অনেক আশাহত অন্ধকার দিনগুলোর মধ্যেও কিছু কিছু খবর আসে, যা সত্যই আশাব্যাঞ্জক। আমাদের বড় বড় ধর্ম নিরপেক্ষ নেতারা যেভাবে “ধর্ম নিরেপেক্ষতার” নামে সংখ্যালঘু নারীদের অধিকার বিরোধি কিছু মৌলবাদি ভাঁড়ের পায়ে নিজেদের আত্মসমর্পন করেছেন-সেই শ্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গল ফোরাম ফর মুসলিম উইমেন্স রাইট এন্ড এম্পাওয়ারমেন্ট-খুব পরিস্কার ভাবেই মুসলিম মহিলাদের ওপর অত্যাচার রুখতে মুসলিম সমাজেও ধর্মনিরেপেক্ষ আইনের দাবী তুলেছেন। আইন হলেই যে অত্যাচার আটকায় তা না। ভারতে মহিলাদের প্রতি অত্যাচার সর্বাধিক এবং তা আইন দিয়ে কিছু মাত্রায় কম করা সম্ভব হলেও, প্রতি বছর আট হাজার বধূ হত্যা সর্বভারতীয় লজ্জা। ভারতীয় সমাজে মেয়েদের এই করুন অবস্থার জন্যে সনাতন হিন্দু ধর্মের দায় একশো ভাগ। তবুও সমাজসংস্কার এবং আইনের জন্যে, আস্তে আস্তে হলেও ভারতে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। কিন্ত এই অধিকার থেকে বঞ্চিত মুসলিম মেয়েরা। শাহবানু মামলায় সুপ্রীম কোর্টের রায়ের পরে, মুসলিম মেয়েদের সামনে শরিয়া আইন ছারা ধর্ম নিরেপেক্ষ পারিবারিক আইন খোলা নেই। বলা যায় তথাকথিত ধর্ম নিরেপেক্ষ রাজনীতির(?) শিকার ভারতের মুসলিম নারী-যাদের জন্যে মধ্যযুগীয় আইন প্রনয়ন হচ্ছে “ভারতীয় ধর্ম নিরেপেক্ষতা”। বাংলাদেশ, মালেশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে মুসলিম নারীদের যেটুকু অধিকার আছে-ভারতীয় মুসলিম নারীদের তার ছিঁটেফোটাও নেই। কারন ভারতে ধর্ম নিরেপেক্ষতার সংজ্ঞা হচ্ছে সংখ্যালঘু তোষন এবং
তার জন্যে মুসলিম মেয়েদের অধিকার জাহান্নামে গেলে যাক। মুসলিম মেয়েদের ওপর সামাজিক অত্যাচারের যজ্ঞে ঘৃতাহুতি দেওয়ার লাইনে রাজীব গান্ধী থেকে মানস ভুইজ্ঞা সবাই আছেন।
মানবসমাজ বিবর্তনের সর্বশক্তিমান প্রোডাক্টটির নাম ঈশ্বর। তিনি আবার পুরুষ-কেন না তা না হলে, সন্তান বেশী জন্মাত না। যাইহোক, এই পুরুষ ঈশ্বরটির হাতে সব ধর্মেই মেয়েদের অবস্থান নাকাল। হিন্দু ধর্মে তা গাভীবৎ-ইসলামে দাসীবৎ। সুতরাং ধার্মিক আইন প্রচলন করলে হিন্দুধর্মে মেয়েদের অবস্থান হবে গৃহপালিত গাভীর চেয়ে কিছু কম-আর শরিয়া আইনে চললে, মেয়েদের অবস্থান হবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকত্ব। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রথমটি আইন দিয়ে দূর করা সম্ভব হলেও, দ্বিতীয়টি বিদ্যমান। ফলে ধর্ম নিরেপেক্ষতার সার্কাস বজায় রেখে ধর্মীয় আইন চালু রাখার পক্ষে যারা-তাদের একটাই শ্রেনী- সুবিধাবাদি রাজনৈতিক ভাঁড়।
ইদানিং কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি মানস ভুইজ্ঞা এবং সইফুদ্দিন চৌধুরী মুসলিম ভোট পাবার আশায় যে পার্টির লেজ ধরেছেন তার নাম জামাত ই ইসলামি হিন্দ। সোজা কথায় ভারতের জামাত। যা বাংলাদেশ এবং পাকিস্থানের জামাতের পিতৃগৃহ ছিল স্বাধীনতার আগে। তাদের আমীর এই নারীবাদি সংগঠনের বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে কারন তার মতে মুসলমান মেয়েদের শরিয়া মেনে চলতে হবে ( আনন্দবাজারে রহমত আলির বক্তব্য দ্রষ্টব্য)!!! এবার বুঝুন কংগ্রেস এবং পিডিএসের “ধর্ম নিরেপেক্ষ” জোটসঙ্গীতে কারা আছে। এবং ধর্মনিরেপেক্ষতা কারে কয়।
