপে রাষ্ট্র তথা সমাজের উপর ধর্মীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে ঘটে গেল এক মহা জাগরণ-যাকে বলা হয় রেঁনেসা (Renaissance) । সে রেঁনেসার মাধ্যমে ইউরোপীয় রাষ্ট্রের জনগণ গভীরভাবে উপলব্ধি করা শুরু করল যে, রাষ্ট্র তথা মানব সমাজকে উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে এগুতে হলে তাকে ধর্ম তথা ধর্মীয় পুরোহিতদের নিয়ন্ত্রণ থেকে আলাদা করতে হবে। অপরিবর্তনীয় ও স্থবির ধর্মীয় চিন্তা বা বিশ্বাস আকঁড়ে ধরে এগুনো যাবে না। কারণ ধর্মবেত্তারা বিশ্বাস করেন, তাদের স্ব স্ব ধর্মের যে মহান বাণী বা নির্দেশনা, সেগুলো স্বয়ং ঈশ্বর থেকে আগত। তাই পবিত্র ধর্মগ্রন্ত্রগুলো হাজার হাজার বছর পূর্বে যে ভাবে রচিত হয়েছিল, ঠিক অদ্যাবধি সে ভাবে টিকে আছে-অন্তত: ধর্ম বিশ্বাসীরা তা মনে করেন। যেহেতু এ সব গ্রন্ত্রের রচয়িতা স্বয়ং ঈশ্বর বলে তারা বিশ্বাস করেন, সেহেতু এ গুলোতে কোন পরিবর্তন আনা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ হাজার বছরে মানুষ ও মানব সমাজের পিলেচমকানো পরিবর্তন হয়েছে । গুহাবাসী-নগ্ন-বুভুক্ষু, প্রকৃতির কাছে নিতান্ত অসহায়-অসভ্য মানুষ, আজ প্রকৃতিকে জয় করে সভ্যতার চরম শিখরে পৌছেছে। ফলতঃ অপরিহার্যভাবে পাল্টে গেছে মানুষের চিন্তা-চেতনা-আশা-আকাঙ্ক্ষা-মূল্যবোধ। মানুষের এ আধুনিক চিন্তা-চেতনা-মূল্যবোধের সাথে প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় কি ধর্মীয়, কি সামাজিক কোন রীতি-প্রথা-পদ্ধতি আর খাপ খাবে না। তাই আধুনিক যে কোন রাষ্ট্রকে এগুতে হলে পশ্চাৎপদ এ সকল চিন্তা-চেতনা-মূল্যবোধের দুষ্ঠচক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিশ্বমানব সমাজ আধুনিকতার দিকে অনেক দূর এগুলেও বিশ্বের সকল মানবগোষ্ঠী নানা ঐতিহাসিক কারণে সমানভাবে এর সুফল পায় নি। তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী এখনো নানা অপবিশ্বাস ও কুসংস্কারের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই বিশ্বের কোন কোন অঞ্চলে দোর্দণ্ড প্রতাপে এখনো বিরাজ করছে মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ। আবার একই সমাজের মধ্যেও সকল মানুষকে কিন্তু ইহজাগতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা অত্যন্ত সুকঠিন ও সুদূর পরাহত।
আমাদের সমাজে আমরা দেখি জন্মলগ্নেই একটি শিশুকে তার পারিবারিক চিন্তা-চেতনা-মূল্যবোধের অদৃশ্য অথচ দুর্ভেদ্য এক অবয়বে মোড়ানো হয় আপাদমস্তক। কিছু বুঝার বয়স হওয়ার পূর্বেই তার মগজ-ধোলাই শুরু হয়ে যায়-তার পরিবারের প্রচলিত বিশ্বাস ও মূল্যবোধ দিয়ে। সে থেকে ধর্মীয় বিশ্বাস ও সে বিশ্বাস অনুসারে প্রাত্যহিক আচার অনুষ্ঠান-তা যত অর্থহীন হউক না কেন-মানুষের রক্ত-অস্থি-মজ্জায় মিশে একাকার হতে থাকে। তাই গভীর জ্ঞানানুশীলন ও প্রচণ্ড সাহস ছাড়া কোন মানুষ তার আজন্ম-লালিত বিশ্বাস থেকে মুক্ত হতে পারে না। বিশেষভাবে আমাদের মত পশ্চাৎপদ দেশেত নয়ই। তাই দেশের নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত না করেও আমাদের রাষ্ট্রকে ধর্ম নিরপেক্ষ করতে হবে এবং তা খুবই সম্ভব। ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ‘৭২ এর সংবিধান ফিরিয়ে দিয়েছে, যাতে ধর্মনিরপেক্ষতা অন্যতম মৌল নীতি ছিল। কিন্তু এতদসত্ত্বে আমাদের শাসকগোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানে সংযোজন করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে নানা গড়িমসি করছে। অথচ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাপেক্ষা বড় অর্জন ছিল ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে বের হয়ে এসে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় কাঠামো বিনির্মাণ।