সমস্যা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদিরা মাথাচারা দিয়ে উঠছে। এর একটা বড় কারন এই ধরনের ভ্রান্ত ধর্ম নিরেপেক্ষতার সার্কাস। এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে মুসলমানদের জন্যে আলাদা পারিবারিক শরিয়া আইন ভারতবর্ষের জন্যে লজ্জাত বটেই-মুসলিম মেয়েদের বিরুদ্ধে তা মুসলিম পুরুষদের শোষন এবং নিপীড়নের যন্ত্র। এবং মেয়েদের বিরুদ্ধে সেই শোষন অব্যাহত রাখার পেছনে জাতীয় কংগ্রেসের ভূমিকাও খুব উজ্জ্বল।
জেনেটিক্সের এই যুগে যখন আমরা জানি দুজন যেকোন মানুষের মধ্যে জেনেটিক পার্থক্য এক ভাগের একলক্ষ ভাগও না-এবং সেই সূত্রে খুব জোর দিয়েই বলা যায় হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে পার্থক্য অবৈজ্ঞানিক, কল্পনাপ্রসূত এবং ফালতু, তখন দেখা যাচ্ছে শুধু কিছু রাজনৈতিক সুবিধাবাদি নেতাদের মদতে এই পার্থক্য টেকানো হচ্ছে। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস-সব পার্টিই এই বিভাজনের তাস খেলে। তবে এতে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভারতের মুসলিম মেয়েরা।
উইনিফর্ম আইনের পক্ষে মালেকা বেগমের একটি লেখা। ভাল একটা খবর হল, কলকাতায় মুসলিম নারীরা এর পক্ষে আন্দোলন করছেন।
তারপরও যখন দেখি ভারতের প্রধানমন্ত্রী একজন শিখ, প্রেসিডেন্ট একজন মহিলা, ভাইস প্রেসিডেন্ট একজন মুসলিম, লোক সভার স্পীকার একজন দালিত, সপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচার প্রতি একজন জরাথ্রুষ্টবাদী এবং সবচাইতে বড় এবং ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দলের নেতা একজন রোমান ক্যাথলিক তখন মনে হয় ভারত সরকারের সদিচ্ছার হয়ত অভাব নাই। নেতা-পাতি নেতারাই হয়ত তা পরোপুরি কার্যকর হতে দিচ্ছে না।
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এইটা কোন আহাম্মকের ধারনা?
লাইনটা অনেক গভীর অর্থবহ মনে হল।
আসলে পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের এ অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা ছিলনা, আপনার পোস্টে কিছুটা জানা হল এ ব্যাপারে। “ধর্মনিরপেক্ষতা” বুলি মুখে নিয়েও পৃথক আইনব্যাবস্থা খুবই বাজে একটা ব্যাপার।
গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার ছিঁটা ফোটাও নেই যা আছে কাগজে পত্রে। মুসলিম নারীদের করুন অবস্থা তো বলে লাভ নেই। আমার এই প্রশ্ন যেখানে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ বলা হচ্ছে সেখানে হিন্দু আইন, মুসলিম আই্ন এইসব আলাদা করার প্রয়োজন কি? আইন তো সবার জন্য সমান হওয়ার কথা। তাছাড়া হিন্দু নারীদেরই অবস্থা আর কতটুকু ভাল। আর আমি যে রাজ্যে আছি এখানে তো নারী নির্যাতন ভারতের মধ্যে নম্বর ১ এ আছে। যে রাজ্যের নাম ত্রিপুরা। :rose2:
:hahahee: :hahahee:
আপনি মনুসংহিতাটি পড়েছেন?@সেন্টু টিকাদার
@প্রণব আচার্য্য,
ঠিক। হিন্দু ধরমে অনেক মত পথ আছে। হিন্দু ধরমো flexible। যেটা যার জন্নো শুভিধাজনক শেটা নিলেই হল। মনুসংহিতা follow না করলেই হল। আশা করছি লিঙ্কটা কাজ করবে। পিডিফ ফাইল আছে।
https://docs.google.com/fileview?id=0Bxmb43ISDdJdNzczZGZkMWUtYWZmMi00ODZkLThhYzMtYjFhYTM0YzU0NGJh&hl=en
@বিপ্লব পাল,আপনার লেখা বেশ ভালো লেগেছে…………।। ধন্যবাদ।।
“বাঙালী এবং উত্তরভারতীয় সংস্কৃতি অনেক বেশী ভাববাদি”
অন্যদের কথা বলতে পারবোনা কিন্তু বাঙ্গালী জাতি ভাবাবাদি বা বস্তুবাদি এই দুইটির কোনটিই নয় কারন ভাবাবাদি বা বস্তুবাদি হতে হলে জ্ঞ্যান অর্জন ও অন্যান্য কর্মকান্ডে যে পরিমান
শ্রম দিতে হয় তা তারা দেয় না…।তারা বেশির ভাগ তথ্য ও তত্ত্বের জন্য শুনা কথার উপর নির্ভর করে……।।এর একটি ভালো উদাহরন রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বাঙ্গালীর মনোভাব,অধিকাংশ বাঙ্গালী রবীন্দ্রনাথকে দেব তুল্য মানে কিন্তু তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেনা এমন কি তার সৃষ্টি কর্ম গুলিকেও চিন্তার সাথে গ্রহন করেনা…।চিন্তা ও কর্ম দুটোতেই বাঙ্গালীর সমান অনীহা।তাই তারা ভাববাদি বা বস্তুবাদি ,কোনটিই হতে পারেনি।হয়তো ভবিষ্যতে পারবে কিন্তু এখন পর্যন্ত বাঙ্গালী আলস্যবাদি সংস্কৃতির অধিকারি…
@ রৌরব, সেন্টু টিকাদার,
ছোট্ট একটা ইনটারভিউ। Dr.Subramanian Swami বলেছেন হিন্দু ধরমো, শ্রুতি, সম্রিতি (smriti), জাতি প্রথা, conversion, সমাজ, রাজনীতি শমপরকে। মোট ছয়টা Part. একটার পর আরেকটা পরবো আশবে।
http://www.youtube.com/watch?v=NUJrgPjp8sw&feature=&p=89253B23F70182A5&index=0&playnext=1
@Truthseeker,
ইন্টারভিঊটা পড়ে বুঝলাম, ডঃ স্বামী যা বলেছেন, চেপে ধরলে তা ডিফেন্ড করতে পারবেন না। কাস্ট সিস্টেম খুব ভাল ভাবেই বেদে আছে। যেটা ছিল না সেই কালে সেটা পরে হল, এই জাতিভেদকে বংশানুক্রমিক করা। কিন্ত পরের দিকে তাও সিদ্ধ হয়। তবে শেষের দিকে উনার বক্তব্য ঠিক আছে।
@Truthseeker,
শুনলাম। লোকটা হিন্দুত্ববাদী হলেও উন্মাদ নয়, এটুকু স্বীকার করতে হয়। কিছু কথাবার্তা ঠিক আছে। সব নিয়ে কথা বলা সম্ভব নয়, জাতিভেদ নিয়ে বলি। উনি বলছেন, জাতিভেদ প্রথাটা মৌলিক নয়, ওটা পরবর্তীকালের recrudescence। কথাটা হয়ত ভুল নয়। কিন্তু এই recrudescence ঘটেছে কমপক্ষে, কমপক্ষে ২৮০০ বছর আগে। এতদিন ধরে চলে আসা দাসত্বপ্রথাকে এভাবে দুকথায় উড়িয়ে দেয়া যায় না।
একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখলে বিপ্লব। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
তী ব্র স হ ম ত। :yes:
এই ব্যাপারটা আমি বুঝি না। কোন দেশ ধর্মনিরপেক্ষ হলে সে দেশে পৃথক আইন ব্যাবস্থা কিভাবে থাকে?
মুসলমানরা বিচারের জন্য কি আলাদা আদালতে যায়? কোন মুসলমান নারী সেই বিশেষ আদালতে যেতে না চাইলে তার কি গতি হবে?
@আদিল মাহমুদ,
“ধর্মনিরপেক্ষতা” তার মুখে জুতা মারবে।
@রৌরব,
কিন্তু এটা কি ব্যাক্তি স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হয়ে গেল না?
আমি বুঝছি না দুটি ব্যাপারঃ
১। একই দেশে ভিন্ন ভিন্ন বিচার ব্যাবস্থা কিভাবে থাকতে পারে? আইনের চোখে সবাই সমান- সভ্য জগতের এই মৌলিক ধারনা কিভাবে বজায় থাকল?
২। কে কোন আদালতে যাবে তা কে ঠিক করবে? তাকে কি জিজ্ঞাসা করা হয় যে তুমি সেক্যুলার নাকি ধর্মীয় কোন আদালতে যাবে? এখন বাদী বিবাদী যদি দুই ধরনের আদালত পছন্দ করে তবে তার ফয়সালা হবে কিভাবে?