আমাদের রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ করতে হলে কেবল সংবিধানের মূলনীতি হিসাবে তা সংযোজন করলে হবে না। রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিমালা রচনায় ধর্মীয় কোন বিবেচনা থাকতে পারবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন বিশেষ ধর্ম বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করা যাবে না। বৈজ্ঞানিক যুক্তিই হবে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা নির্ধারণের মূল ভিত্তি, যার মূল লক্ষ্য হবে জনগণের কল্যাণ এবং একমাত্র জনগণের কল্যাণ। এর সাথে পরলৌকিক মোক্ষলাভের বিষয়কে সম্পৃক্ত করা যাবে না।
ইহজাগতিক মানবতাবাদ
মানবতা বা মানবতাবাদ শব্দ কয়টিও আমরা প্রায়শ: আউড়ে থাকি। ঠিক গণতন্ত্র শব্দটির মত এটিও একটি অতি পরিচিত শব্দ এবং মনে হয় আমরা সকলে এর অর্থ জানি বা বুঝি। কিন্তু অনেক জনকে প্রশ্ন করে দেখেছি, মানবতা বা মানবতাবাদ বলতে কি ? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অনেকেই আমতা আমতা করেন। মানুষ বা মানব থেকে মানবতা, অর্থ্যাৎ মানুষ শব্দের বিশেষণ-মানুষের স্বাভাবিক গুণ, ধর্ম ও ভাব ইত্যাদি। সুতরাং মানুষের জন্য যা, তা হল মানবতা-মানুষের প্রতি মানুষের দয়া, মায়া, প্রীতি ইত্যাকার গুণাবলি গুলো হল মানবতা। আগুনের ধর্ম যেমন দহন, তরবারীর ধর্ম যেমন কর্তন, বায়ুর ধর্ম যেমন বহা, ঠিক তেমনি মানুষের ধর্ম মানবতা। এখানেও পরলৌকিক চিন্তা বা ভাবনার কোন সুযোগ নেই। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, গোত্র নয়, সবকিছুর উর্ধ্বে মানুষ-এ বিবেচনা থেকে মানুষকে বিচার করার অর্থ হল মানবতা। কবি চন্ডী দাসের সে কালজয়ী উক্তি-সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। মানবতা শব্দটি বুৎপত্তিগত ভাবেই ইহজাগতিক। মানবতা গণতন্ত্রকেও অতিক্রম করে। কারণ গণতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। তাতে সংখ্যালগিষ্ঠের মতামত উপেক্ষিত। কিন্তু মানবতাবাদ অনুসারে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষও সংখ্যালঘিষ্ঠ মানুষের মতামতকে উপক্ষা করতে পারে না। রাষ্ট্র তথা সমাজকে প্রতিটি মানুষের স্বার্থ দেখতে হবে এবং একজন মানুষের অধিকার খর্ব করার এখতিয়ারও রাষ্ট্রের নেই। তাই মানবতাবাদ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার চুড়ান্তভাবে রূপ।
জাতীয় মুক্তি :
উপরোক্ত প্রপঞ্চগুলোর পৃথক পৃথক আলোচনা থেকে সহজে উপলব্ধি করা যায় যে, সমাজের প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারের পাশাপাশি তার মানবিক সার্বিক চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার পরিপূরণ ছাড়া একটি মানুষ যেমন মুক্ত-স্বাধীন মানুষ হতে পারে না, আবার কোন রাষ্ট্র বা সমাজের প্রতিটি মানুষ মুক্ত তথা স্বাধীন না হলে সে জাতি বা সমাজ কখনো মুক্তি অর্জন করতে পারে না। তাই একটি মুক্ত আধুনিক সমাজ বিনির্মাণ এর লড়াইয়ে আমাদের রণনীতি হতে হবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠা করা-যার রণকৌশল হিসাবে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি একটি শিকড়-নাড়া সাংস্কৃতিক আন্দোলনও গড়ে তোলা অপরিহার্য। তাছাড়া জাতীয়মুক্তি অর্জন অসম্ভব।