@আদিল মাহমুদ,
থাকল নাই তো! এটাই তো এই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার paradox। তবে বলা দরকার যে ভারত ও বাংলাদেশে এই ধর্মভিত্তিক আইন শুধু পারিবারিক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য — বিয়ে, উত্তরাধিকার ইত্যাদি। খুন-খারাবি বা বাণিজ্যিক ব্যাপারে এগুলো প্রযোজ্য নয়।
তার ধর্ম ঠিক করবে। ইহজাগতিকতা অর্থে যে সেকুলারিজম, সেখানে আইনের চোখে মানুষের ধর্মীয় পরিচয় অস্তিত্বহীন, ওটার কোন implication নেই (অপার্থিবের মন্তব্যও দ্রষ্টব্য)। ভারতে তা নয়। ধরেই নেয়া হয়েছে বিয়ে-টিয়ে বা উত্তরাধিকার এসব ব্যাপারে হিন্দু-মুসলিম-নাস্তিক মিলিয়ে একটা ঘোঁট পাকবে না, জড়িত সবাই হবে একটি ধর্মের সদস্য, কাজেই তাদের ক্ষেত্রে ওই ধর্মের আইনই প্রযোজ্য হবে।
@রৌরব,
এটা তো এক ধরনের বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
দুই পক্ষই যদি ধর্মীয় খুশী আদালত মেনে নেয় তবে বলার তেমন কিছু নেই। তবে যে কোন এক পক্ষ রাজী না হলে তার সুরাহার আইনী উপায় কি?
মুসলমান মানেই যে সনাতনী সব মুসলমান আইন কানুন মানে এমন তো নয়।
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক তাই। ভারতে মুসলিম মেয়েদের ওপর শরিয়া আইন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
@আদিল মাহমুদ,
ইংরেজীতে secularism (বাংলায় লোকায়ত সরকার) এর ঐতিহাসিক ধারণা যা ইউরোপের রেনেসাঁর এক সুফল তার মানে ছিল রাষ্ট্রীয় নীতি বা কর্মে ধর্ম বা চার্চের কোন ভুমিকা বা বক্তব্য থাকবে না বা রাষ্ট্রও ধর্মের পক্ষে কোন বিশেষ সুবিধা দেবে না, আবার রাষ্ট্রও ধর্মের পালনে কোন বাধা বা হস্তক্ষেপও করবে না। এখনও ইউরোপে সেটাই মনে করা হয় এবং অনুসরণ করার চেষ্টা করা হয়া। গ্রেট বৃটেন কিছুটা সরে এসেছে। এই সংজ্ঞায় ভারত বা বাংলাদেশ সঠিক অর্থে লোকায়ত সরকার নয়। এখন ধর্মনিরপেক্ষতাকে সব ধর্মের প্রতি সমান তোষণ, সব ধর্মকে সমান রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়াকে বোঝান হয়। ধর্মনিরপেক্ষতা হয়ে গেছে সর্বধর্মপক্ষতা। আর স্বীকৃতি দিলে সেই ধর্মের আইন কানুনকেও স্বীকৃতি নিতে হয় যা শুধু সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য প্রযোজ্য। ভারত যেটা করছে। এবং কানাডার কিছু রাজ্যেও সেটা করা হচ্ছে শরীয়াকে স্বীকৃতি দেবার মাধ্যমে। আমেরিকাতেও মরমনদের জন্য কিছু ধর্মীয় ছাড় দেয়া হয় যেটা অন্যদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। আমেরিকাতে চার্চের শক্তি ও দাপট বৃদ্ধি পাওয়াতে (রিপাবলিকান দের বদৌলতে) যে তারা সফলতার সাথে ধর্মনিরপেক্ষতাকে জনসাধারণের কাছে ধর্মহীনতা বা নাস্তিকতা বলে প্রচার করছে। বাংলাদেশেও ধর্মীয় দলগুলি একই কাজ করে ধর্মনিরপেক্ষতাকে হেয় করতে অনেকটা সফল হয়েছে।
@অপার্থিব,
কানাডায় যতদুর জানি ২০০৪ সালে ওণ্টারিওতে একবার চেষ্টা চালানো হয়েছিল, সফল হয়নি। এখনও আবার চলছে নাকি?
ইংল্যান্ডে শুনেছি আছে। তবে কিভাবে কাজ করে জানি না। তবে কিছু দেশে মনে হয় ইহুদীদেরও বিশেষ আদালত আছে।
পাল মশাইয়ের আর একটি গুরুত্বপুর্ণ লেখা।
ভারতীয় সমাজে মেয়েদের করুন অবস্থার জন্যে সনাতন হিন্দু ধর্মের দায় একশো ভাগ না। সনাতন ধর্মের বেশী ভাগ গ্রন্থে মহিলাদের কে সম্মান দেখান হয়েছে। (ভন্ড মুনি মনুর কথা ব্যতিরেকে )। বেদেরকালে মহিলা ও পুরুষ মিলে মিশেই সামাজিক ও পারিবারিক কাজে সমান ভাবে অংশ গ্রহন করত। মা তথা নারী, পুরুষের পিছনে না থেকে পাশেই থাকতেন এবং সিধান্ত নিতেন ও দিতেন। নারীকে পরদানশীল করে রাখা হত না বা নারীরা পরদানশীল থাকতেন না এবং নারী পীড়নও ছিল না । ইসলামের মত এখানে নারীকে ধর্মের শিকলে বেঁধে রাখা হয়নি।
কিন্তু বর্তমান কালে নারী পীড়নের জন্যে সনাতন ধর্মের দায় দেয়া যায় না।
পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। একটা বড় কারন এই ধরনের ভ্রান্ত ধর্ম নিরেপেক্ষতার সার্কাস। সত্য।
পশ্চিমবঙ্গে সি পি এমের দীর্ঘ ৩৫ বছরের মুসলীম তোষন। এই ৩৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানেরা যত না পেয়েছে আর্থিক সহয়তা তার চাইতে বেশী পেয়েছে মসজিদ আর মাদ্রাসা। হিন্দু পাড়ায় কীর্তন হলে মুসল্মান পাড়ার কনো ভাই থানায় গিয়ে খালি বল্লেই হয় যে শব্দ ডেসিবল ছাড়িয়ে যাচ্ছে, আর তড়িমরী করে পুলিশ এসেই মাইক বন্ধ – এ রিকম ঘটনা ও দেখা গেছে।
কি বিচিত্র এই ভারত যেখানে হিন্দুর ও মুসলমানের আলাদা আইন। যে বর্বর দেশে স্থান ও কালের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহর দোহাই দিয়া ডাহা মিথ্যা কথা বলে এই শরিয়া আইন চালু করেছিলো, তা সেই দেশেই সীমাবদ্ধ না থেকে সুসভ্য ভারত উপমহাদেশেও তা এসে এই উপ মহাদেশের পবিত্র ভুমিকে গ্রাশ করল।
আর বিভিন্ন দল রাজনীতির আধার পর এই ধর্মনীতি করে টাকা পয়শায় কলেবর বাড়িয়ে চলেছে। কে ধর্মনিরপেক্ষ? কংগ্রেস? সি পি এম? বি জে পি? জামাত ই ইসলামি হিন্দ?
একবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় আলীগড় মুসলীম উনিভারসিটির এক ইউনিট হবার কথা হয়েছিল। এই প্রসংগে পশ্চিমবঙ্গের এক মিন্ত্রী বলেছিল …..যেখানে (এই ইউনিটে) মুসল্মানেরা এক হাতে কোরান ও আর এক হাতে কমপিঊটারের বই পড়বে।
এই যদি হয় একজন মন্ত্রীর উক্তি তা হলে ধর্মনিরপেক্ষতা রইল কই?
মালেশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে মুসলিম নারীদের যেটুকু অধিকার আছে-ভারতীয় মুসলিম নারীদের তার ছিঁটেফোটাও নেই। সহমত।
যতই পুর্ব এশিয়ার দিকে যাওয়া যায় ততই ইসলামের আভাবনিয় লিবারাল দিক ফুটে ওঠে। মালয়শিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে মুসলিম নারীরা অনেক বেশী স্বাধীন (কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া)। বিশেস করে ইন্দোনেশিয়ার (আচে প্রভিন্স ব্যতিরেকে যেখানে শরীয় আইন বলবত ) মুসলমান মহিলারা অনেক স্বাধীনচেতা ও স্বাধীন। এর কারন মনে হয় এই দেশের ইনহারেন্ট কালচার, ভুগোল এবং এই দেশের লোকেরা কোরান ও হাদিশ নিয়ে বেশী মাথা ঘামায় না।
@সেন্টু টিকাদার,
আপনি ত দেখছি হিন্দু ধর্ম নিয়ে অনেক কিছু জানেন।
বেদ পড়েছেন?
বেদ ২৫০০ বছর ধরে লেখা হয়েছে। বেদের আদি স্ত্রোত্য গুলি শিকারি সমাজের। নৃতাত্ত্বিক ভাবে শিকারি সমাজে মেয়েদের অধিকার ও স্বাধীনতা বেশী থাকে। তারপরে আস্তে আস্তে আর্য্যরা যত কৃষিভিত্তিক হয়েছে মেয়েদের অবস্থান খারাপ হয়েছে।
নারীর অবস্থান দেখতে ধর্ম না দেখে নৃতত্ত্বদেখা অনেক বেশী জরুরী। হিন্দু ধর্মেও নেপালে নারীর স্বাধীনতা বেশী-কিন্ত কৃষিভিত্তিক সমাজে তা কম ছিল। ইসলামেও ইরান এবং আরবে নারী স্বাধীনতা সমান না।
তবে ভারতে পণ প্রথার জন্যে হিন্দু ধর্মের দায় ১০০%। এটা গবেষনায় প্রমানিত হিন্দু ধর্মে কন্যাদান থেকে এই প্রথার উদ্ভব কারন মনুর আইনে হিন্দু নারী পিতার সম্পতি পায় না-তাই পিতাকে বড় একটা অংশ যৌতুক দিতে হত কন্যার বিবাহে। আপনার কল্পনাপ্রসূত চিন্তা কি বলে জানি না-কিন্ত গবেষনা হিন্দু ধর্মকেই দোষ দেয়।
@বিপ্লব পাল,
ভারতীয় সমাজে মেয়েদের এই করুন অবস্থার জন্যে সনাতন হিন্দু ধর্মের দায় একশো ভাগ। ”
তবে ভারতে পণ প্রথার জন্যে হিন্দু ধর্মের দায় ১০০%”
আপনার দুটো উক্তিই ১০০% ভুল…
বেদ পড়েছেন?
বেদ ২৫০০ বছর ধরে লেখা হয়েছে। বেদের আদি স্ত্রোত্য গুলি শিকারি সমাজের। নৃতাত্ত্বিক ভাবে শিকারি সমাজে মেয়েদের অধিকার ও স্বাধীনতা বেশী থাকে। তারপরে আস্তে আস্তে আর্য্যরা যত কৃষিভিত্তিক হয়েছে মেয়েদের অবস্থান খারাপ হয়েছে।”
হিন্দুদের প্রধান ধর্ম গ্রন্থ হল বেদ…আর্্যরাই হিন্দু ধর্মের প্রবক্তা…বেদে কোথাও নারী পুরুষ বৈষ্ম্যের কথা বলা নাই…একটা কথা হল বাজারে যেসব(বাংলাদেশে) বেদ পাওয়া যায় তার মধ্যে হরফ প্রকাশনীর টী বহুল প্রচলিত যার অনুবাদ মোটেও নির্ভর যোগ্য নয় এবং তা ম্যাক্সমুলারে’ হুবুহু। এই জন্য অনেক লোকই বিভ্রান্তিতে পরে আমার অনুরোধ এটি ছাড়া অনেক ভাল লেখকের বেদ অনুবাদ রয়েছে সেটি পরুন…। :yes:
@খোলা হাওয়া,
নাম কাওয়াস্তে। হিন্দু সমাজের ইতিহাসে ৩ হাজার বছর ধরে বেদের কোন উল্লেখযোগ্য ভুমিকা ছিলনা — না সামাজিক ভাবে, না theologically। এখন নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনৈতিহাসিকভাবে বেদ নিয়ে টানাটানি করার কোন মানে নেই।
তবে বেদ যে মনুসংহিতা নয়, এটা মোটের উপর স্বীকার্য। কিন্তু সেটা বৈদিক সমাজ সম্বন্ধে হয়ত কিছু বলে, কিন্তু হিন্দু সমাজ বা হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে তেমন কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য ধারণ করে না।
@সেন্টু টিকাদার,
মনুকে কোন অর্থে ভণ্ড বলছেন সেটা আমার স্পষ্ট নয়। হিন্দু আইন দুহাজার বছর ধরে মনু সংহিতা দ্বারা প্রভাবিত। আর “সম্মান দেখানো”? হ্যাঁ, মাতৃত্ব ও দাসত্বকে সম্মান দেখানো হয়েছে নারীর আত্মপরিচয়কে ধ্বংস করে। শ্রুতি শাস্ত্রে ব্যতিক্রম আছে, কিন্তু দৈনন্দিন জীবন শ্রুতি শাস্ত্র দিয়ে চলে না। এমনকি শ্রুতি শাস্ত্রেও ভয়ংকর কথাবার্তা রয়েছে।
@সেন্টু টিকাদার, বেদকে এত মহান কি করে বললেন। ভারতের ঘৃণ্য সতীদাহ প্রথা তো বেদেই লিখা ছিল। বিধবাকে মৃত স্বামীর সাথে পুড়িয়ে মারতে হবে ( অথর্ববেদ ১৮/৩/৩) দেখতে পারেন।
@সুমিত দেবনাথ,
শ্লোকটা কি? ওয়েবে খুঁজে কিছু পাচ্ছি না।
@রৌরব, সংস্কৃত শ্লোকটা আমি পাই নি। তবে সুমন অধিকারীর বেদ সারাংশতে পেয়েছি এবং ঐটা আছে মুক্তমনার ইবুকে ইসলাম ও শারিয়া নামক বইয়ের একটা অংশে। তা ছাড়া আমি আপনাকে একটা সাইট দিচ্ছি তাতে লেখা আছে
The Atharva Veda says:
“O dead man following the religion and wishing to go to the husbands world, his women comes to you.”
আবার ঋকবেদে লেখা আছে –
उदीर्ष्व नार्यभि जीवलोकं गतासुमेतमुप शेष एहि |
हस्तग्राभस्य दिधिषोस्तवेदं पत्युर्जनित्वमभि सम्बभूथ || (RV 10.18.8)
Rise, come unto the world of life, O woman — come, he is lifeless by whose side thou liest. Wifehood with this thy husband was thy portion, who took thy hand and wooed thee as a lover
@সুমিত দেবনাথ,
ঋগ্বেদের শ্লোকটা টা প্রচণ্ড দুর্বল। এই শ্লোকের সাথে সতীপ্রথার সম্পর্ক কি? আর সূত্রবিহীন atharva veda says এর কথা ছেড়েই দিলাম। মনে হচ্ছে কিছুটা গায়ের জোরে মনুসংহিতাকে বেদের ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন।
@রৌরব, না না, আমি জোর করে কেন মনুসংহিতাকে বেদের উপর চাপাতে যাব? আমি সংস্কৃত বেদ তো পড়ি নি। ঐ যে বললাম আমি সুমন অধিকারীর বেদ সারাংশতে পেয়েছিলাম অথর্ববেদের ১৮/৩/৩ এ বিধবাকে মৃত স্বামীর সঙ্গে মারার আইন লেখা আছে। আবার মুক্তমনার ইবুক ইসলাম ও শারিয়াতে সমান কথা লেখা। যাই হোক এটাও হতে পারে মনুর শ্লোককে বেদের শ্লোক বলে চালানোর চেষ্টা। ভাবার বিষয় বটে। :-/
আর ঋকবেদের শ্লোকটা দিলাম কারণ ঐ শ্লোক থেকে তো সতীদাহের কোন সম্পর্ক পাওয়া যাচ্ছে না এবং বলাই হয় নি।
@সুমিত দেবনাথ,
ও, ঠিক আছে। আমি ঠিক বুঝতে পারিনি।
@সুমিত দেবনাথ,
বেদ কে মহান আমি বলি নাই।
বেদ ছিল শ্রুতি। পরবর্তি কালে কট্টরপন্থি মনু এসে বেদকে সঙ্কলন করে।
কিন্তু তার পরেও বেদের কোন ভাগে সতিদাহ বা সহমরনের কথা উল্লেখ ছিল না। এই রকম লেখাই আমাদের স্কুলের ইতিহাস বইতে ছিল ও স্যারেরা সেই রকমই আমাদেরকে পড়িয়েছেন। এও স্কুলের ইতিহাস বইতে পড়েছি যে বেদের পরবর্তি কালে যখন ব্রাম্মন্য প্রথা চালু হয়েছিল তখনই সতিদাহ প্রথা সমাজে চলে আসে। রাজা রামমোহন রায় বেদ বেদান্ত ঘাটা ঘাটি করে কোথাও সহমরন সমর্থিত কনো শ্লক খুঁজে পান নাই । তাই তিনি লর্ড বেন্টিঙ্কের ্সহয়তা পেয়েছিলেন ব্রাম্মন্য প্রথার বিরুদ্ধে লড়তে ও বিলুপ্ত করতে।
বেদের সামাজিক শ্রেণী বিভাগ ছিল আসলে প্রফেসন বেসড, কাজ ভিত্তিক। ব্রাম্মন্য প্রথার কালেই এই কর্ম ভিত্তিক সামাজিক শ্রেণীভেদ জাতিভেদে পরিনত হয়। ভারতীয় ইতিহাস বই ঘাটেন এই কথা গুলিই পাবেন। বেদ পড়তে হবে না।
অনেক কিছুই সুচতুর ব্রাম্মনেরা নিজেদের স্বার্থের জন্যে চালু করত রাজ রাজা বা পরবর্তি কালে জমিদারদের খুশি করার মাদ্যমে। সেই গুলিও সংস্কার হিসাবে সমাজে যুগে যুগে পালিত হয়ে এসেছিল এবং ব্রাম্মনরাই মিত্যাচার করে এই নানা রকম প্রথাকে ধর্মিয় অংগ বলে প্রচার করত। তারা এমনই চতুর ছিল যে অন্যদেরকে বেদ পড়তে দিত না এটা আমরা সবাই জানি।
@সুমিত দেবনাথ,
বেদে কোথাও এটি লিখা নেই। আপনি কার অনুবাদ করা বেদ পরেছেন তা বললে ভাল হত, কারন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনুবাদ অনেক রয়েছে।
@খোলা হাওয়া, কি বলব বলুন যারা লিখেছেন। তাদের বেদের সঙ্গে কি শত্রুতা তা জানি না। নিশ্চয় তারা জানেন ভুল লিখে ধরা পড়লে জেলের ভাতও খেতে হতে পারে।
বিপ্লব, সমস্যা হলো অনেক সময়েই পিছিয়ে পড়া মাইনরিটি, যৌক্তিক বা অযৌক্তিক resentment এর বশত নিজেদের পশ্চাদমূখী সংষ্কারগুলিকে আরোও আকড়ে ধরে। ভারতে আমার অনেক বার ভ্রমনে মনে হয়েছে পশ্চিম বাংলা আর উত্তর প্রদেশের মুসলমানরা দিনে দিনে আরো পিছিয়ে যাচ্ছে। সেই তুলনায় দক্ষিন ভারতের মুসলিমদের মনে হয়েছে অনেক প্রগ্রেসিভ। সবমিলিয়ে আপনার কি ধারনা? আন্চলিক রাজনিতী-অর্থনীতি অনেক প্রভাব ফেলছে কি?
@Shafiq,
দক্ষিন ভারতের প্রগতিটা সার্বিক। এতে হিন্দু মুসলিম নেই। ওখানে সবাই এগিয়েছে। উত্তর ভারত পিছিয়েছে। পশ্চিম বঙ্গও পিছিয়েছে। এর কারন ওদের নিজেদের একটা ভাল জ্যাত্যাভিমান কাজ করে বলে আমার ধারনা।
তেগেগুরা মোটে ৪ কোটি-আর আমরা বাঙালীরা বিশ্বব্যাপী ২৫ কোটি-কিন্ত তেলেগু সিনেমা শিল্প বাঙালীর প্রায় ১০ গুন। তেলেগু ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যাও বাঙালীদের ১০ গুনই হবে। বাঙালী এবং উত্তরভারতীয় সংস্কৃতি অনেক বেশী ভাববাদি। সেখানে দ্রভিড়িয় সংস্কৃতি অনেক বেশী বস্তুবাদি।
@বিপ্লব পাল,
আমি শুনি যে দক্ষিন ভারতীয়রা নাকি বেশী গোঁড়া, এটা কি ঠিক? ইসলাম নাকি দক্ষিন ভারতে সেজন্য বেশী সফল হতে পারেনি?
মুসলিম মেয়েদের উচিত ঘর থেকে বের হয়ে এসে প্রতিবাদ করা, বলা যে তারা শুধু মুসলিমই মেয়েই নয়, ভারতীয় মেয়েও বটে। এক দেশে দুই আইন বলবৎ থাকতে পারে না সেই দেশের মেয়েদের জন্য।
@ফরিদ আহমেদ,
বাংলাদেশেও একই কথা খাটে হিন্দু নারীর জন্য, সকল দেশেই সংখ্যালঘু নারীর পক্ষে সরকার আইন প্রণয়নে ভোটের রাজনীতি দ্বারা পরিচালিত। তবে মুসলিম নারীর অবস্থান বাংলাদেশে হিন্দু নারীর চেয়ে ভাল হলেও পারিবারিক আইনে পুরুষের সমকক্ষ নয়।
শুধু অক্টোবর ২০১০ এ নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা রোধে নতুন আইনটি হিন্দু মুসলিম সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য।
@গীতা দাস,
:yes: বাংলাদেশী হিন্দু নারীদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ধর্মীয় আইনের ব্যাপারটা কখনই কেন যেন আলোচিত হয় না জোরে শোরে।
@ফরিদ আহমেদ, এই কি হইল? পুরুষবাদীর মুখে নারীবাদী কথা বার্তা! :-/
@সুমিত দেবনাথ,
একেই বলে ঘোর কলিকাল। পুরুষবাদীর মুখে নারীবাদী কথাবার্তা, নাস্তিকের মুখে ইসলাম প্রেমের প্রলাপগাথা। কেয়ামতের আর বেশি দেরি নাই। 😛
অনেক দিন পর লিখলেন তাও আবার এতো ছোট 🙁 । :yes:
@স্বাধীন,
আমি এর মধ্যে আরো চার পাঁচ টি লিখেছি-কিন্ত সবই ভারতীয় রাজনীতি সংক্রান্ত বলে-মুক্তমনাতে দিই নি। সাধারণত সার্বজনীন কিছু লিখলে, তবেই আমি মুক্তমনাতে পোষ্ট করি।
@বিপ্লব পাল,
ভারতীয় রাজনীতি হলেও যদি সেটাতে সার্বজনীন প্রয়োগের অথবা আলোচনার সূযোগ থাকে তাহলে কিন্তু দিতে পারেন। মুক্তমনাতে রাজনীতি বিষয়ক লেখা একদমই আসছে না। আপনারা না লিখলে কে লিখবে? আমিও বিজ্ঞান ছেড়ে রাজনৈতিক দর্শনে ফিরে যাবো। ওটাই আমার প্রিয় জায়গা। তার আগে অর্থনীতির উপর কিছু পড়াশুনা করতে হবে।
:yes: